Blog

  • সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা

    সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা

    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মন্তোষ কুমার দেবনাথ। প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন গাইন। এছাড়া সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বাসুদেব কুমার, সন্দিপ কুমার রায়, ইন্সট্রাক্টর আবু তাহের, সন্তোষ কুমার মন্ডল, নাজমুল, এস এম মফিজুল ইসলামসহ সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার ভূধর চন্দ্র সানা। সভায় প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়। বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রকে ঢেলে সাজিয়েছেন। সকলকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। যা অন্য কোন সরকারের পক্ষে ইতোপূর্বে সম্ভব হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্র ছাড়াও দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। সারা দেশ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সকলকে নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

  • আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : সংবাদপত্র সমাজের দর্পন, সমাজ বিনির্মানে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বিকার্য

    স্টাফ রিপোটার ॥ সংবাদপত্র সমাজের দর্পন, সমাজ বিনির্মানে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বিকার্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজের ভালমন্দ দিক খুরধার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। ২০০৪ সালের এ দিনে সাতক্ষীরার মাটিতে আজকের সাতক্ষীরা নামক যে ফুল ফুটেছিল, তের বছর পেরিয়ে সেই ফুল প্রস্ফুটিত হয়েছে অন্যদিকে আলোক রশ্মির বিকিরণ ঘটিয়ে সাতক্ষীরার বিশ লক্ষাধিক মানুষের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তার দুর্বার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। আজকের সাতক্ষীরা জেলার মাটি আর মানুষের কথা বলে চলেছে, বঞ্চিত, অবহেলিত সাতক্ষীরার কথা বলে, অন্যায়, অনিয়ম, শোষন, নির্যাতন আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে সদা সর্বদা জাগ্রত। পাঠকের প্রতি বিশ্বস্থতা, আন্তরিকতা, সহমর্মিতা এবং বস্তুনিষ্ঠতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করে আজকের সাতক্ষীরা তার সৎ সাহসী নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং স্বাধীনতা সর্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী আজকের সাতক্ষীরা বরাবরই সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্র পাঠকের চাহিদার প্রতি বিশেষ সতর্ক । একারণে শত সহ¯্র পাঠকের হৃদয়ে পত্রিকাটি স্থান করে নিয়েছে। আজকের সাতক্ষীরা দেশ, জাতি, গণতন্ত্র, সরকার এবং সরকারের উন্নয়নমুখিতাকে প্রচারনা করে চলেছে। বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়েছে, আজকের সাতক্ষীরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তার লেখনীর মাধম্যে পাঠকের কাছে পৌছে দিয়ে গণতন্ত্রকে সহযোগিতা করছে। অনন্তকাল বেঁচে থেকে আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকা এ জনপদের উন্নয়নে সাহসী ভূমিকা রাখুক এ প্রত্যাশা রাখি পত্রিকাটির সম্পাদক ও সকল স্তরের সাংবাদিকদের উপর। গতকাল শহরের লেকভিউ এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় সাতক্ষীনা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন সাতক্ষীরা কোন বিচ্ছিন্ন এলাকা নয়, বরং সাতক্ষীরা জেলার মানুষ অতি শান্তিপ্রীয়, বিনয়ী। বিধায় সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে সাংবাদিকদের আরও সতর্কতার সাথে কলম ধরতে হবে, সাদাকে সাদা ও কালকে কাল বলার সাহস সঞ্চয় করতে হবে। কোন অপশক্তি যেন এ জেলার ভাবমুর্তি নষ্ট করতে না পারে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান তিনি।
    দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলুর সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর আহমেদ । স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক শ্হা আব্দুস শাদী , জেলা পুলিশি কমিটির সভাপতি ও তুফান গ্রুপের চেয়ার ম্যান আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা , জেলা আওয়ামী লীগের য ুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সাজেক্রীসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ে শখ নিজামুদ্দিন , জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুণার রশিদ . জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক জ্যো¯œা আরা , সহযাত্রী সম্পাদক কাজী স ুফিউল্লাহ ফারুকি আবু কাজী , ইচ্ছে নদীর সম্পাদক মকসুমুল হাকীম , দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান , বিটিভির জেলা প্রতিনিধি প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান । এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনুদ্দীন , দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জেলা সংবাদ পত্র পরিষদের আহবায়ক জি এম নুর ইসলাম , সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক ওয়ারেশ খান চৌধুরি ,মুক্ত স ¦াধীন পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম , আজকের সাতক্ষীরার সহ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান ডাবলু, বার্তা সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, সহ- সম্পাদক শেখ আব্দুল মমিন, কাফেলার বার্তা সম্পাদক এম ইদ্রিস আলি প্রমুখ।

  • দেবহাটায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন: শিক্ষক আটক

    সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতার পিতার দায়ের করা মামলায় লম্পট শিক্ষক ফজর আলীকে আটক করেছে পুলিশ।

    সে কালিগঞ্জ উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের দবিরউদ্দীন খাঁনের ছেলে ও দেবহাটা উপজেলার হাদীপুর আহছানিয়া আলিম মাদ্রাসার আইসিটি শিক্ষক।

    মামলার বাদি ছাত্রীর পিতা জানান, তিনি ও মাদ্রাসার আইসিটি শিক্ষক ফজর আলী একই সাথে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করের। সে সুবাদে লম্পট ফজর আলী আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমার এসএসসি পড়–য়া কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ২ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে। গত ১০জুন রাতে তিনি জানতে পারি লম্পট ফজর আলী তার মেয়ে ধর্ষণ করেছে। তার স্ত্রী মমতাজ বেগম দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে ফজর আলী পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০১ এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং- ১২। এঘটনায় দেবহাটা থানা পুলিশ ধর্ষক ফজর আলীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

  • জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে তালা উপজেলা ছাত্রদলের অভিনন্দন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাতক্ষীরা জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি শেখ রফিকুজ্জামান সজীব সাধারণ সম্পাদক মোমতাজুল ইসলাম চন্দন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রাহায়কে নির্বাচিত করায় দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জেলার নতুন সকল নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তালা উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
    বিবৃতি দাতারা হলেন তালা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আনিচুরজ্জামান আনিচ, ছাত্রনেতা সরদার ফরাদ হোসেন রনি, মেহেদী হাসান, পাড় মোতাহার, গাজী শাহিন, হাফিজুর রহমান হাফিজ, হাছান মোল্লা, আবু মুহিত, জি এম ফারুক, আছাদুল ইসলাম, রানা, শাহিন, লিটু, ইমরান, বাবলু প্রমুখ।

  • কাশিমাড়ীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান

    কাশিমাড়ীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান

    কাশিমাড়ী প্রতিনিধি: কাশিমাড়ীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়েছে।

    ‘ফুলের মত ফুটবো মোরা আলোর ন্যায় ছুটবো, জ্ঞানের আলো সাথে নিয়ে দেশটাকে গড়বো’ এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে শংকরকাটি সততা সংগঠনের উদ্যোগে গত সোমবার বিকালে শ্যামনগর উপজেলার শংকরকাটি বাজার চত্বরে ২০১৮ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শংকরকাটি সততা সংগঠনের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আব্দুর রউফ।

    সততা সংগঠনের সদস্য তানভীর হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিমাড়ী আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এস.এম আব্দুল হাই, ঢাকা মেগা সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান সায়দুল ইসলাম, নর্দান ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগীয় প্রধান রবিউল ইসলাম, কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আবুল হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মাস্টার সওকাত হোসেন প্রমুখ।

  • শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর অব্যাহত ভাঙনে দ্বীপে পরিণত হতে চলেছে কয়রার ১৭ টি গ্রাম

    শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর অব্যাহত ভাঙনে দ্বীপে পরিণত হতে চলেছে কয়রার ১৭ টি গ্রাম

    কয়রা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাব্বুনিয়া গ্রামে শাকবাড়ীয়া আর কপোতাক্ষ নদীর অব্যাহত ভাঙনে দ্বীপে পরিণত হতে চলেছে কয়রার ১৭ টি গ্রাম। অথচ এ বিষয় কোন কার্যকারী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষ।

    জানা যায়, ১৯৭০ সালে ২ টি নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারণে গাব্বুনিয়া গ্রামের উপর দিয়ে ৫/৬ শত ফুট দৈর্ঘের নদী খনন করে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়ীয়া নদীর সাথে যুক্ত করা হয়। এ সময় দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১৩ টি ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ৪ টি গ্রামসহ ১৭ টি গ্রাম একটি দ্বীপে পরিণত হয় এবং মানুষ খেয়া নৌকায় চলাচল করত। কয়েক বছর চলার পর খনন করা নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় ১৯৭৪ সালে ২ নদীর পাড়ে আবার বেঁড়ীবাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

    প্রায় দীর্ঘ ৩ দশক চলার পর আবারও শাকবাড়ীয় ও কপোতাক্ষ নদীর অব্যাহত ভাঙনে বেঁড়ীবাঁধ ধ্বসে পড়ায় ১৭ টি গ্রামের ১২ টি ওয়ার্ডের প্রায় ৪২ হাজার মানুষের জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

    এছাড়া দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালি গ্রামের শাকবাড়ীয়া নদীর তীরে কোষ্ট গার্ডের আঞ্চলিক অফিস এবং একই ইউনিয়নের খাসিটানা গ্রামে নৌ পুলিশ ক্যাম্প, পাইলট অফিস, কাষ্টম অফিস সহ আংটিহারা গ্রামে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেষ্ট হাউজ এছাড়া রয়েছে কোবাদাক ফরেষ্ট স্টেশন, বজবজা ও খাসিটানা ফরেষ্ট ক্যাম্প, ঘড়িলাল ও জোড়সিং বৃহত্তর ২ টি বাজার এবং সুন্দনবনের জেলে বাওয়ালী সহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা নিয়মিত বাজার করেন।

    অন্যদিকে সুন্দরবন বেষ্টিত ১৭ টি গ্রামের মধ্যে রয়েছে গোলখালি, জোড়সিং ও পদ্মপুকুর মাছ বিক্রয় কেন্দ্র, যেখানে প্রতিদিন সুন্দরবনের মাছ সহ স্থানীয় চিংড়ি ঘেরের শত শত মণ মাছ কেনা বেচা হয় এসব বাজারে এবং ব্যবসায়ীদের কয়রা সদর সহ অন্যত্র যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ গাব্বুনিয়া গ্রামের ওয়াপদা বেঁড়ীবাঁধ।

    এলাকাবাসী জানায়, অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়ীয়া নদী মিশে যেতে পারে যে কোন সময়। তারা জানায় ৩ দশক আগে এখানে যাতায়তের জন্য খেয়া নৌকা পারপার ছিল এবং নদী ভাঙন রোধ করতে না পারায় আবারও হয়ত খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হবে ১৭ গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের।

    এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক শাখা কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি সরকারি কোন বরাদ্দ না থাকায় তাদের কিছু করার নেই বলে জানান।

    উল্লেখ্য গত ১৫ ই রমজান প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে টেকসই বাঁধ নির্মানের প্রতিশ্রতি ব্যাক্ত করেন।

    সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ নুরুল হক জানান, তিনি বিষয়টি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন এবং পাউবোর সকল উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছেন। তিনি আশা করছেন জরুরি ভিত্তিতে গাব্বুনিয়া গ্রামে ২ টি নদীর তীরে দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

    কিন্তু এসব আশ্বাসের কথা এলাবাসী সহ উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ মানতে নারাজ। সে জন্য উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজা জানান, স্থানীয় জনগন বাচার তাগিদে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করায় বাঁধ কোন রকমে টিকে আছে।

    তিনি বলেন পাউবোর অব্যাবস্থাপনার কারণে এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গুরুত্ব না দেওয়ায় কয়রা উপজেলা থকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে দক্ষিণ ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ১৭ টি গ্রাম।

  • সখিপুওে ত্রৈমাসিক ডায়লগ সেশন অনুষ্ঠিত

    সখিপুওে ত্রৈমাসিক ডায়লগ সেশন অনুষ্ঠিত

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার সখিপুরে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে ত্রৈমাসিক ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার সকালে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স এর আয়োজনে উক্ত সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সখিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরতী রানী ঘোষ। ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স এর ইউ এফবিটিএস আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মোনাজাত আলী, পরিতোষ বিশ্বাস, আব্দুল করিম, আবুল হোসেন, জগন্নাথ মন্ডল প্রমুখ।

  • স্ট্রোকে হয়ে পাটকেলঘাটা থানার ওসির মৃত্যু

    স্ট্রোকে হয়ে পাটকেলঘাটা থানার ওসির মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম স্ট্রোক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি…..রাজেউন)।

    বুধবার সকালে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে আসার পথে ফরিদপুর বাসষ্ট্যান্ডে তিনি ষ্ট্রোক করেন। স্থানীয় জনগণ তাঁকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

    মৃত রিয়াজুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার হাট ফাজিলপুর গ্রামের মৃত নিয়ামত আলী মোল্যার ছেলে।

    পাটকেলঘাটা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) উজ্জল মৈত্র জানান, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল পাটকেলঘাটায় ফেরার পথে ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসে ওঠার সময় তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

    ওসি রিয়াজুল ইসলাম স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ গভীর শোক জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন।

    উল্লেখ্য, তিনি চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল পাটকেলঘাটা থানায় যোগদান করেন।

  • মাগুরায় গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম

    মাগুরায় গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার মাগুরায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধু পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবার। বুধবার সকালে গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধু মাগুরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের কন্যা সালমা বেগম। এঘটনায় ভুক্তভোগী সালমা বেগম বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সদর থানা পুলিশ সালমা বেগমের ভাসুর মিজানুর রহমানকে আটক করেছে।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০ বছর পূর্বে একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক সরদারে ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে পরিবারিকভাবে বিবাহ হয় সালমা বেগমের। বিবাহের পর থেকে প্রায়ই ইসমাইল সালমা বেগমকে যৌতুকে দাবিতে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ইতোমধ্যে তাদের ৪টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এদিকে সম্প্রতি ইসমাইল হোসেন অন্য মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং সালমা বেগমের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। টাকা না দিলে খড়িবিলা এলাকার মোনতাজ সরদারের কন্যা আয়শা খাতুনকে বিবাহ করার হুমকি দেয় সালমা বেগম। এর জের ধরে গত ১৮ জুন’১৮ তারিখে প্রেমিকা মোনতাজ সরদারের কন্যা আয়শা খাতুনের বাড়িতে অবস্থান করাকালে সালমা খাতুন তার স্বামী ইসমাইলকে বাড়ি যেতে বলেন। এসময় পাষ- স্বামী ইসমাইল, ভাসুর মিজানুর রহমান এবং মোনতাজ সরদারের কন্যা আয়শা খাতুন সালমা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করে।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ আটক-৪৭

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ মাদক মামলার আসামীসহ ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

    গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৭ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৭ জন, কালিগঞ্জ থানা ৬ জন,শ্যামনগর থানা ৮ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ৫ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • ডা. আনিসের অদক্ষতায় প্রাণ হারাতে বসেছে শাহিন কাদির

    ডা. আনিসের অদক্ষতায় প্রাণ হারাতে বসেছে শাহিন কাদির

    নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আনিসুর রহমানের অদক্ষতায় প্রাণ হারাতে বসেছে যুবক শাহিন কাদির। অদক্ষ গাড়ি চালক ডা. শাহিনের প্রাইভেট কার চাপায় গুরুতর আহত শাহীন কাদির এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

    জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আনিসুর রহমান নিজে দক্ষ চালক না হয়েও বেপরোয়াভাবে নিজের প্রাইভেটকার চালিয়ে শ্যামনগর অভিমুখে আসছিলেন। অপরদিকে শাহিন কাদির তার বন্ধু হাবিবুর রহমানের মোটর সাইকেলে বসে বিপরীতমুখে কালিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। শ্যামনগরের খানপুর ফিলিং স্টেশনের কাছে একটি ছোট কালভার্টের ওপর তার প্রাইভেট কারটি শাহিন কাদিরকে চাপা দেয়। তাকে গুরুতর আহত দেখেও চালক ডা. আনিস শ্যামনগরের দিকে পালিয়ে যান। এ সময় গ্রামবাসী তাকে তাড়া করেও ধরতে ব্যর্থ হন।

    স্থানীয়রা শাহীন কাদিরকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করলে ডা. আনিস তার চিকিৎসায় সাহায্য না কওে বরং তার সামনেও আসতে অস্বীকৃতি জানান।
    শাহীন কাদিরের বাবা এসএম মুজিবুর রহমান জানান, তার ছেলেকে শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরায় পরে খুলনা এবং সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।

    তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। গত ৩ জুন থেকে ১৭ দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি। ডাক্তাররা বলছেন তার মস্তিষ্কের ক্ষমতা ৭৫ ভাগ বিলুপ্ত হয়েছে। আঘাতজনিত কারণে মাথার ঘিলু নির্গত হয়েছে। কয়েকটি ¯œায়ু বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্তপাত হয়েছে। মেরুদ-ের উভয় স্কন্ধের হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া স্পাইনাল কর্ড ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। সমস্ত শরীর থ্যাতলানো শাহীন কাদিরের লিভার বড় হয়ে গেছে। সে এখন অচেতন অবস্থায় বাকরুদ্ধ হয়ে রয়েছে।

    শাহীন কাদির শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীফলকাটি গ্রামের এসএম মুজিবর রহমানের ছেলে। সে সম্প্রতি কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করছিল।

    অপরদিকে শ্যামনগরের আরএমও ডা. আনিসুর রহমান একই উপজেলার হাওয়ালভাঙ্গি গ্রামের আবু দাউদ সরদারের ছেলে।
    প্রথম দিকে চাপের মুখে ডা. আনিস শাহিন কাদিরের চিকিৎসার ভার বহন করার কথা বলেন।

    কিন্তু শাহিন কাদিরের পিতা মুজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘খরচ বহন করা তো দুরের কথা ডা. আনিস চিকিৎসার ব্যাপারে কোন সহায়তায় করেন নি।

    এলাকাবাসী জানান, ডা. আনিসের মালিকানাধীন সাদা রঙের প্রাইভেটকারটি (রেজি নং- ঢাকা মেট্রো -গ- ৩৫-১২১১) তিনি নিজে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আনাড়ি চালক হওয়ায় তার গাড়িতে থাকা জনৈক সোহরাব মোড়ল তাকে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। এসময় গাড়ির মধ্যে উচ্চস্বরে কথোপকথন, হাসিঠাট্টা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাবে কথা বলছিলেন তারা। তাদের খামখেয়ালিপনার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    শাহীন কাদিরের বাবা এসএম মুজিবুর রহমানের অভিযোগ ডা. আনিসুর রহমান তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। চিকিৎসার শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। এসব টাকা তিনি জমি বিক্রি ও বন্ধক এবং সমিতি থেকে লোন নিয়ে পরিশোধ করেছেন। এখন শাহীন কাদিরের চিকিৎসায় দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে থাকা শাহিন কাদিরের বাবা শাহিনের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করে বলেন, ‘আমি আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য মানবিক সহায়তা চাই’।

    এদিকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘ওইদিন তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। তার ড্রাইভার সোহরাব মোড়ল গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।’

    এদিকে ডা. আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক সেবন এবং বিভিন্ন রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন কর্মচারি এবং সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, ডা. আনিসুর রহমান নিয়মিত ইয়াবা সেবন করেন। তার কাছে কোনো রোগী নিরাপদ নন। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার বিকারগ্রস্থতার কারণে বহু রোগী মারা যাওয়ারও অভিযোগ আছে।

    তবে ডা. আনিস এসব অভিযোগ অস্বীকার কওে বলেন, ‘আমি মাদকাসক্ত নই।’
    এদিকে এ ঘটনায় শ্যামনগর থানা পুলিশ শাহিনের বাবার দেওয়া মামলা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    এলাকাবাসী জানান, ওসির সাথে ডাক্তার আনিসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ওসি তার বিভিন্ন সময় গাড়ি ব্যবহার করেন। পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করায় বাবা এসএম মুজিবর রহমান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করে আবেদন করেছেন।

    এব্যাপারে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলি বলেন, ‘তারা কোনো এজাহার দেননি। এখনই এজাহার দিলে তিনি তা রেকর্ড করবেন।’

    কান্নাজড়িত কণ্ঠে দুর্ঘটনায় আহত শাহীন কাদিরের বাবা বলেন, আমার ছেলেটির জীবন বিপন্ন। তার বাক রুদ্ধ হয়ে গেছে। লাইফ সাপোর্ট খুলে দিলেই তার জীবনবায়ু শেষ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় তিনি ডা. আনিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

  • জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-২৯

    জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-২৯

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩ মাদক মামলার আসামীসহ ২৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

    গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানার ৫ জন, কলারোয়া থানার ৫ জন, তালা থানার ২ জন, কালিগঞ্জ থানার ৪ জন, শ্যামনগর থানার ৫ জন, আশাশুনি থানার ৪ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানার ২ জন।

    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • তালায় মুরগির ফার্মের শিয়াল মারার বিদ্যুতায়িত ফাঁদে এক বৃদ্ধার মৃত্যু

    বিশেষ প্রতিনিধি :
    মুরগির ফার্মের কাছে শিয়াল মারার বিদ্যুতায়িত স্পৃষ্ট হয়ে রিজিয়া বেগম (৭৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে সাতক্ষীরা তালা উপজেলার শিরাশুনি গ্রামে। রিজিয়া বেগম শিরাশুনি গ্রামের মৃত শওকত আলী মোড়লের স্ত্রী। তালা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
    নিহতের স্বজনরা জানান, গতকাল সোমবার সকালে রিজিয়া বেগম বাড়ির পাশে মফিজুল ইসলামের পোল্ট্রি ফামের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। এ সময় শিয়াল মারার জন্য তৈরি ফাঁদের পাশদিয়ে যাওয়ার সময় হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্টে হয়ে গুরুতর আহত হয়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এঘটনায় তালা থানায় একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা হয়েছে। মামলা নং ২৭।

  • সাতক্ষীরায় আহলে হাদিছদের দুই ঈদের জামাত এক করে দিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন

    সাতক্ষীরায় আহলে হাদিছদের দুই ঈদের জামাত এক করে দিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন

    স্টাফ রিপোর্টার ::
    সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আহলে হাদিছ অনুসারীদের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। দীর্ঘদিন পর এবার আহলে হাদিছ অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে সকল ভেদাভেদ ভূলে একই স্থানে একই ইমামের পিছনে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। আর এজন্য মধ্যস্তকারী হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম¥দ ইফতেখার হোসেন।

    সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে কয়েক হাজার মহিলা ও পুরুষ ঈদের এই জামাতে অংশ নেয়।

    ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মহরুম ড. আব্দুল বারী গ্র“পের আলহাজ্ব মাওলানা মো: ওবায়দুল্লাহ গজনফর এবং খুদবা পাঠ করেন ড. আছাদুল্লাহ আল গালিব গ্র“পের আলহাজ্ব মাওলানা মো: আব্দুল মান্নান।

    আহলে হাদিছ অনুসারীদের ঈদের প্রধান জামাতে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের জন্য নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। একই ইমামের পিছনে মহিলা ও পুরুষ একত্রিত হয়ে তারা নামাজ আদায় করেছেন।

    ঈদের নামাজ শুরুর আগেই সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক মুসল্লিদের আগমনে পুরো ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করতে মুসল্লীরা আসনে।

    সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন আহলে হাদিছ অনুসারীদের ঈদের এই প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন। এছাড়া জেলা প্রশাসকের মা সেতারা হোসেন, স্ত্রী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, তিন ছেলেসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা ঈদের জামাতে অংশ নিয়ে নামাজ আদায় করেন।

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন নামাজ শুরুর আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

    তিনি বলেন, সকল বিভেদ ভূলে সাতক্ষীরা জেলা শহরে আহলে হাদিছ অনুসারীরা একই জামাতে নামাজ আদায় করছে এটা দেখে মহান আল্লাহর কাছে আমি শুকরিয়া আদায় করছি। আল্লাহ আমাদের এভাবে যেনো সারা জীবন সব ভুলবুঝাবোঝি অবসন ঘটিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করেন। তিনি বলেন, এক মাস ব্যাপী আমরা সিয়াম পালন করেছি। রোজা আমাদেরকে যে শিক্ষা দিয়েছে সেই শিক্ষা যেনো আমরা ভূলে না যায়। ঈদের নামাজের পর আমরা যেনো আমাদের প্রতিবেশিদের হক আদায় করতে পারি। বাড়ির আশেপাশে গরীব ও দুস্থদের যেনো খেদমত করতে পারি। আমরা যেনো তাদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। তিনি বলেন, দেশে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। আমাদের এই মাতৃভূমিতে যেনো আল্লাহর শান্তি বিরাজ করে। সকল হানাহানি , বিভেদ ভূলে আমরা যেনো শান্তিপ্রতিষ্ঠায় কাজ করতে পারি।

    ঈদের এই জামাতে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন সাতক্ষীরার প্রবীন আইনজীবী অ্যাড. এ কে এম শহীদউল্যাহ, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক রফিউদ্দিন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এটিএন বাংলার সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, ডা: রাশেদ রেজা, ডা: আমিনুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিন্টু চৌধুরী, সাপ্তাহিক সূয্যের আলোর সম্পাদক আব্দুল অরেশ খান চৌধুরী প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, দেশ স্বাধীনের আগে থেকেই সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আহলে হাদিছ অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন। তবে গত কয়েক বছর ধরে আহলে হাদিছ অনুসারীরা পৃথক দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ড. আছাদুল্লাহ আল গালিব অনুসারীরা সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এবং মরহুম ড. আব্দুল বারী অনুসারীরা সাতক্ষীরা পি এন হাইস্কুর মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করতেন।
    আহলে হাদিছদের পৃথক ঈদের জামাতের কথা জানার পর সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন গত ১৪ জুন জেলা প্রশাসকের বাংলোতে দুই গ্র“পের নেতাদের নিয়ে বৈঠ করেন। তিনি পৃথক স্থানে ঈদের নামাজ আদায় না করে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এইক স্থানে একই আমামের পিছুনে নামাজ আদায় করার জন্য আহবান জানান।

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের আহবানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর পর এবার আহলে হাদিছ অনুসারীরা সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেলেন।

    ঈদের নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আলহাজ্ব মাওলানা মো: আব্দুল মান্নান।

  • কালিগঞ্জে শহীদ স.ম আলাউদ্দীনের ২২তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

    কালিগঞ্জে শহীদ স.ম আলাউদ্দীনের ২২তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

     

    কালিগঞ্জ ব্যুরো: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দৈনিক পত্রদূত’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, আধুনিক সাতক্ষীরার রূপকার, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ আলহাজ¦ স.ম আলাউদ্দীন এর ২২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তাঁর খুনীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে। রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক পত্রদূত এর বিশেষ প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিনের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান। কালিগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চ, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উজ্জীবনী ইনষ্টিটিউট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ ইকবাল আলম বাবলু, সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এড. জাফরুল্যাহ ইব্রাহিম প্রমুখ। স্মরণ সভায় বক্তারা মরহুমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন ও তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক অসিত সেন, ডিআরএম ইউনাইটেড আইডিয়াল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সাংবাদিক শেখ মুরাদুল হোসেন, বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানুর রহমান, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি আরাফাত আলী, দৈনিক দৃষ্টিপাত’র ব্যুরো প্রধান শেখ আবু হাবিব, দৈনিক পত্রদূত এর কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন প্রতিনিধি সহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন, পত্রদূত’র চাম্পাফুল প্রতিনিধি ও চাম্পাফুল আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম বারী, উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ ফারুক হোসেন, তাথৈ ইলেক্ট্রনিক্স এর সত্ত্বাধিকারী বাবলা আহম্মেদ প্রমুখ। শহীদ আলহাজ¦ স.ম আলাউদ্দীন এর রূহের মাগফিরাত কামনা, দৈনিক পত্রদূত’র উত্তরোত্তর সম্মৃদ্ধি কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দৈনিক পত্রদূত’র মৌতলা ইউনিয়ন প্রতিনিধি হাফেজ মো. আকরাম হোসাইন।

  • কুলিয়ার জামায়াতের অর্থদাতা ছবুর এর খুটির জোর কোথায়?

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেবহাটা উপজেলার ০১নং কুলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ খালেক এর পুত্র আব্দুস সবুর (৩০) এর বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তা দখল করে ঘর বাড়ি নির্মান এর অভিযোগ উঠেছে।

    জামায়াত এর অর্থদাতা আব্দুস সবুর মানুষের চলাচলের সরকারী রাস্তা দখল করে তাহার বসত বাড়ী নির্মান করছে। সরজমিনে তদন্ত কালে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া এই আব্দুস ছবুর কুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামের অর্থদাতা। তার অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে রাস্তা দখল করে আলিশান বাড়ি নির্মান করার পায়তারা করছে। হঠাৎ করে ধন সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া এই ছবুর কারো তোয়াক্কা করে না। কিছুদিন আগে সামান্য কিছু পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় দীনমজুর যুবক জায়নাল কে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করে। এ নিয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়।

    এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার লোকজন আমার কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানালে আমি গ্রাম পুলিশ কে দিয়ে ছবুর কে ঘর নির্মান না করার জন্য বললে সে গ্রাম পুলিশকে বলে মেম্বর চেয়ারম্যান তো দুরের কথা প্রশাসনও আমার কিছু করতে পারবে না। তার এমন বক্তব্যে এলাকাবাসীর “প্রশ্ন ছবুরের এই অদৃশ্য ক্ষমতার জোর কোথায়?”

  • নতুন কমিটির দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবেজেলা ছাত্রদলের একাংশের নেতা কর্মীদের সংবাদ সম্মেলন : সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে শহরে অবাঞ্চিত ঘোষনা

    নতুন কমিটির দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবেজেলা ছাত্রদলের একাংশের নেতা কর্মীদের সংবাদ সম্মেলন : সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে শহরে অবাঞ্চিত ঘোষনা

     

    শহর প্রতিনিধি : সদ্য ঘোষিত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে সাতক্ষীরা শহরে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। একই সাথে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের পকেট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ত্যাগী নেতা কর্মীদের দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষনার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানিয়েছেন ছাত্রদলের একটি অংশের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীদের পক্ষে এই দাবি জানান সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক গত ১৩ জুন শেখ রফিকুজ্জামান সজীবকে সভাপতি, মমতাজুল ইসলাম চন্দনকে সাধারন সম্পাদক ও আবু রায়হানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। সক্রিয় নেতার্মীদের সম্পূর্ন অচেনাদের দিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত কমিটি দেখে হতবাগ হয়েছে জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে নেবাখালী গ্রামের বাসিন্দা সভাপতি শেখ রফিকুজ্জামান সজীব এনজিও কর্মী হওয়ায় স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঝিনাইদহা জেলায় বসবাস করে। সজীব বিগত ৫/৬ বছর ধরে সাতক্ষীরার রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম থেকে সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন ছিল।
    সাতক্ষীরা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে কলারোয়ার তুলসীডাঙ্গা গ্রামে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারি সাধারন সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দনের বাবা, মা ও ভাইবোন সকলেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাকিমপুরের তালবাড়িয়া এলাকায় বসবাস করে। বাংলাদেশ-ভারত আসা যাওয়া করতেই তার বেশিরভাগ সময় কেটে যায়। সে কিভাবে জেলায় ছাত্রদলের রাজনীতি এবং আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। ঘোষিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হানের বাড়ি শহর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে শ্যামনগরের নওয়াবেকী গ্রামে। ওখানেই বসবাস করায় বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতা কর্মীদের সাথে ইতিপূর্বে তার কোন যোগাযোগ বা উঠাবসা নেই। ফলে এদের নেতৃত্বে ছাত্রদলের মত একটি ঐতিহ্যবাহি সংগঠন ভালো হওয়া তো দূরের কথা বরং সংগঠন খাদের কিনারে নিমজ্জিত হবে।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, সদ্য ঘোষিত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সজীব, সাধারন সম্পাদক চন্দন ও সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান একটি ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের নেতৃত্ব দেয়ার মত যোগ্যতা রাখে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর প্রভাব খাটিয়ে এবং তাদের কাছে মিথ্যে তথ্য দিয়ে ছাত্রদলের সাতক্ষীরা জেলা, পৌর ও থানাসহ সকল ইউনিটকে ধ্বংস করার মানসে অছাত্র, অযোগ্য ও অর্থব এসব লোকদের দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের এই পকেট কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। তিনি এই কমিটি প্রত্যাখান করে সভাপতি সজীব, সাধারন সম্পাদক চন্দন ও সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হানকে সাতক্ষীরা শহরে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন। একই সাথে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের পকেট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ত্যাগী নেতা কর্মীদের দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষনার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জোর দাবি জানান। অন্যথায় এই দাবির সপক্ষে জোরালো কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা, শহর, সদর ও কলেজ ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।