Blog

  • আশাশুনিতে শ্রমিক দলের বর্ধিত সভা

    আশাশুনিতে শ্রমিক দলের বর্ধিত সভা

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে উপজেলা শ্রমিক দলের বর্ধিত সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) বিকালে মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্সে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নুরুল ইসলাম মোড়লের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুস সামাদ। উপজেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মোড়ল ও যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সিকদার।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রবিউল আউয়াল ছোট, জেলা শ্রমিকদলের সহ – সম্পাদক মামুন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেয়ারাজ আলী, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগ, যুগ্ম আহবায়ক সাদিক আনোয়ার ছোট্টু,সম আক্তারুজ্জামান আক্তার, শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুকেষ সরকার, মিজানুর রহমান সানা, পলাশ ইসলাম, মুর্শিদুল হক বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন আলী সানা, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সম আসাদুজ্জামান আসাদ, কৃষক দলের সদস্য সচিব আব্দুল কাদের সহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় সংগঠনের সুসংগঠিত করা সহ আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সহ যে সকল ইউনিয়নে কমিটি গঠনের কার্যক্রম চলমান তা দ্রুত গঠন করার লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়।
  • সংবাদকর্মীদের রক্ত ঝরল প্রেসক্লাবের সামনে: ইতিহাসে যুক্ত হলো  বিভীষিকাময় দিন

    সংবাদকর্মীদের রক্ত ঝরল প্রেসক্লাবের সামনে: ইতিহাসে যুক্ত হলো বিভীষিকাময় দিন

    সমাজ ও রাষ্ট্রে সাংবাদিকতার ভূমিকা কী হবে তা সাংবাদিকরাই জানে না। আমাদের দেশে
    সাংবাদিক হওয়া সবচেয়ে সহজ। প্রকৃতপক্ষে, সাংবাদিকতা পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর
    একটি। একজন সাংবাদিকের দক্ষতা একজন মানুষকে ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে,
    আবার একজন সাংবাদিকের অজ্ঞতা একজন মানুষকে ধ্বংশ করে দিতে পারে। সাতক্ষীরা
    প্রেসক্লাবের ইতিহাসে যুক্ত হলো এক বিভীষিকাময় দিন ৩০ জুন ২০২৫। এদিন দুপুরে
    প্রেসক্লাবের সামনে যে বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু কিছু সাংবাদিকের ওপর
    শারীরিক নিপীড়নের সীমায় আবদ্ধ নয়; এটি ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় এক ভয়ংকর আঘাত।
    কলম যে সত্যের প্রতীক-সেই কলম যখন রক্তে ভিজে যায়, তখন গোটা সমাজ ব্যথিত হয়, বিবেক
    কাঁদে। ডিবিসি টেলিভিশনের এম বেলাল হোসেন, দৈনিক ভোরের আকাশের আমিনুর রহমান,
    ঢাকার ডাকের তৌফিকুজ্জামান লিটুসহ অন্তত ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন এই ঘটনায়।
    মাথা ফেটে রক্তাক্ত সাংবাদিকের ছবি দেখে কোনো বিবেকবান মানুষ নিশ্চুপ থাকতে পারে না।
    আহতরা এখন চিকিৎসাধীন; কেউ শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত, কেউ মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত।
    এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও
    প্রত্যাশিত প্রতিরোধ তারা দেখাতে পারেননি-এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আমরা
    মনে করি, পেশাদারিত্বের প্রশ্নে পুলিশ ও সাংবাদিক-উভয় পক্ষকেই দায়িত্ববান আচরণ করতে হবে।
    সাধারণ মানুষের আস্থা রক্ষায় উভয়েরই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
    আমরা বিশেষভাবে স্বস্তির সঙ্গে লক্ষ করেছি, ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর উপস্থিতি পরিস্থিতি
    নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। এটি একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা-
    রাষ্ট্র যেখানেই বিপদ, সেখানেই নিরপেক্ষ ভূমিকার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত।
    তবে বড় প্রশ্ন থেকে যায়-এমন ভয়াবহ সহিংসতা কেন? প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে
    দীর্ঘদিন ধরে দুইটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান ছিল, যা এক সময় সীমানা ছাড়িয়ে
    রক্তক্ষরণে গড়ায়। নেতৃত্বের এই প্রতিযোগিতা যদি সংঘাতে রূপ নেয়, তাহলে আমরা কী বার্তা
    দিচ্ছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সংবাদকর্মীদের?
    প্রেসক্লাব হলো মত ও তথ্য বিনিময়ের একটি পবিত্র মঞ্চ। এখানে মতভেদ থাকবে, থাকবে
    মতবিরোধও। কিন্তু মতের পার্থক্য কখনো রড-লাঠির মাধ্যমে সমাধান হতে পারে না। বরং
    আলোচনার মাধ্যমে, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করাটাই সবার
    জন্য সম্মানজনক পথ।
    এখন প্রয়োজন সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার। যারা এই হামলায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত
    আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হোক। প্রশাসনের দায়িত্বরতদের ভূমিকা নিয়েও নিরপেক্ষ তদন্তের
    মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসুক। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন
    ও সাংবাদিক সমাজ-সব পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে।
    আমরা মনে করি, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার সময় এখনই। যে সংকটের জন্ম হয়েছে অভ্যন্তরীণ
    কোন্দল থেকে, তার সমাধান হতে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। সহিংসতা নয়-মুক্ত সংলাপ,
    ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাই হতে পারে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন পথচলার ভিত্তি।
    একজন সাংবাদিকের কলম শুধু তার ব্যক্তিগত অস্ত্র নয়; তা সমাজের প্রতিবিম্ব, রাষ্ট্রের চেতনা
    এবং গণতন্ত্রের প্রহরী। তাই সাংবাদিকদের রক্ত নয়-চাই তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ,
    নিরাপত্তা এবং মর্যাদা। পরিশেষে আমাদের প্রত্যাশা, এই দুঃখজনক ঘটনার পরে সাতক্ষীরা
    প্রেসক্লাব হয়ে উঠবে সকল সাংবাদিকের সম্মিলিত কণ্ঠস্বরের প্রতীক। রক্ত নয়-বিশ্বাস,
    সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ হোক সাংবাদিক সমাজের ঐক্যের ভিত্তি। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব
    হোক সাংবাদিক ঐক্য ও পেশাগত মর্যাদার প্রতীক-এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
    লেখক: সম্পাদক, সাহিত্যপাতা।

