Blog

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভা

    বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের উন্নয়ন বিষয়ে উন্নয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের হলরুমে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আলহাজ¦ আবুল কালাম বাবলা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

    এসময় তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ওটিজম শিশুদের নিয়ে কাজ করে বিশ^ দরবারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন।’

    বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতির স্কুলের নামে দানকৃত ১৫ শতক জায়গায় স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সির্দ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিজস্ব ভবন নির্মাণ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ নুরুল হক, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্য মকসুমুল হাকিম, সৈয়দ নাজমুল হক বকুল, মাসন সোম, শেখ মাহফুজুর রহমান, জিয়াউর বিন সেলিম, শিক্ষা অফিসারের প্রতিনিধি দীপক কুমার বিশ^াস, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারজিনা নাহিদ নিগার, সহকারী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ হাবিব, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাইফুর রহমান, ফারজানা সুলতানা, ফাহমিদা খাতুন, রাজমিতা মন্ডল, তহমিনা আক্তার সুমি ও কামরুজ্জামানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৬১

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জামায়াতকর্মী এবং ২ জন মাদক মামলার আসামীসহ ৬১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (২২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ অভিযান থেকে বেশ কিছু মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে।

    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জামায়াতকর্মীসহ ২৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৯ জন, তালা থানা থেকে ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৪ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৮ জন, আশাশুনি থেকে ১ জামায়াতকর্মী এবং ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন এবং পাটকেলঘাটা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার আসামীসহ মোট ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • শিয়ালডাঙ্গার চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন মল্লিকপাড়া

    শিয়ালডাঙ্গার চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন মল্লিকপাড়া

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি সদর উপজেলার শিয়ালডাঙ্গা মাঠে অনুষ্ঠিত চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মল্লিকপাড়া। নকআউট সিস্টেমে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টটিতে অংশগ্রহণ কওে শিয়ালডাঙ্গা এসডি সংঘ, মল্লিকপাড়া ইয়াং স্টার, মল্লিকপাড়া একতা সংঘ ও বাশঘাটা ফুটবল একাদশ।

     

    প্রথম পর্বেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে মল্লিকপাড়া ইয়াং স্টার ও বাশঘাটা ফুটবল একাদশ। শিয়ালডাঙ্গা এসডি সংঘ মল্লিকপাড়া ইয়াং স্টারকে এবং মল্লিকপাড়া একতা সংঘ বাশঘাটা ফুটবল একাদশকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

    ফাইনালে শিয়ালডাঙ্গা এসডি সংঘকে হারিয়ে ১-০ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় মল্লিকপাড়া ইয়াং স্টার এবং মল্লিকপাড়া একতা সংঘের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গড়া মল্লিকপাড়া একতা সংঘ। ফাইনাল ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন মল্লিকপাড়া একতা সংঘের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার যুবায়ের। ম্যাচের প্রথমার্ধে যুবায়েরের করা সেই গোল থেকেই এগিয়ে যায় মল্লিকপাড়া একতা সংঘ পরে বারবার আক্রমণ করেও সে গোল পরিশোধ করতে পারেনি শিয়ালডাঙ্গা এসডি সংঘের খেলোয়াড়রা।

    বিজয়ী দলের রক্ষণভাগে অপ্রতিরোধ্য প্রাচীর গড়ে তোলেন দলপতি অন্তু, ময়না, হৃদয় এবং চঞ্চল। বারবার আক্রমণ করেও প্রতিপক্ষ মল্লিকপাড়ার রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়নি। দলের বিজয়ে মাঝ মাঠে অসামন্য অবদান রাখেন নাহিদ, নাহিদ২ ও সোহাগ। মল্লিকপাড়ার আক্রমণ ভাগে ছিলেন জুবায়ের, বাপ্পি ও নাইম। তারা বারবার প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আক্রমণ করতে থাকে। ব্যাপক অবদানের জন্য টুর্নামেন্ট সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হন মল্লিকপাড়ার মল্লিক মাহফুজুর রহমান। অসামান্য দক্ষতা এবং নৈপূণ্যতা দিয়ে তিনি ঠেকিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের অসংখ্য আক্রমণ। কোচ মিজানুর রহমান মল্লিকের ১-৪-৩-৩ পরিকল্পনার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি প্রতিপক্ষ।

    ম্যাচ শেষে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা ইউপি সদস্য আব্দুল হায়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন খেলোয়াড় সাজ্জাদ. মাহমুদ, আজিজ প্রমুখ। মল্লিকপাড়া দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন আলিম, হাবিব, কবির, সাকিব, তামিম, এনামুল, জুলফিকার প্রমুখ।

  • যেভাবে জানবেন এইচএসসির ফল

    ডেস্ক রিপোর্ট: আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ হচ্ছে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে সব কলেজ-মাদ্রসা, শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও মোবাইলের এসএমএস-এর মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পূর্ববর্তী রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেওয়ার মাধ্যমে ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল সংগ্রহ করতে পারবে। আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের এইসএসসি পরীক্ষার্থী মোবাইলের মাধ্যমে ফল পেতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে।

    মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে MAD স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল পাওয়া যাবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে TEC লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-মেইলে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।

  • এবছর এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ

    এবছর এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ

    ডেস্ক রিপোর্ট: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার সারাদেশে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

    প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করেন। দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করবেন। দুপুর দেড়টা থেকেই পরীক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন। এর পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboard.gov.bd) থেকেও ফল জানা যাবে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা শেষের পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যেই এ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এরপর দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব মেইল) এবং এসএমএস এর মাধ্যমে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া এটুআইয়ের মাধ্যমে ফলাফল জানতে মোবাইল থেকে ৩৩৩ ডায়াল করেও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।

    সারা দেশের দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে সাধারণ আট বোর্ডে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন। গত ২ এপ্রিল শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।

  • প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর

    ডেস্ক রিপোর্ট: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টার দিকে সব বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এরপর দুপুর ১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলনে ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন। এরপর দুপুর ২টায় শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে ফল জানতে পারবে। এছাড়া এসএমএস ও অনলাইনে ফল জানা যাবে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা শেষের পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যেই এ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এরপর দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব মেইল) এবং এসএমএস এর মাধ্যমে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া এটুআইয়ের মাধ্যমে ফলাফল জানতে মোবাইল থেকে ৩৩৩ ডায়াল করেও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।

    সারা দেশের দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে সাধারণ আট বোর্ডে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন। গত ২ এপ্রিল শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।

  • বাম গণতান্ত্রিক জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান।

     

     

    বুধবার (১৮ জুলাই) মুক্তি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জোটের সদস্য ও সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারেনা। এই সরকারকে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন করতে দেওয়া হবেনা। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনে সংস্কার আনাতে বাধ্য করা হবে। আমাদের জোট ভোট সর্বস্ব জোট না, আমরা প্রয়োজনে ভোটে যাবো, প্রয়োজনে ভোট বয়কট করবো।

    তিনি আরও বলেন, আমরা দেশকে বাঁচাতে চাই। আমরা যে সরকার গঠন করবো তা কেমন হবে, সেইগুলো পরে জানানো হবে। আপাতত এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে চাই। আপাতত একটা কথা বলতে চাই, আমরা ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারার জন্য জোট করছি না।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।

    আট দলের এই বামপন্থি জোটে রয়েছে: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী),  গণ সংহতি আন্দোলন,  বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন দল।

  • মৃত্যুমুখ থেকে ফেরার গল্প শোনাল থাই গুহা কিশোররা

    মৃত্যুমুখ থেকে ফেরার গল্প শোনাল থাই গুহা কিশোররা

  • বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনা ‘ঠিক আছে এবং ঘরেই আছে’ বলে আশ্বস্ত করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

    RELATED STORIES
  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম ১৮ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নস্থ শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন করেন।

    এতে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। এসময়ে হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, ফ্রিজে মিষ্টির সাথে কাঁচা মাংশ রাওা, দইয়ের পাত্রের অতিরিক্ত ওজন, দোকানে মেয়াদ উর্ত্তীণ, মেয়াদ ছাড়া পন্য বিক্রয় ও পন্যে অগ্রিম তারিখ দেওয়াসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে করিম স্টোর, গোলাম রসুল ষ্টোর ও তৌহিদ হোটেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৭০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ তদন্ত করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক উপ-সচীব হোসেন আলী খন্দকার।

    বাস্তবতার আলোকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়টি দালিলিক আকারে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল।

    অভিযোগ উপন্থাপনকালে এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল বলেন, জেলা পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলা ১৪১৫ সাল থেকে ১৪২৪ সাল পর্যন্ত আশাশুনির ঘোলা-হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১০ বছরের মোট ইজারা মূল্য ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫১০ টাকা দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা ১৪১৮ সালে একইভাবে হাজরাখালি-বিছট খেয়াঘাটের ১০ বছরের ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫ টাকা।

    বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ওই খেয়াঘাট বাবাদ গ্রহণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৫২৮ টাকা। ওই দু’টি খেয়াঘাট ইজারা নেন আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা শাকিল। একইভাবে ইজারা নেওয়ার কিছুদিন পর খেয়াঘাটের শ্রেণী পরিবর্তণ করার অভিযোগে কেন তার ইজারা বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান নোটিশ করেন। এরই বিরুদ্ধে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে দু’টি খেয়াঘাটের বিপরীতে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি ২৫/১২ রিট পিটিশন দাখিল করেন।

    রিট পিটিশনে ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর খেয়াঘাট বাবদ বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১২ লাখ ৪০০ টাকা ইজারা গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ তিন লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকা ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৭৩ হাজার ৫৮৪ টাকা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ২০১১ সালের ২৬ জুন রশিদ বই এর মাধ্যমে গ্রহণ করেন। একই তারিখে হাজরাখালি বিছট খেয়াঘাটে বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১০ লাখ ৫২৮ টাকার ইজারা গ্রহণ করার পর ১৪১৮ সাল বাবদ দু’ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ দেখানো হয়েছে। যেখানে আত্মসাতের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

    ঘোলা- হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১৪১৯ সালের ইজারামূল্য ইজারাদার আবু হেনা শাকিল পরিশোধ করেছেন। কিন্তু তিনি ওই বছর ভ্যাট বাবদ ৫২,৫৬০ টাকা পরিশোধ করেন নাই।
    সেক্ষেত্রে ঘোলা- হিজলা ও কল্যাণপুর খেয়াঘাট থেকে দু’ বছরে দু’ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেখানোয় ইজারা মূল্য ৯ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    একইভাবে মানিকখালি খেয়াঘাটটি ১০ বছরে ২৫ লাখ ৩১২ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা গ্রহীতা কওছার আলী কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে ২২৭৯/২০০৫ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। ফলে ওই খেয়াঘাটে আদায়কৃত রাজস্ব যথাযথভাবে জেলা পরিষদ পাচ্ছে না।

    তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ইজারা নোটিশের শর্তাবলীতে সর্বোচ্চ বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত যে কোন কোটেশনে উদ্ধৃত দর অনুমোদনের পর নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ অবশিষ্ঠ ৫০ শতাংশ ইজারা মূল্যসহ ৫শতাংশ আয়কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ প্রিমিয়াম এককালিন জেলা পরিষদে জমা দিতে হবে। ব্যর্থতায় ইজারা চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা তা না করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ইজারা চুক্তি করেছেন।

    অভিযোগ শুনানীকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ১৫জন সদস্য, কয়েকজন কর্মচারি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানসহ সাংবাদিকরা। শুনানীকালে জেলা পরিষদ সদস্যরা এসএম মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা পরিচালনা, এইচএসসি পাশ করে তার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ অবৈধ ও তিন বার বদলী করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন খারিজ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে সাতক্ষীরায় চাকুরি করা সংক্রান্ত বিষয়গুলি যথাযথভাবে উপস্থাপন করার পরও একই তদন্তকারি কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে প্রতিবেদন দেওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইভাবে মন্ত্রণালয় চিঠি দেওয়ার পরও তাকে বদলী ও এক বছর ছুটি নেওয়ার আইনি বৈধতা সংক্রান্ত তদন্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা হল থেকে বেরিয়ে যান।

  • শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় প্রথম শ্রেণিতে পড়–য়া এক কন্যা শিশুকে পাচারের অভিযোগে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
    সাজাপ্রাপ্ত নারী আসামী হলেন, শ্যামনগর উপাজেলার পরানপুর গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে মোছাঃ আফরোজা ও ওরফে তাছলিমা খাতুন। বর্তমানে তারা কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামে বসবাস করেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, পাচারের শিকার শিশু কন্যাটি শ্যামনগর উপাজেলার ৮৬নং পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রণিতে পড়তো। ২০০৩ সালের ৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যায় সে। স্কুল শেষে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সহপাঠি ময়না ও টুম্পার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে যে স্কুল শেষে তাকে খালা পরিচয়ে এক নারী মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

    জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল করিম বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করে শিশুটির সন্ধান নেয়ার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় বৈশখালি গ্রামের লোকজন পাচারকারী আফরোজাকে আটক করলেও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটিকে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর দাদা বারী সরদার বাদি হয়ে পাচারকারী আফরোজা খাতুন, রতনপুর গ্রামের বাবু, বাবলু ও আবু হান্নানের নাম উল্লেখ করে পরদিন শ্যামনগর থানায় একটি পাচারের মামলা দায়ের করেন।

    ২০০৩ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক ফয়সাল জামান এজাহারভুক্ত আসামিদের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

    ১০জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে বুধবার আসামি আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। একই সাথে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তবে, এ রায়ের সময় পাচারকারী আসামি আফরোজা পলাতক ছিলেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।

  • সাতক্ষীরায় বছরে মাছ উৎপাদন হয় ১ লাখ ৩১ হাজার ৫১৬ মেট্রিকটন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় জাতীয় মৎস সপ্তাহ পালন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন কমিটি সাতক্ষীরার আয়োজনে বুধবার সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা মৎস্য অফিসের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার রাশেদুল হক, সহকারী মৎস্য অফিসার লুৎফর রহমান প্রমুখ।

    সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় বছরে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫১৬ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৮৫ হাজার ৯৬৮ মেট্রিকটন সাদা মাছ ও চিংড়ি মাছ বিদেশে রপ্তানী এবং দেশের অন্যান্য জেলায় সরবারহ করা হয়।

    বক্তারা আরো বলেন, এ বছর ‘স্বয়ং সম্পূর্ণ মাছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৮ পালিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরায় ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক গৃহবধূকে হত্যা : ঘাতক গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ধর্ষণে ব্যার্থ হয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আক্তারুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই গৃহবধুর নাম বাঁচাখুকি(৪৫)। সে ফিংড়ি ইউনিয়নের ফয়জুল্যাপুর গ্রাামের আব্দুল মজিদ কারিকরের স্ত্রী।

    ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মধুসুদন মন্ডল জানান, বুধবার সকালে ওই গৃহবধূ পালিচাঁদ বিলে ছাগল চরাতে যান। সেখানে আগে থেকেই ওৎপেতে ছিলো একই গ্রামের আহাদ আলির ছেলে মাদকাসক্ত আক্তারুল ইসলাম(২৬) নামের এক যুবক।

    আক্তারুল ওই গৃহবধূকে পাশের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সে মেহগনি গাছের ডাল দিয়ে ওই গৃহবধূর মাথায় আঘাত করে। ফলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ পালিচাঁদ বিলের একটি খালে সে পুতে রাখে ঘাতক আক্তারুল। স্থানীয় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

    এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক আক্তারুলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু কওে পুলিশ। পরে আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিরাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাাফিজুর রহমান জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ঘাতক আক্তারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৬০

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৬০

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াতকর্মী ও মাদক মামলার আসামীসহ ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত  জেলার ৮ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে ২২ পিস ইয়াবা, ১৪০ বোতল ফেন্সিডিল,  ৪০২ গ্রাম গাজা এবং ১৯ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১০ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১৮ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৮ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন  ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
  • সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন পালিত হয়েছে। সাতক্ষীরা মহিলা পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
    মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদ সভানেত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম।
    সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জোসনা দত্ত, অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ, মাধব দত্ত, এ্যড. আবুল কালাম আজাদ, মরিয়ম মান্নান, ফলুদা খাতুন, মিষ্টি বেগম, নাজমুল আলম মুন্না প্রমুখ।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যাবস্থা করতে হবে।
    বক্তারা সংরক্ষিত নারী আসন আরও ২৫ বছর বহাল রাখার প্রতিবাদ জানান।
  • ভোমরা স্থল বন্দর কাস্টমস এলাকা থেকে বিজিবি চেকপোষ্ট প্রত্যাহার : আমদানি-রপ্তানী শুরু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: অবশেষে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর কাস্টমস এলাকা থেকে বিজিবি চেকপোষ্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে বিজিবি চেক পোষ্ট সরানোর দাবীতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দরের সকল সংগঠন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখে। টানা ৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বিজিবি কর্তৃক চেক পোস্ট প্রত্যাহার করে নেয়ায় আবারো শুরু হয়েছে বন্দরের আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম। ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু জানান, কাস্টমস অ্যাক্টের ৯ ধারা মোতাবেক বন্দর এলাকার মধ্যে আমদানি-রপ্তানিকৃত পন্যে কাস্টমস ছাড়া অন্য কোন সংস্থা হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা। কিন্তু ২০১৫ সালের আগষ্ট মাস থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বন্দর এলাকার চারটি স্থানে বিজিবি অযাচিত হস্তক্ষেপ করে আসছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের সময় নষ্ট, বন্দরে গাড়ি কম প্রবেশ করাসহ নানা সমস্যার কারনণ সরকারের রাজস্ব কমে যাওয়ায় বিজিবির এই চেক পোষ্ট সরানোর দাবিতে সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দরের সকল সংগঠন সকাল থেকে আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখে। এক পর্যায়ে দুপুরে বিজিবি বন্দর এলাকা থেকে চেকপোস্ট সরিয়ে নেয়ার পর আবারো শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর ফজলে হোসেন জানান, ব্যবসায়ীদের স্বার্থে চেকপোস্ট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির কাজ যথারীতি চলবে। ভোমরা স্থল বন্দর কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার সাগর সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

    কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): কঠোর পরিশ্রম এবং অসামান্য শৈল্পিকতায় বাসা তৈরি করে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে বাবুই পাখি। বাবুই পাখির এ অসামান্য পরিশ্রম এবং শিল্পি মনোভাবকে কেন্দ্র করেই কবি রজনীকান্ত সেন লিখেছিলেন কালজয়ী কবিতা ‘স্বাধীনতার সুখ’। ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতায় কবি রজনীকান্ত সেন চড়–ই এবং বাবুই পাখির মধ্যে কথাপোকথন আকারে বাবুই পাখির নিজের তৈরি অনন্য বাসার যে পরিচয় দিয়েছেন তা আজ কেবলমাত্র বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ। কালের বিবর্তনে আজ বাবুই পাখির বাসা নেই বললেই চলে।

    এখন আর চোখে পড়ে না বাবুই পাখি ও তার নিজের তৈরি দৃষ্টিনন্দন সেই ছোট্ট বাসা তৈরির নৈসর্গিক দৃশ্য। হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির বয়ন শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের কারিগর বাবুই পাখি ও তার বাসা। খড়, তালপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে বাসা বাঁধে। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা পড়ে যেতনা। বাবুই পাখির শক্ত বুননের এ বাসাটি শিল্পের এক অনন্য সৃষ্টি যা টেনে ছেঁড়াও কষ্টকর। এক সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছ আর বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যেত। এখন তা আর সচরাচর চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সেই দৃষ্টি ভোলানো পাখিটিকে ও তার নিজের তৈরি বাসা যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে নৈস্বর্গীক রূপ দিত, তা আজ আমরা হারাতে বসেছি।

    বাবুই Ploceidae গোত্রের অন্তর্গত একদল প্যাসারাইন পাখি। খুব সুন্দর বাসা বোনে বলে এরা “তাঁতী পাখি” (Weaver Bird) নামেও পরিচিত। বেশ জটিল গঠন আর খুব সুন্দও আকৃতির এর বাসা। এরা মূলত বীজভোজী পাখি, সে জন্য তাদের ঠোঁটের আকৃতি বীজ ভক্ষণের উপযোগী, চোঙাকার আর গোড়ায় মোটা।

    বাবুই সাধারণত দলবদ্ধভাবে জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। এজন্য গ্রামাঞ্চলের তালগাছে একাধিক বাবুই পাখির বাসা লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশে তিন ধরনের বাবুই দেখা যায় এগুলো হলো দেশি বাবুই (Ploceus philippinus), দাগি বাবুই (Ploceus manzar) ও বাংলা বাবুই (Ploceus bengalensis)।

    বাবুই পাখির একটি অনন্য অসাধারণ বৈশিষ্ট এর বাসা বানানোর কৌশল। এরা বাসা বানানোর জন্য খুবই পরিশ্রম করে। এদের বাসা উল্টানো কলসির মত দেখতে। বাসা বুননে এরা ঘাস, খড়, নলখাগড়া ও হোগলার বন ব্যাবহার করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ সাজিয়ে নিপুণ যতেœ বাবুই তার বাসা তৈরি করে। পরম যতেœ পেট দিয়ে ঘষে (পালিশ করে) গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা হয়। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ হয়। শোনা যায় বাবুই জোনাকী ধরে এনে রাতে বাসায় আলো জ্বালানোর ব্যাবস্থা করে।
    প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হারিয় যাচ্ছে বাবুই পাখি। অনেক অসচেতন মানুষ বাবুইয়ের বাসা ভেঙে ফেলে, একারণেও এদের সংখ্যা রহস্যজনকভাবে কমে যাচ্ছে। দেশে বাবুইয়ের বাসা বুননের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নল ও হোগলার বন কমে যাওয়া ও বাবুইয়ের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
    এ ব্যাপাওে সাতক্ষীরা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাবুই পাখির বসবাসের যথাযোগ্য স্থান ও পরিবেশ কমে যাচ্ছে। যে কারণে বাবুই পাখি এবং এর বাসা বিলুপ্তির পথে।

    বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-
    “কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;
    আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার ‘পরে,
    তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”
    বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায়?
    কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
    পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
    নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”

    একসময় হয়তো রজনীকান্ত সেনের এ কালজয়ী কবিতা শুধু বইয়ের পাতায়ই থেকে যাবে। আগমী প্রজন্ম হয়তো দেখতে পাবে না বাবুই পাখির গর্বের সেই নিজ হাতে গড়া খাসা কাচা ঘর।