Blog

  • বিজিবি’র পৃথক অভিযানে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরা সীমান্তে চারজন বাংলাদেশী ও তিনটি গরু আটক

    বিজিবি’র পৃথক অভিযানে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরা সীমান্তে চারজন বাংলাদেশী ও তিনটি গরু আটক

    বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে
    অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় চারজন বাংলাদেশীকে সাতক্ষীরার
    কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙা সীমান্ত থেকে আটক করেছে
    বিজিবি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কাকডাঙা
    সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়। একই সময়ে কলারোয়া
    উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া সীমান্ত থেকে ভারত থেকে অবৈধপথে নিয়ে
    আসা তিনটি গরু আটক করে।
    আটককৃতরা হলেন, বরিশাল জেলা সদরের কোতয়ালী থানার
    চরগোপালপুর গ্রামের মো: সাইফুল মুন্সি(৩৫) ও তার স্ত্রী আখি
    আক্তার (২৭), নেত্রকোনা জেলার সদরের সর্বদীঘিয়া গ্রামের লাকী
    আক্তার(২৫) ও চুয়াডাঙা জেলা সদরের জীবননগর গ্রামের পাপিয়া
    খাতুন(২৪)।
    বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: আশরাফুল
    হক বৃহষ্পতিবার দুপুর দুটোর দিকে তার কার্যালয়ে এক প্রেস
    বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাকডাঙা
    ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা খবর পান যে অবৈধপথে কয়েকজন
    বাংলঅদেশী ভারতে ঢুকবে। সে অনুযায়ি তারা বৃহষ্পতিবার
    কাকডাঙা সীমান্তের ১৩/৩ নম্বর সীমানা পিলারের নিকটে অবস্থান
    নেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদেরকে ১৩/৩ নাম্বার মেইন
    পিলারের কাছ থেকে ওই চারজন বাংলাদেশীকে আটক করা হয়। এ
    সময় পাচারকারিরা পালিয়ে যায়। প্রায় একই সময়ে ভারত থেকে
    চাঁন্দুড়িয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময়
    তিনটি গরু আটক করা হয়।আটককৃতদের কলারোয়া থানায়
    সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃত গরু কাস্টমস এ জমা দেওয়া
    হয়েছে।
    কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, অবৈধপথে
    ভারতে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে বিজিবি’র পক্ষ থেকে
    বৃহষ্পতিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে
    আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • বন্যার্তদের আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে কানাডায় চার ব্যান্ডের কনসার্ট

    বন্যার্তদের আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে কানাডায় চার ব্যান্ডের কনসার্ট

    গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ও উজানের বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অসহায় মানুষদের সাহায্যার্থে ও পুনর্বাসন সহায়তার লক্ষ্যে কানাডার অটোয়াভিত্তিক জনপ্রিয় চারটি ব্যান্ড এক সঙ্গে মঞ্চ মাতালেন। এ সহায়তার লক্ষ্যে তারা কানাডাস্থ অটোয়ার আলগনকুইন কমন্স থিয়েটারে শনিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় “অপার্থিবের আবছা নীল কণা –লাইভ” শীর্ষক এক কনসার্টের আয়োজন করে। এতে কানাডিয়ান অটোয়াভিত্তিক ব্যান্ড অপার্থিব, বিদ্রোহী, গহীন ও ম্যান অন বাইক অংশ নেয়।কনসার্ট থেকে উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের দাতা সহায়তা সংস্থা অংকুর ইন্টারন্যাশনাল  বিতরণ করবে। কনসার্টের সহযোগী হিসেবে ছিল মিউজিশিয়ানদের স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’।

    মিউজিশিয়ানদের স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এ কনসার্টের মত আরও বেশ কয়েকটি কনসার্টের আয়োজন করা হয় ইতিপূর্বে । কনসার্ট ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলেও তারা জানান।

    এ কনসার্টের মূল উদ্যোক্তা বাংলা সিম্ফোনিক মেটাল ব্যান্ড অপার্থিবের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকালিস্ট সালেহিন চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান কনসার্টের উপার্জিত আয়ের একটি অংশ ওই এলাকার সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসার জন্যও ব্যায় করা হবে।

    তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা সঙ্গীতের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও সহায়তার হাত বৃদ্ধি করতে চাই।

    তিনি জানান, কনসার্টে এ ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম “আবছা নীল কণা” উন্মোচনও করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সকল ভেন্যু এবং টেকনিক্যাল খরচ বহন করেছে প্রিন্স মর্টগেজ টিম ডমিনিয়ন লেন্ডিং সেন্টারস ন্যাশনাল।

    এ সময় অপার্থিব তাদের জনপ্রিয় গান “বাঙাল,” “রূপকথা,” “সাগরের প্রণয়,” “তুমি নেই,” এবং “যোদ্ধা” সহ তাদের সম্পূর্ণ অ্যালবামের গান পরিবেশন করে বলেও তিনি জানান।

    তাদের গভীর লিরিক, মেটাল রিদম, অর্কেস্ট্রা আর কোয়ের-এর মিশ্রণ দর্শকদের পুরো কনসার্টের সময় জুড়ে সুরের জগতে নিয়ে যেতে পেড়েছিল বলে ব্যান্ডের সদস্যরা দাবি করেন।

  • সরকারি হিসাবে ডিমের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ৩০ শতাংশ বেশি

    সরকারি হিসাবে দেশে বছরে ডিমের উৎপাদন হয় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৯৭ লাখ পিস। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ৮০৯ কোটি ৬০ লাখ পিস। এ হিসাবে চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত থাকছে ৩০ শতাংশ। অথচ ব্যবসায়ীরা উৎপাদনের সংকট দেখিয়ে প্রতিদিনই বাড়াচ্ছেন ডিমের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। খোলাবাজারে এখন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।

    প্রান্তিক খামারিদের অভিযোগ, দেশের পোলট্রি পণ্যের বাজারের সিংহভাগই বড় কয়েকটি কোম্পানির দখলে। তারাই মূলত বাজারের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করছে। অথচ বেশি দামে ডিম বিক্রি হলেও প্রান্তিক খামারিরা পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য। 

    রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল ফার্মের ডিমের হালি বিক্রি হয় ৫৮-৬০ টাকা করে। যদিও সরকার নির্ধারিত দামে নিত্যপণ্যটি সর্বোচ্চ দাম হওয়ার কথা ৪৮ টাকা। গত সপ্তাহেও এসব ডিমের হালি ছিল ৫৫ টাকা করে

    বিশ্লেষকরা বলছেন, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও দাম বাড়ছে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেয়া গেলে দাম কমিয়ে আনা সম্ভব। আবার সবজি, মাছ ও মাংসের দাম বাড়ার প্রভাব ডিমের ওপর পড়েছে বলেও মনে করেন তারা। মৌসুমগত কারণেই এখন ডিমের চাহিদা বেশি। আর এ সুযোগে ছয়-সাতবার হাতবদল হওয়ায় উত্তপ্ত হচ্ছে ডিমের বাজার।

    কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সরকার চুপ থাকায় ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে বাজার অস্থির করছেন। নতুন সরকারের প্রথম দুই সপ্তাহে অবশ্য দাম বাড়েনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাজারে কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দাম বাড়তে থাকে।’

    দেশে বর্তমানে দৈনিক সাড়ে চার কোটি ডিমের চাহিদা থাকলেও চার কোটি পিস উৎপাদন হচ্ছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। অথচ সরকারি হিসাবে উৎপাদন হচ্ছে চাহিদার চেয়েও বেশি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ডিমের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৮০৯ কোটি ৬০ লাখ পিস। বিপরীতে উৎপাদিত হয় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৯৭ লাখ। উদ্বৃত্ত থাকে ৫৬৫ কোটি ৩৭ লাখ পিস ডিম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাহিদা ছিল ১ হাজার ৮০৬ কোটি ৪৮ লাখ, উৎপাদিত হয়েছে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি ৬৩ লাখ পিস। সে হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ৫৩১ কোটি ১৫ লাখ পিস।

    এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) উদ্বৃত্ত থাকে ৫৭৬ কোটি ৬৭ লাখ পিস, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৯১ কোটি ৭২ লাখ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে উদ্বৃত্ত ছিল ৩ কোটি ৭৯ লাখ পিস ডিম। অর্থাৎ কয়েক বছর ধরেই চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদন বেশি।

    চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদন হলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণেই দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন প্রান্তিক খামারিরা। এক্ষেত্রে বড় কয়েকটি গ্রুপের দায় দেখছেন তারা। পাশাপাশি তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি থেকে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘দিনে চার কোটি ডিমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় সাড়ে চার কোটি পিস। কিন্তু বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করছে। তেজগাঁও ডিম সমিতি মেসেজের মাধ্যমে সারা দেশে দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। মুরগির ফিড ও একদিনের মুরগির দামও নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। ফলে ডিমের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। তাই ডিমের দাম কমাতে হলে সবার আগে এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’

    ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আমান উল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের তেজগাঁও থেকে দিনে মাত্র ১৪-১৫ লাখ ডিম সরবরাহ করা হয়। কাজেই এখান থেকে দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই। আমরা মেসেজের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করি না। কেউ এমনটা করে থাকলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।’

    দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘এখন বৃষ্টির সময়, এ সময় ডিমের চাহিদা এমনিতেই বেশি থাকে। অন্যদিকে টানা বৃষ্টির কারণে অনেকে ফার্ম থেকে ডিম সরবরাহ করতে পারেননি। তবে আগামী দু-এক মাসে বাজারে শীতের সবজি এলে ডিমের দাম কমে আসবে।’

    চাহিদার তুলনায় গত কয়েক অর্থবছরে বেশি উৎপাদন হওয়ার পরও দিন দিন বেড়েছে ডিমের দাম। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক খুচরা বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের বাজারে ডিম বিক্রি হয়েছে ২৭ থেকে ৩০ টাকা হালি। ২০২২ সালের মে মাসে এসে হালিপ্রতি দাম দাঁড়ায় ৩৭ থেকে ৪২ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বরের বাজারমূল্যের তালিকায় দেখা যায়, প্রতি হালি ডিম ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।

    গত বছরের মে মাসের বাজারমূল্যে দেখা যায়, হালিপ্রতি ডিমের বাজারদর বাড়ে আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ওই সময় বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছিল ৪৭ থেকে ৫০ টাকা দরে। আর অক্টোবরে গিয়ে এ দাম আরো বেড়ে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় গিয়ে ঠেকে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। বর্তমানে ফার্মের ডিমের হালি ৬০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

    চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও দাম নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার পেছনে বাজার ব্যবস্থাপনার বড় সমস্যা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মনিটরিং জোরদারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বাপন দে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রতি পিস ডিমে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩-৪ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। কারণ বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক না। ছয়-সাতবার ডিম হাতবদল হচ্ছে। আর প্রতিজনই লাভ নিচ্ছেন। ফলে উৎপাদনকারী কম লাভ পাচ্ছেন, কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাজার মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন। তবে মাছ-মাংস ও সবজির দাম বাড়ার প্রভাবও কিছুটা পড়েছে ডিমের ওপর। আর চাহিদা বাড়লে ব্যবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতাও বেড়ে যায়।’

    ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে বন্যাকে সামনে আনছেন ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক এ বন্যা নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বন্যায় দেশে ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে মোট ক্ষতির মধ্যে পোলট্রি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল মাত্র ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকরাও বলছেন, বন্যায় পোলট্রি খাতের কিছুটা ক্ষতি হলেও তা সারা দেশে প্রভাব ফেলার মতো ছিল না।

    ডিমের বাজার অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার পেছনে কাজী ফার্মস পোলট্রি ফিড অ্যান্ড হ্যাচারিসহ বড় কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয় বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। কিন্তু করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে দায়ী করা হয় ‘ভুল’ সরকারি পরিসংখ্যান এবং সরবরাহ সংকটকে। এ বিষয়ে কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ডিম নিয়ে সরকারি হিসাব সম্পূর্ণ ভুল। সরকারি সংস্থা বা সরকার যখন উৎপাদন দেখায় তখন সবসময় বেশি বেশি দেখায়। পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও দেখা যায় উৎপাদন বেশি, তার পরও দেখা যায় দেশে নেই বলে আমদানি করতে হয়। তখন বলা হয়, পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে ডিমের দৈনিক উৎপাদন সাড়ে তিন কোটির মতো। সারা দেশে একসময় দৈনিক সাড়ে পাঁচ কোটির মতো উৎপাদন হয়েছে। সেটা দিয়ে আমাদের চাহিদা মেটানো গেছে। প্রায় পাঁচ কোটি সবসময়ই উৎপাদন হতো, কিন্তু এখন এটা সাড়ে তিন কোটি। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।’

    সরবরাহ সংকটের কোনো খবর অবশ্য সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে নেই। সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ থেকে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তখনো সংস্থাটির কাছে দেশে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদন বেশি থাকার তথ্য ছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

    বাজারে ডিমের যৌক্তিক দর নির্ধারণের কাজটি সম্পাদন করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে করি না। চাহিদা ও সরবরাহের তথ্য নিয়েই আমরা দাম নির্ধারণ করেছি। তবে দাম কেন মানা হচ্ছে না তা জানার জন্য মঙ্গলবার (আজ) আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব। এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিশেষ যৌথ টিম গঠন করা হয়েছে, যেখানে ভোক্তা অধিকার ও আমাদের লোকজনও থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বাজারে তারা মনিটরিংয়ের কাজ করবে।’

    বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমে ইলিশের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এখন ডিমের বাজারও বেসামাল। একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম আমিষ থাকে। যার বাজারমূল্য গতকাল ছিল ১৪-১৫ টাকা। ফলে সাধারণ মানুষের আমিষের জোগানেও টান লেগেছে।

    এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।

  • পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

    পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জন জে. হপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই. হিন্টন। হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের এবং হিন্টন ব্রিটিশ-কানাডীয় নাগরিক

    রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জানিয়েছে যে, কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিংকে সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে মৌলিক আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনের জন্য ২০২৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে জন জে. হপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই. হিন্টনকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা 

    সাতক্ষীরায় ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা 

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ৫১ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও (শিক্ষাও আইসিটি) বিষ্ণুপদ পালের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল খায়ের, সহকারি কমিশনার (শিক্ষাও আইসিটি) মো. তাজুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনিছুর রহমান, সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মুফতি আক্তারুজ্জামান, রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুর রহমান খোকন, আব্দুল করিম বালিকা বিদ্যালয় এর সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুর রহমান উল্লাস, পলাশপোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোমিনুল ইসলাম, খেজুরডাঙ্গা আর কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম, আব্দুল করিম বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আল আমিন, পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক জাহিদ হাসান প্রমুখ।
    সাতক্ষীরায় ১৫ ও ১৬ অক্টোবর দু’দিনব্যাপী ৫১তম সমকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

  • সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    মশাল ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপি সংসদ সদস্য নিতেশ নারায়ণ কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার বেলা ১১.৩০ মিনিটে মাদ্রাসা চত্বর থেকে শুরু হয়ে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড়ে এসে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশটি শেষ হয়।প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুহাঃ আখতারুজ্জামান। প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষকদের থেকে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার দ্বিতীয়  মুহাদ্দিস মোঃ মোস্তফা শামছুজ্জামান এবং সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ও আরবি প্রভাষক রায়হানুল কবির। ছাত্রদের থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ মাসুদ রানা, জুবায়ের আহমেদ  প্রমুখ।
    এ সময় বক্তারা হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপির সাংসদ নীতেশ নারায়ণকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে ও ভারত সরকারকে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণে কূটনৈতিকভাবে আবেদনের আহ্বান জানান।
  • আশাশুনিতে নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের মতবিনিময় সভা 

    আশাশুনিতে নবাগত জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের মতবিনিময় সভা 

     আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনিতে নবাগত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদ এর সাথে উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা এতিম ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইসিটি কর্মকর্তা আক্তার ফারুক বিল্লাহ এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ থেকে আশাশুনির কোন দপ্তরে ঘুষ দুর্নীতি চলবে না। কেউ এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, সর্বপ্রথমে আমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমরা ভালো মানুষ হতে পারলে প্রত্যেক সেক্টর থেকে অনিয়ম নির্মূল হয়ে যাবে। মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কোন মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবীদের ছাড় দেওয়া হবে না। আসন্ন দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে পালনে আশাবাদ ব্যপ্ত করেন। মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়, সরকারি কমিশনার ভূমি রাশেদ হোসাইন, আশাশুনি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসেন আলী, থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী পরকৌশলী রাশেদুল ইসলাম, আশাশুনিতে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী, শিক্ষক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি প্রমুখ। এ সময় উপজেলার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
  • সাতক্ষীরায় সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে সমমনা প্লাটফর্মের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে সমমনা প্লাটফর্মের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব  প্রতিনিধি:
     সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে সমমনা প্লাটফর্মের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার  (০৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হলরুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে ও একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সংলাপে সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস’র সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক মো: রোকনুজ্জামান ।
     বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল প্রোগ্রাম অফিসার মো: আব্দুল হাই, সাবেক কাউন্সিলর শফিক-উদ্দৌলা সাগর, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদা আক্তার বিউটি, সঞ্চিতা সংস্থার সভানেত্রী সঞ্জু, সাংবাদিক ও যুব সদস্যবৃন্দ।
    উক্ত সংলাপে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস।এসময়  বিগত সংলাপের ফলোআপ প্রোগ্রামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ)। আরো
    বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের  সভাপতি হৃদয় মন্ডল, প্রান্তিক যুব সংঘের সদস্য নুরজাহান ময়না, বেতনা যুব সংঘের সদস্য সাকিব হাসান, সবুজ পৃথিবী যুব সংঘের সদস্য কৃষ্ণা  সরকার।
    সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল সরকারী ও সমমনা প্রতিষ্ঠানের সেবা সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পাবে এবং তাদের সাথে যুব নারীদের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে। যুব নারীদের বিভিন্ন প্নাটফর্মে অন্তুর্ভক্ত ও অংশগ্রহনের সুযোগ তৈরী করে দেওয়া এবং নারীর ক্ষমতায়নে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের মাধ্যমে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা।
    সংলাপে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, যুব নারীদের  নেতৃত্তের  জায়গাগুলো কী হতে পারে? নারী নেতৃত্তের ক্ষেত্রে বাঁধাসমুহ কী কী? বাঁধা সমুহ দুর করার উপায়সমুহ কী কী? বাধা সমুহ দুর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর এ্যাক্টরদের ভূমিকা সমুহ কী কী? নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বাহ্যিক বাঁধাসমুহ দুর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর এ্যাক্টরদের (তথা পরিবার, কমিউনিটি, সাংবাদিক, সিভিল সোসাইটি, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা কী হতে পারে):  যুব নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বর্তমান সমাজে বিদ্যামান সুযোগ সুবিধাগুলো কী কী? ইত্যাদী বিষয়ে বক্তারা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
    পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন, সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে নারীরা নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনা করেন  প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ), উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, সহকারী হিসাব রক্ষক তাপসী মন্ডল।
  • সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাধ্যমিক স্কুলে গণসচেতনতা মূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

    সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাধ্যমিক স্কুলে গণসচেতনতা মূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

    ”ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা এর অংশ হিসেবে গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ও সড়ক নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেল।
    জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪ উপলক্ষে এর অংশ বিশেষ মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর ‘২৪) সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা শহরের সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ও সড়ক নিরাপত্তামূলক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
    উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, মোঃ আমিনুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), প্রনয় বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মাহবুব কবীর, মোটরযান পরিদর্শক সজীব সরকার, পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক) শাহাবউদ্দিন মোল্লা, সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশিদ হাসান খান চৌধুরী, বিআরটিএ’র অফিস সহকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম।
    কর্মশালায় বক্তরা উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের সড়ক দুর্ঘটনার রোধকল্পের উপর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যে প্রদান করেন। কর্মশালা শেষে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে বিভিন্ন প্রকার ট্রাফিক সাইন এর লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়।
  • সে সবসময়ই চিটার: তমা

    সে সবসময়ই চিটার: তমা

    বিনোদন ডেস্ক:
    ঢালিউড অভিনেত্রী তমা মির্জা ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন। তার বিপরীতে অভিনেতা ছিলেন আফরান নিশো। সেই ছবিতে তাদের রসায়ন দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হলেও এরপর আর কোনো সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি তমা মির্জাকে। তবে তিনি সরব রয়েছেন সামাজিকমাধ্যমে। সেখানে মাঝে মধ্যেই নিজের ছবি-ভিডিও কিংবা মতামত প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে।

    গতকাল রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক একটি পোস্ট দেন তমা মির্জা। সেখানে ক্যাপশনে এ অভিনেত্রী লিখেছেন— যে চিটার, সে সবসময়ই চিটার।

    তিনটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখা উচি উল্লেখ করে তমা আরও লিখেছেন— একবার যে প্রতারণা করে, সে সবসময়ই প্রতারণা করে। একবার যে মিথ্যা বলে, সে সবসময়ই মিথ্যা বলে।

    অভিনেত্রী লিখেছেন, যদি কেউ তোমার হৃদয় ও বিশ্বাস ভাঙে সেটা তার ভুল। কিন্তু তুমি যদি সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করে আবারও জায়গা দেও এবং ভালোবাসো তাহলে সেটা হবে তোমার ভুল।

    তাহলে কী করতে হবে? তমা মজার ছলে বললেন— মারো কাছা, দাও দৌড়। ভুলেও পেছনে তাকাইও না।

    এদিকে তমার এ পোস্ট দেখে নানান প্রশ্নের জাল বুনেছেন নেটিজেনরা। হঠাৎ কাকে উদ্দেশ করে এমন পোস্ট দিলেন অভিনেত্রী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তার পুরোনো সম্পর্কের কথাও টেনে আনছেন অনেকে।

    কয়েক দিন আগেই নির্মাতা রায়হান রাফীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায় তমার। যদিও সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে তারা কখনই স্বীকার করেননি। বরাবরই নিজেদের বন্ধু দাবি করেছেন রাফী ও তমা। তবে দুজনের ঘনিষ্ঠজনদেরই দাবি— রাফী-তমা একটা সময়ে চুটিয়ে প্রেম করলেও বর্তমানে তাদের সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে। দুজনের মাঝে আর ঘনিষ্ঠতা নেই।

  • ফিটনেস ট্রেনারকে ক্যাটরিনার ‘হুমকি’, কিন্তু কেন?

    ফিটনেস ট্রেনারকে ক্যাটরিনার ‘হুমকি’, কিন্তু কেন?

    বিনোদন ডেস্ক:
    বলিউডের সেলিব্রিটি ফিটনেস ট্রেনার ইয়াসমিন করাচিওয়ালা। আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ, কারিনা কাপুরদের ট্রেনার হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার। সম্প্রতি পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দোর ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীদের ট্রেনিং করানোর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন তিনি।

    সাক্ষাৎকারে ইয়াসমিন জানান, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অগ্নিপথ’ সিনেমার আইটেম গান ‘চিকনি চামেলি’র শুটিংয়ের আগে খানিকটা মজার ছলেই তাকে ‘হুমকি’ দিয়ে বসেন ক্যাটরিনা কাইফ।

    ক্যাটরিনা চেয়েছিলেন গানের শুটিংয়ের সময় তার শরীরে যেন কোনো দৃশ্যমান মেদ না থাকে। সেজন্য এই অভিনেত্রী ইয়াসমিনকে বলেছিলেন, ‘যদি মেদ দেখা যায়, তাহলে আমি ন্যাশনাল টিভিতে গিয়ে বলে দেব তুমি ভালো ট্রেনার নও।’

    এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা আলিয়া ভাটকে ট্রেইন করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইয়াসমিন যোগ করেন, ‘আলিয়ার মনোযোগের স্থায়িত্ব কম হওয়ায় তার জন্য টানটান ফিটনেস রুটিন তৈরি করতে হয়েছিল। যেমন আলিয়াকে যদি কোনো কিছু ২০ বার করতে বলি, তাহলে দেখা যাবে ৮ বারের সময় ও অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। তাই আলিয়ার জন্য চটপটে ফিটনেস রুটিন নিয়ে কাজ করতে হয়েছে, যাতে তার মনোযোগ ধরে রাখা যায়।’

  • ‘বিয়ে দিয়ে দেবে নাকি’, বাড়িতে অতিথিদের ভিড়ে চিন্তায় শ্রাবন্তী

    ‘বিয়ে দিয়ে দেবে নাকি’, বাড়িতে অতিথিদের ভিড়ে চিন্তায় শ্রাবন্তী

    বিনোদন ডেস্ক:
    সকাল সকাল টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর বাড়িতে দুম করে হাজির একদল আগন্তুক! বাইপাস লাগোয়া আরবানার ৩৪ তলার ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাট নায়িকার। অ্যাপার্টমেন্টের কলিংবেল বাজতেই দরজা খোলেন শ্রাবন্তীর সহকারী। সুন্দরী টালি নায়িকার বাড়ির দরজায় হাজির ‘বহুরূপী’। কিছুক্ষণ পর কালো-সোনালি সালোয়ার স্যুটে সেজে শ্রাবন্তী এলেন, তিনি তো অবাক এমন সারপ্রাইজ পেয়ে!

    শ্রাবন্তীর বাড়িতে হাজির পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়, তাও বহুরূপীর বেশে। সঙ্গী ননীচোরা দাস বাউল। আরজি করকাণ্ডের মাঝে মন ভার বাংলার, তার মাঝেই পূজায় টালিউডের তরফে মুক্তি পাচ্ছে তিনটি ছবি। যার অন্যতম আকর্ষণ ‘বহুরূপী’। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা পরিচালিত ‘বহুরূপী’ ছবিটি আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে। ছবির অভিনব প্রচার কৌশল আগেই নজর কেড়েছে। জিৎ, রাজ-শুভশ্রীর বাড়িতে আগেই ননীচোরা দাস বাউলকে নিয়ে ঘুরে এসেছেন শিবপ্রসাদ। এবার পালা শ্রাবন্তীর।

    ‘বহুরূপী’র সাজে শিবপ্রসাদকে দেখেই হাসি থামল না নায়িকার। সেই সঙ্গে আবদার—‘একটা ছবি তুলতে হবে…’। সুন্দরী নায়িকার ঢ্যাবঢ্যাবে চাউনি নিয়ে ননীচোরা দাস বাউল প্রশ্ন করতেই কোমরে হাত রেখে শ্রাবন্তী বললেন, ‘বিয়ে দিয়ে দেবে নাকি?’ এই কথা কানে যেতেই ছবির ইতোমধ্যে সুপারহিট হয়ে যাওয়া গান— ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’র ব়্যাপ অংশ গাইতে শুরু করলেন ননীচোরা ও শিবপ্রসাদ। কারণ এই গানেরই ফেমাস লাইন— ‘এ, বেশি তাকাস না বিয়ে দিয়ে দেব, কেঁন্দে মরে যাবি!’ অনিন্দ্য বসুর সঙ্গে মিলে গানটি লিখেছেন— ননীচোরা দাস বাউল। সুর দিয়েছেন বন্যি চক্রবর্তী, যিনি দীর্ঘদিন এআর রহমানের সঙ্গে কাজ করেছেন।

    ‘মোটর কড়াই গোলগোল…’-এর তালে তালেই নাচ জুড়ে দিলেন শ্রাবন্তী। এরপর চিৎকার করে বললেন— বেশি তাকাস না বিয়ে দিয়ে দেব কিন্তু… গোটা গানটার মধ্যে এটা আমার ফেভারিট লাইন। এইবার পূজায় বহুরূপী সুপারহিট। শিবপ্রসাদকে রীতিমতো পোজ দিয়ে দাঁড় করিয়ে বহুরূপীর বেশে ছবি তুললেন শ্রাবন্তী।

    এই ভিডিওর কমেন্ট বক্সে নানা মুনির নানা মত। একজন লিখেছেন— ‘শ্রাবন্তীর আর বিয়ে দেবেন না দাদা। সত্যিই কেঁদে মরে যাবে’। প্রসঙ্গত তিনবার বিয়ে টেকেনি শ্রাবন্তীর। দুবার ডিভোর্সি নায়িকা গত চার বছর ধরে তৃতীয় স্বামীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকেন না। রোশন-শ্রাবন্তীর ডিভোর্স মামলা আদালতে বিচারাধীন, তাই বিয়ে নিয়ে খোঁচা হামেশাই শুনতে হয় অভিনেত্রীকে।

    শিবপ্রসাদ-নন্দিতা পরিচালিত ‘বহুরূপী’ ছবিটি কাল মুক্তি পাচ্ছে। আর এ ছবিতে শিবপ্রসাদকে রোম্যান্স করতে দেখা যাবে কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এ ছাড়া থাকছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তী প্রমুখ।

  • লাইফ সাপোর্টে আছেন স্বামী, যা জানালেন তনি

    লাইফ সাপোর্টে আছেন স্বামী, যা জানালেন তনি

    বিনোদন ডেস্ক:
    নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। সেই সঙ্গে তিনি ইনফ্লুয়েন্সার। তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও এ দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই কটাক্ষের মুখে পড়েন এ নারী উদ্যোক্তা। এসবের জবাবও দেন তিনি। শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরে সব ঠিক করে নেন তিনি।

    তারপরও তাদের দুজনের অসম বয়সের ব্যবধানের কারণে সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনদের সমালোচিত হন তনি। এ মুহূর্তে তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন অসুস্থ হয়ে লাইফ সাপোর্টে ভর্তি আছেন । গত শনিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তনি।

    তিনি পোস্টে লিখেছেন— আমার হাসবেন্ডের আপডেট- এখনো তেমন রেসপন্স করছে না। আজকে সকালে আমি অনেকবার ডেকেছি চোখ খুলে নাই। লাইফ সাপোর্টে আছে, চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। একটু স্টেবল হলে দেশের বাইরে নেওয়ার কথা চলছে। তনি আরও বলেন, আমি হাসপাতালে আছি। সানভী সারফারাজ বাসায় আমার মায়ের সঙ্গে আছে। সারফারাজ কিছুই বোঝে না ছোট বাচ্চা, সে শুধু এতটুকু ফিল করতে পেরেছে তার ড্যাডির কিছু হয়েছে, ছেলেটারও জ্বর।

    সবশেষে তনি বলেন, আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী যারা আমার হাসবেন্ডের খবর নিতে কল বা টেক্সট দিচ্ছেন, সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি কথা বলার মতো মানসিক অবস্থাতে নেই। আল্লাহ ছাড়া এই বিপদ থেকে কেউ উদ্ধার করতে পারবে না, সবাই আমাদের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আমার হাসবেন্ডের জন্য দোয়া করবেন।

  • সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান

    সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কলেজটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মনিরুজ্জামান। রবিবার (০৬ অক্টোবর) কলেজের শিক্ষক-কর্মচারি এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ছাত্রজীবনে খুবই মেধাবী ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি যশোর বোর্ডে মেধাতালিকায় স্থান পান এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।এর আগে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন আওয়ামী সরকারের অনুগত ও আশির্বাদপুষ্ট আগের অধ্যক্ষ ড. মোঃ শিহাবউদ্দিন।এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত কলেজ পরিচালনা কমিটির কাছে ড. শিহাবুদ্দিনের নামে একাধিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা। তাদের সেসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য এ্যাড. আরিফুর রহমান আলোর নেতৃত্বে গঠন করা হয় অডিট কমিটি। সেই কমিটি তদন্ত শেষে ড. শিহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিগত ১ বছরে ৮৫ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক অনিয়ম এবং নানান দুর্নীতির প্রমাণ পায়।পরে কলেজ পরিচালনা কমিটি ড. শিহাবুদ্দিনকে কলেজে এসে তার স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন এবং কারণ দর্শানোর জন্য একাধিকবার চিঠি পাঠালোও তিনি কলেজে না এসে বরং অসহযোগীতা করেন। যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়ায় ড. শিহাবুদ্দিনের অনিয়ম-দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে এবং কলেজের সার্বিক কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অধ্যাপক মনিরুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর অধ্যাপক মনিরুজ্জামান সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষাঙ্গন ও প্রশাসনিক দপ্তরের যে ভঙ্গুর অবস্থা ছিলো তা থেকে ফিরিয়ে এনে কলেজকে শিক্ষা ও সাংস্কৃতি চর্চার জন্য আদর্শ করে গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

    এসময় সাতক্ষীরা সিটি কলেজ গভর্নিং বর্ডির সদস্য এ্যাড. আরিফুর রহমান আলো, উপাধ্যক্ষ আলতাফ হোসেনসহ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের ধারে বড় বড় গর্ত করে সড়কের ক্ষতিসাধনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কের ধারে বড় বড় গর্ত করে সড়কের ক্ষতিসাধনের   বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র কল্যাণ এ্যাসোসিয়েশন ও এলাকাবাসী।
    শনিবার সকালে সাতক্ষীরা ব্রম্মরাজপুর ডিবি হাই স্কুলের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রকল্যাণ এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য
    ইব্রাহিম হোসেন, নাজিম সিরাজী দিপু, আবু তালহা ,মুহসিন আহম্মেদ, এম এইচ মইন, বেলাল হোসেন প্রমুখ।
    মানববন্ধনে বক্তব্যে এলাকাবাসী ও ছাত্ররা  বলেন।  সড়কের ধারে টেন্ডারকৃত গাছ কাটছে ঠিকাদার এটা অনেক আগে থেকেই এলাকাবাসীর দাবি ছিলো।
    কিন্তু এ সকল গাছ কাটার সময় গাছের গোড়ায় গভীর গর্ত করে কাঁটা হচ্ছে এবং এই গর্তে মাটি দিয়ে ভরাট না করেই চলে যাচ্ছে ঠিকাদারের লোকজন।
    গাছের গুড়ি সহ কেটে নেওয়াতে তৈরি হওয়া গভীর গর্তের কারণে। দেখা দিয়েছে ধস কিছু কিছু স্থানে রাস্তার ইট এই গর্তে চলে যাচ্ছে।
    এলাকাবাসীরা বলছেন এভাবে গর্ত করে গাছ কাটার ফলে সাতক্ষীরা টু আশাশনি সড়ক অচিরেই নষ্ট হয়ে যাবে এবং দুর্ঘটনা আশঙ্কা থাকবে এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতান।
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ওয়ান শ্যুটার গানসহ ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

    শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদরের
    তলুইগাছা সীমান্ত থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান ও ৪ রাউন্ড গুলি
    উদ্ধার করেছে বিজিবি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব
    হয়নি।
    বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: আশরাফুল
    হক শনিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শনিবার সকালে
    তলুইগাছা সীমান্তে অস্ত্র চোরাকারবারিরা অবস্থান করছে এমন
    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। চোরাকারবারিরা
    বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পিস্তল ও গুলি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে
    সীমানা পিলার ১২/৬-এস হতে ১০০ গজ বাংলাদেশের ভিতরে একটি
    বাগান থেকে ওই ওয়ানশুটার গান ও চার রাউ- গুলি উদ্ধার করা হয়।
    উদ্ধারকৃত ওয়ান শ্যুটার গান ও ৪ রাউন্ড গুলি সদর থানায় জমা দেওয়া
    হয়েছে। এর আনুমানিক মূল্য ১০ হাজার ৮০০ টাকা বলেও জানান
    তিনি।

  • আশাশুনিতে প্রতাপনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের বর্ধিত সভা

    আশাশুনিতে প্রতাপনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার বিকালে প্রতানগর ইউনাইটেড একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা হেলালুজ্জামান।
    প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতাপনগর বিএনপির আহ্বায়ক স ম আখতারুজ্জামান।
    যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক আতিয়ার রহমান, মোঃ কারিমুজ্জামান, গাজী ইমদাদুল হক, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর আলম, বারবার কারাবরণকারি কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান ছট্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাদেক হোসেন, যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাষ্টার আলমগীর হোসেন, মৎস্যজীবি দলের নুরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়ারাজ হোসেন, সদস্য রিয়াজ হোসেন ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রিপন হোসেন।
    বক্তারা দলীয় দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ নায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালি করার আহ্বান জানান।
  • টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপি নেতা

    টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপি নেতা

    আটককৃত বিএনপি নেতা

    নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপি নেতা আবুল হাসেম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) রাতে কেন্দুয়া থানার এসআই জিয়াউল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। শুক্রবার সকালে হাসেম ভূঁইয়াকে ওই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।আবুল হাসেম ভূঁইয়া পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বর ভূঁইয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
    টিসিবি পণ্য বিতরণের বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা প্রশাসন ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শুক্রবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল হক তালুকদার।
    পুলিশ, প্রশাসন ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, গত বুধবার (২ অক্টোবর) পাইকুড়া ইউনিয়নের মিয়া হোসেন মার্কেট এলাকায় মেসার্স আয়েশ ট্রেডার্স নামে একটি পরিবেশক টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে যান। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতারা প্রভাব খাটিয়ে এসব পণ্য ভাগাভাগি করে নিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সেনাবাহিনী জানতে পারে।
    বৃহস্পতিবার সকালে মদন অস্থায়ী ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে যৌথবাহিনী বিএনপি নেতা আবুল হাসেম ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার ঘর থেকে টিসিবির ১৮০ কেজি চাল, ৭০ কেজি মসুর ডাল ও ৭২ লিটার সয়াবিন তেলসহ তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
    কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, টিসিবির পণ্যসহ আটক পাইকুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসেম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাকে শুক্রবার সকালে নেত্রকোণা আদালতে পাঠানো হয়েছে।