Blog

  • জেলার ৭ উপজেলায় ২ নতুন মুখ নিয়ে নৌকা পেলেন যারা



    জেলার ৭ উপজেলায় ২ নতুন মুখ নিয়ে নৌকা পেলেন যারা

    আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৭ উপজেলায় ২ নতুন মুখ নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড। শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় নির্ভর যোগ্যসূত্র জানায়, ৭ উপজেলার প্রার্থী চূড়ান্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    তাদের মধ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, তালা উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, দেবহাটা উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি, আশাশুনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, কালিগঞ্জ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান এবং শ্যামনগর উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
    এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শুধুমাত্র শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে নতুন যোগ হয়েছে নতুন মুখ। অন্য ৫টি উপজেলায় আগের নির্বাচিত চেয়ারম্যানেরাই পেয়েছেন নৌকার টিকিট।

  • ভারতীয় চা পাতা ও গরুর মাংসে সয়লাব সাতক্ষীরা সীমান্ত।


    সাতক্ষীরা সীমান্ত সয়লাব হয়ে পড়েছে ভারতীয় চা পাতা ও গরুর মাংসে। প্রতিদিনই বিজিবির অভিযানে আটক হচ্ছে এসব ভারতীয় চোরাই সামগ্রী।
    গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৩০০ কেজি গরুর মাংস ও ৩০০ কেজিরও বেশি ভারতীয় চা পাতা আটক করা হয়েছে। তবে এর সাথে জড়িত চোরাকারবারীদের আটক করা যায়নি।
    সীমান্তের বাসিন্দারা জানান ভারতে গরুর মাংসের চাহিদা কম। ফলে দামও কম।এই সুযোগ নিয়ে চোরাচালানিরা ভারতীয় গরু পাচারের ঝুঁকি না নিয়ে সে দেশে জবাই করা গরুর মাংস পাচার করছে বাংলাদেশে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সাতক্ষীরা সীমান্তের চোরা বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় গরুর মাংস সর্বোচ্চ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সীমান্তের হাটে বাজারে খোলামেলাভাবে তা বেচাকেনা চলছে। সীমান্তের এসব এলাকা থেকে গরুর মাংস চলে আসছে সাতক্ষীরা শহরে অথবা দেশের অন্যান্য এলাকায়। সচরাচর গরুর কসাইদের মাধ্যমে তা বাজারে বেচাকেনা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। বাজারে এসব মাংস সর্বনি¤œ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছে কসাইরা। সীমান্তের বিভিন্ন বাড়িতেও মিলছে ভারতীয় গরুর মাংস। আগে থেকে অর্ডার দিয়ে এলাকার মেজবান ও পারিবারিক অনুষ্ঠানেও ব্যবহার করা হচ্ছে এসব গরুর মাংস।
    এদিকে গরুর মাংসের সাথে পাল্লা দিয়ে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসছে চা পাতা। প্রতিদিনই সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক হচ্ছে ভারতীয় চা পাতা। বাংলাদেশের হাটে বাজারে এসব চা পাতা বিক্রি হচ্ছে । এর ফলে বাজারে বাংলাদেশের চা পাতা বিক্রি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এই চা পাতার মধ্যে মাদকের উপাদান আছে ধারনা করা হচ্ছে। তবে বিজিবি বলেছে এ বিষয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা না করে কোনো মন্তব্য করা কঠিন।
    বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খোন্দকার বলেন চোরাই পণ্য পাচার প্রতিরোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের ভারতীয় পণ্য আটক অব্যাহত রয়েছে।

  • বিনা সরিষা-৪ চাষে অধিক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা

    বিনা সরিষা-৪ চাষে অধিক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা

     
    বিনা সরিষা-৪ স্বল্প সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে হাড়দ্দার কৃষক সাইফুল ইসলামের মুখে। ২৫শতক জমিতে তিনি চাষ করেছেন এই উন্নতজাতের ফলনশীল সরিষা। আমন ধান চাষে সময় বেশি লেগে যাওয়া হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার পরামর্শে তিনি চাষ করেন বিনা সরিষা-৪। দেশীয় সরিষা সেখানে বিঘা প্রতি ৫মনের বেশি ফলন দেয়না সেখানে বিনা-৪ ফলন পাবেন ৮মন। আবার তেলের দিকে থেকে রয়েছে আমুল পরিবর্তন। দেশীয় সরিসা ৩শগ্রামের পরিবর্তে ৪শ৫০গ্রাম। তাই বিনাসরিষা-৪ চাষ করা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার অন্যান্য চাষিরা। এউপলক্ষ্যে সাতক্ষীরার হাড়দ্দায় উচ্চ ফলনশীল বিনা সরিষা-৪ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দায় সরিষা কর্তৃন উপলেক্ষ্য এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনা সরিষা-৪ বাংলাদেল পরমাণু গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা এ আয়োজন করেন। পরিবর্তিত আবহাওয়া উপযোগী বিভিন্ন ফসল ও ফলের জাত উদ্ভাবন কর্মসূচীর অর্থায়ণে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আরাফাত তপু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুম সরদার সঞ্চালানায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, উপসহকারি কৃষি অফিসার আরুফা সুলতানা প্রমুখ, কৃষক সাইফুল ইসলাম, নুরুল আমিন প্রমুখ।এসময় ভোমরা ইউনিয়নের হাড়দ্দহা গ্রামের দেড় শতাধিক কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
    এ সময় বক্তব্যরা বলেন দিন দিন দেশের জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। একই সাথে জমির পরিমান কমে যাচ্ছে। সেজন্য স্বল্প জমিতে উচ্চফলনশীল জাত ফলাতে হবে। স্বল্প সময়ে অধিক ফলনে বিনা সরিষা-৪এর বিকল্প নেই। দেশের সকল মানুষকে সুস্থ্য থাকতে সরিষা তেলের বিকল্প নাই। এজন্য ভোজ্য তেল হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে। দিন দিন মানুষ রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে সরিসার তেলের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। বিনা সরিষা-৪ জীবন কাল কম সময় ৮০/৮৫দিন। দেশী সরিষায় ৩০ গ্রাম তেল উৎপাদন হয় সেখানে বিনা -৪ এ ৪শ গ্রাম থেকে ৪শ৫০গ্রাম তেল উৎপাদন হয়। এছাড়া অন্যান্য সরিষার তুলনায় বিঘাপ্রতি ২মন বেশি ফলন দেয় তাই এটি বেশি লাভবান।

  • সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নানীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক



    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আই এর জেলা প্রতিনিধি
    আবুল কালাম আজাদের নানী আনোয়ারা বেগম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না
    ইলাহী রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছি ১০৭ বছর। তার মৃত্যুতে
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করেছন। একই সাথে তার বিদেহী আত্মার
    মাগফিরাত কামনা করেন গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে
    সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন, জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল
    সদস্যবৃন্দ।

  • টাকার বিনিময়ে সাটিফিকেট নিতে যেয়ে ধরা খেলো কালিগঞ্জের জেলা পরিষদ সদস্য জামু আর ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজতে গেল রেজাউন রনি

    টাকার বিনিময়ে সাটিফিকেট নিতে যেয়ে ধরা খেলো কালিগঞ্জের জেলা পরিষদ সদস্য জামু আর ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজতে গেল রেজাউন রনি

    স্টাফ রিপোটার : টাকা দিয়ে কেনা গিয়েছিল জেলা পরিষদ সদস্য পদ। কিন্তু টাকার বিনিময়ে সাটিফিকেট জোগাড় করতে যেয়েে একজন গেল জেলে। ঘটনারটি ঘটেছে জেলার কালিগজ্ঞ উপজেলাতে। জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ার পর একখান ম্যাটিকুলেশনের সাটিফিকেট খুব দরকার হয়ে পড়ে। ইতোপূর্বে একই ভাবে জোগাড় করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা সভাপতির পদ। আর তার মনে হয়েছিল সাটিফিকেট সংগ্রহ করা সম্ভব । কিন্তু বেরশিক পরীক্ষার দায়িত্বপালনরত কর্মকতা সব ভন্ডুল করে দিলেন । কালিগঞ্জে বাংলাদেশ উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কালিগঞ্জ সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এস,এস,সি পরীক্ষার ১ম দিনে বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য নুরুজ্জামান জামুর পরীক্ষা প্রক্সি দিতে এসে রিপন আহমেদ, ওরফে রেজাউন রনি নামে এক কলেজ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। শুক্রবার বেলা ১১টার সময় কালিগঞ্জ সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত রিপন আহমেদ ওরফে রেজাউন রনির উপজেলার মধুরেশপুর ইউনিয়নে দেয়া গ্রামের ইমান আলী গাজীর পুত্র এবং কালিগঞ্জ সরকারী কলেজের ডিগ্রী ১ম বর্ষের ছাত্র। সে জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের মৃত জহুর আলী মোড়লের পুত্র নুরুজ্জামান জামুর নিকট হতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসে এঘটনা ঘটে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য নুরুজ্জামান জামু কালিগঞ্জ সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলীকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে উক্ত স্কুলে ভর্তি হয় এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ডের ও কো-অডিনেটর অফিসার আফরোজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এডমিট কার্ড বা শিক্ষার্থী কার্ড প্রদান করে। উক্ত কার্ডে নুরুজ্জামান জামুর নাম থাকলেও ছবি ছিল রিপন আহম্মেদের। শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান জামুর পরিবর্তে কার্ড নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা হলে বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বেলা আনুমানিক ১১টার সময় হল পরিদর্শক উপজেলা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করা কালে উক্ত প্রক্সি ছাত্র রিপন আহমেদ কে এডমিট কার্ড এবং খাতা সহ গ্রেপ্তার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি তদন্তে সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় প্রক্সি পরীক্ষার্থী রিপন আহমেদ ওরফে রেজাউন রনি কে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে মামলা করার নির্দেশ দেন এবং প্রক্সি ছাত্র রিপন আহমেদ তার কৃতকর্ম লিখিত ভাবে স্বীকার করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কালিগঞ্জ সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলী এবং হলসুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। কোন রকমে প্রাথমিকের গন্ডি পেরনো এক সময়কার জামায়াতের অর্থ যোগান দাতা এবং বি,এন,পি ক্যাডার নুরুজ্জামান জামু ২০১৩ সালে সহিংসতায় প্রত্যক্ষ ইন্ধন ও মদদ দাতার হাত থেকে বাচার জন্য সুযোগ বুঝে মামলা, হামলা থেকে বাচতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ২০১৬ সালে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পদ কিনে নেয়। পরে ২০১৮ সালে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগার সেজে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। নিজেকে মুর্খতা ঘোঁচাতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলী এবং অফিস সহকারীকে ম্যানেজ করে ঘুষ বাণিজ্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি হয় এবং সেই সুযোগে নুরুজ্জামান জামু সার্টিফিকেটের আশায় নিজে পরীক্ষা না দিয়ে কালিগঞ্জ কলেজের ডিগ্রী ১ম বর্ষের ছাত্র রিপন আহমেদ ওরফে রেজাউন রনি কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এডমিট কার্ডের ছবি বদল করে নুরুজ্জামানের নামে পরীক্ষা দিতে যেয়ে গতকাল সে শ্রীঘরে গেলেও মুল হোতা জেলা পরিষদের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান জামু রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে। বিষয়টি তদন্ত করলে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মুল হোতারা গ্রেপ্তার হলে শিক্ষাখাত অনেকটি কলঙ্কিত মুক্ত হবে। এব্যাপারে অত্র কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলী মাষ্টার এবং হলসুপার সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম এবং হল পরিদর্শক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন যথাযথ আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিনের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি জেলা প্রশাসন মহোদয়ের নিকট কথা বলে থানায় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি। এদিকে কলেজ ছাত্র রিপন আহমেদ ওরফে রেজাউন রনি গ্রেপ্তার হওয়ায় তার বাবা ভ্যান চালক ঈমান আলী এবং তার পরিবারের সদস্যরা থানার সামনে এসে ছেলের মুক্তির দাবীতে কান্নাকাটি করছিল। রিপন আহমেদ ওরফে রেজাউন রনির দীর্ঘদিন যাবৎ থানায় পুলিশের সাথে সক্ষতা গড়ে এলাকার নিরীহ লোকজনদের মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে হয়রানি করে আসছিল বলে এলাকাবাসী এ প্রতিনিধি কে জানান। এব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য ও কালিগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান জামুর নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রথমে টাকা নিয়ে নিউজ না ছাপানোর জন্য অনুরোধ করেন পরে তিনি পরীক্ষার্থী নন বলে এপ্রতিনিধি কে জানান এবং বলেন কে বা কাহারা আমার নাম ব্যবহার করেছে এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

  • Indigenous Human Rights Defenders Conference 2019 held in Satkhira

    Indigenous Human Rights Defenders Conference 2019 held in Satkhira


    With the slogan “Among the Race Diversity in Bangladesh, we all will stay together”, Satkhira Human Rights Defender Groups’ conference 2019 held in Satkhira district on 22 February, 2019. The conference was orgnaised by Relief International; a US based international NGO with the financial support of European Union.

    The conference was inaugurated by Adv. Mustafa Lutfullah- Member of Parliament, Satkhira-1, with releasing balloons and pigeons as the sign of peace along with the national anthem. After the inauguration, discussion session took place chaired by Babu Gopal Chandra Munda – President, Kalinchi Human Rights Defender Group with the participation of guests such as the Adv. Mustafa Lutfullah- Member of Parliament, Satkhira-1; Ashek-e-Alahi, Editor, Daily Dokkhiner Moshal; Dibashish Sordar- Deputy Director of Department of Social Welfare, Satkhira; Md. Abdul Quader- Additional Director of the Department of Youth Development, Satkhira; MM Kabir Mamun, Program Manager, Relief International; Principal Abu Ahmed, President of Satkhira Press Club; Momtaj Ahmed Bapi- General Secretary of Satkhira Press Club; Jhorna Begum- Nagarghata Union Parishad Member; Krishnapada Munda, Executive Director, Sundarban Adibasi Munda Sangstha (SAMS); Indigenous Human Rights Defender group leaders and members and others. The conference was facilitated by Dipankar Saha, Senior Program officer, Relief International and Nisat Tasnim, Program Associate, Relief International.

    The speakers proposed to work together for the development of indigenous people in Satkhira along with ensuring their rights protection. Chief Guest Adv. Mustafa Lutfullah- Honourable Member of Parliament, Satkhira-1, said that, Bangladesh got independence after the blood flowing war of independence in 1971. Then after passing long anti dictatorship protests, Bangladesh is now walking on the way of democracy. By financial development Bangladesh is now enlisted into the lower middle income countries coming from the list of under developed countries. The government is working for the development of indigenous people. But they also need to come forward for their own development. The speakers of the discussion session expressed that the Indigenous people are the variety of Bangladesh. Their rights and cultures need to be protected. We all are the citizens of Bangladesh. Now, it is time to walk together. In this developing period of the country, indigenous people and Bangali people need to come forward together to build that Bangladesh which was dreamt in the war of independence.

    The leaders of Indigenous Human rights Defender groups presented their Satkhira Declaration 2019 in the discussion session. By the declaration 2019, they took oath for continuing the Human Rights protection activities along with continuing the development of the indigenous people of the district. The event was brought to end by gorgeous indigenous traditional cultural show performed by the Munda Indigenous cultural team.

  • সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকল স্তুরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন একুশের প্রথম প্রহরে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ

    সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকল স্তুরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন একুশের প্রথম প্রহরে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের প্রথম প্রহরে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ বেদীতে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করেছে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে শহীদ হন রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা আরো অনেকে। পাকিস্তান শাসনামল থেকেই দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে আসছে বাঙালিরা। ভাষার দাবিতে বিশ্বের প্রথম কোনো জাতি জীবন দেওয়ায় ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর একটি সভায় ১৮৮টি রাষ্ট্রে সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী। বুধবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শহীদ বেদীতে ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত ইলতুৎমিশ, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত মো. নুর আলম রনি প্রমুখ। এরপর দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে শহীদ মিনারের বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রাজনীতিক, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষক, ছাত্রসহ সকল শ্রেণি-পেশা ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ। শহরের বিভিন্ন সড়কে মনোরম আল্পনা আঁকা শ্রদ্ধা ও ভক্তি বাড়িয়ে দেয়। এসময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে খালি পায়ে ভিড় করেন। পর্যায়ক্রমে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন- সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব, জেলা জজশীপ সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জেলা শ্রমিক লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, জেলা কৃষক লীগ, দৈনিক কাফেলা, দৈনিক পত্রদূত, দৈনিক কালের চিত্র, দৈনিক দৃষ্টিপাত, দৈনিক দক্ষিণের মশাল, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা, দৈনিক যুগেরবার্তা, দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা, ডেইলি সাতক্ষীরা, ভয়েস অব সাতক্ষীরা, দৈনিক সাতক্ষীরা, দৈনিক সাতনদী, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী, সাতক্ষীরা টাইমস ২৪, সম্মিলিত সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা নার্সিং ইনস্টিটিউট, সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ, দিবা-নৈশ কলেজ, ছফুরননেছা মহিলা কলেজ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ, জেলা কারাগার, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি, জেলা জাতীয় পার্টি, জেলা জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিকদল জাসদ, জেলা কৃষকলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জেলা আইনজীবী সমিতি, সাতক্ষীরা পৌরসভা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুল, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স, রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, নবজীবন ইনস্টিটিউট, সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা, সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস্, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতি, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সাতক্ষীরা জেলা শিশু একাডেমি, নলকুড়া নাট্য গোষ্ঠী, বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বর্ণমালা একাডেমি, দীপালোক একাডেমী, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, নলকুড়া তরুণ সংঘ, সাতক্ষীরা অন লাইন প্রেসক্লাব, জেলা মিনিবাস মালিক সমিতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এড. এন্তাজ আলী স্মৃতি সংসদ, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন, ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখা, জেলা মন্দির সমিতি, সাতক্ষীরা সদর সার্বজনীন পুজা মন্দির, পৌর শ্রমিকলীগ, মটর সাইকেল চালক এসোসিয়েশন, জেলা মাহিন্দ্রা থ্রি হুইলার চালকলীগ, জেলা রিকসা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠন এবং সর্বস্তরের নাগরিকেরা ফুল দিয়ে বায়ান্নর ভাষাশহীদদের স্মরণ করেন। এসময় মাইকে বাজতে থাকে অমর একুশের গানের করুণ সুর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। ধারাভাষ্যকারেরা অবিরাম কবিতার পক্তিমালা আবৃত্তি করেন। ঘোষণা মঞ্চে দায়িত্ব পালন করেন শামীমা পারভীন রতœা, শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, আবু আফ্ফান রোজ বাবু।

  • দেবহাটায় পুষ্পস্তবক অর্পণ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

    দেবহাটায় পুষ্পস্তবক অর্পণ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

    দেবহাটা প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেবহাটায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে দেবহাটা কেন্দ্রী শহীদ মিনারে সকল ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, দেবহাটা থানা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ, দেবহাটা প্রেসক্লাব, জাতীয় পার্টি, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। পরবর্তীতে সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নাজমুস শাহাদাত, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, আজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যড. সম গোলাম মোস্তফা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রাহান তিতু, পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাধারন সম্পাদক বিজয় ঘোষ, সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, সাধারন সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, শ্রমিক লীগের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম প্রমূখ।

  • সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাতৃভাষা দিবস পালিত

    দেবহাটা প্রতিনিধি: ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেবহাটার সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ৭ টায় সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন এবং প্রধান শিক্ষক শেখ তহিরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীরা শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অন্তর্জাতিক ভাষা দিবস

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অন্তর্জাতিক ভাষা দিবস


    ছবিতে ছবিতে বাংলাদেশ। রং তুলির আঁচড়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশ। কন্ঠে কবি আল মাহমুদের, একুশের কবিতা। আর হস্তলেখায় ভেসে উঠলো আমার ‘সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’।
    কচি কাঁচা শিশু কিশোররা এভাবেই তুলে ধরলো বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা আর বাঙ্গালিকে। শ্রদ্ধা জানালো একুশের ভাষা শহিদদের। তাদের চোখে মুখে উদ্দীপ্যমান উচ্ছ্বাস। রং তুলি পেন্সিলের আগায় মাতৃভূমি বাংলাদেশ যেন নতুন রুপে নতুন রংয়ে ধরা দিয়েছিলো। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তন শিশু কিশোরদের পদচারনায় এভাবেই মুখরিত হয়ে উঠেছিল। হাতে তাদের রং পেনসিল, ক্যানভাস। তাদের হাতে মাতৃভূমি বাংলাদেশ। হৃদয়ে কন্ঠে মায়ের ভাষা বাংলা।
    মহান একুশের প্রহরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব ডাক দিয়েছিল কোমলমতি শিশু কিশলয়কে। তারা শহিদ মিনার তৈরি করেছে। অংকন করেছে তারা কেমন দেখেছে ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালন। রবীন্দ্র নাথের কালজয়ী গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ নিজ হাতে লিখেছে। কবি আল মাহমুদের কবিতা ‘একুশের কবিতা’ ‘ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ, দুপুর বেলার অক্ত, বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়, বরকতের রক্ত’ আবৃত্তি করে ১৯৫২ এর শহিদ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্যদের সন্তানরা এসব প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে।
    সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল শিশুদের চিত্রাংকন ও সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন জাতির ভবিষ্যত এই শিশুদের আমাদের শেকড়ের কথা জানাতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শেখাতে হবে। বাঙ্গালি জাতির উত্থান, বাঙ্গালি জাতির উন্মেষ তাদের শিখাতে হবে। শিশুদের মন ও মননে গেঁথে দিতে হবে বাংলা বাঙ্গালি ও বাংলা ভাষা । তাদেরকে শিক্ষা দিতে হবে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল তাদের দেশ প্রেমের কথা।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানমালার প্রথমার্ধে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি, সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপ্পী প্রমূখ সাংবাদিক।
    বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহিদ আলাউদ্দিন মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশ। এ সময় তিনি বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে বলেন শিশুদের প্রতিযোগী হয়ে উঠতে হবে। তাদেরকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। মায়ের ভাষা বাংলা ভাষায় তাদের শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে তাদের শিক্ষা নিতে হবে। বিকালের এ অধিবেশেনে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। প্রেসক্লাব সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীর সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ কচি, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি, সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সেলিম রেজা মুকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, একাত্তর টিভির বরুন ব্যানার্জি, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আবদুল জলিল, নির্বাহী সদস্য গোলাম সরোয়ার প্রমূখ সাংবাদিক।
    যারা পুরস্কৃত
    চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ক গ্রুপে প্রথম টিআর জারিফ, দ্বিতীয় আনিসা মাহমুদ, তৃতীয় সাকওয়াল উল ইসলাম রিহান। খ গ্রুপে প্রথম জারিন তাসনিম খান, দ্বিতীয় লাবীবা ইসরাত লাবণ্য, তৃতীয় তানিসা ইসলাম তিশা। সুন্দর হাতের লেখায় প্রথম সুদীপা সরকার, দ্বিতীয় তাজিমা আফরিন, তৃতীয় মনিরা পারভিন মেঘা। এ ছাড়া আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম অদ্রি, দ্বিতীয় মোশারাত রহমান নিতিন, তৃতীয় মাফান্না পারভিন দিঘী। এ ছাড়া আরও পুরস্কার লাভ করে রোহিত চক্রবর্তী, শামিয়া আফরিন।

  • সাতক্ষীরার পথে পথে একুশে ————————– —সুভাষ চৌধুরী

    সাতক্ষীরার পথে পথে একুশে ————————– —সুভাষ চৌধুরী


    গৌরব অহংকার আর গরিমার আরও একটি দিন পার করছি আমরা। ভূবনজোড়া একুশে উদযাপন আমাদের গরিমাকে আরও বৃদ্ধি করেছে। অহংকারে আমরা আরও বিকশিত হয়েছি , পুস্পের মতো আরও সহ¯্র পাপড়ি নিয়ে প্রস্ফুটিত হয়েছি আমরা, বাঙ্গালিরা। মহান একুশে পালিত হচ্ছে বিশ্বের দেশে দেশে। আফ্রিকার দেশ সিওরলিয়ন পালন করছে সে দেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে মর্যাদা পাওয়া আমাদের বাংলা ভাষার জন্য আত্মদানকারীদের স্মরণ করে।
    ভাষা ক্রমবিকাশশীল, ভাষা ক্রমসম্প্রসারনশীল, ভাষা ক্রমবর্ধনশীল। ভাষা ক্রমবিবর্তনশীল। ভাষার আদান প্রদান ,ভাষার চর্চা, ভাষার অনুশীলন, ভাষার প্রকাশ, ভাষার গবেষণা ভাষাকে আরও বিকশিত করে। ভাষার ডালপালা বিস্তৃত হয়। ভাষা নিঃসন্দেহে পূর্নাঙ্গভাবে প্রস্ফুটিত হয়। ভাষার অবিরাম চর্চায় শব্দকোষ বাড়ে, ভাষার বাঁধন বলিষ্ঠ হয়। একদিন এই ভাষা বাংলা নিশ্চয়ই খিড়কি পুকুর থেকে নদী, নদী থেকে সাগর , মহাসাগরে পরিণত হবে। এ কারণেই তো একুশের জন্ম হয়েছিল। এই একুশে নিয়ে আমাদের কত যে ভালবাসা তার পরিমাপ নিশ্চিত করা যাবেনা। এই ভাষা নিয়ে আমাদের কত যে প্রেম , কত যে ভালবাসা , কত যে আশা প্রত্যাশা তারও শেষ নেই। ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি, মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি’। সালাম, জব্বার,রফিক ,সফিক, বরকতরা তো সে কারণেই বুক পেতে দিয়েছিল। তাদের ঝরা রক্তে প্রস্ফুটিত হয়েছে শাপলা , শতদল। ‘যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে , যে শিশুর মায়া মমতায় আমার বিশ্ব ভোলে , সেই শান্তির প্রহর গুনি’ । মাতৃভাষার জন্য সেদিনের ছাত্র জনতা এই জন্যই তো প্রাণ দিতে পিছ পা হয়নি। মাতৃভাষাকে মায়ের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার অবিরাম সংগ্রাম আমাদের চলার পথকে সুগম করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। অস্ত্র হাতে আমাদের লড়তে শিখিয়েছে। একাত্তরে মহান স্বাধীনতার লাল সৃুর্যকে ছিনিয়ে নেওয়ার শক্তি সাহস যুগিয়েছে। ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়ার সাহস দেখিয়ে আমরাই চুড়ান্ত মুক্তির পথের সিঁড়ি বেয়ে চলতে শিখেছি। আমরাই বিশ্বকে শিখিয়েছি মাতৃভাষার জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত আমরা। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের প্রাণ, বাংলা আমাদের মান, বাংলা আমাদের অহংকার। এই ভাষায় কথা বলি, এই ভাষায় মা ডাকি, এই ভাষায় প্রেম নিবেদন করি , এই ভাষায় শিশুকে আদর ¯েœহ করি, শিশু এই ভাষায় মা ডাকে । এই ভাষায় আমরা খুনসুটি পাড়ি, এই ভাষায় আড্ডাবাজি করি, এই ভাষায়ই আমাদের রং তামাশা । এই বাংলা ভাষায় প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা প্রকাশ করি, এই ভাষায় আমাদের হাসি আমাদের কান্না। এই ভাষায় গান গাই, এই ভাষায় বাঁশের বাঁশরী বাজাই। এই ভাষাই আমাদের সভ্যতা গড়েছে , সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ গড়েছে। বাংলা ভাষা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে। বাংলা ভাষাতেই আমরা ডুবে যাই সঙ্গীত ভূবনে।
    মহান একুশে পালনে সে কি উচ্ছাস। রাজশাহী কলেজে মানব মিনার তৈরি করে পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন ৫২ তে ,তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমরা মানব প্রাচীর দেখেছি। মহান বিজয় দিবসে কোটি জনতা বাংলাদেশের মানচিত্র রচনা করেছে, এক কন্ঠে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি গেয়ে উঠেছে । রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা মানব প্রাচীর তৈরি করে তাদের প্রাণোচ্ছাস প্রকাশ করেছে। সেখানেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এই ভাষার সাথে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের রক্ত ,হাসি, কান্না , ভালবাসা ও অহংকার। দেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের দাসিয়ারছড়া ও পাটগ্রামে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীও বিন¤্র শ্রদ্ধায় পালন করছেন মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। তারা ইট মাটি কাগজ কিংবা কদলি বৃক্ষ দিয়ে হাতে তৈরি অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভাষা শহীদদের প্রতি । যশোরের বেনাপোল সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন দুই বাংলার মানুষ। ভাষার জন্য , মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা জানাতে , বাংলাভাষাকে তার যথাযথ মর্যাদা দিতে , ভাষা শহীদদের সম্মানিত করতে দুই দেশের মানুষ একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুল হাতে নিয়ে ভুলে যান সব সীমারেখা। তারা একাকার হয়ে প্রত্যুষে গেয়ে ওঠেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি , আমি কি ভুলিতে পারি’। বাংলা ভাষা আমাদের সকল শক্তির উৎস। বাংলা ভাষা আমাদের সাহস, আমাদের প্রেরণা , বাংলা আমাদের ভালবাসা।
    গত বছর একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে আমি উত্তরবঙ্গের বগুড়া শহরের সাতমাথা থেকে বাসে চড়েছিলাম সাতক্ষীরার উদ্দেশে। পথে পথে আমি দেখেছি অগনিত মানুষকে ভাষা শহীদদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জানাতে। শত শত শিক্ষার্থীর হাতে ফুল। তারা ফুল দিচ্ছে শহীদ বেদিতে। ঘন কুয়াশার চাদর ভেদ করে প্রভাত ফেরিতে অংশ নিতে পায়ে হেঁটে চলা শিক্ষার্থীরা তাদের অগ্রজ রফিক শফিক জব্বার বরকত সালামদের সালাম জানাতে কেমন এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের মুখে বাজছে ‘ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। স্কুল কলেজ মাঠে কাগজের তৈরি শহীদ মিনার গড়ে ফুল দিচ্ছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। পাশেই মাইকে ক্ষনে ক্ষনে বেজে উঠছে ‘ আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে , তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে লড়তে জানি’। ‘আমরা হারবোনা হারবোনা , তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বো না’। শহীদ মিনার চত্বরে মাটিতে নুইয়ে পড়ে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা দেখেছি। তারা তাদের তুলির আঁচড়ে গড়ে তুলছে এক একটি শহীদ মিনার , কখনও বা ভাষা শহীদদের অবয়ব। পথের ধারে পাশে উন্মুক্ত প্রান্তরে আলোচনা সভা। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আবারও সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করার জোরালো দাবি। ইংরাজী নয়, বাংলায় আদালতের রায় লেখার দাবিতে সোচ্চার তারা। সকল বিষয়ের পাঠ্যকে বাংলায় উন্নীতকরনের দাবি। গৃহ কোণ থেকে বাংলাকে পূর্ন মাত্রায় খোলা বাতাসে নিয়ে আসতে হবে। সব সরকারি অফিস আদালতে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বাংলাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ঐতিহ্যে উদভাসিত ২১ শে ফেব্রুয়ারি শুধু মাত্র একটি দিনেরই নাম নয় ,বাঙ্গালির জাগরনের একটি স্মারক। এই প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে ধারাবাহিকভাবে এই স্মারক বয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যেই বাংলাকে আরও উন্মুক্ত প্রান্তরে নিয়ে যেতে হবে।
    পথে পথে আমি দেখেছি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগিতা, নান্দনিক হস্তলেখা প্রতিযোগিতা , দেশাত্মবোধক গানের প্রতিযোগিতা। জাতীয় পতাকাকে অর্ধনমিত রেখে শহীদদের প্রতি জাতির বিন¤্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন দেখেছি আমি। ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দেখেছি বিশেষ প্রার্থনা। হাতছানি দিয়েছে। আমার প্রাণ ভরে উঠেছে যখন দেখেছি চার দিকে ফুলের পাহাড় , এক একটি ফুলই যেনো এক একটি শহীদ মিনার, ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে যে মিনার।
    সাতক্ষীরায় শহীদ বেদিতে জমেছে ফুলের পাহাড়। শহীদ রাজ্জাক পার্কে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা , সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শিশুদের আবুত্তি,সুন্দর হাতের লেখা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার চিহ্ণ। ততক্ষণে নিজের মোবাইল ফোনে ছোট্ট একটি বার্তা পৌঁছেছে ‘ জান দিয়েছি ,দেইনি তবু বাংলা ভাষার মান, নির্ভয়ে তাই গাইতে পারি এমন ভাষার গান’।
    পত্র পত্রিকায় পড়েছি ‘সেই পাকিস্তান, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শত্রু, যারা আমাদের ভাষা শহীদদের বুকে গুলি করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল, এবার তারা করাচি , ইসলামাবাদ ও লাহোরে নানা আয়্জোনের মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে বলে বিবিসিকে খবর দিয়েছেন পাকিস্তানি সাংবাদিক মনির আহমেদ’। বহু ভাষার দেশ প্রতিবেশি ভারতও পূর্ন মর্যাদায় পালন করছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমার প্রত্যয় জেগেছে বাংলা তার আপন মহিমায় এভাবেই হয়ে উঠবে একটি প্রস্ফুটিত গোলাপ, একটি মহাসমুদ্র । আর মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ২১ ভারতীয় বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাংলা ভাষার জয়গান গেয়েছেন। তারা বলেছেন বাংলা ভাষায় আমরা এক । আমি দেখেছি ইট কাদামাটি কলাগাছ আর লাল কালো কাপড়ের ক্যানভাসে ঘেরা নিজেদের হাতে তৈরি শহিদ মিনারে শিশু কিশোরদের পুস্পার্ঘ অর্পণের সেকি উচ্ছাস। কন্ঠে তাদের কালজয়ী গান ‘ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি , আমি কি ভুলিতে পারি’।
    ——– সুভাষ চৌধুরী , সাতক্ষীরা করেসপন্ডেন্ট , এনটিভি ও দৈনিক যুগান্তর।

  • বাংলাদেশ কারিগরি বেসিক কোর্স এসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন

    বাংলাদেশ কারিগরি বেসিক কোর্স এসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ কারিগরি বেসিক কোর্স এসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। শহরের পিএন স্কুল মিলনায়তনে জেলার ৪৫ টি কারিগরি বেসিক কোর্স অনুমোদিত ৪৫ টি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সমন্বয়ে এক সাধারণ সভার মাধ্যমে নয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সাবেক আহবায়ক নুরুল আবছার।
    দুই বছর মেয়াদের এই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে স্মৃতি কমপিউটার ট্রেইনিং সেন্টারের সমিত কুমার ঘোষ ও আইএসও কমপিউটার একাডেমির নুরুল আবছার। কমিটির অপর কর্মকর্তারা হলেন সহ সভাপতি মো. জাহাঙ্গির আলম (ড্যাফোডিল কমপিউটার একাডেমি), সহ সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান ( মালটি মিডিয়া কমপিউটার প্রশিক্ষন ইন্সটিটিউিট), যুগ্ম সম্পাদক সুকদেব কুমার বিশ^াস ( অ্যাপেল কমপিউটার ট্রেইনিং সেন্টার) , সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজ আহমেদ (ক্রিয়েটিভ ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট), অর্থ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন ( কলেজ অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন) , অফিস ও প্রচার সম্পাদক এসএম সিদ্দিকুজ্জামান ( ইউনাইটেড কমপিউটার ইন্সটিটিউিট) ও নির্বাহী সদস্য মো. আবদুস সবুর ( মডেল কমপিউটার ইন্সটিটিউিট) ।

  • কালিগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২টি দোকান ভইস্মভূত

    কালিগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২টি দোকান ভইস্মভূত

    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে উপজেলার মৌতলা বাজারে ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিনে ও স্থানীয়দের সুত্রে জানাগেছে, গতকাল (১৮ই ফেব্রুয়ারী) সকাল ৬টায় উপজেলার মৌতলা বাজারে গ্রামীন ফোনের টাওয়ারের সামনে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বৈদ্রিতিক সটসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। এঘটনায় মধ্য মৌতলা গ্রামের মোনতেজ গাজী পুত্র আজম গাজীর আনুমানিক চার লক্ষ টাকা মূল্যের আটো ভ্যানের ব্যাটারী ও যন্ত্রাংশ এবং পূর্ব মৌতলা গ্রামের খান আকরাম হোসেনের পুত্র খান ফারুকের অর্ধ লক্ষ টাকা মূল্যের সেলুনি প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভষ্মিভুত হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। স্থানীয় জনসাধারণ ও ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততোক্ষনে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল মালামাল ও সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় সাড়ে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে