Blog

  • সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত 

    সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত 

    কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে  শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মনোযোগী করতে সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাতক্ষীরা পি এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে। এ বৃত্তি পরীক্ষায় প্রাইমারি,মাদ্রাসা ও
    কিন্ডারগার্টেনসহ ১৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৫৪ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষায় ৮০ থেকে ৯০ নম্বর পেলে সাধারণ গ্রেড এবং ৯১ থেকে ১০০ নম্বর পেলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি দেয়া হবে। বৃত্তি পরীক্ষার হল গুলি পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক খোঁজখবর নেন সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডারগার্টেন এসসিয়েশনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর রহমান কাজল। পরবর্তীতে বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে জানিয়েছে সংগঠনের প্রধান।  এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
  • বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা শহর শিবিরের ফ্রী  ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন

    বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা শহর শিবিরের ফ্রী  ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন

    বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা শহর শিবিরের ফ্রী  ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন
    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা সদর : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার উদ্যোগে ফ্রি ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (১৬ই ডিসেম্বর) সকাল  ৯ টা ৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা শহরের  নিউমার্কেট চত্বরে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
    সাতক্ষীরা শহর শাখার সভাপতি আল মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফ্রি ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পিইনের  শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান।
    ক্যাম্পেইনে শিশু-কিশোর, শিক্ষক, সংবাদকর্মী শিক্ষার্থী এবং ছাত্র ও জনসাধারণের  মাঝে ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।
    প্রধান অতিথি  বক্তব্যে মাওলানা আজিজুর রহমান
    বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আমজনতা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল, দীর্ঘ 16 বছরের স্বৈরাশাসনের জুলুম নির্যাতনের কারণে মানুষ তার বাক স্বাধীনতা হারিয়েছিল, ছাত্র জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ই আগস্ট দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বৈরাচারমুক্ত হয়ে স্বাধীন হয়েছে।
    তিনি আরো বলেন, আজকে মহান বিজয় দিবসে সাতক্ষীরা শহর শিবির যে মহতী উদ্যোগ নিয়েছে আমি তার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এই ফ্রী ব্লাড ক্যাম্পিং এর কারণে সাধারণ জনতা যাদের টাকা দিয়ে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা কঠিন তারা বিনা খরচে তাদের রক্তের গ্রুপটি জানতে পারবে।
    সভাপতির বক্তব্যে আল মামুন বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি আদর্শ,  মানবতাবাদী এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগঠন। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় গরিব-দুঃখী মেহনতী মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে কাজ করে থাকে। যে সকল শিক্ষার্থীরা তাদের পড়ালেখার খরচ চালাতে সক্ষম নয় তাদেরকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ,শিক্ষার্থীদের কে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান সহ বিভিন্ন মানব সেবামূলক কাজ করে থাকে। তারি ধারাবাহিকতা হিসেবে আজকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে থ্রি ক্যাম্পিং আয়োজন করা হয়েছে আশা করি এই কল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশাপাশি আমজনতা বিনামূল্যে তাদের গ্রুপ টেস্ট করে জানতে পারবে।
    বিনামূল্যে পরীক্ষা করাতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষক -শিক্ষার্থী,  মিডিয়া কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
  • মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় বিএনপির র‍্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত 

    মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় বিএনপির র‍্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত 

    সাতক্ষীরায় বিএনপির বিজয় দিবসের র‍্যালি ও আলোচনা সভা
    ১৬ই ডিসেম্বরমহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে পৌর বিএনপি’ উদ্যোগে বর্ণিল বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
     সোমবার (১৬ই ডিসেম্বর) পৌর বিএনপির আয়োজনে সকালে শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে বিজয় র‍্যালি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করো খুলনা রোড মোড়ে শেষ হয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    পৌর বিএনপির আহবায়ক শের আলী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপি সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম।
    এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান হাবিব,সদর বিএনপির সদস্য সচিব নুরেআলম সিদ্দিকী,জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক আবু জাহিদ ডাবলু সহ আরো অনেকে।
    বক্তব্যে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদীলীগ হাসিনার দুঃশাসনের কারাবদ্ধ ছিলো বিএনপির নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে সবাইকে।
  • আশাশুনির কুল্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মীসভা ও বিজয় র‌্যালী 

    আশাশুনির কুল্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মীসভা ও বিজয় র‌্যালী 

    ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় কর্মীসভা ও বিজয় র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ বাদশা হোসাইন পলাশের নেতৃত্বে বিজয় র‌্যালী বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। ৩নং কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে এ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোঃ রাশেদ হোসাইন। ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক ছাত্রনেতা ও কুল্যা ইউনিয়নের যুবনেতা মোঃ বাদশা হোসাইন পলাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ জাকির হোসেন বাবু। সভায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ সবুজ হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য এ‌্যাডঃ জিয়াউর রহমান, কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ইব্রাহিম হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক শাহবুদ্দিন হোসেন, প্রতাপনগর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা হেলালুজ্জামান, ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য আজাহারুল হক, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আতিক হোসেন, রিপন হোসেন, কুল্যা ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মোঃ মোমিনুর রহমান, সদস্য সচিব মোঃ শরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ ইমন হোসেন, কুল্যা ইউনিয়ন তারেক পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মিজানুর রহমান, শোভনালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ মোঃ হোসেন প্রমুখ। এছাড়া ভার্চুয়ালে ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
  • ধুলিহর ইউনিয়ন জামায়াতের যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    ধুলিহর ইউনিয়ন জামায়াতের যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা সদর  ধুলিহর ইউনিয়ন জামায়াতের যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার হল রুমে এ যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
     ধুলিহর ইউনিয়ন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন   বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা যুব বিভাগের সভাপতি ও জেলা জামায়াতের  সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক।
     বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা ইউনিট সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ আলী হাবিবী,  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জামায়াতের  আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুস সবুর,  উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মাওলানা রবিউল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার যুব বিভাগের সেক্রেটারী মো: আশরাফুল ইসলাম বুলু,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ধুলিহর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম, সেক্রেটারী মো রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা মনিরুল ইসলাম বিলালী,
    যুব বিভাগের সহ সভাপতি বায়জিদ,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাহানাবাজ মাদ্রাসা শাখার সেক্রেটারি হাফেজ আল আমিন  বোস্তামি সহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম।এসময় বক্তারা বলেন, ইসলাম প্রতিষ্টায় যুবকদের ভুমিকার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরা হয়।যুব সমাজকে ইসলামী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে, তা না হলে আগামীর যুবকদের আমাদের কে জবাবদিহী করতে হবে।যুবকদের হিলফুল ফুজুল সংগঠনের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। যাতে আগামীর দিনগুলো ইসলামের জন্য সহজ হয়ে যায়।
  • সাতক্ষীরায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে  শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে  শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

     সাতক্ষীরায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাতক্ষীরা  মিলনায়তনে ৬টি ক্যাটাগরীতে
    এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
    চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ‘ক- বিভাগে শিশু শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী, খ- বিভাগে তৃতীয় শ্রেণীর  থেকে পঞ্চম শ্রেণী, গ- বিভাগে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী, ঘ- বিভাগে ৯ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত, ঙ- বিভাগে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু  শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
     প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস,  শিশু একাডেমি সাতক্ষীরার শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম,জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা ইসলাম অন্বেষা। এসময় শিশু একাডেমি সাতক্ষীরার লাইব্রেরিয়ান মো. রফিকুল ইসলামসহ অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    প্রতিযোগিতায় ৪টা ক্যাটাগরিতে ১২ শিক্ষার্থী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ৫ শিক্ষার্থীকে ১৬ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ মিনিটে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
  • আশাশুনি কুল্যায় কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি কুল্যায় কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনি কুল্যায় কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত বাংলাদেশে সংখ্যা গরিষ্ট কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাস ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে কুল্যা ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে শনিবার বিকালে উপজেলার কাদাকাটি হাজির হাটখোলায় এ কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ কুল্যা ইউনিয়নের কৃষক দলের আবায়ক মোঃ মমিনুল রহমানের সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আব্দুল কাদেরের পরিচালন কৃষক সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক গাজী আমিনুর রহমান মিনু, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ লিয়াকাত হোসেনে। এ সময় উপজেলা, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কৃষক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • মহান বিজয় দিবস উদযাপনে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    মহান বিজয় দিবস উদযাপনে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপনে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে ক্লাবের কার্যালয় মহান বিজয় দিবস উদযাপন এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চলের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বি এম আলাউদ্দীনের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়ার সহ-সভাপতি এম এম সাহেব আলী, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন আসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুবুল হাসনাইন টুটুল, সদস্য নুরুল ইসলাম সহ রিপোর্টার্স ক্লাবের সকল কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ। সভায় ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
  • পলাশপোল সামাজিক ধর্মীয়  সম্প্রীতি কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    পলাশপোল সামাজিক ধর্মীয় সম্প্রীতি কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    পলাশপোল সামাজিক ধর্মীয় সম্প্রীতি কমিটির এক আলোচনা
    সভা ১৪ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৭টায় শহরস্থ আমজাদিয়া
    দাওয়াখানার উপর তলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলহাজ্ব দাউদ সরদারের
    সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন মোঃ আব্দুর রকিব,
    মোঃ আইয়ুব হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, মোঃ শাহাদাত হুসাইন,
    হাফেজ মোঃ মোক্তার হোসেন, হাফেজ মুহাঃ শহীদ আরেফিন, হাফেজ মাও
    মোঃ হাবিবুল্লাহ, মোঃ আছাদুজ্জামান, হাফেজ মোঃ শহীদুল ইসলাম,
    কাজী আনারুল মাহামুদ, মোঃ আলীমুল ইসলাম, মোঃ হাবীবুল্লাহ
    হাবীব, মোঃ হাফিজুল রহমান, লিয়াকাত হোসেন, মোঃ আবুল
    মোকাররম, মোঃ মাহমুদুল হক, আব্দুল কাদের, ফজলুর রহমান মিঠু, মোঃ
    আরাফাত হোসেন, মোঃ সেলিম মোড়ল, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ
    খাইরুল বাসার, মোঃ জবেদ আলী, মোঃ মুজিবুল হক, এ এফ এম নুরুল
    আলম, মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমুখ। সভায় উপস্থিত সকল সদস্যদের
    মতামতের ভিক্তিতে মেয়াদ উত্তীন বিগত কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং
    আলহাজ্ব মোঃ আইয়ুব হোসেনকে আহবায়ক এবং হাফেজ মাও মোঃ
    শাহাদাত হুসাইনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক
    কমিটি গঠন করা হয়। উল্লেখিত আহবায়ক কমিটি আগামী ২১
    দিনের মধ্যে পূনাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপস্থিত
    সকলেই সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
    সমগ্র সভা পরিচালনা করেন মোঃ আব্দুর রকিব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

  • সাতক্ষীরা কলেজের প্লাটিনাম জুবলী’র নিবন্ধন ফি রিভিউ করার আহবান রাজনীতিকদের

    সাতক্ষীরা কলেজের প্লাটিনাম জুবলী’র নিবন্ধন ফি রিভিউ করার আহবান রাজনীতিকদের

    অতিরিক্ত নিবন্ধন ফি নির্ধারণ হওয়ায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার ৭৫বছর পূর্তিতে প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন অনুষ্ঠানে রাজনীতিক প্রাক্তন প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে আশাহত প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও রাজনীতিকরা। সংশ্লিস্টরা বলছেন, নিবন্ধন ফি অতিরিক্ত হয়ে গেছে। সহনশীল ও গ্রহণযোগ্য হলে অধিকাংশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতো। আরো বলছেন, বিভিন্ন জনপদে কোন বিশেষ ব্যক্তি বা ঘটনা বা কোন কিছুর প্রতিষ্ঠার সময়কালের সূত্র ধরে জয়ন্তী বা জুবিলীর কথা শোনা যায়। এর প্রবর্তন হয়েছে প্রাচীন রোমান সভ্যতা থেকে। বর্তমানে জয়ন্তী পালনের পরিব্যাপ্তি প্রায় সর্বক্ষেত্রে লক্ষণীয়, যেমন- স্বাধীনতা, রাজ্যাভিষেক, ব্যক্তি, ভাষা, প্রতিষ্ঠান, ঘটনা, যুদ্ধ জয়, আবিষ্কার,  খেলাধূলা ইত্যাদি। এই জয়ন্তী পালন এখন আর অনানুষ্ঠানিক নয়, প্রায় প্রতিটি দেশে স্ব স্ব আঙ্গিকে পুরোপুরি আনুষ্ঠানিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকৃত পক্ষে জুবিলীর অর্থ হলো উৎসব মুখর পরিবেশে জন্মতিথি পালন। আর এটাকে বাংলায় বলা হয় জয়ন্তী। ইংরেজী জুবিলী শব্দটি এসেছে ফ্রান্স শব্দ Bubile এর অপভ্রংশ থেকে। অবশ্য এর আদি ল্যাটিন শব্দ  Jubilaeus মূলত কোন ঘটনা বা ব্যক্তির যথাক্রমে সূত্রপাত ও জন্মকে ঘিরে সুনির্দিষ্ট সময়কাল পূরণ হওয়ার উপলক্ষে করে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক স্মৃতিচারণের আনন্দঘন অনুষ্ঠান।
    জানা গেছে, সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছেন। এদের মধ্যে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত আনু. ২০ হাজার, জামায়াতের হাজার হাজার, আওয়ামী লীগের আনু. ৩৬ হাজার, জাতীয় পার্টির আনু. ৩ হাজার, জাসদের আনু. ২ হাজার, ওয়ার্কার্স পার্টির আনু. ১০০০, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শতাধিক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের আনু. ১০০০, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আনু. ২০০০, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আনু. ২০০, বাংলাদেশ জাসদের আনু. ১’শ, গণফোরাম আনু. ৩’শ, নাগরিক ঐক্য আনু. ৪৮সহ প্রায় লক্ষাধিক।
    আরো জানাগেছে, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার ৭৫বছর পূর্তিতে প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন লক্ষ্যে গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যায় ২য় মতবিনিময় সভায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফি ২ হাজার টাকা ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফি ১ হাজার টাকা র্নিধারণ করেন। এরপূর্বে গত ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যায় ১ম সভায় প্রস্তাবিত আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফি ২ হাজার টাকা ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফি ১ হাজার ৫’শ টাকা র্নিধারণ করেন। এছাড়াও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার ৭৫বছর পূর্তিতে প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন লক্ষ্যে ৩য় (চুড়ান্ত) মতবিনিময় সভা শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাসেম-এর সভাপতিত্বে কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে একটি প্রস্তাবিত বাজেট সকলের সামনে উপস্থাপন করেন জেলা বিএনপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম ফারুক ও মো. কামরুজ্জামান রাসেল। পৃথক পৃথকভাবে তারা বলেন, কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য ২হাজার ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য ১হাজার টাকা নির্ধারণ পরবর্তী প্রাক্তন ৩ হাজার শিক্ষার্থী ও বর্তমান ২ হাজার মিলে প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন হবে ধারণা করেই ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার এই বাজেট। এরমধ্যে প্রাক্তন শিক্ষার্থী জনপ্রতি ২হাজার হিসেবে ৬০ লক্ষ টাকা, বর্তমান শিক্ষার্থী জনপ্রতি ১ হাজার হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা, সুভেনুতে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন থেকে আনু. ১০ লক্ষ টাকা, অন্যান্য থেকে আনু. ৩ লক্ষ টাকা, র‌্যাফেল ড্র থেকে আনু. ১০ লক্ষ টাকা, ব্যক্তিগত ডোনেশন থেকে আনু. ১৭ লক্ষ টাকা আয় ধরা হয়েছে। আর র‌্যালি শেষে নাস্তা জনপ্রতি ১’শ টাকা ও দুপুরে খাওয়া জনপ্রতি ৫’শ টাকাসহ ৩৩ লক্ষ টাকা, টি শার্ট জনপ্রতি ২৫০ টাকা হিসেবে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ক্যাপ জনপ্রতি ১৫০ টাকা হিসেবে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাগ জনপ্রতি ১৫০ টাকা হিসেবে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সুভেনু প্রতি পিচ ৫০০ টাকা হিসেবে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আইর্ডি কার্ড জনপ্রতি ৭০ টাকা হিসেবে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, প্যান্ডেল, মঞ্চ, লাইটিং, জেনেরেটর, চেয়ার বাবদ ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সাউন্ড বাবদ ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিল্পী থাকা ও খাওয়া বাবদ ১৩ লক্ষ টাকা, বাজি বাবদ ২ লক্ষ টাকা, প্রচার ও প্রচারণা বাবদ ২ লক্ষ টাকা, র‌্যালির সাজ-সজ্জা বাবদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আইটি বাবদ ১ লক্ষ টাকা, রিজার্ভ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে ৫ হাজার পরবর্তী নিবন্ধনকৃত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে সেই টাকা তারা কি খাতে ব্যয় করবে তা নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। তারা আরো বলেন, ১৯৪৬ সালের পর অত্র কলেজ থেকে পাশ করা প্রাক্তন এবং বর্তমান সকল সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীরাই অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। যারা ইচ্ছুক তাদেরকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে অনলাইনে আগামী বছরের ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। ওই সভায় অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে আংশিক উপদেষ্টা পরিষদ ও অনুষ্ঠান উদযাপন আহ্বায়ক কমিটি গঠন, আগামী বছর ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল এই প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ, রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুথ খোলা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপ-কমিটি গঠনে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সকলকে রাখা, অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের মূল কমিটির সদস্যদের কাজে উপ-কমিটি সদস্যদের সহযোগী হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর লিয়াকত পারভেজকে আহবায়ক ও সদস্য সচিব প্রফেসর এসএম আনোয়ারুজ্জামান মুকুলকে সদস্য সচিব এবং যুগ্ম আহবায়ক ও অর্থ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদকে অর্থ কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত করেন।
    এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলীর কাছে জানতে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনি। তবে সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও জেলা যুবদলের প্রাক্তন সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু জানান, এই কলেজে লেখাপড়া শেষ করে বর্তমানে ও পূর্বে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে অনেকে রাজনীতি থেকে অবসরও নিয়েছেন। অনেকে মারাও গেছেন। অনেকে বিগত ১৭ বছর হামলা-মামলায় আর্থিকভাবে দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছে। এটি কলেজের ইতিহাসে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে জনপ্রতি প্রাক্তন ছাত্রদের নিবন্ধন ফি ২ হাজার টাকা আয়োজক কমিটি নির্ধারণ করায় প্রায় ১০% শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার সুযোগ রাখে, বাকিরা রাখে না। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাস্তবতা বুঝে রাজনীতি করি। এই সময়ে ২ হাজার টাকার পরিবর্তে ১ হাজার টাকা নির্ধারণ হলে আমাদের দলের রাজনীতির সাথে জড়িত প্রায় ১০ হাজার কর্মী ও সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। আশাকরি আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ নিবন্ধন ফি পুনঃ নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা আমীর শহিদুল ইসলাম মুকুল জানান, বিষয়টি সম্পর্কে এখন মন্তব্য করা মুশকিল। তবে জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান জানান, এই কলেজ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া শেষ করে প্রাক্তন হয়েছে। তাদের সংখ্যা বলা যাবে না। তবে আয়োজকবৃন্দ যে ২ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করেছেন তা দুরুহ ও কষ্টসাধ্য। অনুষ্ঠানে আমাদের অধিকাংশের ডাকা হয়নি, ডাকলে সুনির্দিষ্ট মতামত দিতে পারতাম। ফি কমালে অনেকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটা মাধুয্যপূর্ণ হতো। এছাড়াও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ঢালী জানান, আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বিগত দিনে হামলা-মামলায় অধিকাংশই সর্বশ্রান্ত। এরপরে এই আনন্দঘন দিন অতিবাহিত করতে আশাকরি সকলে নিবন্ধন করে কলেজের প্লাটিনাম জুবলী উদযাপন অনুষ্ঠান সফল করবেন।
    বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ জানান, প্রাক্তন ৩ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করতে পারে এমন সংখ্যা নির্ধারণ করে আয়োজকবৃন্দ যে নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করেছে তা বাস্তবতার নিরীক্ষে বেশি। এখানে অনেক বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। যদি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফি ২ হাজারের পরিবর্তে ১ হাজার টাকা ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফি ১ হাজারের পরিবর্তে ৫’শ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ব্যক্তিগতভাবে অনেকে অনুষ্ঠানে ডোনেশন করবে। সেজন্য নিবন্ধন ফি পুনঃ বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও প্রাক্তন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ আলী সুমন জানান, সাতক্ষীরা কলেজ সাতক্ষীরার রাজনীতির সূতিকাগার। এই কলেজে পড়াকালীন ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি কলেজের প্রাক্তন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ছাত্র পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। তবে সকল মত-দ্বিমত ভুলে রাজনৈতিক বিবেচনা না করে আয়োজক কমিটি কলেজের প্লাটিনাম জুবলী উদযাপন অনুষ্ঠান করলে অনেকে যুক্ত হবেন। বাড়বে নিবন্ধন সংখ্যাও।
    বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফাইমুল হক কিসলু জানান, আমাদের দলের রাজনীতি করে এমন সংখ্যা প্রায় ১ হাজারের অধিক। এরমধ্যে প্রায় ২’শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ২ হাজার টাকা ফি দিয়ে প্লাটিনাম জুবলীতে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করার সক্ষমতা রাখে, বাকিরা রাখে না। এতো টাকা ফি হওয়া উচিত নহে। সকলের গ্রহণযোগ্য ও সহনশীল ফি আয়োজকবৃন্দ নির্ধারণ করলে অনুষ্ঠানটির সৌন্দর্যম-িত হতো।
    বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের জেলা সমন্বয়ক নিত্যানন্দ সরকার জানান, রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ অর্থমূল্য ছাড়াই সম্পন্ন করা উচিৎ! প্রয়োজনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বিত্তবান ব্যক্তি রয়েছে তাদের কাছ থেকে অর্থপূর্বক অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ নির্বাহ করা সম্ভব। আমাদের দলের রাজনীতি করে এমন ১ হাজারের অধিক সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আছে। এদের মধ্যে ১ থেকে ২ জন্য ব্যতীত বাকিরা ২ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি দিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাই আয়জকদের সিদ্ধান্ত রিভিউ করার আহবান রইলো।
    জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু জানান, জাসদ গরীব পার্টি। এই পার্টির জেলার কর্মীরাও অধিকাংশই গরীব। এদের মধ্যে সাতক্ষীরা কলেজে পড়েছে ২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী, তারা এখন প্রাক্তন। তাদের পক্ষে ২ হাজার টাকা ফি দিয়ে অনুষ্ঠানের নিবন্ধন পরবর্তী অংশগ্রহণ অসম্ভব। আয়োজকরা ফি কমালে অংশগ্রহণ বেশি হবে। আশাকরি আয়োজকবৃন্দ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আব্দুল জব্বার জানান, আমাদের দলের ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন সময়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ গঠিত হওয়ায় কমপক্ষে ২ হাজারের অধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাতীয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। এখন তারা ফ্যাসিবাদ ও সৈরাচারের নিপীড়নের রাজনীতিসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত। তাদের পক্ষে এই উচ্চমূল্যে প্লাটিনাম জুবলীতে অংশগ্রহণ সম্ভব নহে। তবে স্বল্পসংখ্যক ছাড়া আমাদের দলের অধিকাংশই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নহে। তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেজন্য উক্ত অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে নিবন্ধন ফি এর ব্যবস্থা থাকা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত বলে মনে করেন তিনি।
    বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী জানান, আমাদের দলের প্রায় শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী রয়েছে যারা ইতিপূর্বে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে লেখাপড়া করেছিল। তাদের অধিকাংশের পাশাপাশি প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আয়োজকদের নির্ধারিত ফি দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবে না। তাই প্লাটিনাম জয়ন্তি উদযাপনে নিবন্ধন ফি চারটি ক্যাটাগরিতে হলে ভালো হয়। প্রথমত- চলমান শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি ২০০ টাকা, দ্বিতীয়ত- স্বল্প আয়ের শ্রম-কর্ম-পেশাজীবীদের জনপ্রতি ৪০০ টাকা, তৃতীয়ত-চলমান চাকরিজীবীদের জনপ্রতি ১০০০ টাকা, চতুর্থ- উচ্চ পর্যায়ের চাকরিজীবিদের জনপ্রতি ১৫০০ টাকা এবং ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের ২০০০ টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করা ভালো। এতে করে অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। উৎসবের দিনে প্রাক্তনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারবে।
    নাগরিক ঐক্যের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ডক্টর রবিউল ইসলাম খান জানান, গত শুক্রবারের সভায় গিয়েছিলাম। ডোনেশনের কথা বলেছি, এক লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। অনেকে প্রতিষ্ঠিত। সবাই ব্যক্তিগতভাবে ডোনেশন করলে অনুষ্ঠানটি ভালো হবে। তিনি আরো জানান, আমাদের দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত প্রায় ৪৮ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ছাত্র।
    বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন জানান, এই ফি দিয়ে ১০ থেকে ১৫ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও দলের কর্মী অনুষ্ঠানে নিবন্ধন করার ক্ষমতা রাখে। ফি কম হলে সেই সংখ্যা শতাধিক হতো।
    গণফোরাম সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আলী নুর খান বাবুল জানান, দলের রাজনীতি করতো এমন সংখ্যা ৩”শ হতে পারে। কে অনুষ্ঠানে যাবে, কে যাবে না। আপাতত বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। এটা আয়োজকদের ব্যাপার। তবে মোটিলাইজড করতে পারলে অবশ্যই যাবে তারা।
    জেলা জাতীয় পার্টির প্রাক্তন ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আকরাম হোসেন খান বাপ্পী জানান, সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পূর্বে ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করে এমন সংখ্যা অনেক। ফি কমালে অনেকে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
    বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পৌর কমিটির আহবায়ক মো: বায়েজীদ হাসান জানান, এই কলেজের শুরু থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেছে। বর্তমান শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২০ হাজার। অনেকে ঝরে গেছে, অনেকে মৃত্যুবরণও করেছে। যারা আছেন তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক, দিনমজুর, কুলি, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালক, মটর সাইকেল মিস্ত্রী ও চালক, মুদি দোকানদার, সুইপার, ঝাড়–দার, আয়া, ড্রাইভার, নাপিত, অফিস সহকারীর সংখ্যা বেশি। বর্তমানে অধিকাংশই আর্থিক দুরাবস্থায়। তাদের পক্ষে ২ হাজার টাকা দিয়ে অনুষ্ঠানে যাওয়া অসম্ভব। তিনি আরো বলেন, অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। কেউ কেউ প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, রাজনীতিক, জাতীয় মানের ক্রিকেটার, ফুটবলার, ফিফা রেফারী, সংগীত শিল্পী, আবৃত্তি শিল্পী, জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিব, মেজর, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বিভিন্ন জেলার ডিসি, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক, দেশখ্যাত সাংবাদিক ও সংবাদ পাঠক, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বর্গের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে অসংখ্য প্রবাসী রয়েছেন। তারা আর্থিকভাবে অনুষ্ঠানে ডোনেশন করলে ও আয়োজক কমিটি একটি সহনীয় এবং গ্রহণযোগ্য ফি নির্ধারণ করলে নতুন বাংলাদেশে নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি হতো না, অনেকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেতো।

