Blog

  • সাতক্ষীরায় সুলভ মূল্যে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি শুরু

    সাতক্ষীরায় সুলভ মূল্যে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি শুরু

    পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সাতক্ষীরায় সুলভ মূল্যে গরুর মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি শুরু হয়েছে।

    শনিবার (১ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরা শহরের সংগীতা মোড়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সুলভ মূল্যে গরুর মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস ও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব।

    এসময় জানানো হয়, মাসব্যাপী ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস, ৭০ টাকা কেজি দরে দুধ ও ৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডিম বিক্রি করা হবে। যা সময়ের ব্যবধানে উঠানামা করতে পারে। সুলভ মূল্যের এই দোকান থেকে সর্বনিম্ন ১০০ টাকার মাংসও কেনা যাবে।

  • ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে আরও কঠোর হবে বিজিবি

    ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে আরও কঠোর হবে বিজিবি

    সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিক।

    তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তারের পর যথাযথ সম্মান দিয়ে তাদের কাছে আমরা হস্তান্তর করি। সেটা কতটুকু আর করা যাবে, যদি তারা না করে।

    আজ শনিবার দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সীমান্ত হত্যা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি প্রাধান্য এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত হয়েছে। সেই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদরদপ্তর থেকে শুরু করে সবখানে বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

    তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পরে এই ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি, যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পরে কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

    বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটেও কেউ মারা যেতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

    মহাপরিচালক আরও বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যাইহোক; হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না। আরও যদি একটি (হত্যা) করা হয় আমরা পরবর্তীতে আরও কঠোর অবস্থানে যাবো। আমরা চেষ্টা করছি, ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

    মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি-না জানতে চাইলে বিজিবি ডিজি বলেন, কেউ যদি মিয়ানমার সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ না করে, (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা (বিজিবি) তৈরি আছি।

  • পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদারতা যুব ফাউন্ডেশনের

    পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদারতা যুব ফাউন্ডেশনের

    পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে উদারতা যুব ফাউন্ডেশন। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জুবায়ের আহম্মেদ শিমুল বিতরন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আমিন, আর কার্যক্রম পরিচালিত হয় সাংগঠনিক কর্মকর্তা আবু তাহেরের দিকনির্দেশনায়। উদ্বোধনী বক্তব্যে জুবায়ের আহম্মেদ শিমুল বলেন, “উদারতা যুব ফাউন্ডেশন সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। চলমান মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ কঠিন সময় পার করছে। বিশেষ করে রমজান মাসে তাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।”  আবু তা‌হের ব‌লেন, উদারতা যুব ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংগঠনটি।  সভাপ‌তি সমাপনী বক্ত‌ব্যে বলেন, “আমাদের সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করছে। শুধু রমজান মাস নয়, সারা বছরই দরিদ্র মানুষের জন্য বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”উদারতা যুব ফাউন্ডেশনের এই মহতী উদ্যোগে এলাকার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হয়েছে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল  নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল একটি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, যা রমজান মাসে তাদের কিছুটা স্বস্তি দেবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন, দেলোয়ার, সোহেল, রুহান, হারান, আলামিন, ফুয়াদ, নুরআলম, আরিফ বিল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশিকুর রহমান, আর সমগ্র কার্যক্রম পরিচালনায় ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মইনুর ইসলাম।রমজান মাসে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।তাদের এমন উদ্যোগ স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
  • আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ওয়াবদা ভাঙ্গন

    আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ওয়াবদা ভাঙ্গন

    /আতঙ্কে এলাকাবাসী/ওসির পরিদর্শন

     আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ওয়াবদা রাস্তা প্রায় ৪০০ ফুট ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এরপরেও বড় ধরনের ফাটল দেখা দেওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে কাঁচা বাজারের নির্মাণাধীন ছাওনি, আল আকসা জামে মসজিদ সহ বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের লক্ষ্য লক্ষ‍্য মানুষ, আতঙ্ক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য গত বছর মরা মরিচ্চাপ নদী খননের পর বছর না যেতেই দেখা দিয়েছে এ ভয়াবহ ভাঙ্গন। এই মুহূর্তে ভাঙ্গন না আটকাতে পারলে বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা জমির বোরো ধান ও শত শত বিঘা জমির তরমুজ চাষ সহ বহু মৎস্যঘেরে লোনা পানিতে প্লাবিত হতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি’র একটি অংশের যুবদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, সাবেক যুবদলের আহবায়ক আজগার মোড়ল ও বিএনপি নেতা আল মাহমুদ টিক্কা সাংবাদিকদের নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন করে খবর দিলে সঙ্গে সঙ্গে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন খুব দুঃখজনক ব্যাপার এই বেড়িবাঁধের কাজ যদি দ্রুত না করা হয় তাহলে বড়দল ও খাজরা দুই ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। বিষয়টা আমার নাহলেও আমি উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জরুরী ভাবে বাঁধের কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হবে।
    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, আপনি বলেছেন তাই শুনতে পারলাম। আমি ছুটিতে আছি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইনকে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। তবে দ্রুত কাজের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আশ্বস্ত করেন তিনি। এসও জাহিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন এক্স এন স‍্যার ঢাকায় গিয়েছে। রবিবার সকালে সাতক্ষীরায় আসবে আসার পরে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। জেলা প্রশাসক ও এক্স এন মহোদয়ের জরুরি ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিনয়ের সাথে অনুরোধ করেছেন এলাকাবাসী।
  • বিএনএফ’র উপদেষ্টার প্রগতি’র কর্মএলাকা পরিদর্শন

    বিএনএফ’র উপদেষ্টার প্রগতি’র কর্মএলাকা পরিদর্শন

    ২৮ ফেব্রুয়ারি’২৫ প্রগতি’র বিএনএফ ফান্ড পরিচালিত কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বিএনএফ ঢাকার উপদেষ্টা সামস উদ্দিন মো. রাফি। এ সময় প্রগতি প্রধান নির্বাহী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সমন্বয়কারী শেখ রফিকুল ইসলাম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ বেলাল উপস্থিত ছিলেন।
    বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন বিএনএফ এর সহযোগিতায় কালিঞ্চি গ্রামে মুন্ডাদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে দরিদ্র পরিবারের মধ্যে গুরু প্রদান করা হয়।
    ২৮ ফেব্রুয়ারি রমজান নগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামে গরু গ্রহণকারী পরিবারগুলোর বাস্তব চিত্র ও প্রদত্ত গরুর বর্তমান অবস্থা সরজমিনে পরিদর্শনে এনজিও ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সামস উদ্দিন মো. রাফি এলাকায় আসেন।
    সুন্দরবন সংলগ্ন প্রায় বিচ্ছিন্ন একটি জনপদ কালিঞ্চি গ্রামের অসহায় দরিদ্র পরিবার সমূহের জীবনমান পরিদর্শনকারিকে বিচলিত করে। গরু গ্রহণকারী পরিবার সমূহের সাথে কথা বলে তিনি অনুপ্রাণিত হন।

  • জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ; আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার

    জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ; আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার

    জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি আত্মপ্রকাশ করেছে। আর এ নতুন দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে আখতার হোসেনকে।

    শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন রাজনৈতিক দল ও আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত শহীদ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন রাব্বীর বোন মীম আক্তার।

    মীম আক্তার বলেন, ইতিহাসে দেখিনি বোনের কাঁধে ভাইয়ের লাশ। আমরা দুই বোনের কাঁধে ছিল ভাইয়ের লাশ।

    এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হয়েছেন ডা. তাসনিম জারা, নাহিদা সরওয়ার রিভা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হয়েছেন সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। বিকেল ৪টার পর নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, বিকল্পধারার নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের।

    এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কূটনৈতিকদের মধ্যে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের পক্ষে একজন কাউন্সিল অংশ নিয়েছেন বলে মঞ্চ থেকে জানানো হয়।

  • সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের উপশাখা দায়িত্বশীল কর্মশালা

    সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের উপশাখা দায়িত্বশীল কর্মশালা

    দাওয়াত এবং প্রশিক্ষণে মজবুত হবে সংগঠন; জ্ঞানের আলোয় গড়বো সমাজ, সফল হবে আন্দোলন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা শহরের পৌর পূর্ব থানা শাখা ছাত্রশিবিরের ২০২৫ সেশনের বার্ষিক পরিকল্পনা এবং উপশাখা দায়িত্বশীল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৮ শে ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার ) সকাল ৮ টায় সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার হল রুমে ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা পৌর পূর্ব থানা শাখার সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা’র সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জুবায়ের আহমেদ এর সঞ্চালনায় সাতক্ষীরা শহর আদর্শ শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুহাদ্দিস সিরাজুল ইসলামের দারসুল কুরআন পেশ করার মাধ্যমে এ দায়িত্বশীল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার সভাপতি মুহা. আল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা শহর প্রকাশনা সম্পাদক আল রাজীব।
    প্রধান অতিথি মুহাঃ আল মামুন বলেন, পথহারা দিশেহারা যুবকদের আলোর পথ দেখাতে,সর্বোচ্চ ত্যাগের নজরানা পেশ করার জন্য এবং দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন করার জন্য যোগ্য নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে হবে। একজন দায়ী হিসেবে ,আদর্শিক চরিত্র গঠনের মধ্য দিয়ে জীবনকে সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। এছাড়া তিনি একটি আদর্শ উপশাখা কিভাবে গঠন করা যায়, উপশাখা দায়িত্বশীলদের মৌলিক প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন , পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন,বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের সংগঠনের জন্য ত্যাগ, দায়িত্বশীলদের চরিত্র ও গুণাবলি,হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে কাজ বৃদ্ধি, বন্ধু সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

  • মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে সাতক্ষীরায় জামায়াতের মিছিল

    মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে সাতক্ষীরায় জামায়াতের মিছিল

    পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্র রক্ষা ও দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবিতে  মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর ও সদর উপজেলা শাখা ।
    শুক্রুবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)বিকাল ৫টায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সাতক্ষীরা জামায়াতের নায়েবে আমীর মেখ নূরুল হুদার নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়স্থ আসিফ চত্বর হয়ে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসে শেষ হয়।
    নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির রোধ এবং রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে অনুষ্ঠিত স্বাগত মিছিল পূর্ববর্তী পথসভায়  সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, কর্মপরিষদ সদস্য এড.আব্দুস সুবহান মুকুল, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, জেলা অফিস সেক্রেটারী রুহুল আমিন, শিবিরের শহর সভাপতি আল মামুন, শহর নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, সদর নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, শহর সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সদর সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান, শহর শিবিরের সেক্রেটারী মেহেদী হাসান প্রমুখ।
    এসময় বক্তারা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা মাহে রমজানের সম্মানে অন্তত এই মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর দাম কমিয়ে ফেলেন, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখুন। মুসলিম ভাইয়েরা সেহরি খেয়ে অন্তত রোজাটা যেনো রাখতে পারে, সারাদিন রোজা শেষে ইফতারটা যেনো অন্তত করতে পারে। রোজাদারদের কষ্ট হয় এমন কিছু দয়া করে করবেন না। এছাড়া মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে দিনের বেলা হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, মদ, জুয়া, হাউজি ইত্যাদি অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকা- বন্ধের দাবি জানানো হয় মিছিল পরবর্তী পথসভায়।
  • বুধহাটায় মাহে রমজানের  পবিত্রতা রক্ষায় র‍্যালী

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধহাটা দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে এ র‍্যালী বের হয়।
    মাদ্রাসার জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ তমেজউদ্দীন গাজীর নেতৃত্বে র‍্যালীটি কুল্যার মোড় ও বুধহাটা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় মাদ্রাসার মুহতামিম মাওঃ সালিম উদ্দিন, ইজিবাইক চালক সমিতির সভাপতি রমজান আলী, ইলেক্ট্রিশিয়ান রজব আলী, যুব কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
  • আশাশুনির কুল্যা ব্রীজের নিচে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার কুল্যা-গুনাকরকাটি ব্রীজের নিচ থেকে ৭মাসের এক মেয়ে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপির ১টার দিকে স্থানীয়রা ব্রীজের নিচে একটি সাদা রঙের বাজারের ব্যাগ দেখতে পায়। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই রাজিব মন্ডল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যাগে গর্ভপাত নবজাতকের মৃতদেহ দেখতে পান। তবে ব্যাগটি কে, কখন রেখে গেছে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি।
  • আশাশুনির বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ হাসান ইকবাল মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত ড্যানিসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা জি এম মুজিবুর রহমান, কার্যকরী সদস্য ও আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসান, সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, কার্যকরী সদস্য সচ্চিদানন্দদে সদয়, কোষাধ্যক্ষ বাবুল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র বাছাড়, যুগ্ম সম্পাদক ডাক্তার রফিক আহমেদ, সদস্য আবু হাসান, আমিনুর রশিদ ও ফারুক হোসেন। সভায় ১০ থেকে ১৫ রমজানের ভিতরে ইফতারি অনুষ্ঠান ও অভিষেক অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং অনুষ্ঠান সফল করতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা।
  • আশাশুনিতে দুই বিদায়ী ও এক  নবাগত কর্মকর্তাকে সংবর্ধনা

    আশাশুনিতে দুই বিদায়ী ও এক  নবাগত কর্মকর্তাকে সংবর্ধনা

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে দু’জন কর্মকর্তাকে বদলী জনিত বিদায় ও একজন নবাগত কর্মকর্তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে ও সমাজ সেবা অফিসার রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, বিদায়ী উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম এনামুল ইসলাম, বিদায়ী ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর অপূর্ব মন্ডল, নবাগত কৃষি অফিসার শুভ্রাংশু শেখর দাশ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দেব, সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মশিউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় বিদায়ী কর্মকর্তাদ্বয়কে ক্রেস্ট দিয়ে বিদায় ও নবাগত কর্মকর্তাকে পুস্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
  • খাজরায় পিতার পরিবার কর্তৃক মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন 

    খাজরায় পিতার পরিবার কর্তৃক মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার খাজরায় পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের কর্তৃক মেয়ে জামাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের নামে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে রাউতাড়া গ্রামের উমেশ মন্ডলের স্ত্রী পম্পা চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পম্পা মন্ডল তার লিখিত বক্তব্যে বলেন আমার পিতা কার্তিক চক্রবর্তী, মাতা কালি চক্রবর্তী ও বড় ভাই কৌশিক চক্রবর্তী আমাকে অত্যাচার করে আসছিলো। প্রায় এক মাস আগে তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার শেষ ভরসার জায়গা বর্তমান স্বামী কৌশিক মন্ডলের বাড়িতে যায়।তার বাড়িতে গেলে সে এবং আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে আমার পিতার বাড়িতে ফিরে যেতে বলে।আমি বাড়ি ফিরে গেলে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে মারপিট করে। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে আমাকে নিয়ে যেয়ে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবো বলে উমেশ মন্ডলকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকি।সে আমাকে বাঁচাতে বিবাহ করে। এরপর থেকে শুরু হয় তার পিতার পরিবারের ষড়যন্ত্র।পম্পা মন্ডল তার বক্তব্যে আরোও বলেন বর্তমানে আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকলেও আমার পিতার পরিবার আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের নিয়ে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সংবাদ সম্মেলনে পম্পা মন্ডল তার পিতার পরিবার কর্তৃক মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্র থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
  • আশাশুনির দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের নব গঠিত কমিটির অভিষেক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের নব গঠিত কমিটির অভিষেক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দরগাহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে এ অভিষেক ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের নব গঠিত কমিটির সভাপতি প্রভাষক শেখ আশিকুর রহমান আশিকের সভািেপত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ নোমান হোসেন। নব গঠিত কমিটির সাধারন সম্পাদক এম এম নুর আলম ও ধারাভাষ্যকর আশরাফ হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দরগাহপুর কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরপদ মন্ডল, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, আশাশুনি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এস এম আহসান হাবীব, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হায়দার, সমাজ সেবক শেখ মতলুবর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ জিল্লার উদ্দীন, আহমাদ আলী বাচা, শেখ জিকু আলম, শেখ হিজবুল্লাহ, আলাউদ্দীন রাজা, কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী, হাফেজ শেখ কামরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক সম্পাদক শেখ তরিকুল হাসান এর প্রতিনিধি ও বিএনপির মিডিয়া সেলের জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন, আশাশুনি প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ আসাদুজ্জামান মুকুল, রিপোর্টার্স ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক বিএম আলাউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন আসলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুল গনি সরদার, বিএনপি নেতা জিএম হাফিজুর রহমান, এসএম স্বপন, ইউপি সদস্য আব্দুল বারী, গ্রাম ডাক্তার কল্যান সমিতির সভাপতি শেখ খলিফাতুল্লাহ, রামনগর সিরাজুল স্মৃতি সংঘের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ। দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারী দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের পূর্বের কমিটি বিলুপ্তি করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও ৮ জনকে উপদেষ্টা ও ৯ জনকে সাধারন সদস্য মনোনীত করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় শহীদ পরিবার আহত ও কারাভোগীদের সম্মাননা প্রদান

    কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবার,আহত এবং কারাবরণকারীদের সম্মাননা প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখা ।
    বৃহস্পতিবার (২৭ শে ফেব্রুয়ারি) বিকালে শহীদ রাজ্জাক পার্কে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহীদ পরিবার,আহত,কারাবরণকারীদের কাছে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে
    অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
    অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ্।
    অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে শহীদ পরিবার, আহত ও কারাবরণকারী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই: সেনাপ্রধান

    ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই: সেনাপ্রধান

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকা- নিয়ে রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে মঙ্গলবার আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানান, ‘ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। আজকে এই দেশের ক্রান্তিলগ্নে সমস্ত বাহিনী, সমস্ত অর্গানাইজেশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খালি সেনাবাহিনী টিকে আছে, বিমানবাহিনী টিকে আছে, নৌবাহিনী টিকে আছে। কেন? বিকজ অব ডিসিপ্লিন।’
    সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্য আরো বলেন, আজকে একটা বেদনাবিধুর দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে, শুধু তাই নয় আমরা কিছু পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। অনেকে ছবিতে দেখেছেন, তবে আমি এ বর্বরতার চাক্ষুষ সাক্ষী। একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনা সদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআরের সদস্য দ্বারা সংগঠিত।
    ঊুড়রপফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই। এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে, ১৬-১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা সাজাপ্রাপ্ত। সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না।
    যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভলভ ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলভ ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। উনি এটা বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন।
    বোটম লাইন হচ্ছে, আমাদের এই সমস্ত চৌকস যেসব সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা নিজেরা এই সমস্ত জিনিস নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছি। কেউ কেউ এই জিনিসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
    আজকে আমি যে উপদেশ আপনাদের দিয়ে যাব, সেটি যদি আপনারা গ্রহণ করেন, আপনারা লাভবান হবেন। আমি এটা আপনাদের নিশ্চিত করছি। আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমরা নিজেরা ইউনাইটেড থাকি। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, কোনো ব্যত্যয় থেকে থাকে, কোনো গ্রিভলসেন্স থেকে থাকে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধা করব। এটার জন্য ডানে-বায়ে দৌঁড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। নিজের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে না। আমি আপনাদের এই জিনিসটা নিশ্চিত করে দিচ্ছি।
    কিছু কিছু সদস্যদের দাবি, যে তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন শাস্তি পেয়েছেন। কেউ কেউ দায়ী করছেন যে, তারা অযাচিতভাবে শাস্তি পেয়েছেন। এটার জন্য আমি একটা বোর্ড করে দিয়েছি। একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেই বোর্ডের সদস্য। প্রথম ফেজে ৫১ জন সদস্যের ব্যাপারে আমার কাছে রিকমেন্ডেশন নিয়ে এসেছে। আর রিকমেন্ডেশনের অধিকাংশই আমি গ্রহণ করেছি। এবং আরও বেশি আমি দিয়েছি। নেভি-এয়ার ফোর্সও তাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
    আমার স্ট্যান্ডপয়েন্ট হচ্ছে, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, সেটার জন্য কোনো ছাড় হবে না। বিন্দুমাত্র ছাড় নাই। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে দিচ্ছি। ইট ইজ এ ডিসিপ্লিন ফোর্স। ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। আজকে এই দেশের ক্রান্তিলগ্নে সমস্ত বাহিনী, সমস্ত অর্গানাইজেশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খালি সেনাবাহিনী টিকে আছে, বিমানবাহিনী টিকে আছে, নৌবাহিনী টিকে আছে। কেন? বিকজ অব ডিসিপ্লিন।

  • দীর্ঘ ১৬ বছর পর আশাশুনিতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত

    দীর্ঘ ১৬ বছর পর আশাশুনিতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত

    দেশে আল্লাহর আইন চালু হলে জুলুম, নির্যাতন, হয়রানি বন্ধ হবে:কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

    নিজস্ব প্রতিনিধি : জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের আাগামী নির্বাচনের জন্য জনমত গঠনের আহ্বান জানিয়ে দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু গত ৫৪ বছর আমরা ভোটের অধিকার পাইনি।
    মুজিবুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল ৫ আগস্ট। এদিন থেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। সফল ছাত্র আন্দোলনে জালেমরা পালাইছে। কিন্তু দেশে জুলুম এখনো বন্ধ হয়নি। দেশে আল্লাহর আইন চালু হলে জুলুম, নির্যাতন, হয়রানি বন্ধ হবে। দেশে ন্যায় বিচার কায়েম হবে। পুরুষ, মহিলা ও যুবকরা জীবন দিতে শিখেছে। এ দেশের মানুষ জেগে উঠতে শিখেছে। জেগে ওঠা জনগণ কারও প্রভুত্ব মানবে না।
    বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টায় সাতক্ষীরার আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আশাশুনি উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    প্রধান অতিথি আরও বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই। বিগত জালেম সরকারের লোকজন এখনো বহু জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে। এদেরকে সরাতে হবে। যারা ভোটাধিকার হরণ করেছে, গুলি করে মানুষ খুন করেছে, তাদের আগে বিচার করতে হবে। আগে বিচার, তারপর সংস্কার, তারপর নির্বাচন। যারা নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়া করছেন তাদেরকে বলব, আপনারা কি আগের মত নির্বাচন চান? না প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান। তিনি বলেন, আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন।
    মুজিবুর রহমান বলেন, বিগত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট দিতে পারেনি। কেন্দ্রে গেলে তাদেরকে বলা হয়েছে, আপনাদের ভোট দেয়া হয়ে গেছে, আপনারা চলে যান। সেদিন যুবকরা কেন্দ্রে গিয়ে তাদের জীবনের প্রথম ভোট দিতে পারেনি। হায়েনার দল যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল, গণতন্ত্রকে তারা বহু দূরে নিয়ে গেছিল। নতুন ভোটার হওয়া যুবকদের ভোট দিতে দেয়নি। সেখান থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে।
    উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শুরুা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নাবেয়ে আমীর শেখ নুরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুল আলম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এড. আজিজুল ইসলাম, এড. আব্দুস সোবহান মুকুল, জেলা অফিস সেক্রেটারী রুহুল আমিন, আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওঃ নূরুল আবছার মোর্তজা প্রমূখ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আনওয়ারুল হক, কর্ম পরিষদ সদস্য এপিপি এ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, সহ সেক্রেটারী প্রফেসর শাহজাহান আলী, ডাঃ রোকনুজ্জামান, মাওলানা আব্দুল বারী, সাবেক সেক্রেটারি এবিএম আলমগীর পিন্টু, পেশাজীবী বিভাগের সভাপতি মাওঃ আতাউর রহমান ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ—সভাপতি মাসুম বিল্লাহ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
    মুজিবুর রহমান বলেন, ৭১ সাল থেকে গত ৫৪ বছর দেশ মানুষের আইন দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। মানুষের আইনে ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আল্লাহর আইনে কোন ভুল নাই। যারা আল্লাহর আইন মানে না তারা কাফের, ফাসেক, জালেম। আগামীতে যদি কেউ আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানুষের আইন দ্বারা দেশ পরিচালনা করতে চায় তাহলে সেটা হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, যারা ইসলামের কথা বলে, তাদের সংসদে পাঠানো গেলে দেশে ইসলামি আইন বাস্তবায়ন হবে। আল্লাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
    দীর্ঘ ১৬ বছর পর আশাশুনিতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত। সকাল ৯টায় জামায়াতের মহিলা কর্মী সম্মেলনেও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরে বিকাল ৪টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতাকর্মীদের পাদচারণায় মুখরিত হয় উঠে আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ । ব্যানার—ফেস্টুন নিয়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে মিছিল সহকারে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন নেতাকর্মীরা।