Blog

  • বাংলাদেশের নতুন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক

    ক্রীড়া ডেস্ক: গত মার্চে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফি থেকে বাংলাদেশের কোচিং দলে নেই ফিল্ডিং কোচ। ৪ মাস পর অবশেষে ফিল্ডিং কোচের শূন্য পদটি পূরণ হলো। দায়িত্বটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রায়ান কুক।
    আগামী শুক্রবার জ্যামাইকাতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন কুক। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই কোচ।

    বুধবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিষয়টি নিশ্চিত করে।

    কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও বেশ দক্ষ কুক। গ্যারি কারস্টেনের একাডেমির প্রধান কোচ ও পারফরম্যান্স ডিরেক্টর ছাড়াও বিগ ব্যাশ লিগ দল হোবার্ট হারিকেন্সের সহকারি কোচ ছিলেন তিনি। এছাড়া সহকারি কোচ ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও।

    বাংলাদেশের কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছেন কারস্টেন। তার পরামর্শে প্রধান কোচ স্টিভ রোডসকে দায়িত্ব দেয় বিসিবি। ধারণা করা হচ্ছে ফিল্ডিং কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গেও যুক্ত আছেন সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার।

    ২০১৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে বিসিবি নিয়োগ দেয় জিম্বাবুয়েতে জন্ম নেওয়া হ্যালসলকে। চার বছর দায়িত্ব পালন করে গত ২০ মার্চ বিদায় নেন তিনি।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৬৪

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জামায়াতকর্মী এবং ৯ মাদক মামলার আসামীসহ ৬৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যা হতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০, কলারোয়া থানা থেকে ৭, তালা থানা থেকে ৩, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৮, শ্যামনগর থানা থেকে ১১, আশাশুনি থানা থেকে ৯, দেবহাটা থানা থেকে ৩ এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
    এ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ পিস ইয়াবা, ১০৫ গ্রাম গাজা, ৫টি মহিষ এবং ১টি মিনি ট্রাক। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণে বাংলাদেশের মহাকাশ জয় সম্ভব হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

    ঢাকা ব্যুরো  : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহাকাশ জয় সম্ভব হয়েছে।
    প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
    তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিটিআরসি’র কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ৬ বছরের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চলতি বছর ১২ মে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
    শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল, স্বনির্ভর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট যোগাযোগের সূচনা করেন।
    তিনি বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উদ্যোগে মহাশূন্যে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। স্বপ্নের স্যাটেলাইট নির্মাণ ও এর সফল উৎক্ষেপণে আমি গর্বিত এবং আনন্দিত।’
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকাশে আজ বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। এ গৌরব বর্তমান সরকারের, এ গৌরব দেশের ১৬ কোটি মানুষের।
    শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে আওয়ামী লীগ সরকারের গতিশীল উন্নয়নের ধারাবাহিকতার একটি অংশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাটি সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো। যারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের জন্য সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
    তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি একটি জাতীয় স্বপ্ন। তাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণের জন্য দেশের আপামর জনগণ মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও চার্চসহ সকল উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করেছেন।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণকারী সংস্থা স্পেস এক্স মহাকাশ বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় (ফ্যালকন-৯ এবং ব্লক-৫) সারাবিশ্বের প্রায় সকল দেশ ও মিডিয়া এ উৎক্ষেপণের সম্প্রচার করেছে।
    শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করলো এক ‘এলিট ক্লাবে’। নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক দেশগুলোর এই ক্লাবে বাংলাদেশ ৫৭তম সদস্য। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারত, থাইল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্স, শ্রীলংকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট রয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর সম্প্রতি ভারত সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
    তিনি বলেন, স্থল ও জলসীমা জয়ের পর মহাকাশ জয় ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘ যাত্রা। ২০১২ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ফিজিবিলিটি স্টাডিসহ সকল প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করা হয়। পরে গত ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন সুবিধা পাবে।
    শেখ হাসিনা বলেন, স্যাটেলাইট টেকনোলজি ও সেবার প্রসারের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবার পাশাপাশি টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-এডুকেশন, ডিটিএইচ, ভিস্যাট প্রভৃতি সেবা প্রদান সম্ভব হবে।
    তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থল ও জলসীমায় নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার নিশ্চিত ও নির্বিঘœ করা সম্ভব হবে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এ মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে তার মধ্যে ২০টি বাংলাদেশের জন্য এবং ২০টি দেশের বাইরের জন্য ব্যবহার করা হবে। ২০টি ট্রান্সপন্ডার লীজের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বার্ষিক ১৪ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
    শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর মহাকাশে নিজেদের অবস্থানকে সমুন্নত রাখতে এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে প্রেরণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

  • আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফখরুলের উদ্দেশে কাদের

    ঢাকা ব্যুরো : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে বিএনপির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত নারী নেতৃত্ব নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে এ আহ্বান জানান।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার জনবিচ্ছিন্ন নাকি জনসমর্থনপুষ্ট তার প্রমাণ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হয়েছে। তবে আরো যদি প্রমাণ চান তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসুন, তখন আবারো জনপ্রিয়তা যাচাই হবে।’

    তিনি বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট না দিলে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারব না। কাজেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে আপনারা নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারেন। আপনাদের গাজীপুরে শিক্ষা হয় নি, খুলনায় শিক্ষা হয়নি, আর কত শিক্ষা চান।’

    সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি একদিনের জন্য ক্ষমতায় আসলে দেশ সন্ত্রাসের লীলাভূমিতে পরিণত হবে। একদিনেই বাংলাদেশে রক্তের নদী বয়ে যাবে। একদিনেই বাংলাদেশ সন্ত্রাসের লীলাভূমি হয়ে যাবে, একদিনেই বাংলাদেশের পুরনো হাওয়া ভবন পুরনো খাওয়া ভবনে রূপান্তরিত হবে।

    তিনি বলেন, ‘ আমরা একদিনের জন্য বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিলাম তাহলে কি হবে বলুন? দেশ রসাতলে যাবে। দুর্নীতে বারবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ান হবে।’

    বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, দলীয় নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, আগামী অক্টোবরেই তা প্রমাণ হবে।

    তিনি বলেন, বিএনপির কথার সঙ্গে কাজের কোন মিল নেই। অক্টোবরে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তখন দেখা যাবে তাদের এ ধরনের কথার মানে কি। তাকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না। আর খালেদা জিয়া কখন জেল থেকে ছাড়া পাবেন সেটা আদালত বলতে পারবে।

    সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত, মুক্তিও দিতে পারেন আদালত। তাদের কথায় মনে হয়, আওয়ামী লীগই যেন তাকে আটকে রেখেছে, শেখ হাসিনাই যেন তাকে আটকে রেখেছে। আসলে এটা কিন্তু বাস্তব নয়।

    তিনি বলেন, বিএনপিকে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তার মুক্তির বিষয়ে আইনী লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই। বিএনপি এ বিষয়ে অন্য কিছু চিন্তা করলে খালেদা জিয়ার কারাবাস শুধু দীর্ঘই হবে। বাসস

  • মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা হবে না : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

    ঢাকা ব্যুরো : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, তাই আমরা বিশ্বাস করি কোটা সংস্কারের সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। আজ বুধবার সচিবালয়ে পিআইডির কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কার্যক্রম তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন তাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, এ সরকার যেহেতু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তাই আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা হবে না এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে করি না। বাসস

  • খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি ৩১ জুলাই

    ঢাকা ব্যুরো : ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।

    আজ বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. ইমরুল কায়েসের আদালতে এই জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এবং জিয়া উদ্দিন জিয়া।

    আগামী ৩১ জুলাই এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

    এর আগে গত ৫ জুলাই ওই দুই মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালত।

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। রায়ের পরই নাজিমুদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয় খালেদা জিয়াকে।

  • পাকিস্তানে নির্বাচনী সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১৪

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশওয়ারে এক নির্বাচনী সমাবেশে এক আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৫ জন। মঙ্গলবার আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার।

    পুলিশকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, হামলায় নিহতদের মধ্যে হারুন বিলুর নামের একজন স্থানীয় রাজনীতিবিদও রয়েছেন। তিনি আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে একজন প্রাদেশিক পরিষদ প্রার্থী ছিলেন। তার বাবা ও বিশিষ্ট এএনপি রাজনীতিবিদ বশির বিলুরও ২০১২ সালে এক আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন।

    পুলিশ জানিয়েছে, বিলুর তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়া শুরু করার আগ মুহূর্তেই এই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

    পুলিশ কর্মকর্তা শাফাকত মালিক বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটা হারুন বিলুরকে টার্গেট করে চালানো একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। তাৎক্ষনিকভাবে কোন গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।

    খাইবার-পাখতুনখুয়া প্রদেশে বিলুরের পরিবারের ব্যাপক প্রভাব বিদ্যমান। আল জাজিরার প্রতিবেদক কামাল হায়দার জানান, বিলুর যখন তার গাড়ি থেকে নামেন, আত্মঘাতী বোমারু তখন তার অদূরেই ছিল।

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের নির্বাচনে তালিবানদের প্রধান টার্গেট ছিল এএনপি।

    কয়েকদিন আগেই সামরিক কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের শীর্ষ নেতারা জঙ্গি হামলার শিকার হতে পারেন।

  • সাতক্ষীরার তালায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    সাতক্ষীরার তালায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় পুকুরের পানিতে ডুবে ইয়াছিন নামের তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে তালা সদরের খড়েরডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    নিহত শিশু ইয়াছিন খড়েরডাঙ্গা গ্রামের ভ্যানচালক বিল্লাল শেখের ছেলে।
    স্থানীয় আব্দুর রহিম সরদার জানান, বেলা ১২টার দিকে শিশু ইয়াছিন বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে খেলা করছিল। এ সময় সকলের অগোচরে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। পরে ইয়াছিনকে পুকুরের মধ্যে ভেসে থাকতে দেখে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

  • হলমার্ক চেয়ারম্যান জেসমিনের ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ

    ঢাকা ব্যুরো : হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। আজ বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রাায় ঘোষণা করেন।

    কারাগারে থাকা জেসমিন ইসলামকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির করা হয়। রায়ে ৬০ দিনের মধ্যে অর্থদণ্ডের ২০ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    মামলাটিতে আদালত ৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলা পরিচালনা করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সফিকুল ইসলাম।

    মামলাটিতে ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মনজুর মোরশেদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালত চার্জগঠন করে আসামির বিচার শুরু করেন। দণ্ডিত জেসমিন ইসলাম হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদের স্ত্রী। তারা উভয়ই হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায়ও আসামি।

    মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জেসমিন ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য-উপাত্ত পায় দুদক। এরপর দুদক তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী জমা না দিয়ে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। তবে সময় বাড়ানোর পরও সম্পদ বিবরণী দাখিল করা হয়নি। এ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন রমনা থানায় নন-সাবমিশন মামলা দায়ের করেন।

  • স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

    স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে আদালত। তবে, এ মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
    বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
    সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও আমের আলী সরদারের ছেলে শওকত হোসেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু তার স্ত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক লাখ টাকার বিনিময়ে ২০০৫ সালের ২৫ আগস্ট স্থানীয় শওকত হোসেন, মক্ষ্মী রানী সুন্দরী ওরফে ময়না, আব্দুল গফুর ও সাগর মাতব্বরের সহযোগিতায় ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। পরে সে পালিয়ে দেশে ফিরে আসে। এ ঘটনায় তার খালু আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ গাজীর ছেলে আতিয়ার রহমান গাজী বাদী হয়ে থানায় উল্লিখিত পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
    বুধবার এ মামলায় ছয়জন স্বাক্ষীরা সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ-ের আদেশ দেন। তবে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
    সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলো।
  • প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে-জেলা প্রশাসক

    মোঃ মুশফিকুর রহমান রিজভি: ‘পরিকল্পিত পরিবার সুরক্ষিত মানবাধিকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় বিশ্ব জনসংখ্যা পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    বুধবার সকালে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে সদর উপজেলা মিলনায়তনে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের উপর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. রওশন আরা জামান।
    প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ হয়েছে পরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ফলে। জনসংখ্যা এখন অভিশাপ নয়। প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে’।
    আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. জি.এম মুজিবুর রহমান (সিসি) প্রমুখ।
    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার (এম.সি.এইচ.এফ.পি) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. লিপিকা বিশ^াস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের পরিসংখ্যান সহকারি মো. ফারুক হোসেন, সুর্যের হাসি ক্লিনিক’র ম্যানেজার মফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে দিবসের মূল প্রতিপাদ্য উপাস্থাপন করেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো. নকিবুল হাসান। কর্ম-দক্ষতা ও সেবাদানে বিশেষ অবদানের জন্য মাঠ কর্মীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. জিল্লুর রহমান।

     

  • পর্যটন শিল্প ও বাণিজ্যে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে সাতক্ষীরার মুন্সীগঞ্জ

    পর্যটন শিল্প ও বাণিজ্যে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে সাতক্ষীরার মুন্সীগঞ্জ

    কলাগাছি ট্যুরিজম সেন্টার

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি)/রাকিবুল হাসান: সাতক্ষীরা জেলার ব্যাবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটন স্থান হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে দেশের বৃহত্তম উপজেলা শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ।
    মুন্সীগঞ্জের উপজেলা সদর শ্যামনগর হলেও শিল্প-বানিজ্যে দেশী-বিদেশী পর্যাটকদের স্থায়ী-অস্থায়ী আগমনের কারণে শ্যামনগর উপজেলা শহরকে টেক্কা দিয়ে মুন্সীগঞ্জ এখন শুধু শ্যামনগর নয় সমগ্র সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের নাম করা স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেছে। সুন্দরবনের গাঁ ঘেষা এ উপকূলীয় অঞ্চলটিতে গড়ে উঠেছে সরকারি-বেসরকারী কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র। এর মধ্য উপজেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত স্বপ্নের আকাশ নীলা, বরসা ট্যুরিজম সেন্টার, বন বিভাগের নিয়ন্ত্রিত কলাগাছি ট্যুরিজম সেন্টার ইতিমধ্যে ভ্রমণ পিঁপাসুদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।
    একসময়ের অবহেলিত এ অঞ্চলটি এখন সাতক্ষীরার পর্যটন শিল্প এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম। মাত্র দুই যুগের ব্যাবধানে পাল্টে গেছে এ মুন্সীগঞ্জের দৃশ্যপট। ১৯৯৫ সালের দিকে মুন্সীগঞ্জ বাজারে ছিল হাতে গোনা কয়একটি খড় পাতার ছাউনির দোকান ঘর। প্রতি বৃহস্পতিবাওে এখনে বসত সাপ্তাহিক হাট। কিন্তু এখন এখানে প্রতিদিন হাট বসে, পাওয়া যায় নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল। ১৯৯৫ সালে মুন্সীগঞ্জের অধিকাংশ সড়ক ছিল মাটির। বর্ষা মৌসুমে পায়ে হেটে এবং নৌকাযোগে যেতে হতো নীলডুমুর (বুড়িগোয়ালিনি) গাবুরা ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে। শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের যানবহন ছিল বাইসাইকেলের পিছনে টিউব এর গদি বসিয়ে তৈরি হেলিকপ্টার।
    চুনা, খোল পেটুয়া ও চাঁদনী মুখার পূর্বে কপোতক্ষ নদ পেরিয়ে যাওয়ার জন্য ছিল না নদী পারাপারের পাঁকা ঘাট ও ট্রলার। নদীর চরে কাপড় গুটিয়ে নৌকায় চড়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হয়ে জীবনযাপন করছে এই এলাকার মানুষ।

    সেসময় এ অঞ্চলে দেখা মিলতনা পর্যাটকদের। এ অঞ্চলের ৯৫ ভাগ মানুষ ছিল হত দরিদ্র। অধিকাংশ মানুষ ছিল সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল। সুন্দরবনের বাঘ-কুমিরদের সাথে লড়াই করেই তাদের জীবন চলত।

    বিশ্বনন্দিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কাঁকড়ার ফার্ম।

    কিন্তু মাত্র দু’যুগের ব্যাবধানে এখনকার মুন্সীগঞ্জ এবং ১৯৯৫ এর মুন্সীগঞ্জের মধ্য আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এখন মুন্সীগঞ্জের চর্তুপাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্য তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পর্যাটন কেন্দ্র ও শিল্প কল-কারখানা।

    এখানে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে কাকড়া চাষের ফার্ম। এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ কাকড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হয়। এখানেই গড়ে উঠেছে বিশ্বনন্দিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কাঁকড়ার ফার্ম।

    রয়েছে চিংড়ি চাষের ঘের ও চিংড়ি পোনা উৎপাদনের বিশ্বমানের হ্যাচারী।
    মুন্সীগঞ্জকে কেন্দ্র কওে গড়ে উঠেছে অগ্রনী ব্যাংক, ট্রাষ্ট ব্যংক, গ্রামীন ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংক। শতাধিক বিমাসহ ছোট বড় দেশী-বিদেশী এনজিও।

    কাঁকড়ার ফার্ম।

    এখানকার নিরাপত্তা ব্যাবস্থাও সন্তোষজনক। রয়েছে র‌্যাব-৬ এর ক্যাম্প, রয়েছে বিজিবি ১৭ কোম্পানির হেড কোয়ার্টার (নীলডুমুর)। মুন্সীগঞ্জ বাজারে রয়েছে বিজিবির ক্যাম্প। এছাড়াও নীলডুমুরে রয়েছে নৌ-পুলিশ ফাড়ি। যা এখন নৌ-থানা হিসেবে পরিচিত। এবং বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস ও বুড়িগোয়ালিনি ষ্টেশন কর্মকর্তার কার্যালয় সহ মুন্সীগঞ্জ বন টহল ফাড়ি।

    মুন্সীগঞ্জে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের রাত্রীযাপনের জন্যও রয়েছে সুন্দর ব্যাবস্থা। ভিআইপি গেস্টরুম বা শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত হোটেল আছে মুন্সীগঞ্জ সুশীলন টাইগার পয়েন্ট, বরসা রির্সোস সেন্টার ও আকাশ নীলায়।

    জেলায় বা উপজেলায় কোন ভিআইপির’র পদার্পণ হলেই তারা বেড়াতে যান মুন্সীগঞ্জে সুন্দরবন ভ্রমনের জন্য। মুন্সীগঞ্জে চলতি বছরের প্রথম থেকেই দেশী-বিদেশীসহ ভিআইপিদের আগমন ঘটেছে উল্লেখ্যযোগ্য। বাংলাদেশ সরকারের একাধিক সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে.এম নুরুল হুদা এবং সর্বশেষ গত ৩১ শে মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সুশীলন টাইগার পয়েন্টে রাত্র যাপন করে ১লা এপ্রিল আকাশনীলা, কলাগাছিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেন।
    এখন নিয়মিত দেশী-বিদেশী পর্যাটকদের পদাচারণায় মূখর দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকা। হাজার হাজার পর্যটক ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণী-পেশার আগমন ঘটছে মুন্সীগঞ্জ ও নীলডুমুরে। প্রতিদিন দেশী বিদেশী ভ্রমণার্থীরা উপচে পড়া ভিড় জমাচ্ছে শ্যামনগর উপজেলার প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত মুন্সীগঞ্জের আকাশ নীলা, কলাগাছি ও বেসরকারী সংস্থা বরষা ট্যুরিজম সেন্টারে। সুন্দরবনের ভিতরে প্রবেশ করে সন্দরবন দেখার জন্য সরকারিভাবে কোন লঞ্চ বা ট্রলার না থাকলেও বেসরকারী সংস্থা বরষার রয়েছে ছোট বড় কয়েকটি লঞ্চ। তবে আকাশ নীলা সুন্দরবনের গাঁ ঘেষে চুনা নদীর চর ভরাট করা যাইগায় নির্মিত হওয়ায় এখানের আকর্ষণ আবার পর্যটকদের ভিতর অন্যরকম।
    এ বিষয়ে প্রভাষক ড. এনামুল হক বলেন, সুন্দরবনের গাঁ ঘেষা অঞ্চলে বসে সুন্দরবনের দৃশ্য দেখতে খুব ভাল লাগে। এবং এখানে ভাস্কার্য নির্মিত সুন্দরবনের বাঘ হরিণ কুমিরসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রণী পর্যাটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ।
    সাতক্ষীরা-৪ আসনের সদস্য এসএম জগলুল হায়দার বলেন, মুন্সীগঞ্জের নাম আজ আর শুধুমাত্র শ্যামনগর ও সাতক্ষীরার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এ মুন্সীগঞ্জ একদিন জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১১ মাদক মামলার আসামীসহ আটক-৭২

    জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১১ মাদক মামলার আসামীসহ আটক-৭২

     
    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি) : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১১ মাদক মামলার আসামী এবং ২ জামায়াত কর্মীসহ ৭২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা হতে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার সবকটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২৯, কলারোয়া থানা থেকে ৭, তালা থানা থেকে ৩, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১৮, শ্যামনগর থানা থেকে ৫, আশাশুনি থানা থেকে ৫, দেবহাটা থানা থেকে ২ এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
    উদ্ধার করা হয়েছে ১৫০ পিস ইয়াবা, ৪ বোতল ফেন্সিডিল, ৩৫০ গ্রাম গাজা, দুটি গরু, একটি মোটরসাইকেল এবং ২৫ প্যাক চা পাতা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
  • যোগ্যনেতৃত্বের অভাবে মাঝিবিহীন নৌকার মতো ভাসমান অবস্থায় ভোমরা স্থল বন্দর

    যোগ্যনেতৃত্বের অভাবে মাঝিবিহীন নৌকার মতো ভাসমান অবস্থায় ভোমরা স্থল বন্দর

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে হোঁচট খেয়েছিল ভোমরা শুল্ক স্টেশন। সরকারের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এ শুল্ক স্টেশনটি। সংশ্লিষ্টদের মতে কাস্টমস্ প্রশাসন, সীমান্তরক্ষী বিজিবি আর সিএন্ডএফ কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে থমকে গেছে আমদানী বানিজ্য।
    সীমান্ত প্রশাসনের অহেতুক হয়রাণী সময়ক্ষেপণ এবং বাড়তি নজরদারীতে ভোমরা বন্দরটি পড়েছে মুখ থুবড়ে। আমদানীকারক ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হয়ে ভোমরা বন্দর থেকে পিছুটান নিয়েছে। অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা পিছুটান নেওয়ায় আমদানী বানিজ্য এখন বিপর্যয়ের মুখে।

    ভোমরা স্থল বন্দর
    ভোমরা স্থল বন্দরের রাজস্ব আহরণের গতি দেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮০৭ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ কওে দেয়। কিন্তু সে অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করতে পারেনি এ রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেওয়া লক্ষমাত্রা ৮০৭ কোটি টাকা হলেও শুল্ক স্টেশনটি আহরণ করেছে ৭৯৫ কোটি টাকা। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।
    রাজস্ব ঘাটতির এ দুঃসময়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভোমরা স্থল বন্দরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০৮৪.৩৯ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
    চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ১২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে। ভোমরা কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভোমরা স্থল বন্দরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০৮৪ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিলেও রাজস্ব ঘাটতির আশংকা রয়েছে। কেননা প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেই তবে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আদায় হয়েছে মাত্র ১২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা।
    এ বন্দরের অধিকাংশ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দিনের পর দিন আমদানী বানিজ্য কমে যেয়ে ভোমরা বন্দরটি প্রাণহীন হয়ে পড়ছে। বহুমুখী চাপে আমদানী-রপ্তানী বানিজ্যে পড়ছে ভাটা। এক শ্রেণীর সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার করতে এখন মরিয়া। কাস্টমস্ প্রশাসনের সঙ্গে সিএন্ডএফ কর্মকর্তাদের নেই কোনো সমন্বয়। ক্ষমতার দাপট আর কুক্ষিত নেতৃত্বের প্রভাব খাটিয়ে চলছে আমদানী বানিজ্য। এছাড়া কাস্টমস্ প্রশাসনের সঙ্গে যে ব্যবসায়ীর সম্পর্ক আর যোগাযোগ ভালো সেই ব্যবসায়ী লুঠছে ফায়দা। মধ্যম সারির ব্যবসায়ীরা পড়ছে বিপাকে।
    অভিযোগে জানা যায়, বিজিবি, কাস্টমস্ প্রশাসন এবং সিএন্ডএফ কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বিত মনোভাব এবং একে অপরের প্রতি সহযোগিতার সুফল না থাকায় নষ্ট হচ্ছে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিহিংসার দাবানলে পুড়ছে প্রগতিশীল বন্দরটির রাজস্ব খাত। এমন দূরাবস্থা দীর্ঘদিন চললে অচিরেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপণীত হবে এ বন্দরটি। এছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য ও বিভেদ থাকায় আমদানী বানিজ্য পরিচালনায় আসে ব্যাপক বাঁধা।
    সব মিলিয়ে সীমাহীন নৈরাজ্যের মধ্যে অবস্থান করছে ভোমরা বন্দরটি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভোমরা স্থল বন্দরটি দক্ষ ও যোগ্যনেতৃত্বের অভাবে মাঝিবিহীন নৌকার মতো ভাসমান অবস্থায় বিরাজ করছে।
  • চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইননুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহত ইমনের বাবা শেখ ইকবাল হাসান লিটন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি অফিসার সাইফুল ইসলামের প্রশংসা করে বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাটের সিআইডি ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম সঠিকভাবে তদন্ত করেছেন। তিনি সম্প্রতি এ মামলার বাদী আমার আপন ভাই শেখ আলমগীর হাসান আলমকে দীর্ঘ তদন্ত শেষে ইমন হত্যা মামলার মুলপরিকল্পনাকারী হিসাবে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান। এ ঘটনার পর আমার আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর হাসান খোকন আমাকে ঘরের বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে রাখে এবং পরে আমার স্ত্রীকে ও আমাকে ভুল বুঝিয়ে আদালতে নিয়ে ৪ টি ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে সই করে নেয়। এর প্রতিবাদে আমি থানায় একটি জিডি করি। যার নং-২৯, তারিখ-০১.০৭.১৮।
    সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আলম গ্রেফতারের দীর্ঘ ১২ দিন পর রোববার দুপুরের আলমের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমার ভাইকে একজন দায়িত্ববান লোক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। অথচ ইমন হত্যার এজাহার থেকে শুরু করে মামলা পরিচালনা পর্যন্ত কোন দায়িত্ব আমি তাকে দেয়নি। বরং এটাই সত্য যে আমি, আমার স্ত্রী এবং ছোট ছেলে রিমন কাউকে না জানিয়ে আমার ভাই আলম গত ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি নিজে বাদি হয়ে সুলতানপুরের শেখ বখতিয়ার রহমান বিপ্লব, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও রাজা মোল্লা রনির বিরুদ্ধ থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। অথচ ইমন হত্যার বিষয়টি যে প্রথমে আমাাদের বাড়িতে খবর দেয় সেই আব্দুর রশিদ ওরফে মুচি রশিদ আদৌ আমার ছেলেকে চিনতোনা। সে একজন বাইরের লোক। তার বাড়ি সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামে।
    তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি আমার ছেলে ইমন তার চাচা আলমগীর হাসান আলমের কাছে গিয়ে ফিরে আসেনি। পরদিন ইমনের লাশ আমতলা মৎস্য ঘেরে পাওয়া যায়।
    তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে ইমনের সাথে আমার ভাই আলমের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ওই সময় বিরোধ তৈরী হয়। এ বিরোধের জেরেই আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
    সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছেলে ইমন হত্যাকা-ে জড়িতদের বিচার ও ফাঁসি দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, শেখ বখতিয়ার রহমান বিপ্লব, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও রাজা মোল্লা রনি।
  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪৭

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪৭

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৯ মাদক মামলার আসামি ও ১ জামায়াত কর্মীসহ ৪৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
    রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃত আসামিদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানার ১৪ জন, কলারোয়া থানার ৮ জন, তালা থানার ৩ জন, কালিগঞ্জ থানার ৬ জন, শ্যামনগর থানার ৬ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানার ২ জন।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবেকী এলাকা থেকে ৩ টি হরিণ ও ৩টি অস্ত্রসহ ২ চোরাশিকারী আটক

    সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবেকী এলাকা থেকে ৩ টি হরিণ ও ৩টি অস্ত্রসহ ২ চোরাশিকারী আটক

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবেকী এলাকা থেকে ৩টি হরিণ, ৩টি একনালা বন্দুক ও একটি নৌকাসহ দুই চোরাশিকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
    সোমবার ভোর রাতে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদী সংলগ্ন দোবেকী নামকস্থান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
    আটক চোরাশিকারীরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার কদমতলা গ্রামের ইমান গাজীর ছেলে মঞ্জু গাজী ও পাতাখালি গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ গাজী।
    শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল মান্নান জানান, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের গহীনে বনদস্যু জাকির বাহিনীর সদস্যরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনকুড়ি নদী সংলগ্ন দোবেকী নামকস্থান পুলিশের একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ৩টি জবাই করা হরিণ, ৩টি একনালা বন্দুক ও একটি নৌকাসহ দুই চোরাশিকারীকে আটক করা হয়।
    তিনি আরো জানান, আটক দুই ব্যক্তির নামে শ্যামনগর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

  • ধরা-ছোয়ার বাইরে সুন্দরবনের দস্যুদের অস্ত্র সরবরাহককারী গডফাদাররা

    ধরা-ছোয়ার বাইরে সুন্দরবনের দস্যুদের অস্ত্র সরবরাহককারী গডফাদাররা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা সময় বনদস্যু বাহিনীর হাতে সম্পূর্ণ জিম্মি হয়ে পড়েছিল সুন্দরবনের পেশাজীবীরা। সরকারের আন্তরিকতায় বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়ায় ধীরে-ধীরে দস্যু মুক্ত হচ্ছে গোটা সুন্দরবন অঞ্চল।
    সম্প্রতি সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সুন্দরবনের শীর্ষ ২৬টি দস্যু বাহিনী। এই প্রক্রিয়ায় সুন্দরবনে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরমিাণ গোলাবারুদ উদ্ধার হলেও অস্ত্র যোগানদাতা গডফাদাররা গ্রেফতার না হওয়ায় পুরোপুরিভাবে বন্ধ হচ্ছে না সুন্দরবনের দস্যুতা। এসব গডফাদাররাই আবারো নতুন নতুন বাহিনী তৈরি করে সুন্দরবনে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ফলে নতুন করে সুন্দরবনের পেশাজীবী জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
    সুন্দরবনের সংশ্লিষ্ট জেলে, বাওয়ালীরা জানায়, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের (সাতক্ষীরা রেঞ্জ) বনজীবীরা বর্তমানে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছোটভাই বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই বাহিনী পরিচালনা করছে শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি এলাকার মাজেদ ভাঙ্গির ছেলে জাকির ভাঙ্গি।
    এই ছোটভাই বাহিনীর বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫ জন। তাদের কাছে ডাবল ও সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক, টুটুবোর রাইফলেসহ প্রায় ১৫টি অস্ত্র রয়েছে।
    সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালীরা বলছেন, এসব বাহিনীর কেউ সরকারে কাছে আত্মসমর্পণ করলে বা সুন্দরবনে মাঝেমধ্যে প্রশাসনের বিশেষ অভিযানে দস্যুদের দুই-একজন গ্রেফেতার বা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলওে দস্যুদের অস্ত্র যোগানদাতা গডফাদাররা সব সময় থেকে যায় ধরা-ছােঁয়ার বাইরে। যে কারণে সরকার চাইলেও সুন্দরবন থেকে দস্যুতা একেবারেই নির্মূল হচ্ছে না।
    র‌্যাব, পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব গডফাদারদের তথ্য, এদের মধ্যে কেউ কেউ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও আইনের ফাঁক-ফোকরে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে আসে।
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ, গাবুরা ও রমজাননগর ইউনিয়নের কিছু প্রভাবশালী ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে বনদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র যোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বহু আগে থেকেই। স্থানীয় জেলে বাওয়ালীরা জানায়, কিছু দিন আগে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু আলিফ ও মজনু বাহিনীর অন্যতম গডফাদার ছিল মুন্সিগঞ্জের সিরাজুল, বকুল মেম্বর, কালিঞ্চি এলাকার জামু ও রমজাননগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য লাল্টু। এদর মধ্য সিরাজুল ও জামু আলিফ বাহিনীর সাথ র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু লাল্টু মেম্বর গত বছর র‌্যাবের কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পায়। মুন্সিগঞ্জের বকুল মম্বরকেও একবার আটক করছিল র‌্যাব। বর্তমানে সে ঐ এলাকায় র‌্যাবের সোর্স পরিচয়ে নানা অপকর্ম করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
    নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক স্থনীয় এক বনজীবী অভিযোগ করে জানান, অস্ত্র ব্যাবসায়ী রমজাননগর ইউনিয়নর টেংরাখালি গ্রামের লাল্টু মেম্বর র‌্যাবের হাতে আটক হয়ছিল এরপর জামিনে ফিরে আসে। কিছুদিন আগে সে সুন্দরবনে ছোটভাই বাহিনীর কাছে ৪টি অস্ত্র সরবরাহ করছে। সেই অস্ত্রের টাকা নিয়ে ছোটভাই বাহিনীর সাথে তার দন্দ্ব চলছে। ভেটখালি বাজারে লাল্টু মেম্বর ও ছোটভাই বাহীনির প্রধান জাকিরের ভাই ইউনুসের মধ্যে এই টাকা নিয়ে হাতাহাতিও হয়েছে। জেলে বাওয়ালীদর এসব অভিযাগের প্রমাণও মিলেছে অনুসন্ধানে।
    লাল্টু মেম্বরের অস্ত্র ব্যাবসার বিষয়টি জানার পর যোগাযোগ করা হয় বর্তমানে সুন্দরবনে থাকা বনদস্যু ছোটভাই বাহিনীর প্রধান জাকিরের সাথে। জাকির বলেন, কিছুদিন আগে লাল্টু মম্বরের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে চারটি অস্ত্র ও একশত পিছ গুলি কিনেছি। সে নিজে সুদরবনে এসে আমাকে অস্ত্র দিয়ে গেছে। সম্প্রতি একটি ব্র্যাশ (অস্ত্র) ও কিছু গুলি কেনার জন্য ১০লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু সে অস্ত্র না দিয়ে তালবাহানা করায় আমি টাকা ফেরত চাইলে সে আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে। এ নিয়ে আমার ভাইয়ের সাথে তার হাতাহাতিও হয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে লাল্টু মেম্বর বলেন, আমি এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি। সুন্দরবনের মূল অস্ত্র ব্যবসায়ীরা আমাকে ফাঁসানোর জন্যই র‌্যাবের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। র‌্যাব আমাকে আটক করেছিল। বর্তমানে আমি জামিনে বাড়িতে আছি। ছোটভাই বাহিনীর প্রধান জাকিরের সাথে নৌকার টাকা নিয়ে পূর্বের একটি লেনদেন আছে। এটি জাকির দস্যুতা করতে যাওয়ার আগের ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর থানাতে বসাবসি হয়েছিল। তার অভিযোগ মিথ্যা আমি কোন অস্ত্রের ব্যাবসা করি না। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতেই তাকে দিয়ে এসব অভিযোগ করাচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে মুন্সিগঞ্জের সাবেক ইউপি সদস্য বকুল বলেন, আমি সুন্দরবনে কোন ব্যাবসা করি না। বনদস্যুদের সাথেও আমার কোন সম্পর্ক নেই। প্রশাসনের সাথে আমার সু-সম্পর্ক থাকায় অনেকে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। এলাকার কোন জেলে বাওয়ালী বিপদে পড়লে আমি তাদের সগযোগিতা করি। এমনকি প্রশাসনের কেউ সুন্দরবনে অভিযান চালালেও তারা আমার সহযোগিতা নেয়। তবে সুন্দরবন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে সুন্দরবনে নিজেদের ব্যবসা ও অধিনস্থ জেলে বাওয়ালীদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই দস্যু বাহিনী গঠন ও অস্ত্র সরবারহ করে লোকালয়ের ব্যবসায়ী গডফাদাররা। বনদস্যুদের মধ্যে কেউ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার বা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলে আবারো নতুন নতুন বাহিনী তৈরি করছে মূলত তারাই। বিভিন্ন সময় এসব অস্ত্র ব্যাবসায়ি গডফাদাররা পুলিশ, র‌্যাব ও কোস্টর্গাডরে হাতে গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁক ফোকরে বেরিয়ে এসে আবারো তাদের কার্যক্রম চলমান রাখে। ফলে সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সুন্দরবনের দস্যুতা একেবারেই বন্ধ হচ্ছে না।