Blog

  • জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

    জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

    জুলাই অভ্যুত্থানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সহিংসতায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত আট হাজার ব্যক্তিকে সহায়তা দিতে একটি প্রকল্প চালু করেছে ইইউ। বুধবার (১৯ মার্চ) চালু হওয়া প্রকল্পটি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ সরকার।

    ‘দ্য পাথওয়েজ টু হিলিং: এ সারভাইভার সেন্ট্রেড অ্যাপ্রোচ টু অ্যাড্রেস ভায়োলেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনস’ প্রকল্পে ২০ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইইউ। ২০২৬ সালের আগস্টের আগপর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের শারীরিক, মানসিক উন্নতি ও সুস্থতার জন্য এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের সামাজিক সংহতি জোরদার ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে এ অর্থ খরচ করা হবে। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যত দিন এ প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে, তত দিন এটা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

    এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাঁরা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবেন, তাঁদের সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঔষধজাত পণ্য, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং নিশ্চিত করা হবে।

    এ ছাড়া উপার্জন খাতেও বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

    গত বছরের অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র, শ্রমিক, সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারসহ অন্যদের এ সহায়তা দেওয়া হবে। ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, সরকার ও অন্যান্য অংশীজনের সহায়তায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও এটি অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

  • সাতক্ষীরায় মারপিটে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

    সাতক্ষীরায় মারপিটে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

    সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে পিটিয়ে আহত করার ৩৫ দিন পর শাহরিয়ার হোসেন তুরান নামের এক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।

    নিহত তুরান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের মৃত আবদুল হামিদ সরদারের ছেলে। তিনি কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

    নিহত তুরানের চাচা আবদুর রশিদ সরদার জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে তুরান উপজেলার কাজীরহাট বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের দোকানে পাওনা টাকা চাইতে যান। এ সময় মনিরুল টাকা দেবেন না বলে টালবাহানা শুরু করলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাজারের লোকজন এসে তাদের থামিয়ে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তুরানের দোকানের সামনে গিয়ে তাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল। এতে তুরান মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে বাজারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

    আবদুর রশিদ সরদার আরও জানান, মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার কারণে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে তুরানের ব্রেন স্ট্রোক হয়। তাৎক্ষণিক তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করে মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তুরান। পুলিশ তুরানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

    মনিরুল কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কাউরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে আত্মগোপনে চলে গেছে।

    এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী মনিরুলের ব্যবসায়ীক অংশীদার মফিজুল ইসলাম ও কাজীরহাট বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আসানুর রহমান বলেন, মনিরুলের কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মনিরুল গিয়ে তুরানের মাথায় আঘাত করেন। তুরান ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।

    সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • হামজাকে নিয়ে লিখলেন এবার মাশরাফি

    হামজাকে নিয়ে লিখলেন এবার মাশরাফি

    হামজা চৌধুরী জ্বরে বাংলাদেশ। বিমানবন্দর থেকে স্নানঘাট গ্রাম—হামজাকে এক নজর দেখতে মানুষের ছিল উপচে পরা ভিড়। দুদিন পেরিয়ে গেলেও কমেনি উন্মাদনা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই মিডফিল্ডারকে বাংলাদেশ যেভাবে বরণ করে নিয়েছে তাতে পুরোনো রোমাঞ্চ টের পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

    নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি গত রাতে লিখেছেন লম্বা পোস্ট। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ও সামনের দিনগুলির জন্য হামজাকে শুভকামনা জানিয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক।

    মাশরাফি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে আপনাকে স্বাগত হামজা দেওয়ান চৌধুরী! আপনার আগমনে প্রথম প্রেমের সেই রোমাঞ্চ যেন আবার টের পাচ্ছি, যে প্রেমের নাম ফুটবল! আমাদের ছেলেবেলায়, শৈশব-কৈশোরে ফুটবল ঘিরে যে উন্মাদনা ছিল, কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশের ফুটবলে যেন দিনগুলোই ফিরে এসেছে।

    ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একজন ফুটবলার আমাদের দলে খেলেন, লেস্টার সিটি বা শেফিল্ড ইউনাইটেডের খেলায় তার নামের পাশে আমাদের দেশের নামও উচ্চারিত হবে, এই দেশের জন্য এটা বড় পাওয়া। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। যে শেকড়ের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে, সেই পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

    আপনি এসেই জাদুকরী কিছু করে রাতারাতি দেশের ফুটবল বদলে দেবেন, এমন আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা আমার নেই। মাঠে একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ভূমিকাও আমার জানা আছে। স্রেফ আশা করব, আপনার ছোঁয়ায় দেশের ফুটবলে নতুন প্রাণের জোয়ার আসবে, লোকের আগ্রহ বাড়বে, শিশু-কিশোররা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখবে, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দল বা ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মতোই নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ফুটবলকে আপন করে নেবে। আশা করব, আপনাকে ঘিরে দেশের ফুটবলের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসবে, আপনার পায়ে পায়ে দেশের সামগ্রিক ফুটবল এগিয়ে যাবে।

    জামাল ভূঁইয়া, তারেক কাজীসহ প্রবাসী যারা এসে দেশের ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছেন, আরও যারা আসবেন, সবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। ফুটবল আমাদের প্রাণের খেলা। ফুটবলে এই নতুন দিনের গান আমাদের মনেও নতুন স্বপ্নের দোলা দিচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ও সামনের দিনগুলির জন্য শুভকামনা হামজা। শুভকামনা বাংলাদেশ ফুটবল দল।’

    এর আগে মেসি, জিদানরা বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। তারা আসায় ক্ষণিকের জন্য হলেও ফুটবলে নতুন হাওয়া লেগেছিল। সেই হাওয়া যদিও বাংলাদেশের মৃতপ্রায় ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে পারেনি। এবার নায়কের আগমন। হামজার হাত ধরেই বাংলাদেশের ফুটবল পুরোনো রূপ ফিরে পাবে, এমনটাই আশা সবার। আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে হামজার।

  • ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরলেন বাচ-সুনীতা

    ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরলেন বাচ-সুনীতা

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ২৮৬ দিন কাটানোর পর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনীতা উইলিয়ামস, বাচ উইলমোরসহ ৪ নভোচারী। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫ টা ৫৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে অবতরণ করেছে তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটি।

    সুনীতা, বাচের সঙ্গে আরও যে ২ জন নভোচারী এসেছেন, তারা হলেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভোচারী আলেকজান্ডার গর্বুনভ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানি স্পেসএক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুলে ফিরে এসেছেন তারা।

    চারটি বিশেষ প্যারাসুটের সাহায্যে ফ্লোরিডার উপকূলে নামে ক্রু ড্রাগন। ইলন মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্টে ক্যাপসুলটির অবতরণের দৃশ্য শেয়ার করেছেন।

    গত বছর জুনে বিমান প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের তৈরি নভোযান স্টারলাইনারে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনীতা ও বাচ। সেখানে গিয়ে আটকা পড়েন তারা। কারণ যে মহাকাশযানে তারা গিয়েছিলেন, সেটি বিগড়ে গিয়েছিল।

    এমন অবস্থায় আটকে পড়া দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনতে গত বছর থেকেই নানা পরিকল্পনা করতে শুরু করে নাসা। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে নাসার তৎপরতার অংশ হিসেবে ক্রু-১০ মিশনের ফ্লাইটে তাঁদের ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

    ফ্লোরিডার উপকূলে নেমে আসার পর কিছুক্ষণ সমুদ্রে ভাসছিল তাদের বহনকারী ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, ক্যাপসুলটিকে ঘিরে সাঁতার কাটছে কিছু কৌতুহলি ডলফিন। প্রায় এক ঘণ্টা পর মার্কিন নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ এই নভোচারীদের ক্যাপসুল থেকে বের করে নিয়ে আসে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে যেন তারা খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, মূলত সেজন্য এক ঘণ্টা সময় নিয়েছে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ।

    ফ্লোরিডার উপকূল থেকে এই নভোচারীদের সঙ্গে নিয়ে টেক্সাসের হিউস্টন শহরে জনসন স্পেস সেন্টারের উদ্দেশে রওনা দেন উদ্ধারকারীরা। সেখানে তাদের বরণ করার জন্য আগে থেকেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

    তবে পৃথিবীতে ফিরে এলেও এখনই নিজের পরিবার-বন্ধু-স্বজনদের দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবেন না মহাকাশচারীরা। কয়েক সপ্তাহ তাদের থাকতে হবে ক্রু কোয়ার্টারে। সেখানে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন মহাকাশে শূণ্য মাধ্যাকর্ষণে থাকার কারণে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় নানা হেরফের ঘটে।

    মহাকাশচারীদের অবতরণের পর তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে নাসার উপ সহযোগী প্রশাসক জোয়েল মনটালবানো এবং কার্যক্রম সমন্বয় ব্যবস্থাপক বিল স্পিচ বলেন, “এই মহাকাশচারীরা আমাদের গর্ব। ৯ মাসে ৯০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রায় ১৫০টি গবেষণা করেছেন তারা। তাদের ফিরে আসায় আমরা খুবই খুশি।”

  • শহীদ আসিফ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে উচ্ছ্বাস

    শহীদ আসিফ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে উচ্ছ্বাস

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার খুলনা রোড মোড়স্থ শহীদ আসিফ চত্বরে  থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ম্যুরাল সবশেষ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ছাত্র-জনতা।
    সোমবার (১৯ শে মার্চ) রাত তখন ৩:৫১ মিনিটে  গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।
     এর মাধ্যমে সাতক্ষীরা থেকে নিশ্চিহ্ন হলো শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ম্যুরাল ও খুনি শেখ হাসিনার শেষ চিহ্ন টুকু।
    এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক আরাফাত হোসেন জানান বাংলা মাটিতে আর ফ্যাসিস্ট ফিরবে না যতদিন এই ছাত্র জনতার সৈনিক থাকবে।
    এদিকে সাতক্ষীরার পৃথক দুটি স্থানের বিলবোর্ডে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে ওঠায় ১৭ ই মার্চ রাত ৯ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উত্তাল ছিল সাতক্ষীরা শহর।প্রথম লেখাটি ভেসে ওঠে সাতক্ষীরা  জেলা শহরের খুলনা রোডের মোড়ে গ্রীন লাইফ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং অপর লেখাটি ভেসে ওঠে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মোড় সংলগ্ন একটি ইজিবাইক শো-রুমের বিলবোর্ড।সবশেষে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে
    গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।
  • সাতক্ষীরায় দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাথে জনসংযোগ শীর্ষক সেমিনার

    সাতক্ষীরায় দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাথে জনসংযোগ শীর্ষক সেমিনার

    নিজস্ব  প্রতিনিধি: ‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার ‘ ও ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার’ স্লোগানে সাতক্ষীরায় দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাথে জনসংযোগ শীর্ষক সেমিনার ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন  এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আয়োজনে  মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে  জেলা প্রসাশকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক(সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল’র সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  সাতক্ষীরা জেলা প্রসাশক মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে  অনেক এজেন্সির বিরুদ্ধে  প্রতারণার অভিযোগ আসে। যাদের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ আছে তাদের চিহ্নিত করে ব্ল্যাকলিস্ট করে প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে এবং  লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই দুইজন সাক্ষী রাখবেন। আমরা সাতক্ষীরা নিয়ে কাজ শুরু করি,তাহলে একসময় দেখা যাবে  বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী কোন ব্যাক্তির অভিযোগ থাকবে না।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন,সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ।  সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন জেলা কর্মসংস্থান ও জলশক্তি অফিসের সহকারি পরিচালক মোস্তফা জামান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন  যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ পরিচালক সঞ্জিত কুমার দাশ,টিটিসি সাতক্ষীরার অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমান,  মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাজমুন নাহার,  জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী,কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মো. আজিজুল ইসলাম, জেলা কর্মসংস্থান ও  জনশক্তি অফিসের জনশক্তি  জরিপ অফিসার মো. আব্দুল মজিদসহ  বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি,ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
    সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা তথ্য অফিসের উচ্চমান সহকারী মনিরুজ্জামান।
  • সাতক্ষীরায় হাসপাতালের বিলবোর্ডে ভেসে উঠলো ‘আ.লীগ আবার ফিরবে’

    সাতক্ষীরায় হাসপাতালের বিলবোর্ডে ভেসে উঠলো ‘আ.লীগ আবার ফিরবে’

    সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে গ্রীন লাইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিলবোর্ডে আকস্মিকভাবে ভেসে উঠেছে—‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে’। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে এই বার্তা প্রদর্শিত হলে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে খুলনা রোড মোড়ে থাকা বিলবোর্ডটিতে আচমকা এই বার্তা ফুটে ওঠে। বিষয়টি দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হন।

    খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বলেন—‘আমরা এখানে এসেছি ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করতে। এখানে অনেক জনতা জড়ো হয়েছে, ঘটনাটির প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছি।’

    পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং কারা ও কীভাবে এই বার্তা প্রচার করেছে তা খতিয়ে দেখছে।

    বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ একে ডিজিটাল বিলবোর্ড হ্যাকিং বলে সন্দেহ করছেন, আবার কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার বলেও মনে করছেন। তবে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

  • আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস

    আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস

    হিজরি দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান বদর প্রান্তরে রাসূল (সা.)-এর নেতৃত্বে মক্কার কুফরি শক্তির বিরুদ্ধে যে সশস্ত্র যুদ্ধ হয় ইতিহাসে তাই বদর যুদ্ধ নামে পরিচিত। ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ।

    মক্কার কাফেররা রাসূল (সা.) এবং মুমিন বাহিনীকে মক্কা থেকে বের করে দিয়েই চুপ করে বসে থাকেনি, তারা ইসলামকে শেষ করে দেয়ার জন্য নানা ফন্দি আঁটতে থাকে। এক পর্যায়ে আবু জাহেল আবু সুফিয়ান সিদ্ধান্ত নেয়, এখনই যদি মুহম্মদ বাহিনীকে নিঃশেষ করা না যায় তাহলে এ বাহিনীর সঙ্গে আর কুলিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

    আবু জাহেল এক হাজার সুসজ্জিত প্রশিক্ষিত সৈন্য নিয়ে বদরপ্রান্তরে এসে মদিনা আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করে। এ খবর জানতে পেরে রাসূল (সা.) মাত্র ৩১৩ জন নিরস্ত্র-প্রায় সাহাবি নিয়ে এ বিশাল সৈন্যবাহিনীর মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকেন।যুদ্ধ শুরুর আগে রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ওগো আল্লাহ, আজ তোমার প্রতিশ্রুত সাহায্য বড়ই প্রয়োজন। আজ যদি এ কয়জন মুমিন বান্দা মরে যায়, তাহলে তোমার দ্বীন প্রচারের জন্য আর কোনো মানুষ থাকবে না। তোমার দ্বীনের স্বার্থে তুমি আমাদের বিজয় দান কর।

    আল্লাহর রাসূলের দোয়া এমনই কবুল হয়েছে, বিশেষ ফেরেশতা নাজিল করে আল্লাহতায়ালা মুমিন বাহিনীকে সাহায্য করেছেন।এ সাহায্যের কথা আবার সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, হে মুমিনরা, আল্লাহ তোমাদের বদরে সাহায্য করেছেন অথচ সেদিন তোমরা ছিলে অসহায়।বদরের এ ঘটনা থেকে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হল, মুসলিম উম্মাহ এমন একটি জাতি, যে নীরবে নিভৃতে অত্যাচার-অনাচার-জুলুম সহ্য করাকে ভয়াবহ গোনাহ মনে করে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় কর্তব্য।

    আজ মুসলমানদের সামনে সেদিন এসেছে সমাজে শান্তি বজায় রাখা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ধৈর্যধারণ করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি তাদের এ কর্তব্য পালনের জন্য আল্লাহতায়ালার সাহায্য প্রার্থনা করাও জরুরি। মুসলমান কখনও জাগতিক উপায়-উপকরণ কিংবা সম্পদের ওপর ভরসা করে না। তারা সব সময় আল্লাহর ওপর ভরসা করে। তার মানে এ নয় যে, উপায়-উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না।বদরের ঘটনায় দেখা যায়, মুসলিম সৈন্যবাহিনী কম থাকায় রাসূল (সা.) নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন।

    রাসূল (সা.) সৈন্যদের বলেছেন, একদল সৈন্য তীর ছুড়ে পেছনে চলে আসবে। তখন পেছন থেকে আরেক দল সৈন্য সামনে গিয়ে তীর ছুড়বে। যাতে শত্রুপক্ষ বুঝতে পারে একই লোক বারবার তীর ছুড়ছে না। বরং মুসলিম মুজাহিদের সংখ্যা মনে হবে অনেক বেশি। তারা একদলের পর একদল এসে তীর ছুড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের আগে রাসূল (সা.) বলেন, আমরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আলাদা আলাদা রান্না করব। আলাদা আলাদা তাঁবু খাটাব। অনেক বেশি টয়লেট বানাব। যেন শত্রুপক্ষ দূর থেকে দেখে বুঝতে পারে সংখ্যায় আমরা অনেক বেশি।

    একদিকে রাসূল (সা.) কান্নায় বিগলিত হয়ে মোনাজাত করেছেন, অন্যদিকে সমসাময়িক সব ধরনের যুদ্ধ কৌশলও তিনি রাসূল (সা.) প্রয়োগ করেছেন। মুসলমান যদি আবার তাদের হারানো বিজয় ফিরিয়ে আনতে চায়, তাহলে দোয়া এবং কৌশল দুটোই সঙ্গে করে এগোতে হবে।হে আল্লাহ, বদরের চেতনায় মুসলমান যেভাবে বিজয়ী হয়েছিল আজকের মুসলমানদেরও সেভাবে বিজয় অর্জন করার তাওফিক দিন আল্লাহুম্মা আমিন।

    লেখক:  সাবেকঃ- ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।

  • জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত

    জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় ২৮৯ জন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া হামলায় মদদদাতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলা সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট।

    সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, বহিষ্কৃতদের তিন ক্যাটাগরিতে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

    প্রসঙ্গত, আন্দোলন চলার সময় গত বছরের ১৪ জুলাই রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এবং একই দিন রাত ১২টার দিকে উপাচার্য ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ, ১৭ জুলাই বিকেল ৩টার সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ১৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করে।

    এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হামলাসংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনটি জমা দেন ওই কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম। প্রতিবেদনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়।

  • ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা করেছে ইসরায়েল : হোয়াইট হাউস

    ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা করেছে ইসরায়েল : হোয়াইট হাউস

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা করেছে ইসরায়েল। হোয়াইট হাউস বলেছে, গাজায় সর্বশেষ হামলার আগে ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেছিল ইসরায়েল।

    মূলত যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ফের ব্যাপক আকারে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ভয়াবহ এই হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে কমপক্ষে ১৭০ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজেদের লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় সর্বশেষ আক্রমণ শুরু করার আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেছিল বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট।

    সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাস, হুথি, ইরান — যারা কেবল ইসরায়েলকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে আতঙ্কিত করতে চায় — তাদের মূল্য দিতে হবে এবং তাদের ওপর সমগ্র নরক ভেঙে পড়বে।”

    তিনি আরও বলেছেন, “হুথি, হিজবুল্লাহ, হামাস, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী প্রতিনিধিদের উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া। কারণ তিনি (ট্রাম্প) বলেন যে— তিনি আইন মেনে চলা মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু ও মিত্র ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়াতে ভয় পান না।”

    এদিকে আল জাজিরা তাদের সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে ইসরায়েল এবং এরপর অবরুদ্ধ এই উপত্যকা জুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে। বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭০ জন ফিলিস্তিনির নিহত এবং অন্যান্য আরও অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।

    এদিকে বিমান হামলায় হামাস কমান্ডার এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে। ইসরায়েলের সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্য করে সর্বশেষ এই হামলা চালানো হয়েছে।

    ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও হামলা শুরু হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদক বারাক রভিদের মতে, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইসরায়েল গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।

    এছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা বলেছে, “রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশে (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) এবং শিন বেইট গাজা উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করছে।”

  • সাতক্ষীরার ঠিকাদার বিএম রাজ্জাকের কাছে পাওনা ৩৩ লাখ টাকা উদ্ধারের দাবিতে ভুক্তভোগি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার ঠিকাদার বিএম রাজ্জাকের কাছে পাওনা ৩৩ লাখ টাকা উদ্ধারের দাবিতে ভুক্তভোগি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার হামিজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ঠিকাদার বি.এম আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে পাওনাদারের ৩৩ লাখ টাকা না দিয়ে উল্টো সোসাল মিডিয়ায় মিথ্যে তথ্য প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে তাকে হয়রানি করছেন বলে অভিযাগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব এক সংবাদ সম্মেলনে যশোরের বেজপাড়া এলাকার এস.এম জি. মুক্তাদি এর ছেলে এস.এম শামীম এজাজ এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ঠিকাদার বি.এম আব্দুর রাজ্জাক ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে আমার ও আপন খালাতো ভাই এবং আমার মায়ের কাছ থেকে ৩৩ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। টাকা গুলো ছিল আমার আমার ব্যবসায়ী টাকা ও আমার ভাইয়ের ও মায়ের চাকরির পেনশিয়ানের টাকা। কিন্তু টাকা পরিশোধের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে বি.এম আব্দুর রাজ্জাকের কাছে আমার পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্ন বাহানা করে আমাকে হয়রানি করতে থাকেন। পরে তার নিজস্ব একাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকার একটি এস.বি.এ.সি ব্যাংক লিঃ এর একটি চেক (হিসাব নং- ০০২৮১১১০০৫৭৪০, চেক নং- সি.ডি.বি ০৬২০২৫৩) প্রদান করেন। কিন্তু তার একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি দুইবার ডিজঅনার করা হয়। পরে চেকের মামলা করতে গেলে তিনি দ্রুত টাকা পরিশোধ করার কথা বলেন। এভাবে একাধিকভার ওয়াদা ভঙ্গ করার পর আমার মা ও খালাতো ভাই তার কাছে গেলে তিনি কুরআন শরীফ সামনে রেখে ওয়াদা করে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন।
    এস.এম শামীম এজাজ আরো বলেন, এভাবে ওয়াদা ভঙ্গ করার পর গত ৭ মার্চ (২০২৫) আমিসহ আমার ভাই ও আত্মীয়স্বজনকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে টাকা চাওয়া মাত্রই তিনি আমাকে গালি-গালাজ করতে থাকেন এবং বলেন, তোর যে বাবার কাছে পারিস যা। তোরা আমার কাছে চাঁদা চাইতে এসেছিস তোদের নামে সেনা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করে জেলে পাঠাবো বলে হুমকি দেয়। এঘটনার পর আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় তার নামে গত ৭ মার্চ একটি অভিযোগ করি। থানা থেকে তাকে ডেকে পাঠালে তিনি হাজির হননি। তিনি অভিযোগ করেন বলেন, বি.এম আব্দুর রাজ্জাক থানায় না গিয়ে উল্টো সেনা ক্যাম্পে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। গত ৮ মার্চ আমাদেরকে ডেকে পাঠালে আমরা হাজির হলে ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার জাহাঙ্গীর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেন। উভয় পক্ষের কথা শুনার পর বি.এম রাজ্জাক এর সম্মতিতে তিন দফায় তিনি ২৩ লক্ষ টাকা পরিশোদ করার কথা বললে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা লেখা হয়। উক্ত স্ট্যাম্পে উল্লেখিত অঙ্গীকার অনুযায়ি আগামী ২৪ মাচ ৩ লক্ষ টাকা নগদ, বাকী ২০ লক্ষ টাকা (১০লক্ষ টাকা হারে) ২টি চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করবেন। এসময় তিনি বি.এম. আব্দুর রাজ্জাক নামীয় আই,এফ,আই,সি ব্যাংকের ৪০৬৫৩১৭০০৫০০১ নং হিসাবের ২টি চেক (নং- ০৫৫৫২৩১, চেক নং- ০৫৫৫২৩২) প্রদান করেন। শামীম এজাজ আরো বলেন, টাকা পরিশোধের সময় এগিয়ে আসায় বি.এম. আব্দুর রাজ্জাক নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে ফেসবুক ও সোসাল মিডিয়ায় প্রবাকান্ডা ছড়াচ্ছেন। আমরা নাকি আবু জাহিদ ডাবলুর মাধ্যমে সুমন রহমানকে তার কাছে পাঠিয়েছি টাকা আদায়ের জন্য। য সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। তার এই হিন কমংকান্ডে আমরা পারিবারিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি ঠিকাদার বি.এম আব্দুর রাজ্জাকের কাছে পাওনা ৩৩ লাখ টাকা যাতে আদায় করতে পারেন সেজন্য সেনাবাহিনী, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ অলিউর রহমান, মোঃ আব্দুল গণি, মোঃ সুমন রহমান ও শামীম এজাজ এর মা বৃদ্ধা হোসনেয়ারা খাতুন।

  • ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আশাশুনি থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া

    ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আশাশুনি থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে ২৬ মার্চ উপলক্ষে ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে এবং থানা এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা অবনতি রোধকল্পে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেনের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী কার্যক্রম গ্রহন করেন। উক্ত উপজেলা এলাকার চাকরিজীবী, বিভিন্ন ব্যবসায়ী যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি আসতে পারে বিপদজনক রাস্তা-ঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ সকল পয়েন্টে আশাশুনি থানার পুলিশ কাজ শুরু করে দিয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে যেসব এলাকায় আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটছে এবং আইন শৃঙ্খলা অবনতির পেছনে যাদেরও সংশ্লিষ্ট পাওয়া যাচ্ছে দ্রুত গতিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। যেকোনো সহিংসতা এড়াতে সার্বক্ষণিক আশাশুনি থানার পুলিশের টিম মাঠে পর্যায়ে কাজ করছে৷ তিনি আরো বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে৷ কুল‍্যা, দরগাহপুর, বুধহাটা, চাপড়া, আশাশুনি টূ শ্রীউলা,  গোয়ালডাঙ্গা ও বড়দল বাসস্টান্ড, বিভিন্ন মোটর সাইকেল স্টান, মার্কেট এবং হাট বাজার ঈদের জামাত সহ বিভিন্ন জনবহুল স্থানে আশাশুনি থানা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মহড়া দেয়ার ব্যপারেও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলায় থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেন (১৭মার্চ ২০২৫ সোমবার) সকলে শোভনালী, বুধহাটা, কুল‍্যা, কাদাকাটি, দরগাহপুর সহ ১১টি ইউনিয়ন পরিদর্শন করে উপজেলার প্রানকেন্দ্র বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারে সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও গণমানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি এড়াতে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে যানজট নিরসনে থানা ও পুলিশ সদস্যরা যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে৷ এবং আমাদের পুলিশ বাহিনী দায়িত্বের পাশাপাশি পথচারীদের তাঁরা সহায়তা করবেন। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় থানা এলাকার বিভিন্ন বিটে কর্মরত অফিসার, সহকারি বিট অফিসার ও থানার অন্যান্য অফিসারদেও নিয়ে আমি কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের এ কর্মসূচি মাদক, ইভটিজিং প্রতিরোধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা, চুরি, ছিনতাই সহ সকল প্রকার অপরাধ সংঘটন হতে বিরত থাকা ও ঈদ উপলক্ষে মানুষের জানমাল রক্ষার বিষয়ে আশাশুনি থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে৷ বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে থানা পুলিশকে সহায়তা করা ও যেকোনো সমস্যায় থানা পুলিশের সহায়তা নেয়াসহ সকল প্রকার অপরাধ সম্পর্কিত অগ্রিম তথ্য প্রদান করে থানা পুলিশ কর্তৃক সুষ্ঠু ও সুন্দর সেবা গ্রহন নিশ্চিত করার জন্য এবং থানা এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সহযোগিতা করার জন্য জনগণকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানানো হয়। বিশেষ মহড়া প্রধান কালে ইন্সপেক্টর তদন্ত আব্দুল ওয়াদুদ সহ থানার সকল অফিসার বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • সাতক্ষীরায় জলবায়ু সহনশীল জীবনযাত্রা উন্নয়নে কর্মশালা 

    সাতক্ষীরায় জলবায়ু সহনশীল জীবনযাত্রা উন্নয়নে কর্মশালা 

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিএমজেড ও ওয়েলথাংগারহিলফে (ডব্লিউএইচএইচ) বাংলাদেশের উদ্যোগে “কমিউনিটি লেড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট অ্যান্ড সাস্টেইনেবল লাইভলিহুড প্রোগ্রাম ইন দ্যা কোস্টাল এরিয়াস অব সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্ট” প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ পাল। এছাড়া কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউএইচএইচ-এর প্রকল্প প্রধান জিয়াউল হক, আনন্দের কর্মসূচি প্রধান এ কে এম আনোয়ার হোসেন মোল্লা এবং প্রেরণার নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামী।
    কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আনন্দের প্রকল্প প্রধান এ কে এম আনোয়ার হোসেন মোল্লা, এবং প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডব্লিউএইচএইচ-এর প্রকল্প প্রধান জিয়াউল হক।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং প্রকল্পের সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে, যাতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই জীবনযাত্রার সুযোগ পায়।”
    প্রকল্পটি সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫, ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়ন এবং দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ও পারুলিয়া ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে। এই অঞ্চলের ৫০০০ দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সদস্যরা এর সুবিধাভোগী হবেন, যেখানে দলিত, সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী ও নারী প্রধান পরিবারগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
    এ প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ মোকাবিলা ও জীবিকা উন্নয়নে সক্ষমতা অর্জন করবেন।
    কর্মশালার শেষ পর্বে প্রেরণার নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন
  • খলিশাখালীতে ১৩২০ বিঘা খাস জমি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন ও সকল খাস জমি ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন এবং তাদের পুণর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    খলিশাখালীতে ১৩২০ বিঘা খাস জমি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন ও সকল খাস জমি ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন এবং তাদের পুণর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    সোমবার(১৭ মার্চ) বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সামনে সাতক্ষীরা টু আশাশুনি সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আকবর আলী, সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি  শেখ হাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রেজাউল করিম রেজা, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক  মো: ইদ্রিস আলী, জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: মফিজুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মনসুর রহমান, স্বাস্থ্য কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, লাবসা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম, খলিশাখালি ভূমিহীন সমিতির সদস্য আব্দুল হালিম, জেলা ভূমিহীন সমিতির নেত্রী নাজমা আক্তার নদী, বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মীর আশিক ইকবাল বাপ্পি প্রমূখ।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা দেবহাটার খলিশাখালীতে ভূমিহীনদের উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে।  তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে ১৩২০ বিঘা খাস জমি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ভূমিহীনদের পুণর্বাসন করতে হবে।
    এ সময় বক্তার আরো বলেন, অবিলম্বে এই রায় বাস্তবায়ন না হলে ঈদের পরে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
    মানববন্ধন শেষে একটি রেলি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সামনে থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
    পরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন ভূমিহীন নেতারা।
  • দেশে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী

    দেশে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী

    বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার জন্য হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) সকাল পৌনে এগারোটায় সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ খেলা এই ফুটবলার। গতকাল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দু’টায় বাংলাদেশ বিমানের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেট ফ্লাইটে রওনা হয়েছিলেন হামজা।

    হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে এয়ারপোর্টে বাফুফের ৭ জন নির্বাহী সদস্য রয়েছেন। গতকাল চার সদস্যের (শাহীন, হিল্টন,গাউস ও ইকবাল) সঙ্গে আজ যোগ দিয়েছেন আরও তিন সদস্য রুপু, সবুজ ও মঞ্জু। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পরপরই হামজাকে বরণ করে নেবেন বাফুফে কর্তারা। তাদের সাথে রয়েছেন হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী।

    হামজাকে স্বচক্ষে এক নজর দেখার জন্য সিলেট এয়ারপোর্টের বাইরে অনেক সমর্থকের ভিড়। কেউ ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, কেউ আবার খালি হাতে শুধু এক নজর দেখার জন্য। হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন এ জন্য গণমাধ্যমকর্মীরাও বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন।

    হামজা আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবারের আসাটা বিশেষ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশে আসছেন তিনি। স্মরণীয় এ সফরে তার সঙ্গী মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা।

    সিলেট বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে চলে যাবেন হামজা। সেখানে আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল ঢাকায় আসতে পারেন হামজা। এরপর যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই মিডফিল্ডারের।

  • সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবির ও এমপি এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহসহ ২২ জনের নামে মামলা

    সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবির ও এমপি এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহসহ ২২ জনের নামে মামলা

    সাতক্ষীরা তলায় বিএনপি নেতা বিপ্লব কবিরকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও সাতক্ষীরায় ১ আসনের সাবেক এমপি এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ সহ ২২ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই তালা উপজেলার দোহার গ্রামের মৃত শেখ শের আলীর ছেলে মো: জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রোববার (১৬ মার্চ) সাতক্ষীরা আমলী আদালত ৩ এ এই মামলা দায়ের করেন।

    আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিদুল হাসান বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আদালতকে জ্ঞাত করার জন্য তালা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক ওসি একেএম আজমল হুদা, ডিবি পুলিশের কনষ্টেবল হাসিবুর রহমান, ফারুক চৌধুরি, রাসেল মাহমুদ, শিকদার মনিরুজ্জামান, তালা থানার সাবেক ওসি আবু বকর সিদ্দিক, এসআই আকরাম হোসেন, এএসআই গোলাম সরোয়ার, জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি, মাঝিয়াড়া গ্রামের যুবলীগ নেতা শেখ আবু জাফর, দোহার গ্রামের যুবলীগ নেতা শাহিন শেখ, জালালপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমিরুল শেখ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রুহুল আমিন শেখ মিন্টু, আওয়ামীলীগ নেতা শেখ আমজাদ আলী, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল সরদার, যুব লীগ নেতা আক্তারুল সরদার, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির নেতা মহিবুল্লাহ মোড়ল, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শেখ আনারুল ইসলাম ও জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রাম প্রসাদ দাশ।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, তালা শালিখা ডিগ্রী কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বিএনপি নেতা বিপ্লব কবিরের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে বিপ্লব বিষয়টি জানতে পেরে তিনি রাতে নিজ বাড়িতে না থেকে জনৈক ছবেদ আলী মোড়লের বাড়িতে লুকিয়ে থাকতেন। আসামীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই রাত ১২ টার দিকে উক্ত আসামীরা তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘবদ্ধ হয়ে ছবেদ আলী মোড়লের বাড়ি ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তারা ছবেদ আলীর বাড়ি থেকে বিএনপি নেতা বিপ্লবকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আসামিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। পরদিন সকালে পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

    পুলিশ মামলার বাদিসহ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়ায় তারা সে সময় মামলা করতে সাহস পায়নি। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর মামলা করার পরিবেশ সৃষ্টি হয় তিনি রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

    বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. আবু সাঈদ রাজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে বাদীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আদালতকে জ্ঞাত করার জন্য তালা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

  • ওদের সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না : মির্জা আব্বাস

    ওদের সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না : মির্জা আব্বাস

    বিশেষ কিছু দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সংস্কার কাজ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘ওদের হাতের, ওদের কলমের কোনো সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না। সংস্কার যদি করেন, আমরা কারেকশন করব। বিএনপি সেই কারেকশন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলেমিশে ঠিক করে তা জাতির কাছে তুলে ধরবে। ওই সমস্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা এ দেশের নাগরিক পর্যন্ত নয়, তাদের দিয়ে আপনারা সংস্কার করবেন, এটা আমরা মেনে নেব না।’

    রোববার বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাখা আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ সব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা চাই, নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, ততটুকু করে নির্বাচন দিন। নিবার্চনের পর যে–ই ক্ষমতায় আসুক, তাকে আমরা সালাম দিয়ে মেনে নেব। কোনো অনির্বাচিত সরকারের, ব্যক্তির কোনো কথা আমরা মেনে নেব না।’

    নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সংশয়, সন্দেহ আছে দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বহু কথা শুনেছি, কেউ বলছে নির্বাচন হবে, কেউ বলছে হবে না। আমরা কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাই না। আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, ড. ইউনূস যে কথা বলেছেন তাঁর কথা রাখবেন। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে একটা নির্বাচন পাব। আমরা দেখছি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একদল লোক বোকা পেয়েছে, যা খুশি বলে যাচ্ছে, করে যাচ্ছে। ওই লোকগুলো, যারা সংবিধান নতুন করে লিখতে চায়।’

    সংস্কার একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনী সংস্কার করুন। বাকি সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে।’

    বিনা ভোটে দেশের মানুষকে পরিচালনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে দয়া করে অশান্তির দিকে ঠেলে দেবেন না। আমরা শান্তি চাই। এ দেশের মানুষ বহু জেলজুলুম সহ্য করেছে। আমরাও বহু জেল খেটেছি। আর জেল খাটতে চাই না। দেশটাতে বহু বছর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দেশের মানুষের কষ্টে শান্তি এসেছে। দয়া করে দেশটাকে অশান্তির দিকে ঠেলে দেবেন না।

  • চীনের উত্থান ভারতের নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে

    চীনের উত্থান ভারতের নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে

    প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে চীনের উত্থান ভারতের গ্লোবাল সাউথের নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

    তার মতে, ভবিষ্যতের শক্তি কেন্দ্র হিসেবে আফ্রিকার সম্ভাবনার দিকে নজর দেওয়া উচিত ভারতের। ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (১৬ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

    দিল্লিতে চতুর্থ জেনারেল বিপিন রাওয়াত স্মারক বক্তৃতায় জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “চীনের প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে উত্থান জটিলতা বৃদ্ধি করছে, প্রতিযোগিতা তৈরি করছে এবং গ্লোবাল সাউথের স্বাভাবিক নেতা হওয়ার পথে ভারতের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।”

    ভারতীয় এই সেনাপ্রধান গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারত যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলোও তুলে ধরেন।

    তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিবর্তন এবং সম্পদ নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতার সাথে সাথে আমাদের ভবিষ্যতের শক্তি কেন্দ্র হিসাবে আফ্রিকার সম্ভাবনাগুলো দেখতে হবে… ভূগোল, জনসংখ্যা, গণতন্ত্র, সমৃদ্ধি, সফট পাওয়ার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির কারণে ভারতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ থাকবে… বৃহত্তম জনসংখ্যা, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভূখণ্ড এবং ভূ-কৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও ভারত তুলনামূলকভাবে নিম্ন বৈশ্বিক অবস্থানে রয়ে গেছে।”

    জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “আমাদের বারবার অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যার ফলে আমাদের সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা খুব কম। এমনকি ব্রিকসও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে… শক্তিশালী মার্কিন ডলারকে উল্টে দেওয়ার জন্য এর কথিত প্রচেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে প্রকাশ্যেই ধাক্কা খেয়েছে। এর আলোকে আমাদের এসসিও (সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা) ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।”

    তিনি জাতীয় নিরাপত্তায় উদীয়মান প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রতিরোধের নতুন রেওয়াজ হয়ে উঠেছে এবং বাণিজ্য ও নিরাপত্তার নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে তথ্য।

    জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “নিরাপত্তা হলো যুদ্ধ পরিচালনা এবং যুদ্ধ প্রতিরোধের স্বাস্থ্যকর ক্ষমতা। স্বাস্থ্যকর সামরিক-বেসামরিক সমন্বয়, আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্প ভিত্তি, জাতীয় পর্যায়ে দ্বৈত-ব্যবহারের সম্পদ, সময় কাঠামোর সু-জ্ঞাত এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এবং নাগরিক যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

    ভারতীয় এই সেনাপ্রধান গ্লোবাল সাউথের অংশীদারদের সাথে ভারতের সমন্বয়ের গুরুত্ব সম্পর্কেও কথা বলেন।

    জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সংস্কার আনুন যাতে গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত হবে। আলোচক বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সংঘাত নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করুন। মানবিক কারণে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় প্রবাসীদের ইতিবাচক শক্তিকে কাজে লাগান। বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন, গ্লোবাল সাউথের উত্থানকে সক্ষম করুন, উন্নত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য দরিদ্রদের সাথে অতিরিক্ত সম্পদ ভাগাভাগি করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিন।”

    তিনি আরও বলেন, “শান্তিরক্ষা অভিযানের নেতৃত্ব দিন, যতক্ষণ সম্ভব প্রতিরোধমূলক উদ্দেশ্যে পারমাণবিক অস্ত্রকে রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে সমর্থন করুন, উত্তর-পূর্ব ভারতে বামপন্থি চরমপন্থার বিরুদ্ধে ও জম্মু-কাশ্মিরে জিডব্লিউওটি (সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ) পরিচালনা করুন; আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে— ভারতীয় সেনাবাহিনী জাতির সাথে একত্রিত এবং সংহত থাকবে।”