শ্যামনগর ব্যুরো ঃ জেলা প্রশাসক রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলার সকল শ্রেণীর মানুষকে একটি মডেল নির্বাচন উপহার দেব। শান্তির জনপদ সাতক্ষীরা। এ এলাকায় কোন সম্প্রদায়িক বা কোন অপশক্তিকে বাণিজ্য করতে দেব না। আমরা বিজয়ী বীরের জাতি। বিজয়ের মাসে এ নির্বাচনের মাধ্যমে আর একবার স্বাধীনতার প্রতীক উপহার দেব। ১৩ ও ১৪ এর সময়কালীন মানুষের মাঝে অশান্তি এখন আর নেই। মানুষ শান্তিপূর্নভাবে তাদের স্ব-স্ব ভোট প্রদান করতে পারে এ লক্ষ্যে নির্বাচন আচরণ বিধি মেনে ভোট প্রদানের সকল ব্যবস্থা থাকবে প্রশাসনের। এ ব্যাপারে সকলকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। ’ গতকাল শ্যামনগর উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত আইন শৃঙ্খলার বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজজামান। সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপ সচিব সাহ আব্দুল সাদী, জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাত হোসেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ১৭ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক আজাদ আলী প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি,এম আকবর কবীর, শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জি, ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, মুফতি মাওলানা আঃ খালেক, চন্দ্রিকা ব্যানার্জি প্রমুখ।
Blog
-

একাদশ সংসদ নির্বাচনে একটি মডেল নির্বাচন উপহার দিবে সাতক্ষীরা জেলাবাসী : মোস্তফা কামাল
-

চারটি সংসদীয় আসনের ২১ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের ২১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের হাতে এ প্রতিক তুলে দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরা-১ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের হাতে ধানের শীষ, ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহর হাতে নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখতের হাতে লাঙ্গল, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী এ.এফ.এম আসাদুল হকের হাতে হাতপাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী আব্দুর রশিদের হাতে আম ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মো. আজিজুর রহমানকে কাস্তে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।সাতক্ষীরা-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে নৌকা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির শেখ মাতলুব হোসেন লিয়নকে লাঙ্গল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নিত্যানন্দ সরকারকে মই, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতী রবিউল ইসলামকে হাত পাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. জুলফিকার রহমানকে আম প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রার্থী ডাঃ মো. শহিদুল আলমকে ধানের শীষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডা. আ ফ ম রুহুল হককে নৌকা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. ইসহাক আলী সরদারকে হাত পাখা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) গাজী নজরুল ইসলামকে ধানের শীষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এসএম জগলুল হায়দারকে নৌকা, জাতীয় পার্টি মো. আব্দুস সাত্তার মোড়লকে লাঙ্গল, বিকল্পধারা বাংলাদেশের এইচএম গোলাম রেজাকে কুলা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল করিমকে হাত পাখা ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপির মো. রবিউল ইসলাম জোয়াদ্দারকে বাঘ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
-

পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক প্রকল্প অবহিতকরণ সভা : পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে
নিজস্ব প্রতিনিধি: নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির উন্নত জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা পৌরসভায় ‘পানি স্যানিটেশন এবং হাইজিন বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্প অবহিতকরণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা পৌরসভা অডিটোরিয়ামে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক দাতা সংস্থার সিমাভীর আর্থিক সহযোগিতায় এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্যানিটেশন এ্যাক্সেস, ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি এবং নিরাপদ পানীয় জল ব্যবহার করতে পারবে। প্রকল্পটি চলবে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পানি স্যানিটেশন ও হাইজিন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে ব্যবসায় সম্পৃক্ত করার প্রত্যয়ে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। সভায় পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, ‘ সাতক্ষীরা পৌরসভায় এখন কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কেএফডব্লিউ’র প্রকল্পের কাজ শুরু হলে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হবে। প্রকল্পটি সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারলে আরো অনেক প্রকল্প পাওয়া যাবে। এতে পৌর এলাকার মানুষের সুদিন ফিরে আসবে। আইলা, সিডর পরবর্তী সময়ে জীবিকার খোঁজে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ শহরে আসছে। ফলে শহরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার ঘাটতি বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সরকার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থায় গুরুত্ব দিয়ে আসছে। পৌরসভাগুলোতে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। পৌর এলাকায় ৫০ হাজার জনগণ বেড়েছে। প্রত্যেক নাগরিককে আমরা পৌরসেবা নিশ্চিত করতে না পারলেও চেষ্টা করে যাচ্ছি। সাতক্ষীরা পৌরসভা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন কাজ করতে পারছি না। পৌর এলাকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি, আমরা আশা করছি আগামী ৬ মাসের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান বা সাধারণ নাগরিকরা যাতে সহজে পৌরসভার সকল ধরনের নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া পৌরসভার উদ্যোগে শিক্ষিত বেকার নারীদের জন্য ইজিবাইক প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একটি হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভাকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।’ বক্তব্য রাখেন আশা ইন্টারন্যাশনাল’র এইচপি এন্ড সিওও মো. এনামুল হক, ওয়াশ এ্যালাইন্স ইন্টারন্যাশনাল’র কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক কুমার মজুমদার, টিসি এইচপি মৃনাল কুমার সরকার, এইচ পি’র ইডি মো. মাহিউল কাদির প্রমুখ। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য প্রফেসর মো. আব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আনিছুর রহিম, দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, মজনুর রহমান মালী, পৌর কাউন্সিলর অনিমা রানী ম-ল, টিআইবি’র সাতক্ষীরা এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ, জেলা মহিলা পরিষদের সম্পাদিকা জ্যোৎ¯œা দত্ত, কিশোরী ন্যাপকিন’র ট্রেইনার রাবেয়া খাতুন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন এনটিভি’র জেলা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, জ্যোৎ¯œা আরা, শফিকুল আলম বাবু, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. আব্দুর রহমান প্রমুখ। -

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে । দিবসটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোাশরফ হোসেন মশু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সাতক্ষীরাস্থ উপ-সচিব শাহ আব্দুল সাদী প্রমুখ। এর আগে শহীদ আব্দুর রাজ্জাকের কবর জিয়ারত ও পুস্প মাল্য অর্পন এবং জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বাহী লাঠিখেলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি প্রদর্শন করা হয়। -

নৌকার বিজয়ের ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করবেননা —এমপি রবি
কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদরের বুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইউছুফ আলমের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন,‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপহার দিয়েছেন স্বাধীন দেশ এবং তার সুযোগ্য সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা উপহার দিয়েছেন উন্নয়নশীল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উন্নয়নের সরকার। আওয়ামীলীগ দেশে যে উন্নয়ন করেছে তা জনগণের মাঝে তুলে ধরতে হবে। আবারও নৌকার বিজয় হলে হবে উন্নয়ন, জিতবে দেশ এবং জিতবে বাংলার জনগণ। নৌকার বিজয়ের ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামীলীগের কোন নেতা কর্মী ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করবেননা।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, ডা. মুনছুর আহমেদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎ¯œা আরা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোর্শেদ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মইনুল ইসলাম, কুশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খায়রুল বাসার, কুশখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন, কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও ইউপি সদস্য রিপন, ওহেদুজ্জামান চান্দু, মহিদুল ইসলাম,প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এপিপি অ্যাডভোকেট শেখ তামিম আহমে সোহাগ, বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান অসলে, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা সুলেখা দাস, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি শাওন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী সাদিকুজ্জামান দ্বীপ, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনজামুল হক ইনজা, যুবলীগ নেতা জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রমুখ। এসময় কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম। -
সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার টিকিট পেলেন মুস্তফা লুৎফুল্লাহ
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১(তালা ও কলারোয়া) আসনে নৌকার টিকিট পেলেন মহাজোটের ১৪ দলের শরীক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ও পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত চিঠি রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম মহাজোটের মনোনীত ১৪ দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ’র হাতে নৌকা প্রতীকের এই চূড়ান্ত চিঠি তুলে দেন।
মনোনয়ন চিঠি পেয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবার দোয়া, ভালোবাসা ও শুভকামনায় আমার এলাকার প্রিয় নেতা-কর্মী ভাইবোনদের পরিশ্রমের ফসল এই মনোনয়ন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’ এ সময় ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌকা প্রতীককে জয়যুক্ত করারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রকাশ,সাতক্ষীরা-১ তালা ও কলারোয়া দু’টি উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ১০৫, সাতক্ষীরা-১ আসনটি। নির্বাচন অফিস সুত্রে সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এই আসনের ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯১ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ৮১৮ জন এবং পুর”ষ ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৩ জন। -
৭ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভায়
আব্দর রহিম: ৭ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ঘন্টা ব্যাপি মুক্তিযোদ্ধাদের লাঠি খেলা প্রদর্শণ করে। পরে শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোশরফ হোসেন মশু, সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, দেবহাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণি, তালা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মফিজুর রহমান, আশাশুনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুল হান্নান, শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আবু রায়হান তিতু, সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি। উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, হাসনে জাহিদ জজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহবায়ক এস এম গোলাম ফারুক, রেজাউল ইসলাম রিয়াজ, সদস্য আব্দুর রহিম, বাবলুর রহমান বাবু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মেহেদীআলী সুজয়, সদস্য কাজি ফখরুল ইসলাম রিপনসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ট সন্তান। আমি গর্বিত যে, আমি নিজেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জেলা প্রশাসক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া কোন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কেউ প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বারা হয়রানি হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ সকলকে মনে রাখতে হবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করেছিল। তাদের এ ত্যাগ কখনও ভোলার নয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফ আদনান ও আসফিয়া সিরাত। ৭ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
-

ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আওয়ামীলীগকে কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারাতে পারবেনা –এমপি রবি
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ ঃ আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সদরের আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি’র সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উন্নয়নের চিত্র নিজ নিজ এলাকার সাধারণ ভোটারদের কাছে তুলে ধরেন। অবশ্যই আবারও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। শুধু প্রয়োজন সকল নেতৃবৃন্দের ঐক্য ও সমন্বয়। দেশে প্রচুর পরিমানে উন্নয়ন হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আওয়ামীলীগকে কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারাতে পারবেনা।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ, আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মইনুল ইসলাম, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. শামছুর রহমান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাব্বি, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এপিপি অ্যাডভোকেট শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, গোপাল চন্দ্র ঘোষাল, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, যুবলীগ নেতা জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, মাস্টার কামাল হোসেন প্রমুখ। এসময় আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠঅন পরিচালনা করেন আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাপস আচার্য্য। -

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম
রেজার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডলর কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহিদ স.ম আলাউদ্দীন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পড়ে শোনান মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর উদ্দিন।
তিনি বলেন, গত ৩ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সম্মেলন কক্ষে সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের তার সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। ব্যক্তি স্বার্থে প্রভাবিত হয়ে কতিপয় নামধারী মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা সে বিষয়ে অবগত নই। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেকের নাম দিয়ে লিখিত ভাবে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। আব্দুল বারেক ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ ২০১০ সালে আইলায় ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহ নির্মাণের অর্থ বরাদ্দের যে তালিকা করা হয়েছিল সেখানে ভিন্ন উপজেলার ৭’শ পরিবার এবং ১৩ জন মৃত ব্যক্তির নাম ছিল। সঠিক তালিকা তৈরী করে টাকা দেয়ার জন্য উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হয়েছিল। পরে আদালতের নির্দেশে সঠিক তালিকা তৈরী করে স্ব স্ব নামে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়।
তারা আরো বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। কাজেই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। দেশ ও জাতীর স্বর্থে নেত্রী মহাজোট যাকেই মনোনয়ন দিবেন আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে তাকেই সমর্থন জানাবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক গাজী,বরকতুল্লা, শেখ হারুন অর রশিদ, আব্দুল লতিফ, মোঃ ছুন্নত আলী মল্লিক ও মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমূখ। -

ঐক্যবদ্ধভাবে বিপুল ভোটে নৌকার মাঝিকে বিজয়ী করতে হবে
নিজস্ব রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের পুরাতন আইনজীবী ভবনে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন, ‘সকল নেতাই সদরে নৌকার মাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে বিজয়ী করার ঐক্যমত প্রকাশ করেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে জামাত-বিএনপির দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য সকল নেতা কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং বিপুল ভোটে নৌকার মাঝিকে বিজয়ী করতে হবে।’
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সরদার, মফজুলার রহমান খোকন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান অসলে, আব্দুল কাদের, মো. ফারুক আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, সরদার নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, নির্বাহী সদস্য ও লাবসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা. মহিউর রহমান (ময়ুর ডাক্তার), ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এপিপি অ্যাডভোকেট শাহনওয়াজ, বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. কাওছার আলী, বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন, ফিংড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী, ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাবু সানা), ব্রক্ষèরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মগরেব আলী, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম গাজী প্রমুখ।
জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী। -

ইভিএম পদ্ধতিতে কারও ভোট বাতিল হবার সুযোগ নেই
