Blog

  • শ্যামনগরে লিডার্সের আয়োজনে আন্ত:স্কুল নারী ফুটবল প্রতিযোগিতা

    শ্যামনগরে লিডার্সের আয়োজনে আন্ত:স্কুল নারী ফুটবল প্রতিযোগিতা

    বেসরকারি সংস্থা লিডার্সের আয়োজনে আন্ত:স্কুল নারী ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ২৬ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় আড়পাংগাশিয়া প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে
    লিডার্সের আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও এ্যাম্বাসী অব সুইডেনের সহযোগিতায় কমিউনিটি
    ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীল ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচী (ক্রিয়া) প্রকল্পের আওতায় এ ফুটবল খেলা
    অনুষ্ঠিত হয়।
    খেলায় লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রনজিৎ কুমার বর্মনের সঞ্চালনায় বুড়িগোয়ালিনী
    ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
    থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন, বিশেষ
    অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক,
    শ্যামনগর থানার এস আই জনাব কামরুল ইসলাম আড়পাংগাশিয়া প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
    প্রধান শিক্ষক জনাব সৌমিত্র জোয়ারদার, তপোবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক
    জনাব মনোদীপ কুমার সরকার, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলাল হোসেন, প্রকল্প
    সমন্বয়কারী সুব্রত অধিকারী ও প্রজেক্ট অফিসার সুলতা সাহা প্রমুখ।
    এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীদের খেলাধুলায়
    এগিয়ে আসতে হবে। দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে নারীদের। গ্রাম পর্যায় থেকেই
    খেলোয়াড় তৈরি করে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ তৈরি করতে হবে।
    খেলায় আড়পাংগাশিয়া প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১/০ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং তপোবন
    মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় রানার্সআপ হয়।

  • সাতক্ষীরায় কেন্দ্রীয় আমীরের আগমন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় কেন্দ্রীয় আমীরের আগমন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

    ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট জাতি দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা লাভ করেছে

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমানের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখা।
    বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর সাতক্ষীরা বালক বিদ্যালয় মাঠে দুপুর ২ টায় শুরু হবে জেলার কর্মী সমাবেশ। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান। কর্মী সমাবেশ চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। সমাবেশে লক্ষাধিক কর্মী অংশ নেবেন বলে তারা আশা করছেন।
    প্রধান অতিথি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। এছাড়া, নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী মাহবুব আলম, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম,শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা সভাপতি ইমামুল হোসেন, শহর সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
    সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম মুকুল আরো বলেন, ছাত্র জনতার সফল অভ্যুথানের মাধ্যমে বিগত ৫ আগষ্ট দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে এসেছে। এরপর নানা বিষয়ে সংস্কারের মাধ্যমে অন্তরবর্তীকালীন সরকার দেশকে কল্যাণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
    জেলা আমীর বলেন, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। বিশেষ করে গত সাড়ে ১৫ বছরে একটি ফ্যাসিবাদি সরকার জগদ্দল পাথরে মত জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিল। এসময় বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা দেলোয়ার হুসাইন সাইদীর ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসির আদেশ ও পরবর্তিতে আমৃত্যু জেল এবং কারাগারেই তার শাহাদাত বরণ হয়েছে। দেশব্যপী গণহত্যা, খুন, গুম, কথিত আয়নাঘরে বন্দী করে অমানবিক নির্যাতন করে পৈশাচিকতার চরম পরাকাষ্ট দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একগুয়েমী, দাম্ভিকতা ও স্বৈরাচারীভাবে দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে।
    জেলা জামায়াতের আমীর বলেন, এই কালো অধ্যায়ে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের প্রায় ৩৬ জন নেতা-কর্মীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে। নয়শতাধিক মামলায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে।তিন শতাধিক বাড়ি-ঘর, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট জাতি দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা লাভ করেছে। প্রায় দেড় যুগ পরে আমরা সাতক্ষীরার আপামর জনতার পাশাপাশি সাংবাদিক বন্ধুদের নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আসতে পেরে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।
    তিনি বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহতারাম ডা: শফিকুর রহমান সাতক্ষীরা সফর করবেন। ওইদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজ এবং মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর ময়দানে রুকন (সদস্য) সম্মেলন হবে। দুপুর ২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে লক্ষাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত থাকবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যাসহ দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বামমোর্চার উদ্বেগ

    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যাসহ দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বামমোর্চার উদ্বেগ

    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর ও দেশব্যাপী সম্প্রদায়িক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বামমোর্চা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
    আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় আফম মাহাবুবুল হক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মোর্চার সভায় বক্তারা বলেন, একজন হিন্দু নেতাকে গ্রেফতার ও জামিন না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তা অত্যান্ত নিন্দনীয়। এত আত্মদানের পর আবারও পতিত ফ্যাসিষ্ট শাসনের ন্যায় দেশব্যাপী নৈরাজ্যজনক ঘটনা সাধারণত মানুষকে শঙ্কিত করে তুলছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রথম আলো, ডেইলি স্টার কার্যালয়ে বিক্ষোভের নামে নৈরাজ্য, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার গ্রাফিতিতে কালি লেপন, ভাস্কর্য, মাজার-মন্দির ভাংচুরসহ সম্প্রতি ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটছে। যা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সাথে মোটেই সংগতিপূর্ণ নয়। অন্যদিকে অন্তর্বতী সরকার এই সমস্ত নৈরাজ্য সামাল দিতে চরম হতাশাজনক ভাবে ব্যার্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
    বক্তারা আইনজীবী হত্যাসহ উল্লেখিত সাম্প্রদায়িক-নৈরাজ্যকর ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ও যারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জোর দাবি করেন।
    ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।

  • মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত

    মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত

    পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে সরকার সেটি আইনগতভাবে দেখবে, কিন্তু ‘এটি কেবল আইনি বিষয় না’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

    তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নানান কারণে মানুষের অনেক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন মানুষ তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, এটি স্পষ্ট করা সাংবাদিকদের ও ওই গণমাধ্যমের দায়িত্ব।’ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

    সম্প্রতি দ্যা ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসের সামনে হামলা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল বলেছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সে জায়গা থেকে সরকার ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে, সেটা অবশ্যই আমরা আইনগতভাবে দেখব।

    তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে হামলা হলে আমরা মেনে নেব না, অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি জনগণ সভা-সমাবেশ করলে শান্তিপূর্ণভাবে করবে, সে আহ্বান জানিয়েছি। একইসাথে পুলিশ যাতে দায়িত্বশীল আচরণ করে, শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সমাবেশ করতে দেয়, আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি।’

    গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে, তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা কেন বিক্ষোভ করছে, এটা চিহ্নিত করা উচিত। এজন্য লাঠি পেটা করে সরিয়ে দেয়া উচিত নয়। তাদের সাথে কথা বললেই স্পষ্ট হয়ে যায়।’

    তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা গুজব অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সেই জায়গায় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। এই সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়, তাদের নিজস্ব কোনো প্রচার মাধ্যম নেই। ফলে আমরা গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের নিজস্ব কোনো কর্মী বাহিনী নেই বা গণমাধ্যম নেই, যারা বর্তমান সরকারের কার্যক্রম প্রচার করবে। সেজন্য আমরা গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’

    তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল, তা রাতারাতি বদল করে স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে আসা কঠিন। তবে আমরা মেট্রোপলিটন পুলিশকে গ্রামে ট্রান্সফার করেছি, মফস্বলের পুলিশ ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদের একটু সময় লাগবে গুছিয়ে উঠতে। আর তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা আমাদের অনেক তথ্য নিয়ে সহায়তা করে সে জায়গা থেকে আমরা সহায়তা কামনা করছি এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

    দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি তো পরিবর্তন হবে। আমরা পুলিশ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। পুলিশ সংস্কার কমিশন আছে, তারা সুপারিশ করছে। সবাইকে বুঝতে হবে আমরা বিপ্লব পরবর্তী অবস্থার মধ্যে আছি।’

    তিনি বলেন, ‘যেকোনো দেশে বিপ্লব পরবর্তী ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে জনগণের ভেতরে যে নানা ধরনের শক্তির অংশ থাকে, তাদের অনেক ভূমিকা রাখতে হয়। পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে। তবে নিপীড়কের ভূমিকায় যেন না যায় বা আমরা একটা পুলিশি রাষ্ট্র যেভাবে দেখেছি সেটা আমরা প্রত্যাশা করি না। আমরা উভয় সঙ্কটের মধ্যে আছি। আমরা আশা করছি সে জায়গা থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব। আমরা কখনোই চাই না পুলিশ জনগণের বিপক্ষে, ছাত্রদের বিপক্ষে দাঁড়াক, আন্দোলনে গুলি চালাক।’

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্র নিহতের বিষয়ে বিগত সরকারের দলীয় কর্মীরা ব্যাপকভাবে প্রচার করেছে। বিগত ফেসিস্ট সরকারের লুটপাট করা টাকা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। দেশে ও দেশের বাইরে এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের গুজব ছাড়াচ্ছে।

  • রণক্ষেত্রে পরিণত পাকিস্তানের ইসলামাবাদ

    রণক্ষেত্রে পরিণত পাকিস্তানের ইসলামাবাদ

    পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদে জড়ো হয়েছেন তার হাজার হাজার কর্মী সমর্থক। এরমধ্যে অনেকে বিক্ষোভের মূলকেন্দ্র ডি-চকে পৌঁছে গেছেন।

    সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, ইমরানের সমর্থকরা ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে বিপুল কাঁদানে গ্যাস ছোড়েন। ওই সময় তারা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

    ইমরানের সমর্থকরা যেন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অবকাঠামোতে ঢুকে পড়তে না পারেন সেজন্য সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, সেনাবাহিনীকে সড়কে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে দেখা যায়নি। তারা মূলত অবকাঠামো রক্ষার কাজ করবে।

    আলজাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার ডি-চক থেকে জানিয়েছেন, সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছাড়াও আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সকে ‘স্বয়ংক্রিয় রাইফেল’ থেকে গুলি করতে দেখা গেছে। তিনি বলেছেন, ডি-চকে এত পরিমাণ কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে যে সেখানে ‘পাতলা গ্যাসের মেঘের’ সৃষ্টি হয়েছে।

    সেখানকার পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত জানিয়ে এই সাংবাদিক বলেছেন, “যখন তাদের (বিক্ষোভকারী) লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস অথবা গুলি ছোড়া হচ্ছে তখন তারা পড়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনই আবার ফিরে আসছে। বলা যায় ইসলামাবাদে বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।”

    তিনি আরও বলেছেন, “আমরা বিক্ষোভকারীদের আহতদের নিয়ে যেতে দেখেছি। তারা বলেছে, তাদের অনেকেই আহত। কিন্তু তা সত্ত্বেও দাবি থেকে তারা একটুও নড়বে না। ধারণা করা হচ্ছে ডি-চকে আরও মানুষ আসবে। এখন দেখার বিষয় সরকার এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।”

  • শ্যামনগরে শিশুশ্রম সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন বিষয়ক সভা

    শ্যামনগরে শিশুশ্রম সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন বিষয়ক সভা

    শিশুশ্রম সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং করনীয় বিষয়ক সভা মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাতা সংস্থা এডুকো’র আর্থিক সহায়তায় শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের আওতায় উত্তরণ এই সভার আয়োজন করে।

    উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ মনিরুজ্জামান জমাদ্দারের সভাপতিত্বে ও প্রজেক্ট ম্যানেজার নাজমা আক্তারের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর,খুলনার মোঃ শাহিনুর রহমান ও জেলা শিশু একাডেমীর সহকারী শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুল ইসলাম।

    সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মোঃ হুমায়ুন কবীর, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক, সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহিন হোসেন,
    সহকারী বন সংরক্ষন কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইব্রাহিম মোল্যাসহ উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

    অনুষ্ঠানে এ্যাডভোকেট, সভাপতি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, এনজিও প্রতিনিধি এবং কাশিমাড়ী, বুড়িগোয়ালিনি, মুন্সিগঞ্জ ও গাবুরা ব্রিজ স্কুলের শিশু, অভিভাবক, শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও কর্মমালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথি বলেন, শিশুশ্রম নিরসনের জন্য সরকারের নানামূখী পদক্ষেপ রয়েছে। সরকার তার বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে জনগনের সকল ধরনের সেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রেখেছে। জনগণকে সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং নিজের সেবা আদায় করে নিতে হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আওতায় ১৬৩৫৭ টোল ফ্রি নাম্বারে কল দিয়ে শিশুশ্রমিকদের বিষয়ে তথ্য দিলে পরিদর্শন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হয়ে ফৌজদারি আইনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    এছাড়া সভায় শিশুশ্রমের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারের নির্ধারিত আইন ও নীতিমালার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

    পরে শ্যামনগর উপজেলায় ইটভাটাসহ সকল ধরনের ঝুঁকিপূর্ন কাজ থেকে শিশুদের বিরত রাখার দাবিতে সমমনা সংগঠন ও শিশুশ্রম প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

  • চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে হামলা, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

    চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে হামলা, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

    চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলার এ ঘটনায় আহত ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ অ্যাডভোকেট এনামুল।

    তিনি বলেন, সাইফুল ইসলাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।

    অ্যাডভোকেট মোক্তার উদ্দিন সাগর নামে এক আইনজীবী জানান, আমার চোখের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কোপানো হয়েছে।

    চমেক হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

  • ডা. শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষে সাতক্ষীরা জামায়াতের প্রস্তুতি সভা

    ডা. শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষে সাতক্ষীরা জামায়াতের প্রস্তুতি সভা

    সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে

    প্রস্তুতি সভা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে
    শহরের মুন্সি পাড়াস্থ আল আমিন ট্রাস্টের জেলা জামায়াত কার্যালয়ের হল
    রুমে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের
    কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাঃ আব্দুল
    খালেক। সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের
    সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন
    জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিসদের অন্যতম সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী
    পরিচালক মাওলানা আব্দুল কালাম আজাদ। সভায় অন্যানের মধ্যে সাতক্ষীরা
    জামায়াতের নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, ডা. মাহমুদুল হক,
    সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ওমর
    ফারুক, অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা ওসমান গণি, কর্মপরিষদ সদস্য
    বৃন্দ, উপজেলা আমীর, সেক্রেটারীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণ
    উপস্থিত ছিলেন।
    আগামি ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর
    রহমান সাতক্ষীরা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত রুকন সম্মেলন ও

    কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। সভায় ৩০ নভেম্বরের সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক
    প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহতি হয়।

  • সাতক্ষীরায় আশা সংস্থার ৪৭০ শীতবস্ত্র  বিতরণ

    এস কে কামরুল হাসান সাতক্ষীরা
    অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশার পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের নিকট ৪৭০ পিচ শীতবস্ত্র  কম্বল প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আশার খুলনা ডিভিশনাল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হারুন কম্বলগুলো সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মেদ এর নিকট হস্তান্তর করেন।
    এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন আশা সাতক্ষীরা জেলার সদর অঞ্চলের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার ফরিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর-১ ও ২ ব্রাঞ্চের সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ আবু সাইদ, মোঃ আব্দুস সাত্তার এমএসএমই শাখার ম্যানেজার বাপ্পী সেন, সদর ব্রাঞ্চের সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার জি.এম ফরহাদ হোসেন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মীগণ। বেসরকারী সংস্থা আশা প্রতিবছর অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে। চলতি বছরে আশা সারা দেশে সর্বমোট ১.০২কোটি টাকার কম্বল বিতরনের উদ্যেগ গ্রহন করেছে!
  • শ্যামনগরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় ব্যতিক্রম প্রদর্শনী

    শ্যামনগরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় ব্যতিক্রম প্রদর্শনী

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: প্রতিটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। কিন্তু প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে এসব বৈচিত্র্যময় ভাষা ও সংস্কৃতি।

    উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার তাগিদে সাতক্ষীরার শ্যামনগর অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রম প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

    মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী আশ্রয়ন প্রকল্পের ব্যারাকে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সবুজ সংহতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

    প্রদর্শনীতে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী, দাতিনাখালী ও তারানীপুরের মুন্ডা, কাহার, জেলে ও ঋষি সম্প্রদায়ের সাতটি স্টলে তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐহিত্যের নানা নিদর্শন প্রদর্শন করেন।

    প্রদর্শিত হয় মুন্ডাদের তীর-ধনুক, শিং, পালক, বল্লব, কুচ, বুজ, কড়ি, হাড়িয়া, খাদ্যাভাস, টোপর, পূজা ও বিবাহের উপকরণ, কাহার সম্প্রদায়ের পালকি, ঢোল, খঞ্জন, কাশি, বেহলা, একতারা, জেলেদের জাল, দড়ি, নৌকা, পোলো, খারা ও ঋষিদের জুতা সেলাইয়ের উপকরণ।

    পাশাপাশি নিজ সংস্কৃতির গান ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে ঐতিহ্য রক্ষার দাবি জানান তারা।

    অনুষ্ঠানে জেলে সুপদ মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৪নং

    ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ গাজী, বারসিক এর সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা মনিকা পাইক, অষ্টমী মালো, দলিত এর প্রোগ্রাম অফিসার রতিকান্ত মন্ডল, কৌশল্যা মুন্ডা, এসএসএসটির প্রকাশ মন্ডল, মাছুম বিল্লাহ প্রমুখ।

    প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী আনন্দিনী মুন্ডা বলেন, অতীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গুরুত্ব পেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। অনেকেই পেশা বদল করছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা খুবই প্রয়োজন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী নজরুল ইসলাম বলেন, নানা কারণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের অধিকার সুরক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী। বহুত্ববাদী সমাজ বিনির্মাণে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

  • ইসকন নেতা চিন্ময় দাস বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

    ইসকন নেতা চিন্ময় দাস বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

    রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে।

    জানা গেছে, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দর আসেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গত ৫ আগস্টের পর দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীর নামে কয়েক দফা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেসব সমাবেশ থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমান সরকারের উদ্দেশে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে বক্তব্য দেন। এর আগে থেকে তিনি আলোচনায় থাকলেও গত ২৫ অক্টোবর বিকালে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশের বেশি আলোচনায় আসেন।

    ওই সমাবেশ করা হয় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের নামে। সমাবেশে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসই বাংলাদেশের হিন্দুদের মন্দিরে হামলা ও বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগ করেন। অথচ তার বিরুদ্ধেই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন।

    চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আলোচিত হিন্দু সংগঠন ইসকনের অন্যতম সংগঠক। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।

    উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) আলোচিত সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ। ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

  • বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষ্যে মানব বন্ধন

    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষ্যে মানব বন্ধন

    “নারী কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতা মুক্ত বিশ^ গড়ি” স্লোগানে ২৫শে
    নভেম্বর-১০ই ডিসেম্বর ২০২৩ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন
    উপলক্ষ্যে সরকারী ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এবং বিভিন্ন মানবাধিকার
    সংগঠনের উদ্যোগে সাতক্ষীরা মহিলা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও আলোচনা
    সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে জেলা মহিলা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরার
    সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যান ব্যানার্জি,
    নাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পূলক চক্রবর্তী, স্বদেশ এর
    নির্বাহী পরিচালক মধাব দত্ত. ডসডোর পরিচালক শ্যামল বিশ^াস, ওয়ান স্টাপ
    সার্ভিসের আব্দুল হাই সিদ্দিক, হেড এর নির্বাহী পরিচালক লুইস রানা গাইন,
    চুপড়িয়া মহিলা সংস্থার মরিয়ম মান্নান, দীপা ঘোষ, জয়া বৈদ্য, যুব কর্মী
    শ্রেয়া, উর্মি ,লিজা, ইডার নির্বাহী পরিচালক আক্তার হোসেন, গৌতম সরকার,
    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার রুপা মিত্র, নাসিমা খাতুন, মফিজুল
    ইসলাম সহ অনেকে।
    বক্তরা নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ সহ জনসচেতনতার
    প্রতি জোর দিয়ে বলেন, সাতক্ষীরা জেলাতে বাল্য বিবাহ আশংকাজনক হারে বেড়ে
    গেছে যা বন্ধ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থাগুলির কার্যকর ভুমিকা
    প্রয়োজন। মানববন্ধনে যে সকল দাবিনামা পেম করা হয়।
    নারীর উপরসকলপ্রকার হয়রানি, নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রতিকারে
    সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নিন।
    নারী নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটতে দেখলে বা শুনলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা
    রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে জানান এবং জন-প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
    সংবাদ মাধ্যম গুলো নারী প্রতি অধিকতর সংবেদনশীল থেকে নিরঈেক্ষ ও সত্য সংবাদ
    প্রকাশ করুন।
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীগন ঘটনার শিকার নারীকে হেয় ও
    প্রতিপন্ন না করে ঘটনা সংঘটনকারীকে চিহিত করে আইনের হাতে তুলে দিতে
    সহায়তা করুন। ঘটনার ছবি বা ভিডিওচিত্র প্রকাশ ও প্রচারে দায়িত্বশীল হোন,
    যাতে ঐনারী ও তার পরিবারকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে না হয়।

  • উপকূলীয় নারীদের অভিযোজিত ও টেকসই সবজি চাষের লক্ষ্যে লিডার্সের  সবজি বীজ ও জৈব সার বিতরণ

    উপকূলীয় নারীদের অভিযোজিত ও টেকসই সবজি চাষের লক্ষ্যে লিডার্সের সবজি বীজ ও জৈব সার বিতরণ

    জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি ও জীবিকায়ন
    সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপকূলীয় অঞ্চলে নারীদের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও টেকসই কৃষি
    উদ্যোগ গড়ে তুলতে লিডার্স এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ULAB)-এর যৌথ
    উদ্যোগে বসত বাড়ির আঙিনায় অভিযোজিত এবং টেকসই সবজি চাষের লক্ষে “সবজি বীজ ও জৈব সার
    " বিতরন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    লিডার্সের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন লিডার্সের নির্বাহী
    পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব রণজিৎ কুমার বর্মন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের
    প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব এ বি এম জাকারিয়া, হেড অব এক্যাউন্ট্যান্ট মোঃ রায়হান কবির,
    টেকনিক্যাল অফিসার গৌরপদ বিশ্বাস, এবং জনাবা রেখা খাতুন, টিম লিডার (ভারপ্রাপ্ত)। এছাড়াও
    লিডার্সের অন্যান্য কর্মকর্তারা এই বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
    লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব রণজিৎ কুমার বর্মন বলেন, উপকূলীয় নারীদের
    মাঝে সবজি বীজ ও জৈব সার বিতরণ নারীদের কৃষি উদ্যোগে উৎসাহ সৃষ্টি করবে এবং অভিযোজিত ও
    টেকসই সবজী চাষ, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পারিবারিক
    স্বচ্ছলতা বৃাদ্ধতে সাহায্য করবে। লিডার্সের এই উদ্যোগ উপকূলীয় নারীদের মাঝে কৃষি
    উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন, এবং পারিবারিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ
    ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
    লিডার্সের এ উদ্যোগ উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিতে নারীদের উন্নয়ন এবং সবজি চাষে একটি
    উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান শেষে ৫০ জন উপকারভোগীর মাঝে ৮ প্রকারের
    সবজি বীজ এবং ৫ কেজি করে জৈব সার বিতরণ করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের ফেরত দিল পুলিশ

    সাতক্ষীরায় হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের ফেরত দিল পুলিশ

    সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া ৯২টি মোবাইল ফোন এবং ভুলবশত: অন্যের বিকাশ নাম্বারে চলে যাওয়া ৭১ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেছে জেলা পুলিশ। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের আয়োজনে পুলিশ লাইন্সে উদ্ধারকৃত এসব মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সময়ে বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে খোয়া যাওয়া নগদ টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খানসহ অনেকে।

     

  • সাতক্ষীরায় ১২০ টাকায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নির্বাচিত ৫৮ জন, অপেক্ষামান-৬ প্রার্থী

    সাতক্ষীরায় ১২০ টাকায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নির্বাচিত ৫৮ জন, অপেক্ষামান-৬ প্রার্থী

    সাতক্ষীরাতে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৫৮ জন কৃতকার্য হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ সদস্য ৫৫ জন এবং নারী সদস্য ৩ জন রয়েছেন। আরও ৬ প্রার্থী অপেক্ষামান রয়েছেন।
    সোমবার(২৫ নভেম্বর)  রাত ২টার দিকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম ও রোল প্রকাশ করেন  সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
     পুলিশ সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীরা আনন্দে আপ্লুত হয়েছেন। তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না টাকা ছাড়াই তারা পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। নির্বাচিত হয়ে অনেকের কান্না উপস্থিত সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
    পুলিশ সুপার (এসপি)মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম প্রতিনিধিকে জানান, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে সবাই আজ এ জায়গায় এসেছে। পুলিশকে যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এ নিয়োগ অন্যতম একটি ধাপ। সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রাথমিকভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সম্পূর্ণ তদবিরবিহীন, প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছেন।
    এ সময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নিয়োগ কার্যক্রমে নিয়োজিত সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
     উল্লেখ্য, সেবার ব্রতে চাকরি” এই শ্লোগানে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৪ উপলক্ষে গত ২৯ অক্টোবর হতে সাতক্ষীরা জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে সম্পূর্ণ মেধা, যোগ্যতা, সৎ, সাহসী এবং দেশের জন্য যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে সক্ষম ও অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।পরে গত ১৭ নভেম্বর সকাল ১০ টায় অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কনস্টেবল পদের ৯টি ধাপ অতিক্রম করে নির্বাচিত হয়েছেন ৫৮ জন।
  • সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 

    সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেবহাটা উপজেলার সখিপুর উত্তর ইউনিয়নের আয়োজনে ৪দলীয় আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ২২ শে নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টায় সরকারী খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
    সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতিমেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সখিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইয়াকুব আলী সরদার।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন সখিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী আফসার আলী সরদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারী আবু বক্কার সিদ্দিক, দেবহাটা উত্তরের ছাত্রশিবিরের  সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, সেক্রেটারী সাফায়েত হোসেন, অফিস সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বায়তুলমাল ওমর ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক রুহুল আমীন, ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম,  ইউনিয়ন সেক্রেটারী শাহরিয়ার সজীব সহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃত্ববৃন্দ।
    আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলায় ৪নং ওয়ার্ড ফুটবল একাদ্বশ ও ২নং ওয়ার্ড ফুটবল একাদ্বশ ফাইনাল খেলায় অংশ নেয়। খেলায় ৪নং ওয়ার্ড টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ২নং ওয়ার্ডকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলায় ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হন ৪নং ওয়ার্ডের তামিম হোসেন, সর্বোচ্চ গোলদাতা ২নং ওয়ার্ডের শাহরিয়ার সজীব, সেরা গোলরক্ষক ৪নং ওয়ার্ডের আবু ফয়সাল।
  • আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন

    আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন

    বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার গাজীপুর কুড়িগ্রাম ইসলামিয়া সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর গণরপিটিশন করা হয়েছে। এলাকাকাসীর পক্ষ থেকে ৩৪ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রতিকারের দাবীতে আবেদনপত্র সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পাঠানো হয়েছে।
    লিখিত আবেদনে জানাগেছে, ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত সুশৃংখল ও সুনামের সাথে পরিচালিত মাদ্রাসাটিতে ২০১৮ সালে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান যোগদান করেন। তার যোগদানের পর থেকে সরকারি নিয়ম নীতি তুয়াক্কা না করে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য, এতিমদের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপকর্মে রাজত্ব কায়েম করা হয়। মাদ্রাসায় কোন এতিম ছাত্র না থাকলেও তিনি ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩২ জন এতিম ছেলে দেখিয়ে ১৬ জন এতিমের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি ক্যাপিটেশন গ্রান্ডের ১১ লক্ষ ২০ হাজার ৮৪৭ টাকা ব্যাংক হতে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। মাদ্রাসার নামীয় ২৭ বিঘা জমির বাৎসরিক আয় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বছরের পর বছর কোন হিসাব নিকাশ না দিয়ে আত্মসাৎ করে আসছেন। মাদ্রাসার ইবতেদায়ী বিভাগে কোন শিক্ষার্থী না থাকা সত্ত্বেও ৪ জন শিক্ষকের নামে বেতন উত্তোলন করে বছরের পর বছর সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। এব্যাপারে ইতিপূর্বে ২০২২ সালে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হলেও ধুরন্ধর অধ্যক্ষ চতুরতার সাথে রক্ষা পেতে কমিটির সভাপতি আওয়ামী সন্ত্রাসী আলা উদ্দীন লাকিকে সাথে নিঢে ধৌড় ঝাঁপ করে ও আওয়ামীলীগ নেতাদের যোগসাজসে ও প্রভাব খাটিয়ে ধামাচাপার কাজ করেন। এলাকাবাসী নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের সময়ে প্রতিকার পাওয়ার আশায় পুনরায় আবেদন করেছেন।
    আবেদনে আরও জানাযায়, দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান তথ্য গোপন করে তার আপন চাচাত ভাই শফিকুল ইসলামকে (৭ম শ্রেণি পাশ) বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসাবে মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করে মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠান। এছাড়া শূন্যপদে উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া পদে একজন করে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন ২০২২ সালে ১২ অক্টোবর। তাদের ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ তার মনোনীত প্রার্থীদের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে সকল প্রার্থীদের না জানিয়ে মনোনীতদের নিয়ে ঐ বছরের ৩০ ডিসেম্বর নাম মাত্র নিয়োগ পরীক্ষা দেখিয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর বাদে সকল পদে নিয়োগ দান করেন। যার মধ্যে তার নিজ পুত্র অহিদুর রহমান, আপন চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী আছিয়া খাতুনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাছাড়া তার পুত্র অহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘর জ্বালানো মামলা (জিআর ২৪/২৪ আশাঃ) চলমান এবং মামলায় বিজ্ঞ আদালত জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরন করলেও তথ্য গোপন করে তাকে সাসপেন্ড করা হয়নি। এছাড়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জিআর ৮/২৪ (আশাঃ), জিআর ১৫০/২২ (আশাঃ), জিআর ১৪৫/২২ (আশাঃ) ও জিআর ৫৫/২২ (আশাঃ) মামলা চলমান রয়েছে। এতকিছুর পরও অধ্যক্ষ অপকর্ম করা থেকে বিরত থাকেননি। ৩০ ডিসেম্বর নিজস্ব প্রার্থী না থাকায় নিয়োগ দিতে না পেরে এখন তার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়োগ দিতে তৎপরতা শুরু করেছেন। ইতিমধে দৈনিক যুগেরবার্তা পত্রিকায় ৩০/১০/২৪ তাং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ/ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে পাতানো নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করতে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক আবেদন পোঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
    এব্যাপারে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্কীকার করে বলেন, মিথ্যা ও সাজানো অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে পক্ষটি বারবার পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে।
    মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় জানান, মাদ্রাসার নিয়োগ সংক্রান্ত কোন দিন ধার্য হয়নি। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন

    অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।  রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে এ নিয়োগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আরও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

    নাসির উদ্দিন বিসিএস (প্রশাসন) ১৯৭৯ ব্যাচের নিয়মিত একজন কর্মকর্তা। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সালে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সচিব পদে কর্মরত ছিলেন।  ওই সময়কাল পর্যন্ত তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  এরপর তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন।

    তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান।  নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাসির উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব ইনশাআল্লাহ। এ দায়িত্ব যখন আসছে, আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।