Blog

  • শ্যামনগরে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত

    শ্যামনগরে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত

    শ্যামনগর ব্যুরো: “এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার”-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ব্র্যাকের উদ্যোগে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয় এবং সহযোগী সংস্থা সমূহের আয়োজনে শ্যামনগরে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস- ২০১৯ পালিত হয়েছে। ২৭ মার্চ সকাল ১০ টায় শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সেকশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় হাজির হয়। ব্র্যাকের উপজেলা ম্যানেজার (টিবি) মোঃ আলাউদ্দীনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভায় মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেদওয়ান রাইসুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ রুহুল আমিন, মোঃ হাবিবুর রহমান, অর্পনা কর্মকার প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, দিবস পালন মানে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া যক্ষ্মা রোগের লক্ষন ও চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে আলোচনা করেন। বক্তাগণ আরও বলেন বিনামূল্যে প্রতিদিন ১১৫ জন যক্ষ্মা রোগীকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

  • ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে অবরোধ, হরতাল কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার দাবিতে আলটিমেটাম

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের ওপর হামলার প্রতিবাদে সদ্যনির্বাচিত কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার দাবিতে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কালিগঞ্জ উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতি এই দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ ফুলতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি থেকে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এর আগে সকাল থেকে সেখানে হরতাল চলছিল। হরতালের কারণে সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকে। বিকালে এক সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে বলে জানানো হয়। কালিগঞ্জের তারালি ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট জানান, বুধবার রাতে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম মোটর সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কুশলিয়ায় তার ওপর দুই দফায় হামলা করে মারপিট করে। তারা তার গলায় পা চেপে রেখে হত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। বৃহস্পতিবার তাকে নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। এ ঘটনার প্রতিবাদে কালিগঞ্জ আওয়ামী লীগের স্টিয়ারিং কমিটি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতি যৌথভাবে সড়ক অবরোধ ও হরতালের ডাক দেয়। এতে অংশ নেন উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী শেখ আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদি হাসান সুমন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম খোকন, ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন, জাসদ নেতা অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, নিরঞ্জন পাল, পূজা উযাপন পরিষদ সভাপতি ও সম্পাদক অধ্যাপক সনৎ কুমার ও মিলন কুমারসহ অনেকেই। তারা বলেন যারা নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন সাঈদ মেহেদি তাদের ওপর হামলা করেছেন।
    তারা জানান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাঈদ মেহেদি নৌকার সমর্থকদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বলেন, ‘সাঈদ মেহেদী ও হামলাকারীদের গ্রেফতার করার জন্য ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে’।
    এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারমান সাঈদ মেহেদী বলেন ‘আমি ঢাকায়। শুনেছি বুধবার রাতে রিয়াজ ভাই দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হয়েছেন। তিনি ও তার সমর্থকরা আমার নামে যা বলছেন তা সঠিক নয়’। সাঈদ মেহেদী আরও বলেন, সত্যিকারে যদি কেউ তার ওপর হামলা করেই থাকে তবে তার বিচার হোক।

  • চেয়ারম্যান ডালিমের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার চাই, সুজন সানাকে গ্রেফতার দাবি গ্রামবাসীর

    চেয়ারম্যান ডালিমের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার চাই, সুজন সানাকে গ্রেফতার দাবি গ্রামবাসীর

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম বারবার খাজরা ইউনিয়নে জয়লাভ করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। তিনি এ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন। তাদের সুখে দুঃখে তাদের আপদে বিপদে প্রয়োজনে সব সময় চেয়ারম্যান ডালিম পাশে থেকেছেন। আর এ কারণে তিনি আমাদের কাছে দেবতাতুল্য, ভগবান। আমরা তার হিত কামনা করি। অথচ এমন একজন মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে তাকে সামাজিকভাবে অপমানিত করতে এলাকার মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সুজন সানা তার নামে মিথ্যা মারপিটের অভিযোগ করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ মামলা প্রত্যাহার এবং মাদক কারবারী সুজন সানাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
    বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচির পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য ঘুঘুমারি গ্রামের অনুপ কুমার সানা বলেন সুজন সানা একজন মাদক কারবারী। সে এলাকার যুবসমাজকে মাদকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে। এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করে আসছি। আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমও সম্প্রতি সুজন সানার কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেছেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার লক্ষ্যে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ফায়দা লুটতে কথিত মারপিটের অভিযোগ এনেছে। অবিলম্বে এই অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন সুজন সানার সাথে মাদক কারবার নিয়ে তার লোকজনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারাই তাকে মারধর করেছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টুর ইন্ধনে এই রটনা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সময় চেয়ারম্যান ডালিম ভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন।
    মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন মাদককারবারী সুজন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বাজে উক্তি করেছে। সে নিজেকে সংখ্যালঘু পরিচয় দিয়ে নানাভাবে ফায়দা লুটবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয় চেয়ারম্যান ডালিমের পিতা মোজাহার আলি একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। অথচ মাদকসেবী সুজন তার বিরুদ্ধেও নোংরা প্রচার দিয়ে যাচ্ছে। চেয়ারম্যান ডালিমের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তারা।
    মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য রামপদ সানা, হোসেন আলি, বিপ্লব দাস,নীলকন্ঠ মন্ডল ,রবীন্দ্রনাথ সানা, আবদুল মান্নান মাস্টার ,আশীষ মন্ডল, উত্তম মন্ডল, বিমলকৃষ্ণ , নৃপেন সানা, শ্যামাপদ ঘোষ, পুলিন কুমার সরদার, জগদীশ চন্দ্র, বাপ্পী কুমার শীল প্রমূখ।

  • জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন ও ন্যায্যতার দাবিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও জলবায়ু সপ্তাহের উদ্বোধন

    জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন ও ন্যায্যতার দাবিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও জলবায়ু সপ্তাহের উদ্বোধন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জলবায়ু সুশাসনের দাবিতে বুধবার শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের অনুপ্রেরনায় সপ্তাহ ব্যাপী জলবায়ু সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের শুরুতেই শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জলবায়ু সপ্তাহের যুবদের স্যাইকেল র‌্যালীর পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যন এস.এম.মহাসীন উল মূলক, সহকারী কমিশনার ভ্ূমি সুজন সরকার, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমান, জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ মোঃ নাজিমুদ্দীন, সদস্য সচিব, আশেক-ই-এলাহী, অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ, দেব প্রসাদ মন্ডল প্রমুখ।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্যাইকেল র‌্যালী সহকারে জলবায়ু অর্থায়ন ও দুর্যোগ প্রশমনে ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্ররিকল্পনা প্রনয়ন করা, উপজেলার সকল জলবায়ু প্রকল্পের বিল বোড স্থাপন করা, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং দুর্যোগ প্রবন অঞ্চলে অগ্রাধিকার দিয়ে তহবিল বরাদ্দ করা, সকলের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা, উপকুলীয় নিরাপত্তার জন্য বাঁধ সহ সকল গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামোত করার কাজে স্থানীয় সরকারকে অন্তভূক্ত করার দাবীসহ অন্যান্য দাবীতে জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগর ও গ্রুপ নের্তৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক সহ স্থানীয়দের অংশগ্রহণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার এমপি, সাতক্ষীরা ০৪ আসনের এমপি এস.এম.জগলুল হায়দার, শ্যামনগর সরকারী মহাসীন কলেজের অধ্যক্ষ তন্ময় কুমার সাহা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যন এস.এম.মহাসীন উল মূলক, সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার, নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জুলফিকার আল মেহেদী লিটন এবং বুড়িগোয়ালিনী ও আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্বারক লিপি প্রদান কালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার এমপি, সাতক্ষীরা ০৪ আসনের এমপি এস.এম.জগলুল হায়দার সহ অন্যান্যরা প্রস্তাবিত দাবীর সাথে একমত পোষন করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি, এ.কে. ফজলুল হক, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম. আতাউল হক দোলন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস.এম.মহাসীন উল মূলক ও মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলিসহ প্রমুখ। জলবায়ু সপ্তাহের প্রথম দিনেই ব্যানার, ফেস্টুন, বাদ্য বাজনা সহকারে যুবরা সুন্দরবন সংলগ্ন নীলডুমুর খেয়াঘাট, নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয় ও গাবুরার ইউপির দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প সংলগ্ন পুকুর পাড়ে জলবায়ু সুশাষন ও ন্যায্যতার দাবিতে মানববন্ধন করা হয় এবং মানববন্ধনে স্থানীয়রা একমত পোষন করে অংশগ্রহণ করে। জলবায়ু পরিষদের উদ্যোগে ২৭-৩১ মার্চ’১৯ পর্যন্ত জলবায়ু সপ্তাহে জলবায়ু সুশাসন বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহণ করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

    সাতক্ষীরায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সকাল ৮ টায় সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল ও জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বেলুন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে সারা দেশ ব্যাপি একযোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমিশ, জেলা পুলিশ সুপার পত্মী মিসেস আকিদা রহমান নিলা, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার হুমাউন কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. বদিউজ্জামান, সদর সার্কেল মেরিনা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম আফজাল হোসেন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা সরকারি পলিকেটনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো.জিয়াউল হক, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর মাহমুদ হাসান লাকী, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিএম আব্দুর রাজ্জাক, জেলা মৎস্য অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম সরদার, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সহ-সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদার, সহকারি পরিচালক হারুন অর রশিদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, অনিমা রানী মন্ডল, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, জেলা স্কাউটস্ এর সম্পাদক এম. ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস, নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজী, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকতাবৃন্দ। পরে পুলিশ, বিএনসিসিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমম্বয়ে ৩৪টি দল দৃষ্টি নন্দন মার্চপাস্ট, শরীরচর্চা প্রদর্শনী ও ডিসপ্লে প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচী পালন করা হয়। শহীদ আব্দুর রাজ্জাকের মাজার জিয়ারতসহ অন্যান্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মাজার জিয়ারত করা হয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভা দিঘীতে ছোট বড় সকলের জন্য সাতাঁর প্রতিযোগীতা, হাঁসধরা প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে ভলিবল প্রতিযোগিতা ও কাবাডি প্রতিযোগিতা, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের আলোচনা সভা ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান, সৌখিন ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে পুরস্কার বিতরনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • পূর্ব শত্রতার জের ধরে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৪

    পূর্ব শত্রতার জের ধরে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৪

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব শত্রতার জের ধরে আশাশুনিতে প্রতিপক্ষের হামলায় চার জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতদের মধ্যে রনজিদা খাতুন নামের এক গৃহবর্ধর অবস্থা আশংকাজনক। এ সময় ভাংচুর করা হয়েছে তিনটি টালির ঘর। সোমবার রাতে উপজেলার শ্বেতপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে, প্রতি পক্ষের দাবী তাদেরও একজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার শ্বেতপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী রনজিদা খাতুন, একই এলাকার মৃত মোহর আলী বিশ্বাসের ছেলে রউফ বিশ্বাস, আব্দুল্লা হেল কাফির স্ত্রী সাবিনা খাতুন ও আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে ডালিম বিশ্বাস। প্রতি পক্ষের আহতের নাম খলিল সরদার। তিনি ওই গ্রামের কাছেদ আলী সরদারের ছেলে। আহতরা সবাই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য লিয়াকত বিশ্বাস জানান, কোন কারন ছাড়াই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শ্বেতপুর গ্রামের এমদাদুল সানা, মাজহারুল সানা, ওবায়দুল মোড়ল, তায়জুল মোড়ল, খলিল সরদার, রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, আব্দুল গফুরসহ ১০/১২ জন রাতে প্রথমে আমাদের বাড়ির সামনে একটি বাল্ব ভাংচুর করে। এরপর তারা আমাদের বাড়িতে ঢুকে পর পর তিনটি টালির ঘর ভাংচুর ও জিনিস পত্র তছনছ করে। এতে বাধা দিলে আমার ভাইয়ের স্ত্রী রনজিদা, ভাই রউফ বিশ্বাস, সাবিনা ও ডালিমকে তারা মারপিট করে আহত করে। তিনি আরো জানান, আহতদের মধ্যে রনজিদার অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, প্রতিপক্ষ আহত খলিল সরদারের ভাইপো সাগর হোসেন সবুজ মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ইউপি সদস্য লিয়াকত বিশ্বাসদের বাড়ির টালির চালে রাতে একটু শব্দ হয়। এতে তারা সন্দেহ জনক ভাবে প্রথমে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার চাচা খলিল সরদার আহত হয়। তিনি আরো জানান, তারা আমাদেরকে আহত করে উল্টো তারাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

  • জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর

    জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর

    ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ৪৯তম স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
    রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান।
    শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের পর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে তাঁরা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
    বাংলাদেশ সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সুসজ্জিত চৌকস সদস্যরা এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগেলে করুণ সুর বাজানো হয়।
    প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিদেশী কূটনীতিকবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
    পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তাঁর দলের পক্ষ থেকে আরেকটি শ্রদ্ধাঞ্জলী জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে অর্পণ করেন।
    এছাড়াও, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ’৭১ এর বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এবং মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাও শহীদদের বেদীতে শ্রদ্ধা জানান।
    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

  • মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

    মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

    ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে গর্বিত জাতি আজ ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করছে।
    যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ প্রত্যুষে রাজধানীতে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হলো।
    সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
    এদিকে, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। এসময় সারাদেশে একযোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হবে। বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সম্ভব হলে বাংলাদেশের সাথে একই সময়ে এবং অন্যান্যরা একই দিনে সুবিধাজনক সময়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচি পালন করবে।
    দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান উঁচু ভবনসমূহে বৃহদাকারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়।
    ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদক দল বাদ্য বাজাবেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চ (অ্যাম্পিথিয়েটার) থেকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত নৌপথে বিশিষ্ট শিল্পীগণের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশিত হয়।
    দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
    এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশুদিবা যত্ন কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সকল শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ বিকাল ২টা হতে ঐদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
    বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশুকিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সদরে সকালে কুচকাওয়াজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
    জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।
    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে যে বিভীষিকাময় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিলÑদীর্ঘ নয় মাসে মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে।
    ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।
    সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
    মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দুই দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

  • বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ভোঁ দৌড় সাতক্ষীরা সীমান্তে খাটাল মালিক মন্টুর গোয়ালঘর থেকে দু’টি ভারতীয় চোরাই গরু উদ্ধার

    বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ভোঁ দৌড় সাতক্ষীরা সীমান্তে খাটাল মালিক মন্টুর গোয়ালঘর থেকে দু’টি ভারতীয় চোরাই গরু উদ্ধার


    অবৈধপথে নিয়ে আসা অন্যের মালিকানাধীন দু’টি ভারতীয় গরু উদ্ধার করেছে বিজিবি। রোববার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী পদ্মশাঁখরা গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে খাটাল মালিক মন্টু সরদারের গোয়ালঘর থেকে এ গরু উদ্ধার করা হয়।
    সরেজমিনে রোববার দুপুরে পদ্মশাঁখরা গ্রামে গেলে কোহিনুর ক্লাবের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা রজব আলী, সালেহা খাতুন, সাহেব আলীসহ কয়েকজন জানান, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ি বাবুর আলী ও আব্দুস সালাম চার দিন আগে সাতটি ভারতীয় গরু হাড়দ্দহ এক নং ঘাট দিয়ে এলাকায় নিয়ে আসে। বিজিবি খবর পেয়ে ধাওয়া করায় দু’টি গরু ভেড়িবাঁধের উপর রেখে তারা পাঁচটি গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। বাকী দু’টি খাটাল মালিক মন্টু সরদার, লম্বা খোকন ও আমিন মাষ্টার কৌশলে অন্যত্র আটকে রাখে। ২৩ মার্চ মন্টু সরদার ওই গরু বাড়ির গোয়ালঘরে নিজের বকনা গরুর সঙ্গে রেখে দিয়ে তালা দরজায় তালা মেরে রাখে। বিষয়টি তারা জানতে পেরে ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে মন্টু ভোঁ দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। রোববার রাত আটটার দিকে ভোমরার বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ওই গরু উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত গরুর দাম প্রায় দু’ লাখ টাকা।
    খাটাল মালিক মন্টু সরদার সোমবার বিকাল চারটায় মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় ব্যবসায়িদের কথামত হারানো দু’ গরুর সন্ধানদাতাদের ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে রোববার ভোটগ্রহণ চলাকালিন তার গোয়ালে রাখা হয়। বিজিবি খবর পেয়ে ওই গরু নিয়ে যায়। সে সময় তিনি শাখরা বাজারে ছিলেন।
    ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মজিবুর রহমান সোমবার দুপুর আড়াইটায় সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারকৃত ভারতীয় গরু জব্দ তালিকা করে ৩৩ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে।
    বিজিবি’র ৩৩ ব্যাটালয়নের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার গরু দু’টি নিলামের জন্য কাস্টমস এ জমা দেওয়া হয়েছে।

  • বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী কর্তৃক সুন্দরবনে জবাইকৃত হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া উদ্ধার

    বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী কর্তৃক সুন্দরবনে জবাইকৃত হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া উদ্ধার


    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখ গভীর রাতে কোস্ট গার্ড বাহিনী পশ্চিম জোনের বিসিজি স্টেশান হারবারিয়া এর একটি টহল দল বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত হারবারিয়া খাল সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে বন্য প্রানী নিধন চক্রের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতকারীগন দ্রুত বনের মধ্যে পালিয়ে গেলে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বনের গভীরে বিচ্ছিন্ন স্থান হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ০৭ (সাত) কেজি হরিণের মাংস ও ০২(দুই) টি হরিণের মাথা এবং ০২ (দুই) টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, অবৈধভাবে সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গা থেকে হরিণ শিকারীরা হরিণ শিকার করে হরিণের মাংস ও চামড়া ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিক্রয় করে থাকে যা সুন্দরবনের বনজ প্রানী রক্ষায় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন, চোরাচালান নিয়ন্ত্রন ও জননিরাপত্তার পাশাপাশি বন্য পশু-পাখি রক্ষায় কোস্ট গার্ড বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া নন্দবালা ফরেস্ট অফিসে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা ৭ উপজেলা পরিষদের বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত যারা

    সাতক্ষীরা ৭ উপজেলা পরিষদের বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত যারা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা ৭ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের ৫ জন ও বিদ্রোহী প্রার্থী দুই জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা পদে ১৪ জন বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
    নির্বাচিতরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু ৬২ হাজার ৭৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতিকের এস.এম শওকত হোসেন পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৫৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যার পুরুষ ও মলিা পদে বেসরকারভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, তানভির হোসেন সুজন ও কহিনুর ইসলাম।
    কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টু ৭১ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন পেয়েছেন মাত্র ৩৭ হাজার ২১১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যার পুরুষ ও মহিলা পদে বেসরকারভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদা ও শাহনাজ নাজনীন খুকি।
    আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এ.বি.এম মোস্তাকিম ৭৫ হাজার ৫১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আনারস প্রতিকের এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু পেয়েছেন ৪০ হাজার ১৪১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যার পুরুষ ও মহিলা পদে বেসরকারভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, অসিম বরন চক্রবর্তী ও মোসলেমা আক্তার মিলি।
    দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল গণি ২৪ হাজার ৭৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আনারস প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী এড. গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৫ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যার পুরুষ ও মহিলা পদে বেসরকারভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, হাবিবুর রহমান ও জি.এম স্পর্শ।
    তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ঘোষ সনদ কুমার ৫০ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আনারস প্রতিকের এম.এম ফজলুল হক পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৫৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যার পুরুষ ও মহিলা পদে বেসরকারভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, সরদার মশিয়ার রহমান ও মুর্শিদা পারভীন পাপড়ি।
    কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী সাঈদ মেহেদী ঘোড়া প্রতিক নিয়ে ৫৬ হাজার ৮৩৮ ভোট বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মেহেদী হাসান পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৬৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যার পুরুষ ও মহিলা পদে বেসরকারভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, নাজমুল ইসলাম ও দিপালী রানী ঘোষ।
    শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আতাউল হক দোলন ৭২ হাজার ৫২৪ ভোট বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী দোয়তকলম প্রতিকের প্রার্থী জি.এম ওসমান গনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৬৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যার পুরুষ ও মহিলা পদে বেসরকারভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, সাঈদুজ্জামান সাঈদ ও খালেদা আয়ুব জলি।

  • ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলেই গুলি: পুলিশ সুপার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেছেন, ২৪ মার্চের উপজেলা নির্বাচন হবে সাতক্ষীরার মাটিতে আর একটি রোল মডেল নির্বাচন। এখানে ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে। শান্তিপূর্ণভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ভোটাররা বাড়ি চলে যাবেন। আমরা আপনাদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেবো। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৯ (৩য় ধাপ) ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে আইন শৃংখলা বিষয়ক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
    তিনি আরো বলেন, কোন মহল যদি ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে বা কেন্দ্রে কোন পক্ষকে জেতানো বা হারানোর চেষ্টা করে বা ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে আমি তাদেরকে সর্তক করে দিয়ে বলতে চাই, তাদের পরিণতি হবে খুব ভয়াবহ। বিশৃংখলা করলে তারা কেন্দ্র থেকে প্রাণ নিয়ে বাড়ি যেতে পারবেনা। জোর করে ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলেই গুলি করা হবে। ২৪ মার্চের নির্বাচন হবে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
    ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদন্নোতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মেরিনা আক্তার, কালিগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি জামিরুল ইসলাম, তালা সার্কেলের এডিশনাল এসপি অপু সরোয়ার, দেবহাটা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ইয়াছিন আলী, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ হাশেমী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোমিন হোসেনসহ জেলার ৮টি থানার অফিসার ইনচার্জ, এসআই, এএসআই ও ফোর্সবৃন্দ।

  • শ্যামনগরের উপকুলজুড়ে খাবার পানির জন্যহা-হা-কা-র


    বৃষ্টির পানি শেষ হয়েছে আরও আগে। গতদুই মাসধরে পুকুরের পানি খাচ্ছি।কিন্তু পানিকমে যাওয়ায়এখন ঘোলাআর দুর্গন্ধযুক্ত পানি খেয়ে প্রাণে বাঁচতেছি।কথাগুলো উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলার খাগড়াঘাট গ্রামেরষাটোর্ধ বয়সীআমিরণ বিবির।

    তার সাথে থাকা গৃহবধূ তাসলিমা বেগম জানালেন তিন কিঃমিঃ দূরবর্তী কাশিপুর গ্রামথেকে খাবার জন্য পানি নিতে এসেছেন।সাত সদস্যের পরিবারের জন্য সকাল বিকাল দুই বারতাকে এইদীর্ঘ পথপাড়ি দিয়েব্যবহার অযোগ্যপানি টেনেনিতে হয়খাওয়ার জন্য।

     তবে এমন দৃশ্য কেবল ওই খাগড়াঘাট গ্রামে নয়। বরংশ্যামনগর উপজেলার হেঞ্চি, তালবাড়িয়া,কাঁঠালবাড়িয়াসহ গোটা উপকূলীয় জনপদজুড়ে। সর্বত্রই সুপেয় খাবার পানির জন্য রীতিমত হা-হা-কা-র চলছে।

     স্থানীয়দের দাবি উপকূলীয়এ জনপদে গভীর ওঅগভীর নলকূপ সফল না হওয়া, আরডব্লিউএইচ,পিএসএফসমুহ যথাযথভাবে কাজ না করা সহনানাবিধ কারণে এলাকাবাসীর খাবার পানির প্রধান উৎস বৃষ্টির পানি।

     কিন্তু বছরের অর্ধেকটা সময় বৃষ্টির পানি দিয়ে চললেও বাকি সময় তারা পুকুরের পানি ব্যবহার করে।কিন্তু দিনেদিনে পুকুরের পানিও কমে যাওয়ায় এখন কর্দমাক্ত আর দুর্গন্ধময় পানিই তাদের একমাত্র ভরসা।

    এদিকে খাবার পানি নিয়ে উপকূলবাসীর  দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে এক বছর আগে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পুকুর,দীঘি, জলাশয় পুনঃখনন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

    তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর সমুহের সমন্বয়হীনতায় পানি সংরক্ষণসহ নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যেগৃহীত ওইপরিকল্পনা শুরুতে হোঁচট খেতে বসেছে।
    যদিও কর্তৃপক্ষেরদাবি দুইএকটি স্থানে সমস্যা হলেও দ্রুতই বাকি প্রকল্পসমুহ পুরোপুরি কাযার্দেশ অনুযায়ী সম্পন্নহবে।

    ভেটখালী গ্রামের সুষমামন্ডল ওসুধা রানীজানান আইলারপর থেকে প্রায় চার কিঃমিঃ দুরের শেখবাড়ির দীঘি থেকে তারা গোটা গ্রীস্মকাল জুড়ে খাবার পানি সংগ্রহ করতো। তিন চার বছর আগে বিদেশী সংস্থা জাইকা’র পক্ষে স্থানীয় ঈশ্বরীপুর ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) রাস্তা জুড়ে পাইপযোগে বসতবাড়ির সামনে পানি টেনে আনার ব্যবস্থা করে।

    কিন্তু এক বছরের মধ্যে পাইপসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন আবারও প্রখররৌদ্রের মধ্যেওই দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে খাবার পানি সংগ্রহকরতে হচ্ছে। তবে গতকিছুদিন ধরে পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় এখন কাদাযুক্ত পানি খেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। গরম বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়ার অভিযোগও তাদের।
    কাঠাঁলবাড়িয়া গ্রামের প্রভাষক সুভাস মন্ডলএবং মুজিবর রহমানসহ স্থানীয় রাজানান খুটিকাটা,কাঠালবাড়িয়া, কাছিহারানিসহ পাঁচ গ্রামের মানুষেরগ্রীষ্ম কালের একমাত্র পানির উৎস কাঁঠালবাড়িয়া সরকারি দীঘি। কিন্তু পুকুরটি খননের জন্য শুকিয়ে দেয়ায় এখন সাত,আট কিঃমিঃ দূরবর্তী বিভিন্ন পুকুর থেকে পানিসংগ্রহ করতে হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে দুরত্ব ভেদে কলস প্রতিদশ থেকেত্রিশ টাকা পর্যন্ত মজুরী দিয়ে পানি সংগ্রহের কথা জানান তারা।

    গ্রামাঞ্চল আর প্রত্যন্ত জনপদে বসবাস করেও টাকা দিয়ে পানি কিনে খাবার প্রায় অভিন্ন অভিযোগ তোলেন ছোটকুপোট, আটুলিয়াসহ আরও অনেক গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ।তাদের দাবি‘ভাত রুটিনা খেয়েও এক বেলা থাকা যায়।কিন্তু পানি ছাড়া একমুহূর্ত কাটেনা’। জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে পানি বিশত্রিশ টাকায়প্রতি কলস কিনতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে পুকুরের কর্দমাক্ত,দুর্গন্ধময় আর লবণ পানি খাচ্ছেন বলেও জানান তারা।
    কাঁচড়াহাটি গ্রামের প্রভাষ মন্ডল জানায় নিজে দিনমুজরের কাজ করে। কিন্তুএলাকার পুকুরের পানি কমে গন্ধ আর ঘোলা হয়ে যাওয়ায় এখন তাকেও টাকা দিয়ে পানি কিনে খেতে হচ্ছে। এমনদৃশ্য প্রায়গোটা উপকুলজুড়ে। খাবার উপযোগী একটু পানির জন্য তারা গ্রীষ্মের শুরু থেকে লড়াই করছে বলে জানান।

    উপকুলবাসীর খাবার পানিরএ সমস্যা দীর্ঘদিনের। খাবার পানি নিয়ে উপকুলবাসীর সমস্যা নিরসনেএক বছরআগে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় পুকুর, দীঘি,জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।যার অংশ হিসেবে উপকূলীয়এ জনপদে প্রথম পযার্য়ে ৫৭টি পুকুরপুনঃখননের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যেখানে নুন্যতম ১৯লাখ থেকে সবোর্চ্চ ৬৮লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতিটি পুকুরের জন্য।
    এদিকে খাবারউপযোগী পানির সমস্যা নিরসনে গৃহীত এপরিকল্পনা বাস্তবায়নের শুরুতে বিপত্তি দেখাদিয়েছে। জেলাপরিষদের পুকুর দাবি করে প্রকল্প বরাদ্দ দেয়ার পর কিছু পুকুরের মালিকানা দাবি করেছে স্থানীয়রা।তাদের অভিযোগ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে জেলাপরিষদ তাদের পৈত্রিক পুকুর কে সরকারি পুকুর উল্লেখ করে প্রস্তাবনা পাঠায়। ফলে সরকারি উদ্যোগে এসব পুকুর পুনঃখনন নিয়ে সমস্যার সৃষ্টিহচ্ছে।
    অনুসন্ধানে জানা গেছে ঠিকাদার নিয়োগের পরও ভুরুলিয়ার কাটিবারহল গ্রামে ১৬১ নং সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন পুকুরটির খনন কাজ শুরতেই বন্ধহয়ে গেছে। জেলা পরিষদ উক্ত পুকুর নিজেদের দাবিকরে পুনঃখননের প্রস্তাবনা পাঠালেও স্থানীয়রা দাবি করেছে এটা তাদের পৈত্রিক পুকুর।

     একই বিদ্যালয়ের সভাপতিশেখ মহিউদ্দীন জানান জেলাপরিষদ শুরুতে এটি তাদের পুকুর বলে দাবি করলেও কাগজপত্র দেখে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে গেছে। ভুল তথ্যে জেলাপরিষদ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর তাদের ওইপুকুর সরকারি তালিকাভুক্ত করেছিল। প্রায় অভিন্ন অবস্থাসৃষ্টি হয়েছে কৈখালীর খোসালপুর সরকারি দীঘিকে  কেন্দ্র করে। জেলা পরিষদ সম্প্রতি সেখানে কাজ শুরু করলেও জনৈক আশেক এলাহী উক্ত পুকুর নিজের দাবি করায় সেখানকার খনন কাজওবন্ধ হয়ে গেছে।
    একই ভাবে নুরনগরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় সরকারি দীঘি নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে মতপার্থক্যের কারণে আপাতত সেসব এলাকায় সরকারি উদ্যোগে পুকুর খননের কাজ বন্ধ হওয়ায় খাবার পানি নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বলে জানান কৈখালীর ইউপিসদস্য অসীমকুমার মন্ডলসহ   কাটিবারহল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।

    এদিকে সরেজমিনে কাঠালবাড়িয়া সরকারি দীঘি পরিদর্শনে যেয়ে দেখা গেছে নানা অনিয়মের মধ্যেই শুরু হয়েছে পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের কাজ। কাজ শুরুর তারিখ থেকে সম্পন্ন হওয়ার মেয়াদকাল এমনকি কাজের ধরন কিংবা প্রাক্কালিত ব্যয়সহ কোন ধরনের তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড সেখানে লাগানো হয়নি।

    পুকুরটি খনন কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা কালিদাস সরকার জানান, তিনি দীর্ঘদিন জেলাপরিষদ থেকে পুকুরটি ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন।তাই প্রকল্প অনুমোদনের পর কাজের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদার তাকে খনন কাজ তদারকির দায়িত্ব দিয়েছে।

    জানা যায় পুকুরটি পূর্বেকার পাড় হতে ১৮ ফুটগভীর হওয়ার কথা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে পাড়ের উপর দুই,তিন ফুট মাটি ফেলেওই গভীরতা অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা হয়েছে।

     স্থানীয় গ্রামবাসী অনিলমন্ডল, সুধাংশুও আব্দুর রশিদ জানায় কত টাকা বরাদ্দ কিংবা কাজের মেয়াদকাল সম্পর্কিত বিষয়া বলীসহ কোন বিষয়ে কোন সাইনবোর্ড না দেয়ায় তারা কাজ নিয়ে কোন তথ্য দিতে পারছে না।উদ্বোধনের সময়ে এলাকাবাসী খাবার পানির সমস্যা দুর করতে পুকুরটি পুনঃখননের কথা তাদের জানানো হয়েছে।
    তবে নামপ্রকাশ না করার শর্তেস্থানীয় কয়েক গ্রামবাসী জানান, প্রায় বত্রিশ লাখ টাকায় ব্যয়েওই পুকুরটি পুনঃখননসহ সেখানে সৌন্দর্য্য বর্ধনের বিষয়ে তারা জেনেছেন।কিন্তু পরবর্তীতেওই প্রকল্পেরবিসয়ে আরকোনকিছুই তাদেরজানানো হয়নি।বিষয়টির মধ্যেশুভঙ্করের ফাঁকির মত নানা বিষয়থাকতে পারেবলেও তারাদাবি করেন।

    এদিকে উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান. এতদাঞ্চলের শতকরা সত্তর ভাগ মানুষ পুকুরের পানি পান করে থাকে। স্যালাইন এলাকা হওয়াতে গ্রীষ্মকালে পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় খাবার পানি সংকট প্রবল আকার ধারণ করে। তবে সরকারিভাবে ট্যাংকি সরবরাহ করে বৃষ্টির সময়কার পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয়দের সারা বছরের জন্য প্রয়োজনীয় পানি চাহিদা পূরণের চেষ্টা চলছে।

    তিনি আরও বলেন ১৬৩৮টি গভীর এবং ৩৫৮টি অগভীর নলকূপ ছাড়াও ৩৯৭ টি ভিএসএসটি, ৪৮৩টি এসএসটি, ১০৯৮টি আরডব্লিউএইচ এবং ৫৬৬টি পিএসএফ’র মাধ্যমে স্থানীয়দের পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চলছে।

    তারপরও স্থানীয়দের পানিরচাহিদা মেটাতেজেলা পরিষদেরপুকুরসমুহ পুনঃখননের পাশাপাশি ব্যক্তির উদ্যোগেনুতন নুতনপুকুর খননেরপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলেও তিনিউল্লেখ করেন। (তথ্যসুত্র: দৈনিক সাতক্ষীরা)

  • তৃতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোট আজ : জেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগই: প্রার্থী ৭৭

    তৃতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোট আজ : জেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগই: প্রার্থী ৭৭



    তৃতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোট আজ জেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগই: প্রার্থী ৭৭

    ন্যাশনাল ডেস্ক: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আজ রোববার সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলাসহ ১১৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে ২৪ উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
    প্রকাশ, তৃতীয় ধাপে নির্বাচনের জন্য ১২৭ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত করা হয়েছে। আর নরসিংদী সদর ও কক্সবাজার সদরের ভোট আগামীকালের পরিবর্তে ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া ছয়টি উপজেলার সবকটি পদের প্রার্থীরা বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাই আজ ১১৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।

    সচিব বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার স্বার্থে অভিযোগের ভিত্তিতে নয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও তিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ইসির নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়াও বেশ কয়েকজন ওসি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আইন অমান্য করে প্রচারে অংশ নেওয়ায় এ পর্যন্ত তিনজন সাংসদকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও আইনে প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করেছেন। তাই ইসিকে অন্য কোনো অ্যাকশনে যেতে হয়নি। সচিব জানান, তৃতীয় ধাপে রংপুর সদর, গোপালগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর ও মেহেরপুর সদরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
    এদিকে সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলায় দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দল অংশ নিচ্ছে না। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই। জেলার সাত উপজেলায় ৫৯৭টি কেন্দ্রে ৩০৫০টি কক্ষে ১৫ লাখ ৬০ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
    উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদরে ৩ জন চেয়ারম্যান, ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান অংশ গ্রহণ করছেন। কলারোয়ায় চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন এবং ন্রাী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তালা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আশাশুনিতে চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। কালিগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। দেবহাটায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। শ্যামনগরে চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
    প্রার্থীদের মধ্যে শ্যামনগরে জাতীয় পাটির একজন এবং দেবহাটায় এনপিপি একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া আর প্রায় সকল প্রার্থীই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছে।
    এদিকে, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য জেলায় ৬ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে গতকাল সকাল থেকে ব্যালট বক্স, ব্যালটসহ বিভিন্ন নির্বাচন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়া হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, আনছার ভিডিপি সদস্যদের।
    সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রিটাণিং অফিসার মোঃ নাজমুল কবির বলেন, জেলা ৫৯৭ টি ভোট কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আজ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
    সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, জেলব্যাপী ৫শ’ ৯৭ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪শ’ ২৯ টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহিৃত করেছে পুলিশ। ঝুুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তিনি জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। যেকোন মুল্যে আজ ২৪ মার্চের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ হবে।
    নির্বাচনে প্রত্যেক কেন্দ্রে ১২ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি আরো দু’জন অস্ত্রধারি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া প্রতি দু’ইউনিয়নে একজন করে পরিদর্শকের নেতৃত্বে মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেকটি থানায় ১০ জন পুলিশের একটি টিম টহল দেবেন। প্রতি থানায় ২০ সদস্য বিশিষ্ট বিজিবি’র টিম ও র‌্যাবের টিম টহলে থাকবেন। এছাড়া প্রত্যেকটি থানায় জুডিশিয়াল/নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিনটি টিম ও একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে।
    ২৪ মার্চ রবিবার অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ধাপের এই উপজেলা নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলায় ১৫ লাখ ৬০ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

  • দেবহাটার স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ কর্মীসমর্থককে আটক করায় থানা ঘেরাও করেছে আওয়ামালীগ নেতা-কর্মীরা

    দেবহাটার স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ কর্মীসমর্থককে আটক করায় থানা ঘেরাও করেছে আওয়ামালীগ নেতা-কর্মীরা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটা থানা ঘেরাও করেছে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার সকাল ৮টায় দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স.ম গোলাম মোস্তফার সাতজন কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তারা থানাও ঘেরাও করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট স.ম গোলাম মোস্তফা, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নেওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউপির চেয়ারম্যান আবু বকরসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট স.ম গোলাম মোস্তফা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই পারুলিয়া ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সখিপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রায়হান, মনিরুল ইসলাম, আবুল কাশেম, রাজু আহম্মেদসহ ৭ জনকে আটক করেছে। তিনি বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে কোন কারণ ছাড়াই ভোটের মাত্র দুদিন আগে নেতা-কর্মীদের আটক করায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করেছে। তাদের না ছাড়া পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চলবে। এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, তারা নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে প্রচার প্রচারনা চালায় তাদের আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আটক ৭ জন সম্পর্কে যাচাই বাছাই শেষে ৫ জনের নামে কোন মামলা না থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এবং রাজু ও রায়হান নামের বাকী দুজনের নামে মামলা থাকায় তাদের চালান দেয়া হচ্ছে।

  • সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি শাহ আলম: সম্পাদক তোজাম


    নিজস্ব প্রতিনিধি:

    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এড. এম শাহআলম সভাপতি ও এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বৃহস্পতিবার ভোট শেষে রাত ১০টায় জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনাতনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড. আব্দুল জলিল (১) ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় প্রার্থীসহ আইনজীবী ও নির্বাচন কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে ৪৮৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪৭২ জন ভোট প্রদান করেন।

    সূত্র জানায়, ২১ মার্চ নির্বাচনে সভাপতি ওয়ার্কাস পার্টির নেতা এড. এম শাহ আলম ২৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি’র নেতা এড. শেখ আব্দুস সাত্তার (১) পান ২১০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

    সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি নেতা এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম ২৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ পদে অপর প্রার্থী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা ল কলেজের প্রভাষক এড. আ.ক.ম রেজওয়ান উল্লাহ সবুজ পান ২২৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সহ-সভাপতি পদে বিএনপি নেতা মহিতুল ইসলাম ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে এ টি এম বাসারাতুল্লাহ আওরঙ্গী পান ১৪৫ ভোট ও মোঃ রুহুল আমিন ৯১ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। যুগ্ম-সম্পাদক পদে এ বি এম আনিসুজ্জামান আনিস ১৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে আশরাফুজ্জামান বাবু পান ১৫৭ ভোট ও শেখ মুস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজ পান ১৩৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

    কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ রফিকুল ইসলাম ২৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে মোঃ মোস্তফা জামান পান ২২৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সহ-সম্পাদক (লাইব্রেরী) পদে মোঃ ইউনুস আলী ১৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে মোঃ আব্দুল জলিল পান ১৪৪ ভোট ও আ ক ম শামসুদ্দোহা খোকন পান ১৪৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সহ-সম্পাদক (ক্রীড়া) পদে মোঃ আকবর আলী ৩০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, এ পদে মোঃ সালাউদ্দীন (২) ১৫০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সহ-সম্পাদিকা (মহিলা) পদে অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা না দেয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন লাকী ইয়াছমিন। এছাড়া সদস্যের ৩টি পদে শিহাব মাসউদ সাচ্চু ৩১৫ ভোট, সাহেদুজ্জামান সাহেদ ৩০০ ভোট এবং রফিকুল ইসলাম রফিক ২৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এড. মোঃ আক্তারুজ্জামান, এড. তারক কুমার মিত্র, এড. আনিছুর কাদির ময়না, এড. শাকিলা খানম। এর আগে সকাল থেকে আইনজীবীগণ স্বতস্ফুর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

  • সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জনগণ ভোট দিবে -জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল

    সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জনগণ ভোট দিবে -জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল

    দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী ২৪ মার্চ দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ন পরিবেশে জনগন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। সবকটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়ন থাকবে। যদি কোন প্রার্থী কিংবা তাদের লোকজন ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি অথবা জনসাধরনকে ভোট দিতে বাঁধা দেয় তাহলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জানালে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোটগ্রহনকে কেন্দ্র করে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিণীর টহলের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। তাই নির্ভয়ে স্ব-স্ব ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য জনসাধারনের প্রতি আহবানও জানান জেলা প্রশাসক। বৃহষ্পতিবার বিকাল ৩টায় দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হলরুমে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিশ,দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা,দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব। এসময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গনি, সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যড সম গোলাম মোস্তফা, মাহবুব আলম খোকন, সাঈদ মাজফুজুর রহমান, শেখ ওজিয়ার রহমান,ভাইস চেয়ারম্যন প্রার্থীদের মধ্য থেকে যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাবেক সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, আনিছুর রহমান বকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্য থেকে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস আমেনা রহমান সহ আফরোজা পারভীন,প্রিয়াংকা রানী ও জিএম স্পর্শ উপস্থিত থেকে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সভাটিতে কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম,পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম,দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী উপস্থিত ছিলেন।

  • শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা

    শ্যামনগর ব্যুরো: ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৯ উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বিকাল সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত এ বিশেষ সভায় সভাপতি ও সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক, এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠ এবং শান্তি পূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য প্রশাসন খুবই আন্তরিক। তিনি সকলকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহব্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ভোট প্রদানে বাঁধা সৃষ্টিকারী সহ ভোট সংক্রান্ত সকল অনিয়ম কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুতমীর। এছাড়া বক্তব্য রাখেন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন। এ বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মহসিন উল মুলক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সকল প্রার্থী, সাংবাদিকবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ, ইমাম ও পুরোহিত সমিতির সভাপতি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন।