Blog

  • সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিল

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন স্কিম বাতিল ঘোষণা করেছেন।

    শনিবার দুপুরে গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

    এবছরে জুনের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে আন্দোলনের ঘোষণা দেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি ছিল—সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিল করা।

    জুনের মধ্যে দাবি না মানলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান তারা। সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয় তাদের আন্দোলনের ফলে।

    এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই বিকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

    চলতি অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকেই সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করে। এর আগে গত ২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সমাজের সব স্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এর আলোকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়।

  • আবারো সাধারণ ছুটি ঘোষণা সম্পর্কে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

    অসহযোগ কর্মসূচির ডাক এর পরিপ্রেক্ষিতে আবারো সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য সাধারণ ছুটি আসবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    শনিবার (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার নিয়ে আমাদের একটি নির্দেশনা ছিল। তবে রোববার থেকে কীভাবে অফিস চলবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হয়তো কিছুক্ষণ পর আমরা এ বিষয়ে জানাতে পারবো।’

    এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের জরুরি বৈঠক চলছে। সন্ধ্যা ৭টার পর বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানাতে ব্রিফ করা হবে। এ সময় কারফিউ এবং অফিস টাইমের বিষয়ে জানা যেতে পারে বলে সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।

    এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ২১ থেকে ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর অফিস আদালত স্বল্প পরিসরে খুলে দেয়া হয়। গত সপ্তাহের রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই); এই তিন দিন সরকারি ও বেসরকারি অফিস চলেছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। আর বুধবার (৩১ জুলাই) ও বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস চালু ছিল।

  • ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান পদচ্যুত

    ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর প্রধান মহাপরিচালক নিতিন আগারওয়াল এবং তার সহকারী বিশেষ মহাপরিচালক (পশ্চিম) ওয়াই বি খুরানিয়াকে পদচ্যুত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

    শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই দুইজনকে বিএসএফ থেকে সরিয়ে দেয়। খবর এনডিটিভির

    তাদের দুজনকেই নিজস্ব রাষ্ট্র ক্যাডারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নিতিন আগারওয়াল ১৯৮৯ ব্যাচের কেরালা ক্যাডার অফিসার। অপরদিকে ওয়াই বি খুরানিয়া উড়িশা ১৯৯০ ব্যাচের কর্মকর্তা।

    আগারওয়ালকে গত বছরের জুনে বিএসএফ প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে দেশটির সরকার। তার সহযোগী খুরানিয়া পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েনকৃত বিএসএফ সদস্যদের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    ভারতের মন্ত্রীসভার নিয়োগ কমিটি জানিয়েছে এ দুজনকে ‘এই মুহূর্ত থেকে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই’ পদচ্যুত করা হয়েছে।

  • ‘অসহযোগ আন্দোলন’ সফলের জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ নির্দেশনা

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আজ শনিবার দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ মিছিল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার ‘অসহযোগ আন্দোলন’। এ আন্দোলন সফল করতে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জারি করেছে বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা।

    শনিবার দুপুর ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুকে এসব নির্দেশনা দিয়ে পোস্ট দেন।

    নির্দেশনাগুলো হলো-

    ১. কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
    ২. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।
    ৩. সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
    ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
    ৫. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
    ৬. সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
    ৭. বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
    ৮. দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাই বোনেরা কাজে যাবেন না।
    ৯. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
    ১০. জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
    ১১. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতিত কোনো ধরনের প্রটোকল, রায়ট ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
    ১২. দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
    ১৩. বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
    ১৪. আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
    ১৫. বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো-রুম, বিপনি-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

    হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে।

    নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

  • রংপুরে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

    রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় অপেশাদার আচরণের কারণে এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এএসআই আমীর হোসেন রংপুর পুলিশ লাইন্সে এবং কনস্টেবল সুজন তাজহাট থানায় কর্মরত ছিলেন।

    আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

    তিনি জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ওই দু’জনের অপেশাদার আচরণ প্রমাণিত হয়েছে, যার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আবু সাঈদের সুরতহাল, সেদিনের ভিডিও, ছবি এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখছে। ওই ঘটনায় আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনার পরে আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রংপুরসহ গোটা দেশজুড়ে। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

  • কোটা আন্দোলনে আহত আরও একজনের মৃত্যু

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মো. ইমন (১৭) নামের এই কিশোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

    এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষ-সংঘাতের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৩ জন। ওই সময়ই আহত হয়েছিলেন ইমন। আজ তাঁর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪ জন। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার আন্দোলন ঘিরে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২১৬ জনের।

  • সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন।

    বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাহিদ ইসলাম মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ।’

    নাহিদ আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব৷’

    ‘শুধু শেখ হাসিনা নয়, মন্ত্রিসভাসহ পুরো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে৷ এই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে৷ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে৷’—বলেন নাহিদ।

    যে স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে, তার সঙ্গে মানুষকে যোগ দেওয়া এবং পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান নাহিদ। তিনি কাল থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাটিও তুলে ধরেন।

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুলাই সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরবর্তীতে সংঘর্ষ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হতাহতের ঘটনায় ৯ দফা দাবি দিয়েছিল। এবার এক দফা দাবি তুলে ধরা হলো। আজ শহীদ মিনারে সামনের সারিতে অন্তত ছয়জন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও আবদুল কাদের। তাঁদের মধ্যে নাহিদসহ তিনজন বক্তব্য দেন।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে। রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় একত্রিত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

    শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত প্রথম আলোর তিনজন প্রতিবেদক জানান, আজ শনিবার বেলা আড়াইটার পর থেকে দলে দলে শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সময় যত গড়াতে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাজারো মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার চত্বর ও এর আশপাশের এলাকার পা ফেলার জায়গা নেই।

    শহীদ মিনার ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সমবেত হয়েছেন। ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে।

    এর আগে সকালে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোটের নেতারা।

    আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে তিনজনকে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও মাহবুব উল আলম হানিফ।

    দলীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও আলোচনায় থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    জানতে চাইলে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বয়কদের সঙ্গে তাঁদের এখনো যোগাযোগ হয়নি। যোগাযোগ করা হবে।

    তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে।

  • বেহাল সড়ক আর জলাবদ্ধতায় নাকাল সাতক্ষীরা পৌরবাসি

    প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে সাতক্ষীরা পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ সড়ক জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে । বিশেষ করে সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস মোড় থেকে সরকারি কলেজ হয়ে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা পর্যন্ত সড়কটির পিচ উঠে গিয়ে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে অনেক আগেই। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পৌরবাসীরকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এছাড়া সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো সড়ক দুর্ঘটনা।

    শহরের পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের দাবিতে ইতিপূর্বে কয়েকবার মানববন্ধন করেছে জেলা নাগরিক কমিটি। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিতে সড়কটির অধিকাংশ স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ। সেখানে জলাবদ্ধতায় নাকানিচুবানি খাচ্ছে পথচারী সাধারণ মানুষ। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

    শুধু সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোড নয়, এই রোডের মতো পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ রোডই খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। চলাচলের অযোগ্য পড়েছে পুরাতন সাতক্ষীরা থেকে বাগানবাড়ি হয়ে ঘুড্ডির ডাঙ্গি পর্যন্ত সড়কটি। একই সাথে সাতক্ষীরা ডে-নাইট কলেজ মোড় থেকে চালতেতলা বাজার, চালতেতলা বাজার থেকে কুখরালি, বাঙালের মোড় থেকে গড়েরকান্দা, গড়েরকান্দা থেকে কুখরালি, পুরাতন সাতক্ষীরার হরিতলার মোড় থেকে সুলতানপুর আবুলের মোড়, হরিতলা থেকে বাটকেখালি মেঝমিয়ার মোড় পর্যন্ত রাস্তায় একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া শহরের কামালনগর, ইটাগাছা, পলাশপোল, মুনজিতপুর, সুলতানপুর, মেহেদীবাগ, বদ্দিপুর, কাটিয়া, রসুলপুরসহ প্রত্যেকটি এলাকার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ । এসব সড়কগুলির পিচের আস্তরণ উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে পরিণত হয়েছে খানা-খন্দে। রাস্তার যখন এই দশা তখন শ্রাবণের বৃষ্টি নাগরিকদের জীবনে এনে দিয়েছে আরেকদফা দুর্ভোগ।

    এদিকে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিতেই সাতক্ষীরা শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বেহাল সড়ক আর জলাবদ্ধতায় নাকাল পৌরবাসি। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শতশত পরিবার। পানি নিষ্কাশনে সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের আলামত দেখা যায়নি। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সচিব আলী নূর খান বাবুল পৌরবাসির দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সাতক্ষীরার অন্যতম প্রধান সড়ক সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস মোড়, জেলা পরিষদ মোড় হতে বাসটার্মিনাল খুলনা রোড়, সার্কিট হাউস মোড় থেকে এসপি বাংলো মোড় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল এসব অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হলেই যেন রাস্তা আর সাগরের মধ্যে তফাৎ পাওয়া যায় না। পাশে ড্রেনের কালো, দুর্গন্ধযুক্ত পানি আর বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে রাস্তার পাশে ঢেউ খেলছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি সাধারণ জনগণ।

    পৌরসভার আভ্যন্তরীণ সড়কের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে সিপিবি নেতা কমরেড আবুল হোসেন বলেন, সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নেই কোনো পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। হাল্কা বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। এতে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ছেন পৌরবাসী।

    কলেজ শিক্ষক ইদ্রিস আলী বলেন, টানা কয়েকদিনের স্বাভাবিক বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পৌরসভার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ পানিতে থৈথৈ করছে। শহরের কামালনগর এলাকায় অপরিকল্পিত মৎস্য ঘেরের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশনের পথ। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ পথচারী। পানি নিষ্কাশনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। অনেকের বাড়ির উঠানেও জমেছে পানি।

    বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠসহ সড়ক তলিয়ে গেছে। একে তো সড়কটি চলাচলের অযোগ্য, তার ওপর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষজন। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    কামালনগর এলাকার অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ পলাশ জানান, তাদের এলাকাতেও পানি জমে গেছে। ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে। নিষ্কাশনের কোনো পথ নেই। রাস্তার ওপর পানি জমেছে। প্রতিবছরই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, দিন আসে দিন যায়, বদলায় অনেক কিছু। শুধু বদলায় না সাতক্ষীরার পৌরবাসির দুর্ভোগের চিত্র।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভায় কার্যকর কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। তার ওপর বর্ষা মৌসুমে পানি জমে দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!

    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) ফিরোজ হাসান বলেন, পৌরসভায় বড় কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায় না। সামান্য যে বরাদ্দ আসে এবং পৌরসভার নিজস্ব কিছু আয় থেকে মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ড্রেন সংস্কার করা হচ্ছে। তবে সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে। শিগগিরই সড়কের কাজ এবং ড্রেনেজ কাজ শুরু হবে।

  • সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত চারটি মদনটাক পাখি সুন্দরবনে অবমুক্ত

    বিজিবি’র অভিযানে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির মদনটাক পাখি গুলো পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন কলাগাছিয়া ইকুটুরিজম এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরার নীলডুমুর বিজিবি’র তত্বাবধায়নে পাখিগুলোকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    নীলডুমুর বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল সানবীর হাসান জানান, ৩১ জুলাই রাতে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ৪টি বিরল প্রজাতির মদনটাক পাখি মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পাখিগুলোকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিজিবি’র যশোর আঞ্চলিক অফিস থেকে সংগ্রহ করা হয়। শনিবার দুপুরে মদনটাক পাখিগুলোকে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, একাকি চলাফেরা করতে অভ্যস্থ মদনটাক পাখি সুন্দরবনে দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত তারা জলাভূমি বা নদীর মোহনার কাছাকাছি বসবাস করে। সংখ্যা কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা মদনটাক বা হাড়গিলা পাখিটাকে বিপন্নপ্রায় প্রজাতির পাখি বলে ঘোষণা দিয়েছে।

  • কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার বেলা সাড়ে সোয়া ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনারোড মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুর হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে খুলনারোড মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ,বিজিবিসহ প্রশাসনের সদস্যদের উপস্থিত থাকলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ছাত্রদের কোন ধরনের বাধা প্রদান করেনি। ছাত্ররা খুলনা রোড মোড় অবরোধ করে ২ ঘন্টা অবস্থান করে ফিরে যান। এসময় কোটা আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় নিহত সাতক্ষীরার আসিফ হাসানের নামে সাতক্ষীরার খুলনারোড মোড়কে আসিফ চত্বর নামকরণের দাবি জানান। আন্দোলন চলাকালে যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়।

  • গাজায় বিদ্যালয়ে বিমান হামলা, নিহত ১৫

    ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। ছবি: ইন্টারনেট থেকে

    ফিলিস্তিনের গাজায় একটি বিদ্যালয়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি। ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

    পূর্ব গাজা সিটির সাজায়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টিতে ওই হামলা হয়। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ওই বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

    ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তাদের বিরুদ্ধে হামলার ষড়যন্ত্র করতে কমান্ডার ও গুপ্তচরদের লুকিয়ে রাখার জন্য বিদ্যালয় ভবনটি ব্যবহার করছিলেন হামাস যোদ্ধারা।

    গাজার বিদ্যালয়গুলো এখন যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষে ঠাসা। ইসরায়েলি সেনারা এসব স্কুল লক্ষ্য করে অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে। তারা বলছে, হামাস সামরিক অভিযান পরিচালনা কেন্দ্র হিসেবে এ ধরনের বেসামরিক অবকাঠামো ব্যবহার করছে।

    গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলি সেনাদের তথ্য মতে, হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়, যাঁদের অনেকে এখনো গাজায় আছেন।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

    জাতিসংঘ বলেছে, গত অক্টোবরের পর গাজা উপত্যকার প্রতি ১০ বাসিন্দার ৯ জন অন্তত একবারের জন্য বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কেউ কেউ ১০ বার পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় ১৯ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • রিমান্ড শেষে কারাগারে পার্থ

    কোটা আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    শুক্রবার (২ আগস্ট) দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মায়েরা রাজপথে

    ‘সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বস্তরের নারীরা। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসময় কর্মসূচিতে যোগ দেন হাজারও নারী ও অভিভাবক। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নির্বিচার হত্যা, হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান নারী সমাজ।

    আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন অভিভাবকরা। বিকেল পৌনে ৪টায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিবাদী নারী সমাজের ব্যানারে ‘শিক্ষার্থীদের গনতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের নির্বিচার হত্যা, হামলা গণপ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও সন্তান হত্যার বিচার দাবীতে মায়েরা রাজপথে’ শিরোনামে কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিভিন্ন পেশার অভিভাবকরা কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।

    গান, নৃত্য, মাইম ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন অভিভাবক ও শিশুরা। বিকেল সাড়ে ৪টায় ‘শিক্ষার্থীদের পাশে মা’ এই ব্যানারে আরেকদল নারী এসে যোগদান করেন মানববন্ধনে। জনতার ঢলে চেরাগী মোড় থেকে জামাল খান রোড পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে আন্দরকিল্লা হয়ে নিউমার্কেট এলাকায় সন্ধ্যা ৬টায় কর্মসূচি শেষ হয়।

    মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন নারী মুক্তি কেন্দ্রের আসমা আক্তার । তিনি প্রতিবাদী নারী সমাজের সমন্বয়ক। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন গৃহিনী, নারী উদ্যোক্তা, ডাক্তার, ব্যাংকার ও সমাজকর্মীরা। নারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের পুরুষরাও যোগ দেয় মানববন্ধনে।

    এ সময় অভিভাবকরা ‘হামার বেটা মারলু কেনে, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘আমার সন্তান মরলো কেন, বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

    মানববন্ধনে মাথায় পতাকা বেধে দাঁড়িয়েছিলেন সমাজকর্মী শাহীন শিরীণ। পাশে নিজের ছোট শিশুর হাতে দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ছবি। শাহীন শিরীণ সমকালকে বলেন, ‘আমার সন্তান রক্তাক্ত হয়েছে মানে আমরাও রক্তাক্ত। এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের সন্তানদের গণকবর দেওয়া হয়। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। এই রাষ্ট্রই তো আমাদের সন্তানকে হত্যা করেছে।’

    মানববন্ধনে মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন রিতু পারভিন। তিনি বলেন, ‘দেশের কোনো পরিস্থিতি হলে মায়েরা রাজপথে নামে? এতো হত্যা আর গণগ্রেপ্তার হল। তারপরেও এখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী যারা আটক হয়েছে তাদের জেলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলছে। ওরা তো শিশু। আমাদের শিশুরা কেন বিনা অপরাধে জেলে পরীক্ষা দিবে? আমরা তাদের মুক্তি চাই।’

    আরেক অভিভাবক ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্সের টাকা কেনা অস্ত্র দিয়ে পুলিশ আমাদের সন্তানকে হত্যা করে। আমি বলতে চাই, আমাদের সন্তানকে না মেরে আমাদেরকে খুন করেন। ওরা আমাদের ভবিষ্যত। আপনারা আমাদের ভবিষ্যতকে হত্যার নেশায় মেতে উঠেছেন।’ সরকারের প্রতি এই জুলুম বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

  • শনিবার বিক্ষোভ, রোববার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সারাদেশে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ এবং পূর্বঘোষিত ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    সারাদেশের আপামর জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    শুক্রবার রাতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

  • ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৪২জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রশিদুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (প্রসিকিউশন বিভাগ) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    এর আগে দুপুরে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতা কিংবা নাশকতামূলক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় রুজু হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিনের শুনানি বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা সিএমএম কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটক হওয়াদের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনিসহায়তা দেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটককৃতের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রাদিসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা প্রদান করবে। আটক যেসব ছাত্রদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই, তাদের জামিনের ক্ষেত্রেও সরকার আইনি সহায়তা দেবে।

  • রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উত্তরণের নগদ অর্থ ও হাইজিন কিটস প্রদান

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষরাজপুর ও ধুলিহর ইউনিয়ন এবং আশাশুনি উপজেলার আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নে সাইক্লোন রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০৫ পরিবারকে শর্তহীন নগদ ১৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫০ পরিবারের মাঝে হাইজিন কিটস(নয় আইটেম) প্রদান করেছে বেসরকারী সংস্থা উত্তরণ। বুধবার ও বৃহষ্পতিবার (৩১ জুলাই ও ১লা আগষ্ট) দাতা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এর অর্থায়নে উত্তরণ কর্তৃক বাস্তবায়িত সাইক্লোন রেমাল: জরুরী সাড়াদান কার্যক্রম ২০২৪ প্রজেক্ট এর আওতায় শর্তহীন উক্ত অর্থ এবং হাইজিন কিটস বিতরণ করা হয়।
    উল্লেখিত স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে শর্তহীন নগদ অর্থ এবং হাইজিন কিটস বিতরণ অনুষ্ঠানে ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দীন, ধুলিহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিজান চৌধুরী, আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রফেসর দিপঙ্কর বাছাড় (দিপু), সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রজেক্ট অফিসার মিজানুর রহমান, উত্তরণ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভীন, প্রজেক্ট একাউন্টেন্ট ফারুক হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার মোমেনা খাতুন, উত্তরণের হাবিবুর রহমান,নাদিরা খাতুন,আক্তারুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য, সাইক্লোন রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০৫ পরিবারকে শর্তহীন নগদ অর্থ,প্রত্যেক পরিবারের মাঝে নগদ ৬ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয় এবং ৫০ পরিবারের মাঝে হাইজিন কিটস বিতরণ করা হয়। উপকারভোগীদের মধ্যে ২০০ জন নারী ও ১৫৫ জন পুরুষের মাঝে উক্ত অর্থ ও হাইজিন কিটস বিতরণ করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কারাগারে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি

    কোটা সংস্কার অন্দোলন

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে কারাগারে বসে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি অনুমতি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর।
    অনুমতি পাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের সাঈদুর রহমানের ছেলে মো. ফাহিম পারভেজ রণি ও একই গ্রামের নূরুন্নবীর ছেলে মো. জাহিদ হোসেন। দুজনই সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে আছেন।

    গত ৩১ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্রে বলা হয়, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনায় দুই পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র,প্রশ্নপত্র, হাজিরাপত্র ইত্যাদি সরবরাহ এবং কারা অভ্যন্তরে পরীক্ষা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।

    কারাগারে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় পরীক্ষার্থীর অভিভাবককে বহন করতে হবে বলে অনুমতিপত্রে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা নেয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
    প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে আন্দোলনকারিরা গত ১৭ জুলাই দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানার ফটক ঠেলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে থানয় ঢুকতে না পেরে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়। এতে দুইজন সহকারি উপপরিদর্শক ও একজন সিপাহী জখম হন। পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক ব্রজকিশোর পাল বাদি হয়ে পরদিন থানায় একটি মামলা করেন। আদালত গ্রেপ্তারকৃত ১৬ জনের মধ্যে ১৩জনের প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমা- মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে তিনজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাতজনকে রিমা- শুনানী শেষে বৃহষ্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

  • তালায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল আলী’র ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    প্রেস রিরিজ:
    তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল আলী সাহেবের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুরআনখানী,স্মরণ সভা,মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    গতকাল তালার পালমার্কেস্থ উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে মরহুম জিএম আব্দুল আলীর ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকীতে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় স্মরণ সভা,মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা জাতীয় পার্টি ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এস. এম নজরুল ইসলাম।

    উপজেলা জাতীয় পার্টির সি.সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল জলিল(অব.সেনা কর্মকর্তা) সভাপতিত্বে মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ট ইমাম ও উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ¦ মাও: তাওহীদুর রহমান।

    বক্তব্য রাখেন, তালা উপজেলা জাতীয় সৈনিক পার্টির সভাপতি ও সাবেক সেনা সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম খাঁ,জাতীয় তরুণ পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম বাবলুর রহমান, বিশিষ্ট সম্জ সেবক আব্দুর রউফ মোড়ল,ইসলামকাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ নাজমুল আলম, খলিলনগর ইউনিয়ন জাপা নেতা মো: ওয়াজেদ আলী মোড়ল,রজব আলী ফকির,আমজেদ হোসেন গোলদার,যুব সংহতি নেতা বাহারুল ইসলাম, ফারুক খাঁন, জেলা ছাত্র সমাজের যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হাসান আলী বাচ্চু,ছাত্র সমাজ নেতা ফয়সাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    উল্লেখ্য,তিনি তালা উপজেলার জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের টানা ৩৬ বছর চেয়ারম্যান, পল্লীবন্ধু এরশাদ মনোনীত ও নির্বাচিত তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,খলিলনগর হাইস্কুলসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মরহুম আব্দুল আলী ২০২০ সালের ৩০ জুলাই বাধক্যজনিত কারণে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। জাতীয় পার্টি তালা উপজেলা শাখা আজীবন শ্রদ্ধাভরে তাকে স্মরণ রাখবেন। এসময় মরহুম শিক্ষক শওকত হোসেন সহ জাপার সকল মরহুম ও কোটা আন্দোলনে নিহত ছাত্রদের নেতাকর্মীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।