Blog

  • দেবহাটার ইউএনও রুপসী ম্যানগ্রোভের পিচের রাস্তার উদ্বোধন

    দেবহাটার ইউএনও রুপসী ম্যানগ্রোভের পিচের রাস্তার উদ্বোধন


    দেবহাটা ব্যুরো ॥ দেবহাটার ইছামতি নদীর পাশে শীবনগর এলাকায় চিত্ত বিনোদনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তৈরী করা “রুপসী ম্যানগ্রোভ দেবহাটা” যাওয়ার জন্য পিচের রাস্তা তৈরী কাজের উদ্বোধন করলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় সুশীলগাতী থেকে শীবনগর হয়ে রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটির উদ্বোধনের মাধ্যমে এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া পূরন হতে চলেছে। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মেসার্স রোশনী ইন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দেবহাটা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে আইআরডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই রাস্তাটির কাজ করছেন। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তপন কুমার, ম্যানগ্রোভের ম্যানেজার দিপঙ্কর ঘোষ বাবু, ইউপি সদস্য মোক্তার আলী সহ এলাকার জনগন উপস্থিত ছিলেন। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের নির্দেশনায় এই বিনোদন কেন্দ্রটিকে আরো নান্দনিক ও নয়নাভিরাম করে একটি সৌন্দর্যপূর্নভাবে মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে ট্রেইল নির্মান ও দিঘীতে প্যাডেল বোর্ড দেয়া, পাকা বেঞ্চ নির্মান, ম্যানগ্রোভের মধ্যে কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন পশু পাখি তৈরী, শিশুদের বিনোদনের জন্য দোলনা নির্মান সহ বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে আগত বিভিন্ন দূর-দূরান্ত আসা পর্যটক ও এই এলাকার মানুষদের যাতায়াতের জন্য পাকা রাস্তা তৈরী করার জন্য দীর্ঘদিন তারা দাবী জানিয়ে আসছিল। এই রাস্তা উদ্বোধনের মাধ্যমে তাদের সেই দাবী পূরন হলো। ভারত-বাংলাদেশ বিভাজনকারী ইছামতি নদীর কুল ঘেষে দেবহাটা উপজেলার শীবনগর গ্রামে গত কয়েক বছর আগে মানুষের চিত্ত বিনোদনের লক্ষ্যে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা হয় “রুপসী ম্যানেগ্রাভ” বিনোদন কেন্দ্র। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি দেবহাটা উপজেলার শিবনগর মৌজার ১ নং খতিয়ানের ৩৯৮ নং দাগের ইছামতি নদীর তীরে জেগে ওঠা চরভূমি। যার আয়তন ৩১.৪৬ একর (০৭ একর পুকুরসহ)। দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ বন সাতক্ষীরা জেলার বর্তমানে একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি ও নানা ফলদবৃক্ষ। দুরদুরান্ত থেকে দেশী ও বিদেশী পর্যটকরা এসে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীর সৌন্দর্য এবং রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ বনের অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন। পর্যটকদের আগমন আরো বেশী করতে এই রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে এবং ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি আরও আকর্ষনীয় করা হলে সরকারি রাজস্ব আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে দেবহাটা উপজেলা তথা সাতক্ষীরা জেলার সুনাম বয়ে আনবে বলে তিনি জানান। আগামী ৩০ শে জুন ২০১৯ তারিখে রাস্তাটির কাজ শেষ হবে বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক তপন কুমার জানিয়েছেন।

  • স্ত্রী হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জেলা ভূমিহীন সমিতির


