Blog

  • সাতক্ষীরার মন্দির থেকে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণের মুকুট চুরি

    সাতক্ষীরার মন্দির থেকে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণের মুকুট চুরি

    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনা ঘটেছে।

    গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিটের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে মন্দির কমিটির দাবি। চুরির ঘটনার পর মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে একটি যুবককে মন্দিরের মুখোশ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

    জানা যায়, প্রতিদিনের মতো দুপুরে মন্দিরে একটি মানতের অন্নপ্রাশনের পূজা শেষে পুরোহিত দিলীপ কুমার ব্যানার্জি মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকারের কাছে মন্দিরের চাবি দিয়ে বাড়ি যান।

    এ সময় মন্দির প্রাঙ্গণে রেখা সরকারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার মুকুট চুরির ঘটনা ঘটে।রেখা সরকার বলেন, দুপুরে পুরোহিত বাবু মন্দিরের চাবি আমার কাছে দিয়ে বাড়িতে চলে যান। আমি পূজার কাজে ব্যবহৃত বাসনপত্র ধোয়ার জন্য অসাবধানবশত মন্দিরের দরজা খোলা রেখে পাশের টিউবওয়েলে যাই।

    সেখান থেকে ১ থেকে ২ মিনিট পরে এসে দেখি মায়ের মাথার মুকুটটি নেই। পরে মন্দিরে থাকা সবাইকে বিষয়টি জানাই।এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।

  • সাতক্ষীরায় নিত্যপণ্যের  টাস্কফোর্স বিশেষ অভিযান

    সাতক্ষীরায় নিত্যপণ্যের টাস্কফোর্স বিশেষ অভিযান

    সাতক্ষীরায় নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি তদারকি ও পর্যালোচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।

    শুক্রবার(১১ অক্টোবর) সকালে শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের কাঁচা ও মৎস্য বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) বিষ্ণুপদ পাল।

    এ সময় টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস এম আব্দুল্লাহ,  উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন ও তামীম তাসনীম উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময় কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিষ্ণুপদ পাল বলেন, মূল্য তালিকা না থাকায় এবং বেশি দামে বিক্রিয় করার অভিযোগে মাংস বাজারে চিকেন হাউজকে ২ হাজার টাকা ও খুচরা আলু বিক্রেতাকে ২০০ টাকা টোকা জরিমানা করা হয়েছে।

  • দুইদিনের সফরে আজ সাতক্ষীরায় আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

    দুইদিনের সফরে আজ সাতক্ষীরায় আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

    দুই দিনের সফরে আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সাতক্ষীরায় আসছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন উপদেষ্টা এই প্রথম সাতক্ষীরায় আসছেন।

    সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল জানান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এর এটি একটি সরকারি সফর। উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সচিব (যুগ্মসচিব), জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাঁর সফরসঙ্গী হবেন।

    সফরসূচী অনুযায়ী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বেলা ২টার সময় সাতক্ষীরা জেলার উদ্দেশ্যে ঢাকা হেয়ায় রোডস্থ সরকারি বাসভবন ত্যাগ করেছেন। সন্ধ্যা ৬টায় তিনি সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে অবস্থান করবেন। রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলাস্থ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন। রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলাস্থ বিভিন্ন পুজামন্ডপ পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করবেন।

    এরপর শনিবার (১২ অক্টোবর) সাতক্ষীরা জেলাস্থ বিভিন্ন উপজেলার পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করবেন। এদিন বিকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করবেন।

  • আশাশুনিতে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

    আশাশুনিতে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

    সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মোছা. কমলা খাতুন (৫৫) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দক্ষিন দরগাহপুর গ্রামের নিজ বাড়ির অঙিনায় বিচলী গাদার পাশ থেকে এই মরেদহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের স্বামী ও তিন ছেলে ও তাদের স্ত্রীসহ সাতজনকে আটক করেছে।

    নিহত গৃহবধূর মোছা. কমলা খাতুন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিন দরগাহপুর গ্রামের মো. মোবারক আলী গাজীর স্ত্রী।

    নিহতের স্বামী মোবারক আলী গাজী জানান, ফজরের আযান দিলে তিনি তার স্ত্রী কমলা খাতুনকে নামাজ পড়ার জন্য ডেকে দিয়ে বাড়ির পাশে মাছের ঘেরে চলে যান। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন তার স্ত্রী ঘরে নেই। পরবর্তীতে খোঁজাখুজির এক পার্যায় নিজ বসত বাড়ির পাশে বিচলী গাদার পাশে গলাকাট মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে আশাশুনি থানায় খবর দেয়া হয়।

    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত গৃহবধূর দুই ছেলে মো. ওলিউর রহমান (২৪) ও মো. ফয়জুল্লাহ (২১) মাছের ঘের ও ভাটায় কাজ করে। তারা দু’জনেই বিবাহিত। পারিবারিক কলহের জের ধরে গ্রহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। নিহত গৃহবধূ ৪/৫ বছর ধরে মেরুদন্ডের ব্যাথার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মোবারক আলী গাজীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিল নিহত কমলা খাতুন। পারিবারিক কলহের কারনে দু’জন আলাদা ঘরে ঘুমাতেন।

    আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মোবারক আলী গাজী, তার প্রথম পক্ষের ছেলে খানজাহন আলী, দ্বিতীয় পক্ষের দুই ছেলে ওলিউর রহমান ও ফয়জুল্লাহসহ তাদের তিনজনের স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে।

    এদিকে সুরহতাল রির্পোট শেষে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ওসি।

  • দীপ্ত টিভি কর্মকর্তার হত্যায় বিএনপি নেতার নাম

    দীপ্ত টিভি কর্মকর্তার হত্যায় বিএনপি নেতার নাম

    রাজধানীর রামপুরায় ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান তামিমকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে তামিমের পরিবার।

    আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. রুহুল কবির খান।

    গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মো. আব্দুল লতিফ (৪৬), মো. কুরবান আলী (২৪), মাহিন (১৮), মোজাম্মেল হক কবির (৫২) ও বাঁধন (২০)।

    মো. রুহুল কবির খান বলেন, এ হত্যার ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মামুন এবং বিএনপি নেতা ও প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের কর্ণধার শেখ রবিউল আলম রবির প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তদন্ত করে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

    ডিসি মো. রুহুল কবির খান বলেন, জমির মালিককে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের পাঁচটি ফ্ল্যাট দেয়ার চুক্তি থাকলেও, তারা দুটি হস্তান্তর করেছে। বাকি তিনটির মধ্যে একটি ফ্ল্যাট অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মামুনের শ্বশুরের কাছে বিক্রি করে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিসের কর্ণধার শেখ রবিউল আলম। ফ্ল্যাটটি তারা অবৈধভাবে জবরদখল করে রেখেছিল। যা নিয়ে গত তিন বছর ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে অভিযুক্তরা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফ্ল্যাটে অতর্কিত হামলা করলে দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তানজিল ইসলাম জাহান তামিম গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির খান বলেন, আমরা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় নিচ্ছি না, আমরা অপরাধ ও অপরাধী হিসেবে দেখছি। সে যেই হোক, তার দায় থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট দেব।

    এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় শুরুতে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবীর বলেন, ‘হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব অবহেলার কারণে ইতোমধ্যে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার অবহেলার প্রমাণ পেয়েছি।’

    জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পশ্চিম রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের ৪ নম্বর রোডের ডি-ব্লকের বাড়ির আটতলার একটি ফ্ল্যাটে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই লোকজন তামিমকে উদ্ধার করে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • শান্তিতে নোবেল জিতলো জাপানি সংস্থা নিহন হিডানকিও

    শান্তিতে নোবেল জিতলো জাপানি সংস্থা নিহন হিডানকিও

    এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতলো জাপানি সংস্থা নিহন হিডানকিও। এটি হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা হামলায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলন, যা ‘হিবাকুশা’ নামে পরিচিত।

    নোবেল কমিটি জানিয়েছে, নিপ্পন হিডানকিও পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টার জন্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যর মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার যে মানবতাবিরোধী কাজ, তা তুলে ধরার জন্য এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

    হিবাকুশারা বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের কাছে পরমাণু বোমার ধ্বংসাত্মক পরিণতি এবং মানব জীবনে এর ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তাদের সাহসী প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নিপ্পন হিডানকিও।

    সংস্থাটি বিশ্বাস করে, বিশ্বে আর কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে দেওয়া উচিত নয়।

    বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে এ বছরের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।

    এর আগে, ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি । ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

  • মানুষ দ্রুত অ্যাকশন দেখতে চায়

    মানুষ দ্রুত অ্যাকশন দেখতে চায়

    বাংলাদেশে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পার না হতেই নানা বিষয়ে আলোচনা ও সমালোচনা সামনে এসেছে। এগুলো শুধু আলোচনা কিংবা সমালোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নানামুখী চাপ তৈরি করছে বলে অনেকে মনে করেন।

    পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার থেকে লাভ করেছে। অন্যদিকে কিছু ইস্যু অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নতুন করে সামনে এসেছে।

    লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক মুশতাক খান মনে করেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন।

    ‘মানুষ কিছু অ্যাকশন দেখতে চায়, তাতে সবকিছুর সমাধান হবে না। এখানে যে কোনো সেক্টরে হাত দিলেই আপনি দেখবেন অনেক অনিয়ম হয়েছে। অনিয়মের কোনো শেষ নাই,’।

    ‘আপনি এমন কিছু করবেন না যা পরে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বড় বড় কয়েকটা কাজ করতে হবে। যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে একটা পরিবর্তন আসছে।’

    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি
    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া।

    গত পাঁচই অক্টোবর বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের বাজারে ডিম এবং মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে গত ২০ দিনে ২৮০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।

    শুধু সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সুদের হার বাড়িয়ে তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু এ বিষয়টি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

    ‘যেসব বড় সিন্ডিকেটের মালিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বসে আছে এবং তারা সে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, আপনাকে সে টাকায় হাত দিতে হবে।’

    গার্মেন্টস খাত
    নানা দাবিকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের আন্দোলন এখনো বিক্ষিপ্তভাবে চলছে। এই আন্দোলনের ব্যাপকতা প্রথম দিকে আশুলিয়া এবং গাজীপুরে ছিল। আশুলিয়া এলাকায় পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হলেও গাজীপুরে এখনো বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন চলছে।

    প্রায়শই কোন না কোন ফ্যাক্টরিতে অস্থিরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আশংকা করছেন, এ পরিস্থিতি আবারো যে কোন সময় বড় আন্দোলনের দিকে রূপ নিতে পারে।

    সরকারের তরফ থেকে ক্রমাগত পরিস্থিতি উন্নতির দিকে বলা হলেও এটি পুরোপুরি স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করেন অনেকেই।

    বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রুবানা হক বর্তমান পরিস্থিতিকে পোশাক খাতের জন্য একটা ‘বড় ধাক্কা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

    ‘বারো থেকে পনেরো দিন প্রচুর ফ্যাক্টরি বন্ধ থেকেছে। একেবারে বন্ধ। কেউ কেউ আবার ধরেন দুপুর পর্যন্ত চালাতে পেরেছে এরপর পারেননি। এগুলো তো পুরাটাই লস। এর চাইতে বড় লস যেটা হচ্ছে- সেটা হলো আমাদের যারা ক্রেতা তারা তো সরে যাচ্ছেন’।

    বাস্তবতাটা হলো অন্তত শতকরা ২৫-৩০ ভাগ অর্ডার ডিসেম্বরের মধ্যে সরে যাবে।”

    তিনি বলেন, পোশাক খাতে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ক্রেতারা কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ভারতে, পাকিস্তান এমন কী মিয়ানমারে চলে যাচ্ছে।

    সড়কে বিশৃঙ্খলা
    গত দুই মাসে ঢাকা এবং তার আশপাশের এলাকায় যানজটের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে প্রতিদিন। কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে যেতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে।

    যানজটে নাকাল মানুষ প্রতিদিনই ফেসবুকে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছেন। গত পাঁচই অগাস্টের পর অনেকের মনে প্রত্যাশা ছিল যে সড়কে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা কাটিয়ে হয়তো শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

    কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটিও নিয়েও রয়েছে নানা বিশ্লেষণ।

    কেউ বলছেন, ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না। কেউ বলছেন, পুলিশের শিথিলতার কারণে ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

    গত ১৬ই সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি সে বৈঠকে বলেছিলেন, ‘আমাদের যানজট নিরসন হবে। অবিলম্বে এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’

    প্রশাসনে অস্থিরতা
    জনপ্রশাসনে অস্থিরতা এবং এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় আকারে ঘুষ লেনদেনের খবর প্রকাশিত হয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে।

    সেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং একজন যুগ্ম সচিবের মধ্যে কথিত হোয়াটস্অ্যাপ বার্তা চালাচালি নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে।

    জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে ‘উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, কেন্দ্র থেকে মাঠ প্রশাসনে নীরব অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে গোটা প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

    রাজনৈতিক বিতর্ক
    রাজনৈতিক বিতর্ক যেন অন্তর্বর্তী সরকারের পিছু ছাড়ছে না। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দৃশ্যমান হয়েছে।

    নিউ ইয়র্ক সফরকালে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিটিয়েটিভ-এর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে গণঅভ্যুত্থানের পেছনে মূল কারিগর হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন, যেটিকে অনেক ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

    এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ফেসবুকে অনেকে মতামত প্রকাশ করেন যে এই আন্দোলন জনগণের স্বতঃ:স্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে, যার সামনের সারিতে ছিল ছাত্ররা। রাজনৈতিক দলগুলোও দাবি করছে, এই আন্দোলনে তাদের ভূমিকা কম নয়।

    আরেকটি বিতর্কে বিষয়ে হচ্ছে ‘রিসেট বাটন’। ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিটিয়েটিভ-এর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন, তারা (তরুণরা) বলেছে ‘রিসেট বাটন’ চেপেছে এবং পুরাতন বিদায় নিয়েছে।

    একই কথা তিনি বলেছেন, ভয়েস অব আমেরিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে। এ বিষয়টি নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়।

    এই রিসেট বাটন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এতদূর গড়িয়েছে যে অনেকেই তাদের ফেসবুক পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লিখছেন ‘স্টেপ ডাউন ইউনূস’। অর্থাৎ, ‘ইউনূসকে হটাও’। অনেকেই বলছেন, চাইলেই অতীত মুছে দেওয়া যায় না।

    বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে। ১০ই অক্টোবর তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতি দিয়েছেন।

    সে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি। এখানে উল্লেখ্য যে, কেউ যখন কোনও ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার।”

    ‘দ্রুত অ্যাকশন প্রয়োজন’
    অধ্যাপক মুশতাক খান বলেন, যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেজন্য মানুষের প্রত্যাশাও বেশি। মানুষ চায় দ্রুত কিছু পরিবর্তন আসুক। কিন্তু বাস্তবে সেটি সম্ভব নয়। এসব দাবি মেটানোর জন্য ক্ষমতা, প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং লোকবল নেই।

    ‘ওনারা একটা নরমাল সরকারে মতো ব্যবহার করছে, কিন্তু আসলে ওনারা বিপ্লবী সরকারের মতো। তারা ক্ষমতায় এসেছে মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে। এখন মানুষ অ্যাকশন দেখতে চায়।’

    তিনি বলেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচিত কিছু ‘ইপ্লিমেন্টশন কমিটি’ করা। এতে করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন দ্রুত হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

    ‘কোনো কোনো জায়গায় তারা ধীরে সুস্থে এবং চিন্তাভাবনা করে কাজ করার চেষ্টা করছেন। এটা একদিক থেকে ভালো। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় দ্রুত কিছু অ্যাকশনের প্রয়োজন ছিল’।

    সূত্র: বিবিসি বাংলা।

  • পূজা উদযাপন কমিটির আমন্ত্রণে মণ্ডপে যান শিল্পীরা

    পূজা উদযাপন কমিটির আমন্ত্রণে মণ্ডপে যান শিল্পীরা

    চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার অনুরোধ এবং আমন্ত্রণে জেএমসেন হল মণ্ডপে ইসলামী ভাবধারার সংগীত পরিবেশন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

    গতকাল জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে ইসলামী ভাবধারার সংগীত পরিবেশন করে চট্টগ্রাম কালচারাল অ্যাকাডেমি নামে একটি সংগঠনের ছয় শিল্পী। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

    পরবর্তীতে পুলিশ গান পরিবেশনকারী দুই শিল্পীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) রইছ উদ্দিন।

    তিনি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিদিনের মতো জেএমসেন হল পূজা মণ্ডপে শিল্পীদের মাধ্যমে সন্ধ্যার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন পূজা মণ্ডপে আসেন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করতে থাকেন।

    ইতোপূর্বে পূজা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্ত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির একদল শিল্পীকে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ঘটনার সময় ওই সংগঠনের সদস্য শহীদুল করিম, মো. নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ ইকবাল, রনি, গোলাম মোস্তফা ও মো. মামুন পূজার অনুষ্ঠানে আসেন এবং একটি ইসলামিক গজল ও একটি বাউল গান পরিবেশ করেন।

    তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে একটি গানের ভাষায় শব্দ চয়ন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা দুটি গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়াসহ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপ-কমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, এই দলকে আমন্ত্রণ জানানো পূজা উদযাপন কমিটির নেতা সজল দত্তকেও খোঁজা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

  • শাল্যে বেতনা নদীর উপর কাঠের সেতুর শুভ উদ্বোধন 

    শাল্যে বেতনা নদীর উপর কাঠের সেতুর শুভ উদ্বোধন 

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৯নং ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়াড শাল্যে গ্রামে বেতনা নদীর উপর কাঠের সেতুর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর)  বিকালে সদর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. নূরুল ইসলাম’ র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেতুর উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহম্মাদ।

     বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা জেলা শাখার অন্যতম সদস্য প্রফেসর আব্দুল ওয়ারেছ ‘র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ইয়ারুল হক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শাল্যে আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নুরুল ইসলাম,
     ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর আব্দুল হাকিম,৯ নং ব্রক্ষ্মরাজপুর  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন ঢালী,প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা,শাল্যে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ অহিদুজ্জামান অহিদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো.আরশাদ আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী।
  • পিস ফেসিলেটেডেট গ্রুপের পক্ষ থেকে দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

    পিস ফেসিলেটেডেট গ্রুপের পক্ষ থেকে দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

    গতকাল ১০ অক্টোবর পিস ফেসিলেটেডেট গ্রুপের পক্ষ থেকে গ্রুপের কো-ওয়াডিনেটর ও মানবাধিকার কর্মি অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাশের নেতৃত্বে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, আশাশুনি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসেন আলী, রাজনৈতিক ও সমাজ কর্মি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ পাড় ও অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ সদরে দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করা হয়।

  • ধর্ম যার যার, উৎসব সবার :সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    ধর্ম যার যার, উৎসব সবার :সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    আতাউর রহমান তালা
    কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, ‘হিন্দুুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব আবহমানকাল থেকে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। দূর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসব পালন করে। তাই এই উৎসব সার্বজনীন।’
    তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী পূজামন্ডপের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছেন। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকব।’
    বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা, ধানদিয়া, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিশখালী, তালা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
    এসময় তার সাথে ছিলেন তালা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মজুমদার, সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ শাহীন, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমূখ।
    উল্লেখ্য, তালা উপজেলার ১৯৬টি পূজামন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।
  • তালা কলারোয়ার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশনায় পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন  ইউনিয়ন যুবদল নেতৃবৃন্দ

    তালা কলারোয়ার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশনায় পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন ইউনিয়ন যুবদল নেতৃবৃন্দ

    তালা কলারোয়ার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশনায় কলারোয়ার চন্দনপুর এর বিভিন্ন পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন তত্ত্ববোধানে রাখছেন ইউনিয়ন যুবদল নেতৃবৃন্দ
     সর্বজনীন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন তারা।এসময়  উপস্থিত ছিলেন চন্দনপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু রায়হান ও ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সৎ ও মেধাবী ইউনিয়নবাসীর আস্থা ঠিকানা আগামী দিনের চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পদ  প্রার্থী শফিউল আলম শফি নেতৃত্বে চন্দনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হেলাল মেম্বার  শহীদ হোসেন ও তাহের. বখতিয়ার খোলজী.মহির হোসেন সাগর সালাম সহ ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
  • তালায় বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা  হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    তালায় বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা  হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব তালা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর)  দিনব্যাপী তিনি উপজেলার নগরঘাটা, ধানদিয়া, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিশখালী,জালালপুর,মাগুরা,ইসলামকাটি,তেতুলিয়া,খলিলনগর তালা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন।
    পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, আবহমানকাল থেকে দেখে আসছি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসব মূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। দূর্গা পূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসব। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসব পালন করে আসছে। তাই এই উৎসব সার্বজনীন।
    তিনি আরো বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী মন্ডপে মন্ডপে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছেন। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকব।
    পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে তালা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মজুমদার, সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ শাহীন, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জাহঙ্গীর হোসেন,  ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটুসহ শত শত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
    এ বছর তালা উপজেলায় ১৯৬টি পূজামন্ডপে আনন্দমুখর পরিবেশেই দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।
  • ইসরায়েলি সেনাদের একযোগে চাকরি ছাড়ার হুমকি 

    ইসরায়েলি সেনাদের একযোগে চাকরি ছাড়ার হুমকি 

    একযোগে চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন একদল ইসরায়েলি সেনা। বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি সফল না হলে একযোগে ইসরায়েলের ১৩০ সেনা চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। বুধবার তারা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন।

    ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, চিঠিতে ইসরায়েলের ১৩০ সেনা স্বাক্ষর করেছেন। তারা জানিয়েছেন যে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি সফল না হলে আর সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন না। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধানকে উদ্দেশ্যে করে তারা এ চিঠি লিখেছেন।

    চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ইউনিটের রিজার্ভ ফোর্স ও নিয়মিত সেনারা রয়েছেন। তাদের মধ্যে আর্মার্ড কর্পস, আর্টিলারি কর্পস, হোম ফ্রন্ট কমান্ড, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন।

    গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের বিরোধিতা করে তারা বলেন, এ সংঘাত বন্দিদের মুক্তিকে বিলম্বিত করছে। এ ছাড়া এটি তাদের জীবনের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেননা আইডিএফের হামলায় অনেক জিম্মি নিহত হয়েছেন। সামরিক অভিযানে তাদের রক্ষা করার পরিবর্তে তাদের অনেকে মারা গেছেন।

    তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার জিম্মিদের বিনিময়ের চুক্তির দিকে না আগালে আমরা যোগদান করব না। আমাদের মধ্যে কয়েকজনের ইতোমধ্যে রেড লাইন পার হয়ে গেছে। এছাড়া অন্যদেরও সেই সময় দ্রুত চলে আসছে।

    এর আগে গাজায় যুদ্ধের বর্ষপূতি উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় হামাসের সামরিক মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেন, যখন জিম্মিদের কথা আসে– আমি দখলদারদের এবং জিম্মিদের পরিবারকে বলতে চাই, আপনারা এক বছর আগে সমস্ত জিম্মিকে জীবিত মুক্ত করতে পারতেন। কিন্তু নেতানিয়াহুর উচ্চাকাঙ্ক্ষা সবসময় জিম্মিদের বিরুদ্ধে এবং জিম্মিদের পরিবারের বিরুদ্ধে ছিল।

    হামাসের এ মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকেই জিম্মিদের নিরাপদ স্থানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমরা আমাদের ধর্মের নিয়ম এবং মানবতার নিয়ম মেনে চলি। বন্দি বিনিময়ের জন্য আমরা তাদের নিরাপদ স্থানে রেখেছি। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

  • উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে মালয়েশিয়া

    উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে মালয়েশিয়া

    বিশ্ব ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ অপূর্ব সাংহি জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে। তিনি বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যেই মালয়েশিয়া উচ্চ আয়ের দেশ হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমান প্রধান দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হওয়া এবং মুদ্রার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটা সম্ভব হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের মালয়েশিয়ার প্রধান অর্থনীতিবিদ অপূর্ব সাংহি বলেন, মালয়েশিয়া উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে। কারণ ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক বৈশ্বিক এই ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ করেছে।

    তিনি বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি জীবন মান উন্নত করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী রিঙ্গিত। এই দুই জিনিসের ওপর ভর করে মালয়েশিয়া উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের সীমার মধ্যে পৌঁছে গেছে।

    অপূর্ব আরও বলেন, মালয়েশিয়ার অর্থনীতি এখন কোভিড-১৯ মহামারির আগের চেয়ে ১২ শতাংশ বড়, যা সিঙ্গাপুর ছাড়া অন্য সব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে। এটি বোঝায় যে ধারাবাহিক সংস্কার ও এই সৌভাগ্য বজায় থাকলে মালয়েশিয়া ২০২৮ সালের মধ্যেই উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা পেতে পারে।

    তিনি বলেন, এক কথায় বর্তমানে দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে এটি আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারে যদি আমরা কম চাকরি পাওয়ার সমস্যা সমাধান করতে পারি। কেননা এই কারণে লাখ লাখ তরুণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী মালয়েশিয়ানের মনোবল ও আকাঙ্ক্ষার ওপর প্রভাব পড়ছে।

    ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার আগের বছর দেশটির অর্থনীতি ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছিল। যেসব দেশের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (জিএনআই) ১৪ হাজার ৫ বা তার বেশি মার্কিন ডলার সেসব দেশকে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে বিবেচনা করে বিশ্ব ব্যাংক।

    খবর আলজাজিরার।

  • মাঝ আকাশে পাইলটের মৃত্যু, জরুরি অবতরণ

    মাঝ আকাশে পাইলটের মৃত্যু, জরুরি অবতরণ

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেল থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলগামী একটি বিমান উড্ডয়নের কিছু সময় পরেই আচমকা মৃত্যু হলো পাইলটের। যার ফলে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়,  টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩৫০ বিমানটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রবন্দর শহর সিয়াটেল থেকে উড্ডয়ন করে এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলের দিকে যাচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পরই পাইলট ইলচেহিন পেহলিভান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি অজ্ঞান হয়ে যান এবং তার জরুরি চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু, তারপরেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বিমানটি জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন সহকারী পাইলট। তখন নিউইয়র্কে বিমানটি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। তবে বিমানটি অবতরণের আগেই পাইলট মারা যান।

    জানা গেছে, ৫৯ বছর বয়সি পাইলট ২০০৭ সাল থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে কাজ করেছিলেন। গত মার্চ মাসে বেসামরিক বিমান চলাচলের জেনারেল ডিরেক্টরেট অনুমোদিত অ্যাভিয়েশন মেডিকেল সেন্টারে একটি রুটিন মেডিকেল পরীক্ষা করেছেন। তাতে তিনি শারীরিকভাবে সক্ষম ছিলেন। রিপোর্টে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি।

    এর আগে ২০২২ সালে মাঝ আকাশে মৃত্যু হয়েছিল দুই বিমান পাইলটের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এনভয় এয়ারের করা একজন পাইলট ওহাইওগামী বিমানে মাঝ আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং পরে মারা যান। এদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সিটিলিঙ্ক ইন্দোনেশিয়ার জন্য কর্মরত একজন পাইলটও একইভাবে মাঝ আকাশে মারা গিয়েছিলেন।

    খবর বিবিসির।

  • রতন টাটার পরিচয় কতদূর?

    রতন টাটাকে হারিয়ে শোক পালন করছেন ভারত। । দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির বহু মানুষের কাছেই এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন রতন টাটা।

    ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটের সুরাটে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য।

    রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান।

    মুম্বাইয়ে ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন ক্যানন স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন রতন। তারপরে সিমলায় বিশপ কটন স্কুল এবং নিউইয়র্ক সিটিতে রিভারডেল কান্ট্রি স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৫ সালে স্নাতক পাস করেন তিনি। পরে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে ডিগ্রি লাভ করেন।

    পরে সত্তরের দশকে টাটা গোষ্ঠীতে পরিচালন বিভাগে দায়িত্বলাভ করেন রতন। ১৯৯১ সালে চেয়ারম্যান হন। মূলত ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা দায়িত্ব ছাড়লে রতন টাটাকে নিজের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। প্রথমে তাকে নিয়ে আপত্তি ছিল গ্রুপের ভেতরে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে তার। ২০১২ সাল পর্যন্ত পরিচালনার দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি।

    পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানা গড়তে চেয়েছিলেন রতন টাটা। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য চার চাকা গাড়ির স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন তিনি। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ছিল বামপন্থিরা। তবে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক টানাপড়েনে সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা হয়নি। সেই কারখানা হয় গুজরাটের সানন্দে।

    যে ২১ বছর রতন টাটার হাতে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব ছিল, তাতে গ্রুপের আয় বেড়ে হয় ৪০ গুণ, মুনাফা বাড়ে ৫০ গুণ। মধ্যবিত্তকে চার চাকার স্বপ্ন দেখান রতন টাটাই।

  • পঁচাত্তরের পর ২৪-এর আন্দোলনে তছনছ আওয়ামী লীগ 

    পঁচাত্তরের পর ২৪-এর আন্দোলনে তছনছ আওয়ামী লীগ 

    শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর চরম সংকটে পড়েছে আওয়ামী লীগ। পতন ও সংকটের ধরন ভিন্ন হলেও এবারের সংকট দলটিকে পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টের মতো ‘ছন্নছাড়া’ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।

    গত জুলাই এবং অগাস্টে তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর দলটির অন্য নেতাদের অনেকেই আত্মগোপন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে ভারতে কিংবা অন্য দেশে চলে গেছেন। এছাড়া অনেকে আটক হয়ে কারাগারে আছেন।

    দলটির দুয়েকজন নেতার নামে বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটি বিবৃতি গণমাধ্যমে আসলেও দলের নেতৃত্ব কিংবা কার্যক্রম কোনোটাই এখন দৃশ্যমান নয়। এমনকি ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ও আন্দোলনকারীদের হামলার তছনছ হয়ে গেছে।

    ঊনপঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পরও ভয়াবহ এক সংকটকালের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলটিকে।

    ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলছেন, ১৯৭৫ ও ২০২৪- উভয় ঘটনাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে ছন্নছাড়া অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। দুটি ঘটনাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে।

    রাজনৈতিক গবেষক ও লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলছেন, পনেরই অগাস্ট ছিল রক্তাক্ত ও সহিংস। অনেক হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কিন্তু এবার তা হয়নি। কিন্তু উভয় ঘটনার পরিণতিতেই কঠিন সংকটে পড়েছে দলটি।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের পরের পরিস্থিতি:

    উনিশশো পঁচাত্তরের ১৫ই অগাস্টে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে যখন আক্রমণ হয়, তখন কোনো ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই পুরো বাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে হত্যাকারীরা। শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তখন বেঁচে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় কার্যত তছনছ হয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। এর জের ধরে পরে তখন সারাদেশে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলটি।

    তখন সে বাড়ির নিচতলায় একটি কক্ষে কর্মরত ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী এ এফ এম মুহিতুল ইসলাম। মুহিতুল ইসলাম ২০১৬ সালে মারা যান। ১৯৯৬ সালে তিনি শেখ মুজিব হত্যা মামলার বাদী হয়েছিলেন।

    ২০১০ সালে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুহিতুল ইসলাম বলেছিলেন, একজন রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যে ধরনের নিরাপত্তা থাকা দরকার সেটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে ছিল না। তাছাড়া রাষ্ট্রপতির বাড়িতে আক্রমণের পরেও কোনো তরফ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা আসেনি।

    হত্যাকাণ্ডের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত সেনাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তৎকালীন আওয়ামী লীগেরই একজন সিনিয়র নেতা এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। এরপর আওয়ামী লীগের যারা মোশতাক সরকারকে সমর্থন করেননি তারা অনেকে আত্মগোপনে যান। অনেক নেতা পরবর্তীতে আটক হয়ে দীর্ঘসময় ধরে কারাভোগ করেন। অনেকে ভারতে চলে যান। পরবর্তীতে আব্দুল কাদের সিদ্দিকীসহ কেউ কেউ আবার প্রতিরোধ তৈরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

    সে বছর ১৫ অগাস্টের আগে শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশাল পদ্ধতি প্রবর্তন করেছিলেন। পরে ১৯৭৬ সালে রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধনের সুযোগ পেলে তখন আবার আওয়ামী লীগ নামেই দলটি নিবন্ধিত হয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলো।

    মহিউদ্দিন আহমদ বলছেন, আওয়ামী লীগ নামে দলটি আবার ফিরে আসলো ১৯৭৬ সালে। তবে শেখ মুজিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো নেতা তৈরি না হওয়ায় তার হত্যাকাণ্ডের পর দলের মধ্যে দলাদলি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দল কয়েক ভাগে ভাগ হলো।

    এরপর ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯টি এবং আওয়ামী লীগ (মিজান) দুটি আসন লাভ করে। আওয়ামী লীগের একটি অংশ আবার বাকশালকেও সক্রিয় করে।

    এর আগেই দেওয়ান ফরিদ গাজী এবং আব্দুল মালেক উকিলের নেতৃত্বে দুটি অংশ হয়ে যায় আওয়ামী লীগের। এর বাইরে দল থেকে বেরিয়ে আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ এবং এমএজি ওসমানি আলাদা দল গঠন করেছিলেন।

    মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ মুজিব রক্ষীবাহিনী এবং অন্য বাহিনীর ওপর নির্ভর করে দেশ শাসন করেছিলেন। দলের সব ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছিলেন। ফলে দল হয়েছিলো মুজিব নির্ভর। এ কারণে ১৫ই অগাস্টের পর দলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    তিনি বলেছেন, ১৫ অগাস্ট পরবর্তী সরকার পরবর্তীকালে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠিত হবার সুযোগ দিয়েছিল।

    এরপর দল টেকানোর জন্য দলের বিবদমান নেতারাই ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি করে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন। এরপর থেকে এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাই দলের সভাপতি পদে আছেন।

    ২০২৪ সালের অগাস্ট পরবর্তী পরিস্থিতি:

    ব্যাপক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পাঁচই অগাস্ট ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এর পরপরই ঢাকায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ কয়েকটি কার্যালয়ে ব্যাপক হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। দেশের বহু জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, দোকানপাটেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    গোপালগঞ্জে শুধু আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা ‘শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে’ দাবি করে গত পাঁচই অগাস্টের পরপর বেশ কয়েক দফায় কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

    শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরপরই দলের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান এবং দলটির কোনো স্তরের কোনো নেতাকেই আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। শেখ হাসিনাসহ দলের সব নেতার বিরুদ্ধেই বহু মামলা দায়ের হয়েছে।

    এরপর গত দুইমাসে দলের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী এমপিদের অনেককেই আটক করেছে পুলিশ যার মধ্যে আছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, দীপু মনি, সালমান এফ রহমানসহ অনেকেই।

    সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং মাহবুব উল আলম হানিফসহ সহ সিনিয়র নেতারা, যাদের আটকের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি তারা কে কোথায় আছেন নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, ওবায়দুল কাদের এবং জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ নেতাদের বড় একটি অংশ ভারতে চলে গেছেন। কেউ কেউ ভারত হয়ে অন্য দেশে গেছেন। যদিও নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

    দলের কোনো নেতাকে প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও কয়েকটি বিবৃতি গণমাধ্যমে এসেছে জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং মাহবুব উল আলম হানিফের নামে। এছাড়া দল এবং শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যাখ্যা করে একাধিকবার ভিডিও বার্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এমন অবস্থায় গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগে চরম নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিয়েছে।

    এতে সাংগঠনিকভাবে দলটি রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন দলটির তৃণমূলের নেতারা। তাদের অনেকেই এখন উদ্বেগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গণমাধ্যমে কথা বলার সময় কেউ তাদের নামও প্রকাশ করতে চান না।

    মহিউদ্দিন আহমদ বলছিলেন, দুই মাস হয়ে গেছে সরকারের পতন হয়েছে। এখনো কিন্তু নেতা হিসেবে কেউ দাঁড়াতে পারছেন না। এখন শেখ হাসিনার ছেলে বিবৃতি দিচ্ছেন। কথা বলছেন। তার পরিবারের বাইরে দলের কোনো নেতাকে এখনো দেখা যাচ্ছে না।

    অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলছেন, শেখ হাসিনার আমলে যে পরিমাণ অন্যায় অত্যাচার হয়েছে তার প্রতিক্রিয়ায় এবারে দলটির অবস্থা আরও সংকটাপন্ন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। কিন্তু এবারে সরকারের পতনের পর তার সব চিহ্ন মুছে দেয়া হয়েছে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ছন্নছাড়া হয়ে গেছে।

    শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরপরই তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, আমার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। আমার মনে হয় এখানেই শেষ। আমার পরিবার এবং আমি – আমাদের যথেষ্ট হয়েছে।

    তবে কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য তাকে ভিন্ন সুরে বলতে শোনা গেছে, ‘অবশ্যই তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে ফিরবেন, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।’

    এরপর সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শোনা গেছে, শিগগিরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। যদিও পরে এ বিষয়টি আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায় থেকে নিশ্চিত করেননি দায়িত্বশীল কেউ।

    সূত্র: বিবিসি।