আশাশুনি প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ফিংড়ীতে অসহায় পরিবারকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করতে বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ ফিংড়ী এলাকায় মৃত বাবর আলী ঢালীর পুত্র আরমান ঢালী একই এলাকার সলেমান হোসেনের পুত্র হুমায়ন কবীরের নিকট থেকে ২০/০৭/১৯৮৯ সালে ফিংড়ী মৌজার ২৬২ নং খতিয়ানের এসএ ৪৫৫৭, সাবেক দাগ নং ৪১৩২ ও ৩১৪০ নং কোবলা দলিলে মোট ১২শতক জমি ক্রয় করে প্রায় ৩০বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন। পরে মোঃ ঈদ্রিস আলী গাজীর পুত্র মইনুল গাজী (পুলিশ সদস্য) বাদী হয়ে ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিচার কায্যে ১৪/০৪/১৭ ইং তারিখে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে উক্ত সম্পত্তির সকল কাগজপত্র দেখে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান মৃত বাবর আলীর পুত্র বিবাদী আরমান ঢালীর পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। এত কিছুর পরেও পুলিশ সদস্য মইনুল গাজী খ্যান্ত না হওয়ায় তার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার ভোগিনপতি সদরের দেবনগর এলাকার গোলাম রসুলের পুত্র বাবু হোসেন, দক্ষিণ ফিংড়ী আব্দুর রহমানের পুত্র মহিদুল ইসলাম, মোঃ বাবু, জমি মালিক হুমায়ন কবীর সহ অজ্ঞাত ৭/৮জন সন্ত্রাসীকে দিয়ে বে-আইনি ভাবে জমির দখল নিতে আরমান ঢালীর বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় আরমান ঢালীর স্ত্রী মঞ্জুয়ারা খাতুন বাধা দিলে তারা দলবদ্ধ হয়ে আমার স্ত্রীকে এ্যালোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করাসহ তাকে শ্লীতাহানী করে। পরে তারা আরমান ঢালীর বাড়ীতে প্রবেশ করে বাড়ী ভাংচুর করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দলবদ্ধ সন্ত্রাসী পিছু হটে। বিষয়টি জানতে পেরে আরমান ঢালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএস আই ছিদ্দিকুর রহমান জানান অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে আগামী শুক্রবার থানায় বসাবসির জন্য নোটিস করা হয়েছে। এমতাবস্থায় অসহায় আরমান ঢালী আইনে ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Blog
-
বুধহাটায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। বুধহাটা গ্রামে বেতনা নদীর তীরে বসবাস করছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোজাহার মোড়ল। তিনি ২পুত্র ও ১কন্যা সন্তান নিয়ে নদীর তীরে ছোট্ট ঘরে কোন রকমে জীবন যাপন করে আসছেন। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোজাহার মোড়ল জানান, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে তার পিতা ছোবহান মোড়ল ঝাপিয়ে পড়েছিলেন পাক হানাদার বাহিনীর উপর। বাংলার বুক থেকে চিরতরে বিতাড়িত করেছিল পাক হানাদার বাহিনীকে। ছোবহান মোড়লের মুক্তিযুদ্ধের গেজেট নং ৫১০/০৪০৪০৫০৩০৫. বাংলা স্বাধীনের পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা ছোবহান মোড়ল বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটি নিজ গ্রামের বাড়ীতে বসবাস করতেন। পরবর্তীতে জীবনের পড়ন্ত বেলায় পুত্র মোজাহার মোড়লের বসৎ বাড়ীতে বসবাস করতেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বার্ধ্যক্ষ জনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোজাহার মোড়ল অধিকাংশ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। চলতি বছরে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের স্বীকৃতি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বুধহাটার বেতনা নদীর তীরে সরকারি খাস সম্পত্তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার উঠলে ঘরের মেঝেতে নদীর পানি উঠে যায়। অন্যদিকে দমকা হাওয়া বইলে ঘরের গোলের চাল উড়ে যায় বলে জানান মোজাহার। দেশের জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে যদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আজকে অসহায় অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টসাধ্য অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সরকার যেখানে সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে মোজাহার স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারে সেব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
-
জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন
আশাশুনি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাতক্ষীরা জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি রফিকুজ্জামান সজিব, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান কে নির্বাচিত করায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কে প্রানঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আশাশুনি উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হাফিজ মামুন, আকাশ আহমেদ পলাশ, যুগ্ম-সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, সদর ইউনিয়ন সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, সম্পাদক ওয়েজ কুরুনী, কলেজ ছাত্রদলের আসাদুজ্জামান, আনিছুর রহমান, গুলবাহার, আবুল হাসান, ইসমাইল হোসেন, হাসান, মিঠুন, সোহেল প্রমুখ।
-
পাটকলেঘাটায় দুপুরে চোর গ্রফেতার
পাটকলেঘাটা প্রতনিধি:ি পাটকলেঘাটায় দনিদুপুরে চুরি করতে গয়িে ধরা পড়ে জলে হাজতে পাইকগাছার বরিাশি গ্রামরে মোমনি গাজী। সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজ চলাকালীন সময় বলফল্ডি রোডরে আল্লাহ্র দান ট্রর্ডোসরে বন্ধ দোকানরে অভনিব কায়দায় র্শাটাররে তালা খুলে ক্যাশ বাক্সে থানা নগদ টাকা নয়িে বরে হওয়ার সময় স্থানীদরে হাতে ধরা পড়।ে পরে দোকানরে মালকি এসে চুরি করার অপরাধে পাইকগাছা গ্রামরে মৃত আনছার আলীর পুত্র মোমনি গাজী(২৬) থানা পুলশিে সোর্পদ কর।ে এ ঘটনায় পুলশি চুররি অপরাধে একটি মামলা দায়রে করছে।ে মামলা নং-৯। তাং-২১/০৬/১৮ইং। পরে শনবিার সকালে আসামীকে জলে হাজতে প্ররেণ করছে।ে
-
কালিগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক গুরুতর জখম
কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জে যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক যুবককে গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামে। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা নিয়ে পানিয়া গ্রামের আব্দুল গফফার গাজীর সাথে প্রতিবেশী ছবের আলী শেখের ছেলে সামছুর রহমান শেখ (৫৫) এর বিরোধ চলছিল। এক পর্যায়ে শত্রুতাবশত: গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে সামছুর রহমানের নেতৃত্বে তার স্ত্রী আমেনা খাতুন (৫০), ছেলে শেখ শাহাদাৎ (৩৫), শেখ আলী হোসেন (৩০) ও মেয়ে সাজি বেগম (৩০) একত্রিত হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুল গফফার গাজীর ছেলে ওবায়দুল্যাহ (৩০) কে বাড়ি থেকে ডেকে পাশর্^বর্তী বাঁশ বাগানের ভিতর নিয়ে যায়। এসময় হত্যার উদ্দেশ্যে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তারা ওবায়দুল্লাহর মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় মোবাইল ফোনসহ জিনিসপত্র ছিনেয় নেয়। ওবায়দুল্যাহর চিৎকারে তার পিতা আব্দুল গফফার গাজীসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৈয়েবুর রহমান জানান, ওবায়দুল্যাহর জখম গুরুতর। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। তবে তার অবস্থা আপাতত: শংকামুক্ত বলে তিনি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে আব্দুল গফফার বাদি হয়ে শেখ শাহাদাৎ কে প্রধান আসামিসহ ৫ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওবায়দুল্যাহর মা শাহিদা বেগম (৪৮) জানান, চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ফেরদাউস মোড়লের মধ্যস্থতায় সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এজন্য গভীর রাতে প্রতিপক্ষরা আমার ছেলেকে ডাকলে সরল মনে সে তাদের সাথে বাড়ির বাইরে যায়। কিন্তু তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে ও মারপিট করেছে। তিনি তার ছেলের হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। -
কালিগঞ্জ বন্ধু কল্যান সমিতির সভা অনুষ্ঠিত
কালিগঞ্জ সংবাদদাতা: কালিগঞ্জ বন্ধু কল্যান সমিতির মাসিক সভা শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্ধু কল্যান সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বন্ধু কল্যান সমিতিরি সভাপতি মোস্তাফা আক্তারুজ্জামান পল্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বন্ধু কল্যান সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের, কোষাধ্যক্ষ অমল কুমার, দপ্তর সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সদস্য শেখ সাইফুল বারী সফু, মাহবুবুর রহমান, চিত্ররঞ্জন বিশ^াস, রফিকুল ইসলাম, শাহারিয়ার খান রিপন, জি এম আবু আব্দুল্লাহ, শেখ শাকির আহম্মেদ বাবু, অতিথি সদস্য শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু প্রমুখ। সভায় সমিতির আয়,ব্যায় ও সঞ্চায় সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সভার সার্বিক বিষয়ে আপ্যায়ন করেন আবু তাহের।
-
পানিয়া গ্রামে চলাচলের পথ প্রতিবন্ধকতাকে কেন্দ্র করে গোলেযোগে আহত -১
কালিগঞ্জ সংবাদদাতা: কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামে বাড়ির চলার পথ প্রতিবন্ধকতাকে কেন্দ্র করে গোলোযোগে সামসুর রহমান (৬০) কে বেধম পারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বিকালে পানিয়া গ্রামে। আহত সামসুর রহমান চিকিৎসাধীন রয়েছে এ ঘটনায় সামসুর রহমানের পুত্র শাহাদাত হোসেন বাদি হয়ে কালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে সামসুর রহমানের সাথে বিবাদী আজগার আলী গাজী, বাড়ির চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধ থাকায় গত ২২ জুন শুক্রবার বিকালে স্থানীয় মৌতলা ইউনিয়নের ৮ নং- ওয়ার্ডের মেম্বার ফেরদাউস মোড়লের আহবানে গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সমন্বায়ে উভায় পক্ষের সম্মতিতে শালিসে সিদ্ধান্ত হয় ঐ পথ দিয়ে তারা চলাচল করবে। পরবর্তিতে বিবাদীরা উৎ পেতে থাকে রাত ১০ টার পর সালিশ শেষে ঐ পথ দিয়ে সামসুর রহমান, তার পুত্র শাহাদাত হোসেন বাড়ি ফেরার পথে পানিয়া গ্রামের রহিম বকসের পুত্র আজগার গাজী, আব্দুল গফ্ফারের পুত্র ওবাইদুল্লাহ গাজী, মৃত আব্দুল গাজীর পুত্র আব্দুল গফ্ফার গাজী, গফ্ফার গাজীর পুত্র আব্দুল্লাহ গাজী, আজগার গাজীর স্ত্রী নাজমা খাতুন সহ অন্যান্যরা অতর্কিত ভাবে তাদেরকে মারপিট করে জখম করে। সালিশের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে আজগার আলী গং- অমানুষিক মারপিট করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আহত সামসুর রহমান চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
-
রতনপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীকে মারপিট
কালিগঞ্জ সংবাদদাতা: কালিগঞ্জের রতনপুরে ফার্নিসার ক্রায়কে কেন্দ্র করে গোলোযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনসার আলী গাজীকে পিটিয়ে জখম করেছে কাঠ ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে, গত বৃহস্পতিবার রতনপুর বাজারে। মারাত্বক আহত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলীকে কালিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে কালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার গান্ধুলিয়া গ্রামের সুরাত আলী শেখের পুত্র মোঃ আজগার আলী শেখ কাঠ মিস্ত্রির ফার্নিসারের দোকানে একটি খাট ক্রায়ের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এরশাদ আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী গাজী দুজনে খাট ক্রায়ের জন্য কাঠ মিস্ত্রি আজগার আলীর সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়। পরবর্তিতে যুক্তি অনুযায়ী খাটটি সঠিক নিয়মে তৈরি না হওয়ায় ও কাঠের গুনগত মান নিয়ে কাঠ মিস্ত্রী আজগার আলী শেখের সাথে মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী গাজীর কথা কাটাকাটি হয়। তার স্বপক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী গাজী প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে কাঠ মিস্ত্রি আজগার আলী শেখের নিদের্শে দোকান কর্মচারীরা কাঠ ও বাশের লাঠি দিয়ে এলপাতাড়ি ভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী গাজী (৬৫)কে মাথায় আঘাতসহ বেধম পারপিট করে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় ভান চালক ও অন্যান্য ব্যাক্তিরা এগিয়ে এসে রক্তাত্ব জখম অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় গনেষপুর গ্রামের আজগার আলী, আশরাফুল শেখ, রফিক গাজীকে আসামী করে কালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাকে অন্যায় ভাবে মারপিট করায় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে আনসার আলী।
-
প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যান সমিতির সভা অনুষ্ঠিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: শনিবার সকালে প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যান সমিতির কার্যালয় এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রতিবন্ধী পুর্নবাসন কল্যাণ সমিতির মহাসচিব ও জাতীয় অন্ধ সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কালাম আজাদ, প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী চাদনী খাতুন, জাতীয় অন্ধ সংস্থার সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, প্রতিবন্ধী পুর্নবাসন কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, শ্যামনগর প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল খালেক, শিল্পী আক্তার, নূর জাহান খাতুন, জাহিদ হোসেন, রেহেনা পারভীন, রুপালী আক্তার প্রমূখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেণ, প্রতিবন্ধী পূর্নবাসণ কল্যাণ সমিতির কর্মচারী অরুন কুমার সরদার একটি স্বার্থন্বেষী মহলের নির্দেশে গ্রামটি থেকে প্রতিবন্ধীর নিকট থেকে সঞ্চয়, ঋনের কিস্তি, মাসিক চাঁদার টাকা আদায় করে অফিসে জমা না দিয়ে সে নিজে আত্মসাৎ করে এবং আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকা অফিসের ক্যাশ বাক্স ভেঙে নগদ ২ লক্ষ টাকা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ক্যামেরা, ক্যাশ খাতা, লেজার, ঋনের বইসহ হিসাব নিকাশের খাতা চুরি করে নিয়ে যায়। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং- ১৩৩/১৫। বর্তমান মামলাটি স্বাক্ষী গ্রহন চলছে আগামী অরুন কুমার সরদার বাদী ও স্বাক্ষীদের আদালতে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিলে খুন জখম করা হবে বলে স্বাক্ষীদের বাড়ি যেয়ে হুমকি দিচ্ছে। এজন্য আসামীদের জামিন বাতিল করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রতিবন্ধীদের পক্ষ থেকে বিচারপতিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সাথে সাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ। -

মমতাজুন নাহার ঝর্ণার দাফন সম্পন্ন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজুন নাহার ঝর্ণা শনিবার সকাল ৯টায় সুলতানপুর ক্লাব মাঠে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযা নামাজে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, এলজিইডি’র উপ পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গণি, সাবেক মেয়র আব্দুল জলিল, সাবেক সাংসদ ডা. মোখলেছুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আসাদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার সরকার, আল মামুন সরদার, শেখ আমজাদ হোসেন, শেখ শফিউদ্দীন শফি, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, শেখ নাসেরুল হক, তৈয়ব হাসান বাবু, হাসনে জাহিদ জজ, বদরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন, শেখ কামরুল হক চঞ্চল, শেখ মারুফুল হক, শেখ নিজাম উদ্দীন, আনারুল ইসলাম, শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, লস্কর জুনায়েদ হোসেন বায়রন সহ সাতক্ষীরা জেলা, পৌর, উপজেলাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
-

দেবহাটার রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক
রেজাইল / নাসির : দেবহাটা উপজেলার শীভনগরে অবস্থিত ইছামতি নদীর কুল ষেষে গড়ে উঠা “রুপসী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট” পিকনিক স্পটে শনিবার বিকালে পরিদর্শনে করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এই রুপসী ম্যানগ্রোভ পিকনিট স্পটটি সরকারি পৃষ্টপোতকতায় ও সাহায্যে হতে চলেছে দেশের অন্যতম একটি পর্যটন শিল্প। ভারত-বাংলাদেশ বিভাজনকারী ইছামতি নদীর কুল ঘেষে দেবহাটা উপজেলার শীবনগর গ্রামে গত প্রায় ৫ বছর আগে মানুষের চিত্ত বিনোদনের লক্ষ্যে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এড. গোলাম মোস্তফার উদ্যোগে সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা হয় “রুপসী ম্যানেগ্রাভ দেবহাটা ফরেস্ট” নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই “রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট” উদ্বোধন করেন। এখানে সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এনে সেসময় রোপন করা হয়, খনন করা হয় একটি দিঘী, তৈরী করা হয় একটি রেস্ট হাউজ। গত ২ বছর আগে এখানে আসেন প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার। তিনি জায়গাটিতে এসে মুদ্ধ হন এবং উন্নয়নের সবধরনের আশ^াস প্রদান করেন। গত কয়েক মাস আগে থেকে বর্তমান দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের উদ্যোগে ও নির্দেশনায় এই বিনোদন কেন্দ্রটিকে আরো নান্দনিক ও নয়নাভিরাম করে একটি সৌন্দর্যপূর্নভাবে মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য গড়ে তুলতে ট্রেইল নির্মান, দিঘীতে প্যাডেল বোর্ড দেয়া, পাকা বেঞ্চ নির্মান, বিভিন্ন কৃত্রিম পশু পাখি স্থাপন, গাড়ী গ্যারেজ, উপজেলা সদর থেকে রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যন্ত পিচের রাস্তা নির্মান সহ বিভিন্ন কাজ শুরু করা হয়। সেসব কাজের অনেকটাই শেষ হয়ে বর্তমানে এই চিত্ত বিনোদন কেন্দ্রটি এখন নান্দনিক রুপ ধারন করেছে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি দেবহাটা উপজেলার শিবনগর মৌজার ১ নং খতিয়ানের ৩৯৮ নং দাগের ইছামতি নদীর তীরে জেগে ওঠা চরভূমি। যার আয়তন ৩১.৪৬ একর (০৭ একর পুকুরসহ)। দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ বন সাতক্ষীরা জেলার বর্তমানে একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি ও নানা ফলদবৃক্ষ। দুরদুরন্ত থেকে দেশী ও বিদেশী পর্যটকরা এসে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীর সৌন্দর্য এবং রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ বনের অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন। ইউএনও আরো বলেন, এখানে সাধারনত প্রতিদিন ৫০০-৬০০ জন এবং শুক্র ও শনিবার ১০০০ জন পর্যটক আসছেন। গত ঈদুল ফিতরের দিন থেকে এই পিকনিট স্পটে টিকিট সিস্টেম করে প্রায় ১ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে বলে ইউএনও জানান। শনিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন সাতক্ষীরায় যোগদানের পরে প্রথম এখানে এসে বিনোদন কেন্দ্রটির অপরুপ প্রাকৃতিক রুপ দেখে মুদ্ধ হন। তিনি হেটে হেটে বিনোদন কেন্দ্রটির সকল জায়গা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি রুপসী ম্যানগ্রোটিকে আরো সৌন্দর্যপূর্ন করতে কাজ করবেন বলে জানান। এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, সাতক্ষীরার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের মধ্যে আমিনুর রহমান, আবু তালেব, আক্তার হোসেন, শািম্ম আক্তার, জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদাউস আলফা, দেবহাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটার টাউনশ্রীপুর বিজিবির সুবেদার শাহাব উদ্দীন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-
গাড়ি চাপায় যুবক হত্যা : ডা. আনিসসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাইভেট কার চাপা দিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় চালক শ্যামনগরের ডা. আনিসসহ দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত যুবক শাহিন কাদিরের মামা মানবাধিকার কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এড. ফজলুর রহমান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এড. ফজলুর রহমান উল্লেখ করেন যে, গত ৩ জুন সকালে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আনিসুর রহমান চালক না হয়েও নিজের প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ ৩৫-১২১১) চালিয়ে শ্যামনগর অভিমুখে যাচ্ছিলেন। খানপুর এলাকার একটি ফিলিং স্টেশনের কাছে তিনি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটর সাইকেলে ধাক্কা দিলে আরোহী শাহিন কাদিরসহ দুইজন রাস্তায় পড়ে যান। নিমেষেই তিনি শাহিন কাদিরকে চাপা দিয়ে দ্রুত বেগে পালিয়ে যান। এই ঘটনার পরই শাহিন কাদিরকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও উক্ত ডা. আনিস তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে শাহিন কাদিরকে সাতক্ষীরা থেকে খুলনা ও পরে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আউসিইউতে ভর্তি করা হয়। তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখার ১৯ দিন পর ২২ জুন বিকালে মারা যায় শাহিন কাদির। তার চিকিৎসায় এ যাবত ১২ লাখ টাকারও বেশি ব্যয় হয়েছে। মামলায় তিনি আরও বলেন, শাহিন কাদিরের সাথে ডা. আনিসের সম্প্রতি একটি বিষয়ে ঝগড়া হয়। এ সময় তিনি তাকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। এর মাত্র কয়েকদিন পর শাহিন কাদিরকে (২২) হত্যার উদ্দেশ্যে ডা. আনিস সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিস্কে গাড়ি চাপা দিয়ে পালিয়ে যান। -
দৈনিক সাতনদী সম্পাদকসহ চারজনকে লিগ্যাল নোটিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত সাতনদী পত্রিকায় গত ১৫ জুন এর সখ্যায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করারর অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। গত ২১ জুন সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও বার্তা সম্পাদক মোজাফফর রহমানকে ডাকযোগে নোটিশ পাঠানো হয়।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের পক্ষে অ্যাড. এসএম শরিফ আজমীর হুসাইন স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ জুন সাতনদী পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘জেলা পরিষদের সদস্যরা তহবিল লুটপাটে বেপরোয়া’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে অফিস সজ্জিতকরণ ও কক্সবাজার ভ্রমনে অবৈধভাবে তহবিল থেকে ২৬ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পরিষদের সচিবের কক্ষের নেমপ্লেট সরিয়ে সেখানে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমানের অফিস করা হয়েছে। আসবাবপত্র ও এসি বাবদ অবৈধভাবে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। টেন্ডার ছাড়াই জেলা পরিষদের তহবিল থেকে ওইসব টাকা খরচ করা হয়েছে। ক্রয় কমিটি করে অবৈধভাবে তার সভাপতি করা হয়েছে সৈয়দ আমিনুর রহমানকে। ১৯ জন সদস্যের জন্য ২০ লাখ টাকা খরচ করে অফিস সাজানো হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, কক্সবাজার ভ্রমন বাবদ জেলা পরিষদ তহবিল থেকে তিন লাখ টাকা খরচ করা ও আপ্যায়ন খরচ বাবদ চেয়ারম্যান সাহেক প্রতি মাসে ২০ হাজার ও সদস্যরা ১০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণাদি ছাড়াই এ ধরনের মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাব না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। -

দৌরত্ম বেড়েছে ক্লিনিক সমুহের :
বর্তমান সিভিল সার্জনের ব্যর্থতায় ভেঙ্গে পড়েছে সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবা,
নিজস্ব প্রতিবেদ: সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবা বর্তমানে সবচেয়ে নৈরাজ্যময়। বর্তমান সিভিল সার্জনের সীমাহীনা দূর্নীতি ও দায়িত্ব পালনের অযোগ্যতার ফলে ক্লিনিক ব্যবসা রমরমা। আর সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবার পরিবর্তে চিকিৎসা বানিজ্যের কবলে পড়ে গাট কাটার শিকার হতে হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের প্রথম থেকে সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবার মান দ্রুত উন্নতির দিকে এগুতে শুরু করে। বিশেষ করে এ এফ এম রুহুল হক স্বাস্থ্য মন্ত্রি হওয়ার পর থেকে সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবার বেশ পরিবর্তন আসে। পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রির প্রতিশ্রুত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হওয়ায় চিকিৎসার মান গুনগত ভাবে বৃদ্ধি পায়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হয়ে উঠে সাধারণ মানুষের প্রধান চিকিৎসা গ্রহনের ঠিকানা। এ সময় গুলোতে সিভিল সার্জন হিসেবে যে সকল ব্যক্তিরা দায়িত্ব পালন করেন, তারা প্রায় সকলে তাদের নিজস্ব নৈপুন্যতা দিয়ে চিকিৎসা প্রশাসনকে গতিশীল রাখেন। কিন্তু বর্তমান সিভিল সার্জন দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবার পারদ নিন্মমুখি হতে শুরু করে। তাঁর অযোগ্যতার কারণে যোগ্যতা সম্পন্ন চিকিৎসকরা মেডিকেল কলেজের সাথে যুক্ত হতে থাকেন। ফলে সদর হাসপাতালে সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসক সংকট। সম্প্রতি দুজন শিশু মারা যায় চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা না পেয়ে। অন্যদিকে এ সুযোগ গ্রহন করেছে ক্লিনিক ও ডায়গোনেস্টিক কেন্দ্র সমুহ। এক্ষেত্রে প্রথম সারীতে আসে ডক্টরস ল্যাব। সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের মূল ঠিকানা এখানে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকারীদের অধিকাংশের প্যাথলজিক্যাল পরিক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়ে থাকে ডক্টরস ল্যাবে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ডক্টরস ল্যাব সাতক্ষীরা অঘোষিত চিকিৎসা ব্যবসার ডন । মালিক পক্ষের ক্ষতাশীনদের সাথে আত্মিয়তার বদৌলতে তারা পয়সা পাওয়া যাবে না বুঝলে সে রোগির চিকিৎসার প্রতি দেখায় চরম অনিহা। তাদের এ অনিহার শিকার হলের সদ্যপ্রয়াত সকলের প্রিয় ঝর্ণা বু। আর ২০১৩ তে জামাত-বিএনপির সন্ত্রাসী হামলার শিকার ছাত্রনেতা মামুন। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের দুজনের খবর বাইরে আসে। আর যাদের এ সম্পর্ক নেই তাদের অশ্রু নিরবে অনেক্ষেত্রে হুমকি ধামকিতে শুকিয়ে যায়। অবশ্য ল্যাব কতৃপক্ষ ক্ষমা চেয়ে ও রাজনৈতিক সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে বিষয় দুটির নিস্পত্তি করেন।
বর্তমান সিভিল সার্জন ক্লিনিক গুলো থেকে নিয়মিত আর্থিক সুবিধা গ্রহন করায় সারা সাতক্ষীরাতে ব্যঙের ছাতার মত ক্লিনিক তৈরী গড়ে উঠেছে যেমন, তেমনি অপচিকিৎসায় শিকার হয়ে ভুগতে হচ্ছে সাধারন চিকিৎসা গ্রহনকারী মানুষদের। প্রাথমিক শর্ত পূরণ না করেও দিব্যি ক্লিনিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপদে সদর ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক ক্লিনিক। স্থানীয় জনগনের অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদপত্রে তথ্য উঠে আসলেও একটিতে তদন্ত করেছেন এমন উদাহরণ এখনও তৈরী হয়নি।
এতই দায়িত্বহীন বর্তমান সিভিল সার্জন যে শ্যামনগর হাসপাতালের দায়িত্বশীল চিকিৎসের নিজস্ব গাড়ী চাকায় চালনারত অবস্থায় একজন সাধারন মানুষ হত্যা হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। শ্যামনগর হাসপাতালের এ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদকগ্রহনেরও অভিযোগ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকটি সভায় হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
সাতক্ষীরা সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন পূর্ব্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করার বিষয়টি সাতক্ষীরার সুধিমহল প্রত্যাশা করে। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল মনে করে চলতি বছরের শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগেই সাতক্ষীরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য কাটিয়ে চিকিৎসা সেবা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌঁছাতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের তৎপর হওয়া জরুরী। অন্যথায় সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের সফলতার বিরুপ বার্ত যাবে। -
জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মমতাজুননাহার ঝর্ণার মৃত্যুতে এমপি রবি’র ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের শোক
সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার চেয়ারম্যান মমতাজুননাহার ঝর্ণার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো-০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ একজন দক্ষ কর্মীকে হারাল। এ ক্ষতি কখনও পুরণ হওয়ার নয়। সাতক্ষীরার বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের শোক
সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিন ও সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎন্সা আরাসহ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দ। সবার প্রিয় মমতাজুননাহার ঝর্ণা ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার চেয়ারম্যান। সবার প্রিয় এই মানুষটি সারাটা জীবন সাতক্ষীরা মহিলা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় মহিলা সংস্থাকে সংগঠিত করে অধিকার সম্মান আদায়সহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ একজন দক্ষ কর্মীকে হারাল। তার এ ক্ষতি কখনও পুরণ হওয়ার নয়। জেলা মহিলা আওয়ামীলীগসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
-

ডক্টরস ল্যাবের গাফিলাতিতে চলে গেলেন সৃজনশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিসেস মমতাজুন নাহার ঝর্ণা
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অংগনের পরিচিত মুখ জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা চেয়ারম্যান মিসেস মমতাজুন নাহার ঝর্ণা গতকাল চলে গেলেন না ফেরার দেশে(ইন্নালিল্লাহি —- রাজিউন)। গত শক্রুবার বাসাতে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে দেখতে আসেন ডা. কাজী আরিফ। তিনি রোগিকে ভালো চিকিৎসার জন্য হাসপতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এসময় অসুস্থ ঝর্ণাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভালো ক্যাবিন না পাওয়ায় সকাল ১০ টায় ডক্টরস ল্যাবে ভর্তি করে এসি ক্যাবিন নিয়ে উঠান। কিন্তু ভর্তির পর থেকে রুগিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নাদিয়ে চরম গাফিলাতি দেখান। শক্রুবার থাকায় ল্যাবে বাইরের ডাক্তার আসায় রুগির ভীড় হয় এবং কতৃপক্ষ অত্যাধিক বানিজ্যিক ফয়দা নিতে সে সকল ডাক্তার ও রোগির নিয়ে ব্যস্থ হয়ে উঠে। এ অসুস্থ্য ঝর্ণার প্রতি উদাশিনতা দেখান। ফলে বেলা ১ টার দিকে তিনি একপ্রকার চিকিৎসা ছাড়াই মৃত্যু বরণ করেন। এ মৃত্যুতে মরহুমের স্বজন ও রাজনৈতিক কর্মিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা ডক্টরস ল্যাবের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। পরে অবশ্য নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মিরা লাশ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেণ।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ব্যক্তিজীবনে তিন কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন। বড় মেয়ে ঢাকা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। মেঝ মেয়ে আমেরিকান প্রবাসী ও ছোট মেয়ে লন্ডন প্রবাসী। সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের শেখ আব্দুল মোতালেব এর জ্যেষ্ঠ কন্যা ছিলেন এবং একই গ্রামের এড. শেখ শামছুর রহমান সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতির স্ত্রী ছিলেন। তার মৃত্যু সংবাদে সারা সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগ পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। মরহুমের সুলতানপুরস্থ সদর উপজেলা মোড়ে বাসভবনে নেতাকর্মীরা হাজির হন। পরিবারিক সুত্রে জানায়, শনিবার সকাল ৯টায় সুলতানপুর ক্লাব মাঠে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে এবং পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে। মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি মুনসুর আহমেদ, সহ-সভাপতি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি, সাবেক এমপি একে ফজলুল হক, সাবেক এমপি ডা: মোখলেছুর রহমান, এড. এস এম হায়দার, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদ উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, কৃষি সম্পাদক সরদার মুজিব, তথ্যগবেষনা সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এড. গোলাম মোস্তফা, শিক্ষা সম্পাদক শফিউল আযম লেলিন, যুব ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, উপ- দপ্তর সম্পাদক জে এম ফাত্তাহ, উপ-প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক প্রণব ঘোষ বাবলু, কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। অনুরূপ শোক জানিয়েছেন, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স ম জগলুল হায়দার এমপি, সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ অহেদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, আশাশুনি উপজেলার সভাপতি এ বিএম মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক এড. শহীদুল ইসলাম পিন্টু, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু, তালা উপজেলার সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, সদস্য এড. শাহানাজ পারভীন মিলি, কোহিনুর ইসলাম, মীর মোশাররফ হোসেন মন্টু, ডা.মুনসুর আলী প্রমুখ। অনুরুপ শোক জানিয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বেগম রিফাত আমিন এমপি, সাধারণ সম্পাদিকা কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বেগম নাদিরা আলী, সাধারণ সম্পাদিকা রেবেকা পারভীন রিক্তা প্রমুখ। -

চালক শ্যামনগরের ডা. আনিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন দাবি: ডাক্তারের প্রাইভেট কার চাপায় আহত সাতক্ষীরার যুবক শাহিন ১৯ দিন পর মৃত্যুর কাছে হেরে গেছে
প্রতিনিধি । একজন চিকিৎসকের প্রাইভেট কার চাপায় গুরুতর আহত সাতক্ষীরার টগবগে যুবক শাহীন কাদির (২২) টানা ১৯ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হেরে গেছে। আজ শুক্রবার বিকাল ৫ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে।
গত ৩ জুন থেকে ১৯ দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি। ডাক্তাররা বলেন তার মস্তিষ্কের ক্ষমতা ৭৫ ভাগ বিলুপ্ত হয়েছে। আঘাতজনিত কারনে মাথার ঘিলু নির্গত হয়েছে। কয়েকটি ¯œায়ু বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্তপাত হয়েছে। মেরুদন্ডের উভয় স্কন্ধের হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া স্পাইনাল কর্ড ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। সারা শরীর থ্যাতলানো শাহীন কাদিরের লিভারও বড় হয়ে গেছে। সে অচেতন অবস্থায় বাকরুদ্ধ হয়েছিল।
তরতাজা এই যুবক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীফলকাটি গ্রামের এসএম মুজিবর রহমানের ছেলে। শাহিন সম্প্রতি কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের চেষ্টা করছিল। অপরদিকে প্রাইভেট কার চালক শ্যামনগর হাসপাতালের আরএমও ডা. আনিসুর রহমান একই উপজেলার হাওয়ালভাঙ্গি গ্রামের আবু দাউদ সরদারের ছেলে।
আহতের পারিবারিক সূত্র জানায় গত ৩ জুন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আনিসুর রহমান নিজে চালক না হয়েও বেপরোয়াভাবে নিজের প্রাইভেটকার চালিয়ে শ্যামনগর অভিমুখে আসছিলেন। অপরদিকে শাহিন কাদির তার বন্ধু হাবিবুর রহমানের মোটর সাইকেলে বসে বিপরীতমুখে কালিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান শ্যামনগরের খানপুরে ফিলিং স্টেশনের কাছে একটি ছোট কালভার্টের ওপর তার প্রাইভেট কারটি শাহিন কাদিরকে চাপা দেয়। তাকে গুরুতর আহত দেখেও চালক ডা. আনিস সরাসরি শ্যামনগরের দিকে পালিয়ে যান। গ্রামবাসী এ সময় তাকে তাড়া করেও ধরতে ব্যর্থ হন। স্থানীয়রা শাহীন কাদিরকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করলেও ডা. আনিস তার চিকিৎসায় সাহায্য করা এমনকি তার সামনেও আসতে অস্বীকৃতি জানান। শাহীন কাদিরের বাবা এসএম মুজিবুর রহমান জানান, তার ছেলেকে শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরায় পরে খুলনা এবং সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শুরুর আগে ডা. আনিস তাকে বলেছিলেন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিতে। চিকিৎসার সব খরচ তিনি বহন করবেন। অভিযোগ করে মুজিবুর রহমান আরও বলেন খরচ বহন করা দুরের কথা বরং চিকিৎসার ব্যাপারে কোন সহায়তা করার আশ্বাসও তিনি দেননি। এলাকাবাসী জানান, ডা. আনিসের মালিকানাধীন সাদা রঙের প্রাইভেটকারটি (রেজি নং- ঢাকা মেট্রো -গ- ৩৫-১২১১) তিনি নিজে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আনাড়ি চালক হওয়ায় তার গাড়িতে থাকা জনৈক সোহরাব মোড়ল তাকে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষন দিচ্ছিলেন। এসময় গাড়ির মধ্যে উচ্চস্বরে কথোপকথন, হাসিঠাট্টা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাবে কথা বলছিলেন তারা। তাদের খামখেয়ালির কারনে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান এলাকাবাসী।শাহীন কাদিরের বাবা এসএম মুজিবুর রহমানের অভিযোগ ডা. আনিসুর রহমান তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। চিকিৎসার শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। এসব টাকা তিনি জমি বিক্রি ও বন্ধক এবং সমিতি থেকে লোন নিয়ে পরিশোধ করেছেন। মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে এসে বাবা মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোঃ নাসিমের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, ‘আমি আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য আপনাদের কাছ থেকে মানবিক সহায়তা চাই’।
এদিকে নিজের গাড়ি চাপায় দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে চেয়ে ডা. আনিসুর রহমানের কাছে টেলিফোন করা হলে তিনি দাবি করেন, ওইদিন তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। তার ড্রাইভার সোহরাব মোড়ল গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি রোগীর জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন। শ্যামনগরের অনেক সংবাদকর্মী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারি এবং সাধারন নাগরিকরা জানান ডা. আনিসুর রহমান মাদকাসক্ত এবং তিনি নিয়মিত ইয়াবা খেয়ে থাকেন। এ কারণে তার হাতে কোনো রোগী নিরাপদ নন দাবি করে তারা বলেন তাকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে। তার হাতে বহু রোগী মারা গেছে। তার দাপটে শ্যামনগর হাসপাতালে কোনো ভালো ডাক্তার টিকতে পারছেন না বলেও জানান তারা। তবে ডা. আনিস এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি মাদকাসক্ত নন বলেও দাবি করেন।
এদিকে প্রাইভেট কার চাপায় গুরুতর আহত হবার পরও শ্যামনগর থানা পুলিশ শাহিনের বাবার দেওয়া মামলা গ্রহন করে নি। এলাকাবাসী জানান ওসির সাথে ডাক্তার আনিসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ওসি তার গাড়ি বিভিন্ন সময় ব্যবহারও করে থাকেন। পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করায় বাবা এসএম মুজিবর রহমান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করে আবেদন করেছেন। জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলি বলেন তারা কোনো এজাহার দেননি। এজাহার দেওয়ার কথা বারবার বলা হয়েছে। এখনই এজাহার দিলে তিনি তা রেকর্ড করবেন বলেও জানান।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে দুর্ঘটনায় নিহত শাহীন কাদিরের বাবা মুজিবর রহমান ডা. আনিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। -

সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় শোক প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির পাঠ কক্ষে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, গাজী আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তৃপ্তি মোহন মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ মোস্তফিজুর রহমান উজ্জল এবং নির্বাহী সদস্য মো. আমিনুল হক, প্রভাষক মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সহ-সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, দৈনিক পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি প্রমুখ। সভায় সদ্য প্রয়াত সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাবেক সাধারন সম্পাদক মরহুম এডভোকেট সামসুর রহমানের স্ত্রী ও সৃজনশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মি মোমতাজ নাহার ঝর্ণা মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহন করা হয়।