শ্যামনগর ব্যুরে॥ মহামান্য হাইকোর্ট এর ১৬৩৯২/২০১৭ নং রীটপিটিশন আদেশ অমান্য করে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদী ভাঙন এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বালী উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। এমন অবস্থা অব্যহত থাকলে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। ১৪২৪ ও ১৪২৫ সালে শ্যামনগর উপজেলায় কোন বালু মহল ঘোষনা না হলেও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন চলছে। রীটপিটিশনের আদেশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাগফারা তাজনীন গত ১৮/০১/২০১৮ তারিখে ৭৮ নং স্মারকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পত্র প্রেরন করে। এরপরও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ কৌশলী এ্যাডঃ মোঃ হুমায়ন কবীর গত ১৯/১১/২০১৮ ইং তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার পর গত ০৩/১২/২০১৮ ইং তারিখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এম,এম মাহমুদুল রহমান ১৯৭৯ নং স্মারকে রীটপিটিশনের উধৃতি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আর একটি পত্র প্রেরন করেন। অথচ এ সমস্থ নির্দেশ অমান্য করে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান মোটা অংকের উকোচ নিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা নদী ভাঙন এলাকায় ড্রেজার মেশিনে ও লোকালয়ে বোরিং করে বালু উত্তোলন করছে। বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের পাশে ফেরদৌস নামে এক ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছে। এ বিষয়ে ফেরদৌসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শ্যামনগর ইউএনও স্যারের নির্দেশে বালু উত্তোলন করছি। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মুন্সিগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছে ফেরদাউস। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার জানা নেই , তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দেখি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এম এম মাহমুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখছি বলে জানান। এরপরও বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
সম্প্রতি বুড়িগোয়ালিনী মাসুদ মোড়ে আব্দুর রশিদ তরফদার এর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে সেখানে সংশ্লিষ্ট তহশিলদার পাঠিয়ে পয়সা নিয়ে নিশ্চুম রয়েছে। অথচ অবৈধ ভাবে উঠানো বালু জব্দ করে প্রকাশ্যে নিলাম দেন নাই। কলবাড়ী গ্রামের মকছেদ মোল্যার বাড়ীর পাশে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি ওই একই ভাবে রয়েছে।
Blog
-

শ্যামনগর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে : প্রশাসন নিরব
-
রায়ের আগেই জমি জবরদখলের অভিযোগ: তালায় প্রশাসনকে ভূল বুঝিয়ে একই জমির দ্বিতীয় দফায় বন্দোবস্ত গ্রহন ॥ উচ্চাদালতে আপীল
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালায় কলাপোতা এলাকায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ভূল বুঝিয়ে প্রায় ১ বিঘা জমির বন্দোবস্ত নিয়ে অন্যের দখলীয় পুকুর থেকে মাছ মেরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ভূক্তভোগী মহিউদ্দীন বিশ্বাস তালা থানায় উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন।ঘটনার বিবরণ ও অভিযোগে প্রকাশ,তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের আ: মজিদ বিশ্বাসের ছেলে মো: মহিউদ্দীন বিশ্বাস গং ১৯৪৭ সালের পূর্ব থেকে পৈত্রিক সূত্রে ভোগ-দখল করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ঐ সম্পত্তির দীর্ঘ দিন খাজনা বকেয়া থাকায় খাস খতিয়ানে চলে গেলে সরকার তা অন্যত্র ব্যাংক অব কমার্স খুলনার নিকট বিক্রি করে দেয়। পরে ব্যাংকের নিকট থেকে জনৈক বাদল চন্দ্র সাধ ও পরে ফের তারা বাদল চন্দ্রের নিকট থেকে কোবলা মূলে খরিদ করে সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভোগ-দখল করে আসছিল।
ইতোমধ্যে উপজেলার ধলবাড়িয়া এলাকার জনৈক আ: সাত্তার গং সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষদের ভূল বুঝিয়ে ও তথ্য গোপন করে ঐসম্পত্তির প্রায় ৩১ শতাংশ সম্পত্তি ফের সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেয়। বিষয়টির খবর পেয়ে জমির মালিক মোছাম্মাৎ সখিনা খাতুন গং প্রথমে সাতক্ষীরা এডিশনাল জেলা ৩য় আদালতে একটি মামলা করেন। এতে সরকারের পক্ষে রায় হলে পরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি আপিল মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে গত ৩১ মার্চ রাতের আঁধারে উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদার বিবাদমান সম্পত্তির পুকুরে স্যালো মেশিন লাগিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সেচ কার্যক্রম শুরু করে। খবর পেয়ে তারা তাদেরকে পুকুরের পানি না সেচতে অনুরোধ করলেও তারা কারো কোন কথায় কর্ণপাত না করে সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এমতাবস্থায় তারা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাধ্য হয়ে স্থানীয় তালা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় দফায় দফায় শালিসী বসলেও তারা কারো কথা মানতে নারাজ। ভূক্তভোগী পরিবারসহ শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীর দাবি,এলাকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা আ: সাত্তার শেখ গংদের প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে তালা উপজেলার জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাঈদুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে তারা উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব কাগজ পত্রাদিসহ পুলিশ ক্যাম্পে উপস্থিত হয়। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিে উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
-

অবহেলা ও অবব্যস্থাপনার মধ্যে চলছে সাতক্ষীরা সরকারী বক্ষব্যধি ক্লিনিক : ব্যবস্থাপত্র লিখছেন নার্সে, টেকনিশিয়ান না থাকায় নষ্ট হচ্ছে এক্স-রে মেসিন
গোলাম সরোয়ার ॥ চরম অবহেলা ও অবব্যস্থাপনার মধ্যে চলছে সাতক্ষীরার একমাত্র সরকারী বক্ষব্যধি ক্লিনিক। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ শুন্য দীর্ঘদিন। একজন মেডিকেল অফিসার ভারপ্রাপ্ত থাকলেও সপ্তাহে ৫দিন আসেন না। প্যাথলজিষ্ট নেই, টেকনিশিয়ান না থাকায় নষ্ট হতে চলেছে মুল্যবান সরকারী এক্স-রে মেসিন। উচ্চমান সহকারী যিনি অন্যত্র ডেপুটেশনে রয়েছে। রোগী এলে রোগের বিবরন শুনে ব্যবস্থাপত্র লিখছেন একজন নার্স।
গতকাল সাতক্ষীরা শহরের বাটকেখালী এলাকায় অবস্থিত বক্ষব্যধি ক্লিনিকে সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেল এই ক্লিনিকে আগত বক্ষব্যধি রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখছেন সনিয়া খাতুন নামে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা একজন স্টাফ নার্স। কি ভাবে বক্ষব্যধির মত জটিল রোগীর ব্যবস্থাপত্র বা ওষুধ লিখছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ডাক্তার না থাকায় রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখছি। কিন্ত এটি আসলে আমার কাজ নয়।
কথা হয় এ হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের হামিজদ্দীনের সাথে। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে কাশির সাথে রক্ত উঠছে। তাই জরুরী ভাবে চিকিৎসা নিতে আসেন বক্ষব্যধি হাসপাতালে। কিন্ত এখানে এসেই হতাশ হয়েছেন তিনি। ডাক্তার না থাকায় একজন নার্স ওষুধপত্র লিখে দিলেন তাকে। এমনকি বুকের এক্স-রে অন্যান্য পরিক্ষাও করতে পারেননি তিনি।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা বদর উদ্দীন জানান, বুকের চিকিৎসা করতে এসে পর পর দুই দিন ফিরে গেছেন ডাক্তার না থাকার কারনে। এই হাসপাতালের একজন মহিলা অফিস সহায়কের পরামর্মে বাইরে থেকে বুকের এক্স-রে করে নিয়ে এসেছিলাম। এক্স-রে করার পর একজন নার্স তাকে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এই হাসপাতালের ফার্মাসিষ্ট পদে নিয়জিত নিভা মজুমদার জানান, এখানে বক্ষব্যধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। একজন মেডিকেল অফিসার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করলেও তিনি সপ্তাহে একদিন বুধবার আসেন। সপ্তাহের অন্যান্য দিন সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালে থাকেন। এছাড়া টেকনিশিয়ান না থাকায় এ হাসপাতালের এক্স-রে মেসিনটি ঘরের মধ্যে তালা বদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্যাথলজিষ্টের পদও বহুদিন শুন্য থাকায় মুমুর্ষ রোগীরা পরিক্ষা-নিরিক্ষা করতে পারছেন না। একই ভাবে এ হাসপাতালের বড়বাবু বা উচ্চমান সহকারীও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন।
এব্যাপারে বক্ষব্যধি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তানভীর আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার রফিকুল ইসলাম অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন জানিয়ে বলেন, মুলত দেশব্যাপী সরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোতে ডাক্তারসহ অন্যান্য লোকবল সংকট। তার পরও এব্যাপারে সাতক্ষীরা ফিরে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।
-

সাতক্ষীরা জেলা ভূমি কমিটি গঠন
সাতক্ষীরা জেলা ভূমি কমিটি, এর উদ্দ্যোগে “উত্তরণ” অপ্রতিরোধ্য প্রকল্পের সহযোগিতায়, ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন” এর অর্থায়নে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা ভুমি কমিটি গঠন সভা অুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ভূমি কমিটির সভাপতি মো: আনিসুর রহিম।
সভায় খাস জমি ভূমিহীরদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদান কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিগত জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে মো: আনিসুর রহিমকে সভাপতি ও এড. আজাদ হোসেন বেলালকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা ভুমি কমিটি গঠন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন “উত্তরণ” অপ্রতিরোধ্য প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো: মনিরুজ্জামান জমাদ্দার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি অদ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য এড. শাহনাজ পারভীন মিলি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সাংবাদিক কল্যান ব্যানার্জি, এম কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল খায়ের, আনোয়ার জাহিদ তপন, আলিনুর খান বাবুল, উপজেলা ভুমি কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ আব্দুল খালেক, আলহাজ্জ ওহার আলী সরদার, সরদার আমজাদ হোসেন, জোৎ¯œা দত্ত, ফরিদা আক্তার বিউটি, আব্দুল ওহাব, প্রভাষক ইয়াহিয়া প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা ভূমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল। -

পাইকগাছায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন মোহাম্মদ আলী, বুলু ও লিপিকা নির্বাচিত
বি. সরকার । পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।
খুলনার পাইকগাছায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন, কোন সংঘাত ও সংঘর্ষ ছাড়াই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ৫ম পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে ৩৪ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে গাজী মোহাম্মদ আলী উপজেলা চেয়ারম্যান, তালা প্রতীকের প্রার্থী শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু ৩৭ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও পদ্মফুল প্রতীকের প্রার্থী লিপিকা ঢালী ২৭ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৭৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটারের সংখ্যা ২লাখ ৯ হাজার ৩৩৮ এবং মোট ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৭৩ হাজার ৭৮৬ জন।
নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকায় নির্বাচনের কোন কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে নির্বাচনী কার্যক্রম সার্বিক মনিটরিং করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও শরফুদ্দীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল আউয়াল, র্যাব-৬ এর উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ গোলবর ও ওসি এমদাদুল হক শেখ।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হলেও ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪, ভাইস চেয়ারম্যানপদে ৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ সহ মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্ধিতা করেন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী ৩৪ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মনিরুল ইসলাম মটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৮৬ ভোট, অনান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন শেখ আবুল কালাম আজাদ (দোয়াত-কলম প্রতীক) ১২ হাজার ৫৮৬ ভোট, মোঃ রশিদুজ্জামান মোড়ল (আনারস প্রতীক) ৬ হাজার ৬৪৩ ভোট এবং উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মোট অবৈধ্য (রিজক্ট) ১ হাজার ৯০৬ ভোট।
৪ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগনেতা শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু তালা প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম প্রার্থী কৃষ্ণপদ মন্ডল (টিউবওয়েল প্রতীক) পেয়েছেন ১ ৯ হাজার ২৮ ভোট, অনান্য প্রার্থীরা দেবব্রত রায় (চশমা প্রতীক) ৮ হাজার ৫৯৪ ভোট, সুকৃতি মোহন সরকার (টিয়া পাখি প্রতীক) ৫ হাজার ৩৭৯ ভোট এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট অবৈধ্য (রিজক্ট) ৩ হাজার ২৪৯ ভোট।
৬ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিপিকা ঢালী পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নিকটতম প্রার্থী ফাতেমাতুজ্জোহরা রূপা (কলস প্রতীক) পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৭১ ভোট। অনান্য প্রার্থীরা নাজমা আক্তার (ফ্যান প্রতীক) ৯ হাজার ৬২৬ ভোট, জুলি (প্রজাপতি প্রতীক) ৯ হাজার ১৫৩ ভোট, ময়না খাতুন (ফুটবল প্রতীক) ৬ হাজার ৮১০ ভোট এবং মাসুমা খাতুন (হাঁস প্রতীক) ৪ হাজার ৮৭৭ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট অবৈধ্য (রিজক্ট) ২ হাজার ৮৫০ভোট।
নির্বাচন প্রসঙ্গে থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল। ফলে নির্বাচনে কোথাও কোন সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না জানান, প্রশাসনের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ, আইনশৃংখলা বাহিনী, এলাকাবাসী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। -

শ্যামনগরে বুড়িগোয়ালিনী বন অফিসে মধু আহরন উদ্বোধন অনুষ্ঠিত
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ “সচেতন বনজীবি নিরাপদ সুন্দরবন”- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জ সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আয়োজনে এবং আই ইউসিএন, কেএফ ডব্লু, সোনার বাংলা শপিং সেন্টার, ওয়ার্ল্ড টিম, আলওয়াল ও বেডস্-এর যৌথ সহযোগীতায় পশ্চিম বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী বন অফিস সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে মধু আহরন উদ্বোধনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের ন্যায়ে গতকাল ১ এপ্রিল ১৮ চৈত্র সোমবার সকাল ১০ টায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বসিরুল-আল-মামুন এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন সংরক্ষন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- নব নির্বাচিত শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহসিন-উল-মুলক, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জিএম মাছুদুল আলম, বেডস্ এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন শান্তুনু বিশ্বাস, সোনার বাংলা শপিং সেন্টারের পক্ষে নাজমুস-সাদাত পালাশ, ওয়ার্ল্ড টিভির পক্ষে মঈনুল ইসলাম, যমুনা টিভির পক্ষে গাজী আহসান, গাজী সালাউদ্দীন বাপ্পি, বনজীবিদের পক্ষে ইকবাল হোসেন মন্টু। বনজীবিদের পক্ষে ইকবাল হোসেন মন্টু তার বক্তেব্যে বলেন- তারা মহাজনের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা দাদন নিয়ে মাত্র ১৫ দিন মেয়াদে পাশ দিলে এবং মাথাপিছু ৫০ কেজি মধু আহরনের টার্গেট বেধে দিলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মহাজনের ঋণ শোধ করতে পারবে না, মহাজনের নিকট ঋণী হয়ে যাবে বলে মেয়াদ বাড়ানো ও টার্গেট বেধে না দেওয়ার দাবি জানায়। তিনি আরও দাবি জানাই, যদি পাশ গুলো দিয়ে তাদের একসাথে ছাড়া না হয় তাহলে যারা পিছে যাবে তারা মধু পাবে না বা কম পাবে। অতিথিগণের বক্তেব্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে মৌয়ালিদের দাবী মেনে নেওয়ার আহবান জানান। সভাপতি তার বক্তেব্যে পরবর্তীতে মৌয়ালীদের উর্থাপিত দাবী রক্ষা করার আহবান জানান। আলোচনা শেষে মধু সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরষ্কার দেন অতিথিবৃন্দ। এরপর অতিথিগণ বন বিভাগের সহযোগীতায় মৌচাক থেকে মধু আহরনের দৃশ্য দেখার জন্য কলাগাছিয়া বনফাঁড়িতে যান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এসও বেল্লাল হোসেন। -

শ্যামনগরে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা হাজী কুরবান আলী সরদারের নামে হলো শ্যামনগরের বাস টার্মিনাল : উদ্বোধন করলেন এমপি এস এম জগলুল হায়দার
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগরে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা হাজী কুরবান আলী সরদারের নামে শ্যামনগরের বাস টারমিনালের নাম করা হয়। গতকাল ১ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৪ টায় হাজী কুরবান আলী সরদারের নামে শ্যামনগরের বাস টারমিনালের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা -৪ এর এমপি এস এম জগলুল হায়দার। উদ্বোধন অনুষ্ঠানটিতে দৈনিক দক্ষিনের মশাল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সাবেক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু, কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ রউফ, কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রহিম, কালিগঞ্জ বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, সাধারন সম্পাদক আবু তাহের, শ্যামনগর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি কামরুল হায়দার নান্টু, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, শ্রমিক ইউনিয়ন শ্যামনগর শাখার সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন, সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আঃ মজিদ, পরিবহন কাউন্টার সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু, সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম বাবু, এছাড়া এমপি মহোদয়ের সাথে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রেজওয়ানুল আজাদ নিপুন। অনুষ্ঠান শেষে মামুন পরিবহন যাত্রী নিয়ে ঢাকা অভিমুখে উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে। -

কুলিয়ায় সরকারী খাল দখলের মহোৎসব
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের শশাডাঙ্গায় সরকারী খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, কুলিয়া ইউনিয়নের শশাডাঙ্গা ডেতপোতা খালটি কুলিয়া ইউনিয়নের বৃহত্তম৭, ৮ও ৯ নং ওয়ার্ড এর হাজার হাজার বিঘা ঘেরের পানি উঠানো ও নিষ্কাশনের একমাত্র পথ।কিন্তু অত্র এলাকার কিছু প্রভাবশালী স্বার্থন্বেশী মহল গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে উক্ত খালটির দুইপাশে দখলদারিত্ব উৎসবে মেতে উঠেছে। শশাডাঙ্গা ব্রীজের দুই পাশে কেয়ামদ্দীন গাজীর পুত্র বিএনপি নেতা বহু নাশকতা মামলা ও অস্ত্র মামলার আসামী মোকছেদ আলী, বিমল সরকারের ছেলে ইন্দ্রজিৎ, সাহাবুদ্দীন সহ দোকানঘর, হ্যাচারী, মাছের ডিপো, মাছের সেঠ নির্মান করেছে।এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন খাল গুলি দখল করার কারনে প্রতি বছর সুষ্ঠ ভাবে ঘেরে পানি উত্তোলন ও নিষ্কাশন সম্ভব হয় না।যার কারনে বর্ষায় ঘের গুলি প্লাবিত হয়ে ঘের ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।অনেকবার খালটি দখল মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও আমরা কোন সুফল পায়নি।এব্যাপারে আগামী বর্ষার আগে উক্ত খালটি দখল মুক্ত করার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে জোর হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন। -
আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে অর্থ সহায়তা
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত আফসার উদ্দিনের পরিবারকে সরকারি ভাবে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়। আরার কাদাকাটি গ্রামের বাচা খোকা সরদারের পুত্র আফসার উদ্দিন গত ২৪ মার্চ মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জেলা প্রশাসনের ত্রাণ কার্য (জিআর ক্যাশ) তহবিল হতে নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা বরাদ্দ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার পক্ষে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান মরহুমের স্ত্রী খাদিজা পারভিনের হাতে ২০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
-
আশাশুনিতে ১ কোটি টাকার সোলার সিস্টেম কাজ চলছে
আশাশুনি প্রতিনিধি : ধনী-গরীব সকলের গৃহে আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আশাশুনি উপজেলায় সোলার সিস্টেম কার্যকর করতে কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলায় ৯৮ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার হোম সোলার সিস্টেম ও স্টীক লাইট সরবরাহ ও স্থাপন করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় ইটকল কতৃক মনোনীত প্রতিষ্ঠান সৃজনী বাংলাদেশ নামের একটি সোলার কোম্পানী ৭৬ টি প্রজেক্টের অধীন ৫৭১ পরিবার বা প্রতিষ্ঠান বা রোডে সোলার সিস্টেম ও স্টীক লাইট স্থাপনের কাজ করছে। টিআর জেনারেল কর্মসূচির আওতায় ২১টি প্রকল্পে ১৫৬টি হোম সোলার সিস্টেম ও স্টিক লাইট স্থাপনে ২৮ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭০ টাকা, কাবিটা (জেনারেল) কর্মসূচির আওতায় ১৩টি প্রকল্পে ১৫২টি হোম সোলার সিস্টেম ও স্টীক লাইট স্থাপনে ৩৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৭৭ টাকা, টিআর (এমপি মহোদয়) প্রকল্পের আওতায় ২৫টি প্রকল্পে ১০৩টি হোম সোলার সিস্টেম ও স্টীক লাইট স্থাপনে ২৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ১১৩ টাকা, কাবিটা (এমপি মহোদয়) প্রকল্পের আওতায় ৫পি প্রজেক্টে ১৪৮টি হোম সোলার সিস্টেম ও স্টীক লাইট স্থাপনে ৩১ লক্ষ ১৫ হাজার ৪২০ টাকা এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুকূলে ১২টি হোম সোলার সিস্টেম ও স্টীক লাইট স্থাপনে ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ২৩০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া গয়েছে। সোলার সিস্টেম ও স্টীক লাইট স্থাপিত হলে উপজেলার একটি বিশেষ শ্রেণির পরিবার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাতে আলোর সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
-
আশাশুনি দরগাহপুরে পল্লী চেতনার প্রকল্প অবহিতকরণ সভা
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নে নতুন প্রকল্প এপিএলই এর অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে দরগাহপুর ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য এজেন্সি এবং প্লাটফরম বিনির্মান করা, তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারি সম্পদ ও সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অধিগম্যতা বৃদ্ধি পায় (এপিএলই) প্রকল্পের আওতায় পল্লী চেতনা সংস্থা কাজ করতে যাচ্ছে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ৩ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের আওতায় ৯৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৪৮ টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে। দরগাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মরিাজ আলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূল আলোচনা তথা প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী কাজী বাবর আলি। সভায় সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শ্যামল কুমার অধিকারী, ইউপি সচিব মুনশী মাহফুজুর রহমান, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সানা আবু জাফর, শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, সকল ইউপি সদস্য এবং পল্লী চেতনার মাঠ সংগঠক আজমিরা আক্তার ও মোসলেমা পারভিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লক্ষিত ভূমিহীন প্রান্তিক অসহায় জনগোষ্ঠির বিভিন্ন ধরনের সুবিধা এবং আইনগত সহায়তা দিতে, বয়স্ক, নি¤œবর্ণের মানুষের সামাজিক অবস্থার অগ্রগতি সাধন এবং জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন, বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টি ও অতি দরিদ্র মানুষের জন্য গৃহীত নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়নে প্রকল্পের আওতায় কাজ করা হবে।
-
আশাশুনিতে এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিন অনুপস্থিত ৫
আশাশুনি প্রতিনিধি : এইচ এস সি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় আশাশুনিতে ৫ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। ১ হাজার ৬ শত ১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৬ শত ৯৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আশাশুনি উপজেলার ২টি কেন্দ্র ও ২টি ভেন্যুতে এইচ এস সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আশাশুনি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ৩৯০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন অনুপস্থিত থাকায় ৩৮৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান। আশাশুনি মহিলা কলেজ ভেন্যু কেন্দ্রে ৪৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন অনুপস্থিত থাকায় ৪৩৭ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম। দরগাহপুর এসকেআরএইচ কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ও ভেন্যু কেন্দ্রে ৮৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন অনুপস্থিত থাকায় ৮৬৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরপদ মন্ডল ও অধ্যক্ষ ড. শিহাব উদ্দিন। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হেচ্ছ।
-
সাতক্ষীরায় আশা সমিতির মাঠ কর্মীকে ব্লেড দিয়ে গলা ও জিহবা কেটে টাকা ছিনতাই
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় আশা সমিতির এক মাঠ কর্মীকে গলা ও জিহবা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সোমবার সাতটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গাভা বাবলাতলা মাছের সেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যাংদহা বাজারের ডাঃ সুমল সরদার জানান, আশা সমিতির ব্যাংদহা শাখার মাঠ কর্মী কলারোয়া উপজেলা সদরের তুলসীডাঙার জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) সোমবার রাত সাতটার দিকে ঋণ ও সঞ্চয় আদায় শেষে অফিসে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তিনি গাভা বাবলাতলা মাছের সেটের পাশে ভেড়িবাঁধের উপর পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি মোটর সাইকেলে আসা তিনজন তার বাই সাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় তার ব্যাগে থাকা ঋণ ও সঞ্চয় আদায়ের ১৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ার সময় তার গলায় ও জিহবা ব্লেড দিয়ে কেটে ক্ষত বিক্ষত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তার কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আশা সমিতির ব্যাংদহা শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন আল মামুন ছিনতাই এর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দু’ সপ্তাহ আগে জাহাঙ্গীর তাদের অফিসে যোগদান করেছে।# -
নাটোর থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রী শ্যামনগরে উদ্ধার
শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর থানা পুলিশ অপহৃত স্কুল ছাত্রী তাছনিয়া খাতুন (১৩) কে উদ্ধার করেছে। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ইউপি সদস্য সেলিনা সাঈদের বাসা থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে। তাছনিয়া নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার পুকুরপাড় গ্রামে মুজিবর রহমান প্রামানিকের মেয়ে ও স্থানীয় কৈপুকুরিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৬ মার্চ সকাল ১০টার দিকে স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃতের মামা মো. ইউনুস আলী শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করে।
অভিযোগ সূত্র মতে, গত ২৬ মার্চ স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মীরগাং গ্রামের খোকন মন্ডলের ছেলে জয়দেব মন্ডল (৩০) সহযোগী স্থানীয় আরএম পরিবহনের সুপার ভাইজার সুজন ওরফে শাকিলের সহযোগীতায় মাইক্রো যোগে শ্যামনগর নিয়ে আসে। অনুসন্ধানে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাছনিয়ার মামা শ্যামনগর থানাকে অবহিত করার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাছনিয়াকে উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারী জয়দেব পালিয়ে যায়। ইউনুস আলী অপহরণকারী জয়দেবকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। শ্যামনগর থানার ওসি হাবিল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাছনিয়াকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপহরণকারী জয়দেবকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
-

শ্যামনগরে জলবায়ু সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আদি যমুনা নদী পরিষ্কার কর্মসূচি
শ্যামনগর প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্যামনগরে উদযাপিত হচ্ছে জলবায়ু সপ্তাহ-২০১৯ এরই অংশ হিসেবে ২৯ মার্চ সকাল ১০টায় উপজেলা সদরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া আদি যমুনা নদী পরিস্কার কর্মসূচি পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে জলবায়ু পরিষদের কর্মীরা স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে প্রায় ২ঘন্টা ব্যাপী আদি যমুনা নদীর আর্বজনা পরিস্কার কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এসময় উপজেলা জলবায়ু পরিষদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মোঃ নাজিমুদ্দীন, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম ও মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন অর রশিদ। জলবায়ু পরিষদ কর্মী সুপর্ণা কর্মকারের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক নিদর্শন এই আদি যমুনা মৃত্যু প্রায়। একে পুনরুদ্ধার ও প্রবাহ মান করতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বক্তারা এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
-

তালায় পাটের গুদামে আগুন, পুড়ে গেছে দুই’শ মন পাট ও পাঁচটি গরু
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় পাটের গুদামে আগুন লেগে প্রায় দু’শত মন পাট পুড়ে ভুস্মিভুত ও পাঁচটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। আগুনে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবী। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তেরছি গ্রামে এঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তেরছি গ্রামের মৃত রাজ্জাক মোড়লের ছেলে আব্দুল হামিদ মোড়লের নিজ বাড়ীতে রক্ষিত পাটের গুদামে আগুন লাগে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ঘরে রক্ষিত প্রায় দু’শত মন পাট পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। সাথে সাথে ৫টি গরুও আগুনে পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকালে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কি কারণে আগুনের সুত্রপাত তা জানা যায়নি। -

বনানীতে আগুনে নিহত অন্তত ১৯
ডেস্ক রিপোট: রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে এতে ৭০ জন আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। নিহতরা হলেন, শ্রীলঙ্কান নাগরিক নিরস (কুর্মিটোলা হাসপাতাল), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বালুগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭) বনানী ক্লিনিক, দিনাজপুর জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে মামুন (ইউনাইটেড হাসপাতাল, আমিনা ইয়াসমিন (৪০) (এ্যাপোলো হাসপাতাল), আবদুল্লাহ ফারুক (ঢাকা মেডিকেল), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)। পরবর্তীতে ওই ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া বাকিদের নাম জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের ওই ভবনটির ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। এছাড়াও ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি) ও মোটরসাইকেল ইউনিটও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মীরা ভেতরে অবস্থান করছেন। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান। আগুন লাগার ঘটনায় স্থানীয় এমপি আকবর হোসেন পাঠান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছেন। জানা গেছে, ভবনটিতে দ্যা ওয়েভ গ্রুপ, হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস, আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড ছাড়াও অর্ধশতাধিক অফিস রয়েছে।
-

শ্যামনগরে ২৭-৩১ মার্চ জলবায়ু সপ্তাহ উদ্বোধন
শ্যামনগর ব্যুরো: জলবায়ু সুশাসনের দাবিতে বুধবার শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের অনুপ্রেরনায় সপ্তাহ ব্যাপী জলবায়ু সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের শুরুতেই শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জলবায়ু সপ্তাহের যুবদের স্যাইকেল র্যালীর পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যন এস.এম.মহাসীন উল মূলক, সহকারী কমিশনার ভ্ূমি সুজন সরকার, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমান, জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ মোঃ নাজিমুদ্দীন, সদস্য সচিব, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ, দেব প্রসাদ মন্ডল প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্যাইকেল র্যালী সহকারে জলবায়ু অর্থায়ন ও দুর্যোগ প্রশমনে ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্ররিকল্পনা প্রনয়ন করা, উপজেলার সকল জলবায়ু প্রকল্পের বিল বোড স্থাপন করা, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং দুর্যোগ প্রবন অঞ্চলে অগ্রাধিকার দিয়ে তহবিল বরাদ্দ করা, সকলের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা, উপকুলীয় নিরাপত্তার জন্য বাঁধ সহ সকল গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামোত করার কাজে স্থানীয় সরকারকে অন্তভূক্ত করার দাবীসহ অন্যান্য দাবীতে জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগর ও গ্রুপ নের্তৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক সহ স্থানীয়দের অংশগ্রহণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার এমপি, সাতক্ষীরা ০৪ আসনের এমপি এস.এম.জগলুল হায়দার, শ্যামনগর সরকারী মহাসীন কলেজের অধ্যক্ষ তন্ময় কুমার সাহা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যন এস.এম.মহাসীন উল মূলক, সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার, নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জুলফিকার আল মেহেদী লিটন এবং বুড়িগোয়ালিনী ও আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্বারক লিপি প্রদান কালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার এমপি, সাতক্ষীরা ০৪ আসনের এমপি এস.এম.জগলুল হায়দার সহ অন্যান্যরা প্রস্তাবিত দাবীর সাথে একমত পোষন করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি, এ.কে. ফজলুল হক, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম. আতাউল হক দোলন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস.এম.মহাসীন উল মূলক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলিসহ প্রমুখ। জলবায়ু সপ্তাহের প্রথম দিনেই ব্যানার, ফেস্টুন, বাদ্য বাজনা সহকারে যুবরা সুন্দরবন সংলগ্ন নীলডুমুর খেয়াঘাট, নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয় ও গাবুরার ইউপির দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প সংলগ্ন পুকুর পাড়ে জলবায়ু সুশাষন ও ন্যায্যতার দাবিতে মানববন্ধন করা হয় এবং মানববন্ধনে স্থানীয়রা একমত পোষন করে অংশগ্রহণ করে। জলবায়ু পরিষদের উদ্যোগে ২৭-৩১ মার্চ’১৯ পর্যন্ত জলবায়ু সপ্তাহে জলবায়ু সুশাসন বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল ২৮ মার্চ দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়।