Blog

  • গত সাত মাসে ১১৪ গণপিটুনি, নিহত ১১৯: এইচআরএসএস

    গত সাত মাসে ১১৪ গণপিটুনি, নিহত ১১৯: এইচআরএসএস

    ন্যাশনাল ডেস্ক : অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে গণপিটুনির অন্তত ১১৪টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১১৯ জন নিহত এবং ৭৪ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
    এছাড়াও গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে অন্তত ৩০টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১৯ জন। আহত হয়েছেন ২০ জন।
    সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১০ বছরে গণপিটুনিতে মারা গেছেন অন্তত ৭৯২ জন। আহত হয়েছেন ৭৬৫ জন। গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২০১টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে গত বছর। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ১৭৯ জন। আহত হয়েছেন ৮৮ জন।
    গত বছরের মতো গণপিটুনির ঘটনা বেশি ঘটেছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। এ দুই বছরে গণপিটুনিতে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন।
    এর মধ্যে ৩ মার্চ রাতে চট্টগ্রামের এওচিয়া এলাকায় মাইকে ‘ডাকাত পড়ার’ ঘোষণা দিয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দলবদ্ধভাবে গুলশানের একটি বাসায় ঢুকে ‘তল্লাশি’র নামে জিনিসপত্র তছনছ ও লুটপাট করা হয়।
    এইচআরএসএস বলছে, এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ডাকাতির ঘটনায় শরীয়তপুরে সাতজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে পাঁচজন মারা যান। এর এক দিন আগে রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে পায়ে দড়ি বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
    এসব ঘটনার বাইরে বগুড়া, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, খুলনা, টঙ্গী, রাজশাহী ও বরিশালেও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।
    দেশে এ ধরনের সহিংসতা বৃদ্ধির পেছনে ছয় ধরনের কারণের কথা বলেছেন এইচআরএসএসের নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম।
    তিনি বলেন, কেউ কেউ রাজনৈতিক ক্ষোভের কারণে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে গণপিটুনির ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষত পুলিশ ও র‌্যাব এখনো পুরোপুরি কার্যকর নয়। আবার চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের কারণে অনেকে সন্দেহ করে গণপিটুনির ঘটনা ঘটাচ্ছেন।
    ইজাজুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনির ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির নজির তেমন নেই। তাই অনেকেই আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন।
    এ ছাড়া স্বার্থান্বেষী কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অরাজকতা তৈরির চেষ্টা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতার অভাবে রয়েছে। এসব কারণে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে।
    বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১০ বছরের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

  • ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন: ড. ইউনূস

    ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন: ড. ইউনূস

    ন্যাশনাল ডেস্ক : এবার জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানালেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
    ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই নির্বাসনে রয়েছেন। নাটকীয় এই পটপরিবর্তনের পর একে একে বের হয়ে আসছে সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-সহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ নানা চিত্র। হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, দাবি উঠেছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারেরও।
    এমন অবস্থায় এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন করার আশা করছেন ড. ইউনূস। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই নির্বাসনে থাকা হাসিনা এবং তার দল সেই নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত চাচ্ছে বাংলাদেশ।
    তিনি বলেন: “শান্তি ও শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এবং এরপর অর্থনীতি। সাবেক সরকারের রেখে যাওয়া এটি এক ছিন্নভিন্ন অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অর্থনীতি। এটা এমন কিছু যেন ১৬ বছর ধরে কিছু ভয়ানক টর্নেডো হয়েছে এবং আমরা এখন টুকরোগুলো তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
    অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, তিনি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করবেন। তার সরকার কত দ্রুত সংস্কার করতে পারে তার ওপর নির্বাচনের এই সময়সীমা নির্ভর করছে। কারণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব সংস্কারকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি।
    অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যদি আমাদের ইচ্ছা মতো দ্রুত সংস্কার করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরে আমরা নির্বাচন করতে পারবো। আর যদি সংস্কারের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।”
    গত গ্রীষ্মে বাংলাদেশকে ঘিরে থাকা সহিংস বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা থেকে এসেছি। (এমন বিশৃঙ্খলা যেখানে) মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
    কিন্তু প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও ঢাকার মানুষ বলছেন, আইনশৃঙ্খলা এখনও পুনরুদ্ধার হয়নি এবং পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। ড. ইউসূস বলেন, “বেটার (ভালো) একটি আপেক্ষিক শব্দ। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি গত বছরের একই সময়ের সাথে তুলনা করেন তবে এটি (আইনশৃঙ্খলা) ঠিক আছে। এখন যা ঘটছে, তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা বা ভিন্ন কিছু নয়।”

  • পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আপন চাচাত ভাইরা কর্তৃক জোর পূর্বক দখল করে নেওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগি পরিবার। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান, কলারোয়া উপজেলার রায়টা গ্রামের মোঃ আব্দুস সোবহান মোড়লের ছেলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি মোঃ আব্দুল খালেক।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কলারোয়া উপজেলার রায়টা মৌজার ১০৩২ খতিয়ানের ৪২০৬ দাগের দশমিক ৪৯০০ একর জমির মধ্যে দশমিক ১২২৫ একর জমি প্রায় ২৬ বছর ধরে আমরা শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখলের আছি। এমতাবস্থায় বিগত ২০২২ সালের ৩০ মার্চ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও আলী আহমেদের নেতৃত্বে আমার চাচা মৃত ফজলে মোড়লের দুই ছেলে মোঃ জিয়ারুল (৪০) ও আবু দাউদ (৬০) এবং জিয়ারুলের স্ত্রী পারুল সহ অন্যান্যরা আমার ভাগের অংশের জমিতে জোরপূর্বক বিল্ডিং ও টয়লেট নির্মাণ এবং যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এঘটনায় কলারোয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে কলারোয়া থানার এসআই ফরিদ আহমেদ জুয়েল ও এসআই হাসানুজ্জামানের সহযোগিতায় পারুল খাতুনকে বাদী করে দায়ের করা একটি নন জিয়ার মামলায় আমাকে কারাগারে প্রেরণের পর তারা উক্ত নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে।
    মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে পরবর্তীতে আমি উক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদ্বয় সহ শেখ ফারুক হোসেন, জিয়ারুল ইসলাম, আবু দাউদ, পারুল খাতুন, আলমগীর হোসেনসহ ৮ জনের নামে ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর একটি পিটিশন (২২১৭/২৪) মামলা দায়ের করি। পিটিশনটি কলারোয়া থানায় পৌছালে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ রবিউল ইসলামের উপর তদন্তের দায়িত্ব পড়ে। এসময় তিনি আমার কাছে চার হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা না দেওয়ায় তিনি আসামীদের পক্ষে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। এছাড়া উক্ত জমির উপর জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগও করা হয়। যেটা বর্তমানে ১৪৫ ধারায় মামলা চলমান। যার তদন্তের দায়িত্ব কলারোয়া থানা ও কলারোয়া এসিল্যান্ড দপ্তরে রয়েছে। তিনি এসআই শেখ রবিউল ইসলাহোর বদলীসহ তার দষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, চাচাত ভাইরা আমার পিতার পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে পতিত আওয়ামী সরকারের পেটুয়া বাহিনী দ্বারা গায়ের জোরে তার উপর বিল্ডিং নির্মাণ করে আমাদেরকে পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করেছে। একই সাথে পুলিশ টাকার বিনিময় তাদের পক্ষ নিয়ে আমাদেরকে ন্যায় বিচার পেতে অসহযোগিতা করেছে। এঘটনায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে।
    তিনি উক্ত দখলের সাথে জড়িত আওয়ামী দোসর ও পুলিশের কতিপয় অসাধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি দ্রুত যাতে তার পৈত্রিক সম্পতির দখল ফিরে পান তার প্রজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • স্টার কিডস্ ক্যাডেট কলেজ ভর্তি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা

    স্টার কিডস্ ক্যাডেট কলেজ ভর্তি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা

    নিজস্ব প্রতিনিধি : স্টার কিডস্ ক্যাডেট কলেজ এবং এম সিএসকে ২০২৫ ভর্তি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ই মার্চ) বিকেল ৫ টায় স্টার কিডস্ শিক্ষা মিলনায়তনে স্টার কিডস্ এর পরিচালক এটি এম আবু হাসান ‘র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এস এম জাকির হোসেন, ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা, শ্যামনগর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুল আল মাহমুদ রিটু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এনামুল হক প্রমুখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এস্ট কিডস্ েকোচিং কৃত ১০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় ইফতার মাহফিলে কৃতি শিক্ষার্থীসহ সকলের জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। এ সময় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • তালার খেশরা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    তালার খেশরা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    সেলিম হায়দার : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, মাওঃ রুহুল কুদ্দুস।
    বুধবার (৫ মার্চ) বিকালে হরিহরনগর ফুটবল মাঠে খেশরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপি নেতা শিক্ষক হাসিবুর রহমান ও মেহেদি হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা মৃণাল কান্তি রায়, অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মোশারাফ হোসেন, আব্দুল গফফার, সাবেক চেয়ারম্যান এস এম লিয়াকত হোসেন, এম মফিদুল হক লিটু প্রমুখ।
    এসময় হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, দেশে বিগত ৩টি নির্বাচনে জনগণ কোনো ভোট দেয়নি। তারা জোর করে পাতানো নির্বাচন করেছে। শেখ হাসিনা বলেছিলো, বঙ্গবন্ধুর মেয়ে পলায় না। দেশের ১০ কোটি মানুষ চায়নি বলেই সে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। যদিও সে নির্বাচনও ছিলো পাতানো। আমরা সকলকে সাথে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন করতে চাই।
    এরআগে তিনি খেশরা ইউনিয়ন বিএনপির প্রয়াত নেতাদের করব জেয়ারত করেন।
    তালা উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স ম ইয়াছিন উল্লাহ, উপজেলা যুব দলের আহবায় মির্জা আতিয়ার রহমান, যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান, তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোয়াদ্দার ফারুক হোসেন, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সহ শত শত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • আশাশুনিতে নারীদের ক্ষমতায়নে উঠান বৈঠক

    আশাশুনিতে নারীদের ক্ষমতায়নে উঠান বৈঠক

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় নারীদের ক্ষমতায়ন বিষয়ক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় আসমা পারভিনের বাস ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) বিষয়ক উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। এলাকার মহিলাদের অংশ গ্রহনে, বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আলোচনা রাখেন।

  • আশাশুনিতে উত্তম কৃষি চর্চা সার্টিফিকেশন বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ

    আশাশুনিতে উত্তম কৃষি চর্চা সার্টিফিকেশন বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে ডিএলআই এর আওতায় উত্তম কৃষি চর্চা (জিপিএ) বাস্তবায়নের জন্য কৃষক পর্যায়ের দিনব্যাপী উত্তম কৃষি চর্চা সার্টিফিকেশন এর উপর কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশাশুনির আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২৫ জন কৃষক প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শুভ্রাংশু শেখর দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন, পার্টনার প্রকল্প খুলনা অঞ্চল, খুলনার সিনিয়র মনিটরিং অফিসার মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরার অতিঃ উপ পরিচালক (ক্রপ) ইকবাল হোসেন, অতিঃ উপ পরিচালক (পিপি) মোঃ জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানে এসএপিপিও বিল্লাল হোসেন, উপ সহকারী কৃষি তারিকুল ইসলাম ও দ্যুতি কৃষ্ণ সরকার আলোচনা রাখেন।

  • আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি অনুমোদন

    আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি অনুমোদন

    প্রিন্স সভাপতি,মোস্তাফিজ সদস্য সচিব
    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ০৩ মার্চ ৬/৪৯৫১/৩৭.১১৪০৪১.৫০১.০১.৬.২০.২০২৪৯ নং স্মারকে এডহক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
    সদ্য ঘোষিত এডহক কমিটিতে মোঃ জাকির হোসেন প্রিন্স সভাপতি,অভিজিৎ মল্লিক শিক্ষক সদস্য,মোঃ ইলিয়াস সরদার অভিভাবক সদস্য,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে সদস্য সচিব মনোনিত করা হয়েছে।

  • শেখ হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন: ড. ইউনূস

    শেখ হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন: ড. ইউনূস

    বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শুধু হাসিনা নন, তার পরিবারের সদস্য, ক্লায়েন্ট এবং সহযোগীদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস জানান, হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে আমরা আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছি, তবে নয়াদিল্লি থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ড. ইউনূস আরও বলেন, হাসিনার বিচার অবশ্যই হবে, সেটা তিনি বাংলাদেশে উপস্থিত থেকে হোক বা ভারতে থেকেই হোক।
    প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি কুখ্যাত ‘আয়নাঘর’ বা গোপন টর্চার সেল পরিদর্শন করেছেন, যেখানে গত ১৫ বছর ধরে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, সেখানে যা দেখেছেন, তাতে তিনি হতবাক। হাসিনার বিরুদ্ধে তার নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত নেতাকর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার তদারকি করার অভিযোগ রয়েছে। অনেক অভিযুক্ত বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
    ড. ইউনূস স্বীকার করেন, অভিযুক্তদের সংখ্যা ও পরিসর বেশি হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তিনি বলেন, পুরো সরকার এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাই কারা সত্যিই উৎসাহের সঙ্গে এই অপরাধগুলো করেছিল, আর কারা উচ্চপদস্থদের আদেশের অধীনে এসব কাজ করেছিল, তা বের করা কঠিন। তবে ভুক্তভোগীদের পরিবার যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায়, সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • যাকাতের নামে শাড়ি-লুঙ্গি দেবেন না

    যাকাতের নামে শাড়ি-লুঙ্গি দেবেন না

    যাকাতের নামে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া তিনি স্বল্প পরিমাণ টাকা দান করা থেকেও বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ তা থেকে কেউ স্বাবলম্বী হতে পারবে না।
    জামায়াত আমীর বলেন, ‘যাকাতের এই টাকা বিভিন্ন সংস্থা গ্রহণ করে। যেহেতু আমাদের দেশে ইসলামি সরকার নেই, ফলে যাকাতের টাকা মানুষ সরকারের হাতে দিতে চায় না। আর যাকাত দানের পদ্ধতিই হচ্ছে কাউকে একবার যাকাত দিলে তার যেন পরবর্তীতে আর কারো কাছে সাহায্য চাইতে না হয়। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করি। তাকে পয়সা দিয়ে আমরা বসে থাকি না। তাকে সংগ দেই, তদারকি করি যে সে যাকাত টি সঠিকভাবে ব্যবহার করেছে কি না।’’
    তিনি বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে হাতজোড় করে অনুরোধ করবো শাড়ি এবং লুঙ্গি বিতরণ করবেন না। ২০, ১০০ বা ৫০ টাকা দিবেন না। এ দিয়ে সে স্বাবলম্বী হবে না। যাকাতের উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। আল্লাহ এবং রাসূল (সাঃ) যে সুসংবাদ দিয়েছেন সেটা বাস্তবায়ন হবে না।’
    ঊুড়রপজামায়াত আমীর আরও বলেন, ‘আপনার কোনো নিকট আত্মীয়কে যদি আপনি সরাসরি পুনর্বাসন করতে লজ্জা পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব দিয়ে দিন। আমরা আপনার কামলা হিসেবে কাজ করে দিবো ইনশাআল্লাহ। তদারকিও করবো। আপনাদের সাথে আমরাও আল্লাহর দরবার থেকে কিছু পাওয়ার আশায় করবো। এবং বড় টার্গেট থাকবে সমাজ থেকে যেন দারিদ্র্য দূর হয়।’

  • যদি সীমান্তে আর একটি হত্যার ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব: বিজিবি প্রধান

    যদি সীমান্তে আর একটি হত্যার ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব: বিজিবি প্রধান

    ন্যাশনাল ডেস্ক : সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা ঘটলে ভারত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের আইনানুগভাবে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে, এমন মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
    শনিবার (১ মার্চ) সকালে কক্সবাজারে বিজিবির নবগঠিত উখিয়া ব্যাটালিয়নের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “সীমান্তে হত্যাকা- এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়। অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো কারণে হোক না কেন, হত্যা কখনোই চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না।”
    তিনি আরও বলেন, “হত্যার ঘটনাগুলো সাধারণত শূন্যরেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে ঘটে থাকে। শূন্যরেখায় প্রবেশ ঠেকাতে আমরা কাজ করছি।” সীমান্ত হত্যাকা-ের বিষয়ে ভারতকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ

    চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ

    ন্যাশনাল ডেস্ক: শনিবার (২ মার্চ) ইসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জানান, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২৭৪ জন।
    সিইসি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করছে। একই অনুষ্ঠানে তিনি জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনের পর একটি র‌্যালি বের করা হয়।
    এ বছর সপ্তমবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের ২ মার্চ থেকে ভোটাধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে দিনটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ে থানা, উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসগুলোতে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
    এদিন ইসি জানায়, ২০২৫ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২৭৪ জনে পৌঁছেছে।

  • জানতাম শেখ হাসিনার পতন হবেই: সালাহউদ্দিন আহমেদ

    জানতাম শেখ হাসিনার পতন হবেই: সালাহউদ্দিন আহমেদ

    ন্যাশনাল ডেস্ক : আমরা জানতাম শেখ হাসিনার পতন হবেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তবে কবে হবে, কখন হবে, কত রক্তপাতের উপর দিয়ে হবে সেটার অপেক্ষা করছিলাম আমরা। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যেসব ফ্যাসিস্টদের পতন হয়, তারা সেই দেশে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরতে পারে না, সুস্থ রাজনীতিতে ফিরতে পারে না, আওয়ামী লীগও পারবে না।
    ১৯৫৪ সালে ভোটের মাধ্যমে মুসলিম লীগের পতন হয়েছিল। ১৯৬৯ এ এই ভূখ-ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আইয়ুব খানের পতন হয়। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতন হলে সে আর কখনো দালালি ছাড়া রাজনীতিতে কিছুই করতে পারেনি।

  • ভালো থাকুক সব শহীদরা: আসিফ নজরুল

    ভালো থাকুক সব শহীদরা: আসিফ নজরুল

    ন্যাশনাল ডেস্ক: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আ্যকাউন্টে শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধর একটি স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়েছে, যেখানে লেখা ছিলো; সবাই পোস্ট দিচ্ছে,’ইফতারের মূল ইনগ্রিডিয়েন্স হলো পরিবার!’
    আমার পরিবারটা তো আর কখনো পরিপূর্ণ হবে না। বিগত বছরগুলোতে আম্মুকে দেখতাম মুগ্ধর খুলনা থেকে আসার জন্য অপেক্ষায় প্রতিটি ইফতারের সময় বলতো কি দিয়ে জানি ইফতার করতেসে খুলনাতে। আর যখন আসতো আম্মুর মুখে একটা হাসি লেগেই থাকতো আর স্পেশাল আইটেম রেডি করতো। মুগ্ধর সামনেই আমরা কতো ক্ষেপাইতাম আম্মুকে এই বলে যে তোমার প্রিয় ছেলে আসছে এখন তো ভালো ভালো রান্না করবাই।
    আমি জানি আজকে ইফতারের সময় আম্মু কাদবে, অবশ্যই কাদবে আর বলবে আমার মুগ্ধটা আর বাড়ি ফিরবে না। হাজারটা সন্তানের মা আজকে কাঁদব, এবং এই কান্না থামানো কারো পক্ষে সম্ভব না।
    ওপারে ভালো থাকুক সব শহীদরা।
    রমজান মোবারক
    বাংলাদেশ।

  • আজ জাতীয় পতাকা দিবস

    আজ জাতীয় পতাকা দিবস

    ডেস্ক রিপোর্ট : আজ ২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলাভবনে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী। তারা নিশ্চিতভাবেই ধারণা করেছিল যে ছয় দফার বাস্তবায়ন এবার হয়েই যাবে। যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠতা আওয়ামী লীগের। ৭১ এর ১২ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এলেন। বৈঠকের পর শেখ মুজিব বলেন, আলোচনা সন্তোষজনক, এবং প্রেসিডেন্ট খুব শিগগিরই ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করতে সম্মত হয়েছেন। ইয়াহিয়া খানের বক্তব্যও ঠিক অনুরূপ ছিল। তিনি বললেন, শেখ মুজিব তার সঙ্গে যে কথা বলেছেন, যে আলোচনা তুলেছেন সেসব যৌক্তিক ও সঠিক। কিন্তু, ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে লারকানায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর বাসভবনে গিয়ে গোপন বৈঠকে মিলিত হলেন পাকিস্তান আর্মির জেনারেলদের সঙ্গে। ৭১ এর জানুয়ারির শেষ দিকে দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় এলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় পরিষদের বৈঠকে ছয় দফার ওপর শাসনতন্ত্র তৈরির কথা বললেন। কিন্তু, ভুট্টো তখন আরও আলোচনার কথা বলেছিলেন। ভুট্টো চান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে হোক।