Blog

  • কালিগঞ্জে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে র‌্যালী ও আলোচনা সভা


    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে র‌্যালী শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শাহবুল আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ শেখ ফজলুল হক মনি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিয়ারাজ হোসেন, উপজেলা তথ্য অফিসার, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

  • শ্যামনগরের পদ্মপুকুরে আওয়ামীলীগের পথসভা

    শ্যামনগরের পদ্মপুকুরে আওয়ামীলীগের পথসভা


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত মহাজোটের প্রার্থী এস, এম জগলুল হায়দার এমপিকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়ী করার লক্ষ্যে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাখিমারা খেয়াঘাট ও গড়কুমারপুর বাজারে আওয়ামীলীগের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা ও সন্ধা ৭ টায় এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এস, এম জগলুল হায়দার এমপি। তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের সফলতা ও উন্নয়নকে তুলে ধরে উন্নয়নের মার্কা নৌকা প্রতিকে উপস্থিত সকলের নিকট ভোট প্রার্থনা করেন। পদ্মপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আতাউর ররহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ নূরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, সহ-সভাপতি গাজী আনিসুজ্জামান আনিস, আওয়ামীলীগ নেতা সুশান্ত বিশ্বাস বাবুলাল, জেলা যুবলীগের সদস্য স ম আব্দুস সাত্তার, আটুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাধুরঞ্জন মণ্ডল, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান মারুফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গাজী একরামুল হক লায়েস, সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাকিম সবুজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে নৌকা প্রতিকের পথসভায় সকল বক্তা নৌকাকে জয়ী করার লক্ষ্যে সবাইকে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৩


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পযর্ন্ত সাতক্ষীরা জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ৪ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৯ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৬ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৮ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন,দেবহাটা থানা থেকে ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • দেবীশহর আওয়ামীলীগের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত

    দেবীশহর আওয়ামীলীগের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত


    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার নওয়াপাড়া দেবীশহর ফুটবল মাঠে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হকের পক্ষে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বেলা ১২টায় ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সখিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রব লিটু, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, আকবার আলী, সখিপুর ইউপি সদস্য আবুল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য আবুল খায়ের তারু, আল্পনা অধিকারী, নুরুজ্জামান, যুবলীগ নেতা মোমিনুর রহমান, এসএম নাসির উদ্দীন, মহিদুল ইসলাম। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কামরুজ্জামান।

  • সাতক্ষীরায় আবৃত্তি ও উচ্চারণ কর্মশালায় পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান

    সাতক্ষীরায় আবৃত্তি ও উচ্চারণ কর্মশালায় পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান


    বিশেষ প্রতিনিধি: শিল্পকলা’র যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম আছে তার মধ্যে আবৃত্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাল আবৃত্তির জন্য জরুরী হলো ভাল উচ্চারণ। আর তা যদি শুরু হয় শৈশব কৈশোর থেকে তাহলে আবৃত্তি ভিত্তি হয় মজবুত। আর এটি জরুরী হচ্ছে ছোটবেলা থেকে পারিবারিক পরিমন্ডলে শুদ্ধ পরিচর্যা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া আবৃত্তি ও উচ্চারণের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন এ শিল্প সংস্কৃতির উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সবসময় পাশে থাকবে। মানবতার কল্যানকর সব কাজে পুলিশ প্রশাসন সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়াবে।
    সাতক্ষীরার সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রাণকেন্দ্র আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আকাশবাণী ও ডিডি মেট্রো’র জনপ্রিয় সঞ্চালক ও আবৃত্তিকার পৌলমী ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণকেন্দ্র’র সংগঠক এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমিনা বিলকিস ময়না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র সদস্য সচিব মোসফিকুর রহমান মিল্টন, দেবহাটা’র সদস্য সচিব ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন।
    অনুষ্ঠানে প্রাণকেন্দ্রে’র পক্ষ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আকাশবাণী ও ডিডি মেট্রো’র জনপ্রিয় সঞ্চালক ও আবৃত্তিকার পৌলমী ভট্টাচার্যকে সম্পাননা স্মারক প্রদান করা হয়। পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এ সম্মাননা স্মারক প্রশিক্ষকের হাতে তুলে দেন। উদ্বোধনের পর আবৃত্তিকার পৌলমী ভট্টাচার্য একঘন্টা’র আবৃত্তি পরিবশেন করে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ৩২জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষনার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে।

  • বিজয় দিবসে কম্বল বিতারণ

    বিজয় দিবসে কম্বল বিতারণ


    স্টাফ রিপোর্ট: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দৈনিক মানব কন্ঠের জেলা অফিস ও গাজী নিউজ ২৪ অনলাইনের পক্ষথেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রোববার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিকালে শহরের জর্জকোর্ট সংলগ্ন গাজী নিউজ ২৪ অনলাইন এর কার্যালয়ে শতাধিক অসহায় শীতার্ত মানুষে মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এসয় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মানব কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি অসিম চক্রবতি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবির) ইন্সপেক্টর হারান চন্দ্র পাল, গাজী নিউজ ২৪ অনলাইন এর সম্পাদক সাহাজান গাজী ও জেলা বস্তহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা জেলা ১৪দলের এক জরুরি সভা : মৌলবাদ-সম্প্রদায়িকতা, জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ ও তাদের সহযোগিদের প্রতিরোধ করতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান

    সাতক্ষীরা জেলা ১৪দলের এক জরুরি সভা : মৌলবাদ-সম্প্রদায়িকতা, জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ ও তাদের সহযোগিদের প্রতিরোধ করতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী পরিচালনা কার্যালয়ে সাতক্ষীরা জেলা ১৪দলের এক জরুরিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি ও জেলা ১৪দলের আহবায়ক মুনসুর আহমেদ। ১৪ দল সাতক্ষীরা জেলার সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জাসদ, সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, জাসদ কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা কমিটির সদস্য স্বপন কুমার শীল, জাসদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলী, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা ফিরোজ আহমেদ, মোঃ শহীদুল ইসলাম, মীর মোশাররফ হোসেন মন্টু, জাসদ নেতা আমির হোসেন খান চৌধুরী প্রমুখ।
    সভায় সাতক্ষীরা জেলা ১৪ দলের নির্বাচন পরিচালনার জন্য পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক মুনসুর আহমেদ, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, কাজী রিয়াজ, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, স্বপন কুমার শীল, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, কমরেড তরিকুল ইসলাম।
    সভায় আজ ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া প্রত্যেকটি উপজেলায় ১৪দলের কমিটি ও নির্বাচনী জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    সভায় মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদানের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে সকলকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

  • ঝাউডাঙ্গায় নির্বাচনী জনসভায় এমপি রবি

    ঝাউডাঙ্গায় নির্বাচনী জনসভায় এমপি রবি


    নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নৌকা প্রতিকের বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বিসশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, ’৭০ সালের মতো দেশে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য উন্নয়নের রুপকার গণমানুষের প্রাণের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেছেন- দেশে উন্নয়নের যে ধারা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকের কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আপনারা নৌকায় ভোট দিন। আমি আপনাদের উন্নয়ন উপহার দেব। এবারের নির্বাচনে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। উন্নয়নের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয় মানেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয়, জনগণের বিজয়। দেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে বলেই নৌকার জোয়ার বইছে।’ সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, এমপি পুত্র মীর তানজীর আহমেদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, ঝাউডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম রেজা প্রমুখ।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, পৌর প্যানেল মেয়র মো. আব্দুস সেলিম, পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, কাজী ফিরোজ হাসান, শেখ আব্দুস সেলিম, শেখ শাফিক উদ দৌলা সাগর, শাহিনুর রহমান শাহিন, মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, সদস্য মীর মহিতুল আলম, জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা সুলেখা দাস, রোখসানা পারভীন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি শাওন, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, সাবেক সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী, কাজী মারুফ আহমেদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক হাসানুজ্জামান রানা। এসময় আওয়ামীলীগের অংগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রচার-প্রচারনায় এগিয়ে আওয়ামীলীগ, প্রচারে বাধা জাতীয় পাটি ও বিকল্পধারা ।


    নিজস্ব প্রতিবেদন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মধ্যে ২০ দলীয় জোটের দুই ও চার আসনের প্রাথী মুয়াদ্দেজ আব্দুল খালেক ও গাজী নজরুল রয়েছে কারাগারে। এক আসনের প্রাথী হাবিবুল ইসলাম হাবিব হামলা মামলার স্বীকার হয়ে চাপে পড়েছেন। আর ৩ আসনের প্রাথী ডা, শহিদুল আলম চলছেন বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে। অপার দিকে ফুড়ফুড়ে মেজাযে প্রচার-প্রচারনায় তুঙ্গে আওয়ামীলীগ। চারটি আসনেই আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা ইতিমধ্যে মান- অভিমান ভুলে এক সাথে মাঠে নেমেছেন। সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে গনসংযোগ, পথসভা আর মাইকিং। তাদের পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর, গ্রাম, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট । আর মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পাটি ও বিকল্পধারা মাঠে টিকে থাকতে হিমসিম খাচ্ছেন । ইতি মধ্যে অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা তাদের প্রচার মাইক ভাংচুর করেছে, ব্যানার পোষ্টার ছিড়ে দিচ্ছে । মারপিট করেছে তাদের নেতা কর্মীদের । যার ফলে মাঠে টিকে আছে লড়াই করে।
    সাতক্ষীরা-(তালা-কলারোয়া)১ আসনে নৌকার প্রতীকের প্রাথী ওয়ার্কাস পাটির কেন্দ্রীয় নেতা এড মোস্তফা লৎফুল্লাহ, জাতীয় পাটির সৈয়দ দিদার বখত, ও বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। নৌকা প্রতীক নিয়ে এড মোস্তফা লৎফুল্লাহ জোরে সোরে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে । সর্বত্র রয়েছে তাদের ব্যানার পোষ্টার । ঠিকঠাক মত চলছে মাইকিং, গনসংযোগ আর পথ সভা। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সৈয়দ দিদার বখত প্রচার-প্রচারনা করতে হিমসিম খাচ্ছেন। ব্যানার পোষ্টার ছিড়ে দিচ্ছে, প্রচার মাইক ভাংচুর করছে। তবে মাঠে দখলে নিতে চেষ্টা করছেন তারা। অপার দিকে কলারোয়ায় ধানের নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করার সময় হামলার ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৬ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মুনসুর আলি । এ মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পর নির্বাচনী মাঠে কিছুটা চুপসে যায় ২০ দলীয় জোটের কমী সামর্থকরা ।
    সাতক্ষীরা-(সদর)২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি। দলের নেতা কর্মীরা ্ঐক্য বদ্ধভাবে কাজ করছে তার জন্য। সারা সাতক্ষীরা জুড়ে আছে ব্যানার পোষ্টার। করছে গনসংযোগও পথসভা । ছুটছেন একপ্রান্ত থেকে অপার প্রান্ত পর্যন্ত । এই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন প্রেসক্লাবে এসে বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মাইকিং করা হচ্ছে, বের করা হচ্ছে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। এই আসনের ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী মুয়াদ্দেজ আব্দুল খালেক নাশকতা মামলায় রয়েছেন কারাগারে। সব মামলায় জামিন হলেও একেরপর মামলা দিয়ে তাকে জেল থেকে বের হতে দিচ্ছেনা বলে তার স্ত্রী রিজিয়া খাতুন সংবাদ সম্মেলন করেছেন । তবে প্রথম দিকে এই আসনে কিছু ধানের শীষের পোষ্টারও ছিল ।
    সাতক্ষীরা-(আশাশুনি -দেবহাটা )৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক। অপার দিকে বিএনপির ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন ডা. শহিদুল আলম। নৌকার প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে আছেন।

  • দেবহাটায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত

    দেবহাটায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত

     
    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্য দিয়ে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শহীদ মিনার দেবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেবহাটা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রাশাসন, উপজেলা পরিষদ, দেবহাটা থানা, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগ, দেবহাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা জাতীয় পার্টি, দেবহাটা প্রেস ক্লাব, রিপোর্টাস ক্লাব, দেবহাটা উপজেলা যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, দেবহাটা কলেজ সহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরে দেবহাটা হাই স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদ, দেবহাটা থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী। পরে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে¬ পরির্দশন করেন অতিথিবৃন্দ। ডিসপ্লে শেষে উপজেলা মুক্তমঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শীর্ষক আলোচনা সভা, বীরঙ্গনা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনি, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনারুল হক, পারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতু, কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা অধির কুমার গাইন, সমবায় কর্মকর্তা আকরাম হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হাই, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রণাব কুমার মল্লিক, প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা বিষ্ণপদ বিশ্বাস, একটি বাড়ি একটি খামারের উপজেলা সমন্বয়কারী মুক্তারানী মন্ডল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাধারন সম্পাদক বিজয় ঘোষ, ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহের, সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্বা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রনি, সাধারন সম্পাদক সাইফুজ্জামান প্রিন্স প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্র্তা নাজমুন নাহার। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা স্বাধীতনা সংগ্রামের ৯নং সাব সেক্টরের কমান্ডার মরহুম ক্যাপ্টেন শাহাজান মাস্টারের কবর জিয়ারত করেন।

    এছাড়াও সখিপুর প্রতিনিধি জানান যে মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন দেবহাটা প্রেসক্লাব ও রিপোর্টাস ক্লাবের নের্তৃবৃন্দরা। সকাল সাড়ে ৭টায় পুষ্পমালা অর্পন শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ইয়াছিন আলী ও উপজেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রশিদুল আলম রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মোমিনুর রহমান, রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রব লিটু, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন, অর্থ সম্পাদক এমএ মামুন, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্যাহ- আল মাসুদ, কার্য্য নির্বাহী সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, আজিজুল হক আরিফ, এস এম নাসির উদ্দীন, আবু হুরাইরা, নির্মল কুমার মন্ডল, রুহুল আমিন, ডাঃ অহিদুজ্জামান, আবির হোসেন লিয়ন প্রমুখ।

  • কলারোয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

    কলারোয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত


    কলারোয়া প্রতিনিধি ঃ কলারোয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিন¤্র শ্রদ্ধায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। রবিবার প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবন, দোকান ও প্রতিষ্ঠান সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। রবিবার সকাল ৮ টায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপেজলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষে কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী, থানার পক্ষে ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ, পৌর সভার পক্ষে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন,সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু, প্রেসক্লাবের পক্ষে ক্লাবের সভাপতি শিক্ষক দীপক শেঠ, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, উপজেলা সাংবাদিক পরিষদের পক্ষে সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, অন লাইন নিউজ পোর্টাল কলারোয়া র্বাতার পক্ষে সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির লিটন, সাংবাদিক জুলফিকার আলী, ইউসুফ আলী, যুবলীগ,ছাত্রলীগ,শ্রমিক লীগ, পাবলিক ইনস্টিটিউট ,জাতীয় পাটি , ওয়ার্কাস পার্টি, জাসদ , মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল, গার্লস পাইলট হাইস্কুল, বেত্রবতী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ীক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন যৌথভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, রোভার স্কাউটস, বয়েজ স্কাউটস, গার্লস গাইড সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, শরীরচর্চা প্রদর্শন ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতা শেষে পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচলনা করেন কপাই সাধারন সম্পাদক এ্যাড. শেখ কামাল রেজা ও মাস্টার শাহাজান আলী শাহীন। বেলা ১১ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া ও আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মারুফ আহম্মদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার মোসলেম উদ্দীন, আব্দুল গফ্ফার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা,অধাপক আবু নসর,মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলি,আবুল হোসেন,মুক্তিযোদ্ধা আ: রউফ,আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সমাজসেবা কর্মকর্তা ফারুক হোসেন,সহকারী শিক্ষা অফিসার শোভা রায়।

    এছাড়াও কলোরোয়া বি,এস,এইচ সিংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সকালে এক বিজয় র‌্যালি সিংগা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে স্কুল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। পরে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতা শেষে স্কুলের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরি সাধন ঘোষের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ওসমান গনি,সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক ও কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি দীপক শেঠের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন স্কুল পরিচালনা কমিটিরি সদস্য ডা: ফজলুর রহমান,সিংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম, মাস্টার আব্দুস সবুর, মাস্টার জহুরুল ইসলাম,ছাত্র তবিবুর রহমান, ছাত্র ফয়সাল আহম্মেদ, ছাত্রী রুশদানিয়া উর্মি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাস্টার আজিজুর রহমান,মাস্টার আ: রউফ, প্রদীপ বিশ্বাস,জাহাঙ্গীর হোসেন,শফিকুল ইসলাম, স্বপন সরকার, আ: সালাম, শুভংকর মজুমদার, বিকাশ কুমার, বদরুজ্জামান প্রমুখ।

  • নাশকতার মামলায়  ধানের শীষের প্রার্থী গ্রেফতার

    নাশকতার মামলায় ধানের শীষের প্রার্থী গ্রেফতার


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ নাশকতার একটি মামলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত সাতক্ষীরা চার আসনের (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের একাংশ) ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম ও শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মাওলানা আব্দুল বারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বেলা তিন টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ও জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল বারী, পদ্মপুকুর ইউননিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুর রউফ ও জামায়াত নেতা শেখ আব্দুল বারীসহ ৬ জন।
    শ্যামনগর থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বংশীপুর এলাকা থেকে নাশকতার একটি মামলায় জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম ও মাওলানা আব্দুল বারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

  • সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উৎযাপিত

    সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উৎযাপিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ নানা আয়োজনে সাতক্ষীরায় মহান বিজয় দিবস উৎযাপিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়।
    এরপর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সোয়া ৮ টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। পরে পুলিশ, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীর প্রর্দশনী এবং রক্তদান কর্মসচী অনুষ্ঠিত হয়।
    এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান, পৌরদিঘীতে হাঁসধরা প্রতিযোগিতাসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
    এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রিফাত আমিন, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিস, জেলা আওয়ামী লীগৈর সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি প্রমুখ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়

  • যুদ্ধাপরাধী বাকী-রোকন আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে

    যুদ্ধাপরাধী বাকী-রোকন আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে


    আমির হোসেন খান চেীধুরী: মহান বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকী আজ। সাতক্ষীরার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী বাকী, কসাই রোকন ও বর্বর টিক্কা তথা জহুরুল’র বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অকাট্য প্রমাণ ১৯৭১ সালের ১৭ অগাস্ট দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ১৯ অগাস্ট সাতক্ষীরা শহরের ডায়মন্ড/স্টার হোটেল বর্তমানে মেহেদি সুপার মার্কেট)’র পিছনে তোলা আটককৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উপর নির্মম নির্যাতন করা রাজাকারদের একটি ছবি। প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যায় আটককৃত ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাতক্ষীরা শহরে এনে ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট ডায়মন্ড/স্টার হোটেল’র পিছনে রান্নাঘরের সামনে পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা নিজেরা অস্ত্রসহ উদ্ধত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক ও দুর্লভ এই ছবিটি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন মামলায় দালিলিক প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল খালেক মণ্ডল, বুলারটি গ্রামের এম আবদুল্লাহ হিল বাকি, পলাতক দুই আসামি একই উপজেলার দক্ষিণ পলাশপোল গ্রামের খান রোকনুজ্জামান ও বৈকারীর জহিরুল ইসলাম ওরফে টেক্কা খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে আছে।
    আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়জনকে হত্যা, দুজনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।
    অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনী গঠন করে এর নেতৃত্ব দেন খালেক মণ্ডল। এরপর অন্য আসামিদের নিয়ে তৎকালীন সাতক্ষীরা সদর মহকুমা এলাকায় এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০ জন সাক্ষী রয়েছেন।
    ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে দৈনিক দক্ষিণের মশালে এসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় সাতক্ষীরাবাসী তথা সাতক্ষীরার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষগুলোকে এই ঘৃণ্য খুনী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আন্দোলনকে বেগবান করতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলোÑ
    মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের অন্য সকল অঞ্চলের মত সাতক্ষীরাতেও ছিল স্বাধীনতার পক্ষে প্রাণ উৎসর্গ করতে ঝাপিয়ে পড়া এক ঝাঁক তরুণ। আবার এখানকার মাটি ও পথের সাথে অপরিচিত পাকিস্তানি বাহিনীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতেও গড়ে ওঠে দালালদের সমন্বয়ে রাজাকার-আলবদর-আলশামস-শান্তি বাহিনী।
    এই ছবির ইতিহাস জানতে আমরা কথা বলি সেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের একজনের সাথে, যাদের দলের ২ জনকে বুধহাটায় হত্যা করে বাকি ৫ জনকে রাজাকাররা আটক করে সাতক্ষীরায় এনে এই ছবিটি তুলেছিল। এই ছবিতে থাকা (নিচে বসা বাম দিক থেকে প্রথম) ইমাম বারী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার সন্তান। ১৯৭১ সালে যশোরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া অবস্থায় যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ছিলেন যুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডের প্রথম ব্যাচের যোদ্ধা। দীর্ঘ ৩ মাসের ট্রেনিং শেষে তাদেরকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য সাফল্য ‘অপারেশন জ্যাকপট’র জন্য পাঠানো হয়। মংলায় ৮টি জাহাজ বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার পর ইমাম বারী ও তার দল ফিরছিলেন সাতক্ষীরার দিকে। পথিমধ্যে ১৭ অগাস্ট ১৯৭১ ভোর রাতে বুধহাটা বেতনা নদীতে তাদের নৌকা ঘিরে ফেলে আলিপুরের কুখ্যাত রাজাকার বাকীর নেতৃত্বাধীন বাহিনী। নদীর দুই পাড় দিয়ে ক্রমান্বয়ে রাজাকাররা গুলি করতে থাকলে এক পর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের। ফলে তাদেরকে আটকাতে সমর্থ হয় রাজাকাররা। এরপর কী হয়েছিল শোনা যাক মুক্তিযোদ্ধা ইমাম বারীর মুখ থেকেই:
    “প্রথমেই বাকী রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকায় উঠেই কোন কথা বলার আগেই তার নিকট থাকা থ্রি নট থ্রি রাইফেল তাক করে ৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে সুঠামদেহী মুক্তিযোদ্ধা যশোরের আফতাফকে সরাসরি বুকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ আফতাফ গগণবিদারি চিৎকার করতে করতে নদীতে পড়ে ভেসে গেল। শহিদ আফতাফের লাশ আর পাওয়া যায়নি। এরপর আমাদের ৬ জনকে বাকীর দল চোখ বেঁধে নদীর পাড়ে একটি একতলা বাড়িতে আটকে রাখে। কয়েক ঘণ্টা ধরে আমাদের উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চলতে থাকে। এরপর পলাশপোলের রোকনুজ্জামান খান এসে আমাদের দলের সিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সিরাজ কাটিয়ার ছেলে, আমার সাথেই যশোর পলিটেকিনিকের ছাত্র ছিল, রোকন তাকে জিজ্ঞাসা করল বাড়ি কোথায়। সিরাজ মনে করল তাকে তো হত্যা করবেই সুতরাং ভুল ঠিকানা বললে তার পরিবারের সদস্যদের হয়ত আর খুঁজে পাবে না। অত্যাচারও করতে পারবে না। সিরাজ তার বাড়ি সুলতানপুর বলে জানালো। কিন্তু রোকন খান শহরের ছেলে হওয়ায় তার প্রকৃত ঠিকানা জানত। ভুল ঠিকানা বলায় সিরাজকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে গিয়ে বেড়িবাঁধের উপর দাঁড় করিয়ে রাইফেল তুলে বুকে গুলি করল রোকন খান। তৎক্ষণাৎ শহিদ হন আমার সাথী সিরাজ।
    এরপর রোকন একটি লাঠি দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি মেরে বলল তুইও আছিস এই দলে, আগে জানলেতো তোকেই মেরে ফেলতাম। প্রসঙ্গত: রোকন আমার সহপাঠি ছিল। এরপর কীভাবে যেন সাতক্ষীরায় পাকিস্তানি মিলিটারির কাছে খবর যায় আমাদের আটক হওয়ার। ফলে আমাদেরকে একটি হলুদ গাড়িতে করে সাতক্ষীরা ডায়মন্ড হোটেলের টর্চার সেলে এনে আটকে রাখা হয়। পথিমধ্যে ধূলিহর থেকেও কয়েকজনকে তুলে আনা হয়। ডায়মন্ড (স্টার হোটেলও বলা হত) হোটেলে আমাদেরকে পিলারের সাথে বেঁধে রাখা হয়। অনেককে ঘরে ঝুলানো হুকের সাথে ঝুলিয়েও নির্যাতন করা হত। এই হোটেলের অনেকগুলো রুমে অসংখ্য যুবতী মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছিল। যাদেরকে নিয়মিত ধর্ষণ করত পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকাররা। আমাদেরকে আনার ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট হোটেলের পিছনে নিজেদের পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা ছবিটি তোলে। রাজাকাররা এলিট স্টুডিওর হামিদ ভাইকে ডেকে এনে ছবিটি তোলায়। ছবিটি আজ এক প্রামাণ্য দলিল।”
    তিনি যোগ করেন, “আমাদেরকে আটকে রাখাকালীন একদিন খালেক ম-ল ও টিক্কা(জহুরুল) এসে কয়েকজন আটককৃত মুক্তিযোদ্ধাকে তুলে নিয়ে যায়। অন্য রাজাকাররা আমাদের জানায় তাদেরকে বিনেরপোতায় হত্যা করা হবে। এরপর একদিন আমাদেরকে যশোরে পাকিস্তানি বাহিনীর আস্তানায় পাঠানো হয়। যশোরের শংকরপুর যেখানে বর্তমানে বাসস্ট্যান্ড সেখানে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে একদিন ভোর বেলা যখন সৈনিকেরা প্যারেড করছিল তখন আমরা পালিয়ে আসি এবং পুনরায় যুদ্ধে যোগ দিই। সে আরেক ইতিহাস।”
    আজ মহান বিজয় দিবসের ৪৮তম এই বার্ষিকীতে দ্রুত বিচারিক কাজ শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন সাতক্ষীরায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলে।

  • সাতক্ষীরা সদরের সুকদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম

    সাতক্ষীরা সদরের সুকদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম


    নিজস্ব প্রতিনিধি:

    ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৪৫ নং সুকদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ২০০১ সালে সংস্কার করা হয়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
    সুকদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র সানা জানান, রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্প্রতি জাতীয়করণ করার পর তিনিসহ অন্যান্য শিক্ষকদেন জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন ঘটতে থাকে। সম্পূর্ণ চিংড়ি ঘের অধ্যুষিত এ বিদ্যালয়ে ৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকলেও ২০০৮ সালে সরস্বতী বাছাড় নামে এক শিক্ষিকার নিয়োগ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে বিরোধ দেখা দেওয়ায় সুকদেবপুর পশ্চিম পাড়ার কয়েকজন শিক্ষাথীকে তারা অন্যত্র ভর্তি করায়। এমনকি ওই পাড়ার কোন শিক্ষার্থী তাদেরন স্কুলে আসতো না। বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার আগামি বছর থেকে শিক্ষার্থী বাড়বে।
    তিনি আরো জানান, লবনাক্ততার কারণে এ বিদ্যালয়ের সকল কক্ষসমূহ ভঙ্গুর অবস্থায় দা দাঁড়িয়ে আছে। অফিস কক্ষে বসা যায় না। সহকারি শিক্ষক সুশান্ত ঢালী, মঙ্গল ঢালী ও সরস্বতী বাছাড় ছাড়াও ন্যাশনাল সার্ভিসে কর্মরত তপন মণ্ডল, তার স্ত্রী রেনুকা মণ্ডল ও বিশ্বজিৎ সরকারকে নিয়ে তারা কোন রকমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
    সরেজমিনে গত শনিবার সুকদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা গেছে ব্যবহার অনুপযোগী শ্রেণীকক্ষ গুলোর প্রত্যেকটিতে নামমাত্র তিন থেকে চারটি বেঞ্চ রয়েছে। শিক্ষকদের জন্য নিধারিত কক্ষটিতে কোন চেয়ার টেবিল নেই। দরজা ও জানালা ভেঙে পড়ছে। খসে পড়ছে দেয়ালের প্লাস্তার। একটি বাথরুম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাথরুমের ট্যাঙ্কিটি একটি ঝুড়ি দিয়ে ঢাকা। যাহা স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ।
    তবে কয়েকজন অভিভাবক জানালেন, বিদালয়ের খাতায় যেভাবে শিক্ষার্থীদের নাম আছে কাগজে কলমে সংখ্যা অনেক কম। ভগ্নদশার কারণে কখন ছাদ ধ্বসে পড়ে তা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। ভবনটির বেহাল অবস্থার কারণে অনেকেই সন্তানদের দূরবর্তী স্কুলে ভর্তি করিয়ে থাকে। সদর উপজেলার কোন স্কুলে বিষ্কুট না দেওয়ার কারণে এ বিদ্যালয়ের গরীব শিক্ষার্থীরাও সমস্যায় পড়েছে। তবে এ বিদ্যালয়ে সোলার প্যানেল ও বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে।
    বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মধু সুধন ঢালী জানান, বিদ্যালয়ের বার্ষিক ফলাফল আশানুরুপ। ভাল ফলাফল করানোর জন্য শিক্ষকরা আন্তুরিকতার সঙ্গে কাজ করে থাকেন। খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়টি’র নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। প্রায় দেড় কিলোমিটার কাচা রাস্তা ইট সোলিং করা হবে আগামি বছরে।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সহকারি প্রাথািমক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম জানান, সাইক্লোন সেন্টারসহ সুকদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই মাপ জরিপ শেষ হয়ে গেছে। আগামি ফেব্র“য়ারি অথবা মার্চ মাস থেকে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ পালন

    সাতক্ষীরায় জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ পালন


    নিজস্ব প্রতিবেদক : “ভ্যাট দেব গড়ব দেশ, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ”, বাড়ছে ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি দেশের হচ্ছে সমৃদ্ধি” শ্লোগানে সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ। সাতক্ষীরা পলাশপোলস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট, সাতক্ষীরা সার্কেলের আয়োজনে ভ্যাট দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার মনিরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা এ, এম নাহিদ হোসেন, আব্দুস সালাম, মোঃ হাশেম আলী, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সরদার, শফিউল বারী, রবিউল ইসলাম, আজিজা সুলতানা, আজিজ রেজা, ফারুখ আলমগীর, হামিদুর রহমান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টন্স নেতৃবৃন্দ, জুয়েলারি সমিতির নেতৃবৃন্দ, মোজাফফার গার্ডেন, চায়না বাংলাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে শান্তির প্রতীক কবুতর ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সকলকে ভ্যাট প্রদানে উৎসাহ প্রদান করতে “ভ্যাট দেব গড়ব দেশ, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ”, বাড়ছে ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি দেশের হচ্ছে সমৃদ্ধি”, “জনগণের ভ্যাটের টাকা উন্নয়নের ঘুরছে চাকা”, “রাজস্বের প্রবৃদ্ধি টেকসই সমৃদ্ধি” এধরনের লেখা বিভিন্ন লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়।
    উল্লেখ্য: ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবসে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সাতক্ষীরার ৩টি প্রতিষ্ঠান শ্রেষ্ট ভ্যাট দাতা নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রনি প্লাউড উৎপাদনে, ওয়াল্টন প্লাজা ব্যবসায়ে এবং মোজাফফর গার্ডেন সেবায় শ্রেষ্ট নির্বাচিত হন। ১০ ডিসেম্বর খুলনায় শ্রেষ্ঠ ভ্যাট দাতাদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

  • বাংলার মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার জন্য নৌকা প্রতিকে ভোট চাইবেন : জেলা যুব মহিলা লীগের  কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার

    বাংলার মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার জন্য নৌকা প্রতিকে ভোট চাইবেন : জেলা যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার


    কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি নাজমা আকতার বলেন, ‘২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক ছাত্রলীগ নেতা এবিএম মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি। বাংলাদেশের ভোটারের অর্ধেক ভোটার নারী। নারীদের বাদ দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের কল্যাণে নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তিনি একজন মমতাময়ী মা, মানবতার মা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। জাতির পিতার বড় কন্যা শেখ হাসিনা তাহাজ্জত নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও ফজরের নামাজের মাধ্যমে প্রতিদিনের কর্মসূচি শুরু করেন। বাংলাদেশকে বিশে^র দরবারে আলোকিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ থেকে আপনারাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন। সাতক্ষীরা ২ আসনে প্রধানমন্ত্রীর মনোনিত প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবেন। ভোটের আর মাত্র ১৮দিন বাকি রয়েছে। আপনারা নারীরা বাংলার জনগণের মমতামী মায়ের জন্য সকলের কাছে নৌকার পক্ষে ভোট চাইবেন। শুধু আপনার একটি ভোট নয়, সময় পেলে দেশের উন্নয়নের জন্য সকলের কাছে ‘নৌকা’ প্রতিকে ভোট চাইবেন।’

    মঙ্গলবার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জেলা যুব মহিলা লীগের কর্মী সভায় কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি নাজমা আকতার এসব কথা বলেন। যুব মহিলা লীগ জেলা শাখার আয়োজনে কর্মী সভায় জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা সাবিহা হোসেন।