Blog

  • আছিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের মহিলা বিভাগের মানববন্ধন

    আছিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের মহিলা বিভাগের মানববন্ধন

    মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে বিচার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিভাগের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে ‘বেঁচে থাকা ও নিরাপত্তার অধিকার দাও’, ‘ধর্ষকদের প্রকাশ্য জনসম্মুখে ফাঁসি চাই, দিতে হবে’, ‘ধর্ষণ মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি কর, করতে হবে’, ‘ধর্ষণ মানলায় জামিন বিধান বাতিল কর, করত হবে’, ‘ধর্ষণ মামলায় এক বিধান, এক শাস্তি; ধর্ষককে ফাঁসি চাই, দিতে হবে’— এসব শ্লোগানে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।

    এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য গুলশান আরা বলেন, আছিয়া হত্যার মামলার রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে হবে এবং আসামীদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। সকল ধর্ষককে ফাঁসি দিতে হবে। ধর্মহীনতার চর্চা এবং নৈতিকতাহীন শিক্ষা মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে জনগণকে উজ্জীবিত করতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতা পরিহার করতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধর্ষণ মামলায় কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করে শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডের (ফাঁসি) বিধান করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তি করার এবং জামিন বিধান বাতিল করার যে ঘোষণা দিয়েছে আমরা এই ঘোষণার বাস্তবায়ন চাই। শিশু আছিয়াকে শুধু ধর্ষণ করা হয়নি হত্যাও করা হয়েছে।

    এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য জয়নাব পারভীন ও সহকারী সেক্রেটারী জয়নব তাহেরা।

    এছাড়াও মানববন্ধনে জামায়াতের কয়েকশ নারী কমীর্ উপস্থিত ছিলেন।

  • সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

    সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

    রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম চূড়ান্ত করা হয়।

    সভা শেষে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্য থেকে সাত কলেজের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে এর অধ্যাদেশ জারি করা হবে।

    এই সাত সরকারি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

    শিক্ষার মানোন্নয়ন, সময়োপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি প্রণয়ণসহ নানা বিষয় সামনে রেখে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে এসব কলেজ পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও অদূরদর্শিতার অভিযোগে গত বছরের অক্টোবর মাসে মাঠে নামেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা

    তারা দাবি জানান, সাত কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের। দীর্ঘ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর মাসে গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি। ওই কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই, ক্যাম্পাস পরিদর্শন, সম্মানজনক পৃথকীকরণের রূপরেখা প্রণয়ন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন।

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি।

    আজ ইউজিসির ডাকা মতবিনিময় সভা থেকেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

  • আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংসের জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে- লিটন

    আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংসের জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে- লিটন

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংসের জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না পেয়ে এখন আমার লীজ নেওয়া সম্পত্তি অন্য সম্পত্তি বলে চালিয়ে দিয়ে আমাকে দখলবাজ সাজানোর নাটক মঞ্চস্থ করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূরে আলম সারোয়ার লিটন এসব কথা বলেন।
    লিটন তার বক্তব্য লিখিত আকারে তুলে ধরে বলেন, আশাশুনি উপজেলার সববদলপুর মৌজার ০১ নম্বর খতিয়ানের ৬৪৬ নম্বর দাগের ৩৯ শতক জমি সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে একসনা ইজারা ৭৩১/ ১৪৩১ কেস মূলে প্রাপ্ত হয়ে বাঁধ ও নেটের বেড়া দিয়ে ভোগ দখলীকার থাকা অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে শিবনাথ সরকারগং বাদি হয়ে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার সরেজমিনে তদন্তভার আদালত কর্তৃক আশাশুনি সদর নায়েবের উপরে পাঠালে নায়েব আমাদেরকে নোটিশ করেন। নোটিশ পাওয়ার পর রাতে আধারে শিবনাথ, রঘুনাথ, বিশ্বজিৎ সহ আরও কয়েকজন মিলে রাতে তারাবী নামাজের সময় আমার নেটের বেড়া ও বাশ খুলে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় অনেকেই আমাকে জানায়। পরদিন (১৩ মার্চ) সকালে আমি সরজমিনে গিয়ে দেখতে পাই শিবনাথ, রঘুনাথ, বিশ্বজিৎ আমার মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে সমান করে দিচ্ছে। আমাকে দেখতে পেয়ে তারা ওখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমি আবার নেট পাঠা কিনে আমার ঘেরের সীমানা পুনরায় বেড়া দেই।
    লিটন আরো বলেন যেহেতু তারা আমার বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় মামলা করেছে। সে কারণে আমি তাদেরকে বলেছি বিষয়টি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সুতরাং আমরা উভয় পক্ষ আদালতের শরণাপূর্ণ থাকবো। আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে আমি তা মেনে নিব।
    তিনি বলেন, এই জমি সরকারি খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি সুতরাং এই জমির মালিক সরকার। এই জমি ভোগ দখল করতে গেলে অবশ্যই তাকে বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করতে হবে। কিন্তু শিবপদদের কোন কাগজপত্র নেই তারা এই সম্পত্তি এতদিন যাবত কর-খাজনা না দিয়ে দখল করে খেয়ে এসেছে। আমি সরকারকে যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে এই জমির বন্দোবস্ত নিয়েছি।
    লিটন আরো বলেন- আমার এবং আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একদল চক্রান্তকারী ওদেরকে উসখে দিয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
  • সাতক্ষীরায় প্রভাবশালী কর্তৃক প্রতিবন্ধি ভ্যান চালকের জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় প্রভাবশালী কর্তৃক প্রতিবন্ধি ভ্যান চালকের জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার দক্ষিন আলীপুর গ্রামে প্রভাবশালী কর্তৃক এক প্রতিবন্ধি ভ্যান চালকের জমি দেখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ওই গ্রামের মৃত আকছেদ আলী মোল্যার ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন অসহায় ও প্রতিবন্ধী ভ্যান চালক। আমি সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আয়জদ্দীন সরদারের ছেলে আজিজার সরদার এবং শিবপুর গ্রামের বাকের আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম ও অহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ১৯৫৬ সালের ৩৬৫০ নং কোবলা দলিল ও এস,এ খতিয়ান ১৫৮৬, ৫৪৬৩ এবং ১৯৯০ সালের প্রিন্ট পর্চা মূল্যে ১৮১৩৭, ১৮১৩৮ দাগে ২০ শতক জমি ক্রয় করি। কিন্তু মিউটেশন করার সময় ১৫.৮৭ শতক জমি আমার নামে মিউটেশন হয়। আজিজার মাস্টারের কাছ থেকে ক্রয় করা ১০ শতক জমির মধ্য থেকে ৪.১৩ শতক জমি আমি মিউটেশন করতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে আমি উক্ত জমিটি ক্রয় করি। কিন্তু আজিজার সরদার চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে আমাকে ঠকিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে।
    শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, কোন রকমে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। অনেক কষ্ট করে সমিতি হতে লোন নিয়ে পেটের উপর বাণিজ্য করে উক্ত জমিটি ক্রয় করেছিলাম। যার লোনের টাকা এখনও শোধ করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে শিবপুর গ্রামের আকবরের ছেলে কালাম, দক্ষিন আলীপুর গ্রামের আমিনুরের ছেলে আমজাদ হোসেন, নূর আলীর ছেলে সরোয়ার রহমান ছোট ও আমজাদের ছেলে ইমরুল আমার দলিল ও মিউটেশনকৃত জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছে।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজ থেকে আমার জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি উক্ত জমিতে তাদের যেতেও নিষেধ করেছেন। কিন্তু তারা চেয়ারম্যানের কথায় কর্ণপাত না করে আমাকে হত্যার হুমকি, গুম ও মারধরের ভয় দেখিয়ে উক্ত জমি দখলের জন্য আস্ফালন করে বেড়াচ্ছে। গরীবের এই সম্পদের উপর- পরসম্পদ লোভী কালাম, আমজাদ, সরোয়ার ও ইমরুলের রক্ত চক্ষু পড়ায় আমি বর্তমানে দারুন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। তারা যে কোন সময় আমাকে জীবনে মেরে ফেলতে পারে। আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি।
    তিনি বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে আমার শেষ সম্বল যেটা আমি অর্জন করেছি, সেটা যেন ভূমিদস্যুরা দখল করতে পারে না এবং দলিল অনুযায়ী তিনি যাতে প্রকৃত সম্পত্তি মিউটেশন করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

  • আবরার হত্যা মামলা : ২০ আসামিরই মৃত্যুদণ্ড বহাল

    আবরার হত্যা মামলা : ২০ আসামিরই মৃত্যুদণ্ড বহাল

    বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

    রোববার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়।

    বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সে‌স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

    যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

    এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন।

    বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার থাকতেন শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। সেখান থেকে ডেকে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ির করিডোর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার বিচারিক আদালত।

    রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। তিন আসামি হলেন– এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মাহমুদুল জিসান ও মুজতবা রাফিদ। রায়ের পরপরই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা এবং রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) আবেদন করা হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত অক্টোবরে এই মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়।

  • ২৫ এপ্রিল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন

    ২৫ এপ্রিল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এবং জুলাই আন্দোলন, শাপলা  চত্বর ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শ রীফ উসমান বিন হাদী আজ এক ঘোষণায় জানান, আগামী ২৫ এপ্রিল, শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে “শহীদি সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হবে।

    সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবেশে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের বাবা-মায়েরা, শাপলা চত্বরে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এবং পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সন্তানরা উপস্থিত থাকবেন।

    শরীফ উসমান বিন হাদী বলেন, “শহীদি সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হবে। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

    তিনি আরও বলেন, “২৫ এপ্রিলের সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

  • ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

    ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

    চার দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। যাওয়ার আগে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

    এসময় তাকে বিদায় জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান।

    এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে জাতিসংঘের মহাসচিব ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের হাতে ফুল তুলে দেয় শিশুরা।

    সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন গুতেরেস। সেখানে লাখো রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করেন তিনি।

    এরপর সফরের তৃতীয় দিনে শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন। এরপর দুপুরে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেন তিনি। পরে তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠক করেন।

    এদিন বিকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের পর অংশ নেন ইফতার ও আর্লি ডিনার সেশনে।

  •  সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

     সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৪ মার্চ ) শুক্রবার সাবেক যুগ্ম সচিব ফজলুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র কার্যালয়ে সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র সভাপতি ডঃ সুশান্ত ঘোষ’ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। প্রধান অতিথির হিসেবে তার বক্তব্য বলেন, ইসলামের পরিপূর্ণ বিধান মেনে চললে আমাদের সমাজ থেকে সকল অন্যায় অপরাধ কমে আসবে। এখানে সবাই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী সকলেই অনেক সম্মানিত ব্যক্তি সমাজে আপনাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মানুষের হক ফাঁকি দেওয়া যাবে না। কারো আমানত খেয়ানত করা যাবে না। ইনসাফের সাথে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আজ থেকে আল্লাহর কাছে তওবা করে আত্মশুদ্ধি লাভ করতে হবে। খাঁটি মানুষ হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
    রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে আলোচনা করেন, আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।
    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবেদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সচিব ফজলুর রহমান, সিনিয়র সদস্য সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ লিয়াকত পারভেজ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
    সংগঠনের সদস্য মরহুম কাজী তৈয়বুর রহমান নঈম, মোঃ আব্দুস সউভানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করেন, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী আবু হেলাল।
    এসময় সকল সদস্য ও কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোঃ শহীদুর রহমান। ইফতার মাহফিলে দোওয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাবেক উপপরিচালক এটিএস মাছউদুর রহমান।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাতক্ষীরায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনন এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত 

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাতক্ষীরায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনন এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত 

      সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ১৫ বছরে প্রচার সংখ্যার শীর্ষস্থান ধরে রেখে  ১৬ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে
     সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (১৪ মার্চ) সাতক্ষীরা শহরের তুফান কোম্পানির মোড়ে হোটেল টাইগার প্লাসের কনফারেন্স রুমে বর্ণীল আয়োজনে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়।
    ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু।
    প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন  জেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি মওলানা আজিজুর রহমান।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান, জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির শেখ নুরুল হুদা, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীন, পৌর জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি এড আবু তালেব, জেলা যুবদলের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এড. কামরুজ্জামান ভুট্টো, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান,
    বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক  ইমরান হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম  কামরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল ও  বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শামীম পারভেজ, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি আবু সাঈদ, উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন, শাহীনুর রহমান শাহিন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাওন, নির্বাহী সদস্য আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আহসান রাজীব, দৈনিক নওয়াপাড়ার জেলা প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান,দৈনিক প্রবাহের সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, দৈনিক কালবেলার জেলা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, জনবাণীর জেলা প্রতিনিধি রায়হান সিদ্দিকী, গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি রাহাত রাজা, বার্তা বাজারের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, নিখাদ খবরের জেলা প্রতিনিধি কিশোর কুমার, রুপবানী জেলা প্রতিনিধি আবু জাফর, চ্যানেল এ ওয়ানের জেলা প্রতিনিধি মোকাররম বিল্লাহ ইমন, পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন, তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, তালা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম হায়দার, তালা উপজেলা কালবেলা প্রতিনিধি শাহীনুর রহমান, আমার সংবাদ সেকেন্দার আবু জাফর, জেলা ছাত্রশিবিরের মিডিয়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, জেলা ছাত্রদল নেতা  আবু রায়হান।
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এনটিভির জেলা প্রতিনিধি এস এম  জুলফিকার আলী জিন্নাহ।
    জেলা জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা আজিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশনার শীর্ষে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। আজ গণমাধ্যম স্বাধীনতা পেয়েছে, সাংবাদিকরা লিখতে পারছেন।
    জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন জনপ্রিয়তার শীর্ষে এক নম্বরে অবস্থান করছে। বিগত ১৬ বছরে অনেক সংবাদ মাধ্যম সত্য প্রকাশে সংকোচবোধ করলেও বাংলাদেশ প্রতিদিন তা না করে সবসময় সত্য প্রকাশ করে গেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন ভবিষ্যতে দেশ ও দেশের উন্নয়নে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে সেই প্রত্যাশা করি।
    জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শেখ নুরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের সমৃদ্ধি কামনা করছি। স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে ইফতার করতে পেরে মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। দেশের শীর্ষ পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন সত্য সংবাদ প্রকাশে পিছুপা হবে না সেই দোয়া করি। #
  • চলতি বছরেই বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে ভারত!

    চলতি বছরেই বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে ভারত!

    টানা তিনটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল খেলেছে ভারত, এর মধ্যে দুটিতেই তারা শিরোপা উৎসব করেছে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্বপ্নভঙ্গ হলেও একই ফরম্যাটে সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। সবমিলিয়ে তারা বর্তমানে সোনালী সময় পার করছে। এরই মাঝে চলতি বছরের বাকি সময়ের জন্য ভারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ খেলার পরিকল্পনা করেছে। তালিকায় আছে বাংলাদেশ সফরও।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) অধীনে পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ভারত ২৭টি ওয়ানডে খেলবে। এর মধ্যে চলতি বছর ৯টি এবং বাকি ১৮ ওয়ানডে হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। পরবর্তীতে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়েতে। ভারত মেগা টুর্নামেন্টটির আগপর্যন্ত নিজেদের ওয়ানডে সিরিজ খেলার প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছে, তবে তাদের সেই এফটিপি সূচিতেও পরিবর্তন আসতে পারে।

    পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশে সফর করতে পারে রোহিত-কোহলি-বুমরাহরা। যেখানে টাইগারদের সঙ্গে তাদের ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা রয়েছে। যদিও সেই সিরিজের সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ ছাড়া ২০২৫ সালে আরও দুটি ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে ভারতের। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এবং নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলবে।

    এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষেই অবসর নেওয়ার গুঞ্জন ছিল দুই ভারতীয় অভিজ্ঞ তারকা রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির। তবে সেই পথে না হাঁটায় দুজনেই তাদের ওয়ানডে ক্যারিয়ার আরও লম্বা করবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে রোহিত-কোহলির পরিকল্পনায় রয়েছে ২০২৭ বিশ্বকাপও। ওই বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে আফ্রিকান ভূমিতে আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে। এখন থেকেই ‍টুর্নামেন্টটিকে গুরুত্ব দিয়ে ৮ দলের সঙ্গে ৩ ম্যাচের ৯টি ওয়ানডে সিরিজ খেলার পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ভারত।

    ২০২৭ বিশ্বকাপের আগে ভারত যেসব ওয়ানডে খেলতে পারে
    আগস্ট, ২০২৫ : প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ (৩ ওয়ানডে, অ্যাওয়ে)
    অক্টোবর, ২০২৫ : প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া (৩ ওয়ানডে, অ্যাওয়ে)
    নভেম্বর, ২০২৫ : প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা (৩ ওয়ানডে, হোম)
    জানুয়ারি, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড (৩ ওয়ানডে, হোম)
    জুন, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান (৩ ওয়ানডে, হোম)
    জুলাই, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড (৩ ওয়ানডে, অ্যাওয়ে)
    সেপ্টেম্বর, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৩ ওয়ানডে, হোম)
    নভেম্বর, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড (৩ ওয়ানডে, অ্যাওয়ে)
    ডিসেম্বর, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা (৩ ওয়ানডে, হোম)

  • ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা

    ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা

    মাগুরায় নির্যাতনে মারা যাওয়া আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে ভাঙচুর করছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাধারণ মানুষ হিটু শেখের বাড়ির সামনে এসে নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

    শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় হিটু শেখের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ভাঙচুর ও পোড়া বাড়িতেই কেউ ঢিল ছুড়ছেন, দেয়াল ভাঙছেন আবার কেউবা গালাগালি করছেন। বেলা ১১টার দিকে হিটু শেখের বাড়ির আঙিনায় থাকা আম গাছসহ বিভিন্ন ফলজ প্রায় ১২টি গাছ কেটে ফেলেন স্থানীয়রা। এভাবে স্থানীয়সহ সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির প্রথম জানাজার পর বিক্ষুব্ধরা হিটু শেখের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খবর পাওয়ার পরও সেটি নেভাতে পারেনি। তারা অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি নিয়ে রওনা দিলেও বিক্ষুব্ধরা আটকে দিলে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

    এ ছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভায়নার মোড়ে অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-মাগুরা, যশোর-মাগুরা ও ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    মাগুরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর পুলিশ কয়েক দফা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিক্ষুব্ধদের প্রতিরোধের মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের জানমালের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে। ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বোনের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে উল্টো ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

    পরদিন ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের ঘরে এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং এরপর শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ততক্ষণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান শিশুটিকে জ্বিনে ধরেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বোনের শাশুড়ি।

    ৬ মার্চ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেলে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৮ মার্চ শনিবার তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

    ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। এতে শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাশুর ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব

    রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন।

    শুক্রবার দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স যোগে তিনি কক্সবাজারে পৌঁছান।

    কক্সবাজার থেকে আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

    কক্সবাজার বিমানবন্দরে জাতিসংঘের মহাসচিবকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই–আজম বীর প্রতীক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পুলিশ সুপার। এরপর কক্সবাজার শহর থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব যান উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে। আর প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার শহরের বেশকয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বিকেলে যাবেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

    জানা গেছে, কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

    জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

    পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

  • কালকিনিতে অবৈধ কিংস সিগারেট জব্দ, জরিমানা

    কালকিনিতে অবৈধ কিংস সিগারেট জব্দ, জরিমানা

    মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ফাসিয়াতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া অবৈধ কিংস সিগারেট জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় ২ ব্যবসায়ি শাহিন স্টোর এর মালিককে ৩ হাজার এবং মিলন স্টের এর মালিককে ২ হাজার টাকা সর্বমোট ৫ হাজার টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা হয়।

    বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কালকিনি উপজেলার ফাসিয়াতলা বাজারে ওই অভিযান পরিচালনা করেন মাদারীপুর জেলার ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি টিম বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান ও তল্লাশি চালায়।

    অভিযান পরিচালনাকালে বাজারের প্রতিটা ব্যবসায়ীর ম‌ধ্যে আতংক বিরাজ করে এবং তারা কমদামী অবৈধ সিগারেট বিক্রি করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।

    মাদারীপুর জেলার ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অবৈধ সিগারেট বিক্রি করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কালকিনি উপজেলার ফাসিয়াতলা বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কয়েকটি দোকান থেকে বিশ হাজার (২০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত অবৈধ কিংস সিগারেট জব্দ করা হয়। অবৈধ সিগারেট বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়িকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, রাজস্ব ফাঁকি দেয়া অবৈধ সিগারেট যাতে কেউ বিক্রি না করে সেজন্য বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

    :মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  আয়োজনেশিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
     শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুম্মার নামাজ শেষে সাতক্ষীরার খুলনা রোডস্থ মোড়ের সামনে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
      অনুষ্ঠিত জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাতক্ষীরার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, সদস্য সচিব সুহাইল  মাহদিন সাদি, যুগ্ম সদস্য সচিব নাজমুল হাসান রনি-সহ শত শত ছাত্র -জনতা।
     জানাজা নামাজে শিশু আছিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। একই সাথে ধর্ষণকারীদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানানো হয় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।
     নাজম ছাত্র অধিকার পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম খান্না, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আলতাফ হোসেন প্রমুখ। জানাজা নামাজে শিশু আছিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। একই সাথে ধর্ষণকারীদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানানো হয় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।
  • মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারলেন না ‘পঞ্চপাণ্ডব

    মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারলেন না ‘পঞ্চপাণ্ডব

    বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঐতিহাসিক পঞ্চ পাণ্ডব হলেন- মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই ৫ ক্রিকেটারের যুগলবন্দী বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক সাফল্যের সূচনা করেছে। তাদের হাত ধরে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চূড়ায় উন্নীত হয়েছিলো।

    পঞ্চ পাণ্ডবের একসঙ্গে পথচলা থেমে যেতে থাকে ২০২০ সাল থেকে। মাশরাফি বিন মর্তুজা অলিখিতভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয়ার পর থেকে। এরপর গত ৫ বছরে একে একে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে যেতে থাকেন বাংলাদেশের বিখ্যাত ৫ ক্রিকেটার বা পঞ্চপাণ্ডব। সর্বশেষ ১২ মার্চ, ২০২৫ সালে শেষ হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটে পঞ্চ পাণ্ডবের অধ্যায়। যদিও মুশফিকুর রহিম এখনও টেস্ট খেলে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

    Mashrafee

    মাশরাফি বিন মর্তুজা

    টেস্ট থেকে আদতে তিনি অবসর ঘোষণা করেননি। ২০০৯ সালে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে পড়েছিলেন, এরপর আর এই ফরম্যাটে ফেরা হয়নি। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর শোনা গিয়েছিলো, তিনি টেস্টে ফিরতে পারেন। কিন্তু পায়ের অবস্থা তাকে টেস্টে আর ফিরতে দেয়নি।

    ২০১৭ সালে তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ওপর ক্ষোভ থেকে আকস্মিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দেন মাশরাফি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের টস করতে গিয়ে এই ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এবং ওই সিরিজটাই খেলেন সর্বশেষ।

    ২০১৯ বিশ্বকাপের পর গুঞ্জন ওঠে মাশরাফি ওয়ানডেকেও বিদায় বলে দেবেন। তবে, ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়েন; কিন্তু ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেননি। তার ইচ্ছা ছিল, মিরপুরে একটি ম্যাচ খেলবেনম, যেটাতে বিসিবি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাবে; কিন্তু সেই ওয়ানডে ম্যাচটি আর মাশরাফির খেলা হয়ে ওঠেনি, ক্রিকেট মাঠ থেকে তার বিদায়ও নেয়া হয়নি।

    Shaib

    সাকিব আল হাসান

    বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র হলেন সাকিব আল হাসান। সাফল্য এবং বিতর্ক- দুটি সমান্তরাল রেল লাইনের মত পাশাপাশি হেঁটেছে তার ক্যারিয়ারে। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরুর পর থেকে পুরো ক্যারিয়ারেই বলতে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের শীর্ষ আলোচিত তারকা ছিলেন তিনি। অধিকাংশ সময় পারফরম্যান্স দিয়ে, কখনো কখনো মাঠের বাইরের অপ্রীতিকর ঘটনা দিয়ে তিনি সব সময় আলোচনায় থাকতেন।

    দীর্ঘ সময় আইসিসির তিন ফরম্যাটেই শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত ছিলেন। সেই সাকিব আল হাসান তো মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারলেনই না, বরং ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতি মেলাতে গিয়ে দেশের একটা অংশের কাছে নিন্দনীয় চরিত্রে পরিণত হয়েছেন।

    আওয়ামীলীগ থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার কারণে ২০২৪ এর জুলাই আন্দোলনে নীরব ভূমিকা পালন করেন। এরপর থেকে আর দেশে ফেরা হচ্ছে না সাকিবের। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে গিয়ে অবসরের কথা ঘোষণা করেন সাকিব। জানিয়ে দেন টি-টোয়েন্টি থেকে পুরোপুরি অবসর নিয়ে ফেলেছেন। বিদায়ী টেস্ট ম্যাচটা খেলতে চান ঢাকার মিরপুরে। ওয়ানডে চালিয়ে যাবেন এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হয়তো তার শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হতে পারে।

    এ ঘোষণা হিসেবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা ছিল সাকিবের শেষ টি-টোয়োন্ট। রাজনৈতিক কারণে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলতে চাইলেও আসতে পারেননি, খেলতেও পারেননি। একই কারণে ওয়ানডে দলেও আর সুযোগ পাননি। এরই মধ্যে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে সাকিবের আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার নিশ্চয়তা নেই। অর্থ্যাৎ মাঠ থেকে অবসর নিতে পারেননি তিনিও।

    Tamim

    তামিম ইকবাল

    তামিম ইকবালের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে হয়েছে বেশ নাটক। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে হঠাৎই ৬ মাসের বিরতি নেন তিনি। এরপর জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর হঠাৎ করেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তামিম জানালেন তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি তিনি খেলেছেন, ২০২০ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

    এরপর ওয়ানডে এবং টেস্টে অধিনায়ক হলেও নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এরইমধ্যে ২০২৩ সালের ৬ জুলাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন চট্টগ্রামে হঠাৎ সংবাদ সম্মেলনে ডেকে তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। জানিয়ে দেন, পরেরদিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচই তার ক্যারিয়ারে শেষ।’

    এ নিয়ে নানা নাটক, তোলপাড়। শেষ পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে তামিম অবসর ভেঙে ফেরার সিদ্ধান্ত জানান। তবে, চিকিৎসার জন্য চলে যান লন্ডনে। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে দেশে ফিরে আসলে তাকে নিয়ে নানা জটিলতা শুরু হয়। তখনকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বিরোধ শেষ পর্যন্ত তামিমকে বিশ্বকাপের দল থেকেই বাদ দিয়ে দেয়।

    এরপর থেকে গত প্রায় ২ বছর নানা টালবাহানা চলছিলো তামিমের ক্যারিয়ার নিয়ে। তিনি ফিরবেন কি ফিরবেন না, তা নিয়ে ছিল সন্দেহ-সংশয়। বিসিবির সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং, আলোচনা, শর্ত আরোপ। শেষ পর্যন্ত গত ১০ জানুয়ারি এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তামিম জানিয়ে দিলেন, তিনি আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন না। পূর্ণ অবসরে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাবেন।

    অর্থ্যাৎ মাঠ থেকে নয়, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে অবসর ঘোষণা করলেন তিনি।

    Mushfiq

    মুশফিকুর রহিম

    বাংলাদেশ ক্রিকেটে মিস্টার ডিপেন্ডেবল হিসেবে পরিচিত মুশফিকুর রহিম কিছুটা আবেগিও বটে। ২০২২ বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ক্রমাগত সমালোচনার শিকার হলে একই সালের ৪ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। জানিয়ে দেন, টি-টোয়েন্টি বাদ দিয়ে শুধু ওয়ানডে এবং টেস্টের প্রতি নিজের মনযোগ বাড়াতে চান।

    কিন্তু মুশফিকের বিশেষ করে ওয়ানডেতে পারফরম্যান্সের উন্নতি হয়নি খুব একটা। এরপর ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলেছেন, নানা সিরিজে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলেছেন। সর্বশেষ খেললেন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি; কিন্তু বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে তুমুল সমালোচনার শিকার হন মুশফিক।

    শেষ পর্যন্ত গত ৫ মার্চ রাতে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেন। এখানেও আবেগ মিশিয়ে দিয়েছিলেন। খিলেছিলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং আমি বুঝতে পেরেছি যে এটাই আমার নিয়তি।’ অর্থ্যাৎ তুমুল সমালোচনার মুখে অবসরের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ৩৮ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।

    তবে এখনও টেস্ট চালিয়ে যাবেন তিনি এবং বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। হয়তো শততম টেস্ট খেলার পর এই ফরম্যাটকেও বিদায় বলবেন। তখন কী ফেসবুকে পোস্ট করে নাকি আগে ঘোষণা দিয়ে মাঠ থেকে বিদায় নেবেন, সেটাও দেখার বিষয়।

    riadh

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

    ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ চলছিলো। ম্যাচের তৃতীয় দিন হঠাৎ ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টেস্ট থেকে অবসরের কথা জানান। ম্যাচের পঞ্চমদিন সতীর্থরা মাহমুদউল্লাহকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। ওই ম্যাচটা ছিল তার ৫০তম টেস্ট এবং শেষ ম্যাচে ১৫০ রান করেন তিনি। যদিও তার এমন অবসর নিয়ে তখনকার বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিলেন।

    ওই বছর নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন অর্থ্যাৎ টেস্টে অবসর ঘোষণা দিয়ে মাঠ থেকে বিদায় নেয়া হলো না তার।

    শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টিতে মাঠ থেকে বিদায় নিতে পেরেছিলেন মাহুমদউল্লাহ রিয়াদ। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগেরদিন ঘোষণা করেন, পরের ম্যাচটাই তার শেষ টি-টোয়েন্টি এবং খেলেই তিনি বিদায় নিয়েছিলেন এই ফরম্যাট থেকে।

    ওয়ানডে খেলে গেলেও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটিমাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ পান এবং খুব বাজেভাবে আউট হন। যে কারণে তুমুল সমালোচনার শিকার হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১২ মার্চ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। অর্থ্যাৎ ঘোষণা দিয়ে মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলতে পারেননি তিনিও।

  • ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে

    ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে

    সরকারি টাকায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

    তিনি বলেন, এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি তদন্ত করে দেখছে। এসব মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের কোনো অনুদান নেই।

    বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

  • বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের সম্পর্ক!

    বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের সম্পর্ক!

    ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকেরা। সম্প্রতি কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস ও ইউগভ পরিচালিত ‘২০২৪ ইন্ডিয়ান-আমেরিকান সার্ভে’ এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

    জরিপে দেখা গেছে, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে বেশি ইতিবাচকভাবে দেখছেন ভারতীয়-মার্কিনরা। তারা ট্রাম্পের চেয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বেশি পছন্দ করেন। তবে রিপাবলিকান সমর্থক ভারতীয়-মার্কিনদের মধ্যে ৬৬% মনে করেন, ট্রাম্পই ভারত-মার্কিন সম্পর্কের জন্য ভালো ছিলেন, যেখানে ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের ৯২% ট্রাম্পের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।

    ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে মতভেদ দেখা গেছে; ডেমোক্র্যাট সমর্থক ভারতীয়-মার্কিনরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল, আর রিপাবলিকানরা ইসরায়েলকে সমর্থন করেছেন। জরিপে ৪০% অংশগ্রহণকারী মনে করেন, গাজা যুদ্ধে বাইডেন অতিমাত্রায় ইসরায়েলকে সমর্থন করেছেন।

    ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ৪৭% ভারতীয়-মার্কিন নাগরিক মনে করেন, ভারত সঠিক পথে এগোচ্ছে, যা ৪ বছর আগের তুলনায় ১০% বেশি। সমান সংখ্যক মানুষ মোদির নেতৃত্বকে সমর্থন করেন। তবে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ৪০% মনে করেন, নির্বাচন ভারতকে আরও গণতান্ত্রিক করেছে।

    এ ছাড়া, গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হত্যাচেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকই অবগত নন।

  • গাজায় পানি, বিদ্যুৎ এবং চিকিৎসার মতো মৌলিক সেবাগুলি নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ

    গাজায় পানি, বিদ্যুৎ এবং চিকিৎসার মতো মৌলিক সেবাগুলি নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ

    চলমান উত্তেজনা এবং আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে, ইসরায়েল এবং হামাস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তাদের আলোচনাগুলি অব্যাহত রেখেছে, এবং আরব দেশগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গাজা নিয়ে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী হয়েছে। এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলমান সংঘাতের সমাধান খুঁজতে সংঘর্ষের মধ্যে আটকে পড়া হাজার হাজার নাগরিকের মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি সারা বিশ্ব থেকে বাড়ন্ত উদ্বেগের মধ্যে শুরু হয়েছে।

    ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে আলোচনা, যা সর্বশেষ উত্তেজনা শুরুর পর থেকে মাঝে মাঝে অনুষ্ঠিত হয়েছে, একটি অসংলগ্ন যুদ্ধবিরতি এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে কেন্দ্রীভূত। আলোচনা সম্পর্কিত সূত্রগুলি বলছে যে, যদিও এই আলোচনা এখনও একটি নির্দিষ্ট সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি, উভয় পক্ষই গাজার উপর সংঘাতের যে মানবিক প্রভাব পড়েছে তা সম্পর্কে সচেতন।

    জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংগঠনগুলি গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতির সংকটের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যেখানে পানি, বিদ্যুৎ এবং চিকিৎসা সরবরাহের মতো মৌলিক সেবাগুলির ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে, ইসরায়েল হামাসের অবস্থা এবং গাজায় তার সামরিক সক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন, অপরদিকে হামাস ইসরায়েলি আক্রমণ বন্ধ এবং অবরোধের অবসানের দাবি তুলেছে।

    এই আলোচনার পাশাপাশি, আরব দেশগুলি, যার মধ্যে মিশর, জর্ডান এবং সৌদি আরব অন্তর্ভুক্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি ব্যাপক পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাবটি, যা এখন মার্কিন কর্মকর্তারা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যালোচনা করছেন, গাজার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি টেকসই শান্তির পথ নির্ধারণে গুরুত্ব আরোপ করেছে, যার মধ্যে পুনর্গঠন প্রচেষ্টা এবং ফিলিস্তিনি নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য একটি সুস্পষ্ট কাঠামো প্রণয়নের প্রস্তাব রয়েছে। আরব নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে আরও জোরালোভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দেয়।

    আরব দেশগুলির প্রস্তাবটি বলছে, যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকর করতে, মানবিক সহায়তার জন্য একটি করিডোর স্থাপন করতে এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীকে গাজায় পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও, প্রস্তাবে গাজার মৌলিক অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদে তাদের ঘরে ফেরানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে স্থান পেয়েছে।

    ওয়াশিংটনে, বাইডেন প্রশাসন ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছে যাতে সংকটের প্রতি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনও নাগরিক মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মূল সমস্যা সমাধানে দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

    আরব দেশগুলির প্রস্তাবটি ওয়াশিংটনে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে, যেখানে কিছু আইনপ্রণেতা ইসরায়েলকে আরও জোরালোভাবে চাপ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যরা আবার এমন একটি সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের পক্ষে বলছেন যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতি সম্মান জানায়। এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলাফল অনিশ্চিত, তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে, কারণ উভয় পক্ষ এই সূক্ষ্ম আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    মাটিতে পরিস্থিতি চলমান থাকলেও, অনেকেই আশা করছেন যে এই আলোচনাগুলি এমন একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান তৈরি করবে যা গাজার জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সান্ত্বনা আনবে এবং অঞ্চলটির দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। তবে, শতাব্দীর পুরানো সংঘাত এবং উভয় পক্ষের মধ্যে গভীর অবিশ্বাসের কারণে, শান্তির পথে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে।