Blog

  • বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই : মেয়র আইভি

    বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই : মেয়র আইভি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে কাজ করে যাবো।

    বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার চলছে। আমার বাবা কোনোদিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেঈমানী করেননি। আমিও বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে যাবো।

    যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাদ, যুগ্ম সম্পাদক মহীউদ্দিন আহমেদ মহী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, ঢাকা মহানগর উওর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্্রাট, নারায়নগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার পথে প্রধান সম্পদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন “জনগনের ক্ষমতায়ন”। তাই আজ বাংলাদেশ খাদ্য আমদানির দেশ নয় খাদ্য রপ্তানীর দেশ।

     

  • আগামীর বাংলাদেশ হবে বিশ্বের জন্য অনুসরণীয় : প্রধানমন্ত্রী

    আগামীর বাংলাদেশ হবে বিশ্বের জন্য অনুসরণীয় : প্রধানমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সারা বিশ্বের জন্য অনুসরণীয় একটি দেশ।

    তিনি বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১’কে সামনে রেখে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে পরিকল্পিত ও সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১)’ প্রণয়ন করে।’

    প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, প্রেক্ষিত পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে- জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা, যেখানে মাথাপিছু আয় হবে ২ হাজার ডলার। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা জিডিপি’র ৩৮ শতাংশ অর্জন। ইতোমধ্যে অর্জিত খাদ্যশস্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে ২০২১ সালের মধ্যে খাদ্যে টেকসই স্বয়ংসম্পূর্ণতায় রূপান্তর। ২০২১ সালের মধ্যে বাণিজ্য (আমদানি ও রফতানি) জিডিপি’র ৬০ শতাংশে উন্নীত করা। ২০২১ সালের মধ্যে মোট ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ২০২১ সালের মধ্যে সকল মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করা। ২০২১ সাল নাগাদ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী লোকসংখ্যা ১৩.৫ শতাংশ নামিয়ে আনা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।

    ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান বিষয় যেমন, মোট দেশজ আয়, প্রবৃদ্ধি, রফতানি আয়, কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং সামাজিক খাদের দারিদ্র্য নিরসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু নিরাপত্তায় অগ্রগতি এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে সরকারের সাফল্য অভূতপূর্ব।

    তিনি বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংকটের জাল ছিন্ন করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ২০১৬ সালের নমিনাল জিডিপি’র ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৬তম এবং ক্রয়ক্ষমতা সমতার জিডিপির ভিত্তিতে ৩৩তম স্থান লাভ করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৫.১ শতাংশ, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.১১ শতাংশ উন্নীত হয়। এ বছরের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭.২ শতাংশ।

    ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে কাজ চলছে। ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল ‘তথ্য বাতায়ন’ চালু করা হয়েছে যা আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৫ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকের অধিকাংশ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার এবং নিম্ন-আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।

     

  • সার্চ কমিটি প্রধানের নাম ঘোষণা

    সার্চ কমিটি প্রধানের নাম ঘোষণা

    এসবিনিউজ ডেস্ক :  নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছয় সদস্যর ওই সার্চ কমিটিতে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন ও হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, দুই শিক্ষাবিদ, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও সরকরি কর কমিশনের চেয়ারম্যান। তারা সদস্য হিসাবে রয়েছেন।

    গতবারের কমিটি করা হয়েছিল চারজনের। এবার করা হলো ছয়জনের। গতবারের কমিটিতে পদবী হিসাবে যারা ছিলেন এবারও কমিটিতে ওই চারপদের চারজন রয়েছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে।

    এছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান রয়েছেন সদস্য হিসাবে। এছাড়াও আছেন সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য শিরীন আখতার। সার্চ কমিটি গঠিত হয়ে গেছে।

    এখন প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষা। প্রজ্ঞাপনের জন্য সময় নিচ্ছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। এছাড়াও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। সেগুলো সম্পন্ন করা হচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির চুড়ান্ত অনুমোদনের পর।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সার্চ কমিটির বিষয়ে সোমবার বিকেলে ও মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিভিন্ন দিক আলোচনা হয়।

    সেখানে নামও আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রপতি ছয় জনের কমিটি করার সিদ্ধান্ত দেন। কারা কারা কমিটির সদস্য হবেন তাও বলে দেন। এই সংক্রান্ত চিঠি বঙ্গভবন থেকে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো হয় বুধবার সকালে।

    রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, তিনি আশাবাদী কমিটি সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। কেউ আপত্তি করবে না। করলে তা হবে দু:খজনক। যদিও বিএনপি সার্চ কমিটি গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে মন্ত্রব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আরমগীর। তিনি বলেছেন, এটা আওয়ামী লীগের পছন্দের সার্চ কমিটি হয়েছে।

    বঙ্গভবনের সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি ১৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক করে তিনি ৩১ দলের কাছ থেকে প্রস্তাব নেন। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির উপর সব দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। আর চার দফা প্রস্তাব দেয়। তবে তা সার্চ কমিটির বিষয়ে নয়। নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে। বিএনপি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য ১৩ দফা প্রস্তাব দেয়। এছাড়াও বাকি ২৯টি দল তাদের মতো করে প্রস্তাব দেয়।

     

  • জাতিকে হতাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি

    জাতিকে হতাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের পছন্দমতো সার্চ কমিটি গঠন করে রাষ্ট্রপতি জাতিকে হতাশ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জিয়া: আজকের বাংলাদেশ’ আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

    ২৫ জানুয়ারি ‘বাকশাল’ দিবস উপলক্ষে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন খালেদা জিয়ার নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আলোচনায় ডেকেছিলেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছিলেন, তখন একটু আশার আলো জেগে উঠেছিল। কিন্তু সেই আশা আজ হতাশায় পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন আবার অস্থিতিশীল অবস্থা জনগণের মধ্যে বিরাজ করতে শুরু করেছে’।

    ‘কারণ, কিছুক্ষণ আগে যে সার্চ কমিটি গঠন করার কথা আমরা জানতে পেরেছি মিডিয়ার মাধ্যমে, সেটি হয়েছে পুরোপুরি আওয়ামী লীগের পছন্দের সার্চ কমিটি’।

    তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সাংবিধানিক পদে থাকা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, কম্পট্রোলার জেনারেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির একজন শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি শিরিন আক্তার আর দু’জন বিচারপতিকে দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে’।

    ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে নিয়োগ দিয়েছে এই সরকার, কম্পট্রোলার জেনারেলকে নিয়োগ দিয়েছে এই সরকার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রোভিসিকে নিয়োগ দিয়েছে এই সরকার’।

    ফখরুল বলেন, ‘এখানে আমি শুধু শিরিন আক্তারের কথা বলি, কিছুক্ষণ আগে কি কমেন্টস করেছেন তিনি? তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা যে দায়িত্ব আমাকে দেবেন, তা পবিত্র দায়িত্ব মনে করে পালনে সচেষ্ট হবো’।

    ‘বোঝেন- কী নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে?’- বলেন মির্জা ফখরুল।

    তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষতার চরম নিদর্শন রাষ্ট্রপতি আমাদের দেখিয়েছেন। আমরা শুধু হতাশই হইনি, আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। রাষ্ট্রপতিকে আমরা মনে করি, তিনি হচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠান এই রাষ্ট্রের অভিভাবক’।

    ‘তার কাছে আমরা সব সময় আশা করি, প্রত্যাশা করি, আমরা একটি নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত পাবো। দুর্ভাগ্য আমাদের, দুর্ভাগ্য এ জাতির। রাজনৈতিক সংকট থেকে জাতিকে বের করে আনার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সুযোগটিও রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করলেন না’।

    ‘সুতরাং জাতিকে আবার অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হলো’।

    বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সামসুদ্দিন পারভেজ, অধ্যাপক শাহীন ভূঁইয়া, রামকৃষ্ণ সাহা, আহসান হাবীব ইমরোজ প্রমুখ।

     

     

  • সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ হয়েছে: তোফায়েল

    সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ হয়েছে: তোফায়েল

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সার্চ কমিটি অত্যন্ত নিরপেক্ষ হয়েছে। এ কমিটি নিয়ে করো বিরূপ মন্তব্য করা উচিৎ হবে না। রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত অভিজ্ঞ লোক। তিনি নিরপেক্ষ লোক দিয়েই সার্চ কমিটি করেছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ।

    বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত অর্থমন্ত্রীর লেখা স্মৃতিময় কর্মজীবন বইয়ের মোড়ক অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।এসবিনিউজ ডেস্ক : সার্চ কমিটি অত্যন্ত নিরপেক্ষ হয়েছে। এ কমিটি নিয়ে করো বিরূপ মন্তব্য করা উচিৎ হবে না। রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত অভিজ্ঞ লোক। তিনি নিরপেক্ষ লোক দিয়েই সার্চ কমিটি করেছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ।

    বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত অর্থমন্ত্রীর লেখা স্মৃতিময় কর্মজীবন বইয়ের মোড়ক অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

  • বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেস ২৭ ফেব্রয়ারি

    বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেস ২৭ ফেব্রয়ারি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ফুটবল আর বিশ্বের সুন্দর নগরীর মধ্যে অন্যতম বার্সেলোনা শহরে আর এক মাস পর শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল সম্মেলন মোবাইল ওয়ার্ড কংগ্রেস ২০১৭। “মোবাইল: দি নেক্সট এলেমেন্ট” প্রতিপাদ্য নিয়ে বরাবরের মতোই মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। গত বছরের ২ আগস্ট লন্ডন শহরে জিএসএমএ কর্তৃক প্রচারিত ঘোষণাপত্রে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ এ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

    ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত একটানা এই কংগ্রেস আয়োজন করে বার্সেলোনা শহর মোবাইল কংগ্রেসের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। প্রথমে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ মোবাইল উৎসব বার্সেলোনায় হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৫ সালে এক চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তা বর্ধিত করা হয়েছে।

    বিশ্বের বড় বড় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। বার্সেলোনা শহরের ফিরা গ্রান ভিয়া ও ফিরা মনজুয়িকে সম্মেলনের জন্য ৯৪ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন দেশের মোবাইল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পৃথক প্যাভিলিয়ন ও কংগ্রেসের অন্যান্য ইভেন্টে পরিচালনার স্থান নির্ধারিত থাকবে। জিএসএমএ ধারণা করছে, বিশ্বের প্রায় ২১০টি দেশের দুই হাজার ২শ মোবাইল কোম্পানি ও মোবাইল শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় এক লাখ এক হাজার প্রফেশনাল এ কংগ্রেসে যোগদান করবেন। বিশ্বের নামকরা সব মোবাইল ব্র্যান্ড আইবিএম, ইনটেল, লেবোভো, এলজি, মারসেডেজ বেনজ, মাইক্রোসফট, এনইসি, নোকিয়া, ওরাকল, অরেঞ্জ, ফিলিপস, স্যামসাং, এসএপি, সনি মোবাইল, টেলেফোনিকা, ভোডাফোন, আওএল, চিসকো সিস্টেম, ডেউটস টেলেকম, এরিকসন, ফোর্ড, গুগল, হেওলেট পেকার্ড এন্টারপ্রাইজ, এইচটিচি, হুয়াওয়েইসহ অন্যান্য কোম্পানি কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করবে।

     

     

  • ‘সিইসি-ইসি নিয়োগে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে’

    ‘সিইসি-ইসি নিয়োগে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে’

    এসবিনিউজ ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের সুপারিশের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সার্চ কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড.শিরীণ আখতার।

    নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটিতে নাম ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।

    সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে ড.শিরীণ আখতার বলেন, আমি বহুবছর শিক্ষকতা করেছি। এখনো করছি। আর নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার বড় দায়িত্ব। তাই বরাবরের মতো এবারও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করবো।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাজকে সহজ করতে সার্চ কমিটির ছয় সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে সুধীসমাজের প্রতিনিধিত্বকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড.শিরীণ আখতার সার্চ কমিটির প্রথম নারী সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রাপতির দপ্তর থেকে কোনো চিঠি এসে পৌঁছায়নি।

    উপ উপাচার্য ড.শিরীণ আখতার বলেন, সার্চ কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য কয়েক জনের নামের সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। এজন্য সার্চ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বসে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকেই তো অনেক কথা বলবে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের নাম সুপারিশের ক্ষেত্রে আমরা কোন পক্ষপাত করবো না। এ বিষয়টি কঠোরভাবে অনুসরণ করবো।

    বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শিরীণ আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী উপ-উপাচার্য হিসেবে গত বছরের ২৮ মার্চ কাজ শুরু করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিইএচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আগে চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার মহিলা কলেজে কিছুদিন শিক্ষকতা করেছিলেন তিনি।

  • তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

    বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

    একই সঙ্গে খালেদা জিয়া আগামী সোমবার হাজির না থাকলে তারও জামিন বাতিল করা হয়ে বলে জানিয়েছে আদালত।

    তারেক রহমানে আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। আজ এ মামলার আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানির দিনে তিনি হাজির না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে। এই মামলায় আজ ২ জন আসামি আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। ওই ২ জন হলেন সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ।

    ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

    মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

     

     

  • অবৈধ কর সুবিধা নিয়েছেন ড. ইউনূস : অর্থমন্ত্রী

    অবৈধ কর সুবিধা নিয়েছেন ড. ইউনূস : অর্থমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অভিযোগ করেছেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ কর সুবিধা নিয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ‘প্রযুক্তি খাতে রফতানির সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।

    অর্থমন্ত্রী বলেন, অসংখ্য প্রতিষ্ঠান খুলেছেন তিনি। সবগুলোর হিসাব আমাদের কাছে নেই। এসবের বিষয়ে তদন্ত চলছে। যথাযথ নিয়মে দেশের প্রচলিত নিয়ম মেনে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এ সময় বেসিসের নেতারা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আইটি খাতে রফতানির সম্ভাব্যতা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তারা অর্থমন্ত্রীর কাছে সফটওয়্যার রফতানির জন্য ক্যাশ ইনসেনটিভের (নগদ সহায়তা) সুবিধা চেয়েছেন।

    তারা জানান, এই খাতে নগদ সহায়তা পেলে রফতানি বাণিজ্যে আরো সফলতা আসবে।

    সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব নজিবুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বেসিসের পক্ষে সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সভাপতি মোস্তফা জব্বার, সাবেক সভাপতি শামীম আহসান প্রমুখ।

  • প্রত্যেক বিদ্যালয়ে স্কাউটিং’কে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রত্যেক বিদ্যালয়ে স্কাউটিং’কে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য তাঁর সরকার প্রত্যেক বিদ্যালয়ে স্কাউটিংকে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী প্রজন্মকে স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে বাংলাদেশ স্কাউটসকে সার্বিক সহায়তাদানে আমাদের সরকার আরও কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত, দু’টি করে কাব স্কাউট দল, দু’টি স্কাউট দল ও দু’টি রোভার স্কাউট দল চালু করতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে বাংলাদেশ স্কাউট’কে সহযোগিতা করার আহবান জানাচ্ছি। আমি আশা করি এই সহযোগিতা তারা করবেন।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জের মানিকদহ অবাসিক এলাকায় সপ্তাহব্যাপী ১১ তম জাতীয় রোভার মুট উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

    স্কাউটিং-এর গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধির আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশ। তাই আমাদের স্কাউটদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।’

    ‘শান্তিময় জীবন, উন্নত দেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী এই রোভার মুটে সার্ক এবং এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত স্কাউটসহ প্রায় ১০ হাজার স্কাউট অংশ গ্রহণ করছেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে বাংলাদেশ স্কাউটের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়য়ক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং বাংলাদেশ স্কাউটস’র জাতীয় কমিশনার মোজাম্মেল হক খান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

    প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ স্কাউটস’র পক্ষ থেকে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে অভিবাদন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন।

    স্কাউটদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ ডিসপ্লেও উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কাউটিং’এ মেয়েদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির আহবান জানিয়ে বলেন, ‘স্কাউটিং কার্যক্রমে মেয়েদের অংশগ্রহণ আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মেয়েদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত গার্ল-ইন- স্কাউটিং ইউনিট চালু করতে হবে।’

    অংশগ্রহণকারী স্কাউটদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। ইনশাল্লাহ আমরা তা পারব। আর তোমরাই হবে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ার সোনার সন্তান। যারা এই বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় রোভার মুট এর অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় যান।

    টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

    প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাস ভবনে রাত্রি যাপন করবেন। শুক্রবার বেলা আড়াইটায় টুঙ্গিপাড়া থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

  • সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক শনিবার

    এসবিনিউজ ডেস্ক : প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি। আগামী শনিবার প্রথম বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন কমিটির সদস্যরা। ওইদিন সকালে সুপ্রিমকোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে বৈঠকটি অনুুষ্ঠিত হবে। এবারের সার্চ কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি এবং গতবারের মতই। নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজতে ২০১২ সালের মতো এবারও সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার বিকালে সার্চ কমিটির প্রধান সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বৈঠক করেছেন। সেখানে সামগ্রীক প্রক্রিয়া নিয়ে তারা আলোচনা করেন। সার্চ কমিটির প্রধান সাবেক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, সাবেক, সাবেক জেলা জজ, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবারের বৈঠকে তা উত্থাপনের নির্দেশ দেন। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সার্চ কমিটির সদস্যদের কাছ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য টেলিফোনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কমিটির সদস্যরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকেও বিগত সার্চ কমিটির সুপারিশকৃত নামের তালিকার পাশাপাশি নারী সদস্যদের একটি তালিকাও প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেন।

    সার্চ কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, শনিবারের বৈঠকের লক্ষ্যে নিজ নিজ উৎস থেকে নাম সংগ্রহ করছেন তারা। তবে ইসি নিয়োগের সুপারিশের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সার্চ কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড.শিরীণ আখতার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সার্চ কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ১০ জনের  নামের সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে। এজন্য সার্চ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বসে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

  • বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক বাড়ি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক বাড়ি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : গোপালগঞ্জ শহরে বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক বাড়ি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে এটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়। শপথ গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক বাসভবনে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ৫০-এর দশকে গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংক পাড়ায় বাড়িটি ক্রয় এবং বাসস্থান হিসাবে ব্যবহার করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী বাড়িটি জ্বালিয়ে দেয়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু এই বাড়ির পাশে আরেক খন্ড জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বরণের আগ পর্যন্ত সেখানে কেউ যায়নি। আশির দশকে শেখ হাসিনা বাড়িটি সংস্কার করেন এবং দলীয় কার্যালয় হিসাবে ব্যবহারের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুমতি দেন।

    প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছলে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম খান তাঁকে স্বাগত জানান। তারা দলের অন্যান্য নেতাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে বাড়ির বিভিন্ন অংশে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিসমূহ ঘুরিয়ে দেখান। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

    দলীয় নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য এই বাড়িটি পরিদর্শনের সুযোগ পেয়ে খুবই আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি সর্বস্তরে দলকে শক্তিশালী এবং এলাকায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ মনিটর করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি একাদশ জাতীয় রোভার মুট উদ্বোধন উপলক্ষে দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ পৌঁছেন। রোভার মুট উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা পৈত্রিক বাড়িতে যান। আজ রাতে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। কাল বিকেলে তিনি ঢাকা ফিরবেন।

  • ফায়েক উজ্জামান দ্বিতীয় মেয়াদে খুবির ভিসি নিযুক্ত

    ফায়েক উজ্জামান দ্বিতীয় মেয়াদে খুবির ভিসি নিযুক্ত

    এসবিনিউজ ডেস্ক : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯০ এর ১১(১)ধারা অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংষ্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীকে দ্বিতীয় মেয়াদে ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত করেছেন। বুহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনের এ কপি ফ্যাক্সযোগে অপরাহ্নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পেঁৗঁছে।

    আজ ২৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বিশ্ববিদ্যালয় (স. বি. ১) আবদুস সাত্তার মিয়া স্বাক্ষরিত ঐ প্রজ্ঞাপনে (নং-শিম/শাঃ ১৮/৮ খুঃবিঃ-১/৯৭ (অংশ-১)/৩৬) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ ৪ (চার)বছর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তিনিই (প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান) প্রথম দ্বিতীয় মেয়াদে ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত হলেন।

    এর আগে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সাফল্যের সাথে ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। এরও আগে তিনি ২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর  থেকে তিন বছরেরও অধিককাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ভাইস-চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে আগামী ৩০ জানুয়ারি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান-এর জন্ম ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার শ্রীনিবাসকাঠী গ্রামে। তিনি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জয়নাল আবেদীন (মরহুম) এবং বেগম রোকেয়া আবেদীনের দ্বিতীয় সন্তান। তিনি খুলনার দৌলতপুরে অবস্থিত সরকারী ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংষ্কৃতি বিভাগ হতে অনার্স এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ থেকে মাস্টার্স, এম ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যোগ দেন ও ২০০৭ সালে প্রফেসর পদ লাভ করেন। তাঁর বেশ কিছু গবেষণা প্রবন্ধ গুরুত্বপূর্ণ জার্ণালে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তাঁর ‘ইরান-ইরাক বিরোধ ও সাম্প্রতিক যুদ্ধ’ ও ‘মুজিব নগর সরকার ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক বই দু’টি বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছে। এছাড়া তিনি ‘History Society Culture: A.B.M. Husain Festschrift’ শীর্ষক সম্মাননা গ্রন্থটি যৌথভাবে সম্পাদনা করেন। প্রফেসর ফায়েক উজ্জামান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, শিক্ষা পরিষদ ও ফ্যাকাল্টি সদস্য, আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষক সমিতির যুগ্ন-সম্পাদক ও কার্যকরী পরিষদ সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দেশে ও বিদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারে যোগদান করেছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে লেখালেখি করেন। প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এর সহধর্মিনী প্রফেসর ড. মোবররা সিদ্দিকা বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলর বিভাগের শিক্ষক। তাঁরা দু’সন্তানের জনক-জননী। তাদের কন্যার নাম পূর্বাশা পৃথ্বী এবং পুত্রের নাম প্রাজ্ঞ পাবন।

  • হৃদরোগ থেকে বাঁচতে চাইলে কী খাবেন?

    হৃদরোগ থেকে বাঁচতে চাইলে কী খাবেন?

    এসবিনিউজ ডেস্ক : হৃৎপিণ্ড দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একটি। হৃদরোগ থেকে বাঁচার জন্য কয়েকটি খাবারে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দেওয়াও জরুরি। লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কয়েকটি খাবার। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।

    . চর্বিযুক্ত মাছ

    হৃদরোগ থেকে রক্ষার জন্য মাছ খুবই ভালো খাবার। চর্বিযুক্ত মাছ এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ খেতে হবে।

    . ওটমিল

    ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া হৃদরোগ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়। এক্ষেত্রে ওটমিল হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। এটি রক্তের বাজে কোলস্টেরল কমবে এবং হজমশক্তি বাড়বে।

    . বেরি

    বিভিন্ন ধরনের বেরি হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জনে সহায়ক। এক্ষেত্রে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি খুবই উপযুক্ত।

    . ডার্ক চকলেট

    ডার্ক চকলেটে রয়েছে ৬০ তেকে ৭০ শতাংশ কোকোয়া। আর এটি রক্তচাপ সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।

    . বাদাম

    বাদামে রয়েছে প্রোটিন ফাইবার, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন , যা বাজে কোলস্টেরল কমাতে সহায়ক হবে।

    . এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল

    প্রতিদিন অতিরিক্ত নয়, মাত্র দুই চামচ করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলই আপনার রক্তের বাজে কোলস্টেরল কমাতে সহায়ক হবে।

    . গ্রিন টি

    গ্রিন টি হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে এবং দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

    . ফুলকপি পালং শাক

    ফুলকপি পালং শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো হৃৎস্পন্দন ঠিক রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

    . ডালিম

    ডালিম বেদানাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো রক্তচাপ কমায় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।

    ১০. দারুচিনি

    দারুচিনি দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এছাড়া হৃদরোগ প্রতিরোধেও কার্যকর।

    ১১. তরমুজ

    তরমুজ কোলস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে খুবই কার্যকর। এছাড়া এর আরও বহু গুণ রয়েছে, যা আদতে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক।

    ১২. রসুন

    রসুনের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের দারুণ গুণ রয়েছে। এটি নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া সম্ভব।

    ১৩. আপেল

    আপেলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার অন্যান্য উপকারি উপাদান। এটি রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। হৃদরোগের জন্যও এটি খুবই কার্যকর।

  • এই লেখাটি ছোটদের জন্য

    এই লেখাটি ছোটদের জন্য

    মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ২৭ জানুয়ারি, এসবিনিউজ : বড়রা লেখাটি পড়তে পারবেন না, তা নয়। কিন্তু আমার ধারণা, বড় মানুষেরা, যাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলকলেজে পড়ে, তারা লেখাটি পড়ে একটু বিরক্ত হতে পারেন।

    কিভাবে কিভাবে যেন আমাদের দেশের লেখাপড়াটা হয়ে গেছে পরীক্ষানির্ভর এই দেশে এখন লেখাপড়ার সঙ্গে শেখার কোনো সম্পর্ক নেই, পরীক্ষায় নম্বর পাওয়াটাই বিশাল একটা ব্যাপার। বাচ্চারা স্কুলকলেজে কিছু শিখল কিনা, সেটা নিয়ে বাবামায়ের কোনো মাথা ব্যথা নেই। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেল কিনা কিংবা জিপিএ ফাইভ পেল কিনা, সেটা নিয়ে তাদের ঘুম নেই।

    পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়াটা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, মাবাবারা রাত জেগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো কিনা, তা ফেসবুকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। কোথাও যদি পেয়ে যান, তার সমাধান করিয়ে ছেলেমেয়েদের পেছনে লেগে থাকেন, সেটা মুখস্থ করানোর জন্যে। পরীক্ষার হলে গিয়ে পরীক্ষার ঠিক আগে আগে বের হওয়া এমসিকিউ প্রশ্নগুলো নিজেদের স্মার্টফোনে নিয়ে এসে সেগুলো তাদের ছেলেমেয়েদের শেখাতে থাকেন।

    এখানেই শেষ হয় না। এতো কিছুর পরেও যদি পরীক্ষার ফলাফল ভালো না হয়, তাদের এমন ভাষায় গালাগালি আর অপমান করেন যে, বাচ্চাগুলো গলায় দড়ি দেওয়ার কথা চিন্তা করে!

    আমাদের দেশে কিভাবে কিভাবে যেন এমন একটিঅভিভাবক প্রজন্মতৈরি হয়েছে যারা সম্ভবত এই দেশের লেখাপড়ার জন্যে সবচেয়ে বড় একটি বাধা! কাজেই যদি রকম কোনো একজন অভিভাবক লেখাটি পড়া শুরু করেন, তার কাছে অনুরোধতিনি যেন শুধু শুধু আমার লেখাটি পড়ে সকাল বেলাতেই তার মেজাজটুকু খারাপ না করেন।

    তবে পড়া বন্ধ করার আগে সিঙ্গাপুরের একটি স্কুলের প্রিন্সিপালের অভিভাবকদের কাছে লেখা একটি চিঠি পড়ার অনুরোধ করছি। চিঠিটি বাংলায় অনুবাদ করলে হবে এরকম

    প্রিয় অভিভাবকেরা

    আপনাদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে। আমি জানি, আপনাদের ছেলেমেয়েরা যেন পরীক্ষায় ভালো করে, সেজন্য আপনারা নিশ্চয়ই খুব আশা করে আছেন।

    কিন্তু একটি জিনিস মনে রাখবেন, যেসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বসবে, তাদের মধ্যে নিশ্চয়ই একজন শিল্পী আছে, যার গণিত শেখার কোনো দরকার নেই। একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা আছে যার ইতিহাস কিংবা ইংরেজি সাহিত্যের প্রয়োজন নেই।

    একজন সংগীত শিল্পী আছে, যে রসায়নে কতো নম্বর পেয়েছে, তাতে কিছু আসে যায় না। একজন খেলোয়াড় আছে, তার শারীরিক দক্ষতা পদার্থবিজ্ঞান থেকে বেশি জরুরি। উদাহরণ দেওয়ার জন্যে স্কুলিংয়ের কথা বলতে পারি।

    যদি আপনার ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, সেটা হবে খুবই চমৎকার। কিন্তু যদি না পায়, তাহলে প্লিজ, তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস কিংবা সম্মানটুকু কেড়ে নেবেন না।

    তাদের বলবেন, এটা নিয়ে যেন মাথা না ঘামায়, এটা তো একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছু নয়। তাদেরকে জীবনে আরও অনেক বড় কিছুর জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

    তাদের বলুন, পরীক্ষায় তারা যতো নম্বরই পাক, আপনি সব সময় তাদের ভালোবাসেন এবং কখনোই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে তাদের বিচার করবেন না!

    প্লিজ, কাজটি করুন। যখন এটি করবেন, দেখবেন আপনার সন্তান একদিন পৃথিবীটাকে জয় করবে। একটা পরীক্ষা কিংবা একটা পরীক্ষায় কম নম্বর কখনোই তাদের স্বপ্ন কিংবা মেধাকে কেড়ে নিতে পারবে না।

    আরেকটা কথা। প্লিজ, মনে রাখবেন, শুধু ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়াররাই এই পৃথিবীর একমাত্র সুখী মানুষ নয়।

    অনেক শুভেচ্ছার সঙ্গে

    প্রিন্সিপাল

     

    (চিঠিটিতে স্কুলিং নামে একটি ছেলের কথা বলা হয়েছে। এই বাচ্চা ছেলেটি অলিম্পিকে সাঁতারে সোনার মেডেল পেয়েছিল!)

    সিঙ্গাপুরের স্কুলের এই প্রিন্সিপালের চিঠিটি আসলে শুধু তার দেশের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের জন্যই নয়, আমাদের দেশের অভিভাবকদের জন্যও সত্যি। আমরা ভুলে যাই কিংবা হয়তো জানিই না যে, একজন শিশুর অনেক রকম বুদ্ধিমত্তা থাকতে পারে। এবং তার মাঝে আমরা শুধু লেখাপড়ার বুদ্ধিমত্তাটাই যাচাই করি! লেখাপড়ার বুদ্ধিমত্তা ছাড়াও অন্য বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যে একটি ছেলেমেয়ে অনেক বড় হতে পারে, সেটিও আমাদের বুঝতে হবে।

    আমি অনেকদিন থেকে ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে আসছি। যতোই দিন যাচ্ছে ততোই আমার কাছে স্পষ্ট হচ্ছে যে, পরীক্ষার ফলের সঙ্গে একজনের জীবনের সাফল্যব্যর্থতার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার দেখা যে ছেলেটি বা মেয়েটি সমাজ, দেশ কিংবা পৃথিবীকে সবচেয়ে বেশি দিয়েছে, সে পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে, তা কিন্তু সত্যি নয়।

    .

    আইনস্টাইন অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন। তার কথাগুলোর মধ্যে যে কথাটি আমার সবচেয়ে প্রিয় সেটি হচ্ছে– ‘কল্পনা করার শক্তি জ্ঞান থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!’

    আইনস্টাইন পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ছিলেন। জ্ঞানের গুরুত্বটুকু যদি কেউ বুঝতে পারেন, সেটি বোঝার কথা তার মতো একজন বিজ্ঞানীর। কিন্তু এই মানুষটিই জ্ঞান থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কল্পনাশক্তিকে।

    কারণটা কী? সেটি বোঝার জন্যে আমাদের রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হবে না, একটুখানি চিন্তা করলেই বোঝা যায়। আমরা যেটাকে জ্ঞান বলি, সেটা আমরা চেষ্টাচরিত্র করে পেয়ে যেতে পারি। যদি আমরা কিছু একটা না জানি, খুঁজেপেতে কিছু বই ঘাঁটাঘাঁটি করে, জার্নাল পেপার পড়ে, অন্যদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সেগুলো জেনে যেতে পারি। সোজা কথায় জ্ঞান অর্জন করতে পারি, সেটি অর্জন করতে চাই কিনা কিংবা তার জন্য পরিশ্রম করতে রাজি আছি কিনা সেটিই হচ্ছে একমাত্র প্রশ্ন।

    কিন্তু যদি আমাদের কল্পনাশক্তি না থাকে তাহলে কি আমরা চেষ্টাচরিত্র করে, খাটাখাটনি করে সেই কল্পনাশক্তি অর্জন করতে পারবো?

    পারবো না। শত মাথা কুটলেও আমরা কল্পনাশক্তি বাড়াতে পারবো না। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, যখন একটি শিশু জন্ম নেয়, তার ভেতরে অন্য সবকিছুর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ কল্পনাশক্তি থাকে। আমাদের কাজ খুব সহজসেই কল্পনাশক্তিটুকু বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর কিছু নয়।

    আমরা মোটেও সেটা করি না। শুধু যে করি না তা নয়, সেটাকে যতœ করে নষ্ট করি।

    আমি লিখে দিতে পারি, দেশের অনেক অভিভাবক মনে করেন যে, ভালো লেখাপড়া মানে হচ্ছে ভালো মুখস্থ করা! সবাই নিশ্চয়ই এটা লক্ষ্য করেছেন যে, অনেক ছেলেমেয়েকে বই নিয়ে পড়তে বসার কথা বললে তারা চোখ বন্ধ করে মুখস্থ করা শুরু করে।

    আমি নিজের চোখে পত্রিকায় একটি স্কুলের বিজ্ঞাপন দেখেছি যেখানে বড় বড় করে লেখা আছে, ‘এখানে মুখস্থ করানোর সুবন্দোবস্ত আছে!’ আমার মনে হয়, আমি যদি দেখতাম, সেখানে লেখা আছেএখানে মাস্তানি শেখার সুবন্দোবস্ত আছে’, তাহলেও আমি কম আতঙ্কিত হতাম।

    যে কেউ ইচ্ছে করলে আমার কথাটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। যে বাচ্চা স্কুলে যেতে শুরু করেনি, যাকে এখনও লেখাপড়া শুরু করানো হয়নি, তাকে যেকোনো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন শুরু করলে নিজের মতো করে উত্তর দিয়ে দেবে। একটু চেষ্টা করলেই তার ভেতর থেকে কাল্পনিক বিষয় বের করে নিয়ে আসা যায়। ছোট একটা কাপড়ের পুতুলকেবউহিসেবে কল্পনা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেবে সে। এক টুকরো লাঠিকে একটাগাড়িহিসেবে কল্পনা করে ছোট্ট শিশু সারা বাড়ি ছুটে বেড়াবে।

    কিন্তু সেই শিশুটি যখন ভালো স্কুলে লেখাপড়া করবে, অভিভাবকেরা উপদেশ দেবেন, প্রাইভেট টিউটর তাকে জটিল বিষয় শিখিয়ে দেবেন, কোচিং সেন্টার মডেল পরীক্ষার পর মডেল পরীক্ষা নিয়ে তাকে প্রস্তুত করে দেবে। তখন আমরা আবিষ্কার করবোসে যে জিনিসগুলো শিখেছে, তার বাইরের একটি প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারে না। বানিয়ে কিছু

    লিখতে পারে না, কল্পনা করতে পারে না। একটি আস্ত মানুষকে আমরা পুরোপুরি রোবট বানিয়ে ফেলি।

    একজন শিশুর কল্পনাশক্তিকে বাঁচিয়ে রাখা অনেকটা তার মস্তিষ্ককে অক্ষত রাখার মতো। যে শিশুটি অনেক কিছু শিখেছে, কিন্তু মস্তিষ্কের সর্বনাশ করে ফেলেছে, তার কাছে আমরা খুব বেশি কিছু চাইতে পারবো না। তার তুলনায় যে বিশেষ কিছু শেখেনি, কিন্তু মস্তিষ্কটা পুরোপুরি সজীব আছে, সৃষ্টিশীল আছে, তার কাছে আমরা অনেক কিছু আশা করতে পারি।

    মনে আছে, একবার কোনো এক জায়গায় বেড়াতে এসেছি। একটি শিশু আমাকে দেখে ছুটে এসে আমার সঙ্গে রাজ্যের গল্প জুড়ে দিয়েছে। আমি এক ধরনের মুগ্ধ বিস্ময় নিয়ে আবিষ্কার করলাম, এইটুকুন একটা শিশু, কিন্তু সে কতো কিছু জানে! এবং আরও জানার জন্য আমার কাছে তার কতো রকম প্রশ্ন, আমি উত্তর দিয়ে শেষ করতে পারি না।

    কিছুক্ষণ পর তার মায়ের সঙ্গে দেখা হলো। মা মুখ ভার করে আমার কাছে অভিযোগ করে বললেন, ‘আমার এই ছেলেটা মোটে লেখাপড়া করতে চায় না, দিনরাত গল্পের বই পড়ে। আপনি প্লিজ তাকে একটু উপদেশ দিয়ে দেবেন যেন, সে একটুখানি লেখাপড়া করে

    আমি তার মাকে বললাম, ‘ক্লাস এইটে ওঠার আগে কোনো লেখাপড়া নেই। সে এখন যা করছে, তাকে সেটাই করতে দিন। কারণ, সে একেবারে ঠিক জিনিসটা করছে

    তারপর ছেলেটিকে ফিস ফিস করে বললাম, ‘তুমি তোমার স্কুলে গিয়ে তোমার সব বন্ধুবান্ধবকে আমার কথা বলবে যে, আমি বলেছি, ক্লাস এইটের আগে কোনো লেখাপড়া নেই। এখন যা মন চায়, তাই করো। গল্পের বই পড়ো, ছবি আঁকো, ক্রিকেট খেলো

    আমার কথা শুনে মা বেচারির হার্টফেল করার অবস্থা। আমি জানি, এই ছোট ছেলেটিকেও এক সময় স্কুল, শিক্ষক, অভিভাবক, প্রাইভেট টিউটর আর কোচিং সেন্টার মিলে সাইজ করে ফেলবে। তারপরেও আমি আশা করে থাকি, এই ছোট কাজগুলো হয়তো তাদের অসম্ভব প্রাণশক্তি, স্বপ্ন আর কল্পনার শক্তিতে টিকে থাকবে। তাদের কেউ কেউ হয়তো রোবট নয়, সত্যিকার মানুষ হয়ে বড় হবে।

    মস্তিষ্ককে বাঁচিয়ে রাখা বা কল্পনা করার ক্ষমতাকে ধরে রাখার একটা খুব সহজ উপায় আছে। সেটি হচ্ছে বই পড়া। সারা পৃথিবীই এখন খুব দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেট, ফেসবুকএসব প্রযুক্তির কারণে আমাদের শিশুরা বই পড়ার জগত থেকে সরে আসতে শুরু করেছে।

    আগে পৃথিবীর সব শিশু মাথা গুঁজে বই পড়তো, তাদের চোখের সামনে থাকতো ছোট একটি বই। কিন্তু তাদের মাথার ভেতরে উন্মুক্ত হতো কল্পনার বিশাল একটি জগত। এখন এই শিশুদের চোখের সামনে থাকে কম্পিউটার কিংবা ট্যাবের স্ক্রিন। সেখানে তারা দেখে, চকমকে ছবি কিংবা ভিডিও কিংবা চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্সের কম্পিউটার গেম। তাদের মাথার ভেতরেও থাকে সেই একই ছবি, ভিডিও কিংবা একই গ্রাফিক্স। কল্পনার বিশাল একটা জগত আর উন্মুক্ত হয় না। কী দুঃখের একটা ব্যাপার!

    আমি জানি আজ হোক, কাল হোক পৃথিবীর সব বড় বড় জ্ঞানীগুণী মানুষেরা বলবেন, ছোট ছোট শিশুদের ইন্টারনেট, কম্পিউটার, গেম আর ফেসবুকের জগতে পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার কাজটা একেবারে ঠিক হয়নি। তাদেরকে আরও অনেক অনেক বেশি বই পড়তে দেওয়া উচিত ছিল।

    বইমেলা আসছে। আমি সব অভিভাবকদের বলবো, শিশুর হাত ধরে তাকে বইমেলায় নিয়ে আসুন। তাকে কয়েকটি বই কিনে দিন। একটি ছোট শিশুকে যদি একটিবার বই পড়ার অভ্যাস করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে আপনি সারাজীবনের জন্যে নিশ্চিন্ত হয়ে যাবেন।

    ছেলেমেয়ে মানুষ করার এতো সহজ উপায় থাকতে আমরা কেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুর্ভাবনা করি?

    লেখক : কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

    -(সংগৃহীত)

  • ছায়ামন্ত্রীর পদ ছাড়লেন টিউলিপ

    ছায়ামন্ত্রীর পদ ছাড়লেন টিউলিপ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বেক্সিটের সমর্থনে একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে বলায় যুক্তরাজ্যের ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য ওই বিলটি আনা ড়য়।

    সেই বিলটিকে সমর্থন করার জন্য এমপিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। কিন্তু বিলের পক্ষে সমর্থন দিতে পারছেন না টিউলিপ সিদ্দিকী, আর তাই তিনি ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

    তিনি বলছেন, (তিনি) সামনের সারির আসনের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করতে পারছেন না।

    জেরেমি করবিনের কাছে লেখা পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ”ইউনিয়ন ত্যাগের বিষয়টি আমার নির্বাচনী এলাকায় বিশাল অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে,যেখানে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, ইউনিয়ন ছেড়ে আসার বিষয়টি সম্ভাব্য সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি তৈরি করবে।

     

  • ‘কেয়ামত ঘনিয়ে আনছেন’ ট্রাম্প

    ‘কেয়ামত ঘনিয়ে আনছেন’ ট্রাম্প

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ধর্মীয় বিশ্বাসের সেই কেয়ামত না হলেও এই পৃথিবী ধ্বংসের কতটা কাছাকাছি যায় বা ফিরে আসে, তা প্রতীকীভাবে তুলে ধরতে যেডুমসডে ক্লকচালু করেন একদল বিজ্ঞানী, তার কাঁটা ৬৪ বছরের মধ্যে এখনই চরম ক্ষণের সবচেয়ে কাছাকাছি।

    ২০১৫ সালের ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে দেয়ালে স্থাপিত ঘড়িটির কাঁটা ৩০ সেকেন্ড এগিয়ে আনা হয়েছে। এখন চরম সময় অর্থাৎ মধ্যসরাতের আড়াই মিনিট আগে রয়েছে কাঁটাটির অবস্থান।

    এই পদক্ষেপের জন্যা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত বছরজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বেগজনক বক্তব্যকে মূল কারণ দেখিয়েছে ঘড়িটির দেখভালকারী দি বুলেটিন অফ দি অ্যা টমিক সায়েন্সেস (বিপিএ)

    বিপিএ প্রধান র‌্যাচেল ব্রসনান এক বিবৃতিতে উত্তেজনা এড়িয়ে শান্ত থাকার জন্য  বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে যুদ্ধ এড়ানো যায়।

    মানুষের কার্যকলাপ পৃথিবীর অস্তিত্বকে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালে এইডুমসডে ক্লকস্থাপন করেন বিশ্বের প্রথম পরমাণু বোমা তৈরিতে ভূমিকা রাখা একদল বিজ্ঞানী।

    স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর পর ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমা ফাটালে এই ঘড়ির কাঁটা চরম সময়ের দুই মিনিট আগে আনা হয়। তা দিয়ে বোঝানো হয়েছিল, পৃথিবী চরম সঙ্কটে রয়েছে।

    ডুমসডে ক্লকের কাঁটার পরিবর্তন হচ্ছে যেভাবে

    এরপর নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে আগপিছু করে ২০১৫ সালে ঘড়ির কাঁটাটি ১৯৫৩ সালের অবস্থানের চেয়ে এক মিনিট (চরম সময় মধ্যডরাতের চেয়ে তিন মিনিট) পিছিয়ে অবস্থান নেয়।

    তারপর দুই বছর ওই অবস্থানেই ছিল কাঁটাটি, ২০১৭ সালে এসে কাঁটাটি ৩০ সেকেন্ড এগিয়ে আনা হল। ৬৪ বছরের মধ্যে  চরম সময়ের এত কাছে কখনও আসেনি এই কাঁটা।

    বিপিএর বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরজুড়ে পরমাণু অস্ত্র বাড়াতে এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত নানা বক্তব্যেযর কারণেডুমসডে ক্লকেরকাঁটা এগিয়ে আনতে হয়েছে।

    তবে কাঁটাটি পুরো এক মিনিট না এগিয়ে তার অর্ধেক এগিয়ে আনার কারণ ব্যাখ্যাা করে বিপিএ বলেছে, ট্রাম্প যেহেতু মাত্রই ক্ষমতায় বসেছেন এবং তার প্রশাসন এখনও সাজাননি, তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

    ট্রাম্পের পাশাপাশি ইরানের পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, সাইবার নিরাপত্তায় হুমকি এবং ভুয়া সংবাদ সরবরাহের প্রবণতা বেড়ে যাওয়াকেও ঘড়িটির কাঁটা এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

    সারাবিশ্ব থেকে পদার্থবিদ পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি দল নিয়ে গঠিত বিপিএরবোর্ড অব স্পন্সর’, যার মধ্যে ১৫ জন নোবেলবিজয়ী রয়েছেন। এই বোর্ডের সদস্যদের সিদ্ধান্তে ঘড়িটির কাঁটা আগপিছ করা হয়।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে যখন চালুর সময় চরম সময়ের সাত মিনিট আগে ঘড়িটির কাঁটা স্থির রাখা হয়েছিল। তারপর রুশমার্কিন উত্তেজনার কারণে কাঁটাটি এগোচ্ছিল। ছয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমা ফাটালে এক লাফে কাঁটাটি চলে আসে চরম ক্ষণের দুই মিনিটের মধ্যে।

    এই পর্যন্ত ২২ বার কাঁটাটি স্থান পরিবর্তন করেছে। সোভিয়েত পতন জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর ১৯৯১ সালে কাঁটাটি সরে যায় চরম সময়ের চেয়ে ১৭ মিনিট পেছনে। অর্থাৎ ওই সময়টিই বিশ্বের ঝুঁকি কমে আসছিল।

    তবে তারপর থেকেডুমসডে ক্লকেরকাঁটা আবার এগোতে শুরু করে এবং এখন তা আবার ১৯৫৩ সালের কাছাকাছিতে গিয়ে ঠেকেছে।

     

  • জনগণের প্রত্যাশা পূরণে রাষ্ট্রপতি ব্যর্থ: মির্জা ফখরুল

    জনগণের প্রত্যাশা পূরণে রাষ্ট্রপতি ব্যর্থ: মির্জা ফখরুল

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে গঠিত সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।

    শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সার্চ কমিটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করার জন্য গঠিত সার্চ কমিটি যথার্থই নির্দলীয় নিরপেক্ষ এবং কোনভাবেই বিতর্কিত নন এমন ব্যক্তিদের দ্বারা গঠিত হবে, এমন যে স্বাভাবিক ন্যায্য প্রত্যাশা করেছিল, ঘোষিত সার্চ কমিটি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

    তিন অভিযোগ করেন, এই কমিটিতে ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণে সহযোগিতা করে পুরস্কৃত এবং আওয়ামী পরিবারের বিশ্বস্ত সদসদের অন্তর্ভুক্তি সার্চ কমিটিকে শুধু বিতর্কিতই করেনি এর মাধ্যমে জনমতকে অগ্রাহ্য করার আরেকটি অগণতান্ত্রিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘এমন ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাদের নিরপেক্ষ বিবেচনা করার কোনো অবকাশ নেই। আমরা প্রার্থীহীন, ভোটারহীন নির্বাচন প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের এই স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    তিনি বলেন, ‘এই সার্চ কমিটি কি ধরনের নির্বাচন কমিশন গঠন করবে তা আমরা এখনই বুঝতে পারছি।  সুতরাং জাতিকে আবার আরেকটি অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়া হলো। আমাদের দুর্ভাগ্য আজ পর্যন্ত এই সরকার আশার পরে একবারের জন্যও এই সংকট থেকে উত্তরণে সরকারের দিক থেকে কোনো উদ্যোগ দেখলাম না। অর্থাৎ এটা বলতে দ্বিধা নেই, সরকার চায় এই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করুক। অস্থিতিশীলতাই থাকুক। পানি ঘোলাটে হতে থাকুক। আর ঘোলা পানিতে তারা চমৎকার করে মাছ শিকার করবেন। অর্থাৎ ক্ষমতায় যাবেন আর দখল করে থাকবেন।

    অপছন্দের এই সার্চ কমিটি বিএনপি প্রত্যাখ্যান করবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনপ্রত্যাখ্যান করা না করা বিষয় নয়। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সহসাংঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।