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ইভিএম পদ্ধতিতে কারও ভোট বাতিল হবার সুযোগ নেই। ভোটারের ভোটটি তার কাংখিত প্রার্থীর অনকূলে গেছে কিনা তাও তিনি নিশ্চিত হতে পারবেন বুথের মধ্যেই। আর ভোট শেষে খুব অল্প সময়েই গননা শেষ হবে। ফলাফল পেতেও কোনো বেগ পেতে হবে না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম প্রদর্শন ও কারিগরি ধারনা প্রদান বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এস.এম মোস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, কোনো সংশয় সন্দেহ কিংবা অনিশ্চয়তা নেই, ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট দেবেন । এ জন্য ভোট কেন্দ্রে যেমন কোনো ব্যালট বাক্স লাগবে না তেমনি ব্যলট পেপারও লাগছে না। সাধারন ভোটারদের এ বিষয়ে অবহিত করতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় প্রাকটিক্যাল প্রচারনা চালানো হবে।
এ সময় ইভিএম মেশিন নিয়ে তার প্রয়োগ ও ভোটদান পদ্ধতি তুলে ধরে প্রশিক্ষন দেন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সাইফদুর রহমান শাহাবুদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের নুরজ্জামান শাওন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদসহ সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশের কোনো জেলা শহর সাতক্ষীরার সদর আসনে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করা হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এতে আপনার আমার ভোটের সুরক্ষা হবে। শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। দ্রুত সময়ে ভোট গ্রহন ও গননা সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন যেহেতু ইভিএম মেশিনে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ থাকছে না সেজন্য হ্যাকিং হবার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি বিদ্যুত না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই, কারণ ইভিএম চলবে ব্যাটারির শক্তিতে। ভোটার বাটনে চাপ দিলেই দেখতে পাবেন তার কাংখিত প্রার্থীর নাম ও প্রতীক। এরপরই তিনি নিচের সবুজ বাটনে চাপ দিলে নিশ্চিত হবেন যে তার ভোট যথাস্থানে পড়েছে। জেলা প্রশাসক এ সময় এ বিষয়ে সকলকে অবহতি করার আহবান জানান। -

সাইফুল্লাহ লস্কর স্মরণে : আমাদের সাইফুল্লাহ ভাই
ফরিদ আহম্মেদ :
ঠিক কবে কখন সাইফুল্লাহ্ ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল তা আজ আর মনে পড়ে না। তবে ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সুবাদে তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল এবং ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীকালে আমার কর্মজীবনে প্রবেশের পরেও তাঁর সাথে উষ্ম আন্তরিকতার সম্পর্ক অব্যাহত ছিল। তাঁর সঙ্গে জীবনে বহুবার দেখা হয়েছে, বহুবার তাঁর বাসায় আতিথ্য গ্রহণ করেছি, অনেক আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর সাথে অংশ নিয়েছি। মৃদু ভাষী, সদা হাস্যময়ী, বিনয়ী, ভদ্র, মার্জিত স্বভাবের এই মানুষটির সঙ্গে আমার শুধু নয় এই অঞ্চলের গোটা শ্রমজীবি মানুষের গড়ে উঠেছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যা তাঁর মৃত্যুকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সাইফুল্লাহ্ ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ জানতে পারি পত্রিকার পাতা থেকে, পরে তাঁর সংগঠন কৃষক সংগ্রাম সমিতির নেতাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে খবরটি নিশ্চিত হই। তাঁকে নিয়ে অনেক স্মৃতি, অনেক কথা আজো মনে পড়ে। পেশাগত ক্ষেত্রে কর্মব্যস্ততার কারণে নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও তাঁর সাথে কখনো দেখা হলেই উষ্ম আন্তরিকতার সম্পর্ক অনুভব করতে পেরেছি।
সাইফুল্লাহ্ লস্কর দীর্ঘ সময় ধরে এদেশের কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তিনি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বহু কৃষক আন্দোলন পরিচালনা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বৃহত্তর খুলনা জেলাতে বিল ডাকাতিয়া আন্দোলন, দক্ষিণাঞ্চলে ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ বিরোধী আন্দোলন, খাস জমিতে ভূমিহীন কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন উল্লেখযোগ্য ু; যশোর জেলায় বিল ডহুরী, বিল খুকশী, বিল বুড়–লী, আগরহাটি-ভায়না বিলের আন্দোলন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য আন্দোলন সংগঠিত হয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ ও তাঁর সহযোগী দেশীয় শাসক-শোষক গোষ্টির পরিকল্পনায় পরিচালিত প্রতিবিপ্লবী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে যশোর-কেশবপুর-চুকনগর-তালা-পাইকগাছা পর্যন্ত গণবিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। তিনি এই আন্দোলনে অন্যতম প্রধান সংগঠক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ষাট-এর দশকে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসাবে পাকিস্তানের শাসক-শোষক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে পরিচালিত ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি পর্যায়ক্রমে ন্যাপ, কৃষক সংগ্রাম সমিতি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন। এই সময়ে ঐ অঞ্চলের সংঘঠিত প্রতিটি কৃষক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন ও নেতৃত্বদানকারীর ভূমিকা পালন করেন। ঐ অঞ্চলে গড়ে উঠা ভূমিহীন কৃষকদের খাস জমিতে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা গ্রহণ করে ভূমিদস্যু স্থানীয় জোতদারদের বিরুদ্ধে কৃষক-জনতার প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন সদালাপি, মার্জিত, ভদ্র এবং কর্মীদের প্রতি দরদী মানুষ। তিনি সর্বদা ভোগ-বিলাসকে পরিহার করে সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্থ ছিলেন। তিনি আজীবন বাম প্রগতিশীল মতাদর্শকে ধারণ ও লালন-পালন করেছেন। তিনি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষের একজন নিষ্ঠাবান নেতা। তিনি ছিলেন আজীবন সাম্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় এজেন্ট সামন্ত-মুৎসুদ্দী শ্রেণীর বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াকু ব্যক্তিত্ব। তাঁর সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী আপোষহীন ভূমিকার কারণেই স্থানীয় প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিদস্যুদের সহযোগীতায় সাম্রাজ্যবাদের দালাল ক্ষমতাসীন শাসক-শোষক গোষ্ঠির পরিকল্পনায় রাষ্ট্রীয় শক্তি নির্মমভাবে তাঁকে খুন করেছে। তাঁর মৃত্যুতে এ দেশের কৃষক-জনতা হারিয়েছে তাদের এক আপোষহীন নেতাকে আর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তি হারিয়েছে তাদের একজন মহান সহযোদ্ধাকে। এদেশের সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য এ মৃত্যু এক অপূূূূূরণীয় ক্ষতি। এই সময়ে রাষ্ট্রশক্তি শুধু সাইফুল্লাহ্ লস্করকে হত্যা করেনি, হাজার হাজার মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন পন্থায় হত্যা করছে। সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস পরিচালিত হচ্ছে। এই হত্যাকান্ড শুধু আমাদের দেশেই নয়, সাম্রাজ্যবাদ বিশেষত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পরিকল্পনায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, বিভিন্ন দেশে এই রাষ্ট্রীয় শক্তির দ্বারা হত্যাকান্ড সংগঠিত হচ্ছে। এর কারণ কি ? এর কারণ নিহিত আছে বর্তমরুন বিশ্বে প্রচলিত পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় বিদ্যমান অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে।
সমগ্র পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা আজ গভীর অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় বিদ্যমান এই সাধারণ সংকটকে পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদগণ মন্দা হিসাবে অভিহিত করছেন। প্রথম বিশ্ব মন্দার সূচনা হয় ১৯০৩-০৫ পর্বে। এই মহামন্দার পরিণতিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংগঠিত হয় ; ১৯১৭ সালে অক্টোবর বিপ্লবের মাঝদিয়ে রুশদেশে শ্রমিকশ্রেণী বলশেভিক পার্টির নেতৃত্বে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। ২য় মহামন্দা শুরু হয় ১৯২৯ সালে। ১৯৩৩ সালের দিকে মন্দা কিছুটা লাঘব হয়েছে বলে ধরা হয় ; বাজারে কিছুটা চাঙ্গা ভাব দেখা দেয়। কিন্তু আবার গভীর মন্দা সব কিছুকে গ্রাস করে। এই মন্দার পরিণতি ঘটে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীদের মধ্যে বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে। ১৯৩৯ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। বিশ্বযুদ্ধের ভিতর দিয়ে পূর্ব ইউরোপের ৭টি দেশে শ্রমিকশ্রেণী বুর্জোয়াদের উচ্ছেদ করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। বিগত ২টি মহামন্দার কোনটাই কেবল ক্রমাগত অবনতির ফল ছিল না। উভয় মন্দার সময়কালেই অর্থনীতির উত্থান ঘটেছিল। তবে তা ছিল সাময়িক ; যা অর্থনৈতিক মন্দার প্রাথমিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে ও নতুনভাবে আঘাত হানে এবং গোটা অর্থনীতিকে গ্রাস করে। পল ক্রুগম্যানের মতে, “বিশ্ব এখন ৩য় মন্দার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এটা ভেবেই আমি চরমভাবে ভীত। বর্তমান মন্দার গতি প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে এটা অতীতের মহামন্দা থেকেও আরো দীর্ঘতর ও ভয়াবহ হবে। কিন্তু অর্থনীতিকে এর চরম মূল্য দিতে হবে এবং সর্বোপরি কোটি কোটি লোক বেকার হয়ে পড়বে যা অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে আনবে। প্রাথমিকভাবে নীতির ব্যর্থতার কারণেই ৩য় মন্দার সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবী জুড়ে সব সরকার মূল্যস্ফীতি দ্বারা আবিষ্ট রয়েছে। অথচ যেখানে প্রধান সমস্যা হলো মুদ্রা সংকোচন।”
পল ক্রুগম্যান আরো বলেন, “ কিন্তু ভবিষ্যত ইতিহাসবিদরা আমাদের বলবেনÑএটাই ৩য় মন্দার শেষ ছিল না, ঠিক যেমন ব্যবসার একটু ভাল অবস্থা যা ১৯৩৩ সালে শুরু হয়েছিল তা মহামন্দার শেষ ছিল না। যাই হোক না বেকারত্ব বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্বের চরম অবস্থা যা ধ্বংসাত্মক বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে তাও খুব আগের ঘটনা নয়। এই বেকারত্ব দ্রুত হ্রাস হয়ে আসার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ খুব ভালভাবেই এই ঘরানার মুদ্রা সংকোচন কৌশলের ফাঁদে পড়েছে। সংকটের এই ঘোলাটে দৃশ্যের মাঝেও আপনারা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করবেন যে নীতি নির্ধারকেরা এটা অনুধাবন করবেন তারা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট কাজ এখনো করেননি। কিন্তু না কয়েক মাস ধরে আশ্চর্যজনকভাবে পুনরুদ্ধারের জন্য নগদ টাকা ও ভারসাম্য বাজেটের সেই পুরানো পন্থার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।”
পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার নীতি নির্ধারকেরা মন্দা কাটিয়ে উঠার ঘোষণা দিলেও বিশ্ব অর্থনীতির বাস্তব চিত্র ভয়াবহ সংকটের নির্দেশ করছে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার সর্ববৃহৎ অর্থনীতি মার্কিন অর্থনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১০-২০১১ সালের জন্য ৩.৮৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট পাশ করেছে। এই বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১.৫৬ ট্রিলিয়ন ডলার যা যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির ১০.৬%। বাজেটে সামরিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৮.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালের শেষ কোয়ার্টারে মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৫.৯% দেখানো হয়েছে। ২০০৭ সালে মন্দা শুরু হবার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বেকার হয়েছে ৮৩ লক্ষ ৬০ হাজার জন। ২০১০ সালের ফেব্র“য়ারীতে বেকারত্বের হার দাঁড়ায় ৯.৭% যা বর্তমান মাসে ২ অংকের সংখ্যাতে পৌঁছাবে বলে বলা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ১২ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪০ টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়। নতুন বছরের প্রথম মাসে আরো ৩৫ টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়েছে।
পুনরুদ্ধারের কথা বলা হলেও ইউরোপের অর্থনীতিতেও সংকট এবং মন্দা অব্যাহত রয়েছে। ২০০৯ সালের শেষ কোয়ার্টারে ইউরোপের কোন কোন দেশে নামমাত্র প্রবৃদ্ধি দেখানো হলেও অর্থনীতিতে বাস্তবে মন্দা ও সংকট অব্যাহত রয়েছে। ২০০৯ সালে সামগ্রিকভাবে ইউরো জোন এর অর্থনীতি ৪% সংকুচিত হয়। ২০০৯ সালে জার্মান অর্থনীতি ৫%, ফ্রান্স ২.২%, নেদারল্যান্ড ৪%, অষ্ট্রিয়া ৩.৬% ও চেক প্রজাতন্ত্র ৪.৩% সংকুচিত হয়। এই সময়ে আইসল্যান্ড ও গ্রীসের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে পড়ে। গ্রীসের ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ হাজার কোটি ডলার। গ্রীসের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ১২.৬%। সর্বশেষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১১ হাজার কোটি ইউরো ঋণ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছে গ্রীসকে। গ্রীসের পর এবার হাঙ্গেরীতে অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে ঝুঁকিতে আছে স্পেন, পর্তুগাল, ইটালী, আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেন। ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতি জার্মানী, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের অর্থনীতি ঋণের বোঝায় জর্জরিত। ব্রিটেনের ঋণের পরিমাণ ৯.২, জার্মানীর ৫.২ ও ফ্রান্সের ৪.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। এ পর্যায়ে জাপানের অর্থনীতি ধারাবাহিক মন্দার প্রক্রিয়ায় ২০০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে আবারো মন্দায় পতিত হয়। ২০০৯ সালে জাপানের অর্থনীতি ৫.২% সংকুচিত হয় এবং বছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে প্রবৃদ্ধি ১.১% এ দাঁড়ায়। জাপানের জাতীয় বিমান সংস্থা ‘জাপান এয়ার লাইন্স’ ২৬ বিলিয়ন ডলার ঋণগ্রস্থ হয়ে দেউলিয়া ঘোষিত হয়। জাপানের বড় গাড়ী কোম্পানী টয়োটা ও নিশান যান্ত্রিক ত্র“টির কারণে বাজার থেকে বিপুল সংখ্যক গাড়ী তুলে নিতে বাধ্য হয়। এই সময়ে জাপানে ‘উদ্ধার’ ও ‘উদ্দীপক’ কর্মসূচী অব্যাহত থাকে। ২০০৯ সালে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব মোকাবেলায় চীন ৫৮৫ বিলিয়ন ডলারের উদ্দীপক কর্মসূচী গ্রহণ করে প্রবৃদ্ধি ৮.৭% করতে সক্ষম হয়। এই সময় আভ্যন্তরীন বাজারে গাড়ী বিক্রয়ের ক্ষেত্রে চীন প্রথম স্থান অধিকার করে। চীনের গাড়ী বিক্রয়ের পরিমাণ ১ কোটি ৩৬ লক্ষেরও বেশী ছিল। ২০০৯ সালে রুশ অর্থনীতি সংকটে পড়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও তার অর্থনীতি সংকুচিত হয় ৭.৯%।
সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে। অর্থনৈতিক এই নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার সংকটকে গভীরতর করছে। বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলছে। আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধান প্রধান পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো স্বীয় বাজার ও প্রভাব বলয় রক্ষা এবং বিস্তারের লক্ষ্যে পরস্পর জোটবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে স্ব স্ব স্বার্থ রক্ষার উপায় খুঁজছে। আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের তীব্রতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বর্তমান পর্যায়ে (ক) মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে জোট, (খ) জার্মান-ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং (গ) রাশিয়া-চীনের নেতৃত্বে সাংহাই-৬ গঠন করে জোটবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী দেশসমূহের দ্বারা পরিচালিত বিশ্বব্যাংক, আএমএফ, ডব্লিউটিও, জি-৭, জি-২০, জাতিসংঘ ও তার অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থা আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে অকার্যকর হয়ে পড়ছে। আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ ও বিশ্বযুদ্ধের বিপদের দিকটি সামনে আসছে। অন্যদিকে সারা বিশ্বব্যাপী শ্রমের সাথে পুঁজির দ্বন্দ্বের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের সংকটের বোঝা জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের সংকট লাঘবের চেষ্টা করছে। অপরদিকে শ্রমিকশ্রেণী ও জনগণ মজুরী-বেতন- ভাতা, পেনশন, জনকল্যাণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হ্রাস, বেকারত্ব বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়ার বিরুদ্ধে তাদের মধ্যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়ে একের পর এক আন্দোলন-সংগ্রাম, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও ধর্মঘট সংঘটিত করে চলেছে। তাই বিশ্বব্যাপী কার্যকরী ৩ মৌলিক দ্বন্দ্ব (ক) শ্রম-পুঁজির দ্বন্দ্ব, (খ) আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব ও (গ) সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা নির্যাতিত দেশ, জাতি ও জনগণের সাথে সাম্রাজ্যবাদের দ্বন্দ্ব-এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে একদিকে বিশ্বযুদ্ধের বিপদ অন্যদিকে বিশ্ববিপ্লবের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমাদের বাংলাদেশ একটি নয়াউপনিবেশিক-আধাসামন্তবাদী রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক শক্তি হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ বিশেষত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। তাই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনায় এদেশের শাসক- শোষক গোষ্ঠি ধারাবাহিকভাবে গণবিরোধী জাতীয় স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ কার্যকরী করে চলেছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে সামনে নিয়ে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ পুঁজিবাদী চীনের মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশ মালাক্কা প্রণালী সংলগ্ন ভারত মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত বঙ্গোপসাগরীয় রাষ্ট্র হওয়ায় এখানকার ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে তার যুদ্ধ পরিকল্পনা কার্যকরী করার প্রয়োজনে বাংলাদেশকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করতে চায়। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তি ও বিপ্লবী শক্তির উপস্থিতি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার বিপদের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে একে নির্মূল করতে চায়। তাই আমাদের দেশের শাসক-শোষক গোষ্ঠি মার্কিন সাম্রজ্যবাদের পরিকল্পনায় গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী শক্তিকে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করে ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার ও বন্দুকযুদ্ধ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে খুন করে চলেছে। একে প্রতিহত করতে হলে দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ; সারা বিশ্বের শ্রমিকশ্রেণী, শান্তিকামী ও নিপীড়িত জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদকে নির্মূল করতে হবে। বিশ্বশান্তি ও মানবজাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে এর কোন বিকল্প হতে পারে না। এ পথেই সাইফুল্লাহ্ ভাই তাঁর সমগ্র জীবন নিবেদিত রেখে প্রয়াত হয়েছেন। তাই তিনি জনগণের প্রকৃত অগ্রসেনাণী।
-

‘ভোটাররা যেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে’
সেলিম হায়দার ॥
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন,‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা যেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন,সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কোনোভাবেই ভোটারকে প্রভাবিত করা যাবে না। জেলায় চমৎকার নির্বাচনের মডেল সৃষ্টি করা হবে। যেনো মানুষ কয়েক যুগ এই মডেল নির্বাচনের কথা মনে রাখেন।
মঙ্গলবার বিকেলে তালা উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আচরণবিধি সকলকে কঠোরভাবে প্রতি পালন করতে হবে। কোনো ভাবেই আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা যাবেনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হবে বলেওপ্রতিশ্রুতি দেন।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো.সাজ্জাদুর রহমান, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশ, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র ব্যাটলিয়নের হাসানুজ্জামান, র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ইনচার্জ মেজর মাহবুবুর রহমান খাঁন, সহকারি পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) হুমায়ূন কবির, আনসার ভিডিপির জেলা অ্যাডজুডেন্ট কে এম মনিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) অপু সরোয়ার।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন-তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল, পাটকেলঘাটা থানা রেজাউল ইসলাম রেজা, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো.আব্দুর রহমান,তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দীন,তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন প্রমূখ।
এসময় অনুষ্টানে প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের উপস্থিত ছিলেন। -
আজ কৃষক নেতা সাইফুল্লাহ লস্করের মৃত্যু বার্ষিকী
আজ কৃষকনেতা সাইফুল্লাহ লস্করের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরেরকাটিয়া লস্কর পাড়ার পারিবারিককবরস্থানে পুষ্পমাল্য অর্পন, নিরবতা পালনও শপথ পাঠ শেষেবেলা ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবমিলনায়তনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয়সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমানেরসভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখবেন সাধারণ সম্পাদকশাহজাহান কবির, যুগ্ম-সম্পাদকঅধ্যাপক তাপস বিশ্বাসসহ খুলনা,যশোর ও সাতক্ষীরার নেতৃবৃন্দ।
-
ঘরে ঘরে সুপেয় পানির দাবিতে নির্বাচনী ইশতেহারে পানি সম্পদ ব্যাবস্থাপনাকে সংযুক্ত করতে হবে
উপকূলীয় অঞ্চলে পানি সম্পদ ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে ঘরে-ঘরে সুপেয় পানির দাবিতে সাতক্ষীরার সদরে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘ঐতিহ্য : উপকূলীয়পানি সম্পদ ব্যাবস্থাপনা ফোরাম জেলা শাখার’উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকাল ৪ঘটিকারসময় সুশীলন, সাতক্ষীরা জেলা র্অফিসে সভাটিঅনুষ্ঠিতহয়।
‘ঐতিহ্য: উপকূলীয় পানি সম্পদ ব্যাবস্থাপনা ফোরাম’র সাতক্ষীরা জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন এবং সুশীলনের জি এম মনিরুজ্জামান, সহকারীপরিচালক, সভার সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন মোঃ আনিসুর রহমান পরিচালক পল্লী চেতনা, শ্যামল কুমার পরিচালক সিডো, মরিয়ম মান্নান পরিচালক চুপড়িয়া মহিলা সংস্থা, শেখ হুমায়ুন কবীর আশ্রয় ফাউন্ডেশন, নজরুল ইসলাম আরা, মোঃদুরুল হুদা এসকেএস ফাউন্ডেশন, কাজী সাইদুল হক সমাজ সেবক, মোঃ শামসুজ্জোহা ঊষা, সৈয়দ মিজানুর ইসলাম ঢাকা আহসানিয়া মিশন, মোঃ বদরুল আলম জেসিএফ, নাহার গোলদার নওবেকী গণমুখি ফাউন্ডেশন, মোঃ রেজাউল করিম খান ডিবিআর ব্র্যাক, মোঃ রহুল আমিন সিডব্লিউসিএস, মোঃ মন্জু মিয়া লাইট হাউজ, তাহেরা পারভীন ভুমিষ্ট, মোঃ আলতাপ হোসেন এসএসএফবি, সুধাকর বিশ্বাস এসএসএফবি, আবু জাফর সিদ্দিক পরিচালক ক্রিসেন্ট, নাজমুল আলম মুন্না সহকারী পরিচালক বরসা, মিজানুর রহমান সলিটারিটিস ইন্টারন্যাশনাল প্রমুখ। উপস্থিত এনজিওর প্রতিনিধিগণ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে ‘পানিসম্পদ ব্যাবস্থাপনা’কে সংযুক্তি এবং পরবর্তিতে সরকারি পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অত্রএলাকার সবিষয়ে তুলে ধরেন। মোঃ রেজাউল করিম খান ডিবিআর ব্র্যাক এবং মরিয়ম মান্নানচুপড়িয়া মহিলা সংস্থা পরিচালক বলেন আমরাপ্রতিদিন যে পানি পান করছি সেটা কোনভাবে নিরাপদ নয় তাছাড়া গ্রাম গঞ্জে এর ভয়াভহতাআরও প্রখর। আবু জাফর সিদ্দিক পরিচালক ক্রিসেন্ট, সাতক্ষীরা বলেন ভবিষ্যতের কথাভেবে আমাদের পরবতী জেনারেশনের কথা ভেবে এই উদ্দোগ ভালো ফলাফল বয়ে আনবে। সৈয়দ মিজানুরইসলাম ঢাকা আহসানিয়া মিশন এর প্রতিনিধি কয়েকটি প্রস্তাব রাখেন উপকূলীয় পানি সম্পদ ব্যাবস্থাপনা ফোরাম শুধুমাত্র নিজেরা আলোচনা না করে মানব বন্ধন, স্বারকলিপি পেশ করে আমাদের দাবীকে আরও প্রসারিত করাপ্রয়োজন। উপস্থিত সবার সম্মতিতে সাতক্ষীরা নিবচনী এলাকায় জনাব সৈয়দ হাসান মাহমুদ, নিবাহী পরিচালক, ঋষি ফাউন্ডেশনকে ফোকাল পারসন মনোনীত করা হয়। সভায় জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি জি এম মনিরুজ্জামান সবাইকে এক ছাতার নিচে আসার আহবান করেন এবং আমাদের প্রানের দাবি দক্ষিণ- পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের ঘরে ঘরে সুপেয় পানিনিশ্চিত করা, ক্রম বধমান লবণাক্ততা ও আসেনিক সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগ্রহন, সরকারী পকুর, খাল ও জলধার উদ্ধার করে মিষ্টি পানির আধারে পরিণত করা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা, টেকসই ও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং সকলপ্রতিষ্ঠানে নারী, শিশু ও প্রতিবান্ধী বান্ধব স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিত করা, দূগম ওপিছিয়ে পড়া এলাকা এবং শহরের বস্তি ও নিন্ম আয়ের জনগোষ্ঠির নিরাপদ পানি, স্যানিটেশনও হাইজিন সেবা নিশ্চিত করা, যে কোন উন্নয়ন কমকান্ডে জলাভুমি এবং পানির স্বাভাবিকপ্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ না করা, পানি ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে নতুন স্থাপনা নিমানেরপাশাপাশি পুরাতন স্থাপনা গুলোকে সংস্কার করার দাবিকে সবার সানে তুলে ধরার মধ্যদিয়ে সভার কাযক্রম সমাপ্তি করেন। -

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠার আট বছর পূর্তি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনন্দঘন পরিবেশে রং বেরংয়ের বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে উদযাপিত হলো সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার আট বছর পূর্তি ও নবম বছরে পদার্পন দিবস। শনিবার শিশু কিশোরদের কলকাকলিতে উৎসবমূখর হয়ে ওঠা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন অতিথিবর্গ, অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যগন।
মধ্য অগ্রহায়নের মৃদু শীতের আবহে মিষ্টি রোদের মধ্যে ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকরা সাইকেল র্যালি বের করে জন্মদিনের ভালবাসা ছড়িয়ে দেয়। শহরের আমতলা স্কুল প্রাঙ্গন থেকে মুন্সিপাড়া ঘুরে সুলতানপুর হয়ে সদর থানা মোড় পেরিয়ে ফিরতে থাকা সাইকেল র্যালিতে অংশ নেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পেঁৗঁছাতেই তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে বিদ্যালয় মঞ্চে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম ও খ্যাতনামা গ্রাফিক্স শিল্পী নুরুজ্জামান ফিরোজ সাইকেল র্যালির উদ্বোধন করেন।
নৃত্যগীতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতেই কেক কেটে অতিথিরা জন্ম দিনের আনন্দ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। এ সময় পুস্প বেলুনে নতুন করে শোভিত হয়ে ওঠে সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গন।
স্কুলের পরিচালক আলাউদ্দিন ফারুকি প্রিন্স তার সূচনা বক্তব্যে অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কৃতিত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন আমরা শিশু কিশোরদের মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার কারিগরের দায়িত্ব পালন করছি।
বিশিষ্ট সাংবাদিক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য সুভাষ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তুতায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আর এই ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু করার মধ্য দিয়ে শহীদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা হয়েছে। এই ডিসেম্বর যেমন ছিল আমাদের বিজয়ের মাস তেমনি এই ডিসেম্বরে জন্মলাভ করা বিদ্যালয়টি জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার লাভ করে সকল বিষয়ে বিজয়ী হয়ে উঠেছে। আগামিতে আরও বিজয় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিনিয়ে আনতে পারবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন তাদের লেখাপড়ায় আরও মনোযোগী হতে হবে । তাদেরকে সুনাগরিক হয়ে উঠতে হবে। কেবলমাত্র পরিক্ষায় ভাল ফলাফল করাটাই জরুরি নয় , জরুরি হলো সাথে সাথে একজন সুনাগরিক হয়ে ওঠা। তিনি বলেন এই বিদ্যালয় একদিন বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের পর্যায়ে উঠে যাবে এমন প্রত্যাশা আমার। তিনি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই বিদ্যালয়ে শিশু কিশোরদের নিয়ে আরও একটি শিক্ষামূলক আনন্দঘন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন। এ সময় তার হাতে তুলে দেওয়া হয় বিদ্যালয়ের স্মারক ক্রেস্ট।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন বিদ্যালয়টির জন্মদিনে আমি শিশু কিশোরদের সাথে খেলতে এসেছি। অতীতের সোনালী দিনগুলি আমরা হারিয়ে ফেলতে চাইনা উল্লেখ করে তিনি বলেন এ ধরনের মজাদার খেলার সাথে শিশুদের মন জড়িয়ে রয়েছে। এজন্য লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে তাদের নিয়ে খেলতে হবে। তাদের খেলাতে হবে। এর সাথে সাথে তাদের দেহে ও মনে সুস্থতা ধরে রাখা যাবে। শুধু পড়া নয় শুধু খেলা নয় তাদেরকে পড়ালেখা দুইই করতে হবে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন তাদেরকে দেশের সুনাগরিক হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাজ করতে হবে। তিনি শিশুদের নিয়ে চকোলেট খেলা খেলে তাদের মধ্যে আনন্দ ও শিক্ষা দুইই পৌঁছে দেন। তিনি বলেন ত্যাগ ও সবকিছুকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার মধ্যে আনন্দ আছ্ ে। তিনি তাদের পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক শিক্ষা দিয়ে শিশুদের উজ্জীবিত করে তোলেন। এর আগে বিদ্যালয়ের পরিচালক তার হাতে তুলে দেন বিদ্যালয়ের স্মারক ক্রেস্ট ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী বলেন ছাত্র ছাত্রীদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। শুধু জিপিএ ৫ কিংবা গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়াটাই যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন পড়ার সাথে মনের ও স্বাস্থ্যের গভীর সম্পর্ক আছে। মনকে যদি ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে সুস্থ রাখা না যায় তাহলে লেখাপড়া ও মেধা বিকাশ পূর্নাঙ্গতা পায় না। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুশৃংখল করে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আরও বলেন তাদেরকে দেশপ্রেমিক হয়ে উঠতে হবে। তাদেরকে সমাজের অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে হবে।
এ সময় আরও ্উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ ,যশোর জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক কাজী সুফিউল্লাহ ফারুকি আবু কাজী, গ্রাফিক্স ডিজাইনার মো. নুরুজ্জামান ফিরোজ, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ সদস্য উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদস্য মো. শাহিন ইসলাম প্রমূখ।
প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে যেয়ে নতুন করে কেক কাটেন। তারা পরিদর্শন করেন ইংলিশ কর্ণার। সেখানে রক্ষিত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ , সুন্দরবন এবং ইতহাস ও ঐতিহ্য ইঙরাজী ভাষায় তুলে ধরা দেখে তারা মুগ্ধ হন।
