কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা সেল এর উদ্যোগে ও সাতক্ষীরা গুড মনিং হেলথ ক্লাবের সদস্যদের অংশ গ্রহণে রবিবার সকাল ৭টায় সাতক্ষীরা প্রেসকøাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর বারী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পরিচ্ছতা অভিযানের শুভ উদ্বোধন করেন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির অংশ হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে এ কার্যক্রম । পর্যায়ক্রমে শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হবে এ কার্যক্রম। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে আরো অংশ গ্রহণ করেন সাতক্ষীরা গুড মনিং হেলথ ক্লাবের সদস্য ও শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আশেক-ই এলাহী, কাজী সেলিম, সাবেক কৃষি ব্যাংক ম্যনেজার শামসুর রহমান মিঠু, মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ মিজান,ফজলুল হক.স্বপন কুমার,মোঃ রুহুল আমিন, রেজাউল ইসলাম রাজা বি.আর.বি শরিফুল হক,বি.আর বি.হাবিবুর রহমান, মোস্তাক আহমেদ, প্রফেসর তপন কুমার, প্রফেসর এ আর মোবাশ্বের হোসাইন জ্যোতি, মাগফুর রহমান , নবকুমার, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা সেল এর অর্গানিয়র শেখ হুসাইন-প্রমূখ
Blog
-

উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির উদ্যোক্তা তৈরিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান।
লিডার্স অদ্য ১০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে তার প্রধান কার্যালয়ে উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানি
সংকট নিরসনে গাজী ড্রিংকিং ওয়াটারের স্বত্বাধিকারী মোঃ মুহসিন হোসাইনকে চেক হস্তান্তর
করেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সুপেয় পানির সংকট প্রকট
আকার ধারণ করেছে। ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙে মিঠা পানির উৎসে লবণ
পানি প্রবেশের কারণে খাবার পানির সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুকনো মৌসুমে এই সংকট
তীব্রতর হয়ে ওঠে, যা উপকূলবাসীর জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
উপকূলীয় উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এই সমস্যা নিরসনে কাজ করছে। সম্প্রতি শ্যামনগর উপজেলার
প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত পদ্মপুকুর ইউনিয়নে জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ-২০২৩ প্রকল্পের
আওতায় সুপেয় পানি উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে গাজী ড্রিংকিং ওয়াটারের স্বত্বাধিকারী মোঃ মুহসিন
হোসাইনকে চেক হস্তান্তর করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে লিডার্স স্থানীয় জনগণের জন্য সুপেয়
পানি সহজলভ্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
লিডার্সের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিডার্স-এর
ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক জনাব রণজিৎ কুমার বর্মন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব এবিএম
জাকারিয়া, হেড অব এ্যাকাউন্টস জনাব রায়হান কবির, টিম লিডার অসিত মন্ডল, মিল অফিসার
জয়দেব যোদ্দার এবং এ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, উপকূলীয় পানি ব্যবস্থাপনায় কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে লিডার্স সংযুক্ত
আরব আমিরাতের জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ ২০২৩ অর্জন করেছে এবং ২০১৫ সালে
আন্তর্জাতিক ওয়াটার শোকেজ পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য সুপেয়
পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে লিডার্স নিরলসভাবে কাজ
করে যাচ্ছে। -

সাতক্ষীরায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার জাফরপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১০ নভেম্বর) মাদ্রাসার সামনে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার এবং সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই দুই শিক্ষক ফ্যাসিস্ট রাজনীতির সাথে জড়িত এবং মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন, আর্থিক কেলেঙ্কারি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এই দুই শিক্ষকের শাস্তির আওয়াত আনার দাবি জানিয়ে বলেন, মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সাত্তার আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসায় নানা অনিয়ম ও নিয়োগ বানিজ্য করেছে। অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনও আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ক্লার্ক থেকে ভুয়া পদ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে শিক্ষক হয়েছেন। ওই দুই শিক্ষক পদত্যাগ না করলে তারা ক্লাসে ফিরবেন না বলেও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
-

সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা
সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ’র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর ইশতিয়াক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডিডিএলজি মাসরুবা ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস, জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি আব্দুল সাত্তার, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আবুল হাশেম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ মো. হাশেম আলী প্রমুখ। এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -
খাদিজাতুল কুবরার ইন্তেকালে সাতক্ষীরা জামায়াতের গভীর শোক প্রকাশ
সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা
মোস্তাফিজুর রহমানের বড় মেয়ে খাদিজাতুল কুবরার ৪২ বছর বয়সে গত ৯ নভেম্বর
রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ……… রাজিউন)।
তিনি ২ পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ১০ নভেম্বর দুপুরে নামাজে
জানাযা শেষে মরহুমাকে নিজ বাড়ি শহরের পুরাতন সাতক্ষীরায় পারিবারিক কবর
স্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোকবাণী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর শাখার নায়েবে আমির মাওলানা
মোস্তাফিজুর রহমানের বড় মেয়ে খাদিজাতুল কুবরার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ
করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমির অধ্যাপক শহিদুল
ইসলাম মুকুল, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, শহর আমির জাহিদুল ইসলাম ও
সেক্রেটারী খোরশেদ আলম যৌথভাবে এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে নের্তৃদ্বয় মরহুমার জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে
জান্নাতবাসী করার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন এবং মরহুমার শোক-
সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল
আলামীন তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন। -

সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত
সাতক্ষীরা ::সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় খুলনা রোডস্থ মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে থেকে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে বৈষম্য বিরোধী lছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করে। যা ঘন্টা ব্যাপী চলতে থাকে।এসময় সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বক্তব্যরা বলেন, “পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ ও তার দোসর রা বিদেশে বসে অনলাইনের মাধ্যমে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি করার যে পায়তারা করছে তা রুখে দিতে ছাত্র-জনতা সমন্বয়ে সারাদেশব্যাপী আজকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তারা আরো বলেন কোনভাবেই বাংলাদেশে আর কোন অরাজকতা সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগকে দেয়া হবে না। এ সময় বক্তারা গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে তার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানান”। -

সাতক্ষীরায় জেলা যুবদলের উদ্যোগে শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে মিছিল ও সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি : স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক এই স্লোগানকে সামনে রেখে শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে ১০ নভেম্বর ২০২৪ জেলা যুবদলের আয়োজনে শহরে করিম সুপার মার্কেট মাওয়া চাইনিজ রেস্তোরাঁর সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম বাবু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আলি শাহিন, সদর থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুমনুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম কল্লোল, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাসিউল করিম রোমান, দেবাশীষ চৌধুরী, যুবদল নেতা পারভেজ রোমেল,আরিফ ইকবাল, আশরাফ আলী, মনিরুল ইসলাম,জীবন প্রমুখ। এসময় জেলা যুবদলের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৯০ এর বীর শহিদ এই তরুণের স্লোগান ছিলো স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক ২৪ এর স্লোগানের সাথেই ছিল একই মিল। ফ্যাঁসিবাদী ও সৈরাচার বিরোধী এ আন্দোলনেও অনেক নুর হোসেনকে জীবন দিতে হয়েছে। তাই আর যেন বাংলার মাটিতে কোন সৈরাশাসক ফিরে না আসে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌর যুব দলের সদস্য সচিব মাসুম রানা সবুজ। -

অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেনের চিকিৎসার খোজখবর নেন জেলা সাহিত্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ
জেলা সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের
সাবেক অধ্যাপক মোঃ মোজাম্মেল হোসেন চোখের অপারেশন জনিত
কারনে অসুস্থ্য হয়ে পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন
আছেন। জেলা সাহিত্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ চিকিৎসার খোজখবর নিতে
তার বাড়ীতে যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সাহিত্য পরিষদের
সভাপতি মোঃ শহীদুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুর রব ওয়ার্ছী, সাধারণ
সম্পাদক ম. জামান, কার্যনির্বাহী সদস্য মোসফিকুর রহমান মিল্টন,
সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান, সহ
সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ খাইরুল বাসার, মোঃ ইকবাল
হোসেন প্রমুখ। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার চিকিৎসার খোজখবর নেন
এবং দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি। -

কপ-২৯ কে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে যুববন্ধন
আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনকে (কপ-২৯) সামনে রেখে
সাতক্ষীরায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে যুববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ
রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও
বৈচিত্র্য রক্ষা টিম যৌথভাবে এই যুববন্ধনের আয়োজন করে।
এই বন্ধনে অংশ নিয়ে তরুণরা ‘উপকূলের চিৎকার, জলবায়ু সুবিচার’, ‘জলবায়ুর
ন্যায় বিচার এখনই দরকার’, ‘এক বিশ্ব, একটি সুযোগ’, ‘জলবায়ু উষ্ণতা
থেকে আমরা বাঁচতে চাই’, ‘তোমাদের জলবায়ু জলসার শেষ কোথায়?’,
‘আমাদের দাবি কি বাকু পৌঁছাবে’, ‘তোমাদের যুদ্ধ বন্ধ করো জলবায়ু ঠিক
কর’, ‘বেঁচে থাকার অধিকার জলবায়ুর সুবিচার’, ‘পরিবেশ ধবংস করে উন্নয়ন
চাই না’, ‘নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না’, ‘আর নয় মিথ্যা আশ্বাস’ প্রভৃতি
স্লোগান দেয়।
এসময় বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পৃথিবী বসবাসের
অযোগ্য হয়ে পড়বে। মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এরই মধ্যে জীবন-
প্রকৃতি, মাটি, পানি, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সুন্দরবনে বৈরী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকার মানুষ জমি, বাড়িঘর এমনকি কর্ম হারিয়ে অনিশ্চিত জীবনযাপন
করছে। লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে। বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে এর দায় নিতে হবে।
জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে।
মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে যুববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে
বক্তব্য রাখেন পরিবেশ কর্মী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ
ব্যানার্জি, অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য
সচিব, উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি
কর্ণ বিশ্বাস কেডি, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সদস্য মুশফিকুর
রহিম ও হৃদয় মন্ডল, বারসিকের সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী মাহিদা
মিজান প্রমুখ। -

‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়’
ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিভিন্ন ধরণের জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সহাবস্থানই এদেশের বৈশিষ্ট্য। সংবিধানেও দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মপালন, ব্যবসা, রাজনীতি, শিক্ষাসহ সকলক্ষেত্রে সমানাধিকারের কথা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান সম্প্রীতি-সৌহার্দ্যরে সম্পর্ক বিনষ্টের জন্য কিছু কায়েমী-স্বার্থবাদী দুষ্কৃতকারী অপচেষ্টা চালায়। তাদের প্রতিহত করার জন্য সরকার সজাগ আছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়।ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক সমস্যা নিরসনে ওলামা মাশায়েখদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। আমরা মন্থর হয়ে যাওয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গতি ফিরিয়ে আনতে চাই। ফাউন্ডেশনের চারটি বিভাগ থেকে একসময় বিশ্বকোষ-অনুবাদসহ গবেষণামূলক অনেক বই প্রকাশ হতো, যা এখন বন্ধ আছে। এ প্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে
তিনি আরও বলেন, জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের সংস্কারের মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন ও ধর্মীয় গাম্ভীর্যময় আইকনিক মসজিদে পরিণত করা হবে। মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষার অনিয়মগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মডেল মসজিদের নির্মাণজনিত ক্রুটি থাকলে বা অনিয়ম হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবছর হজের বিভিন্ন প্যাকেজে খরচ কমেছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুর সংখ্যা কমার কারণ বেরকরে সমাধান করা হবে। আগামীতে সমুদ্রপথে হজে যাওয়া সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। খুলনা জেলায় ১১টি মডেল মসজিদের ছয়টি উদ্বোধন হয়েছে, চারটি নির্মাণাধীন ও একটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। সারাদেশে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ৪০টি মডেল মসজিদ প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে অনলাইনে উদ্বোধনের ব্যবস্থা করা হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. তবিবুর রহমান, ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার। খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলীর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মুহম্মদ জালাল আহমদ। সভায় ওলামা মাশায়েখসহ তিনশত ইমাম অংশ গ্রহণ করেন।
-

আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে ৬০ শতাংশ
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। বাংলাদেশের থেকে পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করছে আদানি। এমন সময়েই সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে তারা।বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র। এছাড়া বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ডাটা থেকেও জানা গেছে এই তথ্য।
গত মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় আদানি। এখন নতুন করে আরও ১০ শতাংশ কমিয়েছে তারা।
শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতে ঝারখণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে আদানি। গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে গ্রুপটি। কিন্তু বকেয়া জমে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে এটি ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা। আর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি। কেউ যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।”
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আদানির বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা তুলে দেওয়া এবং বাংলাদেশের বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা ত্বরান্বিত করার পরও আদানির কাছ থেকে কম বিদ্যুৎ আসছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে গ্রুপের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। কিন্তু আদানির একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং একইসঙ্গে বকেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর কয়লার দাম বেড়ে গেলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর গণ আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
মিডিয়াতে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কর্মকর্তা এবং আদানি গ্রুপের সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছে।
-

মাওয়া ও পাগলায় মাছ লুটের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী মাছের ট্রাক থামিয়ে মাওয়া ও পাগলা এলাকায় প্রতিনিয়ত মাছ লুটের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জেলা মৎস্য ট্রান্সপোর্ট মালিক ও ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ীরা। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনের বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কোস্ট গার্ডের মাওয়া ও পাগলা বিসিজি স্টেশনের কথিত সোর্স রাজিবের সহযোগীতায় মাছ বহনকারী ট্রাক থেকে নিয়মিত মাছ লুট করা হচ্ছে। এই লুটের কারণে মৎস্য ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সাথে তারা ব্যবসা পরিচালনা করতে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দাবি জানান বক্তারা।
সাতক্ষীরা মৎস্য ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান মানববন্ধনে সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ জয়নাল আবেদীন, আবু জাফর, রোকনুজ্জামান, রহমত উল্লাহ, উত্তম বাবু, রনো বাবু প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী রহমত আলী, বিশ্বনাথ মেম্বার, আব্দুস সামাদ, ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম, চয়ন ফিসের সুকুমার বিশ্বাস, মিন্টু, তাইজুল বিশ্বজিৎ দাস, ইউনুস আলী, বাপ্পী প্রমুখ।
এবিষয়ে ব্যবসায়ীরা কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
-

যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অনেক দূরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে: ইরান
তেহরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গাজায় এবং লেবাননে ইসরায়েলের যে যুদ্ধ চলছে, তা মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অনেক দূরে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। শনিবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তৃতায় এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তিনি।আরাগচি বলেন, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষতিকর প্রভাব কেবল পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি অনেক দূরেও এর প্রভাব পড়তে পারে; যা বিশ্বের জানা উচিত।
গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপর সেদিনই গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের চিরশত্রু ইসরায়েল।
তবে সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ থেকে সামরিক শক্তিকে লেবাননের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। গত সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পুরোমাত্রার যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক জেনারেল নিহত হওয়ার পর গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। ওই দিন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে দুই শতাধিক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। এই হামলার জবাবে গত ২৬ অক্টোবরে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৬ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর চার সদস্য নিহত ও রাডার ব্যবস্থায় সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের গণমাধ্যমের খবরে ইসরায়েলি হামলায় একজন বেসামরিকের প্রাণহানির তথ্যও জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল পাল্টা হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করলেও তেহরান কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, গাজা এবং লেবাননে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ইরানের প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেন, ‘‘যদি তারা (ইসরায়েলিরা)… যুদ্ধবিরতি মেনে নেয় এবং এই অঞ্চলের নিপীড়িত ও নিরপরাধ মানুষকে গণহত্যা বন্ধ করে, তাহলে সেটি আমাদের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা ও ধরণে প্রভাব ফেলতে পারে।’’
বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একজন উপদেষ্টা ইসরায়েলকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলী লারিজানি বলেছেন, ইরানে সংঘাত টেনে নিয়ে আসাই ইসরায়েলের লক্ষ্য। এই ফাঁদ এড়াতে আমাদের অবশ্যই বুদ্ধিমানের সাথে কাজ করতে হবে এবং সহজাত প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না।
-

ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নলতার এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নলতায় অবস্থিত এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদ করতে পায়তারা চালাচ্ছে একটি কু-চক্রিয় মহল। শনিবার (৯ নভেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ধ্বংশ না করে এবাদতখানা প্রতিষ্ঠা করতে এবং হুমকি ও অপপ্রচার থেকে রেহায় পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন নলতা এমজেএফ ফাউন্ডেশন ও এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা সহকারি আবুল হুসাইন বলেন, মানবাধিকার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এম.জে.এফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০০৮ সাল থেকে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় বাড়ি ভিত্তিক প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপশি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৪ সালের ১০ই আগস্ট নলতা চৌমহনীতে প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে সাবেক ইউএনও গোলাম মাইনউদ্দীন হাসানের সহযোগিতায় ও যুগ্ম- সচিব সুলতান মাহমুদের পরিদর্শন পরবর্তী মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি লাভ করে। পরে ২০১৯ সালে নলতা জিয়ার খালের চরের খাস জমিতে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরীত হয়। সেই থেকে দীর্ঘ ৫ বছর ওই স্থানে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জমিটি বিদ্যালয়ের নামে বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলার সাবেক ইউএনও রহিমা সুলতানা বুশরা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহার আলীর সহযোগিতায় স্থানীয় ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শরমীষ্ঠা ছবি সহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। সেই সাথে স্কুলের নামে জমি বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসিল্যান্ড, ইউএনও এর মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেন।
আবুল হুসাইন অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতির সুযোগে ৬ আগস্ট সকালে স্থানীয় আ’লীগ নেতা হাবিবুর রহমানের ছেলে যুবলীগ নেতা ডাঃ আবু হাসান এবং তার সহযোগি আল-আমিন ও রুবেল, বাচ্চুর পরিকল্পনায় বহিরাগতরা বিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রায় ৩ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে বিদ্যালয় সংস্কার করতে গেলে উল্লেখিতরা বাধা দানের পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায় ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের সহযোগীতা কামনা করেন। পরে সেনা সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সংস্কার কাজ শুরু হলে ওই দিন সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা ডা. আবু হাসানের নেতৃত্বে একটি ব্যানার টানিয়ে বিদ্যালয়ের গা ঘেষে পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে। এসময় তারা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের লক্ষ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতি আকৃষ্ট করে বিভিন্ন পত্রিকয় সংবাদ প্রকাশ করায়। যা বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্টের পায়তারার সামিল। বর্তমানে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ এমএফ’র পরিচালক ও তার পরিবার এবং বিদ্যালয়ের স্টাফদের বিভিন্নভাবে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে চলেছে। গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় মাঘুরালী গ্রামের হাফিজুল, আবু বকর পরিচালকের বড় ছেলে আবু রায়হানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা ধর্মভীরু মুসলিম পরিবারের সন্তান, আমি কখনো এ মহল্লার মানুষের আশাহত মসজিদের বিরোধী নই। আমরাও চাই এই মহল্লায় একটা এবাদতখানা প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু সেটি প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় ধ্বংস করে নয়। তিনি এবিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মীর খায়রুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক আরিফুল হক, সাদ্দাম হোসেন, আবুল কাশেম, শরিফা কাতুন, শিক্ষা সহায়ক আবুল হোসেন, উম্মে শাখওয়া শারমিন ও এমজেএফ’র নির্বাহী পরিচালক আজহারুল ইসলাম প্রমুখ। -
সাতক্ষীরায় পরিবেশ সাংবাদিকতা ও মোজো বিষয়ক পাঠ্যধারা
সাতক্ষীরায় পরিবেশ সাংবাদিকতা ও মোজো বিষয়ক পাঠ্যধারা অনুষ্ঠিত হয়েছে
শনিবার (৯ নভেম্বর) সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্র এই পাঠ্যধারার আয়োজন করে।পাঠ্যধারায় মোজো বিষয়ে ধারণা দেন সিনিয়র সাংবাদিক আহসান রাজীব। তিনি বাংলাদেশে নিউ মিডিয়ার সম্প্রসারণ, মোবাইল সাংবাদিকতা, মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ, কনটেন্ট তৈরি ও এডিটিং প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।
এছাড়া পরিবেশ সাংবাদিকতা বিষয়ে ধারণা দেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব তানজির কচি। এসময় বাংলাদেশে পরিবেশ সাংবাদিকতা, পরিবেশ সাংবাদিকতার মানদ-, বাংলাদেশে পরিবেশ সংক্রান্ত আইন সংকলন, পরিবেশ বিষয়ক উন্নতমানের সংবাদ তৈরি প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষণে অংশ নেন বাংলাট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, মানবজমিনের এসএম বিপ্লব হোসেন, খবরের কাগজের নাজমুস সাদাত জাকির, আমাদের সময়ের বিলাল হোসেন, ঢাকা পোস্টের ইব্রাহিম খলিল, স্বদেশ প্রতিদিনের হাবিবুর রহমান সোহাগ, ঢাকা টাইমসের হোসেন আলী, সংবাদ প্রকাশের রিজাউল করিম, বার্তাটুয়েন্টিফোরের মৃত্যুঞ্জয় রায় অপূর্ব, খবরের কাগজের সুলতান শাহাজান, দ্য এডিটরস এর মেহেদী হাসান শিমুল ও জুবায়ের মাহমুদ, ভয়েস অব টাইগারের মিলন রুদ্র।
-

সাতক্ষীরা সীমান্তে ৬টি স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারী আটক
সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঁচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা ৬টি স্বর্ণের বারসহ মোঃ রাশেদুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। আটক স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ১ কেজি ১০৮ গ্রাম ১৫০ মিলিগ্রাম। শনিবার সকালে কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক রাশেদুল ইসলাম কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের মোঃ আনিছ জামানের ছেলে।
বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাকডাঙ্গা বিওপির নায়েক মোঃ হরমুজ এর নেতৃত্বে একটি দল গোয়ালচাতর বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় ভ্যানযোগে সীমান্ত এলাকায় গমনকালে মোঃ রাশেদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে তল্লাশী করে কোমরে গামছা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ০৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৮৬ টাকা। আটক আসামিকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ ও স্বর্ণের বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। -

বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি: মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমানের উপর দাওয়াতি কাজ করা তথা আল্লাহর দিকে আহবান করা ফরজ। এটা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। এজন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। তাদের মন, মগজ ও চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি। নবী রাসূলগণ ও সাহাবা আজমাইনেরা ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ করতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব আল্লাহর রাহে বিলিয়ে দিয়েছেন। এজন্য সাতক্ষীরা জেলার সকল আলম ওলামাকে নিজেদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানীর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। শনিবার (১১নভেম্বর) সাতক্ষীরা আলামিন ট্রাষ্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ওলামা বিভাগের বিভাগীয় সেক্রেটারী মাওলানা ওসমান গণির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ড. মোঃ রুহুল আমিনের পরিচালায় ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শুরাসদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী।দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে জামায়াত বদ্ধ জীবনযাপন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর সঠিক আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। কারণ ইসলাম পরাজিত হওয়ার জন্য আসেনি, সকল মতবাদের ওপর বিজয়ের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে আমাদের জন্য পাঠিয়েছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং জান ও মালের কোরবানীর মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ী করার প্রত্যয়ে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
-

কলারোয়ায় সন্ত্রাসী ভাগ্নের অত্যাচার-নির্যাতনে মানবেতর জীবন যাপন করছে অসহায় বৃদ্ধা দু’বোন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভাগ্নে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিধবা অসহায় মা-খালাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে মারপিট এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলার লোকাকুড়া গ্রামের মৃত শামছুদ্দিন দালালের স্ত্রী বৃদ্ধা আনোয়ারা খাতুন (৬৮) এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাড়িতে আমার প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা এক বোনকে সাথে নিয়ে বসবাস করি। কলারোয়ার লাহাকুড়া মৌজায় আর এস খতিয়ান ৪১৫, আর এস দাগ ৩১৪, এস এ দাগ ২৫৮, মোট ৬৬ শতক জমির মধ্যে ৩৩ শতক সম্পত্তির মালিক আমরা ৪ বোন এবং সেজ বোনের ছেলে একাই এলাকার মৃত জহরআলী দালালের ছেলে ফজলুর রহমান। বিগত ২০১৩ সালে স্বামীর অসুস্থ্যতার কারণে টাকার প্রয়োজনে ফজলুর রহমানের কাছে আমার ভাগের ৪ কাঠা জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। এসময় সে শর্ত দেয় আমার প্রতিবন্ধী বোন ছায়রা বিবি’র জমিও তাকে লিখে দিতে হবে। স্বামীর অসুস্থ্যতা কারণে বাধ্য হয়ে বোনকে রাজি করে তাকে জমি লিখে দেই। জমি রেজিস্ট্রির সময় ফজলুর ৩ লক্ষ টাকা বাকি রাখে। পরবর্তীতে ওই টাকা না দিয়ে সে তালবাহানা করতে থাকে। ইতোমধ্যে আমার স্বামী মারা যায় এবং একমাত্র ছেলে বিদেশে গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই মুহুর্ত্বে ভাগ্নে ফজলুর অত্যাচারে আমরা অতিষ্টি হয়ে উঠেছি।
বৃদ্ধা আনোয়ারা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ফজলুর আমাদের জমি বিক্রির বাকি ৩ লক্ষ টাকা না দিয়ে উল্টো আমাদের কাছে ৪লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। টাকা না দিলে আমাদের হত্যা করবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। ফজলু খুব হিং¯্র প্রকতির লোক। সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার সুযোগে ফজলু এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তুলেছে। এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়সহ নানাভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ফজলুর অত্যাচারে তার নিজের মাও ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়। পরে সেখানে মারা যান তার মা।
তিনি আরো বলেন, আইন শৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে ফজলু এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে গিয়ে ফজলু এবং তার স্ত্রী শাহানাজ ওরফে খুকু আমার লাগানো গাছ কাটতে থাকলে বাধা দেওয়ায় আমাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এসময় তারা গলা টিপে ধরে আমাকে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আমি সেযাত্র রক্ষা পাই। এসময় আমার প্রতিবন্ধী বড় বোন ছায়রা বিবিকেও মারপিট করে তারা। গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ৪লক্ষ টাকার দাবিতে ফের আমাকে মারপিট করে ফজলু। এরপর থেকে রাস্তায় এবং আমার বাড়ি পিছনে ধারালো দা নিয়ে মহড়া দিচ্ছে সে। টাকা না দিলে আমাদের দু’বোনকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। ফলে তার ভয়ে আমরা অসহায় দুইবোন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা শালিসের আশ^াস দিলেও এলাকায় ফজলুর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারনে তারা শালিস করতে ব্যর্থ হন।
তিনি সন্ত্রাসী ভাগ্নে ফজলুর হাত থেকে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
