Blog

  • সাতক্ষীরায় মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরায় মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরায় মজলুম জননেতা মাওলানা আঃ হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে ভাসানী অনুসারী পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক রশীদুল আলম, নাসির উদ্দিন, সদস্য মোঃ বিপ্লব হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গণমানুষের মুক্তি আন্দোলনের মহান নেতা মওলানা ভাসানী বেঁচে থাকবেন অনাদিকালজুড়ে। এই দেশ ও এই জাতি যতদিন টিকে থাকবে, মওলানা ভাসানীকে কেউ অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করতে পারবে না। তাঁর সংগ্রামী আদর্শের কোনো মৃত্যু নেই। ইতিহাসই তাঁর সঠিক মূল্যায়ন করবে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
    বক্তারা আরো বলেন, শুধু ক্ষমতা রাজনীতির লক্ষ্য নয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর কর্মকান্ড তাই প্রমাণ করেছেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। তিনি আজীবন দেশের জন্য, মানুষের জন্য, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, কথা বলেছেন। এক কথায় মওলানা ভাসানী ছিলেন দুঃসাহসী ও চিরবিদ্রোহী রাজনীতিবিদ।

  • নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় আন্ত: স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায়  চ্যাম্পিয়ন

    নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় আন্ত: স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন

     

    নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নবারুণ
    উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সাতক্ষীরায় দি ক্লাইমেট সিরিজ আন্ত:স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-
    ২০২৪ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে
    ৯টায় শহরের চালতেতলা কাথলিক মিশন হলরুমে সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের আয়োজনে সিডো
    সংস্থার বাস্তবায়নে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের সহযোগিতায় দি ক্লাইমেট সিরিজ
    আন্ত: স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
    ও সাতক্ষীরা ইয়ূথ গ্রুপের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল
    “জনপ্রিয় মিডিয়ার উচিত জলবায়ূ পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগজনক ভবিষ্যদ্বাণীর পরিবর্তে
    এটিকে আশাবাদিভাবে প্রচার করা”। “প্রধান দূষণকারী দেশগুলি জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে
    সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলিকে ক্ষতিপূরন দিবে”। একটি উন্নয়নশীল জাতি হিসেবে আমরা
    জলবায়ূ পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশীয় ও আঞ্চলিক নীতি গ্রহন করবো”। “বৈশ্চিক
    জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রশমন অপেক্ষা অভিযোজন অধিক গুরুত্বপূর্ন”।
    বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন একশনএইড বাংলাদেশ ইন্সপেরিটর
    শারার মাহবুব ধ্রুব, বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল
    কুমার বিশ^াস, সাতক্ষীরা কমার্স কলেজের উপধ্যক্ষ কাজী তাজউদ্দিন, গাভা আইডিয়াল কলেজের
    প্রভাষক বিশ^নাথ কয়াল। বিতর্ক প্রতিযোগিতা ৮টি গ্রুপে কোয়ার্টার রাউন্ড দিয়ে শুরু
    হয়। উপরোক্ত ৪টি বিষয়ের উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কারিমা
    মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দ্য পোল স্টার এন্ড পৌর হাইস্কুল, মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ও
    সাতক্ষীরা ইয়ূথ গ্রুপের সদস্যবৃন্দ পক্ষে-বিপক্ষে অংশগ্রহন করেন। “আগামীর বৈশি^ক সংকট
    হিসেবে ক্ষুধা দারিদ্র্যের চেয়ে জলবায়ূ বিপর্যায়কে অধিক গুরুুত্ব দিতে হবে”। “ক্লাইমেট
    সর্ম্পকিত পলিসি শুধু রাজনীতিবিদরা করবেন না বরং এতে বিজ্ঞানীদের ও সুযোগ দিতে হবে”।
    উপরোক্ত ২টি বিষয়ের উপর নবারূন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং
    সাতক্ষীরা ইয়ুথ গ্রুপ ও দ্য পোল স্টার এন্ড পৌর হাইস্কুল বিজয়ী হয়ে সেমিফাইনাল রাউন্ডে ৪টি
    গ্রুুপ অংশগ্রহন করে। সেমিফাইনাল থেকে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও সাতক্ষীরা ইয়ূথ
    হাব বিজয়ী হয়ে ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহন করেন। ফাইনাল রাউন্ডের বিষয় ছিল “জলবায়ূ
    দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার এর ভুমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ন” পক্ষে-বিপক্ষে চুড়ান্ত
    লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং রানার্স আপ হয়েছে সাতক্ষীরা
    ইয়ূথ গ্রুপ। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দলনেতা ফাতেমা
    মাহজাবিন আনিসা।
    নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাফল্যের ইতিহাস “৫৬ বছরের ইতিহাসের সেরা কারিগর,
    আধুনিক আবিষ্কারক, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে, বিদ্যালয়ের অবকাঠামগত উন্নয়নের এক
    অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়ে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বরাবর এর মতো সাফল্য ধরে রেখেছে নবারুণ
    উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজী। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক,
    ম্যানেজিং কমিটি, সুধীজনের পরামর্শক্রমে নবারুণ স্কুলের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ফলাফল। সকল
    বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে একাধারে ৯বার, যার একবার
    খুলনা বিভাগের সেরা বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতমদের একটি হওয়ার গৌরব
    অর্জন করেছে এই স্কুল। এমনই একজন করে প্রধান শিক্ষক, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকলে
    দেশের শিক্ষারগুণগত মান উন্নয়ন হতে বেশি সময় লাগবে না ইনশাআল্লাহ। প্রধান শিক্ষকের কাছে
    বিতর্কের ফলাফল সম্পর্কে অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সাতক্ষীরা বাসির দোয়া ও
    ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। আমি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি অভিভাবক সুধীজন
    সর্বাগ্রে সাতক্ষীরাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং দোয়া চাই, আমি আমার চাকরি

    জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এভাবে যেন নবারুণ স্কুলকে, তথা সাতক্ষীরার নারী শিক্ষাকে সর্বোচ্চ
    পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও রানার্স আপ দলকে পুরস্কার
    হিসেবে ক্রেস্ট ও শ্রেষ্ঠ বক্তাকে মেডেল ও দলীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ বক্তাদের ডায়েরী প্রদান করা হয়। নবারুণ
    উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের চ্যাম্পিয়ন শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে তাদের সাফল্যের
    নেতৃত্বদানকারী একমাত্র প্রাণপ্রিয় প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজীর হাত থেকে
    চ্যাম্পিয়ন ক্রেস্ট গ্রহণ করে। এছাড়াও প্রত্যেক অংশগ্রহনকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা
    হয়। এই বিতর্কের মধ্যে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটানো এবং অন্যান্যদের মধ্যে
    প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের
    প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজী , খন্ডকালীন শিক্ষক সালমা আক্তার ও আল-আমিন, মো.
    তহিদুজ্জামান, তহিদ, প্রকল্প সমন্বয়কারী, সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবেব সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
    শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • জেলা সাহিত্য পরিষদের বার্ষিক সাধারন সভা ও প্রীতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    জেলা সাহিত্য পরিষদের বার্ষিক সাধারন সভা ও প্রীতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    জেলা সাহিত্য পরিষদের জেলা কমিটি এবং সমগ্র উপজেলা
    কমিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে জেলা সাহিত্য পরিষদ, সাতক্ষীরা
    উদ্যোগে গতকাল সকাল ১০ টায় শহরস্থ তুফান কনভেনশন সেন্টারে
    বার্ষিক সাধারণ সভা ও প্রীতি সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সংগঠনের সভাপতি মোঃ শহীদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
    প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাহিত্য পরিষদের
    প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, বিশেষ অতিথি
    হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম
    টুটুল, জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা, যশোর ও
    বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের (কলেজ) সাবেক পরিদর্শক প্রফেসর আবু
    নছর, জেলা সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি আব্দুর রব ওয়ার্ছী, অধ্যাপক
    মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ম. জামান এছাড়া সদর
    উপজেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মোঃ আব্দুস সোবহান, সাধারণ
    সম্পাদক আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, শ্যামনগর শাখার সভাপতি
    ডাঃ আবু কাওছার, সহ-সভাপতি শওকত ওসমান, কালীগঞ্জ শাখার
    সভাপতি অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, সহ সভাপতি সুকুমার দাশ বাচ্চু,
    সাধারণ সম্পাদক আলী সোহরাব, দেবহাটা কমিটির সভাপতি বীর
    মুক্তিযোদ্ধা হাবীবুল বাসার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিরুল
    ইসলাম, আশাশুনি কমিটির সভাপতি জি,এম মুুজিবর রহমান,
    সাধারণ সম্পাদক কামরুন্নাহার কচি, এস,কে হাসান, কলারোয়া
    কমিটির সভাপতি প্রফেসর আবু নছর, যুগ্নসম্পাদক মোঃ আবু
    বকর সিদ্দিক, তালা কমিটির সভাপতি নারান চন্দ্র সাধু, সহ-সভাপতি
    বিধান চন্দ্র, সাধারন সম্পাদক মোঃ ইবাদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য
    রাখেন অনুষ্ঠানে চৈতালী মুখাজী, মঞ্জুরুল হক, আবু আফফান
    রোজবাবু, নাদিরা বেগম, স্বরলিপি, সৈয়দ একতেদার আলী, মোঃ
    শহীদুর রহমান, ফাইজা হোসেন অন্বেষা, মোঃ আফতাব উদ্দীন প্রমুখ
    সংগীত পরিবেশন করেন, মনিরুজ্জামান ছট্টু, দিলরুবা বেগম,
    শাহাজান সাজু, আক্তার হোসেন ঢালী, রুমানা ইয়াসমিন
    হিরা,ক্যামেলিয়া জাহান প্রমুখ আবৃত্তি করেন অনুষ্ঠানে জেলা ও
    উপজেলার আগত কার্য সাহিত্যিকরা কবিতা পাঠ করেন। সভায়
    সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ম. জামান সংগঠনের আয় ব্যয়ের হিসাব
    এবং বিগত বছরের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সফলতার কথা তার
    সাংগঠনিক প্রতিবেদন বক্তব্যে তুলে ধরেন। সভায় সংগঠনের সভাপতি
    তার স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা কমিটি ভেঙ্গে দেন

    এবং দুইজন উপদেষ্টার কাছে দায়িত্ব অর্পন করেন নতুন কমিটির
    গঠনের জন্য। সে মোতাবেক তার সকল উপজেলা কমিটি এবং উপস্থিত
    সকলের মতামত নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা সাহিত্য পরিষদ,
    সাতক্ষীরার সভাপতি মোঃ শহীদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ম. জামান ও
    সাংগঠনিক সম্পাদক জি,এম হুমায়ুন কবিরকে সাংগঠনিক
    সম্পাদক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আগামী ৩ বছরের জন্য জেলা কমিটির
    ঘোষনা করেন। সাথে সাথে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দ নব নির্বাচিত
    কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা
    করেন সাংগঠনের সহ-সভাপতি শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন।প্রেস
    বিজ্ঞপ্তি।

  • ঝাউডাঙ্গায় ৮দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

    ঝাউডাঙ্গায় ৮দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

     সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের তুজলপুর ফুটবল মাঠে ৮দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুব বিভাগের আয়োজনে শনিবার বিকেলে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় ৭নং ওয়ার্ড বলাডাঙ্গা একাদশ ৩-০ গোলে ৮নং ওয়ার্ড একাদশকে পরাজিত করে।
    উদ্বোধনী খেলায় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ৭নং ওয়ার্ড বলাডাঙ্গা একাদশের মো. রনি হোসেন। খেলায় রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. বাবলুর রহমান।
    ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা নুরুল বাসারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর  সহকারি অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসাইন।
    অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম, সেক্রেটারী প্রভাষক আশরাফুল আলম বুলু, অন-লাইন নিউজ পোর্টাল সাতক্ষীরা নিউজের নির্বাহী সম্পাদক ও সাইপ্রাস প্রবাসী এস.এম আবু রায়হান প্রমুখ।
  • বুধহাটায় জলমহল দখলের হুমকি/ থানায় জিডি 

    আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের হিমখালী জলমহল দখলের হুমকির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। এঘটনায় উত্তর চাপড়া গ্রামের মোঃ আনারুল গাজীর পুত্র মোঃ সাইরুল ইসলাম বাদি হয়ে বেউলা গাজীর মাঠ গ্রামের মৃত ইছাক আলী সরদারের পুত্র শীষ মোহাম্মদ জেরী, মৃত কেয়ামদ্দীন সরদারের পুত্র মোঃ রাশেদুল ইসলাম, মোঃ ফজলু সরদার এবং ইবা গাজীর পুত্র মোঃ নাজমুল ইসলাম কে বিবাদী করে আশাশুনি থানায় ৬২০ নং জিডি দায়ের করেন। জিডি সূত্রে জানা যায় বাদি মোঃ সাইরুল ইসলাম মহেশ্বরকাটি মৌজার ১ নং সরকারি খাস খতিয়ানে হিমখালী জলমহলে অনুমান ২০.২০ একর জমি সরকারের নিকট থেকে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলো। এতে উল্লেখ্যিত বিবাদীরা উক্ত জলমহলের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টা করিলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাদি বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা নং ১৯৯৯/২৪ দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা করার আক্রোশে উল্লেখিত বিবাদীরা শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় বাদি কে জলমহলের রাস্তায় একা পেয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও জলমহল দখলের হুমকি দেয় এবং বাদিপক্ষ দখলের কাজে বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীরা তাদের কে মারপিট ও মিথ্যা মামলা করে হয়রানির হুমকি দেয়। এঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ সাইরুল ইসলাম জলমহলে শান্তিপূর্ণ ভাবে মাছ চাষ এবং বিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
  • Untitled post 25597
    সাতক্ষীরাঃ
    প্রত্যয় গ্রুপ লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার আয়োজনে ইসলামী অর্থনীতি বাস্তবায়নে সম্মানিত ইমামদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “মানবতার কল্যাণে প্রত্যয় করবে সবার মন জয়” স্লোগানে শনিবার সকাল ৯ টায় শহরের আল বারাকা শপিং সেন্টারের হলরুমে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যয় গ্রুপের সাতক্ষীরা শাখার ব্যবস্থাপক মাওলানা বেলাল হোসাইন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক এবং প্রত্যয় গ্রুপের শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মাওলানা মনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের বেনাপোল শাখার ম্যানেজার এবং প্রত্যয় গ্রুপের শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য হাফেজ মাওলানা শেখ মাহবুবুর রহমান, প্রত্যয় গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ আজগর আলী। অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেজা, নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, ডিএমডি নাজমুল হুদা, সাতক্ষীরা শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নলতা শাখার ব্যবস্থাপক খাইরুল ইসলাম সহ প্রত্যায় গ্রুপের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ। অনুষ্ঠানের সাতক্ষীরার ১৩০ জন বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও ইমামগন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের বক্তারা ইসলামী অর্থনীতি বাস্তবায়নে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন। কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন যাপন ও শরিয়াহ ভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
  • সাতক্ষীরা আল কোরআন একাডেমীর উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা আল কোরআন একাডেমীর উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ সাতক্ষীরায় আল কোরআন একাডেমীর উদ্যোগে বিশিষ্টজনদের নিয়ে উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ নভেম্বর সকাল ৯ টার দিকে ইটাগাছা বাঙ্গালের মোড় সংলগ্ন সংগ্রাম টাওয়ারে আল কোরআন একাডেমীতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আল কুরআন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা আগরদাড়ি আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর আসনের সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম ও শিক্ষাবিদ মাওলানা আজিজুর রহমান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা আবুল কাশেম, ইকবল কবির পলাশ, আহমদ আলী সরদার, কালিগঞ্জ সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোসলেম উদ্দীন, ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ, ইটাগাছা ফাড়ির ইনচার্জ সরদার ইকবল, শেয়ার সদস্য মাওলানা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্টান প্রধানসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন। বক্তরা বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশা পাশি আরবি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে আদর্শ ও সুনাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আল কোরআন একাডেমি সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্রের সেরা মানের দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। হেফজুল কোরআন শাখার নূরানী, নাজেরা ও হিফজ বিভাগে বালক, বালিকা, আবাসিক ও অনাবসিক ব্যবস্থা রয়েছে প্রতিষ্ঠিানটিতে।

  • শ্যামনগরে অভিযোজন মেলা: ১৬০ ধরনের লোকায়ত জ্ঞান প্রদর্শন করলেন কৃষক-কৃষাণীরা

    শ্যামনগরে অভিযোজন মেলা: ১৬০ ধরনের লোকায়ত জ্ঞান প্রদর্শন করলেন কৃষক-কৃষাণীরা

    সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় লোকায়ত জ্ঞানের অভিযোজন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (১৬ নভেম্বর) উপজেলার ঈশ^রীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট (হাসার চক) গ্রামে পদ্ম কৃষক উন্নয়ন সংগঠন, দিঘির পাড় কৃষক উন্নয়ন সংগঠন, হাসার চক কৃষক উন্নয়ন সংগঠন, সবুজ সংহতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র যৌথ উদ্যোগে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

    মেলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও নানা সংকট মোকাবেলা করে নিজেদের জীবন জীবিকা রক্ষা ও ফসল উৎপাদনে মেহগনি, নিম, গাঁদা ফুল, তামাক ও হুইল পাউডার দিয়ে জৈব বালাইনাশক তৈরি ও ব্যবহার, ফেরেমোন ফাঁদ ব্যবহার, ভার্মি ও গর্ত কম্পোস্টের তৈরি জৈব সার ব্যবহার, স্থানীয় মাছ সংরক্ষণ, হাজল পদ্ধতিতে ডিম ফুটানো, অচাষকৃত উদ্ভিদ সংরক্ষণ, বীজ সংরক্ষণ, দুর্যোগকালীন শুকনা খাবার সংরক্ষণ, ক্যারেট পদ্ধতিতে ফসল চাষ, বস্তা পদ্ধতিতে ফসল চাষ, বালতি পদ্ধতিতে ফসল চাষ, নষ্ট মাটির ফিল্টারে সবজী চাষ, প্লাস্টিক পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে বোতলে সবজি চাষ, মাঁচা পদ্ধতিতে ফসল চাষ, মশাল, পরিবেশ বান্ধব চুলা, লবণ তৈরী, হামান দিস্তা, মেটে, খড়ের ঘর, মাছ ধরার আটল, ঝুড়ি পদ্ধতি শামুক, ঘুটের ছাই, মতিয়ার তামাক, গুল, গোচনা ডোল পদ্ধতি, ভিটা উঁচু করণ, ঢেকি, কাকতাড়–য়াসহ ১৬০ ধরনের লোকায়ত জ্ঞানের প্রয়োগ পদ্ধতি প্রদর্শন করা হয়।

    এতে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিযোজন চর্চা পদ্ধতি প্রদর্শন করে প্রথম স্থান অর্জন করেন নমিতা মন্ডল, দ্বিতীয় হন কনিকা মন্ডল ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন নীলিমা মন্ডল।

    মেলায় স্থানীয় প্রবীণ কৃষক-কৃষাণীরা নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের লোকায়ত জ্ঞান চর্চার নানা তথ্য তুলে ধরেন।

    পরে সমাজ সেবক ও কৃষক সুকন্ঠ আউলিয়ার পরিচালনায় অভিযোজন মেলার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবক মিজানুর রহমান, হাসার চক পদ্ম কৃষক উন্নয়ন সংগঠনের সন্ধ্যা রানী মন্ডল, পশ্চিম জেলেখালী কৃষক সংগঠনের সভাপতি ভূধর চন্দ্র মন্ডল, শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল, জবা কৃষি নারী সংগঠনের সভাপতি লতা মন্ডল, যুব নারী উমা রানী মিস্ত্রি, হাসার চক কৃষক উন্নয়ন সংগঠনের হৃতিশ কুমার মন্ডল, বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, বরষা গাইন, বাবলু জোয়ারদার প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, দিন দিন শ্যামনগর উপকূলে লবণাক্ততা বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে লোকায়ত জ্ঞানের গুরুত্ব খুবই বেশি। এসব লোকায়ত জ্ঞান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চর্চা হয়ে আসছে। আমাদের কৃষি জমি কমছে। ফসলে পোকার আক্রমণ বাড়ছে। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে ও বেশি ফসল উৎপাদনের জন্য অতি মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু জৈব বালাইনাশক দিয়েও পোকা দমন করা যায়। যা স্থানীয় বা লোকায়ত জ্ঞান। এজন্য ফসল রক্ষা, উৎপাদন বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে লোকায়ত জ্ঞান চর্চা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

  • কপ২৯ আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে লিডার্সের সাইড ইভেন্ট সফলভাবে অনুষ্ঠিত

    কপ২৯ আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে লিডার্সের সাইড ইভেন্ট সফলভাবে অনুষ্ঠিত

    ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকায় কপ২৯ আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে সাইড
    ইভেন্ট কক্ষ ০৭ এ Financing Loss and Damage: Way Forward for Grassroots Action
    শিরোনামে লিডার্স এর সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও
    সম্প্রদায়গুলোর অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই ইভেন্টটি
    একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। দুই ধাপে আয়োজিত ইভেন্টটিতে টেকনিক্যাল সেগমেন্ট
    এ অংশ নেন ম্যানিলা অবজারভেটরি থেকে জনাব জয় রেয়েস, লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহন
    কুমার মন্ডল, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে জনাব মুনির হোসেন, ক্লাইমেট টক ফিজি থেকে জনাব
    ম্যাকেরিটা। পরবর্তী স্ট্র্যাটেজিক সেগমেন্ট এ অংশ নেন ক্লাইমেট ওয়াচ থাইল্যান্ড থেকে জনাব
    ওয়ানুন পার্পিবুল, ব্র্যাক থেকে জনাব গোলাম রাব্বানি, একশন এইড থেকে জনাব ফারাহ কবীর, কানসা
    থেকে জনাব সন্জয় ভাসিস্ট এবং ক্রিশিয়ান এইড এর জনাব নুজহাত জাবিন। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের
    সভাপতিত্ব করেন অক্সফাম অস্ট্রেলিয়া এর জনাব জোসি লি।
    সাইড ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় একটি
    কার্যকর এবং ন্যায়সঙ্গত সমাধানের রূপরেখা প্রণয়ন করা। এতে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয় জলবায়ু
    পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সহ্য করতে ব্যর্থ দেশ ও সম্প্রদায়গুলোর জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল
    গঠন, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ, এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করার উপর।
    বক্তারা তাদের বক্তব্যে লস আ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড এবং এই ফান্ডে সাধারণ মানুষের অগ্রাধিকারের
    ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত এবং সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের কথা চিন্তা করে অতিসত্ত্বর এই
    তহবিলের আকার বৃদ্ধি এবং লোন নয় বরং ক্ষতিপূরণ হিসেবে তা প্রাপ্তির বিষয়ে তারা মতামত প্রদান
    করেন।
    লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক তার বক্তব্যে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এখন আর
    ভবিষ্যতের বিষয় নয়, এটি বর্তমান বাস্তবতা। ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও সম্প্রদায়গুলো আজ টিকে থাকার
    লড়াইয়ে আছে। তাদের জন্য দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া বিশ্ব সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব।”
    আলোচনার সময় বিশেষভাবে উঠে আসে একটি কার্যকর লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল গঠনের
    প্রয়োজনীয়তা। বক্তারা জানান, উন্নত দেশগুলো থেকে এই তহবিলে যথাযথ অর্থায়ন নিশ্চিত করতে না
    পারলে জলবায়ু সংকটে ভুক্তভোগী দেশগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধান সম্ভব নয়। এই তহবিলের মাধ্যমে
    ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি, বাসস্থান, স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মান পুনর্গঠনে সহায়তা করা হবে।
    লিডার্স আন্তর্জাতিক মহলে এই ইভেন্টের মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিকে আরও জোরালোভাবে
    তুলে ধরেছে। অংশগ্রহণকারীরা সম্মেলনের মূল পর্বে এই ইস্যুতে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের
    আহ্বান জানিয়েছেন।

  • বাংলাদেশ জাসদের আলোচনা সভা

    বাংলাদেশ জাসদের আলোচনা সভা

    ১৫ নভেম্বর বিকাল ৫ টায় বাসদ মার্কসবাদী নেতা এডভোকেট খগেন্দ্র
    নাথ ঘোষের সভাপতিত্বে উপস্থিত বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক
    ইদ্রিস আলী, জে এস ডি নেতা মাস্টার আব্দুল জব্বার, ভুমিহীন সমিতির জেলা
    সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য সচিব
    মুনসুর রহমান, বায়জিদ হাসান, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয়
    সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। সংকট সমাধানে জন সাধারণের ঐক্য বদ্ধ করার
    জন্য ধারাবাহিক ভাবে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গন আন্দোলন
    জোটের উদ্যোগে স্থানীয় সমস্যা, সংকটের সমাধানের দাবীতে ধারাবাহিক ভাবে
    কর্মসূচির অংশ হিসাবে আগামী শুক্রবার ২২ নভেম্বর বিকাল ৫ টায় সদর
    উপজেলার ১৩ নং লাবসা ইউনিয়নের মিল বাজার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল চত্বরে পথ
    সভার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক,
    সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দের যথা সময়ে উপস্থিত হওয়ার আহবান
    জানাচ্ছি।

  • আশাশুনির ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুন দশায় হাতে প্রাণ নিয়ে ক্লাশ করছে শিক্ষার্থীরা

    আশাশুনির ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুন দশায় হাতে প্রাণ নিয়ে ক্লাশ করছে শিক্ষার্থীরা

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের করুন দশায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হাতে প্রাণ নিয়ে ক্লাশে বসতে বাধ্য হচ্ছে। বছরের পর বছর নতুন ভবন নির্মান না হওয়ায় অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে
    দুশ্চিন্তা ও উৎকন্ঠার মধ্যে থাকেন। ফলে শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির হার বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের ক্লাসের প্রতি স্বাভাবিক মনোনিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোর সংক্ষিপ্ত তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো।
    ১৩৩ নং হাঁসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলে প্রথম দিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা ভালই ছিল। ২০০০ সালে বিদ্যালয় ভবন নির্মানের পর নতুন আগ্রহে শিক্ষার্থীরা ক্লাশে বসতে শুরু করে। বেশ ভালই চলছিল বিদ্যালয়টি। এক সময় স্কুল ভবনের ছাদের বড় বড় অংশ ধসে পড়তে শুরু করে। ওয়াল ও পিলারে ফাটল ধরে খসে পড়তে থাকে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয় ভবন ব্যবহার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তখন বাধ্য হয়ে ২০১৫ সালে স্থানীয় ভাবে একটি টিনসেড ছোট ঘর নির্মান করে ক্লাশ নিতে থাকে। তাতে সংকুলান না হওয়ায় পুরাতন ভবনের একটু ভাল কক্ষও ব্যবহার করা হতো। ছাদ ধসে পড়ে একজন শিক্ষক গুরুতর আহত হন। পরে আহত শিক্ষক রমেশ চন্দ্র বৈরাগী ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন। উঃ বলাবাড়িয়া, উঃ গাইয়াখালী, মধ্যম বলাবাড়িয়া ও হাঁসখালী গ্রামের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখা করে থাকে। প্রধান শিক্ষক নিত্যরঞ্জন মন্ডল জানান, এপর্যন্ত ১০/১২ বার ছাদ ধসে পড়েছে, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন কয়েকবার। বর্ষা ও ঝড়ের সময় এই এলাকার সহস্রাধিক মানুষের আশ্রয় নেওয়ার জন্য কোন সাইক্লোন শেল্টার নেই। তাই সুষ্ঠু ভাবে স্কুল পরিচালনা, জীবন রক্ষা ও দুর্যোগের সময় আশ্রয় গ্রহনের সুযোগ করে দিতে দ্রুত সাইক্লোন শেল্টার কাম সস্কুল ভবন নির্মানের দাবী এলাকার সকলের।