    স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্বামী মিকাইল কর্তৃক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে নেতৃবৃন্দ বলেন, অসহায় খালেদার নাতনী জুলিয়া খাতুন নবম শ্রেণিতে পড়তো। তাকে বিয়ে করার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের আবদুর রউফের ছেলে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসকর্মী মিকাইল হোসেন। দুই বছর আগে মিকাইল জুলিয়াকে নানা কৌশলে বিয়ে করে। কিছুদিন পর মিকাইল গোপনে স্ত্রী জুলিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে সে বিদেশি বায়ারদের প্রলুব্ধ করে জুলিয়াকে তাদের বেডপার্টনার হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করে। এর বিনিময়ে সে অনেক টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে।
    গত ২৯ এপ্রিল মিকাইল ফোন করে জানায় জুলিয়া আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি করে তাকে দাফন করে সে। ঘটনার ৫দিন পর তার নানী খালেদা সাতক্ষীরা থেকে যেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাকে চীনা দুতাবাসের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান জুলিয়াকে কয়েকজন বিদেশি বায়ারদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের শয্যাসঙ্গীনি করতো মিকাইল। এমন এক রাতেই দূতাবাসের কর্মকর্তা সানসুন ইউ ইউ জন এর সহযোগিতায় জুলিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মেকাইল। এ সময় তার চিৎকারের শব্দও শুনতে পান দূতাবাসের নিরাপত্তারক্ষীরা। বিছানায় ধর্ষন ও হত্যার আলামত পাওয়া যায়। জুলিয়াকে ধর্ষন ও হত্যার ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন আলামত উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহমুদুল হাসানের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরে তার কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে গেলে নানী খালেদাসহ অন্যদের থানা থেকে বের করে দেন।
    এরপরও ঘাতক মিকাইল পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে জুলিয়ার নানী খালেদা খাতুনের ওপর চাপ দিতে থাকে। না হলে আরও বিপদ হবে বলে হুমকি দেয়। এঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবিতে অসহায় খালেদা খাতুন বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। এরপর ওই মিকাইল হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জুলিয়ার মামা মিঠু ও নানী খালেদাকে জড়িয়ে একটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত করে। এছাড়া এস আই মাহমুদুল হাসানকে দিয়ে জুলিয়ার মামা মিঠু এবং নানী খালেদা খাতুনকে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করায়। এঘটনায় অসহায় খালেদা খাতুন ভীতুসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। তারা ওই হত্যাকারী মিকাইল, সানসুন ইউ ইউ জন ও এস আই মাহমুদুল হাসানের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের ডিসি এর আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • কলারোয়ায় দূর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের দু’নেতা গুরুতর আহত


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কলারোয়ায় মুখোশাধারী দূর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের দু’নেতা গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কলারোয়া পৌরসভার পৃথক দু’টি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, কলারোয়া পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এখলেছুর রহমান শেলী ও ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহিনুর রহমান।
    এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কলারোয়া থানার থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এ ধরনের একটি ন্যাকারজনক ঘটনায় সাধারন মানুষেরে মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
    আহতরা জানান, কলারোয়া বাজারে নিজ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন এখলেছুর রহমান শেলী। এ সময় অচেনা এক যুবক জরুরী প্রয়োজনের কথা বলে তাকে দোকানের বাইরে আসতে অনুরোধ জানান। দোকানের বাইরে যাওয়া মাত্রই ওই যুবক কিল-থাপ্পড়-ঘুষি মারতে থাকে শেলীকে। এতে তিনি বাধা দিতে গেলে ও চিৎকার করলে আশপাশের দোকানদাররা ছুটে আসেন। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে ৫/৭টি মোটরসাইকেলে ১০/১২জন মানকি টুপি ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে শেলীকে। এ সময় তিনি ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তিরা সোনালী ব্যাংকের সামনে গিয়ে তাকে দ্বিতীয় দফায় পেটাতে থাকেন। পরে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। কলারোয়া থানা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এ ধরনের একটি ন্যাকারজনক ঘটনায় সাধারন হতভম্ব হয়ে পড়েন। গুরুতর আহতাবস্থায় শেলীকে কলারোয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
    এদিকে, কলারোয়া উপজেলা সদরের পলাশ সিনেমা হল মোড় এলাকায় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহিনকেও একই দুর্বৃত্তরা লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে তাকে আহত করে।
    আহত এখলেছুর রহমান শেলী জানান, চিকিৎসার পরে একটু সুস্থ হলে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
    কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মারুফ আহম্মদ জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।##

  • ডাঃ রুহুল হক কে শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক ছাত্রনেতারা

    ডাঃ রুহুল হক কে শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক ছাত্রনেতারা


