ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান ও স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমের কেনা ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদ জানালেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবির রিজভী।
Blog
-

আনুলিয়ায় অর্থনৈতিক শুমারির প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।
আশাশুনির আনুলিয়ায় অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর ৪ নং জোনের সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীগণের ৪ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার বিছট নিউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলরুমে এ অনুষ্ঠান হয়।প্রধান শিক্ষক শান্তি রঞ্জন এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জোনাল অফিসার দীপক কুমার মল্লিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আদর্শ মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহকারী শিক্ষক আবু দাউদ। প্রশিক্ষণ দেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আই টি ট্রেইনার আল আমিন। -

স্ত্রীর কেনা ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিলেন রিজভী
বৃহস্পতিবার (৫ই ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী স্ত্রীর দেওয়া ভারতীয় শাড়িটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ ব্যানারে ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতেই এই অনুষ্ঠান
রিজভী বলেন, যারা আমার দেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে, আমরা তাদের দেশের পণ্য বর্জন করব। তাদের দেশের যে শাড়ি কিনতো আমাদের মা-বোন-স্ত্রীরা, তারা আর ভারতীয় শাড়ি, সাবান টুথপেস্টসহ কোনো কিছুই কিনবে না।
ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জাহিদুল কবির, জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদুর রহমান আউয়ালও বক্তব্য দেন।
-

ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়ন। সাম্প্রতিক সময়ের এই বৈরী সম্পর্কের সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে দু’দেশের বাণিজ্যিক আদান-প্রদান। তবে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য রয়েছে স্বাভাবিক।
ভোমরা স্থলবন্দরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত চার দিনে ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে ৯০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে। যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১০ দশমিক ২৯ কোটি টাকা। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯৬ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এ সময় রাজস্ব আয় হয়েছে ৫১৯ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা। তুলনামূলকভাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হলেও রাজস্ব আয় ছিল ৩৪১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই বছর পণ্য আমদানি কম হলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১৭৭ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, গত নভেম্বর মাসে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এসব পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছে দুই হাজার ৮৪টি ট্রাক।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক আব্দুল গফুর সরদার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে বৈরী অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নানা গুজব ছড়ালেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি বন্দরের কার্যক্রমে। আমরা বৈদেশিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।
-

নানা মত, ধর্ম ও রীতিনীতি থাকলেও আমাদের পরিবার একটা : প্রধান উপদেষ্টা
আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু পরিবার একটা। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনে অনেকগুলো প্রশ্ন জেগেছে। সেগুলোর জবাব খুঁজে পাওয়ার জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরই এই সরকার যখন গঠন হয়, আগস্টের ৮ তারিখ আমি যখন বিমানবন্দরে উপস্থিত হলাম। তখন সবার কাছে আন্তরিকভাবে একটা আহ্বান জানিয়েছিলাম। সেটা কোন রাজনৈতিক বা শ্রোতাপ্রিয় বক্তব্য ছিল না। বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু পরিবার একটা আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতেই জোর দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের শত পার্থক্য সত্ত্বেও আমরা কারও শত্রু না। পরস্পরের শত্রু না। আমরা এক জায়গাতে, এক কাতারে ওখানে চলে আসি। যেখানে আমাদের জাতীয়তার প্রশ্ন আছে, পরিচয়ের প্রশ্ন আছে। আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যচার চলছে। এরপরই আমি খোঁজ নিই এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবি-দাওয়া দেওয়া হলো। তবে একটি দাবি হচ্ছে ‘আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, আমি তাদের আন্তরিকভাবেই বলেছিলাম যে আমরা এটা দেখব নিশ্চিত করার ব্যাপারে। সংবিধান নাগরিককে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেগুলো তার কাছে পৌঁছে দেওয়া ও নিশ্চিত করা আমার কাজ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারপরও শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তো আমি সবার সঙ্গে বসলাম এবং কথা বললাম যে এখান থেকে কী করে তাদের উদ্ধার করতে পারি? তখন পূজার সময় এল। আমি মনে করলাম এই সময়ে হামলা হবে। ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যাতে কোনো রকম হামলা না হয়।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম একটুতো কাজ করেছি। এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলবো না প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এসব হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কি হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে। আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভূুল হতে পারে। ভুল তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মত বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোন ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কিভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এতবড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি তথ্য পেলাম কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোন গোলমাল নেই। তথ্যপ্রবাহ কিভাবে পাব, দোষীকে কিভাবে ধরব। যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়। এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মত বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কিভাবে নিরাপদে তথ্য সংগ্রহ করবো, যে তথ্য দিচ্ছে তা যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
-

সাতক্ষীরায় দেড় কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
মুহাম্মদ হাফিজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি।০৫ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ পদ্মশাখরা, ভোমরা, ঘোনা, বৈকারী, কাকডাঙ্গা, হিজলদী ও চান্দুরিয়া বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় দেড় কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে।সাতক্ষীরা -৩৩ব্যাটেলিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল আশরাফুল হক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৪/৪-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন লক্ষীদাড়ী নামক স্থান হতে ১৮ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে। ঘোনা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৬/৪-এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দাঁতভাঙ্গা নামক স্থান হতে ১০০০ পিস ভারতীয় ইয়াবা আটক করে। হিজলদী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৭/১-এস হতে আনুমানিক ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন সুলতানপুর ইটের ভাটা নামক স্থান হতে ০১ বোতল ভারতীয় এলএসডি (LSD-100ml), ০১ বোতল (100ml) ভারতীয় ইনজেকশন ড্রাগ এবং ১০০০ পিস ভারতীয় ইয়াবা আটক করে। এছাড়াও, চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৭/৭-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন আমবাগান নামক স্থান হতে ০৬ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পদ্মশাখরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ১ হতে আনুমানিক ০১ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন দক্ষিণ হাড়দ্দহা নামক স্থান হতে ৮৪,০০০ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী রশুন আটক করে। বৈকারী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৭/৬৫-এস হতে আনুমানিক ০৪ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতানী নামক স্থান হতে ২,৪০,০০০ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী বন্যপ্রানী (মুখপোড়া হনুমান) আটক করে। কাকডাঙ্গা বিওপি পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন ভাদিয়ালী এবং গেড়াখালী নামক স্থান হতে ১,০৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী আটক করে। এছাড়াও, চান্দুরিয়া বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৭/৭-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আমবাগান নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।সর্বমোট ১,১৬,৫৫,০০০/- (এক কোটি ষোল লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা মূল্যের বিভন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে।চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন। -

জমকালো আয়োজনে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
জমকালো আয়োজনে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের কর্মসূচিতে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের আয়োজনে হাজারও শ্রোতাদের উপস্থিতে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন আসলামের সঞ্চালনায় মধ্যরাত পর্যন্ত পালাক্রমে খুলনা, সাতক্ষীরা থেকে আগত হাঁড়িভাঙ্গা সুরঝংকার একাডেমির মিউজিশিয়ানদের সহযোগিতায় এন্ড্র মনির, সাথী, সুমন পাখি, আব্দুর রাজ্জাক, আলিশা অনু, মেঘলা ঋষত্বিক প্রমুখ গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। ক্লাবের সভাপতি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চলের সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে থানার তদন্ত অফিসার রফিকুল ইসলাম প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, সহ-সভাপতি এম এম সাহেব আলী, সাধারণ সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন আসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুল হাসনাইন টুটুল, সদস্য শরিফুল ইসলাম শরীফ সহ সকল সদস্যরা প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মশিউল হুদা তুহিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক, দপ্তর সম্পাদক শেখ বাদশা, সদস্য জগদীশ চন্দ্র সানা, মোঃ হাবিবুল্লাহ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগ, যুগ্ম আহবায়ক সাদিক আনোয়ার ছোট্টু, সম আক্তারুজ্জামান, বুধহাটা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নূরে আলম সরোয়ার লিটন, সমন্বয়ক আকাশ হোসেন, বুধহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আল, ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন প্রমুখ। এর আগে রিপোর্টার্স ক্লাবের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনভর কর্মসূচিতে বেলা ১১টায় র্যালির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু করা হয়।উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিআরডিবি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে র্যালী শেষ হয়। পরে বিআরডিবির হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীন, সহ-সভাপতি এম এম সাহেব ও সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন আসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার প্রধান অতিথি আশাশুনি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম সকল অতিথিবৃন্দ ও আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সকল সদস্যদের নিয়ে কেক কাটেন। কেক কাটা শেষে অতিথিবৃন্দ আশাশুনি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমানের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রাবিদ মামুদ চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এম সাহেব আলী, সাবেক সভাপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন আসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুবুল হাসনাইন টুটুল, সদস্য শরিফুল ইসলাম শরীফ, নুরুল ইসলামের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। -

তালায় কিডনি রোগে আক্রান্ত স্কুলছাত্রী মুন্নী বাঁচতে চায়!
সাতক্ষীরার তালায় কিডনি রোগে আক্রান্ত মুনিয়া আক্তার মুন্নী (১৪) বাঁচতে চায়। সে তালা শহীদ কামেল মডেল হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী এবং মোবারকপুর এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা পারভীন সুলতানার একমাত্র কন্যা। অন্যান্য সহপাঠীদের মতোই প্রাণোচ্ছ¡ল, হাসিখুশি, চঞ্চল ও প্রাণবন্ত ছিল মুন্নী। কিন্তু হঠাৎ তার প্রাণ প্রদীপ নিভু নিভু হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে এবং অপরটিও নষ্ট হওয়া পর্যায়ে। শুরু থেকে চিকিৎসা করাতে করাতে মা আর্থিকভাবে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন অতি দ্রæত একটি কিডনির অপারেশন প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছেনা। অপারেশন করাতে না পারলে অসচ্ছল মায়ের একমাত্র আদরের নয়নের মণি মুন্নীর জীবন প্রদীপ নিভে যেতে পারে।
মুন্নীর মা পারভীন সুলতানা জানান, ‘মাত্র ১৩ দিন বয়সে মুন্নীকে রেখে তার পিতা অন্যত্র বিয়ে করে আমাদের ছেড়ে চলে যায়। সেই হতে বাবার বাড়ি থেকে অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালায় ও মেয়েটিকে স্কুলে পড়ায়। মেয়েকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণের শুরুতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় কিডনি রোগ।’
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসা করতে করতে তিনি আজ নিঃস্ব। ইতোমধ্যে অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে। টাকার অভাবে এখন তার চিকিৎসা প্রায় বন্ধের পথে। ডাক্তার বলছে আরো অন্তত ৩ লাখ টাকা লাগবে। মেয়েেেক বাঁচাতে তিনি সবার কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করেন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মানস কুমার মন্ডল জানিয়েছেন খুব দ্রæত তার কিডনি অপারেশন করতে হবে।
এদিকে মায়ের অনেক স্বপ্ন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে। কিন্তু অর্থের অভাবে সে স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বেঁচে থাকার লক্ষে চিকিৎসা করাতে আর্থিক সাহায্যের জন্য সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মুন্নীর মা পারভীন সুলতানা। এজন্য তিনি ১৯১১-৯০৮৩৪৭ নগদসহ এই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন। -
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সাথে জাস্টির ফর জুলাই সাতক্ষীরা শাখার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়
মুহাম্মদ হাফিজ, নিজস্ব প্রতিনিধি :সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সাথে মতবিনিময় ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে জাস্টির ফর জুলাই সাতক্ষীরা শাখার নেতৃবৃন্দ।৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মতবিনিময় ও স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।মতবিনিময়ে জেলা প্রশাসকের সাথে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, শহীদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা প্রদান, সাতক্ষীরা সংস্কার ও উন্নয়ন ভাবনাতে তরুণদেরকে সম্পৃক্তকরণ বিষয়ে মতবিনিময় হয়।এসময় তারা জেলা প্রশাসক মহদ্বয়ের নিকটজুলাই গন অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, শহীদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা প্রদান,আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন,সাতক্ষীরার খুলনা রোডস্থ মোড়কে শহীদ আসিফ চত্তর নাম করণ, সাতক্ষীরা সংস্কার ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ক স্মারক লিপি প্রদান ও জুলাই গন অভ্যুত্থানের ‘‘জুলাই স্মারক ক্যালেন্ডার ১-৩৬ জুলাই ’’ সম্বলিত দেয়ালিকা হস্তান্তর করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন জাস্টিস ফর জুলাই সাতক্ষীরার আহব্বায়ক ইখতেয়ারউদ্দীন, যুগ্ম আহব্বায়ক সায়েম রহমান সিয়াম,সোহাগ হোসেন,ইমরান বাসার , সদস্য সচিব ঝুমা মারিয়াম,সদস্য সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি তারিক ইসলাম, রত্মা পারভীন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জিল্লুর রহমান,আনিসুর রহমান,মাছুদুর রহমান,নাজমুস সাকিব,সাব্বির হোসেন,জুবায়ের,নাহিদ হোসেন, মাহমুদুল হাসান প্রমুখ । -

‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক নয়াদিল্লি’
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক নয়াদিল্লি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। আমরা দুই দেশের মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে আগ্রহী। এর আগে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে বাংলাদেশ। পরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর দফতরে বৈঠকে বসেন তিনি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা এ হামলা চালান। এদিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েক শ লোক বিক্ষোভ করেছেন। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কোনো অবস্থাতেই কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রতিবাদ মিছিলের সময় কিছু যুবক বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের অফিসে ঢুকতে চেয়েছিল। আমি এই ঘটনার নিন্দা করি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা যায়, কিন্তু এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সাত জনকে আটক করেছে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ত্রিপুরার তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরা পুলিশের এসপি কিরণ কুমারের বরাতে পিটিআই জানিয়েছে, এ ঘটনায় আগরতলার নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
-

আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর সেখানে কনস্যুলার সেবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, নিরাপত্তার কারণে আপাতত আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ওই মিশন থেকে বাংলাদেশের ভিসা সেবা বন্ধ থাকবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ওই হামলা হয়। সেখানে হামলা, ভাঙচুর, ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ভেঙে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে পোড়ানোর নিন্দনীয় ঘটনায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া উগ্রপন্থীদের বিক্ষোভে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আগরতলাসহ ভারতে বাংলাদেশের সব মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য আগেই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নোট পাঠানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কঠোর প্রতিবাদের সঙ্গে ওই নোট পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আগরতলা মিশনে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত সাতজনকে আটক এবং নির্লিপ্ততার জন্য পুলিশের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। স্মরণ করা যায়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ওই ক্ষোভ-বিক্ষোভের জন্ম। এটাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের সুতারকান্দি স্থলসীমান্ত দিয়ে উগ্র প্রতিবাদকারীরা বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার মধ্যেই আগরতলায় হামলার ঘটনা ঘটে।
-
গণমাধ্যমে মতামত দেওয়ায় Huawei” কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংগঠক মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার নিন্দা ও অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান
গণমাধ্যমে টেলিটকের ৫ম প্রকল্পে দুর্নীতি সম্পর্কে মতামত দেয়ায় চীনা কোম্পানী Huawei‘‘ কর্তৃক বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করায় গভীর ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে অবিলম্বে মিথ্যা, হয়রানিমুলক মামরা প্রত্যাহার করে জনগনের কন্ঠরোধ করার অপকৌশল বাদদিয়ে নাগরিকের স্বাধীন মতামত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করার দাবি করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।মহিউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমুলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত সরকারের স্বৈরচারী আচরণ ও সাধারন মানুষের কন্ঠরোধ করার বিপরীতে জুলাই আন্দোলনে বর্তমান অর্ন্তবতীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েই উদার গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীন মতামতের প্রদানে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। বিগত সরকারের নানা বঞ্চনা ও অবিচারের বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের মতামত গণমাধ্যমসহ রাস্তায় সভা-সমাবেশ করে প্রকাশ করছেন। সরকার সেখানে কোন প্রতিবন্ধকতা ও বাঁধা তৈরী করেনি। কিন্তু পত্রিকায় মতামত প্রদানের জন্য মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলা করে জনগনের কন্ঠরোধ করার অপচেষ্টা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসাবে নৈতিকতা পরিপন্থি ও ন্যায্য ব্যবসা প্রসারে বড় বাঁধা। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসাবে তাদের এ ধরনের অসৌজন্যমূলক, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি অনেকটাই “শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অচচেষ্টা” কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বিটিআরসি এবং দুদকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে জনসমক্ষে প্রকাশের আহবান জানিচ্ছি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি হিসাবে মহিউদ্দিন আহমেদ দেশে ভোক্তা অধিকার ও নাগরিক অধিকার লংগন হলেই সোচ্চার এবং প্রতিবাদে রাজপথসহ সর্বত্রই সক্রিয়। একটি প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করতে এধরনের অপকৌশল কোন সময়ই সফল হয় না। অধিকন্তু তারা যদি অনিয়ম বা ধরনের নিন্মমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহে জড়িত না হয় তাহলে যারা সংবাদটি প্রকাশ করেছেন, তার প্রতিবাদ দেয়া যেত, লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে মতামত প্রদানকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হাস্যকর বিষয়ে পরিনত করেছেন।
বিবৃতিতে নেৃতৃবন্দ আরও বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার প্রত্যেক নাগরিককে দিয়েছে। আর ভোক্তা হিসাবে ভোক্তা স্বার্থ সংস্লিষ্ঠ সব বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রদানের স্বাধীনতাও জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তা অধিকারের অন্যতম। তাই কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সে অধিকার লংগনের কোন সুযোগ নেই। আর কেই যদি ভোক্তার সে অধিকার হরণ করতে চায় তার অর্থ হলো তিনি বা প্রতিষ্টান ভিন্ন কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এটি করছেন। যা ন্যায্য ব্যবসার পুরোপুরি পরিপন্থি। এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বশীল নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এর রহস্য উদঘাটন প্রয়োজন। -
শ্যামনগরে কৃষিতে ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাসকরণের দাবিতে মানববন্ধন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কৃষিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ও রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাসকরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব কীটনাশক মুক্ত দিবস উপলক্ষে সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সবুজ সংহতি, যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক যৌথভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, কৃষিতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলেছে। এ কারণে জীববৈচিত্র্য যেমন হুমকির মুখে, তেমনি জনস্বাস্থ্যও চরম ঝুঁকিতে পড়ছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন হতে হবে। সরকারকেও বিষয়টি প্রচারে আনতে উদ্যোগী হতে হবে।
মানববন্ধনে সবুজ সংহতির আহ্বায়ক কুমুদ রঞ্জন গায়েনের সভাপতিত্বে ও যুব সংগঠক স.ম ওসমান গনী সোহাগের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সদস্য সচিব মো. সাঈদুল ইসলাম, যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটির সদস্য মো. শামীম হোসেন, সোনামুগারী কৃষক-জেলে কল্যাণ সমিতির সভাপতি কোহিনুর বিবি, কৃষক-গবেষক দলের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সবুজ সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক পীযুষ বাউলিয়া পিন্টু, সাংবাদিক শেখ আফজালুর রহমান, বারসিক এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি পেস্টিসাইড কারখানায ভয়াবহ রাসায়নিক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। যা ভোপাল ট্র্যাজেডি নামে পরিচিত। এতে ৫ লাখের বেশি মানুষ অত্যন্ত বিষাক্ত মিথাইল আইসো সায়ানেট গ্যাসের সংস্পর্শে আসেন এবং সরকারি হিসেবে ২ হাজার ২৫৯ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে ৩ ডিসেম্বর বিশ্ব কীটনাশক মুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনা। -

২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস -২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
মুহাম্মদ হাফিজ, নিজস্ব প্রতিনিধি :‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ’ প্রতিপাদ্যে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস -২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩রা ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।অনুষ্ঠানে সম্মানিত বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীরসাতক্ষীরা জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। এসময় বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান,জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আয়শা খাতুন, সাতক্ষীরা শহর সমাজ সেবা অফিসার মুর্শীদুল হক, সাতক্ষীরা প্রতিবন্ধী সবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ডাঃ হাবিবুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার (রেজিষ্ট্রেশন) মো. তরিকুল ইসলাম,সুইড খ্যাতিমুন্নেছা হানিফ লস্কর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম।উল্লেখ্য ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে ১৪ টি হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার সুমনা শারমীন। -

সাতক্ষীরার চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরার চন্দনপুর বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলীর পদত্যাগ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১টায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুরে বিদ্যালয়ের সামনে চার শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের অংশগ্রহনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আব্দুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মাসুম বিল্লাহ, সাহামিনা আক্তার লতা, পার্থ সারথী মজুমদার, শিক্ষার্থী সমন্বয়ক বায়জিদ, আজমীর, লাবিব, প্রভয় ও তাজাল্লীসহ কয়েকজন অভিভাবক বক্তব্য রাখেন।
বক্তরা, প্রধান শিক্ষক আনছার আলীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, যৗেন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ ও বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের নামের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
-

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উদ্যোগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
মুহাম্মদ হাফিজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কার্যালয় কর্তৃক পরিচালিত ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং, বিউটিফিকেশন, ইয়ুথ কিচেন (রান্না বিষয়ক), ওয়েল্ডিং ও মৎস্য চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।০৩ ডিসেম্বর(মঙ্গলবার) যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার আয়োজনে তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক সঞ্জীত কুমার দাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।এছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার প্রশিক্ষক কম্পিউটার মো. আব্দুল মতলেব’র সঞ্চালনায়বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাতক্ষীরা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আব্দুল মাজেদ, তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ। এবার প্রশিক্ষণে ১২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। -

সাতক্ষীরা সদরে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
সাতক্ষীরা সদরে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির ০২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন হয়েছে।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরা সদরের আয়োজনে মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর)সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ প্রশিক্ষনের উদ্বোধন করা হয়।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরা সদরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা ‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরহাদ জামিল ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু তাহের।এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশে’র রিসোর্স পার্সন সাবরিনা সুলতানা, প্রথম আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী।প্রশিক্ষণের প্রথম দিনে সাতক্ষীরা পৌরসভা ও সদর উপজেলা থেকে আগত ১১৬ জন স্বাস্থ্য কর্মীদের গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়ের পুষ্টি এবং শিশুর সংবেদনশীল ও উদ্দীপনামূলক যত্ন মডিউল-১ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। -
আশাশুনির গাজীপুর মাদরাসার অধ্যক্ষের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত অনুষ্ঠিত
আশাশুনি উপজেলার গাজীপুর কুড়িগ্রাম ইসলামিয়া সিদ্দিকিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ ভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে মাদ্রাসার সভাকক্ষে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে তদন্ত পরিচালনা করেন আশাশুনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার হাসানুজ্জামান।এসময় মাদ্রাসার অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও আব্দুল মালেক সহ ১০ জন অভিযোগকারী তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করেন। অভিযোগকারীরা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমানাদি উপস্থাপন করলেও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ কোন প্রমানাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। তদন্ত কার্যক্রম শেষে স্থানীয় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে ১০ জন অভিযোগকারী আঃ মালেক মল্লিক, কালামুজ্জামান, মাছুম বিল্লাহ, আতাউল্লাহ চৌধুরী, শহিদুল্লাহ, শামীম রেজা রাজু, মাগফুর রহমান, আলামিন ইসলাম, আঃ রাজ্জাক, সাইদুল ইসলাম লিটু সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুর কুড়িগ্রাম ইসলামিয়া সিদ্দিকিয়া আলিম মাদরাসায় ২০১৮ সালে মিজানুর রহমান অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। এরপর থেকে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে তিনি নিয়োগ বানিজ্য, এতিমদের টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে চলেছেন। কোন এতিম ছাত্র না থাকা স্বত্ত্বেও ৩২টি এতিম ছেলে দেখিয়ে ১৬ জন এতিমদের বরাদ্দকৃত সরকারি ক্যাপিটেশন গ্রান্ডের ১১ লক্ষ ২০ হাজার ৮৪৭ টাকা আত্মসাৎ করেন। মাদরাসার ২৭ বিঘা জমির বার্ষিক আয় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার কোন হিসাব দেননি। মাদরাসায় এবতেদায়ী বিভাগে কোন শিক্ষার্থী না থাকা সত্ত্বেও ৪ জন শিক্ষকের বেতন উত্তোলন করে বছরের পর বছর সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছেন। সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী আলাউদ্দীন লাকীকে মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বানিয়ে তার মাধ্যমে প্রভাব খাঁটিয়ে অপকর্ম করে গেছেন এবং তথ্য গোপন করে মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসাবে তার আপন চাচা সপ্তম শ্রেণী পাস শফিকুল ইসলামকে মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছেন। মাদরাসার শুন্য পদে একজন উপাধ্যক্ষ, একজন অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী, একজন অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর, একজন নিরাপত্তাকর্মী, একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও একজন আয়া নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ১২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করেন। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্বজন প্রীতির অভিযোগে তৎকালীন সংসদ সদস্য আ.ফ.ম রুহুল হকের হস্তক্ষেপে উক্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ তার মনোনীত প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সকল চাকুরী প্রার্থীদের না জানিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা দেখিয়ে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর বাদে অন্যান্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। যার মধ্যে নিজের ছেলে অহিদুর রহমানকে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী ও তার আপন চাচাতো ভাই এর বউ আছিয়া খাতুনকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্ত অহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে চলমান জি, আর ২৪/২৪ (আশাঃ) মামলার শুনানিতে গত ২৮ অক্টোবর ধার্য তারিখে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বাবা অধ্যক্ষ হওয়ায় তাকে সাসপেন্ড না করে স্বপদে বহাল রেখেছেন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও জি, আর ৮/২৪ (আশাঃ), জি, আর-১৫০/২২ (আশাঃ) জি,আর-১৪৫/২২ (আশাঃ), জি, আর-৫৫/২২ (আশাঃ) মামলা চলমান আছে। অধ্যক্ষ অবশিষ্ট পদে নিজস্ব প্রার্থী না থাকায় কাউকে নিয়োগ না দিয়ে গত ৩০ অক্টোবর যুগেরবার্তা পত্রিকায় পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি ১৫ লক্ষ টাকা চুক্তিতে আত্মীয় রফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দিবেন বলে জানা গেছে।তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো একদিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। প্রাথমিক তদন্তে বাদীপক্ষ অভিযোগের স্বপক্ষে যুক্তি ও প্রমাণাদি দাখিল করেছেন। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান তদন্তের সময় স্বপক্ষে কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই তাকে ৪ দিনের মধ্যে স্বপক্ষের কাগজপত্রসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে। বাদী পক্ষকেও তাদের অভিযোগের স্বপক্ষে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে কিছু জানার চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে সুকৌশলে তদন্ত স্থল পরিত্যাগ করেন। -

সাতক্ষীরায় ক্যাব’র মানববন্ধন
সাতক্ষীরায় আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)
সাতক্ষীরা শাখা মানববন্ধন করেছে । মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ক্যাব সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি অ্যাড. আজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অ্যাড. ফেরদৌসি সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আর রহমান, নির্বাহী সদস্য জি এম ইশতিয়াক জামিল, হাসানুজ্জামান, আহম্মেদুল কবির বাবু, সামিউল ইসলাম, শামিমা সুলতানা, রিবা সুলতানা, শাহিদা সুলতানা, নাছিমা আক্তার, সদস্য মিনারুল ইসলাম, শারমিন নাহার, সাব্বির হোসেন, তামান্না প্রমুখ।মানব বন্ধনের বক্তব্যের শেষে ক্যাবের নেতৃবৃন্দ অসাধু ও দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও পণ্যেও সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ৮ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর একটি স্মারকরিপি পেশ করেন।