Blog

  • শহীদ আহনাফের পরিবারের পাশে তথ্য উপদেষ্টা

    শহীদ আহনাফের পরিবারের পাশে তথ্য উপদেষ্টা

    শহীদ আহনাফের বাসায় তথ্য উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃঞীত

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত কলেজ ছাত্র আহনাফের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

    বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মিরপুরের পাইকপাড়ায় আহনাফের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

    উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্ররা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল, তাদের আত্মত্যাগের ফলে আজ আমরা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। খুব শিগগিরই সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি স্মরণসভা করা হবে। সেখানে আপনাদের উপস্থিতি কাম্য।

    তিনি বলেন, আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের দেশ মনে রাখবে। নাম না জানা অনেক ছাত্র-জনতা এ আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গেছে। শহীদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। স্বাধীনভাবে, প্রাণ খুলে কথা বলতে পারছি।

    তথ্য উপদেষ্টা আহনাফের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খোঁজখবর নেন এবং এখন থেকে যে কোনো সময়, যে কোনো প্রয়োজনে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় বাসায় আহনাফের মা,বাবা, দুই ভাই এবং খালা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, শহীদ শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ (১৭) রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত ৪ আগস্ট সে মিরপুর ১০ এ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। গুলি তার বুকের ডান দিক দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।

  • বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে এবং দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দিনের মতো অডিটরদের কর্মবিরতী ও অবস্থান কর্মসূচি পালন

    বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে এবং দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দিনের মতো অডিটরদের কর্মবিরতী ও অবস্থান কর্মসূচি পালন

    মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) ও এর অধীন অধিদপ্তরের অডিটররা
    অডিটর পদে দুই ধরনের বেতন-বৈষম্য নিরসন ও দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে সারা দেশের ন্যায় দ্বিতীয়
    দিনের মতো কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা একাউন্টস অফিসের
    অডিটররা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা জেলা সিএজি কার্যালয়ের সামনে অডিটর উপস্থিত
    হয়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সারা দেশে সব সিএজি কার্যালয়ের সামনে ৩
    সেপ্টেম্বর থেকে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ
    কর্মসূচি চলবে বলে জানান তারা।
    মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) ও এর অধীন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ), কন্ট্রোলার
    জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) ও রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক-এর চার প্রতিষ্ঠানে
    বর্তমানে অডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন ৬ হাজার ৯৮৫ জন। এর মধ্যে মাত্র ৬১ জনকে হাইকোর্টের
    রায়ের প্রেক্ষিতে যারা রিট মামলার পক্ষভুক্ত হয়েছিলেন, শুধু তাদের দশম গ্রেডে বেতন দেওয়া হয়। বাকিরা
    এখনো ১১তম গ্রেডে বেতন পান।
    “অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত অডিটররা জানান, আদালত অডিটর পদটিকে দশম গ্রেডে উন্নীত
    করার রায় দিয়েছেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৮ অনুসারে সুপ্রীমকোর্ট কোনও বিষয়ে রায় দিলে (রীট
    পিটিশন, আপীল এবং রিভিউ সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া শেষে) অনুরূপ ক্ষেত্রে উক্ত রায় বাস্তবায়নের
    বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সিএজি কার্যালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলোর অডিটর পদের বেতন গ্রেড ১১তম থেকে দশম
    গ্রেডে উন্নীত করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠির
    প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ বিষয়ে দশম গ্রেডের পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
    তারপরও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ সেটি বাস্তবায়ন করছে না। আমরা দ্রুত এর বাস্তবায়ন
    চাই। তাই এই রায় বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। তারা জানান, দশম
    গ্রেড শুধুমাত্র আমাদের দাবি নয় বরং এটি আমাদের নার্য্য অধিকার। আমরা দ্রুত এর বাস্তবায়ন চাই।”
    সারা দেশের ন্যায় দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন সাতক্ষীরা জেলা একাউন্টস
    অফিসের অডিটররা উপস্থিত ছিলেন।

  • ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

    ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার সাংগঠনিক পৌর পূর্ব থানা শাখার উদ্যোগে চারদলীয় আন্ত :উপশাখা ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ সুন্দরভাবে সমাপ্ত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরে খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখা সভাপতি, আল মামুন ও এইচ আর ডি সম্পাদক, হাফেজ
    আনিসুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উক্ত থানা শাখার সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা। প্রধান
    অতিথি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান তথ্য প্রযুক্ত ও জাহেলিয়াতের যুগে ইসলামী ছাত্রশিবির
    আপনাদেরকে একজন জান্নাত উপযোগী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দ্বীপ্ত অঙ্গীকার নিয়ে
    কাজ করে যাচ্ছে । আগামী দিনে বাতিলের সমস্ত চ্যালেজ্ঞের মোকাবিলায় আপনারা এক এক
    জন সাহসী যোদ্ধার ভুমিকা পালন করবেন।

  • ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় সুধীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় সুধীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সাতক্ষীরা শাখায় সুধীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার(০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে  ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি সাতক্ষীরা শাখার উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়।
     প্রধান কার্যালয় ঘোষিত “গ্রাহক আস্থায় ফিরবে দিন, দেশ গড়ায় অংশ নিন” শিরোনামে সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী গ্রাহক সেবা মাস-২৪ উপলক্ষে ইসলামিক স্কলার, ধর্মীয় আলোচক, মসজিদের ইমাম ও খতীব ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ কে নিয়ে  মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও ম্যানেজার অপারেশন্স সৈয়দ শামসুল ইসলাম।
     
    প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলার উপ-পরিচালক মো: মেহেদী হাসান।  প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন  ঝাউডাংগা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ  ও বাংলাদেশ মসজিদ মিশন সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আবদুল বারী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আলীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি আক্তারুজ্জামান,  হযরত আবুবক্কর সিদ্দিক (রাঃ) ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত)  অধ্যক্ষ  হযরত মাওলানা হাফিজুর রহমান, আহসানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আলতাফ হুসাইন, , জমিয়তে আহলে হাদীস আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ওবায়দুল্লাহ গজনফর, সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের খতীব হাফেজ মুফতি সাইফুল্লাহ, পাটকেলঘাটা আল আমীন ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমীন, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসীরিন সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি হযরত মাওলানা মনিরুল ইসলাম বেলালী, সাতক্ষীরা কামালনগর জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মনিরুল ইসলাম ফারুকীসহ শাখার সকল পর্যায়ের  কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
  • ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে যুক্তরাষ্ট্র

    ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে। ঢাকায় মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

    সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মার্কিন কূটনীতিক এ মন্তব্য করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।

    মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, তার দেশের সরকার প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে খুশি এবং একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ। ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এই সপ্তাহে তাদের কনস্যুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করবে।

    তিনি বলেন, হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করে। হেলেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, শাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। ওয়াশিংটন রোহিঙ্গাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন শুরু করেছে এবং তিনি আশা করেছিলেন যে প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অবদানকারী এবং মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, মার্কিন অর্থায়নের পরে এই বছর রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য জীবিকার সুযোগেরও আহ্বান জানান।

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য অব্যাহত অর্থায়নসহ বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান উপদেষ্টা তাকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারকে গভীর সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের পরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে বন্যা মোকাবিলায় দাতাদের মধ্যে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের আহ্বান জানিয়েছেন। মানির্ক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শ্রমিক ও সংখ্যালঘু বিষয় নিয়ে কিছু উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিক সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং অন্তর্বর্তী সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানবাধিকার ইস্যু, সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও আলোচনার সময় উঠে এসেছে।

    মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, তার সরকার দেশে ন্যায্যবিচার নিশ্চিত করার প্রয়াসে বাংলাদেশকে একটি প্রসিকিউটরিয়াল সার্ভিস গঠনে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।

  • এবার ভিসা ছাড়াই পাকিস্তান যেতে পারবে বাংলাদেশিরা

    এবার ভিসা ছাড়াই পাকিস্তান যেতে পারবে বাংলাদেশিরা

    দুই সপ্তাহ আগে নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। এর আওতায় বাংলাদেশসহ ১২৬টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই দেশটিতে যাতায়াত করতে পারবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমদ মারুফ।

    সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) অফিসকক্ষে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

    সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে বন্যা পুনর্বাসন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরণ, সরাসরি প্লেনের ফ্লাইট চালু, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

    বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যার বিষয়ে অবহিত করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্যা দুর্গতদের জন্য উপকরণ দিয়ে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

    হাইকমিশনার বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পাকিস্তানে পড়েছে উল্লেখ করে বলেন, সে সময় অনেক পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উৎসব করেছে।

    বর্তমান সরকারের বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে রাখাই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
    পাকিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে মর্মে দুইজনই ঐক্যমত প্রকাশ করেন।

