Blog

  • বড় চ্যালেন্জ, সুশাসন নিশ্চিত করা

    অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী

    দেশ এগুচ্ছে।সমৃদ্ধি মানুষ দেখচ্ছে।মানুষের মনে যে স্বস্তি থাকার কথা সেটি মানুষ পাচ্ছে না। কোথায় যেন একটু অতৃপ্তি থাকচ্ছে।কেমন যেন ‘নিজের মনে পুড়ি—গন্ধ বিধুর ধুপ।’ এ অবস্থা কোন সময়ের জন্য ভালো নয়।মানুষ পৃথিবীর অন্য যে কোন প্রাণী থেকে পৃথক তার চিন্তা শক্তির জন্য, চিন্তার স্বাধীনতার জন্য। চিন্তাকে মুক্ত রাখা জন্য মানুষ সংগ্রাম করে, লড়াই করে।বাঙালীরাও সে চিন্তা মুক্তির লড়াই সংগ্রাম করেছে।তবে বাঙালী লড়াই ছিল দ্বিমাতৃক।চিন্তার স্বাধিনতার সাথে অথনৈতিক মুক্তির লড়াইটাও ছিল।

    বৃটিশ, পাকিস্থান কারো সময় কথা বলার স্বাধীনতা ছিলনা।বাংলার মানুষ, বাঙালী মানুষ দীঘ সংগ্রাম শেষে স্বসস্ত্র যুদ্ধের মধ্যে স্বাধীনতা আনে মুক্ত চিন্তা আর অথনৈতিক সমতার লক্ষ্যে।স্বাধীনতার পরে  চিন্তার স্বাধিনতার আস্তে আস্তে যাত্রা শুরু করে, অথনৈতিক বৈষম্য কমানোর নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়।কিন্তু সরিশার ভুত থেকে যায় সরিসার মধ্যে।যে ব্যক্তিরা একদম শেষ দিন পযন্ত পাকিস্তানীদের সাথে ছিল।নিজেকে কখনই স্বাধীনতার স্বপক্ষে নিয়ে যেতে সামান্য উদ্যোগ গ্রহন করেনি।যে মানুষগুলো গনতন্ত্র আর অথর্নৈতিক সাম্যে বিপক্ষে ছিল তারাই এখন স্বাধীন দেশের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রক।আর যারা এর বিরুদ্ধে জীবন বাজী রেখে লড়াই করলো তাদের কে রাখা হলো প্রশাসনিক ব্যবস্থার বাইরে।ফলে পরিনতি যা স্বাভাবিক ছিল তাই ঘটলো।যারা কখনো বঙ্গবন্ধুকে কখনো মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কমকান্ডকে নিমূল করার পার শাসক শ্রেনীর পরিচালিত কর্মকান্ডের সাথে ছিল, তারা প্রশাসনিক ক্ষমতা করায়ত্ব করে পরিকল্পিত ভাবে এগুয়ে সুযোগ বুঝে একদিন বঙ্গবন্ধু হত্যা করে জাতীকে আবার পাকিস্থান মুখি করার উদ্যোগ গ্রহণ করলো।রাষ্ট্র ক্ষমতা নিযন্ত্রনে নিতে র্বণচোর মুক্তিযোদ্ধা এক সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্ব পাকিস্থানী পন্থার দল বিএনপি জন্ম দিল।মানুষ আবার সংগ্রাম করে সে অব্যহত যাত্রাকে প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দল গুলোকে এক কাতারে নিয়ে এসে রুখে দিল।ঘৃন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো।পাকিস্থানীর পন্থার বিপরিত রাজনৈতিক শক্তি ক্ষতায় এলো।নানান ষড়যন্ত্র হলো কিন্তু তারপরও মুক্তিযুদ্ধে চেনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ক্ষমতা নিজেদের মধ্যে ধরে রাখতে সক্ষম হলো।পরপর তিনবার ক্ষমতায় এলো। ইতোমধ্যে প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রধান দল আওয়ামীলীগের মধ্যে চেতনাগত কিছু পরির্বতন ঘটে।দলের মধ্যে ত্যাগি অপেক্ষা তারুনের উত্থান ঘটে।

    তৃতীয় পরবের এ যাত্রা পথে টিকে থাকতে অনেক অনিয়মের সাথে আপোষ করতে হয়েছে বর্তমান আওয়ামীলীগ ও তার জোটকে।ফলে অনেক চ্যালেন্জ তৈরী হয়ে গেছে। প্রধান প্রতিপক্ষ ও পাকিস্থানী পন্থার ধারক জামাত-বিএনপি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে কার্যত অনুপস্থিত।ফলে প্রতিপক্ষ নিয়ে যে ঝামেলাটা ছিল তা এখন বিতাড়িত। মানুষ উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির পক্ষ নেওয়ায় অনেক বিষয় কে গুরুত্বে আনেনি। কিন্তু এখন দেশ যেহেতু উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত, সেহেতু মানুষ এখন প্রত্যাসা করে সমাজের সকলস্তরে সুশাসন নিশ্চিত হোক। সমৃদ্ধির প্রয়োজনে সৃষ্টি হোক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, প্রগতির পক্ষের যাত্রা অব্যহত রাখতে চিন্তার স্বাধীনতার ফুল ফুটুক সমাজ অভ্যন্তরে।সাধারণ মানুষের এ প্রত্যাশার কতটা আলোর মুখ দেখবে বর্তমান সকল ধরনের অনৈতিকতার মধ্যে নিমজ্জিত প্রশাসনকে ব্যবহার করে।বর্তমান সরকারের যেমন এটি চ্যালেন্জ, তেমনি চ্যালেন্জ সরকারের জোট বদ্ধ প্রগতিশীল দল সমুহের জন্য।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভায় ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলের’ প্রকল্প বাস্তবায়নে  সুশাসন নিশ্চিতকরণে সনাক ও  পৌরসভার যৌথপরিকল্পনা সভা

    সাতক্ষীরা পৌরসভায় ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলের’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিতকরণে সনাক ও পৌরসভার যৌথপরিকল্পনা সভা

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশণাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরনায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও সাতক্ষীরা প্যেরসভা যৌথ আয়োজনে জলবায়ু অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতির সভাপতিত্বে অধিপরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সনাক জলবায়ু বিষয়ক উপ-কমিটির বাহ্বায়ক কল্যাণ ব্যানার্জী জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন চর্চার ক্ষেত্র সমূহ এবং সভার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সভায় অবহিত করেন। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, ফারাহ দিবা খান সাথী, অনিমা রানী মন্ডল, সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ, ড. দিলারা বেগম, পলটু বাসার, পৌরসভার শহর পরিকল্পনাবিদ শুভ্র চন্দ্র মহালী প্রমুখ। এ সময় পৌর সচিব সাইফুল ইসলাম বিশ^াসসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    সভায় সাতক্ষীরা পৌরসভায় সবুজ জলবায়ু তহবিলের প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। তিনি বলেন, ‘পরামর্শক নিয়োগ হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে ঢাকায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।’ সনাক’র পক্ষ থেকে জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসন চর্চার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিতা ও জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পরামর্শ প্রদান করা হয়। মুক্ত আলোচনায় সকলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে সোশাল মনিটরিং করার জন্য সুশীল সমাজ, মিডিয়া ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি প্রকল্প মনিটরিং কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সময় পৌর মেয়র সনাকের সার্বিক পরামর্শকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করে জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সভা সঞ্চলনা করেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মোহাম্মদ আহাদ।

  • আজ বিকালে পর্দা উঠবে সাতক্ষীরা বই মেলার

    আজ বিকালে পর্দা উঠবে সাতক্ষীরা বই মেলার


    ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক   পার্কে পর্দা উঠছে সাতক্ষীরার সাহিত্যমোদি মানুষের প্রানের আবেক মিশ্রিত বই মেলা।এগারো দিনের এ মেলার সমাপ্তি ঘটবে আগামী ১৭ মার্চ।

      ‘মিলিবে আর মেলাবে’ এমন প্রত্যাশার আলোয় এবারের বই মেলায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বসবে কবি, সাহিত্যিক, লেখক, পাঠক ও দর্শণার্থীদের মিলনমেলা। ১১দিনব্যাপী এ বইমেলায় তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়াবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অগ্নিঝরা মার্চের এ মাহেন্দ্রক্ষণে দেশের খ্যাতিমান লেখক ও প্রকাশকদের অংশগ্রহণে এ বই মেলায় জেগে উঠবে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। প্রাণের বইমেলা উপলক্ষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক সেজেছে অপরূপ সৌন্দর্যের আবরণে। শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ শহীদ মিনার চত্তরকে বর্ণিলরূপে সাজানো হয়েছে। আজ দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বই মেলার দ্বার উন্মোচন করবেন সদর এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সৃজনশীল জ্ঞান প্রকাশনী সংস্থার সহ-সভাপতি খান মাহাবুব। বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন। মেলায় দর্শণার্থীদের নিরাপত্তা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকছে মুখরোচক খাবারের স্টল।
    প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলায় দেশের খ্যাতিমান ৫০টি প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি ইসলামী ফাউন্ডেশন, শিশু একাডেমী, নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিসহ স্থানীয় লেখক ও সংস্থার বই থাকবে স্টলগুলিতে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে চলবে স্বনামধন্য শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া সুখ্যাতি সম্পন্ন বুদ্ধিজীবী, লেখক ও সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে সেমিনার পর্বও থাকবে।
    এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ বিনির্মানের কোন বিকল্প নেই। একমাত্র বই পারে সমাজে সেই আলো জ্বালতে। বই সব ধরনের অপরাধ থেকে মানুষকে দুরে রাখতে পারে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মেলায় দর্শণার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বিনামূলে ডায়বেটিস পরীক্ষার সুযোগ থাকবে। সাংবাদিকদের জন্য থাকবে ওয়াইফাই সংযুক্ত মিডিয়া সেল। প্রতিদিন সেখান থেকে সাংবাদিকরা বইমেলার আপডেট নিউজ কাভার করতে পারবেন। সাতক্ষীরার বইমেলায় ক্রেতারা ৩০ শতাংশ কমিশনে বই কিনতে পারবেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
    নতুন রং আর বইয়ের ভাঁজ খোলা গন্ধে মেতে উঠবে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। বাসন্তী সন্ধ্যায় দখিনা বাতাসে এ গন্ধ আরও ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে। এমনই আবহে জনজোয়ার ঘুরে-ফিরে দাঁড়াবে প্রকাশনীগুলোর সামনে। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।



  • তালায় ৮ মুদি দোকান আগুনে পুড়ে ছাঁই, কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

    তালায় ৮ মুদি দোকান আগুনে পুড়ে ছাঁই, কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

    তালা প্রতিনিধি: তালায় আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়েছে ৮টি মুদি দোকান। মঙ্গলবার গভীর রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যাবসায়ি ইলিয়াস হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তালা কাঁচাবাজারের ৮টি দোকানে আগুন লাগে। আগুনে পুড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ি বিশ্বনাথ সাধু, শক্তি সাধু ও আব্দুল জলিলসহ ৮জনের দোকান। এ সময় গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখে সবাই যে যার মত পানি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। তারা ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় ওই ৮টি দোকান। দোকানগুলোতে চাল, ডাল, আটা, তেল, চা, বিস্কুটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ছিল বলে জানান ব্যবসায়িরা। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, তালায় আগুন লেগে কয়েকটি দোকান পুড়ে গেছে। ব্যাবসায়িদের এতে কয়েক লক্ষ টাকার মুদি মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

  • ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতা কামনা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বর্তমানে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। অচিরেই তিনি চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন এমন প্রত্যাশ্যাও ব্যক্ত করেছে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
    বুধবার এক বিবৃতিতে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যথাক্রমে অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও মমতাজ আহমেদ বাপী। গনমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হৃদযন্ত্রে বাই পাস সার্জারি করা হবে বলে তারা জানতে পেরেছেন। এখন তার কিডনী ডায়ালিসিস চলছে। বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন তিনি আবারও যাতে জনগনের মাঝে ফিরে আসেন ‘আমরা সেই দোয়া করছি’।
    বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন, জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

  • কৃষক নেতা এখন পানি তুলে কৃষকের ফসল ধ্বংশ করার খলনায়ক !

    নিজস্ব প্রতিবেদক: এমনিতেই দেরী হয়ে গেছে কৃষকদের চাষের। গত কয়েক দিনের বর্ষায় কৃষকদের মাথায় হাত, তার উপর জনৈক কৃষক নেতার কান্ডজ্ঞানহীন ভুমিকা গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে ঠেকেছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার একর জমির চাষী কৃষকরা।
    সদরের কাটিয়া-লস্করপাড়া সংলগ্ন গদাই বিল ছিল কয়েক বছর ধরে জলাবদ্ধ। টানা প্রায় দশ বছরের মত জলাবদ্ধ থাকায় জমির মালিকরা বাধ্য হয়ে গত সাল থেকে মাছ চাষ শুরু করে। ছোট ছোট ঘেরের মাধ্যমে মাছ চাষ শুরু হওয়ার পর কৃষকরা শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে ইরি ধানের চাষ করা শুরু করে। এক সময়ের দু ফসলী গদাই বিল এখন শুধু ইরি চাষেই সীমাবদ্ধ থাকতে হয় কৃষকদের।
    প্রতি বছর জানুয়ারী থেকে কৃষকরা চাষ শুরু করে। তার আগ পর্যন্ত পানিতে সব তলিয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর পানি সরতে দেরী হওয়ায় চাষ এক মাস পিছিয়ে যায়। ফেরুয়ারী থেকে কৃষকরা তড়িঘড়ি কওে জমিতে চাষ দেয়। ইতোমধ্যে ধানের চারা বপন করা হয়ে গেছে কিন্তু যে পরিমান এ সময় বাড়ার কথা দেরী তে রোপন করায় সে পরিমান বাড়তে পারেনি। অন্যদিকে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধানের চারা পানিতে ডুবে যাওয়ার অবস্থা। ধানের গাছ টিকিয়ে রাখার মধ্যে কৃষকরা যখন চরম হতাশ, ঠিক তখনই কৃষক নেতা মনজ্ঞুর হোসেন বেড়ী কেটে পানি ঢুকিয়ে দেয় ধানের জরি মধ্যে। হতাশ দলগত ভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ করলে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। তবে পুলিশ দিয়ে সাইজ করার হুমকি দিয়ে দৌড় দেয়। কারণ সে সরকারী দলের কৃষক লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক। এ প্রতিবেদকের ভুক্তভোগি অভিযোগ করলে মন্জুর হোসেনের মোবাইলে কয়েকবার ফোন করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
    ঘটনাটি যে কোন সময়ে মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে, এমন আশংকা স্থানীয় শুধি জনের। অন্যদিকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ার সম্ভবনা রয়েগেছে। সবচেয়ে বড় কথা, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যেখানে কৃষি জমি ও কৃষি ফসল সংরক্ষনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেখানে সেই দলের নেতা আবার তিনি যে সে নেতা নয় খোদ কৃষক নেতা। কৃষি ফসল বিরোধী কার্যক্রম সকলকে হতাশ করেছে।

  • সংসদে সাতক্ষীরার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয়মানের স্টেডিয়াম ও রেললাইন চাইলেন এমপি রুহুল হক

    ডেস্ক রিপোর্ট: যশোরের নাভারণ থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেনলাইন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মানসম্মত স্টেডিয়াম, সুন্দরবন পর্যটন কেন্দ্রকে আধুনিকায়ন চেয়ে মহান জাতীয় সংসদে বক্তব্য রেখেছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি। বুধবার বিকাল ৫টা ১৬ মিনিট থেকে টানা ১২ মিনিট জাতীয় সংসদে অবহেলিত সাতক্ষীরার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাবি তুলে বক্তব্য দেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বাঙালী জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আশু সুস্থ্যতা কামনা করেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চক বাজার ট্রাজেডির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন তিনি। সাতক্ষীরার গণমানুষের নেতা ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি বলেন, আমরা সাতক্ষীরাবাসী প্রতিবছর চিংড়ি বিক্রয় করে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করি। মৎস্যচাষেও সাতক্ষীরাবাসী এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে সাতক্ষীরা থেকে প্রচুর আম বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বিশেষ করে ইউরোপের বাজার দখল করেছে সাতক্ষীরার আম। এছাড়াও ভোমরাস্থল বন্দর থেকে লক্ষ লক্ষ রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। সাতক্ষীরার সাদা মাছ ঢাকাসহ সারা দেশে যায়। সাতক্ষীরার মাছ না আসলে ঢাকার মানুষ মাছই খেতে পারতো না বলে আমরা মনে করি। সে তুলনায় আমরা উন্নয়ন থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। গত বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার পাশে আমাকে স্থান দিয়েছিলেন। সে সময় সাতক্ষীরাবাসী পেয়েছিল সাতক্ষীরায় স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ,বাইপাস সড়ক, আই.এস.টি ও ম্যাটস (প্যারা-মেডিকেল কলেজ), উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ অনেকগুলো বড় বড় ব্রীজ,রাস্তাঘাট পেয়েছি। তারপরও আমরা মনে করি অনেক উন্নয়ন থেকে সাতক্ষীরাবাসী বঞ্চিত হয়েছে। বিশেষ প্রস্তাবিত রেল লাইনটি স্থাপন করা জরুরি। এটি স্থাপন করা হলে ভোমরা বন্দর থেকে মালামাল আনা নেওয়া অনেক সহজ হবে। যেহেতু পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। ওই সেতুর সাথে রেললাইনটি সংযোগ হলে সাতক্ষীরাবাসীর যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হবে। সাতক্ষীরা ক্রীড়ায়ও অনেক এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সাতক্ষীরার আশাশুনিতে একটি ছোট স্টেডিয়াম হলেও সাতক্ষীরা বড় কোন স্টেডিয়াম নেই। যে কারণে সাতক্ষীরায় একটি বড় স্টেডিয়াম সাতক্ষীরাবাসীর দাবি। এছাড়া সাতক্ষীরাবাসীর প্রাণের দাবি টেকনিক্যাল ইউনির্ভাসিটি। যেহেতু সাতক্ষীরা একটি সম্ভাবনাময় জেলা। এখানে টেকনিক্যাল ইউনির্ভাসিটি স্থাপিত হলে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়ন হবে। সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে ঘোলা পর্যন্ত রাস্তাটির বরাদ্দ হলেও রাস্তাটি কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এলাকাবাসী অনেক কষ্ট পাচ্ছে। সে কারণে রাস্তাটির কাজ অবিলম্বে শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক রয়েছে। চিকিৎসকের অভাবে সাতক্ষীরার মানুষ বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাতক্ষীরা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা যেতে পারে। এজন্য সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা খুব জরুরি। সাতক্ষীরার একটি বড় সমস্যা জলবাদ্ধতা। আর এ জন্য সাতক্ষীরার নদীখালগুলো দ্রুত খনন করার প্রয়োজন। এছাড়া দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার বিভিন্ন সাফল্য,প্রস্তাবনা সহ একাধিক সম্ভাবনার কথা মহান সংসদে তুলে ধরেন।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী নির্বাহী কমিটির সভা

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী নির্বাহী কমিটির সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। সভায় আগামী ৯ মার্চ শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্য নির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করা এবং প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে কমিটির সকলে একমত পোষণ করেন।
    প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী’র পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন ও জি.এম আদম শফিউল্লাহ।

  • আ‘লীগ মনোনীত প্রার্থী   আতাউর কে বিজয়ী করতে বিশেষ বর্ধিত সভা

    আ‘লীগ মনোনীত প্রার্থী আতাউর কে বিজয়ী করতে বিশেষ বর্ধিত সভা

    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: আগামী ২৪ মার্চ আসন্ন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আতাউর রহমান কে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামীরীগে এক বিশেষ বধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা অফিসাস ক্লাবে উপজেলা আওয়ামীলাগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব খান আসাদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ধলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জির সঞ্চালনায় বিশেষ বধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মনসুর আহমেদ। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আওয়মীলীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সাঈদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জর্জকোটের অতিরিক্ত পিপি এ্যাডঃ শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু, যশোর এমএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন, রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীরীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিকলীগ উপজেলা শাখার সভাপতি শাহাজালাল, উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি জাহিদ হাসান, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক তানভীর আহম্মদ উজ্বল, দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেন, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহামান গাইন। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মাওঃ আব্দুর রহিম, গীতাপাঠ করেন ডাঃ মিলন কুমার ঘোষ। সভার শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অপর্ন করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গুরুত্বর অসুস্থ্য হওয়ায় তার আশু সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা ওলামালীগের সভাপতি মাওঃ মুফতি আব্দুর রহিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা ০০৬ নং স্বারকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ আতাউর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। যারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের আগামী ৭ মার্চের মধ্যে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বলেন আগামীতে দলকে সুসংগঠিত ও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান দলীয় এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা উমুক্ত। যারা জয়লাভ করবে তারা আমাদের। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাঈদ মেহেদী বিদ্রোহী প্রার্থীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, তুমি ভাল সংগঠক, ভাল বক্তা এবং আগামী দিনে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কুটুক্তি করে কথা বলোনা। দলের সিদ্ধান্ত না মানলে, কেন্দ্রের যে নির্দ্দেশ পাব আমরা সেই ভাবে কাজ করবো। সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগসহ ১২টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, সদস্য ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বেলা বাড়ার সাথে উপজেলা অফিসাস ক্লাবসহ ক্লাব প্রাঙ্গনের চত্বর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রানবন্ত হয়ে উঠে।

  • সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা

    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে পৌরসভা মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ’র সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাবেক এমপি ফজললুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল খায়ের সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, শেখ ফিরোজ আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ নুরুল হক, প্রণব ঘোষ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. আসাদুল হক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম, ত্রাণ ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আজহারুল ইসলাম, এ্যাড. মোজহার হোসেন কান্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ, মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, মো. আসাদুজ্জামান অসলে, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গনি, বিশ্বজিৎ সাধু, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সুস্থ্যতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।

  • ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠীর সাথে রুহুল হক এমপি

    ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠীর সাথে রুহুল হক এমপি

    ডেস্ক রিপোর্ট: সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে যান বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠী ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক রুহুল হক এমপিসহ চিকিৎসকবৃন্দ। পরবর্তীতে বিশ^বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠীর পরামর্শে আওয়ামীলীগের শীর্ষ এ নেতাকে সোমবার বিকেলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।
    হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা দেখতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান ভারতের বিখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন দেবী প্রসাদ শেঠী। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রিভেনটিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ সোমবার দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরে ডা. শেঠীকে স্বাগত জানান। তারপর তারা সরাসরি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
    উল্লেখ্য, ভারতের নারায়ণ ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেসের প্রতিষ্ঠাতা ডা. দেবী শেঠীর ১৫ হাজারের বেশি অস্ত্রোপচার করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্বল্প খরচে হৃদরোগের চিকিৎসা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত এই চিকিৎসককে ২০১২ সালে পদ্মভূষণ খেতাবে ভূষিত করে ভারত সরকার।

  • জেলা প্রশাসকের সংবাদ সম্মেলন সাতক্ষীরায় ৭ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ১১দিন ব্যাপী বইমেলা

    জেলা প্রশাসকের সংবাদ সম্মেলন সাতক্ষীরায় ৭ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ১১দিন ব্যাপী বইমেলা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধুর জন্মমাস ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ৭ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ১১ দিনব্যাপী বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। ‘বই কিনুন, বই পড়–ন ও প্রিয়জনকে বই উপহার দিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলায় দেশের খ্যাতিমান ৫০ টি প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি ইসলামী ফাউন্ডেশন, শিশু একাডেমী, নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিসহ স্থানীয় লেখক ও সংস্থার বই থাকবে স্টলগুলিতে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে চলবে স্বনামধন্য শিল্পিদের সমন্বয়ে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া সুখ্যাতি সম্পন্ন বুদ্ধিজীবী, লেখক ও সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে সেমিনার পর্বও অনুষ্ঠিত হবে। ৭মার্চ বেলা ১২টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। ঐতিহাসিক এই বইমেলা উপলক্ষ্যে সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, সাতক্ষীরাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র বইই পারে সব ধরনের অপরাধ থেকে মানুষকে দুরে রাখতে। শিশুদের বইমুখী করতে পারলেই ভবিষ্যতে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মান করতে পারবো। একই সাথে তিনি বইমেলা সফল করতে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মেলায় আগতদের সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বিনামুলে ডায়বেটিস পরীক্ষার সুযোগ থাকবে। সাংবাদিকদের জন্য থাকবে ওয়াইফাই সংযুক্ত মিডিয়া সেল। প্রতিদিন সেখান থেকে সাংবাদিকরা বইমেলার আপডেট নিউজ কাভার করতে পারবেন। সাতক্ষীরার বইমেলায় ক্রেতারা ৩০ শতাংশ কমিশনে বই কিনতে পারবেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
    সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, জি এম মনিরুল ইসলাম মিনি, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, আবদুল ওয়াজেদ কচি, অরুন ব্যানার্জিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাউল হক দোলনের বর্ধিত সভা

    শ্যামনগর ব্যুরো: ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এসএম আতাউল হক দোলনের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    গতকাল ৩ মার্চ রবিবার সকাল ১১ টায় শ্যামনগর জেসি কমপ্লেক্সের হলরুমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী আনিছুজ্জামানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ বখতিয়ার আহমেদ সহ জেলা ও উপজেলা নেতাকর্মীগণ ও সাধারন জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরায় শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের মতবিনিময় সভা

    সাতক্ষীরায় শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের মতবিনিময় সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টায় সাতক্ষীরায় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বুশরা ম্যাটস এ এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী সভাপতিত্বে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় শ্যামনগর উপজেলার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাবি দাবা উপস্থাপন করা হয়। তার মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ হতে সাতক্ষীরা পর্যন্ত সড়কে সকল প্রকার যান বাহন চলাচল, বিরতিহীন বাসের চলাচল, ঘোলায় দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অবিলম্বে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইন চালু করা, টেকসই এবং পরিকল্পিত উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ করাসহ শ্যামনগর উপজেলার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।

  • শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাউল হক দোলনের বর্ধিত সভা

    শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাউল হক দোলনের বর্ধিত সভা

    শ্যামনগর ব্যুরো: ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এসএম আতাউল দোলনের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    গতকাল ৩ মার্চ রবিবার সকাল ১১ টায় শ্যামনগর জেসি কমপ্লেক্সের হলরুমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী আনিছুজ্জামানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ বখতিয়ার আহমেদ সহ জেলা ও উপজেলা নেতাকর্মীগণ ও সাধারন জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • বৈকারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে একাডেমিক ভবনের উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন

    বৈকারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে একাডেমিক ভবনের উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈকারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ভীত বিশিষ্ট নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (০৩ মার্চ) বিকালে বৈকারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর কবীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর আসনের আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। দেশের মানুষনৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই দেশের সর্বক্ষেত্রে এত উন্নয়ন। জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশ ব্যাপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভূতপুর্ব উন্নয়ন করছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান অসলে, জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মো. আবু জায়েদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিদযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর মো. আফাজ উদ্দিন, বৈকারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান, বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কওছার আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রুপা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. আবু তাহের প্রমুখ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়ণে ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহের উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে চারতলা ভীত বিশিষ্ট (৩০০০ স্কুল) বিদ্যমান একতলা একাডেমিক ভবনের উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ কাজের ফলক উন্মোচন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইনজামামুল হক ইনজা।

  • সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা

    সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৯ ও মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান মনি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘মালিক শ্রমিক ভাই ভাই। বাংলাদেশ আওয়ামী রীগের শক্তি শ্রমিক লীগ। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা ঘাঁপটি মেরে আছে। আমাদের মাঝে বিশৃঙ্খলা হলে তারা মজা পায়। জনসমক্ষে কোন বিশৃঙ্খলা করা যাবেনা। আমাদের ভিতরের সমস্যা আমাদের ঘরের মধ্যে মিটিয়ে নিতে হবে। এটা মাথায় রেখে সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রকৃত শ্রমিকদের তালিকা করে কার্ড দিয়ে সুষ্ঠ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আপনাদের উপহার দেওয়া হবে।’
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু, সদস্য গোলাম মোরশেদ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ খালেক। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ সরদার। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ নুরুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. শেখ তামিম আহম্মেদ সোহাগ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাহাঙ্গীর হোসেন শাহিন, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য মীর মহিতুল আলম মহি, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব জাহিদ হোসেন খান, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, ইটাগাছা ভিআইপি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল হক, পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. জোহর আলী, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্য মো. নুরুল হক প্রমুখ। এসময় জেলা শ্রমিক লীগের অন্তভুক্ত বিভিন্ন বেসিক ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহিদ হাসান ও সদস্য মহিদুল ইসলাম।

  • শ্যামনগরের জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

    শ্যামনগরের জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৫৭নং জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারনে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় ব্যাহত হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম। এতে বিদ্যালয়ের ৪৯০জন শিক্ষার্থী নিয়ে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
    জানা গেছে, জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের কখনো খোলা মাঠে, কখনো গাছ তলায় ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
    বিদ্যালয় সূত্র জানায়, দেশ বিভাগের আগে ১৯৪৪ সালে এলাকার দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে টিনের ছাউনি আর ইটের দেয়ালে তৈরি কক্ষে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চললেও ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে নির্মিত ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা এই ভবনটি ২০১৬ সালে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়লে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও ২০০৬-০৭ সালে পিইডিপি-২ এর আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে নির্মিত আরও একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের একটি কক্ষে অফিসিয়াল কার্যক্রম আর অপরটিতে শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে বা কখনো গাছ তলায় পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. সাজেদা খাতুন জানান, ৪৯০জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে হিমসিম খেলেও বিদ্যালয়ের ফলাফল বরাবরই ভাল। তিনি আরো জানান, এখন না হয় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাকালে ওদের নিয়ে কোথায় যাব আমরা তাই ভাবছি।
    প্রথম শ্রেণির ছাত্র বিজয় ও মুনতাসীর জানায়, বাইরে ক্লাস করার সময় অনেক শব্দ হয়। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। পড়ায় তাদের মন বসে না। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) জি.এম রাজগুল বাহার জানান, পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণ করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এদিকে দেখভাল নেই। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা মিজানুর আলম জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা আমি জানি। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য তালিকার প্রথম সারিতে নাম রাখা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা হয় না। না হওয়ার কারণটা আমার জানা নেই। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা এর দ্রুত পদক্ষেপ নেবো।