Blog

  • সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সরোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎকুমার, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আল ফেরদৌস আলফা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস, জেলা সমাজ সেবা অফিসের উপপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, জেলা মৎস্য অফিসার আনিছুর রহমান, জেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাঃ আবুল খায়ের, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে.এম মিজানুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সঞ্জীত কুমার দাস, জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
    পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
  • সাতক্ষীরায় শ্রমিক সমাবেশ

    সাতক্ষীরায় শ্রমিক সমাবেশ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা পিকআপ মিনি ট্রাক ষ্ট্যান্ডের পরিচালনা কমিটির সভায় জামায়াত-শিবির-বিএনপির সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি। সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা শহরের ইাটাগাছা হাটের মোড়ে আনুষ্ঠিত সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
    জেলা পিকআপ মিনি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা ট্রাক ট্রাক্টর কাভার্ডভ্যান, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বকুল মোড়লের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু।
    প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা ট্রাক ট্রাক্টর কাভার্ডভ্যান, ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ বাবু।
    এর আগে সাতক্ষীরা জেলা পিকআপ মিনি ট্রাক  শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির সদস্যগণকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

  • মুন্সিগঞ্জ ও ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    মুন্সিগঞ্জ ও ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    ২৯ জুলাই রোজ সোমবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের বাস্তবায়নে এবং জার্মান দাতা সংস্থা
    ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড এর আর্থিক সহযোগিতায় মুন্সিগঞ্জ ও ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল
    ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় পরবর্তী ছয় মাসের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়। একই সাথে
    স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, মানববন্ধন, স্মারক লিপি প্রদান ও স্থানীয়
    পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত সকলে একমত পোষণ
    করেন যে এলাকার মানুষের জীবন জীবীকা নিশ্চিত করতে হলে জাতীয় পর্যায়ের নীতি-নির্ধারনী মহলের দৃষ্টি
    আকর্ষণের কোন বিকল্প নেই।
    সভায় বক্তারা বলেন- লিডার্স এর সহযোগীতায় এই এলাকাতে কৃষি খাতে অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। এখানকার
    মানুষ স্বল্প খরচে ধানবীজ, সবজি বীজ ও জৈব সার পাওয়ার ফলে তাদের খাদ্যের দৈনিক যোগান দেওয়ার পরও
    বাইরে বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তিত পরিবেশে কৃষিকে শক্তিশালী করার
    জন্য যে অভিযোজন প্রক্রিয়া চর্চা করার পথ লিডার্স আমাদের দেখিয়েছেন তার ফলে এলাকার মানুষ আর্থ –
    সামাজিকভাবে অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। এছাড়া সকল ধরনের দূর্যোগকালীন সময়ে লিডার্স আমাদের পাশে থেকেছে।
    তিনি সভায় উপস্থিত সকলকে লিডার্স এর উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আহবান জানান।
    উক্ত সভায় জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাবে উপকুলের সংকটে করণীয় বিষয়ে সকলে মতামত ব্যক্ত করেন।
    সভায় আগামী ৬ মাসের জন্য উক্ত ফোরামের একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উক্ত পরিকল্পনা
    উপকূলের জনমানুষের অধিকার রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে ফোরামের প্রত্যাশা।

  • সহিংসতায় নিহত ৩৪ পরিবারকে সঞ্চয়পত্র-নগদ অর্থ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    সহিংসতায় নিহত ৩৪ পরিবারকে সঞ্চয়পত্র-নগদ অর্থ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের স্বজনরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

    রোববার (২৮ জুলাই) সকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবার গণভবনে আসেন। প্রধানমন্ত্রী ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন।

    প্রধানমন্ত্রী নিহত ব্যক্তিদের পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ-খবর নেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অশ্রু সজল হতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

    এসময় অশ্রুসজল প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের বেদনা বুঝি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে চলতে হয়। বাপ-মায়ের লাশটাও দেখতে পারিনি, দেশে ফিরতে পারিনি। ৬ বছর পর দেশে এসেছি। তারপর যখন এসেছি সারা দেশ ঘুরেছি। কারণ আমার বাবা বলত, দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে হবে। আমি সেই কাজটাই করার চেষ্টা করছি।

    তিনি বলেন, আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা ভাই হারানো। কাজেই আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আর আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার চেষ্টা থাকবে এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।

    এ সময় গণভবনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

  • বাঁচতে চায় স্কুল ছাত্রী সামিয়া

    বাঁচতে চায় স্কুল ছাত্রী সামিয়া

    চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন

    ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ১১ বছরের সামিয়া তাহসিন। মরণব্যাধী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তাকে আটকে রেখেছে হাসপাতালের বিছানায়।
    সামিয়ার বাবা মো. শুজাউদ্দীন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের মুড়াগাছা গ্রামের এক অতি সাধারণ দরিদ্র কৃষক। তার মা জোহরা খাতুন একজন গৃহিণী। চার ভাইবোনের মধ্যে সামিয়া তৃতীয়। সে স্থানীয় এইচএমএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। অত্যন্ত মেধাবী এই শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিতে খুবই ভাল রেজাল্ট করে এসেছে।
    বোনের মধ্যে সবার বড়টি এইএসসি পরীক্ষার্থী। তার পরেরজন নবম শ্রেণিতে পড়ছে। সবার ছোট ভাই, সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। মেয়েটির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবরে সামিয়ার পুরো পরিবার এখন দিশেহারা।
    সামিয়ার বাবা মো. শুজাউদ্দীন বলেন, প্রায় ৪ মাস আগে শারীরিক সমস্যা দেয় সামিয়ার। জ্বর জ্বর লাগে, মাথায় মাঝে মাঝে প্রচ- ব্যাথা হয়। ক’দিন ধরে বাঁ চোখটিও বুঁজে আসছে। জোর করেও তাকিয়ে থাকতে পারে না। দেখতেও পারছে না ঠিকমতো। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলে তার ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে। চলতি বছরের জুন মাসের ২০ তারিখে ধানম-ির গ্রিন লাইফ হাসপাতালে টিউমার অপসারণ করা হয়। বায়োপসি রিপোর্টে সামিয়ার ক্যানসার ধরা পড়ে।
    সামিয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) প্রফেসর ডা. মো. ইউছুফ আলীর অধীনে ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ১৭টি কেমো ও ২৮টি রেডিও থেরাপি দিতে পারলে শিশুটি সুস্থ হয়ে যাবে। আর সেজন্য প্রয়োজন অন্তত ২০ লক্ষ টাকা।
    জানা গেছে, ইতোমধ্যে সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে সন্তানের চিকিৎসার জন্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন সামিয়ার বাবা। চিকিৎসার বাকি খরচ জোগানো তার একার পক্ষে আর সম্ভব নয়। একদিকে সামিয়ার চিকিৎসা, অন্যদিকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অন্যান্য সন্তানদের লেখাপড়া আর সংসার খরচ। উভয় দিকেই চরম নাজুক অবস্থা শুজাউদ্দীনের। একদিকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রাণপ্রিয় সন্তান, অপর দিকে বিপুল পরিমাণ টাকার যোগাড়ের অনিশ্চয়তা। কোন দিকে যাবেন এই অসহায় পিতা?
    এখন প্রাণপ্রিয় সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান মানুষের দিকে তাকিয়ে আছেন সামিয়ার বাবা ও পরিবার। ২০ লক্ষ টাকা সামিয়াদের মতো পরিবারে অকল্পনীয় হলেও সমাজের সবাই মিলে এগিয়ে এলে এই পরিমাণ অর্থ জোগাড় হওয়া হয়তো অতটা কঠিন হবে না। প্রয়োজন শুধুই সামান্য একটু ভালোবাসা আর অন্তর থেকে সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসা। সামিয়াকে বাঁচাতে তার বাবা শুজাউদ্দীনের বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আপনার সহায়তা পৌঁছে দিতে পারেন। মো. শুজাউদ্দীন, মোবাইল, বিকাশ ও নগদ নম্বর- ০১৭৩৫-১৮৬৭৯০, সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাব নম্বর- ০১০০৫৪০০৬, সোনালী ব্যাংক, মাগুরা বাজার শাখা, তালা, সাতক্ষীরা।

  • আক্তারুজ্জামানের মুখে এখন সুদিনের হাসি

    আক্তারুজ্জামানের মুখে এখন সুদিনের হাসি

    শৈশব থেকেই দারিদ্রের সাথে লড়াই করে বড় হয়েছে মোঃ আখতারুজ্জামান। সে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঝাপালী গ্রামের আমিনুর রহমানের পুত্র।  ৪ সন্তানের মধ্যে আখতারুজ্জামান  সবার ছোট। মাত্র ৫শতক জমির উপর তাদের বসবাস। ৯ সদস্যের পরিবারের খাবার, পোষাক, সন্তানের লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ ঠিকমত পরিচালনা করতে পারেন না দিনমজুর বাবা। এহেন প্রতিকূল পরিবেশে আখতারুজ্জামান স্কুলে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় ঝাপালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর ১০ বছর বয়সে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। সেখান থেকে সে তার বাবা ও বড় ভাইদের সাথে দিনমজুরের কাজ করে এবং নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো।
    এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষিত করার জন্য এডুকো বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় উত্তরণ শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নে একটি ব্রীজ স্কুল চালু করে। তখন আখতারুজ্জামান আবার এই স্কুলে ভর্তি হয়। তার ভাই কাশিমাড়ী নতুন বাজারে সাইকেল, মটরসাইকেল ও ইজিবাইক মেরামতের জন্য একটি ছোট দোকান খোলেন। আর সে ব্রীজ স্কুলে পড়ার পাশাপাশি ঐ দোকানে কাজ শুরু করে। ২০২২ সালে যখন তার বয়স ১৫ বছর তখন সে উত্তরণের সহায়তায় ডিজেল, পেট্রোল ইঞ্জিন মেকানিক এবং ইজিবাইক মেরামতের উপর তিন মাসের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল। প্রশিক্ষণের পর থেকেই সে নিজে দোকান চালানোর স্বপ্ন দেখছিল কিন্তু টাকার আভাবে তা করতে পারেনি। সে তার ভাইয়ের দোকানে কাজ করে সঞ্চয় শুরু করে।
    বর্তমানে আখতারুজ্জামান তার স্বপ্ন পূরনের পথে অনেক দূর এগিয়েছে। নিজের সঞ্চয় ও ভাইয়ের সাহায়তা এবং একটি ক্ষুদ্র  ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কাশিমাড়ী পুরান বাজারে একটি দোকান ভাড়া নেয়। প্রতি মাসে এক হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। মোটরসাইকেল গ্যারেজ পরিচালনার জন্য ৩৫ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করা হয়। বর্তমানে মাসে তার প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। আক্তারুলের ইচ্ছা টাকা জমা করে একটি মোটরসাইকেল ওয়াশ এবং একটি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক ওয়েল্ডিং মেশিন কিনবে।
    আখতারুজ্জামান জানান, ‘উত্তরণ ও এডুকো বাংলাদেশের সহযোগিতায় আজ আমি এই ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছি। তাই আমি এই ব্যবসার প্রসার ঘটাবো এবং এলাকার অন্যান্য বেকার ছেলেদের কাজের সুযোগ তৈরী করবো।’
    উত্তরণের এডুকো প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাজমা আক্তার বলেন, শ্যামনগর উপজেলায় কাশিমাড়ী, বুড়িগোয়ালিনি, গাবুরা ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে এডুকো প্রকল্পের বাস্তবায়নে চারটি ব্রিজ স্কুলে ৩৫০ জন শ্রমজীবী শিশুর শিক্ষাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই শিশুরা নিয়মিত ব্রিজ স্কুলে এসে লেখাপড়া করছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ৫০ জন প্রশিক্ষাণার্থী ইন্ডাষ্ট্রিয়াল সুইং মেশিন ও টেইলরিং, ইলেকট্রনিকস ও মোবাইল ফোন সার্ভিসিং এবং ইলেকট্রিক হাউজ ওয়ারিং ও সোলার সিষ্টেম বিষয়ে তিন মাসের কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ব্যবসাসহ আত্মকর্মসংস্থানমূলক বিভিন্ন কাজে যুক্ত রয়েছে। আখতারুজ্জামান ব্রীজ স্কুলে পড়ালেখার পাশাপাশি উত্তরণের সহায়তায় ডিজেল, পেট্রোল ইঞ্জিন মেকানিক এবং ইজিবাইক মেরামতের উপর তিন মাসের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। বর্তমানে মটরসাইকেল গ্যারেজ থেকে মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে তার।
    শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক জানান, মূলত ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত স্কুল বহির্ভূত শিশুদের শিক্ষার মূল স্রোতে আনার জন্যই এ ব্যবস্থা। এটি দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া উপকূলীয় এলাকায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
    কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী আনিছুজ্জামান আনিচ বলেন, উত্তরণের এডুকো প্রকল্পের এই কার্যক্রম উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। আখতারুজ্জামানের মতো অনেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করে কিছু উপার্জন করছে।

  • পাইকগাছায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে সাবেক সম্পাদক সুজা’র স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত 

    পাইকগাছায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে সাবেক সম্পাদক সুজা’র স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত 

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
    পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক হুইপ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়েছে। শনিবার বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাংবাদিক তৃপ্তি রঞ্জন সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক জিএম তৈয়বুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জিএম বাশারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ও সাংবাদিক বি.সরকার। কমল জিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আ’লীগ নেতা আঃ রহিম সরদার, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আঃ করিম মোড়ল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের তেজেন মন্ডল, হিল্লোল সরকার, হাফিজুল ইসলাম, মোঃ জাহিদ হাসান, মোঃ আখতারুজ্জামান গোলাম রব্বানী, বাহারুল ইসলাম বাবু, নান্টু সরদার, সেলিম হোসেন, ফিরোজ সরদার, মাসুম, রাসেল কবির, মহিদুল ইসলাম, আবু সায়েদ, হেলাল গাইন, মোঃ জামশেদ, আবু মুছা, রবিউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, গৌতম মন্ডল, তুষার কান্তি বাছাড়, ইসমাইল হোসেন, সুজন গাজী, রবিউল ইসলাম রবি, আইয়ুব আলী গাইন। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ আতাউল গনি।
  • সাতক্ষীরার দুই টিভি ক্যামেরাম্যানের দফায় দফায় মারপিটের ঘটনা

    জানা যায় ছাত্র আন্দোলনের নিউজ সংক্রান্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেমের ক্যামেরা পারসর্ন ও মাই টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ফয়জুল্লুাহ বাবুর ক্যামেরা পাসর্ন জনি বাকবিতন্ডা জড়িয়ে এক পর্যায়ের মারাত্মক মারপিট করেন।

    দুই দফায় মারামারি করেন তারা। ঘটনা স্থলে থাকা ক্যামেরা ম্যান ও প্রতিনিধিরা ঘটনা সামলাতে তাদের দুই জনকে পৃথক করে দেয়। এঘটনা দুই ক্যামেরা ম্যানের প্রতিনিধিদের জানান প্রেসক্লাবের কয়েকজন সদস্য কিন্তু দুই প্রতিনিধি কোন ব্যবস্থা নেয়নি।পরবর্তীতে জনি ও তার ভাই রনি সহ জনির লোকজন সৌরভ কে একা পেয়ে সৌরভের উপরে কিল-ঘুষি লাথি মেরে সৌরভ কে আহত করে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংবাদিক জানান প্রেস ক্লাবে সৌরভ ও জনির মধ্যে দুই দফা মারামারিতে জনি বেশি আহত হয় সে কারনে সৌরভকে একা পেয়ে জনির লোকজন সৌরভের উপরে হামলা করতে পারে।

    প্রেসক্লাবের মারামারি ও সৌরভের উপরে হামলার পরে
    মাই টিভির প্রতিনিধি বাবুকে কয়েকজন জানালে বাবু বলেন আমি এর আগেও শুনেছি জনির আচার-আচরণ অনেক খারাপ আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি জনিকে বাদ দিবো সে যদি সৌরভের সাথে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে পারে তখন জনিকে আবার কাজে নেয়া যায়কি ভেবে দেখবো।

    তবে সৌরভের উপরে আক্রমণের দিন সন্ধায় হঠাৎ মাইটিভির প্রতিনিধি সৌরভকে ফোন করে মিনি মার্কেটে যেতে বলে সৌরভ না যাওয়াতে মাই টিভির বাবু সৌরভ কে জানায় সিনিয়র সাংবাদিকরা বসে আছে সে বিলম্ব কেন করছে। তখন সৌরভ বাবুকে বলেন সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে বসবেন সে কথা ত আপনি আমাকে আগে জানাতে পারতে আপনি সিনিয়র সাংবাদিক নিয়ে বসলেই আমি যেতে পারবো না। আমার সংগঠন আছে তাদের কে নিয়ে বসবো আমাকে আগে জানালে আমি তাদের নিয়ে আসতাম।

    এ ঘটনায় সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশন সৌরভের পাশে থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে মাইটিভির ক্যামেরা ম্যান জনি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

    এদিকে সৌরভ ও জনির মারপিটের ঘটনায় তাদের দুই জনের নামে নানা ধরনের অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী জনির এলাকার অনেকে জানান জনির ভাই রনি যুবলীগের পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে জমি দখল থেকে শুরু করে মাহফিলের নামে চাঁদা তুলে মাহফিলের আয়োজন না করা সহ নানা অভিযোগ আছে রনির বিরুদ্ধে। জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ ও বেশ। অনেকে বলেন জনি ক্যামেরা ম্যান পরিচয়ে প্রশাসনের সাথে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে এলাকার ছোট বড় সমস্যায় পক্ষ নিয়ে বয়স্ক লোকের সাথে বাকবিতন্ডা করে। এছাড়া এলাকায় উগ্র মেজাজের জন্য জনির বেশ পরিচিতি রয়েছে। এ ব্যাপারে সৌরভ ও কম না উগ্র মেজাজের জন্য তার ও বেশ নামডাক। অনেকে জানান সৌরভ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলো, পরবর্তীতে সে টিভি ক্যামেরা ম্যান হয় এর আগে মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে বেশ অবৈধ অভিজান পরিচালনা করতো, এছাড়া শহরের প্রবাসীদের স্ত্রীদের সাথে সুসম্পর্ক করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে সৌরভের বিরুদ্ধে।

    সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের কিছু সিনিয়র সদস্য দুই পক্ষের ক্যামেরা ম্যান ও প্রতিনিধিদের কান পড়া দিচ্ছে বলে মনেকরছেন সাংবাদিকরা।

    দুই চিত্র সাংবাদিকদের মারপিটের ঘটনায় তাদের থেকে দীর্ঘ দিন সুবিধা নেয়া অনেকে এখন চুপচাপ থাকছে। অচিরেই দুই চিত্র সাংবাদিকের ঝামেলার সমাধান হোক এমনটাও চাইছে দুই জনের শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

  • মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার : প্রতিমন্ত্রী পলক

    মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার : প্রতিমন্ত্রী পলক

    আগামীকাল রোববার মুঠোফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর মোবাইল ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    পলক বলেন, আগামীকাল রোববার মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রবি-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।

  • অলিম্পিকে প্রথম সোনা জিতলো চীন

    অলিম্পিকে প্রথম সোনা জিতলো চীন

    প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ সালের আসরে প্রথম সোনা জিতেছে চীন। শুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিশ্র দলগতে সেরা পদকটি নিজেদের করে নিয়েছে চাইনিজরা। ফাইনালে তারা হারিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে।

    কোরিয়ার জিহিউম কিউম-হাজুন পার্ক জুটিকে ১৬-১২ পয়েন্টে হারিয়েছেন চীনের লিহাও সেং-ইয়ুতিং হুয়াং জুটি।

    কোরিয়া রৌপ্য ও কাজাখস্তান ব্রোঞ্জ পেয়েছে এই ইভেন্টে। এর আগে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা কাজাখস্তানের সাতপায়েভ ইসলাম-লে আলেক্সান্দ্রা জুটি ১৭-৫ পয়েন্টে হারিয়েছেন জার্মানির ম্যাক্সিমিলিয়ান উলব্রিখ-আনা ইয়ানসেন জুটিকে।

    শুক্রবার রাতে জমকালো উদ্বোধনের পর শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ক্রীড়াবিদদের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। প্রথম দিনই অনুষ্ঠিত হবে ১৪টি স্বর্ণের নিষ্পত্তি। যার প্রথমটি ছিল শ্যুটিংয়ের।
  • তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

    শুক্রবার রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

    এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

    সারজিস আলম বলেন, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    এর আগে বিকেলে আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ একটি বার্তা পাঠান। এতে তিনি বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমাকে, নাহিদ ভাই আর বাকেরকে গৃহবন্দি করেছে ডিবি পুলিশ। ওয়ার্ডের সামনে, হাসপাতালে ডিবি পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। হাসপাতালের সামনে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের সব ধরনের কমিউনিকেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে এসেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।’

  • মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী 

    মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী 

    মোবাইল ডেটা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রোববার। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শনিবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন। 

    প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মুঠোফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসে মোবাইল ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রোববার সকাল ৯টার দিকে এই বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের পর মোবাইল ডেটা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    মোবাইলের ফোর-জি নেটওয়ার্ক আগামীকাল রোববার বা সোমবারের মধ্যে স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    প্রতিমন্ত্রী জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় আইসিটি খাতে প্রত্যক্ষ ক্ষতি হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেনি, বরং ডেটা সেন্টার ও ফাইবার ক্যাবল পোড়ানোর কারণে এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

  • সরকারি-বেসরকারি অফিসে নতুন সময়সূচি

    সরকারি-বেসরকারি অফিসে নতুন সময়সূচি

    আগামীকাল রোববার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ সূচি চলবে। শনিবার জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা বলেছেন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও কারফিউ জারির কারণে রোববার থেকে মঙ্গলবার (২১-২৩ জুলাই) সরকারি-বেসরকারি অফিসে ছিল সাধারণ ছুটি। এর আগের দু’দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সে হিসাবে টানা পাঁচ দিন পর বুধবার (২৪ জুলাই) আংশিকভাবে খোলে সরকারি অফিস। গত ২৪ ও ২৫ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, সরকার বুধ ও বৃহস্পতিবার সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।

    এদিকে, অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হলেও সারাদেশে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকার থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

    তবে জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন।

    জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে, যা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে। এর মানে হলো জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস ও কর্মীরা তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী চলবেন।

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে সরকার শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে কারফিউ শিথিলের সময়সীমা।

  • এম. আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের আয়োজনে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

    এম. আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের আয়োজনে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাধবকাটি বাজার সংলগ্ন এম. আর
    ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের আয়োজনে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার (২৭ জুলাই) স্কুলের হলরুমে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি
    হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলীল।
    কর্মশালায় এম. আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ কুমার ম-লের
    পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাইড ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ
    ডাইরেক্টর মো. আব্দুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, ‘পেশাগত সম্মান ও মর্যাদা
    বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ আবশ্যক। শিক্ষকের শেখার ইচ্ছা থাকতে হবে। শেখার
    ইচ্ছাই শিক্ষককে জাগ্রত করে রাখে। প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষকদের গুণগত
    মান বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।’ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন এম. আর
    ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. মুজাহিদ, সাজিদা খাতুন, পারুল,
    নাজমুল ইসলাম, রেশমা খাতুন, রাবেয়া খাতুন, সুরাইয়া খাতুন প্রমুখ। এসময়
    স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শফিকুজ্জামানের নির্দেশনায় শিক্ষার মানোন্নয়ন,
    অভিভাবকদের বসার সুব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের আরো আন্তরিক হওয়াসহ বিভিন্ন
    বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

  • অফলাইনে ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে

    অফলাইনে ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে

    প্রায় প্রতি মাসেই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় হোয়াটসঅ্যাপ। তেমনই এক নতুন ফিচারের খবর পাওয়া গেল। এবার ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ফাইল আদান-প্রদান করতে পারবেন।

    হোয়াটসঅ্যাপের নতুন এই ফিচারে উপকৃত হবেন লাখ লাখ মানুষ। এই ফিচারের মাধ্যমে অফলাইনে ফাইল ও ডকুমেন্ট ট্রান্সফার করা যাবে।

    অনেক সময় মোবাইলে ইন্টারনেট থাকে না। এ সময় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও ব্যবহার করা যায় না। তবে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন এই ফিচারে আপনি চাইলে ইন্টারনেট ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ফাইল আদান-প্রদান করতে পারবেন। এবার অফলাইনে ছবি, ফাইল ও ডকুমেন্ট শেয়ার করা যাবে। স্মার্টফোনে ইন্টারনেট না থাকলেও চাপ নেই। কারণ ডেটা কানেকশন ছাড়াই অন্য ইউজারকে ছবি পাঠাতে পারবেন।

    এই সুবিধা আসতে চলেছে শিগগিরই, পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে মেটা।

    আরও জানা গেছে, অফলাইনে শেয়ার হওয়া ফাইল সম্পূর্ণ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপটেড থাকবে অর্থাৎ প্রাইভেসি নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। তা জানতে পারবেন না অন্য কেউ। ইউজারদের ভরসা পেতে এনক্রিপট হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।

    এই ফিচার সম্পর্কিত একটি স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। তবে ফিচারের ছোট্ট একটি টুইস্ট রয়েছে।

    জানা গেছে, আপনার কাছাকাছি সেই ডিভাইস থাকতে হবে এবং তাতে অফলাইন ফাইল-শেয়ারিং ফিচার চালু থাকতে হবে। তবেই এই ফিচার কাজ করবে। ফাইল শেয়ারিং ফিচার বর্তমানে সব অ্যানড্রয়েড ফোনেই পাওয়া যায়।

    যেভাবে ব্যবহার করা যাবে
    অফলাইন ফাইল শেয়ারিং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনো রকম ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না। স্ক্যান করে ব্লুটুথের মাধ্যমে দ্রুত সেই ফাইল এক ফোন থেকে আর এক ফোনে চলে যায়। এটি অন/অফ ও করা যায়, সেই ফিচার কাজে লাগিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের এই সিস্টেম কাজ করবে। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে।

    হোয়াটসঅ্যাপকে আপনার ফোনের গ্যালারি, ফাইল ও ডকুমেন্ট অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিতে হবে। যা না দিলে এই ফিচার কাজ করবে না। তবে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ইউজারের ফোন নাম্বর গোপন থাকবে এবং শেয়ার করা ফাইলগুলো এনক্রিপট করা হবে।

    শেয়ার ইট অ্যাপের মতোই অনেকটা কাজ করবে এই ফিচার। যার ব্যবহার এখন বেশ কমে গেছে।

  • জেনে নিন কোন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখন খুলবে

    জেনে নিন কোন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখন খুলবে

    ঢাকাসহ চার জেলা বাদে দেশের ৬০ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে খুলে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি দেখে আগামী রোববার থেকে পর্যায়ক্রমে এসব জেলার প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নাশকতার মামলার তদন্ত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন সরকারের চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং এক উপদেষ্টা। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

    সূত্র জানায়, সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা বাড়িয়ে খুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সভায় মন্ত্রীরা একমত হন, আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশের পরিস্থিতি দেখে তারপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো প্রতিবেদন সভায় বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে উঠে আসে, ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর বাদে অন্য সব জেলার পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এই চার জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে খুলে দেওয়া হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। সব ঠিক থাকলে আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন সমকালকে জানান, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় দেশের আটটি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। চালু ছিল জেলা ও উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়।

    গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি। এ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারছি না।

    তবে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সরকারের মূল অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
    ১৬ জুলাই সারাদেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-পলিটেকনিকসহ সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। একই সঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজও বন্ধ রয়েছে।

  • আলটিমেটাম শেষ, আসতে পারে নতুন কর্মসূচি

    আলটিমেটাম শেষ, আসতে পারে নতুন কর্মসূচি

    সারাদেশে অবিলম্বে ইন্টারনেট চালু, কারফিউ তুলে দেওয়াসহ জরুরি চার দফা দাবি জানিয়ে গত মঙ্গলবার দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সমন্বয়কদের একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সেই আলটিমেটামের সময়সীমা শেষ হবে। আজকের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে নতুন কর্মসূচি দিতে পারে এই অংশটি। অন্যদিকে, নিজেদের ৯ দফা দাবি আদায়ে আজ দেশব্যাপী গণসংযোগ করবে অপর পক্ষ।

    বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস ইসলাম বলেন, সারাদেশে অবিলম্বে ইন্টারনেট চালু করা, কারফিউ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে হল খুলে দেওয়া এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা প্রদান– এই চার দফা দাবিতে আমরা সরকারকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সেই আলটিমেটামের সময় শেষ হবে। এ দিন নতুন কর্মসূচি কী হতে পারে– তা নিয়ে দুপুরে আমরা বসব। এর পর বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব কিংবা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি জানাব।

    অন্যদিকে, ৯ দফা দাবি আদায়ে আজ দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির আরেকটি পক্ষ। গতকাল বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির ৫২ জন সমন্বয়ক যৌথভাবে এই বিবৃতি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া বুধবার দুপুরে ‘নিখোঁজ’ হওয়া সমন্বয়কদের খোঁজ পেতে বেলা ১১টা থেকে ১২টায় অন্তত ১০ মিনিট বাসাবাড়ি এবং অফিসের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছিল এই অংশটি। তবে তা করা হয়েছে কিনা– সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কর্মসূচি পালনের বিষয়ে জানতে এই পক্ষের সমন্বয়কদের ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

  • তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।

    কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এ কথা বলেন।

    ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ স্টেশন দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে, সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশটা যাতে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টাই করব। এদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে দেশ, সেটা ব্যর্থ হতে পারে না। যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে, সেগুলো ধ্বংস করা কোন ধরনের মানসিকতা!

    ‘ঢাকা শহর যানজটে নাকাল, মেট্রো সেখানে স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।’, বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল, তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কিসের আন্দোলন। তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে, যা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।’

    ‘গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর ওপর এত ক্ষোভ কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল, তাদেরকে জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে।’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।