Blog

  • ধর্ম অথবা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং সম্প্রীতি শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    গত কাল (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় ম্যানগ্রোভ সভাঘরে দি হ্যাঙ্গার প্রজেক্ট এর আয়োজনে ইউকে এইড এর সহযোগিতায় ধর্ম অথবা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং সম্প্রীতি শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, ধর্মীয় নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুজন নেতৃবৃন্দ, এনজিও কর্মী, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী ধর্ম অথবা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং সম্প্রীতি নিয়ে কর্মশালাটি পরিচালিত হয়।
    কর্মশালাটি পরিচালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রণজু। অনুষ্ঠান সহায়ক সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তুহিন আফসারী ও রুবিনা আক্তার ছিলেন। কর্মশালায় গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন সুজন জেলা কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সরকার সহ-সভাপতি পবিত্র মোহন দাশ , ধর্মীয় নেতা ডঃ মুফতি আখতারুজ্জামান,হাফেজ কাজী সাইদুর রহমান,শেখ মাহবুবুর রহমান,স্বপন কুমার শীল, দিবাকার ভট্টাচার্য, সাংবাদিক শাকিলা ইসলাম জুই, সাংবাদিক আশেক ই এলাহী, আইনজীবী এডভোকেট ড. দিলীপ কুমার দেব, এডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী , নারী নেত্রী ভারতেশ্বরী বিশ্বাস , ডক্টর দিলারা বেগম, দলিত সম্প্রদায়ের সুকুমার দাস সহ আরো অনেকে।

  • আশাশুনির বুধহাটা পূর্বপাড়া রাস্তা ও বসত বাড়ি জলমগ্ন

    আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা পূর্বপাড়া গ্রামে যুগযুগ ধরে চরম দুর্দশার হাতছানিতে গ্রামবাসী ডুবে থাকলেও দেখার কেউ নেই।
    গ্রামের ভিতরে রাস্তাগুলো জন্ম থেকেই উন্নয়নের ছোয়া বঞ্চিত বললেও ভুল হবেনা। সবই প্রায় কাঁচা রাস্তা। নেই সকল স্থানে পয়ঃ নিস্কাশনের সুব্যবস্থা। একটু বৃষ্টি হলে পানিবদ্ধতার কষ্টকর পরিণতে যেন তাদের নিত্য সঙ্গী। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ নিম্নশিক্ষিত হওয়ায় তাদের হয়ে কথা বলার জন্য কেউ নেই। বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে ভোটের সময় রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদেরকে বারবার অনেক কিছু করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পরে আর খোজ মেলেনি। কেউ কথা রাখার প্রয়োজনবোধ করেননি। গ্রামের নিম্ন শিক্ষিত মানুষগুলোকে তারা শুধুমাত্র নিজেদের কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। তাই এলাকার উন্নয়নের বিষয়টা স্বপ্নই থেকে গেছে বারবার। ফলশ্রুতিতে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা  সৃষ্টি হয়ে জনজীবনে নেমে এসে থাকে সীমাহীন দুর্ভোগ।
    বর্তমানে গ্রামটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এই পাড়ায় অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অসুবিধা গুলো তারা ভোগ করে আসছে। অবহেলিত এই জনপদের সুদিন ফেরানোর লক্ষ্যে তারা সব সময় চেয়ে থাকে জন প্রতিনিধিদের দিকে। কিন্তু কোন সুফল এখনো পর্যন্ত মেলেনি। সম্প্রতি বেতনা নদী খননের কাজ চলছে। বছরের পর বছর বিলম্বিত হচ্ছে কাজটি। স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিস্কাশন বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা বহুগুনে বেড়ে গেছে। এ যেন জ্বালার উপর আরেক জ্বালা।
    এলাকাবাসীর দাবী, সংশ্লিষ্ট যার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ গ্রামটিকে সময়োপযোগী বসবাস যোগ্য করে গড়ে তুলতে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন। যেন পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
  • সাতক্ষীরায় এফডিইবি’র প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত 

    শহর প্রতিনিধি:”সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার সৎ ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ” স্লোগানে   সাতক্ষীরায় ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়াম এ প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
    ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ’র সভাপতিত্বে ও কল্লোল আহমেদ’র সঞ্চালন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবি সাতক্ষীরা জেলার প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাদ্দিস রবিউল বাশার । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মির্জা মিজানুর রহমান,এফডিইবি পেশাজীবী উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম মুকুল, উপদেষ্টা মাওলানা আজিজুর রহমান,এফডিইবির সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এম এম এ আবু জায়েদ বিন গফুর, এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ।
    প্রতিনিধি সম্মেলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ  ও কল্লোল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদককরে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি মীর আহসান হাবিব ও মো. তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন ফারুক ও আজাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুর জাম্মান খালিদ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুজাহিদ, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক দেছের আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাসউদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাসিমসহ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট  পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
    শহর প্রতিনিধি:”সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার সৎ ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ” স্লোগানে   সাতক্ষীরায় ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়াম এ প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
    ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ’র সভাপতিত্বে ও কল্লোল আহমেদ’র সঞ্চালন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবি সাতক্ষীরা জেলার প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাদ্দিস রবিউল বাশার । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মির্জা মিজানুর রহমান,এফডিইবি পেশাজীবী উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম মুকুল, উপদেষ্টা মাওলানা আজিজুর রহমান,এফডিইবির সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এম এম এ আবু জায়েদ বিন গফুর, এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ।
    প্রতিনিধি সম্মেলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ  ও কল্লোল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদককরে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি মীর আহসান হাবিব ও মো. তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন ফারুক ও আজাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুর জাম্মান খালিদ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুজাহিদ, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক দেছের আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাসউদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাসিমসহ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট  পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
  • বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা পেতে যাচ্ছে ভিআইপি সেবা

    বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা পেতে যাচ্ছে ভিআইপি সেবা

    হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

    প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন,  আগামী দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের জন্য ভিআইপি সেবা চালু হবে।

    মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা।

    আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আগ্রহের ও উৎসাহের ভিত্তিতে আমাদের যারা রেমিটেন্স যোদ্ধা আছে তাদের বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস দিব। একজন ভিআইপি যখন বিমানবন্দরে যায় তখন তাদের সঙ্গে লাগেজ এবং চেকিংকের জন্য একজন থাকে, ইমিগ্রেশান করার সময় পাশে একজন থাকে। প্রত্যেকটা স্তরে আমরা অনুরুপ সেবা চালু করব।

    প্রবাসী উপদেষ্টা বলেন, প্রথম স্তরে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে টার্গেট করেছি, ইউরোপ পরে করব। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের অধিকাংশ শ্রমবাজার। প্রথম স্তরে মধ্যপ্রাচ্যে যে সমস্ত শ্রমিক যাচ্ছে ওনারা যখন ফেরত আসবে একজন ভিআইপি যে রকম সেবা পান সেটা পাবেন। আমরা লাউঞ্জ ব্যবহার করার চিন্তা করছি। এটা অনেক পরের কাজ।

    তিনি বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে একটা ইমিগ্রেশানে কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হবে। তবে তার জন্য কর্তৃপেক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। প্রত্যেকটা স্তরে পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করবে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কর্মী। দরকার হলে আমরা আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষত কর্মী নিয়োগ করব। সেটা আমরা দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করব।

    আসিফ নজরুল বলেন, একজন প্রবাসী যেন কোনো অবস্থাতে হয়রানির স্বীকার না হোন। অপরাধ বোধ মনে না করেন এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্ট।

  • ‘পন্ত অতিমানব’, বললেন ওয়াসিম আকরাম

    সেঞ্চুরির পর ঋষভ পন্ত

    চেন্নাইয়ে অনেকটা নতুন করে টেস্ট অভিষেক হয়েছে ঋষভ পন্তের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার ২১ মাস পর চেন্নাই টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরেছেন পন্ত। মাঝের সময়টায় কেন খেলেননি, সেই কারণটা সবারই জানা, গাড়ি দুর্ঘটনা।

    মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছিলেন ৯৩ রানে। দেড় বছর পর সেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। চোট থেকে ফেরার পর টেস্টে ফিরেই এমন পারফরম্যান্স দেখে পন্তকে অতিমানব আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান পেসার ওয়াসিম আকরাম।

    চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রান করেছেন পন্ত। যা টেস্টে তাঁর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ১২৮ বলে ১০৯ রানের দাপুটে ইনিংস দেখে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস ক্রীড়াকে আকরাম বলেছেন, ‘পন্তের পারফরম্যান্স দেখুন, এমন এক বিপর্যয়ের পর ফিরে যেভাবে পন্ত পারফর্ম করেছে, তা দেখিয়ে দিয়েছে, ও অতিমানব। যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, আমরা পাকিস্তানে সবাই উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি ওকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম, ওকে নিয়ে টুইট করেছিলাম।’

    পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম
    পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামইনস্টাগ্রাম/ওয়াসিম আকরাম

    ওয়াসিম যোগ করেছেন, ‘ও যে ভয়ংকর দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে গেছে, সেখান থেকে ফেরাতেই বোঝা যায়, ছেলেটা মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী। আমার মতে, মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে এটা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বলার মতো গল্প। এরপর ও আইপিএলে ফিরে ৪০ গড়ে ৪৪৬ রান করেছে, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৫। ও একটা বিস্ময়বালক।’

    পন্ত খুব বেশি দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, তা নয়। ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা পন্ত শুরুর কয়েক বছর ছিলেন আসা–যাওয়ার মধ্যে। চোটের কারণে ছিলেন না এক বছরের বেশি সময়। এই অল্প সময়েই ব্যাটিংয়ে নিজের আলাদা স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন পন্ত, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। অথচ টি-টোয়েন্টির পন্তকে নিয়ে শুরুর দিকে আলোচনা হয়েছিল বেশি।

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন ঋষভ পন্ত
    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন ঋষভ পন্তএক্স

    টেস্টে পন্তের সেঞ্চুরিগুলোর আরেকটু বিশেষ দিক আছে। ২৬ বছর বয়সী পন্তের ‘সেনা’ (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) দেশগুলোতে একটি করে সেঞ্চুরি আছে। ৬টি সেঞ্চুরির দুটি শুধু ঘরের মাঠে। আকরাম পন্তের প্রশংসা করতে গিয়ে এই দিকটিও তুলে এনেছেন, ‘যেভাবে পন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলত, যেভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে পারফর্ম করেছিল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে কৌশলে ও ব্যাটিং করেছে, টেস্টে জেমস অ্যান্ডারসন, এমনকি প্যাট কামিন্সের বিপক্ষে সে রিভার্স সুইপ খেলেছে, ও আসলেই স্পেশাল।’

    আগামী নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারত। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ ইনিংসে ২৭৪ রান করেছিলেন পন্ত। এবার ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পন্ত কেমন করেন, সেটা দেখার বিষয়।

  • হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ

    হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ

    ভুল তো মানুষ মাত্রই হয়। তবে ভুল স্বীকার করে তা শুধরে নেওয়াটাই বড় কথা। এমনটাই মানেন অমিতাভ বচ্চন। তাই তো বলিউডের শাহেনশা হয়েও বিনম্র তিনি। হাত জোড় করে নিজের ভুলের জন্য চাইলেন ক্ষমা। কিন্তু কী এমন ভুল করেছেন বিগ বি?

    দিন কয়েক আগে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তাতে বলেছিলেন ‘আমি আবর্জনা ফেলব না।’ এই কথাটি মারাঠি ভাষায় বলতে গিয়েই তিনি ভুল উচ্চারণ করে বসেন। ভুলের কথাটি তাকে জানান, বন্ধুবর সুদেশ ভোঁসলে। ভুল করেছেন তা জানতে পেরেই ক্ষমা চেয়ে নেন বলিউডের শাহেনশা। সঠিক উচ্চারণ করে কথাটি বলেন তিনি।

    অমিতাভের এই বিনম্রতায় মুগ্ধ অনুরাগীরা। অনেকেই কমেন্টবক্সে তার এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, এই জন্যই তো আপনি অমিতাভ বচ্চন। কেউ কেউ আবার জানিয়েছেন, শেখার কোনও বয়স হয় না সেকথা বিগ বি আবারও প্রমাণ করলেন। আর এই কারণেই তিনি এতদিন ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন।

    সম্প্রতি প্রভাস-দীপিকার ‘কল্কি’ সিনেমা অশ্বথামার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। এই চরিত্রের জন্য তুমুল প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। এদিকে আবার জল্পনা, রণবীর কাপুর অভিনীত ‘রামায়ণ’ সিনেমায় তার কণ্ঠ শোনা যাবে, তাও আবার জটায়ুর চরিত্রে।

  • গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল সরকার

    গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল সরকার

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৭০৮ জন শহীদের পরিচয় জমা হয়েছে। পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে (২০২৪) সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় হতে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

    এতে বলা হয়েছে, তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই/সংশোধন/পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ করা হলো। প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

    প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধনের জন্য নিম্নরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে-

    (ক) শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    (খ) রেজিস্ট্রেশনের পর শহীদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।

    (গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।

    (ঘ) পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।

    (ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধি কর্তৃক পূরণকৃত ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন।

    (চ) দাখিলকৃত তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হলো কি না তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।

    গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শহীদদের মধ্যে যদি কারো নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক/সিভিল সার্জন/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।

  • সাতক্ষীরা সদরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরা সদরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    শাহ জাহান আলী মিটন, শহর প্রতিনিধি :বৈষম্য দূরীকরণে বেসরকারি মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ,  জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করা  হয়েছে। উপজেলার  বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোট ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মঙ্গলবার  (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যলয় প্রাঙ্গণে এ  মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো:মমিনুল ইসলাম’ সভাপতিত্বে ও মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জালাল উদ্দিন’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি মো. আমানুল্লাহ আমান।
    মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক  মো. আব্দুল্লাহ,মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন,জেলা কল্যাণ সমিতির সচিব  মো. মিজানুর রহমান,জেলা শিক্ষক সমিতির কোষাধক্ষ মো. নজিবুল ইসলাম, আমতলা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ  মাওলানা মোহতসিন বিল্লাহ, আলিপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক  মোঃ আব্দুল লতিফ, শিয়ালডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল লতিফসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
    মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষকবৃন্দ বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা জাতীয়করণ এবং জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপজেলা জেলা অঞ্চল ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখায় পদায়ন স্থগিত রেখে শিক্ষা প্রশাসনের কাজে দক্ষ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের চলতি দায়িত্ব প্রদান ও একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
     একটি উন্নত আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সুষম, সুস্থ-পরিচ্ছন্ন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সার্বজনীন শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
    অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষা জাতীয়করণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে মাধ্যমিক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছে।
    জুলাই আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা বৈষম্য বিরোধী একটি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছে, তা এখন বাস্তবায়ন করতে হবে।
      বক্তারা চারদফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। প্রস্তাবসমূহ হলো- মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ৯৭% বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা জাতীয়করণ করা অত্যন্ত জরুরী। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই পাঠ্য-পুস্তক ও একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা হলেও সরকারি ও বেসরকারীর মধ্যে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার বৈষম্য শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। তাই শিক্ষার সকল স্টকহোল্ডারদের প্রাণের দাবি হলো মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ। এটি নিশ্চিত করা হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সমান সুযোগ পাবে এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে-যা আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য অভ্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা বিভাগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-একাডেমিক ও প্রশাসনিক। শিক্ষকেরা অ্যাকাডেমিক কাজে দক্ষ, পেডাগোজি কেন্দ্রিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। অন্যদিকে ৩১ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উপজেলা মাধ্যমক শিক্ষা অফিসারদের প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ রয়েছে। শিক্ষকতা ও প্রশাসন ভিন্ন চরিত্রের, তাদের কাজের ধরণ ও চর্চা ভিন্ন। যদি শিক্ষকরা প্রশাসনে অনভিজ্ঞ হন, তবে তা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তাই, উভয় পেশার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও পরস্পর পরিপূরক হিসেবে কাজ করা উচিত, যাতে দেশের শিক্ষা উন্নত হতে পারে।
    উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখায় ৩১ বছরের শিক্ষা প্রশাসনের কাজের দক্ষতা সম্পন্ন ৬৪ গ্রেড আফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদোন্নতি ও পদায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত। স্কুল, মাদ্রাসা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে বৈষম্য প্রকট। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। কমিশন শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো তৈরি করবে, যা তাদের মর্যাদা ও প্রেরণা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া, উপজেলা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসন কিভাবে চলবে, তা স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সংস্থাগুলোর কার্যক্রম কিভাবে সমন্বয় হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করবে।
    মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব বরাবর পৃথক দুটি স্মারকলিপি পেশ করেন।
  • সাতক্ষীরায় জি,আর মামলা প্রত্যাহার ও ক্রিমিনাল রিভিশন মামলা খারিজের দাবিতে বাদীর সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় জি,আর মামলা প্রত্যাহার ও ক্রিমিনাল রিভিশন মামলা খারিজের দাবিতে বাদীর সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় পদ্ধতিগত ক্রটির কারনে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দাখিলকৃত জি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) মামলাটি প্রত্যাহার করার আবেদনের পরও বাদীর অজ্ঞাতসারে তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক জজ আদালতে এক ক্রিমিনাল রিভিশন ৩৮৬/২৪ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আশাশুনির কল্যানপুর গ্রামের হাজী মিনাজউদ্দীন এর ছেলে মামলার বাদী মোঃ আব্দুল মজিদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর ছাত্র জনতা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রতাপনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে পৌছালে জাকির মিছিলে গুলি চালায়। এ সময় আমার চাচাতো শ্যালক কল্যানপুর গ্রামের নূর হাকিম ঘোরামীর ছেলে আবুল বাশার আদম (২২) মারা যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং সি,আর ৩৩০/২৪(আশাশুনি)। বিচারক দাখিল কৃত নালিশী দরখাস্তটি এজাহার হিসাবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য আশাশুনি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ আদালতকে এই মর্মে অবহিত করেন যে, একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে থানায় একটি মামলা রুজু হয়। জি,আর নং- ১৭৪/২০২৪(আশাঃ) এবং উক্ত মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। এমতাবস্থায় বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট গত ৫ সেপ্টেম্বর একই ঘটনা নিয়ে দুইটি মামলা দায়ের হওয়ায় ফৌজদারী কার্য্যবিধি ২০৫ ডি ধারা মতে সি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) নং মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং বর্নিত অবস্থায় জি,আর-১৭৪/২৪(আশাঃ) নং মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সহ আগামী ৩০ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করেন। আব্দুল তিনি আরো বলেন, আদালতে দাখিলকৃত সি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ)নং মামলার বিষয়বস্তু সংক্রান্তে প্রত্যক্ষদর্শী, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ট সাক্ষ্য প্রমানাদি সংগ্রহ করে পরে জানতে পারলাম যে, আমার দাখিলকৃত মামলাটির ঘটনা প্রবাহ প্রকৃত অবস্থার পরিচায়ক নয়। এমতাবস্থায় আমি পদ্ধতিগত ক্রটির কারনে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পৃথক দরখাস্ত দ্বারা বর্নিত সি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) নং মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে ম্যাজিষ্ট্রেট পৃথক কাগজে আমার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন এবং আগামী ৩০ অক্টোবর প্রত্যাহার সংক্রান্ত আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন ইতিমধ্যে আমার পূর্বের নিয়োগকৃত আইনজীবীগণ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দাখিলের সময় আমার নিকট থেকে একাধিক কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। পরবর্তীতে আদালত প্রাঙ্গনে এসে জানতে পারি যে, আমার পক্ষে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত সি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) নং মামলার গত ৫/০৯/২৪ ও ৯/০৯/২৪ তারিখে আদেশের বিরুদ্ধে এক ক্রিমিনাল রিভিশন ৩৮৬/২৪ নং মামলা দায়ের করা হয়েছে যা আমার অজ্ঞাত সারে করা হয়েছে। আমি নিজে স্বপ্রনোদিত হয়ে আদালতে কোন রিভিশন মামলা দায়ের করিনি। পূর্বের নিয়োগকৃত আইনজীবীগনের সঙ্গে মত পার্থক্য দেখা দেওয়ায় পরবর্তীতে ভিন্ন আইনজীবী নিয়োগ করি। তথাপিও পূর্বের নিয়োগকৃত আইনজীবীগণ তৃতীয়পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার স্বার্থে পরিপন্থি বর্নিত মামলা সংক্রান্তে পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছে-যা আইন ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থি, আমার স্বার্থের পরিপন্থি বিধায় আমি নিন্দা জ্ঞাপন করছি। তিনি পদ্ধতিগত ক্রটির কারনে আদালতে দাখিলকৃত জি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) নং মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর দাখিলকৃত আবেদনটি মঞ্জুরপূর্বক যাতে নিষ্পত্তি হয় এবং একই সাথে তার স্বার্থের পরিপন্থি ক্রিমিনাল রিভিশন ৩৮৩/২৪ নং মামলাটি খারিজ হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • আশাশুনির বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা, প্রশাসনিক ও পাঠদানে ব্যাহত

    আশাশুনির বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা, প্রশাসনিক ও পাঠদানে ব্যাহত

    আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের) অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সপ্তাহাধিক কাল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজভূমে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান তৎকালীন নিয়মিত কমিটির মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানে অনিয়ম করা হয়েছে অভিযোগ এনে বিরোধীতা শুরু করলে বিষয়টি বড় হতে শুরু করে। সারাদেশে মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি হিসাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে দায়িত্ব প্রদানের পর অভিযোগটি নিয়ে সরাসরি মাঠে নামেন কিছু শিক্ষক ও অভিভাবক।
    প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক ও সিনিয়র শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে অভিযোগ প্রাপ্তির পর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করে আদেশ স্টে অর্ডার করান। সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমিটির সভা আহবান করে সকলের মতামত শুনে এব্যাপারে জিপির মতামত গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে হাই কোর্টের স্টে অর্ডারের বিরুদ্ধে ১৯ সেপ্টেম্বর ৩১৫৯ নং রিট করা হয়। তাদের অভিযোগ বাবলুর রহমান প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজিয়েট স্কুল এর পরিবর্তে ডিগ্রী কলেজ দেখিয়েছেন। ফলে মাউশির এখতেয়ার নাই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে স্টে অর্ডারের ভিত্তি নেই বলে তারা দাবী করেন। তারপরও বাবলুর রহমান কাউকে দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় প্রতিষ্ঠানে শূন্যতা বিরাজ করছে। তবে অফিস কক্ষে তালা লাগানোয় কাগজপত্র আটকে আছে বলে তারা স্বীকার করেন।
    একাদশ শ্রেনির ছাত্র নাইমুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, অফিসে তালা ঝুলানোয় কলেজে ঝিমঝিমে পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলু স্যার প্রতিদিন কলেজে এসে ক্লাশ নিচ্ছেন বলে তারা জানায়।
    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান জানান, রিটে ডিগ্রী কলেজ উল্লেখ করা হয়নি। ডিগ্রী কলেজ উল্লেখ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চল, খুলনাসহ অন্যদের বিবাদী করা হতো না। বরং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ভিসি, ট্রেজারার বা তাদের কাউকে বিবাদী করা হতো। প্রতিপক্ষ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে ১৯/৯/২৪ তারিখে ৩১৫৯ নং যে রিট করেছেন, সেখানে মহামান্য আদালত “নো অর্ডার এন্ড ডিরেকশান” হয়। অর্থাৎ স্টে অর্ডার ভ্যাকেট হয়নি। তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছি, ক্লাশ নিচ্ছি। কতিপয় শিক্ষকের ঈন্ধনে কে বা কারা অফিসে তালা লাগিয়েছে। আমি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস সহকারী কক্ষে বসে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পর্ন করছি। তবে তালাবদ্ধতার জন্য প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে এবং অভিভাবকরা কাজ নিয়ে আসলে তাদের কাজ মেটাতে পারছেননা বলে তিনি জানান।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কৃষ্ণা রায় বলেন, অফিসে তালা লাগানোর সংবাদ আমার কাছে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
  • আশাশুনিতে শ্যালোমেশিনে পেঁচিয়ে মৃত্যু মোস্তাকিমকে নিয়ে ষড়যন্ত্র থামছেনা

    আশাশুনিতে শ্যালোমেশিনে পেঁচিয়ে মৃত্যু মোস্তাকিমকে নিয়ে ষড়যন্ত্র থামছেনা

    আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নে মৎস্য ঘেরে বোরিং সেচে ব্যবহৃত শ্যালোমেশিনের সাথে পেঁচিয়ে মৃত্যু মোস্তাকিমকে হত্যা করা হয়েছে প্রচার দিয়ে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের সদস্যরা ষড়যন্ত্রকারীদের রোষানল ও মিথ্যাচারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে দাবী করেছেন।
    মৃত মোস্তাকিমের পিতা আব্দুর রাজ্জাক কারিকর বলেন, আমি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানেরর জনক। ৩ মাস আগে মাছের ঘেরে ব্যবহৃত শ্যালো মেশিনে অসর্কতাবসত জড়িয়ে একমাত্র পুত্র মোস্তাকিমের মৃত্যু হয়। সেসময় পাশের লোকজন তাকে মেশিন থেকে ছাড়িয়ে নিলেও প্রাণে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ছেলের বয়স যখন ১১ মাস তখন তার মা মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ওর মেঝে খালার সাথে আমার বিয়ে হলে সে মায়ের অভাব বুঝতে না দিয়ে সেবাযত্ন করে এসেছে।
    ছেলের চাকুরী হয়েছিল, যে দিন মারা গেছে তার পরের দিন যোগদানের কথা ছিল। জানাযার সময় ও আগে পরে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, সাবেক চেয়ারম্যান মেম্বারসহ বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আমরা বা কারো তার মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ তোলেনি। দারোগা প্রকাশ্যে কারো কোন অভিযোগ আছে কিনা জানতে চান। উপস্থিত কেউ কোন অভিযোগ করেনি বরং সবাই পোস্ট মর্টেম না করাতে অনুরোধ করেন। আমার চাচাত ভাইপো গোলাম রসুলের কাছে ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। তাছাড়া জমাজমি নিয়ে গোলযোগ ছিল। ছেলের মীলাদের সময় তার কাছে টাকা চাইলে সে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং মোস্তাকিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে মিথ্যা প্রচারনা চালাতে থাকে। স্থানীয় মইরদ্দিনের সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মানুষদেরকে ভুল বুঝিয়ে চাঁদা উঠিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলা ও মানববন্ধন ইত্যাদি করেছে। কুচ্ছা রটান হচ্ছে। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, লাশ উঠানো হোক আমরা নির্দোষ অবশ্যই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ খুলে যাবে বলে তিনি দাবী করেন।
    মোস্তাকিমের সৎ মা আছমা খাতুন জানান, ১১ মাসের ছেলে রেখে আমার বড় আপা মারা যান। এরপর থেকে তাকে আমি নিজের সন্তানের মত করে লালন পালন করেছি। তার কোন আবদার অপুরন রাখিনি। কেউ বলতে পারবেনা আমি সৎ মায়ের মত আচরণ করেছি। তাকে মায়ের অভাব বুঝতে দেইনি। তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি সন্তান নেইনি। এই ভিটেমাটি টুকু আমাদের সম্বল। ভিটে ছাড়া করতে মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচার চালান হচ্ছে।
    মোস্তাকিমেন নানী মাহমুদা খাতুন জানান, মা হারা শিশু নাতিকে মানুষ করতে আমি আরেকটা মেয়ে জামাইয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছি। কোন অভিযোগ থাকলে দ্বিতীয় মেয়ে বিয়ে দিতাম না, অভিযোগ আমরাই করতাম। পুলিশ ৩ ঘন্টা ছিল, সকলের কাছে জানতে চেয়েছিল অভিযোগ আছে কিনা। কেউ অভিযোগ করেনি।
    মোস্তাকিমের খালা আম্বিয়া ও তাহমিনা এবং চাচা আঃ রব ফকির জানান, ৮০ বছর বয়সী নানাকে নিয়েও মস্তিস্ক বিকৃতের মম অমূকলক অভিযোগ করেছে। বাবা কি ছেলেকে মারতে পারে? যারা অভিযোগ করছে তারা কি কিছু দেখেছিল? জমাজমির গোলযোগ ও পাওনা টাকা না দেয়ার অজুহাতে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে তারা দাবী করেন।
    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এমরান হোসেন জানান, ভিকটিমের পিতা লিখিত আবেদন করেন, গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যরা কেউই কোন অভিযোগ করেননি, ভিকটিম ও তার পিতা ভাল মানুষ বলে উল্লেখ করে লাশ ময়না তদন্ত না করার অনুরোধ জানালে পোস্ট মটেম না করেই লাশ রেখে আসি।
    তৎকালীন ওসি বিশ্বজিৎ কুমার জানান, ঘটনার দিন সংবাদ দিলে ইউডি মামলা হয়। এসআই এমরান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে আমাকে ঘটনা জানালে সার্কেল স্যারকে জানাতে বলি। স্যার জানার পর পিতা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্ধি ও লিখিত আবেদন পেয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে মোস্তাকিমের চাচাত ভাই বলে মোস্তাকিমকে তার পিতা হত্যা করেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি মোস্তাকিনের পিতার সাথে চাচাত ভাইয়ের (রাজ্জাকের ভাইপো) জমাজমি নিয়ে গোলযোগ আছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে তিনি জানান।
  • পিলখানা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, ন্যায় বিচার ও চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরীতে পুনর্বাহল এবং কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান 

    পিলখানা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, ন্যায় বিচার ও চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরীতে পুনর্বাহল এবং কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান 

    শহর প্রতিনিধি:
    ২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর পিলখানা ঢাকায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার ও চাকুরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকরীতে পুনর্বাহল করা এবং কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে চাকরীচ্যুত সাতক্ষীরা জেলার বিডিআর সদস্য গণ।  মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুবেদার ফকরুদ্দিন হাসান’র নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান করেন না: সুবেদার কিবরিয়া মঈনুর , সুবেদার ফখরুদ্দিন হাসান, নায়েক মো. শারফ  হোসেন, সিপাহী মো. আব্দুর রাজ্জাক,  মো. মিজানুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন পদবীর সৈনিকবৃন্দ।
  • ফেলনা প্লা‌স্টি‌কের বি‌নিম‌য়ে গা‌ছের চারা উপহার পেল সিলভার জুব‌লি ম‌ডেল প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের ৩ শতাধিক ‌শিক্ষার্থী‌

    ফেলনা প্লা‌স্টি‌কের বি‌নিম‌য়ে গা‌ছের চারা উপহার পেল সিলভার জুব‌লি ম‌ডেল প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের ৩ শতাধিক ‌শিক্ষার্থী‌

    ডেস্ক রিপোর্ট: ফেলনা প্লা‌স্টি‌কের বি‌নিম‌য়ে ফলজ, বনজ ও ঔষ‌ধি গা‌ছের চারা উপহার পেয়েছে শহ‌রের সিলভার জুব‌লি ম‌ডেল সরকা‌রি প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের তিন শতাধিক ‌শিক্ষার্থী‌।

