Blog

  • পাইকগাছায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস 

    পাইকগাছায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস 

    খুলনার পাইকগাছায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে নার্সারিতে উৎপাদনকৃত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে

    মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের আয়োজনে গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের চার নার্সারিতে উৎপাদিত সাড়ে দশ হাজার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ একরামুল হোসেন, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম রায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস,  উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাশ, কমলেশ কুমারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    রজনীগন্ধা নার্সারিতে ২হাজার ৫শো। সবুর নার্সারিতে ৪ হাজার, আলআমিন নার্সারিতে ৩ হাজার এবং ঝর্ণা নার্সারিতে  ১ হাজারসহ সাড়ে ১০ হাজার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দী শত শত পরিবার

    সাতক্ষীরায় ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দী শত শত পরিবার

    টানা প্রায় দুই সপ্তাহ পর দুইদিন বিরতি দিয়ে সাতক্ষীরা (১৪ জুলাই) ফের শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। এতে করে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের পাশপাশি সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বিল, খাল, পুকুর, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, আউশ ধানের ক্ষেত ও আমন বীজতলা। বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ ও কৃষকরা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্লাবিত এলাকার বহু পরিবার।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার কামালনগর, ইটাগাছা, পলাশপোলের মধুমোল্লারডাঙি, মেহেদীবাগ, রসুলপুর, বকচরা, রাজারবাগান, বদ্দিপুর কলোনি, রইচপুর, মধ্য কাটিয়া, রথখোলার বিল, গদাইবিল, মাঠপাড়া, পার-মাছখোলা ও পুরাতন সাতক্ষীরার মতো নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা পৌরসভার ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা। একই সাথে সদর উপজেলার আলিপুর, কাশেমপুর, বালিয়াডাঙ্গা, বাবুলিয়া, লাবসার মাগুরা, খেজুরডাঙি, গোপিনাথপুর, বল্লী, বিনেরপোতা, শাল্যে, মাছখোলাসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বহু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে না পারায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের বহু পরিবার। ঘরের ভিতর পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই মাচান বানিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

    প্লাবিত এসব এলাকার কিছু পরিবারকে কলাগাছের ভেলায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে। রান্না ঘরে পানি উঠায় পানিবন্দী পরিবারগুলোতে রান্নাবান্না একরকম বন্ধ রয়েছে। চুলায় আগুন জ্বালানো তো দূরের কথা, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন অনেক পরিবার। টিউবওয়েল ডুবে গেছে পানিতে। বাড়ির উঠানে হাটু সমান পানি। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রযেছে প্লাবিত এলাকার এসব মানুষ।

    সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সোমবার ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মোট ৫৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

    আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানি জমে গেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) থেকে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এদিকে, টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রোপা আউশ ধানের ক্ষেত, আমন ধানের বীজতলা। সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় থাকা মৎস্য ঘেরগুলোতেও পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক ঘেরে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বিল একাকার হয়ে গেছে।

    কৃষকরা জানিয়েছেন, বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এবার আমন রোপণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের পুকুর, সড়ক ও খানাখন্দ তলিয়ে যাওয়ায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় প্রতিবছর বর্ষা এলেই ডুবে যায় পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের পাশপাশি শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা।

    সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসক মাশরুবা ফেরদাউস বলেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর এলাকার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব ড্রেনের মুখগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পৌরসভার কর্মীরা ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে যে সকল খাল রয়েছে তার কচুরিপানা পরিষ্কার করছে, যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হয়।

    তিনি আরও বলেন, পৌর সভার পানি নিষ্কাশনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সার্কিট হাউস থেকে বাইপাস পর্যন্ত একটি বড় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাজেটের সঙ্গে সঙ্গে বাকি কাজগুলোও বাস্তবায়ন করা হবে।

    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের পাশাপাশি পৌরসভার কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চলে জমে থাকা বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশিত হতে পারে সেজন্য বেতনা নদীর গাবতলা-উত্তর চাপড়া এলাকায় দেওয়া আড়াআড়ি বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। এখন উজান থেকে পানি দ্রুত ভাটায় নেমে যাচ্ছে।

    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষায় ২ হাজার হেক্টর জমির আউস ধান, ধানের বীজতলা ও সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

  • তৃতীয় মাত্রা’র সম্পাদকের সুস্থতা কামনা সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের 

    তৃতীয় মাত্রা’র সম্পাদকের সুস্থতা কামনা সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের 

    দেশের জনপ্রিয় ও পাঠক নন্দিত দৈনিক তৃতীয় মাত্রা এর সম্পাদক রবীন সিদ্দিকী সম্প্রতি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    তাঁর আশু শারিরীক সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরাম (রেজিঃ নং ৫৮৩/০৪) এর নেতৃবৃন্দ।
    নেতৃবৃন্দরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন আব্বাস, যুগ্ম-সম্পাদক শেখ বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক মোতাহার নেওয়াজ মিনাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিছুর রহমান তাজু, আরীফ মাহমুদ, মোঃ আব্দুল মতিন, মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ও এএইচএম তুমু।
    নেতৃবৃন্দ তার পরিবারের পক্ষে দেশবাসীর নিকট তার জন্য দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
  • তালায় দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমবায় সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ

    তালায় দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমবায় সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ

    সমবায় অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলা দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্প’-এর আওতায় সাতক্ষীরা তালায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় গঠিত সালতা প্রাথমিক দুগ্ধ সমবায় সমিতির ৫০ জন সদস্যকে গরু কেনা ও লালন-পালনের জন্য প্রতি সদস্যকে ২ লাখ টাকা করে চেক প্রদান করা হয়।
    মঙ্গলবার (১ ৫জুলাই) সকালে তালা উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের আয়োজনে এই চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
    অনুষ্ঠানে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় যুগ্ম নিবন্ধক মোঃ নূরুন্নবী। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা এফ এম সেলিম আখতার এবং তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাছুম বিল্লাহ।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ নূরুন্নবী বলেন,“গরু পালনে লাভবান হতে হলে গরুকে সন্তানের মতো যতœ করতে হবে। গরুর খাদ্য নিজে প্রস্তুত করলে খরচ কমে এবং লাভ বেশি হয়। সমিতির মাধ্যমে গরু পালন করলে আরও লাভবান হওয়া যায়। এজন্য সমিতির নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরি। কোনো সমস্যা হলে সমবায় অফিস বা প্রাণিসম্পদ অফিসে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।”

  • শ্যামনগরে বজ্রপাতে মৎস্য চাষীর মৃত্যু

    শ্যামনগরে বজ্রপাতে মৎস্য চাষীর মৃত্যু

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাতে সুভাষ মালো (৪০) নামে এক মৎস্য চাষীর মৃত্যু হয়েছে।
    মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল ৭টায় উপজেলার চিংড়িখালিতে ঘেরে মাছ ধরার সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
    সুভাষ মালো (৪০) জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের শিবপদ মালোর ছেলে।
    স্থানীয় আব্দুর রউফ জানান, সুভাষ মালো চিংড়াখালি গ্রামে ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বাগদা চিংড়ি চাষ করতো। প্রতিদিন রতনপুর থেকে চিংড়াখালি এসে সকালে মাছ কেনা বেচা করে বাসায় চলে যেত। আজ সকালে ঘেরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
    শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, লোক মুখে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
  •  অপরিকল্পিত স্লুইস গেটের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে লাবসার ১৭ টি গ্রাম,  পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ 

     অপরিকল্পিত স্লুইস গেটের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে লাবসার ১৭ টি গ্রাম,  পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ 

    ইউপি চেয়ারম্যানের নিজ উদ্যোগে জোয়ারের পানি আটকাতে কাজ করছে শ্রমিক ও এলাকাবাসী

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ ও ২ এর কর্মকর্তাদেরগাফিলতির কারণে বেতনা পাড়ে নির্মিত স্লুইসগেট সংস্কারে অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সদরের লাবসা ইউনিয়ন ও ঝাউডাঙ্গা এবং  বল্লী ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ মানুষ। নষ্ট ও ব্যাবহার অনুপযোগী স্লুইস গেটের কারনে বর্ষার পানি ও বেতনা নদীর জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে সব ঘরবাড়ি, পুকুর, মৎস্য ঘেরসহ হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে ধানের বীজপাতা, শাকসবজিসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত স্লুইস গেট ও অনিয়ম দুর্নীতির কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সরকারের কোটি কোটি টাকা জনগণের উপকারে না এসে ক্ষতির কারণ হয়েছে।

    সরেজমিনে বেতনা পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, পাউবোর অপরিকল্পিত স্লুইস গেটের পাখা ওয়াপদার বেঁড়ির উপরে তোলা রয়েছে। স্লুইস গেট রক্ষণাবেক্ষণের কোন লোক নেই। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড পওর বিভাগ-১ এর লাবসা ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গা ৬ ব্যান্ট স্লুইস গেট ও আর কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ২ ব্যান্ট স্লুইস গেট। পওর বিভাগ-২ এর রাজনগর ধেঁড়েখালি ৩ ব্যান্ট স্লুইস গেট, জামাই পাড়া সংলগ্ন ৩ ব্যান্ট স্লুইস গেট, কয়ার বিল ২ ব্যান্ট স্লুইস গেট, কন্দুরডাঙ্গা এক পাড়ে ১ ব্যান্ট, ওপারে ২ ব্যান্ট স্লুইস গেট ও বেড়ারডাংগী ২ ব্যান্ট স্লুইস গেট সবগুলি অপরিকল্পিতভাবে যেনতেন দায়সারা স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছে। কোনোটির পাখা আছে তাও উল্টা লাগানো, আবার কোনটার পাখা নেই। সরকারি কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে।  সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এবং সংস্কারকারী ঠিকাদার  প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দায়সারা স্লুইস গেট নির্মাণ করেছেন। যা এখন জনগণের গলার কাঁটা।

    এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদরের ১৩ নং লাবসা ইউনিয়নের ৩৭ বছরের বারবার নির্বাচিত সুযোগ্য চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল আলীম জানান, আমার লাবসা ইউনিয়নসহ বল্লী ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন অব্যাহত বর্ষার পানি ও বেতনা নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের মানুষের বসতবাড়ি, পুকুর, মৎস্য ঘেরসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ ও ২ এর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। সেই সাথে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেবকে  দিয়েও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলিয়েছি কিন্তু তাদের কোন সাড়া পায়নি। তাদের সাড়া না পেয়ে আমি নিজের উদ্যোগে এলাকার মানুষদের নিয়ে বস্তা দিয়ে জোয়ারের পানি আটকাতে চেষ্টা করছি। যেন নতুন করে কোন গ্রাম প্লাবিত না হয়। আমি ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করেছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ লাবসা ইউনিয়নের তলিয়ে যাওয়া পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

    এ বিষয়ে লাবসা ইউনিয়নের পানিবন্দি মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ জুয়েল হোসেন, মাওলানা কুতুব উদ্দিন ও বল্লী ইউনিয়নের ইসরাইল শেখ বলেন, অপরিকল্পিত স্লুইস গেটে কোনটার পাখা নেই। কোনটার স্লুইস গেটের পাখা ওয়াপদার উপরে রাখা হয়েছে আবার কোনটার পাখা পিছনে না লাগিয়ে সামনে লাগিয়েছে। যে কারণে উল্টো নদীর জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকছে। প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। কোন স্লুইস গেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বিভাগের আওতায় তা দুই বিভাগের কর্মকর্তারা তা অবগত নেই। পানিবন্দী এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি প্রতিবছর ছয় মাস জলাবদ্ধতায় অসহায় পানিবন্দী মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এবং সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে  প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের  আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • তালা যুব পানি কমিটির সভা শেষে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান

    তালা যুব পানি কমিটির সভা শেষে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান

    তালা উপজেলার বাগের বিল থেকে গোপালপুর স্লুইস গেট পর্যন্ত খালের পানি নিষ্কাশন উপযোগী করা এবং নেটপাটা অপসারণের দাবিতে তালা কপোতাক্ষ যুব পানি কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই সকালে তালা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম গণগ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত যুব পানি কমিটির সভা শেষে এ স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপা রানী সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মনিরা সুলতানা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ হৃদয় হোসেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরণ কর্মকর্তা দিলীপ সানা, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, পানি কমিটি নেতা গাজী শহিদুল্লাহ, গোলদার আশরাফুল হক, মো. আফজাল হোসেন, যুব পানি কমিটির সদস্য রাজু হোসেন, আবুল কালাম, দীপা দাস, সোহান শেখ, রাকিব হোসেন, সাইফুল্লাহ, সজীব হোসেন, আরাফাত গাজী, সাইদুর শেখ, আমিনুর রহমান প্রমুখ।

  • ছাত্ররাজনীতিকে ‘না’ বললো খু‌বির সহস্রাধিক নবীন শিক্ষার্থী

    ছাত্ররাজনীতিকে ‘না’ বললো খু‌বির সহস্রাধিক নবীন শিক্ষার্থী

    সন্ত্রাস ও ছাত্ররাজনীতিকে না বলে শপথ নিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ৫ দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশনের শেষ দিনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে শপথ বাক্য পাঠ করান উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান।

    শপথে বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদক ও র‌্যাগিংমুক্ত রাখার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর আগে চার দিনে আরও আট শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীকে শপথ পড়ানো হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুনভাবে মুদ্রিত স্টুডেন্ট হ্যান্ডবুক বিতরণ করা হয়।

    নবীন শিক্ষার্থীদের ‘উইক অব ওয়েলকাম’ শীর্ষক ৫ দিনব্যাপী একাডেমিক ওরিয়েন্টেশনের শেষ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ছাত্ররাজনীতিমুক্ত, সেশনজটবিহীন ও একাডেমিকভাবে শৃঙ্খলিত পরিবেশ। এখানকার একাডেমিক ক্যালেন্ডার নির্ধারিত সময়েই শিক্ষাক্রম শেষ করতে সহায়তা করে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।

    তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমেও আমরা সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের বহুমাত্রিকভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তিনি শিক্ষাজীবনের অর্জনগুলোকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজে লাগাতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নূর আলম, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম।

    আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সালাউদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. এস এম তৌহিদুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ এবং নবাগত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রিসোর্স পারসন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ‘কপিং এন্ড থ্রাইভিং ইন হায়ার এডুকেশন এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক একটি টেকনিক্যাল সেশন উপস্থাপন করেন। এ ছাড়াও আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ আলমগীর হোসেন, সেন্টার ফর প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর মোছাঃ তাছলিমা খাতুন এবং খানজাহান আলী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. খসরুল আলম রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন উপস্থাপন করেন।

    ওরিয়েন্টেশনের শেষ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, পরিসংখ্যান, ব্যবসায় প্রশাসন এবং হিউম্যান রিসোর্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

  • সাতক্ষীরায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

    সাতক্ষীরায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

    সাতক্ষীরায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ- এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শহরের কাটিয়া এলাকায় পুরাতন ডাকবাংলোর সামনে স্মৃতিস্তম্ভটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ।

    গণতন্ত্র ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শহীদ হওয়া তরুণদের স্মরণে সাতক্ষীরায় নির্মিত হচ্ছে এই জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ।

    স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসেম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল সালাম, জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, মুখপাত্র মোহিনি এবং জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

    জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমানের প্রস্তাব অনুযায়ী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকায় পুরাতন ডাকবাংলোর সামনে স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই স্থানে স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ স্মৃতিস্তম্ভের উচ্চতা হবে ১৮ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজপথে উচ্চারিত প্রেরণামূলক শ্লোগানগুলো স্তম্ভটিতে খোদাই করে রাখা হবে। এটি নির্মিত হচ্ছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে। স্মৃতিস্তম্ভটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে আগামী ৫ আগস্ট।

    এসময় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, জুলাই আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মরণে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা দেশের ৬৪ জেলাতেই নির্মিত হবে। আশা করছি, আগামী ৫ আগস্টে এই স্মৃতিস্তম্ভে জুলাই শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা সম্ভব হবে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

  • আশাশুনিতে কৃষি অধিদপ্তরের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে কৃষি অধিদপ্তরের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং দ্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএফএডির সহযোগিতায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় বিভাগীয় এতিম ও প্রতিবন্ধী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম, পার্টনার প্রোগ্রাম খুলনা অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোছাদ্দেক হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শুভ্রাংশু শেখর দাশ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রুমা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক স ম হেদায়েতুল ইসলাম, সাবেক সদস্য সচিব জাকির হোসেন বাবু, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নুরুল আফসার মোর্তজা, শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক। কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোসলেম উদ্দীন ও স্বপ্না রানী সরকার। সভায় প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রমের স্বচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন, প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জান ও পদ্ধতি উপস্থাপন ও প্রদর্শন করা হয়। কৃষকরা তাদের অভিজ্ঞতা ও ফলাফল তুলে ধরে কথা বলেন।
  • আশাশুনি দাখিল মাদ্রাসাটি আলিম স্তরে উন্নীত হওয়ায় শুকরিয়া সমাবেশ

    আশাশুনি দাখিল মাদ্রাসাটি আলিম স্তরে উন্নীত হওয়ায় শুকরিয়া সমাবেশ

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি দাখিল মাদ্রাসা আলিম স্তরে উন্নীত হওয়ায় শুকরিয়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০ টায় মাদ্রাসা হল রুমে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
    জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক স ম হেদায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আলহাজ্ব আবুল হাসান। আবুল কালাম আজাদ বুলবুল ও মোস্তাহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামায়াতের  সাবেক আমীর উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুর, নায়েবে আমীর নূরুল আফসার মোর্তজা, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জি এম আল ফারুক, প্রভাষক জহুরুল ইসলাম, হাফেজ মাওঃ শাহীন, আলহাজ্ব মাওঃ আবুল কাশেম, প্রাক্তন ছাত্র রুহুল আমিন, অভিভাবক রুহুল আমিন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তাগণ আলিম স্তরে ছাত্রছাত্র ভর্তিতে আগ্রহ ও সম্মতি প্রকাশ করেন এবং আলিম পর্যায়ে কাঙ্খিত অগ্রযাত্রা অর্জন এবং যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ফাযিল স্তরে উন্নীত করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে বলে আকাঙ্খা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ নাফিজ ইমতিয়াজ ও ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শামীমা খাতুন। সবশেষে শুকরিয়া জ্ঞাপন পূর্বক বিশেষ দোয়ানুষ্ঠান করা হয়।
  • খুলনা-পাইকগাছা সড়কের তালা উপ-শহরের বেহাল দশা; জনভোগান্তি চরমে

    খুলনা-পাইকগাছা সড়কের তালা উপ-শহরের বেহাল দশা; জনভোগান্তি চরমে

    সেলিম হায়দার

    বিরামহীন বৃষ্টিতে খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়কের তালা উপ-শহরের জেলেপাড়া এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে ভারি বর্ষণের ফলে সড়কের অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় মানুষ ও যাত্রীরা।

    সরেজমিনে দেখা যায়, তালা উপ-শহরের জেলেপাড়া থেকে তালা ব্রিজ মোড় পর্যন্ত সড়কটি ঠিকাদার কর্তৃক খুঁড়ে ফেলে রাখা এবং টানা বৃষ্টির কারণে করুণ দশায় পড়েছে। খুলনা থেকে আঠারোমাইল হয়ে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র প্রবেশপথ এই সড়ক। কিন্তু সড়কের উক্ত অংশে যানবাহন আটকে যাচ্ছে গর্তে পড়ে। বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বারবার ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এমনকি পথচারীরাও পায়ে হেঁটে পার হতে পারছেন না।

    খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি অমরেশ কুমার মন্ডল বলেন, আঠারোমাইল থেকে তালা সদর হয়ে পাইকগাছা পর্যন্ত ছয়টি স্থানে সড়কের খুবই খারাপ অবস্থা। তালা থানা-ব্রিজ মোড়, কপিলমুনি ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাটি মোড়, মুচির পুকুরের মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে সমস্যা ভয়াবহ। আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কিছু জায়গায় ইট-বালু ফেলে মেরামতের চেষ্টা করছি।

    সৈয়দ বাচ্চু নামের এক পথচারী বলেন, ঠিকাদার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে আমাদের চরম মাশুল দিতে হচ্ছে।

    বাস, ট্রাক, পিকআপ, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল চালকরাও ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

    খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-পাইকগাছা রুটে প্রতি ১২ মিনিট পরপর একটি করে গাড়ি চলাচল করে। দিনে প্রায় ১২০টি গাড়ি ও ৭০টি ঢাকা রুটের পরিবহন এ সড়ক ব্যবহার করে। সড়কের দুরাবস্থার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

    তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার বলেন,সড়কের বিষয়টি নিয়ে খুলনা বিভাগীয় প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।

    খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানিমুল হক জানান, ভেঙে যাওয়া সড়কের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই সড়কটি চলাচলের উপযোগী হবে।

  • জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

    জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

    নিজস্ব প্রতিনিধি “৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে এই স্লোগানকে সামনে রেখে” প্রয়াত সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৪ জুলাই ) সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয় সাবেক সংসদ সদস্য এমএ জব্বারের বাসভবনে জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আজহার হোসেন ‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফুজ্জামান (আশু)।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর জন্ম না হলে জাতীয় পার্টির জন্ম হতো না এমন নেতার জন্ম না হলে উপজেলার জন্ম হতো না। হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের রাষ্ট্র পরিচালনা কালীন দেশটাকে যেভাবে সাজিয়েছিল আজকে তা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই যেখানে সেখানে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সারাদেশে গুম, খুন, হত্যা, অন্যায় অত্যাচার বেড়েই চলেছে। পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো সোহাগ নামের এক যুবককে সারা দেশে এটা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না দ্রুত নির্বাচন দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি বলেন, আমি মাত্র ৭ মাস জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলাম। এই অল্প সময়ের মধ্যেই আমি প্রমাণ করেছি, রাজনীতিতে সৌজন্যতা ও ন্যায়ের কোনো বিকল্প নেই। আমার নির্বাচনী এলাকায় জামায়াত-বিএনপির একটি নেতাকেও বিনা কারণে গ্রেপ্তার হতে দিইনি। কারও বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কোনো মামলা হয়নি, কাউকে হয়রানি করা হয়নি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক না কেন, সবার জন্য ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন সমানভাবে প্রযোজ্য। আমি সবসময়ই চেষ্টা করেছি একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে, যেখানে মতভেদ থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা নয়। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যেভাবে মব সন্ত্রাস বাড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রাজনীতিকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে হলে আমাদের দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের স্বার্থে, মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাই—আসুন, সহিংসতা নয়, যুক্তি ও সহনশীলতার মাধ্যমে আমরা দেশ পরিচালনায় অবদান রাখি। ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তি ও গণতন্ত্রের পথে হাঁটি।
    আমরা চাই জাতীয় পার্টি কে সাতক্ষীরা  আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে । প্রতিটা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় পার্টি কে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান বাবু, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আনোয়ার জাহিদ তপন,কেন্দ্রীয় সদস্য এড আলিফ হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, জেলা জাতীয় পার্টির ক্যষদক্ষ ও প্রথম শ্রেণীর কন্ট্রাক্টর মোঃ আশরাফ আলী, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুস সাদেক, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর কায়সারুজ্জামান হিমেল, জাতীয় শ্রমিক পার্টির  জেলা শাখার আহবায়ক মাগফুর রহমান, জেলা যুব সংহতির সভাপতি আশিকুজ্জামান বাপ্পি,জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি কাজী আমিনুল হক ফিরোজ প্রমুখ।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক শ্রী কমল বিশ্বাস, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ নাজমুল হোসেন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম সুজন, শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বদরুজ্জামান বদু,জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, সদর উপজেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক কায়মুজ্জামান পাভেল, পৌর ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন রুমি, কলেজ ছাত্র সমাজের সভাপতি সাকিব জামান দীপ্ত, সাধারণ সম্পাদক তৌফিক বেলাল প্রমুখ। এসময় জেলা জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ,পৌর জাতীয় পার্টি,জেলা ছাত্রসমাজ, পৌর, সদর উপজেলা ছাত্র সমাজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পাটি, জেলা তরুণ পার্টি, জেলা শ্রমিক পার্টির নেতাকর্মীরা ও জেলা ছাত্র সমাজের ৯ টি ওয়ার্ড এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কলেজ ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ ও  ১৪টি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী শেখ ফিরোজ আহম্মেদ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা তরুণ পার্টির আহ্বায়ক আবু ইয়াছিন।

  • তালায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা

    তালায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা

    সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (১৪ জুলাই ২০২৫) বিকালে তালা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা হলরুমে এ আয়োজন করা হয়।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ কামাল হোসেন। পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোসলেম শেখের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাঃ প্রঞ্জা লাবনি দাশ। বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক: কাজী লিমনুজ্জামান, জেসমিন আরা,সাংবাদিক ইমরান হোসেন প্রমূখ।
    আলোচনা শেষে জেলা পর্যায়ে ৮টি ক্যাটাগরির মধ্যে তালা উপজেলার সেরা ৬ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন—
    শ্রেষ্ঠ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা: জেসমিন আরা,শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক: কাজী লিমনুজ্জামান,শ্রেষ্ঠ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার: নাসরিন সুলতানা,শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র: জালালপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র,শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ: তালা উপজেলা পরিষদ,শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা: মোঃ কামাল হোসেন।

  • কালিঞ্চীর কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ, উন্নয়নের ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী

    কালিঞ্চীর কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ, উন্নয়নের ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী

    সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিঞ্চী গ্রামের প্রধান সড়কটি বছরের পর বছর কাঁচা অবস্থাতেই রয়ে গেছে। এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু বর্ষা এলেই রাস্তাটি হয়ে ওঠে দুর্ভোগের প্রতীক। হাঁটু সমান কাদা ও জলাবদ্ধতা পেরিয়ে চলতে হয় তাদের।
    স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তায় হেঁটে চলাও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কোনো রোগী অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স তো দূরের কথা, সাধারণ যানবাহনও আসতে পারে না। অনেক সময় বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের খাটিয়ায় করে গ্রামের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। এতে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
    শুধু রোগী পরিবহন নয়, কালিঞ্চীর শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই কাঁচা রাস্তা দিয়েই বিদ্যালয়ে যায়। তবে বর্ষাকালে রাস্তাটি এতটাই কর্দমাক্ত থাকে যে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে তাদের পড়াশোনায় চরম ব্যাঘাত ঘটে।

    গ্রামের কৃষকরাও এই রাস্তার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। ধান, সবজি কিংবা মাছ বিক্রি করতে সময়মতো বাজারে পৌঁছানো যায় না। কাদা-পানির জন্য যানবাহন ঢুকতে না পারায় উৎপাদিত পণ্য মাঠেই নষ্ট হয়ে যায় বা অনেক কম দামে বিক্রি করতে হয়।
    স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাকা সড়কের দাবি জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোনো বাস্তব উন্নয়ন হয়নি। ফলে দিন দিন জনমনে হতাশা বাড়ছে।
    এলাকাবাসী মনে করেন, একটি পাকা সড়ক শুধু চলাচলের সুবিধাই দেবে না, এটি বদলে দিতে পারে একটি পুরো এলাকার জীবনমান। শিক্ষা, চিকিৎসা ও অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য রাস্তাটি পাকাকরণ অত্যন্ত জরুরি। এ কারণে তারা দ্রুত এই সড়কটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
    তাদের প্রত্যাশা, স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের সদিচ্ছায় শিগগিরই কালিঞ্চী গ্রামের মানুষও পাবে একটি নিরাপদ ও টেকসই সড়ক, যা তাদের জীবনে আনবে স্বস্তি ও স্থিতি।
  • তালায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    তালায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    তালায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ এর ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী দিনব্যাপি নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
    রবিবার(১৪ ই জুলাই)বিকালে তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে কোরআন তেলোওয়াত, স্মরণ সভা,মিলাদ মাহফিল,দোয়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    জাপা নেতা আনছার আলী সরদারের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও জেলা জাতীয় পার্টির সি.সহ-সভাপতি সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলাম ।
    উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি সাংবাদিক এস.এম জাহাঙ্গীর হাসান ও তথ্য যোগযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এস.এম হাসান আলী বাচ্চু,র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সি.যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ জলিল আহমেদ, শেখ হাবিবুর রহমার হাবিব, বি.এম বাবলুর রহমান, জাতীয় সৈনিক পার্টির সভাপতি রফিকুল ইসলাম খাঁ, তেতুঁলিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও তালা উপজেলার সহ-সভাপতি এ্যাড জিল্লুর রহমান,জাতীয মৎস্যজীবি পার্টি তালা উপজেলা শাখার সভাপতি আবু হায়াত নিকারী।
    বক্তব্য রাখেন, জাপা নেতা হায়দার আলী, আব্দুর রহমান শেখ,রহমত আলী গোলদার, মোঃ ময়েন সরদার, উপজেলা যুবসংহতির সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি নজরুল ইসলাম রাজু, তালা সদর ইউনিয়ন জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি লিটন হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন যুব সংহতির সভাপতি কাজী আসাদ, যুবনেতা মো: বাহারুল ইসলাম,আসাদুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান সরদার, ধানদিয়া ইউনিয়ন জাতীয় ছাত্র সমাজের সি.সহ-সভাপতি আহসান হাবীব প্রমুখ।
    স্মরণ সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলোওয়াত করেন ভায়ড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আলতাফ হোসেন হেলালী, মিলাদ মাহফিল ও দোয়ানুষ্ঠান পরিচালনা আধ্যতিœক সাধক এজাহার আলী স্মৃতি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওঃ আব্দুল আলিম।
    সভায় প্রধান অতিথি বলেন,বাংলাদেশের গনতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পল্লীবন্ধু সেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। পল্লীবন্ধু আধুনিক বাংলার উন্নয়নের রুপকর। তার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। পল্লীবন্ধু এরশাদের হাতে গড়া সংগঠন জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে সুশাসন,উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিবে।

  • বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায় : বিশ্বব্যাংক

    বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায় : বিশ্বব্যাংক

    বাংলাদেশের বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা প্রায় এক বছর আগের তুলনায় খুবই ভালো অবস্থায় আছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক।

    সচিবালয়ে আজ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।

    বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের মন্তব্য হচ্ছে-বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খুবই ভালো।’

    তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে উঠতে পারে।  কিন্তু এখন আমরা মনে করছি আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’

    অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন দায়িত্বে জোহানেস জুট এখন থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম দেখবেন এবং তার অফিস ওয়াশিংটনের পরিবর্তে নয়াদিল্লিতে থাকবে।

    তিনি বলেন, জোহানেস জুট বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট সহায়তার বিষয়ে অবহিত আছেন।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে প্রায় এক বছর আগে মনে করা হলেও, বর্তমানে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

    ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের আর্থিক খাত, পেমেন্ট ব্যালান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রা খাতের উন্নত অবস্থা স্বীকার করেছেন।

    তিনি বলেন, জোহানেস জুট বেসরকারি খাতের বিকাশ এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

    অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলে স্বীকার করেছেন জোহানেস জুট।

    তিনি আরও বলেন, ১০-১২ বছর আগে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে যে পরিবর্তন হয়েছে, তা জুট ইতিবাচকভাবে উল্লেখ করেছেন।

    বৈঠকে আইএফসি’র কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়ও আলোচনা হয়।

    এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া সব সহায়তা  পেয়েছে।
    তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ গ্রুপের বার্ষিক সভায় প্রত্যাশিত সহায়তার পরবর্তী ধাপ উত্থাপন করা হবে ।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আর্থিক খাতে, বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্ট।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শুরু হয়েছে এবং এনবিআরকে দুটি পৃথক সংস্থায় বিভাজনের সিদ্ধান্তের পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় বিশ্বব্যাংক, যদিও এতে কিছুটা সময় লাগবে।

    সালেহউদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, লালদিয়ায় কনটেইনার টার্মিনাল সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে এবং  বিশ্বব্যাংক অবকাঠামো খাতে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।

    মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা ও আলোচনা প্রতিনিধি দলের প্রধান দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

    বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট গতকাল ঢাকায় এসেছেন।

    স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে, যার বেশিরভাগই অনুদান বা স্বল্প সুদে ঋণ।

  • জুলাই মাসের  প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৭১ মিলিয়ন ডলার

    জুলাই মাসের  প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৭১ মিলিয়ন ডলার

    ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে  প্রায় ১,০৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এই সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের  দৈনিক গড় ৮৯.২৫ মিলিয়ন ডলার।

    গত বছরের একই সময়ে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ৯৪৮ মিলিয়ন ডলার