  • সাতক্ষীরাতে আইডায়াস্পোরা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরাতে আইডায়াস্পোরা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সঙ্গে
    বাংলাদেশিদের যুক্ত করার জন্য একটি অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম আইডায়াস্পোরা বিষয়ক সেমিনার সাতক্ষীরাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার ১৫ই (ডিসেম্বর)সকাল সাড়ে ১০ টায়
    সাতক্ষীরার পিৎজা মিলান মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেড যৌথ উদ্যোগে ও সাতক্ষীরার স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন ইয়ুথ গ্রুপকে নিয়ে এ আয়োজন করা হয়।
    সাংবাদিক এম কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায়
    শুরুতে পরিচয় পর্ব শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আইওএম এর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড হিউম্যান মবিলিটি কনসালটেন্ট এস এম মোরশেদ।এ সময় তিনি আইডায়াসপোরা সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার হেড অব ক্রিয়েটিভ মাহাবুব মোর্শেদ রিফাত আইডায়াসপোরা প্লাটফর্মের বিভিন্ন দিক বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
    সেমিনারে প্র‍ধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , সাতক্ষীরা টিটিসির ভারপ্র‍াপ্ত অধ্যক্ষ কে. মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে আই ও এম বাংলাদেশের ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড হিউম্যাম কনসালটেন্ট এস এম মোর্শেদ।
    সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি তারিক ইসলাম,কার্যনির্বাহী সদস্য সোহাগ হোসেন, আল-মু’মিন ব্লাড ব্যাংক এর  এডমিন মুশফিকুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেচ্ছাসেবী মুজাহিদ হোসেন,
    নির্মিসা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের আশাশনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের সেক্রেটারি নাঈম হোসন সহ আরো বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেয়।
    অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ কারীরা বলেন আইডায়াস্পোরা মত বৈশ্বিক প্লাটফর্ম  সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষ সাথে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূদ নাগরিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করবে।আইডায়াস্পোরা সম্পর্কে তারা তাদের নিজেদের  নিজিস্ব মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন যা ভবিষ্যতে ডায়াস্পোরা প্ল্যাটফর্মকে অধিক কার্যকরী করতে  অগ্র‍ণী ভৃমিকা পালন করবে বলে তারা প্রত্যাশা করেন।
  • পলাশপোল সামাজিক ধর্মীয়  সম্প্রীতি কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    পলাশপোল সামাজিক ধর্মীয় সম্প্রীতি কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    পলাশপোল সামাজিক ধর্মীয় সম্প্রীতি কমিটির এক আলোচনা
    সভা ১৪ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৭টায় শহরস্থ আমজাদিয়া
    দাওয়াখানার উপর তলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলহাজ্ব দাউদ সরদারের
    সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন মোঃ আব্দুর রকিব,
    মোঃ আইয়ুব হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, মোঃ শাহাদাত হুসাইন,
    হাফেজ মোঃ মোক্তার হোসেন, হাফেজ মুহাঃ শহীদ আরেফিন, হাফেজ মাও
    মোঃ হাবিবুল্লাহ, মোঃ আছাদুজ্জামান, হাফেজ মোঃ শহীদুল ইসলাম,
    কাজী আনারুল মাহামুদ, মোঃ আলীমুল ইসলাম, মোঃ হাবীবুল্লাহ
    হাবীব, মোঃ হাফিজুল রহমান, লিয়াকাত হোসেন, মোঃ আবুল
    মোকাররম, মোঃ মাহমুদুল হক, আব্দুল কাদের, ফজলুর রহমান মিঠু, মোঃ
    আরাফাত হোসেন, মোঃ সেলিম মোড়ল, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ
    খাইরুল বাসার, মোঃ জবেদ আলী, মোঃ মুজিবুল হক, এ এফ এম নুরুল
    আলম, মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমুখ। সভায় উপস্থিত সকল সদস্যদের
    মতামতের ভিক্তিতে মেয়াদ উত্তীন বিগত কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং
    আলহাজ্ব মোঃ আইয়ুব হোসেনকে আহবায়ক এবং হাফেজ মাও মোঃ
    শাহাদাত হুসাইনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক
    কমিটি গঠন করা হয়। উল্লেখিত আহবায়ক কমিটি আগামী ২১
    দিনের মধ্যে পূনাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপস্থিত
    সকলেই সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
    সমগ্র সভা পরিচালনা করেন মোঃ আব্দুর রকিব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

  • বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন এর সাতক্ষীরা জেলার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা

    বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন এর সাতক্ষীরা জেলার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা

    বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন  সংগঠনের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম গাজী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন পৌরসভার সভাপতি মো মনিরুজ্জামান মনির।
    সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক -ই- এলাহী, ভূমিহীন আন্দোলন এর কেন্দ্রিয় নেতা মো. ফজর আলী, সাতক্ষীরা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো আমিরুল ইসলাম, জেলা রং শ্রমিক ও ফার্নিসার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো ইসাক সরদার, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ভুমিহীন নেতা মো আব্দুর রশিদ, ভূমিহীন আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুজিবর রহমান, ভূমিহীন নেত্রী মনিরা পারভীন ও রওশন আরা প্রমূখ। সভায় বক্তাগন প্রকৃত ভূমিহীনদের খাস জমি প্রদানের দাবী জানান।
  • ডিডব্লিউও এর আয়োজনে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস চিকিৎসা সেবা প্রদান

    ডিডব্লিউও এর আয়োজনে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস চিকিৎসা সেবা প্রদান

    গত ১৪.১২.২০২৪ শনিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নে ‘আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ প্রাঙ্গণে “ডিজএবল্ড উইমেন অর্গানাইজেশন (ডিডব্লিউও)” এর আয়োজনে ফ্রি ডায়াবেটিস চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। উক্ত ফ্রি ডায়াবেটিস চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পটি পলাশপোল ডায়াবেটিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করা হয়। উক্ত ফ্রি ডায়াবেটিস চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পটি দুপুর ৩ টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত পরিচালিত হয়। এসময় এলাকার অনেক মানুষ ডায়াবেটিস চিকিৎসা নেওয়ার জন্য দলে দলে উপস্থিত হন। উলেখ্য যে, এ ক্যাম্পে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশাপাশি সাধারণ রোগীদেরকেও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। উক্ত ক্যাম্পে রোগীদের ডায়াবেটিস পরীক্ষা, ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করে সেই অনু্যায়ী যাদের ডায়াবেটিস সনাক্ত হয়েছে তাদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা অব্যহত রাখার জন্য বিশেষ কার্ড প্রদান করা হয়। যার মাধ্যমে রোগীরা যেকোন সময় পলাশপোল ডায়াবেটিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে বিনামূল্যে যেকোন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। উক্ত ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন ডিডব্লিউও এর কো-অর্ডিনেটর ‘জি এম ইশতিয়াক জামিল’, পলাশপোল ডায়াবেটিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ‘আকবর হোসেন’, ও ডাক্তার ‘মোঃ আক্তার হোসেন’। এ বিষয়ে ডিডব্লিউও এর কো-অর্ডিনেটর জি এম ইশতিয়াক জামিল জানান, ডিডব্লিউও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও চিকিৎসাসেবা নিয়ে কাজ করছে। তারই কার্যক্রম হিসেবে সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে এই ফ্রি ডায়াবেটিস চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পটি পরিচালনা করে আসছেন তারা।

  • সাতক্ষীরায় কিশোরকন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় কিশোরকন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

    “কিশোরকন্ঠ পড়বো জীবনটাকে গড়বো” এই প্রতিপাদ্যে কিশোরকন্ঠ ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা শহর শাখার উদ্যোগে  কিশোরকন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কিশোরকন্ঠ মেধা যাচাইয়ের এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
    কিশোরকন্ঠ ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা শহর শাখার সার্বিক  সহযোগীতায় এবং কিশোরকন্ঠ পাঠক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত এ পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনীর মোট ১২৯৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন।
    কিশোরকন্ঠ ফাউন্ডেশনের সাতক্ষীরা শহর শাখার  চেয়ারম্যান মো: আল মামুন বলেন “বাংলাদেশের বহুল পঠিত শিশু কিশোর  মাসিক পত্রিকাটি হলো কিশোরকন্ঠ।এবারের কিশোরকন্ঠ ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা শহর শাখার আয়োজনে মনোরম পরিবেশ ১২৯৮ জন পরিক্ষার্থী পরিক্ষায়  রেজিষ্ট্রেশন করেন। এই পরিক্ষা অংশগ্রহনকারী পরিক্ষার্থী,অভিভাবক ও আমন্ত্রিত মেহেমানদেরকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি”।
    কিশোর কন্ঠ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন”এমসিকিউ পদ্ধতিতে মোট ২০০ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মোট  নাম্বারের উপর ভিত্তি করে দুইটা গ্রেডে ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি দেওয়া  হবে।
    পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র পরিদর্শক হিসেবে কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করেন কিশোর কন্ঠ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো: আল মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান,জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল খায়ের,
     পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মিজানুর রহমান,
    প্রধান উপদেষ্টা সাবেক সাতক্ষীরা  সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুফতী আখতারুজ্জামান প্রমুখ
  • পাইকগাছায় শিবসা নদী থেকে বিপুল পরিমাণ নেট জাল ও চিংড়ি পোনা জব্দ!

    পাইকগাছায় শিবসা নদী থেকে বিপুল পরিমাণ নেট জাল ও চিংড়ি পোনা জব্দ!

    পাইকগাছায় বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেট জাল ও চিংড়ি পোনা জব্দ করেছে। উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও নৌ-পুলিশ শুক্রবার সকালে উপজেলার শিবসা নদীতে মৎস্য সম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন নৌ ফাঁড়ি পুলিশের এস আই শরীফ আল মামুন ও ক্ষেত্রসহকারী রণধীর সরকার। অভিযানে বিপুল পরিমাণ নেট জাল এবং প্রাকৃতিক উৎস থেকে আহরণ করা এক লক্ষ চিংড়ি পোনা (পোস্ট লার্ভা) জব্দ করে। পরে জব্দকৃত নেট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস এবং চিংড়ি পোনা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
  • সম্মিলিত সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা

    সম্মিলিত সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা

    সম্মিলিত সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার সকাল ১০টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় এ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাজী ফরহাদের পরিচালনায় ও সভাপতি খন্দকার আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হয়। এসময় উপস্তিত ছিলেন মেহেদী আলী সুজয়, আব্দুর রহিম, মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, সেলিম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এম. বেলাল হোসাইন, শেখ কামরুল ইসলাম, মাসুদ আলী, রাহাত রাজা, আব্দুর রহমান, ফিরোজ হোসেন, আসাদুজ্জামান, সৈয়দ সাদিকুর রহমান, শহিদুজ্জামান শিমুল, রিজাউল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম ইমরান, সোহরাব হোসেন, শাহজাহান আলী মিটন, এস. এম. হাবিবুল হাসান, হোসেন আলী, এস এম বিপ্লব হোসেন, মাসুদ রানা (মনা), ফাহাদ হোসেন। প্রথম অধিবেশনের সমাপপ্তির পর ৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে ২০২৫ সালের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনিত করা হয়। সংগঠনের সকল সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে মীর মোস্তাফা আলীকে সভাপতি ও এম. বেলাল হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। সভায় বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্যসহ কর্মরত যে সকল সাংবাদিকবৃন্দ মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত করা হয় এবং অসুস্থ্য সাংবাদিকদের সুস্থ্যতা কামনা করা হয়।

  • সাতক্ষীরার আলোচিত সফি’র বিরুদ্ধে এবার এলাকাবাসীর গণঅভিযোগ, ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী

    সাতক্ষীরার আলোচিত সফি’র বিরুদ্ধে এবার এলাকাবাসীর গণঅভিযোগ, ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী

    সাতক্ষীরার আলোচিত সেই সফি’র বিরুদ্ধে এবার এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে গণঅভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়, দুদক, জেলা প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জমা দেওয়া অভিযোগ সূত্র জানায়, সফিউর রহমান সফি বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে বিদ্যুত সংযোগের কথা বলে প্রচুর অর্থ আদায় করেছে।
    অভিযোগকারী এলাকাবাসী জানায়, বিগত ২০০৩-২০০৪ সালে মানবপাচার করে শফি ও তার সহযোগীরা অর্থ আদায় করে বেশ কয়েকজনকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা হলেন, পাবনা জেলার মোঃ সুলতনের ছেলে আজিম ওরফে জুয়েল, মোঃ কলিমুদ্দিন বিশ^াসের ছেলে মোঃ ইলিয়াস, মোঃ আরিফ হোসেনের ছেলে মোঃ ফিরোজ, রাঙ্গামাটি জেলার মোঃ আসলাম হোসেনের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন, ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার সত্যনগর গ্রামের মোস্তফা চৌধুরী ও আনোয়ার হোসেনের পরিবারের কাছ থেকে প্রায় পনেরো লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট আত্মসাৎ করে। এঘটনায় আদালত শফিকে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়াও শফি ঢাকা, নীলফামারী ও সাতক্ষীরা জেলার ১০ থেকে ১৫ জনের নিকট থেকে প্রতারনার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সে তার বর্তমান শ্যালিকার (স্ত্রীর বোন) সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রদান করে। কিন্তু তার শ্যালিকা রাজি না হয়ে পরিবারের মতে বিয়ে করেন। সে কারনে ঐ দম্পতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন লোকজন দিয়ে মামলা করে তাদের পারিবারিক জীবন বিষিয়ে তোলে বলেও জানান এলাকাবাসী।
    স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, তার বাড়ির সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস হওয়ায় সে নির্বাহী প্রকৌশলীদেরকে  জিম্মি করে রাখতে নানা পন্থা অবলম্পন করে। অফিসাররা যদি তার কথা না শোনে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নামে বেনামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুর্ণীতি দমন কমিশনে বিভিন্ন আবেদন করে। নিজের কোন লাইসেন্স না থাকলেও তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীদের অন্যের নামে কাজ দিতে বাধ্য করেন। তার কথায় কাজ না হলে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন। এর আগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল খায়েরের কাছ থেকেও সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেছে সে। পরে তিনি অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে লাগাতার বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে। বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিনের নিকট হতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অর্থ আদায় করেছে। পওর-১ ডিবিশন থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়েছে সফি। গত ১৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে  ২ লাখ ও ১ লাখ করে দুটি স্লিপে মোট তিন লক্ষ টাকা ৩ লাখ টাকা সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় মেসার্স শফি এন্টারপ্রাইজ নামের একাউন্টে জমা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিএনপি অফিসের  নাম করে বাপাউবো এর শাখা কর্মকর্তা  ও নির্বাহী প্রকৌশলীর থেকে মোট অংকের চাঁদা নিয়েছে।
    এলাকাবাসী আরো জানান, বর্তমানে তার বাড়ি সাতক্ষীরা শহরে হলেও তার আদি বাড়ি সীমান্ত এলাকায়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সে প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় গরুর খাটাল, মাদক, অস্ত্র, শাড়ি কাপড় ও স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িয়ে পরে। সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয়ের তালিকাভূক্ত চোরাচালানি ও হুন্ডি ব্যবসায়ী বলেও জানা গেছে। তদন্ত করলে তার অপরাধের রাম রাজত্ব খুজে পাওয়া যাবে। এলাকায় প্রচলিত আছে বীমার টাকা পাওয়ার জন্য সে তার পূর্বের দুই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তার পূর্বের স্ত্রীদের সন্তানদের নিকট তথ্য সংগ্রহ করা হলে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। সে সরকারী কাজের বিরুদ্ধে কিংবা দরপত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হাইকোর্টে রিট করে কমর্কর্তা ও ঠিকাদারদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে। ইতোপূর্বে সাতক্ষীরা পওর পানি উন্নয়ন-১ এর খাল পুন:খনন কাজের বিরুদ্ধে ২০২১-২০২২ সালে একটি রিট করে কাজটি অন্যের নামে নিয়ে বিশেষ কায়দায় অর্থ আদায় করেছে। সম্প্রতি সময়ে মজুমদার মানিকতলা খাল নিয়ে রিট করেছেন।
    এ বিষয়ে বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলীকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন, তাকে কাজ না দিয়ে অন্য কাউকে দিলে কাজ করতে দিবে না। এ কারনে সে রিট করেছে যাতে নির্বাচিত ঠিকাদার কর্তৃক কাজটি করতে দেরি হয়। তার সাথে না মিটিয়ে ঠিকাদার কাজ শুরু না করতে পারে। তার এধরনের অনৈতিক রিটের কারনে সাতক্ষীরা শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা একটি বড় আকার ধারন করেছে। সফিউর রহমান শফি এলাকায় ফটকা শফি নামে পরিচিত। তার সাথে এলাকাবাসীর নিত্যদিন ঝামেলা লেগে থাকে। সে একজন খারাপ প্রকৃতির মানুষ। তার সাথে কারো ঝামেলা হলে গুলি করার হুমকি দেয়। ৫ আগষ্টের পরে সে নতুন করে একটি বাহিনী সৃষ্টি করেছে। যার মাধ্যমে সে শহরে প্রভাব বিস্তারসহ নিরীহ মানুষদেরকে জিম্মি করে চলেছে। ২০১৮ সালে এবি ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার তৎকালিন ম্যানেজার খেলাপি ঋন আদায় ও সংশ্লিষ্ট সম্পদ ব্যাংকের অনুকুলে নেওয়ার জন্য আদালতে সফিউর রহমান সফির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান।
    ইটাগাছা এলাকার শিমুল হাসান জানান, সফি’র স্ত্রী হত্যার বিষয়টি পূণ: তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসারদের জিম্মি করতে আওয়ামী পন্থী ঠিকাদার বিএম রাজ্জাককে ব্যবহার করে কতিথ ভূমিহীনদের ভাড়া করে মানববন্ধন করাতো। অবশ্য পট পরিবর্তনের পরে রাজ্জাক পালিয়েছে। এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে সফি। তাকে আইনের আওতায় আনলে বড় চাঁদাবাজ চক্রের সন্ধান মিলবে।
    ইটাগাছা এলাকার রেজাউল জানান, সফি একজন ঋণখেলাপী সে কিভাবে অন্যের লাইসেন্সে কাজ করে। তাকে যারা এবিষয়ে সহযোগীতা করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
    oplus_32

    একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ১৫ বছর নিজেকে আওয়ামী সরকারের লোক, পৌর আ’লীগ নেতা ও পতিত সরকারের একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে দু’টি বিভাগে (পওর-১ ও ২) নিয়ন্ত্রণ নিতে কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রাখতো। ঠিকাদারি কাজের চেয়ে তার আগ্রহ বেশি ছিলো চাঁদাবাজিতে। ইচ্চামত চাঁদা দাবি করতো, না দিলেই হয়রানি। ফোঁন ধরিয়ে দেওয়া হতো কথিত সেই দুই কর্মকর্তাকে। নতুন কাজ টেন্ডার হলে তাকে একটা কাজ দেওয়াই লাগবে লাইসেন্স না থাকার পরেও এমন ভাবেও মানসিক নির্যাতন করতো অফিসারদের। সে সময়ে শফির চাঁদাবাজির বিষয়টি প্রকাশ্যে না আসলেও বর্তমানে কর্মকর্তারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

    এদিকে, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর নতুন রুপ ধারন করেছেন বহু অপকর্মের হোতা সফিউর রহমান সফি ভোল পাল্টে এলাকায় একটি চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে তুলেছেন।
    ইটাগাছা এলাকার বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম জানান, সফি’র যন্ত্রণায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এমন কোন খাবার কাজ নেই যে সে করে না। বর্তমানে নির্দিষ্ট কোন পেশা না থাকলেও তিনি পুরটায় চলে চাঁদার টাকায়। সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসী সফি’র শাস্থি দাবী জানান।
    এসব বিষয়ে সফিউর রহমান সফি জানান, তিনি কোন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে।