Blog
-

কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ভিক্ষুকদের সাথে ইউএনওর ইফতারী
গতকাল দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিক্ষুকদের নিয়ে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউপি সদস্য রওনাক উল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, আমিরুল ইসলাম, প্রেম কুমার , অচন্ত মন্ডল, ভরত চন্দ্র সরকার, ইউপি সদস্যা শ্যামলী রানী, পারুলিয়া ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন হিরা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কুলিয়া ইউপি সচিব মোঃ ফারুক হোসেন। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ভিক্ষুকদের মাঝে উপজেলা পরিষদ এর পক্ষ থেকে শিমাই চিনি ও জেলা পরিষদ সদস্য আলফার পক্ষ থেকে লাড়ি লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। -
শ্যামনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ ও শিশু নিহত
শ্যামনগরে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরে সোনারমোড় ও কাশিমাড়ীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সোনাখালী গ্রামে ময়জুদ্দীন কাজীর মেয়ে ও সোনাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী আয়শা মনি (৯) ও কাশিমাড়ী বল্লারটোপ গ্রামের মৃত ফকির মিস্ত্রীর ছেলে ওম্বল মিস্ত্রী (৭৫)।
উভয়ের পারিবারিক সূত্র মতে, মামার বাড়িতে বেড়াতে আসার সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনার মোড়ে পৌছালে ইট ভর্তি ড্যাম্পার গাড়ি আয়শা মনিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। অপরদিক সকাল সাড়ে ১০টার সময় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে কাশিমাড়ী বাজারে আসার সময় আবুল ঠিকাদারের বাড়ির সামনে মটরসাইকেলের ধাক্কায় ওম্বল মিস্ত্রী গুরুতর আহত হয়। দ্রুত উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ ওমর ফারুক মৃত ঘোষণা করেন। -
জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ন্যাশনাল ক্যাম্পে যুক্ত হলো সাতক্ষীর ৫ ক্ষুদে প্রোগ্রামার
আবারো শুরু হলো দেশব্যাপী শিশু-কিশোরদের জন্য ‘জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৮। জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ন্যাশনাল ক্যাম্পে যুক্ত হলো সাতক্ষীর ৫ ক্ষুদে প্রোগ্রামার। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) রাজধানী ঢাকার সাভারে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষে স্ক্রাচ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল ক্যাম্প। আজ শুক্রবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত হবে স্ক্রাচ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ডি.বি. গার্লস হাইস্কুলের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের সানফ্লাওয়ার গ্রুপের ওমর ফারুক সামি, সুমাইয়া খাতুন ও শরিফুল ইসলাম অংশ নিচ্ছে। এর আগে ডি.বি. গার্লস হাইস্কুলে স্ক্রাচ ও পাইথন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক এসএম শহীদুল ইসলাম, শামীমা আক্তার ও ল্যাব সহকারী মহিউদ্দীন।
পাইথন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় কলারোয়া জিজেএমকে পাইলট হাইস্কুলের তাহমিদ ও নিশান নামে দুই শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে বলে জানান ওই স্কুলের আইসিটি শিক্ষক আব্দুর রহমান।
এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশের বাছাইকৃত ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের প্রত্যেকটি থেকে তিনজন অংশ নিয়ে যারা জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শুধুমাত্র তাদের নিয়েই ন্যাশনাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইয়াং বাংলা। এরই অংশ হিসেবে দুটি পর্বে চারদিনের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং ইয়ং বাংলা ও সিআরআই। আগামী ৯জুন পাইথন প্রোগ্রামিংয়ের উপর ন্যাশনাল ক্যাম্প এবং ১০জুন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা।
ইয়াং বাংলার সেক্রেটারিয়েট সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর সহকারী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান, স্ক্রাচ ও পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ উপর ক্যাম্প পরিচালনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাঈদ সিদ্দিক ।
