Blog

  • দেবহাটায় বীর মুক্তিযাদ্ধা আব্দুল আজিজের ইন্তেকাল : রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

    দেবহাটায় বীর মুক্তিযাদ্ধা আব্দুল আজিজের ইন্তেকাল : রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় বীর মুক্তিযাদ্ধা আব্দুল আজিজের ইন্তেকাল করেছেন (ইনালিল্লাহ………রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি দেবহাটা উপজেলার কামটা গ্রামর মৃত অজদ আলীর ছেলে। মুক্তিযাদ্ধা আব্দুল আজিজ মত্যুকালে স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আব্দুল আজিজ শনিবার ভাররাত ৩ টার দিকে ইন্তেকাল করেন।
    শনিবার বাদ যোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
    এসময় দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনি, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, মুক্তিযোদ্ধা সাবুর আলীসহ বিভিন্ন মুক্তিযাদ্ধাবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
  • খরস্রোতা বেতনা এখন শীর্ণকায় খাল!

    খরস্রোতা বেতনা এখন শীর্ণকায় খাল!

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বেতনা বাঁচলে সাতক্ষীরা বাঁচবে’ এই স্লোগান ধারণ করে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন পালিত হয়েছে। শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ‘সাতক্ষীরা বেতনা বাঁচাও আন্দোলন ও সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ’।
    মানববন্ধনে বক্তারা  বলেন, বেতনা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। এর চরে গড়ে উঠছে বাড়ি-ঘর দোকান-পাট ও বাজার-ঘাট। এক কালের খরস্রোতা বেতনা এখন এক শীর্ণকায় খালে পরিণত হয়েছে। বেতনায় এখন আর নৌকা চলে না, বেতনায় জোয়ারভাটা খেলে না। এখন পায়ে হেটে বেতনা পার হওয়া যায়। এর দুই তীর দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন ইটভাটা। বেতনায় আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষেও মেতে উঠেছেন প্রভাবশালীরা।
    মানববন্ধনে অভিযাগ করে বক্তারা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সব ধরণের সুবিধা নিয়ে দখলদারদের সহায়তা দিচ্ছে। ফলে বেতনা দিনেদিনে অকার্যকর হয়ে পড়ছে। ঝাউডাঙ্গা থেকে সুপারিঘাটা পর্যন্ত নদী জরুরি ভিত্তিত খনন প্রয়োজন দাবি করে তারা বলেন, ২০১৫ সালে বেতনা খননের নামে লুটপাট করা হয়েছে। এতে বেতনা তীরের মানুষের এতোটুকু উপকার হয়নি।
    তারা আরও বলেন ‘আমরা বেতনাকে দখলমুক্ত দেখতে চাই। বেতনা খনন চাই।’
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখন দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহি , এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. ওসমান গনি, এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, স্বপন কুমার শীল, কল্যাণ ব্যানার্জি, আলি নুর খান বাবুল, আবদার রহমান প্রমূখ।
    তারা বেতনা রক্ষায় সরকারের দষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন, বেতনা সংলগ্ন ১২ টি বিলের পানি এই নদী দিয়েই প্রবাহিত হয়। বেতনার উপর তিনটি স্লুইস গেটের সবক’টি অকেজো হয়ে পড়েছে।
    1. তারা অবিলম্বে বেতনা খনন এবং বেতনা দখলমূক্ত করার দাবি জানান।
  • না ফেরার দেশে বরেণ্য অভিনেত্রী সাতক্ষীরার রানী সরকার

    না ফেরার দেশে বরেণ্য অভিনেত্রী সাতক্ষীরার রানী সরকার

     নিজস্ব প্রতিনিধি: চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেত্রী সাতক্ষীরার রানী সরকার আর নেই। শনিবার ভোররাত চারটার দিকে রাজধানীর ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলচ্চিত্র জগৎ একজন গুনি অভিনেত্রীকে হারালো। তার শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়।

    তিনি আরও জানান, রানী সরকারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দুপুরে তাঁর মরদেহ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই কার্যালয়ে নেওয়া হবে। এরপর রানী সরকারের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে এফডিসিতে। এফিডিসিতে নামাজের জানাজা শেষে রানী সরকারকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    রানী সরকার সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম। সোনাতলা গ্রামের ইউপি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। এরপর তিনি খুলনা করোনেশন গার্লস স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন।

    রানী সরকারের অভিনয়জীবন শুরু করেন ১৯৫৮ সালে। শুরুতেই মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। নাটকের নাম ‘বঙ্গের বর্গী’। ওই বছর তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এ জে কারদার পরিচালিত ‘দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এরপর ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’তে অভিনয় করেন। সেই ছায়াছবির পর থেকে তাঁর নতুন নাম হয় রানী সরকার। ‘চান্দা’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর উর্দু ছবি ‘তালাশ’ ও বাংলা ছায়াছবি ‘নতুন সুর’-এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবি দুটি বেশ জনপ্রিয় হয়। গত শতকের ষাট, সত্তর ও আশির দশকে চলচ্চিত্রে তিনি বেশি অভিনয় করেন।

    ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ২০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দেন। একই বছর বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে।

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মোড়লের ৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মোড়লের ৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ(বৃহস্পতিবার) সকালে কৃষ্ণকাটি আব্দুস সালাম স্মৃতি কমপ্লেক্সে শোক রালী ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরনসভার শুরুতে এক মিনিট নিরবতা ও মরহুমের ছবিতে পুষ্পস্তবক প্রদান করা হয়।

    সভাপতিত্ব করেন মোড়ল আব্দুস সালাম স্মৃতি সংসদের সভাপতি এড. বিপ্লব কান্তি মন্ডল।

    স্মৃতিচারনমূলক আলোচনা করেন অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক, শিক্ষক আলমগীর হোসেন, মোড়ল আব্দুস শুকুর প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে শপথ বাক্য পাঠ করে।

  • জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল জাসদ এর কালিগঞ্জ উপজেলা

    জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল জাসদ এর কালিগঞ্জ উপজেলা

    শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী জনগন এক হও এই শ্লোগনকে সামনে রেখে জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল জাসদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে ৩ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা অফিসাস ক্লাবে জাসদের প্রতিনিধি সভা ও পরে গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল জাসদ এর কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসদ সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ। তিনি বলেন, আমরা আওয়ামীলীগ ও ১৪ দলের সাথেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবো। সাতক্ষীরা-৪ আসনে আমাদের মনোনিত প্রার্থী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী। তিনি বলেন এ অঞ্চলের জাসদের নেতৃত্বে ছিল ক্যাপ্টেন শাহাজান মাস্টার ও আব্দুস সামাদ। তারা আমাদের মাঝে নেই দীর্ঘ দিন পরে কালিগঞ্জে জাসদের প্রতিনিধি সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় নতুন প্রজম্মের মাঝে সাড়া পড়েছে। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও জাসদ মনোনিত সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ প্রার্থী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাসদ নেতা শেখ জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিনিধি সভা ও গনজামায়েত প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, জাসদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন অর রশিদ, জাসদ দেবহাটা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব, আশাশুনি উপজেলা শাখার আহবায়ক সিরাতুজ্জামান, মাহাবুবর রহমান বাপ্পি ও আতিকুর রহমান সোহেল প্রমুখ। সম্মেলন শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু কে সভাপতি ও আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয় এবং আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাতক্ষীরা-৪ পরিচালনার জন্য জাসদের পক্ষ থেকে শ্যামনগর জাসদের ডাঃ আলী আশরাফ ও কালিগঞ্জ জাসদের শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

  • সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২৩ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা

     

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মাসিক সভা ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধীত বাজেট এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধীত বাজেট ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ ৬ হাজার ৪শ’৫ টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ২৩ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৬শ’৮০ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। জেলা পরিষদের বাজেট অধিবেশনের আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য মো. আল-ফেরদৌস আলফা, ওবায়দুর রহমান লাল্টু, ডালিম কুমার ঘোরামী, মো. আমজাদ হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. মনিরুল ইসলাম, এম.এ হাকিম, মহিতুর রহমান, গোলাম মোস্তফা মুকুল, কাজী নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মাহফুজা রুবি, এড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, রোজিনা পারভীন, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত এস.এম খলিলুর রহমান, সহকারি প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক মো. আবু হুরাইরা প্রমুখ। এসময় জেলা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরায় কর্মশালায় জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার গ্রাম আদালত কম খরচে স্বল্পসময়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার জনপ্রিয় মাধ্যম

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব নয়, নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে বিচার কাজ পরিচালনা করাই বিচারকের কাজ। বিচার করার ক্ষমতা মহান আল্লাহ প্রদত্ত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন নিজের বিবেক বিবেচনা ও প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন গ্রাম আদালত এখনকার সময়ে স্বল্প খরচে স্বল্প সময়ে ন্যায্য বিচার পাবার উপযুক্ত মঞ্চ। বাংলাদেশ গ্রাম আদালত দিনের পর দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উল্লেখ করে তিনি বলেন তৃণমূল পর্যায়ের এই আদালতে দরিদ্র মানুষ বিশেষ করে নারী এবং বিভিন্ন পেশার পিছিয়ে পড়া সাধারন মানুষ স্বল্পতম সময়ে খুব কম খরচে বিচার লাভ করছেন। এই বিচার ব্যবস্থাকে আরও বেগবান করতে আরও কাজ করতে হবে।
    বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘জেন্ডার ও গ্রাম আদালত বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সচেতনতামূলক এক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। তিনি আরও বলেন গ্রাম আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে প্রভাবিত করা সহজ নয়। কারণ বাদি বিবাদি এবং বিচার সংশ্লিষ্ট সকলেই স্থানীয় এবং একজন আরেকজনের সাথে পরিচিত। ফলে কোনো ভুয়া তথ্য সেখানে প্রভাব ফেলতে পারে না। ছোটখাট অপরাধের বিচার করে দেশের বিচার আদালতের ভার কমানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। যিনি বিচার করবেন তিনি যেনো আইন সম্পর্কে সচেতন থাকেন এমন মন্তব্য করে জেলা ও দায়রা জজ বলেন গ্রাম আদালতের বিচারক যদি কোনো দলের হয়েও থাকেন তবু তার কর্তব্য বিচারক হিসাবে দল নিরপেক্ষ থাকা। কোনো পক্ষ কোনো ভাবেই যেনো রাজনৈতিক কারণে বিচার বৈষম্যের শিকার না হন সে বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন এভাবে গ্রাম আদালতের বিচারকগন যদি সাধারনের আস্থা অর্জন করতে পারেন তাহলে মানুষ যেমন ন্যায় বিচার পাবে, তেমনি গ্রাম আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা আরও প্রতিষ্ঠিত হবে। জেলা ও দায়রা জজ আরও বলেন সংবাদকর্মীদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তারা মানুষের কথা তুলে ধরেন। তবে তাদেরকে আইন সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে। যে কেউ কিছু একটা বলে দিল আর সেটা লিখে দিলাম এমনটি যাতে না হয় সেজন্য তাকে আইন জানতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি সাতক্ষীরা দুই একটি ঘটনা তুলে ধরে সিনিয়র সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রয়োজনে ‘সংবাদ ও আইন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আরও বলেন গ্রাম আদালত যতো বেশি শক্তিশালী হবে ততই স্থানীয় বিরোধ মীমাংসা করে শান্তির পথ প্রশস্ত হবে।
    স্থানীয় সরকার উপ পরিচালক শাহ আবদুল সাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। জেন্ডার স্পেশালিস্ট কামরুননেসা নাসরিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সহকারি পুলিশ সুপার ( হেড কোয়র্টার) মো. হুমায়ুন কবির, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সম্পাদক আবদুল বারী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মুখার্জী, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট এড. গোলাম মোস্তফা, সচেতন নাগরিক সমাজের তৈয়ব হাসান বাবু, ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আবদুস শোকর আলি, কাশিমাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ডা. এসএম আবদুর রউফ, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, মহিলা পরিষদ সম্পাদক জোসনা দত্ত, বিভিন্ন ইউনিয়নের সংরক্ষিক মহিলা আসনের নারী সদস্য ও সাধারন সদস্য, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের সাতক্ষীরা অফিস প্রধান শরিফুল ইসলাম প্রমূখ।
    বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন গ্রাম আদালতকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করতে হবে। এই আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো ভুল তথ্য দিয়ে গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভূক্ত মামলা উচ্চ আদালতে পাঠানোর প্রবণতা রোধ করতে হবে। তিনি বলেন আমাদের সমাজে কিছ দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ রয়েছেন যারা প্রভাব সৃষ্টি করে গ্রাম আদালতকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকেন। ফলে সহজে যে বিচার পাওয়া সম্ভব ছিল তার পথ জটিল করে ফেলে তারা। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন গ্রাম আদালতকেও প্রমান করতে হবে যে মানুষ ন্যায় বিচার পেয়েছে।
    বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার বলেন যেসব বিষয় গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভূক্ত পুলিশ সে মামলা গ্রহন করে না। তিনি বলেন অনেকেই নানাভাবে চেষ্টা করে থাকেন এমন সব মামলা রেকর্ড করতে , কিন্তু পুলিশ খুবই সচেতন। পুলিশ বরং গ্রাম আদালতকে সাহায্য করবে। তিনি বলেন পুলিশ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করে । তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত ব্যবস্থা নেয়। তিনি বলেন পুলিশ সব সময়ই গ্রাম আদালত সিস্টেমকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এতে পুলিশের ওপর থেকে ভার অনেকটাই কমে যায়। এতে বাদি ও বিবাদী উভয়েই শান্তি লাভ করে। তিনি আরও বলেন বর্তমান পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশ অনুযায়ী ছোটখাট বিষয়ের মামলার জট কমে এসেছে। সদর থানায় এখন মাসে গড় পড়া ৯৭ টি মামলা হথো উল্লেখ করে তিনি বলেন এখন তা ৫৪ /৫৫ টিতে চলে এসেছে। তবে এর মধ্যে মাদক বিষয়ক মামলা বেশি। বিশেষ অতিথি প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন সংবাদকর্মীরা গ্রাম আদালতের সুফল পত্রপত্রিকায় তুলে ধরছেন। এতে বিচারপ্রার্থীরা উৎসাহিত হচ্ছেন। তিনি বলেন গ্রাম আদালতের প্রতিনিধিরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানালে তা আরও প্রচার লাভ করতে পারে।

    এর আগে সকালের অধিবেশনে কর্মশালায় বলা হয় দেশের ২৭টি জেলায় ১২৮টি উপজেলার ১০৮০ টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায় এখন বেশ সক্রিয় অবস্থায়। গত জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এসব আদালতে ৩২ হাজার ২৬৪টি মামলা এসেছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২০ হাজার ৫৬০টি। অন্য মামলাগুলি চলমান রয়েছে জানিয়ে এতে বলা হয় মামলার রায় বাস্তবায়ন হয়েছে ১৭ হাজার ৪০৫টি। এর মধ্য দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতিপূরন লাভ করেছেন বলে পরামর্শ সভায় উল্লেখ করা হয়। এতে আরও জানানো হয় মামলার আবেদনকারীদের মধ্যে ১০ হাজার ৫৮৫ জন নারী রয়েছেন। তারা বিচার লাভ করেছেন। নানাভাবে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ৪৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশী মানুষকে সচেতন করা হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
    কর্মশালায় আরও বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলার তালা, আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের এই প্রকল্প চালু হয়েছে। সেখানে ১৬২৭টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১২৪১টি। এতে আবেদনকারী নারীর সংখ্যা ছিল ৩৩৯ জন। এসব পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, সাধারন মানুষকে সহজেই গ্রাম আদালত খুব স্বল্পতম সময়ে সুবিধা দিতে পারে। একে আরও কার্যকর করতে হলে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। অভিযোগের প্রেক্ষাপটে আদালতের কাঠামো গঠিত হয় উল্লেখ করে বলা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বিচারের রায় নিষ্পত্তি হয়। সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না করতে পারলে তা বাতিল হয়ে যায়। ন্যায়বিচার, শান্তিশৃংখলা রক্ষা এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালত আরও ভূমিকা রাখতে পারে বলেও র্ সভায় জানানো হয়।
    কর্মশালার সভাপতি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শাহ আব্দুল সাদী বাংলাদেশের গ্রাম আদালতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন স্বচ্ছতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম গ্রাম আদালত। এই মাধ্যমকে শক্তিশালী করতে গনমাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে বলে জানানো হয়। গ্রাম আদালত পরিচালনায় বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়েও কথা বলেন তিনি। সমাজে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য দিয়ে মামলা জটিল করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রবনতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে যেমন বাদী বিবাদী দুই পক্ষের ব্যয় বৃদ্ধি পায় তেমনি তা নিষ্পত্তি করতেও বহু ভোগান্তির পাশাপাশি অনেক সময় লাগে। এজন্য গ্রাম আদালতকে আরও বেগবান করতে পারলে তৃণমূল পর্যায়ে শান্তিশৃংখলা রক্ষা সহজ হয়। বিশ্বের বেশী আইনের দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে আইন না মানার এক ধরনের সংস্কৃতি রয়েছে। আইনকে কেবলমাত্র কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রাখার প্রবণতা তেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি। বিচারকদের সব ধরনের প্রভাবমুক্ত থেকে বিচার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আদালত সমূহে মামলার জট যেমন কমবে তেমনি গ্রামে শান্তির সুবাতাস বইবে। উন্মুক্ত আলোচনায় আরও অংশগ্রহন করেন তাদের বক্তব্যে উঠে আসে বিচারের নোটীশ গ্রহন না করা, প্রভাবশালীদের বিচারের আওতায় আনার অন্তরায়, সম্পদের মূল্য বৈষম্য, বিচারকদের ভোটের রাজনিিত , বিচারকদের নির্বাচন রাজনীতি, বিচারকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিচারে নিরপেক্ষতা বজায়ে অন্তরায়সহ নানা বিষয়। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয় কর্মশালায়।

  • দুর্নীতিবাজ যত ক্ষমতাধর হোক সালাম দিবেন না -দুদক মহাপরিচালক

    দুর্নীতিবাজ যত ক্ষমতাধর হোক সালাম দিবেন না -দুদক মহাপরিচালক

     

    নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্নীতিবাজ যত ক্ষমতাধর হোক সালাম দিবেন না। দুর্নীতিবাজদের সম্মান না দেয়াও একটি বড় প্রতিবাদ। পরিবার থেকে দুর্নীতিমুক্ত থাকতে পারলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে। শিশুদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মানসিকতা তৈরী করতে পারলে পিতারা একটু হলেও অনিয়ম দুর্নীতি থেকে পিছ পা হবে।
    বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন দুদক মহাপরিচালক। এর আগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, অন্যান্য সরকারী দপ্তরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সাথে মত বিনিমিয় করেন দুদক মহাপরিচালক মাহমুদ হাসান।
    শ্যামনগরে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মুলক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলী, দুপ্রক উপজেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ মতবিনিময় করেন। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুদক যশোরের উপ-পরিচালক ও খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ আব্দুল গফফার, সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলানার উপ-পরিচালক মোঃ আবুল হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ তাওহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দীনসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ।
    দুদক মহাপরিচালক মাহমুদ হাসান এ সময় পারিবারিক ভাবে দুর্নীতি বিরোধী মানসিকতা তৈরী করে সততার পথে সকলকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।

  • সাতক্ষীরায় দুদক মহাপরিচালক মাহমুদ হাসান ,  দুর্নীতি দমন কমিশন এখন নখ দন্তহীন নয় কঠিন ও নির্মম প্রতিষ্ঠান

    সাতক্ষীরায় দুদক মহাপরিচালক মাহমুদ হাসান , দুর্নীতি দমন কমিশন এখন নখ দন্তহীন নয় কঠিন ও নির্মম প্রতিষ্ঠান

    নিজ্স্ব প্রতিনিধি। ‘আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান’ কথাটি যথার্থ নয় উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক মাহমুদ হাসান বলেন, আবেগ তাড়িত হলে আইনের সঠিক প্রয়োগ সম্ভব হয় না। আইন দ্বারা সব অপরাধ দুর করাও সম্ভব নয়। বরং নিজের ভেতর থেকে দুর্নীতি বিরোধী চেতনাকে জাগ্রত করতে হবে।
    মাহমুদ হাসান বুধবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
    ‘গ্রেট ওয়ার্ক স্টার্টস ফ্রম স্মল ওয়ার্ক’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন শিশুদের ছোটবেলা থেকে সততার শিক্ষা দিতে হবে। তাদেরকে নিয়মিতভাবে উপদেশমূলক বাক্য যেমন ‘সদা সত্য কথা বলিবে, শিক্ষক বাবা মা ও বড়দের শ্রদ্ধা করিবে’ ইত্যাদি শিখাতে হবে। দেশের সর্বত্র স্কুলগুলিতে সততা স্টোর গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন এতে প্রতিদিন শিশু শিক্ষার্থীরা সততার চর্চা করতে পারবে। মানিকগঞ্জ জেলার ১৮৩ টি স্কুলের ১৬২ টিতে সততা স্টোর চালু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন স্কুলে প্রতিষ্ঠিত এসব বিপনীতে কোনো বিক্রেতা থাকে না। শিশুরা নির্ধারিত মূল্যে পণ্য ক্রয় করে তার বিপরীতে টাকা যথাস্থানে রেখে দেয়। দুদক মহাপরিচালক আরও বলেন দেশের দুর্নীতি কমলে জিডিপি বাড়বে ২.৫% । তাই দুর্নীতি প্রতিরোধে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই সম্ভব হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন। দুদক এখন নখ দন্তহীন নয় জানিয়ে তিনি বলেন দুদক এখন এক কঠিন নির্মম ও নিষ্ঠুর প্রতিষ্ঠান। ঘুষের দেশ নয় বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার দেশে উন্নীত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন জাপানের উন্নতি হয়েছে সততা ও কর্মনিষ্ঠার কারণে । জাপানিরা কাজ পাগল জাতি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন তাদের সততার কারণে জাপানের পন্য প্রোডাকশন কোয়ালিটি অতি উচ্চমানের। দুর্নীতি দমন কমিশন এসিসি বা এন্টি করাপশন কমিশনকে একই সঙ্গে অ্যাকশন, কমিটমেন্ট ও কারেজ হিসাবে আখ্যায়িত করে দুদক মহাপরিচালক বলেন, এর বাস্তবায়নে দরকার কোলাবরেশন ও কো অপারেশন।’
    সঠিকভাবে না জেনে, না বুঝে এবং প্রমান না পেয়ে কাউকে দোষী বলা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একজন অপরাধীকে যদি ভাল ভাষা দিয়ে বলা যায় যে আপনি ভালো মানুষ তাহলে তার মধ্যে এক ধরনের উৎসাহব্যঞ্জক শক্তির উদগীরন হতে পারে । মানুষ কেনো দুর্নীতিবাজ হয়ে ওঠে সে বিষয়ে তথ্য তালাশ করতে হবে । সে সব জায়গাতে যদি কঠোর নজরদারি চালানো হয় তাহলে দুর্নীতির প্রসার কমে যাবে।’ তিনি সকল অফিস আদালতকে এবং নিজ নিজ কর্মস্থলকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষনা করে এগিয়ে যাবার আহবান জানান।
    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সহকারি পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রথিমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমিন, জেলা রেজিস্ট্রার প্রমূখ। মুনুসর আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। তাদের দুর্নীতি রোধে আরও কঠোর হতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন।’
    মত বিনিময় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘সমাজের সকল স্তরে দুর্নীতিকে না বলতে হবে। দুর্নীতি আমাদের সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন শিশু বয়স থেকে আমাদের সন্তানদের দুর্নীতি বিরোধী করে তুলতে হবে। তাদেরকে সৎ পথে পরিচালিত করতে বাবা মাকে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে।’

  • দেবহাটায় জাতীয় বিদ্যুৎ ও জালানি সপ্তাহ পালিত

    দেবহাটায় জাতীয় বিদ্যুৎ ও জালানি সপ্তাহ পালিত

     

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পাদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বক্তব্য প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেণ উপজেলা কৃষি অফিসার জসিমউদ্দীন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই রকেট, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুত সমিতির এজিএম(অর্থ) আব্দুল হান্নান, প্রকৌশলী(ওএন্ড এম) আশরাফুল আলম, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, খানবাহাদুর আহছান উল্লা কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, দেবহাটা সরকারি মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল প্রমুখ।

  • শ্যামনগরে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

    শ্যামনগরে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি,শ্যামনগরঃ শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবন আদিবাসি সংস্থা (সামস্) এর উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে বিকাল ৩টায় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দাতা সংস্থা এএলআরডি এর অর্থায়নে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন সামস্ এর সভাপতি গোপাল মুন্ডা, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডালিম কুমার ঘরামী জেলা পরিষদ সদস্য সাতক্ষীরা,উক্ত আলোচনা সভায় পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সামস্ এর নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএম আব্দুর রউফ প্যানেল চেয়ারম্যান, স্বপন কুমার হালদার ইউপি সদস্য বুড়িগোয়ালিনী ইউপি, আকবার আলী পাড় প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম প্রমুখ।
    শ্যামনগরে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত
    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি,শ্যামনগরঃ শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবন আদিবাসি সংস্থা (সামস্) এর উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে বিকাল ৩টায় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দাতা সংস্থা এএলআরডি এর অর্থায়নে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন সামস্ এর সভাপতি গোপাল মুন্ডা, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডালিম কুমার ঘরামী জেলা পরিষদ সদস্য সাতক্ষীরা,উক্ত আলোচনা সভায় পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সামস্ এর নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএম আব্দুর রউফ প্যানেল চেয়ারম্যান, স্বপন কুমার হালদার ইউপি সদস্য বুড়িগোয়ালিনী ইউপি, আকবার আলী পাড় প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম প্রমুখ।

  • আশাশুনির মুক্তিযোদ্ধা রাধাকান্তের মনে অনেক আক্ষেপ

    আশাশুনির মুক্তিযোদ্ধা রাধাকান্তের মনে অনেক আক্ষেপ

    এমএম সাহেব আলী, আশাশুনি থেকেঃ আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের মৃত বলরাম গাইনের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা রাধাকান্ত গাইন অনেক ব্যথা ও ক্ষোভ নিয়ে বৃদ্ধ বয়সে সময় পার করছেন। মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়ে যেতে পারবেন কিনা এ আক্ষেপ তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। রাধাকান্ত গাইন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি যুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য ট্রেনিং নিতে বিহারে গমন করেন। সেখানে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। প্রশিক্ষণের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে বাংলাদেশ স্বশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক মহম্মদ আতাউল গনী ওসমানী এবং ৮ নং সেক্টরের আঞ্চলিক অধিনায়ক মোঃ আঃ গফুর স্বাক্ষরিত স্বাধীনতা সংগ্রমের সনদপত্র দেওয়া হয়। সনদপত্রের ক্রমিক নং ১০৯০৭। তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য ২৬/০১/২০১৪ তাং যথাযথ নিয়মে ফরম পুরন করে জমা প্রদান করেন। ডিজি নং- উএও১২৯৩৬৪। বর্তমান তার বয়স ৮০ বছর। তান ৩ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। সবাই স্ব প্রতিষ্ঠিত। বৃদ্ধ বয়সে এসে তিনি তেমন কিছু চাওয়া পাওয়ার প্রত্যাশি নন। কিন্তু জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করার পর জীবন সায়াহ্নে এসে এখনো তার স্বীকৃতি না পাওয়ার আপসোস তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তার সহমুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন মন্ডল (গেজেট নং ৬২৯), সুশান্ত সরকার (৩১৭) ও নূরুল আমিন (৪৬৩) এবং যুদ্ধকালীল প্রশিক্ষণ শিবির কাজলনগর ক্যাম্পের প্রশিক্ষক এস এম আব্দুল বারী তার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার ব্যাপারে স্বাক্ষ্য দিলেও এখনো তিনি কাঙ্খিত স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। মৃত্যুর আগে কি তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে? নাকি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া স্বত্তেও স্বীকৃতি বঞ্চিত থেকে অতৃপ্তি নিয়ে জীবন শেষ করতে হবে? তার, তার পরিবারের সদস্য ও সহযোদ্ধারা তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • আওয়ামী তরুণ লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা : শাহীন সভাপতি- কাজী জিললুর রহমান সম্পাদক

    আওয়ামী তরুণ লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা : শাহীন সভাপতি- কাজী জিললুর রহমান সম্পাদক

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক জি এম শফিউল্যা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মো: শাহানুর ইসলাম শাহীনকে সভাপতি ও কাজী জিললুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে (আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তির পর) আওয়ামী তরুণ লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। আগামী ৩ বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষনা করা হয়। গত ২৫ জুন ২০১৮ তারিখে কেন্দ্রীয় কমিটির উপরোক্ত নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর পূর্বক এই কমিটির অনুমোদন দেন।
    আওয়ামী তরুণ লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার এই কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি অনিক মাহমুদ বাবলু, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম, গোবিন্দ বাবু, হাবিবুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম, ডা. শরিফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মিলন রায়, শাহজালাল। এছাড়াও যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুত বিশ^াস, মো: রিপন ও হালিম হোসেন। সাংগাঠনিক সম্পাদক এস এম নাসির উদ্দীন, জীবন ও আবুল হাসেম। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আসাদুজ্জামান টুকু, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কওছার আলী, দপ্তর মনিরুল ইসলাম, সহ-দপ্তর আব্দুস সালাম। অর্থ সম্পাদক আলী হোসেনসহ অন্যান্য। এছাড়াও কমিটির কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছেন ৪০ জন।

  • কালিগঞ্জে তুচ্ছ কারণে পিতা-পুত্রকে পিটিয়ে গুরুতর জখম, জিনিসপত্র ভাঙচুর

     

    কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জে তুচ্ছ কারণে শত্রুতার জের ধরে পিতা-পুত্রকে মারপিট করে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ির জিনিসপত্র। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামে।
    থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাজীর ছেলে মিনারুল ইসলামের (২১) সাথে প্রতিবেশী সাঈদ খাঁর ছেলে আনিচ (২২) ও ইউনুচ আলীর (১৮) তুচ্ছ কারণে সামান্য বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত আনিচ বিভিন্ন সময়ে মিনারুল ও তার পরিবারের সদস্যদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ খুনজখমের হুমকি প্রদর্শন করছিল। এক পর্যায়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আনিচ, ইউনুচ আলী, তাদের পিতা সাঈদ খাঁ (৪৫) ও একই গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে সেলিম গাজী (৩২) লাঠি, শাবল, রড নিয়ে আব্দুস সাত্তার গাজীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা আব্দুস সাত্তার গাজী ও তার ছেলে মিনারুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করে জখম করে। তাদের রক্ষা করতে যেয়ে আহত হন আব্দুস সাত্তার গাজীর স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৪২)। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় আবারও তাদের উপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত আব্দুস সাত্তার গাজী ও মিনারুল ইসলাম বর্তমানে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এঘটনায় রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

  • গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হতে চলেছেন আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম

    গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হতে চলেছেন আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম