ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কোনো সংঘাতের ঘটনা বা সংবেদনশীল সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা ও উস্কানি পরিহার করে শান্তির লক্ষ্যে কাজ করাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারনিউজ’র সহায়তায় বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)’র আয়োজনে রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার মিলনায়তনে রোববার দিনব্যাপী ‘কনফ্লিক্ট সেনসিটিভ জার্নালিজম’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনীতে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। ‘তথ্যের ঘাটতি গুজবের পৃথিবী তৈরি করে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধপূর্ণ ঘটনা বিষয়ে সাংবাদিকতা অবশ্যই তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে, যাতে গুজব বিলীন হয়ে যায়। মিয়ানমার থেকে আগত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার ঘটনাসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকতাও যাতে কখনো বিভ্রান্তিকর বা উস্কানিমূলক না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান হাসানুল হক ইনু। বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার সমাপনীতে বক্তব্য রাখেন ইন্টারনিউজ প্রতিনিধি নিকোলাস নিউজেন্ট এবং ইন্টারনিউজ বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর সায়েদ জায়েন আল মাহমুদ। সংঘাত সংবেদনশীল সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদন তৈরিতে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইন্টারনিউজ এবং বিএনএনআরসি’র ধারাবাহিক উদ্যোগের এটি ছিল তৃতীয় কর্মশালা। এর আগের দুটি কর্মশালা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়।
Blog
-
কোনো সংঘাতের ঘটনা বা সংবেদনশীল সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা ও উস্কানি পরিহার করে শান্তির লক্ষ্যে কাজ করাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব-তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু
-
কোমরপুরে জেলাপরিষদ সদস্য আল ফেরদাউস আলফার উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠান
গতকাল দেবহাটায় জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদাউসের উদ্যোগে কোমরপুরে উত্তরপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসাতে ৪ জন কুরআনে হাফেজ হাফেজী শেষ করায় তাদের পাগড়ী প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারী, দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্ঠা সম্পাদক এডভোকেট আবুল কালাম আযাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থতি ছিলেন দেবহাটাপ্রসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব ও আমির কান চৌধুরী প্রমুখ।
-
সাতক্ষীরা ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাবের ইফতার মাহফিল
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাব (এফ.ডি.সি) এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১১ রমজান সাতক্ষীরা ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাব (এফ.ডি.সি) মিলনায়তনে সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাবের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার মো সাজ্জাদুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শাহ্ আবদুল সাদী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান, সাতক্ষীরা ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছাইফুল করিম সাবু প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাবের সহ-সভাপতি আজিবর রহমান, শেখ নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউছুফ আলী, অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, কাযনির্বাহী সদস্য এড. আব্দুল খালেক, আজীবন সদস্য সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন ও এনডিসি মোশারেফ হোসাইন প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম। এসময় ক্লাবের আজীবন ও সাধারণ সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম বাবু।
-
ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন
ধুলিহর প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স.ম জালাল উদ্দীন ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিক আহম্মেদ, ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন, সাবেক উইপ সদস্য বিশ^নাথ রায়, ভৈরব সরকার, সাংবাদিক মো. শাহাদাত হোসেন বাবু, ডা. দীনদিপ্তী বিশ^াস, ধুলিহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার মল্লিক, ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরশাদ আলী, ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান, বিপ্লব, তপনশীল, নয়া ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল মখতুন, শফিকুল ইসলামসহ সকল ইউপি সদস্য, সদস্যাবৃন্দ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইউপি সচিব শরিফুল ইসলাম। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউপি সদস্য মো. শামীম রেজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫৫৮ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন ইউপি চেয়ারম্যান। -
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইচিপ’র কার্যক্রম স্থগিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ণ চিকিৎক পরিষদ(ইচিপ) এর কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গত ২৪ মে’ বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিএমএ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. এস জেড আতীক স্বাক্ষরিত এক পত্রে অনিবার্য কারণবশত গত ২২মে১৮ তারিখে গঠিত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন।
-
চট্টগ্রাম হতে চুরি যাওয়া ৭লক্ষাধিক টাকার রড পাটকেলঘাটা থেকে উদ্ধার
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম থেকে চুরি যাওয়া ৭লক্ষাধিক টাকার রড পাটকেলঘাটা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরির ২৩দিন পর পাটকেলঘাটার মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৩ টন রড উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত ৩রা মে চট্রগ্রামের পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকার দিদার পরিবহন ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ১৩ টন ২০ মিলি জি পিএস রড নিয়ে ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৪৯২৫ নাম্বারের ট্রাকটি ড্রাইভার জিহাদ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর উদ্দ্যেশে রওনা হয়। এর পর থেকে ২২ দিন ট্রাকটির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ট্রাকটির মালিক খুলনা টুটপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান বলেন ড্রাইভার জিহাদ খুলনা ফুলবাড়ী এলাকার শহর আলীর ছেলে। জিহাদ চাঁদপুর থেকে ১৩ টন রড ছিনতাইকারী সদস্যদের যোগসাজশে অন্য একটি ট্রাকে তুলে দেয়। ২৩ দিনের মাথায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় পাটকেলঘাটার মৃত আতিয়ার রহমান চৌধুরীর ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরীর মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে ১১টন ৩শ কেজি ২২ মিলি জি পি এস রড উদ্ধার করা হয়। চট্রগ্রামের মাদারবাড়ী এলাকার রড ব্যবসায়ী মাওঃ জেবল হোসেনের ছেলে মো. বেলাল হোসেন জানান, ৪ মে ট্রাক বোঝাই রডগুলো ছিনতাই হয়ে গেছে জানতে পেরে আমরা সকল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য বলি। সাথে সাথে ডিবি পুলিশের সহায়তা চাই। অবশেষে ২২দিনের মাথায় সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের মাধ্যমে পাটকেলঘাটায় রডগুলোর সন্ধান পায়। এসময় রড বেচাকেনার অপরাধে ডিবি পুলিশ মের্সাস চৌধূরী ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদ, পাটকেলঘাটা আরেক গ্রীল ব্যবসায়ী আবুল কাশের পুত্র তহিদ হোসেন (৩০) ও কথিত ঠিকাদার মিজানুর রহমান কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ কালে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানতে পারে।
পরবর্তিতে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক দু’স্থান থেকে ১৩ টন রড উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১১টন ৩শ কেজি সাঈদ চৌধুরীর দোকান থেকে উদ্ধার হয়। অপর ১৭শ কেজি রড খুলনা ও চাঁদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, পাটকেলঘাটা পূবালী ব্যাংকের নিচের গ্রীল ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের ছেলে তহিদ হোসেন আমার কাছে গত বৃহস্পতিবার ২০ মিলি জিপিএস রডগুলো কয়েকদিনের জন্য আমানত হিসেবে রাখার অনুরোধ জানালে আমি রেখে দেয়। এর পর সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ সদস্যরা ও ট্রাক মালিক মিজানুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, চট্রগ্রাম থেকে আগত বেলাল উদ্দীন আমার দোকানে হাজির হলে আমি চুরির বিষয় জানতে পারি। এবং রডগুলি তাদের কাছে হস্তান্তর করি।
এবিষয়ে পাটকেলঘাটা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম ভুঁইয়া বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা থাকলে আমাদের বাজারের ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণœ করেছে আবু সাঈদ। সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ওসি আলী আহম্মেদ হাসেমী বলেন, ছিনতাইকৃত রডগুলি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম থেকে চুরি যাওয়া ৭লক্ষাধিক টাকার রড পাটকেলঘাটা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরির ২৩দিন পর পাটকেলঘাটার মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৩ টন রড উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত ৩রা মে চট্রগ্রামের পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকার দিদার পরিবহন ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ১৩ টন ২০ মিলি জি পিএস রড নিয়ে ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৪৯২৫ নাম্বারের ট্রাকটি ড্রাইভার জিহাদ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর উদ্দ্যেশে রওনা হয়। এর পর থেকে ২২ দিন ট্রাকটির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ট্রাকটির মালিক খুলনা টুটপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান বলেন ড্রাইভার জিহাদ খুলনা ফুলবাড়ী এলাকার শহর আলীর ছেলে। জিহাদ চাঁদপুর থেকে ১৩ টন রড ছিনতাইকারী সদস্যদের যোগসাজশে অন্য একটি ট্রাকে তুলে দেয়। ২৩ দিনের মাথায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় পাটকেলঘাটার মৃত আতিয়ার রহমান চৌধুরীর ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরীর মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে ১১টন ৩শ কেজি ২২ মিলি জি পি এস রড উদ্ধার করা হয়। চট্রগ্রামের মাদারবাড়ী এলাকার রড ব্যবসায়ী মাওঃ জেবল হোসেনের ছেলে মো. বেলাল হোসেন জানান, ৪ মে ট্রাক বোঝাই রডগুলো ছিনতাই হয়ে গেছে জানতে পেরে আমরা সকল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য বলি। সাথে সাথে ডিবি পুলিশের সহায়তা চাই। অবশেষে ২২দিনের মাথায় সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের মাধ্যমে পাটকেলঘাটায় রডগুলোর সন্ধান পায়। এসময় রড বেচাকেনার অপরাধে ডিবি পুলিশ মের্সাস চৌধূরী ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদ, পাটকেলঘাটা আরেক গ্রীল ব্যবসায়ী আবুল কাশের পুত্র তহিদ হোসেন (৩০) ও কথিত ঠিকাদার মিজানুর রহমান কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ কালে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানতে পারে।
পরবর্তিতে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক দু’স্থান থেকে ১৩ টন রড উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১১টন ৩শ কেজি সাঈদ চৌধুরীর দোকান থেকে উদ্ধার হয়। অপর ১৭শ কেজি রড খুলনা ও চাঁদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, পাটকেলঘাটা পূবালী ব্যাংকের নিচের গ্রীল ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের ছেলে তহিদ হোসেন আমার কাছে গত বৃহস্পতিবার ২০ মিলি জিপিএস রডগুলো কয়েকদিনের জন্য আমানত হিসেবে রাখার অনুরোধ জানালে আমি রেখে দেয়। এর পর সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ সদস্যরা ও ট্রাক মালিক মিজানুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, চট্রগ্রাম থেকে আগত বেলাল উদ্দীন আমার দোকানে হাজির হলে আমি চুরির বিষয় জানতে পারি। এবং রডগুলি তাদের কাছে হস্তান্তর করি।
এবিষয়ে পাটকেলঘাটা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম ভুঁইয়া বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা থাকলে আমাদের বাজারের ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণœ করেছে আবু সাঈদ। সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ওসি আলী আহম্মেদ হাসেমী বলেন, ছিনতাইকৃত রডগুলি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। -
জাতপুর টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল্লাহ’র বিরদ্ধে অর্থ অত্মসাতসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ
তালা প্রতিনিধি: তালা উপজেলার জাতপুর টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল্লাহ’র বিরদ্ধে অর্থ অত্মসাতসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সোমবার সকালে তালা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের প্রভাষক জিএম ফৈজুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০১ সালে জাতপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষক-কর্মচারীরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে আসলেও কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল্লাহ’র ব্যাপক দুর্নীতির কারণে তারা মানসিক নির্যাতন ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পাবলিক পরীক্ষায় সেরাদেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে কলেজটি। কিন্তু অধ্যক্ষের নানা চক্রান্ত ও দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
২০১৬ সালের ২৬ শে নভেম্বর এন,টি,আর,সি,এ কর্তৃক নির্বাচিত ৫ জন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। এরমধ্যে প্রভাষক (ব্যাংকিং) উৎপল কুমার সাহার এমপিওভূক্তির জন্য অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল্লাহ ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। প্রভাষক উৎপল উৎকোচের উক্ত টাকা দিতে না পারায় অদ্যাবধি এমপিওভূক্তি না হয়ে মানবেতার জীবনযাপন করছে।
এছাড়া ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হলেও অধ্যক্ষের দুর্নীতির কারণে তৎকালিন সভাপতি বিলে স্বাক্ষর না করায় ২০০৭ সালের মে মাসের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনবিল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রায় ৬০ হাজার উক্ত বিল অধ্যক্ষ প্রদান না করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তসহ মানবেতার জীবন যাপন করছেন। এছাড়া কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল্লাহ অদ্যাবধি ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে ফরম ফিলআপ বাবদ ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৫৭১ টাকা, ভর্তি ও রেজিষ্ট্রেশন বাবদ ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৭ টাকা, প্রসংশাপত্র বিতরণ ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮শত, উপবৃত্তি প্রদানের নাম করে ৪৩ হাজার ৩শত, শর্টকোচ থেকে আয়কৃত (ফেব্রুয়ারী ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত) প্রায় ৫ লাখ টাকা , জমির হারি, ফলজ,বনজ ও পুকুর লিজ বাবদ (২০০২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত) ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মিলে মোট ৩৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৮ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কলেজের অফিস সহকারী হায়দার আলী মোল্যা কলেজ অধ্যক্ষের অবৈধভাবে আর্থিক দুর্নীতির কাজে সহযোগিতা না করায় কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে নি¤œমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক উত্তম সরকারকে নিয়ে অর্থ অত্মসাৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও ভুয়া রশিদ বইয়ে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন তিনি। এছাড়া কলেজ গত ০৬/০৮/২০০৪ তারিখে প্রভাষক চঞ্চল রায়কে অবৈধভাবে সেক্রেটারিয়েল সায়েন্স পদে নিয়োগ প্রাদন করেন। নিয়েগের সময় প্রভাষক চঞ্চল রায়ের বয়স ছিল ৩৩ বছর যা আইন বহির্ভুত। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অধ্যক্ষ তার বয়সসীমা গোপন করে তাকে নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং তথ্য গোপন করে আইন বর্হিভূতভাবে এডহক কমিটির মাধ্যমে টাইম স্কেল পরিবর্তন করেছেন বলে জানা গেছে। অধ্যক্ষের চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ দিতে না পারায় কম্পিউটার বিভাগের প্রভাষক জিএম ফৈজুর রহমানকে সিনিয়ার স্কেল প্রদানের জন্য প্রেরিত কাগজে অদ্যাবধি স্বাক্ষর করেনি। তিনি স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রভাষক জিএম ফৈজুর রহমানের অর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
এছাড়া ২০০৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে কলেজে তিন মাসের সার্টিফিকেট-ইন-কম্পিউটার সর্ট কোর্স চালু হলে অধ্যক্ষ ঐ কলেজের শিক্ষক দিদারুল ইসলামকে কোর্স প্রতি ৫ টাকা দিবে মর্মে ট্রেনার হিসাবে নিয়োগ দিলে তিনি আটটি কোর্স সম্পন্ন করে। কিন্তু তিনি তাকে ট্রেনার হিসাবে কোন টাকা প্রদান না করে সমুদয় আতœসাৎ করেন। যে কারণে শিক্ষক দিদারুল ইসলাম তার পাওনা ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা চেয়ে সিনিঃ ম্যাজিষ্ট্রেট ১ নং আদালতে সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং- সিআর ১৬৪/১২, টি আর ১৫/১৩। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। কলেজ গভার্নিং বডির অনুমোদন চাড়াই কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি, পুকুরের মাছ, ফলজ ও জমি ইজারা প্রদান করে প্রতি বৎসর প্রায় ৯০,০০০ হাজার নিজ পকেটস্থ করে থাকেন। বে-সরকারী সংস্থা উত্তরণ কর্তৃক উক্ত কলেজে ১.০১ একর দানকৃত সম্পত্তি সংলগ্ন উত্তরনের বাকি ০.৬৫ একর সম্পত্তিতে পুকুর, হ্যাচারী ও গোডাউন স্থাপনা রয়েছে। ইতপূর্বে কলেজ ও উত্তরণ এর জমির সীমানা নির্ধারণ করা না থাকায় উক্ত তফশীল জমি জবর দখল করার লক্ষে বিভিন্ন সময় উক্ত পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করা, গোডাউন ও হ্যাচারী ক্ষতিসাধন করা, গাছপালা কেটে বিক্রি করার মত অপকর্ম কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিনিয়ত করেই চলেছে। এ জন্য সাতক্ষীরা বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী মামলাও হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, অত্র কলেজের একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম কলেজটি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০১ সালে অত্র কলেজের নামে ১.০১ একর জমি দান করেন, যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। যার দলিল নং-১৪৭৭ তারিখ-১৯/০২/২০০২ ইং। এছাড়া উক্ত জমির উপর ভবন নির্মাণসহ কলেজ উন্ন্য়নের জন্য অনুদান হিসেবে বিভিন্ন তারিখে মোট ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা প্রদান অনুদানসহ কলেজে কম্পিউটার, ল্যাবটপ, প্রিন্টার, স্কানার দিয়েছেন। যিনি কলেজ উন্নয়নে এত কিছু করলেন কলেজ অধ্যক্ষ তাকেই ষড়যন্ত্রভাবে সুকৌশলে একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা থেকে বাদ দিয়ে শামীম আখতার নামে একব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেখানো হয়েছে। অথচ শামীম আখতার ২শত ৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এফিডেভিট করে বলেছেন যে, আমি কখনও প্রতিষ্ঠাতা ছিলাম না এবং আমি উক্ত কলেজে একটি টাকা বা স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি দান করি নাই। উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলামই অত্র কলেজের একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা। যদিও শহিদুল ইসলাম দেওয়ানী আদালতে এ বিষয়ে মামলা করেছিলেন। মামলাটি নিস্পত্তিঅন্তে পুনরায় কলেজে কমিটি গঠন করা হয় এবং শহিদুল ইনলামকে একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে মনোনয়ন করে অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহি অফিসার বোর্ডে প্রেরণ করেন। কমিটি গঠনে অধ্যক্ষ সাইফুল্লাহ’র সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তিনি তার মামাত ভাই মাজেদ বিশ্বাসকে দিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১১২৫০/১৫ নং এক রীট পিটিশন দাখিল করে উক্ত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন থাকায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ড উক্ত কমিটির অনুমোদন প্রদান করতে পারছেন না। ২০১২ সন হতে আজ পর্যন্ত দীর্ঘদিন পরিচালনা কমিটি না থাকায় অর্থ অত্মসাৎ করাসহ স্বেচ্ছাচারিতায় অত্র কলেজটির সাথে জড়িত সবাই আজ অতিষ্ঠ ও আর্থিক ক্ষতিরসম্মুখীন। কলেজটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগি শিক্ষক-কর্মচারীরা উপরোল্লিøখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে অধ্যক্ষ সাইফুল্লাহ’র দুর্নীতির তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -
তালার কপোতাক্ষ নদের পাড় থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: তালার কপোতাক্ষ নদের পাড় থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কপোতাক্ষ নদের তালা বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে তালা উপজেলা সদরের পুরাতন ফালগুনী সিনেমা হলের পিছনে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কালভার্টের নিচে একটি নবজাতকের রক্তাক্ত লাশ পলিথিনের উপর পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে তালা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তের জন্য শিশুটির লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
-

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইচিপ’র কার্যক্রম স্থগিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ণ চিকিৎক পরিষদ(ইচিপ) এর কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গত ২৪ মে’ বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিএমএ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. এস জেড আতীক স্বাক্ষরিত এক পত্রে অনিবার্য কারণবশত গত ২২মে১৮ তারিখে গঠিত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন।
-

জেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে ১২ মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক-৪৪
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ১২ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে ।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানা ১৩ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
-
বাঁকালে গুলিবিদ্ধ ২ লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঁকালে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি তারা মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে তারা নিহত হয়েছে।

সোমবার ভোরে সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের বাঁকালের আগুনপুর গ্রামে রাস্তার পাশে লাশ দুটি পড়ে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে ।গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙ্গি এলাকার মৃত এরাদ আলী মিস্ত্রীর ছেলে ইমদাদুল হক(৪৮) ও সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষিদাড়ি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে খলিলুর রহমান পুটে (৪৬)।
তবে নিহত ইমদাদের ভাই মফিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন জানান, ইমদাদকে সাদা পোশাকধারী কয়েক ব্যক্তি গত বুধবার রাতে তারাবীর নামাজের পরপরই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে ছাড়ানোর জন্য তারা খোঁজ খবরও নেন সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। তবে তাদের বলা হয় গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করেনি। এ ব্যাপারে তারা থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক প্রবীর কুমার দাস জানান, আজ ভোরে খবর আসে যে বাঁকালের পাশে আগুনপুরে দুটি লাশ পড়ে রয়েছে। আমি দ্রুত সেখানে পৌছায়। লাশ দুটির প্রত্যেকের দেহে একটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাদের পরনে ছিল লুঙ্গি ও গেঞ্জি। মাত্র ১০ গজের ব্যবধানে লাশ দুটি পড়ে ছিলো। লাশের পাশেই পাওয়া গেছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল। এ ছাড়া মদের খালি বোতলও পাওয়া গেছে।
উপ-পরিদর্শক প্রবীর কুমার দাস আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে তারা মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে উক্ত দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। ময়না তদন্তের জন্য লাশ দুটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
-
সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের ম্যানেজিং কমিটির সভা
শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এ সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব কাজী মুহম্মদ অলিলউল্লাহ, আলহাজ্ব মো. ফজলুর রহমান, আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, আলহাজ্ব শেখ মামুনার রশিদ, আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, আলহাজ্ব কাজী মনিরুজ্জাম মুকুল, নলতা কেন্দ্রীয় মিশনের ডা. নজরুল ইসলাম, মো. আমজাদ হোসেন, মুফতি আক্তারুজ্জামান, নব নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, যুগ্ম সম্পাদক মনোয়েম খান চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, সহ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জিএম মাহাবুবর রহমান, আব্দুল আলিম, মুজিব হোসেন নান্নু, আলহাজ্ব মো. আব্দুল খালেক, অধ্যক্ষ হাফিজুল আল মাহমুদ, জুলফিকার হায়দার সাগর, হাসিবুর রহমান রনি প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ (র.) এঁর প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের লক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র মোতাবেক এখানে সব কিছু বাস্তবায়ন করা হবে।’
সভায় সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদটি ২য় তলায় যেখানে ছিল সেখানেই স্থাপন করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং আগামী ৩ জুন নব নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। -
‘ল’ কলেজের ইফতার মহফিল ও পরিচালনা পর্ষদের সভা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা ল কলেজের ইফতার মহফিল ও পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ল কলেজ মিলনায়তনে ইফতার মহফিল ও পরিচালনা পর্ষদের সভা সভাপতিত্ব করেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম, কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. এস এম হায়দার, পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুস সবুর, সদস্য আব্দুল হামিদ, ডা. বিপীন বিহারী, কলেজের প্রভাষক এ্যাড. অরুণ কুমার ব্যানার্জি, এ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কলেজের প্রভাষক এ্যাড. রেজওয়ান উল্লাহ সবুজ, এ্যাড. শহীদ হাসান, এ্যাড. হোসনে আয়া, এ্যাড. মুনির উদ্দীন, এ্যাড. নাজমুন নাহার ঝুমুর, এ্যাড. লাকী ইয়াসমিন, এ্যাড. আজমীর হোসাইন রোকন, ‘ল’ স্টুডেন্টস ফোরামের সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাব উদ্দীন সাজু, নব নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন প্রমুখ।

-

কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্য ও মানবতার কবি
শহর প্রতিনিধি: ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতার শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি স্বভাবকবি, হৃদয়নির্ভর, রোমান্টিক কবি। তিনি সফল কবি-পুরুষ। তার জন্য বাঙালি মুসলমানরা পেল বাংলা সাহিত্যের যোগ্য অংশীদারিত্ব। বাঙালি পেল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নিরপেক্ষ ব্যক্তিত্ব। কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্য ও মানবতার কবি। কবি নজরুল ইসলাম কবিতা, গান, গজল ও নাটকের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণের কথা বলেছেন’।
গতকাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান, এডিএম অনিন্দিতা রায়। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারি অধ্যাপক অলিউর রহমান, তালা সরকারি কলেজের সহযোগি অধ্যাপক আশুতোষ সরকার, সহকারি অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেনরী সরদার, আবৃত্তিকার মনিরুজ্জামান ছট্রু, কষ্ঠশিল্পী শামীমা পারভীন রত্মা, কণ্ঠশিল্পী আবু আফ্ফান রোজ বাবু, শামীমা পারভীন রত্মা, মনজুরুল হক, মো. শহিদুল ইসলাম, তৃপ্তি মোহন মল্লিক, পল্টু বাশার, চৈতালী মুখার্জী, মণ¥য় মনির, শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসাইন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন। -
প্রার্থনাপর্ব-০৮: উৎসব
হুমায়ূন আফতার এর কবিতা
প্রার্থনাপর্ব-০৮: উৎসব
হয়তো ততোখানি জমকালো হবে না আমাদের উৎসব
পরিপূর্ণতা নাও পেতে পারে পারিবারিক ঐতিহ্যে,
অথবা সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম আর পৃষ্ঠপোষকতার;
জনাকীর্ন আনন্দদোলায় সাময়িক নৃত্যকলা
প্রদর্শিত নাও হতে পারে; শুধু একমুঠো
আজন্ম ভালোবাসার দৃঢ় অঙ্গিকারে
প্রার্থনার সাথে সাদাকালো জীবন কাটানোর বিশ্বাসে
শুধু একটি সরল প্রেমের আপোষ হতে পারে।
প্রার্থনা- তোমার কপালে শ্বেত চুম্বন এঁকে
আমি অর্জন করতে চাই প্রমিথিউসের শপথ শক্তি,
তোমার আলিঙ্গন স্পন্দনে আমি খুঁজে পেতে চাই
পূণর্বার বেঁচে উঠবার অফুরন্ত সম্ভাবনা।
হয়তো এ উৎসবের ভিতরে লুকিয়ে আছে
আরো আরো বৃহৎ প্রেমের উৎসব। -
নিয়ম
হুমায়ূন আফতার এর কবিতা
নিয়ম
গন্তব্যহীন যাত্রীর স্টেশান ছাড়া নেমে পড়াতে বিব্রত নই;
উষ্ণ আবেগে মল্লার রাগে কবিতা ছেড়ে ধিনাক্ ধিনাক্
নেচে উঠে কবি এক ঝলক্ উল্লাসিত হতেই পারেন।
স্বদেশ প্রেমের রঙ করা মিছিলে বাইশের যুবক
উচ্চ কণ্ঠে লাফাতেই পারেন,
এতে রাষ্ট্রের পরিবেশ শৃঙ্খলাচ্যুত হবে না।
এসো কর্মপ্রিয় উদ্যমি
আমরা নিয়ম ভাঙার নিয়ম বানাই। -
ক্যাসলিং নিয়ম
হুমায়ূন আফতার এর কবিতা
ক্যাসলিং নিয়ম
মধ্যরাতে শরীরে যখন বিপ্লব জেগে ওঠে
ইকারুসের ঘোড়াগুলো তখন তীক্ষ্ম ক্ষুরে
ছুটতে থাকে আমার বেদখল রণক্ষেত্রের দিকে।
আমার পিঠে ঘোড়া, ঘোড়ার পিঠে আমি
ছুটতে থাকি জীবনের ক্যাসলিং নিয়মে।
হিংস্র শত্রুরা আহর্নিশ কৌশূলী হয়ে ওঠে,
আর ঘুমপ্রিয় পৃথিবী তখন ঘোর কেটে
খেলোয়ার হয়ে ওঠে ক্রমাগত। -

ভেজা ইতিহাস
হুমায়ূন আফতার এর কবিতা
ভেজা ইতিহাস
আজ বৃষ্টি হয় হোক…আমি আর ভিজতে চাই না,
আমি যে জন্মান্তর ভিজে চলেছি অশুভ বৃষ্টিতে,
ভিজতে ভিজতে আমি জলজ আগাছা বনে গেছি…
আজ বৃষ্টি হয় হোক…আমি আর ভিজতে চাই না,
শত কোটি বছর আগে মেঘপুত্র সমুদ্রের যে কান্নার ইতিহাস
লিখে রেখেছিল গহিনে বিলুপ্ত দেবী মেঘাস্থিনা লু…
তারই অভিশাপে আজও ভিজে যায় আরন্যক প্রজন্ম।
আমি আর ভিজতে চাই না,
আমি তো ভিজেছিলাম মেঘাস্থিনা লু’য়ের অভিশপ্ত বীর্য-বৃষ্টিতে,
ভিজেছিলাম দেবী পার্সিফনির অনন্ত দীর্ঘ চুম্বনে।