Blog

  • মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

    মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

     ‘বন্ধুকে স্বাগত জানাতে পেরে খুব খুশি’

    মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ঢাকায় তার পুরনো বন্ধুকে স্বাগত জানাতে পেরে তিনি খুব খুশি। বৈঠকে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব, ছাত্র ও জনগণের আত্মত্যাগ এবং বিগত সরকার কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা।

    প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তারা একই গাড়িতে চড়ে দ্বিপাক্ষিক ভেন্যুতে গিয়েছিল-তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের প্রকাশে।

    তার আগে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

  • ধুলিহরে  বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে জামায়াত নেতৃবৃন্দ 

    শহর প্রতিনিধি:সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহরে  বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করলেল জামায়াত নেতৃবৃন্দ । শুক্রবার(৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সদরের ৮নং ধূলিহর ইউনিয়নে তীব্র বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার আমির মাওলানা শাহাদাত হোসাইন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ আলী হাবিবি, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাস্টার হাবিবুর রহমান, নায়েবে আমির মাওলানা আজাদুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সবুর, সহকারি সেক্রেটারি প্রফেসর শহিদুর রহমান, ধুলিহর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর  আমির মাওলানা আব্দুস সালাম ইউনিয়ন যুব ইউনিটের  সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম সহ   উপজেলাও ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর  নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা। তারা ৮ নং ধুলিহর ইউনিয়নের ধুলিহর,সানাপাড়া, বালুইগাছা, তালতলা, গোবিন্দপুর সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় এলাকাবাসী দাবি করেন যে ধূলিহর সুপারিঘাটা গেট দিয়ে যদি পানি সেচ দেয়া যায় তাহলে পানি কিছুটা কমে যাবে।উপজেলা আমির তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে মেশিন বা মটর এর মাধ্যমে সেচ কাজ শুরু করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
  • বাংলাদেশ জাসদ বাসদ বিপ্লবী ওকার্সপার্টির উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ৪ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ,বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির যৌথ উদ্যোগে আলীপুর ইউনিয়নের নাথপাড়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দির ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন মন্দিরে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় বাংলাদেশ জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, বাসদ নেতা আবু তালেব মোল্লাহ,মার্কসবাদী নেতা এ্যাড খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুনসুর রহমান । নেতৃবৃন্দরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনদেরকে স্বস্ফূর্তভাবে উৎসব পালন করার দিক নির্দেশনা দেন।কোনোমতে কোনো প্রকারের উস্কানি ও পাতানো ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মন্দির কমিটির সেচ্ছাসেবকদেরকে সজাগ থাকার কথা বলেছেন।

  • মুসলিম নেতাদের যে ব্যতিক্রমী বার্তা দিলেন কমলা

    মুসলিম নেতাদের যে ব্যতিক্রমী বার্তা দিলেন কমলা

    কমলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দায়িত্ব থাকা প্রচারণার প্রতিনিধিদল মুসলিমদের সমর্থন ফিরে পেতে তৎপর রয়েছেন।  এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা বুধবার আমেরিকান মুসলিম ও আরব নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

    ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে এবং লেবাননের দক্ষিণ এবং কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকায় যেসব ভোটার ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাদের ডেমোক্র্যাটদের শিবিয়ে ফিরিয়ে আনতে চান কমলা হ্যারিস।

    ভাইস প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফিল গর্ডান ভার্চুয়াল বৈঠকে মুসলিম সম্প্রদায়ের  নেতাদের বলেন, ডেমোক্র্যাট (বাইডেন) প্রশাসন গাজায় যুদ্ধবিরতি, লেবাননে কূটনৈতিক সমাধান এবং ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সমর্থন করেন।

    একজন লেবানিজ-আমেরিকান অ্যাটর্নি এবং সম্প্রদায়ের নেতা আলি দাগের বলেন, ‘হ্যারিসের অফিস থেকে এমন প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট ছিল না। এটি খুব কম হয়েছে, খুব দেরি হয়ে গেছে।’ তবে দাগের নিজে বৈঠকে অংশ নেননি।

    ডেমোক্র্যাট নেতা কমলা নভেম্বরে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হবেন।

    খবর এনডিটিভির।

  • রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

    রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

    রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

    ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’

    বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।  পোস্টে, আওয়ামী লীগের বিচার ও দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তনসহ আরও বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

    এর আগে গেল ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর থেকেই প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে রদবদল চলছে।

  • আয়নাঘর: গুমের ঘটনায় ৪০০ অভিযোগ জমা

    আয়নাঘর: গুমের ঘটনায় ৪০০ অভিযোগ জমা

    গুম করে রাখা হতো আয়নাঘরে।

    গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরুর পর এ পর্যন্ত ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই), ডিবি ও সিটিটিসির বিরুদ্ধে।

    বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অনুসন্ধান কমিশনের সভাপতি ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক যারা গুম হয়েছেন তাদের অভিযোগগুলো নিয়েই আমরা কাজ করেছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদেরও আমরা ডাকব। বক্তব্যের জন্য সমন দেব। অভিযুক্তরা না আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র‍্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি ও সিটিটিসির বিরুদ্ধে। ২৫ সেপ্টেম্বর আমরা ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছি। ১ অক্টোবর আমরা ডিবি ও সিটিটিসি পরিদর্শন করেছি। তবে সেখানে কোনো বন্দী আমরা পাইনি। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর সেখানে থেকে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

    এর আগে ২৭ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে সরকার। কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের হাতে জোর করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

  • বাতিল হচ্ছে  সাইবার নিরাপত্তা আইন

    বাতিল হচ্ছে  সাইবার নিরাপত্তা আইন 

    আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

    সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে বলে বিশিষ্টজনদের আশ্বস্ত করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

    বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

  • শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর বিএনপির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর)বিকালে শহরের টাইগার প্লাস কনফারেন্স রুমে পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীন’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সহ সমন্বক শেখ তারিকুল হাসান।
    পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু’র সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক দলের সভাপতি আহসান কাদীর স্বপ্ন,
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি গৌরদত্ত, সাতক্ষীরা পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রামপদ দাশ, সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার শানা,সহ পৌর বিএনপি ও পূজা মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
    মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেখ তারিকুল হাসান বলেন, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন- ধর্ম যার যার দেশ সবার-ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার। সাতক্ষীরা একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্বল দৃষ্টান্তের অন্যতম জনপদ। আমরা হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই।  হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নয়, তারা এদেশের নাগরিক।  আমাদের হিন্দু ভাইদের উপর কেউ আঘাত হানলে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। সাতক্ষীরা পৌরসভার মানুষের দীর্ঘদিনের সম্প্রীতি বরাবরের মতো অটুট থাকবে। এই বার সাতক্ষীরা পৌরসভায় ভিতরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে নির্ভিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে হবে সবার। আপনারা নির্বিঘ্নে ধর্মীয় উৎসব পালন করুন।
    তিনি আরো বলেন,গুজবে কান দিবেন না, আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাবেন। সর্বোপরি শারদীয় দুর্গাপূজাকে সুন্দরভাবে উদযাপন করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
    এ সময় পৌর বিএনপির  আহবায়ক শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহিন বলেন, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৮টি পূজা মন্ডপের পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণ যৌথভাবে পৌর
    বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।
  • আশাশুনি জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ। যেখানে
    ক্রমবর্ধমান হারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। আর সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধ ভাঙন, অধিক বৃষ্টিপাত,
    অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, খরা ও লবনাক্ততা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিত্যদিনের সঙ্গী। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের
    সংকটকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং উপকূলের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে
    আশাশুনি উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম গঠন করা হয় এবং যার কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।
    আজ ০৩ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের সহযোগিতায়
    আশাশুনি জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের আয়োজনে লিডার্সের আশাশুনি উপজেলা কার্যালয়ে ফোরামের
    অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুল
    হান্নানের সভাপতিত্বে উক্ত অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য তুলে ধরেন ফোরামের
    সদস্য জনাব বিমল কৃষ্ণ মণ্ডল, বনমালী দাস, রতন অধিকারী, অজয় মণ্ডল, মনিরুল ইসলাম, মোহন্ত কুমার
    হালদার, আকাশ হোসেন, আসলাম লিংকন, মিনতি রানী রায়,কল্যানী সরকার সহ আরো অনেকে। সভায় আরো
    উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের প্রকল্প সমন্বয়কারী গৌতম কুমার ঘোষ, রনজিত কুমার মন্ডল, প্রোজেক্ট
    অফিসার রওনক আরা এবং লিডার্সের অ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক। সভায় জলবায়ু পরিবর্তন
    শীর্ষক কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা হয়।
    সভার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুল হান্নান তার বক্তব্যে বলেন যে, লিডার্স জলবায়ু
    নিয়ে ব্যাপক পরিসরে কাজ করছে। তারা স্থানীয় পর্যায়ে, জাতীয় পর্যায়ে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে
    উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুর প্রভাব কতটা সংকট সৃষ্টি করছে তা সার্বিকভাবে তুলে ধরছে। তিনি আরো বলেন
    জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরাই উপকূলের মানুষ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তার মতে সৃষ্টিকর্তা
    এই পৃথিবীতে আমাদের মানুষ তথা সৃষ্টির পাশে দাঁড়ানোর জন্য পাঠিয়েছে। তাই আমাদের সৃষ্টি অর্থাৎ
    জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেক মতের মানুষ থাকবে। কিন্তু বহু মতের
    মধ্যেও যেন ঐক্য থাকে। তিনি তার বক্তব্যে আমাদের সবাইকে বৃহৎ স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থ
    ত্যাগ করে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানান।
    উক্ত সভায় জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাবে উপকূলের সংকটে করনীয় নিয়ে সকলে মতামত ব্যক্ত করেন।
    আগামী ছয় মাসে উক্ত ফোরামের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উক্ত পরিকল্পনা উপকূলের মানুষের
    অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে ফোরামের প্রত্যাশা।

  • তালায় শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে প্রতি পূজা মন্ডপের অনুকুলে সরকারী সহায়তা প্রদান

    তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার তালায় শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে প্রতিটি পূজা মন্ডপের অনুকুলে সরকারী অনুদান বিতরণ ও আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ১৯৬ টি পূজা মন্ডপের অনুকুলে ৫০০ চাল প্রদান করা হয়।
    বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় তালা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    তালা উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মজুমদার এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন।
    বক্তব্য রাখেন, তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম, পাটকেলঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি হাফিজুর রহমান, উপজেলা বিএনপি’র সারধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, তালা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমির মাওঃ শফিদুল্লাহ, আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা শিরিনা খাতুন, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লাল্টু, মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গনেষ দেবনাথ, খলিসখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাবির হোসেন প্রমুখ।
    এসময় তালা উপজেলার ১৯৬ টি পূজা মন্ডপের মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
    অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জলাবদ্ধতার কারণে পূজায় চলাফেরা করতে সমস্যা হতে পারে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুব কঠোর থাকবে। শারদীয় দূর্গোৎসব যাতে সকলে মিলে ভালো ভাবে করা যায় সে জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এ কাজে সহযোগীতা করবেন।

  • সুপ্রিম কোর্টের আদেশ কার্যকর ও দেবহাটার ভূমিহীনদের জীবনের নিরাপত্তাসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ভূমিহীনদের বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ

    মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা জারির আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খলিষাখালির ১৩১৮ বিঘা লাওয়ারিশ সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা, সেখানে বসবাসরত ভূমিহীনদের উপর দফায় দফায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি ও বোমা সন্ত্রাস চালিয়ে নির্যাতন ও আট শতাধিক ঘর ভূমিহীনদের উচ্ছেদের চেষ্টা ঘটনায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে খলিষাখালি ভূমিহীন আবাসন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
    স্মারকলিপিতে খলিষাখালি ভূমিহীন আবাসন কেন্দ্রের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে, ১৯৫৫ সালে দেবহাটার চ-ীচরণ ঘোষ ও তাদের ওয়ারেশদের ফেলে যাওয়া এক হাজার ৩১৮ বিঘা জমি জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে দেবহাটার শিমুলিয়ার সুরুজ কাজী, আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম, সখীপুরের আব্দুল আজিজ, আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তা ইকবাল মাসুদসহ শতাধিক ব্যক্তি ভোগ দখল করে আসছিলো। ওই জমি সরকারি খাস জমি হিসেবে গণ্য করার জন্য দেবহাটার মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলী ২০১০ সালে আদালতে মামলা করেন। ২০১২ সালে ওই জমি লাওয়ারিশ জমি হিসেবে আদালত রায় দেয়। জমির মালিক দাবিদাররা নিম্ন আদালতের রায় এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২১ সালে নি¤œ আদালতের রায় বহাল রাখেন। এরপর ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সাপমারা খালের দুই পাশ থেকে উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীনসহ বিভিন্ন এলাকার আট শতাধিক ভূমিহীন পরিবারে সেখানে খুপড়ি খুপড়ি ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করে। এ ঘটনায় স্বত্বহীন জমির মালিকরা ভূমিহীনদের নামে ১৯টি মিথ্যা মামলা করে। ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া শুরু করলে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি স্থানীয় ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। আদালত উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেন। স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২১ সালের তৎকালিন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানকে ম্যানেজ করে ওই সব ভূমিদস্যুরা খলিষাখালিতে বসবাসরত ৭৮৫টি ভূমিহীন পরিবারের ঘর জ্বালিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা করে। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি স্বত্বহীন জমির মালিকদের সিভিল রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি ওই জমি লাওয়ারিশ হিসেবে গণ্য করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খাস করার জন্য পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপরও ওইসব স্বত্বহীন জমির মালিকরা সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আরিজুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম (মাছ), নওয়াপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবুসহ কয়েকজনের কাছে লিজ দেওয়ার নামে দলভারি করে লুটপাট করে খাচ্ছেন। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য তালার মাছিহারার রুহুল আমিনের ছেলে পাখরা হালিম, চিংড়িখালির শহীদুল, রবিউল (বুল্লা), কাশিবাটি ও ইন্দ্রনগরের সেকেন্দার, শওকত, মুর্শিদ, শাহীনুর, চালতেতলার নূর আলী, নূর আলীর ভাই আদর আলী, সদরের এল্লার চরের সেন্টুর ছেলে আব্বাস, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য কৃষ্ণনগরের ইয়ার আলী, বাহার আলী, জহুর আলীসহ কমপক্ষে শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বন্দুক, সটগান, পিস্তল ও বোমা নিয়ে গত ১৪ আগষ্ট ও ২৩ আগষ্ট খলিষাখালিতে দু’ দফা হামলা চালায়। এতে আল আমিন ও মনিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। সাইফুল ইসলামসহ কমপক্ষে ২০ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়।নোড়ার চকের বৃদ্ধ আবুল হোসেনের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শেষে দুই হাত ভেঙে দিয়ে তাকেসহ খলিষাখালি চরপাটার আইয়ুব আলীর ছেলে রবিউল, হামিজউদ্দিনের ছেলে জব্বার, আনিসুরের ছেলে আবু সাঈদকে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যান আরিজুলের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলাকারিাদের ভয়ে নির্যাতিতদের কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পারলেও পুলিশকে ম্যানেজ করে হামলাকারিরা ভূমিহীনদের নামে তিনটি মামলা করেছে। বর্তামানে শতাধিক ভূমিহীন পরিবার বাড়ি ছাড়া। এরপর ও আইডিয়ালের নজরুলসহ কয়েকজন গত বুধবার আইডিয়াল কার্যালয়ে কয়েকজন সাংবাদিক ডেকে সংবাদ সস্মেলন করে ওই জমি তাদের মাইলকানাধীন দাবি করে বিএনপি নেতা নলতা ইউপি চেয়ারম্যানকে ৭০০ বিঘাসহ বাকী জমি আনারুল ইসলা (মাছ) ও মিলন বাবুর কাছে লীজ দিয়েছেন দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। স্মারকলিপিতে সুপ্রিম কোর্টের চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারির আদেশ দ্রুত বাস্তাবায়নসহ ভূমিহীনদের জীবনের নিরাপত্তা ও হামলাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ ও পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে ঘটনার তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

  • কলারোয়ায় মাহফুজাকে ধর্ষণের বিচার শেখ হাসিনা করেননি, অথচ বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে মিথ্যা মামলায় ৭০ বছরের সাঁজা দিয়েছেন -হাবিব 

     সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক এমপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন,‘‘ যে মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনায় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন, সেই মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনার বিচার তিনি করেননি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে ৭০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন। কিন্তু ওই দিন আমাকে সাতক্ষীরাতেই ছিলাম না। ঢাকায় ছিলাম। ’’ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরীতে সাংবাদিক কেন্দ্র আয়োজিত ‘ দায় যার জবাব তার’ শীর্ষক টক শোতে তিনি এ আশ^াস দেন। সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ সাতক্ষীরায় মৎস্যজীবী দলের নেতা,সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আমানুল্লাহ আমান হত্যার ঘটনায় আমি বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। একই সাথে রাজনৈতিক কোনো মামলায় সাংবাদিকদের না জড়ানোর বিষয়ে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ’’ তিনি বলেন, ‘‘ শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় করা মিথ্যা মামলায় আমাকে ৭০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছিলেন বিচারক বিশ^নাথ মন্ডল,সেই বিচারক ঢাকায় সম্প্রতি বিচারকদের সভায় বক্তব্য দিয়েছেন। আমি বিষয়টি আইন উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। ’’ তিনি আরও বলেন, ২০০০ সালে কলারোয়ায় এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে অত্যাধিক ভিড়ের কারণে ৬জন পরীক্ষার্থী পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়। নিহতদের পরিবারকে সান্তনা দিতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া কলারোয়ায় আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাকে কলারোয়ায় ঢুকতে দেয়নি। ২০০২ সালে কলারোয়ায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে,এমন অভিযোগ তোলা হয়। তাকে দেখতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। পরে যশোরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে তিনি নির্বিঘেœ কলারোয়া পার হন। তবে কলারোয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমানসহ কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে সামান্য কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সে সময় তিনি (হাবিব) ঢাকাতে থাকা সত্বেও তাকে বিনা কারণে ৭০ বছরের সাঁজা দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিল সেনা সমর্থিত সরকারের পাতানো নির্বাচন। খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে পূর্বপরিকল্পিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনে সেনাসমর্থিত সরকার। অপর একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ^াসী। বিএনপির কোন নেতা-কর্মী অপরাজনীতির সাথে জড়িত হলে তার ছাড় নেই । জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বিএনপির দেওয়া ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে উদার ও কল্যাণমুলক রাস্ট্র গঠনের সমস্ত উপাদান রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সাতক্ষীরার উন্নয়নের বিষয়ে তার ভাবনার বিষয়ে হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন.সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র,জলাবদ্ধতা নিরসন,বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ টেকসই উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হবে। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্র টকের সমন্বয়ক এসএম বিপ্লব হোসেন ও সমন্বয়ক রিজাউল করিমসহ সাতক্ষীরায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
  • জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

     জলাবদ্ধতা থেকে চিরতরে মুক্তির দাবিতে পুরাতন সাতক্ষীরা সরদার বাড়ির সম্মুখ হতে কলোনী মাদ্রাসা সম্মুখ পর্যন্ত জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার প্রেসক্লাবের সামনে  দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধনে শতশত ছাত্র-ছাত্রী ,শিক্ষক ও বৃদ্ধরা অংশগ্রহণ করেন।মাদ্রাসাতুল মদিনা আল আমিন এর মুহতামিম সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল  মুফতি আখতারুজ্জামান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ মোখলেসুর রহমান,আরিফবিল্লাহ ও আরো অনেকে।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ”আমরা বহু বছর ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। প্রতি বছর ঝড়-বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে জীবন ধারন করে চলেছি। প্রতি বছর বর্ষার পানিতে আমাদের ঘরবাড়ি, পুকুর, গাছাগাছালি, ক্ষেতের সবজি, মৎস্য ঘেরসহ ধান্য ফসলের ক্ষতি সাধন হয়। প্রসূতি নারী বা অসুস্থ্য ব্যক্তিকে কোন জরুরী চিকিৎসা সেবাই নিয়ে যাওয়া খুবি কষ্টকর। বর্তমানে আমাদের ওয়ার্ডটি পানিতে তলিয়ে আছে। আমরা খুবি মানবেতার জীবন যাপন করছি।প্রতি বছর বর্ষার পানিতে আমাদের ঘরবাড়ি, পুকুর, গাছাগাছালি, ক্ষেতের সবজি, মৎস্য ঘেরসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি সাধন হয়।ঘরবাড়ি থেকে বের হওয়ার পরিস্থিতি নেই।বৃষ্টির পানি ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেছে। আমরা যে ঘরে ঘুমায় সেখানে হাঁটু পানি। রান্নার ঘর এমনকি গোয়াল ঘরও ডুবে গেছে। ঘরের ভেতরে সাপ প্রবেশ করছে। আমরা রান্নাও করতে পারছিনা। এমনকি ল্যাট্রিন গুলোও ডুবে গেছে।বৃৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।তারা আরও বলেন, কয়েকজন প্রভাবশালী ঘের মালিক এই জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। তারা ঘের করার জন্য বাঁধ দিয়েছে ফলে এই পানি বের হবার কোন সুযোগ নেই। প্রতিবছর আমরা ডুবে মরলেও এ ব্যাপারে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আমরা এই জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ীভাবে পরিত্রাণ চাই। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
  • আশাশুনিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে গ্রাম পুলিশদের সাথে ওসির ব্রিফিং

    আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে গ্রাম পুলিশদের সাথে আশাশুনি থানার ওসির ব্রিফিং। (২ অক্টোবর) বুধবার দুপুরে থানা চত্বরে এব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এসময় থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, সকলেই শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের সম্প্রীতির যে সুনিপুণ মেলবন্ধন তা অধিকতর তরান্বিত করতে এবং আশাশুনি উপজেলায় সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে সকলে সম্মিলিতভাবে পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কঠোর নির্দেশনা দেন। যদি কেউ সামাজিক সম্প্রীতি জনশৃঙ্খলা ও টেকসই শান্তি, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচিন্তা করে থাকে তবে তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বরং আগের চেয়ে অধিককতর কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, পূজামণ্ডপ সংশ্লিষ্ট পুজা উদযাপন কমিটির সম্মানিত নেত্রীবৃন্দের সাথে সবাইকে সমন্বয় করে চলতে হবে। এসময় থানার এস আই, এএস আই সহ অফিসার বৃন্দ ও উপজেলার গ্রাম পুলিশবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • আশাশুনিতে ফ্রান্সিস জেভিয়ার চার্চের ফাদার ও নাইট গার্ডের উপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ 

    আশাশুনি উপজেলার খ্রীষ্টান ধর্মীয়দের প্রধান চার্চ সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার চার্চের ফাদার ও নাইট গার্ডের উপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইউনিয়নের বড়দল খ্রিস্টান পাড়ায়। সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে খ্রিষ্টান পাড়ার সিং গোষ্টি ও আচারী গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতার সৃষ্টি হয়ে আসছে। এরই জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া ও মারামারি লেগেই আছে। বড়দল গ্রামের মৃত মনো সিংয়ের পুত্র যোয়াকিম সিং ১৭ বছর যাবত সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার চার্চের নাইট গার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে পূর্ব শত্রু তার জের ধরে মৃত গনি আচারীর ছেলে শিলবানু আচারী, জোহন আচারীর ছেলে জয় আচারী, মৃত ছহিল উদ্দিন আচারীর ছেলে যাকব আচারী, টিটু আচারী, মৃত ওলিল মন্ডলের ছেলে ইমোন মন্ডল, মৃত গনেশ মন্ডলের ছেলে খোকন মন্ডল সহ আচারী গোষ্ঠীর আরোও অনেকেই দলবেঁধে নাইট গার্ড যোয়াকিম সিং এর অপসারণের দাবিতে চার্চের ভিতরে ঢুকে গেটে থাকা নাইট গার্ড যোয়াকিম সিং এর উপর হামলা ও বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ফাদার (পালক পুরোহিত) বাবুল বৈরাগী কক্ষের দিকে গিয়ে নাইট গার্ডের অপসারণের দাবি জানাতে গেলে রাতে তিনি তাদের সাথে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় এবং পরদিন সকালে আসার কথা বলায় ফাদারকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়।আচারী গোষ্ঠী পরদিন সকালে চার্চে আসলে আয়া স্বরসতী মন্ডল, বাবুর্চি বিনতি মন্ডল ও গিলবার্ট রায় তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তাদেরকে মারপিট করে চার্চ থেকে বের করে দেয়। চার্চের নাইটগার্ড যোয়াকিম সিং ও তার ভাই আলবিনো সিং জানান, আমরা সিং গোষ্টি সংখ্যায় কম হওয়ায় আচারী গোষ্ঠী আমাদের উপর বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্র ও এক ঘুরে করে দেওয়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী গোষ্ঠী।
    এ বিষয়ে ফাদার (পালক পুরোহিত) বাবুল বৈরাগী জানান, নাইট গার্ডের অপসারনের দাবি জানাইলে আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্তের কথা জানাই। এঘটনায় আশাশুনিতে দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার নাহিদুল ইসলাম খান ও আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম পৃথক পৃথকভাবে চার্চ পরিদর্শন করেছেন।
  • সাতক্ষীরায় ৯ম ও ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন 

    সাতক্ষীরায় বৈশম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ এর পক্ষ থেকে ৯ম, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২ অক্টোবর বিকাল ৪.৩০ মিনিট সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিহারিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হাসনাত, মাধবকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার, খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, চৌবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান, উত্তর তলুইগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সোহেল হক, পলাশপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ,হ,ম মোস্তফা জামান। মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে “শতভাগ পদোন্নতি সহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে “প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ” এর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়েব আহমেদ এর মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত স্বারকলিপি তুলে দেন।
  • প্রগতির আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস পালিত

    প্রগতির সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আজ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রগতির সভাপতি প্রবীর শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শাহানা হামিদ। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রগতির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, শিক্ষক সাংবাদিক রনজিৎ বর্মন, এডভোকেট মুনসুর রহমান, ডাঃ আব্দুস সালাম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মন্ডল, আব্দুল্লাহ আল বাকি, উন্নয়ন কর্মি আব্দুল হান্নান, তৃষ্ণা মন্ডল, রেহেনা খাতুন প্রমুখ।
    সভায় বক্তাগন প্রবীণদের মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ ও প্রবীণদের মেধা কাজে লাগানো জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

  • সাতক্ষীরার টিটিসি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে
    মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বেলা
    সাড়ে ১১টায় এলাকাবাসীর আয়োজনে সাতক্ষীরা
    টিটিসির সামনে এ মানববন্ধন হয়। এতে সভাপতিত্ব
    করেন ইউসুফ আল আজাদী। বক্তব্য রাখেন ডা. রতন দাশ, মো.
    মফিজুর রহমান, কামাল হোসেন, মো. মাসুদ হোসেন,
    ডা. মহিবুল্লাহ, আব্দুর রশিদ প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ
    করেন, কে এম মিজানুর রহমান ১০ম গ্রেডে যোগদান করে
    দীর্ঘ ৪ বছর ধরে অধ্যক্ষের পদ দখল করে রেখেছেন এবং
    টিটিসিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। তার
    বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগে বাণিজ্য,
    এবং বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তার
    সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন আরিফুল ইসলাম,
    সাবেক জব প্রেসমেন্ট অফিসার। বক্তারা অবিলম্বে অধ্যক্ষের
    অপসারণ দাবি করেন, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন।