Blog

  • নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল

    নিজস্ব প্রতিবেদক : নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার উপাচার্য এবং আই বি এ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল বারি, সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াজেদ কচি, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জি এম নুর ইসলাম, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, বাংলা ভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান, দৈনিক ভোরের ডাকের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোহাম্মাদ আলী সুজন প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রনে এখন প্রশাসন

    বিশেষ সংবাদদাতা: সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রন গ্রহন করেছে প্রশাসন। বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নির্বাচন করাকে কেন্দ্র করে গত বেশ কিছুদিন টার্মিনালে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গতকাল বাস মালিক সমিতির ডাকা সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষে এ দায়িত্ব গ্রহন বলে জানাযায়।
    বুধবার বেলা ১১টায় বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি আয়োজিত সাধারণ সভায় মালিক সমিতির উভয় পক্ষের সদস্যের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
    প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহনের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, এনডিসি মোশাররফ হোসাইন, বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু, সাবেক সহ-সভাপতি মো. আছাদুল হক (সাবেক চেয়ারম্যান) শেখ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রমুখ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী তপশীল ঘোষণা, ভোটার তালিকা প্রকাশ, যাচাই বাছাই, আপত্তি নিষ্পত্তি ও ভোট গ্রহণের দিন ধার্য্য করা হরে। গত ৫ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ০৫.৪৪.৮৭০০.০৪৫.০১.০০১.১৮/৯১ স্মারকে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে বিবাদমান সার্বিক পরিস্থিতি নিরসনকল্পে নব-গঠিত নির্বাচন কমিশনের নিকট দায়িত্বসহ সকল কাগজাদি হস্তান্তর প্রসঙ্গে মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি (রেজিঃ নং খুলনা ২০১৯) ছাইফুল করিম সাবু’র নিকট জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন এ পত্র পাঠান। সেকারণে বুধবার প্রশাসনের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে পুলিশ মোতায়েম করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট অনিন্দিতা রায় জেলা প্রশাসকের পক্ষে সকল দায়িত্ব পালন করবেন বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।

  • ইমরান এইচ সরকারকে নিয়ে গেছে ডিবি

    গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে শাহবাগ থেকে সাদা পোশাক পরিহিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তুলে নিয়ে গেছে।

    আজ বুধবার বিকেলে শাহবাগের যাদুঘরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    ইমরান এইচ সরকারকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে সাংস্কৃতিক কর্মী সঙ্গীতা ইমাম বলেন, আমরা এখানে কথা বলতে এসেছিলাম। কিন্তু ইমরান এইচ সরকারকে এভাবে তুলে নিয়ে যাবে এটা ঠিক নয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহবাগে সমাবেশের জন্য ইমরান এইচ সরকার এসেছিলেন। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নামামাত্রই তাকে সাদা পোশাক পরিহিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়।

  • টাকার জন্য মামলা দীর্ঘদিন চালাবেন না

    শহর প্রতিনিধি: জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার বিকালে সমিতি ভবনে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সভাপতি বিমল কৃষ্ণ সরকার।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে সাতক্ষীরা জেলার জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সদস্য খুবই দক্ষ ও কর্ম চঞ্চল এবং সুসংগঠিত। বিচারক একজনই তিনি সব দেখছেন। টাকার জন্য মামলা দীর্ঘদিন চালাবেন না। মক্কেলদের মনে করবেন বাবা, মা, ভাই-বোন। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে সবকিছুর বিচার করবেন। আপনারা গুণী মানুষ। সৎ ভাবে পেশার দায়িত্ব পালন করুন তাহলে সফলতা আসবেই।’

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আ.ফ.ম রেজওয়াউল্লাহ সবুজ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এড. সম্ভু কুমার সিংহ, জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সনীল মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সদস্য বসু ঘোষ।

  • মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

    শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরের গোপালপুর এলাকায় ভিটেবাড়ি লিখে না দেয়ায় এক দরিদ্র ভ্যান চালকের পরিবারকে বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন গোপালপুর গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী মোছাঃ আশুরা খাতুন।
    লিখিত বক্তব্যে আশুরা খাতুন বলেন, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত গোপালপুর গ্রামে চার শতক জমিতে ঘর বেধে ভ্যান চালক স্বামীসহ সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছি। আমার স্বামীর একার রোজগারে পরিবারের ৬ সদস্যের সংসার খুবই কষ্টে চলে। একই গ্রামের মৃত মান্নান গাইনের ছেলে আব্দুর রশিদ গাইন আমার বাড়ির পাশে একখন্ড জমি কিনে বাড়ি তৈরী করে বসবাস করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের ভিটাবাড়িটি তার কাছে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ভাবে আমার ও স্বামীর উপর চাপ দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তবে রাজি না হওয়ায় রশিদ জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছিল। এসময় আমার স্বামী বাদি হয়ে আদালতে ১৪৫ ধারার একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ শান্তি শংঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তাকে নোটিশ প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে রশিদ গাবুরা এলাকার একটি অপহরণ মামলায় আমাদেরকে আসামি করে দেয়। পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠালে দুই মাস পরে জামিনে বাড়িতে আসি। পরে তদন্ত করে পুলিশ আমাদের ওই মামলার দায় থেকে অব্যহতি দেয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় রশিদ আমাদের ভিটার একটি অংশ দখল করে নয়ে।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা কারাগার থেকে জামিনে বাড়ি আসার পর শ্যামনগর থানায় আ’লীগের অফিস ভাংচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আমাদেরকে আসামি শ্রেনীভূক্ত করা হলে ২০ হাজার টাকা দিয়ে রেহাই পাই। এরপর রশিদ নড়াইল জেলার একটি অপহরণ মামলায় আমার স্বামীকে আসামি করে দেয়। তখর উপায় না পেয়ে মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে আমি স্থানীয়দের মাধ্যমে রশিদের সঙ্গে মিমাংসার প্রস্তাব দিলে সে আমাদের ভিটাবাড়ি তার নামে লিখে দিতে বলে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২০ এপ্রিল শ্যামনগর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় আমার স্বামীকে আসামি করা হয়। পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেফতার না করে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। বর্তমানে সে জেলে আছে। এঅবস্থায় রশিদ আমাদের ভিটাবাড়ি তার নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মিথ্যে মামলা দিয়ে আমাদের নির্যাতনের বিষয়টি পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কোন ফল পাইনি। বর্তমানে সে আমাদের বসতবাড়ি দখলের পায়তার করছে।
    রশিদ একজন রাজনৈতিক টাউট উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে নামধারী কিছু আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় আমাদের মত অসহায় লোকদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে। তিনি রশিদের াত্যাচার থেকে নিঃষ্কৃতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    শহর প্রতিনিধি: চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহ বধূকে ভারতে পাচারের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করায় আসামিরা বাদি গৃহ বধূর স্বামীকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দিঘলার আইট গ্রামের মৃত দাউদ আলী সানার ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কাজের সন্ধানে আমি বাইরে থাকার সুযোগে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে পার্শ্ববর্তী সুভদ্রকাটি গ্রামের আরশাদ সানার ছেলে মোঃ আছাদুল হক খোকন বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে ভারতে মোটা অংকের টাকার বেতনে চাকুরি প্রস্তাব দেয়। স্ত্রী বিষয়টি আমাকে জানলে আমি তাকে খোকনের কথায় ভারতে যেতে নিষেধ করি। আমার কথ শুনে স্ত্রী খোকনের সাথে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু এর পরও খোকন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রলোভনে আমার স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে তোলে। এক পর্যায় গত ২৮ এপ্রিল সকাল ৯ টার দিকে আছাদুল হক খোকন ও তার সহযোগি দিঘলার আইট গ্রামের আয়ুব সানার ছেলে ওবায়দুল্লাহ, একই গ্রামের মৃত রজব ঢালীর ছেলে হযরত আলী, মৃত দরবার জোয়ার্দ্দারের ছেলে শাহ আলম, রুইয়ের বিল গ্রামের বাক্কার সানার ছেলে মহাসিন সানা ও সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শাহিন ইসলাম আমার বাড়িতে আসে। তারা ভারতে মোটা অংকের টাকার ভাল কাজ দেয়ার কথা বলে আমার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে একটি ইঞ্জিন ভ্যানে তুলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। কাজ শেষে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে না পেয়ে খোঁজ খবর করতে থাকলে প্রতিবেশীরা জানায় উল্লেখিতরা তার স্ত্রীকে ভারতে খোকনের এক আত্মীয়ের বাড়িতে কাজের জন্য পাঠিয়েছে।
    তিনি আরো বলেন, এঘটনার পর আমি খোকনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় রাবেয়াকে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে কাজের জন্য পাঠিয়েছে। আমি তাকে ফেরত আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় খোকন জানায় চাকুরি দেয়ার নাম করে তার স্ত্রীকে ভারতের এক মারোয়াড়ীর কাছে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। এনিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় খোকন। এঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে উল্লেখিতদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আশাশুনি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে মামলার কথা জানতে পেরে আসামিরা তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। ফলে ভয়ে তিনি বাড়ি ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছন। এঘটনায় তিনি গতকাল ৪ জুন আসামিদের নামে আদালতে একটি ৭ ধারার মামলা দায়ের করেছেন।
    তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তার স্ত্রীকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • বিদ্যুত সংযোগ নিয়ে বিরোধের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    শহর প্রতিনিধি: বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো নিয়ে দফায় দফায় গোলমাল হয়েছে। পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ঘটনার নিষ্পত্তি হলেও এবার রহমান ফকির খুঁটিতে বিদ্যুত সংযোগ দিতে বাধার সৃষ্টি করেছে। আর এর প্রতিবাদ করায় দুই বোন মারুফা খাতুন ও বেবী নাজনীনকে পিটিয়ে এমনকি মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে রহমান ও তার সহযোগীরা।
    সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন পাটকেলঘাটা থানার এনায়েতপুর গ্রামের শাহবাজ ফকিরের স্ত্রী সাবিনা পারভিন ও তাদের দুই মেয়ে মারুফা ও বেবী নাজনীন।
    লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তিনদিন সদর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। এ নিয়ে থানায় মামলাও করেছি। পুলিশ আবদুর রহমানকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
    সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা পারভিন বলেন, রহমান ফকির ও তার সহযোগীরা দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর জের ধরে তাদের সাথে শত্রুতা চরমে ওঠে। গত ২৮ মে আবদুর রহমান আমাদের বাড়িতে ঢুকে হুমকি দিয়ে বলে খুঁটিতে বিদ্যুত সংযোগ দিতে দেওয়া হবে না। এর প্রতিবাদ করলে রহমান ও তার সহযোগীরা বেবী নাজনীন ও মারুফাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। তাদের দুই বোনের মাথায় ধারালো দায়ের কোপ মারে। কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে মেয়ে দুটিকে রক্ষা করে। পরে তাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পাটকেলঘাটা থানায় মামলা করা হয়। হামলায় অংশগ্রহণকারী আবদুর রহমান ফকির, আলম ফকির, আনারুল ফকির, হালিমা খাতুন, আয়েশা খাতুন এখনও গ্রামে আস্ফালন করে বেড়াচ্ছে।
    এ ঘটনার প্রতিকার দাবি করে সাবিনা পারভিন ও তার দুই মেয়ে মারুফা খাতুন ও বেবী নাজনীন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম শহরের বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেছেন।

    কারখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, হাতে গ্লাভস বাব্যহার না করা, বিশুদ্ধ পানি ব্যাবহার না করাসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে মেসার্স হুগলী বেকারী ও রোকাইয়া সেমাই ফ্যক্টরিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫৩সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৮০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। সোমবার সকালে এ পরিদর্শনে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন।

  • পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪০

    পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪০

    শহর প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৭ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।

    রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ২৪৯ বোতল ফেনন্সিডিলসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ৮টি মামলা।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ৬ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • ভালোবাসার মঞ্চের ইফতার মাহফিল ও কমিটি গঠণ

    ভালোবাসার মঞ্চের ইফতার মাহফিল ও কমিটি গঠণ

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: “চাই একটু সহানুভূতি” অরাজনৈতিক সংগঠণ ভালোবাসার মঞ্চ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ইফতার মাহফিল ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠণ করা হয়েছে। রোববার উক্ত ইফতার মাহফিল ও কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভালোবাসার মঞ্চ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আকরামুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি শেখ তামিম আহম্মেদ সোহাগ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন। বক্তব্য রাখেন ভালোবাসার মঞ্চ সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক বরুণ ব্যানার্জী, সদস্য আনিফা আনজুরা প্রথা, রোকনুজ্জামান সুমন, প্রথম আলো বন্ধু সভার সাতক্ষীরার সভাপতি হাবিবুল হাসান প্রমুখ।
    ইফতার মাহফিল শেষে ভালোবাসার মঞ্চ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠণ করা হয়েছে। কমিটির উপদেষ্টা নির্বাচিত হয়েছেন শেখ তামিম আহম্মেদ সোহাগ, সভাপতি আকরামুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল মতিন, সহ সভাপতি আনিফা আনজুরা প্রথা, সাধারণ সম্পাদক বরুণ ব্যানার্জী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম পলাশ, রোকনুজ্জামান সুমন, কামরুজ্জামান, জাহিদ হুসাইন, সাংগঠণিক সম্পাদক সোহাগ হোসেন, সহ সাংগঠণিক সম্পাদক এনামুজ্জামান নিপ্পন, উজ্জল কুমার সানা, মাহফুজুর রহমান মিথুন, কোষাধাক্ষ্য শাহিদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল হাসান, প্রচার সম্পাদক ইমরান হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সাঈদুজ্জামান জিকু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুক্তার হোসেন, সদস্য আশিক সরদার, মিলন হোসেন, জহর হোসেন সাগর, অমিত কুমার, খলিলুর রহমান, সাদিকুর রহমান, খালিদ সাইফুল্লাহ।

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার ইফতার মাহফিল

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মোঃ শহিদুল ইসলাম।

    প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোহাদ্দেস মোস্তফা শামছুজ্জামন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাওঃ আব্দুল হান্নান।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. তোছাদ্দেক হোসেন খোকা, ইসলামী যুব আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মো. ছরোয়ার আলম, ইসলামী যুব আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুবাশ্শীরুল ইসলাম (তকী), ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখা আহবায়ক মো. মনিরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মো. ফজর আলী, মাওঃ জাহিদুল বাশার, মো. হাসানুজ্জামান, ডা. মো. এবাদুল, আলহাজ¦ মো. খলিলুর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মো. শহিদুল ইসলাম।

  • কালিগঞ্জ আদর্শ কিন্ডার গার্টেন এর ইফতার মাহফিল

    কালিগঞ্জ আদর্শ কিন্ডার গার্টেন এর ইফতার মাহফিল

    কালিগঞ্জ (উত্তর) প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ আদর্শ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ আদর্শ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ হোসাইন আহম্মেদ গোলাম। উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ বেগম সুফিয়া খাতুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ সাঈদ হোসেন, রেহানা পারভীন, দিলরুবা, সুমী, অত্র কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষিকা মনিমালা, সালমান, সাকিন, তুহিন, শুভ প্রমূখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কালিগঞ্জ থানা জামে মসজিদের হাফেজ শাহাদাৎ হোসেন ও হাফেজ সামছুর রহমান।

  • মনের কষ্টে হাসপাতাল ছাড়লেন পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার

    মনের কষ্টে হাসপাতাল ছাড়লেন পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার

    পাইকগাছা প্রতিনিধি: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সদের অসৌজন্যমূলক আচরণে এবং তাদের অবহেলার কারণে মনের কষ্টে হাসপাতাল ছেড়েছেন পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার।
    প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সরকারিভাবে বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে আবুল বাজনদারকে চিকিৎসা দেয়া হলেও প্রায় ১ বছর ধরে তার ও তার পরিবারের প্রতি ডাক্তার, নার্স ও খাদ্য সরবরাহকারীদের অযতœ, অবহেলা ও অসৌজন্যমূলক আচরণে মনের কষ্টে হাসপাতাল ছেড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, সে নিজের ইচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে।
    উল্লেখ্য, পাইকগাছার বৃক্ষমানব আবুল বাজনদার ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়াারি ঢাকা মেডিকেলে বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে সরকারিভাবে ভর্তি হয়। সেখানে ২ বছর ৪ মাস চিকিৎসা শেষে ডাক্তার, নার্স ও খাবার পরিবেশনকারীদের অযতœ, অবহেলার কারণে হাসপাতাল ছেড়ে তারা বাড়ী ফিরেছে বলে বাজনদারের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার দু’হাত ও দু’পায়ে প্রচন্ড শিকড় গজায়। যাতে তার হাত-পায়ের ওজন কমপক্ষে ১৫ কেজি হয়। বিরল এ রোগ নিয়ে দেশী-বিদেশী প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভর্তি করা হয় উক্ত হাসপাতালে। গত ২৬ মে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে আসার পর কথা হয় আমাদের এ প্রতিনিধির সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, তার ২৫টি অপারেশন হয়েছে। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তাররা বলেছে এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়। যখন বাড়বে তখন অপারেশন করতে হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হেদায়েত হোসেন ও নুরুন্নাহার লতা আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করত। এ কারণে আমি ক্ষোভে, দুঃখে হাসপাতাল ছেড়ে আসেছি।
    মেডিকেলের চিকিৎসক ডা. শামন্তলাল সেন বলেন, আবুল বাজনদারের রোগ নিরাময়যোগ্য। তার চলে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। তবে সরকারিভাবে তার সাথে যোগাযোগ রাখা অব্যাহত রয়েছে। সে যখনই আসবে তখনই তাকে চিকিৎসা করানো হবে।

     

  • তিন চক্রান্তে খালেদার মুক্তিকে শর্ত করছে বিএনপি-তথ্যমন্ত্রী

    তিন চক্রান্তে খালেদার মুক্তিকে শর্ত করছে বিএনপি-তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি, দুর্নীতিবাজদের ফিরিয়ে আনা ও নির্বাচন ভন্ডুলের তিন চক্রান্ত সফল করতেই নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদার মুক্তিকে শর্ত দিচ্ছে বিএনপি।’
    রোববার রাজধানীর মিরপুরে ক্যাপিটাল টাওয়ার হলে জাসদ ঢাকা-পশ্চিম আয়োজিত ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
    জাসদ সভাপতি ইনু এসময় বলেন, ‘নির্বাচন কখনোই বিএনপি’র এজেন্ডা ছিল না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই সংবিধানবহির্ভূত পথে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা করেছেন খালেদা জিয়া।’
    ‘সেই পথ চক্রান্তের, সেই পথ ষড়যন্ত্রের’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া হেফাজতের তান্ডব, আগুন সন্ত্রাসে মানুষ পুড়িয়ে মারা, জ্বালাও-পোড়াও, রেললাইন উপড়ে ফেলার দানবীয় পথ বেছে নিয়েছেন এবং বিএনপি’কে অপরাধী-দুর্নীতিবাজদের আস্তানায় পরিণত করেছেন।’
    ইনু বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লিপ্সায় তিনি (বেগম জিয়া) জাতিকে বার বার বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন’।
    ‘বিএনপি’র বোঝা উচিত, খালেদা দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আর তার সাজা বা মুক্তির বিষয়টি আদালতের হাতে’, ব্যাখ্যা করেন মন্ত্রী।
    জাসদ ঢাকা পশ্চিমের সভাপতি মাইনুর রহমানের সভাপতিত্বে ইফতারপূর্ব সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসেন আখতার, নূরুল আখতার ও শফিউদ্দিন মোল্লা, ঢাকা পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক নূরুন্নবী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  • কুল্যায় মামলা করায় প্রতিপক্ষের হামলা : আহত-৩

    কুল্যায় মামলা করায় প্রতিপক্ষের হামলা : আহত-৩

    আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামে জমিজমার বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পরিবার থানায় মামলা করায় পুনরায় হামলা করে ৩ জনকে আহত করা হয়েছে। নির্যাতিত পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
    অভিযোগে প্রকাশ, কুল্যার মোড় এলাকার মৃত কেরামত আলীর পুত্র মুনছুর গাজী দিং এর সাথে একই গ্রামের আজিজ শাহাজীর শ্যালিকা বিলকিস এর জমিজমা দিয়ে বিরোধ আছে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষ মুনছুর, তার স্ত্রী মোমেনা ও পুত্র রানা তাদেরকে নানা ভাবে খুন জখমের হুমকী ধামকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলেন। এব্যাপারে আজিজ শাহাজী বাদী হয়ে থানায় ১১/০২/১৪ তাং ৪৩৮ নং জিডি করেন। এরপর থেকে বাদী পক্ষকে স্বাভাবিক জীবন যাপনে চরম বিপত্তি সৃষ্টি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮/৪/১৮ তাং তাদের বাড়িতে গিয়ে বিলকিস ও তার কন্যা বীথিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে মারপিট করে। ঠেকাতে গেলে শিল্পীকেও মারপিট করে আঙ্গুল ভাঙ্গা ও ফোলা জখম, স্বর্ণের চেইন ছিনতাই ও শ্লীলতাহানি ঘটান হয়। এব্যাপারে শিল্পী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু বিবাদীরা তাতেও দমেনি বরং চরম ভাবে প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা চালাতে থাকে। ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ এনে মাদক দ্রব্য নিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার আস্ফালন করে, এমনকি একদিন ডিবি পুলিশ আনিয়ে বাড়ি সার্চিং করানো হয়েছে বলে তারা দাবী করেন। কিন্তু তাদের বাড়িতে কিছু না পেয়ে পুলিশ চলে গেলেও বিবাদীরা ক্ষান্ত হয়নি। গত ২৯ মে পুনরায় তারা এবং তাদের সহযোগি মনি, শামীম, মইরদ্দীন তাদের উপর হামলা চালিয়ে কুলছুম, বিলিকিস ও শেখ আলমগীরকে বেদম মারপিট করে। গুরুতর আহত কুলসুমকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে পরিবারটি বাইরে বের হতে নিরাপত্তহীনতা ভোগ করছে। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

  • বড়দল বাজারে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ

    বড়দল প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল বাজারে সরকারি পেরিফেরিভুক্ত জমিতে নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ অপসারণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার লাহুমা খাতুনের স্বামী রেজাউল গাজী বড়দল বাজারের মধ্যে ২ শতক জমি অবৈধ দখলে নিয়ে সেখানে স্থাপনা নির্মান শুরু করেন। একই বাজারে মৃত মহব্বত সরদারের পুত্র রাহাতজান সাড়ে ৩ শতক জমি অবৈধ দখলে নিয়ে বাঁশ-টিন দিয়ে স্থাপনা নির্মান করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দখল অবমুক্ত করেন। এসময় এএসআই আসলাম খান, স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • বুধহাটায় গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি সভা

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার দুপুরে বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রীয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক। সভায় গ্রাম আদালত উপজেলা সমন্বয়কারী গোলাম মোস্তফা, ইউপি সদস্যবৃন্দ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবু মুছা, ভিসিএ (শ্রীউলা) অজয় কুমার, ভিসিএ (বুধহাটা) সোনিয়া পারভিন প্রমুখ আলোচনা রাখেন। সভায় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।