  • দেশে করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ৭ জন

    দেশে করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ৭ জন

    দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ৭ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। এতে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৩ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৮০৫ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবার (২৯ জুন) সকালে প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সময়ে সারাদেশে ১৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩.৮৭ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি।

  • নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি : নলতায় দুই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

    নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি : নলতায় দুই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতায় অবস্থিত বন্ধু বিরিয়ানী হাউজ এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং রান্নাঘর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (২৯ জুন) বেলা ২ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    জানা গেছে, নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও মানহীন খাদ্যসামগ্রী বিক্রির অভিযোগ পেয়ে উপজেলার নলতা হাট এলাকায় অবস্থিত বন্ধু বিরিয়ানী হাউজ এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং রান্নাঘর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত ও মানহীন পঁচা বাসি খাদ্যসামগ্রী বিক্রির অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় বন্ধু বিরিয়ানী হাউজ এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক ইয়াকুব আলীকে ১০ হাজার টাকা এবং রান্নাঘর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টেের ম্যানেজার আবুল হোসেনকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস। অভিযান পরিচালনাকালে বিজিবি নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়ন এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • বন্ধ রয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

    বন্ধ রয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

    এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ডাকা আন্দোলনের কারণে রোববার (২৯ জুন) দ্বিতীয় দিনের মত সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট সহস্রাধিক শ্রমিক ও ব্যবসায়ী। ফলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বন্দরের রাজস্ব আদায়ের উপর।

    এদিকে এনবিআর সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের কারণে রোববার সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমস হাউজের প্রধান ফটক বন্ধ রয়েছে। ভিতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও দেখা পাওয়া যায়নি। বন্দরে ঢোকার অপক্ষোয় ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর এলাকায় কয়েক শ’ পণ্যবাহী ট্রাক দাড়িয়ে আছে। একইভাবে ভোমরা বন্দর থেকে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশী পন্যবাহী অসংখ্য ট্রাক। কাস্টমস অফিস বন্ধ থাকায় কোন পণ্য খালাস, যাচাই বা ছাড়করণ সম্ভব হচ্ছে না।

    বন্দরের একজন ব্যবসায়ি জানান, গত তিনদিনে ভোমরা ও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরে আমদানী রফতানীর অপেক্ষায় থাকা অন্তত ৫০০ ট্রাক আটকা পড়েছে। বিপাকে পড়েছে এসব ট্রাকের চালক ও হেলপাররা। একই সাথে কাজ বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। তবে, এবষিয়ে কাস্টমস এর কর্মকর্তা কর্মচারীরা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

    ভোমরা স্থলবন্দরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ বলেন, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ডাকা শাটডাউন এর কারণে ভোমরা স্থলবন্দর হতে প্রতিদিন ৩০/৪০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। এছাড়া প্রতিদিন ৫/৬ হাজার শ্রমিক এই বন্দরে কাজ করে। দুই দিন কাজ করতে না পেরে তাদের সংসার অচল হওয়ার পথে। এছাড়া ৪/৫ শ’ ট্রাকের চালক ও হেলপার মিলে প্রায় ৭/৮ শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

    বন্দরের একজন ট্রাক চালক জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে চারদিন ধরে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আমরা চালকরা বন্দরে আটকা পড়ে আছি। গাড়ি এখন ভারতে ঢুকছে না। বন্দও অচল অবস্থায় রয়েছে। এতে করে আমরা চরম বিপাকের মধ্যে পড়েছি। তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানান।

    ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, কাস্টম কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনের কারণে বন্দর কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ শ্রমিকরা। বর্ষার এই সময়টায় কাজ না পেয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

    তিনি আরও বলেন, বন্দর ঘিরে সাতক্ষীরায় বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কাজ করেন। এখন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। দ্রুত এই সমস্যা সমাধান না হলে ক্ষতির পরিমাণ হবে ভয়াবহ।

    প্রসঙ্গতঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের অপসারণের দাবিতে শনিবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘শাটডাউন’ এবং রাজধানীতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচির ডাক দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে ভোমরা বন্দরে ৫ ঘণ্টা কলম বিরতি পালন করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এরপর শনিবার সকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

  • যশোরে করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

    যশোরে করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

    যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সী গোলাম রহমান নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি যশোরের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।

    রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই এই অ্যান্টিজেন পরীক্ষা সবচেয়ে কার্যকর। তবে, এ ধরনের পজিটিভ ফলাফলের পর রোগীর ক্লিনিক্যাল ইতিহাস, অন্যান্য লক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়।

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, করোনা শনাক্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর গোলাম রহমান শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন এবং ওইদিন রাতেই তিনি জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে যশোরে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো চারজনে।

  • এইচএসসিতে সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়ায় কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি

    এইচএসসিতে সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়ায় কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি

    নড়াইলের লোহাগড়ায় লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্রে সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়ায় কেন্দ্র সচিব কাজল কুমার বিশ্বাস ও ট্যাগ অফিসার লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই ভুলের জন্য তাদের দুইজনকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসরআব্দুল মতিন।

    তিনি জানান, যশোর বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ৪ নম্বর সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অথচ, লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ২ নম্বর সেটে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। চারটি সেটের মধ্যে কোন সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা আগেই কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তারা সেই বিষয়টি লক্ষ্য না করেই সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নিয়েছেন। দায়িত্বে এ ধরণের অবহেলার কারণে তাদেরকে অব্যাহতি এবং শোকজ করা হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, সেট পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়া হলেও উত্তরপত্র মূল্যায়নে কোনো সমস্যা হবে না। এ বিষয়ে কোনো পরীক্ষার্থী যেন অহেতুক দুশ্চিন্তা না করেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৫৬০জন পরীক্ষার্থী আছেন।

  • ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’

    ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’

    আগামী ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ এবং ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ রোববার (২৯ জুন) এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ৮ আগস্ট কোনো বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে না বলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • কলারোয়ায় কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ

    কলারোয়ায় কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ

    সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার (২৮ জুন) শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের অডিটরিয়ামে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি, কলারোয়া উপজেলা শাখা।
    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
    তিনি বলেন, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার সাথে সবসময় আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো। শিক্ষক-কর্মচারীদের আগামী দিনের দাবি দাওয়ার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
    অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ এস এম শহিদুল আলম।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর নতুনহাট কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি মোঃ রইছ উদ্দিন, বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এফএম মাহবুবুর রহমান, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন, সোনার বাংলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আশফাকুর রহমান বিপু, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন, বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজমল করিম, হাজী নাসির উদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিউর রহমান, হাবিবুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ অহিদুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, হেলাতলা টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কবির উদ্দিন বিশ্বাস ও হাজী নাসির উদ্দিন কলেজের সভাপতি প্রভাষক সালাউদ্দিন পারভেজ।
    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখ আমানুল্লাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন।
    অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হাজী নাসির উদ্দিন কলেজের প্রভাষক আব্দুল জব্বার, বেগম খালেদা জিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক জয়গুননেছা, বেগম খালেদা জিয়া কলেজের কর্মচারী আনিসুর রহমান প্রমুখ।
    পরে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনে ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত

    যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনে ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা সদরে যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনে ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনে ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংলাপে ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।সংলাপে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস।
     সংলাপের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য উপস্থাপন করনে প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা মাওলানা শেখ মাহববুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন হুসাইন, ফিংড়ি ঈমাম পরিষদের হাফেজ মাওলানা জাকির হোসেন, হাফেজ মাওলানা হাফিজুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাজমুল হুদা, ক্যাটেখিস্ট চালতেতলা মিশনের ডমেনিক মন্ডল, ফিংড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গুলশান আরা,  দক্ষিণ ফিংড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি কমলেস সরদার, গাভা আইডিয়াল কলেজের প্রভাষক স্বপন কুমার মন্ডল, বিশ^নাথ কয়াল, ব্যাংদহা বাজার কমিটির সেক্রেটারী সঞ্জয় দাশ, জেডিএফ সভানেত্রেী ফরিদা আক্তার বিউটি, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাকিবুর রহমনা বাবলা, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্যবৃœদ জনপ্রতিনিধিগন সহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারবৃন্দ ও যুব সদস্যবৃন্দ।
    বক্তব্য রাখেন সবুজ পৃথিবী যুব সংঘের সভাপতি শিহাব সিদ্দীকি, লাল গোলাপ যুব সংঘের সদস্য আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের সাধারন সম্পাদক নুরজাহান খাতুন, প্রান্তিক যুব সংঘের সদস্য ইমতি জামিল ও কর্নফুলি যুব সংঘের সভাপতি মোহাইমিন,
    মানুষ সামাজিক জীব। সবাই একসাথে মিলেমিশে বসবাস করলেই সমাজে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব। সমাজে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সকলেই একসাথে কাজ করা উচিত। দ্বন্দ নিরসন এমন একটা উপায় যেখানে সকল বয়সের মানুষ একসাথে এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে। এটি আজীবন শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ, যেখানে প্রজম্মের পর প্রজন্ম্ দক্ষতা, মূল্যবোধ এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য একসাথে কাজ করে। জ্ঞান স্থানান্তরের বাইরে এটি বিভিন্ন প্রজম্মের মধ্যে পারস্পারিক শেখার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং আমাদের বয়স্ক সমাজে সামাজিক মূলধন এবং দ্বন্দ সমাধান বিকাশে সহায়তা করে। দ্বন্দ সমাধানের লক্ষ্য হল উদ্দেশ্যমূলক, পারস্পারিক উপকারী কার্যকলাপে মানুষকে একত্রিত করা যা প্রজম্মের মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করে ও দ্বন্দ সমাধানে অবদার রাখে।
    আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের আঞ্চলিক দ্বন্দের আশঙ্কা রয়েছে, যেমন বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অতি উৎসাহিত মনোভাবের কারনে সংঘাত, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ, ত্বকের রঙ নিয়ে দ্বন্দ, রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দ্বন্দ, জমি নিয়ে দ্বন্দ ইত্যাদী উল্লেখযোগ্য। ধমীয় নেতারা ও তরূনরা স্থানীয় এলাকার সামাজিক সম্প্রীতি নষ্টকারী সূচকগুলো চিহ্নিত করে একটি কর্ম-পরিকল্পনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধানের উপায় খুজে বের করায় এই সংলাপের একমাত্র লক্ষ্য।
    সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় নেতাদের সাথে আন্ত:সম্প্রদায় এবং আন্ত: প্রজন্মীয় প্রচারণা শুরু করে সমাজকে আর ও সহনীয় করে তোলা। সামাজিক শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষা  ও দ্বন্দ নিরসনের জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য প্লাটফর্মের মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কর্ম-পরিকল্পনা করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করা। স্থানীয় সামাজিক শান্তি-সম্প্রীতি কমিটিকে আর ও সক্রিয় করা।বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে সামাজিক কর্মকান্ডে যুবদের অংশগ্রহনের সুযোগ তৈরী করা।
    প্রত্যাশা ও প্রস্তাবনা ছিল সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক শান্তি-সম্প্রীতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা এবং অন্যান্য সমমনা অংশীদারদের অংশগ্রহনে কর্ম-পরিকল্পনা তৈরী ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।  স্থানীয় শান্তি-সম্প্রীতি কমিটিতে যুবদের অর্ন্তভুক্ত করা ও দ্বন্দ নিরসনে অবদান রাখার জন্য উৎসাহিত করা হবে। বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ধর্মীয় নেতা ও তরূনদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে যুব এবং ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে একটি ভাল সংযোগ তৈরী করা হবে। আন্ত:প্রজন্ম সংহতি প্রচারণা আন্ত:সম্প্রদায়ের মাধ্যমে পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা।
    আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি ও দ্বন্দ নিরসন বিষয়ে কিভাবে ভুমিকা রাখতে পারবে? সমাজে শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় ও দ্বন্দ নিরসনে যুবদের কি ভুমিকা থাকা দরকার? সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কিভাবে এক প্লাটফর্ম তৈরী করা যেতে পারে? শান্তির বার্তা  প্রচারের জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কোন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারি? সামাজিক শান্তি সম্প্রীতি ও দ্বন্দ নিরসন বিষয়ে যুবদের কিভাবে কাজে লাগানো যায়? উপরোক্ত বিষয়াবলির উপর ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন এবং যুবদের নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।
    অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাকিব হোসেন, এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী, মো: তহিদুজ্জামান, তহিদ, একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য, প্রোগ্রাম অফিসার, চন্দ্রশেখর হালদার, ইয়ূথ ফেলো শাওন।
  • বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ধানদিয়া কাটাখালী মাদ্রাসায় মানববন্ধন ও আলোচনা সভা

    বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ধানদিয়া কাটাখালী মাদ্রাসায় মানববন্ধন ও আলোচনা সভা

    নিজস্ব  প্রতিনিধি:ধানদিয়া কাটাখালী আইডিয়াল দাখিল মাদ্রাসায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টায় তালা উপজেলার ধানদিয়া কাটাখালী আইডিয়াল দাখিল মাদ্রাসায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো, সাতক্ষীরার বাস্তবায়নে গ্লোবাল প্লাটফর্ম বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের আয়োজনে যুব নেতৃত্বে মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ধানদিয়া কাটাখালী আইডিয়াল দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো: মোসলেম আলী।
    ২০২৫ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় “প্লাষ্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করা এখনি সময়” গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের  দেশ গড়ি, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে প্রত্যেকেই একটি করে গাছ লাগাই এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ পরিবেশ উপহার দেই।
    কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দের উপস্থিতিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর বিভিন্ন ম্যাসেজ  ফ্লাগ/পতাকা সম্বলিত লাল কার্ড প্রদর্শন করা হয়।
    বিশ্ব পরিবেশ দিবস (ডবিøউইডি) প্রতি বছর ৫ জুন পালিত হয় এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতনতার মাধ্যমে উৎসাহিত করে। এটি বেসরকারী সংস্থা, ব্যবসা, সরকারী সংস্থা দ্বারা সমর্থিত এবং পরিবেশকে সমর্থনকারী প্রাথমিক জাতিসংঘের প্রচার দিবসের প্রতিনিধিত্ব করে।
    বিশ্ব পরিবেশ দিবস ১৯৭২ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক মানব পরিবেশের উপর স্পকহোম সম্মেলনে (৫-১৬ জুন ১৯৭২) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা মানুষের মিথস্ক্রিয়া এবং পরিবেশের একীকরণের উপর আলোচনার ফলে হয়েছিল। এক বছর পরে ১৯৭৩ সালে প্রথম এক পৃথিবী থিম নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
    প্রথম ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত এটি সামুদ্রিক দুষণ, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, বৈশ্বিক উষ্ণতা, টেকসই উন্নয়ন এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ হিসাবে পরিবেশগত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি প্লাটফর্ম হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হল জনসাধারণের প্রচারের জন্য একটি বৈশ্বিক প্লাটফর্ম, বার্ষিক ১৪৩ টির ও বেশি দেশ থেকে অংশগ্রহন করে প্রতি বছর প্রোগ্রামটি পরিবেশগত কারণের পক্ষে কথা বলার জন্য ব্যবসা, বেসরকারী সংস্থা, কমিউনিটি, সরকার এবং সেলিব্রেটিদের জন্য একটি থিম এবং ফোরাম প্রদান করেছে।
    উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের সভাপতি সাকিব হোসেন, ইয়ূথ পিয়ার গ্রুপ ফ্যাসিলিটেটর লিপি চৌধুরী ও  যুব সদস্যবৃন্দ।
  • আশাশুনিতে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

    আশাশুনিতে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর চরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) সকাল পৌনে ১০টার দিকে স্থানীয়রা মরদেহ দেখে সংবাদ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
    উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যানপুর ত্রিমোহনা খেয়াঘাটের পাশে নদীর চরে কেওড়া বাগানে মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। স্থানীয় মাসুম বিল্লাহ কয়েকজনের সঙ্গে খোলপেটুয়া নদীতে কাঁকড়া ধরার জন্য খেয়াঘাটের দক্ষিণ পাশে কেওড়া বাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাগানের মধ্যে ঝুলন্ত ব্যক্তির পা দেখতে পেয়ে তিনি স্থানীয়দের জানান। লুঙ্গি পরা মৃত ব্যক্তির গলায় তুলসি মালা থাকায় ধারনা করা হচ্ছে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী। পরে বিষয়টি আশাশুনি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
    আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধারণা করা হচ্ছে মরদেহটি নদীর জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে কেওড়া বাগানের সঙ্গে লেগে আছে। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল ওদুদ ঘটনাস্থলে গেছেন। পরে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।
  • তালায় সাংবাদিক মো. সেলিম হায়দারসহ চারজনকে সম্মাননা

    তালায় সাংবাদিক মো. সেলিম হায়দারসহ চারজনকে সম্মাননা

    সাতক্ষীরার তালায় সাংবাদিকতা, সমাজসেবা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চারজনকে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সাংবাদিকতা ও সংবাদ প্রকাশে অবদানের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন সাংবাদিক মো. সেলিম হায়দার।
     
    সমাজসেবায় সম্মাননা পান আঃ আলীম, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে চন্দ্র শেখর দাস এবং ক্রীড়ায় সৈকত রহমান শিমুল। রবিবার (২৯ জুন) তালা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৈশোর কর্মসূচির আয়োজনে এবং পিকেএসএফ-এর অর্থায়নে আয়োজিত উপজেলা পর্যায়ের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন প্রচেষ্টার পরিচালক শেখ ইয়াকুব আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেখ শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ মাছুম বিল্লা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারিক ইমাম,উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমন্বয়কারী এস এম মজিবুর রহমান, সমন্বিত কৃষি ইউনিটের নয়ন হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা নেওয়াজ শরীফ সুমন।
  • করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু

    করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু

    গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ৭ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।

    শনিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। মারা যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক শূন্য আট সাত শতাংশ।

    চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৩৫ জনের।

  • আগামী অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দেওয়া যাবে যেদিন থেকে

    আগামী অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দেওয়া যাবে যেদিন থেকে

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, চলতি জুলাই মাস থেকে আগামী অর্থবছরের ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করা যাবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইআরএফ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, কর ব্যবস্থাকে সহজ ও স্বয়ংক্রিয় করতে ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৭ লাখ রিটার্ন অনলাইনে জমা পড়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় তিনগুণ। চলতি অর্থবছর শেষে কর আদায়ের পরিমাণ ৩ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    এনবিআরের চলমান সংস্কার ও কর্মীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে এবং জুলাইয়ের মধ্যেই সংশোধন আনা হবে। আজই এনবিআর কর্মীদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

    চেয়ারম্যান আরও বলেন, “সবকিছুই হওয়া উচিত দেশের স্বার্থে। কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাসেবী সম্মতি বাড়াতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।”

  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: আমীর খসরু

    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: আমীর খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন মোটেই সম্ভব নয়। বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরো প্রস্তুত। শুক্রবার রাতে সিলেটে জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান চৌধুরীর দেয়া একটি বক্তব্য প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের এমনটি বলেন আমীর খসরু।

    শনিবার দুপুরে সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে ‘সিলেট বিজনেস ডায়লগ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, লুটেরাদের কারণে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংসের মুখে পড়েছে। দেশের ব্যবসায়ী খাতকে গোষ্ঠী ও রাজনীতির দখলের বাইরে নিয়ে আসবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

    অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সরাসরি নিজেদের মতামত ও সংকটের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, চা, আগর, পর্যটন, ফলমূল, সবজি, পাথরসহ বিভিন্ন শিল্প সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এতে করে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি আসবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে আগের রাজনীতি চলবে না, বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে।

    ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীবান্ধব দল হিসেবে বিএনপি দেশের বাণিজ্য খাতকে প্রসারিত করবে। বাণিজ্যের গণতন্ত্রায়ণ নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশে অর্থনীতি নিয়ে যে সৃজনশীলতা ছিলো তা গেল ১৭ বছরে ধ্বংস করা হয়েছে। ব্যবসাকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে, তবে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করতে হবে।

    আমীর খসরু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মাসে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে তথ্য প্রযুক্তিখাতে। নূন্যতম এসএসসি পাস তরুণদের আইসিটি খাতে চাকরি দেওয়া হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরের আয়োজনে এ অনুষ্ঠনে সিলেটের ও জাতীয় অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাবেক সভাপতি ফজলুল হক

    অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আগে স্থানীয় নির্বাচনসহ ১৬ দা‌বি ইসলামী আন্দোলনের

    আগে স্থানীয় নির্বাচনসহ ১৬ দা‌বি ইসলামী আন্দোলনের

    প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বণ্টন, নির্বাচনে লে‌ভেল প্লে‌য়িং ফিল্ডসহ ১৬ দা‌বি জা‌নি‌য়ে‌ছে চরমোনাই পী‌রের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আ‌ন্দোলন।

    আজ শ‌নিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমা‌বে‌শের ঘোষণাপত্রে এ দা‌বি জানা‌নো হয়। ইসলামী আ‌ন্দোল‌নের আ‌মির সৈয়দ রেজাউল করী‌মের সভাপ‌তি‌ত্বে মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ ক‌রেন দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

    ঘোষণাপ‌ত্রে বলা হ‌য়ে‌ছে, ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্র রোধ করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিতে সংস্কার ক‌মিশ‌নে মতামত দি‌য়ে‌ছে ইসলামী আ‌ন্দোলন। তা বি‌বেচনা কররত মহাসমা‌বেশ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি।

    সংস্কারের দ্বিতীয় ধা‌পের সংলা‌পে বাস্তবায়‌নের জন্য ১৬ দফা দা‌বি জানা‌নো‌ হয়। এগু‌লো হলো-

    ১. সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের সঙ্গে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি’ এ বিষয়টি অবশ্যই পুনঃস্থাপন করতে হবে।

    ২. সংসদের প্রস্তাবিত উভয়কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।

    ৩. গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।

    ৪. নির্বাচিত স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও সন্ত্রাসী শ্রেণি রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করতে না পারে এবং একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনী মৌলিক রাষ্ট্রসংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

    ৫. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। ফ্যাসিবাদেরক চিহ্নিত করে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

    ৬. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিতে বিদেশে পালাতক অপরাধীদের আটকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে।

    ৭. দেশ থেকে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে সক্রিয়, কার্যকর ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

    ৮. দেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনকে আরও কার্যকর ও অবিচল হতে হবে।

    ৯. ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল করতে হবে।

    ১০. জাতীয় নির্বাচনের আ‌গে সব স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আগামীতেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনের বিধান প্রণয়ন করতে হবে।

    ১১. চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

    ১২. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে অবশ্যই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

    ১৩. ঘুষ, দূর্নীতিসহ সকল প্রকার নাগরিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক কারণে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ করতে হবে। হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের কোথাও কোনো রকম মব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না। মব সৃষ্টিকারীদের দমনে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    ১৪. দেশ বিরোধী ও ইসলাম বিরোধী সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলায় সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

    ১৫. জাতীয় নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

    ১৬. স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা, জনগণের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা, সর্বত্র শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং কাঙ্ক্ষিত উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে সকল পর্যায়ে ইসলামের সুমহান আদর্শের অনুশীলন করতে হবে।

  • এনবিআর শাটডাউনে সারা দেশে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্ধ শুল্ক-কর কার্যক্রম

    এনবিআর শাটডাউনে সারা দেশে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্ধ শুল্ক-কর কার্যক্রম

    সকাল থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কাজ হচ্ছে না। চলছে শাটডাউন কর্মসূচি। ভবনের ভেতরে কেউ ঢুকতে পারছেন না। বের হতেও পারছেন না কেউ। এ কারণে এনবিআরের সব সেবা বন্ধ আছে।

    এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল, ঢাকা কাস্টমস হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কার্যক্রম বন্ধ। এতে আমদানি–রপ্তানিতে সব ধরনের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ আছে।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে কাজ হচ্ছে না। সব টেবিল–চেয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। প্রায় সব কর্মকর্তা–কর্মচারী লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। এনবিআরের সামনের রাস্তায় কয়েক শ কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থান করছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতিও দেখা যাচ্ছে। তাঁরা কাউকে এনবিআরের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না, বের হতেও দিচ্ছেন। এনবিআরের তিনটি ফটকে তালা ঝুলছে।

    সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আজ শনিবার ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল থেকে এনবিআরের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মকর্তারা রাজধানীর এনবিআর ভবনের সামনে সমবেত হয়েছেন।

    এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন চলছে। এনবিআর হলো দেশের প্রধান রাজস্ব আদায়কারী সংস্থা। জুন মাসে অর্থবছরের শেষ সময়। এই সময় রাজস্ব আদায়ে বেশ গতি থাকে। সে জন্য আজ দেশের সব শুল্ক–কর কার্যালয় খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনের কারণে আজ সব কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।

    এনবিআরের মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে ভেতরে অবস্থান নিয়েছে বিজিবি, পুলিশ, র‍্যার ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এনবিআর ভবনের আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

    সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কার এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আজ ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছেন সংস্থাটির আন্দোলনরত কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। পাশাপাশি আজ থেকে সারা দেশের শুল্ক–কর কার্যালয়ে শুরু হয়েছে লাগাতার ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি।