Blog

  • আশাশুনির খাজরায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে নিয়ে ষড়যন্ত্র থামছে না 

    আশাশুনির খাজরায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে নিয়ে ষড়যন্ত্র থামছে না 

    বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার ৮নং খাজরা ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু কে নিয়ে ষড়যন্ত্র থামছে না। একের পর এক চলছে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। মিথ্যা অভিযোগে সত্যতা পাওয়া না গেলেও চলছে একের পর এক তাকে হতে হচ্ছে ষড়যন্ত্রের শিকার। একটি আওয়ামী স্বার্থান্বেষী চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম ১৪ মে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। কিন্তু নতুন করে পরিষদের সভায় প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চুর পরিবর্তে রামপদ মেম্বরকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়। জেলা প্রশাসক বরাবর ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু কে বাদ দিয়ে রামপদ মেম্বার কে অবৈধ ভাবে প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়েছে মর্মে আবেদন করা হলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিলে তিনি মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর প্রায় ৪১ দিন পর অনেক জল্পনা কল্পনার পর নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় পুনরায় সাইফুল ইসলাম বাচ্চুকে প্যানেল চেয়ারম্যান বহাল রেখে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সেখানে থেকেই সকল ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু। ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর ইউনিয়নে নেই কোনো দুর্নীতি এমনটাই বলেছে এলাকাবাসী। পরিষদে সেবা নিতে আসা ব্যাক্তিদের লাগে না অতিরিক্ত অর্থ। সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সৎভাবে পরিষদ পরিচালনার জন্য গরিব দুঃখী সর্বসাধারণ মানুষের বন্ধু হয়ে উঠেছে তিনি। ইউনিয়ন ছাড়া ইউনিয়নের বাইরে সামাজিক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে সাড়া জাগিয়ে ইউনিয়ন বাসীর কাছে। সাহায্য সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে চলেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু সাইফুল ইসলাম বাচ্চু নিজের ব্যাবহৃত ফেসবুক আইডি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাচ্চু এই আইডি দিয়ে ৩০ কেজি ভিজিডির কার্ড ফ্রীতে হবে, জনগণের সামনে হবে এবং জামায়াত ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ নিয়ে করা হবে এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ট্যাংকি বাবদ অফিস খরচ ১৬৫০ টাকা এর অতিরিক্ত টাকা ইউনিয়নের কোনো ব্যক্তির নিকট দিতে নিষেধ করার এমন প্রচার দিলে পরিষদের একটি স্বার্থান্বেষী আওয়ামী চক্র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু কে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন তারা। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নিয়মিত পরিষদ পরিচালনা করা। প্রতিনিয়ত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার করা এবং ইউনিয়ন বাসীকে উৎসাহিত করেছেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদে দৈনিক কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ এই প্রতিবেদককে জানান, আগের চেয়ারম্যান কে ইউনিয়ন পরিষদে কোনো মাসে একবারও খুঁজে পাওয়া যেতো না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত পরিষদে আসেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর ইউনিয়নের মানুষের ভোগান্তি অনেক কমেছে।একটি চক্রের স্বার্থে আঘাত লাগায় মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে যা সত্য নয়। এছাড়া তিনি খাজরা ইউনিয়নের রাস্তার দুরবস্থার কারণে সন্ধ্যার পরে ইউনিয়নের মেইন পয়েন্টে নিজের ব্যাক্তিগত অফিসে ইউনিয়ন বাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম বাচ্চু বলেন আমি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাচ্চু ফেসবুক আইডি দিয়ে প্রতিনিয়ত ঘোষণা দিয়ে দিই যে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো কার্যক্রমে কেউ অকারণে অর্থ দিবেন না। বিগত দিনের অন্যায় অত্যাচারকে আর প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলো তিনি ঘোষণা দেন। কোনো ভাতা বা ভিজিডি কার্ডের জন্য অর্থ লাগবে না। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের বাছাই করে ফ্রীতে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন আমি যতদিন দায়িত্বে থাকবো কোনো অন্যায়, দুর্নীতির সাথে আপোষ করবো না। যত পারেন ষড়যন্ত্র করেন কিন্তু যতদিন এই দায়িত্বে আছি বিগত দিনের মতো কালেকশন আর করতে দেওয়া হবে না। তিনি পরিষদ সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু কে নিয়ে ষড়যন্ত্রের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউনিয়ন বাসী।
  • সাতক্ষীরা জেলা রোভারের দুই স্কাউটারকে স্বপ্ন সিঁড়ির সংবর্ধনা

    সাতক্ষীরার প্রাক্তন রোভার স্কাউটদের সংগঠন স্বপ্ন সিঁড়ির পক্ষ থেকে  জেলা রোভারের দুই স্কাউটারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কফি ভিলাতে জেলা রোভার স্কাউটস এ-র এডহক কমিটির সদস্য এ এস এম আব্দুর রশিদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সম্প্রতি জেলা রোভার স্কাউটস এ-র কমিটি বিলুপ্ত করে ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ স্কাউটস।
    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বপ্ন সিড়ির সভাপতি মুহা. আলতাফ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক এ-র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বপ্নসিড়ির উপদেষ্টা মোঃ মুরাদুজ্জামান, রেবেকা সুলতানা, জামাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম বিপ্লব হোসেন, মীর তাহমিদুর রহমান, সেলিম হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, ইমতিয়াজ মাহবুব সিয়াম প্রমুখ।
    পরে স্বপ্ন সিঁড়ির সভায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন ও ৪ জানুয়ারি ২০২৫ এ শীত বস্ত্র বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
  • সাতক্ষীরা জেলা রোভারের দুই স্কাউটারকে স্বপ্ন সিঁড়ির সংবর্ধনা

    সাতক্ষীরা জেলা রোভারের দুই স্কাউটারকে স্বপ্ন সিঁড়ির সংবর্ধনা

    সাতক্ষীরার প্রাক্তন রোভার স্কাউটদের সংগঠন স্বপ্ন সিঁড়ির পক্ষ থেকে  জেলা রোভারের দুই স্কাউটারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় কফি ভিলাতে জেলা রোভার স্কাউটস এ-র এডহক কমিটির সদস্য এ এস এম আব্দুর রশিদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সম্প্রতি জেলা রোভার স্কাউটস এ-র কমিটি বিলুপ্ত করে ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ স্কাউটস।
    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বপ্ন সিড়ির সভাপতি মুহা. আলতাফ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক এ-র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বপ্নসিড়ির উপদেষ্টা মোঃ মুরাদুজ্জামান, রেবেকা সুলতানা, জামাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম বিপ্লব হোসেন, মীর তাহমিদুর রহমান, সেলিম হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, ইমতিয়াজ মাহবুব সিয়াম প্রমুখ।
    পরে স্বপ্ন সিঁড়ির সভায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন ও ৪ জানুয়ারি ২০২৫ এ শীত বস্ত্র বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
  • মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে সুন্দরবনে প্রকল্প হাতে নিয়েছে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর

    মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে সুন্দরবনে প্রকল্প হাতে নিয়েছে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ জলাশয়কে কাজে লাগিয়ে যদি মৎস্য উৎপাদন করা যায় তাহলে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি অর্থনীতিকে আরো সচল করা সম্ভব। এ জন্য জলাশয় ও হাওরগুলোর উপর গুরুত্বারোপ করছে সরকার। এর আওতায় মাছের উৎপাদন বৃদ্বির জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনে জীববৈচিত্র রক্ষাকরে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর। বাংলাদেশে মোট ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট ও শ্যামনগর উপজেলা রয়েছে। এর জন্য সি,জে,এইচ ও আই, ডাবলু সমিক্ষা করবে। এর জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করনীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন  বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মোঃ আক্তারুজ্জামান।

    কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মোঃ মোশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ পাল, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম, সাংবাদি মনিরুল ইসলাম মনি,  গোলাম সারোয়ার প্রমূখ। এসময় জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা  সীমান্তে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ 

    সাতক্ষীরা  সীমান্তে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ 

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা :কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
      বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ মাদরা বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে।সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক  স্বাক্ষরিত
     এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
    বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ মাদরা বিওপির দায়িত্বাধীন চান্দা নামক স্থান দিয়ে চোরাচালানী মালামাল ভারত হতে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে আগমন করবে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর মাদরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস ১৪ আরবি হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন চান্দা মাঠ নামক স্থানে চোরাচালানী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চোরাকারবারীরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে মালামাল ফেলে দৌরে ঘন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। উক্ত স্থানে তল্লাশী করে ১০ বোতল ভারতীয় মদ এবং ২,৮০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
    চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
    বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।
    দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
  • মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

    মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

    বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সোহরাফ হোসেন কতৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মৃত অহেদ আলী সরদারের ছেলে মোঃ রোকনুজ্জামান। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা খুবই কষ্টে আছি। ইউনিয়নের শুভাদ্রাকাটি গ্রামের মৃত শওকাত আলী সানার ছেলে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোওরাফ হোসেন ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ-যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান মিনুর নেতৃত্বে আমাদের কে হয়রানি ও আমি সহ ২৫ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। চাকলা তেলিখালি মৌজার ১নং খতিয়ানের সাবেক ১১৬ ও ৯৩০ বর্তমান ৫০১ দাগে ১৭ একর জমির ডিসিয়ারের জন্য একই গ্রামের মৃত কওছার গাজীর ছেলে মোঃ ইউসুফ গাজী, মোঃ গোলাম রসুলের ছেলে আরিফুল গাজী, বারিক গাজীর পুত্র মাসুম গাজী ও আমি সহ ২৭ জন আবেদন করি। একই সময় একই গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিকের পুত্র মোঃ জুলফিকার আলী, আব্দুল মজিদের ছেলে হাফিজুর রহমান ও গোলাম রসুল, আব্দুল্লাহ সানার পুত্র নওশাদ বিশ্বাস সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একই দাগে ডিসিয়ারের আবেদনে তারা ডিসিয়ার পাই। তাদের ভুয়া ঠিকানা ও না পাওয়ার অযোগ্য হওয়ায় একই গ্রামের আব্দুর রউফ গাজীর ছেলে তানভীর হোসেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর ২১/০৮/২৪ তারিখে মিস কেস ৩৫/২৪ নং মামলা দায়ের করলে তিনি আশাশুনি সহকারী কমিশনার ভূমিকে নথি তলব ও তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দেন। সেই থেকে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাফ হোসেন সহ তার বাহিনী আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী মোঃ ইউসুফ হোসেন, আরিফুল গাজী, রিয়াছাত আলী প্রমুখ।
  • অফিসে ডেকে নিয়ে অকথ্যভাষায় গালাগাল করলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

    অফিসে ডেকে নিয়ে অকথ্যভাষায় গালাগাল করলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    ‘ডিসি মোস্তাক আহমেদকে চেনেন? ‘হু আর ইউ’ ইবলিস কোথাকার’- এমন অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে উচ্চস্বরে গালাগাল করলেন, সাতক্ষীরার সৎ ও খ্যাতিমান হিসেবে পরিচিত এবং সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জলকে। বুধবার সন্ধ্যার পর তার অফিসে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ক্ষ্যান্ত হননি প্রায় মারতে উদ্যত হন, এবং তুই তোগারী শুরু করেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    এঘটনার বিচার দাবী করে বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল জানান, জেলা প্রশাসকের আচমকা এধরনের আচরণে তিনি হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এক পর্যায়ে আমাকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল ডিসির রুম থেকে বাইরে নিয়ে যান। ঘটনার পরপরই তিনি বিষয়টি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের জানালে তারা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। একইসাথে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদসবৃন্দ। তারা এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিকার দাবী করেন।
    ঘটনা প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান আরো উজ্জল জানান, তিনি সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মিশনের ২৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী এই কমিটির জেলা প্রশাসক ১৯৪৮ সাল থেকে পদাধিকার বলে সভাপতি। বর্তমান কমিটি চলতি বছরের ২২ মে এক সভার মাধ্যমে সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির অত্র কমিটির অনুমোদন করেন। এই কমিটির ঘাড়ে মহামান্য হাইকোর্টসহ সাতক্ষীরার আদালতে ৬টি মামলা চলমান রয়েছে। যারা এসব মামলা করেছেন তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বর্তমান জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ কমিটির সাথে কোনো ধরনের সভা না করে, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সাথেও কোনো পরামর্শ না করে গোপনে গত ৬ নভেম্বর চলমান কমিটি ভেঙে দিয়ে একটি এডহক কমিটি গঠন করেন। বিষয়টি জানবার পর মিশনের কার্যনির্বাহী কমিটির ২১ জন সদস্য বিষয়টি পূর্ণবিবেচনার দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে একটি আবেদন করেন। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে মিশনকে রক্ষার স্বার্থে তিনি (মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল) মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোটের একটি বেঞ্চ শুনানী শেষে গত ১৫ ডিসেম্বর উক্ত এডহক কমিটি স্ট্রে করে রুল জারী করেন। এমন প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল বুধবার ১০টায় ৩৯ মিনিটে ফোন দিয়ে আমাকে বলেন, সেকেন্ড হাফে জেলা প্রশাসক আপনাকে দেখা করতে বলেছেন। সেই মোতাবেক বেলা ৪ টার পরপরই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান তিনি। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল জেলা প্রশাসকের রুমে বসতে বলেন। কিছুক্ষনের মধ্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ রুমে প্রবেশ করতেই অকথ্য ভাষায় উচ্চস্বরে গালমন্দ শুরু করেন এবং বলেন মিশনের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেননি কেন? এসব বলতে বলতে বলেন ‘ডিসি মোস্তাক আহমেদকে চেনেন? ‘হু আর ইউ’ ইবলিস কোথাকার’- তিনি রুমে অবস্থানরত অন্যদের দেখিয়ে বলেন, সাতক্ষীরায় কিছু ইবলিস আছে এ একটা ইবলিস।
    মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল তখন তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন এবং বলেন বিষয়টি আপনি ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন কেন? তাছাড়া এডহক কমিটি মহামান্য হাইকোর্ট স্টে করে দিয়েছেন। তখন তিনি আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠেন এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এমন অবস্থায় সেখানে অবস্থানরত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল আমাকে বাইরে নিয়ে যান এবং চলে যেতে বলেন।
    উল্লেখ্য, অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারি পরিচালক, পীরে কামেল হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠার জন্য শহরের মুনজিতপুরে ১৯৫৪ সালে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদকের নামে ৪২ শতক জমি ক্রয় করেন। গঠনতন্ত্রে মিশনের অধীনে মাদ্রাসা, এতিমখানা কাম-লিল্লাহ বোর্ডিং, হেফজখানা, লাইব্রেরী, দাতব্য চিকিৎসালয়সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেন। মিশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে সে মোতাবেক মিশনের কমিটির মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানগুলি পরিচালিত হয়ে আসছিল।
    কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে এসবের ব্যত্যয় ঘটিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র ছত্রছায়ায় রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা অপব্যবহার করে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ কামাল শুভ্র, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা তোহিদুর রহমান ডাবলু, আব্দুর রব ওয়ার্ছী, আব্দুল আজিজ ও আবু শোয়েব এবেল মিশনের নীতি আদর্শকে ভুলন্ঠিত করে, মিশনের ভবন নির্মান, মাদ্রাসা, এতিমখানা দখল করে ব্যাক্তিস্বার্থ হাসিল করছে। শুধু তাই না সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে মিশনের রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করে অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এতিমখানা কাম লিল্লাহ বোডিং এর ফান্ড থেকে আব্দুর রব ওয়ার্ছী, আব্দুল আজিজের যোগসাজসে মিশনের কমিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারি আবু শোয়েব এবেলের নিকট থেকে ভূয়া জমি ক্রয় করে এতিমখানার ফান্ডে রক্ষিত ৪০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এমনকি আবু শোয়েব এবেল দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ২৪ লাখ টাকা ভাড়া না দিয়ে সাবেক এমপিদের প্রভাবে বহাল তবিয়তে ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিষয়টি নিয়ে সদর সহকারি কমিশনার (ভুমি) কার্যালয়ে তদন্তাধিন রয়েছে। এছাড়া সরকারি বিধি-বিধান লংঘন করে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে ৭ টি পদে অবৈধ নিয়োগ বানিজ্য করে প্রায় এক কোটি টাকা আতœসাতসহ বিভিন্ন বিষয়য়ে জেলা প্রশাসক, দুর্নীনি দমন কমিশন, সমাজসেবা কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার প্রতিকার চেয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পরও বিষয়গুলি প্রধান উপদেষ্টা, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। অথচ এসব বিষয় নূন্যতম আমলে না নিয়ে উল্টো ওই চক্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জেলা প্রশাসক আদালতকে উপেক্ষা করে অন্যায়ভাবে সাতক্ষীরা আহছ্ানিয়া মিশনের কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। মুলত: ফ্যাসিবাদের সময়ে যারা মিশনকে ব্যক্তিগত সম্পদে রূপান্তরিত করেছে তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য তিনি অবিবেচনাপ্রসূত এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মহামান্য হাইকোট যেখানে রুল জরী করে এডহক কমিটি স্টে করেছেন এরপর মিশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জলকে তার অফিসে ডেকে এধরনের ঐদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা, গালাগাল করা আদালত অবমাননার শামীল বলে মনে করেন মিশনের কর্মকর্তারা।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিশনের জি এম আব্দুল হামিদ, জিএম মাহবুবর রহমান, আব্দুল খলেক প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ কমিটি গঠন 

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ কমিটি গঠন 

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা  : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার ২০২৫-২০২৬ সেশনের শুরা নির্বাচন এবং  কর্ম পরিষদ কমিটি গঠন ও শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জামায়াত অফিসে এ  কর্মপরিষদ কমিটি গঠন ও শপথ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শাহাদাৎ হোসাইন। ২০২৫-২০২৬ সেশনের শুরা সদস্য ও কর্মপরিষদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ  করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার নবনির্বাচিত আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসেন। এসময় শপথ গ্রহন করেন কর্মপরিষদ ও নির্বাচিত শুরা সদস্য  মাস্টার ইদ্রিস আলম,মাওলানা আব্দুস সবুর, মাওলানা আব্দুল হামিদ,মো: শহীদ হাসান, মাওলানা মাহফুজুর রহমান,অধ্যাপক সহিদুর রহমান, মুহাদ্দিস  আলাউদ্দিন, ড. রুহুল আমিন, মাওলানা আব্দুল মজিদ, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা গোলাম রসুল, মাওলানা আজাদুল ইসলাম, মাস্টার হাবিবুর রহমান, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা আনিছুর রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মো: মাসুম বিল্লাহ, ডাক্তার শফিকুল ইসলাম, মাওলানা রমজান আলী।
  • ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাতক্ষীরা  সদর ব্রহ্মরাজপুরে ডিবি  ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট বৃত্তি উৎসব-২৪ সম্পূর্ণ

    ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাতক্ষীরা  সদর ব্রহ্মরাজপুরে ডিবি  ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট বৃত্তি উৎসব-২৪ সম্পূর্ণ

    আব্দুল করিম ধুলিহর প্রতিনিধিঃ ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাতক্ষীরা  সদর ব্রহ্মরাজপুরে ডিবি  ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট বৃত্তি উৎসব-২৪ পরীক্ষা ১৭ ডিসেম্বর ২৪ ডিবি ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সভাপতি ডা. জাহারুর ইসলামের নেতৃত্বে  সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে নিজ বিদ্যালয় সহ পাশ্ববর্তী ব্রহ্মরাজপুর সপ্রাবি, ধুলিহর মডেল সপ্রাবি, জাহানাবাজ সপ্রাবি, দহকুলা সপ্রাবি, বালুইগাছা সপ্রাবি, দামারপোতা সপ্রাবি, গোবিন্দপুর সপ্রাবি, কোমরপুর সপ্রাবি, পূর্বদহকুরা সপ্রাবি,, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সর্বোমোট ১১টি বিদ্যালয়ের ২৩৪ জন শিক্ষার্থী। ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের ৩ টি হল রুমে শিক্ষার্থীদের আনন্দ মুখর পরিবেশে এই পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়।
    অবিভাকদের দাবি এমন ব্যতিক্রম বৃত্তি উৎসব চলমান থাকলে আমাদের শিশুর মেধা বিকশে সহায়ক হবে। স্কুল কতৃপক্ষ এই বৃত্তি উৎসব প্রতিবছর চলমান থাকে তার জন্য অভিভাবকদের সহোযোগিতাও দাবি করেন।
    স্কুলের শিক্ষক সমির মল্লিক, মনিরুজ্জামান, সুজন ঘোষ, সাগর দেবনাথ, মনিষা মল্লিক, ফারহানা সুলতানা সহ ৭ জন শিক্ষকের সার্বিক সহযোগিতায় বৃত্তি উৎসব বাস্তবায়ন করেন।
    সার্বিক তত্ত্বাবধান ছিলেন ডিবি ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাই।
  • মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত 

    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত 

    ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ক্রিকেট টিম বনাম আশাশুনি থানা পুলিশ ক্রিকেট টিমের মধ্যকার বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে (১৮ ডিসেম্বর) আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার যৌথ আয়োজনে আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ জাঁকজমকপূর্ণ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় আশাশুনি থানা ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। থানা পুলিশের প্লেয়ার নাদিমের ৪৮ রানে ভর করে ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৯১ রানের টার্গেট দেয় আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবকে। ৯২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ক্রিকেট টিম নির্ধারিত ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান করতে সক্ষম হয়। ফলে ১৪ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে আশাশুনি থানা ক্রিকেট টিম। খেলায় ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হন আশাশুনি থানা ক্রিকেট টিমের  অধিনায়ক ওসি নজরুল ইসলাম। খেলা পরিচালনা করেন আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আনিসুর রহমান ও উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম। খেলায় ধারাভাষ্যে ছিলেন সমবায় অফিসার সন্যাসি মন্ডল ও আশরাফ হোসেন। খেলার শেষে রানার্স আপ টিমের পক্ষে অধিনায়ক রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীন ও চ্যাম্পিয়ান টিমের অধিনায়ক ওসি নজরুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহন করেন। এসময় সকল প্লেয়ারকে মেডেল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার সদস্য বৃন্দ। খেলা চলাকালীন সময় বাদক দল মনোমুগ্ধকর বাদ্য পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন।
  • বৈধপথে বিদেশে সর্বাধিক কর্মী প্রেরণ করে শেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেলেন আল নূর ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মাওলানা মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকী

    বৈধপথে বিদেশে সর্বাধিক কর্মী প্রেরণ করে শেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেলেন আল নূর ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মাওলানা মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকী

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বৈধপথে বিদেশে সর্বাধিক কর্মী প্রেরণকারী রিক্রুটিং এজেন্সী হিসাবে
    শেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেলেন আল নূর ইন্টারন্যাশনাল (আরএল নং-০৬৮৯) এর স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মাওলানা
    মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকী। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও
    জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও
    জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিগত কয়েক বছরে বৈধপথে বিদেশে ১৭
    হাজারের অধিক কর্মী প্রেরণ করে বিশেষ অবদান রাখায় শেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। সাতক্ষীরা
    জেলা প্রশাসন ও জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে
    এ পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল’র
    সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক
    আহমেদ। “প্রবাসীর অধিকার আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আমাদের সবার ্য়ঁড়ঃ; প্রতিপাদ্যে
    সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে শিক্ষাবৃত্তির চেক
    হস্তান্তর, সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রদানকারী কর্মীর সম্মাননা প্রদান, র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এসময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের
    কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
    ক্যাপশন : সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বৈধপথে
    বিদেশে সর্বাধিক কর্মী প্রেরণকারী রিক্রুটিং এজেন্সী হিসাবে অতিথিদের নিকট থেকে শেষ্ঠত্বের
    পুরস্কার গ্রহণ করছেন আল নূর ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আবু বকর
    সিদ্দিকী।

  • কলারোয়া পৌরসভাতে গৃহস্থলীর বর্জ্যরে সেকেন্ডারী ডাম্পিং স্টেশন এবং পয়োবর্জ্যরে আন প্লান্টেড বেড উদ্বোধন

    কলারোয়া পৌরসভাতে গৃহস্থলীর বর্জ্যরে সেকেন্ডারী ডাম্পিং স্টেশন এবং পয়োবর্জ্যরে আন প্লান্টেড বেড উদ্বোধন

    প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন ২০১৮ সাল হতে কলারোয়া পৌরসভার সাথে ও একান্ত সহযোগিতায়
    বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে
    ফিনিশ মন্ডিয়াল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের অধীনে গৃহস্থলীর বর্জ্যরে জন্য একটি
    সেকেন্ডারী ডাম্পিং স্টেশন এবং পয়োবর্জ্যরে জন্য একটি আন প্লান্টেড বেড সম্পাদন
    করেছেন। উক্ত কার্যক্রম দুটির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ করা হয় ।
    কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জহুরুল ইসলাম।
    অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী
    প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান মুনির, কলারোয়া পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা
    তুষার কান্তি দাশ, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম ও কন্সারভেন্সী ইনস্পেক্টর মোঃ
    নাজমুল ইসলামসহ অন্যান্য। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন
    প্রতিনিধি মৃনাল সরকার।
    সেকেন্ডারী ডাম্পিং স্টেশনে এলাকার মানুষ গৃহস্থলীর বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে
    একটি নিদিষ্ট স্থানে ফেলতে পারবে এবং পয়ঃবর্জ্যের প্লান্টে যে নতুন বেড সংযোজন করা
    হয়েছে সেখান থেকে চৌদ্দ দিনের ব্যবধানে সার তৈরী হবে এই সার এবং গৃহবর্জ্য
    একসাথে মিশিয়ে কো-কম্পোস্ট তৈরী হবার একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকার মানুষ
    কো-কম্পোস্ট দিয়ে অধিক ফসল ফলাতে পারবে। কৃষকরা উপকৃত হবে এবং উভয় বর্জ্যের যথাযথ
    ব্যবস্থাপনা হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন যে কলারোয়া
    পৌরসভাতে আরো বেশি ডাম্পিং স্টেশন দরকার আছে যার ফলে বজ্যের সুস্থ ব্যবস্থাপনা
    নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সরকারী বেসরকারী উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে সম্পদের যথাযথ
    ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সবশেষে তিনি প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন’র এ মহতি উদ্যোগকে
    ধন্যবাদ জানান।

  • কালিগঞ্জে শালিসী বৈঠকে বাবা ছেলেকে মানসিক নির্যাতন অপমান সইতে না পেরে ছেলের আত্মহত্যা

    কালিগঞ্জে শালিসী বৈঠকে বাবা ছেলেকে মানসিক নির্যাতন অপমান সইতে না পেরে ছেলের আত্মহত্যা

    শালিসী বৈঠকে স্ত্রীকে ভাড়া বাসায়
    রেখে সংসার না করলে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদ
    করায় বাবাকেও গালিগালাজ করার অপমান সহ্য করতে না পেরে এক
    নির্মাণ শ্রমিক গলায় দড়িতে ফাঁস লাগিয়ে আম গাছে ঝুলে
    আত্মহত্যা করেছে। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার
    নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আস্কারপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ
    লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে
    পাঠিয়েছে।
    নিহতের নাম আরিফুল ইসলাম নয়ন (২৫)। সে দেবহাটা উপজেলার
    আস্কারপুর গ্রামের মোঃ রেজাউল ইসলাম গাজীর ছেলে।
    মৃত আরিফুল ইসলাম নয়নের বাবা মোঃ রেজাউল ইসলাম গাজী
    জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে তার ছেলে
    নির্মাণ শ্রমিক আরিফুল ইসলাম নয়নের সঙ্গে কালিগঞ্জ
    থানাধীন নলতা ইউনিয়নের মাঘুরালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর
    নাতনি ও খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কোড়াকোটা
    গ্রামের জিয়াদ আলীর মেয়ে জান্নাতুন্নেছার বিয়ে হয়।
    বর্তমানে তাদের জিসান নামের আড়াই বছরের এক পুত্র সন্তান
    রয়েছে। ১৮ বছর আগে জিয়াদ আলী স্ত্রী অন্দুলাকে তালাক দিলে
    একমাত্র সন্তান জিন্নাতুন্নেছাকে নিয়ে মাঘুরালি গ্রামের
    বাবা মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে থাকতো। বিয়ের এক বছর পার না
    হতেই জান্নাতুন্নেছা তার স্বামীকে নিজের পরিবারের ও
    আত্মীয় স্বজনদের পরিবারের নারী সদস্যদের বিরুদ্ধে অনৈতিক
    সম্পর্কের অভিযোগ তুলে বিরোধ করতো। বিষয়টি তিনি
    জান্নাতুলকে বুঝিয়েছেন কয়েক বার। এরপরও অভাবের সংসারে
    প্রতিনিয়ত ঝগড়াঝাটি করতো জান্নাতুন্নেছা। একপর্যায়ে
    জান্নাতুন্নছা পরিবার থেকে অন্য কোথাও ঘরভাড়া নিয়ে থাকার
    জন্য নয়নের কাছে বায়না ধরে। নয়ন বাবা- মাকে ছেড়ে অন্যত্র যেতে
    রাজী না হওয়ায় ১৯ দিন আগে বাপের বাড়িতে চলে যায়।
    একপর্যায়ে এক সপ্তাহ আগে জান্নাতুল নলতা ইউনিয়ন পরিষদে
    তার উপর নির্যাতনের অভিযোগ করে। নোটিশ পেয়ে তিনি ছেলে ও

    প্রতিবেশী জিয়াদ শেখ, আরিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী বৈদ্য,
    মিজান গাজী, জিয়াদ আলী গাজীসহ কয়েকজন গণ্যমান্য
    ব্যক্তিকে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নলতা ইউনিয়ন পরিষদে যান।
    সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শালিসি বৈঠক শুরু করেন ইউপি
    চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান। সেখানে জান্নাতুন্নেছার পক্ষে
    তার মা, ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন উপস্থিত
    ছিলেন। জান্নাতুন্নেছার পক্ষে তার মা ও নয়নের পক্ষে নয়ন ও নয়নের
    মায়ের কথা শোনেন চেয়ারম্যান। দুপুর একটার দিকে নয়ন ও তাকে
    কোন কথা বলার সূযোগ না দিয়ে চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান
    এখনই স্ত্রী জানাœতুন্নেছাকে নিয়ে এক সপ্তাহ পর অন্যত্র
    ঘরভাড়া করে সংসার করার নির্দেশ দেন। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে
    চেয়ারম্যান নয়নকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার
    কথা বলেন। তিনি (রেজাউল) নিজে কথা বলতে গেলে অকথ্য ভাষায়
    গালিগালাজ করেন চেয়ারম্যান। একপর্যায়ে জান্নাতুন্নেছাকে
    নিয়েই বাড়িতে আসেন তারা।
    রোকেয়া খাতুন জানান, ছেলে ও পুত্রবধু মঙ্গলবার দুপুর দুটোর
    দিকে বাড়ি আসে। এরপর থেকে সে চেয়ারম্যানের হুমকি ও বাবাকে
    অপমানের কথা নিয়ে বার বার প্রলাপ বকছিল। রাতে সে খাবার
    খায়নি। তবে রাত ৯টার দিকে কয়েক মিনিটের জন্য ঘরে এসে চলে
    যায়। ভোরে হাবিবুর রহমান গাজীর আমগাছের ডালে দড়িতে
    ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নয়নের লাশ দেখতে পায় প্রতিবেশী
    বাহার আলী গাজীর স্ত্রী হালিমা খাতুন। খবর পেয়ে বুধবার সকাল
    সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সকাল
    ১১টার দিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকসহ
    গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জান্নাতুন্নেছাকে তার মা ও
    মামা সাদ্দামের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
    রেজাউল ইসলাম গাজী ওরফে রেজা অভিযোগ করে বলেন, নলতা ইউপি
    চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান শালিসী বৈঠকের নামে তার ও ছেলের
    উপর যে মানষিক নির্যাতন ও অকথ্য গালিগালাজ করেছে তা সহ্য
    করতে না পেরে নয়ন আত্মহত্যা করেছে। তিনি নয়মের মৃত্যুর জন্য
    চেয়ারম্যানকেই দায়ি করেন।
    মৃত নয়নের মামা শ্বশুর সাদ্দাম হোসেন বলেন, তার ভাগ্নি
    জান্নাতুন্নেছাকে শ্বাশুড়ি প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন ও
    গালিগালাজ করতো। এ নিয়ে কয়েকবার শালিস বিচারও হয়েছে।
    ১৮ দিন আগে জান্নাতুন্নেছাকে মারপিটের খবর বাড়িতে যান।

    তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে এমন দৃশ্য দেখে তাকে রাত
    ১০টার দিকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে ভাগ্নি পরিষদে
    অভিযোগ করলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসে ১০ দিনের সময় নিয়ে
    যায়। এরপর মঙ্গলবার শালিসি বৈঠকে তার বোন আন্দুলা, ভাগ্নি
    জান্নাতুন্নেছা, নয়ন ও নয়নের মা রোকেয়ার কাছে বিস্তারিত
    জানেন। একপর্যায়ে নয়নকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে যেতে
    বলেন। এক সপ্তাহের পর নয়নকে অন্যত্র বাসা নিয়ে স্বস্ত্রীক বসবাস
    করত বলেন। তবে শালিসী বৈঠকের সময় সাদ্দাম পরিষদের পাশে ছিলেন
    বলে দাবি করে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ
    সঠিক নয়।
    এ ব্যাপারে নলতা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল
    ইসলামের সাথে বুধবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ০১৮৪৯৬৬৮০৭৭
    নং মুঠোফোন থেকে তার ০১৯৬১৬১৮১৪৯ নং মুঠোফোনে
    যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি রিসিভ করেননি।
    নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে বুধবার বিকেল
    ৪ টা ৩৫ মিনিটে ০১৮৪৯৬৬৮০৭৭ নং মুঠোফোন থেকে তার
    ০১৭৪০৮০৩০২০ নং মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে
    তিনি রিসিভ করেননি।
    সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আসাদুজ্জামান
    জানান, প্রাথমিকভাবে নয়ন আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে।
    দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হযরত আলী জানান, এ
    ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নয়নের লাশের ময়না তদন্তের
    জন্য বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো
    হয়েছে।

  • সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মিথ্যে মামলায় এক কলেজ ছাত্রকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মিথ্যে মামলায় এক কলেজ ছাত্রকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রতিপক্ষ রেজাউল ইসলাম মোল্যাকে ঘেরে শেয়ার না রাখায় কলেজ ছাত্র আবিদ হোসেন নামের এক যুবককে মিথ্যে মামলা ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে আবিদ হোসেনের মাতা আশাশুনির কল্যাণপুর গ্রামের মৃত মোবারক গাজীর মেয়ে মোছাঃ শরিফা খাতুন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একমাত্র ছেলে আবিদ হোসেন (১৯) প্রতাপনগর এপিএস কলেজে বিএ অনার্সের ছাত্র। সে পড়াশুনার পাশাপাশি ঘের ব্যবসার সাথে জড়িত। আবিদ হোসেন সহ ৯জন একটি ৬০ বিঘা জমির ঘের ইজারা নেয়। কিন্তু ৯ জনের মধ্যে ৪জন টাকা দিয়ে শেয়ারের অংশগ্রহণ করে। বাকী ৫জন টাকা না দেওয়ায় তাদের শেয়ার রাখতে পারেনি। এই ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষ জনৈক রেজাউল সহ অন্যান্যরা আমার ছেলেকে ফাসানোর ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
    তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে ও তার ৩ সঙ্গী সবুজ, হোসাইন ও কানন পাহারা দেওয়ার জন্য ঘেরে অবস্থান করছিলো। রেজাউল গংরা রাত আড়াই টার দিকে স্বপ্না খাতুনকে নিয়ে যায় এবং তার দিয়ে মিথ্যা ধর্ষনের নাটক সাজিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়। প্রকৃত ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। যে ঘটনায় আমার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে সেই ঘটনার সাথে আমার ছেলের কোন সম্পর্ক নেই।
    শরিফা খাতুন অভিযোগ করে আরো বলেন, রেজাউল ইসলাম একজন হিং¯্র প্রকৃতির লোক। তার নামে ইতিপূর্বে বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। সে এতই দুর্দান্ত যে, তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ঘেরে শেয়ার না নেওয়ায় সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে রেজাউল মোল্যা তার ভাইজিকে ব্যবহার করে আমার ছেলেকে মিথ্যা ঘটনায় ফাঁসিয়েছে। মামলার বাদী স্বপ্না খাতুন একজন দুষ্টু প্রকৃতির মেয়ে। বিগত ৬ বছর আগে সে ভারতে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাড়িতে আসার পর তার একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তার কোন স্বামী নেই এবং এলাকাবাসীর জানা মতে তার কোন বিয়ে হয়নি। মেয়েটি সর্বদা অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে। মেয়েটির এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রেজাউল আমার ছেলেকে বিনা অপরাধে জেল খাটাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে উক্ত ঘটনার সম্পূর্ণ সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
    তিনি বলেন, শুধুমাত্র ঘের ব্যবসায় জড়িয়ে পার্টনারে ব্যবসা করতে গিয়ে রেজাউল গংদের রোষানালে পড়েছে আমার ছেলে। মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা থেকে ছেলে আবিদ হোসেন যাতে নিষ্কৃতি পেতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

  • ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাতক্ষীরা  সদর ব্রহ্মরাজপুরে ডিবি  ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট বৃত্তি উৎসব-২৪ সম্পূর্ণ

    আব্দুল করিম ধুলিহর প্রতিনিধিঃ ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাতক্ষীরা  সদর ব্রহ্মরাজপুরে ডিবি  ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট বৃত্তি উৎসব-২৪ পরীক্ষা ১৭ ডিসেম্বর ২৪ ডিবি ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সভাপতি ডা. জাহারুর ইসলামের নেতৃত্বে  সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে নিজ বিদ্যালয় সহ পাশ্ববর্তী ব্রহ্মরাজপুর সপ্রাবি, ধুলিহর মডেল সপ্রাবি, জাহানাবাজ সপ্রাবি, দহকুলা সপ্রাবি, বালুইগাছা সপ্রাবি, দামারপোতা সপ্রাবি, গোবিন্দপুর সপ্রাবি, কোমরপুর সপ্রাবি, পূর্বদহকুরা সপ্রাবি,, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সর্বোমোট ১১টি বিদ্যালয়ের ২৩৪ জন শিক্ষার্থী। ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের ৩ টি হল রুমে শিক্ষার্থীদের আনন্দ মুখর পরিবেশে এই পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়।
    অবিভাকদের দাবি এমন ব্যতিক্রম বৃত্তি উৎসব চলমান থাকলে আমাদের শিশুর মেধা বিকশে সহায়ক হবে। স্কুল কতৃপক্ষ এই বৃত্তি উৎসব প্রতিবছর চলমান থাকে তার জন্য অভিভাবকদের সহোযোগিতাও দাবি করেন।
    স্কুলের শিক্ষক সমির মল্লিক, মনিরুজ্জামান, সুজন ঘোষ, সাগর দেবনাথ, মনিষা মল্লিক, ফারহানা সুলতানা সহ ৭ জন শিক্ষকের সার্বিক সহযোগিতায় বৃত্তি উৎসব বাস্তবায়ন করেন।
    সার্বিক তত্ত্বাবধান ছিলেন ডিবি ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাই।
  • আশাশুনির চাঞ্চল্যকর শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবীতে শিক্ষাথী, শিক্ষক ও গ্রামবাসির  মানববন্ধন

    আশাশুনির চাঞ্চল্যকর শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবীতে শিক্ষাথী, শিক্ষক ও গ্রামবাসির মানববন্ধন

    সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের আগরদাঁড়ি গ্রামের চাঞ্চল্যকর
    শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত
    হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
    সামমে রাস্তার উপর এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।
    আগরদাঁড়ি রহিমীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক
    বিদ্যালয়ের যৌথ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন আগরদাঁড়ি
    মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর, আগরদাঁড়ি সরকারি
    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলাউদ্দিন, কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান
    ওমর ছাকি পলাশ, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আঙুর, সোলায়মান আজিজী,
    ইয়াহিয়া সরদার, আবুল হোসেন বাবলু, নিহত রাহির মা সাবিনা খাতুন ও দাদী
    ফুলি বেগম।
    বক্তারা বলেন, মাদক গোটা জাতিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে যুব
    সমাজ। রেজোয়ান কবীর জনি মাদকাসক্ত হওয়ায় সে সামান্য কিছু টাকার জন্য
    দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রাহির কানের দুল খুলে নিয়ে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে
    হত্যার পর লাশ পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
    গ্রেপ্তারকৃত জনি আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাই দ্রুত বিচার
    আইনে মামলা নিষ্পত্তি করে আসামিকে ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরণের
    ঘটনা যাতে পূণরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সকলকে সজাগ হতে হবে। মাদকের
    বিরুদ্ধে ষাড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
    উল্লেখ্য, গত শনিবার শিশু রাহিকে বাড়ির পাশে হলুদ ক্ষেতে ডেকে নিয়ে স্বর্নের
    দুল খুলে দিতে বলে মাদকাসক্ত রেজোয়ান আহমেদ জনি (২২)। এতে সে অস্বীকার
    করে বিষয়টি বাড়িতে বলে দেওয়ার কথা জানালে রাহিকে হত্যা করে হাত পা
    বেঁধে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। পরে দুল দুটি বুধহাটা বাজারে বিক্রি করে দেয়
    ঘাতক জনি। হত্যার শিকার রাহি খাতুন (৯) আশাশুনি উপজেলার ৩নং কুল্যা
    ইউনিয়নের আগরদাঁড়ী গ্রামের ভ্যানচালক রবিউল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয়
    সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রি। ঘাতক জনির বাড়ি একই
    গ্রামে। সে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। ঘাতক রেজোয়ান আহমেদ জনি মাদকাসক্ত।
    নেশার টাকা জোগার করার জন্য এমন নৃসংস হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে
    আদালতে ১৬ ডিসেম্বর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। সোনার দুল
    ক্রেতা অজয় পাইন সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসি দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসি দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “প্রবাসীর অধিকার আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আমাদের সবার ” প্রতিপাদ্যে সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে   শিক্ষাবৃত্তির চেক হস্তান্তর, সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রদানকারী কর্মীর সম্মাননা প্রদান,র‍্যালি  ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আয়োজনে বুধবার(১৮ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে র‍্যালি  বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি আলোচনা সভায় মিলিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) বিষ্ণুপাদ পাল’র সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টিটিসি সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমান,জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তফা জামান,সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি (তদন্ত)  শফিকুল ইসলাম, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের জরিপ অফিসার মোঃ আব্দুল মজিদ প্রমুখ । এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ব্যাংক পি এল সি সাতক্ষীরার ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাদেক আলী, জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা এরিয়ার প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ মাগফুর রহমান, সুশীলন এর উপ-পরিচালক  জিএম মনিরুজ্জামান, আল নূর ইন্টারন্যাশনাল সাতক্ষীরার সত্বাধিকারী আবু বক্কার সিদ্দিকী। এ সময়২০২৪ সালে বৈধপথে সর্বোচ্চ জনশক্তি বিদেশ প্রেরণ করায়  আল নূর ইন্টারন্যাশনাল সাতক্ষীরার সত্বাধিকারী আবু আক্কার সিদ্দিকী ও বিদেশ  থেকে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী মোঃ অহিদুজ্জামান,
    মফিজুল ইসলাম ও ইয়াছিন আলীকে সম্মামনা ক্রেস প্রদান করা হয়। এছাড়া ওয়েলফেয়ার সেন্টার খুলনার উদ্যোগে মো.দাউদ আলী সরদার, মোছাঃ রিবিতা সুলতানা, শিশির কুমার দাস, তাসলিমা খাতুন কে প্রতিবন্ধী ভাতা ও তানভীর ফুয়াদকে শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালনায় ও জেলা তথ্য অফিসের ইউ ডি এ মো. মনিরুজ্জামান।

  • শিশু রাহি হত্যা : জনির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    শিশু রাহি হত্যা : জনির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আগরদাড়ি গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী শিশু নুসরাত জাহান রাহি হত্যা মামলার প্রধান আসামী রেজাউল কবীর জনি ও প্রধান সাক্ষী অজয় পাইন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে তারা সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মহিদুল হাসানের কাছে এ জবানবন্দি দেয়।

    আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানকারি আসামী রেজাউল কবীর জনি (২২) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে। একই ধারায় অপর জবানবন্দি প্রদানকারি সাক্ষী অজয় পাইন একই উপজেলার বুধহাটা গ্রামের সুকুমার পাইনের ছেলে ও বুধহাটা বাজারের পলাশ জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী।

    নিহত শিশু নুসরাত জাহান রাহি (৯) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আগরদাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলাম রুবেল এর মেয়ে ও আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। সম্পর্কে জনি রাহির প্রতিবেশী চাচা।

    মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোঃ মহিদুল হাসানের কাছে নিজেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার কথা স্বীকার করে কানের দুল কেড়ে নেওয়ার ঘটনা বাবা ও মাকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বলায় রাহিকে তার সোয়েটার ছিঁড়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করেছে। সে ওই দুল বুধহাটার অজয় পাইনের কাছে নয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল বলে স্বীকার করে। জবানবন্দি শেষে জনিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অজয় বাইনকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

    একইভাবে অজয় পাইন তার জবানবন্দিতে জানিয়েছে ৫ মাস আগে জনি তার মায়ের সাড়ে চার ভরি সোনার দুল তার কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল। সে কারণে গত শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে দুই আনা ওজনের এক জোড়া ছোট দুল বিক্রি করতে এলে তার কাছে জানতে চাইলে সে বলে যে মায়ের দুল বিক্রি করে পরে সে ছোট আকারে তৈরি করে দিয়েছিল। সেই দুল সে বিক্রি করতে এসেছে। একপর্যায়ে ওই দুলজোড়া বাবদ জনি নয় হাজার টাকা নিয়ে যায়।

    সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, জনি ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরি করতো। নয় মাস আগে সে বিয়ে করে। বিয়ের পরে মাস চারেক আগে সে চাকরি হারায়। এতে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে জনি। পরে গ্রামের বাড়িতে এসে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে সে রাহির কানে থাকা সোনার দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চিন্তা করে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাহি তার বান্ধবী মিতা বসুর সাথে খেলা করছিল। জনি শিশু রাহিকে খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে বান্ধবীর বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী হলুদ খেতে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক তার কানের সোনার দুল খুলে নেয়। এসময় রাহি বিষয়টি তার বাবা ও মাকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে জনি তার গায়ের সোয়েটার ছিঁড়ে হাত ও পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে রাহিকে হত্যা করে। পরে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।

    তিনি আরো বলেন, শিশু রাহি হত্যার ঘটনায় রেজাউল কবীর জনিকে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে তার গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।সোমবার বিকালে জনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারের প্রেরণ করা হয়েছে।