    রাষ্ট্রদূত বিগত ১৫ বছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে শুষ্কতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তার উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানান। তাছাড়া, দুই পক্ষ পারস্পরিক ভিসা সহজিকরণের বিষয়ে সম্মত হন।

    এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশ সহ ১২৬টি দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবে। রাষ্ট্রদূত পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু ছিল, যা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) অপারেট করত। বৈঠকে মানবপাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস দমন ও কৃষি গবেষণা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সাক্ষাতে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সিলর কামরান ধাঙ্গাল ও জাইন আজিজসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • আশাশুনিতে প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে ৩৯২ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত

    আশাশুনিতে প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে ৩৯২ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনিতে অভ্যন্তরীণ জলাভূমি এবং বর্ষা প্লাবিত ধানখেত/প্লাবন ভূমি/প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে রাজস্ব বাজেটের আওতায় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এ মাছের পোনা অবমুক্তকরণ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়। এসময় উপজেলা পুকুর, থানা পুকুর, মসজিদ পুকুর ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ পুকুর সহ মোট ২৬টি প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে ৩৯২ কেজি রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম এনামুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্যদেব সরকার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ খান, আইসিটি কর্মকর্তা আক্তার ফারুক বিল্লাল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
  • আশাশুনি মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন পরিদর্শন জামায়াতের আমীরের

    আশাশুনি মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন পরিদর্শন জামায়াতের আমীরের

    আশাশুনি উপজেলা সদরে মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন: নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে প্রায় ৪ শতাধিক ভূমিহীন পরিবার/ জামায়াতের আমীরের ভাঙ্গন পরিদর্শন

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলা সদরের মানিকখালী চর গ্রামে মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার। চর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন প্রায় ২০০ ফুট ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সোমবার সকালে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, সদর ইউনিয়নের আমীর হাফেজ আব্দুল্লাহ, রোকন বাবলুর রহমান, জামায়াত নেতা হযরত আলী সরদার, আমীর হামজা খোকন, জিয়াউল হক প্রমুখ।
     স্থানীয় বাসিন্দা জামায়াত নেতা আমীর হামজা খোকন বলেন, মরিচ্চাপ নদী খননের জন্য ভাঙনস্থলে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হয়। চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হয়ে যায়। পানি সরবরাহ না থাকায় বিগত দু’বছর ধরে লোনাপানির জন্য বুধহাটা, আশাশুনি ও শোভনালী ইউনিয়নের চিংড়ি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত। তাই কয়েক মাস আগে স্থানীয় লোকজন উক্ত বাঁধ কেটে দিয়ে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করেন। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কাটার কারণে জোয়ার ভাটার সময় বাঁধ এলাকায় প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়েছে।
    স্থানীয় শ্রমিক রেজাউল ইসলাম বলেন, চরভরাটি এ এলাকাটি আশাশুনি সদরে হলেও এর অনেকাংশ বুধহাটা ইউনিয়নের জমি।
    বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু ভাঙন রোধে একটি রিং বাঁধ নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ করা হয়। অনতিবিলম্বে ভাঙন এলাকায় টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে আমাদের প্রায় ৪ শ পরিবার ভেসে যাব।
    আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার ঘটনাস্থলে উপস্থিত আতঙ্কিত শতশত নারী-পুরুষের উদ্দেশ্যে
    বলেন, মরিচ্চাপ নদীর এ বাঁধটি ভেঙে গেলে চাপড়া ও আশাশুনি মৌজার ৪ শ ভূমিহীন পরিবার প্লাবিত হয়ে গৃহ হীন হয়ে পড়বে। বাঁধটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে মানিকখালী ভূমিহীন পল্লী ভাসিয়ে উপজেলা পরিষদ আক্রান্ত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা তৎপর না হলে নদী ভাঙনে চরের ভূমি হীন পল্লী সহ উপজেলা সদরের নকশা বদলে যাবে। উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় কে অবহিত করা হয়েছে। উনি সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন।
    এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মোমেন আলীর সাথে (০১৭৭৯২৮৭৮৩৯) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
    অনতিবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী ভূমিহীন পল্লীর বাসিন্দারা।
  • সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৪৪ জনের নামে মামলা

    সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৪৪ জনের নামে মামলা

    ২০১৩ সালে সাতক্ষীরার সিটি কলেজ মোড়ে মিছিলে গুলিতে নিহত বিএনপি কর্মী মাহামুদুল হাসান
    সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৪৪ জনের নামে মামলা