    ১৭ নং গাইয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির ভবন নির্মান করা হয় ২০০৩ সালে। কয়েক বছর আগে থেকে ছাদ ধসে পড়ছে। ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি ভিতরে পড়ে থাকে। বাধ্য হয়ে একটি টিনসেড ঘর নির্মান করে সেখানে অস্থায়ী পার্টিশান ব্যবহার করে ক্লাশ পরিচালনা করা হচ্ছে। সংকুলান না হওয়ায় একটি কক্ষ বাদে পুরাতন ভবনের বাকী কক্ষগুলো ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। দপ্তরী ভক্ত কৃষ্ণ মন্ডলের গায়ে একবার ছাদ ধসে পড়েছিল। কয়েকবার শিক্ষার্থীদের পাশেও ছাদ খসে পড়েছিল। প্রধান শিক্ষক উষা মন্ডল জানান, গাইয়াখালী, বলাবাড়িয়া ও ঠিকুরাবাদ গ্রামের শিক্ষার্থীরা স্কুলে পড়ালেখা করে থাকে। বর্ষার সময় স্কুলের মেঝে পানিতে তলিয়ে যায়। বছরে ৫/৬ মাস শিক্ষার্থীরা স্কুল চত্বরে নেমে খেলতে পারেনা। মাটি ভরাট ও নতুন ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মান খুবই জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে। এছাড়া দুটি ল্যাট্রিনের একটি নষ্ট, টিউবওয়েল নষ্ট, খাবার পানির সংকট, জানালা নষ্ট, বেঞ্চ ও চেয়ার সংকট এবং আসবাবপত্রের অভাব প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
    ১০৫ নং নাটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত অফিসসহ ৪টি কক্ষ বিশিষ্ট ভবন নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। ভবনের ছাদ ধসে পড়া, পিলার ও ওয়ালে ফাটল রয়েছে। যার দুটি কক্ষের অবস্থা শোচনীয়। মাঝে মধ্যে ছাদের ছোটখাট অংশ ধসে পড়লেও একবার ছুটির সময় বড় অংশ পড়েছিল। ভাগ্য সহায় থাতায় প্রাণহানি ঘটেনি। বাধ্য হয়ে একটি অস্থায়ী টিনসেড ঘর নির্মান করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর মল্লিক জানান, নতুন ভবনের জন্য বারবার শিক্ষা অফিসে জানানো হয়েছে। স্কুলে যাতয়াতের পথটিও খুবই বেহাল দশা। বাউন্ডারী প্রচীর না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। অবিলম্বে নতুন ভবন, প্রাচীর নির্মান ও রাস্তা সংস্কার প্রয়োজন।
    ৯২ নং কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটির ভবন নির্মান করা হয় ১৯৯৪ সালে। দীর্ঘদিনের পুরনো ভবনের ছাদ ধসে পড়ছে, ওয়াল, পিলার ও কার্ণিশে ফাঁটল ধরেছে। ছাদের বড় অংশ ভেঙ্গে পড়েছিল। অল্পের জন্য প্রাণহানি ঘটেনি। টয়লেটের ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে। ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। কমলাপুর, খাসেরাবাদ, দাশেরাটি ও বিল নাটানা গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসে। কয়েকবার ভবনটি মেরামত করা হয়েছে। এখন ব্যবহার উপযোগিতা নেই। প্রধান শিক্ষক আফরোজা হোসেন জানান, ভবনের ভঙ্গুর দশার পাশাপাশি, টিউবওয়েল নষ্ট, টয়লেট সমস্যা, যাতয়াতের পথের দুরাবস্থা, প্রাচীরে ভাঙ্গন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। দ্রুত নতুন ভবন, প্রাচীর, টয়লেট নির্মান করা জরুরী।
    ১৪০ নং পুইজালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটির ভবন নির্মান করা হয় ২০০০ সালে। ছাদ ধসে পড়ছে, ওয়াল, দরজা-জানাল ভেঙ্গে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে অফিস কক্ষ বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০২১ সালে অস্থায়ী ২ কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেড ঘর নির্মান করা হয়। ক্লাশ পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ, বর্ষার সময় পানি পড়ে, স্কুল চত্বর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে থাকে। কয়েকবার ছাদ ধসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশে পড়েছিল। এক ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। টিউবওয়েল নেই, বৃষ্টির পানি সংরক্ষনের ট্যাংকি নষ্ট হয়ে গেছে, অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহ হারাচ্ছে। প্রধান শিক্ষক চন্দ্রাবতী সরকার জানান, এলাকায় ২৫০০ মানুষের বসবাস, প্রত্যান্ত বিল, খালের মধ্যে অবস্থিত এসব এলাকার মানুষকে দুর্যোগের সময় আশ্রয় নেয়ার কোন উচু জায়গা নাই। যাতয়াত ব্যবস্থাও খুবই নাজুক। রাস্তা পানিতে তলিয়ে থাকে। এখানে একটি সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল ভবন নির্মান সময়ের দাবী। তাছাড়া টিউবওয়েল, টয়লেট, রাস্তা নির্মান খুবই প্রয়োজন।
    ১৪৭ নং লক্ষ্মীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলে ভবন নির্মীত হয় ২০০২ সালে। ভবনের অবস্থা ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়লে গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় ২০২১ সালে ছাদ ভেঙ্গে টিনের ছাউনি দেওয়া হয়। ৩ বার ছাউনী ঝড়ে উড়ে গেলে আবার কোন রকমে ছেয়ে দিয়ে ক্লাশ করা হচ্ছে। ওয়াল খসে পড়ছে, চাল দিয়ে বর্ষার পানি ভিতরে পড়ে। স্কুল চত্বর পানিতে তলিয়ে যায়। পুইজালা বাজার থেকে আড়াই কিলোমমিটার রাস্তার প্রায় সবই কাচা ও চলাচল অনুপযোগি। বর্ষার সময় রাস্তা, স্কুল চত্বর পানিতে তলিয়ে থাকে। যানবাহন চলাচল করতে পারেনা, ছাত্রছাত্রীরা নৌকায় ও হাটু পানি ঠেলে স্কুলে যাতয়াত করে। পায়খানার হাউজ পানিতে তলিয়ে থাকায় একটি ব্যবহার করা যায়না। অন্যটি নষ্ট হয়ে গেছে। টিউবওয়েল না থাকায় পাশের বাড়ি থেকে পানি চেয়ে এনে খেতে হয়। দ্রুত ভবন নির্মান, টিউবওয়েল, পায়খানা ঘর নির্মান, মাঠ ভরাট, রাস্তা সংস্কার করা জরুরী।
    উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ক্লাস্টার অফিসার শাহজাহান আলী জানান, এসব বিদ্যালয়গুলির অবস্থা বেশ আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমাদের পরামর্শে পাশে অস্থায়ী টিনসেড ঘর নির্মান করে ক্লাশ চালান হচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেনা। কোন কোনটির ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চাচ্ছেনা। আমরা ভবন চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর ছবিসহ তালিকা প্রেরন করেছি। এখনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
  • উপকূলের অস্তিত্ব রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    উপকূলের অস্তিত্ব রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    ১৪ নভেম্বর ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু
    অধিপরামর্শ ফোরামের আয়োজনে ও বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন লিডার্সের সহযোগিতায় উপকূল
    অঞ্চলের সংকট নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে বিভিন্ন স্তরের মানুষ, স্থানীয় জনগণ, সমাজকর্মী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের
    প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
    উপকূল অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে দুর্যোগ পরিস্থিতি দিন দিন জটিলতর
    হচ্ছে। পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ভূমি ক্ষয়, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনজীবন
    বিপর্যস্ত। এই সংকট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে
    বক্তারা বলেন, “উপকূলের মানুষের জন্য অবিলম্বে উন্নত পানি ব্যবস্থাপনা, টেকসই বাঁধ নির্মাণ,
    দুর্যোগ পূর্বাভাস ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং জীবিকা রক্ষায় বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।”
    বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে অঞ্চল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয়
    অঞ্চল। এ অঞ্চল প্রকৃতিগত ভাবে একটি ঐশ্বর্যপুর্ণ এবং ভু রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই
    উপকূল ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় মানুষের অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। বৈষম্য
    নিরসনের পাশাপাশি অনাচার বন্ধ করতে হবে। অন্যত্থায় আমাদেরকে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখী হতে
    হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভয়াবহ ক্ষতির সন্মূখীন হবে।
    জলবায়ু পরিবর্তন, নদীভাঙন, লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং পরিকল্পিত অবকাঠামোর অভাবে মারাত্মক
    সংকটে আছে উপকূলের জনগণ। তাই উপকূলের উন্নয়নে একটি দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা
    প্রয়োজন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে আশা প্রকাশ
    করেন তিনি।
    মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, যেখানে উপকূল
    অঞ্চলের সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা
    হয়েছে।

  • খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের সকল মামলা বাতিল

    খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের সকল মামলা বাতিল

    চট্টগ্রামে করা ২০১৬ সালের বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

    আদালতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে চট্টগ্রামের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আমরা আদালতকে বলেছি একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছে।

    ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, মামলার বিষয়বস্তুর সঙ্গে আসামিদের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। দীর্ঘদিনেও আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারনি বাদী। শুধুমাত্র রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে রায় দেন।

    ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর কথিত ফেইসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়া এবং জাতির জনককে অবমাননার অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় এ অভিযোগটি করা হয়।

    চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন এ অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

    বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ইরাদের নামে খোলা একটি ফেইসবুক পাতা থেকে ২০১৬ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। তার আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ছবিও আসে ওই ফেইসবুকে।

    এরপর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আসামি করে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

  • উপকূলের টেকসই উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উপকূল দিবসে বিশেষ আলোচনা ও মানববন্ধন

    উপকূলের টেকসই উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উপকূল দিবসে বিশেষ আলোচনা ও মানববন্ধন

    ১৩ই নভেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার উপকূল দিবস উপলক্ষে উপকূলীয় অঞ্চলের সুরক্ষা ও টেকসই
    উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরতে সুন্দরবন প্রেসক্লাবে লিডার্সের আয়োজনে আয়োজিত হলো বিশেষ
    আলোচনা সভা ও মানববন্ধন। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল উপকূল এলাকার পরিবেশগত বিপর্যয়
    রোধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, এবং স্থানীয় জনগণের টেকসই জীবনমান নিশ্চিত
    করার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো।
    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার বর্মন।
    আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে ছিলেন ফরেস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আইয়ুব
    আলী। আরো উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের প্রোগ্রাম অফিসার এ বি এম জাকারিয়া, ইউপি সদস্য নিপা
    চক্রবর্তী, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন, অ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা
    মল্লিক সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা উপকূল অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ
    করে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, মাটি ক্ষয়, এবং পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে
    এই অঞ্চলে জীবন-জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়ছে, সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জোর দেওয়া
    হয়। বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, এবং এ
    সমস্যা সমাধানে টেকসই উন্নয়ন কৌশল প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
    লিডার্সের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, সঠিক পরিকল্পনা ও
    কার্যকরী উদ্যোগের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষা সম্ভব। উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন,
    কৃষি ও মৎস্য খাতের টেকসই উন্নয়ন, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার জন্য আধুনিক
    প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজন। তিনি উপকূলের সংকট নিরসনে উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করার
    দাবি জানান।
    আলোচনা সভার পাশাপাশি মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা উপকূলের মানুষের অধিকারের সুরক্ষা,
    শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ
    নেওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, "উপকূলীয় এলাকার মানুষের টেকসই ভবিষ্যৎ
    নিশ্চিত করতে আমাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা,
    স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।"

  • সার্বক্ষণিক মানুষের সেবা ও জনকল্যাণে কাজ করতে চায়-ব্রহ্মরাজপুরে ‘মা’ ফাউন্ডেশনের  চেয়ারম্যান

    সার্বক্ষণিক মানুষের সেবা ও জনকল্যাণে কাজ করতে চায়-ব্রহ্মরাজপুরে ‘মা’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান

    : ব্রহ্মরাজপুরে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজার অনুষ্ঠানে ‘মা’ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে
    অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে ব্রহ্মরাজপুর সার্বজনীন পূজা
    মন্দির কমিটির আয়োজনে মন্দির প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শংকর কুমার সাহার সভাপতিত্বে প্রধান
    অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
    ‘মা’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক মো. মমিনুর রহমান মুকুল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
    বলেন, “হিন্দু মুসলিম আমরা সকলে ভাই ভাই। আপনাদের ও আমাদের জন্মভূমি এবং নাড়ীপোতা
    বাংলাদেশে। আমরা আপনাদেরকে কখনও সংখ্যালঘু ভাবি না। অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আমাদের
    সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার
    বাংলাদেশ। সুখী সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকল্প নেই।”
    অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডি.বি ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের সহ-
    সভাপতি নূর ইসলাম গাজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তনুপ কুমার সাহা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য
    পরিষদ ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের সভাপতি কানাই লাল সাহা, সমাজকমী জুলফিকার আলী, ব্রহ্মরাজপুর কালভৈরব
    মন্দিরের পুরোহিত আশীষ কুমার বসু প্রমুখ। জগধাত্রী পূজায় বিপুল সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলী নারী ও
    পুরুষ ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
    ক্যাপশন : ব্রহ্মরাজপুরে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজার অনুষ্ঠানে ‘মা’ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের
    মাঝে বস্ত্র বিতরণ করছেন ‘মা’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক মো. মমিনুর রহমান মুকুল।

  • বাগআঁচড়ায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার সংবাদসম্মেলন

    বাগআঁচড়ায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার সংবাদসম্মেলন

    যশোরের শার্শা থানা বিএনপি সদস্য ও  বাগআঁচড়া ইউনিয়ন  বিএনপি’র যুগ্ন-আহব্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
    সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর হোসেনে বলেন, কিছু গণমাধ্যম, ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, অপবাদ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়। ভিত্তিহীন এসব সংবাদের সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
    তিনি বলেন,‘আমার বিরুদ্ধে যে বিষয়ের কথা বলা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়ার,  বরং আলোচ্য  সংবাদ জানার পর আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। কেবল কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য এবং আমি ও আমার প্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই ধরনের অপবাদমূলক সংবাদ পরিবেশনে সহায়তা করছে।’
    সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন,গত ১৭ বছর আমার এলাকার মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলো,আমি চেষ্টা করছি তাদের অধিকার গুলো ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করছি। কিন্তু উল্টো আমার বিরুদ্ধেই অপপ্রচার কেন? প্রশ্ন করে বলেন তা খতিয়ে দেখলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।’
    জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ‘আমারদের নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্বারা যেন কোন মানুষ কষ্ট না পায় কোন মানুষ যেন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।আমাদের থানা ও জেলা নেতৃবৃন্দ একই ভাবে ইউনিয়ন ওয়ার্ডে আমাদের মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য বারবার তাগিদ দিচ্ছেন। আমি ও আমার নেতাকর্মীরা যখন মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিছি তখন লুটতোরাজদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে এবং তারা আমাকে হেউ প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরদ্ধে সংবাদিক ভাইদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে এমন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
    সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন,শার্শা থানা বিএনপি’র সদস্য মিকাইল হোসেন মনা,জামাল উদ্দীন,আনোয়ার হোসেন বাবু,বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোনায়েম হোসেন,বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম সন্তু, আব্দুর রাজ্জাক শার্শা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কবীর হোসেন,থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ হোসেন,থানা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবলু,থানা উলামাদল নেতা আসরাফুজ্জামান,ছাত্রদল নেতা নিপু,মহিদ, রফিক,বাবলু, অহিদুল,মান্নান, জুয়েল ও লাল্টু উপস্থিত ছিলেন।
  • জেলা প্রশাসকের নিকট ওএম এস ডিলার  পৌরসভার ১ ও ২নং ওয়ার্ডে পুনরায় বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    জেলা প্রশাসকের নিকট ওএম এস ডিলার  পৌরসভার ১ ও ২নং ওয়ার্ডে পুনরায় বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    : জেলা প্রশাসকের নিকট ওএম এস ডিলার সাতক্ষীরা পৌরসভার ১ ও ২নং ওয়ার্ডে এস.এম সাঈদ হোসেন কে লস্করপাড়া পদ্মপুকুর পয়েন্টে পুনরায় বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার ১৩ ই নভেম্বর  সকাল সাড়ে ১০ টায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। লস্করপাড়া পদ্মপুকুর এলাকার সমাজসেবক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ফিরোজা খাতুন, আনোয়ারা বেগম, কল্যাণী রানী, সুভাষ কুমার দাস,আব্দুল মাজেদ, আজাদ গাজী প্রমুখ। মানববন্ধনে অংশ নেয় প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী , বৃদ্ধ সহ শতাধিক সর্বস্তরের নারী, পুরুষ হতদরিদ্রর সুবিধা বঞ্চিত মানুষেরা। এরপর জেলা প্রশাসকের নিকট  গণস্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে তাদের দাবি সমূহ ছিল ওএমএস ডিলার পূণঃবহাল রাখার দাবি। সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন ১ ও ২নং ওয়ার্ডের স্থায়ী অধিবাসীবৃন্দ এই মর্মে আপনার নিকট আবেদন করছি যে, অত্র এলাকার ওএমএস ডিলার মেসার্স এস.ডি এন্টারপ্রাইজ থেকে আমরা ইতিপূর্বে সরকার প্রদত্ত্ব স্বল্পমূলে চাউল ও আটা সংগ্রহ করছি। বিগত ১৪ মাস যাবৎ আমরা অতি দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা অতি স্বাচ্ছন্দে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে চাউল ও আটা সংগ্রহ করে আমাদের পরিবারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছি। কিন্তু আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম যে, পূর্বের ওএমএস ডিলার বাতিল করে নতুন করে ওএমএস ড্রিলার নিয়োগ করা হচ্ছে কিন্তু আমাদের এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ওএমএস ডিলার হিসাবে মেসার্স এস.ডি এন্টারপ্রাইজ-কে বহাল রাখা হক। এলাকারাসীর দাবীর স্বপক্ষে ওএমএস ডিলার হিসাবে মেসার্স এস.ডি এন্টারপ্রাইজ-কে বহাল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্থ শত শত হতদরিদ্র সুবিধাভোগী মানুষেরা।

  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা

    ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা

    ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও ২১৮৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করে।

    কমিশনার আরও জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।