Blog

  • গাজীপুর সিটি ভোট স্থগিতে রিটের কিছুই জানত না ইসি

    ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের রিটের বিষয়ে আগে থেকে আদালত নির্বাচন কমিশনকে ( ইসি) কিছু জানায়নি বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। তিনি বলেন, ‘এবিষয়ে আমরা আগে কিছুই জানতাম না। গণমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছি।’ সোমবার বিকালে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম এসব কথা জানান।

    তিনি বলেন, গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি- হাইকোর্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করেছেন। আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।

    সংবিধানের ১২৫ (গ) অনুযায়ী ‘কোনো আদালত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরুপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনরুপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না’- সংবিধানের এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে পড়ে শুনান সাংবাদিকরা। জানতে চান আদালত এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আগে জানিয়েছেন কিনা।

    জবাবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এ রিটের বিষয়ে হিয়ারিংয়ের (শুনানি) আগে জানতাম না। হিয়ারিং হওয়ার পর জেনেছি।’

    আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো আইনজীবী ওখানে নিয়োগ দেইনি। আমাদের প্যানেল আইজীবী আছে। তিনি প্যানেলভুক্ত একজন আইজীবী রিটের একটা কপি পেয়েছেন।

    নির্বাচন কমিশনার বলেন, কপি পাওয়ার পরে উনি হিয়ারিংয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র দেইনি। তাকে ওকালতনামা দেয়ার মত সুযোগও ছিল না আমাদের।

    গাজীপুরের মতো সামনের আরও নির্বাচন স্থগিতে জনমনে শঙ্কার বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আইন তাকে সে সুযোগ দিয়েছে। আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেয়ার পরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করি।

    কবিতা খানম বলেন, আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুইবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে।

    তিনি বলেন, তবে অন্য সিটি নির্বাচন নিয়ে আগাম বলা যাবে না। কী কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে বিষয়গুলো যখন ক্লিয়ার হবে, তখন জনমনে শঙ্কা থাকবে না।

    গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আপিলের বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, আমরা এখনো অফিসিয়ালি আদেশের কপি পাইনি। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী পদক্ষেপ ইসি কী নেবে।

    গাজীপুর সিটি নিয়ে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক দিন সময় আছে এ সিটি নির্বাচনের। এর মধ্যে কোনো সুরাহা না হলে তো আবার তফসিল দিতেই হবে।

    নির্বাচন স্থগিতে কমিশনের হাত আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, দায় কার এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি কমিশনের কোনো গাফিলতি নেই।

    ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিতের আইনি প্রক্রিয়া কোনো পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতটুকু জানি লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য হাইকোর্টে পাঠিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রোববার একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ওই নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। পরে নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কমিশন।

  • রোজার পরে সরকার পতনের কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে-মওদুদ

    ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিরোজার পরে সরকার পতনের জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। সরকারের পরিবর্তন দেখতে চায়। দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের ভোটের অধিকার এবং ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এ আন্দোলন করতে হবে।’

    সোমবার (৭ মে) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সভাপতির কক্ষের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

    ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সব তথ্য-উপাত্ত এবং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিশ্লেষণ করে আগামীকাল (মঙ্গলবার, ৮ মে) আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখবেন এবং খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হবেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিকালে আগামী দিনে যে আন্দোলন আসছে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ সব আইনজীবীদের নেতৃত্বে সেই আন্দোলন সফল হবে। গাজীপুর নির্বাচনে যে গণজোয়ার উঠেছিল, সেই গণজোয়ার দেখে সরকার পিছুটান দিয়েছে। সরকার এমন কৌশল নিয়েছে যে, নির্বাচনের আর পাঁচ থেকে সাতদিন বাকি। এ সময়ে এসে সরকার এটি করেছে। আমরা গাজীপুরে নির্বাচন যাতে হয়, তার জন্য আবেদন জানাবো।’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এত দিন চেষ্টা করেছি। দেশের মানুষ এখন আর আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেখতে চায় না। সেজন্য রোজার পরে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে, এ সরকার পতনের জন্য। এই সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। সরকারের পরিবর্তন দেখতে চায়। দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের ভোটের অধিকার এবং ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এ আন্দোলন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমরা এ আন্দোলন সফল করবো এবং আগামী নির্বাচনে গাজীপুরের মতো গণজোয়ার সারা বাংলাদেশে দেখবেন। সেই গণজোয়ারে আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রার্থীরা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না। বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত।’

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া সুস্থ অবস্থায় জেলে গেছেন। আর এখন জেলে থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে গেলেন। হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর আপিল বিভাগ স্থগিত করায়, তিনি মুক্ত হতে না পেরে আজ কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার (৮ মে) তার জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ রয়েছে। আমরা আশা করবো, আদালত ন্যায়বিচার করবেন এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে তাকে জামিন দেবেন।’

    তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিদায়ের পর আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। আমি আশা করবো, আদালত সাহসের সঙ্গে জামিন দিয়ে প্রমাণ করবেন যে, বিচার বিভাগ স্বাধীন। আমি আশা করবো, সর্বোচ্চ আদালত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব পালন করবেন।’

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘সরকারের পক্ষে রায় না দেওয়ার কারণে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়নি। বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আমরা মনে করি, বিচার বিভাগকে স্বাধীন থাকতে হবে, সংবিধান সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা ন্যায়বিচার চাই। ন্যায়বিচার হলে নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর সাজা হতো না। আপিল বিভাগেও জামিন স্থগিত হতো না।’

    অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে হবে। এজন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে হবে না। লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল করতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে হবে।’

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন— সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট গরীব-এ-নেওয়াজ, মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ড. গোলাম রহমান, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আবেদ রাজা, মনির হোসেন, শেখ অহিদুজ্জামান প্রমুখ।

  • বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের ব্যাপকতার অভিযোগ, আমলে নিচ্ছে না সরকার

    ডেস্ক রিপোর্ট: এবারের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলায় বোরো ধানের আবাদে ছত্রাকজনিত ‘নেক ব্লাস্ট’ রোগ ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতের ধান নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। অনেকে ঋণ নিয়ে বোরো ফসলের আবাদ করেছেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলন না পেলে কীভাবে ঋণ শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। তবে সরকার বিষয়টি মানতে নারাজ। সরকারের এ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বলছে, এসব গুজব। এর কোনও ভিত্তি নেই।
    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,প্রতিবছর বোরো ফসলের মাঠের কিছু না কিছু অংশে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। এটি ফসলের ক্ষতি ‘স্বাভাবিক নিয়মে’ পরিণত হয়েছে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যাপকতা আকার ধারণ করার কোনও তথ্য নেই। এ বছর বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, জেলা পর্যায় থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ব্লাস্টের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দেশে এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ টন বোরো চাল উৎপাদন হবে, যা রেকর্ড।
    কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ব্লাস্টের কোনও খবর আমরা জানি না। যা শুনেছি, তা পত্রপত্রিকায় ও টেলিভিশনে। এসব প্রতিবেদন দেখার পর জেলা কৃষি অফিসগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেছি। সেখানকার কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিবছরের মতো স্বাভাবিক নিয়মে এ বছরও কিছু জমিতে হয়তো ব্লাস্ট রোগ হয়েছে। তবে তা খুবই সামান্য। রেকর্ড করার মতো নয়। এটি এ বছরের বাম্পার ফলনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ এরপরও আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে সতর্ক রেখেছি, যাতে যেকোনও পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা যায়। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কাজ করছে।’
    এদিকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রতিবছর প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করেই বোরো ফসল কৃষকের ঘরে ওঠে। এটি নতুন কিছু নয়। এ বছরও উঠবে। এ বছর বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি, এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদন হবে। মাঠের ফসল সম্পূর্ণ উঠলে মোট উৎপাদন পাওয়া যাবে।’
    এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বোরোর মৌসুমে ঝড়বৃষ্টি, রোদ-খরা সবই হয় এবং হবে। এর ওপর ব্লাস্ট তো আছেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে এ বছর ব্লাস্ট যা হয়েছে, তা হিসাবে আনার মতো নয়। প্রতিবছর কিছু না কিছু জমিতে হয়। এবারও হয়েছে। এটি মোট উৎপাদনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
    খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে হয়তো বলবেন, বৃষ্টিতে ধান শুকাতে পারেননি কৃষক। আবার কেউ বলবেন, খরার কারণে বোরো ধানের চিটা হয়ে গেছে। আবার কেউ বলবেন, ব্লাস্ট রোগ উৎপাদন ব্যাহত করেছে। এসবই গুজব। এ বছর সবই হবে। তারপরও বাম্পার ফলনের বোরো কৃষকের ঘরে উঠবে।’
    সরকার এ বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো চাল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চাল উৎপাদনে কেজিপ্রতি কৃষকের জন্য মুনাফা বাবদ ২ টাকা যুক্ত করে প্রতি কেজি সিদ্ধ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে ৩৮ টাকা দরে। আর আতপ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে প্রতিকেজি ৩৭ টাকা দরে। আর বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে ২৬ টাকা কেজি দরে। সম্প্রতি সচিবালয়ের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    জানা গেছে, এ বছর সিদ্ধ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে ৮ লাখ টন এবং আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১ লাখ টন। বাকি ১ লাখ টন চালের জন্য দেড় লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে। আগামী ২ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
    এদিকে গাজীপুর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুরের চাষীরা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এসব জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায়। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তারা। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
    কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কৃষকের ভুলের কারণে কিছু জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি কোনোভাবে আমলে নিচ্ছে না সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
    জানা গেছে, এসব জেলার কৃষকেরা জমিতে সবুজ ধান গাছের চারা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। কিন্তু ধানের ছড়া বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাতাগুলো বাদামি, আবার কখনও সাদা বর্ণের হওয়া শুরু করে। কিছুদিন পর থেকে ছড়ার গোড়ার অংশে কালো হয়ে ধানের ছড়াটাও বাদামি ও সাদা বর্ণের হতে শুরু করে। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে জমিতে ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনও কাজ হয়নি। ১ একর জমির ধান কাটার খরচ পড়বে ৯ হাজার টাকা। খড় পাওয়া যাবে ৬ হাজার টাকার।

    কৃষকদের অভিযুক্ত করে কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, কৃষকেরা নিয়ম মেনে ওষুধ প্রয়োগ করেন না। জমিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি হলেও এ রোগের আক্রমণ ঘটে। প্রথমে ধানের পাতা পরে ধান গাছের গিঁটে ও সবশেষে শীষে এ রোগের আক্রমণ দেখা দেয়। তাদের মতে, ধান গাছে আক্রমণের পর ন্যাটিভো, ডাইমেনশন, ফিলিয়া জাতীয় ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু কৃষকেরা তা করেননি।
    এ বিষয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ‘এবার শ্রীপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণের পরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
    বাংলা ট্রিবিউনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ হয়েছে। এ বছর বোরো ধান থেকে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭২ মেট্রিক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে ৭৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বোর ধানের বাম্পার ফলন হবে।
    সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আবহাওয়ার কারণে অর্থাৎ দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা, মেঘলা আবহাওয়া, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং বাতাসের কারণে কিছু কিছু এলাকার ফসলে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছিল। কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখায় ও পরামর্শ দেওয়ায় এ রোগ বাড়তে পারেনি। এ কারণে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনও প্রভাব পড়বে না।
    জামালপুরের ৭ উপজেলায় ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানক্ষেতে ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগের দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে। অন্য জাতের ফলন ভালো হলেও ব্রি-২৮ জাতের ক্ষেতে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে ব্লাস্ট রোগ। এতে অধিকাংশ জমির ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। আক্রান্ত জমিতে শীষ থাকলেও তাতে চাল নেই।
    জামালপুরের কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত এই রোগটি দেখা দেয়। ব্লাস্ট রোগে যেন ক্ষেত আক্রান্ত না হয়, সেজন্য আমরা সঠিক সময়ে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রচারপত্র বিলি করেছি। তারপরও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ব্লাস্ট ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, এই রোগটি আর ছড়াবে না।’
    এদিকে গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোর মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু জেলায় আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। জেলায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টন।
    গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আ ক ম রুহুল আমীন বলেন, ‘জেলায় মাত্র ৫০০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে সমস্যা সমাধানে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের স্প্রে ব্যবহার করাসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।’ এ রোগে মোট উৎপাদনে কোনও ঘাটতি হবে না, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চালের উৎপাদন অর্জিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
    বাংলা ট্রিবিউনের রামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সারাদেশের মতো বিরামপুরেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ। ছত্রাক জাতীয় এ রোগের আক্রমণে ধানের শীষ সাদা ও পাতা ধূসর বর্ণ ধারণ করছে। এ রোগে চিটায় পরিণত হচ্ছে ধান। শেষ সময়ে ধানে ব্লাস্ট রোগ সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা কৃষক। যখন শীষে সংক্রমণ হয় তখন ছত্রাকনাশক দিয়ে কোনও উপকার হচ্ছে না।
    বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১২ হাজার ৬৭৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন। নেক ব্লাষ্ট রোগে সংক্রামিত জমি থেকে ধানের ফলন কম হলেও সার্বিকভাবে কোনও প্রভাব পড়বে না ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায়।

  • চিকিৎসার জন্য খুলনা যেয়ে তালার এক ব্যবসায়ী রহস্যজনকভাবে নিখোজ

    বিশেষ প্রতিবেদক: চিকিৎসার জন্য খুলনা যাবার পর থেকে মো.তবিবুর রহমান শেখ (৪৭) নামে তালার এক ব্যক্তি রহস্যজনক ভাবে নিখোজ হয়েছে। তাকে খুজে পেতে পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজ করলেও তার খোজ মেলেনি।
    এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। যে কারণে পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নিখোজ তবিবুর রহমান শেখ তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের মৃত. নাছের শেখ এর ছেলে।
    এ ব্যপারে নিখোজের ভাই মো.লুৎফর রহমান শেখ জানান, তার ভাই তবিবুর রহমান শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকার কারণে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে গত ২৯ এপ্রিল সকাল ৬টার দিকে খুলনা যায়। এরপর এদিন সকাল ১১টার দিকে তবিবুর রহমানের ব্যবহৃত ০১৭৪৭ ৪৫৫০৩২ এবং ০১৫৩৫ ৭৮৮১৩২ নং: মোবাইলে ফোন করলে দুটি নাম্বারেই রিং হয় কিন্তু ফোন রিসিভ হয়নি। এরপর দুপুর থেকে ফোন নম্বর দু’টি বন্ধ হয়ে যায় এবং এখনও বন্ধ রয়েছে। এঘটনার পর থেকে নিখোজের পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সকল স্থানে ব্যপাক খোজ খবর করলেও অদ্যবদী তবিবুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। নিখোজ তবিবুর রহমানের পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কোনও শত্রু নেই বলে জানাগেছে। তবে সে মাছের ব্যবসায় জড়িত ছিল এবং বহু ব্যক্তির কাছে সে টাকা পেতো। এঘটনায় নিখোজের পরিবারের পক্ষ থেকে তালা থানায় একটি জিডি (নং: ৫৫, তাং: ০২/০৫/১৮) করা হয়েছে। কোনও সহৃদয় ব্যক্তি নিখোজ তবিবুর রহমাননের সন্ধান পেলে তার ভাই লুৎফর রহমান (মোবাইল নং: ০১৭৭৮ ৩২৬৬১২) এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিনিত ভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • অবৈধ্যভাবে ড্রেন নির্মাণ করে পথ রুদ্ধ করার অভিযোগ

    শহর প্রতিনিধি: সদর উপজেলার পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙ্গীর মো. আসাদুজ্জামান সোহাগের বিরুদ্ধে পৌরসভার জমিতে প্রাচীর নির্মাণ ও প্রতিবেশী মারুফ হোসেনের রেকর্ডীয় জমিতে ড্রেন তৈরি করে চলাচলের পথ রুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে।
    রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন শহরের পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙ্গীর মো. মারুফ হোসেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে মধুমোল্লারডাঙ্গীর সরদার পাড়ায় পৌরসভার সড়কের পাশে ১১০৪২ দাগে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন তিনি। কিন্তু তার প্রতিবেশী আসাদুজ্জামান সোহাগ বাড়ির পাশে খালি জায়গায় তার দরজার সামনে প্রাচীর নির্মাণ করেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে পৌরসভায় আবেদন করলে আসাদুজ্জামান পৌরসভার জায়গা দখল করবেন না বলে অঙ্গিকার করেন। অথচ এরপরও তিনি পৌরসভার খালি জায়গা দখল করে গাছ গাছালি লাগিয়েছেন। এ বিষয়ে পুনরায় পৌরসভাকে জানানো হলে সার্ভেয়ার মাপ জরিপ করে স্কেচ তৈরি করে পৌরসভার জমি থেকে সরে যাবার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপরও আসাদুজ্জামান সোহাগ গত ১০ ফেব্রুয়ারি মারুফ হোসেনের বাড়ির সামনে ফের ড্রেন নির্মানের লক্ষ্যে খনন করেন। এ সময় তিনি বলেন পৌরসভার কথা মানিনা। এতে বাধা দেওয়ায় তিনি মারমুখী হয়ে ওঠেন। বিষয়টি সাতক্ষীরায় থানায় জানানো হলে এসআই হুমায়ুন কবির ১৩ ফেব্রুয়ারি গাছগাছালি অপসারন করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের নির্দেশ দেন সোহাগকে।
    সংবাদ সম্মেলনে মারুফ হোসেন এসব বিষয় তুলে ধরে বলেন, এসব কিছুর তোয়াক্কা না করেই সোহাগ ৮/১০ জন নারী পুরুষ নিয়ে গত ৪ মে একই জায়গায় ড্রেন নির্মান করে তার যাতায়াতের পথ রুদ্ধ করেছেন। মারুফ হোসেন এর প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিকার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • তাঁতী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুরের অভিযোগ

    শহর প্রতিনিধি: জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে চায়ের দোকান ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও পত্রিকায় মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ করেছে সুলতানপুর বড়বাজার এলাকার আমির চাঁদ এর ছেলে চায়ের দোকানি ও তাঁতী লীগ নেতা হেলাল উদ্দীন।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে গত রোববার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুলতানপুর বড়বাজারে আইসক্রিম ফ্যাক্টরির পাশে খালধারে একটি খাস জমির উপর চায়ের দোকান নির্মাণ করে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। একই সাথে জেলা তাঁতী লীগের জন্মলগ্ন থেকে আমি সুনামের সাথে পৌর ৪ নং ওয়ার্ড তাঁতী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে অসছি। জেলা তাঁতী লীগের স্থায়ী কার্যালয় না থাকায় নেতৃবৃন্দ আমার চায়ের দোকানকে তাঁতী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। সেই সুবাদে তৎকালিন জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান তুহিন সংগঠনকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে নিজ খরচে আমার চায়ের দোকানে পৗর ৪নং ওয়ার্ড তাঁতী লীগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন।
    তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি জেলা তাঁতী লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি অনুমোদিত হলে উক্ত কমিটির সদস্য সচিব পরিচয়ে মনিরুজ্জামান তুহিন গত ৩ মে সকালে ০১৭১১-১৬৭১৮২ নম্বর থেকে ফোন করে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কারণ জানতে চাইলে তুহিন বলে যে, কেন্দ্র হতে কমিটি নিয়ে আসতে আমার কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তুই কিভাবে সভাপতির পদে থাকিস এবং তোর দোকান ওখানে কিভাবে থাকে আমি তা দেখে নেব। বিষয়টি পৌর তাঁতী লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে জানালে তারা আমার দোকানে আসতে সম্মত হন। তার আসার আগেই সন্ত্রাসী তুহিনের নেতৃত্বে ইটাগাছা এলাকার হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেন, একই এলাকার জেএমপি সদস্য শাহাবুদ্দিন, কাজী মারুফসহ অজ্ঞাত ৫/৬জন লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার চায়ের দোকনে এসে হামলা চালায়। এসময় তারা আমার দোকন ভাংচুর করারসহ দোকানে রক্ষিত জাতীর পিতা ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি এবং তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদকের ছবিযুক্ত পোষ্টার ছিড়ে ফেলে তান্ডব সৃষ্টি করে। প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা আমিসহ দুই শিশু সন্তান রাজু ও সাজুকে মারপিট করে। খবর পেয়ে জেলা তাঁতী লীগের নেতৃবৃন্দ এসে প্রতিরোধ করলে তারা পালিয়ে যায়।
    হেলাল উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, জেএমপি সদস্য শাহাবুদ্দিন সিরাজ দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফিরে তাঁতী লীগ নেতা তুহিনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের করেছে। বর্তমানে তুহিন জামায়াত ও জেএমবি সদস্যদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। যা প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্থ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি এব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে তিনি সাংবাদিকের মিথ্যে তথ্য দিয়ে ও ভূল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইনে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

  • দেবহাটায় স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

    দেবহাটায় স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

    দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে নির্যাতিত ছাত্রীর পিতা। লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেছেন উক্ত বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তারের পিতা ভাতশালা গ্রামের আব্দুস ছালেক ঢালী। অভিযোগে তিনি ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে যায়, উক্ত বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক মাসুদ করিমের নিকট তার কন্যা নাসরিন প্রাইভেট না পড়ার কারণে মাসুদ করিম তার কন্যাকে কারণে অকারণে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কটুক্তি করে। যার কারণে সে জেএসসি পরীক্ষার পরে তার কন্যাকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে চায়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও কয়েকজন শিক্ষক তার বাড়িতে যেয়ে ভবিষ্যতে এধরনের আচরণ আর না করার প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি তার কন্যাকে উক্ত বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত রাখেন। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই আবারো শিক্ষক মাসুদ করিম তার কাছে প্রাইভেট না পড়ার কারণে শ্রেনী কক্ষে বিভিন্নভাবে কটুক্তির মাধ্যমে তার কন্যাকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। গত ইং ২১ এপ্রিল বিনা কারণে তার কন্যাকে মারপিট ও বিভিন্ন অবাঞ্চিত কথাবার্তা বলে। ফলে তার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এবং তার স্বাভাবিক লেখাপড়া ব্যহত হচ্ছে। আব্দুস ছালেক এ বিষয়ে গত ২৪এপ্রিল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানান। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করাই তিনি উপযুক্ত বিচার পাওয়ার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানান। ইউএনও হাফিজ-আল আসাদ জানান, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • বাহুবলে ভাটেরার তাম্র শাসন বিষয়ক সেমিনার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: হবিগঞ্জের বাহুবলে চর্যাপদে সমকালীন ভাটেরার তাম্র শাসনে আদি বাংলার নিদর্শন’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
    মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব কবিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা, কবি ও দার্শনিক সৈয়দ আজিজ। তিনি ভাটেরার তাম্র শাসনের নানা দিক তুলে ধরে ঢাকার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে শুধু কলেজে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সমকালীন ভাটেরার তাম্র শাসনে আদি বাংলার নিদর্শন’ বিষয়ক আলোচনা সভা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
    ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মিষ্টুরাণী দাসের সঞ্চালনায় সেমিনারের ঘোষণা করেন উত্তরপূর্ব ভারতের লেখক ও গবেষক ড. দেবব্রত দেবরায়। তিনি বলেন, যে রাজ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাত বার গিয়েছিল, সে দেশের প্রতিনিধি হয়ে চৈতন্য দেবের পূর্ব পুরুষদের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে পেরে গর্ববোধ করছি। কারণ হবিগঞ্জ ও সিলেট আমার কাছে তীর্থক্ষেত্রের মতো। আর চর্যাপদে ভাটেরার তাম্র শাসনের যে উল্লেখ ছিল তা অবর্ণনীয়। তিনি আরও বলেন, এ সেমিনারের মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ভাটেরার তাম্র শাসন সম্পর্কে জানানো একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আজ শুরু হলো।
    বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব কবিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক কবি পুলক কান্তি ধর, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ গভনিং বর্ডির সভাপতি নিরঞ্জন সাহা নিরু, বাহুবল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোতাহের হোসেন, চাঁনপুর কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক অবিনাশ আচার্য্য, ফয়জাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসিত কুমার দেব, আদর্শ বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মানিক মিয়া, সানশাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ রণদ্বীপ চক্রবর্তী, পরিচালক একনেক সামছুদ্দিন, তরফ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও গবেষক নিপেন্দ্রলাল দাস।
    বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক টিপু চৌধুরী, সাংবাদিক মুনসুর রহমান, সানশাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক আব্দুল কাদির। এ সময় অত্র কলেজের সকল বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রীবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
    বক্তারা আরও বলেন, সিলেটের সাহিত্যের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা হলো-ভাটেরার তাম্র শাসন, বাংলাগদ্যে ইতিহাস ও তিনটি মহাকাব্য। যা সিলেককে বিশ্ব দরবারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অধিষ্ঠিত করেছে। তাই এ সুনাম ধরে রাখার জন্য বেশি বেশি করে সভা-সেমিনার করা প্রয়োজন। আর আজকের এই সুন্দর সেমিনারের আয়োজন করায় মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।

  • নলতা-তারালী সড়কের বেহাল দশা

    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা-তারালী সড়কের কার্পেটিং উঠে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। নলতা থেকে তারালী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় গর্তে পরিণত হয়ে বর্ষার পানি জমে থাকায় জনসাধারণসহ স্কুল শিক্ষার্থীদের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নলতার ফারজানা হেল্থ কেয়ারের ডাঃ ফজলুর রহমান, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন, লাভলু, রফিকুল ইসলাম, আবু বক্কার, আঃ হামিদসহ স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১ বছর আগে নলতা-তারালী সড়কটি কার্পেটিং করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজে অনিয়ম, দূর্ণীতি করায় কিছু দিন যেতে না যেতেই কার্পেটিং উঠে খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। নলতায় প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার ২ দিন হাট বসে। আশাশুনি, উজিরপুর, তেতুলিয়া, রাজাপুর, ঘুূশুড়ী, তারালী, পাইকাড়া, বাথুয়াডাঙ্গা, ইন্দ্রনগর, কাজলাসহ আশে পাশের এলাকার ব্যবসায়ী ও হাজার হাজার ক্রেতা ও বিক্রেতাকে এই সড়ক দিয়ে হাটে আসতে হয়। এলাকাটি মৎস্য এলাকা হিসাবে চিহিৃত। এলাকার মৎস্য চাষিরা এ সড়ক দিয়ে তাদের সাদা মাছ ও সাদা সোনা নামে পরিচিত বাগদা চিংড়ী ও মাছের খাদ্য আনায়ন করে থাকে। তাছাড়াও নলতার স্কুল ও কলেজ উপজেলার ভিতরে ভালো সাফল্য অর্জন করায় দুরদুরান্তের শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে পড়তে আসে। স্কুল ও কলেজে আসতে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। উক্ত সড়কটি আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তোভোগী মহল।

  • তালায় শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে জামাই

    তালায় শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে জামাই

    বিশেষ প্রতিবেদক: তালায় খালু শ্বশুরকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে জামাই। রবিবার সকালে উপজেলা চরগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্বশুর হলেন- চরগ্রামের মৃত মাজেদ পাড়ের ছেলে মোজাপ্ফার পাড় (৬০)। আহত ব্যাংক কর্মকর্তা মোজাপ্ফারকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার তালার চরগ্রামের তছিম উদ্দীন শেখ’র ছেলে গোলাম রসুল সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া লেগেই থাকত। এনিয়ে খালু শ্বশুর মোজাফ্ফার পাড় কয়েক দফা সালিশ মিমাংসা করে দেয়। সম্প্রতি গোলাম রসুল স্ত্রী আবারও বাপের বাড়ীতে চলে যায় । স্ত্রীকে বাড়ী ফেরাতে খালু শ্বশুরের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে গোলাম রসুল ।

    এক পর্যায়ে রবিবার সকালে মোজাফ্ফার পাড় তালা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে চরগ্রামের তেঁতুলতলা মোড় নামক স্থানে পৌছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা জামাই ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।
    এলাকাবাসী প্রথমে তাকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান,ঘটনা শুনেছি তবে এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।

  • দেবহাটায় জেলা পরিষদের ১০ প্রকল্পের অনুমোদনপত্র প্রদান

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় জেলা পরিষদের ১০ লাখ টাকার দশটি প্রকল্পের অনুমোদনপত্র প্রদান করা হয়েছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সার্বিক পরিচালনায় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কমিউনিটি পারটিসিপেশন প্রজেক্ট কমিটি (সিসিপিসি) এর কাজের অনুমোদনপত্র প্রদান করা হয়। রবিবার বিকাল ৪টায় জেলা পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্যের কার্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও কমিটির সদস্যদের হাতে উক্ত অনুমোদনপত্র তুলে দেন জেলা পরিষদের সদস্য আল-ফেরদৌস আলফা। এসময় দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১০ প্রতিষ্ঠানে দশটি প্রকল্পের অনুমোদন প্রদান করা হয়। যার মধ্যে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বেজরআটি আর রহমান জামে মসজিদ, কামিনিবসু জামে মসজিদ, দেবহাটা সদর ইউনিয়নের রাজার বাগ জামে মসজিদ, দেবহাটা বাজার জামে মসজিদ, জাহনাবাদ জামে মসজিদ, বুড়িরবাড়ি জামে মসজিদ, ধোপাডাঙ্গা পাঞ্জেগানা মসজিদ, কুলিয়া ইউনিয়নের শশাডাঙ্গা পাঞ্জেগানা মসজিদ সংস্কার এবং সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাইকেল সেড নির্মানের জন্য সর্বমোট ১০টি প্রকল্প প্রদান করা হয়েছে।

  • সাংবাদিক কাজী ময়নার ভাবীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোক

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক অর্থ সম্পাদক, দৈনিক কল্যানের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি কাজী শওকাত হোসেন ময়নার ভাবী ও সাতক্ষীরা অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোসলেমা খাতুন ইন্তিকাল করেছেন(ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন)। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতার হালেন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সহ-সভাপতি আব্দুর ওয়াজেদ কচি, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.: রবিউল ইসলাম, অর্থ-সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আমিনা বিলকিস ময়না, দপ্তর সম্পাদক আহসানুর রহমান রাজীব, নির্বাহী সদস্য আব্দুস সামাদ, ইব্রাহিম খলিল, কৃষ্ণ মোহন ব্যনার্জী, আমিনুর রশীদ, অসীম বরণ চক্রবর্তী প্রমুখ।
    ী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু’র গণ সংযোগ

  • সাতক্ষীরা-১ আসনের ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু’র গণ সংযোগ

    সাতক্ষীরা-১ আসনের ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু’র গণ সংযোগ

    সাতক্ষীরা-১ আসনের ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়ন সুমন চক্রবর্তি: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত ও সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনের ১৪ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু এলাকায় গণ সংযোগ, মতবিনিময়, বিভিন্ন খেলাধুলা, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ক্লিন ইমেজখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা-কলারোয়ার আপামর জনগন স্বাদরে গ্রহন করেছ। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, জনগনের সুখ দুঃখের ভাগী হচ্ছেন। এমন কি তিনি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কি ধরনের কাজ করবেন সবই এলাকাবাসীর সামনে তুলে ধরছেন। সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনের প্রায় সর্বত্র ব্যানার, বিলবোর্ড পোষ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম করে করেছেন। ১৭ ডিসেম্বর ১৯৬৭ সালে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার পারকুমিরা গ্রামে শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলুর জন্ম। তার পিতা এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তি মরহুম শেখ সুলতান আহমেদ। ছাত্র জীবন থেকে স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উরঢ়ষড়সধ রহ ংঃড়ৎবং গধহধমবসবহঃ ্ ংঃড়পশ পড়হঃৎড়ষ, টক। তিনি ১৯৮৩ সালে মজিদখান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাথে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে গ্রেফতার ও পরবর্তি মুক্তি। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন গ্রেফতার ও মুক্তি, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরী আইনে গ্রেফতার, ৪ মাসের ডিটেনশন ও মুক্তি পান। এছাড়া ১৯৮৩- ১৯৮৫ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাজীপুর জেলা কমিটির সহ – সম্পাদক, ১৯৮৮-১৯৯০ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি, ২০০৪-২০০৮ এবং ২০০৯-২০১১ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ২০০৯-২০১১ জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটি, ২০১৬- ২০১৯ সহ – সম্পাদক, জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটি, সদস্য ১৪ দল, জেলা ষ্টিয়ারিং কমিটি, সাতক্ষীরা। প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু’র গণ সংযোগ

  • সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের নির্বাচনে মকুল-উজ্বল পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয়

    শহর প্রতিনিধি: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে মকুল-উজ্বল পরিষদ নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে বিকাল ৫টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহম্মেদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন, সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ ও জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক। সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক হওয়ায় বাকী ২৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে যথাক্রমে কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল ৭৪ ভোট (সর্বোচ্চ), আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা ৬০ ভোট ও আলহাজ্ব শেখ মামুনুর রশিদ ৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা যথাক্রমে, আলহাজ্ব বজলুর রহমান ৪৮ ভোট, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু ৪৩ ও কাজী সিরাজুল হক ৩৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান উজ্বল। তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী আলহাজ্ব শেখ আজিজুল হক পেয়েছেন ৩৭ ভোট। যুগ্ন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোনায়েম খান চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আঃ মাসুদ পেয়েছেন ৪০ ভোট। সহ-সম্পাদক পদে আব্দুর রহমান ৭৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী আমিরুল হক আহাদ পেয়েছেন ৩৩ ভোট। ক্যাশিয়ার পদে ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে আবুল কাসেম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু দাউদ পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
    সদস্য পদে নির্বাচিত হযেছেন যথাক্রমে, আলহাজ্ব মো. আব্দুল খালেক, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ, আলহাজ্ব শেখ আবুল কালাম, জি, এম মাহবুবুর রহমান, মীর আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, এ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, ডা. একরামুল হক, আব্দুল আলিম, হাফিজুল আল মাহমুদ, মাহমুদুল হক, হাবিবুর রহমান রনি, আজহারুল ইসলাম, আলহাজ্ব শেখ আলমগীর হাসান, আহছান কবির, জুলফিকার হায়দার ও সৈয়দ মাহমুদ পাপা।

  • শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা অন্য কেউ নয়-আসাদুজ্জামান বাবু

    শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা অন্য কেউ নয়-আসাদুজ্জামান বাবু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণ সংযোগ করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু। নির্বাচনী গণসংযোগ উপলক্ষ্যে একটি মটরসাইকেল শোভাযাত্রা গত শুক্রবার বিকালে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রহ্মরাজপুরের মেল্লেকপাড়া এলাকায় জনসভায় মিলিত হয়। শোভাযাত্রায় প্রায় ৪ শতাধিক মোটর সাইকেল অংশ নেয়।

    ব্রহ্মরাজপুরের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় সাতক্ষীরা সদর-২ আসন থেকে আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, শিক্ষার্থীদের বিনামুল্যে বছরের প্রথম দিনেই বই এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই। তিনি আরো বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও যাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারে সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

    বাবু আরো বলেন, আমি আপনাদের এলাকারই সন্তান বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে আপনাদের খেদমত করতে পারছি। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে পারি সেজন্য আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। সর্বশেষ তিনি বলেন, দেশ ও জনগনের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা অন্য কেউ নয়। এজন্য মুক্তিযদ্ধের পক্ষের সরকারকে আবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেশ ও জনগনের সার্বিক উন্নয়নের কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে।

  • জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

    জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

    শহর প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা । এরই মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তর গোলার্ধে বরফ গলছে। দেশ জুড়ে দুর্যোগও বাড়ছে।

    গবেষণা ভিত্তিক এসব তথ্য তুলে ধরে ‘জলবায়ু পরিবর্তন, শ্যামনগর উপজেলার বিপন্নতা ও ঝুঁকি’ শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তারা বলেন, জলবায়ু তহবিল গঠন, নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের জন্য স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে হবে।

    একই সাথে উপকূলের বাঁধ নির্মাণ সংস্কার জোরদার করে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ সম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে আয়োজিত এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, এ অঞ্চলে ঘুর্নিঝড় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    ১৯৭০ এর গোর্কি থেকে এ পর্যন্ত ১৪ টি ভয়াল ঘুর্নিঝড় আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশের ৭২০ কিলোমিটার উপকূলে জলোচ্ছাস, দুর্যোগ বেড়েই চলেছে। কালবৈশাখী ঝড়ের ছোবল ও তীব্রতা বাড়ছে। বজ্রপাতে গত সাত বছরে দেড় হাজার মানবসন্তানের প্রাণহানি ঘটেছে। পানি ও মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। পানীয় জলের সংকটও তীব্র হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ বাস্তুত্যাগী হচ্ছে।

    ‘গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান’ (সিএসআরএল) আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জলবায়ু পরিষদের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নাজিমউদ্দিন।

    প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সিএসআরএলএর প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। তিনি বলেন, এই পুস্তিকা তথ্যবহুল। এই পুস্তিকা ব্যবহার করে জলবায়ু মোকাবেলায় আরও বেশি বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    সূচনা বক্তব্যে সিএসআরএলএর সাধারণ সম্পাদক লেখক গবেষক জিয়াউল হক মুক্তা বলেন, ২০০৯ এর ২৫ মে আঘাত হানা ভয়াল আইলায় ল-ভ- হয়ে যায় দেশের দক্ষিণ জনপদ বিশেষ করে সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি জেলা। গৃহহারা আট লাখ মানুষ তাদের সহায় সম্বল নিয়ে টানা দুই বছর রাস্তায় কাটিয়েছে। সে সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জীবন ও সম্পদ। সংযোগ সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। পানীয় জলের উৎস হারিয়ে গেছে। উপকূলীয় বাঁধ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। কৃষি সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষের কর্মসংস্থানও নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় তারা পড়েন খাদ্য সংকটের মুখে। এসব তথ্য তুলে ধরে জিয়াউল হক মুক্তা বলেন, সে সময় বিশেষজ্ঞরা বলেন আগামী ৯৮ বছরে তাপমাত্রা যেন ২ ডিগ্রীর বেশি না হয়। অথচ এই প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা আগামি ১০০ বছরে তিন ডিগ্রী বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন এমনটি হলে আইলার চেয়েও ভয়ানক দুর্যোগ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন।

    তিনি বলেন, এখন বিপন্নতা মোকাবেলার সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। এর জন্য দরকার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন, অর্থায়ন, উপকূলীয় বাঁধ রক্ষনাবেক্ষণে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ ভাঙ্গার আগে কিছু করতে পারে না। আবার বাঁধ ভাঙ্গলেও অর্থাভাবে কিছু করতে পারে না। এ অবস্থা থেকে সরে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন প্রকৃত ঝুঁকি কোথায়, কারা কারা বিপন্ন হতে পারে এবং সরকার কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে তার সমন্বয় হওয়া দরকার।

    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন আরও বলেন, সরকার জলবায়ু খাতে প্রতি বছর এক বিলিয়ন অর্থাৎ এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন এই অর্থের শতকরা ৭৭ থেকে ৭৮ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। বাকি ২২ -২৩ শতাংশ আসছে বৈদেশিক অর্থ থেকে। তিনি বলেন শিল্পোন্নত দেশগুলির কার্বন নিঃসরন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে আমরা বিপন্নতার শিকার হচ্ছি। উপকূলে পানিতে লবনাক্ততা বাড়ছে। খাবার পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এখন নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, এজন্য দরকার তিনটি বিষয়। এক পলিসি প্রণয়ন। দুই অর্থায়ন এবং তিন বাস্তবায়ন। তিনি বলেন এসব বিষয়ে সরকার পূর্নমাত্রায় সচেতন রয়েছে। এরই মধ্যে তিন হাজার কোটি টাকার জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ এখন আর আর দরিদ্র নয় । দেশটি স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে পৌছেছে। এজন্য বৈদেশিক সাহায্য পাবার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার অর্থ সংগ্রহে তৎপর রয়েছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ঝুঁকি মোকাবেলায় জনসচেতনা বাড়াতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসন কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয় ক্ষতি মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধি হিসাবে যতোটা সম্ভব আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে। আপৎকালিন তহবিল গঠন করে বাঁধ নির্মানের সুযোগ করে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি ও তা মোকাবেলার কথা জনগনের কাছে পৌঁছাতে হবে। এতে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরও বলেন জেলা পরিষদের ১৩১ টি পুকুর খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএমএ মামুন বলেন শুধুমাত্র প্রকৃতিগত কারণে নয় , স্থানীয় নানা কারণে আমাদের ঝুঁকি বাড়ছে। এসব মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রকল্পের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন জনপ্রতিনিধিরা সরকারের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারেন।

    তিনি আরও বলেন উপকূলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হচ্ছে। সাতক্ষীরার ৩৭৭ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ, ১২১ টি স্লুইস গেট ও ১২৬ টি খালের রক্ষনাবেক্ষণে পাউবো কাজ করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব ও দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসিন উল মুলক, জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড. শাহনাজ পারভিন মিলি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সিএসআরএলএর সমন্বয়ক প্রদীপ কুমার রায়। অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিষদের সদস্যবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি ও গনমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    প্রকাশনা অনুষ্ঠানে শ্যামনগরের ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদে জলবায়ু ঝুঁকি এবং ঝুঁকি নিরসণে কি কি করনীয় তা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে গুরুত্ব লাভ করেছে বাঁধ নির্মাণ সংস্কার, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, লবন সহিষ্ণু ধান উৎপাদন, চিংড়ির সাথে ধান উৎপাদন, বাঁধ কেটে চিংড়ি চাষ না করা, লবনাক্ত পানি কৃষি জমিতে উঠোনো বন্ধ করা, খাল জলাশয় উন্মুক্ত রাখা, আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান, জনসচেতনতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি।

  • ইটাগাছা এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি কার্বাইড মেশানো আম জব্দ

    ইটাগাছা এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি কার্বাইড মেশানো আম জব্দ

    শহর প্রতিনিধি: শহর থেকে ট্রাকভর্তি কার্বাইড মেশানো ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৩’শ মণ আম জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের ইটাগাছা এলাকা থেকে উক্ত আমগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় ডিবি পুলিশ কোন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।
    সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জুলফিকার আলী জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটা এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি কার্বাইড মেশানো আম আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৯টার দিকে শহরের ইটাগাছা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে কার্বাইড মেশানো ট্রাকভর্তি ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৩’শ মণ আম জব্দ করা হয়। তবে, এ সময় আমের মালিকসহ ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান, জব্দকৃত কার্বাইড মেশানো আমগুলো পরে ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।

  • মধু আহরণ মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনে বেড়েছে বনদস্যুদের অত্যাচার

    মধু আহরণ মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনে বেড়েছে বনদস্যুদের অত্যাচার

    বিশেষ প্রতিবেদক: সুন্দরবনে ২ মাসের মধু আহরণ মৌসুমের ১ মাস অতিবাহিত হলেও কাঙ্খিত মধু সংগ্রহ করতে পারেনি মৌয়ালরা। শুরুতে বন বিভাগের পক্ষে মৌয়ালদের সব ধরনের নিরাপত্তার বার্তা জানান দিলেও মূলত সুন্দরবনে নিত্য নতুন বনদস্যু বাহিনীর পদচারনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তারা। ইতোমধ্যে সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা মৌয়ালরা জানাচ্ছেন এমন কথা।
    সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরন মৌসুম শুরু হয়েছে, চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। প্রতি বছর মধু আহরণ মৌসুমকে ঘিরে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মধু সংগ্রহকারীদের পদচারনায় মুখরিত থাকে উপকূলীয় বেড়ী বাঁধগুলো। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। বন বিভাগের পাশাপাশি সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোও দস্যুদের দমনে বছর জুড়ে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে। এতে দস্যুদের অনেকে ক্রস ফায়ারে নিহত ও গ্রেফতার হলেও মধু আহরণ মৌসুমকে ঘিরে নিত্য-নতুন বনদস্যু বাহিনীর আবির্ভাব ও তাদের অপতৎপরতায় রীতিমত কোন ঠাঁসা হয়ে পড়েছেন মৌয়ালরা।
    বন বিভাগ জানায়,চলতি বছর তারা সুন্দরবনে মধু আহরনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ১ হাজার ৫০ কুইন্টাল এবং মোম ৫৬৫ কুইন্টাল। প্রতি কুইন্টাল আহরিত মধুর জন্য তারা মৌয়ালদের কাছ থেকে ৭৫০ টাকা ও মোম কুইন্টাল প্রতি ১ হাজার টাকা হারে রাজস্ব আদায় করছেন। সেক্ষেত্রে একজন মৌয়াল প্রতি ১৪ দিনে সর্বোচ্চ ৫০ কেজি মধু আহরণ করতে পারবেন।
    তবে ইতোমধ্যে বন ফেরৎ মৌয়ালরা জানায়,এবছর সুন্দরবনে বনদস্যুদের অতি মাত্রায় উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা প্রায়ই হানা দিচ্ছে তাদের নৌকায়। চাঁদার দাবিতে লুটপাট,নির্মম অত্যাচারের পাশাপাশি মুক্তি পণের দাবিতে অপহরণ করছে মৌয়ালদের। তারা আরো জানায়,বনদস্যুরা এবছর এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জে,এক গ্রুপের কাছ থেকে ছাড়া পেতে না পেতেই অন্য গ্রুপ এসে হানা দিচ্ছে একই পট্টিতে। এর আগে বনদস্যুদের এক গ্রুপের আক্রমণ হলে অন্য গ্রুপ হানা দিতনা একই নিশানায়। তাদের মধ্যেও ছিল অঞ্চল ভিত্তিক সিন্ডিকেট। আর এখন তারা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে। আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশে এবার সর্বত্র মধু ভাল পাওয়া গেলেও বনদস্যুদের বেপরোয়া অত্যাচারে এবার তাই মধু আহরণের নির্দিষ্ট লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে মৌয়ালসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
    এদিকে দস্যুদের অত্যাচার থেকে শুরু করে নানা সংকটে লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকায় রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কেউ কেউ। কেননা,মৌয়ালদের অধিকাংশদেরই নিজস্ব পুঁজি নেই প্রতি বছর আহরন মওসুমকে সামনে রেখে মহাজনদের কাছ থেকে তারা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে যান মধু আহরণে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে অনেককেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এলাকা ছাড়তে হবে বলেও আশংকা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
    অন্যদিকে মধু আহরণ মওসুমকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ভেজাল মধু তৈরি চক্র। তারা কম মূল্যে চিনি কিনে তা মধুতে মিশিয়ে বিক্রি করছেন। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিতের পাশাপাশি মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, প্রকৃত মৌয়ালরা।
    এব্যাপারে সুন্দরবনের সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা কে,এম কবির হোসেন জানান,বরাবরের মত বন বিভাগের পক্ষে মৌয়ালীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলেও বিস্তীর্ণ সুন্দরবনের ব্যাপক সংখ্যক মৌয়ালদের নিরাপত্তায় সীমিত জনবল নিয়ে পাহারা দেওয়া কষ্টসাধ্য।
    সব মিলিয়ে সুন্দরবনে বিভিন্ন বনদস্যু গ্রুপের অত্যাচার থেকে শুরু করে নানা সংকটে এবার মধু আহরণ লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে মৌয়ালরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।