Blog

  • সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ আসাদুল গাজী নামের এক ব্যক্তি আটক

    সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ আসাদুল গাজী নামের এক ব্যক্তি আটক

    সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ আসাদুল গাজী নামের এক ব্যক্তি আটক

    সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ আসাদুল গাজী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার রাতে দেবহাটার কুলপুকুর মোড় এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়।

    আটক আসাদুল গাজী (৩২) দেবহাটা উপজেলার কালাবাড়িয়া গ্রামের মৃত জাফর গাজীর ছেলে।

    সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, কুলপুকুর এলাকায় অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দু’জন ব্যক্তির মধ্যে একজন পালিয়ে যায়। অপরজন আসাদুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তার পরিহিত জ্যাকেট থেকে ২টি ও প্যান্টের পকেট থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল,৬ টি ম্যাগাজিন ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আটক আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে দেবহাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

  • আশাশুনিতে মৎস‍্য ঘেরের বাসা ও নেট পাটা ভাংচুর করে লক্ষাদিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ 

    বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে মৎস্য ঘেরের বাসা ও নেট পাটা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে আদালতপুর গ্রামের মৃত করিম শেখের ছেলে মোঃ নজির উদ্দিন শেখ (৬৯) বাদি হয়ে আদালতপুর গ্রামের মোছেল সরদারের ছেলে শামীম সরদার, মুনছুর গাজীর ছেলে বাবু গাজী, শাহিনুর মিস্ত্রীর ছেলে পলাশ মিস্ত্রী, হাফিজুল সরদারের ছেলে জুয়েল সরদার,
    কোদন্ডা গ্রামের আজিজ গাজীর ছেলে সাদ্দাম গাজী, দূর্গাপুর গ্রামের বাহাদুর ঢালীর ছেলে খায়রুল ঢালী ও তরিকুল ঢালী সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ ও বাদির সাথে কথা বলে জানা গেছে বাদি কোদন্ডা মৌজায় ২৪৮ নং খতিয়ানের ২৪৮৫ দাগে আনুমানিক ২৫ বিঘা জমির ঘেরে শান্তিপূর্ণ ভাবে মৎস্য চাষ করে আসছিলো। উল্লেখিত বিবাদীরা ০৩/০১/২৫ তারিখ সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অনাধিকারে মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে ঘেরের বাসা ও নেট পাটা ভাংচুর করে জাল টেনে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। সেখানে নতুন ঘর নির্মাণকালে বাদি বাধা দিতে গেলে উল্লেখিত বিবাদীরা তাদেরকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে খুন করার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় বাদি পুনরায় মাছ চাষ, ক্ষতি পুরন পেতে ও শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য চাষ করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে আশাশুনি থানার ডিউটিরত অফিসার এসআই নাহিদুজামান জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ইমারজেন্সি ডিউটির ফোর্স পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষকে স্ব স্ব কাগজপত্র নিয়ে সোমবারে থানায় আসার কথা বলা হয়েছে।
  • আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতেও ছিল: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

    আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতেও ছিল: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

    নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতে ছিল, হোটেলে ছিল, পার্সোনাল বাড়িতেও ছিল। আপনারা শুধু এক জায়গার কথা জানেন। বাকি কথা জানেন না। অচিরেই হয়ত জানতে পারবেন।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় খুলনার সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী ও ৫৬ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

    উপদেষ্টা বলেন, যতদিন আমরা থাকি চেষ্টা করবো মানুষ ও দেশের জন্য কিছু করার। দেশটা এমন তছনছ হয়ে গেছে যে ঠিক করা ভেরি ডিফিকাল্ট, শুধু আমাদের জন্য না, আগামীতে যারা সরকারে আসবে তাদের জন্যও। সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই দেশে এমন চুরি হয়েছে এই চুরিকে আমি সাগর চুরি বলি না, প্রশান্ত মহাসাগরের মতো চুরি হয়েছে।

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার তরুণ অকাতরে জীবন দিয়েছে। আমরা সবাই তাদের এই দানকে স্বীকার করি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

    উপদেষ্টা বলেন, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ আয়তনে ছোট হলেও এটি অনেক বড় বড় ব্যক্তির জন্ম দিয়েছে। খুলনার উন্নয়নে এই কলেজের অবদান অনেক। তবে অনেক পুরোনো কলেজ হিসেবে এর অবকাঠামোর যতটা উন্নতি হওয়া উচিত ছিলো ততটা হয়নি। কলেজটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন জানিয়ে কলেজের উন্নয়নে অনুষ্ঠানে উত্থাপিত তিনটি দাবির বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস দেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

    তিনি আরও বলেন, এক সময় খুলনা শহরে মোংলা পোর্টের অফিস ছিলো। আমদানিকারক, শিপিং এজেন্টসহ সবার প্রয়োজনে আবার এই অফিসটি খুলনা শহরে ফিরিয়ে আনতে হবে। মোংলা পোর্ট খুলনার পোর্ট, তাই এটিকে বাঁচিয়ে রাখা ও আরো কার্যকর করার দায়িত্ব আপনাদের সকলের। এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ না হলে বন্দরটির পুর্ণ বিকাশ হবে না, এক্ষেত্রে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ট্যারিফ কমিয়ে আমদানিকারকদের এ বন্দর ব্যবহারে আরও আগ্রহী করে তুলতে হবে।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডাইরক্টিং স্টাফ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নজরুল ইমলাম মঞ্জু এবং সাবেক শিক্ষার্থী ও জাতীয় গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য নূর খান। এতে সভাপতিত্ব করেন সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তাহের মোঃ আনিছুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মোল্লা মারুফ রশীদ।

  • দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে : জামায়া‌তের আমির

    দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে : জামায়া‌তের আমির

    জামায়া‌তে ইসলামীর আমির ডা. শ‌ফিকুর রহমান ব‌লে‌ছেন, স্বাধীনতার পরে দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে। কম-বেশি সবাই এ জাতিকে কষ্ট দিয়ে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে গত ১৫ বছর যারা ছিল। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীদের দিয়ে শুরু করে একটার পর একটা হত্যাকাণ্ড চলিয়েছে তারা। সর্বশেষ ২০২৪ সালে নিজের দেশের মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে নাটোর জেলা জামায়া‌তের কর্মী স‌ম্মেল‌নে প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

    শ‌ফিকুর রহমান বলেন, এতো মানুষ কেন জীবন দিয়েছে? তারা বৈষম্যহীন সমাজ চায়। তারা বলেছে, আমরা চাঁদাবাজি বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। দশমাসের সন্তান থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধরা জুলাই আন্দোলনে নেমেছিল। সব শ্রেণি পেশার মানুষ আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছিল।

    ‘আওয়ামী লীগ বিভিন্ন দলের দেশ প্রেমিক নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। নির্বাচন তাদের জন্য, যারা দেশের মাটিকে আমানত মনে করে। আমরা চাই অতিদ্রুত সংস্কার করে দেশে একটি নির্বাচন হোক। আশা করি তারা সেই দিকেই যাবে।’

    জামায়াতের আমির ব‌লেন, যারা বাংলাদেশে অকাম-কুমাম করেছে, তারাই মানুষকে চোর বলতো। যারা মানুষের সম্পদ, ইজ্জতের ওপর হাত দিচ্ছে না তাদের মানুষ গ্রহণ করবে। পট পরিবর্তনের পর নেতাকর্মীদের বলেছি, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, সবাই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আন্দোলনে হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুবকের হাতকে দেশ গড়ার হাতে পরিণত করব।

    তিনি আরও বলেন, আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারো হাতে যাওয়ার জন্য নয়। কারো লাল চোখ আমরা দেখতে চাই না। জামায়াত ইসলাম বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ করতে চায়। আমরা বিভেদ নয়, ঐক্য চাই। এদেশের হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই গর্বিত নাগরিক।

    জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, মোবারক হোসেন প্রমুখ।

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি অনুমোদন

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি অনুমোদন

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তৃতির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলায় ১৬৯ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।

    কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় আগামী ছয় মাসের জন্য সাতক্ষীরা জেলার এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা
    আহ্বায়ক কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরাফাত হোসাইন, আর সদস্যসচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সুহাইল মাহদীন। মুখ্য সংগঠক আল শাহরিয়ার এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোহেনী পারভীন।কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন মুজাহিদুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান, মাসুম বিল্লাহ, সোহেলী তামান্না, মইনুল ইসলাম দীপু, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আরও আটজন।যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. নাজমুল হোসেন, মো: রেজওয়ান আহমেদ, ওমর তাসনিম রাহাতসহ আরও সাতজন।

    সংগঠক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মো: হাসিবুল হাসান, আমিনুর রহমান রাতুল, শেখ ওমর ফারুকসহ মোট সাতজন। এ ছাড়াও ১২২ জন সদস্য কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

  • কলারোয়ায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত

    কলারোয়ায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত

    কলারোয়া প্রতিনিধি :
    ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ও শেখ হাসিনা গাড়ি বহর হামলার মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী চার সাবেক ছাত্রনেতার স্মরণে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রীতি ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    কলারোয়া উপজেলা ছাত্রদলের আয়োজনে শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) সকালে কলারোয়া সরকারি জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় ও বিএনপির দলীয় পতাকা উত্তোলন মধ্য দিয়ে ক্রিকেট খেলা উদ্বোধন করা হয়।
    প্রীতি ক্রিকেট খেলায় সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদলের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন, কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রকিব মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বাচ্চু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন, পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সহিদুর রহমান আসিক, আমিনুর রহমান রিংকু প্রমুখ।
    এরআগে সকালে শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলার মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী চার সাবেক ছাত্রনেতার স্মরণে ১মিনিট নিরাবতা পালন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

  • সাতক্ষীরার সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ আনিসুর রহিমের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরার সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ আনিসুর রহিমের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মোঃ আনিসুর রহিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে মরহুমের কবর জিয়ারত, কোরআনখানী, প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাধ্যক্ষ ছন্দা রাহা।  সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মরহুমের স্ত্রী ড. দিলারা বেগম, ভ্রাতা সাবেক যুগ্ম সচিব আহমেদুর রহিম, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, আবুল কালাম আজাদ, মমতাজ আহমেদ বাপি, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, রাজনীতিবীদ শেখ হারুণ অর রশিদ, আবুল হোসেন, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, অ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, রবিউল ইসলাম রবি, আলী নুর খান বাবলু, অধ্যক্ষ মোবাচ্ছেরুল হক জ্যোতি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, সুরেশ পান্ডে, আমিনা বিলকিস ময়না, মানবাধিকার কর্মী অ্যাড. মনির উদ্দীন, শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম সানা প্রমুখ। শিশুদের পক্ষ থেকে কোরআন তেলওয়াত, গীতা পাঠ এরং বক্তব্য রাখেন ফারহানুল ইসলাম লাবিব, তাজনিম জাহান জুই ও অংকিত মিত্র।

    বক্তারা বলেন, আনিসুর রহিম শুধুমাত্র একজন সাহসী সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষের পাশে থাকার জন্য সরকারি কলেজের চাকুরী ছেড়ে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে দুঃসাহসিক ভূমিকা পালন করেও তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেননি। পারিবারিক বিত্ত বৈভবের মধ্যে আয়েশে জীবন কাটানোর সুযোগ ফেলে আজীবন চলেছেন গরীব দুখী মেহনতী মানুষের সাথে। তিনি ছিলেন একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

  • ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ!

    ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ!

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যানজট নিরসনের নামে ট্রাক থেকে জোর পূর্বক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
    শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস সবুর ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত সংগঠনের অফিসিয়াল প্যাডে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক মালিক সমিতি জেলাতে দীর্ঘদিন ট্রাক মালিক এবং শ্রমিকদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ট্রাক মালিক সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খাস জমিতে একটি ট্রাক টার্মিনাল স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ভোমরা স্থলবন্দরের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে বন্দরে আগত ট্রাক হতে যানজট নিরসনের নামে ট্রাক প্রতি জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে ট্রাক মালিক এবং শ্রমিকদের মাঝে মারমুখি অবস্থান বিরাজ করছে। ভোমরা স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে অনতিবিলম্বে বন্দরে যানজট নিরসন পার্কিং এর নামে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। অন্যথায় ভোমরা স্থলবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং রাজস্ব আদায় ব্যাহত হওয়ার আশংঙ্কা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
    এদিকে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোমরা স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে প্রবেশদ্বারে কিছু স্থানীয় যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন ট্রাক দাঁড় করিয়ে জোর পূর্বক একটি চাঁদা আদায়ের রশিদ হাতে ধরিয়ে দিয়ে ৫০টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এসময় তাদের ওই যুবকদের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে কিসের টাকা নেওয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসা করা হলে তাদের মধ্য থেকে শহিদুল ডাকাত নামক এক ব্যক্তি জানান, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসানের নির্দেশে যানজট নিরসনে ট্রাক পার্কিং বাবদ ৫০টাকা নিয়ে একটি করে স্লিপ দেয়া হচ্ছে। এটা কোন চাঁদাবাজি না। যা ভোমরা স্থবন্দর ট্রাফিকও জানে। আর যা কথা বলার দরকার আপনারা সিএন্ডএফ সভাপতির সাথে কথা বলেন। বন্দরের কয়েকজন ট্রাক চালকের সাথে চাঁদাবাজির বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, যানজট নিরসনের জন্য বন্দরের প্রবেশদ্বারে আসলেই জোর পূর্বক কিছু যুবক ট্রাক প্রতি ৫০টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে। প্রতিদিন এ বন্দরে ৩শ থেকে ৪শ ট্রাক হতে প্রায় ২০হাজার টাকা অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করছে।
    এ ব্যাপারে ভোমরার সিএন্ডএফ’র সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, যানজট নিরসনের জন্য স্থানীয়রা এ উদ্যোগ নিয়েছে। ট্রাক প্রতি টাকা নেওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি আরো জানান, স্থানীয় সাদ্দাম, মন্টুসহ কিছু যুবক যানজট নিরসনে কাজ করছে। তারা আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে।
    ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ সভাপতি আবু হাসান ৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা বন্দরের কয়েকটি সংগঠনের সাথে কথা বলে যানজট নিরসনের জন্য সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে সব কিছু করা হয়েছে। আর যারা কাজ করছে খরচ হিসেবে এ টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু একটি কুচক্রিমহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভাবে এসব চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছে।
    ভোমরা স্থবন্দর ট্রাফিকের উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনা আমার জানা নেই। আর যদি কেউ বাইরে চাঁদাবাজি করে সেটা আমাদের কিছু করার নেই। তার জন্য প্রশাসন দেখবে বলে জানান।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বলেন, একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছি। সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে, যদি এধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
    এই ব্যাপারে ট্রাক মালিকরা দ্রুত চাঁদাবাজি বন্ধ করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • চাঁদাবাজ সফি বেপরোয়া!

    চাঁদাবাজ সফি বেপরোয়া!

    অতিষ্ঠ সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড

    বিশেষ প্রতিবেদক:

    সাতক্ষীরায় বিগত সরকারের সময়ে সুযোগ-সুবিধা ভোগকারী ঠিকাদার সফিউর রহমান সফির অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। সফি চাঁদা আদায়ে ব্যবহার করতেন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সংসদ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে। আলোচিত সফির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত গণঅভিযোগ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন-দুদক, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জমা দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে সফিউর রহমান সফি বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে অর্থ আদায় করেছেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৫ বছর নিজেকে আওয়ামী লীগ সরকারের লোক, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা, বিগত সরকারের একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দু’টি বিভাগে (পওর-১ ও ২) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রাখতেন এই সফি। ঠিকাদারি কাজের চেয়ে তার আগ্রহ বেশি ছিলো চাঁদাবাজিতে। ইচ্ছামত চাঁদা দাবি করতেন, না দিলেই হয়রানি। ফোন ধরিয়ে দেওয়া হতো কথিত ওই দুই কর্মকর্তাকে। নতুন কাজের টেন্ডার হলেই তাকে একটা কাজ দেওয়াই লাগতো। নিজের লাইসেন্স না থাকার পরও এভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের। ওই সময়ে শফির চাঁদাবাজির বিষয়টি প্রকাশ্যে না আসলেও এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এসব কর্মকর্তারা।

    অভিযোগকারী এলাকাবাসী জানায়, বিগত ২০০৩-২০০৪ সালে মানবপাচার করে শফি ও তার সহযোগীরা অর্থ আদায় করে কয়েকজনকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা হলেন, পাবনা জেলার মোঃ সুলতানের ছেলে আজিম ওরফে জুয়েল, মোঃ কলিমুদ্দিন বিশ^াসের ছেলে মোঃ ইলিয়াস, মোঃ আরিফ হোসেনের ছেলে মোঃ ফিরোজ, রাঙ্গামাটি জেলার মোঃ আসলাম হোসেনের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন, ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার সত্যনগর গ্রামের মোস্তফা চৌধুরী ও আনোয়ার হোসেনের পরিবারের কাছ থেকে প্রায় পনেরো লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট আত্মসাত করে। এই ঘটনায় আদালত শফিকে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।

    এছাড়াও শফি ঢাকা, নীলফামারী ও সাতক্ষীরা জেলার ১০ থেকে ১৫ জনের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সফি তার বর্তমান শ্যালিকার (স্ত্রীর বোন) সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ধরণের চাপ প্রদান করে। শ্যালিকা রাজি না হয়ে পরিবারের মতে বিয়ে করেন। সে কারনে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন লোকজন দিয়ে মামলা করে তাদের পারিবারিক জীবন বিষিয়ে তুলেছেন বলেও কার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, সফির বাড়ির সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস হওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলীদেরকে জিম্মি করে রাখতে নানা পন্থা অবলম্বন করেন। অফিসাররা যদি তার কথা না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনে বিভিন্ন আবেদন করে। নিজের কোন লাইসেন্স না থাকলেও তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীদের অন্যের নামে কাজ দিতে বাধ্য করেন। এর আগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল খায়েরের কাছ থেকেও অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেছে সে। পরে তিনি অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে লাগাতার বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে।

    বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিনের নিকট হতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অর্থ আদায় করেছে। পওর-১ ডিভিশন থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়েছে সফি। গত ১৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ২ লাখ ও ১ লাখ করে দুটি স্লিপে মোট তিন লক্ষ টাকা ৩ লাখ টাকা সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় মেসার্স শফি এন্টারপ্রাইজ নামের একাউন্টে জমা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিএনপি অফিসের নাম করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীর থেকে মোট অংকের চাঁদা নিয়েছে।

    এদিকে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন রূপ ধারণ করেছেন ভয়ঙ্কর সফিউর রহমান সফি। জানা গেছে, বর্তমানে নিজেকে বিএনপির স্থানীয় নেতা পরিচয় দিয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ এর নিকট থেকে সম্প্রতি দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন সফি। একইভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী-২ এর নিকট থেকে শহরের ইটাগাছাস্থ ওয়ার্ড বিএনপির অফিসের চেয়ার ও টেবিল কেনার জন্য ২৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন কথিত বিএনপি নেতা ও একসময়ের ঠিকাদার সফি।

    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ দুই কর্মকর্তাই সফিকে চাঁদা দেওয়ার বিষয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। তবে, ওই দুই কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রচণ্ড চাপে আছি, আমার মানসিক যন্ত্রণায় আছি। এসব বিষয়ে সংবাদপত্রে না লেখার অনুরোধ করেন দুই নির্বাহী প্রকৌশলী।

    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, সফিউর রহমান সফি নামের কোন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তি আমাদের সংগঠনে নেই। দলের নামে চাঁদা দাবি করেল তাকে আটকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে বলেন এই রাজনীতিবিদ।

    শহরের ইটাগাছা এলাকার শাহীন বলেন, সফি আমাদের এলাকায় থাকলেও তার বাড়ি মূলত সীমান্তে। সাতক্ষীরা শহরে ‘ফটকা সফি’ নামে পরিচিত। তিনি কয়েক বছর আগে ঠিকাদারী করতেন এখন বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শহরের বিভিন্ন শেণিপেশার মানুষের বিরুদ্ধে ভূয়া অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেন। মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করেন। বর্তমানে তার নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই।

    অন্যদিকে, চাঁদাবাজ সফির হাত থেকে রেহাই পাননি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রকৌশলী মো: আবুল খায়ের। তিনি জানান, দুইজন সরকারি কর্মকর্তার ফোন ধরিয়ে দিয়ে সফি তার কাছ থেকে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে জোরপূর্বক চাঁদা নিয়েছে। যার মধ্যে একজন সংসদ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করতেন। টাকার লোভ তার পিছু ছাড়েনি। বিভিন্ন ভূঁয়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে সফি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জিম্মি করতেন। তিনি পরবর্তীতে টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নানান চক্রান্ত করে করেছে এই সফি। তখন টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। সময় পরিবর্তন হয়েছে আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    আবুল খায়ের আরও বলেন, কোন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার পরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যথাক্রমে জিও ও এও জারি করার পরে এডিপিতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কাজেই ভূঁয়া প্রকল্প হলে কখনোই বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। বেড়িবাঁধে টেন্ডারবিহীন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ডিপিএম কাজ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও রুলস অনুযায়ী একটি অনুমোদিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতি কখন কোথায় ব্যবহার করা যাবে সে বিষয়ে সুষ্পষ্টভাবে ক্রয় আইন ও ক্রয় বিধিমালায় বলা আছে। ওই বিধিমালা অনুসরন করে ডিপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করে ফনি, আম্ফান, বুলবুল, ইয়াস বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের পরে সাতক্ষীরা এলাকার বেড়ীবাঁধ মেরামত করা হয়। আম্ফানের সময় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা এতো বেশি হয়েছিল যে সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত মোতায়েন করতে হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে বেড়িবাঁধে ডিপিএম কাজের ঘোষণা করা হয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর মাধ্যমে। তিনি নিজে এসে বাঁধ পরিদর্শন সাপেক্ষে বিবেচনা করেন যে বাঁধে এ মুহূর্তে ডিপিএম পদ্ধতিতে কার্যক্রম গ্রহণ না করা হলে বাঁধের ক্ষতি হবে কি-না এবং বাঁধ ভাঙলে মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে কি-না। এসব বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আলোচনার সিদ্ধান্তের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জরুরি ঘোষণা করেন। কাজেই নির্বাহী প্রকৌশলীর নিজের মনগড়াভাবে ডিপিএম পদ্ধতিতে কাজ বাস্তবায়ন করার কোন সুযোগ নেই। টেন্ডার ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কাজ করার সুযোগ নেই। টেন্ডার ছাড়া যদি ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ কাজ করেন তাহলে ইজিপি’র টেন্ডার আইডি ৫১০৭১৭ কিভাবে আসলো? একটি প্রকল্পের অধীনে আহবানকৃত প্যাকেজের ইজিপি আইডি পাওয়া কখনো প্রকল্প অনুমোদনের আগে সম্ভব নয়।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের নথিপত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং-১, ২, ৬-৮ এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) প্রকল্পটি ০২-০৬-২০২০ খ্রি. তারিখে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। ২৪-০৮-২০২০ খ্রি. তারিখে প্রকল্পটির জিও জারি হয়। ০৮-০৯-২০২০ খ্রি. তারিখে প্রকল্পটির এও জারি করা হয়। ০৫-১১-২০২০ খ্রি. তারিখে বর্ণিত প্যাকেজের দরপত্র আহবান করা হয়। এ প্যাকেজের কাজটি তিনটি স্থানে বাকাল, চরবালিথা ও বলদঘাটায় অবস্থিত। চরবালিথা ও বাকালের তুলনায় বলদঘাটা সীমান্তে প্রাক্কলন অনুযায়ী মাটির পরিমাণ অনেক কম। বলদঘাটা এলাকা সীমান্তবর্তী হওয়ায় কাজ বাস্তবায়নের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাঁধা দেয়ার কারণে কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু বাঁধের অবস্থান সীমান্ত হতে ১৫০ গজের মধ্যে সেহেতু জোরপূর্বক কাজ বাস্তবায়ন করলে উভয় দেশের মধ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। এ কারণে বলদঘাটায় ঠিকাদার কর্তৃক কয়েকবার কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাঁধার কারণে ডিজাইন অনুযায়ী ওই স্থানে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু অবশিষ্ট দুটি স্থানে যথা বাঁকাল ও চরবালিথায় ঠিকাদার কর্তৃক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকাল ও চরবালিথায় বাস্তবায়িত কাজের পরিমাণ অনুযায়ী ঠিকাদারকে রানিং বিল প্রদান করা হয়েছে।

    যে কাজটির চুক্তি মূল্য ৫৪৬.৭২ লক্ষ টাকা। বিল দেয়া হয়েছে ২ কোটি তথা ২০০ লক্ষ টাকা। চরবালিথা ও বাকালের কাজের দৈর্ঘ্য ৫ কি:মি: এবং বলদঘাটাসহ সমগ্র কাজের দৈর্ঘ্য ৯.৪ কি:মি:। কাজেই দৈর্ঘ্য অনুযায়ী সমগ্র প্যাকেজে বাস্তবায়িত কাজের হার ৫৩.১ শতাংশের বেশি। কাজেই ৫৩.১ শতাংশ বাস্তবায়িত কাজের ভিত্তিতে যদি ৩৬.৬ শতাংশ বিল প্রদান করা হয় তাহলে সেখানে কিভাবে দুর্নীতি হয়। বাস্তবায়িত কাজের তুলনায় ঠিকাদারকে কম পরিমাণ বিল প্রদান করা হয়েছে। ঠিকাদারকে কোন গাছের বিল প্রদান করা হয়নি। ঘাসের বিল আংশিক প্রদান করা হয়েছে। দাপ্তরিক কাগজপত্র হতে দেখা যায় ডিপিপি বহির্ভূত কোন স্থানে বিল প্রদান করা হয়নি। সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ করেছে।

    এদিকে, সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী সফিউর রহমান সফির নামে দীর্ঘদিন কোন কার্যাদেশ হয়নি। ঠিকাদারি কাজের নিয়মকানুন না জেনে মানুষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই ধরণের অভিযোগ করেন। ইতোপূর্বে তিনি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে জরুরি কাজ নিয়ে দুদকে আবেদন করেন। তদন্তে তার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এই দরপত্র যখন অনুমোদন করা হয় তখন এ অভিযোগকারী তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট কাজ চেয়েছিলেন। কিন্ত আইন ও বিধি অনুযায়ী তাকে কোন কাজ দেয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য তিনি তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সেই সময়ে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন যে কিভাবে কাজ বাস্তবায়ন করে সে বিষয়টি তিনি দেখে নিবে।

    এদিকে, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, সফিউর রহমানের নিজস্ব কোন লাইসেন্স নেই। কেবলমাত্র এলটিএম’র একটি লাইসেন্স আছে। বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলীকে গতঅর্থবছরে তাকে অন্যের নামে কাজ দিতে বাধ্য করেছেন। সফি সরকারি কাজের বিরুদ্ধে কিংবা দরপত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হাইকোর্টে রিট করে কমর্কর্তা ও ঠিকাদারদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে। ইতোপূর্বে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর খাল পুন:খনন কাজের বিরুদ্ধে ২০২১-২০২২ সালে একটি রিট করে কাজটি অন্যের নামে নিয়ে বিশেষ কায়দায় অর্থ আদায় করেছে। সম্প্রতি সময়ে মজুমদার মানিকতলা খাল নিয়ে রিট করেছেন।

    সফির ব্যবহৃত পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িটি অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস চত্তরে রেখেছেন। এই বিষয়ে কারও টু-শব্দ করার ক্ষমতা নেই। কারন হিসেবে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে দুদকের ভয় দেখান তিনি। দুদকে অভিযোগ করবেন- এমন হুমকি দিয়ে অফিসের যে কোন ধরণের কাজ করেন লাইসেন্স বাতিল হওয়া ঠিকাদার শফি। তার কাজে বাঁধা দেওয়ার মত কেউ নেই- এমন ধারণা অন্যদের!

    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস চত্ত্বরে পুলিশের স্টিকারযুক্ত গাড়ি কিভাবে থাকে ও গাড়ির মালিক কে? এমন প্রশ্নের জবাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান জানান, আমি এই ব্যাপারে কোন তথ্য দিতে পারবো না, পরে জানাবো।

    এদিকে, খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, সফির গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহ গ্রামে। গ্রামে বসবাসকালীন সময়ে সীমান্ত দিয়ে সোনা ও গরু চোরাকারবারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সফির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন জনসাধারণ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সে প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় গরুর খাটাল, মাদক, অস্ত্র, শাড়ি কাপড় ও স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িয়ে পরে। সফি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চোরাচালানি ও হুন্ডি ব্যবসায়ী বলেও জানা গেছে। তদন্ত করলে তার অপরাধের রাম রাজত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে। এলাকায় প্রচলিত আছে বীমার টাকা পাওয়ার জন্য সে তার পূর্বের দুই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তার পূর্বের স্ত্রীদের সন্তানদের নিকট তথ্য সংগ্রহ করা হলে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।

    এই বিষয়ে অভিযুক্ত সফিউর রহমান সফির সাথে যোগাযোগ করা হরে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঠিকাদার তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডে আমার যাতায়াত আছে। আমি ফকির না যে বিএনপির অফিসের জন্য টাকা নেব। আমি কখনও খারাপ কাজ করিনি।

  • ব্রহ্মরাজপুর ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

    ব্রহ্মরাজপুর ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা :বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে জেয়ালা বায়তুল মামুর   জামে মসজিদে এ যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    যুব সমাবেশে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৯ নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা জাকির হোসাইন।
    ৯ নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জামায়াতের আমির মাওলানা মোশারফ হোসাইন।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা  সহকারী সেক্রেটারি  মাওলানা মাহফুজুর রহমান, সদর উপজেলা  জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সবুর ও অধ্যাপক সহিদুল রহমান,মাওলানা ওসমান গণি,ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন টিম সদস্য  মাওলানা রফিকুল ইসলাম, হাফেজ নজরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল লতিফ,হাফেজ নজরুল ইসলাম, হাফেজ শাহিদুজ্জামান, এবাদুল ইসলাম, প্রমুখ।
  • সাতক্ষীরায়  ১২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ

    সাতক্ষীরায়  ১২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ

    সাতক্ষীরা সীমান্তে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেছে বিজিবি।
    সোমবার (২৩ ডিসেম্বর)  সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ ভোমরা বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১২ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
    সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ ভোমরা বিওপির দায়িত্বাধীন লক্ষীদাড়ি নামক স্থান দিয়ে মাদকদ্রব্য ভারত হতে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে আগমন করবে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ৩ হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন লক্ষীদাড়ি  নামক স্থানে চোরাচালানী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চোরাকারবারীরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে মালামাল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। উক্ত স্থানে তল্লাশী করে ১২ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
    বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।
    দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
  • সাতক্ষীরায়  পৌর বিএনপি’র র‍্যালি ও আলোচনা সভা

    সাতক্ষীরায় পৌর বিএনপি’র র‍্যালি ও আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
    কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও
    বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে শহরের পরিবহন কাউন্টারের সামনে
    সাতক্ষীরা পৌর বিএনপি’র আয়োজনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল-মামুন রাজ’ুর
    সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক
    সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মো. আবুল হাসান হাদী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
    বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের মূল নায়ক হচ্ছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঘুনে
    ধরা রাষ্ট্রকে ঘষে মেজে পরিস্কার ও সংস্কার করার জন্যই এই ৩১ দফা দিয়েছেন। কিন্তু এতে করে শহীদ
    প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯দফার কোন ক্ষতি বা পরিবর্তন হয়নি। তিনি সে সময়ে দেশের
    এবং দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এই ১৯দফা দিয়েছিলেন।
    তিনি আরো বলেন, সব থেকে ঘৃন্য ব্যক্তি হচ্ছে পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনা।
    তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোন কাজ নাই যে করেন নি। মাত্র ৩৬ দিন এই খুনি হাসিনা প্রায়
    ষোলশ এর বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। সেইসাথে গুরুতর আহত হয়েছে প্রায় ২০হাজারের বেশী।
    অনেকে পঙ্গু ও অন্ধ হয়ে গেছেন। এই নিসংশ হত্যাকান্ডেরও দ্রুততার সাথে বিচার কারার দাবী জানান
    তিনি।”
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রভাষক আতাউর রহমান ও জেলা
    যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা প্রমুখ। আলোচনা
    সভার শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চায়না বাংলা
    শপিং সেন্টারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় র‍্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শাহজাহান
    বিশ্বাস, কামরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মধু, আরিফ, আলমাস, সুজন, বকুল, শাহিন, সাইফুল, মন্টু,
    মোন্তাজ,সাইফুল, আনারুল, সালাম, নিশাত, সাদ্দাম, ইভান, আজিজ, রফিকুল ইসলামসহ পৌর বিএনপ্#ি৩৯;র
    বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষক দলের
    সাবেক সদস্য সচিব শাহিনুর রহমান শাহিন।
    ক্যাপশন : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির
    সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় পৌর বিএনপি’র
    উদ্যোগে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন মো. আবুল হাসান হাদী।

  • আশাশুনি আলহাজ্ব সামছুর রহমান এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসা ৪ শিক্ষার্থীর হেফজ সমাপ্ত ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি আলহাজ্ব সামছুর রহমান এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসা ৪ শিক্ষার্থীর হেফজ সমাপ্ত ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

    আব্দুল করিমঃ আশাশুনি আলহাজ্ব সামছুর রহমান এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসা হেফজ সমাপ্ত ও দোয়া অনুষ্ঠান হাফেজ আবু হুসাইন বুলবুল এে পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০ ঘটিকা হতে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা বশির আহম্মেদ সাহেবের দোলাভাই মোঃ রিজাউর করিম তিনি বলেন জিবন্ত কোরআন হলেন হাফেজেরা। আজ যারা এখান থেকে হেফজ সমাপ্ত করল তাদের উচিত হবে এটা মৃত্যের আগ পযন্ত ধরে রাখার জন্য যা করা দরকার যেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
    বিশেস অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন  হা. জাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক শিক্ষক হা. ওলিউলর রহমান, হা. মোঃ ইউনুস আলী।
    মাদরাসায় বতর্মানে ৫০ জন ছাত্র কোরআন কারিম হেফজ বিভাগে অধ্যায়নরত আছ। আজ হেফজ শেষ কর মোঃ সোলাইমান হোসাইন, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ বায়জিদ হোসেন, মোঃ আবু হুরাইরা। মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ কারী মাওঃ মোঃ আবু হুসাইন বুলবুল সকলের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া মোনাজাত করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
  • ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

    ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

    সাতক্ষীরার ভোমরার ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ আলী হাসান খান হাবলু ও সদস্য সচিব শেখ আজিজুর রহমান সেলিম কর্তৃক ২১ ডিসেম্বর (শনিবার) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সু-স্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সাতক্ষীরা পৌর শাখার ৯ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিককে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হইল। দলের নেতা কর্মীদের তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো। স্বেচ্ছাসেবক দল পৌর কমিটির আহ্বায়ক আলী হাসান খান হাবলু ও সদস্য সচিব শেখ আজিজুর রহমান সেলিম আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

    প্রসঙ্গত, ভোমরার মেসার্স মা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আমির হামজার কর্মচারী শওকত আলী ও ওবায়দুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক থেকে ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫শ’ টাকা তুলে মোটরসাইকেলে ভোমরায় যাচ্ছিল। শওকত আলী মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এবং ওবায়দুল্লাহ টাকার ব্যাগ নিয়ে তার পিছনে বসে ছিল।

    একপর্যায় বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের আলিপুর ঢালীপাড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশনের সামনে বালির গাদার কাছে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা হাতুড়ি দিয়ে শওকাতের মাথায় আঘাত করলে তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। এসময় ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ছিনতাইকারী মেহেদী হাসান মুন্নাকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের সোপর্দ করা। বাকি ৪ ছিনতাইকারী টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

    এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আমির হামজা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেহেদী হাসান মুন্না শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুজাতা আমিন এর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এসময় সে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের সাথে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিকসহ পাঁচজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

  • রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার

    রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার

    চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধপথে ২০০ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা এক হাজার ১৪৫ কো‌টি টাকা।

    রোববার (২২ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে দেশের প্রবাসী আয় রেকর্ড তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হবে বলে আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডিসেম্বরের মাসের প্রথম ২১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

    ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) ডলার এবং নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি (২ দশমিক ২০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

    ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।

  • দুই মাসে বাংলাদেশে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

    দুই মাসে বাংলাদেশে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

    পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির কারণে রাখাইন থেকে গত দুই মাসে বাংলাদেশে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই দুর্নীতির কারণে জল-স্থল সীমান্তের নানা রুট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে।

    রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজ মন্ত্রণালয়ে সদ্যসমাপ্ত ব্যাংকক সফর নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসার সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংককে ছয় দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ে।

    গত দুই মাসে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের নীতিগতভাবে অবস্থান ছিল আর কোনো রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেব না। তবে পরিস্থিতি কখনো কখনো এমন দাঁড়ায় যে আমাদের কিছু আর করার থাকে না। সে রকম পরিস্থিতিতে আমরা ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে যে তাঁদের ঢুকতে দিয়েছি, তা–ও নয়, তাঁরা বিভিন্ন পথে ঢুকেছে।’

    তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আর একটি কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রচুর দুর্নীতি আছে সীমান্তে। এটা অস্বীকার করার কোনো অর্থ নেই। দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর ঢুকে যাচ্ছে (রোহিঙ্গারা)। নৌকা নিয়ে ঢুকছে। তবে একটা সীমান্ত দিয়ে যে ঢুকছে বিষয়টা এমন নয়। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে যে ঢুকছে এটা আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে। তবে আমি মনে করি না আর একটি ঢল আসবে। যদিও অনেকে আশঙ্কা করছেন। এই আশঙ্কা আমাদেরও আছে। তবে সেই ঢলকে আটকানোর ব্যবস্থা করতে হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়েই।’

    মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তাঁকে (থান সোয়ে) বলেছি মিয়ানমার সীমান্তে তো তোমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। সীমান্ত তো রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তির (নন–স্টেট অ্যাক্টর) নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। রাষ্ট্র হিসেবে তো আমরা নন-স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি না। কাজেই তাদের দেখতে হবে কোন পদ্ধতিতে সীমান্ত ও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

    রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলে কীভাবে অশনিসংকেত সৃষ্টি করছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এখন বয়স্ক যেসব রোহিঙ্গা আছেন, তাঁরা হয়তো পরিস্থিতি মেনে নেবেন। তবে আগামী ৫ বছর পর যেসব তরুণ রোহিঙ্গার বয়স ২০ বছর হবে, তাঁরা বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। তখন আমাদের সমস্যা বেশি হবে ঠিকই, তবে সেই সমস্যা প্রত্যেকেরই হবে। এর মধ্যেই নৌকায় রোহিঙ্গারা অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন।

  • সাতক্ষীরায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

    সাতক্ষীরায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা  :

    কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি।
    রবিবার (২২ডিসেম্বর) বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক
    বিজ্ঞপ্তির সুত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ মাদরা বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে।
    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ মাদরা বিওপির দায়িত্বাধীন রেজারঘাট এবং কালিবাড়ি নামক স্থান দিয়ে চোরাচালানী মালামাল ভারত হতে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে আগমন করবে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর মাদরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস ৮ আরবি হতে আনুমানিক ১০০-১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন রেজারঘাট এবং কালিবাড়ি নামক স্থানে পৃথকভাবে চোরাচালানী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চোরাকারবারীরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে মালামাল ফেলে দৌরে ঘন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। উক্ত স্থানে তল্লাশী করে ৪৫ বোতল ভারতীয় মদ এবং ১,৭৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
    চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
    বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।
    দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন
  • তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ-সমাবেশ

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা :

    তাবলীগ জামাতে সাদপন্থীদের বর্বোরিচত হামলার প্রতিবাদ ও সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি কাজী এরতেজাসহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলকশাস্তির দাবীতে সাতক্ষীরা উলাম পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

    রবিবার ২২ (ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় নিউমার্কেট চত্ত্বর এলাকায় অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনশেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লীপি প্রদান করে।

    তাবলীগ জামায়াতের ভারতীয় নেতা মাওলানা সাদসহ তার অনুসারীদের নিষিদ্ধ করতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভারতীয় নাগরিক সাদ কোনো আলেম না। তিনি আমেরিকা ও ইহুদিদের ইন্ধনে বাংলাদেশের তাবলীগ জামায়াতকে বিভক্ত করতে কাজ করছে। ভারতীয় মুসলিম বিদ্বেষীদের হয়ে ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে হামলা চালিয়ে দেশের শতশত আলেমকে রক্তাক্ত করেছিলেন।

    এমন কি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব, দেশের সর্বমহলের শ্রদ্ধেয় আলেম আব্দুল মালেকসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা করেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় তাবলীগ জামায়াতের শত বছরের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করতেই সাদপন্থীরা কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্র কোনো দিন মেনে নেবে না। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হলো তাবলীগ জামায়াত নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। আর না হলে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে।

    বক্তারা আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সাদপন্থীদের যদি সঠিক বিচার না করা হয় তাহলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। এই সাদপন্থীদের তাবলীগ জামায়াতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ২০১৮ সালে তারা ইজতেমা মাঠে জঙ্গীদের মতো শোডাউন করেছে। তারা বর্তমানে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদীদের মদদে অশান্তি সৃষ্টি করতে কাজ করছে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ওলামায়ে কেরামগণ।