কাফেলার সম্পাদক আব্দুল মোতালেবের ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কর্মসূচি
আজ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কাফেলার সম্পাদক মরহুম আব্দুল মোতালেবের ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরস্থ মরহুমের কবর জিয়ারত ও ইফতারপূর্ব সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের হলরুমে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত কর্মসূচীতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে যথা সময়ে অংশ নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধরণ সম্পাদক মো: আব্দুল বারী অনুরোধ জানিয়েছেন।
Blog
-
-

‘দুর্নীতিবাজদের রাজনীতিতে ফেরাতে বিএনপি চক্রান্ত করছে’:জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু
ডেস্ক রিপোর্ট: জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি দেশের রাজনীতিতে দুর্নীতিবাজদের ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত করছে। শুক্রবার কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে জাসদ নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিচারবিভাগ। এই বিচার বিভাগের কাছেই বিএনপি ধরনা দিয়েছিল, আদালত ও বিচারক পরিবর্তন করেছিল। পরবর্তীতে তাদের পছন্দমত বিচারপতির আদালতে খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। ‘দেশে একদলীয় গণতন্ত্র তাই কড়া আন্দোলন ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না’ বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যখন বিচার বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন তখন তারা মিষ্টি খান, আর যখন জামিন স্থগিত করেন তখন সরকারকে গালি দেন। এই দ্বৈত নীতি গণতন্ত্রের জন্য ভালো খবর নয়। কার্যত বিএনপি আদালতের ধার ধারে না। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলীসহ জাসদ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে যোগদান করেন।
-
রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল | উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু
শহর প্রতিনিধি: রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা এর উদ্যোগে এতিমদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ রমজান শুক্রবার শহরের পুরাতন আইনজীবী সমিতি ভবনে রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র ক্লাব প্রেসিডেন্ট এনছান বাহার বুলবুলের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদস্য এড. আজহারুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বিশ^জিত সাধু, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র সেক্রেটারী এড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, কমিটির চেয়ারম্যান রোটাঃ পিপি মাহমুদুল হক সাগর, রোটাঃ পিপি ডা. বিশ^নাথ ঘোষ, রোটাঃ পিপি প্রফেসর ভূধর সরকার, রোটাঃ পিপি মাগফুর রহমান, রোটাঃ পিপি সৈয়দ হাসান মাহমুদ, রোটাঃ পিপি বিশ^নাথ ঘোষ এমডি, রোটাঃ পিপি রেহেনা পারভীন মিনু, রোটাঃ মুন্নী, রোটাঃ পিপি আশরাফুল করিম ধনি, রোটাঃ মনিরুজ্জামান টিটু, রোটাঃ আক্তারুজ্জামান কাজল, রোটাঃ মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, রোটাঃ কামরুজ্জামান রাসেল, রোটাঃ হাসিবুর রহমান রনি, রোটাঃ শফিউল ইসলাম, রোটাঃ শাহিদুর রহমান, রোটাঃ মাহফুজা সুলতানা, মাহফুজা রুবি, রোটাঃ এড. সেলিনা খাতুন প্রমুখ। ইফতার মাহফিলে দেশের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
-
তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রকাশ্য বাজেট ঘোষণা
তালা প্রতিনিধি: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তালা উপজেলার ৫নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রকাশ্য বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ২ কোটি ৪০লাখ ৩১ হাজার ৬৭০ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়।
গত বুধবার সকালে ৫নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে প্রকাশ্য এ বাজেট ঘোষণা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নুর ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলীর, মোশারফ হোসেন, সেকেন্দার আলী মোড়ল, দেলোয়ার হোসেন সোনা,হাসেম আলী ফকির,এসএম আলাউদ্দীন,অহেদ আলী সরদার, আনছার আলী শেখ, বাবুর আলী গাজী, রেশমা বেগম, জিনজিরা খাতুন, জাকিয়া সুলতানা ইতি প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক,সাংবাদিক,এনজিও প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -
কয়রায় ২১ জলমহলে সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ টাকা
কয়রা সংবাদদাতা ঃ কয়রায় ২১ টি জলমহলে খাস আদায়ে বিগত বছরের চেয়ে সরকারি রাজস্বের টাকা কমেছে ১১ লক্ষাধীক টাকা। অথচ উক্ত ২১ টি জলমহলে বিগত বছরে অথ্যাৎ বাংলা ১৪২৪ সনে আদায় হয়েছিল ১৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৫ শত টাকা এবং এবার সেই একই জলমহলে ১৪২৫ সনে খাস আদায় হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮ শত টাকা। ফলে সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ ১২ হাজার ৭ শত টাকা।
উল্লেখ্য প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও খাস আদায়যোগ্য জলমহলের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে মাইকিং সহ নোটিশ বোর্ডে ২১ টি জলমহলের তালিকা টানানো হয় এবং সেখানে মৌজার নাম, জলমহলের আয়তন, সায়রত কেস নং, খাস আদায়ের সন এবং বিগত বছরের স¤া¢ব্যমূল্য উল্লেখ করা হয়্।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক হয়ে প্রচার করেন এবং সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে সর্বসাধারনের উপস্থিতিতে ওপেন ডাক শুরু হয়। কিন্তু ডাক শুরু হওয়ার সাথে সাথে কতিপয় যুবক সাংবাদিক আকতারুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মাসুদ রানা এবং মঠবাড়ী গ্রামের আল আমিন সহ অনেক কে নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ধমক দিয়ে না ডাকার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। এছাড়া সাধারণ মানুষ, জেলে, মৎস্য ব্যাবসায়ীকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং অনেককে ভয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। তবে উপজেলা পরিষদে জলমহল ডাকার সময় দু’দফায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কয়রা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কিন্তু তখন জলমহল ডাকার মত সাধারণ কোন মানুষ উপস্থিত ছিল না। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম বাহারুল ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা জলমহল ডাক থেকে সবাইকে বঞ্চিত করে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তিনি জলমহল পূনরায় সেল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন জানান, তিনি উক্ত জলমহল কিনতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ রানা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ছাত্রলীগ তাকে পাগল বলে বের করে দিয়েছে। এ সম্পার্কে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোহসিন রেজা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ সহ কতিপয় ব্যক্তি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে এসব জলমহল ভাগাভাগি করে নিয়েছে এবং সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়েছেন এবং এজন্য তিনি উপজেলা প্রশাসন কে দায়ী করে পূনরায় টেন্ডার ডাকার দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি পত্রিকায় না লেখার জন্য অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য হড্ডা গ্রামের হোগলার খাল ১৪২৪ সনে ৩৬৯৬০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয় এবং এবার মাত্র ৭১০০০ টাকা। চরামুখা গ্রামের শিংজোড়া খাল ১৪২৪ সনে ১৭৬১৫৭ টাকা এবার মাত্র ১১০০০ টাকা। অর্জুনের খাল ১৪২৪ সনে ১৫২২৫০ টাকা এবার মাত্র ১৭০০০ টাকা। আমাদী খাল ১৪২৪ সনে ১২৫০৭৫ টাকা এবার মাত্র ৩১০০০ টাকা। অনুরুপ প্রতিটি খালে সরকারি রাজস্ব কমায় বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ছাত্রলীগের বাধার মুখে কয়রায় ২১ জলমহলের সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ টাকা
কয়রা সংবাদদাতা ঃ ব্যাপক অনিয়ম আর ছাত্রলীগের বাধার মুখে কয়রায় ২১ টি জলমহলে খাস আদায়ে বিগত বছরের চেয়ে সরকারি রাজস্বের টাকা কমেছে ১১ লক্ষাধীক টাকা। অথচ উক্ত ২১ টি জলমহলে বিগত বছরে অথ্যাৎ বাংলা ১৪২৪ সনে আদায় হয়েছিল ১৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৫ শত টাকা এবং এবার সেই একই জলমহলে ১৪২৫ সনে খাস আদায় হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮ শত টাকা। ফলে সরকারি রাজস্ব কমেছে ১১ লক্ষ ১২ হাজার ৭ শত টাকা। উল্লেখ্য প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও খাস আদায়যোগ্য জলমহলের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে মাইকিং সহ নোটিশ বোর্ডে ২১ টি জলমহলের তালিকা টানানো হয় এবং সেখানে মৌজার নাম, জলমহলের আয়তন, সায়রত কেস নং, খাস আদায়ের সন এবং বিগত বছরের স¤া¢ব্যমূল্য উল্লেখ করা হয়্। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক হয়ে প্রচার করেন এবং সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে সর্বসাধারনের উপস্থিতিতে ওপেন ডাক শুরু হয়। কিন্তু ডাক শুরু হওয়ার সাথে সাথে ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় যুবক সাংবাদিক আকতারুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মাসুদ রানা এবং মঠবাড়ী গ্রামের আল আমিন সহ অনেক কে নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ধমক দিয়ে না ডাকার জন্য হুমকি ধামকি দেয়। এছাড়া সাধারণ মানুষ, জেলে, মৎস্য ব্যাবসায়ীকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং অনেককে ভয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। তবে উপজেলা পরিষদে জলমহল ডাকার সময় দু’দফায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কয়রা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কিন্তু তখন জলমহল ডাকার মত সাধারণ কোন মানুষ উপস্থিত ছিল না। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম বাহারুল ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা জলমহল ডাক থেকে সবাইকে বঞ্চিত করে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তিনি জলমহল পূনরায় সেল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন জানান, তিনি উক্ত জলমহল কিনতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মাসুদ রানা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে ছাত্রলীগ তাকে পাগল বলে বের করে দিয়েছে। এ সম্পার্কে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোহসিন রেজা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ সহ কতিপয় ব্যক্তি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে এসব জলমহল ভাগাভাগি করে নিয়েছে এবং সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়েছেন এবং এজন্য তিনি উপজেলা প্রশাসন কে দায়ী করে পূনরায় টেন্ডার ডাকার দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি পত্রিকায় না লেখার জন্য অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য হড্ডা গ্রামের হোগলার খাল ১৪২৪ সনে ৩৬৯৬০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয় এবং এবার মাত্র ৭১০০০ টাকা। চরামুখা গ্রামের শিংজোড়া খাল ১৪২৪ সনে ১৭৬১৫৭ টাকা এবার মাত্র ১১০০০ টাকা। অর্জুনের খাল ১৪২৪ সনে ১৫২২৫০ টাকা এবার মাত্র ১৭০০০ টাকা। আমাদী খাল ১৪২৪ সনে ১২৫০৭৫ টাকা এবার মাত্র ৩১০০০ টাকা। অনুরুপ প্রতিটি খালে সরকারি রাজস্ব কমায় বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। -

ঝুকি কম, লাভ বেশি হওয়ায় কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছে চাষিরা
বিশেষ প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় চিংড়ির পরিবর্তে কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। বাগদা চিংড়িতে ভাইরাস, রপ্তানি হ্রাস ও দাম কমে যাওয়ায় জেলায় চিংড়ি চাষিরা কাঁকড়া চাষে ঝুঁকছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকায় মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে সাতক্ষীরাতে ‘কাঁকড়া চাষ’ চাষিদের মাঝে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে। চিংড়ির চেয়ে কাঁকড়াতে লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষ শুরু করেছেন। এমনকি বেকার যুবকরা সরকারিভাবে কাঁকড়া চাষের উপর বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে কাঁকড়া চাষে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১১২টি সরকারি ও ৩৪০টি বেসরকারি কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। তৈরির কাজ চলছে আরো কয়েকটি খামার।

জানা যায়, ২০১৬-১৭ মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় কাঁকড়া চাষ হয়েছে ৮৪ দশমিক ২ হেক্টর জমিতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬৩ দশমিক ৮৭ হেক্টর জমিতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫৩ দশমিক ৩৯ হেক্টর জমিতে কাঁকড়ার চাষ হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২০১৩ সালে দুই হাজার তিনশ’ মেট্রিক টন, ২০১৪ সালে দুই হাজার চারশো’ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে দুই হাজার আটশ’ ১৪ মেট্রিক টন, ২০১৬ সালে তিন হাজার মেট্রিক টন, ২০১৭ সালে তিন হাজার চারশো’ মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়। যার প্রায় সবটাই রপ্তানি যোগ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় আশাশুনি, দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায়।জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলাতে মোট ৪৫২টি কাঁকড়ার ঘের রয়েছে। প্রতিবছর এসব ঘেরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪-১৫ সালে জেলায় কাঁকড়ার ঘের ছিল ৩৬৪টি, ২০১৫-১৬ সালে তা বেঁড়ে দাঁড়ায় ৩৮০টিতে এবং ২০১৬-১৭ সালে এসে তা দাঁড়ায় ৪৫২টিতে। এভাবে অব্যাহত রয়েছে কাঁকড়া ঘেরের সংখ্যা বৃদ্ধি।
বিদেশে কাঁকড়ার চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। রপ্তানি তালিকায় অপ্রচলিত এই পণ্যই বদলে দিচ্ছে লাখো মানুষের ভাগ্য। যে হারে চাহিদা বাড়ছে তাতে ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিত গলদা চিংড়িকে অদূর ভবিষ্যতে হার মানাতে পারে।কাঁকড়া চাষিরা জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে যে পরিমাণ কাঁকড়া ধরা পড়ে তা প্রাকৃতিক ভাবে রেণু থেকে বড় হয়। এ অঞ্চলের লবণাক্ত পানি ১২ মাস কাঁকড়া চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। তাছাড়া চিংড়ি চাষের জন্য প্রচুর জমি ও অর্থের প্রয়োজন হলেও কাঁকড়া চাষের জন্য জমি ও অর্থ দুটোই কম লাগে। যে কারণে চাষিরা কাঁকড়া চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।

চাষিরা জানান, বাজার থেকে কাঁকড়া কিনে ছোট ছোট খাঁচায় রেখে মোটাতাজা করা হচ্ছে। ২০ থেকে ২২ দিনেই একবার খোলস পরিবর্তন করে প্রতিটি কাঁকড়া। এতে প্রতিটি কাঁকড়ার ওজন বেড়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হয়। পরে এই কাঁকড়া রপ্তানি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আর এতে লাভ বেশি ও রোগবালাই কম হওয়ায় সাতক্ষীরায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খাঁচায় কাঁকড়া চাষ পদ্ধতি।সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কলবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন খাস জমিতে বিশেষ এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে ইনোভেশন ইন পাবলিক সার্ভিসের আওতায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন গড়ে তুলেছে কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ খামার। দুই বিঘা জমির এই খামারে সাড়ে পাঁচ হাজার খাঁচায় কাঁকড়া মোটাতাজা করা হচ্ছে। যার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে স্থানীয় বাগদী সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা।
চাষিরা জানান, খাঁচায় চাষকৃত কাঁকড়ার খোলস নরম থাকে। এ কারণে বাজার চাহিদাও বেশি। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত এসব কাঁকড়া প্যাকেটজাত করে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। দামও পাওয়া যায় ভালো, কেজি প্রতি ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা না থাকায় অনেকেই ঝুঁকে পড়েছেন কাঁকড়া চাষে। যার ফলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ইতিমধ্যে জেলায় ৪৫২টি কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। আর এ খাত থেকে ক্রমেই বাড়ছে রপ্তানি আয়।

দেবহাটার বদরতলা এলাকার কাঁকড়া চাষি মানিক চন্দ্র জানান, তিনি একশ’ খাঁচা নিয়ে কাঁকড়ার চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার ঘেরে ১৫শ’ খাঁচায় কাঁকড়া চাষ হচ্ছে। ২২ শতক জমিতে তিনি কাঁকড়া চাষ করছেন। তিনি জানান, চিংড়ির চেয়ে কাঁকড়া চাষে খরচ কম লাভ বেশি। তাই তিনি চিংড়ির পরিবর্তে খাঁচায় কাঁকড়া চাষ করেন। এ বছর তিনি কাঁকড়া বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভও করেছেন। এল্লারচর মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কাঁকড়া চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এই কাঁকড়া চাষ করছেন বলে জানান।
সরকার কাঁকড়া চাষিদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও মূলধন দিচ্ছে বলে জানালেন মনিকা রানী। যিনি বর্তমানে একজন উদ্যোক্তা। দেবহাটার নোড়ারচক এলাকার কানাই লাল ম-লের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় মহিলা সমিতির সভানেত্রী। তার নেতৃত্বে ৫৫ জন নারী পুকুরে খাঁচা পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করেন। সরকার তাদেরকে ১৫০টি খাঁচা দিয়েছে।সরকারিভাবে এ উদ্যোক্তা কাঁকড়া চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীদের মাঝে কাঁকড়া চাষের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। এতে তার দল কাঁকড়া চাষে সুফল দেখছে। তিনি খুব আনন্দিত। এবার নতুনভাবে কাঁকড়া চাষে সফলতা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।
এল্লারচর মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, কাঁকড়া চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সরকারি খরচে প্রতিদিন কাঁকড়া চাষিদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। সম্ভাবনাময় এ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সরদার জানান, লাভ বেশি হওয়ায় জেলায় কাঁকড়া চাষ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশের মোট রপ্তানির একটি বড় অংশ সাতক্ষীরা থেকে যায়। এছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য সরকার এই খাতকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতাও দিয়ে যাচ্ছে।
-
কলেজ ছাত্র ছেলের নামে নারী নির্যাতনের মামলার প্রতিবাদের মায়ের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি: মামলাবাজ মাদক ব্যবসায়ী মহিলা কর্তৃক এক কলেজ ছাত্রের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হয়রানিমূলক মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার দুদলি গ্রামের বাশারাত উল্লাহ সরদারের স্ত্রী নুর নাহার বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আবু বাক্কার সিদ্দিকের মেয়ে মামলাবাজ মাছুরা বেগম আমার বড় ছেলে নাসির উদ্দিন কালিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে পড়া অবস্থায় তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের নামে কালিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। কালিগঞ্জ থানা পুলিশ মাছুরার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গত ৭ জানুয়ারি আমার বাড়িতে গিয়ে আলমীরা ভেঙ্গে ব্যাংকের চেক ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় ওসি সুবির দত্ত। এছাড়া মামলা রেকডের তিন দিন আগে ২৪ জানুয়ারি আমাকে গ্রেপ্তার করে তিনদিন থানায় আটকে রাখে। পরে উক্ত মামলায় আমার ছেলে নাসিরসহ আমরা সকলে আদালত থেকে জামিন পাই। এই খবর পেয়ে বাদি মাছুরা বেগম আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২৬ মে মাছুরা বেগম, আবু বাক্কার, সফুরা খাতুন ও ইউনুচ আলী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার বাড়িতে ঢুকে আমাকে ও আমার স্বামীসহ ছোট ছেলে মোহনকে এবং বড় ছেলে নাসির উদ্দিনকে গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে উল্লেখিতরা আমাদেরকে মারপিট করে। আমার কাপড় টেনে শ্লীলতাহানি ঘটায়। তাদের ভয়ে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে বর্তমানে চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। তিনি বহু বিবাহের নায়কিা মামলাবাজ মাদক ব্যবসায়ী মাছুরা বেগম গংদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -
জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা
ডেস্ক রিপোট: গম বা আটার বাজারমূল্য হিসাব করে এবার সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৭০ টাকা। বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ফিতরা নির্ধারণী সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবাং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেজুর, কিসমিস, পনির বা যবের মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো একটি পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফিতরার জন্য নির্ধারিত ওজনের আটার দাম ৭০ টাকা, যবের দাম ৫০০ টাকা, কিসমিস ১৩২০ টাকা, খেঁজুর ১৯৮০ টাকা এবং পনিরের ২৩১০ টাকা ধরে এই ফিতরা হিসাব করা হয়েছে। “দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।” বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দিন আহমদ, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, আহছানিয়া সুফিজম ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মাদ উছমান গণী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ূর রহমান খান, মুফাসসির মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম ছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন শাখার পরিচালক ও উপ-পরিচালকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন
-
কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন
কাশিমাড়ী প্রতিনিধিঃ গতকাল কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা ও বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল ১০টয় কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস এম মহসীন উল-মুলক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাবু দেবী রঞ্জন মন্ডল, কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল হোসেন, অবঃপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি টি এম সোহরাব হোসেন, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আকবর হোসেন, কাশিমাড়ী ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীগের সভাপতি মো. হাবিবুল¬াহ পাড়, সুশীলন নবযাত্রা প্রকল্পের উপজেলা কো-অডিনেটর এস এম জাকির হোসেন প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, কাশিমাড়ী ইউপি সচিব মো. আব্দুস সবুর ও কাশিমাড়ী গ্রাম আদালত সহকারি মো. মহসীন আলম।
-
তালাতে সমাবেশ : আবারো ইউএনও ফরিদ হোসেনকে প্রত্যাহারের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘুষ, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অসদাচরণ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে তালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেনের প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০মে) সকালে ডাকবাংলো চত্বরে তালা সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেনে সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক মীর জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় ইউএনও অপসারনের দাবিতে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) সংসদ সদস্য এ্যড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইখতিয়ার রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মফিজ উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান, ওয়ার্কাস পার্টির তালা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, কামরুজ্জামান লিপু, রাজিব হোসেন রাজু, অধ্যাপক সুভাষ কুমার সেন, গণেষ দেবনাথ, এম মফিদুল হক লিটু, রফিকুল ইসলাম, সভাষ চন্দ্র সেন,মোঃ আজিজুর রহমান রাজু, কুমিরা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী প্রমুখ। -
আগামী ১জুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবে ২৩ হাজার ৮৭ জন : পদের সংখ্য ৪৭
নিজস্ব সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় আগামি ১ জুন শুরু হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। সকাল ১০টা হতে সকাল ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের লিখিত পরীক্ষায় জেলায় ৪৭টি পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছে ২৩ হাজার ৮৭ জন। অর্থাৎ প্রতি ৪৯১ জনে একজন নিয়োগ পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে শুধু সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনিতে ১৫জন করে ৩০জন শিক্ষকের পদশূণ্য রয়েছে। এছাড়া বাকি ১৭টি পদে প্যানেলভুক্ত ও পুলভুক্ত শিক্ষক যোগদান করবে। সেই হিসেবে প্রতি ৭৬৯ জনে একজন করে নিয়োগ পাবে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
নকলমুক্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল, ক্যালকুলেটার নিষিদ্ধের পাশাপাশি দেহ তল্লাসী করে প্রবেশ করানো হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রাখা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথম কক্ষ অনুযায়ী সিলমোহরকৃত প্রশ্ন সরবারাহ করা হবে। প্রতি কেন্দ্রে কয়েক দফায় মিটিং করা হয়েছে। কেন্দ্র সচিবরা জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠু করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানান,এবারজেলায় ২৯টি কেন্দ্রের অধীনে ২৩ হাজার ৮৭ জন পরীক্ষার্থী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
এরমধ্যে কেন্দ্র সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ (কলা ভবন) রোল নং ০১ হতে ১৫০০ রোল পর্যন্ত। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ (বিজ্ঞান ভবন) রোল নং ১৫০১ হতে ৩০০০ রোল পর্যন্ত ১৫০০ জন। সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজ ৩০০১ হতে ৪০০০ পর্যন্ত ১০০০ জন। সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা ৪০০১ হতে ৫০০০ রোল পর্যন্ত ১০০০ জন। আব্দুল করিম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ৫০০১ হতে ৩০০০ রোল পর্যন্ত ১৫০০ জন ৫৫০০ পর্যন্ত ৫০০ জন। সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ ৫৫০১ হতে ৭০০০ পর্যন্ত ১৫০০ জন। সাতক্ষীরা নবারুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭০০১ হতে ৭৭০০ পর্যন্ত ৭০০ জন। সাতক্ষীরা পিএন স্কুল এন্ড কলেজ ৭৭০১ হতে ৮৪০০ পর্যন্ত ৭০০ জন। সাতক্ষীরা ডে নাইট কলেজ ৮৪০১ হতে ৯৪০০ পর্যন্ত ১০০০ জন। পিটিআই, সাতক্ষীরা ৯৪০১ হতে ৯৯০০ পর্যন্ত ৫০০ জন। কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯৯০১ হতে ১০৮০০ পর্যন্ত ৯০০ জন। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ১০৮০১ হতে ১১৯০০ পর্যন্ত ১১০০ জন। সাতক্ষীরা টাউন গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১৯০১ হতে ১২৫০০ পর্যন্ত ৬০০ জন। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ১২৫০১ হতে ১৩৫০০ পর্যন্ত ১০০০ জন। সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ১৩৫০১ হতে ১৩৯০০ পর্যন্ত ৪০০ জন। তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩৯০১ হতে ১৪৭০০ পর্যন্ত ৮০০ জন। দ্যা পোলস্টার পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪৭০১ হতে ১৫২০০ পর্যন্ত ৫০০ জন। পিএন বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল ১৫২০১ হতে ১৫৬০০ পর্যন্ত ৪০০ জন। রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫৬০১ হতে ১৬৩০০ পর্যন্ত ৭০০ জন। সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬৩০১ হতে ১৬৯০০ পর্যন্ত ৬০০ জন। সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ১৬৯০১ হতে ১৮২০০ পর্যন্ত ১৩০০ জন। সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৮২০১ হতে ১৮৭০০ পর্যন্ত ৫০০ জন। পলাশপোল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮৭০১ হতে ১৯৪০০ পর্যন্ত ৭০০ জন। সাতক্ষীরা আয়েনউদ্দীন মহিলা আলিম মাদ্রাসা ১৯৪০১ হতে ১৯৮০০ পর্যন্ত ৪০০ জন। ছফুরননেছা মহিলা কলেজ ১৯৮০১ হতে ২০২০০ পর্যন্ত ৪০০ জন। বাঁকাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০২০১ হতে ২০৬০০ পর্যন্ত ৪০০ জন। আলীপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০৬০১ হতে ২১৪০০ পর্যন্ত ৮০০ জন। মাহমুদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২১৪০১ হতে হতে ২২১০০ পর্যন্ত ৭০০ জন এবং সীমান্ত আদর্শ কলেজ, সাতক্ষীরা ২২১০১ হতে ২৩০৮৭ পর্যন্ত ৯৮৭ জন।
সূত্র জানায়, কোটা মেনে এবারও সাতক্ষীরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়া হবে। এরমধ্যে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ এবং পুরুষ কোটা ২০ শতাংশ। এসব কোটার মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটা রয়েছে। ২০১৪ সালে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আইনি জটিলতার কারণে তা অনিুষ্ঠিত হচ্ছে প্রায় ৫ বছর পর। -

জেলায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৪৭
নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৯ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ১১১ বোতল ফেন্সিডিল, ৭০ পিচ ইয়াবা ও ৫’শ গ্রাম গাজা।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৭ জন, কালিগঞ্জ থানা ৮ জন, শ্যামনগর থানা ১২ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন, দেবহাটা থানা ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। -
সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিল

বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শাহ্ আবদুল সাদী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান, এনডিসি মোশারেফ হোসাইন প্রমুখ। -
কুশখালী, বৈকারী ও বাশদহ ্ইউনিয়ন আওয়মীলীগের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা

কুশখালী, বৈকারী ও বাশদহ ্ইউনিয়ন আওয়মীলীগের ইফতার মাহফিল ও আলোচন্ াসভায় বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি -
গ্রামসরকার বিষয়ে পরামর্শ সভা

গ্রামসরকার বিষয়ে পরামর্শ সভা -
সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল

সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল -

নওয়াপাড়া ( দেবহাটা) ইউনিয়ন পরিষদের প্রকাশ্য বাজেট ঘোষনা