Blog

  • ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

    ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন
    বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ্#৩৯;তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া
    কর্মসূচি-২০২৪-২০২৫ এর আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার
    বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে খেজুরডাঙ্গা, রাজনগর-খেলারডাঙ্গা
    মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস সাতক্ষীরার আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা
    ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
    এবং পুরস্কার বিতরণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।
    অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেজুরডাঙ্গা, রাজনগর-খেলারডাঙ্গা মাধ্যমিক
    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন বি বি কে কানাইলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোরঞ্জন মন্ডল, মাছখোলা
    মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্রদাস পরামানিক, রাজনগর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান,
    বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক জহুরুল হক, কাশেমপুর ছিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক
    আমির হোসেন প্রমুখ। এসময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জেলা ক্রীড়া অফিসের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন
    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খেজুরডাঙ্গা,
    রাজনগর-খেলারডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস।
    ক্যাপশন : তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৪-২০২৫
    এর আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করছেন প্রধান
    অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।
    ক্যাপশন : তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি-২০২৪-২০২৫
    এর আওতায় সাতক্ষীরায় এ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে
    প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।

  • ড্রামের ভোজ্যতেল বিক্রির প্রতিবাদে রাজধানীতে ক্যাবের  মানববন্ধন

    ড্রামের ভোজ্যতেল বিক্রির প্রতিবাদে রাজধানীতে ক্যাবের মানববন্ধন

    নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও দেশে অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ এবং ফুডগ্রেড বিহীন ড্রামের
    ভোজ্যতেল বিক্রির প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর
    উদ্যোগে কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    এতে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া,
    দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, সাবেক
    যুগ্ম সচিব ও ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোহা: শওকত আলী খান, ক্যাব
    কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. বাহাদুর সাজেদা আক্তার ক্যাব নির্বাহী কমিটির
    সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার মীর রেজাউল করিম এবং বাংলাদেশ সাধারণ
    নাগরিক সমাজের আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, সহ অনেকে।
    এসময় বক্তারা বলেন, আইন অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ব্যতীত ভোজ্যতেল
    বাজারজাতকরণ দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ আইন,
    ২০১৩" এবং "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বিধিমালা, ২০১৫" অনুযায়ী, সকল
    ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু নন-ফুড গ্রেড
    ড্রামে বাজারজাত করা খোলা অনিরাপদ ভোজ্যতেল ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে
    নানাবিধ রোগব্যাধি বিশেষত অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
    বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের
    উন্নয়ন এবং সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট জরিপ ২০১৯-২০
    অনুযায়ী ভোজ্যতেলে সরকারের ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ এর মতো পদক্ষেপের ফলে
    ভিটামিন 'এ' এর ঘাটতি কমে আসলেও এখনও বাংলাদেশে ২২ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী
    শিশু ভিটামিন 'এ' স্বল্পতায় ভুগছে। ভিটামিন 'এ' এর অভাবে রাতকানা রোগ, চোখের শুষ্কতা
    ও কর্ণিয়ার ক্ষতি, ইনফেকশন, দেহের বিকাশ বাধাগ্রর হওয়াসহ নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা
    হচ্ছে।
    ‘১ জুলাই ২০২১ হতে অনিরাপদ, অস্বাস্থ্যকর ও ফুডগ্রেডহীন ড্রামে ভোজ্যতেল
    বাজারজাতকরণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং
    রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তুতির ঘাটতির দরুন সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
    পরবর্তীতে সরকার খোলা সয়াবিন তেল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ জুলাই ২০২২ এবং
    খোলা পাম অয়েল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।
    উক্ত সময়ের পর শতভাগ ভোজ্যতেল ফুডগ্রেড বোতল, প্লাস্টিক ফয়েল বা পাউচপ্যাকে
    বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। আইন অনুযায়ী অনিরাপদ প্যাকেজিং

    অর্থাৎ ফুডগ্রেড নয় এমন উপকরণে তৈরি প্যাকেজিং-এ ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ
    দণ্ডনীয় অপরাধ।’
    মানববন্ধনে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩"
    এবং "ভোজ্যতেল ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধকরণ বিধিমালা, ২০১৫" সরকার প্রণয়ন করলেও
    সম্প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন 'মাসখানেক হলো বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে
    খাচ্ছেন এবং খোলা ও বোতলজাত সয়াবিনের মান একই। শুধু দামেই তফাত।' বাণিজ্য
    উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে ক্যাব তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কেননা ইতোমধ্যে গবেষণায়
    দেখা গেছে, দেশের বাজারে ড্রামে বাজারজাতকৃত ৫৯ শতাংশ ভোজ্যতেলই ভিটামিন 'এ'
    সমৃদ্ধ নয় এবং বাকি ৩৪ শতাংশ ভোজ্যতেলে সঠিকমাত্রায় ভিটামিন 'এ' নেই। বাণিজ্য
    উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে ভোজ্যতেল ব্যবসার সাথে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীগণ আইন ভঙ্গ
    করে অস্বাস্থ্যকর ও নন-ফুডগ্রেড খোলা ড্রামে অনিরাপদ ভোজ্যতেল বিক্রি করতে
    উৎসাহিত হবেন, যা আইন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে ক্যাব মনে করে।
    এছাড়াও ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে নন-ফুড গ্রেড ড্রামে ভোজ্যতেল
    বাজারজাত বন্ধকরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহবান জানিয়ে
    অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া বলেন, খোলা ভোজ্যতেলের মারাত্বক ক্ষতির কারণে তা
    বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, বিশেষ করে
    মূল দায়িত্ব যাদের পালন করার কথা, সেই জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের
    কার্যক্রম হতাশজনক। তারা রাষ্ট্রের আদেশ পালনে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
    তারা অস্বাস্থ্যকর এই খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করতে পারছে না বা বন্ধ করছেও না। কিন্তু
    তারা যদি না পারে, তাহলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুক। তবুও ভোক্তার অধিকার
    নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ হোক।
    স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তা তথা ভোক্তা
    অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে নাগরিক সংগঠন ক্যাব। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই
    প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান।
    ক্যাবের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব শ‌ওকত আলী খান বলেন, বিদ্যমান আইন
    লঙ্ঘন করে খোলা বাজারে নন- ফুডগ্রেড ড্রামে ভোজ্যতেল বিক্রয় করা হচ্ছে যা
    স্বাস্থ্যসম্মত নয়, এব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মনিটরিং বাড়াতে
    হবে। ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য জনাব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সম্প্রতি
    মাননীয় বানিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্যের কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে বাজারে
    সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দামে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রয় করছে যা
    জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
    অধিদপ্তরকে জনস্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
    বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মাননীয় বানিজ্য
    উপদেষ্টা নিজেই খোলা ড্রামে বিক্রযকৃত ভোজ্যতেল ব্যবহারের কথা বলার কারণে কতিপয়
    তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট
    সৃষ্টি করে তেলের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে, আমি মনে করি বানিজ্য উপদেষ্টা নিজেই
    সিন্ডিকেটের সদস্য যদি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তেলের বাজার ক্রেতা সাধারণের
    ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আসে তাহলে বানিজ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।
    দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জনাব সারোয়ার ওয়াদুদ
    চৌধুরী ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট এবং মূল্যবৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
    দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সদস্য কর্নেল (অব:) ডঃ প্রকৌশলী
    আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
    ক্যাবের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জনাব অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া বলেন, আমরা
    ক্যাবের পক্ষ থেকে অনেক কষ্ট সহ্য করে ভোক্তা সাধারণের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি

    কিন্তু সরকার যদি জনগণের কল্যাণে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে সেটা অত্যন্ত
    পরিতাপের বিষয়। অতি সম্প্রতি মাননীয় বানিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্যের কারণে ভোজ্যতেলের
    কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিদ্যমান আইন লঙ্ঘন করে খোলা তেল নন
    ফুডগ্রেড ড্রামে বিক্রি করতছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে আমরা মনে
    করি। কারণ এই কেমিক্যাল মিশ্রিত ভোজ্যতেল ব্যবহারের কারণে মানুষ বিভিন্ন দুরারোগ্য
    ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই আমরা মনে করি সামনে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে
    সরকার এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জনস্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে
    পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন যাতে করে মানুষ সুলভ মূল্যে নিরাপদ ভোজ্যতেল ব্যবহারের সুযোগ
    পায়।
    আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় এবং জাতীয় ভোক্তা –
    অধিকার সংরক্ষণ

  • বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে সাতক্ষীরা জামায়াতের ব্যাপক প্রস্তুতি

    বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে সাতক্ষীরা জামায়াতের ব্যাপক প্রস্তুতি

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সফল করতে ১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জেলা নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ওবায় দুল্লাহ, অধ্যাপক ওমর ফারুক, মাওলানা ওসমান গণি, অফিস সেক্রেটারী ছাত্রনেতা রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
    সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মাঠে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের নেতৃত্ব দিবেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। বিকাল সাড়ে ৩টায় এক যোগে শহরের চারটি প্রবেশদার দিয়ে এক সাথে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সরকারী কলেজ মাঠে যেয়ে মিলিত হয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে। দলটির সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান জানান, কর্মসূচি সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, খুলনা রোড মোড় থেকে যে মিছিলটি বের হবেন তার নের্তৃত্বে থাকবেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সদর আমীর মাওলানা মোশাররফ হুসাইন, কলারোয়া উপজেলা আমীর মাও কামরুজ্জামান। আমতলায় নের্তৃত্বে থাকবেন জেলা নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, ডা. মাহমুদুল হক ও তালা আমীর মাওলানা মফিদুল্লাহ। তুফান কোম্পানী মোড়ে নের্তৃত্বে থাকবেন, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মুহাদিস রবিউল বাশার, জেলা সেক্রেটারী মাও, আজিয়র রহমান, সাবেক এম.পি গাজী নজরুল ইসলাম, শহর আমীর মোঃ জাহিদুল ইসলাম, দেবহাটা আমীর মাওলানা. অলিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ আমীর মাওলানা. আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, শ্যামনগর আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান এবং শহর শিবির সভাপতি আল মামুন। আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এতিমখানা মোড়ে নের্তৃত্বে থাকবেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুক ও আশাশুনি উপজেলা আমীর তারিকুজ্জামান তুষার।
    দলটির জেলা রায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা বলেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক। এহেন পরিস্থিতিতে মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমাদের এই বিক্ষোভ সমাবেশে সকলের অংশ গ্রহণ ও গণমাধ্যমের সহযোগীতা কামনা করছি।

  • কোথায় হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার কাজ ?

    কোথায় হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার কাজ ?

    তথ্যপ্রমাণও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নানা অজানা তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে। প্রতিবেদনে অপরাধের নির্দেশদাতা হিসেবে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তুলে ধরা হয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ কী ভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছে তার চিত্র। রিপোর্টের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে কী বলছেন আইন ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা। এর পর আর কীভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ?

    শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যখন বিচারের দাবি উঠছে তখন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন অকাট্য দলিল হিসেবে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে অনেকটাই সহায়ক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন আইন ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

    আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দোষীদের বিচারের আবশ্যকতা ন্যায্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা আরও অনেক বেশি স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছে।এই প্রতিবেদন বিচার কাজের সহায়ক মেটেরিয়াল হিসেবে প্রতিবেদনটির সাক্ষ্য মূল্য রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি

    বাংলাদেশের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামও সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, তাঁরা যে সব তথ্যপ্রমাণ পাচ্ছেন তার সঙ্গে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের সাদৃশ্য রয়েছে এবং এটিকে অকাট্য দলিল হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্যবহার করা যাবে।

    তবে শেখ হাসিনা ও অন্যান্য জড়িতদের বিচারে বাংলাদেশের বিচার কাজের চেয়ে সরকারের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসিতে মামলা করার প্রয়োজন বলে মনে করেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স এর আইনের শিক্ষক আব্বাস ফয়েজ। কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেন এমন গুরুতর বিষয় মোকাবিলা করার আগে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি পরামর্শ তাঁর।

    জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের মধ্যে দিয়ে বিচারের একটি নির্ভরযোগ্য ভিত্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট এলিনা খান। তবে প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম মনে করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে রাষ্ট্র আগ্রহী বা সক্ষম না হলে তখন আইসিসিতে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।

    জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের একটি সাহসী ও নিরপেক্ষ কাজ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে সচেতন মহলে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে।

  • ২০২৪ এর আগস্ট বিপ্লবের পূর্ববর্তী বাংলাদেশের আমরা পুনরাবৃত্তি চাই না

    ২০২৪ এর আগস্ট বিপ্লবের পূর্ববর্তী বাংলাদেশের আমরা পুনরাবৃত্তি চাই না

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আজকে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। চলমান যে সংস্কার প্রক্রিয়া, এই সংস্কার প্রক্রিয়াটির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপের সূচনা লগ্নে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা জানি যে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পরে, বাংলাদেশের সংস্কারের যেই কথাটি খুব জোরেশোরে সামনে আসে এবং সকলেই এই সংস্কারের দাবি জানা বা সংস্কারের চাহিদা বা সকলের কাছেই এই বাংলাদেশে একটি ব্যাপক ভিত্তিক সংস্কার সাধিত হোক। এ অভিপ্রায় সকলেরই ছিল।

    সেই জায়গা থেকে ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছে। সেই ছয়টি কমিশনই তারা তাদের সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা তারা তৈরি করেছে। সেই প্রস্তাবনা নিয়ে এখন জাতীয় ঐক্যমত গঠন করার জন্য ছয়টি কমিশনের প্রধানদেরকে নিয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশনের আগামী দিনের কার্যক্রম পরিচালনার যে রূপরেখা সেটি ঘোষণা করা হয়েছে আজকে এবং সেই আগামী দিনের কার্যক্রম পরিচালনার একটি উদ্বোধনী প্রোগ্রাম ছিল আজকে। সেখানে ছয়টি কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনা গুলো তৈরি করা হয়েছে, সেই প্রস্তাবনাগুলোর ভিত্তিতে তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ইন্ডিভিজুয়াল, আলাদা আলাদা সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকবেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং তাদের কাছ থেকে, তাদের কাছে এই প্রস্তাবনাগুলো কমিশনের প্রস্তুতকৃত প্রস্তাবনাগুলো তাদের কাছে দেয়া হবে আগে। তারা এটাকে এনালাইসিস করবেন, করে তারপরে প্রত্যেক দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনাগুলো সম্পর্কে দলীয় প্রস্তাবনা এবং দলীয় পরামর্শ, মতামত ব্যক্ত করা হবে।তিনি বলেন, সেই ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা একটা টাইম ফ্রেম তিনি ঘোষণা করেছেন যে, আগামী, আশা করা যায় যে ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন হয়ে, সংস্কারগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতে সাধিত হবে। সংবিধান সংস্কার হবে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার হবে, বিচার এবং পুলিশ সহ অন্যান্য যে বিষয়গুলোতে সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে, সকল সংস্কার গুলো সম্পন্ন হবে, এটা আশা করা হচ্ছে।

    আজকে আলোচনার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো আরেকটা বিষয় ব্যাপকভাবে আলোচনায় নিয়ে এসেছিল, সেটি হলো জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই প্রশ্নে আমরা দেখেছি যে, রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগে বিভক্ত রয়েছে। অনেকে এই বর্তমান যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার যে ভন্ডুল অবস্থা, সেই জায়গায় ভঙ্গুর অবস্থার কারণে, অনেকে অনতিবিলম্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবি করেছে। আবার অনেক রাজনৈতিক দল তারা বলেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি এই মুহূর্তে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের দিকে যাওয়া হয় তাহলে এটি একটি সিভিল ওয়ার দিকে পরিবেশ চলে যেতে পারে। এজন্য তারা সতর্ক করেছেন যে কোনভাবেই যেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হয়। সেই সাথে সকলে আরেকটি বিষয় ঐক্যমত পোষণ করেছে এবং সকলের অভিন্ন ঘোষণা ছিল, যেন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এবং সেই ফ্যাসিবাদী শক্তি, তাদেরকে যেন কোনভাবে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার কেউ কোন অপচেষ্টা না চালায়।

    তিনি আরো বলেন, এই আগামী নির্বাচনের এই প্রস্তুতি পর্বে বা কোন অজুহাতে সেই পতিত সরকার বা তারা সেই ফ্যাসিবাদী শক্তি, তারা যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয় পাওয়ার সুযোগ না পায়। সেই সঙ্গে তাদের বিচার ব্যবস্থাটাকে নিশ্চিত করার জন্য, অতি দ্রুত বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের আগেই অন্তত দৃশ্যমান কিছু বিচার প্রক্রিয়া যেন সম্পন্ন হয় এবং বিচার যেন কার্যকর  হয়। সেই ধরনের কিছু দাবি উত্থাপিত হয়েছে এবং সেই ধরনের কিছু আশ্বাসও আমরা সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহল থেকে পেয়েছি।

    কোন কোন উপদেষ্টা বলেছেন এই ধরনের কথা, যে বা সরকারি পক্ষ থেকে এ ধরনের আশ্বাস শোনা যাচ্ছে। যে অন্তত আগামী নির্বাচন বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই বিগত এই ফ্যাসিবাদী শক্তির এবং এই হত্যাকারী শক্তির, তাদের কিছু বিচার এটা দৃশ্যমান হবে, সেই আশাবাদ উনারা ব্যক্ত করেছেন এবং আমরাও সেই ভাবে আশাবাদী। তো এই ছিল মোটামুটি আজকের কথা।

    খেলাফত মজলিশের আমির বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যেই কথাটি বলেছি, আমরা বলেছি যে অবশ্যই এখন যেই সংস্কারের যেই দ্বিতীয় প্রক্রিয়ার যে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হচ্ছে, সেখানে সকল দলগুলো নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করবে এবং তারা অংশগ্রহণ করবে, সেই সাথে আমরা চাই যে, এই সংস্কার প্রস্তাবনা এবং সেটা বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হওয়ার শুরুতেই যে বিষয়গুলো সমাধান হওয়া উচিত, নির্ধারিত হওয়া উচিত, সেগুলো হলো আগামীর বাংলাদেশের ভিত্তি কি হবে? আগামীর সংস্কারের ভিত্তি কি হবে?

    সেজন্য আমরা মনে করি যে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের যে একটি ঘোষণাপত্র জাতির সামনে ঘোষিত হওয়ার কথা, আমরা জোর দিয়েছি সেটি যেন অনতিবিলম্ব সেই ঘোষণাপত্র যেন জাতির সামনে ঐক্যমতের ভিত্তিতে চলে আসে। সেই সাথে আগামীর বাংলাদেশ আমরা কেমন দেখতে চাই, অবশ্যই ২০২৪ এর আগস্ট বিপ্লবের পূর্ববর্তী বাংলাদেশের আমরা পুনরাবৃত্তি চাই না।

    এজন্য বাংলাদেশটাকে আমরা যেভাবে আগামীর বাংলাদেশ দেখতে চাই, সেখানে যেই অতীতের যেই বাংলাদেশের যে ঘটনা প্রবাহ, সেই ঘটনা প্রবাহের সূত্র ধরে ৪৭, ৭১ এবং ২৪ এর যে বাংলাদেশ, যেই ঘটনা প্রবাহ, সেই ঘটনার ভিত্তিতে যেন আগামীর বাংলাদেশ গড়ে ওঠে, সেই ধরনের প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করেছি।

    সংবাদকর্মী জানতে চান, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের ইস্যুতে আপনাদের অবস্থান কি?

    জবাবে মামুনুল হক বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে আমাদের বক্তব্য সুনির্দিষ্ট, সেটাই যে প্রয়োজনীয় সংস্কার হবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ হওয়ার পরে চলতি ২০২৫ সালের মধ্যেই, ২৫ সালের শেষ নাগাদ জন্য অন্তত জাতীয় নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হয়, সেই প্রত্যাশা আমরা রাখছি।

    পরবর্তী প্রশ্নে সংবাদকর্মী  আরো জানতে চান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে আপনাদের মন্তব্য কি?

    এর জবাবে মামুনুল হক বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা, আমাদের দলের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য রাখিনি এবং এই ব্যাপারে আমাদের এই মুহূর্তে কোন বক্তব্য নেই। আমরা মনে করি যে, এই ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হওয়া প্রয়োজন। এরপরে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আগে বা পরে হওয়া এটা কোনভাবেই রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ সহ এই নির্বাচনের দিকে দেশ যাওয়ার কোনভাবে উচিত হবে না।

  • তখন আমরা বলছি, দেশটা তোর বাপের না

    তখন আমরা বলছি, দেশটা তোর বাপের না

    বাংলাদেশের সংগীতের স্বর্ণালী সময়ের একজন সংগীতযোদ্ধা বলা হয় ইথুন বাবুকে। শুরুর দিকে শিল্পী হিসেবে তাকে শ্রোতারা চিনলেও পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠেন বাংলা গানের জগতে অন্যতম জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার। তার লেখা অসংখ্য গান সেই সময়ে আলোড়ন তুলেছে দেশব্যাপী। এখনো নিয়মিত গান করছেন তিনি। রয়েছেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা- জাসাসে সক্রিয়। বিএনপির রাজনীতি করায় দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি ছিলেন বিটিভির কালো তালিকায়। বিভিন্নভাবে হয়েছেন নিপীড়নের শিকার। তবুও পিছু হাঁটেননি তিনি। দীর্ঘ সংগ্রামের পর পেলেন কাঙ্খিত বিজয়।

    ইথুন বাবু বলেন, মনে রাখতে হবে যে, “যে দেশে গুণীদের সম্মান দেওয়া হয় না, সে দেশে গুণী জন্মায় না।” আপনি ভাসানীকেই তো ভুলে গেছেন। আজকে আপনি ভারতের কথা বলছেন, এই ভাসানী কিন্তু এই ভারত নিয়ে বলছিল। এখন আপনি আবার ওটাই পুনরাবৃত্তি করছেন, তুলে নিয়ে আসছেন, তখন দাম দেননি। অর্থাৎ আমাদের সমস্যা হচ্ছে যে, আমরা মূল্যায়ন করি না। যদি ঠিক মূল্যায়ন না হতো, তাহলে কিন্তু আজকে দেশের সমস্যা যেত না। আমাদের জাতীয় খেলা হচ্ছে হাডুডু। খেয়াল করে দেখবেন, ‘এর পাও ও ধরবে, ওর পা এ ধরবে’, এটা আপনি লিখে রাখেন।

    যেহেতু সব জায়গায় ঘটনা হচ্ছে নির্বাচনের রাস্তা, ভাসানী সাহেবকে আমরা কিন্তু, উনাদেরকে শ্রদ্ধার পাত্রে রাখতে পারিনি এখন পর্যন্ত। একটা লোকও ভাসানী নিয়ে কথা বলে না। যে লোক সব ভারত বিরোধী কথা বলে গেছিল। এখন কি উনার কথা খুলছে। ৫৪ বছর পর এসে উনাকে নিয়ে আপনার এনালাইসিস চলছে দেখেন। আজকে যে ভারত আমাদেরকে গলা চিপে ধরেছিল, এই ভাসানীই কিন্তু উত্থাপন করেছিল ওই সময় ফারাক্কা নিয়ে, আপনার মনে পড়ার কথা। আপনার বয়স কত আমি জানিনা।

    তিনি আরো বলেন, যেকোনো বিষয়ে, যেমন উনি বলছেন যে, আইনের শাসন, জবাবদিহিতা, এটার কিন্তু প্রয়োজন আছে, সবকিছু। যেমন বলেছে যে নির্বাচনের রাস্তায় যদি বাধা হয়, যে দেশে আপনি একটা করে চিন্তা করবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, মনে করেন একজন মাদক ব্যবসায়ী হচ্ছে এমপি, ওর নাম হচ্ছে বদি, কিছু করতে পারছেন ওর জন্য! করতে পারছেন!

    সবাই জানে সে মাদক ব্যবসায়ী, রাজা, আপনি কোন কিছু করতে পারেননি কেন! আপনি ব্যর্থ। আবার মনে করেন যে, সরকার ওই মাদক ব্যবসায়ীকে এমপি বানিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে যখন আমরা একটু জোরদার কথা বলেছি, তারপর ওকে বসিয়ে দিয়ে ,তার বউকে দিয়ে দিছে, তুই ব্যবসা কর। এখান থেকে বেরিয়ে আসেন। না তো সামনে আরো সংকট আছে।

    ছোট্ট কথা দিয়ে শেষ করি, ৫ই আগস্ট যদি না ঘটতো, এ পর্যন্ত ১০০ জনের ফাঁসি হইতো। আমাদেরকে টুকরা টুকরা করে কাটা হইতো। এই দেশটা তোমার বাপের গান লেখার জন্য!

    ইথুন বাবু বলেন, উনি ববি হাজ্জাদ বসে আছে, উনারও তো কথাবার্তা আমি শুনি। উনাকেও তো মনে করেন, কলিজা টুকরা টুকরা করতো। কেউ মাফ পেতেন না, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। যে ৫ই আগস্টটা যেভাবে হয়েছিল, হইছে। ১৫ বছর আমরা আন্দোলনে আছি। আমরা ৩৯ টা গান লিখছি। ভোটের বিরুদ্ধে গান লিখছি। ভোটের বাক্সে লাত্থি মারছি।

    ‘ধর, ধর, ধর, ১৪ ধর, জনগণ করছে প্রতিবাদ,

    দফা এক, দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’

    আমরা বলছি, আমরা যখন শুনছি, বারবার বলছি, দেশ বাপের! মোবাইল বাপের! ওর বাপের! শের বাপের! তখন আমরা বলছি, দেশটা তোর বাপের না।

  • ঢাকাতে আর বেশি লোক আসতে দেওয়া সম্ভব না

    ঢাকাতে আর বেশি লোক আসতে দেওয়া সম্ভব না

    গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে পরিবেশ উপদেষ্টা  সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,“ঢাকাতে আর বেশি লোক আসতে দেওয়া সম্ভব না। এত লোকের ভার তো ঢাকা নিতে পারবে না”।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে, ঢাকায় অতিরিক্ত মানুষের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা নেই।
    শনিবার এক মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, একটি টাস্কফোর্স রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা ইতোমধ্যেই বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। এ বিষয়ে আগেও বিদেশি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তবে বাস্তবতা হলো দেশের ভেতর থেকেই আমরা টের পাচ্ছি যে রাজধানী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

    উপদেষ্টার মতে, প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করতেই হবে, এ বিষয়ে কোনো বিকল্প নেই। জনসংখ্যার চাপে ঢাকা ইতোমধ্যেই এক অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
    যত আধুনিক যানবাহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাই গড়ে তোলা হোক না কেন, অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভার এই নগরী বহন করতে পারছে না। বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার স্থান অন্যতম, তবে এত ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী আর কোথাও আছে কি না, তা নিশ্চিত নয়।সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও জানান, রাজউক ‘লিভেবল ঢাকা’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যেখানে বিভিন্ন পেশাজীবী ও বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নগরীর প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ নির্ধারণের জন্য। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
    অধিক জনসংখ্যার চাপ থেকে ঢাকাকে রক্ষা করতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

  • সাতক্ষীরায় বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানি নীতি সংস্কারের আহ্বান

    সাতক্ষীরায় বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানি নীতি সংস্কারের আহ্বান

    সাতক্ষীরা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: সাতক্ষীরা বাংলাদেশের ১০০% নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের পথে বাধা অপসারণের একটি রূপান্তরমূলক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এই আন্দোলনটি SoDESH-এর নেতৃত্বে এবং BWGED ও CLEAN এর সহযোগিতায় সকাল ১০ টায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জন সংযোগ,ও নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত  হয়েছে, যেখানে নাগরিক, নীতিনির্ধারক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন জড়ো করা হয়েছে, যাতে দেশে শক্তি সংস্কারের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা যায়। অংশগ্রহণকারীরা মানববন্ধন গঠন করেন, এবং স্লোগান দিয়ে প্রতিবন্ধকতাগুলি তুলে ধরেন, যেমন: পুরোনো অবকাঠামো, অসম্পূর্ণ নীতিমালা এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ।

    বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য শক্তি গ্রহণে জাতীয়ভাবে তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া, অপ্রতুল তহবিল, পুরোনো অবকাঠামো এবং নীতির ফাঁক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তাছাড়া, বর্তমান ট্যারিফ কাঠামোও নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, যা নতুন প্রকল্পগুলিকে আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়া কঠিন করে তোলে। এই প্রতিবাদে এই প্রতিবন্ধকতাগুলি তুলে ধরা হয়েছে এবং নবায়নযোগ্য শক্তিকে প্রবাহিত, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর করতে নির্দিষ্ট, কার্যকরী দাবি জানানো হয়েছে।

    প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য একক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, প্রশাসনিক বিলম্ব কমানো এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। প্রতিবাদকারীরা স্মার্ট গ্রিড এবং নেট এনার্জি মিটারিং (ঘঊগ) প্রযুক্তির সংমিশ্রণের ওপর জোর দেন, যাতে সোলার এবং উইন্ড এনার্জি জাতীয় শক্তি পরিকাঠামোর মধ্যে নির্বিঘ্নে সংযুক্ত হতে পারে। তারা জাতীয় শক্তি বাজেটের অন্তত ২০% নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য বরাদ্দ করার আহ্বান জানায় এবং দেশীয় ব্যাংকগুলোকে তাদের শক্তি অর্থায়ন পোর্টফোলিওর ২৫% নবায়নযোগ্য উদ্যোগে বরাদ্দ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। নবায়নযোগ্য শক্তির যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক কমানো এবং “বিদ্যুৎ নেই, বিলও নেই” নীতির মাধ্যমে ন্যায্য বিলিং নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

    এছাড়াও, প্রতিবাদকারীরা বিদ্যমান ট্যারিফ কাঠামোর পর্যালোচনার জন্য দাবি জানান, যাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয় এবং স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যায়, যা দেশে পরিষ্কার শক্তির দ্রুত বণ্টনকে ত্বরান্বিত করবে।

    সম্প্রদায়ভিত্তিক কর্মশালা, পক্ষে প্রচারণা কার্যক্রম এবং বিশেষজ্ঞ পরামর্শের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ সাতক্ষীরা এবং তার বাইরের স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করছে। লক্ষ্য একটাই: জনগণের সমর্থন অর্জন করা, নীতিনির্ধারকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের জন্য একটি পরিষ্কার, সবুজ ভবিষ্যতের জন্য অর্থবহ সংস্কার চালু করা।

    “এটি শুধুমাত্র একটি পরিবেশগত উদ্যোগ নয়—এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি নকশা,” বলেছেন মাধব চন্দ্র দত্ত নির্বাহি পরিচালক SoDESH সাতক্ষীরা থেকে। “আমাদের শক্তি নীতির সংস্কার এবং প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলি মোকাবিলা করে, আমরা কেবল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করছি না, বরং এমন একটি টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলছি যা প্রতিটি বাংলাদেশির উপকারে আসবে।”

    Forum On Ecological and Development সাতক্ষীরা থেকে মো: আব্দুস সামাদ, স্বপন পান্ডে, রজকুমার, কুমারেশ দাস, করসার আলী, মাইদা মিজান, জাহাঙ্গীর আলম,আজিজুল বারী, মনোয়ারা খাতুন, জয় সরদার সহ অনেকে তার দের বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের সম্প্রদায়গুলি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই ইভেন্টটি পরিষ্কার শক্তির সমাধান উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, যা এই সম্প্রদায়গুলিকে রক্ষা করতে এবং তাদের প্রতিরোধক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করবে।”

  • সাতক্ষীরায় তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত  

    সাতক্ষীরায় তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত  

    শহর  প্রতিনিধি : তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখায় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পক্ষ এর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত হয়। তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ও ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান আ খ ম মাসুম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর  আবুল হাশেম। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখা প্রধান মাহবুব আল মিসবাহ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন ঢাকার ডিরেক্টর এম.এম. রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মুনতানসির বিল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল, সদর উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন, তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন খুলনা জোনের পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য কাজী আব্দুল্লাহ আল ফারুক,তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা খুলনা শাখার প্রিন্সিপাল আব্দুল মমিন,খুলনা প্রি হিফয শাখার প্রিন্সিপাল হাফেয মোঃ ইমরান খালিদ।ক্রীড়া পরিচালনা করেন তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখার সহকারী প্রধান এফ এম রুস্তম আলী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুহ. রবিউল ইসলাম রবি,ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল সাতক্ষীরার মার্কেটিং অফিসার মোঃ রাশেদুজ্জামান, সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলামসহ শুভাকাংখী, অবিভাক ও তানযীমুল উম্মাহ সাতক্ষীরা শাখার শিক্ষকবৃন্দ । ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৯টি গ্রুপে ২৫ টি ইভেন্টে সর্বোমোট ৭৫ জনকে বিজয়ী হয়।
  • আনুলিয়ায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

    আনুলিয়ায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিছট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    ইউনিয়ন আমীর মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক গাজী আব্দুর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা ল ইয়ার্স কাউন্সিল এর সভাপতি ও জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য এড. আব্দুস সোবান মুকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য মাওঃ নূরুল আবছার মুরতাজা,  উপজেলা পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি মাওঃ আতাউর রহমান ।
    অনুষ্ঠানে মাষ্টার আবু দাউদ, আনুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমির শহিদুল ইসলাম, বাইতুল মাল সম্পাদক মাওঃ আইয়ুব আলী, আনুলিয়া সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি আব্দুল ওহাব, আনুলিয়া শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওঃ আবু ইউসুফ, যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তফা কামাল, আনুলিয়া পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব,  মাওঃ শহিদুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, আশরাফুল আলম, রাজু ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
  • তিন দিন নিখোঁজের পর সন্তান পাওয়া গেলেও এখনো নিখোঁজ প্রবাসীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা রিয়া

    তিন দিন নিখোঁজের পর সন্তান পাওয়া গেলেও এখনো নিখোঁজ প্রবাসীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা রিয়া

    শহর প্রতিনিধি:তিন দিন নিখোঁজের পর সন্তান পাওয়া গেলে ও এখনো নিখোঁজ প্রবাসীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা রিয়া। গত রবিবার( ১২ জানুয়ারি) পারিবারিক ঝগড়া কারে সন্তানসহ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মালয়শিয়া প্রবাসী সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাংগা ইউনিয়নের ওয়ারি গ্রামের বাবুর স্ত্রী লাবসা ইউনিয়ন উত্তর দেবনগর গ্রামের উম্মে হাবিবা রিয়া ও তার সন্তান।পরে সোমবার সন্ধ্যার রিয়ার বাড়ির এলাকার চারাবটতলা মোড়ে সন্তানকে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।তবে এখনো নিখোঁজ উম্মে হাবিবা রিয়া।

    নিখোঁজের সময় রিয়ার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকা ও অলৌকিকভাবে সন্তানকে রেখে যাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের মানুষের মধ্যে অজানা ভয় ও এলাকার মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দুই পরিবারের মানুষের আকুতি তারা যেন সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পান। এই ঘটনা উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নং ৭৭৪, জিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর থানার এসআই (নিরস্ত্র) হাসান পারভেজ বলেন, তার ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং এর জন্য কাজ চলছে রিপোর্ট পেলে আমাদের কাজ সহজ হবে আশা করি নিখোঁজ ব্যক্তি কোথায় এবং কিভাবে আছে সেইটা সনাক্ত করতে সক্ষম হব।

  • গৃহপালিত পশুর রোগমুক্তির জন্য মানিক ফকিরের মিলাদ বা মানিকের হাজত পূজা অনুষ্ঠিত

    গৃহপালিত পশুর রোগমুক্তির জন্য মানিক ফকিরের মিলাদ বা মানিকের হাজত পূজা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা : গৃহপালিত প্রাণীর রোগ মুক্তির কামনায় মানিক ফকিরের মিলাদ বা মানিকের হাজত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় মাঘ মাসের প্রথম দিন এই মিলাদ বা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ৭০ বছর ধরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের বাঁশতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মুসলিম ও সনাতন ধর্মের মানুষ মিলাদ বা পূজা জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করে থাকে।

    এখানে সনাতন ধর্ম অবলম্বীরা “মানিকের হাজত” পূজা নামে আখ্যায়িত করে এবং মুসলিম ধর্ম অবলম্বীরা মানিক ফকিরের মিলাদ নামে অবহিত করে।

    গৃহপালিত পশু, পাখি ও প্রাণী বিশেষ করে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগির রোগ মুক্তি এবং স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধির জন্য প্রার্থানা মাধ্যমে সুস্থতা কামনা করে। এই মিলাদ বা পূজা উপলক্ষে প্রতিবছর বিশাল মেলার আয়োজন হয়। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই অনুষ্ঠানে।শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের সকলেই এখানে একত্রিত হয়ে প্রাণীকুল প্রজন্মের রোগ মুক্তির কামনা করে। পার্শ্ববর্তী ১৭টি গ্রামের মানুষ এ মিলাদ বা পূজায় অংশগ্রহণ করে প্রার্থনা করে।

    দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের মারফতি বংশের ফকির আহমেদ শাহ এই মিলাদ বা পূজা পরিচালনা করেন। প্রকৃতপক্ষে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান হলেও সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা তাকে পূজারী হিসাবে গ্রহণ করে।দুধ, ডিম, টাকা ও হাঁস-মুরগি তার হাতে তুলে দেন। তার কাছ থেকে দোয়া বা মাটি পড়া নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।

    ফকির আহমেদ শাহ বলেন, আমার পূর্বপুরুষ কালাচাঁদ মানিকের নাম অনুসারে এই মিলাদ হয়। পিতা আব্দুল গফুর,দাদা পুটি ফকিরের সাথে এই মিলাদ বা পূজায় আমি তাদের সাথে আসতাম। সেখান থেকেই ৭০ বছর ধরে এই মিলাদ পরিচালনা করি। এই মানিক ফকিরের মিলাদটি মুসলিমদের হলেও সনাতনীরা মানিকের হাজত পূজার পূজারী হিসাবে গ্রহণ করে আমার কাছ থেকে দোয়া বা আশির্বাদ নিয়ে যায়। সারা বছরের জন্য প্রসাদ নিয়ে যায়। আমার জানা মতে সাতপুরুষ এই মানিক ফকিরের মিলাদ পালন করে আসছে।

    এক সময় এই অঞ্চলে প্রচুর গৃহপালিত পশু বিচরণ হত। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হত। ছিল না কবিরাজ। হাতের নাগালে ছিল না কোন ডাক্তার। কথিত আছে সবাই এই মানিক ফকিরের স্থানে এসে একটু মাটি পড়া ও দুধ পড়া তাবিজ করে দেওয়ার পরে রোগ মুক্তি পেতো। সেখান থেকেই এই মিলাদ বা পূজার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। আজ অব্দি এই মিলাদে প্রার্থনা করে যাচ্ছে হাজারো মানুষ।

    সদর উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের শ্যামল কুমার মন্ডল জানান, মানিকের হাজত পূজটি মূলত গরু-ছাগল ভেড়ার রোগ মুক্তির জন্য পালন করা হয়।এই পূজাটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পরিচালনা করে। আমরা তাকে অনুসরণ করে থাকি। প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে উৎসাহের মধ্য দিয়ে প্রাণীকুলের প্রজন্ম এবং সুস্থতার জন্য পালন করে থাকে।

    তনু মিস্ত্রি (৭)তার মা পূর্ণিমা মন্ডল সাথে কালিগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর এলাকার খলিশাণী থেকে মানৎ স্বরূপ ফকির আহমেদ শাহর কাছে একটি মুরগি হস্তান্তর করে। পূর্ণিমা মন্ডল জানান, আমার গাভীর গায়ে প্রচুর পরিমাণে পক্স হয়।আমি মানৎ করেছিলাম। তার পরপরই পক্স ঠিক হয়ে যায়।এ কারণে পূজা পালন করার জন্য সেখান থেকে চলে আসছি।

    ৫ নং শিবপুর ইউনিয়নের সদস্য সন্তোষ কুমার মন্ডল জানান, পশু-প্রাণী সুস্থতার জন্য এই পূজা বা মিলাদ সবাই আগ্রহের সাথে পালন করে যায়। পুরো একটি বছর উপশম হিসাবে মাটি এবং গলায় বেঁধে রাখার জন্য প্রতীকি বস্তু নিয়ে যায়। প্রতিবছর অনুষ্ঠানটির সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়।

  • কলারোয়া সীমান্তে ৫ বাংলাদেশীকে আটক

    কলারোয়া সীমান্তে ৫ বাংলাদেশীকে আটক

    কলারোয়া প্রতিনিধি :

    সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে

    ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় পাচ বাংলাদেশীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বি‌জি‌বি)। উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়।

    মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে বি‌জি‌বির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক প্রে‌রিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

    আটককৃত ৫ বাংলাদেশি হলেন, কক্সবাজার জেলার অলিয়াবাদ গ্রামের মোঃ আলী আব্বাসের পুত্র মো. আতিকুর রহমান (৩৬), যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের মো. সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র মো. আসলাম হুসাইন (৩২), বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার ব্রাহ্মনডাঙ্গা গ্রামের তপন ঢালীর পুত্র তন্ময় ঢালী (২৫), একই জেলার মোড়লগঞ্জ থানার ছোটপরী গ্রামের মোশারফ খানের পুত্র মো. মাহাবুব খান (১৮) ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র মো. রাকিব হাসান (১৭)।

    বিজিবি অধিনায়ক জানান, কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিককে বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে ভারত থেকে সীমান্ত পারাপার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুর বিওপির দায়িত্বরত বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় সুলতানপুর সীমান্ত থেকে উক্ত ৫ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।

    বিজিবির অধিনায়ক আরও জানান, আটককৃত মোঃ আতিকুর রহমান ও মোঃ আসলাম হুসাইনের শ্বশুর বাড়ি ভারতের নয়াদিল্লি ও কুচবিহারে। তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে দেখা করার জন্য যশোর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। এছাড়া তন্ময় ঢালী শ্রমিকের কাজ করতো ভারতে, মাহাবুব খান তার চাচার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল এবং রাকিব হাসান ভারতে অবস্থান করা তার পিতা-মাতার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল।

    বর্তমানে ভারতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিশেষ ধরপাকড় শুরু করায় তারা আজ (মঙ্গলবার) ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় বিজিবি তাদেরকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ১টি বাটন ফোন, ১টি ফোল্ডিং ফোন ও ১টি পাওয়ার ব্যাংক জব্দ করা হরা হয়।

    পাসপোর্ট বিহীন অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের দায়ে আটক ৫ জনকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • তালায় পানি সরবরাহের খাল জোর পূর্বক দখল ও বাড়ি নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ 

    সাতক্ষীরার তালায় পানি সরবরাহের খাল জোর পূর্বক দখল ও বাড়ি নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। জবর দখলকারী ব‍্যক্তি হলেন সাবেক তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। এর প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র সংশ্লিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সোমবার দুপুরে দাখিল করেছেন। খালটি অবমুক্ত হলে তালা উপ-শহর সহ পাশ্ববর্তী গ্রামগুলো জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। ফলে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট দীর্ঘ দিনের পানি সরবরাহের খাল দখলমুক্ত করার জোর দাবি জানান।

    এব‍্যাপারে এলাকাবাসির পক্ষে উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিনের পানি সরবরাহের খাল সেটি সনৎ ঘোষ উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা কালিন দখল করে সেখানে ভবন তৈরি করে বসবাস করে। যার ফলে বৃষ্টি মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ঐ খাল দিয়ে তালা উপ-শহরসহ কয়েকটি গ্রামের পানি কপোতাক্ষ নদীতে গিয়ে পড়তো। সেটি বন্ধ করায় তালায় এই জলাবদ্ধতা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান থাকা কালিন প্রকল্প চুরি, নিয়োগ বানিজ‍্যসহ কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট খালটি দখল মুক্ত করে সুষ্ঠুভাবে পানি সরবরাহের জোর দাবি জানান।

    এব‍্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কারন গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ায় তিনি পালাতক রয়েছেন।

  • তালায় বন্ধ ক্লিনিক খুলতে দৌড়ঝাঁপ শুরু! 

    নিজস্ব প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার তালায় রেজিষ্ট্রেশন বিহীন বন্ধ ক্লিনিক খোলার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন মালিকগণ। লক্ষ লক্ষ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা।
    তালা সার্জক্যাল ক্লিনিকের মালিক বিধান চন্দ্র রায় ও জনসেবা ক্লিনিকের মালিক মধু অবৈধ ভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এক সময় তালায় ডাক্তারের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। সে অভিজ্ঞতা পূঁজি করে শুরু করেন ক্লিনিক ব্যবসা। সরকারী নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান। অবৈধভাবে টাকা আয় করে জায়গা কিনে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল ক্লিনিক।
     প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় , বিধান রায় কোনো ডাক্তার না হয়েও নিয়মিত সিজার, এ্যাপেন্ডিস, টিউমার সহ নানাবিধ অপারেশন করেন। গ্রামের অসহায় গরীব মানুষের বোকা বানিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। অপারেশন থিয়েটারে সিজারের রোগীর  শরীরে কখনো টিউমার কখনো এ্যাপেন্ডিস আছে বলে অতিরিক্ত ৪/৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ডাক্তার নামক এই কসাই।
    বিধান চন্দ্র রায় ডাক্তার না হয়েও নিয়মিত আল্ট্রাসনো করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম ব্যবহার করেন। এসময় নারী রোগীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মুসলিম নারী রোগীর মা বলেন, ভালো ডাক্তারের কাছে আল্টাস্নো করার কথা বলে সে নিজে আমার মেয়ের আল্টস্নো করে ৪ শত টাকা নেন। এসময় সে আমার সামনেই মেয়ের গোপন স্থানে হাত দিয়ে টিপ দেয়।
    একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, তালা হাসপাতালের একজন ডাক্তারের সাথে আছে গভীর সখ্যতা। সার্জিক্যাল ক্লিনিকে এই ডাক্তারের নিয়মিত যাওয়া আসা আছে। এমনকি এই ডাক্তারকে ম্যানেজ করতে প্রায়ই ক্লিনিকে এই ডাক্তারের সাথে মদের আসর বসান বিধান চন্দ্র রায়। মাঝে মধ্যে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে এই ডাক্তারের মাতলামির খবর শোনা যায়।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন,  লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে ২ ক্লিনিকের মালিক সাতক্ষীরা -খুলনা ছুটাছুটি শুরু করেছেন। বিভিন্ন নেতাদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন।
    জনসেবা ক্লিনিকের মালিক মধু বলেন,  আমার নরকোটিক সার্টিফিকেট ছিলো না। সে জন্য ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আমি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে আজ সেই লাইন্সেন নিয়ে সিভিল সার্জনকে দেখিয়েছি। তবে ক্লিনিক খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে কি না জানাননি।
    এর আগে ৮ জানুয়ারী দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আঃ সালাম তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব সরদারকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও তালা জনসেবা ক্লিনিক বন্ধ করে দেন।
    সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক বিধান রায়ের বক্তব্য নিতে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি এমনকি হোয়াটস অ্যাপে ম্যাসেজ পাঠালেও তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।
    সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আঃ সালাম বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো ক্লিনিক খোলার অনুমোদন দেয়া হয়নি। অনুমোদন না নিয়ে কোনো ক্লিনিক মালিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • তালায় কেক কেটে কালের কণ্ঠ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন 

    তালায় কেক কেটে কালের কণ্ঠ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন 

    “সংস্কারে স্বপ্নের আগামী” এই অঙ্গীকারে সাতক্ষীরা জেলা  তালায়কেক কেটে পালিত হয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ দৈনিক কালের কণ্ঠ’র ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ।
    শুক্রবার বিকেলে তালা প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
    পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    দৈনিক কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রোকনুজ্জামান টিপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃনাল কান্তি রায়।
    বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখানে, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম, উপজেলা বিএনপির  সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম ,যুবনেতা ফারুক হোসেন জোয়াদ্দার, বিএমএসএস তালা উপজেলা শাখার  সভাপতি নব কুমার দে, মাখফুর রহমান,প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,সার্জেন্ট আব্দুর রহিম (অবঃ), সাংবাদিক আরিফুল হক বুলু, মোঃ আরিজুল হক ,মোঃ আলমগীর হোেসন,মীর ইমরান মাহমুদ,আতাউর রহমান, সদর ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেনসহ তালায় কর্মরত  সাংবাদিকবৃন্দ।
    আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন,জাতিকে ‘আংশিক নয় পুরো সত্য’ জানানোর অঙ্গীকার নিয়ে ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি দৈনিক কালের কণ্ঠের পথচলা শুরু হয়েছিল,পাঠকের আস্থা ও ভালোবাসায় আজও অব্যাহত রয়েছে,আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তারা।
    আলোচনাসভা শেষে ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাঁটা হয়।
  • গুনাকরকাটি কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান

    গুনাকরকাটি কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান

    আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুনাকরকাটি খায়রিযা আজিজীয়া কামিল মাদ্রাসায় প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    প্রাক্তন ছাত্র এসোসিয়েশনের আয়োজনে শুক্রবার ও শনিবার দু’দিনের অনুষ্ঠানে মীলাদ শরীফ, আলোচনা সভা, স্মৃতি চারণ ও দোয়া অনুষ্ঠান করা হয়। এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রাক্তন ছাত্র মাওঃ আজিজুল্যাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা রাখেন, মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল প্রাক্তন ছাত্র মাওঃ নুরুল ইসলাম, এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী উপাধ্যক্ষ প্রাক্তন ছাত্র মাওঃ আবু তাহের, প্রাক্তন শিক্ষক আঃ গফফার, প্রাক্তন শিক্ষক মাওঃ ওছমান, মাদরাসার শিক্ষক প্রাক্তন ছাত্র মাওঃ রবিউল ইসলাম, মাওঃ আঃ হামিদ, মাওঃ ইয়াকুব আলী, মাওঃ তৈয়বুর রহমান, মাস্টার জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

  • আশাশুনিতে বিনা চাষ ও চাষকৃত জমিতে সরিষা আবাদ, দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে সুশোভিত

    আশাশুনিতে বিনা চাষ ও চাষকৃত জমিতে সরিষা আবাদ, দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে সুশোভিত

    1. আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিনা চাষে ও চাষকৃত জমিতে সরিষা আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। এলাকায় গেলে দেখা মিলবে দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলের নয়ন জোড়া সুশোভিত পরিবেশ। এ পদ্ধতিতে এক ফসলি ধানি জমি থেকে বাড়তি ফসল হিসেবে বিপুল পরিমাণ সরিষা উৎপাদন হচ্ছে তেমনি পতিত জমিতে অতিরিক্ত ফসল ঘরে তুলতে পারার স্বপ্নে কৃষকরা বিভোর হচ্ছে। হলুদ ও সবুজে মিশ্রিত নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে অপূর্ব অনুভূতিতে মানুষ তৃপ্তিবোধ করছে।
    আশাশুনি উপজেলায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে এবছর ৭১০ হেক্টর বা ৫ হাজার ৩২৫ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে রিলে ক্রপ বা বিনা চাষে ৩৬০ হেক্টর ও চাষকাজ করে ৭১০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। এসব জমিতে উন্নত জাতের বীজ ব্যাবহার করা হয়েছে। যার মধ্যে টরি-৭ জাতের ১৪০ হেক্টর, রবি-৯ জাতের ৮০ হেক্টর, বারি-১৪ জাতের ৪৭০ হেক্টর, বারি-১৭ জাতের ১০ হেক্টর ও বীণা-৯ জাতের ১০ হেক্টর। বিঘার হিসাবে ৫৩২৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এসব জমির মধ্যে প্রনোদনা ১৫৫০ বিঘা, রাজস্ব ৩০ বিঘা, ক্লাইমেট স্মার্ট ১৫ বিঘা, পার্টনার ১২ বিঘা, বীজ সহায়তা ১৮৯ বিঘা, প্রদর্শনী ৩০ বিঘা ও বীনা বীজ সহায়তা ১০০ বিঘা। মোট ১৯২৬ বিঘা এবং কৃষকরা নিজেরা চাষ করেছেন ৩৩৯৯ বিঘা জমিতে।
    উপজেলায় ১২ হাজার ৫০০ কৃষক সরিষা আবাদ করেছেন।
    উপজেলা কৃষি অফিস ও সংশ্লিষ্ট কৃষকরা জানান, আমন ধান কাটার পর বোরো ধান রোপণের কিংবা ঘেরে পানি উঠানোর আগ পর্যন্ত উপজেলায় বিপুল পরিমাণ জমি অলস পড়ে থাকে। কয়েক বছর আগে থেকে এই সময়টা কাজে লাগিয়ে বাড়তি ফসল হিসেবে বিনা চাষে সরিষা আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আসছে কৃষি বিভাগ। প্রথমে ততটা সাড়া না পাওয়া গেলেও ক্রমে ক্রমে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। এই পদ্ধতি এখন কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
    কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, আশাশুনি উপজেলায় ১১ ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে প্রায় ৭১০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বড়দল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ১৪৩ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এ ইউনিয়নের ডুমুরপোতা, জামালনগর, কেয়ারগাতী, গোয়ালডাঙ্গা, চাম্পাখালী, নড়েরাবাদ, বামনডাঙ্গা, ফকরাবাদ, বুড়িয়া, মধ্যম বড়দল, দক্ষিণ বড়দল সহ অধিকাংশ গ্রামের ধানি জমির ধান উঠে গেলেও এখন দৃষ্টিনন্দন হলুদ সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে।
    গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আ: মজিদ  জানান, আমন ধান কাটার ৫/১০ দিন আগে খেতে সরিষার বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। পরে ধান কেটে নিলে সরিষা গাছ সতেজ হয়ে ওঠে। চাষি রেজাউল ইসলাম জানান, আমন ধান কাটার পর জমি জো হতে ১০/১২ দিন কেটে যায়। এরপর জমি চাষযোগ্য করতে ১০/১২ দিন চলে যায়। ফলে চাষ করে সরিষা বুনলে সরিষা তুলে ঘেরে পানি তুলতে দেরি হয়ে যায়। এ ছাড়া বিঘাপ্রতি জমি চাষের খরচও পড়ে যায় হাজার টাকার ওপরে। তাই বিনা চাষে সরিষা আবাদ করায় চাষের খরচ বেঁচে যাচ্ছে, উৎপাদন খরচও কমে আসছে।
    একই এলাকার কৃষক হাফিজ জানান, এই পদ্ধতিতে সরিষা চাষে প্রতি বিঘায় মাত্র ১ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে প্রতি বিঘায় সরিষা পাওয়া যায় ৩ থেকে ৪ মণ পর্যন্ত। যার বাজার মূল্য ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।
    কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, সরিষা আবাদ বেশ ভালই হয়েছে। কোন বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে প্রতি হেক্টর জমিতে এক টন করে সরিষা উৎপাদন হবে। কৃষকরা তাদের তেলের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি বিক্রয় করে সংসারে কাজে লাগাতে সক্ষম হবে।
    উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, এ বছর আশাশুনিতে প্রায় ৭১০ হেক্টর জমি সরিষা চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যে ৩৬০ হেক্টর রিলে বা বিনা চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ করা হয়েছে। এখনো কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। আমরা উপ সহকারী কৃষী অফিসারদেরকে নিয়মিত ব্লকে পাঠিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি। কৃষকরা নিয়মিত ক্ষেত পরিচর্চায় ব্যস্ত আছে। আল্লাহর রহমত থাকলে এবং আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ইনশাল্লাহ আশাপ্রদ ফলন পাওয়া যাবে। আবাদকৃত এ সরিষা স্থানীয় তেলের  চাহিদা মিটাবে। আমরা উপলব্ধি করি সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের মানষিকতা নিয়ে এক সাথে কাজ করা হলে পরবর্তী বছরগুলোতে সরিষার আবার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশাকরি। বৃহৎ পরিসরে এই পদ্ধতিতে সরিষা চাষ করে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।