Blog

  • দেশের খাদ্য উৎপাদনের চিত্র পাল্টে দিতে পারে ‘লেবুয়াত ধান’

    দেশের খাদ্য উৎপাদনের চিত্র পাল্টে দিতে পারে ‘লেবুয়াত ধান’

    ডেস্ক রিপোর্ট: বাগেরহাটের কৃষক লেবুয়াত শেখ উদ্ভাবিত ‘লেবুয়াত ধান’ পাল্টে দিতে পারে দেশের খাদ্য উৎপাদনের চিত্র। আর এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা। এমনটাই মনে করছে বাগেরহাটের সাধারণ কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
    সম্প্রতি এমন একটি বিস্ময়কর জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের কৃষক লেবুয়াত শেখ। আর এই বিশেষ জাতের ধানের খবর ছড়িয়ে পড়ায় কৃষক লেবুয়াত শেখের বাড়ি ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক সাধারণ মানুষ।
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই ধানের খবর ছড়িয়ে পড়ায় অন্যান্য জেলা থেকেও কৃষকরা এই ধানের বীজ সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে স্থানীয়রা নতুন এই জাতের ধানের নামকরণ উদ্ভাবক কৃষক লেবুয়াত শেখের নাম অনুসারে ‘লেবুয়াত ধান’ করেছেন।
    এই ধান কেজিপ্রতি ৪’শ টাকা দরে অনেকে সংগ্রহ করেছেন। এখনও তার বাড়িতে শত শত কৃষক এই ধানের বীজ সংগ্রহ করতে ভিড় জমাচ্ছেন। শুধু সাধারণ কৃষক নয় নতুন এই জাতের ধান নিয়ে উৎসুক বাগেরহাটের কৃষি বিভাগও।
    মাত্র ৩ ছড়া (ধানের শীষ) ধান দুই বছরে বেড়ে হয়েছে প্রায় ১‘শ মণ। খোদ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এই জাতের ধান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দিলে পাল্টে যাবে খাদ্য উৎপাদনের চিত্র।
    কৃষি বিভাগের মতে, ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের একজন আদর্শ কৃষক লেবুয়াত শেখ।
    প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন ধান ও মাছের চাষ এবং মাছের ব্যবসা করে জীবন ধারণ করেন। স্থানীয় বেতাগা বাজারে তার একটি মাছের আড়তও রয়েছে। তিনি ও তার স্ত্রী স্থানীয় আইপিএম ক্লাবের সদস্য।
    কৃষক লেবুয়াত শেখ জানান, ২০১৬ সালে তিনি বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ক্ষেতে আফতাব-০৫ জাতের হাইব্রিড ধানের চাষ করেন। মাঠে ধান কাটতে থাকা দিনমজুরদের তার মা ফাতেমা বেগম পানি খাওয়ানোর জন্য যান। এসময় তিনি (ফাতেমা বেগম) সেই ধানের ক্ষেতের মধ্যে একটি তুলনামূলকভাবে অনেক বড় ধানের শীষ (ছড়া) দেখতে পান। তিনি আর একটু সামনে গিয়ে আরো দু‘টি শীষ দেখতে পান। এই শীষগুলো নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। পরে তিনি এই ধানগুলো সংরক্ষণ করার জন্য লেবুয়াতকে নির্দেশ দেন।
    ২০১৭ সালে মাত্র ১ শতক জমিতে তিনি ওই ধান রোপন করে সেখান থেকে ২.৫ কেজি বীজ সংগ্রহ করেন। এবছর তিনি ৭৫ শতক জমিতে সেই ধান রোপন করেন। ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথম থেকেই তিনি কাজ করছেন বলে জানান।
    লেবুয়াতের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘দুই বছর আগে ধানের ভেতর পাওয়া একটি বড় ধরনের ধানের বাইল (শীষ) একটি কাচের বোতলে সংরক্ষণ করি। পরের বছর এই ধান থেকে ৩ আঁটি পোতা হয়। সেখান থেকে যে ধান হয় তা আবার পরের বছরের জন্য বীজ হিসেবে রেখে দেই। সেখান থেকে আজ এতগুলো ধান হয়েছে।
    সরেজমিনে গিয়ে ও কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ধানের গাছ, ফলন, পাতা, শীষ সবকিছু অন্য যেকোনো জাতের ধানের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি গোছে একটি চারা রোপণ করা হয়। যা বেড়ে ৮/১২টি হয়েছে। প্রতিটি ধান গাছ ১১৫ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। এক একটি ছড়ার দৈর্ঘ্য ৩৬- ৪০ সেন্টিমিটার। প্রতি ছড়ায় দানার সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১২‘শটি। যার ওজন ৩০-৩৫ গ্রাম। ধানগাছের পাতা লম্বা ৮৮ সেন্টিমিটার, ফ্লাগলিপ ( ছড়ার সাথের পাতা) ৪৪ সেন্টিমিটার। ধানগাছের পাতা চওড়া দেড় ইঞ্চি। এই জাতের গাছের কা- ও পাতা দেখতে অনেকটা আখ গাছের মতো এবং অনেক বেশি শক্ত। একর প্রতি ফলন প্রায় ১৩০ মণ। অন্য যেকোনো জাতের তুলনায় এই জাতের ধান অনেক ব্যতিক্রম।
    অপরদিকে আফতাব-০৫ জাতের হাইব্রিড ধান প্রতি ছড়ায় ১৮০ থেকে ২৫০টি দানা হয়। এই ধানের বীজ প্রতিবারই বাজার থেকে কিনতে হয়। হেক্টর প্রতি এই ধান উৎপাদন হয় ৫ টন। একই জমিতে কৃষক লেবুয়াত উদ্ভাবিত জাতের ধানের উৎপাদন ১১ টন।
    চাকুলী গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, এই ধান নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা অসম্ভব। মাত্র ৩টি শীষ থেকে আজ ৭৫ শতক জমিতে এই ধানের চাষ করেছেন লেবুয়াত। আর এই ভিন্ন জাতের ধান দেখতে প্রতিদিনই অনেক লোক বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন। এবং তারা ধান সংগ্রহে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তিনি সরকারিভাবে কৃষক লেবুয়াতের নামেই এই ধানের নামকরণের জন্য সবার কাছে দাবি জানান।
    কৃষানী রীনা বেগম জানান, সকলের আগ্রহ এখন লেবুয়াতের ধানের দিকে। এই ধান বীজ হিসেবে সংগ্রহ করতে প্রতিদিনই অনেক লোক আসছে। তিনি নিজেও প্রতিকেজি ৪শ টাকা দরে ৪ কেজি ধানের বীজ কিনেছেন বলে জানান।
    স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোলায়মান আলী জানান, প্রথমে তারা লেবুয়াতের ধানের ক্ষেতে গিয়ে ধানের নমুনা দেখে অবাক হয়ে যান। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে তার পরামর্শে লেবুয়াতকে হাতে কলমে ও সর্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হয়।
    ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোতাহার হোসেন জানান, স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে খবর পেয়ে তিনি নিজে সার্বক্ষণিক এই ধানের ক্ষেতে বিশেষ নজরদারি করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা লেবুয়াতের এই ধানের ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। কৃষক লেবুয়াতের উদ্ভাবিত এই বিশেষ জাতের নানা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি অনেক বেশি লবণ সহিষ্ণু জাত। গাছের কা- অনেক বেশি মোটা ও শক্ত, ফলে ঝড়ে হেলে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। বৈরী আবহাওয়ায়ও পাতায় কোনো স্পট নেই। এই জাতের ধানের শীষ ( বাইল) অনেক বেশি লম্বা।
    গবেষণা করে এটি যদি কৃষকদের জন্য উপযোগী হয় তাহলে সারাদেশে এই জাত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
    বাগেরহাট জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, কৃষক পর্যায়ে উদ্ভাবিত এটি একটি নতুন জাতের ধান। এই ধান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালনো হচ্ছে। কৃষক পর্যায়ে যে এত উন্নত ধরনের ধান উদ্ভাবন হয়েছে তা স্থানীয়দের মাঝে চমক সৃষ্টি হয়েছে। বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির মাধ্যমে এটি ছাড় করানোর ব্যবস্থা করা হবে।

  • বাংলাদেশের আমের রাজ্য সাতক্ষীরা

    শহর প্রতিনিধি: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহাসীন বলেন, ‘বাংলাদেশের আমের রাজ্য সাতক্ষীরা। দেশে ও বিদেশে চিংড়ির পাশাপাশি আমে যে সুনাম অর্জন করেছে এটা ধরে রাখতে হবে। সাতক্ষীরার আম, দেশ ও দেশের বাহিরের আমের চাইতে বেশি সুস্বাদু ও মিষ্টি। সাতক্ষীরার আম বিভিন্ন প্রজাতির হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা অনেক বেশি। সঠিক সময়ে এবং বালাই কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন করতে হবে আম চাষীদের।’ গতকাল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহযোগ্য বালাইমুক্ত নিরাপদ আম উৎপাদন ও বিপণন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহাসীন এ কথা বলেন। সদর উপজেলা মিলনায়তনে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন।
    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং, পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আজহার আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ^াস, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকা কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সলিডারিডাড এর কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান, উত্তণের পরিচালক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, উপসহকারি কৃষি অফিসার রঘুজিৎ গুহ, আম রপ্তানীকারক মো. আবুল হোসেন, আম চাষী শিখা রাণী, শাহীন বিশ^াস প্রমুখ। কর্মশালায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহযোগ্য বালাইমুক্ত নিরাপদ আম উৎপাদন ও বিপণন বিষয় উপাস্থাপন করেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কালিগজ্ঞ উপজেলা কৃষি অফিসার ফজলুল হক মনি।

  • মৌলবাদকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে

    নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘মৌলবাদকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। যে বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে।’ গত শুক্রবার সকালে জেলা শিল্পকলা একডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মশালায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড প্রফেসর ড. সুশান্ত দাস।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি ও পলিট ব্যুরোর সদস্য সংসদ সদস্য কমরেড এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিট ব্যুরোর অন্যতম সদস্য কমরেড নূর আহম্মেদ বকুল।
    সভায় বক্তারা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঘোষিত ২১ দফা আশু কর্মসূচির ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতেÑখাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা, আধনিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জবাবদিহিতাপূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, সুষম উন্নয়নে নগরায়ন ও গ্রাম উন্নয়ন, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বার বিকাশ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন, ক্ষমতার গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাধাহীন তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে পার্টির কর্মীদের করণীয় সম্পর্কে গঠনমূলক বক্তব্য রাখেন।
    কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মোহিবুল্লাহ মোড়ল, সম্পাদকম-লীর সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক সাবীর হোসেন, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, সদস্য যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সরদার, স্বপন কুমার শীল, আব্দুল জলিল মোড়ল, অধ্যাপক পাল সুভাশীষ, নাসরিন খান লিপি, মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, নির্মল মন্ডল, ইঞ্জিনিয়ার আবেদুর রহমান প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরার আম ইউরোপের পথে

    সাতক্ষীরার আম ইউরোপের পথে

    ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার আম বিদেশ পথে যাত্রা শুরু করেছে। শনিবার সদর উপজেলা ধুলিহর গ্রামের আমচাষি জাহাঙ্গীরের বাগান থেকে হিমসাগর আম রফতানির মধ্যদিয়ে এ যাত্রার শুরু। দুপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আমের এ বিদেশ যাত্রা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের পরিচালক ড. আজাহার আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক নিত্য রঞ্জন বিশ্বাস, সাতক্ষীরা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান, সলিডারিডাডের কান্ট্রি ডিরেক্টর সেলিম রেজা হাসান প্রমুখ।
    চলতি মৌসুমে আমচাষি জাহাঙ্গীরের বাগান থেকে চার মেট্রিক টন আম রফতানির মধ্য দিয়ে জেলার আম রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়। এসব আম যাচ্ছে ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও স্পেনে। একই সঙ্গে পাওয়া যাবে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে।
    রফতানি মৌসুমের প্রথম দিনেই আম পাঠাতে পেরে আমচাষি জাহাঙ্গীর হোসেন এক গণমাধ্যমকে বলেন, গত মৌসুমের শেষ দিন থেকেই চলতি মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে বিষমুক্ত আম উৎপাদন ও রফতানি করে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তিনি আরও বলেন, প্রতি মণ আম তিন হাজার ২৫০ টাকা দরে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে কিনেছে। লোকাল বাজারে যা দুই হাজার ২০০ টাকা।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সাতক্ষীরার মাটি ও আবহাওয়া আম উৎপাদনের জন্য বেশ উপযোগী। এ জেলার আম অন্যান্য জেলার চেয়ে ১৫-২০ দিন আগে পাকে। খেতেও বেশ স্বুস্বাদু। তাই রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জকে পেছনে ফেলে রফতানির বাজারে বিশেষ গুরুত্ব পায় সাতক্ষীরার ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি আম। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় ৪০ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য চার হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পাঁচ হাজার ২৯৯টি বাগান।

    দেশের খাদ্য উৎপাদনের চিত্র পাল্টে দিতে পারে ‘লেবুয়াত ধান’

    ডেস্ক রিপোর্ট: বাগেরহাটের কৃষক লেবুয়াত শেখ উদ্ভাবিত ‘লেবুয়াত ধান’ পাল্টে দিতে পারে দেশের খাদ্য উৎপাদনের চিত্র। আর এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা। এমনটাই মনে করছে বাগেরহাটের সাধারণ কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
    সম্প্রতি এমন একটি বিস্ময়কর জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের কৃষক লেবুয়াত শেখ। আর এই বিশেষ জাতের ধানের খবর ছড়িয়ে পড়ায় কৃষক লেবুয়াত শেখের বাড়ি ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক সাধারণ মানুষ।
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই ধানের খবর ছড়িয়ে পড়ায় অন্যান্য জেলা থেকেও কৃষকরা এই ধানের বীজ সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে স্থানীয়রা নতুন এই জাতের ধানের নামকরণ উদ্ভাবক কৃষক লেবুয়াত শেখের নাম অনুসারে ‘লেবুয়াত ধান’ করেছেন।
    এই ধান কেজিপ্রতি ৪’শ টাকা দরে অনেকে সংগ্রহ করেছেন। এখনও তার বাড়িতে শত শত কৃষক এই ধানের বীজ সংগ্রহ করতে ভিড় জমাচ্ছেন। শুধু সাধারণ কৃষক নয় নতুন এই জাতের ধান নিয়ে উৎসুক বাগেরহাটের কৃষি বিভাগও।
    মাত্র ৩ ছড়া (ধানের শীষ) ধান দুই বছরে বেড়ে হয়েছে প্রায় ১‘শ মণ। খোদ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এই জাতের ধান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দিলে পাল্টে যাবে খাদ্য উৎপাদনের চিত্র।
    কৃষি বিভাগের মতে, ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের একজন আদর্শ কৃষক লেবুয়াত শেখ।
    প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন ধান ও মাছের চাষ এবং মাছের ব্যবসা করে জীবন ধারণ করেন। স্থানীয় বেতাগা বাজারে তার একটি মাছের আড়তও রয়েছে। তিনি ও তার স্ত্রী স্থানীয় আইপিএম ক্লাবের সদস্য।
    কৃষক লেবুয়াত শেখ জানান, ২০১৬ সালে তিনি বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ক্ষেতে আফতাব-০৫ জাতের হাইব্রিড ধানের চাষ করেন। মাঠে ধান কাটতে থাকা দিনমজুরদের তার মা ফাতেমা বেগম পানি খাওয়ানোর জন্য যান। এসময় তিনি (ফাতেমা বেগম) সেই ধানের ক্ষেতের মধ্যে একটি তুলনামূলকভাবে অনেক বড় ধানের শীষ (ছড়া) দেখতে পান। তিনি আর একটু সামনে গিয়ে আরো দু‘টি শীষ দেখতে পান। এই শীষগুলো নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। পরে তিনি এই ধানগুলো সংরক্ষণ করার জন্য লেবুয়াতকে নির্দেশ দেন।
    ২০১৭ সালে মাত্র ১ শতক জমিতে তিনি ওই ধান রোপন করে সেখান থেকে ২.৫ কেজি বীজ সংগ্রহ করেন। এবছর তিনি ৭৫ শতক জমিতে সেই ধান রোপন করেন। ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথম থেকেই তিনি কাজ করছেন বলে জানান।
    লেবুয়াতের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘দুই বছর আগে ধানের ভেতর পাওয়া একটি বড় ধরনের ধানের বাইল (শীষ) একটি কাচের বোতলে সংরক্ষণ করি। পরের বছর এই ধান থেকে ৩ আঁটি পোতা হয়। সেখান থেকে যে ধান হয় তা আবার পরের বছরের জন্য বীজ হিসেবে রেখে দেই। সেখান থেকে আজ এতগুলো ধান হয়েছে।
    সরেজমিনে গিয়ে ও কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ধানের গাছ, ফলন, পাতা, শীষ সবকিছু অন্য যেকোনো জাতের ধানের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি গোছে একটি চারা রোপণ করা হয়। যা বেড়ে ৮/১২টি হয়েছে। প্রতিটি ধান গাছ ১১৫ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। এক একটি ছড়ার দৈর্ঘ্য ৩৬- ৪০ সেন্টিমিটার। প্রতি ছড়ায় দানার সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১২‘শটি। যার ওজন ৩০-৩৫ গ্রাম। ধানগাছের পাতা লম্বা ৮৮ সেন্টিমিটার, ফ্লাগলিপ ( ছড়ার সাথের পাতা) ৪৪ সেন্টিমিটার। ধানগাছের পাতা চওড়া দেড় ইঞ্চি। এই জাতের গাছের কা- ও পাতা দেখতে অনেকটা আখ গাছের মতো এবং অনেক বেশি শক্ত। একর প্রতি ফলন প্রায় ১৩০ মণ। অন্য যেকোনো জাতের তুলনায় এই জাতের ধান অনেক ব্যতিক্রম।
    অপরদিকে আফতাব-০৫ জাতের হাইব্রিড ধান প্রতি ছড়ায় ১৮০ থেকে ২৫০টি দানা হয়। এই ধানের বীজ প্রতিবারই বাজার থেকে কিনতে হয়। হেক্টর প্রতি এই ধান উৎপাদন হয় ৫ টন। একই জমিতে কৃষক লেবুয়াত উদ্ভাবিত জাতের ধানের উৎপাদন ১১ টন।
    চাকুলী গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, এই ধান নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা অসম্ভব। মাত্র ৩টি শীষ থেকে আজ ৭৫ শতক জমিতে এই ধানের চাষ করেছেন লেবুয়াত। আর এই ভিন্ন জাতের ধান দেখতে প্রতিদিনই অনেক লোক বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন। এবং তারা ধান সংগ্রহে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তিনি সরকারিভাবে কৃষক লেবুয়াতের নামেই এই ধানের নামকরণের জন্য সবার কাছে দাবি জানান।
    কৃষানী রীনা বেগম জানান, সকলের আগ্রহ এখন লেবুয়াতের ধানের দিকে। এই ধান বীজ হিসেবে সংগ্রহ করতে প্রতিদিনই অনেক লোক আসছে। তিনি নিজেও প্রতিকেজি ৪শ টাকা দরে ৪ কেজি ধানের বীজ কিনেছেন বলে জানান।
    স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোলায়মান আলী জানান, প্রথমে তারা লেবুয়াতের ধানের ক্ষেতে গিয়ে ধানের নমুনা দেখে অবাক হয়ে যান। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে তার পরামর্শে লেবুয়াতকে হাতে কলমে ও সর্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হয়।
    ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোতাহার হোসেন জানান, স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে খবর পেয়ে তিনি নিজে সার্বক্ষণিক এই ধানের ক্ষেতে বিশেষ নজরদারি করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা লেবুয়াতের এই ধানের ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। কৃষক লেবুয়াতের উদ্ভাবিত এই বিশেষ জাতের নানা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি অনেক বেশি লবণ সহিষ্ণু জাত। গাছের কা- অনেক বেশি মোটা ও শক্ত, ফলে ঝড়ে হেলে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। বৈরী আবহাওয়ায়ও পাতায় কোনো স্পট নেই। এই জাতের ধানের শীষ ( বাইল) অনেক বেশি লম্বা।
    গবেষণা করে এটি যদি কৃষকদের জন্য উপযোগী হয় তাহলে সারাদেশে এই জাত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
    বাগেরহাট জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, কৃষক পর্যায়ে উদ্ভাবিত এটি একটি নতুন জাতের ধান। এই ধান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালনো হচ্ছে। কৃষক পর্যায়ে যে এত উন্নত ধরনের ধান উদ্ভাবন হয়েছে তা স্থানীয়দের মাঝে চমক সৃষ্টি হয়েছে। বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির মাধ্যমে এটি ছাড় করানোর ব্যবস্থা করা হবে।

  • শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে কলারোয়ার ১ ব্যক্তির ৫ বছরের কারাদন্ড

    কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় ১০বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে আলমগীর হোসেন ওরফে আলীম নামে এক ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে আলীম কলারোায়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হায়েজ উদ্দীন সরদারের ছেলে।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন ওরফে আলীম একই গ্রামের ১০ বছরের এক শিশু কন্যাকে প্রায় সময়ই উত্ত্যক্ত করতো। বিগত ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল রাতে আসামী আলমগীর হোসেন ওরফে আলীম তাকে একা পেয়ে মুখে গামছা বেঁধে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা ওই শিশু কন্যার বাবা বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
    দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে এ মামলায় ৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে আলীমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদ-ের আদেশ দেন।
    এ মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ রায়ের সময় আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে আলীম পলাতক ছিলেন।

  • দেবহাটায় ৪০পিস ইয়াবাসহ নারী আটক

    সখিপুর প্রতিনিধি: গত শুক্রবার রাতে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে পারুলিয়া এলাকা থেকে ৪০পিস ইয়াবাসহ এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
    আটককৃত নারী হলেন, খুলনার দৌলতপুর থানার পাবলা দওবাড়ি এলাকার রানু বেগম(৫০)। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় ১৮/৫/১৮ তারিখে ৯ নং মামলা দায়ের হয়েছে।

  • দেশের বাইরে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম

    দেশের বাইরে যাচ্ছে সাতক্ষীরার আম

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আম আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

    জেলায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আমের বাজারজাতকরণের জন্য।


    গত ৪ বছর যাবৎ সাতক্ষীরার আম রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সাতক্ষীরার আম। আজ শনিবার সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আম রপ্তানি কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা প্রক্রিয়াগত কোনো জটিলতা তৈরি না হলে শনিবার থেকেই রপ্তানি শুরু হবে সাতক্ষীরার আম। যা যাবে ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক, জার্মানি, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

    সাতক্ষীরার মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের অনুকূল হওয়ায় অন্যান্য অঞ্চলে উৎপাদিত আমের চেয়ে সাতক্ষীরার আম বেশি সুস্বাদু। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় সাতটি উপজেলায় চলতি বছরে প্রাায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১১৯৫ হেক্টর জমিতে, কলারোয়া উপজেলায় ৬০২ হেক্টর, তালা উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ৩৬৮ হেক্টর, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ১২৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।

    এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে আমের বাগন রয়েছে ১৫৩০টি, কলারোয়ায় ১৩১০টি, তালায় ১৪৫০টি, দেবহাটায় ৪৭৫টি, কালিগঞ্জে ১৪২টি, আশাশুনিতে ১৯০টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০টি আমের বাগান রয়েছে।

    এ জেলায় গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, ক্ষিরসরাইসহ নানা জাতের আম বাগান রয়েছে। আমের পরিচর্যার জন্য নানামুখী কর্মযজ্ঞে মেতে উঠেছে জেলার শত শত মৌসুমী শ্রমিক। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন আম বিদেশে রফতানি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৭’শ মেট্রিক টন।

    কলারোয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, গত বছর কলারোয়া উপজেলা থেকে ৪০ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানী হয়েছিল। যা অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশী। এবার এ উপজেলা থেকে ৮০ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানী করা হবে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    কলারোয় উপজেলায় আমের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার বাউড়ি বেলতলা ও সিংগা বাজার।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, কলারোয়ার সিংগা আমবাজারে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম বাজারজাত করণের লক্ষ্যে আমের পাইকারী বাজার বসেছে। এই বাজারের আমে কোন রাসায়নিক মেশানো হয় না।

    উপজেলার সিংড়া বাজার আম ব্যবমসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ জানান, এখানকার পাইকারী বাজার থেকে আম কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা এখানে অবস্থান করছেন। তিনি আরো জানান, চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাট, রাজশাহী, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আম ব্যবসায়ীরা বর্তমানে এখানে অবস্থান করছেন। এখানকার আম ইউরোপেও রপ্তানি হচ্ছে।

    কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন জানান, কলারোয়া উপজেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই আমে যাতে কোন রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয় না হয় সেজন্য আম চাষীদের নিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

    তিনি আরো জানান, আম ব্যবসায়ী ও আম চাষিদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক ঋণের সুবিধা দিলে তারা আরও ভালোভাবে আম চাষ ও আমের ব্যবসার প্রসার বাড়িয়ে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।

    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচারক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান জানান, গত চার বছর ধরে এ জেলার আম ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার মেট্রিকটন আম এবারও ইউরোপের বাজারে রপ্তানী হবে।

  • আদি যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডের বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন

    আদি যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডের বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন

    ডেস্ক রিপোর্ট: আদি যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডের বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে শ্যামনগরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আতাউল হক দোলন। সভাপতিত্ব করেন ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জিএম শুকুর আলী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু পরিষদের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. নাজিম উদ্দিন, যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাসদ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন অর রশিদ, সাংবাদিক শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, বরুণ ঘোষ, এ্যাডভোকেট মুনসুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা সুশান্ত বিশ্বাস বাবু লাল, সাংবাদিক ফারুক হোসেন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, ভূমিহীন নেতা ছফুরা খাতুন, যমুনা কুলের হাসান, মিজান, ইউসুফ, জিএম আব্দুল কাদের, জিএম সোহরাব হোসেন ও আব্দুল জব্বার প্রমুখ -দক্ষিণের মশাল

  • আজ থেকে শুরু পবিত্র মাহে রমজান

    আজ থেকে শুরু পবিত্র মাহে রমজান

    ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের আকাশে গত বুধবার কোথাও পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রোজা।
    শুক্রবার রোজা রাখার মধ্য দিয়ে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। এই প্রেক্ষিতে, আগামী ১২ জুন দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।
    গত বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররমস্থ সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
    সভাশেষে ধর্মমন্ত্রী দেশবাসীকে রমজানের শুভেচ্ছা এবং মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
    বুধবার দেশের কোথাও রমজানের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষরাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সাহ্রি খান।
    ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার পবিত্র রমজান মাসের রহমতের প্রথম ১০ দিনের প্রথম দিন।
    সাতক্ষীরায় বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোররাত ৩টা থেকে শুরু হয়ে ৩টা ৫৪ মিনিটে সাহ্রির সময় শেষ হবে। ইফতার হবে সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে।
    বাংলাদেশের আকাশে বৃহস্পতিবার কোথাও ১৪৩৯ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ১৭ মে বৃহস্পতিবার পবিত্র শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছে। আজ ১৮ মে শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হয়েছে। প্রেক্ষিতে, আগামী ১২ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।

  • জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশ্ব মা দিবস পালিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    সদর উপজেলা:
    সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। শহরের মীর মোকছেদ আলী কিন্ডারগার্টেনে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    মর্নিং সান প্রি-ক্যাডেট স্কুল: মা কথাটি ছোট্ট অতি, কিন্তু জেনো ভাই, ইহার চেয়ে নাম যে মধুর তিন ভুবনে নাই” সেই মায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালোবাসার আহ্বান জানিয়ে মর্নিং সান প্রি-ক্যাডেট স্কুলে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব মা দিবস। রবিবার সকাল ১০টায় স্কুল ক্যাম্পাসে মা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক লায়লা পারভীন সেঁজুতি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আফরোজা খাতুন লাভলী, মিলি আফরোজা, চৈতালী মুখার্জী, উপাধ্যক্ষ সেলিনা সুলতানা প্রমুখ। প্রতিটি শিশু তার মাকে সম্মান করতে শিখুক এই শ্লোগান নিয়ে স্কুলের পরিচালক ও অধ্যক্ষ শেখ আমিনুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার মনিরুজ্জামান ছট্টু। গান পরিবেশন করেন, চৈতালী মুখার্জী ও সম্পা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সৌমিতা অধিকারী।
    শ্যামনগর:
    শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা উপজেলা শাখার আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস-২০১৮ পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকাল ১১ টায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলার সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন হল রুমে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় সাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শাহানা হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ রফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক, নকশী কাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক শাহানা আক্তার, উপস্থিতিদের মধ্যে বক্তব্য ও বিষয়ের উপর গান পরিবেশন করেন সুমাইয়া পারভীন, পপি, সাবিনা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার উপজেলা সংগঠক মোঃ আনিছুর রহমান মল্লিক।
    দেবহাটা: দেবহাটায় বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী, আলোচনা সভা, রতœগর্ভা মায়েদের সম্মাননা ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৩ মে) সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বে-সরকারি সংস্থা আশার আলো, নারী কণ্ঠ উন্নয়ন সংস্থা ও ইউমেন জব ক্রিয়েশন সেন্টার’র সহযোগীতায় উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে উপজেলা চত্বর হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, বিআরডিবি অফিসার ইসরাইল হোসেন, একটি বাড়ি একটি খামারের সমন্বয়কারী মুক্তা রানী মন্ডল। উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিসার আব্দুস সামাদের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, আব্দুল হক, রতœাগর্ভা মা সুফিয়া খাতুন ও ফরিদা হক, নারী নেত্রী হাসিনা পারভীন, সাইমা খাতুন প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক মিজানুর রহমান, অফিস সহায়ক দিপুআর রহমান, ডিআরআরএ’র কমিউনিটি মবিলাইজার করবী স্বর্ণকার, নারী কণ্ঠ উন্নয়ন সংস্থার সুপারভাইজার মুজিবর রহমান, হিসাবরক্ষক সাবিয়া সুলতানা, প্রোগ্রাম অফিসার পিকু মন্ডলসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, নারী উন্নয়ন সংগঠনের নের্তৃবৃন্দরা, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ও ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীরা। পরে, মা দিবসের বিভিন্ন বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
    আশাশুনি: আশাশুনিতে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও স্বপ্নজয়ী মায়েদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ম. মোনায়েম হোসেন, আ ব ম মোছাদ্দেক, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজিজুল হক, প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম মুজিবর রহমান প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, মা দিবসের মুল উদ্দেশ্য, মাকে যথাযথ সম্মান দেয়া। যে মা জন্ম দিয়েছেন, লালন পালন করেছেন, তাকে শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য দিনটি পালন করা হয়। জন্মদাত্রী মা যেন কোন ভাবে অবহেলা অনাদরে না থাকে সে জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। সভায় উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের স্বপ্নজয়ী মা আজিমুন্নেছা ও শোভনালী গ্রামের দুই পুলিশ কর্মকর্তার গর্বধারণী মা রীনা’কে এ বছর পুরস্কৃত করা হয়েছে।
    কালিগঞ্জ: বিশ^ মা দিবস উপলক্ষে কালিগঞ্জে মা সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ মে রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা লেডিস ক্লাব চত্ত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলীর স্ত্রী ফারজানা শারমিন। উপজেলা লেডিস ক্লাবের সহযোগিতায় এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা লেডিস ক্লাবের সম্পাদিকা ইলাদেবী মল্লিক প্রমুখ। মা দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও আলোচনা সভায় নারীরা তাদের বক্তব্যে মায়েদের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সুখস্মৃতি তুলে ধরেন।

  • মীর মোকছেদ আলী কিন্ডারগার্টেন স্কুলে বিশ্ব মা দিবস

    শহর প্রতিনিধি: মীর মোকছেদ আলী কিন্ডারগার্টেন স্কুলে বিশ্ব মা দিবসে সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

    সভার সভাপতিত্ব করেন স্কুলের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট এস. এম হায়দার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, পৌর কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোৎন্সা আরা, দাতা সদস্য মীর মাসুদ আলী ও সদস্য শেখ আজিজুল হক, সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সৈয়দ মহিউদ্দিন হাশেমী প্রমুখ। -দক্ষিণের মশাল

  • বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জাতি গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে ‘ইচ্ছেনদী’

    শহর প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য প্রকাশের প্রত্যয়’ নিয়ে সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী’ রঙিন কলেবরে পথচলা শুরু করেছে। এ উপলক্ষ্যে রবিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নতুন এ পত্রিকাটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

    সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার সম্পাদক মকসুমুল হাকিমের সভাপতিত্বে ও স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পত্রিকাটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপিস্থিত থেকে পত্রিকাটির উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘সাপ্তাহিক ইচ্ছে নদী’ পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক খবরাখবর পরিবেশনের মাধ্যমে জাতি গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশেনের মাধ্যমে জেলার সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট, হাসি-কান্না এবং ঘটনাবলি তুলে ধরবে। তাৎক্ষণিক তথ্য নিয়ে শুভ আবির্ভাব হচ্ছে ‘ইচ্ছেনদী’। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সামাজিকতা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ জেলা বাংলার বুকে মাইল ফলক হবে। যুগোপযোগী এ পদক্ষেপের শুভ কামনা করি এবং প্রত্যাশা করি এ পদক্ষেপের সুদূর প্রসারি সফলতা। আমি প্রত্যাশা করি সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী-এর কলম সৈনিকেরা জেলার উন্নয়ন-অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সাতক্ষীরাসহ গোটা দেশের জন্য এটি একটি আনন্দের সংবাদ যে একটি নতুন সংবাদপত্র বের হয়েছে। সাতক্ষীরার সাংবাদিকতার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। এখানে অনেক পত্রিকা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নতুন যাত্রা শুরু করল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হয়ে বিচরণ করবে ইচ্ছেনদী।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎন্সা আরা প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দক্ষিণের মশাল’র সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, হেনরী সরদার, এ্যাড. শফিউল ইসলাম খান, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল ওয়াজেদ কচি, মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, দীলিপ কুমার দে ও আসাদুজ্জান আসাদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবি মণ¥য় মনির।

  • পাঁচ হাজার টাকার জন্য কৃষকের মাজায় দড়ি ওঠে অথচ কোটি টাকার দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপিদের নাম বলতে সাহস পান না অর্থমন্ত্রী

    শহর প্রতিনিধি: গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহাসীন মন্টু বলেন, বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। পাঁচ হাজার টাকার জন্য কৃষকের মাজায় রশি বেধে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপিদের নাম বলতে সাহস পান না অর্থমন্ত্রী। এসবের বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার একটা যৌক্তিক দাবি। কিন্তু আমাদের এক প্রবীণ মন্ত্রী সংসদে আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে তরুণ সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ঠেলে দিলেন। এটা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব একটা সমাধান হওয়া উচিত।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে গণফোরাম সাতক্ষীরা জেলা শাখা আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মোহসীন হোসেন মন্টু আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠিাতা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানসহ অনেকেই হত্যা হয়েছে। দেশে বেশ কিছু সময়কাল ধরে সামরিক স্বৈরাচারী শাসকরা শাসন করেছে। সামরিক স্বৈরশাসকরা সংবিধানের মূল কাঠামো অসাম্প্রদায়িকতার রূপরেখা পরিবর্তণ করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছে।
    বর্তমানে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে উল্লেখ করে মন্টু বলেন, ভারতের কারগিলে পাকিস্তানের সঙ্গে যখন কঠিন যুদ্ধ হয়েছে তখন সকল রাজনৈতিক দল তাদের ব্যক্তিগত ইগো ভুলে জাতীয় স্বার্থে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই বাংলাদেশের গণতন্ত্র অক্ষুন্ন রাখতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলকে দলীয় সংকীর্ণতার বাইরে এসে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
    কর্মী সম্মেলনে জেলা গণফোরামের সভাপতি প্রভাষক মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুলের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গনফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আ,ও,ম শফিকউল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক, যুব বিষয়ক সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী, যুব গণফোরামের আহবায়ক কাজী হাবিব প্রমুখ।

  • ৯২ বছরের মাহাথিরেই কেন আস্থা মালয়েশীয় তরুণ প্রজন্মের?

    ৯২ বছরের মাহাথিরেই কেন আস্থা মালয়েশীয় তরুণ প্রজন্মের?

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবসরের ১৫ বছর পর রাজনীতিতে ফিরে দিয়েছিলেন চমক। নির্বাচনে জয়ী ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। তিনি আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার খ্যাতি পাওয়া ৯২ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নিজ দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে এই নেতার ক্ষমতায় ফিরে আসা যেন এক অনন্য ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, মাহাথিরের এই ইতিহাস সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছেন দেশটির তরুণ প্রজন্ম। বুধবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটের বদলে মাহাথিরের বিরোধী জোটকেই বেছে নিয়েছে এই প্রজন্ম।

    ২০০৩ সাল থেকে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ত্যাগ করা মাহাথির ২০১৬ সালে নিজের ইউনাইটেড মালয়েশিয়া ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (উমনো) ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ৭০ কোটি ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন মাহাথির। ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা নিজের রাজনৈতিক শিষ্য নাজিবকে ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি। যোগ দিয়েছিলেন এক সময় যাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন সেই আনোয়ার ইব্রাহিমের দলে।

    মাহাথিরের এই ফিরে আসাকে ভালোভাবেই স্বাগত জানিয়েছেন মালয়েশীয়রা। অনেকের সংশয় ছিল মালয়েশিয়ার তরুণ প্রজন্ম তাকে গ্রহণ করবে কি না। নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপেও দেখা যাচ্ছিল জেতার সম্ভাবনা কম মাহাথিরের। তবে সব পূর্বাভাস ও জরিপকে ভুল প্রমাণিত করে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি। তার নেতৃত্বাধীন পাকতান হারপান সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়লাভ করে।

    তরুণ প্রজন্ম কেন মাহাথিরের মতো বয়স্ক নেতার উপর আস্থা রাখলো? তাদের বক্তব্য, পরিবর্তন চাইছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বয়সই বরং মাহাথিরের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। আর বৃদ্ধ হলেও এখনও শারীরিকভাবে এখনও অনেক সুস্থ তিনি।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি কথা বলে মালয়েশিয়ার তরুণদের সঙ্গে। এক মালয়েশীয় তরুণী বলেন, ‘বয়সের বিষয়টা নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তা করিনি। তিনি আমাদের কাছে দাদা’র মতো। কিন্তু আমরা পরিবর্তন চেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘হয়তো ভালো কিছু হবে কিংবা খারাপ কিছু। তবে আমরা পরিবর্তন চেয়েছি।’

    আরেক মালয়েশীয় তরুণ বিবিসিকে বলেন, ‘মাহাথিরের প্রমাণ করার কিছু নেই। আমরা সবাই তার সম্পর্কে জানি।’ আরেকজন জানান, এখনই হয়তো পরিবর্তন আসবে না। তবে পরিবর্তনের এই তো শুরু।

    নির্বাচনে জয়ের পর ২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আব্দুল আজিজ হামজা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আজ ঐক্য অনুভব করছি। মাহাথির খুবই দূরদর্শী কারণ তিনি অভিজ্ঞ।’

    মাহাথিরের সত্যিই প্রমাণ করার কিছু নেই বলেই মনে করেন তার সমর্থকরা। তবে তাদের অনেকের সংশয় ছিল তার সুস্থতা নিয়ে। মালয়েশিয়ার এক ব্যাংক কর্মকর্তা এম কে লুম বলেন, ‘আমরা তার যোগ্যতা কিংবা সক্ষমতা নয়, চিন্তিত ছিলাম স্বাস্থ্য নিয়ে। তিনি যদি শারীরকভাবে সমর্থ থাকেন তবে তাকে কেন ভোট দেব না?’

    রোমের জন ক্যাবট বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ব্রিজেট ওয়েলশ বলেন, ‘মাহাথিরের বয়সই তার হয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। ভোটাররা তাকে অভিজ্ঞ মনে করেছেন যিনি মালয়েশিয়াকে দুর্নীতি থেকে টেনে তুলতে পারবেন।’ ওয়েলশ বলেন, ‘৯২ বছর বয়সী একজন মালয়েশিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে আসছেন, দুর্নীতির কারণে ক্ষুব্ধ মানুষের কাছে তা ছিল বড় কিছু। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে, বিশ্বাসযোগ্যতা আছে।’

    মাহাথির নিজেও বলেন, ‘তরুণদের অভিজ্ঞতা নেই। যাদের অভিজ্ঞতা ছিল তারা বেঁচে নেই। আমি অভিজ্ঞতা নিয়ে বেঁচে আছি।’ নিজের প্রচারণা ভিডিওতে বয়সকে ব্যবহার করেছেন তিনি। ভিডিওতে ৯২ বছর বয়সী এই নেতা বলেন, ‘আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি। আমার সময় নেই। দেশকে পুনর্গঠনে বাকি সময়টা কাজে লাগাতে চাই। কারণ আমি হয়তো অতীতে ভুল করেছি।’

    মাহাথির কি রাষ্ট্র পরিচালনায় সক্ষম?

    মাহাথিরের সুস্থতা এবং রাজনৈতিক সক্ষমতা ও সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম হেরাল্ড হুইগ। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নির্বাক চলচ্চিত্রের সময় জন্ম নেওয়া মাহাথির বয়সকে হার মানিয়েছেন। তার জন্ম এমন সময়ে যখন এডলফ হিটলার চৌকস রাজনৈতিক। ইতিহাসের বড় বড় অধ্যায়ের স্বাক্ষী মাহাথির নিজেই মালয়েশিয়ায় বারবার ইতিহাস তৈরি করেছেন। অনুন্নত দেশ থেকে মালয়েশিয়াকে দিয়েছেন আধুনিক রূপ। ৯২ বছর বয়সেও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সৃষ্টি করেছেন নতুন ইতিহাস।

    তবে তিনি কি সত্যিই অনেক বৃদ্ধ? গতমাসে বার্তা সংস্থা এপি’র পক্ষ থেকে এই বিষয়ে মাহাথিরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল— কত বৃদ্ধ হলে একজন নেতা দেশ চালাতে সমর্থ থাকেন না? তার জবাব ছিল বরাবরে মতোই সাবলীল, ‘আমি হয়তো একটু বুড়িয়ে গেছি। না! আসলে অনেক বৃদ্ধ হয়ে গেছি। কিন্তু এখনও কাজ করতে সমর্থ আমি।’

    মাহাথিরের মতো বয়স্ক নেতা অন্যান্য দেশেও ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিগানের কথা বলেছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। তারা জানায়, রিগ্যান দায়িত্ব ছাড়ার পর ডাক্তাররা জানায় তার আলঝেইমার ছিল। প্রায়ই ভুলে যেতেন সবকিছু। মাঝে মাঝেই ঘুমিয়ে পড়তেন। এখনও ইতিহাসবিদরা সংশয় প্রকাশ করেন, হোয়াইট হাউসে থাকা অবস্থাতেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তবে মিডিয়ায় সবসময় রিগানের কম বয়স দেখানোর চেষ্টা ছিল। গাছ কাটা কিংবা ঘোড়ায় চড়া ছবি বারবার দেখানো হতো।

    তবে মাহাথির এখনও দিব্যি সুস্থ। হেরাল্ড উইগ জানায়, মাহাথিরের বয়স কম দেখানোর কিছু নেই। এখনও তাকে বৃদ্ধ মনে হয় না। ডাক্তার হওয়ার কারণে নিজের খেয়াল রেখেছেন তিনি। নিজে সবসময়ই বলেন, ‘খান কম, অনুশীলন করুন বেশি, বই পড়ুন বেশি।’ দুটি বাইপাস সার্জারি হলেও এখনও দিব্যি সুস্থ এই নেতা। মাথা ভর্তি চুল আর ঠোঁটে হাসি। বচন থাকে রসিকতায় মাখা। যখন কথা বলেন মনে হয় বয়স তার আরও ২০ বছর কম।

    ১৯৮১ সালে মাহাথির যখন প্রথমবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তখন দেশটির পরিচয় ছিল দরিদ্র হিসেবে। ২০০৩ সালে যখন তিনি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেন তখন দেশটি এশিয়ার শীর্ষ এক অর্থনীতি। নিজে আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার খ্যাতি পাওয়ার পাশাপাশি ১৯৯৮ সালের এশিয়ার মন্দা কাটিয়ে দেশকে তুলে ধরেছেন ‘অর্থনৈতিক বাঘ’ হিসেবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিজেকে মুসলিম বিশ্বের কণ্ঠস্বরে পরিণত করেছিলেন তিনি। আবার টুইন টাওয়ারে ৯/১১ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে সমর্থনও জানিয়েছিলেন মাহাথির।

  • ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টাইগাররাই এগিয়ে-পাইলট

    ক্রীড়া ড্স্কে: প্রথম দুই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুইবার টি-টুয়েটির বিশ্বকাপটাও জিতেছে দলটি। এক সময় ক্রিকেট বিশ্বে ছড়ি ঘোরাতো তারাই। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন তাদের সেই শক্তি অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার ওপর দলে যারা ভালো খেলেন, তারাই দেশের হয়ে না খেলে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি লিগ খেলতেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাই এ সব কিছু বিবেচনা করে বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের চেয়ে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে টেস্টেও টাইগাররা এগিয়ে থেকে মাঠে নামবেন বলে বিশ্বাস করেন সাবেক এই অধিনায়ক।

    টেস্টে বাংলাদেশের সাফল্য খুব বেশি নেই। কিন্তু তারপরও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশ যুক্তি দিয়েই টাইগারদের এগিয়ে রেখেছেন পাইলট। পরিবর্তন ডট কমের সঙ্গে একান্ত আলাপে বললেন, ‘টেস্ট ম্যাচে আমি বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবো। আমার কাছে মনে হয় বর্তমানে ওদের খেলোয়াড়রা টি-টুয়েন্টি খেলতে খুব পছন্দ করে। তাদের টেস্টের প্রতি আগ্রহ খুব কম। আর তাদের এখন যে সমস্ত উইকেট হয় তা প্রায় উপমহাদেশের মতোই। আর সেক্ষেত্রে আমাদের স্পিনাররা ভালো বল করবে। যদিও ওদেরও খুব ভালো খেলোয়াড় আছে। কিন্তু তারা দেশের হয়ে খেলে না। শুধু মাত্র আইপিএল, টি-টুয়েন্টি লিগগুলো খেলে বেড়াচ্ছে। আর এখন বাংলাদেশ অনেক প্রতিষ্ঠিত একটি দল। তারা প্রমাণও করেছে।’

    সামনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর টাইগারদের। এ সিরিজ নিয়ে ভিন্ন ধরনের মতবাদ দিচ্ছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। অনেকেই উইন্ডিজকে এগিয়ে রাখলেও পাইলটের বাজি টাইগারদের পক্ষেই। সাকিব-মুশফিকদের সঙ্গে তরুণরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে জয় পাওয়া খুব কঠিন কিছু হবে না বলে মনে করেন সাবেক এ অধিনায়ক, ‘মাশরাফী, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, তামিম প্রত্যেকেই অসাধারণ পারফর্ম করছে। সাথে যদি আমাদের তরুণরা একটু অবদান রাখতে পারে। শুধু এক ম্যাচ না, ধারাবাহিক অবদান রাখতে পারলে আমার মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুব ভালো করবে বাংলাদেশ।’

    আগামী জুনে পুর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ সিরিজের জন্য এর মধ্যেই প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ দলে নিয়ে খুব একটা মন্তব্য করেননি পাইলট। তবে মার্শাল আইয়ুবকে এ দলে রাখলে ভালো হতো বলে মনে করছেন তিনি, ‘এখন তো মাত্র প্রাথমিক স্কোয়াড দিয়েছে। সেখানে প্রায় সব পারফরমারদের নিয়েছে। ১৫ সদস্যের দল দিলে বোঝা যাবে। আর দলে খুব বেশি বদলের জায়গা নেই। স্থায়ী কিছু খেলোয়াড় আছে। সামান্য দুই একজন হয়তো বদল হতে পারে। তবে আমার মনে হয় মার্শাল আইয়ুবকে রাখতে পারতো তারা। টেস্টের জন্য দারুণ একজন খেলোয়াড়। আরেকটা সুযোগ ওকে দেওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।’

    এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। ভারতের দেরাদুনে হবে সেই সিরিজ। সেখানে অবশ্য দুই দলেরই সমান সুযোগ দেখছেন পাইলট, ‘টি-টুয়েন্টি দিয়ে আসলে কোন দলকেই মূল্যায়ন করি না। আমার কাছে এটা ফানি গেমের মতো। যার যার দিনে তারা কাজে লাগায়। তবে এ সংস্করণে দুইটা দলের শক্তি প্রায় সমান। আফগানিস্তানকে ছোট করার কোন উপায় নেই। ওদের হার্ড হিটার আছে, ভালো স্পিনার আছে- মুজিব এবং রশিদ। এই দুই জন খেলোয়াড় যে কোন সময় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। তারা কার্যকরী খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে পাকিস্তানের একটা ছোঁয়া আছে। দেখবেন চার ছয় খেলতে খুব পছন্দ করে। ওয়ানডেতে ওরা আমাদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তবে টি-টুয়েন্টিতে সমান সমান। বাংলাদেশ যদি গাণিতিক ক্রিকেট খেলে আমার মনে হয় কঠিন কিছু না আফগানিস্তানকে হারানো।’

  • শিক্ষা গ্রহণ করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কাজ-প্রধানমন্ত্রী

    ড্স্কে রিপোর্ট: ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মনে রাখতে হবে, ছাত্র রাজনীতি আমরা করব। কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং সবার আগের কাজ।

    শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম ও অর্জনে ছাত্রলীগের ভূমিকা রয়েছে। আদর্শহীন রাজনীতি কোনো রাজনীতি নয়। আদর্শ নিয়ে এগিয়ে গেলে অবশ্যই তাতে দেশের মানুষের কল্যাণ হবে।

    ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দু’টি পড়ার পরামর্শ দেন এবং দেশকে ভালাবাসার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেয়ার কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে তোমরা, তোমাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত কর। কারণ ত্যাগ করতে শেখো। তোমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজবে যাতে তারা এই সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।