তিনি আরো জানান, শিক্ষার্থী বাছাই শেষে প্রতিটি ল্যাবে তিনদিন করে পাইথন এবং তিনদিন করে স্ক্র্যাচ এর প্রশিক্ষণ শেষে ২জুন স্ক্রাচ ও ৩জুন পাইথন প্রোগ্রামিংয়ে অনলাইন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিটি জেলা হতে পাইথন ভিত্তিক একটি করে বিজয়ীদল এবং স্ক্র্যাচ ভিত্তিক একটি করে বিজয়ীদলের নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে এই জেলা ভিত্তিক বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় দুইদিন ব্যাপী পাইথন ভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প এবং দুইদিন ব্যাপী স্ক্র্যাচ ভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে। ক্যাম্পগুলোর প্রথম দিনে প্রশিক্ষণ এবং দ্বিতীয় দিনে জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত প্রোজেক্টগুলোর মধ্য থেকে সেরা প্রোজেক্টগুলোকে সমাপনী এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রেজেন্ট করার সুযোগ প্রদান করা হবে বলে জানান তম্ময় আহমেদ।স্ক্র্যাচ একটি ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং অনলাইন কমিউনিটি যা মূলত শিশুদের জন্য। স্ক্র্যাচ ব্যবহার করে, ব্যবহারকারীরা তাদের নিজস্ব ইন্টারেক্টিভ গল্প, গেমস এবং অ্যানিমেশন তৈরি করে একে অপরের সাথে শেয়ার করতে পারে। স্ক্র্যাচ শিশুদের সৃজনশীল চিন্তা শিখতে সাহায্য করে, কারণ নিয়মানুগভাবে এবং একসাথে কাজ করাই ২১ শতকের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় মূল দক্ষতা।
পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ডিজাইন করা হয়েছে ছোট, মাঝারি, বড় প্রোজেক্ট অতি অল্প সময়ে খুব ভালভাবে করার জন্য। এটা একটা ডাইনামিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। বর্তমান বিশ্বে অতন্ত্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। -
তুহিন তৌহিদ ও মারুফকে পৌর এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে পৌর তাঁতী লীগ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা পৌর তাঁতী লীগের কমিটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিন, তৌহিদ হাসান ও কাজী মারুফকে সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন পৌর তাঁতী লীগের সভাপতি নূর জাহান সাদিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলা তাঁতী লীগের প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমি পৌর তাঁতী লীগের দায়িত্ব পালন করে আসছি। গত ১ মার্চ ২০১৮ তারিখে জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ জেলা কমিটির অধিকাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে আমাকে সভাপতি ও শেখ ফিরোজ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পৌর তাঁতী লীগের কমিটি অনুমোদন দেয়। এর পর থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমি ও আমার সম্পাদক মিলে ৬টি ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছি। কিন্তু কয়েক মাস আগে মোঃ নাসিমকে অহবায়ক ও মনিরুজ্জামান তুহিনকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ঠ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ৯০ দিনের জন্য অনুমোদন দেয় কেন্দ্রিয় কমিটি। আমরা যোগাযোগ করলেও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি আমাদের কোন সহযোগিতা করেনি। এব্যাপারে তাঁতী লীগের কেন্দ্রিয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত হোসেনকে জানালে তিনি বলেন, সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির কাজ হলো শুধুমাত্র সম্মেলনের কাজ করা। তাদের কোন কমিটি ভাঙ্গার বা দেয়ার কোন অনুমতি নেই। সামনে জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রতিক নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করে যাও, আমি তোদের সাথে আছি।
নূর জাহান সাদিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ জুন বিকাল ৪টার দিকে আহবায়ক কমিটির কাজী মারুফ (ভুতু) ও শেখ তৌহিদ হাসান মটর সাইকেলে পৌর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফিরোজের দোকনের সামনে এসে দাড়িয়ে ঈদ খরচ ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি অনতে অনেক খরচ হয়ে উল্লেখ করে ৫ তারিখের মধ্যে এক লাখ টাকা দাবি করে। তা না হলে কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দিয়ে যায় তার। বিষয়টি জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক নাসিম ও সাবেক সভাতি শাহিনকে জানালে তারা টাকা দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি যে, জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে পৌর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সাথে সাথে নাছিম ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন কমিটি ভাঙ্গিনি বা ভাঙ্গার নির্দেশ দেইনি। তাছাড়া কেন্দ্র থেকে পূর্ণ নির্দেশ আছে যে, আমরা কোন কমিটি ভাঙ্গতে পারবো না। তোমাদের কমিটি বহাল আছে।
তিনি আরো বলেন, এব্যাপারে তাঁতী লীগের পৌর কমিটির সকল সদস্যদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার থেকে সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় মনিরুজ্জামান তুহিন, তৌহিদ হাসান ও কাজী মারুফকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো। একই সাথে তিনি পৌর তাঁতী লীগের সকল নেতা কর্মীকে শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করার আহবান জানান। এবিষয়ে প্রয়োজনে আদালতের স্মরাণাপন্ন হওয়ার কথা জানান তিনি। -
চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবুর নির্বাচনী মতবিনিময়
নিস্বজ প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়েনর ফুল বাড়িয়া ও জোড়দিয়া এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় ও গণ সংযোগ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু।
আসরের নামাজের পরে জোড়দিয়া মসজিদে মুসল্লিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।বৃহস্পতিবার বিকেলে সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সাথে গণ সংগযোগ ও মুসল্লিদের সাথে মতবিনিময় করা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার মুসল্লিবৃন্দ।
-
পরিবহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাতক্ষীরায় অস্ত্র ও গুলিসহ দুই ডাকাত আটক
বৃহস্পতিবার ভোররাতে সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের ছয়ঘরিয়া নামক স্থানের লস্কর ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত হলেন, কালিগঞ্জের কাশিবাটি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন (৩৮) ও সাতক্ষীরা সদরের ডুমুরতলা গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আতাউর রহমান বাবলু (৩২)।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান বলেন, সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের ছয়ঘরিয়ার লস্কর ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহণে ডাকাতির করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অস্ত্র ও গুলিসহ সেখান থেকে মোজাফ্ফর হোসেন ও আতাউর রহমান বাবলুকে আটক করা হয়।
-
কালিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মানববন্ধন

কালিগঞ্জ ব্যুরো: বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ উপজেলা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিমের ছেলে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় কর্মরত সমাজসেবা কর্মকর্তা আখলাকুর রহমানকে দায়িত্বরত অবস্থায় লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে কালিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতিমের নামে টাকা তুলে আত্মসাতের বিষয়ে বিরোধিতা করায় একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে আহত করার প্রতিবাদ জানিয়ে এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক কমান্ডার শেখ অজিহার রহমান, অর্থ কমান্ডার আব্দুর রউফ, সহকারী কমান্ডার এসএম শাহাদাত হোসেন, শেখ মনির আহম্মেদ, শেখ নুর মোহাম্মদ প্রমুখ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -
মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নানের ছেলে শেখ আব্দুল শাহিন পলাশ এর সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞপ্তি: তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নানের ছেলে শেখ আব্দুল শাহিন পলাশ মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শেখ আব্দুল লতিফের ছেলে প্রভাষক শেখ আব্দুল হালিম। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রতিবাদ জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমার বাবা শেখ আব্দুল লতিফ ও তার ছোট ভাই মাগুরা ইউনিয়ন আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ আব্দুল গণির বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। যুদ্ধকালিন সময়ে আমাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্যা হালকা-ভারি অস্ত্রসহ বোমা, গ্রেনেড ও গোলাবারুদ থাকতো। মুক্তিযোদ্ধাদের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের তিনবেলা খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা আমাদের বাড়িতেই ছিল। সালাউদ্দিন ইউসুপ, ইঞ্জিঃ শেখ মুজিবুর রহামন, বীর মুক্তিযোদ্ধা স,ম আলাউদ্দিন, আব্দুস সালাম, ইউনুচ ও কামরুজ্জামান টুকুসহ অসংখ্যা মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ছিল আমাদের বাড়িতে। ৭১ এর নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে খান সেনারা আমাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, আমার ছোট চাচার ছেলে শেখ আব্দুল শাহিন পলাশ মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। নিজস্ব বাড়ি ঘর না থাকায় যুদ্ধকালিন সময়ে ছোট চাচা আমান বাবার বাড়িতেই থাকতেন। যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘঠিত করা, প্রশিক্ষনের জন্য ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থাসহ যাবতীয় কাজ করতেন সেঝ চাচা ও আমার বাবা। বাড়িতে অবস্থানকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করতেন আমার বাবা ও চাচারা। খানসেনারা আমার বাবা ও সেঝ চাচার বাড়িঘর পুড়িয়ে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়েছিল। অথচ তারা জীবীত থাকাকালিন কেউ মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য কোন চেষ্টা করেননি। শেখ আব্দুল হালিম বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে তালা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই বাছাই শুরু হলে বোর্ডের কাছে আমার বাবা, মা, সেঝ চাচা ও বড় ফুফু চারজনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করার জন্য আমরা আবেদন করি। কিন্তু বোর্ড থেকে এমন কোন ফরম বিতরণ করা হয়নি যেখানে কোন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী / সন্তান বা অন্য কারো সাক্ষ্য গ্রহণ করা দরকার। যুদ্ধকালিন সময়ে আমাদের বাড়িতে অবস্থানকৃত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের কাছ থেকে আমার বাবা, মা, সেঝ চাচা ও বড় ফুফু চারজনের মুক্তিযুদ্ধে আবেদনের প্রত্যায়ন নেয়া আছে। আমাদের চাচীর কাছে কাছে কখনো স্বাক্ষরের জন্য আবেদন বা অনুরোধ করা হয়নি। সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তাদের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বন্টননামা অনুযায়ী জমি ভাগ করতে গিয়ে দেখা গেছে আমার ছোট চাচার ছেলেরা অনেক বেশি জমি দখল করেে রেখেছে। ওই জমি বের করে দিতে বলায় তারা তারবাহনা শুর করেছে। মূল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে আমার চাচাত ভাই আব্দুল শাহিন মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছেন। তারা আমাদের সামাজিক সম্মান ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি উক্ত ষড়যন্ত্রকারিদের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচারকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -
‘ভাই কর্নেল তাই জায়গা দখল করতে দোকান ঘরে আগুন দিয়েছি’
নিজস্ব প্রতিনিধি: আমার ভাই সেনা বাহিনীর কর্নেল কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। তাই দোকানের জায়গা দখল করার জন্য আমি ও আমার সহযোগী একই এলাকার বহেরা গ্রামের হায়দার আলী সাহাজীর ছেলে ওহাব আলী মধ্যরাতে দোকান ঘর গুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছি। থানার ওসি আমার পকেটে থাকে। অত্যন্ত দম্ভোক্তির সাথে শত শত লোকের সামনে বাজারে কথা গুলো বলছিল দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের মৃত আবু সরদারের পুত্র জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক অলিউল ইসলাম। উল্লেখ্য যে গত ৩০শে এপ্রিল দেবহাটা উপজেলার বহেরা বাজারে আমির আলীর হোটেল, ডাঃ শোকর আলীর ঔষধের দোকান ও ফরিদ মিস্ত্রীর দোকানে মধ্যরাতে হঠাৎ করে আগুন লেগে ভষ্ম হয়ে যায়। তবে আগুন লাগার সঠিক কারন জানা না গেলেও ধারনা করা হচ্ছিল যে, বৈদ্যুতিক শক সার্কিটের ফলে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে।এমতাবস্তায় দোকানের মালিক গন আগুনে পোড়া দোকান গুলো সাম্প্রতিক মেরামত করতে গেলে বাধা দেন দোকানের পিছনের বাড়ির মালিক অলিউল ইসলাম । তিনি উক্ত জায়গা তার বলে দাবী করেন। এ নিয়ে বহেরা বাজারে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে শালিসি বৈঠকের আয়োজন করলে অলিউল ইসলাম শালিস না মেনে শালিসে উপস্থিত সকলের সামনে জায়গা দখলের জন্য তিনি নিজে ও তার সহযোগী মিলে ঐ দোকান গুলোতে আগুন দিয়ে দোকান পুড়িয়ে দিয়েছেন। দুই-এক জন থানার ওসি আমার পকেটে থাকে। এ ব্যাপারে দোকান মালিক গণ জানান আমরা ৩৫ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক মাস ধরে অলিউল ইসলাম আমাদের দোকান ভেঙ্গে গায়ের জোরে জায়গা দখল করার হুমকি দিয়ে আসছিলো। যা বাজারের সকল ব্যবসায়ীগণ জানে। এ ব্যাপারে বাজার এলাকায় বসবাসকারী দেবহাটা উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, ও কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান অলিউল প্রকাশ্যে শালিসি বৈঠকে দোকানে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে এবং তার ভাই সেনা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না বলেও চ্যালেঞ্জ করেছে। এ ব্যাপারে বাজারের সাধারন ব্যবসায়ী ও এলাকার সচেতন মহল এই আতœস্বীকৃত অপরাধীর বিরুদ্বে দ্রুত আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
-
সংবাদ সম্মেলন : পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার ও মিথ্যে অপপ্রচারকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
শহর প্রতিনিধি: হাল সাকিন পলাশপোলের সেকেন্দার শেখ ও তার স্ত্রী সালেহা খাতুন আমাদের বড় বোন হোসনে আরা খানমের বাড়িতে ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করেছেন। এর পর আমাদের মেজ বোন নাজমা আরা খানমের বাড়িতে ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ভাড়ায় ছিলেন। কিন্তু গত ছয়মাস যাবৎ প্রতি মাসের ভাড়া ১৫ শ’ টাকা তারা পরিশোধ করছেন না। এরই মধ্যে হঠাৎ সালেহার মা ফাতেমা খাতুনের নামে আমাদের পৈতৃক ৬৯ শতক জমির জাল দলিল খাড়া করেছে সালেহা খাতুন। আমরা ভাড়া না দেওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে শান্তিপূর্ণভাবে নামিয়ে দিয়েছি। এখন আমাদের ভাড়াটিয়া সালেহা গং নানা অপপ্রচার দিয়ে আমাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে।
বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ খানের মেয়ে নাজমা আরা খানম। এসময় তার সহোদর এড. ড. রবিউল ইসলাম খান, শরিফুল ইসলাম খান, তৌহিদুল ইসলাম খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন সালেহা তার ভুয়া দলিল দেখিয়ে যে জমির কথা বলছেন সেই ৬৯ শতক জমির ৩০ শতক আগেই আমরা বিক্রি করেছি মেছের দালালের কাছে। বাকি ৩৯ শতকের মধ্যে সাড়ে ১৬ শতক জমি নাজমা আরা খানমের। সালেহা তঞ্চকতা করে পলাশপোলের খান পরিবারের জমিতে হাত বাড়িয়েছে। সালেহা দাবি করেছেন তিনি আদালত চত্বরে ঝাড়– দেন। অথচ তার বাড়িতে নাকি দুই কোটি টাকার সম্পদ ছিল বলে ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
নাজমা আরা খানম বলেন, সালেহা এই জমি নিয়ে একটি দেওয়ানি মামলা করে ও ১৪৫ ধারায় আরও একটি মামলা করে। ১৪৫ ধারার মামলাটি সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই হাফিজুর রহমান তদন্ত করে আদালতে দেওয়া রিপোর্টে বলেন যে ‘ সালেহা খাতুনের দাখিলকৃত কাগজপত্রের কোনো সত্যতা পাওয়া গেল না’। ওই জমির যিনি মালিক তিনি নিজ জমিতে বসবাস করছেন। তার ভাইদের হয়রানি করার জন্য সালেহা ১৪৫ ধারার মামলা করেছেন উল্লেখ করে এসআই হাফিজ ২৩ মে তারিখে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন এরপরও সালেহা সাতক্ষীরার এসপি বরাবর আবেদন করলে নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত শেষে এসআই হাফিজ আবারও ৩১ মে তারিখে দেওয়া রিপোর্টে বলেন যে সালেহার কাগজপত্রের কোনো ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে খুলনা তৃতীয় মুন্সেফ আদালতে অনুসন্ধান চালিয়েও সালেহার কাগজের কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন এরপর সালেহা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নাটক সাজিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন গত ৩ জুন সকালে আমি আমার দুইজন কাজের লোক আবেদা ও লতাকে সাথে নিয়ে সালেহার কাছে ভাড়ার ৯ হাজার টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন এ জমি আমার। তখন তাকে ঘর ছেড়ে দিতে বলি। তখন অন্যান্য ভাড়াটিয়া এবং আমার ভাইদের সহায়তায় সালেহাদের জিনিসপত্র তার সামনেই বের করে গেটের বাইরে রেখে দেই এবং গেটের বাইরে তালা ঝুলিয়ে দেই। ঘন্টাখানেক পর সালেহা তার ছেলে ওমর ফারুক বিদ্যুত ও তার মেয়ে দা হাতুড়ি শাবল নিয়ে গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করলে আমরা পুলিশে খবর দেই। পুলিশ সালেহা ও তার মেয়েকে ধরে ফেলে। বিদ্যুত হাতুড়ি দা শাবল নিয়ে পালিয়ে যায়। গত ৫ জুন তারিখে সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সালেহা , তার স্বামী সেকেন্দার ও ছেলে বিদ্যুতের নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরির অভিযোগ এনে আমি মামলা করেছি ( সিআরপি ১১৫/১৮) । আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য সাতক্ষীরার ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সালেহা তাঁতী লীগের শামসুর, হাসান ইমাম, ফিরোজ, নুর ইসলাম, ওবায়েদ, নুর জাহান সাদিয়া, আকাশ তৌহিদ খাঁসহ অনেকের নাম উল্লেখ করে যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। কারণ তারা এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না। অপর দিকে সালেহা সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ, এসআই হাফিজ ও এসআই মিয়ারাজকে জড়িয়ে যেসব কথা বলেছে তা সবই মিথ্যা। সালেহা নিজেই দা শাবল নিয়ে মহড়া দিচ্ছে, সে নিজের গায়ে নিজেই আঘাত করে যে নাটক তৈরি করছে তার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে। সে মুখে বলছে সে গরিব অসহায় নারী, অপরদিকে বলছে তার ঘর থেকে দুই কোটি টাকার জিনিসপত্র লুট হয়েছে। নাজমা আরা খানম সালেহাকে মিথ্যাচারী, জাল দলিল সৃজনকারী প্রতারক হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, আমাদের নয় পুরুষ নয় শত বছর যাবত এই জমিতে বাস করছে। আর শ্যামনগরের সালেহা আমাদের পৈতৃক জমি দখলের লক্ষ্যে নানা ধরনের প্রতারণামূলক নাটক করছে। তিনি এর প্রতিকার দাবি করে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। -
শ্যামনগরে বিশ্বকাপ ফুটবলের উত্তেজনা
শ্যামনগর ব্যুরো: দুয়ারে কড়া নাড়ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে শ্যামনগরের ফুটবল প্রেমীরা ভাসছে আনন্দের জোয়ারে। পথ প্রান্তরে, মাঠ-ঘাট, চায়ের দোকনসহ প্রায় সব স্থানে একটাই আলোচনা বিশ্বকাপ ফুটবল। পছন্দের দলটিকে নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার শেষ নেই। সাইকেল-মটর সাইকেল, গাছে ও বাড়ির ছাদে সমর্থকরা পতাকা উড়িয়ে নিজেদের সমর্থন জানিয়ে দিচ্ছে। এমনকি সড়কেও বড় বড় হরফে সমর্থক দলটির নাম লেখা হচ্ছে। নিজ-নিজ পছন্দের দলকে জিতিয়ে রাখতে তর্কের শেষ নেই। স্ব-স্ব দলের জার্সি গায়ে পরিবেশ মুখরিত করছে উঠতি বয়সের তরুনরা।
বিভিন্ন সমর্থকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রতিটা খেলা সন্ধ্যায় শুরু হওয়ায় তারা বেশ খুশি। অধিক রাতে খেলা শুরু হলে ঠিকমত তারা ঠিকমত খেলা উপভোগ করতে পারেন না। ইতিমধ্যে বিভিন্ন শো-রুম ও ইলেকট্রিক সামগ্রী দোকানগুলোতে টিভি, মনিটর কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। -
আশাশুনি উপজেলা প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য কমিটির ত্রৈমাসিক সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সিবিএম এর সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিজএ্যবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড রিসার্স এ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) এর প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের জন্য একীভূত স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরুন কুমার ব্যানার্জী। প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার আবুল হোসেনের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ম. মোনায়েম হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান,সমাজ সেবা কর্মকর্তা এমদাদুল হক, মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন ঘোষ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, ডিপিও সদস্য মফিজুল ইসলাম, আরশাদ আলী, খলিলুর রহমান, ডিআরআরএ প্রতিনিধি বরুণ কুমার সরদার, এহসান করিম প্রমুখ। সভায় প্রকল্পের ত্রৈমাসিক কাজের রিপোর্ট উপস্থাপন, পর্যালোচনা, অগ্রগতি, কর্মপরিকল্পনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
-
জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৯
নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৯ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৫৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১৩ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ১১ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৫ জনকে আটক করা হযেছে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। -
সুন্দরবনে বাটুলিয়া নদী থেকে দেড় লক্ষাধীক টাকার নিষিদ্ধ জাল জব্দ
শ্যামনগর ব্যুরো: সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম সুন্দরবনে বাটুলিয়া নদী থেকে লক্ষাধীক টাকার অবৈধ্য জাল জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। বুধবার দুপুরে এ জাল জব্দ করা হয়। এসময় জেলেরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
আংটিহারা কোস্টগার্ড অফিসার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, সুন্দরবন নিরাপত্তা টহল দেওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে আগুনে বিনষ্ট করা হয়েছে।
সুন্দরবনে বাটুলিয়া নদী থেকে দেড় লক্ষাধীক টাকার নিষিদ্ধ জাল জব্দ
শ্যামনগর ব্যুরো: সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম সুন্দরবনে বাটুলিয়া নদী থেকে লক্ষাধীক টাকার অবৈধ্য জাল জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। বুধবার দুপুরে এ জাল জব্দ করা হয়। এসময় জেলেরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
আংটিহারা কোস্টগার্ড অফিসার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, সুন্দরবন নিরাপত্তা টহল দেওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে আগুনে বিনষ্ট করা হয়েছে। -
দেবহাটায় জমজমাট ঈদ বাজার
দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় ঈদের প্রস্তুতিতে ঈদ বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন পোশাকের পাশাপাশি কেনাকাটায় সাজসজ্জায় তরুনীদের ভিড় বেড়েছে। ঈদের দিন নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে কিংবা নতুন সাজে নিজেকে সাজাতে তরুনীদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন। তাই কসমেটিসকসের দোকানগুলোতে বিভিন্ন বয়সের নারীর পাশাপাশি তরুনীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রোজার শেষ প্রান্তে এসে ঈদ-উল ফিতরের প্রহর গুনছেন সবাই। ঈদ নিয়ে এরইমধ্যে মবার মধ্যে কম-বেশী প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। শেষ মূহুর্তে দেবহাটার বিভিন্ন শপিং সেন্টার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। বিভিন্ন মার্কেটে সকল শ্রেনী পেশার মানুষেরা শাড়ী, থ্রি-পিচ, বাচ্চাদের পোশাক সহ পাঞ্জাবী কিনতে ভিড় করছেন। যাদের ঈদের পোশাক কেনা শেষ তারা ব্যস্ত রয়েছেন পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে কানের দুল, চুড়ি সহ সাজগোজের বিভিন্ন অনুসংগ কিনতে এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে ছুটে চলেছেন। পোশাকের পূর্নতা পায় রুচিশীল সাজ সজ্জায়। ঈদ ছাড়াও মোটামুটি বছরের সকর সময়েই কম-বেশী কসমেটিকস ও জুয়েলারি দোকানের বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করেন। তবে ঈদের সময় একটি বেশীই ব্যস্ত থাকেন তারা। পারুলিয়া ঝিলমিল কসমেটিকসের মালিক মোজাফফর রহমান ও রফিকুল ইসলাম জানান, ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব। বিশেষ করে রোজার ঈদে মানুষের আগ্রহটা একটু বেশীই থাকে। এই ঈদে সকল মানুষরাই তাদের সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করেন। তারা জানান, তরুনীরা তাদের পছন্দমতো প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে বেশী আগ্রহী। বিশেষ করে পোষাকের সাথে ম্যাচিং করে নেইল পলিশ, চুড়ি, দুল সহ প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে তরুনীদের চাহিদা পুরন করতে তারা চেষ্টা করেন। তবে তারা জানান, এবছর তরুনীদের ব্রান্ডের বিভিন্ন কসমেটিকসের জিনিষের প্রতিই আগ্রহ বেশী। এবছর কিন্তু একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে, সেটা হলো আগের মতো এখন আর পোশাকের কোন নাম নেই। রুচিশীল পোশাকের প্রতিই এবার সবার আগ্রহটা একটু বেশী বলে জানা গেছে। যাইহোক সার্বিক বিষয়ে ঈদ প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত নি¤œ মধ্যবিত্ত থেকে বিত্তশালী পর্যন্ত সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। সবাই তাদের সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
-
পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াজিহুর রহমান খানের অবসর গ্রহণ
পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াজিহুর রহমান খানের চাকুরী জীবন ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী অবসর গ্রহণ করেন। কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান, সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের কাছে তিনি বুধবার বেলা ১১ টায় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যদের উপস্থিতিতে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। অধ্যক্ষ ওয়াজিহুর রহমান গত ০১/০৯/১৯৮৩ ইং তারিখে অত্র কলেজে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। এবং গত ০১/০২/২০০৫ তারিখে অধ্যক্ষ পদে আসীন হন। ০৬/০৬/২০১৮ তারিখ বে-সরকারি চাকুরী অনুযায়ী চাকুরী জীবন ৬০ বছর পূর্ন হওয়ায় অবসরে যান। তিনি চাকুরী কালীন অত্যন্ত সৎ, নির্ভিক ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
-
কালিগঞ্জ, শ্যামনগরে যায়যায়দিন এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে যায়যায়দিন এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা যায়যায়দিনের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ১৩ তম বর্ষে পর্দাপণ উপলক্ষ্যে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম শ্যামনগরের আয়োজনে কেক কাটা ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজজামান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন জননন্দিত জাতীয় পত্রিকা। প্রকাশনার শুরু থেকেই পত্রিকাটি পাঠকের মন কেড়েছে। যায়যায়দিনের আগামী দিনের পথচলা আরও সমৃদ্ধ হোক।
শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মহসীন উল মুলক,উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি শেখ জাবের হোসেন, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যায়যায়দিন পত্রিকার শ্যামনগরের প্রতিনিধি রনজিৎ বর্মন।কালিগঞ্জে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
কালিগঞ্জ বিশেষ প্রতিনিধি: যায়যায় দিন ১৩তম বর্ষে পদারপর্ণে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কালিগঞ্জ ফ্রেসন্ড ফোরামের আয়োজনে ৬ জুন বেলা ১২টায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে এক আলোচনা সভা ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিগঞ্জ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক বিশিষ্ঠ সাহিত্যিক ও প্রাবান্ধীক গাজী আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যায়যায় দিন উপজেলা প্রতিনিধি সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি এ্যাডঃ জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম, কালিগঞ্জ উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিলন কুমার ঘোষ, উপজেলা লেডিস ক্লাবের সম্পাদিকা ইলাদেবী মল্লিক, সংঙ্গীত শিল্পী ও শিক্ষক কনিকা সরকার প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে একটি র্যালী বাহির হয়। অনুষ্ঠানে সরকারী কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক ও সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
