Blog

  • দেবহাটা সদর ইউপির প্রকাশ্য বাজেট অধিবেশন

    দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রকাশ্য বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী। উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, ইউপি সচিব কামরুল ইসলাম বাবু, ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান আজগার আলী, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বাবলু, ইউপি সদস্য এবাদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম শরিফ, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান মাছুম, ইউপি সদস্য আরমান হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, ইউপি সদস্য গোলাম মোক্তার, ইউপি সদস্যাদের মধ্যে সাবিনা ইয়ামিন, বেগম রোকেয়া ও শাহানাজ পারভিন প্রমুখ। বাজেট অধিবেশনে দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের রাজস্ব ও উন্নয়ন তহবিল থেকে ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৪ হাজার ২ শত ২৫ টাকার বাজেট পেশ করা হয়।

  • নুরনগরে পুশ বিরোধী অভিযান

    নুরনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরে বাগদা চিংড়ীতে অপদ্রব পুশ বিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদ এই অভিযানে অংশ নেন। শ্যামনগর উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা সুজন সরকার এবং সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হোসেন সাগর এর নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়। গত ২৬শে মে উক্ত কর্মকর্তাগন নুরনগরে পুশ বিরোধী অভিযান চালান। এবং বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎকে আর্থিক জরিমানা করেন। অভিযানে বাগদা চিংড়ীতে অপদ্রব পুশ করার ময়দার বস্তা, ময়দা জালানো হাড়ী, সিরিন্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়। বাগদা চিংড়ীতে অপদ্রব পুশ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় জনগন।

  • সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা


    শহর প্রতিনিধি: সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু।
    প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো. নকিবুল হাসান, সদর উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারি মনিরুজ্জামান, পৌর কাউন্সিলর অনিমা রাণী মন্ডল, ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, বল্লী ইউপি চেয়াম্যান মো. বজলুর রহমান, ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজী, ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, বাঁশদহ ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, লাবসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান, আলিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোয়ারা খাতুনসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন।
    এ ছাড়াও সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, সদর উপজেলার মাসিক রাজস্ব সভা, সদর উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা, সদর উপজেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা ও সদর উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাসহ পৃথক পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব সাতক্ষীরা (ডুসাস) এর ইফতার মাহফিল

    এনইউবিটি প্রতিনিধি: ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব সাতক্ষীরার বার্ষিক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা’র উপাচার্য ও নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ।
    প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, তরুণ প্রজন্মের যেকোন আয়োজনে উপস্থিত হতে পারাটা আমার জন্য আনন্দের। তরুণদেরকে দেখে আমি নিজে অনুপ্রাণিত হই। তিনি বলেন, আমরা সবাই সাতক্ষীরার সন্তান। অমিত সম্ভাবনার এই জেলাকে একটি সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সাতক্ষীরার সকল সন্তানকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
    ডুসাস সভাপতি সৈয়দ শরিফুল আলম (শপু)’র সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব মোখতার হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরর্দার মুজিব, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় রোকেয়া হলের সাবেক সভাপতি মাসুদা খানম, ইসলামী ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগ এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আফসার উদ্দিন, সূর্যসেন হল সভাপতি নাহিদ হাসান শাহিন প্রমূখ। ডুসাস সেক্রেটারি ইকরামুজ্জামান (ইকরাম) অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন। ডুসাস এর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: শ্যামনগর উপজেলার ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পরিষদ মাঠ চত্তরে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ২,২৪,৫০,৩৩০ টাকার প্রকাশ্য বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বাজেট অধিবেশনে সভাপত্বিত করেন ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মহাসীন-উল-মুলক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান অসীম কুমার জোয়াদ্দার প্রমুখ।
    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লিডার্স এর সহ-সভাপতি মাষ্টার নজরুল ইসলাম, বুড়িগোয়ালিনী নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ অনিমেশ কুমার হালদার, জলবায়ু পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ ক্রেল প্রকল্পের সমন্বয়কারী শহীদুল ইসলাম, সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি আযুব আলী প্রমুখ। বাজেট ঘোষণা করেন সচিব কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল।

  • বাস ড্রাইভার থেকে প্রেসিডেন্ট

    ২০১৩ সাল থেকে নিকোলাস মাদুরো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাবা ছিলেন শ্রমিক নেতা। পারিবারিকভাবেই মানুষটির রাজনীতিতে হাতেখড়ি। পড়াশোনায় খুব বেশি এগোতে পারেননি। জীবিকার তাগিদে ড্রাইভারের কাজ করেছেন। রাজনীতির কারণে খেটেছেন জেলও। পরবর্তীতে সেই মানুষটি হন ভেনেজুয়েলার ৬৫তম প্রেসিডেন্ট। নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তিনি আজ রাষ্ট্রের অধিপতি।
    প্রবাদ আছে ‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’। ইচ্ছাশক্তি মানুষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে শুধু ইচ্ছা থাকলে এগিয়ে যাওয়া যায় না। ইচ্ছা পূরণের জন্য থাকতে হয় আত্মবিশ্বাস এবং ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে হয়। তেমনি হয়তো তুমুল ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন বাসচালক থেকে প্রেসিডেন্ট। তিনি নিকোলাস মাদুরো।
    ১৯৬২ সালে নিকোলাস মাদুরো ভেনেজুয়েলার কারাকাসে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারে তার তিন বোন এবং তিনি একমাত্র ভাই। তার বাবার নাম গার্সিয়া। ১৯৮৯ সালে মোটর গাড়ি দুর্ঘটনায় তার বাবা মারা যান। বাবা শ্রমিক নেতা ছিলেন। পাশাপাশি বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। সেই সুবাদে তার পরিবারে চলত রাজনীতি চর্চা। পড়াশোনা তেমন করতে পারেননি। কর্মজীবী সন্তানদের এল ভ্যাল রাজ্যের লিসিও জোস আভালোসের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। রাজনীতির সঙ্গে প্রথম যুক্ত হন ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্র সংঘের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে। তার রাজনীতি হাতেখড়িটা হয়েছিল পারিবারিকভাবেই।
    জীবন চলার তাগিদে তিনি জীবিকা শুরু করেন বাসচালক হিসেবে। আন্ডার গ্র্যাজুয়েট মাদুরো জীবিকার তাগিদে বেশ কয়েক বছর কারাকাস মেট্রো সিস্টেমে বাস ড্রাইভারের চাকরি করেন। ভাবতেই অবাক লাগে যে, বাস চালক থেকে প্রেসিডেন্ট। এটা কোনো রূপকথার গল্প নয়। এটা একটা স্বপ্ন পূরণের গল্প। রাজনীতির ফাস্ট ইস্যু শুরু হয় ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে। তুমুল ভাবেই শুরু করেন আন্দোলন। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নেমে পড়েন রাজপথে। এক পর্যায়ে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়ন বন্ধ করে দেয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হোসে ভিনসেন্তে র‌্যাঞ্জেলের দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে মাদুরো মূলধারার রাজনীতিতে আসেন ১৯৯০ সালে। হুগো শ্যাভেজের সামরিক আন্দোলনে যোগ দিয়ে। সেই আন্দোলনের বেসামরিক শাখা এমবিআর-২০০’র সদস্য হন মাদুরো।
    ১৯৯২ সালে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় শ্যাভেজের কারাদ- হয়। ১৯৯৪ সাল, শ্যাভেজ কারাবন্দী। দেশের অস্থির অবস্থা। আর এই অস্থির অবস্থার মুক্তির উপায় দেখতে পান শ্যাভেজের মুক্তি। শ্যাভেজকে তিনি পিতার মতো শ্রদ্ধা করতেন। তার কারাবন্দী কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। শ্যাভেজের মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হন। তুমুল আলোচিত হয়ে লাইমলাইটে আসেন নিকোলাস মাদুরো। সৌভাগ্যক্রমে ওই বছর মুক্তি পান শ্যাভেজ এবং ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন তিনি।
    তখনকার সময় প্রথমবারের মতো ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হন মাদুরো। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালে তিনি ভেনেজুয়েলার সংবিধান প্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০০০ সালে আইন বিভাগের প্রধান হিসেবে মনোনীত হন মাদুরো। ২০০৬ সালে ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত হন মাদুরো। আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিবাদের কড়া সমালোচক ছিলেন হুগো শ্যাভেজ। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বুশকে ‘খুনি’ এবং ‘রক্ত পিপাসু’ বলে অভিহিত করেছিলেন শ্যাভেজ। সেই একই আদর্শ এবং মানসিকতার অনুসারী নিকোলাস মাদুরো।
    ২০০৭ সালে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তৎকালীন আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিসা রাইসকে ‘হিটলার’ এবং ‘ভ-’ বলে উল্লেখ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাদুরো নিজের মুনশিয়ানার পরিচয় দেন প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে। এ ছাড়াও তারই সময়ে ইরান এবং অন্য কমিউনিস্ট শাসিত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয়। ২০১২ সালে হুগো শ্যাভেজ পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান মাদুরো। ক্যান্সার আক্রান্ত শ্যাভেজের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা গণমাধ্যমে মাদুরোই প্রকাশ করতেন। শ্যাভেজের কাছে মাদুরো ছিলেন সন্তানতুল্য।
    ৫ মার্চ, ২০১৩ তারিখে শ্যাভেজ মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর নিকোলাস মাদুরো ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন এবং রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিজে নেন। তার এই দায়িত্বকে ভেনেজুয়েলার সংবিধান অমান্য এবং ভঙ্গ করার অভিযোগ তোলেন বিরোধীদলীয় নেতারা। বিরোধীদলীয় নেতাদের মতে শ্যাভেজের মৃত্যুর ফলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় আরোহণের মাধ্যমে তিনি ভেনেজুয়েলার সংবিধানের ২২৯, ২৩১ ও ২৩৩ নং ধারা ভঙ্গ করেছেন। ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল তারিখে অনুষ্ঠিত বিশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি নতুন রাষ্ট্রপতিরূপে অত্যন্ত স্বল্প ১.৫% ভোটের ব্যবধানে সরাসরি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে তিনি ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টির পক্ষাবলম্বন করে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হন। তার প্রধান ও একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মিরান্ডার গভর্নর হেনরিক ক্যাপ্রিলস। মাদুরোর স্ত্রী সিলিয়া ফ্লোরেস ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল কংগ্রেসের স্পিকার এবং একজন আইনজীবী।

    সংকলিত

  • কালিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ স্কুল ছাত্র গুরুতর আহত

    কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় উত্তম দাশ (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। সে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের নির্মল দাশের ছেলে ও মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৬ টায় দিকে উত্তম দাশ বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য মৌতলা স্কুলে যাওয়ার পথে রায়পুর ব্রিজের পাশে পৌছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহণ (কিংফিসার ঢাকা মেট্রো-ব-১৪৮৮৫২) নির্মল দাশকে ধাক্কা মেরে দ্রুত গতিতে শ্যামনগর অভিমুখে চলে য়ায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উত্তম দাশের মেরুদন্ড, বুক ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। এব্যাপারে আহত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

  • কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল

    কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু ও সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম, থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও ‘সময় নিউজ ২৪ ডটনেট’ এর সম্পাদক নিয়াজ কওছার তুহিন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও ইফতার কমিটির আহবায়ক শেখ ইকবাল আলম বাবলুর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ইফতার মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, দেশ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি শরীফুল্যাহ কায়সার সুমন, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর এর জেলা প্রতিনিধি আমিনা বিলকিস ময়না, কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ জিএম রফিকুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব হোসেন, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সেলিম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, ইসলামী ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মুজিবর রহমান প্রমুখ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ, তরুণ লীগ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন থানা মসেিজদর পেশ ইমাম মাওলানা আশরাফুল ইসলাম আজিজী।

  • মেজর (অব) জিয়াউদ্দিনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

    মেজর (অব) জিয়াউদ্দিনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

    মেজর (অব) জিয়াউদ্দিনকে প্রথম দেখি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরের দিনগুলোতে, ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে আবু ইউসুফ খান বীর বিক্রমের বাসায়। তখন তাঁর সঙ্গে সরাসরি পরিচয় ছিল না। তিনি সুন্দরবন থেকে গ্রেপ্তার হন ডিসেম্বরে।

    ১৯৭৭ সালের কোনো এক সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আসবেন বলে জাসদ নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে খবর পাই। আমি তখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর অপেক্ষায় একবার আউটডোর আর একবার এমার্জেন্সিতে দৌড়াচ্ছি। তখন এমারোজন্সি ছিল এখনকার পরিচালকের অফিস যেখানে, সেখানে। আর আউটডোরটি বর্তমানের স্থানেই।

    যাহোক, এক সময় এমারজেন্সি দিয়ে তিনি প্রবেশ করলেন। বুক-চিতানো লম্বা গড়নের স্মিত হাস্যোজ্জ্বল জিয়া ভাইয়ের এক হাতে হাতকড়া লাগানো। পেছনে কমপক্ষে ৫০ জন পুলিশ। সমবেত মানুষ তাঁর চলার পথের দুপাশে দাঁড়িয়ে গেল এক নজর দেখার জন্য। যদিও তিনি পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে এসেছেন কয়েদি (সাজাপ্রাপ্ত বন্দি) হিসেবে, কিন্তু আমার কাছে মনে হল তিনি একজন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এত পুলিশ তাঁর পাহারায়, করিডোরের দুপাশে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে!

    দৌড়ে গেলাম তাঁর পাশে, পরিচয় দিলাম। তিনি বললেন, জেলখানা থেকেই তিনি জেনে এসেছেন, আমি তাঁর জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অপেক্ষায় থাকব। আমার দায়িত্ব ছিল তিনি চিকিৎসার জন্য যে চিকিৎসকের কাছে যাবেন তাঁকে জিয়া ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। বলাবাহুল্য, সেটার আর দরকার হয়নি। গোটা হাসপাতালই যেন তাঁকে অভ্যর্থনার জন্যে দাঁড়িয়ে ছিল।

    পুলিশ আমাকে এক ঝটকায় সরিয়ে দিতে চাইল। জিয়া ভাই গম্ভীর গলায় পুলিশকে বললেন, ”হি ইজ এ ডক্টর, আই নিড হিম ফর মাই ট্রিটমেন্ট।”
    যাহোক, পুলিশ আমাকে জিয়া ভাইয়ের পাশে পাশে থাকতে আর বাধা দিল না। কোন ডাক্তারের কাছে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেটা মনে নেই। তবে জিয়া ভাইকে পরিচয় করিয়ে দিতে হল না। বরঞ্চ তিনিই আমাকে ডাক্তারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। বিপুল পুলিশের উপস্থিতি, গোয়েন্দা বিভাগ কর্তৃক আগেভাগেই হাসপাতালের পরিচালককে জানানো ইত্যাদি কারণে সব কিছু নির্ঝঞ্ঝাটে হয়ে গেল।

    জেলখানা থেকে মুক্তি পাবার পরে জিয়া ভাইয়ের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ হই। তিনি কর্নেল তাহের মামলায় গোপন সামরিক আদালতে ১২ বছরের সশ্রম কারাদ-ে দ-িত হয়েছিলেন। গোপন বিচারে কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের ফাঁসির রায় ঘোষণা হবার পরই জিয়া ভাই তাহের ভাইয়ের জবানিতে একটা কালোত্তীর্ণ কবিতা লিখে গেছেন। তাহের ভাই সে কবিতার কথা পরিবারের প্রতি তাঁর শেষ চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। পড়েছেন ২১ জুলাই ভোরে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হবার ঠিক আগের মুহূর্তেও।
    সংকলিত

    “জন্মেছি, সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে, কাঁপিয়ে দিলাম।
    জন্মেছি, তোদের শোষণের হাত দুটো ভাঙব বলে, ভেঙে দিলাম।
    জন্মেছি, মৃত্যুকে পরাজিত করব বলে, করেই গেলাম
    জন্ম আর মৃত্যুর বিশাল পাথর রেখে গেলাম
    পাথরের নিচে, শোষক আর শাসকের কবর দিলাম
    পৃথিবী, অবশেষে এবারের মতো বিদায় নিলাম।”

    জিয়া ভাই মুক্তিযুদ্ধে ৯ নং সেক্টরের সুন্দরবন সাব-সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। সেই যে তিনি সুন্দরবনকে ভালোবেসে ছিলেন, সে ভালোবাসা ছিল আমৃত্যু। ১৯৭৫এর ৭ নভেম্বর তিনি ঢাকায় ছিলেন না, কর্তব্যকর্মে ঢাকার বাইরে ছিলেন। সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানে তিনি প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতে না পারায় খুবই মনোকষ্টে ভুগছিলেন। তবে তিনি ঢাকায় থেকে যদি ৭ নভেম্বরে বিপ্লবী সিপাহীদের প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিতে পারতেন, তাহলে হয়তো হতে পারতেন রুশ বিপ্লবের মূল কেন্দ্র পেট্রোগ্রাদ সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের কমান্ডার ট্রটস্কির মতো সফল। ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান হযতো জিয়াউর রহমানের কাছে হাতছাড়া হত না।

    সে সময় তিনি তাহের ভাইয়ের কাছ থেকে অনুমতি চাইছিলেন সুন্দরবনে তাঁর মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি এলাকাতে বিপ্লবের ‘মুক্ত এলাকা’ গঠন করতে। চীন বিপ্লবের মাও জে দং হয়তো তাঁকে এ ধরনের চিন্তায় প্রভাবিত করে থাকতে পারেন। স্বাধীনতার পূর্বকালে ছাত্রজীবনে জিয়া ভাই মাওপন্থী ছাত্রসংগঠন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে তাহের ভাই তাতে সায় দিতে চাচ্ছিলেন না। কারণ জাসদ রাজনীতির বিপ্লবী গণঅভ্যুত্থানের নীতি ছিল রাজধানীকেন্দ্রিক গণঅভ্যুত্থান, মাওয়ের চীন বিপ্লবের মতো ‘গ্রাম এলাকা মুক্ত করে শহর ঘেরাও করা’ নয়।

    তবু জিয়া ভাই যখন ‘নাছোড়বান্দা’ তখন তাহের ভাই তাঁকে বললেন, ”তুমি যখন সেনানিবাসে ফিরে যাবে না, আত্মসমর্পণ করবে না, তখন কটা দিন সুম্দরবনে কাটিয়ে এস। পরিস্থিতি অনুকূল হলে ঢাকাতে ফিরে এস। অনেক কাজ বাকি পড়ে রয়েছে।“
    তাহের ভাইয়ের গ্রেপ্তারের পর জিয়া ভাইও সুন্দরবনে জেলেদের নৌকা থেকে গ্রেপ্তার হন। পুলিশ ও নৌবাহিনীর এক বিশাল বাহিনী গোটা দুবলার চর ঘেরাও করে তাঁকে অনেক খুঁজে গ্রেপ্তার করে। কারণ জেলেদেরে কেউ তাঁকে দেখিয়ে দিচ্ছিল না। পুলিশের গোয়েন্দারা তাঁর দীর্ঘ অবয়ব দেখে এক জেলেনৌকায় তাঁকে শনাক্ত করে। তবে পুলিশের এক শুভানুধ্যায়ী তাঁকে কানে কানে বলে দেয়, যতই তাঁকে বন্দুকের বাট দিয়ে পিটানো হোক, তিনি যেন মাটিতে শুয়ে না পড়েন। কারণ উপরের নির্দেশ আছে জিয়া ভাইকে ধরার পরে হত্যা করার। শুয়ে পড়লে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে বলা হবে, উত্তেজিত জনতা তাঁকে হত্যা করেছে।

    পরামর্শটি কাজে লেগেছিল। জিয়া ভাই চরম নির্যাতন সহ্য করে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় থানায় নেওয়া হয়। হাজার হাজার জনতা তাঁকে এক নজর দেখার জন্য থানা ঘেরাও করে। তারা শুনেছিল জিয়া ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের শান্ত করার জন্য মাঝখান থেকে কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠকে থানার ভেতরে ডেকে নিয়ে জিয়া ভাইকে দেখানোর পর জনতা থানা থেকে ফিরে যায়।

    জিয়া ভাই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মুক্তিযুদ্ধে ও ১৯৭৫এর নভেম্বরে বিপ্লবে উত্তাল দিনগুলোতে সুন্দরবনে তাঁর ঘাঁটি গড়ে তোলা– এগুলো আমাদের কাছে প্রবাদসম। জিয়া ভাই যেখানে থাকুন আমাদের জন্য অহংকার হয়েই থাকবেন। নতুন প্রজন্মকে সাহসী করে তুলতে হলে তাঁকে এক আলোকবর্তিকা বলে মানতে হবে।

    (ডা. মুসতাক হোসেন, ডাকসু সাবেক জিএস)

    সংকলিত

  • কলারোয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ১ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

    কলারোয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ১ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় আনিসুর রহমান(৪০) নামের এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে সে মাদক ব্যবসায়ী। কলারোয়ার ইয়াবা সম্রাট নামে পরিচিত এই ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষের জেরে গোলাগুলির মধ্যে মারা গেছে। তিনি কলারোয়ার পাকুড়িয়া গ্রামের সুরত আলির ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, ২রাউন্ড গুলি ও ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    তবে, নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগমের দাবি তার স্বামীকে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকধারীরা। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

    কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সোমবার রাত সোয়া ২ টায় তার কাছে খবর আসে যে দেয়াড়া ইউনিয়নের চিতলার মাঠে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে চোরাচালানিদের দুটি বিবদমান গ্রুপ গোলাগুলি করছে। এ খবর পেয়ে খোরদো পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম একদল পুলিশ সদস্য নিয়ে সেখানে পেঁছে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

    কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    নিহত আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলায় ১০ টি মাদক মামলা রয়েছে। নিহত আনিসুরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    এদিকে নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, তার স্বামীকে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে সাদা পোশাকধারীরা তুলে আনার পর তিনি কলারোয়া থানা ও খোরদো পুলিশ ক্যাম্পে খোঁজ নিলে জানানো হয় পুলিশ তাকে আটক করেনি। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কলারোয়ায় ও পরে সাতক্ষীরায় একটি সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা করেন। রাতে কলারোয়া থানায় একটি জিডি করতে গেলে পুলিশ তাও নেয়নি। বলেছে একটু দেরি করতে। তবে ওসি বলেন তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেননা।

  • বেগম শামসুন্নাহার কে দেখতে যান এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লা এমপি

    বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটির পলিট ব্যুরোর সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লা এমপি গতকাল শহীদ কমরেড এজাহার আলী মাষ্টারের সহধর্মিনী, শহীদ কমরেড বাবুল ও সাব্বিরের মা এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সাবেক সাধারণ সম্পদক প্রয়াত কমরেড নজরুল ইসলাম বোন অসুস্থ বেগম শামসুন্নাহার কে দেখতে যান তার বাসবভনে যান।
  • জেলাপরিষদ সদস্য আল ফেরদাউস আলফার

    কোমরপুরে উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠান
    গতকাল দেবহাটায় জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদাউসের উদ্যোগে কোমরপুরে উত্তরপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসাতে ৪ জন কুরআনে হাফেজ হাফেজী শেষ করায় তাদের পাগড়ী প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারী, দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্ঠা সম্পাদক এডভোকেট আবুল কালাম আযাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থতি ছিলেন দেবহাটাপ্রসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব ও আমির কান চৌধুরী প্রমুখ।

  • ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাব

    ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাব (এফ.ডি.সি) এর ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। উপস্থিত অথিতিদেও মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাবের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার মো সাজ্জাদুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শাহ্ আবদুল সাদী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান ও ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছাইফুল করিম সাবু প্রমুখ।

  • সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের ইফতার মাহফিল

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১১ রমজান সোনালী ব্যাংকের দো-তলায় সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রিন্সিপ্যাল কমিটির সভাপতি মীর সাজ্জাদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শেখ নাছিম হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক এড. ওসমান গনি প্রমুখ। এসময় সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রিন্সিপ্যাল কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাওয়ার হাউজ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রিন্সিপ্যাল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম।

  • কলারোয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত

    কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রয়েছে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার দেবনাথ বলেছেন- মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কোন ছাড় নেই। মাদক শুধু একটি জীবনকে নষ্ট করে না, বরং একটি পরিবার, একটি দেশকে ধ্বংস করে দেয়। গত কয়েকদিন ধরেই যে নিয়মিত অভিযান চলছে তারই ধারাবাহিকতায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের পরিহার করে ভাল পথে ফিরে আসার আহবান জানান।
    তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবার তালিকা আমাদের কাছে আছে। যারা মাদক সেবনকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের তালিকাও আমাদের কাছে আছে। কলারোয়াবাসীকে জঙ্গিবাদ, নাশকতাকারী ও মাদক সেবনকারীরা পরিহার করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

  • নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভূক্তি করার দাবিতে আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভূক্তি করার দাবিতে সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা ল কলেজের হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভূক্তির আশ্বাসের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রিয় সিন্ধান্ত মোতাবেক উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান সহ সকল উপজেলার সভাপতি ও সেক্রেটারীবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, অধ্যক্ষ জাহিরুল আলম, ইবাদুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান, জিল্লুর রহমান, মাওঃ গোলাম রসুল, মাওঃ হারুনুর রশিদ, মাহবুবুর রহমান, হোসাইন আলী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন এস এম তৈয়েবুর রহমান। এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন হয়েছে। যা বিগত কোন সরকারের আমলে হয়নি। বছরের প্রথমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ বর্তমান সরকারের এক উজ্জল দৃষ্ঠান্ত। বক্তারা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানন্ত্রীর আশ্বাস নিশ্চয়ই বাস্তবায়ন হবে। সেক্ষেত্রে আমরা বাজেট লক্ষ করছি। বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্ধ না থাকলে আগামী ১০ জুন ১৮ তারিখ থেকে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

  • আশাশুনিতে প্রাণি সম্পদ উন্নয়নে উপকরণ বিতরণ

    আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের উপকরণ বিতরণ ও প্যাকেজ বাস্তবায়ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, আলমগীর আলম লিটন, প্রভাষক ম মোনায়েম হোসেন, আ ব ম মোছাদ্দেক, শেখ মিরাজ আলি, ভিএফএ গৌরাঙ্গ কুমার রাহা, এস এম তোফায়েল আহমেদ, আঃ রকিব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৯জনকে এলোমিনিয়ামের বালতি, ল্যাকটো মিটার, সিজারিন পট, মুরগির ঠোঁট কাটা মেশিন, অটো ভ্যাকসিনেটর গান প্রদান করা হয়।

  • মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে প্রকাশ্য বাজেট ঘোষণা

    বিশেষ প্রতিনিধি: গত ২৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলার ৭নং মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়। উক্ত বাজেট অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নতুন পরিকল্পনা ও ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাস্তবায়িত প্রকল্পের নাম বরাদ্দের পরিমাণ উল্লেখ করে বাজেট বই বিতরণ করা হয়। চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আবুল কাশেম মোড়ল বাজেটের উপর বক্তব্যের পরে ইউপি সচিব অরবিন্দু কুমার সরকার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট পাঠ করে শুনান। তিনি =৩,৫১,৮৫,৮০০/-টাকার বাজেট ঘেষণা করেন। এছাড়া ২০১৭-২০১৮ সালের =৩,৪৫,৬৮,৮০০/-টাকার সংশোধিত বাজেট ও পেশ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে শ্যা¥নগর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসিন উল মুলক, ইউপি সদস্য/সদস্যা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবৃন্দসহ সর্বস্তরের বিপুল সংক্ষক জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।