    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    সাতক্ষীরা-৩ আসনে সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ. ফ. ম. রুহুল হক পুনরায় নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পাওয়ায় সাতক্ষীরার সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে কে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রাতে রুহুল হকের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে নেতৃবৃন্দ এ ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটির আহবায়ক শেখ সাহিদ উদ্দীন, যুগ্ম আহবায়ক জে এম ফাত্তাহ, কাজী আক্তার হোসেন, সদস্য সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সৈয়দ মহিউদ্দীন হাশেমী তপু, নূর ই আলম সিদ্দিকী মুকুল, মোঃ সালাউদ্দীন আল আজাদ, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সাংবাদিক মাসুদ আলী, পলাশ হোসেন, হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেন সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। এসময় রুহুল হক এমপি সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আসন্ন মহান জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাদের নৌকা প্রতিক দিয়েছেন দলের স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ভুলে যেয়ে নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করে শেখ হাসিনা সরকারকে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

  • নজরুল ইসলামকে জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি ফোরামের শুভেচ্ছা

    নজরুল ইসলামকে জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি ফোরামের শুভেচ্ছা


    জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি ফোরামের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের নিজস্ব বাসভবনের জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে এ শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের জেলা সভাপতি আব্দুল আলিম, সহ-সভাপতি মারুফ আহমেদ, আব্দুস সামাদ, জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সেলিম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোছাক সরদার, মিজানুর রহমান, গোলাম এজদানী, খায়রুল ইসলাম বাবু, শাহরিয়া কবির পিন্টু, আশরাফুল ইসলাম, ফরমান সরদার, ইউনুছ আলীসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরা-১ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

    সাতক্ষীরা-১ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী, কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তিনি এ মতবিনিময় করেন।
    এ সময় তার সাথে ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম ফারুক, এড. আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন, শেখ রায়হান, যুগ্ন সম্পাদক মারুফ হোসেন, কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রকিব মোল্যা, কলারোয়া উপজেলা যুবদল সভাপতি আব্দুল কাদের বাচ্চু, কলারোয়া পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, জেলা ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন প্রমুখ।
    এ সময় বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী জানান। একই সাথে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা কারাবন্দী রয়েছেন তাদের নিঃশ্বর্তে মুক্তির দাবী জানান। অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি তার আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে সাংবাদিকদের সামনে আশা প্রকাশ করেন।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।##

  • সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে নিউজ নেটওয়ার্কের বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরাম (বিএইচআরডিএফ)-এর সাতক্ষীরা জেলা ককাস। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় বিএইচআরডিএফ-এর সাতক্ষীরা জেলা ককাস নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মোস্তফা কামালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
    স্মারকলিপিতে বলা হয়, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠি ব্যাপক নির্যাতন বিশেষ করে নারী নির্যাতন, বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এমনকি শ্লীলতাহানির মতো দুঃখজনক ঘটনার শিকার হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও তৎপরবর্তী সময়ে যেন সাতক্ষীরার কোনো এলাকায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে নারী এবং বালিকাদের নির্যাতনের কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
    স্মারকলিপি গ্রহণকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, খুব শিগরিরই আমি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সাতক্ষীরায় একটি সভার আয়োজন করব। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে সাথে নিয়ে স্পর্শকাতর এলাকাসমূহ পরিদর্শনের পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা রক্ষায় যা যা করণীয়, প্রশাসন তা করবে। তিনি বলেন এ ব্যাপারে সাংবাদিকদেরও জানানো হবে।
    স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, বিএইচআরডিএফ-এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও সাতক্ষীরা জেলা ককাসের সভাপতি অধ্যাপক মো: আনিসুর রহিম, বিএইচআরডিএফ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা ককাসের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা ককাসের কোষাধ্যক্ষ নাজমুল আলম মুন্না, জেলা ককাস সদস্য অ্যাডভোকেট নাজমুল নাহার ঝুমুর, জেলা ককাস সদস্য সদস্য শাখাওয়াত উল্লাহ ও জেলা ককাস সদস্য সাংবাদিক সুমন মুখার্জী

  • আসন্ন কপ-২৪ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা কাঠামো সম্বলিত চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়নসহ প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ ৮ দফা দাবিতে মানবন্ধন

    আসন্ন কপ-২৪ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা কাঠামো সম্বলিত চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়নসহ প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ ৮ দফা দাবিতে মানবন্ধন


    গত ২৯ নভেম্বর ২০১৮: সাতক্ষীরায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর আয়োজনে এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব চত্বরে প্যারিস চুক্তির আওতায় জলবায়ু অর্থায়নে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য আইনী বাধ্যতামূলক একটি ‘‘স্বচ্ছতাকাঠামো” অবলম্বন করে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের শুদ্ধাচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান নীতি বিবেচনা করে ঋণের পরিবর্তে শুধু অনুদান, যা উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ প্রতিশ্রুতি হবে- এমন স্বীকৃতি দিয়ে জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞায়ন করাসহ পোল্যান্ডের কাতোভিতসেতে অনুষ্ঠিত আসন্ন কপ-২৪ সম্মেলনে টিআইবি’র উত্থাপিত ৮ দফা দাবিকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সনাক এর প্রতিনিধি, সমমনা সংগঠনের মধ্যে স্বদেশ, বরসা, ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স, প্রথম আলো বন্ধুসভা, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মিসহ সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ ঐক্যমত প্রকাশ করেন।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরসা এর সহকারী পরিচালক নাজমুল আলম মুন্না, স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মধাব দত্ত, চ্যানেল আই এর জেলা প্রতিনিধি মো: আবুদল কালাম আজাদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো: আনিছুর রহিম, দৈনিক দক্ষিণের মশাল এর সস্পাদক আশেক-ই-এলাহী, সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ ও ড. দিলারা বেগম প্রমুখ। মানববন্ধনে টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মোহাম্মদ আহাদ জলবায়ু অর্থায়নে প্রেক্ষাপট, জলবায়ু অভিযোজন নিশ্চিতে বৈশি^ক অবস্থা, বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিল সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জসমূহসহ, আসন্ন কপ-২৪ সম্মেলনে টিআইবি’র প্রত্যাশা ও সুনির্দিষ্ট সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন।

    আসন্ন কপ-২৪ সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নে জলবায়ু অর্থায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি, ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা কাঠামো সম্বলিত রূপরেখা (রুল বুক) চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহ প্যারিস চুক্তির সাক্ষরকারী দেশসমূহের সংশ্লিষ্ট অংশীজনের বিবেচনার জন্য টিআইবি’র ৮ দফা দাবিগুলোর মধ্যে আছে: প্যারিস চুক্তির আওতায় জলবায়ু অর্থায়নে উন্নত এবং উন্নয়নশীল উভয় শ্রেণীর দেশের জন্য আইনী বাধ্যতামূলক, একটি ‘‘স্বচ্ছতা কাঠামো” অবলম্বন করে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের শুদ্ধাচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে; দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান নীতি বিবেচনা করে ঋণ নয়, শুধু সরকারি অনুদান, যা উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি দিয়ে জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞায়ন করতে হবে; স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থ নিশ্চিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের রুপরেখা চূড়ান্ত করা, উন্নত দেশগুলো হতে প্রয়োজনীয় সম্পদ (জলবায়ু তহবিল, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং কারিগরি সহায়তা) সরবরাহের জোর দাবি উত্থাপন করতে হবে; উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে চাহিদা মাফিক জলবায়ু তহবিল প্রদানে একটি সময়াবদ্ধ রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে; ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরিকল্পিত অভিযোজনের জন্য জিসিএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক তহবিল হতে প্রয়োজনীয় তহবিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাসময়ে, সহজে সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ সহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সমন্বিতভাবে (ক্লাইমেট ডিপ্লোম্যাসির মাধ্যমে) দাবি উপস্থাপন করা এবং তা আাদায়ে দর কষাকষিতে দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে; স্বল্পোন্নত দেশে অভিযোজন বাবদ অর্থায়নের অতিরিক্ত হিসেবে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় বিশেষ তহবিল গঠন এবং তার জন্য দ্রুত অর্থায়ন নিশ্চিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সোচ্চার হতে হবে; জলবায়ু-তাড়িত বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন, কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে জিসিএফ এবং অভিযোজন তহবিল থেকে বিশেষ তহবিল বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে; এবং জিসিএফ এর ট্রাস্টি বোর্ডের কাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি সমতা-ভিত্তিক প্রতিনিধিত্বমূলক এবং কার্যকর ট্রাস্টি বোর্ড গঠন এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। বক্তাগণ আসন্ন কপ ২৪ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে টিআইবি’র ৮ দফা দাবীকে বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী ঝুকিতে থাকা ক্ষতিগ্রস্থ দেশসমূহের কোটি কোটি মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ন্যায্য দাবী হিসেবে উল্লেখ করেন।

  • উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নৌকার পক্ষে কাজ করুন

    উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নৌকার পক্ষে কাজ করুন


    মাহফুজুর রহমান তালেবঃ গত ২৯ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম মৃধার সভাপতিত্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয় সংলগ্ন এক বর্ধিত ও শুভেচ্ছা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এম এম জগলুলহায়দার। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার মতো জনম দুখিনী
    তিনি আরও বলেন, মুন্সীগঞ্জ বাজার হতে হরিনগর বাজার, সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়ে ভেটখালী বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১০কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ ও সংষ্কার এই হাসিনা সরকারই করেছেন। পদ্মা সেতুর কাজ অর্ধেক সমাপ্ত হয়েছে। বাঁকি অর্ধেক কাজ সমাপ্ত করতে হলে এ সরকারের প্রয়োজন আছে কিনা? তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বছরের ১ম দিনে আপনাদের ছেলে মেয়েদের হাতে কে বই উঠিয়ে দেন। ১০ টাকা কেজি দরে কে চাউল দেন। সকলে সমস্বরে জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা বললে তিনি আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা-কে বিজয়ী করার জন্য জনগনের নিকট তার সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান। তিনি সাতক্ষীরা-৪ আসন হতে তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এসময় তার সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ ৮ ইউনিয়নের সমন্নয়কারী সজল মুখার্জী, প্রভাষক মোশারাফ হোসেন। উক্ত বিশেষ বর্ধিত সভায়
    মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এবং সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য শেখ গোলাম মোস্তফা, আকবর আলী, সেলিনা সাইদ এবং সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি গাজী মিজানুর রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ মাজেদ মোড়ল।

  • কলারোয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি মেলা

    কলারোয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি মেলা


    কলারোয়া প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে তিন দিন ব্যাপি খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি মেলার উদ্বোধন হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে পৌর শহর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। উত্তরনের সফল প্রকল্পের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহাসিন আলী,সমবায় কর্মকর্তা নওশের আলী সহ উত্তরনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মাঠ সংগঠক বৃন্দ।

  • সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : সুদের টাকা পরিশোধে ভিটাবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে

    সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : সুদের টাকা পরিশোধে ভিটাবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে মহাজন এক ব্যক্তির ভিটাবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মায়ের অসুস্থ্যতার সুযোগ নিয়ে মাত্র ৬০ হাজার টাকা দিয়ে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে এক লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর ছেলে মো. মিলন হোসেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মাতা আনোয়ারা খাতুন শারিরীকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় মায়ের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছিল না। অথচ আমার সম্পদ বলতে ২ কাটা জমিতে ভিটাবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই। একমাত্র সন্তান হওয়ায় মায়ের অসুস্থ্যতায় আমি দিশাহারা হয়ে পড়ি। আমার কাছ থেকে বিস্তাররিত শুনে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দমদম এলাকার তৌহিদ সামান্য সুদে ধার হিসাবে আমাকে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু টাকা গ্রহণের পর থেকে তৌহিদ সুদের টাকা পরিশোধের জন্য আমার উপর চাপ দিতে থাকে। একদিকে মায়ের অসুস্থ্যতা, অন্যদিকে এতগুলো টাকা আমার পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছিল না। অথচ তৌহিদ কৌশলে টাকা দিয়ে তা সুদে আসলে আদায়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।
    মিলন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, টাকা শোধ দিতে না পারায় তা আদায়ের জন্য কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তুলসিডাঙ্গা গ্রামের কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা, কাজী বাবু, মুরারিকাটি এলাকার কেলু রানা, রাজু, হাসপাতাল রোডের শাকিল খান জজ ও লোহাকুড়া এলাকার রুবেলসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে ভাড়া করে টাকার জন্য আমার উপর চাপ দিতে থাকে। তারা আমার ভিটাবাড়ি বিক্রি করে দ্রুত টাকা শোধ দিতে বলে। টাকা না দিলে তারা আমাকে খুন-জখমের হুমকি দেয়। তাদের হুমকি ধামকিতে ভীত হয়ে একপর্যায় বাধ্য হয়ে আমি আমার একমাত্র সম্বল ভিটাবাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই।
    তিনি আরো বলেন, ভিটাবাড়ি বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে তৌহিদ, শাহাজাদাসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের পথরোধ করে ক্রেতার কাছ থেকে জোরপূর্বক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার একটি চেক গ্রহণ করে। পরবর্তীতে তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়। এছাড়া ছেলেদের খরচ বাবদ আরো ৫ হাজার টাকা আদায় করে। মাত্র ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তারা আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা আদায় করেছে। ফাঁদে ফেলে ভিাটাবাড়ি বিক্রি করিয়ে জোরপূর্বক সবটাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। অর্থলোভি তৌহিদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর খপ্পরে পড়ে আমি ও আমার পরিবার এখন পথে বসেছে। তিনি বাকি টাকা ফেরতের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • জামায়াত বিএনপির সাথে আতাত করে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য এস আই রোকন মিয়ার


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগর থানার এস আই রোকন মিয়ার অর্থ ও চাঁদাবজির দাপটে সাধারন নিরহ মানুষ ভয়ে বাড়ি থাকতে পারছে না। সূত্রে জানা যায়, এস আই রোকন শ্যামনগর থানায় যোগদান করার পর থেকে জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে নিরিহ মানুষদের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে জোর পূর্বক অর্থ আদায়ে ব্যস্থ। বর্তমান সে ভুরুলিয়া বিটে দায়িত্ব পাওয়ায় জামায়াত শিবিরে সেক্রেটারী, সভাপতি, আমীর সহ নাশকতা মামলার আসামীদের আটক না করে তাদের সাথে অর্থ বাণিজ্যে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অপরদিকে সাধারন নিরিহ মানুষদের ওয়ারেন্টের আসামী বলে ধরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকা থেকে জানা যায় ভুরুলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলীর নিকট থেকে ৪০ হাজার, সিরাজপুর সবুর মাস্টারের নিকট থেকে ২৫ হাজার, চালিতাঘাটা নজরুল ইসলামের নিকট থেকে ২০ হাজার, মহসিন রেজার নিকট থেকে ৮০ হাজার, ভুরলিয়া বিএনপির সভাপতি মতিন গাজীর নিকট থেকে ৫০ হাজার, নাগবাটির বাচ্চু গাজীর নিকট হতে ৩০ হাজার, তেঘড়িয়ার আবুল কাশেম জিহাদীর নিকট থেকে ২০ হাজার, সিরাজপুর আমিনুর রহমান মিন্টুর নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়া সাদারন ও নিরিহ মানুষদের ওয়ারেন্টের আসামী বলে ধরে ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এঘটনায় এলাকায় এসআই রোকন আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ বাড়ি থাকতে সাহস পাচ্ছে না।

  • কালিগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদ্বন্ড


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কালিগঞ্জে স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী জালাল সানাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ্বন্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপরে সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় প্রদান করেন।
    মৃত্যুদ্বন্ড প্রাপ্ত আসামী জালাল সানা কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সানার ছেলে।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামী জালাল সানা তার স্ত্রীকে পারিবারিক কলহের জের ধরে চলতি বছরের ১৩ মার্চ গভীর রাতে দা দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা একই উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের আনোয়ার আলী মোড়ল পরদিন বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় আসামী জালাল সানার নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (যার মামলা নং-৮, জি,আর-৪১/১৮)। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই সোহরাব হোসেন আসামী জালাল সানার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
    মামলার নথি ও স্বাক্ষীদের জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে বিচারক আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মামলার আসামী জালাল সানার উপস্থিতিতে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ্বন্ড কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেন।
    এ মামলায় আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আক্তারুজ্জামান। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালণা করেন পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাশ। তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে নিয়ে সদর আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপি রবি

    আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে নিয়ে সদর আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপি রবি


    আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা-০২ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাতক্ষীরা সদর আসনে আবারও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ও নৌকার টিকিট পাওয়া গরীব দুঃখী গণমানুষের প্রাণের নেতা রাজনীতিবিদ সাতক্ষীরাবাসীর প্রিয় মুখ, সদর আসনের উন্নয়নের রুপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কায়ালয়ে সাতক্ষীরা জেলা রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের হাতে। এসময় এমপি রবিসহ নেতা কর্মীরা মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করেন এবং সাতক্ষীরা সদর আসনে আবারো দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও তার সুস্থ্যতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
    এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি তার মরহুম পিতা মীর ইশরাক আলী ইসু মিয়া ও তার মায়ের কবর জিয়ারত করেন। ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নলতায় সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গাওছে জামান আরেফ বিল্লাহ হযরত শাহ্ সুফী আলহাজ¦ খান বাহাদুর আহছ্ান উল্লাহ (রঃ) এর পাক রওজা শরীফ জিয়ারত ও যোহরের নামাজ আদায় করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎ¯œা আরা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুৃল হাকিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশতাক আলীসহ আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য সমবেত হন। জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগসহ আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

  • ক্রমশ নাব্যতা হারাচ্ছে বেতনা নদী : খনন করা না হলে বাংলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেতনা

    ক্রমশ নাব্যতা হারাচ্ছে বেতনা নদী : খনন করা না হলে বাংলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেতনা


    শেখ বাদশা, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া বেতনা নদীতে পলি জমতে জমতে নাব্যতা হারাতে বসেছে নদীটি। অতিদ্রুত খনন কাজ শুরু না হলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেতনা নদী। সরেজমিন ঘূরে জানাগেছে যশোরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে উৎপন্ন হয়ে শার্শা উপজেলার নাভারনের কাছ দিয়ে বেতনা নদী প্রবাহিত হয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিনারপোতা নামক স্থান থেকে একটি শাখা সৃষ্টি করে, যেটা ডলুয়া নাম ধারণ করে। বিনারপোতা থেকে বেতনা নদী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ও আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বুক চিরে খোলপেটুয়া নদীতে গিয়ে মিশেছে এক সময়কার প্রমত্তা বেতনা নদী। আবহমানকাল থেকে বেতনা নদীটির দৈর্ঘ্য ১৯১ কিলোমিটার (১১৯ মাইল), গড় প্রস্থ ৫৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক বেতনা নদীর প্রদত্ত। নদীটির পরিচিতি নম্বর নং ৬৪। কালের বিবর্তনে বেতনা নদী আজ হারিয়েছে তার নব্যতা। বর্তমানে নদীটির চার ভাগের তিনভাগই ভরাট হয়ে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন এলাকায় নদীটি একেবারেই শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে এবং আশাশুনির অনেক স্থানে ভাটার সময় নদী হেটেই পার হয় সাধারণ মানুষ। নদীর তার নাব্যতা হারানোর ফলে লোকালয়ের মৎস্য ঘের খাল, বিলের থেকেও নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে উচু হওয়ার কারণে বর্ষী মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারেনা। উপরন্ত বর্ষা মৌসুমে সকল খালের গেটের স্লুইচ বন্ধ করে রাখতে হয়, যাতে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে। চলতি শীত মৌসুমে যদি বেনা নদীটি খনন করা না হয় তবে সামনের বর্ষা মৌসুমে আশাশুনি উপজেলা ও সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছে স্থানীয় সচেতন মহল। তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে বেতনা নদীর উভয় পাড়ে নির্মান হওয়া ইটভাটা গুলো তাদের ইচ্ছামত নদীর চর দখল করে সেখানে নির্মান করছে কাঁচা ইট তৈরীর খামার। অন্যদিকে স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যুরা ইজারা না নিয়ে যে যার মত বেড়ীবাঁধ দিয়ে দখল করে নিচ্ছে নদীর চর। এমতাবস্থায় চলতে থাকলে কোন একদিন বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে বেতনা নদীর নাম। এলাকা প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা ও মানচিত্রের বুকে নদীটি বাঁচিয়ে রাখতে বিষয়টি আমলে নিয়ে অতিদ্রুত খনন কাজ শুরু করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নদী প্রিয় এলাকার সচেতন মহল।