Blog

  • প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই নায়ক রাজের বায়োপিক ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’

    প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই নায়ক রাজের বায়োপিক ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’

    বিনোদন ডেস্ক: ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট মারা যান বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাক। দেখতে দেখতে চলে গেল এক বছর। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই প্রকাশ হতে যাচ্ছে তার জীবনী ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র, যার নির্মাণ শুরু হয় নায়করাজের জীবদ্দশায়।

    দেড় ঘণ্টা ব্যাপ্তির এ চলচ্চিত্রের নাম ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’। নির্মাণ করেছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।

    জানা গেছে, ১৭ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টায় চ্যানেল আই-এ প্রচার হবে ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’।

    অভিনেতার মৃত্যুর বছরখানেক আগে শাইখ সিরাজ প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণে হাত দেন। সেখানে নিজের সম্পর্কে অকপটে বলেছেন রাজ্জাক। তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে কলকাতায় বেড়ে ওঠার বসতভিটার হালচাল, সেখানে অবস্থানরত নিকটাত্মীয় এবং ওই মহল্লার বন্ধু-বান্ধবের স্মৃতিচারণ। সাথে যুক্ত হয়েছে রাজ্জাকের কালজয়ী সিনেমার অংশ ও গান।

    রাজ্জাককে নিয়ে কথা বলেছেন অভিনয় জীবনের সহশিল্পীরা। তাদের মধ্যে আছেন সুচন্দা, কবরী, ববিতাসহ অনেকে।

    শাইখ সিরাজ জানান, নায়কের ভক্তদের জন্য ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’ সিনেমা হলে প্রদর্শনের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে।

  • ‘বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে’

    ‘বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে’

    আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিমানবন্দর সড়কের ফুটপাতে বাসচাপায় নিহত হওয়ার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। টানা চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা শহর জুড়ে ছাত্র বিক্ষোভ ব্যাপকতা লাভ করার প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা জানালেন।সাধারণত সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত কোনো মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ নির্দিষ্ট মামলাটি কেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর কথা বলছেন আইনমন্ত্রী?

    এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন আছে। আমরা যে মামলাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি- সেটা মার্ডার কেস, রেপ কেস বা অন্যান্য যে কোন মামলা …. সেটাকে জন-গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে আমরা কিন্তু সেটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল বলে একটি আদালত আছে সে আদালতে পাঠিয়ে এটা দ্রুত বিচার করতে পারি।’

    বিমানবন্দর সড়কের ফুটপাতে বাস চাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা এ অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত যাতে এরকম অন্যায় আর না হয়।

    সে ক্ষেত্রে এ রকম মামলা দ্রুত বিচারে যাওয়া স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।

    যারা বেপরোয়া গাড়ি চালায় তাদের একটি বার্তা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।

    চলমান ছাত্র আন্দোলনের সাথে দ্রুত বিচারের উদ্যোগ নেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    যখন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের শাস্তির প্রসঙ্গ আসে তখন তারা রাস্তায় সংঘবদ্ধভাবে নেমে চাপ তৈরি করে। সে বিষয়টি কিভাবে সামাল দেয়া হবে?

    এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যায় করলে কোনো আন্দোলনই বিচার থামাতে পারবে না।’

  • ফিটনেস সনদ নেই ২০ লাখ পরিবহনের!

    ডেস্ক রিপোর্ট: গণপরিহনের ট্রিপ বাড়াতে চান চালকরা, এ কারণে হুমকির মুখে যাত্রী নিরাপত্তাবর্তমানে সারা দেশে ৫০ লাখের মতো পরিবহন চলাচল করছে। তবে এর মধ্যে ২০ লাখ পরিবহনেরই ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ফিটনেসবিহীন এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে কার্যত কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। ফলে ফিটনেসবিহীন পরিবহনের কারণে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যের সংখ্যা। এ অবস্থায়ও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ)। প্রতিষ্ঠানটির কাছে দেশে কী পরিমাণ ফিটনেস সনদবিহীন পরিবহন রয়েছে তারও সঠিক কোনও তথ্য নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

    বেসরকারি পরিসংখ্যানে দেশে ৫০ লাখেরও বেশি পরিবহন চলাচলের কথা বলা হচ্ছে। তবে চলতি বছরের ৩১ জুন পর্যন্ত বিআরটিএ’র তথ্য বলছে, বর্তমানে সারা দেশে বাস, মিনিবাস ও হিউম্যান হলারসহ মোট নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭০। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে ১১ লাখ ৪৩ হাজার ২৪৩টি পরিবহন। এই পরিবহনের মধ্যে শুধু সাড়ে ২২ লাখই হচ্ছে মোটরসাইকেল। তবে এসব পরিবহনের মধ্যে কী পরিমাণ যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই এর সঠিক কোনও তথ্য বিআরটিএর কাছে সংরক্ষিত না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি বলছে এর সংখ্যা কোনও অংশেই ২৫ শতাংশের কম নয়।

    অপরদিকে বেসরকারি হিসাবে, সারাদেশে যানবাহনের চালকের সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি হলেও এসব চালকদের মধ্যে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিআরটিএ অনুমোদিত লাইসেন্স রয়েছে ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮১৬ জনের। এর মধ্যে পেশাদার চালক ৮ লাখ ৩০ হাজার ৯০ জন। আর অপেশাদার ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৭২৬ জন। অবশিষ্ট সাড়ে ৫১ লাখ অবৈধ ও অদক্ষ চালকই সড়কে নৈরাজ্যের মূল কারণ। ফলে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্য-দুর্ঘটনা।

    তবে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির চলমান এক জরিপের তথ্য মতে বিআরটিএর নিবন্ধিত মোট পরিবহনের ৪০ শতাংশই ফিটনেসবিহীন। প্রতিষ্ঠানটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৫০ লাখ যানবাহনের মধ্যে মাত্র ৩৫ লাখের মতো যানবাহনের নিবন্ধন রয়েছে। বাকি ১৫ লাখের কোনও সনদ নেই। আইন অনুযায়ী যেসব যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন নেই সেগুলোর ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেই। এছাড়া রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের মধ্যেও অনেক পরিবহনের ফিটনেস নেই। সব মিলিয়ে এর সংখ্যা কোনও অংশেই ২০ লাখের কম নয়। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবদনটি প্রকাশ করবো।’

    এদিকে, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ফিটনেস নবায়ন না করা ৫৫ হাজার যানবাহনের তালিকা করেছে বিআরটিএ। এর মধ্যে তিন হাজার ৭৪০টি গাড়ি বিভিন্ন সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের। ফিটনেস সনদবিহীন সরকারি যানবাহন সবচেয়ে বেশি পুলিশের। এ বাহিনীর প্রায় ১১০০ যানবাহনের ফিটনেস সনদ ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে নবায়ন হয়নি। এসব পরিবহনকে গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সনদ নবায়নের নির্দেশও দেয় প্রতিষ্ঠানটি। নির্দেশনা পেয়ে কিছু মালিক সনদ নবায়ন করলেও এখনও প্রায় ৫০ হাজার যানবাহন ফিটনেস সনদ নবায়ন করেনি। এই সনদ প্রদানে করসহ বিভিন্ন ফি বাবদ ২২ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হয় সরকারকে।গণপরিবহন

    বিআরটিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিআরটিএর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ওই তালিকায় থাকা যানবাহনগুলো নিবন্ধন নেওয়ার পর কোনও দিনই ফিটনেস নিতে আসেনি। এর মধ্যে আবার অনেক পরিবহন তখন রাস্তায়ও ছিল না। তখন রাজধানীতে পাঁচ লাখের মতো যানবাহন চলতো। বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণের বেশি। রাজধানীসহ সারাদেশে ফিটনেসবিহীন পরিবহনের সংখ্যা কোনও অংশেই মোট পরিবহনের ৪০ শতাংশের কম হবে না। মূলত ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় পরিবহনের কারণেই যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটছে।’

    বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন অথরিটি (বিআরটিএ) ২০টি ক্যাটাগরিতে পরিবহনের লাইসেন্স দিচ্ছে। এই ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮২ সাল থেকে চলতি বছরের ৩১ জুন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৪১৮টি অ্যাম্ব্যুলেন্স, ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫০টি অটোরিকশা, ২০ হাজার ৪৭৩টি অটো-টেম্পু, ৪৫ হাজার ৩৭৭টি বাস, ৯ হাজার ৩২৯টি কার্গো ভ্যান, ২৮ হাজার ৪৭০টি কভার্ড ভ্যান, ২৮ হাজার ৪২৯টি ডেলিভারি ভ্যান, ১৮ হাজার ২৫টি হিউম্যান হলার, ৫৫ হাজার ৮৬৩টি জিপ (হার্ড/সপ্ট), ৯৯ হাজার ১৮৭টি মাইক্রোবাস, ২৮ হাজার ৬৩টি মিনিবাস, ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৯২টি মোটরসাইকেল, এক লাখ আট হাজার ৬৯০টি ফিক-আপ (ডাবল/সিঙ্গেল কেবিন), তিন লাখ ৪০ হাজার ২৮৯টি প্রাইভেট প্যাসেঞ্জার কার, ৯ হাজার ৮৭১টি স্পেশাল পারপাস ভিইক্যাল, পাঁচ হাজার ৬০টি ট্যাঙ্কার, ৪৫ হাজার ২৯৫টি ট্যাক্সিক্যাব, ৪১ হাজার ৬০৬টি ট্রাকটর, এক লাখ ৩৪ হাজার ৪১০টি ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন রয়েছে ১৭ হাজার ৮০৩টি।

    এর আগে ২০১০ সালের শুরুতে রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন পরিবহনের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে বিআরটিএ। এতে দেখা যায় শুধু রাজধানী ঢাকায় ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন চলছে ফিটনেস (চলাচলের উপযোগী সনদ) ছাড়া। সে সময় ওই সব পরিবহনের তালিকা করে পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় ব্যক্তিগত কার, বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন রয়েছে।

    বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশে যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সত্যিকারে সে পরিমাণ যানবাহনের ফিটনেস সনদ নেই। আমরা পরিবহন মালিকদের বারবার তাগিদ দিচ্ছি কাগজপত্র নবায়ন করে নেওয়ার জন্য। চিঠি দিয়েও জানিয়েছি। অনেকেই নবায়ন করছেন। আবার অনেকেই এখনও করেনি।’

    মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী, একবার ফিটনেস সনদ সংগ্রহ করলে তা নবায়নের তারিখ থেকে পরের এক বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ফিটনেস সনদ পেতে হলে গাড়িসহ বিআরটিএ কার্যালয়ে হাজির হতে হবে। সেখানে অন্তত ৩০ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ফিটনেস সনদ দেওয়া হয়।

    গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারিয়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীবের মর্মান্তিক মৃত্যু দেশের মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিমের মৃত্যু পরিবহন জগতের চিত্র ফুটে উঠেছে। বাসচালকদের প্রাণঘাতী প্রতিযোগিতায় দিন দিন যোগ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে কঠোর আইনের আওতায় আনার পরামর্শ তাদের।

    এদিকে গত ২৯ জুলাইয়ের ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী তানভীর আহমেদ জনস্বার্থে রিটটি দায়ের পর শুনানি শেষে আদালত গণপরিবহনের ফিটনেস বিষয়ে জরিপ করতে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব ও বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    জানতে চাইলে বিআরটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. নূরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক পরিবহনের ফিটনেস সনদ নেই এটা সত্য। তবে কী পরিমাণ পরিবহনের সনদ নেই সেই সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। কারণ রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার পর অনেক পরিবহন সড়কে থাকে না। অনেক পরিবহন নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে নষ্ট গাড়ির তো আর ফিটনেস সনদ মালিক নেবে না। এজন্য বিষয়টি নিরূপন করা কঠিন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর আমরা কমিটি গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছি।’

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৫২

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ জামায়াতকর্মী এবং ৫ মাদক মামলার আসামিসহ ৫২ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযান থেকে ৭০০ গ্রাম গাঁজা, একটি তেলবাহী ট্রাক, একটি মোটর সাইকেল ও ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানা থেকে ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৮ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৭ জন, আশাশুনি থানা থেকে কাদাকাটি ইউপি জামায়াতের সভাপতিসহ ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন এবং পাটকেলঘাটা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার আটটি থানার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান থেকে ২ জামায়াত নেতাকর্মীসহ মোট ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
  • আজ শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২ হরিণ শিকার মামলায় দায়েরকৃত রীটের আদেশ প্রদান করবেন মহামান্য হাইকোর্ট

    ঢাকা ব্যুরো : মহামান্য হাইকোর্ট আজ শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২ হরিণ শিকার মামলায় দায়েরকৃত রীটের আদেশ প্রদান করবেন! এই শিকারে অংশ নেয়া সাত পুলিশকে আসামী না করে এবং আইনের যথাযথ ধারা বাদ দিয়ে দুর্বল ভাষায় এজাহার দায়ের করায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত নয়াবার্তা’র সম্পাদক আবু বকর জনস্বার্থে বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের যৌথ বেঞ্চে ৯৭৯১/২০১৮ রীটটি দায়ের করেন।গত ৩১ জুলাই মঙ্গলবার রীটের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।অজ মামলাটি আদেশের জন্য কার্য তালিকায় রয়েছে। ইতিমধ্যে এই মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামী জামিনে মুক্তি পেয়েছে।এর আগে পলাতক অভিযুক্ত আসামীরাও আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।এখন মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট প্রদানের নীলনক্সা বাস্তবায়নের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

    এক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে,পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল ২০১৬ সালের জুন মাসে সুন্দরবনে বাঘ হত্যা ও চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের কাছে জমা দেয়।‘সুন্দরবনের বাঘ হত্যা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই বাঘ হত্যায় মদদ দেওয়া ও চোরাচালানে জড়িত। ইন্টারপোলের এই প্রতিবেদনের আলোকে ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “বাঘ হত্যা ও চোরাচালানে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা” শীর্ষক খবর প্রকাশিত হবার পর মহামান্য হাইকোর্ট একটি স্যুয়োমোটো রুল নং-৭/২০১৬ প্রদান করেন।মামলাটির শুনানী চলছে।পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের ঐ ৩২ তালিকাভূক্ত বাঘ শিকারীর মধ্যে একজন হলেন, আলহাজ্ব আঃ সাত্তার মোড়ল। গত ৭ জুলাই ভোরে শ্যমনগরের স্থানীয় এক সাংবাদিকের নিকট খবর আসে যে শ্যামনগর থানার এসআই লিটন, এসআই হাবিব, দুই এএসআই মামুন ও ফজলুল করিম এবং কনস্টেবল আলমগীর কনস্টেবল সাইফুল্লাহ ও কনস্টেবল উত্তম কুমারের নিরাপত্তা প্রহরায়্ ইন্টারপোলের তালিকাভূক্ত বাঘ শিকারী আলহাজ্ব আঃ সাত্তার মোড়ল ৯জন শিকারি ও শিকার সহযোগিদের নিয়ে দুটি ট্রলার এবং ৬টি বন্দুক সহ রাতে বিশ্ব ঐতিহ্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সংরক্ষিত পশ্চিম সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে।ঐ সাংবাদিক সারাদিন সংবাদ তথ্যের সত্যতা নির্নয় সহ ঘটনাটির পেছনে লেগে থাকেন।তিনি জাতীয় স্বার্থে এই শিকারি চক্রকে ধরিয়ে দেবার জন্য স্থানীয় র‌্যব কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।র‌্যাব অভিযানের প্রস্তুতি নিলেও কমান্ডিং অফিসার স্টেশনে না থাকায় ৭ জুলাই রাতের অপারেশন থেমে যায়।এর মধ্যে খবর আসে শিকারি চক্র ২২টি হরিণ শিকার করেছে।২টি তারা রান্না করে খেয়েছে। বাকি ২০টি হরিণের পেট ফেড়ে নাড়িভুড়ি বের করে আস্ত হরিণ বরফ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করেছে।৮ জুলাই ঐ সাংবাদিক যোগাযোগ করেন স্থানীয় কোস্টগার্ড কর্মকর্তাদের সাথে।তার কাছে থাকা সকল তথ্য তিনি কোস্টগার্ডকে জানান।কোস্টগার্ড রাতে অভিযানে সম্মত হয়।পূর্ব অভিঙ্গতার কারনে ঐ সাংবাদিক কোস্টগার্ডের উপর পুরোপুরি ভরসা না রেখে বনবিভাগের বুড়িগোয়ালীনি্ ও কদমতলা স্টেশন এবং চুনকুড়ি টহল ফাড়ির কর্মকর্তাদের পুরো তথ্য জানান।শেষে জানান খুলনার বিভাগীয় বনকর্মকর্তাকে।মজার ব্যাপার হলো কোস্টগার্ড এবং বনবিভাগের তিন স্টেশনের কর্মকর্তারা জানতেন না যে এই তথ্য অণ্য কেউ জানে।চারটি গ্রুপই নিজেদের শতভাগ সাফল্যের আশায় অতি গোপনীয়তার সাথে ৮ জুলাই দিবাগত রাতে অভিযান শুরু করেন।অভিযানে চার গ্রুপ মুখোমখি হবার পর জানতে পারেন তারা একই অভিযানে এসেছেন।এর পর তারা নিজেদের মধ্যে অভিযান কর্মপন্থা নির্ধারণ করে চার ভাগে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেন।মধ্য রাতে কাঙ্খিত শিকারিদের দুটি ট্রলার অভিযানকারীদের নজরে আসে।বন বিভাগ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা বনের চুনকুড়ি নদী ও দোবেকির মধ্যবর্তী স্থানে শিকারি পুলিশ দলের মুখোমুখি হয়। তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।সুন্দর বনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক ঘটনা সম্পর্কে বলেন, আমরা তাদের কাছাকাছি পৌছে স্প্রীড বোর্ড তাদের ট্রলারে লাগিয়ে ঠেলে চরে তুলি। এসময় আটক ট্রলারে সাদা পোষাকে থাকা পুলিশ জানায় তারা হরিণ শিকারীর ট্রলার আটক করেছে। সে সময় পুলিশ বনকর্মকর্তা কর্মচারি এবং কোষ্ট গার্ডকে শিকারীর ট্রলারের পাশে যেতে দেননি।এসআ্ই লিটন হুমকি দেন যে, ”তাদের নৌকায় কেউ উঠলে তার বুক ঝাজরা করে দেবে”। অভিযানে অংশ নেয়া কৈখালী কোষ্ট গার্ডের পেডি অফিসার এক্ই ধরনের তথ্য জানিয়ে বলেন , পুলিশের পক্ষ থেকে ঐ ট্রলারে থাকা বর্তমান গ্রেফতারকৃত দু’জন বাদে বাকিরা পুলিশের সোর্স এবং এই অভিযানটি কোষ্ট গার্ড , পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ অভিযান দেখাতে বলা হয়। কোষ্ট গার্ডের এখতিয়ারাধীন এলাকায় পুলিশি অভিযানে কোষ্ট গার্ডকে আগে থেকে কোন তথ্য দেওয়া হয়েছিলো কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন , না আমোদেরকে আগে থেকে এ ধরনের কোন তথ্য দেওয়া হয়নি এমনকি ঐ সময় ট্রলার , অস্ত্র , হরিণ ও শিকারীসহ আমাদের ছবি নিতেও বাধা প্রদান করা হয়।তিনি বলেন,যেখানে পুলিশের পোশাক পরে বনে চাদাবাজী ও ডাকাতি হচ্ছে।সেখানে তাদের পালানোর প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপটে আমরা যদি ”ফাযার ওপেন” করতাম তবে দুই বাহিনী’র মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতো। এবিষয়ে গত ৯ জুলা্ই নয়াবার্তা’র অন লাইন সংষ্করনে পৃথক দু’টি খবর প্রকাশিত হয়। প্রথমটি’র শিরেোনাম ছিলো “শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলছে কোটি টাকার ছড়াছড়ি!”। আর দ্বিতীয়টি’র শিরেোনাম ছিলো “আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র কর্তৃক শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর ২২ হরিণ শিকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলছে কোটি টাকার ছড়াছড়ি!”। গত ১০ জুলাই”হরিণসহ অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায় শ্যামনগর থানায় পৃথক দু’টি মামলা”এবং গত ১৮ জুলা্ই “প্রসঙ্গ ২২ হরিণ শিকার-ঘটনা একটি,প্রশ্ন একাধিক……” শিরনামে নয়াবার্তা’র অন লাইন সংষ্করনে আরো দু’টি খবর প্রকাশিত হয়।২০ জুলাই শ্যামনগরে ২২ হরিণ শিকার ঘটনায় আসামী বাদী হওয়ায় ঘটনা ভিন্ন পথে মোড় নিয়েছে শিরনামে নয়াবার্তা’র অন লাইন সংষ্করনে আরো একটি খবর প্রকাশিত হয়।এসব খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে,কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে কদমতলা ষ্টেশনের চুনকুড়ি নদীর সুবদি গুবদি এলাকা থেকে দুইটি ট্রলারসহ ১৭ জনকে আটক করে। এসময় তাদের নিকট থেকে শিকারকৃত ২০ টি হরিণ ও ছয়টি আগ্নেয়ান্ত্র উদ্ধার করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে ছিলেন, চক্রের প্রধান জাপা নেতা আব্দুস সাত্তার, তার সহযোগি আনোয়ারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আলী হোসেন, মনজু, সামাদ, বিকাশ,আকজান, ইউসুফ, ও বাচ্চু।এছাড়াও ছিলেন, শ্যামনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মর্যাদার দুইজন এবং সহকারি উপ-পরিদর্শক মর্যাদার দুইজনসহ সাত পুলিশ সদস্য।এর পর শুরু হয় পুলিশের নাটক।পুলিশ দাবি করে শ্যামনগর থানার সাধারন ডায়েরী নং-২৮২,তারিখ ৬ জুলাই মুলে তারা সংরক্ষিত বনে অভিযানে গিয়েছিলো।অভিযানে তারা হরিণ শিকারি গ্রেফতার করেছে ।উল্লেখ্য শ্যামনগর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা্ এই ধরনের সাধারন ডায়েরী করে সুন্দরবনে শিকারিদের সহায়তা করেন।ধরা পড়লে এই ডায়েরী তাদের আইনের রক্ষা কবচ হয়।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,ঐ রাতে বোট, হরিণ বন্দুক ও পুলিশ সদস্যসহ সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় কোষ্ট গার্ডে’র দোবেকি’র ভাসমান স্টেশনে। সেখানে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডকে বোঝানো হয়, পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক এবং হরিণ ও বন্দুক জব্দ করেছে। পুলিশ সদস্যরা এ সময় হরিণ শিকারের অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করে জানান, তারা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছেন মাত্র। দোবেকি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক আলি জানান, গভীর রাতে সবাইকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তারা সবাই চলে গেছেন শ্যামনগর থানার উদ্দেশ্যে।

    এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বসিরুল ইসলামের কাছে সোমবার টেলিফোন করা হলে তিনি জানান, ‘আমি খবর পেয়েছি দুটি শিকার করা হরিণ ও তিনটি বন্দুক জব্দ করেছে পুলিশ।’ তিনি আরও জানান, ‘পুলিশ বলছে তারা অভিযান চালাতে গিয়েছিল। তাদের কথা তো আর অবিশ্বাস করা যায় না।’ শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলি জানান, ‘সুন্দরবনের ঘটনাস্থল থেকে আমার থানার এসআই লিটন জানিয়েছেন রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেঘনা নদীর মোহনায় একটি বোট দ্রুত গতিতে যেতে দেখে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন। পরে ওই বোটে তল্লাশি চালিয়ে ৩টি শিকারকৃত হরিণ ও তিনটি একনলা বন্দুক পাওয়া যায়। এ সময় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়।’ ওসি আরও বলেন, এ বিষয়ে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ তারাও একই স্থানে অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন। তবে ওসির কাছে জানতে চাওয়া হয় এসআই লিটন যে বোট নিয়ে কথিত অভিযান চালান সেটিতে ১৬ খণ্ড বরফ কেন ছিল এবং তারা তিনদিন আগে হরিণ শিকারি দলের সঙ্গে কেন বনে গেছেন এর কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি ওসি। তবে তিনি হরিণ শিকারে তার পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

    এখানে উল্লেখ্য,গ্রেফতারকৃতদের থানায় আনার পর সাতক্ষীরা’র পুলিশ সুপার নিজেই শ্যামনগর থানায় ছুটে যান এবং সারাদিন শ্যামনগর থানায় অবস্থান করেন।৯ জুলাই সন্ধায় সাতক্ষীরা থেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা যায় যে এঘটনায় শ্যামনগর থানার সংশ্লিষ্ট ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।খবরের সত্যতা যাচায়ের জন্য ঐদিন রাতে নয়াবার্তা’র পক্ষ থেকে প্রথমে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত মর্মকর্তা এবং পরে সাতক্ষীরা’র পুলিশ সুপারের সথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,সংশ্লিষ্ট ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়নি।অথচ পরবর্তীতে এসআ্ই লিটন মিয়াকে প্রত্যার করে খুলনা ডি্ইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়। আর ওসি সৈয়দ মান্নান আলিকে বদলি করা হয় দেবহাটা থানায়।আর গত ২২ জুলাই সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত ৮৫ নং স্মারকের এক পত্রে এই অভিযানে অংশ নেয়া বন কর্মকর্তাদের ২৬ জুলাই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তলব করা হয়।বন বিভাগের বুড়িগোয়ালীনি’র স্টেশন কর্মকর্তা কবিরের নের্তৃত্বে কদম তোলার স্টেশন কর্মকর্তা নাসির, চুনকুড়ি টহল ফাড়ির ওসি মোস্তাফিজুর রহমান,দোবেকী টহল ফাড়ির ওসি মোবারক এবং মিড়গাঙ টহল ফাড়ির্ওসি মিজানুর রহমান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হন।তারা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তারের সাথে বৈঠকে মিলিত হয়ে ঘটনা’র বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৯ এপ্রিল শ্যামনগর থানার পুলিশ কর্তৃক সুন্দরবনে শিকার করা হরিণের সাড়ে সাত মণ মাংস ভাগাভাগি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর শুরু হয় তোলপাড়। সে সময়ও শ্যামনগর থানার ওসি ছিলেন সৈয়দ মান্নান আলী। ওই সময় সাংবাদিকদের তথ্য দেবার অভিযোগ তুলে এসআই আরিফ সহ আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সে সময়ের হরিণ শিকারেও প্রত্যক্ষ সহায়তা দেন এসআই লিটন। কিন্তু তিনি বরখাস্ত থেকে কৌশলে রক্ষা পান।

    এখানে উল্লেখ্য,“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ক -এ রাষ্ট্র কর্তৃক জীববৈচিত্র,বন ও বন্যপ্রণী,সংরক্ষন্ ও নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।”এরই আলোকে ২০১২ সনের ৩০ নং আইন প্রনীত হয়।আইনটির শিরনাম হলো “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২। কোন ব্যক্তি’র অভয়ারণ্য সম্পর্কে বাধা নিষেধ প্রসঙ্গে এই আইনের ১৪ এর (ঙ) তে বলা হয়েছে,”প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিত কোন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করিতে পারিবেন না।এই আইনের ৩৫ ধারায় ধারা ১৪ এর বিধান লংঘনের দন্ড উল্লেখ করা হয়েছে।বলা হয়েছে,”কোন ব্যক্তি ধারা ১৪ এ উল্লেখিত কোন নিষিদ্ধ কর্মকান্ড করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন্ ও উক্তরুপ অপরাধের জন্য জামিন অযোগ্য হইবেন এবং তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা্ উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং এ্কই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৫ (পাচ) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৪ (চার) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

    অথচ পুলিশ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৩৭ (১) ও (২) এবং তৎসহ ১৮৭৮ অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) জামিন যোগ্য ধারায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।এক পর্যায়ে রাতভর নানা দেন দরবারের পর ৯ জুলাই সকালে তিনটি হরিণ, তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ট্রলারসহ তিন জনকে আসামী করে অস্ত্র ও বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হয়। হরিণ শিকারের মামলায় আসামীরা হলো,পাতাখালি গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ, কদমতলা গ্রামের ঈমান আলী ও বন্দকাটি গ্রামের কুরবান আলী মোড়লের ছেলে বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী জাপা নেতা আলহাজ¦ আব্দুস সাত্তার মোড়ল।
    এদিকে ১০ জুলাই আটককৃত আগ্নেয়াস্ত্র তিনটি লাইসেন্সধারী বন্দুক হওয়ায় তিন বন্দুকধারী মালিকের নামেও মামলা হয়েছে। আসামীরা হলো, পাতাখালি গ্রামের আয়জদ্দী গাজীর ছেলে আব্দুল আজিজ,হরিনগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাজীর ছেলে সালাউদ্দীন ও কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রমের আব্দুর রশিদের ছেলে হাফিজুল। দুটি মামলার ৬ জন আসামীর মধ্যে ৪ জনকে পালাতক দেখানো হয়েছে। আর আসামী মুনজু ও মহিবুল্লাহকে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এবিষয়ে কোষ্ট গার্ড এবং বন বিভাগের পক্ষ থেকে সঠিক আইনের ধারায় মামলা দায়ের না হওয়ায় জন মনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

    “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২। এই আইনের ১৪ এর (ঙ) তে বলা হয়েছে,” কোন ব্যক্তি অভয়ারণ্যে প্রধান ওয়ার্ডেন বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিত কোন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করিতে পারিবেন না।এই আইনের ৩৫ ধারায় ধারা ১৪ এর বিধান লংঘনের দন্ড উল্লেখ করা হয়েছে।বলা হয়েছে,”কোন ব্যক্তি ধারা ১৪ এ উল্লেখিত কোন নিষিদ্ধ কর্মকান্ড করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন্ ও উক্তরুপ অপরাধের জন্য জামিন অযোগ্য হইবেন এবং তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা্ উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন এবং এ্কই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৫ (পাচ) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৪ (চার) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। ইন্টারপোলের ৩২ তালিকাভূক্ত বাঘ শিকারীর মধ্যে একজন হলেন, আলহাজ্ব আঃ সাত্তার মোড়ল।এর আগে তার বিরুদ্ধে হরিণ শিকারের মামলা হলেও পুলিশ চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

    অথচ পুলিশ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ৩৭ (১) ও (২) এবং তৎসহ ১৮৭৮ অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) জামিন যোগ্য ধারায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষন ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ধারা-৩৭। (১) কোন ব্যক্তি তফসলি ১ এ উল্লখিতি কোন চতিা বাঘ, লাম চতিা, উল্লুক, সাম্বার হরণি, কুমরি, ঘড়য়িাল, তমিি বা ডলফনি হত্যা করলিে তনিি অপরাধ করয়িাছনে বলয়িা গণ্য হইবনে এবং উক্তরূপ অপরাধরে জন্য তনিি র্সবোচ্চ ৩ (তনি) বৎসর র্পযন্ত কারাদন্ড অথবা র্সবোচ্চ ৩ (তনি) লক্ষ টাকা র্পযন্ত র্অথদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনে এবং একই অপরাধরে পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে র্সবোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর র্পযন্ত কারাদন্ড অথবা র্সবোচ্চ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা র্অথদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনেঃ

    তবে শর্ত থাকে যে, চিতা বাঘ বা কুমির কর্তৃক কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হইলে এবং উহার ফলে তাহার জীবনাশঙ্কার সৃষ্টি হইলে জীবন রর্ক্ষাথে উক্ত আক্রমণকারী চিতা বাঘ বা কুমিরকে হত্যার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে নাঃ

    তবে আরো শর্ত থাকে যে, এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন মামলা দায়েরের প্রশ্ন দখো দিলে সংশ্লষ্টি স্টেশন র্কমর্কতা ওয়ার্ডন এর সহিত পরামর্শক্রমে মামলা দায়ের করতিে পারিবেন।

    (২) কোন ব্যক্তি তফসিল ১ এ উল্লেখিত কোন চিতা বাঘ, লাম চিতা, উল্লুক, সাম্বার হরিণ, কুমির, ঘড়িয়াল, তিমি বা ডলফিন এর ট্রফি বা অসর্ম্পূণ ট্রফি মাংস দেহের অংশ সংগ্রহ করিলে দখলে রাখিলে বা ক্রয় বিক্রয় করলিে বা পরিবহন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর র্পযন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনে এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাইলে সর্বোচ্চ ৪ (চার) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডতি হইবনে।

    রীটে ১/ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২ এর ১৪(ঙ) ধারা লংঘন করে পুলিশ সহ শিকারীদল সংরক্ষিত বনে প্রবেশ করায় আইন অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আইনের সঠিক ধারায় মামলা দায়ের করার ডাইরেকশন চাওয়া হয়েছে।

    রীটে ২/ “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন,২০১২ মোতাবেক বন্ কর্তৃপক্ষ মামলা করবে পুলিশ নয়। তাই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করায় মামলা স্থগিত করন আদেশ প্রদানের আবেদন করা হয়েছে।

    রীটে ৩/ বিচার বিভাগীয় তদন্তের ডাইরেকশন চাওয়া হয়েছে।

  • বৃহস্পতিবার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

    ঢাকা ব্যুরো : শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং।

    এর আগে বুধবার বিকেলে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে অভিভাবকদের মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়েছে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। এ ছাড়া কোনো কোনো স্কুলে বুধবার ক্লাস চলাকালেই স্কুল বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে দেয়া হয়।

    বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে রাস্তা অবরোধের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অঘোষিত নির্দেশে স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

    রাজধানীর ভিকারুননিসার এক অভিভাবক ক্ষুদে বার্তা পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছি না। স্কুল কর্তৃপক্ষ ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

  • জাবালে নূরের বাস মালিক গ্রেফতার

    ঢাকা ব্যুরো : দুই শিক্ষার্থীকে পিষিয়ে মারা জাবালে নূর পরিবহনের মালিক শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব)। বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

    গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল্লাহপুর-মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাসের রেষারেষিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল করিম রাজিব ও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম নিহত হন।

    এ ছাড়া আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় রোববার রাতেই রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও আদালত সূত্র জানায়, শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী হোটেল র‌্যাডিসন ব্লুর বিপরীত পাশে ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে যে বাসস্ট্যান্ড সেখানে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস সেখানে আসে।

    কিছুক্ষণ পর একই পরিবহনের আরেকটি বাস দ্রুতগতিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে টার্ন নেয় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায় বাসটি। কেউ চাকার নিচে পিষ্ট হয়, কেউ ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে।

    আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে করিম ও মিমকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

  • সড়ক পরিবহন আইনে সম্মতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়

    ঢাকা ব্যুরো : অবশেষে সড়ক পরিবহন আইনে ভেটিং (সম্মতি) সম্পন্ন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বুধবার এ আইনে ভেটিং সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দেন। এরপর নথিটি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

    নথিতে অনুমোদনের বিষয়ে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় যে শাস্তি হওয়া উচিত, তার সর্বোচ্চটাই থাকছে সড়ক পরিবহন আইনে।

    ১৯৯১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিজের স্ত্রীকে হারিয়েছেন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি জানি স্বজন হারানোর কষ্ট কী। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, বছরখানেক ধরে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিনি বলেন, সড়কে অনেক রকম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। জানার চেষ্টা করেছি কী কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে রাস্তার কারণে, গাড়ির কারণে, মানুষ চলাচলের কারণে, দুর্ঘটনা হতে পারে। এসব কারণের ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রভিশন করা হয়েছে কী না, সেগুলো (একই ঘটনা) যাতে না ঘটে, সে জন্য পর্যাপ্ত প্রভিশনের মধ্যে আছে কী না এবং সেখানে আইনের কোনও ফাঁকফোকর আছে কী না, সেসব দেখে এটা (সড়ক পরিবহন আইন) প্রস্তুত করা হয়েছে।

    দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণে তড়িঘড়ি করে আইনটি প্রস্তুত হলো কিনা এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা কাকতালীয় ঘটনা। এটা নিয়ে অনেক দিন ধরেই কাজ চলছিল। আর এরই মধ্যে এ রকম একটা দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এ রকম ঘটনা যেন আর না ঘটে সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পক্ষ থেকে যা যা উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার সবই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী চান আইনটি দ্রুত পাস হোক এবং অপরাধীরা শাস্তি পাক।

    গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর বাসচাপায় মৃত্যুর ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে সেই মামলার বিচার যাতে দ্রুত হয় সেদিকে আমি খেয়াল রাখব। প্রয়োজনে আমি প্রসিকিউশনকে বলব, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার যেন দ্রুত করা হয়।

    আইনে কী কী বিধান আছে, শাস্তির বিধান কী- জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এটা অত্যন্ত আধুনিক একটা আইন হয়েছে। আইনটিতে ত্বরিত গতিতে বিচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং কোনও অপরাধী ফাঁকফোকর দিয়ে বের হতে পারবে না। কেউ বড় অপরাধ করে কম শাস্তি পাবে না। আবার ছোট অপরাধ করে বড় শাস্তি পাবে না।

    তিনি বলেন, এছাড়া আইনে ১২টি পয়েন্ট রাখা হয়েছে, ড্রাইভারের নানা ভুলের শাস্তি হিসেবে ব্যবহার হবে এই পয়েন্টগুলো। বিদেশেও চালকের ভুল হলে পয়েন্ট ধরে শাস্তি হয়। এই আইনেও যে ১২টি পয়েন্ট রাখা হয়েছে তার থেকে কারো পুরো ১২ পয়েন্ট কেটে যায় তাহলে তিনি আর কোনো দিনই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবে না। তিন পয়েন্ট কাটা গেলে কি হবে সেটাও আইনে বলা আছে।

    আইনমন্ত্রী বলেন, এখন এই আইনটা মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। আইনটা অনুমোদন হলে সব পক্ষই ন্যায়বিচার পাবেন। মানুষ মেরে কেউ কম শাস্তি নিয়ে চলে যাবেন এটা তো হবে না। সব কিছু অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে যে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে সেটা চূড়ান্ত বলে জানান মন্ত্রী। সড়ক ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে যেসব জিনিস রাখা উচিত সবই রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও আইনে রাখা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ মার্চ এই আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আইন মন্ত্রণালয় থেকে সড়ক পরিবহনে পাঠানো আইনটির খসড়া এখন চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে মন্ত্রিসভা। ওই অনুমোদনের পর তা পাস করতে সংসদে তোলা হবে।

  • ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা; সভাপতি শোভন, সম্পাদক রাব্বানী

    ঢাকা ব্যুরো : ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। সভানেত্রীর পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন সভাপতি মোঃ রেজানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ জোবায়ের আহমেদ।

  • জাবালে নূরের সেই চালক সাত দিনের রিমান্ডে

    ঢাকা ব্যুরো : রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার জাবালে নূর গাড়ির চালক মাসুম বিল্লাহকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা এ আদেশ দেন।

    ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম জাবালে নূর পরিবহনের চালক মাসুম বিল্লাহকে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

    বিআরটিএর উপপরিচালক (আইন) মো. তারিক হাসান বলেন, দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবালে নূরের নিবন্ধন ও ফিটনেস সনদ আজই বাতিল করেছে বিআরটিএ। বাসচাপার ঘটনায় জড়িত ওই দুই চালকের লাইসেন্সও দ্রুতই বাতিল করা হবে।
    এ বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, ‘জাবালে নূরের যে দুটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। গাড়ি দুটির যে চালকরা আছেন, তারা যেন ভবিষ্যতে কোথাও গাড়ি চালাতে না পারেন, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    ঢাকা ব্যুরো : রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী ঘাতক চালকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

    আজ বুধবার বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে তিন মন্ত্রীকে নিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে সড়কে ফিটনেসবিহীন, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি যাতে না চলে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।

    বাস টার্মিনালেই এসব পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, গাড়ির ফিটনেস না থাকলে সেটি টার্মিনাল থেকে বের হতে দেয়া হবে না। একইভাবে চালকেরও লাইসেন্স পরীক্ষা করা হবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী রাস্তায় থাকবে। যে গাড়িটি সন্দেহ হবে, সেটিকেই তারা চ্যালেঞ্জ জানাবে। সব কিছু ঠিকঠাক দেখাতে না পারলে তা আটকে দেয়া হবে।

    তিনি বলেন, এ ছাড়া শ্রমিক ও গাড়িচালকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে মালিকরা ব্যবস্থা নেবেন।

    কোনো চালক কিংবা পরিবহন অবৈধ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলে সেগুলো দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তোমাদের বার্তা দেশব্যাপী পৌঁছে গেছে। তোমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। কাজেই তোমরা অবরোধ তুলে নাও, ক্লাসে ফিরে যাও।

    অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সন্তানদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেন। সারা দেশ অচল হয়ে গেছে। এটি কারও কাম্য হতে পারে না।

    তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এবার অবরোধ তুলে নেবেন বলেই আমরা মনে করছি। আমাদের ছোট ছোট শিশুরাও গাড়ি ভাঙচুর করতে চায় না।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চার দিনের বিক্ষোভে ৩০৯ গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আটটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও রয়েছে।

  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু ৫ আগস্ট

    ঢাকা ব্যুরো : এমপিও-বিহীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া আগামী ৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে। এ আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত।

    বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.shed.gov.bd) অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dshe.gov.bd) অথবা ব্যানবেইসের ওয়েবসাইট (www.banbeis.gov.bd)-তে“ Online M.P.O. Application” শিরোনামে প্রদর্শিত link এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

    হার্ডকপির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোন আবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বা তার অধীন দপ্তরে দাখিল করা যাবে না।

    প্রজ্ঞাপনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, এ কার্যক্রমে তদবির করার সুযোগ নাই।নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে এবং এ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট নির্দেশকের ভিত্তিতে এমপিও প্রত্যাশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা প্রস্তুত করা হবে।

  • জাবালে নূর পরিবহনের ওই ২ বাসের রুট পারমিট বাতিল

    ঢাকা ব্যুরো : বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জের ধরে মিরপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের রুট পারমিট বাতিল করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।

    বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় বিআরটিএর চেয়ারম্যান এ ঘোষণা দেন।

    দুই বাসের প্রতিযোগিতায় রবিবার কুর্মিটোলায় বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে দুই বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের দাবি ঘাতক চালকের মৃত্যুদণ্ড ও নিরাপদ সড়ক।

  • এবার যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের গাড়িচাপা, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা

    ঢাকা ব্যুরো : বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর বাস উঠিয়ে দেয়ার ঘটনায় চার দিন ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই এবার যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের ওপর পিকআপ (নারায়ণগঞ্জ-ড ০২-০২৪০) উঠিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

    এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রাণ বাঁচাতে দুপাশে লাফিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পাঁচজন আহত হন। এ সময় এক শিক্ষার্থী রাস্তায় পড়ে গেলে তার ওপর দিয়েই পিকআপ চালিয়ে দেয়া হয়।

    ওই শিক্ষার্থীর নাম ফয়সাল। তিনি দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

    হামলাকালে আবদুল্লাহ আল রাকিব নামে সিটি কলেজের এক ছাত্রের মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় শনিরআখড়ার দেশবাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসব ঘটনা ঘটেছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে জড়ো হয়ে মিছিল করার পাশাপাশি গাড়ি থামিয়ে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখছিলেন।

    একপর্যায়ে এক পিকআপ চালকের লাইসেন্স দেখতে চাইলে তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেন। এ সময় শিক্ষার্থী ফয়সাল ছিটকে গাড়ির নিচে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ইয়াসিনসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    দনিয়া কলেজের শিক্ষার্থী এবং নিরাপদ সড়ক চাই কমিটির দনিয়া কলেজ শাখার নেতা আকাশ ও আবির ফুয়াদ বলেন, বাসের চাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টেনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আমরা সকাল ৯টা থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। আমরা গাড়ির চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করার সময় পিকআপচালক আমাদের সহপাঠী ফয়সালের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেন।

    শিক্ষার্থীরা জানান, ফয়সালকে পিষে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা দৌড়ে গিয়ে চালকসহ পিকআপটি আটক করেন। পরে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের কাছে চালক ও পিকআপটি সোপর্দ করা হয়।

    এদিকে গাড়ি উঠিয়ে দেয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ২০-২৫টি যানবাহন ভাঙচুর করেন। এ সময় বাসযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

    পরে ডিএমপি ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ।

    দুপুর ১২টার দিকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে ৩০ মিনিট যেতে না যেতেই শিক্ষার্থীরা আবারও সড়ক অবরোধ করেন।

    এদিকে শুরুতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ন্যায্য বলে আখ্যা দেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

    এর মধ্যে দনিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত রহমান মিথিল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আকছির, কদমতলী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম রাজু, যাত্রাবাড়ী থানা যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন ও কদমতলী থানা যুবলীগ নেতা উজ্জ্বল আহমেদ  বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

    তবে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে একযোগে হামলা চালান ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে আবদুল্লাহ আল রাকিবের মাথা ফেটে যায়।

    উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মীম নিহত হন। বাসচাপায় আহত হন আরও ১৩ জন।

    এ ঘটনা কেন্দ্র করে চার দিন ধরে রাজধানীজুড়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত পরিবহনকর্মীদের বিচার ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি জানান।

  • জেলায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৫৫

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে চার মাদক মামলার আসামী ও এক জামাত কর্মীসহ ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পযর্ন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৮ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন,দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় তেলবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায়  মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায় এক মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক ট্যাঙ্ক ও তার চাললকে আটক করা হয়েছে।
    নিহতের নাম মোশাররফ হোসেন (৪০)। তিনি  সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নবাকী গ্রামের শেখ আবু ইউসুফের ছেলে ও তিব্বত কোম্পানীর জ্যেষ্ঠ রিপ্রেজেনটেটিভ।
    প্রত্যক্ষদর্শী এ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী জানান, মোশাররফ হোসেন পেশাগত কাজে বুধবার পৌনে ১০টার দিকে মোটর সাইকেলে সদর হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে পৌঁছালে মজুমদার ফিলিং স্টেশনের একটি জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকার তার মোটর সাইকেলের পিছন দিকে ধাক্কা মারে। এতে তিনি রাস্তার উপর পড় গেলে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্যাংক ও তার চালককে আটক করা হয়েছে। নিহত মোশাররফ হোসেন তিববত কোম্পানীতে চাকুরি করেন বলে জানতে পেরেছি।
  • সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’র বর্ণাঢ্য আত্মপ্রকাশ

     

     

    ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় জমকালো আয়োজনে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে আত্মপ্রকাশ করলো নবীনতম দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা।
    সোমবার (৩০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় পলাশপোলে (চৌধুরী পড়া) সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’র কার্যালয় চত্বরে পত্রিকাটির মোড়ক উন্মোচন করেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাঈন উদ্দীন আহমেদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’র সম্পাদক ও প্রকাশক এ কে এম আনিছুর রহমান।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা নান্দনিকভাবে পথচলা শুরু করুক। জনগণকে নিয়ে ভাবুক। ভালো লেখা প্রকাশের মাধ্যমে সাতক্ষীরার আদর্শ মানের জায়গা বিশ্বের মাঝে তুলে ধরুক। কিছু কিছু কারণে উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হয়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা মিথ্যা সংবাদ পরিবশেন করবে না। মিথ্যা সমাজকে ধ্বংস করে দেয়।
    স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা মানে গুড মর্নিং। আর গুড মর্নিং এর বিপরীতে গুড মর্নিংই বলতে হবে। তিনি পত্রিকার সম্পাদকের কাছে আশা প্রকাশ করে বলেন, কোন ধরণের ছাড় দেওয়ার মন মানসিকতা না রেখেই কাজ করতে হবে। আমি উদ্বোধনী সংখ্যা সংরক্ষণ করে রেখেছি। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিয়ে সমাধান চাইলে এখানেই তা পাওয়া সম্ভব। পত্রিকাটি যেন জনগণের কথা বলে। আর তাতে যদি কেউ বিরাগভাজনও হয় তা যেন সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে থামাতে না পারে।
    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মঈনউদ্দিন সুপ্রভাত সাতক্ষীরার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
    জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সময়ে পত্র-পত্রিকার স্বাধীনতা প্রদান করেছেন। সকলের খারাপ কাজের পাশাপাশি যেন ভালো কাজের চিত্রও তুলে ধরা হয়। একই সাথে তিনি বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা যেন সাতক্ষীরার সুপ্রভাত হয়।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ বলেন, আমরা বলি এক আর করি আর এক। সংবাদ মাধ্যমের উচিৎ হবে জনগণের পক্ষে থাকা। আর এটাই নিরপেক্ষ। পত্রিকার কাছে আশাবাদী হয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরবে সুপ্রভাত সাতক্ষীরা। একই সাথে লেখনীর মাধ্যমে উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরার আহবান জানান তিনি।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বলেন, অনেকেই পত্রিকার ডিক্লারেশন নেয় ভালো সংবাদ পরিবেশনের নাম করে। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর ধরে রাখে না। সংবাদ মাধ্যমকে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সহায়ক হিসেবে কাজে লাগায়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা জনগণের পক্ষে কাজ করে সঠিক আর সুন্দর সংবাদ পরিবেশন করবে।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী বলেন, শত ফুল ফুটতে দাও, শত সরোবর জন্ম নিক। তাহলেই আমরা ভালো থাকবো। তিনি আরও বলেন, যে পত্রিকা কোন ভালো সংবাদ দিতে পারে না সেটা কোন পত্রিকাই নয়। এছাড়া তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা সমাজ আর জনগণের পরিবর্তনের আর ভালোর সংবাদ নিয়ে আসবে এটাই প্রত্যাশা।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি বলেন, যে উদ্দেশ্যে আর যে আকাক্সক্ষা নিয়ে সুপ্রভাত সাতক্ষীরার উদয় হলো তা যেন প্রস্ফুটিত হয়। গণ মানুষের কথা যেন এই পত্রিকার মাধ্যমে উঠে আসে। একই সাথে তিনি সুপ্রভাত সাতক্ষীরার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
    সময় টেলিভিশনের মমতাজ আহমেদ বাপী বলেন, সূর্য যেমন অন্ধকার কাটায়, ঠিক তেমনি সুপ্রভাত সাতক্ষীরা তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অন্ধকার দূর করবে। আলো ছড়াবে চতুর্দিক।
    সুপ্রভাত সাতক্ষীরার সম্পাদক ও প্রকাশক একেএম আনিছুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, নতুন ধারার দৈনিক হিসেবে সুপ্রভাত সাতক্ষীরার মানুষের মনে স্তান করে নেবে। এই পত্রিকার সকল বিষয়ে সকলের পরামর্শ ও দোয়া কামনা করে তিনি আরও বলেন, এই পত্রিকার মাধ্যমে উঠে আসবে সমাজের কথা। জনগণের কথা। একই সাথে পত্রিকার গুণগত মান উন্নয়নে রিসার্চ সেল গঠন করা হবে।
    এদিকে, ঢাকা ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার এভিপি ও ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবীর সুপ্রভাত সাতক্ষীরার সম্পাদককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে আত্মপ্রকাশের দিনে সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সাতক্ষীরা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক মোজাম্মেলক হক, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবুল ওয়াজেদ কচি, সাংবাদিক ড. দিলীপ দেব, সাপ্তাহিক ইচ্ছে নদী সম্পাদক মকসুমুল হাকিম, সূর্যের আলো সম্পাদক পল্টু চৌধুরী, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিল্টন, বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী এমএ জলিল, সাহিত্যিক গাজী শাহজাহান সিরাজ, মনিরুজ্জামান ছট্টু, শুভ্র আহমেদ, পল্টু বাসার, সঙ্গীত শিল্পী মুনজুরুল হক, আবু আফফান রোজ বাবু, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জো¯œা দত্ত, স্বদেশ পরিচালক মাধব দত্ত, শিক্ষক নেতা মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুণ অর রশিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান, সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক কাজী আলাউদ্দীন ফারুকী প্রিন্স, জনতা ব্যাংক তালা উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. শাহিনুর রহমানসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    এর আগে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে মাউস ক্লিক করে সুপ্রভাত সাতক্ষীরার অনলাইন ভার্সন ও মোড়ক উন্মোচন করে সুপ্রভাত সাতক্ষীরার প্রিন্ট ভার্সন উদ্বোধন করেন।

  • সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ। দাফনে দুই স্ত্রীর টানা হেঁচড়া ৩৬ ঘন্টা ঘরে পচলো আইনজীবীর লাশ |

    নিজস্ব প্রতিনিধি : মরেও যেনো শান্তি পেলেন না সাতক্ষীরার বিশিষ্ট আইনজীবী মো. ইয়ার আলি (৮০)। ষষ্ঠবারের মতো মস্তিস্কে রক্তক্ষরনে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল আটটার দিকে মারা যান তিনি। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরার বাড়ি কলরোয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে।
    তবে বাড়িতে আনার পর ৩৬ ঘন্টা পার হলেও তার দাফনের কাজ সম্পন্ন হতে পারেনি । পারিবারিক জটিলতায় আটকে আছে তার দাফনের কাজ। এরই মধ্যে তার মরদেহে পচন ধরেছে। মঙ্গলবার বিকালে এই রিপোর্ট লেখার সময়ও তার মরদেহ ছিল প্রয়াত আইনজীবীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে। দাফনে বাধা দিয়েছেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তার ছেলেমেয়েরা।
    জানা গেছে, অ্যাডভোকেট ইয়ার আলির দুই স্ত্রীর প্রথমা জোহরা খাতুনের চার মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছেন। অপরদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী শাহিদা খানমের রয়েছে একমাত্র ছেলে প্রিন্স। জানা গেছে ইয়ার আলি তার জীবদ্দশায় তার নামীয় ৩০ বিঘারও বেশি সম্পত্তি , কোটি টাকার উপরের ব্যাংক ব্যালান্স এমনকি বসত বাড়ির পুরোটাই তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও ছেলে প্রিন্সের নামে লিখে দিয়েছেন। জমি বাড়ি ও গচ্ছিত টাকা এক কড়িও পাননি তার প্রথমপক্ষের স্ত্রী ও তার সন্তানরা। অ্যাডভোকেট ইয়ার আলির মৃত্যুর পর তারা পৈতৃক সম্পত্তি ও টাকাকড়ির দাবি করেছেন। এসব না পাওয়া পর্যন্ত তারা ইয়ার আলিকে দাফন করতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
    এরই মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য তার বাড়িতে গেছেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেনসহ আইনজীবীদের একটি দল। একই সাথে সেখানে বারবার গেছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ এবং স্থানীয় কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনসহ অনেকেই। তারা বিষয়টি সমঝোতামূলকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ফলে মঙ্গলবার বিকাল নাগাদও তাকে দাফন করা হয়নি। এরই মধ্যে মরদেহে পচন ধরতে শুরু করেছে বলে জানান এলাকাবাসী। চেয়ারম্যান জানান তার পেট ফুলে গেছে। নাক ও কান বেয়ে রক্ত আসছে। দুর্গন্ধ ছুটছে।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রয়াত আইনজীবী ইয়ার আলির প্রথমপক্ষের স্ত্রী জোহরা খাতুনের ছেলে অ্যাড. হাসনাত কবির জানান ‘আমার বাবা আমার মা ও তার চার মেয়ে এবং আমাকে সহ প্রথমপক্ষের সবাইকে জমি টাকা ও বাড়ির স্বত্ত্ব থেকে বঞ্চিত করে গেছেন। তিনি আমাদের কাউকে এক কানাকড়িও দেননি। তিনি তার সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দ্বিতীয় পক্ষের মা ও তার ছেলে প্রিন্সকে দিয়ে গেছেন। এতেই আমরা ক্ষুব্ধ। সহায় সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ আমাদের নামে না দেওয়া পর্যন্ত তার লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না’।
    ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে বারবার চেষ্টা করেও দাফনে নিজের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন বলেন প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী দুই পক্ষই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। তিনি বলেন প্রথম পক্ষ বলছে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তাদেরকে কিছু সম্পদ দিতে হবে। অপরদিকে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও তার সন্তানদের দাবি প্রয়াত আইনজীবী ইয়ার আলিকে গত ৩২ বছর ধরে সেবা দিচ্ছেন তারা। এজন্য তিনি সন্তুষ্ট হয়ে সব কিছু তাদের নামে দিয়ে গেছেন। এর থেকে এক শতক জমিও আমরা দেব না। চেয়ারম্যান জানান গ্রামের ৯৯ শতাংশ মানুষ চায় প্রথমপক্ষকে কিছু সম্পদ দিতে। কিন্তু তাদের চাওয়াও নিস্ফল হয়ে গেছে। তবে দ্বিতীয় পক্ষের দাবি প্রয়াত ইয়ার আলি তার পৈতৃক জমির পুরোটাই প্রথম পক্ষকে দিয়ে গেছেন। তবে নিজের উপার্জিত অর্থ ও সম্পদের কোনা অংশ তাদের দেননি।
    চেয়ারম্যান আরও বলেন ‘ শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় পক্ষ সাড়ে সাত বিঘা জমি নিজেদের নামে রেখে বাকিটা ভাগবাটোয়ারা করে দিতে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে স্ট্যাম্পে লেখালেখি চলছে। এটি হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে’।
    এ প্রসঙ্গে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ জানান প্রয়াত আইনজীবী ইয়ার আলির দাফন সম্পন্ন করার নির্দেশ চেয়ে জেলা আইনজীবী সমিতি সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেছে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে যথাযথ নির্দেশ পেলে প্রয়োজনে পুলিশ তাকে ইসলামী শরিয়ত মতে দাফন করার ব্যবস্থা করবে। ওসি আরও বলেন তিনি এমন একটি নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।
    এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেন বলেন ‘আমি সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। শেষ পর্যন্ত আদালতের শরণাপন্ন হয়ে দাফনের নির্দেশ পেয়েছি। এই নির্দেশের কপি কলারোয়া থানায় পৌছালেই পুলিশ তার দাফনের ব্যবস্থা নেবে’ বলে তিনি জানান । সন্ধ্যা নাগাদ বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে পারে বলেও জানান তিনি।