Blog

  • বাংলাদেশের চার ছবি দক্ষিণ কোরিয়ার উৎসবে

    বাংলাদেশের চার ছবি দক্ষিণ কোরিয়ার উৎসবে

    বিনোদন ডেস্ক: তৃতীয়বারের মতো ‘সিউল-বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব’ আয়োজন করা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে। ২০ জুলাই শুরু হতে যাওয়া তিনদিনের এ আয়োজনে দেখানো হবে বাংলাদেশের চারটি ছবি।

    উৎসবে অংশ নিচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ও ইরফান খান-তিশা অভিনীত ‘ডুব’ আকরাম খান পরিচালিত, জয়া আহসান-আজাদ আবুল কালাম অভিনীত ‘খাঁচা’, তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ও জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, তিশা অভিনীত ‘হালদা’ এবং গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ও পরী মনি-ইয়াশ রোহান অভিনীত ‘স্বপ্নজাল’।

    এর মধ্যে অন্য সিনেমাগুলো একাধিক উৎসবে অংশগ্রহণ করলেও ‘স্বপ্নজাল’ প্রথমবারের মতো এ ধরনের কোনো আয়োজনে যাচ্ছে।

  • টাউন বাজার বাজার পরিদর্শনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ টিম

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম ১৬ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা শহরস্থ কাটিয়া টাউন বাজার পরিদর্শন করেন।

    এতে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। এসময়ে হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, পঁচাবাঁসি খাবার রাখা, দইয়ের পাত্রের অতিরিক্ত ওজন, মেয়াদ উর্ত্তীণ পন্য ও পানীয় বিক্রয়সহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে নিউ সাতক্ষীরা সুইটস, বিসমিল্লাহ ষ্টোর ও মণ্ডল ট্রেডার্সকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • দেখে নিন পরিসংখ্যানে এবারের বিশ্বকাপ

    দেখে নিন পরিসংখ্যানে এবারের বিশ্বকাপ

    ক্রীড়া ডেস্ক: দীর্ঘ দিন পর গোলের তুবড়ি ছুটলো বিশ্বকাপ ফাইনালে। এতদিন গোলের আকালে ভুগছিল ছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল। সবশেষ চারটি ফাইনালে যে গোল হয়েছে তার সমান গোল হয়েছে এবারের ফাইনালে (৪-২)।

    গোলের হিসেবে তাই ১৯৬৬ সালের পর দেখা গেলো এত গোলের ম্যাচ। সেবার পশ্চিম জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। এবার ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ হারিয়েছে ফ্রান্স।

    এবারের বিশ্বকাপে অনেক রেকর্ডই হয়েছে প্রথমবার। প্রথমবার ব্যবহৃত হয়েছে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারি। ফাইনালে প্রথমবার হয়েছে কোনও আত্মঘাতী গোল। পাঠকদের জন্যে এবারের বিশ্বকাপ থেকে নেওয়া কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো-

    টপ স্কোরার

    হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড)- ৬ গোল

    আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান (ফ্রান্স)-৪ গোল

    রোমেলু লুকাকু (বেলজিয়াম)-৪ গোল

    মোট ম্যাচ- ৬৪টিমোট গোল হয়েছে- ১৬৯টি।

    মোট হলুদ কার্ড- ২১৯টি

    লাল কার্ড-৪টি

    মোট পাস হয়েছে-৪৯ হাজার ৬৫১টি

    সবচেয়ে বেশি গোল করেছে- বেলজিয়াম ১৬টি

    সবচেয়ে আক্রমণে ছিল- ক্রোয়েশিয়া মোট ৩৫২ বার

    পাসের দিক দিয়ে এগিয়ে- ইংল্যান্ড- ৩ হাজার ৩৩৬টি

    রক্ষণে এগিয়ে ছিল-ক্রোয়েশিয়া ৩০১ (ক্লিয়ার, ট্যাকল ও সেভসহ)

    গোলের কাছে সবচেয়ে বেশি আক্রমণে ছিলেন- নেইমার ২৭ বার

    সবচেয়ে বেশি সেভ করেছেন বেলজিয়াম গোলকিপার- থিবা কোর্তোয়া ২৭টি

    সবচেয়ে বেশি কার্ড দেখেছে যে ম্যাচ- বেলজিয়াম-পানামা

    সবচেয়ে বেশি গোলের ম্যাচ- বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া (৭ গোল)

  • ২০ জুলাই দেশে আসছে ‘ভাইজান’

    বিনোদন ডেস্ক: পায়েল সরকার ও শ্রাবন্তীকে নিয়ে ওপার বাংলায় নির্মিত হয়েছিল ‘ভাইজান এলো রে’। ছবিটি নিয়ে গত ঈদে বেশ প্রস্তুতি নিয়েছিল শাকিব ভক্তরা।
    প্রথমে যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণের কথা হলেও পরে এটি ভারতীয় প্রযোজনায় তৈরি হয়। অন্যদিকে উৎসবে ভারতীয় ছবি মুক্তি না দেওয়ার আদালতের নির্দেশনা থাকায় এটি তখন আসেনি। এবার ছবিটি আসছে। সাফটা চুক্তির আওতায় আগামী ২০ জুলাই দেশে ‘ভাইজান এলো রে’ মুক্তি পাবে বলে নিশ্চিত করেছে এর পরিবেশক এন ইউ আহমেদ ট্রেডার্স।
    প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু জানান, ৫০টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে এটি মুক্তি পাবে। এর আগে বাইরের দেশের নায়কের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় শাকিব খানের ছবি কেমন চলেছে এটা অনেকেই ভালো করে জানেন। ভিন্ন একটি পলিসির কারণে প্রথম সপ্তাহে কম সংখ্যক হলে এটি যাবে। পরবর্তী সময়ে সংখ্যাটা বাড়বে।
    ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ প্রযোজিত ছবিটি নির্মাণ করেছেন কলকাতার নির্মাতা জয়দীপ মুখার্জি। এতে ভাইজান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব। তার দুই নায়িকা পায়েল ও শ্রাবন্তী। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রজতাভ দত্ত, বিশ্বনাথ, শান্তিলাল মুখার্জি ছাড়াও কলকাতা ও বাংলাদেশের দীপা খন্দকারসহ অনেকেই। এর কাজ হয়েছে কলকাতা ও লন্ডনে।

  • ‘সুলতান’ আসছে শুক্রবার 

    বিনোদন ডেস্ক: প্রস্তুতি ছিল ৬ জুলাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে আসবে মিম অভিনীত কলকাতার ছবি ‘সুলতান: দ্য সেভিয়র’। কিন্তু সেটি হয়নি।
    পরিবেশক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া জানাচ্ছে আগামী ২০ জুলাই এটি আসছে।

    তথ্য মন্ত্রণালয় লিখিত অনুমতির পর সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ছবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

    প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত সপ্তাহে এ বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়েছে। তাই এটির মুক্তি নিয়ে আরও কোনও সমস্যা নেই।
    ‘সুলতান’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার জিৎ, প্রিয়াঙ্কা সরকার ও বাংলাদেশের বিদ্যা সিনহা মিম। প্রথমে যৌথ প্রযোজনার কথা থাকলেও এটি এককভাবে নির্মিত হয়।
    ‘সুলতান: দ্য সেভিয়র’ পরিচালনা করেছেন কলকাতার রাজা চন্দ। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নায়ক আমান রেজা, তাসকিন রহমান প্রমুখ। এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিতস ফিল্মস ওয়ার্কস ও সুরিন্দরস ফিল্মস! তাদের সঙ্গে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়াও।

  • সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের যোগদান

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর থানার সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মো. মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জোর পুকুরিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে বি.এস.এস অনার্স পাশ করেছেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. আব্দুর রহমান। মো. মোস্তাফিজুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দেশ মাতৃকার টানে দেশের সেবা করার মনোভাব নিয়ে সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে ২০০০ সালে নড়াইল সদরে প্রথম যোগদান করেন। তার পিতা মেহেরপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান। অদ্যবধি সে সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছেন। ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ পুলিশিং কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে দুই দুই বার পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক তার কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করবেন এং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবেন। সদর থানাকে একটি আদর্শ থানায় রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন। একই সাথে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মারুফ আহম্মদ কলারোয়া থানায় যোগদান করেছেন।

     

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৪

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৪

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির ৮ নেতাকর্মী ও মাদক মামলার ১২ আসামীসহ ৫৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার সন্ধ্যা হতে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১১ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৬ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ বিএনপি ও ৬ জামায়াত নেতাকর্মী, পাটকেলঘাটা থেকে ১ জামায়াতকর্মী ও অন্যান্য মামলার ৪ জনকে আটক করা হয়।
    অভিযান থেকে ১৩ পিস ইয়াবা, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার সন্ধ্যা হতে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির কর্মী ও মাদক মামলার আসামীসহ মোট ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

  • শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

    ঢাকা ব্যুরো : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (১ নম্বর টার্মিনাল) ইমিগ্রেশন অফিসের দোতলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট।রোববার বিকালে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তার কারণ জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

    ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এনায়েত করিম আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট কাজ করছে। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।

    এ বিষয়ে বিমানবন্দর এপিবিএনের কমান্ডিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরের কোথাও আগুন দেখা যায়নি। ইমিগ্রেশনের পর লবিতে স্মোক দেখে অনেকে ভয় পেয়েছেন। ধারণা করছি কোথাও বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে ধোঁয়া দেখা যেতে পারে।

    ফায়ার সার্ভিসের ডিজি মোহাম্মদ আলী যুগান্তরকে বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ভয়ের কিছু নেই। ইমিগ্রেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে সিলিং থেকে ধোঁয়া বের হয়। তবে কোথা থেকে সেটা হয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ও সন্ত্রাস দমনে পাশে থাকবে ভারত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ঢাকা ব্যুরো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন, সন্ত্রাস দমন ও যে কোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। রবিবার সচিবালয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

    দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠকটি শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বৈঠক শুরুর আগে রাজনাথ সিংকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়।

    বৈঠকে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে সহযোগিতা এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয় গুরুত্ব পায়।

    বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমাদের কথা হচ্ছে। আমরা বলেছি রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য প্রব্লেম (সমস্যা) হয়ে আছে। আমরা যে উদারতা দেখিয়েছি এটাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অ্যাপ্রিশিয়েট (তারিফ) করেছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন, সন্ত্রাস দমনে তারা সহযোগিতা করবেন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু যারা এসেছেন, তাদের পুনর্বাসন কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।’

    এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা রাজনাথ সিংকে স্বাগত জানান।

  • ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী ছাড়া আর কেউ কিছু বলেননি’

    ঢাকা ব্যুরো : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। তিনি এ মামলার প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দীর বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ছাড়া আর কেউ কিছু বলেননি। এ মামলার ১ম অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নুর আহম্মদ যে অনুসন্ধান রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন তার বাইরে। সেই অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর ভিতরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু ছিলনা। তিনি অনুসন্ধান রিপোর্টের বাইরে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ব্যাংকের হিসাব খোলাসহ কোনো ডকুমেন্টে খালেদা জিয়ার নাম নেই। প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দি পড়া শেষে সোমবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।

    রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিকালে আদালতে এমন দাবি করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান।

    সোমবার বেলা দুইটায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শুরু হয়। শুরুতেই খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মাদ আলী আদালতে বলেন, এ আপিলের পেপার বুক অসম্পুর্ণ। এ অবস্থায় মামলার শুনানি করা যায় না। পেপার বুকের বিষয়ে সোমবার আদেশ দেবেন মর্মে দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

    আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান ও মাসুদ রানা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।

    এই মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পর খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চতর আদালত।

    পরে খালেদা জিয়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল মামলার নিষ্পত্তিতে আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন। গত বৃহস্পতিবার ওই আবেদন মুলতবি রেখে আপিল বিভাগ বলেছেন, খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ না হলে সময়ের প্রার্থনা বিবেচনা করা হবে। সে পর্যন্ত আবেদনটি স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রাখা হয়েছে।

    এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুইজন হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

    পলাতক তিনজন হলেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

    রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ফেব্রুয়ারি তারা এ আবেদন করেন।

    ২২ ফেব্রুয়ারি সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন। এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

    পরে ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। এখন তিন আসামির আপিল ও দুদকের আবেদনের রুল এই আদালতে শুনানি হচ্ছে।

  • শহীদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

    ঢাকা ব্যুরো : কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি, ক্যাম্পাসে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কর্মসূচী দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা ঘটনাস্থলে আসার আগেই রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আইন অনুষদ ভবনের পাশ দিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যান ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
    বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের নেতৃত্বে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধনে দাঁড়ান। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখী অবস্থানে দাঁড়ান। নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকরা মাইক চালু করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এর দুই মিনিটের মধ্যেই ছাত্রলীগও নিপীড়নবিরোধীদের মুখের দিকে একটি মাইক তাক করে বক্তব্য দিতে থাকেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সৈকত শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষকদের জামায়াত-শিবিরের দোসর উল্লেখ করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এ সময় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
    মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি হয়েছে শহীদ মিনারকে ঘিরে। শহীদ মিনারকে ভালোবাসি বলে আমরা এখানে। আমরা অতি সাধারণ আর আপনারা অসাধারণ। কারণ আপনারা রাষ্ট্র ক্ষমতার সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়েছেন। আমরা সাধারণদের রক্ষা করতে চাই।

    গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন নিপীড়িত হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব হয় তাকে রক্ষা করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করেনি, পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসন ছাত্রলীগকে ডেকে এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রশাসন কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষকরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সুন্দর সুষ্ঠুভাবে বিদ্যার চর্চা করবে। তাদের মৌলিক অধিকারের জন্য আন্দোলন করবে। সেই আন্দোলন কোনো গুণ্ডাবাহিনী ঠেকাতে পারবে না।
    তিনি বলেন, আপনারা শক্তিতে বলিয়ান হতে পারেন কিন্তু আমাদের মনোবল আপনাদের চেয়ে তুখোর। এ সময় ছাত্রলীগের পাশ থেকে শিক্ষকদের গোলাম, দালাল সম্বোধন করে বক্তব্য দেওয়া হয়। এটা শুনে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা গোলাম নই, আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।

    এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা এসে নিপড়নবিরোধীদের মাইকের তার ছিঁড়ে দেন। পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীমউদ্দিন খান শহীদ মিনারে অবস্থানের ঘোষণা দেন। এ সময় ছাত্রলীগও তাদের দেখাদেখি বসে পড়ে। মিনিটি দশ পরে শিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের দিকে রওনা হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেদিকে রওনা হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিমার্ণাধীন ভবন বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের কাছে গেলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন, সদ্য বিলুপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. রুম্মান হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস। শিক্ষার্থীরা চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর বিক্ষিপ্তভাবে হামলা করেন।
    শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরে সোয়া একটার দিকে শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। বরং প্রশাসন হামলার জন্য আমাদের দুষছেন।

    এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা নানাভাবে সহযোগিতা চেয়েও কোনো পক্ষের কাছে কোনো সহযোগিতা পাইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনাদের স্বাধীনতা আছে আপনারা কর্মসূচী পালন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ও যখন আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাইবে তখন আপনারা এগিয়ে আসবেন।

    প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় আইন শৃংখলা রক্ষার বিষয়টি একজন প্রক্টর দেখেন। তার অধীনে শিক্ষকদের সমন্বয়ে অন্তত ১১জন সহকারী প্রক্টর ও কর্চারীদের সমন্বয়ে ৯ জন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য কাজ করেন।

    এদিকে, মধুর ক্যান্টিনের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন শিক্ষকদের ওপর হামলার নিন্দা জানান। এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

  • সব বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে: রাজনাথ সিং

    ঢাকা ব্যুরো : রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠকটি শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বৈঠক শুরুর আগে রাজনাথ সিংকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। বৈঠকে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে সহযোগিতা এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

    এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা রাজনাথ সিংকে স্বাগত জানান।

  • টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে ১ ধাপ নিচে নেমে গেল বাংলাদেশ

    ক্রীড়া ডেস্ক: অধিনায়ক সাকিব ব্যাটে-বলে নৈপুণ্য দেখালেও তা যথেষ্ট ছিল না।আড়াই মাসের ব্যবধানে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে ৯ নম্বরে নেমে বাংলাদেশ। গত ১ মে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবার আটে উঠেছিল লাল-সবুজরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলে এক ধাপ উপরে উঠে এসেছিল। আড়াই মাসের ব্যবধানে ক্যারিবিয়ানরা তাদের হারানো জায়গা পুনরূদ্ধার করেছে বাংলাদেশকে সিরিজে হারিয়ে।

    যার ফলে আগের পুরনো অবস্থানেই ফিরে গেছে বাংলাদেশ। আট নম্বরে টিকে থাকতে এই টেস্টে অন্তত ড্র করতে হতো লাল-সবুজ জার্সীধারীদের।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতে র‌্যাংকিংয়ে এক ধাপ উপরে উঠার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল বড় নির্মম। উল্টো স্বাগতিদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ বাজেভাবে হেরে এক ধাপ নিচে নামতে হয়েছে সাকিবদের।

    শনিবার জ্যামাইকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ সেশনে ক্যারিবিয়ান বোলারদের বোলিং তাণ্ডবে ১৬৬ রানে হারতে হয়েছে মুশফিক-সাকিবদের। আর তাতে নিশ্চিত হয়েছে অবনমন। ৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু করে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে। এই টেস্ট জিতে ক্যারিবিয়ানদের বতর্মান রেটিং ৭৭। ৮ পয়েন্ট কম নিয়ে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৬৭।

  • ভারতের ৫ বছরের ভিসা পাবে মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্করা

    ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক নাগরিকদের পাঁচ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেবে ভারত। চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

    রবিবার সচিবালয়ে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ‘রিভাইস ট্রাভেল অ্যারেজমেন্টস-২০১৮’ নামে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী ও ভারতের পক্ষে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল সেক্রেটারি বিরাজ রাজ শর্মা সই করেন।

    অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিদেশে যান এক কোটির বেশি লোক। এর মধ্যে ৩০ লাখ লোক যান ভারতে। সে কারণে ভারত মেডিক্যাল ভিসাসহ অন্যান্য ভিসা আরও সহজ করতে চেয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শনিবার একটি ভিসা কেন্দ্র চালু করেছে ভারত। এছাড়া ভিসা আরও সহজ করার জন্য আজ (রবিবার) চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। যাদের বয়স ৬৫ বছর সেসব সিনিয়র সিটিজেনদের পাঁচ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেবে ভারত। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এটার চুক্তি আজ স্বাক্ষর হয়েছে। বাকিদের ভিসা সহজ করার জন্য কথা হয়েছে। মেডিক্যাল ও স্টুডেন্ট ভিসা সহজ করার কথাও বৈঠকে বলেছেন তারা।

    এদিকে শনিবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে সমন্বিত ভিসা কেন্দ্র উদ্বোধনের দিন জানানো হয়, ভিসাপ্রার্থীদের সুবিধা বিবেচনা করে ১৮ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের পাঁচ বছরের ভিসার দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
    মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সিটিজেন, নারী ও ব্যবসা ভিসার জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে এখানে।

  • বন্দুকযুদ্ধ : ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত, ৫ পুলিশ সদস্য আহত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কয়ারবিল ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
    উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য। এ সময় আহত হয়েছে ৫ পুলিশ সদস্য।
    গুলিবিদ্ধ নিহত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। তারা দুজনেই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
    আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রিয়াদুল, এএসআই সুমন ,এএসআই মাজেদুল ও দুই কনস্টেবল রুবায়েত ও তুহিন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে আজ রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। তাদেরকে নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ।
    তিনি জানান, বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিনি আরো জানান, গোলাগুলির এক পর্যায়ে তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
    তাদের কাছ থেকে এ সময় একটি ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এদিকে, আহত পুলিশ সদস্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

  • খুবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন

    খুবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন

    তৈয়েবুর তামিম: কোটা সংস্কার আন্দোলনে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধান এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
    অাজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খুবির হাদী চত্বরে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
    প্রথমে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত একটি মিছিল বের করে পরে অাবার হাদী চত্বরে অবস্থান করে অান্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কোটা সংস্কার এবং অান্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে তারা অান্দোলন করেন।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখা শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান বলেন, অামরা কোটা সংস্কারের যৌক্তিক অান্দোলনে নেমেছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি কোটা উঠিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন অামরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় অামরা অাবারো মাঠে নামি তারপর ক্ষমতাশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা কর্মীরা অামাদের যৌক্তিক অান্দোলনে নৃশংস হামলা চালায়। হামলাকারীদের বিচার না করে যারা ভিক্টিম নূর, রাশেদরা অাজ বিনা অপরাধে জেলে অাছে তাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত অামাদের এই কর্মসূচি চলতে থাকবে।
    কোটা অান্দোলনে বক্তব্য দেয়া অাশিক রহমান বলেন, অাজ যৌক্তিক অান্দোলনে শরিক হওয়া মেয়েরাও নিরাপদ নয়। অপরাধীরা চোখের সামনে ঘুরাফেরা করলেও তারা অাজ ধরাছোঁয়ার বাইরে অবস্থান করছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে এবং অামার ভাইদের দ্রুত জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অামরা ক্লাসে ফিরে যাবো না।
    শরিফুজ্জামান বলেন, অামাদের সহজ সরল একটাই দাবী অার সেটা হলো কোটা যৌক্তিক সংস্কার চাই।
    শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছি। আমরা কারও বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। আন্দোলনকারী যে সব ভাইকে আটক করা হয়েছে, সরকারের প্রতি আমাদের দাবি তাদের মুক্তি ও নিখোঁজদের সন্ধান দিতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার চাই এবং হাতুড়িপেটানো ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড চাই। হাসপাতাল থেকে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা না করে বের করে দেওয়ারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর যারা হামলা করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার করতে হবে এবং বাংলাদেশের সকল ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
    এছাড়াও কোটা সংস্কার অান্দোলনে বক্তব্য রাখেন কাঞ্চন কুমার, রিফাত অাহমেদ, মাসুদ অাল মোস্তফা, শেখ শুভ, মুক্তা অাক্তার, ইয়াছিন অালী, নরোত্তম পল, শেখ নাভিদ প্রমুখ।
  • কুশখালী সীমান্ত থেকে ২৫ কেজি রূপা ও অস্ত্র উদ্ধার

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ কেজি ভারতীয় রূপা ও একটি এয়ারগান উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

    রোববার ভোরে সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত থেকে উক্ত রূপা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে বিজিবি এসময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধারকৃত রূপার মূল্য ১৬ লাখ ৪ হাজার ২৯৫ টাকা।

    সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন কুশখালী বিওপির নায়েক সুবেদার হানিফ জানান, সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে রূপার একটি বড় চালান আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় সেখান থেকে ২৪ কেজি ৯৫০ গ্রাম ভারতীয় রূপা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত রূপার আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ ৪ হাজার ২৯৫ টাকা।

  • হাজারো ভক্তের উপস্থিতিতে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হাজারো ভক্তের উপস্থিতিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে সদরের ধুলিহর শ্যাম সুন্দর মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে এ রথযাত্রা বের হয়। এ রথযাত্রাটির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর নিজের বাড়ি শ্রাম সুন্দর মন্দির থেকে রথযাত্রাটি বের হয়ে সাতক্ষীরা শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাটিয়া সদর উপজেলা সার্বজনীন পূজা মন্দিরে মাসির বাড়ি গিয়ে শেষ হয়।
    রথযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সার্বজনীন পুজা মন্দিরের উপদেষ্টা দীনবন্ধু মিত্র, সভাপতি গৌর দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক বলাই দে, রথযাত্রা উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ভূধর চন্দ্র সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন কুমার মন্টু, কিরণ¥য়, মঙ্গল কুমার পাল, কানাই লাল শাহা, নিখিল, উত্তম দত্ত প্রমুখ।
    রথটি আগামী ৯দিন সদর উপজেলা সার্বজনীন পূজা মন্দিরে থাকবে। এই ৯দিনের প্রতিদিন দুপুরে দুই হাজার ভক্তের অন্ন ভোগ করানো হবে এবং সন্ধ্যায় ভাগবত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী রবিবার উল্টোরথ যাত্রা করবে।
    বিশ্বমানবতার মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে মহা ধুমধামের সাথে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় শত-শত ভক্ত হিন্দু নারী-পুরুষ এতে অংশ নেন। আগামী রবিবার রথযাত্রা উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ভূধর চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে উল্টোরথ যাত্রা অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম,  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, পৌর কাউন্সিলর মো. আব্দুস সেলিম ও মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা প্রমুখ। ঐ দিন বিকাল সাড়ে ৩টায় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের পুনঃযাত্রা উল্টোরথ যাত্রা করবে।