Blog

  • আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস

    আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র ও জনসাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনী আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, আন্দোলনের পরবর্তী সময়েও সেনাবাহিনী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

    সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে বাহিনী সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসাও করেন প্রধান উপদেষ্টা।

    অধ্যাপক ইউনূস বক্তৃতার শুরুতে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদেরও স্মরণ করেন।

  • অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২

    অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২

    অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে দুই নারীকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার(২১ নভেম্বর) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কালিয়ানি সীমন্ত থেকে তাদের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, খুলনার রুপসা এলাকার মহাতাব উদ্দিনের মেয়ে নার্গিস আক্তার (২৫) ও যশোরের অভয়নগর উপজেলার ছিদ্দিপাশা গ্রামের মুজিবর পাটোয়ারির মেয়ে জোসনা আক্তার (৩২)।

    সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার কালিয়ানি সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন নারীকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বিওপির হাবিলদার মোঃ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযানিক দল সীমান্তের শিকড়ি গ্রামের মো.সাইফুল্লাহ’র বাড়িতে অভিযান চালায়।

    এসময় অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার প্রস্তুতিকালে সেখান থেকে উক্ত দুই বাংলাদেশি নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তবে, এসময় পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে সক্ষম হননি বিজিবি।

    বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অপরাধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়েরসহ তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

  • উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন

    উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন

    ২১ নভেম্বর ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে বাগেরহাট জেলা জলবায়ু
    অধিপরামর্শ ফোরামের আয়োজনে ও বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন লিডার্সের সহযোগিতায় উপকূল
    অঞ্চলের সংকট নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে বিভিন্ন স্তরের মানুষ, স্থানীয় জনগণ, সমাজকর্মী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের
    প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
    উপকূল অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে দুর্যোগ পরিস্থিতি দিন দিন জটিলতর
    হচ্ছে। পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ভূমি ক্ষয়, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনজীবন
    বিপর্যস্ত। এই সংকট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে
    বক্তারা বলেন, “উপকূলের মানুষের জন্য অবিলম্বে উন্নত পানি ব্যবস্থাপনা, টেকসই বাঁধ নির্মাণ,
    দুর্যোগ পূর্বাভাস ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং জীবিকা রক্ষায় বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।”
    বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে অঞ্চল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয়
    অঞ্চল। এ অঞ্চল প্রকৃতিগত ভাবে একটি ঐশ্বর্যপুর্ণ এবং ভু রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই
    উপকূল ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় মানুষের অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। বৈষম্য
    নিরসনের পাশাপাশি অনাচার বন্ধ করতে হবে। অন্যত্থায় আমাদেরকে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখী হতে
    হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভয়াবহ ক্ষতির সন্মূখীন হবে।
    জলবায়ু পরিবর্তন, নদীভাঙন, লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং পরিকল্পিত অবকাঠামোর অভাবে মারাত্মক
    সংকটে আছে উপকূলের জনগণ। তাই উপকূলের উন্নয়নে একটি দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা
    প্রয়োজন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে আশা প্রকাশ
    করেন তিনি।
    মানববন্ধন শেষে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, যেখানে উপকূল
    অঞ্চলের সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা
    হয়েছে।

  • ‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা

    ‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ‘উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) উপজেলা কৃষি অফিসের হল রুমে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও সবুজ সংহতি এই সভার আয়োজন করে।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন ধুমঘাট শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠন এর সভানেত্রী ও জাতীয় কৃষিপদক প্রাপ্ত কৃষাণী অল্পনা রাণী মিস্ত্রি।

    উপকূলীয় নারীদের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন পদ্মপুকুরের নাসরিন নাহার, গাবুরার জেসিমন বেগম, ঈশ্বরীপুরের মিতা রানী, শ্যামনগরের অষ্টমী মালো, মুন্সিগঞ্জের সরমা রাণী, বুড়িগোয়ালিনীর কনিকা রানী মন্ডল প্রমুখ।

    এসময় তারা উপকূলীয় দুর্যোগকবলিত ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের অগ্রগতির পথে বিরাজমান নানা সামাজিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে যেভাবে লোকায়ত জ্ঞানের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষি প্রাণবৈচিত্র্য ও প্রাণিসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে নিজেদের পরিবারকে এগিয়ে নিয়েছেন, সফলতা অর্জন করেছেন, স্বীকৃতি পেয়েছেন তার গল্প তুলে ধরেন।

    সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন। আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সুব্রত কুমার বিশ্বাস, বারসিক এর সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, সিডিও’র নির্বাহী পরিচালক গাজী ইমরান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের জেন্ডার প্রমোটর মো. মাছুম বিল্লাহ প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বারসিক এর সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা বরসা গাইন।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “বৃক্ষ দিয়ে সাজায় দেশ সমৃদ্ধি করি বাংলাদেশ ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় উৎসব মুখর পরিবেশের বৃক্ষ মেলা ২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর ) বেলা সাড়ে ৩ টায় জেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ পাল এঁর সভাপতিত্বে
    জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা’ র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। এসময় ফিতা কেটে ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সামাজিক বন বিভাগ যশোর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ‌্যপী বিকাশ চন্দ্র প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক অমিতা মন্ডল।এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জি এম মারুফ বিল্লাহ, জেলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহবুবুর রহমান, জেলা নার্সারী মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে ফলজ, বণজ ও ভেষজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। বৃক্ষ মেলায় সামাজিক বন বিভাগের উপকার ভোগীদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়। সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দি হাইব্রীড নার্সারী, ফোর এ এগ্রো, ফাহিম নার্সারী, ডালিয়া নার্সারী, জাহাঙ্গীর নার্সারী, সরদার নার্সারী, মদিনা নার্সারী, মায়া কানন নার্সারী, এমরান নার্সারী, পল্লী নার্সারীসহ মেলায় মোট ২৩ টি স্টল স্থান পেয়েছে। এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, নার্সারী মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
  • আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 

    আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 

    আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ক্লাস্টারের ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের করুন দশা ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সমস্যার কারনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশে বসতে বাধ্য হচ্ছে। বছরের পর বছর নতুন ভবন নির্মান না হওয়ায় অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে
    দুশ্চিন্তা ও উৎকন্ঠার মধ্যে থাকেন। ফলে শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির হার বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের ক্লাশের প্রতি স্বাভাবিক মনোনিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোর সংক্ষিপ্ত তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো।
    ১১৬ নং বালিয়াঘাটা বাইনবশত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যথাসাধ্য সুন্দর পরিবেশে চলে এসেছে। ১৯৯৯ সালে সরকারি ভাবে নতুন ভবন নির্মান করা হয়। শিক্ষার্থীরা নতুন ভবন পেয়ে বেশ উৎফুল্ল মনে স্কুলে আসতে শুরু করে। ১৫/২০ বছরের মধ্যে ভবনের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। ঝুঁকির মধ্যে ক্লাশ চলতে চলতে ২০২৩ সালে ভবনটি অপসারণ করা হয়। কিন্তু নতুন ভবনের কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একটি টিনসেড ঘরের মধ্যে পার্টিশান দিয়ে ক্লাশ চালাতে বাধ্য হন কমিটি। তাতে ক্লাশ সংকুলান না হওয়ায় গোলপাতার ছাউনি করা আরেকটি ঘর তৈরী করা হয়। স্কুল চত্বর নিচু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে থাকায় মাটি/বালি ভরাট দেওয়া হয়। ফলে স্কুলটি বলতে গেলে মাটির নিচে চলে গেছে ভীতসহ বড় অংশ। ফলে আলো বাতাসের অভাবে সেখানে টিকে থাকা যেন অবাস্তব হয়ে উঠেছে। প্রধান শিক্ষক আঃ হান্নান জানান, এতবার উর্ধতন কর্মকর্তাগণ স্কুল পরিদর্শনে এসে কক্ষের মধ্যে টিকতে না পেরে বাইরে রৌদ্রে দাড়িয়ে কথা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন। তখন তানারা বলেছিলেন, স্কুলের ভিতরে ছায়ার থেকে বাইরে রৌদ্রে দাড়ানো আরামদায়ক মনে হচ্ছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে স্কুলে যাতয়াতের পথগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে পারেনা। তাদের আকুল আবেদন, দ্রুত স্কুল ভবন নির্মান করা হোক এবং সাথে সাথে রাস্তা নির্মান ও ল্যাট্রিন-টিউব ওয়েলের সুব্যবস্থা করা হোক।
    ১২৩ নং হামকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ স্থাপিত ১৯৮৬ সাল। ভবন নির্মান ১৯৮৯ সাল। দীর্ঘদিনের পুরনো ভবনটি জীর্নশীর্ণ হয়ে পড়ায় কয়েকবার সংস্কার ও রঙ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেওয়ালে ফাটল, ছাদ খসে পড়া, পিলারে ভাঙ্গনেরর কারনে ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক মুক্তি যোষ জানান, ২০২২-২৩ সালে টিনসেড একটি ছোট ক্লাশরুমে ক্লাশ করা হচ্ছে। কিন্তু ভবনের মধ্যে ক্লাস পরিচালনা রীতিমত ভয়াবহ। স্কুল চত্বরে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। স্কুলে যাতয়াত ও খেলাধূলা করা সম্ভব হয়না। প্রাচীর না থাকায় নিরাপত্তা ও পরিবেশ হীনতায় ভুগতে হচ্ছে। তারা অবিলম্বে নতুন ভবন নির্মান, মাঠ ভরাট, প্রাচীর নির্মানসহ সার্বিক উন্নয়ন কাজ করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
    ২০ নং কুন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মান উন্নয়নে প্রশংসনীয় ছিল। সরকারি নির্মীত ভবন অপসারনের পর ২০০২ সালে নতুন ভবন নির্মান কাজ করা হয় সরকারি ভাবে। বর্তমানে সেই ভবনটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদ ও দেওয়াল খসে খসে পড়তে থাকে। পুলারে ফাটল ধরে। বাধ্য হয়ে কয়েকবার সংস্কার ও রঙের কাজ করা হয়। কিন্তু স্থায়িত্ব বাড়ানো সম্ভব হচ্ছেনা। এখন ভবনটি ঝুঁকিতে রয়েছে। তাছাড়া ক্লাশ সংকুলান না হওয়ায় টিনসেডের ২ কক্ষ বিশিষ্ট পৃথক একটি ঘর করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শ্রীধর কুমার দাশ জানান, বিদ্যালয় ভবন ব্যবহার ঝুঁকির মধ্যেও ব্যবহার করা হচ্ছে। টয়লেটের একটি অকেজো, প্রাচীর না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু সুনজর কামনা করেন।
    ১১৪ নং আরার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ স্থাপিত ১৯৭০ সাল। ভবন নির্মান ১৯৯৫ সাল। ভবনটি ছাদ খসে খসে পড়ছে। দেওয়াল ও পিলারে ফাটল ধরে পড়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে কয়েকবার সংস্কার কাজ করা হলেও বেশীদিন থাকছেনা। ল্যাট্রিনের একটি নষ্ট। একটি টিনসেড ক্লাশ কক্ষ ৫/৬ বছর আগে করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা বেগম জানান, বিল্ডিং এর অবস্থা খুবই নাজুক। প্রাচীর না থাকায় বখাটেরা স্কুল ছুটির পর ল্যাট্রিনের কাছে ঢুকে নেশা করাসহ নানা উপদ্রব করে থাকে। স্কুলের পিছনে স্কুলের জমিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে ও গরুর বিষ্টা রেখে দুর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চরম সমস্যায় রয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। তাছাড়া স্কুলের সামনে দিয়ে গরু ও মানুষ যাতয়াত করায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মাঠ নিচু থাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকে। প্রাচীর নির্মান, মাঠ ভরাট করা ও নতুন ভবন নির্মান করা খুবই জরুরী উল্লেখ করে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
    ১৩৪ নং মহাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঃ স্থাপিত ১৯৯২ সালে। ভবন নির্মান ২০০০ সাল। ভবনটির অবস্থা নাজুক। ছাদ খসে খসে পড়ছে। দেওয়াল ও পিলারে ফাঁটল ধরেছে। অনেকবার সংস্কার কাজ করে ভগ্নদশা ঢাকান চেষ্টা করা হয়েছে। এতে ভবনটি দেখতে ভাল হলেও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমেনি। এখনো ভবনের অংশ বিশেষ খসে খসে পড়ছে। শিক্ষকরা ঝুঁকি কমাতে দুর্বল অংশ ভেঙ্গে দিচ্ছেন মাঝে মধ্যে। ক্লাশ রুম সংকট কমাতে ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ ১ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ছোট ইটের ঘর নির্মান কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক রাফেজা খাতুন জানান, স্কুল ভবনের দুরাবস্থার পাশাপাশি প্রাচীর না থাকা ও স্কুল চত্বর তথা মাঠ নিচু থাকায় বছরের অধিকাংশ সময় পানিতে নিমজ্জিত খাকে। স্কুল ভবনের একহাতের মাধ্যে ব্যস্ততম গুনাকরকাটি মহিষাডাঙ্গা সড়ক থাকায় আমরা খুবই ঝুঁকিতে আছি। শিক্ষার্থীরা মনের অজান্তেই রাস্তায় গিয়ে ওঠে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি মাথার উপর বিদ্যমান থাকে। অনেকবার ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তিনি অতিদ্রুত নতুন ভবন নির্মান, প্রাচীর নির্মান, মাঠ ভরাটসহ সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
  • আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে অর্থনৈতিক শুমারী ২০২৪ উপলক্ষে উপজেলা শুমারী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেরা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার শ্মশান কুমার মন্ডলের সঞ্চালনায় সভায় উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রফিকুল ইসলাম, মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আতাহার আলী,পিআইও সোহাগ খান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, এসআই রাজীব মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ, মাহবুবুল হক ডাবলু, হাজী আবু দাউদ ঢালী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় আগামী ১০ থেকে ২৫ ডিসেম্বর সকল এলাকায় শুমারী করা হবে। ৫ থেকে ৮ ডিসেম্বর শুমারীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
  • পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ!প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি

    পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ!প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি

    খুলনার পাইকগাছায় প্রধান শিক্ষক ভৈরবী রানী রায়ের অপসারণের দাবিতে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেনীকক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে প্রধান ফটকের সামনে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
    সরেজমিনে উপস্থিতে জানাযায়, বিভিন্ন সময় স্কুলের শিক্ষার্থী সহ শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ সহ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছিলেন পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভৈরবী রানী রায়। এ কারনে ১১দফা দাবি তুলে প্রধান শিক্ষক ভৈরবী রানী রায়ের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।
    ঘটনা অবগত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন দ্রুত বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরের বিক্ষোভ স্হলে এসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক ভৈরবী রানী রায় মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়েছেন আগামী ২৪ নভেম্বর পদত্যাগ করবেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ভৈরবী রানী রায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্দ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
  • জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    আজারবাইজানের রাজধানী বাকু’তে বসেছে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ) এর ২৯তম সংস্করণ। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে বিশ্ব শান্তি ও জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার সুসংহত করা। এই আহ্বানের সাথে সংহতি রেখে আজ ২০ নভেম্বর ২০২৪ মালিএক্টর প্লাটফর্ম এবং ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরাম  এবং বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার দাবীতে’সাতক্ষীরা রাধানগর প্রানসায়ে র খাল পাড়ে  মানববন্ধন আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তাগণ বাংলাদেশ সহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহের বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য জলবায়ু তহবিলের অর্থের ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সর্বোপরি বিশ্বের প্রধান গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমনকারী শিল্পোন্নত দেশগুলিকে কার্বণ নিঃসরণ কমিয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫o সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানান। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হিসাবে আমাদের ক্ষতিপুরন দাবি করেন।

    মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ম্যাপের যুগ্ম আহবায়ক ভারতেশ্বরী বিশ্বাস, বক্তব্য রাখেন স্বদেশ এর নির্বাহি পরিচালক মাল্টি এক্টর প্লাট ফর্ম (ম্যাপ)  নেতা মাধব চন্দ্র দত্ত, ম্যাপ এর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার সুমন, নাগরিক নেতা আলি নুর খান বাবু, ভূমিহীন নেতা  কাওছার আলী, আবদুস সামাদ, বারসিকের যুব প্রতিনিধি বৃন্দ, শারীরিক প্রতিবন্ধী বাযেজিদ হোসেন, ম্যাপ সমন্বয়ক বাহালুল আলম, যুব প্রতিনিধি মুসলিমা খাতুন, মাহিদা রহমান প্রমূখ।

  • আশাশুনিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    রিজাউল করিম, সাতক্ষীরা : ‘জলবদ্ধতা দূর করো, ধানের জমি রক্ষা করো’ এই স্লোগানে সাতক্ষীরার আশাশুনির খাজরায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় খাজরা ইউনিয়ান বাসির আয়োজনে বড়দল ও খাজরার কালকি স্লুইচগেটের খালের মধ্যে দাড়িয়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মো: রাসেল মোড়ল, মো: জাকির মোড়ল, ইউনুস সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহম্মদ সাঈদ সরদার সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, মিজান সরদার, সাইফুল ইসলাম, সুমন মোড়ল, আহসানুল্লাহ সদ্দার, রায়ান সরদার, মনিরুল সরদার, মনিরুল মোড়ল, আলফাজ মোড়ল, সজিব হোসেন আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
    এসময় বক্তারা বলেন, মাত্র ১ কিলোমিটার খাল খনন না করার কারনে দুইটি ইউনিয়নের ১০ হাজার বিঘা ধানের জমি ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি দাখিল মাদ্রাসা প্রায় ৪ মাস যাবৎ পানি বন্দি হয়ে আছে। অনতিবিলম্বে কালকি স্লুইচগেটের সামনে ১ কিলোমিটার খাল খনন করলে বড়দল ও খাজরা ইউনিয়ানের প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদন হবে।
  • প্রত্যেক উপজেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা করার সুপারিশ: সাতক্ষীরা ডিসি

    প্রত্যেক উপজেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা করার সুপারিশ: সাতক্ষীরা ডিসি

    সাতক্ষীরায় শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
     মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    মতবিনিময় সভায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা আমির উপাধ্যাক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হোসেন, আল ইমরান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল খায়ের, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, আদর্শ শিক্ষক পরিষদ (মাধ্যমিক শাখার) জেলা সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, জয়েন্ট সেক্রেটার মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা অফিসার, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।
    সভাপতির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ আরো বলেন, যদি প্রত্যেকটা উপজেলায় একটা সরকারি কলেজ থাকে তবে কেন একটি সরকারি মাদ্রাসা থাকবেনা । আমি এবিষয়ে মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি। কোন  সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তকর্তা কর্মচারিরা মানুষের রক্ত চুশবে আর আমি মোস্তাক আহমেদ এখানে চুপ করে বসে থাকবো এটা সম্ভব না। আমি ওদের বিরুদ্ধে এবং  সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি সবসময় সোচ্ছার আছি।
  • হাসিনাকে ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সুখের হবে না: ড. ইউনূস

    হাসিনাকে ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সুখের হবে না: ড. ইউনূস

    প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, বিচারের মুখোমুখি করতে হাসিনাকে অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে ভারতকে।

    এছাড়া হাসিনাকে ফিরিয়ে না দিলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুব একটা সুখের সম্পর্ক তৈরি হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।

    একইসঙ্গে আওয়ামী লীগকে আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়া হবে কিনা, সে প্রশ্নেও কথা বলেছেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।

    সোমবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ঢাকায় নিজের বাসভবনে দ্য হিন্দুর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ড. ইউনূস ভারতের সাথে সম্পর্ক এবং সংস্কারের পরিকল্পনার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি তার সরকার গঠনের ১০০ দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন এবং উগ্রপন্থার উত্থান ও হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোকে “প্রোপাগান্ডা” বলে অভিহিত করেছেন।

    ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ৫ আগস্টের ঘটনা কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, কেন এটা (ভারতের জন্য ধাক্কা) হবে? বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে ভারতেরও ওই দিনটি উদযাপন করা উচিত যে, বাংলাদেশ এমন একটি শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে যেখানে মানুষ কষ্ট পেয়েছে, অনেককে হত্যা করা হয়েছে, অনেককে গুম করা হয়েছে এবং অনেক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। ভারতের উচিত আমাদের তরুণদের যোগদান করা এবং একসাথে উদযাপন করা, যেমনটা অন্যান্য অনেক দেশ করে থাকে।

    দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতে শেখ হাসিনার উপস্থিতি উভয় দেশের সম্পর্কের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, হাসিনার ভারতে বসবাস করা, অন্তত আপাতত কোনো সমস্যা নয়। তবে তিনি বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বললে সমস্যা। তিনি বাংলাদেশিদের সাথে কথা বলছেন এবং এটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। তিনি তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, এটাই সমস্যা।

    হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে সব আইনি উপায় অবলম্বন করব।

    তবে প্রত্যার্পণ চুক্তি অনুযায়ী যদি ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে না দেয় তাহলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনি বলতে চাচ্ছেন— ভারত চুক্তি লঙ্ঘন করবে? হ্যাঁ, চুক্তিতে এই ধরনের ধারা আছে, কিন্তু হাসিনাকে রাখতে যদি ভারত সরকার সেগুলোকে ব্যবহার করে তাহলে আমাদের (বাংলাদেশ ও ভারত) মধ্যে খুব একটা সুখের সম্পর্ক তৈরি হবে না। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার খুবই স্বল্পস্থায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সবকিছু আমরা মিমাংসা করতে পারব না। কিন্তু এটা (হাসিনাকে ফেরত না দেওয়ার বিষয়টি) আমাদের পরে আসা কোনো সরকারও উপেক্ষা করবে না।

  • পাশের দেশের মিডিয়া মিথ্যা প্রচার করে বেশি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    পাশের দেশের মিডিয়া মিথ্যা প্রচার করে বেশি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়া মিথ্যা প্রচার করে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ- মিথ্যা সংবাদ দিবেন না। এতে পার্শ্ববর্তী দেশ সুবিধা পেয়ে যায়। আমাদের দেশের মিডিয়ার যে একটা সুনাম আছে, পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়ার কিন্তু কোনো সুনাম নেই।’

    তিনি বলেন, ‘তারা মিথ্যাটাই প্রচার করে বেশি। আর এটা কিন্তু কাউন্টার করতে পারেন আপনারা (সাংবাদিক)।’ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।

    এ সময় পুলিশের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পুলিশের মনোবল আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাফটা নিচের দিকে নেমে গেলে খারাপ। গ্রাফটা কিন্তু আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠেছে। মনোবল দুই দিনে চেঞ্জ হয় না। একটু সময় লাগে। আপনারা সময় না দিলে এটা সম্ভব না। আমার কাছে জাদুর মতো কিছু নাই যে বললেই সব হয়ে যাবে।’

    তিনি বলেন, ‘যারা জয়েন করেনি তারা আমাদের চোখে ক্রিমিনাল। তাদের আইনের আওতায় অবশ্যই আনা হবে। আপনারা খোঁজ দিতে পারলে আমি ধরব। আপনারা খোঁজ নিয়ে জানান।’

    চট্টগ্রামে সম্প্রতি সনাতন ধর্মালম্বীদের নতুন ঐক্যজোট দাবি করেছে সরকার, রাষ্ট্র এবং প্রশাসনের একটি পক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইন্ধন দিচ্ছে- এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার উত্তর আপনারা সবচেয়ে ভালো দিতে পারেন। আপনি এটা লেখেন- আমরা কোনোকিছু কারো ক্ষতি করছি না। আপনারা অনুসন্ধান করে বলেন। আর উসকানির বিষয় তো আগেই বললাম। পার্শ্ববর্তী দেশ উসকানি দিচ্ছে।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ভুল হয় না, তা না। আমাদের ভুল হলে ধরিয়ে দিন। আপনি বলে দিন যে স্যার আপনি এই এই জিনিসটা খারাপ করছেন, আপনি পয়সা মারছেন।’

    সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই জাহাজটা মিডল ইস্ট থেকে এসেছে। সেখান থেকে এসে একটা দেশে গেছে, সেখান থেকে আমাদের দেশে এসেছে। আমাদের দেশে কোনো দেশের জাহাজ আসা নিষিদ্ধ আছে? আমরা কি কারো কাছে বন্দি যে শুধু তাকেই সেবা করব? আমার দেশ সবার ওপরে। খেজুর, পেঁয়াজ, আলু- এগুলো সামনের রোজার সময় দরকার। এগুলো কি আমরা আসতে দেবো না? যারা এগুলো রটাচ্ছে তারা আমাদের শত্রু।’

  • সাতক্ষীরার তিন নারী ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা দেবে জেলা প্রশাসন

    সাতক্ষীরার তিন নারী ফুটবলারকে গণসংবর্ধনা দেবে জেলা প্রশাসন

    সাফ জয়ী সাতক্ষীরার তিন কৃতি সন্তান সাবিনা, মাসুরা ও আফঈদাকে গণসংবর্ধনা দেবে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা। আগামী বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে তাদের এই সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়, দ্বিতীয় বারের মতো ‘সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ জয়ী বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার সাবিনা খাতুন, ডিফেন্ডার মাছুরা পারভীন ও আফঈদা খন্দকার প্রান্তিকে জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আগামী ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে।

  • জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 

    জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 

    জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা প্রশাসন  ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা  সরকারি কলেজের  অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাশেম।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, নবজীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম, ঝাউডাঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মোমিনুল ইসলাম, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি মো. জালাল উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হোসেন, জেলা শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাকিবুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষা ২০২৪ বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ সময় সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
    সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন।
  • সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শিশু শ্রম ও শিশু অধিকার বিষয়ক সিসিডিবি’র কর্মশালা

    সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শিশু শ্রম ও শিশু অধিকার বিষয়ক সিসিডিবি’র কর্মশালা

    কলারোয়ায় শিশু শ্রম ও শিশু অধিকার বিষয়ক সিসিডিবি’র কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর ২০২৪) বিআরডিবি হল রুমে বেলা ১১টায় বেসরকারি সংস্থা খ্রিষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এর বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডভিত্তিক দাতাসংস্থা কার্ক ইন এক্টি এর অর্থায়নে দিনব্যাপী অত্র এলাকার জনগণের অংশগ্রহনে শিশু শ্রম ও শিশু অধিকার বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
    কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ক্রিয়েটিং ইয়ুথ ইমপ্লয়মেন্ট এন্ড চাইল্ড প্রটেকশন প্রকল্পের তত্বাবধানে।
    কর্মশালাটিতে প্রকল্প ব্যবস্থাপক পার্থ প্রতিম সেন শিশুশ্রমের ফলে শিশুর জীবনে আগত বাধাসমূহ কিভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তা নিয়ে আলোচনা করেন। এর সাথে শিশুদের বিভিন্ন অধিকারসমূহ যেমন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার, মেধা ও বিকাশের অধিকার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
    কর্মশালাটিতে টেকনিক্যাল অফিসার একরামুল কবীর সমাজ থেকে শিশুশ্রম বন্ধে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সহযোগিতা কামনাসহ আলোচনা করেন।
    উপস্থিত জনগন আলোচনা শেষে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, সমাজ থেকে শিশু শ্রম বন্ধে ও শিশু শ্রম অধিকারসমূহ নিশ্চিতে সকলে একযোগে কাজ করবেন।
    বক্তারা খাদ্য, বাসস্থান, পোশাক, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তার মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি শিশুশ্রম বিষয়ে আলোচনা করেন।
    প্রকল্পের পক্ষে কর্মশালাচিতে প্রম্পের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা রিচার্ড অধিকারী, মাঠ সংগঠক সুদীপ্ত বিশ্বাস, সাংবাদিক আরিফ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
    প্রকল্পটি সাতক্ষীরা জেলা সদর ও কলারোয়া উপজেলার যুব সমাজের বেকারত্ব দুরীকরণে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
    আয়োজকরা জানান, তাদের যুব প্রজেক্টের অধীনে সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলায় ৭৫জন যুবককে ৬মাস ব্যাপী বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। টেইলারিং, মোটরসাইকেল গ্যারেজ, বিউটি পার্লার, টিভি -ফ্রিজ সার্ভিসিং, ইলেকট্রনিক্স, ফার্নিচার, ওয়েল্ডিং, লেদ ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে বেকারমুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখা হচ্ছে।
  • জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির

    জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির

    জমজম কূপের পানি পান নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজেকে শান্ত রাখতে হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে। গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    ওমরা পালন করতে প্রতিদিনই মক্কায় ভিড় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। ওমরাশেষে বেশিরভাগই মদিনার মসজিদে নববীতে যান।

    সৌদি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর প্রায় এক কোটি ৩৫ লাখ মুসল্লি ওমরা পালন করেছেন। আগামী বছর সে সংখ্যা দেড় কোটিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি সরকারের। সে লক্ষ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অনেক সুবিধা চালু করেছে দেশটি।

    যে নিয়মগুলো সবাইকে মানতে হবে, তা হলো-

    ১. শান্তভাবে আল্লাহর নাম স্মরণ করে পান করা

    ২. এই পানি পানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি চাওয়া

    ৩. ডান হাতে পানি পান করা

    ৪.পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

    ৫. মেঝেতে পানি ফেলা থেকে বিরত থাকা

    ৬. জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অজু না করা

    ৭. পানি পানের পর কাপগুলো যথাস্থানে রাখা

    ৮. ঠেলাঠেলি না করা ও ভদ্রতা বজায় রাখা

  • দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক

    দুহাত তুলে দোয়া চাইলেন পলক

    জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিবকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

    পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

    সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে একে একে ১৩ জনকে বের করে পুলিশের প্রিজনভ্যানের দিকে নেওয়া হয়।