Blog

  • গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি

    গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ১৪ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব কর্মসূচির বিষয় জানানো হয়েছে।

    জেলা প্রশসন কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৪ জুলাই সাতক্ষীরা কাটিয়াস্থ জেলা ডাক বাংলোর জায়গায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন এবং জেলা জনবহুল স্থানে জুলাই আন্দোলনে নারীদের গৌরবময় ভুমিকা নিয়ে চলচিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ১৬ জুলাই আশাশুনি উপজেলায় প্রতাপনগর ইউনিয়নে ইউনাইটেড একাডেমীর পার্শ্বে ৩ জন শহিদের নামে Steet Memory Stamp স্থাপন করা হবে।

    ১৮ জুলাই সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সাতক্ষীরা হতে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে। আহত ও শহীদদের পরিবার ম্যারাথনের অগ্রভাগে থাকবে।

    ১৯ জুলাই সাতক্ষীরা কালেক্টরেট পার্কে জেলায় শহিদ চার জনের নামে বৃক্ষ রোপন করা হবে।

    ২১ জুলাই জেলার সকল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুলাইয়ের স্মরণে অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হবে।

    ২৪ জুলাই শিশু শহিদদের স্মরণে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই কেন্দ্রিক কবিতা, গান, রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে। জেলার সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী “২৪ এর রঙ্গে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন” প্রতিযোগিতা, সৃজনশীল রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

    এছাড়া জেলার স্কুলগুলোতে জুলাই ২৪ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ২৮ জুলাই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রক্তদান কর্মসূচি ও মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হবে।

    ৩১ জুলাই জেলার সমস্ত কলেজে জুলাই গণ অভ্যুত্থান নিয়ে অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। একই দিনে উপজেলা থেকে স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকারীর ফলাফল ২৭ জুলাই তারিখের মধ্যে জেলায় প্রেরণ করতে হবে। জেলা পয়ায়ে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীকে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রেরণ করা হবে।

    ৩৩ জুলাই (২ আগস্ট ২০২৫) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের নিয়ে সমাবেশ ও Mothers of July সহ জুলাই নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ৩৪ জুলাই (৩ আগস্ট ২০২৫) জেলা জনবহুল স্থানে জুলাই আন্দোলনে নারীদের গৌরবময় ভুমিকা নিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ৩৫ জুলাই ২০২৫ (৪ আগষ্ট) সাতক্ষীরা জেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাতক্ষীরাতে সমাগম অনুষ্ঠান এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। একই দিনে জেলার জনবহুল স্থানে ‘Spot light on July Heroes’ সহ জুলাই নিয়ে বানানো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট ) সকাল ৯টায় জেলায় নির্মিত জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
    পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে জেলার সকল বিভাগীয় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জুলাই অভ্যূত্থানে অংশগ্রহণকারী শহিদদের পরিবারের সদস্য ও আহত ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করবেন। জেলার সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। জেলার জনবহুল স্থানে জুলাই আন্দোলন নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

    সাতক্ষীরায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে সেনেটারি ন্যাপকিন চুরি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গালিগালাজসহ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে স্কুলের সামনে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

    বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, স্কুলের শিক্ষক লুৎফুননেছা ডালিয়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক কংকন কুমার দাস, আকলিমা খাতুন, মোস্তাফিজুর রহমান, অফিস সহকারী সালাউদ্দীন, ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা খাতুন, রিক মল্লিক প্রমুখ।

    এসময় স্কুলের ১৫ জন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুল প্রায়ই সময় তাদেরকে গালিগালাজসহ খারাপ ব্যবহার করেন। এছাড়া আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি স্কুলে থাকলে আমরা কোনো ক্লাস নিবো না।

    অপরদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেয়েদের সেনেটারি ন্যাপকিন চুরি করেছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা ক্লাস করবো না। এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
    এদিকে খবর পেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও পুলিশের একটি দল বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

    নাম প্রকাশে একজন শিক্ষক বলেন, ডিবি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি। তবে যে সনদে তিনি শিক্ষক হয়েছেন সেটি ইস্যু করা হয়েছে একই বছরের আগস্ট মাসের ১৯ তারিখে। অর্থাৎ শিক্ষা সনদ ইস্যু করার ৮ মাস ১৮ দিন আগেই সেই সনদে তিনি চাকরি শুরু করেন। এছাড়া তার আপন চাচা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হওয়ায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাবেক এমপি রবির ছত্রছায় থেকে তিনি বিদ্যালয়টিকে তিনি সম্পূর্ন নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান বানিয়ে রেখেছেন। এখানো কারো কোন কথা বলার সুযোগ নেই।

    এদিকে, গালিগালাজের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুল বলেন, আমি কড়া প্রধান শিক্ষক হওয়ায় শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তবে স্কুলের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সময়ে ভবন বরাদ্দের জন্য সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুষ দেওয়া লেগেছে। এ কারণে স্কুল ফান্ডের টাকা নিয়ে ঘুষ দিয়েছি।

    তিনি আরো বলেন, কেউ না চাইলে আমি স্কুলে থাকবো না।

    এবিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মন্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।

  • বেঁচে যাওয়া ৮ কোটি টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি: ধর্ম উপদেষ্টা

    বেঁচে যাওয়া ৮ কোটি টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি: ধর্ম উপদেষ্টা

    চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করা যাত্রীদের (ব্যালটি) উদ্বৃত্ত ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এ বছর ৪ হাজার ৯৭৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে এসব টাকা বিতরণ করা হবে। রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অর্জন ও আগামী হজ মৌসুমের পরিকল্পনা নিয়ে ধর্ম মন্ত্রনালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা এ কথা জানান।

    তিনি জানান,’ উদ্বৃত্ত টাকা থেকে প্যাকেজভেদে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৩১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যতদ্রুত সম্ভব এই টাকা হাজিদের ব্যাংক একাউন্টে ফেরত পাঠানো হবে। টাকা পাঠাতে মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে ফোন করা কিংবা তার কাছ থেকে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের নম্বর কিংবা বিকাশ/নগদ/রকেট- এর কোন পিন নম্বর চাওয়া হয়না। এমনটি যদি কেউ করে তাহলে আপনারা নিশ্চিত জেনে রাখুন সে প্রতারক। এধরনের প্রতারক থেকে সাবধান থাকুন।’

    তিনি বলেন, আমরা এ বছর হজ প্যাকেজে বাড়িভাড়ার জন্য যে পরিমাণ টাকা ধার্য করেছিলাম তার চেয়ে কিছু কম রেটে বাড়ি ভাড়া পেয়েছি। কোন কোন ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জও কিছুটা কমেছে। ইতোমধ্যে আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব চূড়ান্ত করেছি। সরকারি মাধ্যমে প্রত্যেক হাজিকে আমরা প্যাকেজের উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত প্রদান করব।

    উপদেষ্টা জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর হাজিদেরকে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ৪ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৩ হাজার ২৭ টাকা ফেরত পাবেন। ৫ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৩ হাজার ৫৭০ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি। ৬ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতেও শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি।

    সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর হাজিদেরকে ১, ২ ও ৩ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ১ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৯ হাজার ১৯২ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫১ হাজার ৬৯২ টাকা ফেরত পাবেন। ২ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২১ হাজার ১৪২ টাকা ফেরত পাবেন এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫৩ হাজার ৬৪২ টাকা ফেরত পাবেন। ৩ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৪ হাজার ২৬২ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি।

    উপদেষ্টা জানান, গত ৮ জুলাই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ১০ জুলাই হজের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হয়েছে। ৮৭ হাজার ১৪৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। ৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মোট ৪৫ জন হাজযাত্রী মারা গেছেন।এ বছর হজযাত্রীদের হারানোর পরিমানও হ্রাস পেয়েছে। এ বছর ৮৯২জন হাজি হারানো গিয়েছিল এরমধ্যে ৮৯১জনকে খুজে পাওয়া গেছে। ৮২বছর বয়স্ক একজন হজযাত্রীকে এখনো খুজে পাওয়া যায়নি।

  • আশাশুনি টু বড়দল সড়কে  কার্লভাট ধ্বসে গর্তের সৃষ্টি

    আশাশুনি টু বড়দল সড়কে  কার্লভাট ধ্বসে গর্তের সৃষ্টি

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার মানিকখালী ব্রীজ হতে বড়দল সড়কে কার্লভাট ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে হুমকীর সৃষ্টি হয়েছে।
    সড়কের গোয়ালডাঙ্গা সামাদ গাজীর বাড়ির কাছে ও ফকরাবাদ সরকারি প্রাইমারী স্কুলের সামনের কার্লভাটে ভাঙ্গনের ফলে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের ফলে য্নবাহন চলাচল ও পথচারী চলাচল ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে গাড়ির চাকা বা পথচারীর পা গর্তে আটকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় সড়কে চলাচল চরম বিপদ সংকুল হয়ে উঠেছে। এছাড়া অনেক স্থানে রাস্তার অবস্থাও বিপদজনক হয়ে পড়েছে। রাস্তার প্রস্থ কম হওয়ায় এবং রাস্তা নষ্ট হয়ে পড়ায় যানবাহন ক্রসিং এর সময় জটিলতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফকরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিতা মন্ডল জানান, যাত্রীবাহী বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন এই গর্তের এখানে প্রতিনিয়ত জাম হয়ে থাকে তাতে করে বিদ্যালয়ের পাঠ্য দান ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যখন স্কুলে প্রবেশ করে এবং ছুটির পরে বাড়িতে যায়র সময় গর্তের ভিতর পড়ে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন তিনি। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জোর দাবী জানান এলাকাবাসী ও পথচারীরা।
  • স্কুল শিক্ষকের দোকান জোরপূর্বক ভাংচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ

    স্কুল শিক্ষকের দোকান জোরপূর্বক ভাংচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ

    স্কুল শিক্ষকের দোকান জোরপূর্বক ভাংচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রসীরা। গত ১৩ জুলাই রোববার সকালে তালা উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ নুরুল আমিনের বাজারস্থ নিজ দোকান জোরপূর্বক ভাংচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টা করে স্থানীয় মৃত. আকবর মোড়লের পুত্র ইয়াছিন মোড়ল, আয়ুব মোড়ল ও ইছহাক মোড়ল ও তার বাহিনী। সন্ত্রাসীরা রোববার সকালে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিত হামলা চালায়। এসময় তারা দোকানের দরজা-জানালা ভেঙে দোকানের ভিতর ঢুকে আসবপত্র, মালামাল লুুট করে এবং দোকানঘর ভাংচুর করে। এর প্রতিবাদে দোকানের ভাড়াটিয়া ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের তেতুলিয়া ইউনিয়নের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম সবুজসহ এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম সবুজ জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গগণের সাথে বসে মিমাংশার চেষ্টা করে আসছিলাম। এরই মধ্যে দখলদার বাহিনীরা যে কাজটি করলো তা নিন্দনিয়।
    তালা মডেল হাই স্কুলের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আমিনের পুত্র ইমরুল কবির জানান, তালা উজেলার কলিয়া মৌজার ৮২২ দাগের ১১ শতাংশ এবং ৮২১ দাগের এক শতাংশ জমি ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে তারা দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। কলিয়া বাজারের উক্ত জমির উপর দু’টি দোকান ঘর রয়েছে। যাহা ভাড়া দেওয়া।
    সম্প্রতি একই গ্রামের মৃত. আকবর মোড়লের পুত্র মোঃ ইয়াছিন মোড়ল, মোঃ আয়ুব মোড়ল এবং মোঃ ইছহাক মোড়ল উক্ত জমি তাদের দাবি করে দখলের পায়তারা চালায়। গত ২১ জুন একটি দোকানের ভাড়াটিয়া মোঃ সবুজ শেখকে তারা ঘর থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। উক্ত দখল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তারা দখল ও দখলে বাধাদিলে হত্যার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো।

    এব্যাপারে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৫ ধারা বিধান মতে একটি আবেদন করেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কলিয়া গ্রামের মোঃ নুরুল আমিন মোড়লের পুত্র মোঃ ইমরুল কবির।
    ভুক্তভোগি ইমরুল কবির আরও জানান, তার মায়ের মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সূত্রে পিতা নুরুল আমিন মোড়ল, বড় ভাই মনিরুল মামুন এবং তার নিজের নামে উক্ত জমি প্রাপ্ত হন তারা। তারা দখলি জমির যাবতীয় খাজনা দাখিলা পরিশোধ পূর্বক নিজ নামে রেকর্ড করে ভোগদখাল করে আসছে। দেশের প্রেক্ষপট পরিবর্তনের পর একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে চক্রটি উক্ত জমির উপর থাকা দোকান দু’টি দখলের পায়তারা করছে।
    -জহুরুল কবীর

  • স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে গ্রাম ডাক্তারদের সাইন্টিফিক সেমিনার ও সভা অনুষ্ঠিত 

    স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে গ্রাম ডাক্তারদের সাইন্টিফিক সেমিনার ও সভা অনুষ্ঠিত 

    স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার এ বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাইন্টিফিক সেমিনার ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার সভাপতি গ্রাম ডাঃ অনির্বাণ সরকার। সাইন্টিফিক সেমিনারে শিক্ষামূলক বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডাঃ অনিন্দ্য দাস সৌরভ এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাইকোলজিস্ট মীর মহাব্বত আলী। বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রাম ডাঃ রুহুল আমিন এর পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গ্রাম ডাঃ ওহিদুজ্জামান, সহ- সভাপতি গ্রাম ডাঃ আনোয়ার পারভেজ, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক গ্রাম ডাঃ আল আমিন গাজীসহ নেতৃবৃন্দ। সাইন্টিফিক সেমিনার শেষ সংগঠনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
  • আশাশুনিতে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার 

    আশাশুনিতে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বয়স আনুমানিক (৬০)। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন জানান, উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের শোলখালী গ্রামের জৈনিক আলী নামের এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাকে পিবিআই ও সিআইডি’র মাধ‍্যে ফিঙ্গার টেষ্ট করে তার আইডি সনাক্ত করা সম্ভব হইনি বলে ডিএনএ স্যাম্পেল রাখা হয়েছে। বৃদ্ধা মহিলা মুসলিম পরিবারের, সে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এবং না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে এমনটাই ধারণা করেছে স্থানীয়রা ও থানা পুলিশ। রবিবার সকালে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি লাশটিকে চিনতে পারেন তাহলে আশাশুনি থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
  • মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    চাঁদা না দেওয়ায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ।
     শনিবার (১২ জুলাই) বিকালে সাতক্ষীরা শহীদ আসিফ চত্বরে এ  বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা ও  স্লোগান দেন।
    এ সময় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে,আহবায়ক আরাফাত হোসাইন ,মুখপাত্র মোহিনী পারভিন, যুগ্ম সদস্য সচিব তামীম তাসনীম,যুগ্ম সদস্য সচিব রাহাত নূহা আনছারীসহ  সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেয়।
    এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমাদের একজন ভাইকে পাথর দিয়ে মারা হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, আপনারা যদি লাশের রাজনীতি বন্ধ না করেন, তাহলে শেখ হাসিনা যে পথে গিয়েছে, আপনাদেরও সে পথে যেতে হবে। আপনারা যদি হাসিনার পথ অবলম্বন করেন, তাহলে হাসিনার মতোই আপনাদের পরিণতি হবে।
  • ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে

    ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, টিটন ৫ দিনের রিমান্ডে

    রাজধানীর পুরান ঢাকায় মো. সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় ছাত্রদল নেতা তারেক রহমান রবিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালতে স্বেচ্ছায় এ জবানবন্দি দেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

    জানা যায়, আসামি তারেক রহমান রবিন রাজধানীর চকবাজার থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রবিনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন রবিন।

    অপরদিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় টিটন গাজী নামে আরেক আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১২ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিব উল্লাহ পিয়াস ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিডফোর্ডের সামনে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা হয়। গত ৯ জুলাই এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে। এ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) এবং তারেক রহমান রবিনকে (২২) কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে পাঁচদিন এবং তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

    নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।

    এদিকে পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্যে সোহাগকে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দা ঝড় উঠেছে।

  • সুন্দরবনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের মৃত্যু

    সুন্দরবনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের মৃত্যু

    দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে গিয়ে গোলাম মোস্তফা সরদার (৪৭) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে সহকর্মীরা তার মৃতদেহ লোকালয়ে নিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের অওতাধীন কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের নোটাবেঁকীর ইলিশিমারি খালে মাছ শিকাররত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    মৃত জেলে গোলাম মোস্তফা সরদার খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রার নওশের আলী সরদারের ছেলে।

    মোস্তফা সরদারের সহকর্মী সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট ভেটখালী গ্রামের ইউসুফ আলীর দাবি, ৪/৫ দিন আগে তারা এক সাথে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান। শুক্রবার বিকালে অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরার সময় সুন্দরবনের বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এসময় তাদের (স্মার্ট টিমের) ভয়ে সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে পড়েন তারা। এ সময় স্মার্ট টিমের সদস্যরা তাদের মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত নৌকাটি জব্দ করে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর সহকর্মী মোস্তফা সরদার হঠাৎ করেই অসুস্থতা বোধ করেন। তার ধারণা সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। পরে মোস্তফা সরদারকে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে সুন্দরবনের নদীর পাশে এসে অন্য জেলেদের নৌকা খোঁজ করতে থাকেন। এরপর তাদের অন্য সহকর্মীদের একটি নৌকা দেখতে পেয়ে সেই নৌকার জেলেদের নিয়ে মোস্তফা সরদারের পাশে যান তিনি। সেখানে গিয়ে মোস্তফা সরদারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে সেখান থেকে সারারাত নৌকা চালিয়ে মোস্তফা সরদারের মরদেহ সকালে লোকালয়ে নিয়ে আসা হয়।

    পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জার সহকারী রেঞ্জার এবিএম হাবিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়েছি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ ধরার সময় এক জেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তবে কোন এলাকায় মারা গিয়েছে এখনও জানতে পারিনি।

  • সাতক্ষীরার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণ

    সাতক্ষীরার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব)-এর আয়োজনে এবং নেটজ বিডির সহায়তায় হোপ প্রকল্পের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সমৃদ্ধকরণ এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধাবিকাশ ও সহপাঠ কার্যক্রম (কো-কারিকুলার এডুকেশন) ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বই বিতরণ করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
    অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হোপ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী বিকাশ কুমার দাশ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এরিয়া সমন্বয়কারী রেহানা পারভিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি জগদীশ হালদার।
    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকবৃন্দ। রিইব-এর এই সময়োপযোগী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান, শিক্ষক কামরুল ইসলাম, মো. কামরুজ্জামান, বিকাশ চন্দ্র ঘোষ, সুনীল চৌধুরী প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, “এই বইগুলো শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা ও মেধাবিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে শিক্ষকদেরও পাঠদানের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনে উৎসাহিত করবে।”
    উল্লেখ্য, হোপ প্রকল্পের আওতায় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোর লাইব্রেরি উন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চর্চা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

  • এনসিপি ইনসাফের ভিত্তিতে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চায়

    এনসিপি ইনসাফের ভিত্তিতে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চায়

     সাতক্ষীরায় জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভা

    আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করতে সাতক্ষীরায় পদযাত্রা ও পথসভায় অংশ নিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার দুপুট  সাড়ে ১২টার দিকে তালা উপজেলার কুমিরা ফুটবল মাঠে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পৌঁছালে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় এলাকাজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
    দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের প্রায় এক ডজন নেতা এ সফরে অংশ নেন।
    কুমিরায় সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষে তারা শহরের দিকে রওনা হন। দুপুর দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে শহীদ আসিফ চত্বরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির নেতৃবৃন্দ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সনদ চেয়েছি, বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি।
    কিন্তু সকল জনদাবির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে একটি পক্ষ। তারা পুরাতন বন্দোবস্ত ধরে রাখতে চায়, তারা পুরাতন রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে চায়, তারা চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসকে টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু আমরা বলেছি, গণঅভ্যুত্থানের পরে, এত মানুষের জীবন দানের পরে, তারা যদি মনে করে, তারা আগের পুরাতন রাজনীতি করবে, তাহলে তা এত সহজ হবে না। গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখনও মাঠে আছে। এখনো তাদের গর্জন রয়েছে।
    তারা ভেবেছিল— দুই তিনটা আসন দেখিয়ে, ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারার লোভ দেখিয়ে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিনে নিবে। কিন্তু যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, তাদেরকে কিনে নেওয়ার সাধ্য কোন রাজনৈতিক দলের হয়নি। বলা হয়েছে —দরজা নাকি খোলা আছে, আমরা বলেছি, ৫ ই আগস্ট দরজা আমরা খুলে দিয়েছিলাম। ৫ই আগস্ট আমরা বলেছিলাম —আসুন জাতীয় সরকার গঠন করি, দেশটাকে পুনর্গঠন করি, সকল বিভাজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি। কিন্তু তারা আমাদের সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।
    তারা বলেছিল তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আবার বলেছিল ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারা ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের কোন সমর্থন পাওয়া যায়নি। আমরা বলেছিলাম —আমরা দেশের ভিতরে শত্রু তৈরি করতে চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পুনর্গঠন করতে চাই। আমরা এখনো বলছি —নির্বাচনী ভাগ-বাটোয়ারা নয়, দেশ সংস্কারে আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে। যদি এবার দরজা বন্ধ হয়, জনগণ আপনাদেরকে আর ক্ষমা করবে না।প্রিয় সাতক্ষীরাবাসি, আপনারা উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। যারা ঘূর্ণিঝড় প্রতিকূলতার মধ্যেও, আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্বেও, এই দেশকে উপকূলে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন। সাতক্ষীরার শিক্ষার অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যের অভাবে ব্যবস্থাপনা, যাতায়াতের অব্যবস্থাপনার কথা আমরা জানি।
    সাতক্ষীরাবাসি এখনো রেললাইনের সুযোগ পায় না। ৫৪ বছর হয়ে গেছে এখনো রেল সংযোগ সাতক্ষীরায় এসে পৌঁছায়নি। আমরা কি সাতক্ষীরায় রেললাইন চাই? আমরা কি সাতক্ষীরার উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা চাই? আমরা কি সাতক্ষীরায় উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চাই? জনতার উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন রেখে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের জলবায়ু রক্ষা করতে হবে, আমাদের সুন্দরবন ও উপকূল রক্ষা করতে হবে। জলবায়ু নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ করবে। সাতক্ষীরার মাটি ও মানুষকে রক্ষা করার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ করবে।
    আপনারা জাতীয় নাগরিক পার্টির সাথে থাকবেন—আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই। যে দেশের ছাত্র- মেহনতি জনতা ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দিল্লি পাঠাতে পারে, সে দেশের ছাত্র-জনতা কোন চাঁদাবাজকে ভয় পাবে না। ছাত্র জনতা ও নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, নতুন করে প্রস্তুতি নিন।
    আমাদেরকে বৈষম্য ও দুর্নীতি বিরোধী ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়তে হবে। সেকারণে আমাদের শহীদেরা রক্ত দিয়েছিল, সাতক্ষীরার মানুষ রক্ত দিয়েছিল তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
    সভায় এনসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর পূর্ব পর্যন্ত আমাদের এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
    জাতীয় নাগরিক পার্টির সাতক্ষীরা জেলার সমম্বয়ক কামরুজ্জামান বুলুর সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল ও চিকিংসক তাসনীম জারা। এছাড়া মঞ্চে স্লোগান দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
    পথসভার আগে শহীদ আসিফ চত্বর এলাকায় জুলাই-বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন নেতৃবৃন্দ। পরে একটি পদযাত্রা শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে শেষ হয়। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় আল বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
    এতে শত শত নেতাকর্মী অংশ নেন, যাদের অনেকেই ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও দলীয় পতাকা বহন করছিলেন।
    পদযাত্রা ও জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে আগেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কার করা হয়।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাং-১২.০৭.২৫ ছবি আছে।
  • কালিগঞ্জে একই পরিবারের তিন সদস্যকে অজ্ঞান করে ৫ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৮৩ হাজার টাকা লুট

    কালিগঞ্জে একই পরিবারের তিন সদস্যকে অজ্ঞান করে ৫ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৮৩ হাজার টাকা লুট

    চেতনানাশক স্প্রে

    চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের তিন সদস্যকে অজ্ঞান করার পর জানালার গ্রীল কেটে পাঁচ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৮৩ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার পর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের কাশীশ^রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন শাহীনুর রহমান(৪৫) ও তার স্ত্রী মাসুমা পারভিনকে (৪০) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শাহীনুৃরের মা নুরুন্নেছা খাতুনকে (৭০) কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
    কাশীশ^রপুর গ্রামের শাকিলা খাতুন জানান, শাহীনুর রহমান, মাসুমা পারভিন ও নুরুন্নেছা খাতুন শুক্রবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমোতে জান। সকাল ৮টার দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না পাওয়ার একপর্যায়ে তারা দরজায় ধাক্কা দিলে খুলে যায়। পরিবারের তিন সদস্যকে তারা অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ ছাড়া ঘরের শোকেজ ও আলমারির কাঁচ ও তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে জানানো হয়। তাদের তিনজনকে সঞ্জাহীন অবস্থায় প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শাহীনুর ও তার স্ত্রী মাসুমা পারভিনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আলমারি ও শোকেজ এর তালা ভেঙে তিনটি সোনার রুলি, দুটি সোনার আংটি, একটি ছোট ও একটি বড় সোনার চেইনসহ নগদ ৮৩ হাজার টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
    কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • আশাশুনির বেতনা নদীর চাপড়া ও নওয়াপাড়ায় বাঁধ কেটে পানি নিস্কাশন

    আশাশুনির বেতনা নদীর চাপড়া ও নওয়াপাড়ায় বাঁধ কেটে পানি নিস্কাশন

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া ও নওয়াপাড়ায় বেতনা নদীর আড়াআড়ি বাঁধ কেটে প্লাবিত এলাকার পানি সরানোর কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের মনে আনন্দ দেখা দিয়েছে।
    বেতনা নদী খনন কাজের জন্য নওয়াপাড়া ও চাপড়ায় আড়াআড়ি মাটির বাঁধন দিয়েছিলেন ঠিকাদার। গত বছরের বর্ষা মৌসুমে বাঁধের কারণে এলাকাবাসী প্লাবনের শিকার হয়ে চরম বিপদগ্রস্ত ছিল। সেসময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ হান্নান বাঁধ কেটে দিয়ে এলাকাবাসীকে রক্ষা করলেও সময় না থাকায় অনেকের পক্ষে আমন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। এবছর বেশ আগে থেকে বর্ষার মৌসুমে নদির পানি প্রবাহ ব্যবস্থা করার জন্য দাবীর কথা জানানো হলেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে একটানা বৃষ্টিপাতে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন থেকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ও সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। হাজার হাজার বাড়িঘর, অফিস, প্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের, ফসলী জমি ব্যাপক ক্ষতির শিকার হতে থাকে। অবস্থার প্রেক্ষিতে এলাকার শত শত মানুষ বাঁধ কেটে পানি সরানোর উদ্যোগ গ্রহন করে।
    বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ হান্নান জানান, বর্ষা শুরু হলে আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদের সাথে যোগাযোগ করি। ঠিকাদার বাঁধ কেটে দেওয়ার কথা বলে স্কেবেটার সরিয়ে নেয়ায় সন্দেহের সৃ্ষ্টি হয়। তখন এসি ল্যান্ড ও ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলে বৃহস্পতিবার মেম্ববার লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ নিয়ে আমার উপস্থিতিতে বাঁধ কাটার কাজ করি। স্বেচ্ছাশ্রমে সবাই স্বতঃস্ফুত ভাবে কাজ করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও আশাশুনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন এলাকা পরিদর্শন করেন। সেই থেকে গত ৩ দিন ২০/২৫ জন করে শ্রমিক নিয়ে চাপড়া বাঁধে ও নওয়াপাড়ার বাঁধ কেটে পানি সরানো নির্বিঘ্ন করার কাজ করে আসছি।
    বুধহাটার ইউপি মেম্বার লিয়াকত আলী বিশ্বাস জানান, পানি নিস্কাশন না হওয়ায় আমাদের ইউনিয়নের বেশীর ভাগ ঘরবাড়ি, ক্ষেত খামার, মৎস্য ঘের, ফসলী জমি জলমগ্ন হয়ে যায়। আমি নিজেই ঠিকাদারকে বৃষ্টির বেশ আগে বলেছিলাম, পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু তিনি তা না করায় বৃষ্টি শুরুর সাথে সাথে ইউনিয়ন জলমগ্ন হলে সাবেক চেয়ারম্যান আঃ হান্নানের মাধ্যমে ডিসি স্যার, ইউএনও স্যারের সাথে কথা বললে তারা বাঁধ কাটার পক্ষে মতামত জানান। চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনা ও নের্তৃত্বে আমরা ৩ শতাধিক মানুষ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাঁধ কাটার কাজ শুরু করি। দুই দিনের মধ্যে এলাকার পানি বেশ কমেছে। শুধু বুধহাটা নয় উত্তরে ঝাউডাঙ্গাসহ অন্যান্য এলাকা তথা সাতক্ষীরা জেলার বেশীর ভাগ এলাকার পানি বেতনা নদীর মাধ্যমে নিস্কাশন হচ্ছে। সেই বৃহস্পতিবারের পর থেকে হান্নান সাহেবের নেতৃত্বে আমরা চাপড়া ও নওয়াপাড়া বাঁধে পানি চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ২০/২৫ জন করে শ্রমিক কাজ করে আসছে। কিছু ঘের মালিকও তাদের অর্থে কিছু শ্রমিক কাজে লাগাচ্ছেন। এসময় বুধহাটা ইউনিয়ন যুবদলের সিঃ সহ সভাপতি রিপন, আনোয়ারুল হক, আঃ মালেক, মিকাঈল উপস্থিত ছিলেন।
  • সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক কমিটির সভা, ১৩ জুলাই স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক কমিটির সভা, ১৩ জুলাই স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির এক বিশেষ সভা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আযাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল সাতক্ষীরা শহরের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা। সভায় বক্তারা বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতা, খাল ও নালা-নর্দমার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, দখলদারিত্ব এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। এ বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসে নাগরিকদের দুর্ভোগ ও চলাচলের অসুবিধার চিত্র।

    সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, আগামী ১৩ জুলাই সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে জলাবদ্ধতা নিরসনের কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। একই দিন জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হবে, যাতে অবিলম্বে এই সমস্যার টেকসই সমাধানে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সভায় উপস্থিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও দ্রুত বাস্তবায়ন যেন নিশ্চিত করা হয়। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শেষ হয়।

  • বিজিবির অভিযানে প্রায় কোটি টাকার পণ্যসহ আটক ৩

    বিজিবির অভিযানে প্রায় কোটি টাকার পণ্যসহ আটক ৩

    সাতক্ষীরা সীমান্তে পৃথক অভিযানে একটি বাংলাদেশী ট্রাকসহ প্রায় কোটি টাকার ভারতীয় মালামালসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোমরা স্থল বন্দরের ফলমোড় এলাকাসহ গাজীপুর, কাকডাঙ্গা, ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্প, ঘোনা, চান্দুরিয়া, মাদরা, পদ্মশাখরা সীমান্তে এসব অভিযান পরিচলানা করা হয়।

    আটককৃত তিনজন হলো, পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার কালাইয়া গ্রামের মো. মঈন উদ্দিনের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৭) এবং সাতক্ষীরার ভোমরা গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (২০) সহ একজন মাদক ব্যবসায়ি।

    বিজিবি সূত্র জানা যায়, ভোমরা স্থল বন্দরের ফলমোড়ে একটি ট্রাক তল্লাসী করে ৭ বোতল ভারতীয় চিংড়ি মাছের রেনুপোনাসহ মেহেদী হাসান ও তরিকুল ইসলামকে আটক করে বিজিবি। আটককৃত ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-উ-১১-৭৭৭৭) ভোমরা আইসিপি দিয়ে বাংলাদেশী রপ্তানীকৃত পণ্য ভারতে পৌছে দিয়ে ফেরত আসার সময় অবৈধভাবে চিংড়ি মাছের রেনুপোনা আনায়ন করে। ট্রাকসহ আটককৃত রেনুপোনার মূল্য ৮৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

    সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মো. আশরাফুল হক জানান, চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় তা জব্দ করা হয়। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।

  • সাফের শুরুতেই কাঁপন: শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ!

    সাফের শুরুতেই কাঁপন: শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ!

    সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পরিষ্কার ফেভারিট হিসেবে মাঠে নেমেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আগের দিন তিন প্রতিপক্ষই তাদের সমীহ করার কথা জানিয়েছিল। শুক্রবার (১১ জুলাই) টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই সেই প্রমাণ মিলেছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। শ্রীলঙ্কান মেয়েদের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত আফিদা খন্দকারের দল ৯-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেয়। হ্যাটট্রিক করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা।

    বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ থেকে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব আগে থেকেই ছিল। কিছুদিন আগেই নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেয় লাল-সবুজরা। সেই সিনিয়র দলের আটজন খেলোয়াড় এবার খেলছেন এই অনূর্ধ্ব-২০ দলে। তাই স্বাগতিক দলের এমন দাপুটে জয় প্রত্যাশিতই ছিল।

    লঙ্কানদের বিপক্ষে সাগরিকার হ্যাটট্রিক ছাড়াও মুনকি আক্তারের জোড়া গোল এবং স্বপ্না রানী, রুপা, শান্তি মার্দি ও শিখা আক্তার একটি করে গোল করেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে ইনজুরি সময়ে একটি গোল শোধ দেয় শ্রীলঙ্কা।

    মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের স্কোয়াড থেকে আটজনকে একাদশে রাখেন কোচ পিটার বাটলার। শুরু থেকেই বাংলাদেশের আক্রমণের সামনে জর্জরিত হয় লঙ্কান রক্ষণভাগ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন স্বপ্না রানী। চতুর্থ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে এগিয়ে গিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি আক্তার। ৩৭ মিনিটে শিখা আক্তারের ক্রস থারুশিকা আটকাতে গিয়ে ভুল করেন, সুযোগ বুঝে বল জালে জড়ান সাগরিকা।

    বিরতির পর অধিনায়ক আফিদা খন্দকারসহ তিনজনকে উঠিয়ে নেন কোচ বাটলার। তবে এতে বাংলাদেশের খেলায় কোনো ভাটা পড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সাগরিকার পাস থেকে মুনকি গোল করেন। ৫০ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আসা ক্রস ধরে শিখা নিখুঁত প্লেসিংয়ে গোল করেন। তিন মিনিট পর একক প্রচেষ্টায় সাগরিকা নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন।

    ৫৮ মিনিটে পূজার কাটব্যাকে প্লেসিং শটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সাগরিকা। ৮৩ মিনিটে রুপার গোলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৮-০। ইনজুরি সময়ে শ্রীলঙ্কার লালিয়ান একটি গোল শোধ দেন। আর ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে শান্তি মার্দির গোলে ৯-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

  • তালায় ভয়াবহ ভাঙন ঠেকাতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু

    তালায় ভয়াবহ ভাঙন ঠেকাতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু

    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের পাশ দিয়ে শাহজাতপুর-মাহমুদকাটি-কপিলমুনি পর্যন্ত বেড়িবাঁধ রক্ষায় স্থানীয়রা নিজেদের অর্থায়নে উদ্যোগ নিয়েছেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে মাহমুদকাটি খেয়াঘাটে যাওয়া মূল রাস্তাটি নিচু হওয়ায় এলাকাবাসী প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা উঁচু করার কাজ শুরু করেন।
    মাদিয়া বিল ও খোল বিল পরিচালনা কমিটি এবং স্থানীয় জমির মালিকদের আর্থিক ও শ্রমিক সহযোগিতায় এই বাঁধটিকে টেকসই করে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।
    স্থানীয়দের মতে, এই রাস্তাটি এবং এর পাশের বেড়িবাঁধ রক্ষা করা গেলে গ্রামের প্রধান জীবিকা—মাছের ঘের ও ধানক্ষেত—বন্যা ও নদীভাঙনের ক্ষতি থেকে বাঁচবে। প্রাথমিকভাবে বাঁধ নির্মাণে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা ব্যয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
    স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল আলম বলেন, “যদি সরকারি সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে এই এলাকার মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পাবে। ইতোমধ্যে দুটি বাজেটের আওতায় দু’টি স্থানে সংস্কারকাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।”
    খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম. লিয়াকত হোসেন বলেন, “কপোতাক্ষ নদের ভাঙন দিন দিন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে গ্রামের অনেক মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও ঘের হুমকির মুখে পড়বে। স্থানীয়দের এই স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ প্রশংসনীয়, তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।”
    এ বিষয়ে তালা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার বলেন, “স্থানীয়রা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা খুবই ইতিবাচক। এলজিইডি থেকে যেসব এলাকায় প্রকল্প রয়েছে, সেগুলোর কাজ ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে এই এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা হবে।”