    মঙ্গলবার (২৪ সে‌প্টেম্বর) বিকালে বেসরকা‌রি গ‌বেষণা প্রতিষ্ঠান বার‌সি‌কের উদ্যো‌গে
    পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ‌এসব গা‌ছের চারা উপহার দেওয়া হয়।এসময় শিক্ষার্থীরা স্কুল প্রাঙ্গণ বা বাড়ির আশপাশের বোতলসহ বিভিন্ন ধরনের ফেলনা প্লাস্টিক ও পলিথিন কুড়িয়ে আনার বিনিময়ে গাছের চারা পেয়েছে উচ্ছসিত হয়ে ওঠে এবং গাছের চারা রোপণ ও পরিচর্চার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
    এসময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন সিলভার জুব‌লি সরকা‌রি প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী, সহকা‌রী শিক্ষক জুল‌ফিকার রহমান, তও‌হিদা পারভীন, শা‌হিনা শবনস, তে‌য়েবাতু‌ন্নেছা, বাসনা মজুমদার, সূপর্না দাস, আফ‌রোজা ফা‌তেমা, বিশ্ব‌জিৎ চক্রবর্তী, সু‌মিত্রা রানী, সুদীপা বাছাড়, বার‌সি‌কের সহ‌যোগী প্রোগ্রাম অ‌ফিসার গাজী মা‌হিদা মিজান, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা সংস্কৃ‌তি ও বৈ‌চিত্র্য রক্ষা টি‌মের সভাপ‌তি আব্দুর রহমান নিরব, অর্থ সম্পাদক পরশ ম‌নি, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক ফ‌রিদ গাজী, প্রচার সম্পাদক রা‌ফিদ রা‌হি, তা‌মিম হো‌সেন, মাসুদ রানা প্রমুখ ।অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে রাধাচূড়া, পেয়ারা, কাঞ্চন, জলপাই, বকুল, বেলি, কদবেল, বয়রা, হরীতকী, আমলকীসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা তুলে দন।এসময় বিদ্যালয়ের চতু্র্থ শ্রেণির ছাত্রী রেশমা গাছ পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে বলে, বাড়ির আশপাশ থেকে প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে জমা দিয়ে গাছের চারা পেয়েছি। এই চারা লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্চা করবো।সিলভার জুব‌লি ম‌ডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী বলেন, বর্তমান সময়ে পরিবেশের অবস্থা খারাপ। এজন্য পলিথিন প্লাটিকের বোতল এগুলো যত্রতত্র ফেলা যাবে না। পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

  • জেলা সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সভায় জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মোঃ শহীদুল রহমান সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য নূর মোহাম্মদ পাড় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় এবং নির্বাচিত সকলকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, ড. দিলারা বেগম, মোঃ আঃ রব ওয়ার্ছী, সাধারণ সম্পাদক ম. জামান, জি, এম হুমায়ন কবির, মনিরুজ্জামান মুন্না, সৈয়দ একতেদার আলী, মিজানুর রহমান, রফিকুল বারী, মোসফিকুর রহমান , সালাহউদ্দীন রানা, শিরিন সাদী, কে,বি সুমন, প্রশান্ত কুমার পাল, মোঃ ইউসুফ আলী, ইকবাল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, রহমত উল্লাহ, খাজা শাহাবুদ্দীন, মোঃ আমিরুল ইসলাম, হাবীবুল বাসার, শামীমা পারভীন রতœা, মহাসিনূল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মুজিবর রহমান, কামরুন্নাহার কচি, সাইদুল ইসলাম, প্রমুখ।

     

  • দেবহাটায় বৃদ্ধাকে ধর্ষণ,থানায় মামলা

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষিতার অপারেশন সম্পন্ন
    দেবহাটায় বৃদ্ধাকে ধর্ষণ,থানায় মামলা

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ৬৭ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার রাতে ধর্ষিতার ছেলে বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের গলদারচক(পলগাদা) গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আসাদুল ইসলামকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের ৬৭ বছরের এক বৃদ্ধ শনিবার রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে শুইয়ে ছিলেন। আসামী আসাদুল তাকে তার ছেলের জন্য কালিগঞ্জের নলতায় দেখতে যাওয়া মেয়ে সম্পর্কে জানতে চায়। একপর্যায়ে তাকে রবিবার আবারো যেতে হবে বলে খরচের টাকা নেওয়ার জন্য দরজা খুলতে বলেন। তিনি দরজা খোলার সাথে সাথেই আসাদুল তার মুৃখ চেপে ধরে জোরপূর্বক খাটের উপর ফেলে তাকে ধর্ষণ করে। তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে আসাদুল পালিয়ে যায়। পরে তাকে সখীপুর হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    এদিকে রক্তক্ষরণ কোন প্রকারে বন্ধ না হওয়ায় রবিবার দুপুরে ভিকটিমকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে মেডিকেল কলেজচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অপারেশন করা হয়। ক্ষতস্থানে ১৭টি সেলাই দিতে হয়। দিতে হয় ও পজিটিভ দুই ব্যাগ রক্ত।
    দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক ইদ্রিসুর রহমান জানান,ওই বৃদ্ধার ছেলে বাদি হয়ে রবিবার রাতে থানায় একটি মামলা(জিআর-৭৯, দেবঃ) দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তভার উপপরিদর্শক সেলিম রেজার উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। ভিকটিম সুস্থ হলে তার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি করানো হবে। আসামী আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের কে জেলা জাতীয় পার্টির স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের কে জেলা জাতীয় পার্টির স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিনিধ : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের সহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১ টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম
    এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন এবং সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস ছালাম সরদার, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ আনোয়ার জাহিদ তপন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, জেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন বাপ্পি, জাতীয় যুব সংহতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, জেলা তরুণ পার্টির আহবায়ক মোহাম্মদ আবু ইয়াছিন, সদস্য সচিব আব্দুল কাদের, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব কমল বিশ্বাস, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম অর্থ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হোসেন , জেলা জাতীয় পার্টির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয় সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুব সংহতির সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান বদু সহ জাতীয় পার্টির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপিতে উল্লেখ্য কোটা সংস্কারের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে জাতীয় পর্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বাজেট অধিবেশনে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবী সমূহ মেনে নেওয়ার জন্য মহান জাতীয় সংসদে দাবী উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন। পরবর্তিতে জাতীয় পার্টি দলগতভাবে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রদান করে এবং ছাত্রদেরকে মুক্তিসেনা হিসেবে উল্লেখ করে। এছাড়া জাতীয় পার্টি রংপুর, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উক্ত আন্দোলনে সক্রীয় অংশগ্রহণ করে। বিগত সরকারের রোষানলে পড়ে আমাদের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিগত সরকার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করে।
    উপর্যুক্ত অবস্থায় জাতীয় পার্টি ছাত্র জনতার আন্দোলনে বিজয় অর্জন হলে ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানায়। আমরা লক্ষ্য করছি জাতীয় পার্টি উক্ত আন্দোলনের পক্ষে থাকলেও একটি মহল তাদের অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ওনার সহধর্মীনি ও পাটি প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের সহ অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা সমূহ প্রত্যাহার দাবী করছি। এসময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের সহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

  • সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসের সচেতনতামূলক নারী সমাবেশ

    সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসের সচেতনতামূলক নারী সমাবেশ

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ হলরুমে সোমবার সকাল ১০ টায় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে এ নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসুর সভাপতিত্বে নারী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদ্য যোগদানকতৃ জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানুল্লাহ আল হাদী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুন নাহার, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়েশা সিদ্দিকা, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ জাহারুল ইসলাম। শিক্ষার্থী প্রতিনিধির মধ্য হতে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া পারভীন। প্রধান অতিথির আলোচনায় সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা সহজিকরণ ও দূর্নীতিমুক্ত করাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। জনগনের সাথে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সুসম্পর্ক ও সেতুবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে। জেলা তথ্য অফিসের মোঃ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠন, সরকারি সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মানবপ্রচার প্রতিরোধ, গুজব প্রতিরোধ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যহার নিশ্চিতকরণ, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সৃষ্টি, ইভটিজিং, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, তথ্য অধিকার আইন, মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে বক্তাগণ বক্তব্য প্রদান করেন। সমাবেশে প্রায় তিনশতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।

  • অর্ন্তবর্তী সরকারের গৃহীত কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে -নান্টু

    অর্ন্তবর্তী সরকারের গৃহীত কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে -নান্টু

    বাম গণতান্ত্রিক জোটের আলোচনা সভায়
    অর্ন্তবর্তী সরকারের গৃহীত কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে -নান্টু

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকাল ১০ টায় ভ্যানগার্ড কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট, সাতক্ষীরা জেলা শাখার এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাম জোট আহ্বায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় সম্পাদক ম-লীর সদস্য কমরেড জনার্দন দত্ত নান্টু। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেএসডি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সুধাংশু শেখর সরকার, বাসদ (মার্কসবাদ) সদস্য কমরোড এড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, সিপিবি সভাপতি কমরোড মোঃ আবুল হোসেন, গণফোরাম সভাপতি আলী নূর খান বাবলু, বিশিষ্ট গণমাধ্যম কর্মী রঘুনাথ খাঁ, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টীর সম্পাদক মুনসুল আলী, বিশিষ্ট কবি ও লেখক গাজী শাহ্জাহান সিরাজ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
    এছাড়া আজকের আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে সভাকে সমৃদ্ধ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টীর সভাপতি এ.িিটএম রইফ উদ্দীন সরদার, বাসদ (মার্কসবাদ) নেতা অধ্যাপক প্রশান্ত রায়, উদীচী সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, সম্পাদক সুরেশ পা-ে, বাংলাদেশ জাসদ নেতা দিদারুল আলম হেলাল, সাম্যবাদী দলের কমরেড প্রকাশ চন্দ্র ম-ল, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম আহ্বায়ক তপতী মল্লিক, বাসদ জেলা সদস্য কমরেড আবু তালেব মোল্যা, বাসদ নেতা শীর্ষেন্দু মল্লিক, অঞ্জন সরকার প্রমূখ।
    উপস্থিত আলোচক বৃন্দ বিগত আওয়ামী সরকারের পেটোয়া পুলিশ কতৃক বিগত ২০২৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সংস্কারের মিছিল থেকে আটক করে বিশেষ ক্ষমা আইনে মামলা দেয়োর ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেন, বিগত সরকারের মতো এ সরকারও বহু হয়রানীমূলক মামলা করছে। যা আইনের শাসনের প্রতি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ঘতক-দালাল নির্মুল কমিটির শাহরিয়ার কবীরের ‘খুনী’র মামলায় গ্রেফতার ও রিমা- মঞ্জরের ঘটনার সমালোচনা করে তাঁর মুক্তিও দাবী করেন।
    মূখ্য আলোচক কমরেড জনার্দন দত্ত নান্টু বলেন, জুলাই-আগস্ট’২৪ ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্ট ফেসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন ও দেশ ত্যাগ পরবর্তী নোবেল বিজয়ী মোঃ ইউনূসের অর্ন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। অন্তর্র্বতী সরকারের গৃহীত কার্যক্রম ইতোমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তাই বাম গণতান্ত্রিক জোট দাবী করছে অবিলম্বে অন্তর্র্বতী সরকারেকে দেশ সংস্কারের রূপরেখা ও রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। খেলাপি ঋণ, দুর্নীতি ও পাচারের টাকা উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে।
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাসদ সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়ক কমরেড নিত্যানন্দ সরকার।