Blog

  • ঘোনা ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের আয়োজনে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন

    ঘোনা ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের আয়োজনে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন

    বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে সাতক্ষীরা সদরের ৪নং ঘোনা ইউনিয়ন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ প্রকাশনা প্রদরশনী ও ফ্রি ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ই ফেব্রয়ারি) ৪নং ঘোনা ইউনিয়ন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০ টা থেকে এ প্রকাশনা প্রদর্শনী ও ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির সাতক্ষীরা সদর পশ্চিম থানা শাখার সভাপতি আল মুজাহিদ এর সভাপতিত্বে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুর রহমান শিক্ষক অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার সভাপতি আল মামুন হোসেন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার সমাজসেবা সম্পাদক শামিম হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বপন কর্মকর জয়, সদর পশ্চিম থানা শাখার সেক্রটারী খালিদ হাসান, অফিস সম্পাদক খালিদ হাসান, সাহিত্য ও সমাজসেবা সম্পাদক ইকরামুল হুসাইন, প্রকাশনা সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, এছাড়াও অন্যন্য দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ।

  • আশাশুনিতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪

    আশাশুনিতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪

    আশাশুনিতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, মোঃ আলমগীর কবির সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আশাশুনি থানার নং-৭(০৮)২৪ এর তদন্তে প্রাপ্ত মামলার আসামী বড়দল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত রজব আলী সরদারের ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ফুল (৪২)। আনুলিয়া ইউনিয়নের সিসি-৬৩/২২ এর আসামী গরালি গ্রামের আকবর হোসেন মোল্যার ছেলে মোঃ সামসুর রহমান মোল্যা, সিসি-৫৮/২২ এর আসামী ছবেদ আলী গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল করিম গাজী, সিসি-৩০/২২ এর আসামী হাসেম গাজীর ছেলে মোঃ সাহেব আলী সহ সবাইকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বুধবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে প্রতিহত করা হবে জামায়াতে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর

    সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে প্রতিহত করা হবে জামায়াতে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর

    সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ার আগে বাংলাদেশের মাটিতে কোন নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আমাদের সন্তানেরা রক্ত দিয়েছে কোন তামাশা দেখার জন্য নয়। সন্ত্রাস, দখল, লুটপাট, চাঁদাবাজ মুক্ত সুখী-সমৃদ্ধি ও গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে ত্যাগকে আমরা কোন অবস্থায় বৃথা যেতে দিতে পারিনা। ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করে নতুন কোন ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের মাটিতে জায়গা দেওয়া হবে না। যদি বর্তমান সরকার কোন অবস্থায় সংস্কার কাজ শেষ না করে নির্বাচন দিতে চাই তাহলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করবে। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েব আমীর সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
    বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টায় আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন-আগামী নির্বাচন হবে সবার কাছে গ্রহন যোগ্য নির্বাচন। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে যারা ভোট দিতে পারেনি তারা আগামী নির্বাচনে প্রান খুলে ভোট দিবে। ভোট কেন্দ্রে গেলে কেউ বলবে না আপনার ভোট অন্য কেউ দিয়ে গেছে বা আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। যার ভোট সেই দিবেন, আর কোন দিন একজনের ভোট অন্যজন যাতে না দিতে পারে সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করাই জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য।
    তিনি বলেন- সরকারি সম্পদ বা জনগণের আমানত নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য জনগনকে আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসিন করার জন্য আহবান জানান কেন্দ্রীয় জামায়াতে এই নেতা।
    আশাশুনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে অতিথি হিসেবে অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জেলা আমীর শহিদুল ইসলাম মুকুল, মুহাদ্দিস হাফেজ মাওঃ রবিউল বাশার, শেখ নুরুল হুদা, সাবেক সাংসদ গাজী নজরুল ইসলাম, মাওঃ মাহবুবে আলম, এডঃ আজিজুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান মুকুল, উপাধাক্ষ্য আব্দুস সবুর, আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিক, নুরুল আবছার মোর্ত্তাজা, ডাঃ নুরুল আমীন, ইমামুল হোসেন প্রমূখ।
    কর্মী সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে বেলা ১২ টার দিকে বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল সহকারে সম্মেলন স্থলে এসে জড়ো হয়।
    অপরদিকে একই দিন সকাল ১১ টায় আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি উপজেলার মহিলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

  • দৈনিক পত্রিকা

    দৈনিক পত্রিকা

    অথবা পড়ুন : https://drive.google.com/drive/u/1/my-drive

  • তালায় উপকারভোগীদের উৎপাদিত পণ্যর প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত

    তালায় উপকারভোগীদের উৎপাদিত পণ্যর প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরার তালায় বে-সরকারী উন্নয়ন সংগঠন “ মুক্তি ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে সংগঠনের উপকার ভোগীদের উৎপাদিত পণ্যর প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২৪ ফেব্রæয়ারী) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেলার উদ্বোধন করেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদুর রহমান।
    অনুষ্ঠানে মুক্তি ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক গোবিন্দ ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদুর রহমান।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
    বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র সরকার, তালা প্রেক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম প্রমুখ।
    মেলায় উপকার ভোগীরা নিজেদের তৈরী ঘি, সরিষার তৈল, হলুদ গুড়া, চটের ব্যাগ, সপিং ব্যাগ সহ বিভিন্ন উপকরণ স্টলে সুলভ মূল্যে বিক্রয় করছেন। এসময় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উপকার ভোগী ও দর্শনার্থীর ভিড় করতে দেখা যায়।
  • আশাশুনিতে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫

    আশাশুনিতে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে পাঁচ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, রাজীব মন্ডল, মোঃ নাহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা কালে ৭(০৮)২৪ নং মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গদাইপুর গ্রামের মৃত দাউদ আলী মোল‍্যার ছেলে সিরাজুল ইসলাম মোল‍্যা (৫১), ৮(০২)২৫ এর আসামী উত্তর গোদাড়া গ্রামের মৃত: বক্স কারিকর এর ছেলে হামিজউদ্দীন কারিকর (৬৫), রফিকুল ইসলাম (৩২), মফেজ উদ্দীন মজু কারিকর এর ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০), পোঃ শোভনালী এবং ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৫১ এর আসামী কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত আলী হোসেন সানার ছেলে মোঃ আব্দুল আল মামুন (৩৫)কে ভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের সোমবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • শ্যামনগরে মিথ্যে হত্যা মামলা দিয়ে একটি পারিবারকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ

    শ্যামনগরে মিথ্যে হত্যা মামলা দিয়ে একটি পারিবারকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপি নেতা মাসুদুল আলমের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির হৃদরোগে অক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দিয়ে একটি পরিবারের সকলকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। সোমাবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল বারির স্ত্রী নুরজাহান বেগম এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর আমার চাচা শশুর শেখ আব্দুল আজিজ স্টোক জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গাবুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদুল আলম আমার চাচার মেয়ে স্বামী পরিতাক্তা আজমুন নাহারকে ভয় ভীতি দেখি তদন্ত ওসি ফকির ইলিয়াসকে ম্যানেজ করে আমার পরিবারের সকল সদস্যের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। পরে ময়না তদন্ত রিপোর্ট স্টোকে মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করায় থানা থেকে মামলায় ফাইনাল দেয়। এই সুযোগে তার সন্ত্রাসী বাহিনী ওহিতুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, মন্জু গাজী, মনিরুল, ইব্রাহিম, রিপন, কবিরুল ইসলাম, খালিদ হোসেন গত ৯ অক্টোবর ভোর রাতে সাংবাদিক শেখ আব্দুল হাকিমের সরকারি টিসিবির গোডাউনে লুটপাট করায়। তারা ইলেকট্রনিক্স সান মেশিন দিয়ে গোডাউনের চারটি তালা কেটে ভিতরে থাকা ৫৫০ টা তেল, দুই বস্তা ডাউল, সাত বস্তা চাউল, ৯৪টি কার্টুন, ১৩৬টি বস্তাসহ ক্যাশ টেবিলে থাকা সাড়ে চার হাজার ও টেবিলসহ প্রায় অর্ঘ্য লক্ষ টাকার মাল লুট করে। এসময় তারা শেখ আব্দুল হাকিমের সরকারি টিসিবির দুইটি ঘর দখল করে বিএনপির অফিস তৈরীর করে।
    তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান মাসুদুল আলমের নির্দেশে তার বাহিনীর সদস্যরা আমরা বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার স্বামীর চারটি মৎস্য ঘেরের মাছ রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে চেয়ারম্যান মাসুদুলের বাড়িতে নিয়ে যায় ও পাশে চাঁদনীমাখা মাছের সেটে বিক্রি করে। এভাবে তারা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।
    নুরজাহান বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর বাড়ির সামনে চারটে দোকান ঘরের ছাদ দেওয়ার প্রাক্কালে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি বিকাল পাঁচ টার দিকে খায়রুল ইসলাম, ওইদুজ্জামান আপ,ু আইয়ুব গাজী, সবুজ গাজী, মঞ্জু গাজী, মনিরুল আমার স্বামীকে ডেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উল্লেখিতরা সহ ৪০/৫০টি মোটরসাইকেল যোগে বহু লোক আমার বাড়িতে এসে
    দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি ভাঙচুর করে। এমসয় আমাদের দুই মহিলাকে মারপিট করে চলে যাবার সময় ছাদে ব্যবহৃত ১৫০ কেজি কাটা রড নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে শ্যামনগর থানায় এজাহার দিলে থানার ওসি মামলাটি এখনো রেকর্ড করেননি।
    তিনি এঘটনায় আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

     

  • সাতক্ষীরায় জলবায়ু সচেতনতায় অনুষ্ঠিত হল “গোল ফর ক্লাইমেট” ফুটবল টুর্নামেন্ট

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যতিক্রমী এক ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরামের উদ্যোগে এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ও স্থানীয় সংগঠন উত্তরণের যৌথ আয়োজনে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা পিটিআই সংলগ্ন পিএন স্কুল মাঠে “গোল ফর ক্লাইমেট” নামক এই বিশেষ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

    টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান বাবু। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফ‌ঈদা খন্দকার প্রান্তির পিতা বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, উত্তরণের কর্মকর্তা এডভোকেট মুনীর উদ্দিন, উত্তরণের পিসি মোহাম্মদ আলী এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকল্প সমন্বয়কারী আবু বকর সিদ্দিকী।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস কেডি। পুরো আয়োজনের সঞ্চালনায় ছিলেন সহ-সভাপতি মো. হোসেন আলী।

    জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে চারটি দল গঠন করা হয়, যার নামকরণ করা হয় সাতক্ষীরা অঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামে—টাইফুন, সিডর, আইলা ও আম্ফান। প্রতিটি দলই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রতীকী বার্তা বহন করে।

    টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরামের সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস কেডির নেতৃত্বাধীন টাইফুন দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় সহ-সভাপতি মো. হোসেন আলীর আম্ফান দল।

    সাধারণত ফুটবল টুর্নামেন্টে ট্রফি বা মেডেল প্রদান করা হলেও এই আয়োজনে ছিল এক অনন্য পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ। বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে মেডেলের পরিবর্তে বৃক্ষরোপণের জন্য গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান বাবু বলেন, ফুটবল শুধু খেলা নয়, এটি একটি শক্তিশালী সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যম। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

    সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, খেলার মাধ্যমে যদি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুতর বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পারি, তাহলে এটি শুধু বিনোদন নয়, বরং সামাজিক দায়িত্বও পালন করবে।

    উত্তরণের কর্মকর্তা এডভোকেট মুনীর উদ্দিন বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতার শিকার। তরুণদের এমন উদ্যোগ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।

    সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকল্প সমন্বয়কারী আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু সংকটের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এখনই সচেতন হতে হবে। তরুণদের এমন উদ্যোগই পারে সমাজকে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে।

    টুর্নামেন্ট দেখতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন মাঠে। স্থানীয় এক দর্শক বলেন, খেলার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির ভাবনাটি সত্যিই ব্যতিক্রমী। এমন আয়োজন আরও হওয়া উচিত।

    আরেকজন অভিভাবক বলেন, আমার সন্তানও খেলতে এসেছে। সে শুধু ফুটবল খেলেনি, বরং পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বও শিখেছে।

    আয়োজকরা মনে করেন, এ ধরনের উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতীকী ও বাস্তবিক দুটো দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

  • আশাশুনিয বেউলা সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশনের কুইজ প্রতিযোগিতা 

    আশাশুনিয বেউলা সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশনের কুইজ প্রতিযোগিতা 

    আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় বুধহাটা কওছারিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বেউলা সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
    সামাজিক ও অরাজনৈতিক সেবা মূলক সংগঠন ‘ইচ্ছে পুরন ফাউন্ডশন’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আবুল কালাম আজাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য এপিপি এড. শহিদুল ইসলাম। স্বেচ্ছাসেবক নাঈম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা শেষে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী মামুনি আক্তার, তাসমিন নাহার, সাদিয়া আক্তার, মিনান্নাহার ও আব্দুল্লাহকে পুরস্কার প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ।
  • সাতক্ষীরায় এলএনজি চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: জ্বালানি নীতির তীব্র নিন্দা

    সাতক্ষীরায় এলএনজি চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: জ্বালানি নীতির তীব্র নিন্দা

    সাতক্ষীরায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মীরা সরকারের এলএনজি আমদানি চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। স্বদেশ, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)-এর আয়োজনে এই কর্মসূচিতে চুক্তিটির অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হয়। বক্তারা বলেন, এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের উপর গুরুতর আর্থিক চাপ সৃষ্টি হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা আরও দীর্ঘায়িত হবে, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে অগ্রসর হওয়ার পরিবর্তে পশ্চাদপসরণ। তারা আরও অভিযোগ করেন যে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। স্বদেশ-এর প্রতিনিধি দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “সরকারকে তাদের নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। এলএনজি বাংলাদেশের জন্য কম  টেকসই এবং ব্যয়সাপেক্ষ সমাধান। আমাদের এমন নীতি দরকার যা সৌর, বায়ু এবং অন্যান্য সবুজ জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দেবে।” বিক্ষোভ শেষে, অংশগ্রহণকারীরা জ্বালানি চুক্তিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার এবং টেকসই জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জোরালো দাবি জানান। বিক্ষোভে অংশগ্রহন করেন আব্দুর সামাদ,স্বপন পান্ডে,মাহিদা মিজান ,জাহাঙ্গীর আলম , জয় সরদার সহ আরো অনেকে।

  • ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা

    ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা

    রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। যেখানে প্রতিবছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।

    পরিপত্রে বলা হয়, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না। দিনটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    সিদ্ধান্তটি যথাযথভাবে প্রতিপালনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয় পরিপত্রে।

    উল্লেখ্য ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। নিহত হন সব মিলিয়ে ৭৪ জন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

  • ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

    ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

    বাংলাদেশ ‘দন্ডবিধি ১৮৬০’ আইনের ১০০ ধারার ৩য় ধাপে বলা আছে – “কোন ব্যাক্তি যদি ধর্ষণের অভিপ্রায়ে আক্রমণ করে, তাহলে ঐ আক্রমণকারী হতে দেহের রক্ষার জন্য আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু ঘটানো যায়। এবং এই মৃত্যু ঘটানো ‘খুন’ বলে বিবেচ্য হবে না।”

    বাংলাদেশের দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১০০ ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনের জন্য বিপদজনক পরিস্থিতিতে পড়ে এবং আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তা খুন হিসেবে গণ্য হবে না। এই ধারাটি আত্মরক্ষার অধিকার সম্পর্কে বলে, বিশেষ করে ধর্ষণের বা যৌন নিপীড়নের পরিস্থিতিতে, যেখানে ভুক্তভোগী নিজেকে রক্ষা করার জন্য আইনগতভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।

    ধারা ১০০ এর ৩য় উপধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি ধর্ষণের উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি আক্রমণ করে, তাহলে আত্মরক্ষার জন্য ঐ আক্রমণকারীকে মারাত্মকভাবে আঘাত করা যেতে পারে, এমনকি তার মৃত্যু ঘটানোও জায়েজ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ঐ মৃত্যুকে “খুন” হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। অর্থাৎ, এটি আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।

    তবে, এই আইনের প্রয়োগের জন্য বিশেষ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে:

    ১.আক্রমণকারীর আক্রমণ ধর্ষণের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
    ২.ভুক্তভোগী যদি নিজের রক্ষা করার জন্য আক্রমণকারীকে আঘাত করেন এবং তা পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় ও যুক্তিসঙ্গত হয়।
    ৩.আত্মরক্ষার প্রয়োজনে করা পদক্ষেপটি অতিরিক্ত সহিংসতার কারণে না হয়ে থাকে।
    ৪.এটা আইনের একটি ব্যতিক্রমী বিধান, যেখানে প্রয়োগকারী ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে আত্মরক্ষা করতে পারবেন। তবে, এই ধরনের ঘটনা বিচারক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করবে।

  • বাংলাদেশের ২ জনের এক প্রতিষ্ঠান ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিজেই জানালেন ট্রাম্প

    বাংলাদেশের ২ জনের এক প্রতিষ্ঠান ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিজেই জানালেন ট্রাম্প

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে মার্কিন সরকার যে অনুদান দিয়েছে, সেটির মধ্যে দুই কোটি ৯০ লাখ ডলার ‘কেউ নাম শোনেনি’ এমন একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে গিয়ে পড়ার কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।ট্রাম্পের ভাষায় যে প্রতিষ্ঠান শুধু দুইজনকে নিয়ে গঠিত।

    ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে দুই কোটি ৯০ লাখ ডলার দেওয়া হয়। এটা এমন এক প্রতিষ্ঠান পেয়েছে, যার নাম আগে কেউ শোনেনি।

    কল্পনা করতে পারেন! আপনার ছোট একটি প্রতিষ্ঠান আছে; আপনি এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, সেখান থেকে ১০ হাজার ডলার পান। এর মধ্যে আপনি মার্কিন সরকারের কাছ থেকেই পেয়ে গেলেন দুই কোটি ৯০ লাখ ডলার।

    তার ভাষ্য, “ওই প্রতিষ্ঠানে মাত্র দুজন লোক কাজ করেন, দুজন। আমার মনে হয়, তারা এখন খুবই খুশি; খুবই ধনী। কোনো ব্যবাসায়িক সাময়িকীর প্রচ্ছদে শিগগিরই তাদের ছবি ছাপা হবে, প্রতারণায় সেরা হওয়ার জন্য।”

    সরকারের ব্যয় কমাতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছেন ট্রাম্প। এ জন্য গঠন করেন ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভার্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই), যেটির প্রধান হিসেবে আছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। বিভিন্ন খাতের বরাদ্দে কাটছাঁট করা এই বিভাগের অন্যতম লক্ষ্য।

  • আশাশুনিতে তাঁতীদলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত 

    আশাশুনিতে তাঁতীদলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত 

    আশাশুনিতে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, শুভেচ্ছা র‌্যালী ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা তাঁতীদলের আয়োজনে শুরুতেই একটি শুভেচ্ছা র‌্যালি বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার চান্নিতে এসে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার সভায় নতুন আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দদের পরিচয় পর্ব শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। উপজেলা তাঁতীদলের আহবায়ক আমির হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদ মোস্তফা। উপজেলা তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শেখ আব্দুর রশিদ, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রিন্স, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগ, উপজেলা তাঁতীদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান, যুগ্ম আহবায়ক আজিজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, তৌহিদুজ্জামান, রাশিদুল হক তাহের, বড়দল ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরিফ, শ্রমিক দলের সভাপতি নুরুল ইসলাম মোড়ল, জার্সাসের আহবায়ক মির্জা আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।আলোচনা সভা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দদের নিয়ে কেক কেটে তাঁতীদলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। সবশেষে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
  • সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক যুব ক্যাম্পেইন শুরু

    সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক যুব ক্যাম্পেইন শুরু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য “নদী ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন” বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।

    রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় সদর উপজেলার মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ ও যুব পানি কমিটি।

    “সাস্টেইনেবল রিভার বেসিন ম্যানেজমেন্ট (এসআরএম): অ্যাডাপ্টিং ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন দ্য সাউথওয়েস্ট বাংলাদেশ (চতুর্থ ফেজ)” প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুবসমাজকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দক্ষ করে গড়ে তোলা, তাদের নদী ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা এবং নদী অববাহিকায় টিআরএম চালু করতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

    অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা যুব পানি কমিটির সভাপতি মো. হোসেন আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মাছখোলা মাধ্যমিক ব্যিালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শাহজাহান আলি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তরণের প্রোগ্রাম অফিসার দীলিপ কুমার সানা। উত্তরণের মাঠ কর্মকতা মো. গোলাম হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুব পানি কমিটির সদস্য আফিজা আফরোজ, অর্পণ বসু, সুমা খাতুন, নাঈমুর রহমান চৌধুরী, মাকসুদা জেরিন, মনিরুল ইসলাম, ইশরাত জাহান ফারিহা এবং আনিসা আক্তার।

    ক্যাম্পেইনে যুব পানি কমিটির সদস্যরা তাদের অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন। তারা কীভাবে এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে একসাথে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

    ২২ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান এই ক্যাম্পেইনে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শির্ক্ষাীরে নিয়ে বিভিন্ন কর্মশালা, আলোচনা সভা, এবং নদী রক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি স্থানীয় পরিবেশবিদ ও উন্নয়নকর্মীরাও অংশগ্রহণ করবেন।

    আয়োজক সংগঠন উত্তরণ-এর দীলিপ কুমার সানা জানান, “এই এলাকার নদী রক্ষা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে তরুণদের সম্পৃক্ততা জরুরি। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা তাদের সচেতন ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই।

    তিনি আরও বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম নদী অববাহিকা অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে। এখনই নদী বাঁচাতে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ধরনের উদ্যোগ যুবসমাজকে টেকসই নদী ব্যবস্থাপনার কার্যকর পক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমরা আশা করছি।

  • শ্যামনগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

    শ্যামনগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

    বাংলাদেশের মাটিতে আর ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে দেয়া হবে না : রফিকুল ইসলাম খান

    আবু সাইদ বিশ^াস, হুসাইন বিন আফতাব,শ্যামনগর, সাতক্ষীরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে আর ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে দেয়া হবে না। ২৩ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বিকাল ৪ টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর সরকারি এইচ.সি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জত উল্যাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা জামায়াতের নাবেয়ে আমীর শেখ নুরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুল আলম, প্রভাষক ওমর ফারুক, জেলা অফিস সেক্রেটারী রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

    এটিএম আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানিয়ে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবী শুধু জামায়াতে ইসলামীর নয়, এ দাবী এখন দেশের ১৭ কোটি মানুষের। আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের জনগণ। তিনি বলেন, এটিএম আজহারুলকে যারা কারাগারে আটকে রেখে ছিল তারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে ছিল। বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন আপনারা কি ভারতে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বলেন এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দিলে আপনারা ক্ষমতায় থাকাকার অধীকার রাখেন না। তাই অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিন।

    রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অভিশপ্ত দল। তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। লুটপাট করেছ। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে। তারা অবৈধভাবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এতো উন্নয়নের রোল মডেল হলে দেশ ছেড়ে পালালেন কেন? জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ফাঁসির কাষ্ঠে গেলেও কখনও দেশ ছেড়ে পালাননি। মূলত নিজেদের অপকর্মের কারণে আওয়ামী লীগকে পালাতে হয়েছে।

    রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াত। যাকে তাকে জামায়াত—শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করেছে।তিনি বলেন বর্তমানে একটি দল বিগত পতিত সরকারের মত বক্তব্য দিতে শুরু করেছে। তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাকান্ড চালানো বন্ধ করেন। জুলুম, চাঁদাবাজি বন্ধ করেন। সাড়ে ১৫ বছর ঘরে বন্দী ছিলেন ঘর থেকে বের হতে পারেন নাই। বর্তমান পরিস্থিতিকে আল্লাহ তাআলার নেয়ামত হিসেবে মনে করুন। আল্লাহ তাহলে আপনাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন করে দেবে, দেশবাসীও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’

    কোনো ষড়যন্ত্র—মিথ্যাচার করে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে আর শেষ করা যাবে না জানিয়ে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জুলুম ও নির্যাতন মোকাবিলা করে সঠিক ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সব সময় আমরা মহান আল্লাহর সাহায্য পেয়েছি। জামায়াত সুশৃঙ্খল ও সুগঠিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নেতারা এ কথা একবাক্যে স্বীকার করেন যে নিজামী সাহেবের মতো পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশে আর কেউ ছিলেন না। তারপরও তাকে ফাঁসি দিয়ে শহীদ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল জামায়াতের নেতৃত্ব শেষ করার মাধ্যমে পুরো সংগঠনকে শেষ করে দেওয়া যাবে। কিন্তু না তা হয়নি, বরং জামায়াতে ইসলামী বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল ও সুগঠিত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে আজ দাঁড়িয়ে গেছে।

    রফিকুল ইসলাম খান বলেন আজ বাংলাদেশে ইসলামপন্থিদের জাগরণ শুরু হয়েছে। আমাদের ঐক্য হবে আরও সুদৃঢ়। মনে রাখবেন ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি কোনোদিনই ভালো হয় না, এটাই মহান আল্লাহর ওয়াদা

    রফিকুল ইসলাম খান বলেন, যে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, আজ সেই ট্রাইব্যুনালেই আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগ ও পাশের রাষ্ট্র এ দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করতেই জামায়াত নেতাদের ফাঁসির রায় দিয়েছিল। শুধু তা—ই নয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১ নং থেকে ১১ নং পর্যন্ত শীর্ষ নেতাদের ওপরে জুলুম চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল আওয়ামী লীগ। তখন সাজানো সাক্ষী এনে প্রহসনের রায় দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ দেখেছে জনগণ।

    মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গত ৫৩ বছরে যেখানে একটি সমৃদ্ধ ও সুখী রাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল, সেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে স্বৈরশাসন, লাঠির শাসন এবং সর্বশেষ ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। এর থেকে মুক্তির একমাত্র পথ পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করা। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ধর্ম, বর্ণ, দল নির্বিশেষে এ দেশের সকলে ভালো থাকবে, সুখে থাকবে।’ তিনি বলেন, দেশজুড়ে একটা আওয়াজ উঠেছে, সব দল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা সম্মানিত হবে। অমুসলিমরা সবচেয়ে ভালো থাকবে। ইসলামী সরকার তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবে। জামায়াতের কাছে অমুসলিমরা সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে।

    তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই নির্বাচন দিতে হবে। যেনতেন সংস্কার মানবো না, তবে সেই সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপণ মানবো না। এ দেশের মানুষ জেগে উঠতে শিখেছে। জেগে ওঠা জনগণ কারও প্রভুত্ব মানবে না। গত ১৬ বছরে পুরো বাংলাদেশ একটি বন্দিশালা বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। বিনা দোষে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ডাণ্ডাবেরি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হতো। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে যারা সংগ্রাম করতে চেয়েছে তাদেরই টুটি চেপে ধরা হয়েছিল। তারা নির্বাচনে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু মানুষ হত্যা করে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি।

    দীর্ঘ ১৬ বছর পর শ্যামনগরে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ হওয়ায় নেতাকর্মীরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত। সকাল ৯টায় জামায়াতের মহিলা কমীর্ সম্মেলনেও তিনি প্রথান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরে দুপুর আড়াই টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতাকর্মীদের পাদচারণায় মুখর হয় নকিপুর সরকারি এইচ.সি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে । ব্যানার—ফেস্টুন নিয়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে মিছিল সহকারে অংশগ্রহণ করেন নেতাকর্মীরা।

  • তালায় স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গ্রাম পুলিশ নিয়োগ সম্পন্ন করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল!

    তালায় স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গ্রাম পুলিশ নিয়োগ সম্পন্ন করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল!

    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ১০ টি পদে গ্রামপুলিশ নিয়োগ স্বচ্ছতার অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল।
    শনিবার (২২ ফেব্রæয়ারী ) রাত ৯.৩০ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
    এই দিন দুপুর ১২.৩০ টায় তালা শহীদ আলী আহম্মদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে চাকুরী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এতে ৮ টি ইউনিয়নের ৩৯ জন চাকরী প্রত্যাশী অংশগ্রহণ করেন। ১০ পদের বিপরীতে ৫২ জন আবেদন করেন। প্রাথমিক বাঁচাই এ আবেদন পত্রে ত্রæটি থাকায় ২ জন বাদ পড়েন।
    স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন করতে সহযোগীতা করেন, তালা থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ শাহিনুর রহমান, পাটকেলঘাটা থানার এস আই মোঃ কাছেদ মুন্সি, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী স্বজল কুমার, আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা তহমিনা আক্তার প্রমুখ।
    জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান, এম মফিদুল হক লিটু, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম আবুল কালাম আজাদ, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু, খলিসখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাবির হোসেন মোল্লা, তালা সদর ইউপির প্যালেন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, কুমিরা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মফিদুল ইসলাম, সরুলিয়া ইউপি’র মাসুদ রানা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
    নিয়োগ পরীক্ষা প্রভাবমুক্ত করতে ওই দিন সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সকল কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে খুব গোপন ভাবে প্রশ্নপত্র তৈরী করা হয়। এই প্রশ্ন পত্রে খুব কঠোর ভাবে নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষা শেষে ২ জন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নাম্বারপত্র তৈরী করা হয়। এসময় প্রতিটি খাতা ও নম্বরপত্র উপজেলা কর্মকর্তা নিজেই পরীক্ষা করেন। পরীক্ষার খাতায় নম্বরপত্র তৈরীতে নাম ছাড়াই আধুনিক সিম্বল ব্যবহার করা হয়। যাতে কেহ কাহারো দ্বারা প্রভাবিত না হতে পারেন। পরে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চুড়ান্ত তালিকা তৈরী করা হয়।
    চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন, অনেক দিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। আমার সময়ে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ হয়েছে কিন্তু এমন কঠোর ও কঠিন নিয়ম কখনো চোখে পড়েনি। প্রশ্ন পত্র তৈরী থেকে শুরু করে ফলাফল পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত কাউকে বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই সকল উত্তরপত্র যাচাই বাছাই করেছেন। একেবারে প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
    তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোন ও হয়াটসএ্যাপে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
    ##

  • বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার নতুন কমিটির অভিষেক 

    বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার নতুন কমিটির অভিষেক 

    বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১২ টায় স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার এর হলরুমে সাতক্ষীরা পৌর শাখার নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার সভাপতি ডাঃ অনির্বাণ সরকার । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ মাহবুবুর রহমান । বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আব্দুল গাফফার, উপদেষ্টা মোঃ শফিউল ইসলাম, উপদেষ্টা শেখ সাঈদ আহমেদ রঞ্জু, উপদেষ্টা মোঃ আবুল কালাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আল আমিন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন।