Blog

  • কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

    কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

    ডেস্ক রিপোর্ট: কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে। উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের কোটাবাড়ী গ্রামের বেত্রবতী নদীতে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে পার হয়ে আসছে। একই গ্রামের সাধারণ মানুষও বাজার করার জন্য ঝুঁকি নিয়ে পরা পার হয়ে আসছে। এমনিতেই এমনিতেই রাস্তাঘাট বৃষ্টির মৌসুমে পানির নিচে তলিয়ে যায়। তার পর ঝুঁকি নিয়ে বেত্রবতী নদী পার হতে হয় বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে। স্থানীয়রা জানায়, কোটাবাড়ী পার হয়ে রাটায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ একটি বড় বাজার আছে। যেখানে সকাল বিকেল বাজার করতে আসা শতশত মানুষের যেমন দুর্ভোগ তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। ১৯৮৩ সালে বাঁশের সাঁকোটি নির্মিত হয়ে অদ্যবধি চলছে। আজও তার কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান হয়নি। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি এই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করলে শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের চলাচলের সুযোগ হবে। হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ১৯৮৩ সালে কোটাবাড়ী বেত্রবতী নদীর ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছিল। এত বছরেও এর পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। তিনি বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন একটি ব্রিজের জন্য, কিন্তু এখনও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। মাঝে মধ্যে শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। বর্তমান সরকার যদি একটি ব্রিজ নির্মাণ করেন তাহলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের পরিত্রাণ হবে। সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। এমপি সাহেব সরেজমিন এসে দেখে গেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান তারা পাননি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখে একটি স্টিমেট দিলে তিনি তা উপরমহলকে জনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

  • স্যালাইন দিয়ে বাঁচানো হচ্ছে ৭শ বছরের গাছ!

    স্যালাইন দিয়ে বাঁচানো হচ্ছে ৭শ বছরের গাছ!

    মশাল স্পেশাল ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তেলেঙ্গানাতে একটি ৭০০ বছরের পুরোনা বট গাছকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্যালাইনের বোতলে তরল মিশ্রিত কীটনাশক! প্রায় তিন একর জমির ওপর থাকা এই গাছটিকে তার জাতের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ গাছ বলা হয়।
    পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এই গাছটিকে উইপোকার উপদ্রব থেকে বাঁচাতে চেষ্টার কমতি রাখছে না স্থানীয় কর্মকর্তারা। সংক্রমণ ঠেকাতে গাছের মূলে পাইপ বাঁধা হয়েছে।
    এ ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তা পান্ডুরাঙ্গা রাও জানান, প্রয়োজনে সার ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘গাছের ডালপালা যাতে ভেঙে না পড়ে সে জন্য সিমেন্ট প্লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
    অন্য এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গাছের ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলোতে আমরা ফোঁটা ফোঁটায় তরল কীটনাশক দেয়ার ব্যবস্থা করেছি, এটা অনেকটা স্যালাইন থেকে ফোঁটার মতো যেভাবে পড়ে ঠিক সেভাবে।’
    এদিকে গাছটির ডালপালা ভাঙা রোধে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কতৃপক্ষ পর্যটকদের ওপর সীমাবদ্ধতা দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে আরও জানানো হয়, উইপোকা মারাত্মকভাবে ক্ষতি করেছে গাছটির। এছাড়া পর্যটকরা এর ডালপালায় ঝুলে বাঁকিয়ে দিচ্ছে। ভারতীয় বট গাছ বিস্তৃত বৃদ্ধি ও দৃঢ শিকড়ের জন্য পরিচিত।

  • ডিবি পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

    বিশেষ সংবাদদাতা: গোয়েন্দা পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শক ও তার টিমের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ ব্যাবসায়ীদের কারণে অকারণে হয়রানি এবং এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শক ও তার টিম। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভেঙে পড়বে পুলিশের ভাবমূর্তি।
    শহরের নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন মিলন জানান, গত ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রাধানগরের মকবুল হোসেন তাকে নিয়ে কাটিয়া কাস্টমস মোড়ের আশরাফ হোসেনের ছেলে ফাহিম আহম্মেদ অর্ণব আটকের সত্যতা যাঁচাই এর জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান। একপর্যায়ে উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তারা বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিলে উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল পরিচয় জেনে তাকে (মিলন) নিমতলায় ডেকে নিয়ে হ্যা-কাপ পরিয়ে কথিত গারদঘরে ঢুকিয়ে দেয়। তার সন্ধান করতে থাকা মকবুলকেও আটক করেন মঞ্জুরুল হাসান। তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল রেখে দিয়ে রাত একটার দিকে হাতকড়া বিহীন মকবুলসহ তাকে হাতকড়া পরিয়ে কেষ্ট ময়রার ব্রীজের পাশে পুরাতন মোটর সাইকেলের শোরুম সরদার ট্রেডিং এর সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাড়ির চাবি খুঁজতে মকবুলের শোরুম খুলে কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে চাবি না পাওয়ায় মোটর সাইকেলের মিটার টেম্পারিং করার অভিযোগে তাকেসহ মকবুলকে একটি সাদা রং এর মাইক্রোবাসে করে তার বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।
    বাড়ির গেটের দরজা খুলতে দেরী হওয়ায় মারপিট করতে করতে কোলাবসিগ্যাল গেটের তালা ভেঙে দোতলায় ওঠেন পরিদর্শক শাহারিয়ার, উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল, সহকারি উপপরিদর্শক মিজান, সহকারি উপপরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম, সহকারি উপপরিদর্শক জিয়া, সহকারি উপপরিদর্শক রাজু। পুলিশের কথামত তার স্ত্রী মনিরা পারভিন ঘরের দরজা খুলে দেয়। এরপরপরই উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল একটি ড্রয়ার ভেঙে বাড়ি বিক্রির শেষ সম্বল এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা বের করেন। দু’ লাখ সাত হাজার টাকা ছিল, বাকী টাকা কোথায় গেল সেটা তার কাছে জানতে চায় মঞ্জুরুল। একপর্যায়ে মঞ্জুরুল টাকা আবারো মনিরার কাছে দিয়ে দেন। কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে আসবাবপত্র তছনছ করে কিছুক্ষণ পর শাহারারিয়ারের কথামত আবারো ওই টাকা নিয়ে চলে আসেন মঞ্জুরুল। গভীর রাতের ঘটনা হলে মোটর সাইকেলের মিটার টেম্পারিং এর মেশিন খোঁজার নামে কৌশলে পুলিশের দস্যুতা অনেকেরই নজর এড়ায়নি। এ সময় শাহারিয়িারের মুখ থেকে মাদকের গন্ধ ভেসে আসছিল। পরে তাদের দু’জনকে আবারো শোরুমে নিয়ে এসে কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে খাতাপত্র নিয়ে আসে পুলিশ। তাদেরকে আটক রাখা হয় গোয়েন্দা পুলিশের কথিত গারদঘরে। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে মঞ্জুরুলের নেতৃত্বে পুলিশ শোরুম থেকে টিটু ও মিলনের ২৫টি মোটর সাইকেল ফিল্মি স্টাইলে নিয়ে আসার সময় কয়েকটি গাড়ি তেল অভাবে বিকল হয়ে যায়। পরে তেল ভরে নিয়ে আসা হয় ডিবি অফিসে। টিটুর ব্যবহৃত মকবুলের কাছ থেকে প্রথমেই আটকে রাখা মোটর সাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কির মুখ, স্টিকার, লুকিং গ্লাস, হর্ণ, ব্যাটারী ও শাড়ি গার্ড খুলে নেওয়া হয়।
    বাস টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা টিটু জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী আক্তার, কাজী ইকবাল, মোস্তফা, মাসুদ, সুলতানপুরের বাবু, রেজায়ান, মিস্ত্রী আফজাল, ও মা মোটরস এর মালিক ভাই জিল্লুর এর উপস্থিতিতে শোরুম থেকে তার ১৭টি গাড়ি বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি চ্যালেঞ্জ করলে তাকে কাগজপত্র নিয়ে ডিবি অফিসে যেতে বলা হয়। ডিবি অফিসে গেলে পরিদর্শক শাহারিয়ারের বরাত দিয়ে তাকে সন্ধ্যায় যেতে বলেন মঞ্জুরুল। একপর্যায়ে মিটার টেম্পারিং এর বিষয়টি স্বীকার করে মকবুল কিছু জানে না বলার পর মিলন ও মকবুলকে আবারো গারদে ঢোকানো হয়। এরপর ১৭টি গাড়ির কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে তারা চলে আসার আগেই মকবুলকে ছাড়াতে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় তার স্ত্রী। কিন্তু এক লাখ টাকা ছাড়া ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন শাহারিয়ার। ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়ায় অবস্থানকরাকালীন সহকারি উপপরিদর্শক জিয়া মোবাইল ফোনে তাকে (টিটু) ডিবি অফিসে যেতে বলেন। ভাই জিল্লুরকে নিয়ে সেখানে গেলে মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে সহকারি উপপরিদর্শক রাজু তাকে আটক করে গারদ ঘরে আটক করা হয়। পরে তার চোখ বেঁধে হাতে হ্যা- কাপ পরিয়ে শাহারিয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন শাহারিয়ার। পরে তাকে গারদ ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। রাজুর সঙ্গে চুক্তির শেষ পর্যায়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা ও গাড়ি ছাড়ানোর জন্য তার কাছ থেকে আরো ২২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরদিন সকালে ১৮টি গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১০ এপ্রিল দিবাগত রাত দু’ টোর দিকে তাকে (টিটু) ছেড়ে দেওয়া হয়। ১১ এপ্রিল বিকেলে স্ত্রী ও ভাগ্নের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে পরদিন ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে মকবুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের পরের দিন সন্ধ্যায় গাড়ি ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও বারবার তাকে ঘোরানো হয়। ওই দিন আরো ২০ হাজার টাকা দাবি করে ১০ হাজার টাকা নেন মঞ্জুরুল। ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরো ১০ হাজার টাকা নিয়ে পাঁচটি গাড়ি, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে চারটি ও আরো ১০ হাজার টাকা নিয়ে ২৩ এপ্রিল চারটি ও ২৪ এপ্রিল দুপুরে দু’টি গাড়ি দিয়ে দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল তার দু’িট গাড়ি ও মিলনের একটি গাড়িসহ মিলনকে একটি মিটার টেম্পারিং এর প্রতারনার মামলায় চালান দেওয়া হয়।
    খালিদ হোসেন মিলন বলেন, গত বৃহষ্পতিবার তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে পরদিন থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা ফেরৎ নেওয়ার জন্য শাহারিয়ার ও মঞ্জুরুলের কাছে হাঁটতে থাকেন। কয়েকজনের তদ্বিরের পর সহকারি উপপরিদর্শক রাজুর সহায়তায় সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার সাতটি গাড়ি ফেরৎ দেওয়া হয়। টাকা চাইলে আবারো নতুন মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেন মঞ্জুরুল হাসান ও শাহারিয়ার।
    ভুক্তভোগীরা জানান, গত ২৩ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে কালিগঞ্জেন রতনপুরের ব্যবসায়ি মন্টু ও তার সহযোগি একটি পুরাতন মোটর সাইকেল বিক্রি করে অন্য একটি কেনার জন্য ইজিবাইকে টাউন বাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে স্টেডিয়াম ব্রীজের কাছ থেকে শাহারয়িার টিমের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে হাত কড়া পরিয়ে ডিবি অফিসে নিয়ে এসে তাদের কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা নিয়ে নেয়। পরে এক ইউপি সদস্যের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে এক পত্রিকা সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে শাহারিয়ারে বাক বিত-া হলে টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়। একই দিনে বুধহাটার এক ব্যবসায়ি তার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের সোর্সদের দিয়ে বিত্তশালীদের বাড়িতে বা সার্চ করার নামে জামাপ্যান্টের পকেটে হাতের আঙুলের ফাঁকে রাখা মাদক দিয়ে ধরানোর কোন বিকল্প নেই।
    ভুক্তভোগীরা আরো জানান, শাহারিয়ার তার ভাই সাতক্ষীরার ফায়ার সার্ভিসে কাজ করা ও নানার বাড়ি তালায় হওয়ার সুবাদে সাতক্ষীরায় পড়াশুনা করেছেন। বৈচিত্রময় পাঞ্জাবী পরে তিনি আটককৃত প্রায় নিরীহ ব্যক্তি ছাড়াও মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের চোখ বেঁধে ও হাতে হ্যা-কাপ পরিয়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে আটককৃতদের মোবাইল থেকে আটককৃতদের দিয়ে তাদের স্বজনদের মোবাইল করে লাখ লাখ টাকা আদায় করার ব্যাপারে সিদ্ধ হস্ত। ২ এপ্রিল সন্ধ্যার পর সাতক্ষীরা মোটরস্ এর মালিক জাকির হোসেন বানিকে তার বাড়ির পাশ থেকে আটক করে পকেটে এক পুরিয়া গাজা পাওয়ার অভিাযোগে জেলা জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতার মাধ্যমে গভীর রাতে দেড় লাখ টাকা আদায় করেন শাহারিয়ার। বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশ সুপারের কোন অনুমোদন ছাড়াই নামমাত্র অভিযোগ পেলেই তুলে এনে চোঁখ বেঁধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হচ্ছে। আমদানি হয়না এমন পালচার ২২০ সিসি গাড়ি ফ্রি স্টাইলে চালিয়ে বেড়াচ্ছেন শাহারিয়ার। সহকারি উপপরিদর্শক রাজু ডিবি অফিসের সামনে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ডিসকভার ১৩৫ সিসি গাড়ি যার রেজিঃ নং- সাতক্ষীরা-ল-১১- ১৬৭৫ (চেসিস নং-এমডি-২০৩ জে ডবল জেডএসডিএ ৫১৯৮২, ইঞ্জিন নং- জেএনজেবিএসএ-০৪৭৩৩) নিজে ব্যবহারের জন্য খুলনা রোড়ের মোড় এলাকার জনৈক আফজাল মিস্ত্রির কাছে গত ২২ এপ্রিল সকালে রিপেয়ার করতে দিয়েছেন। এজন্য প্রথম দফায় তিনি ১০ হাজার টাকার খুচরা যন্ত্রাংশ কিনে দিয়েছেন।
    স্থানীয় একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা আইন শৃঙ্খলা মাসিক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার আসার পর পুলিশের দূর্ণীতি ৮০ ভাগ থেকে কমে ২০ ভাগে নেমে এসেছে। তাবে তারা বাস্তবতা কতটা জানেন তা ডিবি পুলিশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হলেই জিহ্বা কাটবেন।
    জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহারিয়ার সাংবাদিকদের জানান, খালিদ হোসেন মিলন একজন মিটার প্রতারক। তার কাছ থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে বলেন, তাকে ছেড়ে না দিয়ে দু’ থেকে তিন দিন পর জামিনে মুক্তি পেতে পারে এমন মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়। তবে মকবুল ও টিটুর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা এড়িয়ে যেয়ে বলেন, অপরাধীরা নানা অপপ্রচার করে তাদের ভাল কাজকে কলুষিত করছে। তার টিমের সদস্যরা ভাল কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি।

  • সাইবার অপরাধ ও জঙ্গি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে-তথ্যমন্ত্রী

    সাইবার অপরাধ ও জঙ্গি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে-তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাইবার অপরাধ ও জঙ্গি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে।
    ভারতের নয়া দিল্লীতে বৃহস্পতিবার সকালে ১৫তম ‘এশিয়া মিডিয়া সামিটে’র উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে।
    হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশসহ এশিয়া এবং বিশ্ব এ মুহূর্তে ছ’টি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। গণমাধ্যমের ভূমিকা একদিকে যেমন দারিদ্র্য, লিঙ্গবৈষম্য, জঙ্গিবাদ ও সাইবার অপরাধ নির্মূলে সাহায্য করবে, তেমনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিপ্লব, জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্বায়নের সাথে মানুষকে খাপ খাওয়াতে শেখাবে।’
    অধিবেশনে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং বস্ত্র মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানী, কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী ড. খিউ কানহারিত, কোরিয়া কমিউনিকেশন কমিশনার ড. স্যাম সগ কো, ইরানের আন্তর্জাতিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্বাস নাসেরি তাহেরী বক্তব্য রাখেন।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের এ কাজ শুধু এশিয়া নয়, সমগ্র বিশ্বকেই টেকসই, সবুজ, উন্নত, ডিজিটাল, শান্তিময় ও সমতাপূর্ণ বিশ্বায়নের দিকে এগিয়ে নেবে, সেই সাথে শক্তিশালী ও সংহত করবে গণতন্ত্রকে।’
    এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট-এআইবিডি আয়োজিত এ সম্মেলনে এশীয়-প্রশান্তসহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশের ৩৯ টি দেশের সরকারি ও বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমের আড়াইশ’রও বেশি প্রতিনিধির সামনে দেশের পরিচয় তুলে ধরতে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশ উদ্যোক্তা হিসেবে বিশ্বসেরা, তৈরি পোষাক উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতূর্থ।’
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এভাবেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।’
    উদ্বোধনী অধিবেশনের পর ‘মিডিয়া রেগুলেশন পলিসিজ: ইথিকস, রুলস এন্ড ল’জ’ শীর্ষক প্লেনারি অধিবেশনেও বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ইনু। ভারতের পক্ষে এ অধিবেশনে যোগ দেন আইন ও বিচার এবং ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ।
    হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রচার জগতের যুগান্তকারী প্রসারের সাথে সাথে তাদের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধিতে ও গণমাধ্যমের কল্যাণে সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, সাংবাদিক সহায়তা নীতি প্রণীত হয়েছে, সময়োপযোগী করা হয়েছে রোয়েদাদ বোর্ড।’
    তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল যুগের সাথে নিরাপদে তাল মিলিয়ে এগুবার জন্য সাইবার অপরাধ রুখতে সকল অংশীজনকে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। এর আগে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে শুধু তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ণই নয়, তা ব্যবহারে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।’ ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানী বিকেলে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী ড. খিউ কানহারিত এবং কোরিয়া কমিউনিকেশন কমিশন কমিশনার ড. স্যাম সগ কো’র সাথে যৌথ বৈঠক করেন।
    এ সময়ে তারা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গণমাধ্যম ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
    হাসানুল হক ইনু এসময় সকল দেশের মানুষের মাতৃভাষায় বিষয়বস্তু তৈরি ও তা ইন্টারনেটে সরবরাহের ওপর গুরুত্বারোপ করলে স্মৃতি জুবিন ইরানী একমত হন।
    তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো: মোশাররফ হোসেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) মহাপরিচালক মো: রফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (আন্তর্জাতিক) রাহাত আনোয়ার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদসহ বেতার, টেলিভিশন ও নিমকোর কর্মকর্তাবৃন্দ মন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেন।
    বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)’র প্রধান নির্বাহী এইচএম বজলুর রহমান অধিবেশন পরিচালক হিসেবে এবং এসএ টিভি’র উপদেষ্টা খ ম হারুন প্রমুখ সম্মেলনে যোগ দেন। আগামী ১২ মে শনিবার তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

  • আশাশুনিতে বজ্রপাতে নিহত-১

    আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু ও একটি ঘরের অংশ বিশেষ পুড়ে গেছে।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রচন্ড বজ্রপাত, বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যায়। এসময় আশাশুনি সদরের কোদন্ডা বিলে মৎস্য ঘেরে শেওলা উঠাচ্ছিলেন ঘের মালিক মতিন পাড় (৪০)। মতিন পাড় কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ পাড়ের পুত্র। তিনি তার বড় খালু আশাশুনি সদরের কোদন্ডা গ্রামের আঃ রাজ্জাকের বাড়িতে বসবাস করেন এবং মৎস্য ঘেরে মৎস্য চাষ করে আসছিলেন। নেটের মধ্যে শেওলা নিয়ে ঘেরের বাঁধের উপর দিয়ে চলাচলের সময় অকস্মাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থানেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের পূর্ব পাশে একটি বাড়িতে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। এলুমনিয়াম ব্যবসায়ী আলহাজ¦ আঃ গফুরের উক্ত বাড়িতে বজ্রপাত ঘটলে বিদ্যুতের পাখাসহ অনেককিছু পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

  • ধুলিহর আদর্শ বিদ্যালয়ের নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটি ৬ মাস স্থগিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে বিদ্যালয়ের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের রিট পিটিশনের এক রায়ের আদেশের ফলে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক গাজী মনিবুর রহমান মঙ্গলবার (৮ মে) স্বাক্ষরিত স্মারক নং-বিঅ ৬/৫০৪৪/২২৪৩(১-৮) পত্রের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
    জানা যায়, সম্প্রতি ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তড়িঘড়ি করে সাধারণ নির্বাচন না দিয়ে চুপিসারে অভিভাবকদের মতামত উপেক্ষা করে একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে। এই ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদস্য ও গোবিন্দপুর গ্রামের জাহারুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ আরজিনা খাতুন হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলা দায়ের করে। যার রিট পিটিশন নং-৪৭৩৩/১৮। এই মামলায় গত ইং ২২/০৪/১৮ তারিখে হাইকোর্ট এক রায়ের আদেশে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদিত বিঅ-৬/৫০৪৪/১৮৩২ (১-৭), তারিখ ১৪/০৩/২০১৮ খ্রি. পত্রটি ১০/০৪/২০১৮ খ্রি. তারিখ হতে পরবর্তী ০৬ (ছয়) মাসের জন্য স্থগিত করে।
    এই রায়ের আদেশের ফলে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক গাজী মনিবুর রহমান মঙ্গলবার (৮ মে) স্বাক্ষরিত স্মারক নং-বিঅ ৬/৫০৪৪/২২৪৩(১-৮) পত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কয়েকটি দপ্তরেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
    অপরদিকে রিট পিটিশনের বাদী মোছাঃ আরজিনা খাতুনকে মারধর, গালি-গালাজ, অপমান ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়নারী করার হুমকি ধামকি দেওয়ায় ৪ জনের নামে সাতক্ষীরা থানায় একটি জিডি হয়েছে। যার জি,ডি,নং-২১৪, তাং-০৪/০৫/২০১৮ ইং। যাদের নামে জি,ডি, হয়েছে তারা হলেন ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সদ্য গঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জাহানাবাজ গ্রামের শেখ সাহমত আলীর পুত্র শেখ আব্দুর রশিদ, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান ও ধুলিহর সানাপাড়া গ্রামের মৃত মানিক উদ্দীন সানার পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান (বাবু সানা), গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের দুই পুত্র মোঃ আছাফুর রহমান ও মোঃ মশিউর রহমান।
    এদিকে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন পত্র স্থগিত হওয়ার খবর মঙ্গলবার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হৈ চৈ পড়ে যায়। এ নিয়ে অনেকেই রসাত্মকভাবে মন্তব্য করে বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আবার কেউ বলেন দিন বদলায়ছে।
    এ ব্যাপারে জানার জন্য স্থগিত হওয়া ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদের ব্যবহৃত ০১৭২০-৫২৪৮৯৮ মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি ।

  • বিদ্যুৎ সংযোগ নেই আশাশুনির ৩৪ স্কুলে

    বিদ্যুৎ সংযোগ নেই আশাশুনির ৩৪ স্কুলে

    আশাশুনি প্রতিনিধি: ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ পল্লী বিদ্যুতের শ্লোগান হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পৌছায়নি আশাশুনির ৩৪ স্কুলে।
    আশাশুনি শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে আশাশুনি উপজেলার খাজরা, হেতালবুনিয়া, গোয়ালডাঙ্গা, ফকরাবাদ, নয়াবাদ, বাউশুলী, জদুয়াডাঙ্গা, তালবাড়ীয়া, টেকাকাশিপুর, বালিয়াখালি, খানাঘাটা, বিছট, বাগালী, পাইকপাড়া, রাজাপুর, সুভদ্রকাটি, দিগলারাইট, প্রতাপনগর পশ্চিমপাড়া, প্রতাপনগর, চেউটিয়া, পশ্চিম ফটিকখালী, খাসটিয়া ও কোদন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা কমিটি বিদ্যালয়গুলো বিদ্যুতের আওতায় আনতে সম্প্রতি আবেদন করেছেন। কিন্তু বাকী স্কুলগুলোর মধ্যে কোলা, নাসিবাদ, কাঠামারি, কাকড়াবুনিয়া, হিজলিয়া, ফটিকখালী, ১৩০নং উত্তর খাজরা, গাতির মহল, ১৫৯নং উত্তর খাজরা, নয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ হবে কি তা নিয়ে সংশয় আছে।
    এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছা. শামছুরনাহার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ থেকে বঞ্চিত। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ২৪টি স্কুলের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে এবং ১০স্কুলের আবেদন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশাশুনি পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মধুসুদন রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। তবে আবেদনকৃত ২৪টি স্কুলের তালিকা পেলে আগামী ৭দিনের মধ্যে আমি ঐ সকল স্কুলগুলো পল্লী বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে পারবো। অন্য ১০স্কুলের আবেদন পেলে পর্যায়ক্রমে ১০০ভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হবে। এই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ সরকারি ও বেসরকারীভাবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ কার্যক্রম চলছে। যেসব বিদ্যালয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই তাদের এই সরঞ্জাম কোন কাজে আসছেনা। বিদ্যুতহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একদিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ ব্যহত হচ্ছে অপর দিকে প্রচন্ড গরমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এসকল স্কুলের কোমলমতি শিশুরা চলতি বৈশাখ মাসের কঠোর তাপদহে প্রতিনিয়ত হচ্ছে অসুস্থ্য।

  • টাকা জমা দিয়েও হজ্বে যেতে পারলেন না ৩ জন

    শহর প্রতিনিধি: ঢাকার সুপ্রিম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর চাহিদা অনুযায়ী সমুদয় টাকা পরিশোধের পরও দেবহাটার মো. সাইফুল ইসলাম, রহিমা খাতুন ও মোস্তফা নুর মোহাম্মদ পবিত্র হ্জবব্রত পালন করতে পারলেন না। এর জন্য দায়ী ওই ট্রাভেলসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি যথাক্রমে সাঈদুর রহমান ও শেখ আহসানউল্লাহ প্রদীপ ওরফে হাজি ভাই।
    বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন দেবহাটার সখিপুরের মো. আবুবকর সিদ্দিক। তিনি দায়ী ব্যক্তিদের প্রতারক হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন তারা হজ্বে পাঠানোর ব্যবস্থা তো করেই নি এমনকি আমাদের দেওয়া টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুপ্রিম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর ডিরেক্টর সাঈদুর রহমান ২০১৬ সালে হাজি সংগ্রহের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেন। সে অনুযায়ী সাঈদুর রহমানের মনোনীত সাতক্ষীরার মুনজিতপুরের শেখ আহসানউল্লাহ প্রদীপ ওরফে হাজি ভাই হজ্বে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিলে জন প্রতি ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা হিসাবে মোট ৫ লাখ ১১ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন চেকে এই টাকা পরিশোধ করা হলেও ২০১৭ সালে তাদেরকে হজ্বে না পাঠিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত চাইলেও তা দিতে নানা বাহানা শুরু করে শেখ আহসানউল্লাহ প্রদীপ ওরফে হাজি ভাই।
    তিনি বলেন, হাজি ভাই ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তার নিজ নামের জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা করপোরেট শাখার ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার একটি চেক সাইফুল ইসলামকে প্রদান করেন। অথচ হিসাব নম্বর ০০২২৩৫৪০৭ এর এসবি ১০ এফএম ৯৩৩৪৬১৮ নম্বর চেক ব্যাংকে দেওয়া হলে যথেষ্ট পরিমান টাকা না থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়ে যায়। এরপর সাইফুল ইসলাম সাতক্ষীরা জজ আদালতের এ্যাড. রবিউল ইসলামের মাধ্যমে একটি উকিল নোটিশও পাঠান। কিন্তু আহসানউল্লাহ প্রদীপ টাকাও দিচ্ছেন না। আদালতে হাজিরও হচ্ছেন না। উল্টো তিনি নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
    আবু বকর সিদ্দ্কি বলেন, তার ভায়রা জামাতা সাইফুল ইসলাম, সহোদর বোন রহিমা ও সহোদর ভাই মোস্তফা নুর মোহাম্মদ পবিত্র হজ্বব্রত পালনে ব্যর্থ হয়েও তাদের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইমাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভায় নীতিমালার আলোকে সকল ইউপি সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নতুন প্যানেলে ০৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম ১০ ভোট পেয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান-১, সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১,২,৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যা ফতেমা খাতুন ৮ ভোট পেয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এবং ০৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রেম কুমার ০৬ ভোট পেয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নির্বাচিত হয়।
    উল্লেখ্য, গত ২৫ মে২০১৬ তারিখে গঠিত প্যানেল চেয়ারম্যান-১ বিকাশ সরকার শারিরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ০৯.০৫.২০১৮ তারিখে লিখিত দরখাস্তে দায়িত্ব পালনে অসম্মতি জানায়। এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-২ রওনাকউল ইসলাম রিপন ও প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ শিরিনা রসুল ব্যক্তিগত কারণে ০২.৫.০১৮ তারিখ প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে। সে কারণে পরিষদ পরিচালনার জন্য নীতিমালার আলোকে পূর্বের প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল গঠন করা হয়।

  • দেবহাটার বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরা

    দেবহাটার বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরা

    শিক্ষাঙ্গন প্রতিনিধি, দেবহাটা: স্কুলেগামী ছাত্রীদের উত্যাক্ত করা, তাদের দিকে বাজে অঙ্গভঙ্গি করা, শিস দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য করার মত ঘটনা দেবহাটার বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের আশেপাশে এখন নিয়মিত ব্যাপার।
    বিদ্যালয়টির আশপাশে এখন প্রতিদিনই লক্ষ্য করা যায় বখাটেদের আড্ডা। এদের বেশির ভাগই মাদকাসক্ত। বখাটেরা স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করে দেয় নতুবা অন্য স্কুল বেছে নিচ্ছে। এ অবস্থায় ছাত্রীরা অসহায়, উদ্বিগ্ন তাদের অভিভাবকরা। ইভটিজারারা হয়ে উঠছে বেপরোয়া। তাদের শিকার হয়ে মেয়েরা অনেক সময় আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। ইভটিজিং প্রতিরোধে আইন থাকলেও তার বাস্তবায়নের অভাবে কমছে না ইভটিজিং। সকাল হলেই বখাটেদের দেখা যায় স্কুলের সামনে। সকাল ৯টা থেকে ক্লাস থাকলে ৮টার মধ্যে বখাটেরা স্কুলের সামনে চলে আসে।
    কয়েকদিন আগে ৮ম শ্রেণী ও ১০ শ্রেণীর দুইজন ছাত্রী কুলিয়া থেকে স্কুলে আসার সময় কয়েক জন বখাটে মোটরসাইকেল যোগে এসে তাদেরকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। প্রতিদিন কোন না কোন বহিরাগতদের আগমন ঘটছে এই স্কুলের সামনে। এ বিষয়ে কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় কিছু বাজে ছেলেরা আমাদের মেয়েদেরকে বিরক্ত করে। বখাটেদের জন্য মেয়েদের স্কুলে একাকী যাওয়ার উপায় নেই।
    বিষয়টি নিয়ে বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ইমাদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং বলেছি যে, স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুলের আশপাশে বিনা কারণে কোন স্থানীয় বা বহিরাগত ছেলেরা আসতে পারবে না। যদি কেউ এসে অশোভনীয় আচরণ করে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটার আগেই বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সুধীজন ও অভিভাবকবৃন্দ।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাথন্ডা বাজার পরিদর্শন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কাথন্ডা বাজার পরির্দশন করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম।

    গত বুধবার সকালে এ পরিদর্শনে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন।

    এসময়ে বাজারের হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, বাসী পঁচা খাবার রাখা, ওজনে কম দেওয়া, মিস্টির প্যাকেট ও দইয়ের খুলির অস্বাভাবিক ওজন, ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ না করাসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। এসময়ে মিলন মিষ্টান্ন ভান্ডার ও আমজাদ মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৪৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময়ে জনগনকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করা হয়।

  • অভ্যান্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহের উদ্বোধন

    শহর প্রতিনিধি: অভ্যান্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহর উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা খাদ্য গুদাম অফিস চত্বরে রাইচ মিল মালিক সমিতি ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাদের নিয়ে ফিতা কেটে চাল সংগ্রহ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসোন।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা খাদ্য গুদাম চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন, জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, জেলা মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, আব্দুল গফ্ফার, মশিউর রহমান প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শক মো. আশরাফুজ্জামান। এবার জেলা থেকে চার হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হবে।

  • সাতক্ষীরার কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন নদীটি আজ মৃতপ্রায়

    সাতক্ষীরার কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন নদীটি আজ মৃতপ্রায়

    ডেস্ক রিপোর্ট: কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন নদীটি (কদমতলা খাল) অপরিকল্পিত উন্নয়ন ব্যাবস্থাপনা ও দখলবাজীর কবলে পড়ে আজ প্রবাহ হারিয়ে মৃত খালে পরিণত হয়েছে। ফলে সাতক্ষীরা সদরের পশ্চিমাংশের পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা সদরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত ও জলবায়ু পরিবর্তন ঝুকি মোকাবেলায় জলাধার তৈরিতে এ নদীকে সংস্কার করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

  • মিথ্যে অপহরণ মামলা থেকে অব্যহতি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে মিনি স্লুইচ গেট দখল করতে না পেরে চারজনের নামে মিথ্যে পাচার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী(চুনা) গ্রামের মৃত শফির আলী গাজীর ছেলে মো. আনিছুর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বোনের নামীয় আবাদ চন্ডিপুর মৌজায় এক একর ১১ শতক জমি মাছের ঘের করার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়া ছিল। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ঘেরটি ফেরত নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। পাশ্ববর্তী কাশেম গাজীর ছেলে শহিদ গাজী ওই ঘেরে থাকা মিনি স্লুইচ গেটটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দখল করতে না পেরে শহিদ গাজী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় শহিদ তার মামা শশুর জাহাবক্সকে ম্যানেজ করে তার মেয়ে শাহানারা বিবি অপহরণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার ও মেঝ ভাই হাফেজ মিজানুর রহমান, এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ এবং তার বোন তাহলিমার নামে একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাবক্সের মেয়ে কথিত অপহৃত শাহানারা বিবি বিগত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতের একটি কারাগারে অন্তরীন রয়েছে। যে মামলায় শাহানারা কারাগারে রয়েছে তার সার্টিফাই কপি আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তুলে এনেছি।
    আনিছুর অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে নদী পথে চোরচালানি মালামাল পাচারকালে ২০০৯ সালে বিজিজি’র হাতে আটক হয় শহিদের ট্রলার। এঘটনায় বিজিবি তার নামে দু’টি চোরচালানি মামলা দায়ের করে। একই সময় শ্যামনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে ভারতে গিয়ে তার ক্যান্সার হয়েছে মর্মে একটি সার্টিফিকেট আনে। সেই থেকে তার নাম হয়েছে ক্যান্সর শহিদ। চোরাকারবারির মাধ্যমে শহিদ জিরো থেকে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তার এই কালো টাকার প্রভাবে সে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
    তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য চোরাকারবারি শহিদের কথায় জাহাবক্স আমাদের নামে মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে। মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে আমার এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ বর্তমানে পলাতক জীবন যাপন করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন। তিনি মিথ্যে অপহরণ মামলার দায় থেকে কলেজ ছাত্র ভাগ্নেসহ সকলকে অব্যহতি প্রদান ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।মিথ্যে অপহরণ মামলা থেকে অব্যহতি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
    শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে মিনি স্লুইচ গেট দখল করতে না পেরে চারজনের নামে মিথ্যে পাচার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী(চুনা) গ্রামের মৃত শফির আলী গাজীর ছেলে মো. আনিছুর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বোনের নামীয় আবাদ চন্ডিপুর মৌজায় এক একর ১১ শতক জমি মাছের ঘের করার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়া ছিল। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ঘেরটি ফেরত নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। পাশ্ববর্তী কাশেম গাজীর ছেলে শহিদ গাজী ওই ঘেরে থাকা মিনি স্লুইচ গেটটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দখল করতে না পেরে শহিদ গাজী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় শহিদ তার মামা শশুর জাহাবক্সকে ম্যানেজ করে তার মেয়ে শাহানারা বিবি অপহরণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার ও মেঝ ভাই হাফেজ মিজানুর রহমান, এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ এবং তার বোন তাহলিমার নামে একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাবক্সের মেয়ে কথিত অপহৃত শাহানারা বিবি বিগত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতের একটি কারাগারে অন্তরীন রয়েছে। যে মামলায় শাহানারা কারাগারে রয়েছে তার সার্টিফাই কপি আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তুলে এনেছি।
    আনিছুর অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে নদী পথে চোরচালানি মালামাল পাচারকালে ২০০৯ সালে বিজিজি’র হাতে আটক হয় শহিদের ট্রলার। এঘটনায় বিজিবি তার নামে দু’টি চোরচালানি মামলা দায়ের করে। একই সময় শ্যামনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে ভারতে গিয়ে তার ক্যান্সার হয়েছে মর্মে একটি সার্টিফিকেট আনে। সেই থেকে তার নাম হয়েছে ক্যান্সর শহিদ। চোরাকারবারির মাধ্যমে শহিদ জিরো থেকে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তার এই কালো টাকার প্রভাবে সে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
    তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য চোরাকারবারি শহিদের কথায় জাহাবক্স আমাদের নামে মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে। মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে আমার এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ বর্তমানে পলাতক জীবন যাপন করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন। তিনি মিথ্যে অপহরণ মামলার দায় থেকে কলেজ ছাত্র ভাগ্নেসহ সকলকে অব্যহতি প্রদান ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সংবাদ সম্মেলনে অসহায় বিধবার আকুতি আমার দোকানঘর ফিরিয়ে দিন

    শহর প্রতিনিধি: সদ্য বিলুপ্ত জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক অসহায় বিধবা তার দোকানঘর ফেরত পাওয়ার দাবি জানান। এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের ইটাগাছা পশ্চিমপাড়ার মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগম।
    তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী বেঁচে থাকাকালীন সুলতানপুর বড় বাজারের খাল ধারে মাছপট্টি সংলগ্ন এলাকায় কোবলা মূলে ক্রয়কৃত নিজ ভোগদখলীয় জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর সুলতানপুর বড়বাজার এলাকার আমির চাঁদ খানের ছেলে হেলাল উদ্দীন উক্ত দোকানটি মৌাখিকভাবে মাসিকভাড়া দেওয়ার শর্তে নেন। বিষয়টি সুলতানপুর বড়বাজারের ব্যবসায়ী নেতাসহ আশে পাশের সকল দোকানদাররা জানেন। দীর্ঘদিন ধরে হেলাল আমার ঠিকমত ভাড়াও পরিশোধ করেছেন। হঠাৎ গত ৫/৬ মাস ধরে তিনি আর কোন ভাড়া না দিয়ে বকেয়া ফেলে রাখেন। এক পর্যায়ে গত ৩ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি আমার ছেলে শাহাবুদ্দীনকে নিয়ে ভাড়া চাইতে গেলে তিনি বলেন আর কোন টাকা দিতে পারবোনা, যা দিয়েছি এই পর্যন্ত শোধ। এ সময় আমরা তাকে দোকান ছেড়ে দিতে বললে তিনি জানান, এটি এখন তাঁতী লীগের অফিস, এই দেখো সাইন বোর্ড, এই ঘর আর তোদের নাই, এই ঘর এখন আমাদের দখলে। ‘দেখবি তোদের মজা দেখাবো’ এই বলে তিনি জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর শাহিনের কাছে ফোন করলে তিনি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সেখানে হাজির হন। এরপর হেলাল উদ্দীন মীর শাহিনের উপস্থিতিতে তার ইঙ্গিতে আমাদের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে ও আমার ছেলে শাহাবুদ্দীনকে মারপিট করেন। খবর পেয়ে এ সময় আমাদের প্রতিবেশী মাহমুদ হোসেন ক্যাপ্টেন তাদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে গেলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় হেলাল উদ্দীনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
    তিনি আরো বলেন, সদ্য বিলুপ্ত হওয়া তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর শাহিনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে আমাদের দীর্ঘদিনের ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় দোকান ঘরটি যার বৈধ কাগজ পত্র থাকা শর্তেও তাঁতী লীগের সাইনবোর্ড তুলে তা দখলের জোর প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অথচ প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে গত ৬ মে রোববার তারা হেলাল উদ্দীনকে দিয়ে জেলা তাঁতী লীগের বর্তমান সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    তিনি এ সময় ভরাক্রান্ত মনে বলেন, আমার ছেলে শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী মোসলেমা খাতুনের দুটি ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করাতে না পেরে আমরা অসহায় জীবনযাপন করছি। এমতাবস্থায় তিনি তার দোকানঘরটি ফেরত পেতে ও ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, ছেলে শাহাবুদ্দিন, শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী মোসলেমা খাতুন, মেয়ে রওশানারা, মজিদা বেগম প্রমুখ।

  • এনইউবিটি খুলনাতে সামার সেমিষ্টার ২০১৮’র এ্যাডমিশন ফেয়ার

    এনইউবিটি প্রতিনিধি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনাতে সামার সেমিষ্টারের এ্যাডমিশন ফেয়ার শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ ফেয়ার চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিন সহ সপ্তাহে ৭দিন এ ফেয়ার চলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাডমিশন অফিস খোলা থাকবে। এ্যাডমিশন ফেয়ার উদ্বোধন করেন ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো: ইব্রাহীম। আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) জনাব এ.এইচ.এম. মনজুর মোর্শেদ। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    ফেয়ার চলাকালীন ভর্তি ফির উপর ৬০% সহ টিউশন ফির উপর বিশেষ ছাড় থাকবে।
    বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, ইংরেজী, সি.এস.ই, ই.ই.ই, সিভিল , আর্কিটেকচার ও অর্থনীতি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু আছে। এছাড়া স্মাতকোত্তর পর্যায়ে এম.বি.এ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ), এম.এ (ইংরেজী) ও এম.এস.এস (অর্থনীতি) কোর্স চালু আছে।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাছখোলা বাজার পরিদর্শন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদরের মাছখোলা বাজার পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম। গত সোমবার এ পরিদর্শন কার্যক্রমে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন।

    এ সময়ে বাজারে বিক্রয় পন্যে মেয়াদহীন ও উত্তীর্ণ খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, বাসী পঁচা খাবার রাখা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। এসময়ে মোহম্মদ আলী স্টোর, আলমগীর স্টোর ও শরিফুল মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৩৭, ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৩৫০০ টাকা জরিমানা। এসময়ে জনগনকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন দোকান ও বোরহান বেকারী পরিদর্শন করা হয়।

  • গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ‘রিটের শুনানিতে ইসির আইনজীবীর ওকালতনামা ছিল না’

    গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ‘রিটের শুনানিতে ইসির আইনজীবীর ওকালতনামা ছিল না’

    ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন কমিশনগাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে প্যানেলভুক্ত আইনজীবী থাকলেও ইসির ওকালতনামা ছিল না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সোমবার (৭ মে) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
    কবিতা খানম বলেন, ‘আদালতে আমাদের আইজীবী প্যানেল আছে। তাদের মধ্যে একজন আইজীবী রিটের একটা কপি পেয়ে হিয়ারিংয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র দিইনি। তাকে ওকালতনামা দেওয়ার মতো সুযোগ ছিল না।’
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে আগে আদালত আমাদের কিছু জানাননি। আমরা আগে কিছু জানতাম না। গণমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছি। তবে আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। আদালতের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করেছি।’
    ‘নির্বাচনের তফশিল দেওয়ার পর সে বিষয়ে ইসিকে অবহিত না করে আদালত কোনও আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারে না’— সংবিধানের এই বিধানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এ রিট বিষয়ে হিয়ারিংয়ের আগে জানতাম না। হিয়ারিং হওয়ার পর জেনেছি।’
    গাজীপুর স্থগিত হলে খুলনার ক্ষেত্রে এরকম হতে পারে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনও কিছু অগ্রিম বলা যাবে না। কোনও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আইন তাকে সেই সুযোগ দিয়েছে। তবে আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার পরই নির্বচনের তফসিল ঘোষণা করি। আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনও ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে।’
    গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের ব্যাপারে কমিশন আপিল করবে কিনা, জানতে চাইলে কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এখনও রিটের সারমর্ম পাইনি। আশা করি দ্রুতই লিখিত আদেশ পাবো। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
    গাজীপুর সিটি নিয়ে আবার তফসিল ঘোষণা করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন সময় আছে এ সিটি নির্বাচনের। এর মধ্যে কোনও বিষয় সুরাহা না হলে তো আবার তফসিল দিতেই হবে।’
    নির্বাচন স্থগিতে নির্বাচন কমিশনের দায় রয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘দায় কার এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি, কমিশনের কোনও গাফিলতি নেই।’
    প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রবিবার (৬ মে) একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে গাজীপুর সিটি নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।