    নিজস্ব প্রতিনিধি ২০১৩ সালের ২৮ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা
    সদর উপজেলার সিটি কলেজ এলাকায় মিছিলে চালানো গুলিতে
    বিএনপি কর্মী মাহামুদুল হাসান নিহত হওয়ার ঘটনায় আদালতে
    মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা গ্রামের
    আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল
    কবীর ও সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কাজী
    মনিরুজ্জামানসহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে সোমবার সাতক্ষীরার
    জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
    বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি তদন্ত করে এফআইআর হিসেবে গণ্য
    করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
    কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
    মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালিন
    ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের
    সহসভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন
    সাঈদীর ফাঁসির রায়কে ঘিরে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি
    বিকেল চারটার দিকে কদমতলা মোড় থেকে কয়েক হাজার মানুষের
    মিছিল সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মোড়ের দিকে যেতে থাকে। এ
    সময় ৪ থেকে ১৬ নং আসামীরা হাতে আগ্নেয়অস্ত্র, রাম দা,
    লাঠি, কুড়াল ও হকি স্টিক নিয়ে মিছিলে হামলা ও গুলি চালায়।
    পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সহকারি
    পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
    কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও আওয়ামী লীগের খুনী নেতা কর্মীরা
    মিছিলের উপর নির্বিচারে গুলি করিতে থাকে। একপর্যায়ে বাদির
    ছেলে ছাত্রদল কর্মী মাহামুৃদুল হাসানের বুকে গুলি লেগে পিঠ

    দিয়ে বের হয়ে যায়। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পর মারা
    গেলে তাকে ভ্যানে করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সুরতহাল
    প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই বালিয়াডাঙা সরকারি প্রাথমিক
    বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাযা শেষে মাহামুদুল হাসানের লাশ
    পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
    ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে
    মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ
    হওয়ায় মামলার বিলম্বের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস সামাদ
    জানান, তিন পুলিশ কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামী লীগের
    সহসভাপতি আবু আহম্মেদসহ ৪৪ জনের নামে আদালতে মামলা
    দায়ের করা হয়েছে। বিচারক এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য
    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।#

  • নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিসহ ৩১ জনের নামে মামলা

    কালিগঞ্জে বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট শেষে গাড়িসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রে আগুনের ঘটনায়

    নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিসহ ৩১ জনের নামে মামলা

    ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল
    সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাড়ির গেট বোমা মেরে
    উড়িয়ে দেওয়া, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, গাড়ি ও গাড়ির গ্যারেজ
    ভাংচুর শেষে প্রেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা
    দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের
    আকবর আলীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ বাদি হয়ে নলতা ইউনিয়ন
    আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিছুজ্জামান খোকনসহ ৩১ জনের নাম
    উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা
    বিঘœকারি অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন তৎসহ বিষ্ফোরক দ্রব্য
    আইনে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন বড়াল তদন্ত করে
    প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে
    নির্দেশে দিয়েছেন।
    মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
    সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন পাড়সহ তার ছয় ভাই, নলতা
    মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম পাড়, সাবেক
    চেয়ারম্যান আনছার আলী বিশ্বাস ও আজাহারুল ইসলাম পাড়।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল
    সাড়ে চারটার দিকে সশস্ত্র আসামীরা বাদির বাড়িতে ঢুকে মহড়া
    দেয়। আসামী আনিছুজ্জামান খোকনের নেতৃত্বে আবুল
    হোসেন বাদির বাড়ির প্রবেশের মুখের গেট বোমা মেরে উড়িয়ে
    দেয়। সাত থেকে ১১ নং আসামীরা মোনায়েম মাষ্টারের বালতিতে
    থাকা বোমা প্রাচীরের বাইরে থেকে ভিতরে ছুঁড়ে রান্না ঘর ও
    গোয়ালঘর পুড়িয়ে দিয়ে উল্লাস করতে থাকে। আনছার আলী
    বিশ্বাস তার কাছে থাকা প্লাস্টিক বোতলের প্রেট্রোল দিয়ে ১০
    লাখ ২০ হাজার টাকার মাইক্রোবাস ও আবুল হোসেন সাত লাখ ২০
    হাজার টাকার প্রাইভেটকার জ্বালিয়ে দেয়। কয়েকজন আসামী
    বাদির একটি মাইক্রোঘর ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। বাদি ও তার
    পরিবারের সদস্যরা ভয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে আশ্রয় নেয়।

    আসামীরা বাদির বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটসহ ২০
    লাখ টাকার মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতি করে।
    দেশে সুশাসন না থাকায় ও আসামীরা স্বৈরাচারী সরকারের দোসর
    হওয়ায় বর্তমানে অনুকুল পরিবেশ পাওয়ায় মামলা করিতে বিলম্ব
    হলো।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. হাফিজুর রহমান মামলা
    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯

    বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯ফাইল ছবি

    বন্যায় এক দিনে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বন্যায় ১১ জেলায় মোট ৫৯ জন মারা গেছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

    এতে বলা হয়, বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ছয়জন ও শিশু ১২ জন‌। এদের মধ্যে কুমিল্লায় ১৪ জন, ফেনীতে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, খাগড়াছড়িতে একজন, নোয়াখালীতে ৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন, কক্সবাজারে তিনজন ও মৌলভীবাজারে একজন। এছাড়া মৌলভীবাজারে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার মোট মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৫৪ জন।

    চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।

    বর্তমানে মোট ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।

    পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দিতে মোট ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

    ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৫১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

    বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সংগ্রহ করা মোট এক লাখ ৪০ হাজার ৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, কাপড় ও পানি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

    সার্বিকভাবে দেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরছে। বন্যাদুর্গত জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

  • পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করল সদর দপ্তর

    পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করল সদর দপ্তর

    পোস্টিংয়ের নামে প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। শনিবার (৩১ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি চক্র পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন ইউনিটে পোস্টিংয়ের ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

    প্রতারক চক্র গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

  • আশাশুনির বড়দলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    আশাশুনির বড়দলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    আশাশুনির বড়দলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুলে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের আয়োজনে ও গ্রামীন চক্ষু মেডিকেল টিমের অর্গানাইজার আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে ১০ জন ডাক্তার চিকিৎসা প্রদান করেন। উক্ত ক্যাম্পে বড়দল ইউনিয়নের হতদরিদ্র প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ তাদের চোখের পরীক্ষা, ছানি অপারেশন, চোখের লেন্স বসানো, এক মাসের ঔষধসহ ডাক্তারের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও সার্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবাহক ও ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ আজহারুল ইসলাম মন্টু। ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম বকুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, মোঃ আবু হুরায়রা (আল মামুন), ফরিদ হোসেন, ইয়াকুব আলী, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রহমান ঢালী প্রমুখ।

  • শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের সামনে তিনটি রাস্তা খোলা

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর থেকে ভারতেই রয়েছেন শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে বাতিল হয়েছে তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট, দায়ের করেছে একশয়ের কাছাকাছি মামলা।

    এদিকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় ভারতে এখন শেখ হাসিনার অবস্থানের বৈধ ভিত্তিটা কী, সে প্রশ্নও উঠছে।

    সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি ইঙ্গিত পেয়েছে, এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের সামনে কার্যত তিনটি রাস্তা খোলা আছে।

    প্রথমটা হলোঃ  বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা, যেখানে তিনি নিরাপদে ও সুরক্ষিত পরিবেশে থাকার নিশ্চয়তা পাবেন।

    দ্বিতীয়টা হলোঃ শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে ভারতেই রেখে দেওয়া।

    তৃতীয়টা হলোঃ ভারতে কর্মকর্তা ও পর্যবেক্ষকদের একটা অংশ বিশ্বাস করেন কিছুদিন পরে উপযুক্ত পরিস্থিতি এলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ‘রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনে’র জন্যও ভারত চেষ্টা করতে পারে। কারণ দল বা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগ এখনও ফুরিয়ে যায়নি এবং দলের সর্বোচ্চ নেত্রী হিসেবে তিনি দেশে ফিরে সংগঠনের হাল ধরতেই পারেন।

    শেখ হাসিনা ভারতেই রয়ে গেলে সেটা আগামী দিনে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। ফলে শেখ হাসিনার জন্য তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাটাকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছেন তারা।

    বিবিসি বলছে— ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ঢাকার কাছ থেকে যদি কোনো অনুরোধ আসে, সেটা যে কোনো না কোনো যুক্তিতে দিল্লি খারিজ করে দেবে তাও একরকম নিশ্চিত।

    বিবিসি জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার প্রস্তাব প্রথমেই বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর ইউএই (সংযুক্ত আরব আমিরাত), সৌদি আরব ও ইউরোপের দু-একটি ছোটখাটো দেশের সঙ্গে ভারত এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিল।

    যদিও এই সব আলোচনায় তেমন একটা অগ্রগতি হয়েছে বলে খবর নেই। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের আর একটি প্রভাবশালী দেশ কাতারের সঙ্গেও ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

    পাশাপাশি এটাও ঠিক, শেখ হাসিনা নিজে এখনও কোনো দেশে ‘লিখিত আবেদন’ করেননি। তার হয়ে এবং তার মৌখিক সম্মতির ভিত্তিতে যাবতীয় কথাবার্তা ভারত সরকারই চালাচ্ছে।

    একান্ত প্রয়োজন হলে শেখ হাসিনাকে ভারতেই রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে রেখে দিতে যে ভারত যে দ্বিধা করবে না, সেই ইঙ্গিতও কিন্তু দিল্লিতে এখন পাওয়া যাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে আসছে-তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামা, নেপালের রাজা ত্রিভুবন বীর বিক্রম শাহ বা আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহের নাম। তারা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছিলেন।

    তেমনটা হলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে এর প্রভাব কী পড়বে সেটাও ভাবতে হবে ভারতকে। ১৯৫৯ সালে দালাই লামাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্কে যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল, ৬৫ বছর পরও তার রেশ রয়ে গেছে।

    দিল্লিতে আইডিএসএ-র সিনিয়র ফেলো স্ম্রুতি পট্টনায়ক বলছেন, যে আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে, তাতে একটা স্পষ্ট ভারত-বিরোধী চেহারাও ছিল। সেটা যেমন হাসিনা-বিরোধী আন্দোলন ছিল, তেমনি ছিল ভারত-বিরোধীও! এখন যদি সেই ভারতই তাকে আশ্রয় দেয় তাহলে বাংলাদেশে তা একটা ভুল বার্তা দেবে এবং সে দেশে ভারত-বিরোধী সেন্টিমেন্টকে অবশ্যই আরও উসকে দেবে।

    সূত্র : বিবিসি বাংলা।

  • ৩১ আগষ্ট থেকে উঠছে সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বনজীবীরা

    সুন্দরবনের বনজ ও মৎস্য সম্পদের উপর নির্ভরশীল জেলে-বাওয়ালীদের সুন্দরবনে ঢোকার টানা তিন মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে চলেছে। ৩১ আগষ্ট নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে সুন্দরবনে যেতে পারবেন বনজীবীরা। বনে ঢোকার দিন ঘনিয়ে আসায় শুরু হয়েছে নৌকা ও জাল মেরামতের তোড়জোড়। সবকিছু ঠিক থাকলে মাছ ও কাঁকড়া ধরার জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে যেতে পারবেন বনজীবীরা।

    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী ও রমজাননগর এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সুন্দরবন সংলগ্ন চুনা, চুনকুড়ি, মালঞ্চ ও খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে পুরোনো নৌকা, ছেঁড়া জাল মেরামত ও রঙ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বনজীবীরা। এসব এরাকার প্রায় ১০ হাজার জেলে পরিবার সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলোর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলায় চারদিকে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তাঁদের মুখে বইছে হাসির ঝিলিক।

    শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী এলাকার ষাটোর্ধ্ব হানিফ গাজী ছোটবেলা থেকেই মাছ ধরার পেশায় জড়িত। সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ-কাঁকড়া ধরা নিয়ে তার রয়েছে নানান অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই বাদায় (সুন্দরবনে) মাছ-কাঁকড়া ধরার কাজে জড়িত। এখন পর্যন্ত এ পেশায় আছি। বছরের দুটি সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। তখন আমাদের অন্য কাজ করে সংসার চালাতে হয়। মাছ ধরা শুরুর আগে ঋণ করে নৌকা মেরামত ও জাল কিনে নদীতে নামি। তবে মাছ পাওয়ার বিষয়টি অনেক সময় ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। নদীতে নামলে অনেক সময় মাছ পাওয়া যায়, আবার অনেক সময় খালি হাতে ফেরতে হয়।

    নীলডুমুর এলাকার ওয়াহেদ গাজীর (৬০) জানান, নিষেধাজ্ঞা দিলে আমরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকি। তবে এসময় সরকার থেকে যে সহায়তা দেওয়া হয় সেটি দিয়ে সংসার চলে না। এ কারণে অন্য কাজ করে উপার্জন করি। সরকার সুন্দরবনের মাছ ও কাঁকড়া রক্ষায় যে অভিযান চালায় সেটি আরও কঠোর এবং নেট জাল ও কারেন্ট জালের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধসহ অবৈধভাবে সুন্দরবনে চোরা শিকারিদের প্রবেশ বন্ধ করা দরকার। তাহলে সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ কাঁকড়া পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

    একই এলাকার আবু হাসান সরদার (৪৫), জামাল হোসেন (৩৫), রফিকুল সরদার (৪০)। তারা নদীতে নামার জন্য জাল ও নৌকা মেরামতের কাজ করছেন। তারা জানান, তিন মাস সুন্দরবনে মাছ কাঁকড়া আহরণ থেকে বিরত থাকায় সংসার অনেক কষ্টে চলেছে। কারণ মাছ-কাঁকড়া ধরা ছাড়া তারা অন্য কোনো কাজ করতে পারেন না।

    তারা আরও বলেন, প্রতিটি নৌকায় ২-৫ জন জেলে থাকে। পাঁচ জনের পাঁচটি পরিবার। আমাদের মাছ পাওয়ার ওপর নির্ভর করে সংসার। মাছ পাওয়া গেলে সংসার ভাল চলে। না পাওয়া গেলে কষ্ট করেই চলতে হয়। অনেকে সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করেন।

    বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা, জীবজন্তু ও মাছের প্রজনন বাড়ানোর জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৯২ দিনের জন্য সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরা ও পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর আগে জানুয়ারি ও ফেব্রয়ারি মাসে প্রজনন মৌসুম হিসেবে বন্ধ রাখা হয়েছিল কাঁকড়া ধরা। ফলে সুন্দরবনের মাছ ও কাঁকড়া ধরার ওপর নির্ভরশীল মানুষ চরম কষ্টে ছিল।

    সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশন থেকে বিএসসি (নোট লাইসেন্স সার্টিফিকেট) হয়েছে ২ হাজার ৯০০টি।

    বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা এ.বি.এম হাবিবুর রহমান জানান, সাধারণত একটি নৌকায় ২-৬ জন করে মাছ কিংবা কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনে ঢুকে থাকেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার মাছ ও কাঁকড়া ধরার অনুমতি দেওয়া হবে। এতে করে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে জেলেদের মাঝে।

    সুন্দরবন ট্রলার মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জানান, পর্যটকের ওপর নির্ভর করে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় পাঁচ শতাধিক ট্রলার চলে। সুন্দরবনে জুন থেকে আগষ্ট পর্যন্ত মাছ ও কাঁকড়া ধরা বন্ধ রাখার পাশাপাশি পর্যটক ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁদের প্রায় এক হাজার ট্রলার চালক ও শ্রমিক বেকার জীবনযাপন করেন। তাদের সংসার চলে খুব কষ্টে ধার দেনা করে।

    সুন্দরবন নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক পীযুষ বাউলিয়া পিন্টু বলেন, বছরের প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরা বন্ধ থাকে। মৎস্য বিভাগ প্রতিবছর মাছের প্রজনন মৌসুমে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখে। এই অবসরকালে সাগরে মাছ ধরা জেলেদের মাথাপিছু ৮৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের জন্য কোনো সুবিধা কিংবা বরাদ্দ নেই। তিনি এ সময় বেকার হয়ে পড়া জেলে ও বাওয়ালীদের জন্য বরাদ্দের দাবি জানান।

    পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, তিন মাস পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে ও বাওয়ালীদের সুন্দরবনে ঢোকার পাস (অনুমতি) দেওয়া হবে। এ জন্য আগে থেকে জেলে বাওয়ালীর পাশাপাশি পর্যটক পরিবহনকারী ট্রলার মালিকেরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

  • গাজায় তিন দিন যুদ্ধ বন্ধ রাখবে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

    গাজায় তিন দিন যুদ্ধ বন্ধ রাখবে ইসরায়েল: জাতিসংঘছবি: সংগৃহীত

    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পোলিও টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে অন্তত তিন দিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর সিএনএনের

    ফিলিস্তিনে ডব্লিউএইচওর প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেন, মধ্য গাজায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিন দিনব্যাপী পলিও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। টিকাদানের এ সময়জুড়ে মানবিক যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে।

    ডব্লিউএইচও বলছে, প্রতিদিন গাজার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে অন্তত ৮ ঘণ্টা যুদ্ধ বন্ধ রাখার লক্ষ্যে চুক্তি করা হয়েছে।

    জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরায়েলের প্রতি টিকাদান কর্মসূচির জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন। তাদের তীব্র চাপের মুখে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

    এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস পোলিও টিকাদানের জন্য ইসরায়েলের মানবিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে।

  • বাদ পড়ছেন ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা

    ৬৪ জেলা আদালত

    বাদ পড়ছেন ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তাপ্রতীকী ছবি

    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করতে যাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তা দেশের ৬৪ জেলার অধস্তন আদালতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার তাদের বাদ দিয়ে নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে নিয়োগপ্রত্যাশীদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি জীবনবৃত্তান্তসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করছে আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয়। চলতি সপ্তাহে একযোগে বা পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে নতুন নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে।

    জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার সমকালকে বলেন, ‘কিছু কিছু তালিকা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আইন উপদেষ্টার কাছে নিয়োগপ্রত্যাশী অনেকে নাম ও তালিকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর আইন কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সে হিসেবে এবারও পরিবর্তন হবে।’

    মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তালিকা তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

    আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আদালতের বিচারকাজেও। বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের চাপের মুখে বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তারা শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাদের অধিকাংশ এখন আদালতেও আসছেন না। একইভাবে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পক্ষেও আদালতে আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করতে চাইলেও তাঁকে বা তাদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়াই আদালতে বিচারকাজ চলছে। কিছু ক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানিতে অংশ নিলেও তারা আসামির বিরুদ্ধেই শুনানি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লিগ্যাল এইডের আইনজীবীদের নিয়োগের জন্য আদালতগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় জিপি-পিপি, অতিরিক্ত পিপি-অতিরিক্ত জিপিসহ প্রায় ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা রয়েছেন। আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদকাল সরকারের ‘সন্তুষ্টিকাল’ পর্যন্ত। এ প্রেক্ষাপটে ৬৪ জেলা আদালতে আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগপ্রত্যাশীর তদবির শুরু হয়েছে। সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা প্রায় প্রতিদিনই আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য আইন উপদেষ্টার কাছে তালিকা দিচ্ছেন। বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতারা এরই মধ্যে তালিকা দিয়েছেন। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম দিয়েছেন।

    আইন কর্মকর্তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে দাবি উঠেছে। তবে কোনো সরকারই স্থায়ী নিয়োগের জন্য আইন করেনি। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন কর্মকর্তা নিয়োগে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের লক্ষ্যে আইনের খসড়া করলেও পরবর্তী সময়ে সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি।

    অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বর্তমানে জিপি, পিপি ও বিশেষ পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা। জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া মামলার শুনানির জন্য পিপি ও বিশেষ পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৬০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। অতিরিক্ত  জিপি ও অতিরিক্ত পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৯ হাজার টাকা। অতিরিক্ত জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৫০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। এজিপি, এপিপি ও এলজিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ৬ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা। এজিপি ও এলজিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। মামলার শুনানির জন্য এপিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ২৫০ টাকা; অর্ধদিবসের জন্য ১৫০ টাকা।

  • ‘ডিবি হারুন’ সন্দেহে উত্তরায় বাড়ি ঘেরাও

    বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ আছে সন্দেহে উত্তরার একটি বাসা ঘিরে রেখে সেনাবাহিনীকে খবর দেন স্থানীয়রা।

    বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় রাজধানীর উত্তরা সেক্টর ১০ এর ১২ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘ডিবি হারুন’ (সাবেক ডিবি প্রধান) এই ভবনে আছেন বলে গুঞ্জন উঠে। এরপর ফেসবুকে অনেকে লাইভ শুরু করে। লাইভ দেখেই সবাই বাড়ির সামনে এসে জড়ো হন। বাড়িটিতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। হারুন কোন ফ্লোরে আছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে বাড়ির চারপাশে এমনভাবে ঘিরে রাখা হয়েছে তার পক্ষে পালানো সম্ভব নয়। রাত ১০ টার পর থেকে হারুনের উপস্থিতির গুঞ্জন থাকলে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসেন। তবে তারা বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে হারুনকে পাননি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাত ১২টায় উত্তরা পশ্চিম থানার এক কর্মকর্তা জানান, ভবনের ভেতরে কোনও আসামি পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে চলে গেছে।

    এর আগে গত ৬ আগস্টও হারুণ অর রশীদের আটক হওয়ার গুঞ্জন উঠে। কিন্তু পরদিন তিনি নিজেই আটক হওয়ার খবরটি নাকচ করেন। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।