প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃসাতক্ষীরা জেলা তাঁতীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা তাঁতীলীগের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম। সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিনের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলার যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, শ্যামনগর উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মামুন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মারুফ, আশাশুনি উপজেলা তাঁতীলীগের আহবায়ক মন্টু, সদর উপজেলার আহবায়ক সাগর হোসেন, সদস্য সচিব ঈদুল, কলারোয়া উপজেলার রিপন হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলার জাহিদ হাসান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন,কালিগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবকলীগের তানভীর আহমেদ উজ্জল, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সায়ীদ ও সাধারণ সম্পাদক জজ প্রমুখ। সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক উজ্জল কুমার সানা, সদস্য মনিরুজ্জামান, আব্দুল কাদের, রেজাউল ইসলাম, আশিকুর রহমান, মনোজ কুমার, মনিরুজ্জামান, তুহিন হোসেন, আবুল কাশেম, জুয়েল হাসান, আসাদুল ইসলাম, পলাশ কুমার ও জাকির হোসেন।
Blog
-

সাংবাদিক কার্যালয় ও প্রাণকেন্দ্র লুটের প্রতিবাদে দেবহাটায় প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সমাবেশ
দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণকেন্দ্র’ ও দেশ টিভি-বিডি নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি’র সাংবাদিক কার্যালয় লুটের প্রতিবাদে দেবহাটায় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দেবহাটা প্রেসক্লাব এ মানববন্ধন সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহবের সভাপতিত্বে রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব লিটুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, প্রচার সম্পাদক মোমিনুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হুরাইরা, রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সাংবাদিক এসএম নাসির উদ্দীন, এমএ মামুন, কবির হোসেন, নির্মল কুমার মন্ডল প্রমুখ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় উপজেলা কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সাংস্কৃতিকমনা ব্যক্তিরা একাত্বতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন। উল্লেখ্য গত ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার সাতক্ষীরার বনানী মার্কেটে অবস্থিত সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণকেন্দ্র’ ও দেশ টিভি- বিডি নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমনের কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায় ভেঙে লুট করে নিয়ে যায় স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত সোনাচোরাকারবারী কামরুজ্জামান বুলু ও তার সন্ত্রাসীরা। মার্কেট মালিক আব্দুল জলিল ও বুলু’র মধ্যে বিরোধ থাকলেও এর সাথে প্রাণকেন্দ্রের কোন বিরোধ ছিল না। বিনা কারণে এধরনের ঘটনা ঘটার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার সাংবাদিকরা ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা এর প্রতিবাদে নেমে পড়ে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম কার্যালয়ে যারা হামলা ও লুট করে তারা মানবতার দুশমন। সাংবাদিক কার্যালয়ে হামলা ও লুটের ধৃষ্টতা দেখানোর ঘটনা এটি একটি দুঃসাহস। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং দোষীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিতে হবে। এক দশ দিন পেরিয়ে গেলেও দোষী সোনাচোরাকারবারী বুলু ও তার সন্ত্রাসীরা শাস্তির আওতায় না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। চিহ্নিত একটি সোনাচোরাকারবারী ও মৌলবাদের মোড়ল সাংবাদিক কার্যালয়ে লুট করে পার পেয়ে যাবে ব্যাপারটা এতোটা সহজ নয়। সোনাচোরাকারবারী কতৃক এ লুটের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেন সকল সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। প্রসঙ্গত বিডি নিউজ, দেশ টিভি প্রতিনিধি’র ব্যক্তিগত কার্যালয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রাণকেন্দ্র ভাংচুর করে জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। ভবনের কক্ষটি ভাড়া প্রদান করেন পলাশপোলস্থ আব্দুল জলিল। আব্দুল জলিলের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে আলবারাকা শপিং মলের মালিক কামরুজ্জামান বুলু ও তার বাহিনী নিয়ে বনানী মার্কেটের ছাদ ভেঙে ক্যামেরা, ল্যাপটব, হারমোনিয়াম, তবলা, বয়া, ট্রাইপড, চেয়ারসহ মুল্যবান জিনিস দিন দুপুরে লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ বাপীসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য এই কার্যালয়েই শিল্প সাহিত্যসহ বিডি নিউজ পরিচালিত হ্যালো’র শিশু সাংবাদিকতার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
-

তালায় মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরা তালায় ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’-১৮ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে এ দিবস পালন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় থেকে একটি র্যালী উপ-শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন শেষে কার্যালয় চত্তরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু,জেলা পরিষদ সদস্য মীর জাকির হোসেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস কহিনুর ইসলামের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধ মফিজউদ্দিন,ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধ আলাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধ এম এ ওয়াদুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধ এম এ ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুল জলিল,তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ সন্তান কমান্ড এর আহবায়ক মোঃ জাহিদুর রহমান লিটু প্রমুখ।
আলোচনা সভার পূর্বে দেশের গান পরিবেশন করেন তালা মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক একাডেমির শিল্পী বৃন্দ। -
বনবিভাগের উর্দ্ধত্মন কর্মকর্তা নিরব
রাকিবুল হাসান, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জেররোঠাবেঁকী, দোবেকীসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ অভায়ারণ্য এলাকায় সুন্দরবনের মায়াবী হরিণ, মাছ-কাঁকড়াসহ কাঠ আহারণ করা সম্পূর্ণভাবে রিষিদ্ধ রয়েছে। অথচ স্মার্ট প্রেট্রোল টিমের ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোবারক হোসেন টাকার বিনিময়ের এই সমস্ত নিষিদ্ধ এলাকায় হরিণ শিকারসহ মাছ-কাঁকড়া ধরার টাকার বিনিময়ে অনুমতি প্রদান করছে বলে জানা গেছে এবং বন বিভাগের অসাধু উর্দ্ধত্মন কর্মকর্তারা নিরবে আছেন বলে জানা গেছে। এদিকে স্মার্ট টিম নামক একটি সরকারি বাহীনি সুন্দরবনের অভায়ারণ্য এলাকার জন্য টহলরত দ্বায়ীত্বে থাকলেও এই টিমের দ্বায়ীত্বরত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন ঘুস বানিজ্য স্বর্গ রাজ্য কায়েম করছে বলে জানা গেছে। সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলে বাউয়ালীরা জানান, সুন্দরবনের নিষিদ্ধ অভায়ারন্য এলাকাগুলোতে মাছ-কাঁকড়াসহ বিভিন্ন এলাকা প্রজনন এলাকা হওয়ায় ওই এলাকায় জেলেদের অনুপ্রবেশ করা নিষিদ্ধ রয়েছে। ওই এলাকা নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে মাছ-কাঁকড়া ও হরিণ পাওয়া যায়। যার কারণে অসাধূ জেলে-বাউয়ালীরা সংশ্লিষ্ঠ বন কর্মকর্তাদের সাথে এবং স্মার্ট টিমের দায়ীত্বরত কর্মকর্তা ওসি মোবারক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে প্রতি গনে নৌকা প্রতি ৩-৪হাজার টাকার বিনিময়ে এইসব এলাকায় প্রবেশ করে। আবার যে সমস্ত জেলে-বাউয়ালীরা অসাধু বনকর্মকর্তা ও ওসি মোবারক হোসের সাথে যোগাযোগ না করে ও নির্দ্ধাারিত টাকা দিতে না পারে তাদেরকে আটক পূর্বক বন মামলা দেওয়া হয় এবং জেলে বাউয়ালী সুত্রে জানা যায়, স্মার্ট প্রেট্রাল টিমের দ্বায়িত্বে থাকা ওসি মোবরক হোসেন নৌকা প্রতি জেলেদের কাঝে যে সরকারী পাশ থাকে তার অপরপিঠে একটি গোপন নম্বর বসান। কারণ ওই নম্বর তার একটি গোপন সংকেত। যার বিনিময়ে তিনি আরও ১-২ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে থাকেন। এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কথা হয় সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রফিক আহমেদের সাথে। মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, আমি দ্বায়ীত্বভার গ্রহন করার পর আমার অধীনের সকল কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছি কোন প্রকার অনিয়ম চলবে না। অঅমার স্মার্ট পেট্রোল টিম সুন্দরবনের অভায়ারণ্য এলাকায় দ্বায়ীত্ব পালন করছেন। এবং আমি নিজে মাঝে মাঝে অভিযানে যাচ্ছি। যাহা অভারণ্য এলাকার জেলে বাউয়ালীরা অবাদে বিচরণ করছে; এটা সঠিক নয়। -

বিটিএফ মেডিকেল ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:স্বাস্থ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অনুমোদিত বিটিএফ মেডিকেল ইনস্টিটিউটে ১/২/৩ বছরের কোর্সে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা কদমতলাস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। নবাগত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল বাছিত, ওমর ফারুক, মাসুকা পারভীন, সোনালী খাতুন, শাহীন আলম রাজা, তাজমিন নাহার, সজল আহম্মেদ, শামীম হোসেন, মাহমুদুল আলম, শহীদুল আলম সহ শিক্ষার্থীবৃন্দ। এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেকনোলোজী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিটিএফ মেডিকেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক এম এ হান্নান।
-
দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে এস এম জগলুল হায়দারের শুভেচ্ছা বিনিময়
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা- ৪, শ্যামনগর+কালিগঞ্জ আংশিক আসনের নৌকার মাঝি এস এম জগলুল হায়দার দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে শুক্রবার দিনভর ব্যস্ত ছিলেন। সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কবিরুজ্জামান (মন্টুর) দাদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে জগলুল হায়দার ছুটে যান তার বাসভবনে। সেখানে শোকাহত পরিবারের প্রতি শোক ও সমাবেদনা জ্ঞাপন করেন। সকাল ১১ টায় ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের নেতা কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিকালে শ্যামনগর আটুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় সকল নেতা কর্মীদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একটি মিলন মেলার সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
-
ম্যাচের লাগাম টাইগারদের হাতে
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় কপালে একটু হলেও ভাঁজ পড়েছে। সাকিব-মাহমুদুল্লাহরা না হয় স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছেন। তাই বলে তাইজুলও। এ উইকেট ব্যাটিং সহায়ক না হয়ে যায় না। মাথায় তখন চিন্তা উঁকি দিচ্ছে পেসারবিহীন দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকাবে কিভাবে। পরীক্ষিত সৈনিক সাকিব-মিরাজদের তাই প্রমাণ দিতে হতো। কিন্তু উইন্ডিজকে ইনিংসের শুরুতে এভাবে কাঁপিয়ে কৌশলের স্বপক্ষে যুক্তি দাঁড় করাবেন তা ভাবা যায়নি। টাইগারদের প্রথম ইনিংসের ৫০৮ রানের জবাবে শুরুতে ধসে গেছে সফরকারীরা। তারা ৭৫ রানে হারিয়েছে ৫ উইকেট। দ্বিতীয় দিন শেষে পিছিয়ে ৪৩৩ রানে।

উইন্ডিজের টপ পাঁচ ব্যাটসম্যানকেই বোল্ড করেন সাকিব-মিরাজ। ছবি: এএফপি ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে শুরুতে কাঁপন ধরিয়েছে সাকিব-মেহেদিরা। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব শূন্য রানেই উইন্ডিজ দলের নেতা ক্রেগ ব্রাথওয়াটকে বোল্ড করে দেন। এরপর দলের ৬ রানে কিয়েরন পাউয়েলকে বোল্ড করেন মিরাজ। তাদের ১৭ রানের মাথায় আমব্রিসকে বোল্ড করেন সাকিব। মেহেদি মিরাজ পাল্লা দিয়ে রোস্টন চেজ ও শাই হোপকে বোল্ড করে ফেরান। মাত্র ২৯ রানে পাঁচ উইকেট হারায় সফরকারীরা। বোল্ড হয়ে ফেরেন উইন্ডিজের টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান।

উইন্ডিজের তিন উইকেট তুলে নেওয়া মিরাজের উল্লাস। ছবি: এএফপি এরপর অবশ্য ষষ্ঠ উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েছেন সিমরন হেটমায়ার এবং শেন ডউরিচ। দ্রুত রান তোলা হেটমায়ার ৪৩ বলে ৩২ রান তুলেছেন। কিন্তু এই স্পিন স্বর্গে কতক্ষণ তিনি তার ওয়ানডে মেজাজে রান তুলতে পারেন সেটাই দেখার থাকবে তৃতীয় দিনের শুরুতে। তার সঙ্গে ১৭ রানে আছেন উইকেটরক্ষক ডউরিচ।
এর আগে বাংলাদেশ দল মাহমুদুল্লাহর ক্যারিয়ার সেরা ১৩৬ রানের সুবাদে বড় সংগ্রহ পায়। এছাড়া দলের আরও তিন ব্যাটনম্যান পান অর্ধ শতক। সেঞ্চুরি জলাঞ্জলি দিয়ে সাকিব ফেরেন ৮০ রান করে। তার আগের দিন অভিষেক হওয়া সাদমান ৭৬ রান করে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে ঢোকা লিটন দাস ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলে জায়গার আবদার করে রাখলেন। দলের হয়ে মিঠুন-মুমিনুলের ২৯, তাইজুলের ২৬ কিংবা সৌম্যর ১৯ রানও বড় সংগ্রহ পেতে বেশ কাজে দিয়েছে।

ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংসের পর বল হাতে সাকিবের শুরুতেই আঘাত। ছবি: এএফপি বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে মেহেদি মিরাজ ৩৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন। সাকিব ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেবেন্দ্র বিশু, কেমার রোচ, ওয়ারিক্যান এবং ব্রাথওয়াট দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান লেইস এবং চেজ। সুত্র : সমকাল
-

শ্রদ্ধা: তারামন বিবি- সীমাহীন সাহসের নাম
জায়েদ হাসান:১৯৭১ সাল। ১৬ ডিসেম্বর। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয় বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে রচিত হয় এক নতুন ইতিহাস। নতুন এক মানচিত্র। আর এই জয় ছিনিয়ে আনতে জীবন বাজি রেখেছিলে বেশ কয়েকজন নারী। তাদের মধ্যে একজন হলেন তারামন বেগম । মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তারামন বিবি নামে পরিচিত ছিলেন।
অসীম সাহসিকতার এক প্রতীক তারামন বিবি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নং সেক্টরে নিজ গ্রাম কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুরে ছিলেন তিনি। তখন ১১ নং সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নার জন্য নিয়ে আসেন। তখন ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ছিলেন তিনি।
সেই দিনটির কথা মনে করে এই বীর নারী জানান, তখন সন্ধ্যা। রান্নার জন্য কচুরমুখি তুলছিলেন। এ সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম মুহিব হাবিলদার। তিনি তাকে তার সঙ্গে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চাইলেন। রান্নার কাজের জন্য। বিষয়টি মাকে জানালেন। কিন্তু মা দেশের কথা ভেবে ক্যাম্পে যেতে অনুমতি দিলেন।
মুহিব হাবিলদার তারামন বিবিকে তার ধর্মমেয়ে বানালেন। ক্যাম্পে মূলত রান্নার কাজই করতেন তিনি। আর অস্ত্রগুলো মুছে পরিষ্কার করতেন। রান্নার ফাঁকে ফাঁকে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালানো শেখাতেন।
তারামন বিবির ভাষ্য, তাকে প্রথমে রাইফেল চালানো শেখানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ছোট হওয়ায় বুকে ব্যথা পেতেন।পরে স্টেনগান চালানো শেখেন। পরবর্তীতে সহকর্মীদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। পাকিস্তানি বাহিনীর খবর সংগ্রহ করতেন।
১৯৭১ সালে একদিন দুপুরে খাওয়ার সময় পাকিস্তানি বাহিনী একটি গানবোট নিয়ে হানা দেয় তারামন বিবির ক্যাম্পে। সেদিন সহযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে শত্রুদের পরাস্ত করেন। এরপর বেশ কয়েকটি যুদ্ধে পুরুষ সহযোদ্ধাদের পাশাপাশি অস্ত্র হাতে লড়াই করেন এই বীর নারী।
ক্যাম্পে তিনিই ছিলেন সবার ছোট। তাই সবাই তাকে খুব আদর করত। একদিন দুপুরে খাওয়ার সময় পাকিস্তানি বাহিনী একটি গানবোট নিয়ে তাদের দিকে আসতে থাকে। খবর পেয়ে তিনিও তার সহযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। শত্রুকে পরাস্ত করেন। পরবর্তী সময়ে তারামন বিবি বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভাগ্যের জোরে কয়েকবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন।
যুদ্ধ শেষে মায়ের কাছে ফিরে আসেন তারামন। ১৯৭৩ সালে তৎকালিন সরকার মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করে তাকে। তারপর ১৯৭৪ সালে আবদুল মজিদের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এই নারীর এক ছেলে আবু তাহের, ও মাজেদা খাতুন নামে এক মেয়ে আছে।
এরপর তারামন বিবিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতা অর্জনের ২৪ বছর পরও তার সন্ধান মেলেনি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ১৯৯৫ সালের দিকে তার সন্ধান মেলে। ময়মনসিংহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বিমল কান্তি তাকে খুঁজে বের করেন। নারী সংগঠনগুলো তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। ওই বছর ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে তারামন বিবির হাতে বীরত্বের সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
১৯৫৭ সালে রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তারামন বিবি। তার বাবার নাম আবদুস সোহবান ও মায়ের নাম কুলসুম বিবি। তিনি অস্ত্র হাতে ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন রৌমারী রণাঙ্গনের কোদালকাটির সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাসেই চিরবিদায় নিলেন একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক তারামন বিবি। সুত্র : ইত্তেফাক
-

তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষে শতাধিক মুসল্লি আহত
গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশ এলাকায় শনিবার দুপুরে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষে শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
ইজতেমা সূত্র এবং স্থানীয়রা জানায়, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সা’দ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। জোড় ইজতেমা উপলক্ষে মাওলানা জুবায়ের গ্রুপের তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল। শনিবার সকাল থেকেই সাদ গ্রুপের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসতে শুরু করে এবং ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সাদ গ্রুপের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের চারপাশ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পশ্চিম লেনে অবস্থান নেন। এতে ওই লেনে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হয়। এদিকে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে সাদ গ্রুপের মুসল্লিরা জুবায়ের গ্রুপের মুসল্লিদের উপর হামলা চালায়। এতে প্রায় শতাধিক মুসল্লি আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত মুসল্লিদের টঙ্গী হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে গুরুত্বর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, দুপুরে মুসল্লিদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কিছু মুসল্লি আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের সংখ্য তিনি জানাতে পারেননি।
-

একাত্তরের রণাঙ্গনের বীরকন্যা বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই
একাত্তরের রণাঙ্গনের বীরকন্যা বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই। শুক্রবার দিবাগত রাতে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কাচারীপাড়ায় নিজস্ব বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৮ নভেম্বর কুড়িগ্রামের রাজীবপুর থেকে ময়মনসিংহ সিএমএইচ (সেনা ক্যান্টমেন্ট হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ১ সপ্তাহ আগে তাকে রাজিবপুরের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
শুক্রবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বাড়িতেই তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। পরে রাত দেড়টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাষ ত্যাগ করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, বীর প্রতীক তারামন বিবির নামাজে জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নং সেক্টরের হয়ে তারামন বিবি মুক্তিবাহিনীদের রান্নাবান্না, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকবাহিনীদের খবরাখবর সংগ্রহ করা এবং সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এ কারণে তাকে বীরপ্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়েছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশে যে দুজন নারী মক্তিযোদ্ধাকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়া হয়েছে তারামন বিবি তার একজন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।
-

আজ মুক্তিযোদ্ধা দিবস : জাসদ সভাপতি শ্রদ্ধা নিবেদন
মুক্তিযোদ্ধা দিবসে জাসদ সভাপতি ও মাননীয় তথ্যমন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু এমপি ‘র নেতৃত্বে মীরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মাননীয় মন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন,“ আজ ১লা ডিসেম্বর ২০১৮। বিজয়ের মাসের প্রথম দিন। ২০০৪ সাল থেকে জাসদ, আজকের এই দিনটি”মুক্তিযোদ্ধা”দিবস হিসেবে পালন করছে এবং একই সাথে এই দিনটি ” মুক্তিযোদ্ধা” দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য জোর দাবীজানাচ্ছে । আজকে এই দাবীর প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত সংগঠন সমর্থন জানিয়েছে। আশাকরি অবিলম্বে সরকার এই দাবী মেনে নেবেন।
এখানে একটি প্রসঙ্গ বিনয়ের সাথে উল্লেখ করতে চায় শুধু সরকারের সাথে যারা আছেন তাদের মধ্যে, বিশেষকরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে, ” ১৯৯৯ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে, যখন কুষ্টিয়ার কালিদাসপুরে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়, তখন বিভিন্ন মহল থেকে দাবী উঠেছিল, উনাকে জাতীয়বীরের মর্যাদায় গার্ড অফ অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হোক, আমরা শহীদ মিনারে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম, কিনতু সাড়া মেলেনি, উনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন আমরা করতে পারিনি। এর ৩/৪ মাস পরই সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, মুক্তিযোদ্ধারামারা গেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে এবং এটা চলছে। হয়তো ২দিন আগে বা পরে ১লা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘােষণা করা হবে বলে আমরা আশাকরি। এর আগের একটি ঘটনা, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার এক খলিফা আব্দুল কুদ্দুস মাখন মারা গেলেও তৎকালীন বিএনপি সরকার বহু নাটকের পর, উনাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্হা করেছিল। এটাই আমাদের সরকারগুলোর অদূরদর্শিতা! । ”
মুক্তিযোদ্ধা দিবসের এশ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন , মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হাবিবুর রহমান শওকত,বীর মুক্তিযোদ্ধা জাসদ সহ সভাপতি শফী উদ্দিন মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাসদ মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মাইনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, নাদের চৌধুরী, জাতীয় যুবজোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, শওকত রায়হান, মীর্জা আনোয়ার, যুবনেতা সামসুজ্জামান সম্রাট ও নওশের আলী সজীব। নারীনেত্রী রাবেয়া দিলরুবা ও নার্গিসসহ আরো অনেকে। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাএনেতা সামসুল ইসলাম সুমন।
ছাএনেতা নুরুজ্জামান ননী,গোলাম কিবরিয়া ওগোলাম মোস্তফা -

সাতক্ষীরা-২ আসনে জাপার প্রার্থী শেখ আহজার
১০৬ সাতক্ষীরা-০২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে শেখ আজহার হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ৩০ নভেম্বর’১৮ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর প্রেরিত কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত একপত্রে এ প্রার্থীতা নিশ্চিত করেন। ওই পত্রে তিনি আরো উল্লেখ করেন, সাতক্ষীরা-০২ আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দ্বিতীয় কোনো প্রার্থী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বলে বিবেচিত হবে না। এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসারকে অনুরোধ জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
-

গোবিন্দপুর প্রিন্সিপ্যাল আব্দুল হক স্মৃতি সংঘের আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ
কাশিমাড়ী (শ্যামনগর) প্রতিনিধিঃ শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের পুর্ব গোবিন্দপুর প্রিন্সিপ্যাল আব্দুল হক স্মৃতি সংঘের আয়োজনে শুক্রবার সকাল ১০টায় এলাকার দুস্থ অনাথ হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে শীত বস্ত্র বিতরণের পুর্বে ফিতা কেটে প্রিন্সিপ্যাল আব্দুল হক এর ছবির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উক্ত অনুষ্টানে আব্দুস সালাম মন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাবু দেবী রঞ্জন মন্ডল। বিশেষ অতিথি ছিলেন- শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আনিছুজ্জামান আনিচ, গোবিন্দপুর আবু হানিফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গাজী শফিকুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রিন্সিপ্যাল আব্দুল হক স্মৃতি সংঘের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, ডাঃ জি এম মোস্তফা মাহমুদ, কাশিমাড়ী ৩নং ওয়ার্ড আওয়ালীগের সভাপতি নুরুল হক বাচ্চু প্রমূখ।
-
তালায় ভূমি অফিসের সহকারীর বিরুদ্ধে ৯ শ’টাকার দাখিলার বিপরীতে ৮ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ!
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ তালার তেঁতুলিয়া ইউনয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে ৯ শ’ টাকার খাজনা দাখিলা রশিদের বিপরীতে ৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের এক উর্দ্ধত ন পুলিশ কর্মকর্তার মা সখিনা বেগমের নিকট থেকে ঐ ঘুষ গ্রহন করা হয়েছে। এ ছাড়াও এলাকায় বিভিন্ন জনের নিকট থেকে দাখিলা,খাসজমি বন্দোবস্তসহ উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা যায়,গত ২২ নভেম্বর দুপুরে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কাজী মাহবুব হোসেন লক্ষণপুর গ্রামের মৃত আনছার মাহমুদ’র স্ত্রী সখিনা বেগমের বাড়ীতে যান তাদের মালিকানাধীন লক্ষণপুর,মদনপুর ও হাতবাস মৌজার প্রায় ৬ একর জমির খাজনা আদায়ে। এসময় ঐ বিধাবা বৃদ্ধার এক দেবর আঃ রহমান তার সাথে ছিলেন।
অভিযোগে তিনি জানান,তাদের ঐ সকল মৌজার খাজনা পরিশোধে ৮ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে আছে। এক্ষণি তাদের সকল টাকা পরিশোধ করতে হবে। সখিনা বেগম দেবর রহমানকে সাথে দেখে সরল বিশ্বাসে তার নিকট ৮ হাজার টাকা বুঝে দিলেও পরে তাকে মাত্র ৯ শ’ টাকার একটি রশিদ ধরিয়ে দেওয়া হয়। রশিদটি দেখা মাত্রই অতিরিক্ত ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি ধরা পড়ে তার কাছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাজী মাহবুবের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,আঃ রহমান কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন সেটা তিনি জানেননা। তবে ৯ শ’ টাকার দাখিলার বিপরীতে তিনি তাকে ১ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।
এব্যাপারে তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিমেষ বিশ্বাসের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,অভিযোগটি তিনি লোক মুখে শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা। -
কুল্যা আশ্রম মাঠে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
আশাশুনি ব্যুরো ঃ আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার কুল্যা আশ্রম মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় টসে জিতে কুল্যার মোড় ব্যবসায়ী ক্রিকেট একাদশ ব্যাট হাতে মাঠে নামে। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলায় তারা ২১২ রান করে অল আউট হয়ে যায়। জবাবে কুল্যা ইয়াং স্টার ক্লাব একাদশ ১৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে জয়লাভ করে। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের আলামিন, সেরা বোলার একই দলের গোলাম সরোয়ার এবং সর্বোচ্চ ১১ টি ছক্কা মারেন একই দলের রানা। খেলা পরিচালনা করেন সনি ও শাহিন আলম। ধারাভাষ্যে ছিলেন ফয়সাল ইসলাম কচি ও স্কোরার ছিলেন সুমায়ন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এএসআই মঞ্জুরুল ইসলাম। -

গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরী হয়নি – সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা তালা উপজেলার তেঁতুলিয় ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপি’র এক কর্মী সভা স্থানীয় মদনপুর বাজারে অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা সম্পাদক সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম,উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিয়াজান আলী মোড়ল,তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক ময়েজ উদ্দীন,জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন, ঢাবি ছাত্র দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ-উল-ইসলাম, তালা উপজেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আনিচুজ্জামান আনিচ,ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আকরামুল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামসহ বিএনপির ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মী সভায় প্রধান অতিথি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,অবাধ,সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো তৈরী হয়নি। সেজন্য আগামী নির্বাচনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে অনুরোধ জানান। -
আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশনে নিয়োগে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও ইনহেল্ডার প্রজেক্টের ফ্যাসিলিটেটর নিয়োগে চরম অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রে প্রকাশ, নিয়োগ পরীক্ষা থেকে শুরু করে ভাইবা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শুধু মাত্র লোক দেখানোর জন্য এমনটি অভিযোগ একাধিক পরীক্ষার্থীর। মেধাবীদের বাদ দিয়ে স্বজন প্রীতি ও গোপনে অর্থের বিনিময়ে এমন নিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা। আগে থেকে যেন প্রোগ্রাম অফিসাররা সিলেক্ট করে রাখেন, কাদের নেওয়া হবে এবং কারা বাদ পড়বে। অফিসিয়াল সূত্রে প্রকাশ, চলতি বছরের অক্টোরব মাসে কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর, কমিউনিটি প্রমোটর, আল্ট্রা পোর গ্রাজুয়েশন ফ্যাসিলিটেটর, স্পন্সারশীপ ফ্যাসিলিটটর, ভ্যালুচেইন ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর ওয়াশ এবং ডাটা এন্ট্রি পদে নিয়োগ দেন আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। জানাগেছে নিয়োগ প্রকাশের পর প্রায় ৩২৯জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। যার লিখিত পরীক্ষা ৪ঠা নভেম্বর আশাশুনি আলিয়া মাদ্রাসা কক্ষে বেলা ১.৩০টায় হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় প্রায় বিকাল ৩টার সময়। পরীক্ষা শেষে তড়িঘষি করে এক থেকে দুইদিন পর মোবাইলে ভাইবার জন্য ডাকা হয় কিছু কিছু প্রার্থীদের। এর জন্য পত্রিকায় বা নোটিশ বোর্ডে কোন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের। সাজানো নিয়োগ বোর্ডে বিভিন্ন ফ্যাসিলিটেটরদের আগে থেকেই বলা হয়েছে তারা কে কোন পদে পরীক্ষা দেবে এবং তাদেরকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। তারই সূত্র কুল্যা গ্রামের বাবুল সরদারের কন্যা খাদিজা খাতুন গত বছর কমিউনিটি প্রমোটরে পরীক্ষা দিলেও সে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সে তার মেধা যাচাইয়ে ব্যার্থ হলেও পরবর্তীতে তাকে আল্ট্রাপোর গ্রাজুয়েশন প্রোজেক্টে নিয়োগ দেওয়া হয়। এবছর তাকে আগে থেকেই বলা হয়, সে যেন স্পন্সারশীপ প্রোজেক্টে আবেদন করে এবং সে উক্ত প্রোজেক্টে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানাগেছে। এছাড়া বিগত বছরে স্পন্সারশীপ প্রোজেক্টে চাকুরীকৃত ফ্যাসিলিটেটর মহিষাডাঙ্গা গ্রামের পবিত্র সরকারকে আল্ট্রাপোর গ্রাজুয়েশন ফ্যাসিলিটেটর পদে আবেদন করার কথা বলে এবং তাকেই উক্ত পদে উত্তীর্ণ করানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে গত বছরের একজন স্পন্সারশীপ ফ্যাসিলিটেটর মিনারুল ইসলাম জানান, আমার ২বছর ৬মাসের অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও লিখিত পরীক্ষার আগেই আমাকে বাদ দেওয়া হয়। যেন আমার পদের স্থলে অন্য কাউকে নিয়োগ দিতে পারে। এছাড়া একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের পরীক্ষা ভাল হওয়া সত্বেও এপি কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বাদ দিয়ে স্বজন প্রীতি করে নিজেদের লোকদের মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন। এছাড়া ইনহেল্ডার প্রোজেক্টের আল্ট্রাপোর গ্রাজুয়েশন ফ্যাসিলিটেটর পদে কুল্যা ইউনিয়নে ২জন ও বড়দল ইউনিয়নে ২জন করে ফ্যাসিলিটেটর নেওয়া কথা থাকলেও ভাইবা বোর্ডের পর একজন করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ যেন শুধু মাত্র লোক দেখানো নিয়োগ বোর্ড। এব্যাপারে কথা বলতে চাইলে আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশনের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার ডেভিট স্বপন শাহ জানান, লিখিত পরীক্ষার পরে আমরা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে ভাইবার জন্য ডেকেছি এবং ভাইবা শেষে যারা ফাইনাল ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে মোবাইলে বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে ডাকা হয়েছে। একাধিক পরীক্ষার্থী এ প্রবিবেদককে বলেন আমার ভাল পরীক্ষা দিয়েছি, আমাদের কোন ত্রুটির কারণে বাদ দেওয়া হলো এটা এপি কর্তৃপক্ষ কোন তালিকা বা মৌখিক ভাবে জানাচ্ছেন না। এব্যাপারে প্রোগ্রাম অফিসার মানিক হালদারের কাছে মোবাইলে পরীক্ষার খাতা কল করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমাদের অফিসিয়াল বিষয়, লিখিত পরীক্ষার খাতা কল করার কোন সুযোগ নেই। এমন একটি আন্তর্জাতিক বে-সরকারী সুনামিয় প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত আচরণ করার বিষয়টি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এমন পাতানো নিয়োগের বিষয়টি আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্ত ভোগী পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল।
