Blog

  • স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আগামী ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষার সূচি রাখা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

    প্রকাশিত নতুন সূচি অনুযায়ী, ১১ আগস্ট রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন বিকেল ২টা থেকে ৫টা উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র, আরবি দ্বিতীয়পত্র এবং পালি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হবে।

    আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সকালে (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা) ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয়পত্র ও শিশু বিকাশ দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হবে। তাছাড়া একই দিন বিকেলে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র, সমাজকর্ম দ্বিতীয়পত্র এবং ক্রীড়া দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা দিয়ে লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে।

  • রাবিতে শিক্ষার্থী আটকের চেষ্টা পুলিশের, বাধা দিলেন শিক্ষকরা

    সারাদেশে ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ‘ছাত্র-জনতার খুনিদের প্রতিহত করুন’ ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। মিছিল শেষ হলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় শিক্ষকরা তাদের প্রতিহত করেন এবং নিরাপত্তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন। তবে এ ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    দিকে ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ দুই সাংবাদিককে ‘ইনফর্মার’ বলে তুলে নিতে চায় এবং হেনস্তা করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল বের করেন। পরে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে কর্মসূচি শেষ করেন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষকদের এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগে থেকেই সাদা পোশাকে অবস্থান নিতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। কর্মসূচি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’একজন করে শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষকরা তা দেখামাত্রই দৌঁড়ে গিয়ে তাদের বাধা দেন।

    এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তবে শিক্ষকদের বাধায় ক্যাম্পাস থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যেতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষকরা ঢাল হয়ে শিক্ষার্থীদের কাজলা গেটে নিয়ে গিয়ে নিরাপদে বের করে দেন।

    শিক্ষক ও পুলিশের ধস্তাধস্তির সময় সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয় পুলিশ। দৈনিক সমকাল পত্রিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি অর্পণ ধর ও দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী প্রতিনিধি আমজাদ হোসেনকে তুলে নিতে টানা-হেঁচড়া করে পুলিশ সদস্যরা। এ সময় মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও একজন গোয়েন্দা সদস্য এসে সমকাল প্রতিনিধিকে মুক্ত করেন।

    এ বিষয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থী আটকের লাইভ চলাকালে পুলিশ আমার ওপর চড়াও হয় পুলিশ। আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। ওই সময় আমাকে কিল-ঘুষি মারে এবং আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারীন্দ্র মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী লাবণ্য বলেন, আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে মৌন মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সিভিল ড্রেসে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদেরকে আঘাত করে। আমার ভাইদের বিনা কারণে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমাদের অপরাধ কি? আমরা কোনো মামলার আসামি না তাহলে কেন আমাদের আটক করবে। আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলে আজকের এই মৌন মিছিলে এসেছিলাম।

    এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন পুলিশদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছে শিক্ষার্থীদেরকে আটক করার কোনো নথিপত্র নেই। সন্দেহের বশে কাউকে আটক করা অন্যায়। আপনারা এমনটা কখনোই করতে পারেন না। এর পরে যদি কোনো ছাত্রের গায়ে হাত পড়ে এবং আমার সহকর্মীদের গায়ে আঘাত লাগে, এটা কিন্তু আমরা মেনে নিব না। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে, তাই বলে পুলিশ প্রশাসন ওপেন কোনো শিক্ষার্থীকে এভাবে তুলে নিতে পারে না। তাদের নামে কোনো মামলা নেই যে তারা আসামি। আপনারা আপনাদের কাজ করুন।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করতে বলি। তবে যদি কোনো বহিরাগত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাহলে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। বর্তমানে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমার শিক্ষার্থীরা বাসায় আছে। কোনো ছাত্রের হয়রানি হোক আমরা এমনটা কখনোই চাই না। আমরা জানতে পেরে সকল শিক্ষার্থীকে কাজলা গেইট পর্যন্ত নিয়ে গাড়িতে তুলে দিয়েছি।

  • খুনের বিচারকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার: আসিফ নজরুল

    খুনের বিচারকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার: আসিফ নজরুল

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতা নিহতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিনকে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তিন দফা সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

    বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টায় লোকপ্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অর্থনীতি বিভাগ সমাবেশ করে। সবার শেষে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশের ব্যানারে আরেকটি সমাবেশ হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সবাই বৃষ্টিতে ভিজে কর্মসূচি পালন করেছেন। প্রথম দিকে শিক্ষকরা ছাতা নিয়ে দাঁড়ালেও এক শিক্ষক ‘শিক্ষার্থীদের রক্তের কাছে এ বৃষ্টি কিছুই না’ বক্তব্যের পর তারা ছাতা গুটিয়ে ফেলেন।

    এরপর শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফার প্রতি সংহতি জানিয়ে শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে শেষ করেন।

    শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘যে হাত ছাত্র মারে, সে হাত স্বৈরাচার’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, আমার বোনের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’—প্রভৃতি স্লোগান দেন।

    নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশের কর্মসূচিতে আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এ সরকার করবে না। কারণ সরকার নিজেই খুনি। আজকে খুনি বাহিনী-খুনি সংগঠনকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুনি খুনির বিচার করবে না। খুনের বিচারকে ভিন্ন খাতে বইয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

    তিনি বলেন, পৃথিবীতে গণহত্যার পর গণহত্যার সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই সরকার গণহত্যা করার পর গণহত্যার শিকারদের আবার গণহত্যার জন্য দায়ী করে গ্রেপ্তার করছে। ধিক্কার জানাই এই সরকারকে।

    বাংলাদেশের বুকে গুলি করা হচ্ছে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের ছাত্রদের অনিরাপদ রেখে আমরা শান্তিতে বসে থাকব না। আমাদের অস্তিত্বে আঘাত হানা হয়েছে। দেশের বুকে গুলি করা হয়েছে। তরুণ হচ্ছে বাংলাদেশের হৃদয় এই হৃদয়কে আঘাত করা হবে। আমরা চুপচাপ মেনে নেব। এটা যেন সরকার না ভাবে। আজকে দাবি এসেছে সরকারের পদত্যাগের, খুনের বিচার না করতে পারলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

    আসিফ নজরুল বলেন, চোখের সামনে দেখলাম পুলিশের ইউনিফর্ম পরে গুলি করা হচ্ছে, ভিডিও দেখলাম, আবু সাঈদকে কিভাবে গুলি করা হচ্ছে। যুবলীগ ছাত্রলীগের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। অথচ আমাদের ছাত্ররা নাকি মারা গেছে সন্ত্রাসীদের গুলিতে। বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে। আজকে পত্রিকা খুললে দেখবেন।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, গত ৫৪ বছরের শাসনামলে মিথ্যার ঢিবি তৈরি করেছি। যেখানে উন্নয়ন চেতনার মিথ্যার খোলস দেওয়া থাকে। এগুলো ভেঙে পড়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলনের বিকাশ ঘটিয়েছিল, সেটা সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে।

    পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, আজকে পুলিশ আমার শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরেছে। তাকে কথা বলতে দিচ্ছে না। এই বাংলাদেশ কি আমরা দেখতে চেয়েছি। আমরা মানবাধিকারের কথা বলি, উন্নয়নের কথা বলি—অথচ প্রতিনিয়ত আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। আমাদের সহকর্মীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। কেন আবু সাইদের বুকে স্পষ্ট গুলি করে মারা হলো। অথচ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার গণতন্ত্র-মানবাধিকার কোথায় গেল?

    কর্মসূচিগুলোতে আরও বক্তব্য দেন লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাজনীন ইসলাম, অধ্যাপক ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, অধ্যাপক সাদিক হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক সেলিম রায়হান, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান মাসুদা ইয়াসমীন, ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বায়েজিদ ইসলাম কিশোর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশরেফা অদিতি হক প্রমুখ।

  • শোকের মাস আগষ্ট উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মাসব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন লায়লা সেঁজুতি এমপি

    শোকের মাস আগষ্ট উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মাসব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট ২০২৪) বিকালে পুরাতন সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা ও রাজারবাগান ঋষিপাড়া কালি মন্দির চত্বরে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি।
    এসময় সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, এই মাসে ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়। এই মাসেই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। আগস্ট মাসকে সামনে রেখে সেই চক্রটি আবারও ষড়য়ন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাই দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সকলকে ঐক্যবন্ধ হতে হবে।
    তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী দল হিসেবে আজ জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা আত্মগোপনে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র করতে পারে। দেশকে পিছিয়ে দিতে নতুন করে ধ্বংস যোগ্য চালাতে পারে। সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. হ. ম তারিক উদ্দীন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা, সুব্রত ঘোষ, নারী নেত্রী মেহেরুন আফরোজ, রাজার বাগান ঋষিপাড়া কালি মন্দিরের সভাপতি প্রকাশ দাস, সহ-সভাপতি বিশ^জিৎ দাস, সাধারণ সম্পাদক মিলন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল দাস, অর্থ সম্পাদক বসু দাস, পুরাতন সাতক্ষীরার আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আক্তারুজ্জামান, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মোহাদ্দেস সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা সির্জাুল ইসলাম, প্রভাষক ইকবল হোসেন ও প্রভাষক আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

  • ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’। এই সময়ের মধ্যে মুক্তি না দিলে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

    মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আলটিমেটাম ঘোষণা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

    তিনি বলেন, ‘ডিবি কার্যালয়ে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে আটকে রাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। ডিবি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে তাদের যদি নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে নাগরিকদের নিয়ে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলন করব।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জাতিকে, এ দেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। আমি নিজে বিব্রতবোধ করছি। স্বাধীনতার পর ’৭১-এর মতো সহিংসতা আর অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হবে– এটা ভাবনায় ছিল না। অথচ স্বাধীনতার চেতনাই হচ্ছে বৈষম্যহীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এটা করতে না পারার দায় আমাদের নিতে হবে।’

    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা, গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। এসব সংবিধান অনুযায়ী বেআইনি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিলের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব ঘটনার নিন্দা, ধিক্কার জানানোর উপযুক্ত ভাষা আমাদের জানা নেই।  এই বিপুল প্রাণহানির দায় প্রধানত সরকারের।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজকে শোক দিবস পালন করেন। জাতির সঙ্গে রসিকতা করেন? নাশকতার নামে ১০ হাজার গ্রেপ্তার করেছেন। আড়াই লাখ আসামি। হত্যা মামলায় কতজনকে গ্রেপ্তার করেছেন? পত্রিকায়-ফুটেজে দেখেছি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের হাতে অস্ত্র। ইউনিফর্ম পরা পুলিশ। সবাই চিহ্নিত। জ্বলন্ত প্রমাণ। এর পরও তো কাউকে দেখিনি গ্রেপ্তার করতে? নাশকতা কারা করেছে, আমরা তো এখনও প্রমাণ পাইনি। অথচ হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার করে ফেলেছেন। যেটার প্রমাণ রয়েছে, সেটির জন্য কাউকে ধরেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটেছে তা সবই সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আজকে আন্দোলন হচ্ছে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে। এ দাবি অমূলক নয়।’

    ১১ দফা দাবি পেশ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা যে পদেই থাকুক না কেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ, র্যা ব, আনসার, বিজিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী যারা গুলি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও স্বচ্ছ তদন্ত ও সঠিক বিচার হতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি হত্যাকাণ্ড এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার এবং বল প্রয়োগ বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ বিশেষজ্ঞের অধীনে স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান তারা। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক।

  • বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সংঘাত-সহিংসতার পর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত রয়েছেন।

    এছাড়া বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব/ সিনিয়র, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

    সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা হয়। এতে সরকারি হিসাবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন (বেসরকারি হিসাবে দুই শতাধিক) নিহত হয়েছেন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।

    সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। জোটটি মনে করে আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতায় বিএনপি, জামায়াত ও শিবির জড়িত। মঙ্গলবার দুপুরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বুধবারের মধ্যে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে।

    সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ বৈঠকে আন্দোলন পরিস্থিতি, কারফিউ তুলে দেওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

  • তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  একই সঙ্গে তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের যে জুডিসিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয় এজন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।’

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘এরইমধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।’

    জার্মান রাষ্ট্রদূত উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মান) দৃঢ় আশাবাদী যে একটা ইন্ডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে।’

    রাষ্ট্রদূতকে উদ্বৃত করে প্রেসসচিব বলেন, ‘যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নেই।’

    নাঈমুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে দেশব্যাপী শোক পালন করছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।

    জার্মান বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।’

    দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।’

    ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।’

    সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

  • জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ  উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 

    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ  উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 

    “ভরবো মাছে  মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ -২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩০ জুলাই)  বেলা ১১ টায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তার  সম্মেলন কক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর সাতক্ষীরার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অফিস সাতক্ষীরার  সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. হাদিউজ্জামান, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা  মো. শফিকুল ইসলাম, এল্লারচর চিংড়ী চাষ প্রদর্শনী খামারের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নুরে আলম, সখিপুর দেবহাটার মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের খামার ব্যবস্থাপক মো. আওছাফুর রহমান, ফিল্ড এ্যাসিট্যান্ট আরিফ বিল্লাহ,জেলা মৎস্যজীবীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান,মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের এম এফ ও রবিউল ইসলাম । এছাড়া এসময়  জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মৎস্য ব্যবসায়ী ও প্রিন্ট মিডিয়ার  সাংবাদিকবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন। সভায়  জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, যারা মৎস্য বিষয়ে অভিজ্ঞ তাদের নিয়ে কর্মপরিকল্পনা  করতে হবে। কিভাবে মৎস্য বিভাগকে এগিয়ে নেওয়া যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে।  সাতক্ষীরায় লোনা পানি আর্শিবাদ হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।আর যদি কাজে না লাগানো যায় তাহলে লোনা পানি হবে অভিশাপ । তিনি আরো বলেন, নিরাপদ মৎস্য খাদ্য ও নিরাপদ মাছ উৎপাদন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। গলদা পিএল সংকট নিরসন করা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলা, অপরিকল্পিত ঘের ব্যবস্থাপনা পরিহার করতে হবে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে মৎস্য বিভাগের জনবল সংকট নিরসন করতে হবে। তবেই দেশে স্মার্ট মাছ চাষ গড়ে উঠতে ভূমিকা রাখবে।
  • নাগরিকসেবা নিতে এসে সাতক্ষীরা সদরের কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়: এমপি আশু

    নাগরিকসেবা নিতে এসে সাতক্ষীরা সদরের কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়: এমপি আশু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের এমপি ও ভূমি মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মো. আশরাফুজ্জামান আশু বলেছেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদগুলোয় নাগরিক সেবা নিতে এসে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয়। এক অফিস থেকে অন্য অফিসে না ঘুরিয়ে জটিল সমস্যা সুন্দর করে সমাধান করতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতাসহ সকল সেবা হয়রানি ছাড়াই মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে। উপজেলা প্রশাসনকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, আমি নিজ উদ্যোগে সদরের ১৪টি ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক আধুনিকায়নে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি, যেন সাধারণ মানুষ তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাটি সেখান থেকে গ্রহণ করতে পারে। এসময়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা সদরের উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরলে সেগুলো পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপনের আশ্বাস দেন এমপি আশরাফুজ্জামান আশু।

    এ সময় আরও বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান শামস ইসতিয়াক শোভন ও কোহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক, সদর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. ইয়াকুব আলী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনির হোসেন, সদর উপজেলার নবাগত সমাজ সেবা অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফরহাদ জামিল, ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজী, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. মোস্তফা কামাল, ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের, ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজান চৌধুরী, ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান, বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মফিজুর রহমান, আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন মিলন, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন, কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম। এসময় সদর উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে সকাল ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ’র সভাপতিত্বে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • তালায় একইদিনে ৪ জনের বাল্যবিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি!

    তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
    সাতক্ষীরার তালায় একইদিনে তিন কিশোরী ও এক কিশোরের বাল্যবিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উক্ত নিষেধাজ্ঞা জারী করেন এবং কিশোর-কিশোরীর অভিভাবকের মুচলেকা দেন।
    তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, সম্প্রতি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন একাধিক কিশোর-কিশোরীর বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হবে। এসব খবর জানতে পেরে সেখানে হাজির হন জেন্ডার প্রমোটার ও কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সংগীত শিক্ষকসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ। এ সময় তাদের বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তারা হাজির হন তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এ সময় তিন কিশোরী ও এক কিশোরের বাল্যবিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং তাদের অভিভাবকরা মুচলেকা দেন।
    উল্লেখ্য, উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর, তালা সদর ইউনিয়নের জাতপুর ও কিসমতঘোনা এবং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের ৪ন জন কিশোর-কিশোরীর বাল্যবিবাহে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

  • আশাশুনিতে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সচেতনতা এবং সংবেদনশীল কর্মশালা

    আশাশুনিতে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সচেতনতা এবং সংবেদনশীল কর্মশালা

    আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনিতে উত্তরণের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সচেতনতা এবং সংবেদনশীল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
    ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) এর অর্থায়নে উত্তরণের বাস্তবায়নে কর্মশালায় “স্থানীয় ভাবে পরিচালিত ক্রিয়া কলাপ টেকসই জল  ও ভূমি ব্যবস্থাপনা (ল্যান্ড ওয়াটার)” এবং “লোকাল এ্যাডাপটেশন প্লান এন্ড এ্যাকশান ডেভলপমেন্ট (LAPA) ইন বরিশাল এন্ড খুলনা ডিভিশান” প্রকল্প দুটির পরিকল্পনা ও গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ডেভিট অধিকারী ও মিল ম্যানেজার হাসান আব্দুল্লাহ  রাফাত। কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সাহেব আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, সমাজ সেবা অফিসার রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মন, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী, শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন।
  • আশাশুনিতে এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলা এনজিও ফোরামের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা এনজিও ফোরামের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। এনজিও ফোরামের সমন্বয়কারী সুশান্ত মল্লিকের সঞ্চালনায় সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সাহেব আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, সমাজ সেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সিনিয়ন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, রূপান্তরের ইমরান হাসান, ব্র্যাকের প্রবল কুমারসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন। অনুষ্ঠানে এনজিও উত্তরণ ও ইপিআরসি তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের গৃহীত ও বাস্তবায়িত কর্মকান্ডের বিস্তারিত তথ্য মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। উত্তরণের পক্ষে নিবরাজ বাহার মাইক্রো ক্রেডিটসহ ১২টি প্রকল্পের কর্মকান্ড সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেন।
  • আশাশুনিতে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

    আশাশুনিতে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

    আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বাই সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদ থেকে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে বাইসাইকেল বিতরণ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম। অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সাহেব আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, সিনিঃ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম,  উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্য দেব সরকার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, পিআইও সোহাগ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১০ জন ছাত্রীকে ১০ খানা ও ২২ জন ছাত্রকে ২২ খানা বাই সাইকেল বিতরণ করা হয়।
  • আশাশুনিতে সরকারি জায়গায় দোকান ঘর অপসারণের নির্দেশ দিলেন এসিল্যান্ড

    আশাশুনিতে সরকারি জায়গায় দোকান ঘর অপসারণের নির্দেশ দিলেন এসিল্যান্ড

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনির তেঁতুলিয়া ব্রিজের সামনে মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে ও ফকরাবাদ মোটর গ্যারেজের সামনে সরকারি জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণের খবর প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন দিনের মধ্যে ঘর অপসারণের নির্দেশ দিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রাশেদ হোসাইন। এছাড়া তিন দিনের মধ্যে ঘর অপসারণ না করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে বলে তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় সার্ভেয়ার এমদাদুর রহমান তারেক, অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ফকরাবাদ গ্রামের মৃত পচু গাজীর ছেলে রাজ্জাক গাজী, মৃত সুবাহান গাইন ছেলে জাহিদ গাইন সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছিলেন ও এলাকার যুবক ছেলেরা ক্লাব নির্মাণ করবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
  • খাওয়ার টেবিলে বসিয়ে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না

    ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের খাওয়ানোর ছবি প্রকাশ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক টেবিলে তাদের খাওয়ানোর ছবি প্রকাশ করাকে জাতির সঙ্গে ‘মশকরা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ বিষয়ে বলেন, ‘জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না। ধরে নিয়ে এসে খাওয়ার টেবিলে বসাতে পারেন না।’

    দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা এবং ডিবির হেফাজতে থাকা ৬ সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা এক রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট এ কথা বলেন। আদালত বলেন, ‘এগুলো করতে আপনাকে কে বলেছে? কেন করলেন এগুলো? জাতিকে নিয়ে মশকরা করবেন না। যাকে নেন ধরে, একটি খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন।’

    সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আবেদনকারী হয়ে সোমবার রিটটি দায়ের করেন। তারা হলেন মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।

    রিট আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী অনীক আর হক বলেন, রিটে আন্দোলনকারীদের ওপর যাতে গুলি না চালানো হয় এবং যে ৬ সমন্বয়ককে আটকে রাখা হয়েছে, তাদের এখনই ছেড়ে দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

    অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী আদালতকে বলেন, আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা দিতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। টিভিতে দেখানো হয়েছে তাদের লাঞ্চ (দুপুরের খাবার) করানো হচ্ছে। তারা ডিবি কার্যালয়ে কাটা চামচ দিয়ে খাচ্ছেন এই ছবি প্রকাশ হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে শুক্রবার কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরের দিন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তবে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই।

    সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেনশন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।

    বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এই মহূর্তে সেই পরিস্থিতি তো নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন কয়েকজন নেমেছে, কয়জন নেমেছে বা কি হয়েছে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।

    মন্ত্রিসভায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।’

    বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান দেশের প্রায় ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। কিন্তু সমাধান না আসায় ফের আন্দোলন চালু রাখেন তারা।

  • ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে: ডিবিপ্রধান

    ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে: ডিবিপ্রধান

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে খুব শিগগিরই তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।

    সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

    এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে হারুন অর রশীদ লিখেছিলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সাথে কথা বললাম। কি কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।’

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে মিরপুরের একটি বাসা থেকে নুসরাত তাবাসসুমকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।

    এর আগে গত শুক্রবার বিকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন থাকা তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদেরও নিরাপত্তার কারণে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে গত শুক্রবার রাতে ডিবি জানায়।

  • অনির্দিষ্টকালের জন্য ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা স্থগিত

    অনির্দিষ্টকালের জন্য ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা স্থগিত

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত ২১ জুলাই ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এবার বাকি মৌখিক পরীক্ষাগুলো অনির্দিষ্টকালে জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৮ মে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়

    সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পিএসসির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় অংশ নেওয়া পিএসসির একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ৪৪তম বিসিএসে মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। গত বছরের ২৭ মে এ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। প্রিলিমিনারিতে ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন। তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থী। তারাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

    ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশে ৫০, পররাষ্ট্রে ১০, আনসারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।