Blog

  • চীন-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করলে উভয়েই হেরে যাবে : চীনা প্রধানমন্ত্রী

    চীন-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করলে উভয়েই হেরে যাবে : চীনা প্রধানমন্ত্রী

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর সঙ্গে বিশ্বে যেন আবারও ফিরে এসেছে বাণিজ্যযুদ্ধ। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই চীনের পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।

    পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে চীনও। এমন অবস্থায় দুই পরাশক্তির শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।

    তিনি বলেছেন, চীন এবং আমেরিকা শান্তি স্থাপন করলে উভয় দেশই লাভবান হবে। এমনকি চীন এবং আমেরিকা যুদ্ধ করলে উভয়েই হেরে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রোববার (২৩ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

    বার্তাসংস্থাটি বলছে, বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স এবং বেইজিংয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলার সময় জানিয়েছেন।

    ইংরেজি ভাষার চায়না ডেইলি সংবাদপত্র অনুসারে লি বলেন, “চীন এবং আমেরিকা যদি শান্তি স্থাপন করে, তাহলে আমরা উভয়েই লাভবান হব; যদি তারা যুদ্ধ করে, তাহলে আমরা উভয়েই হেরে যাব। সংঘর্ষের পরিবর্তে আমাদের সংলাপ এবং উইন-উইন সহযোগিতার মাধ্যমে লড়াই করা উচিত। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করবে চীন এবং আমেরিকা।”

    চীনের এই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, চীন সর্বদা “যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের কোম্পানিগুলোকে (চীনা ভূখণ্ডে) স্বাগত জানায়” এবং “তাদের বৈধ দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে পূরণ করার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সমানভাবে বিবেচনা এবং একটি সুস্থ ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলবে চীন।”

    মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স বলেন, “আমরা যখন চীনের দিকে তাকাই, তখন দেখি- ১৯৯১ সালে চীনের অর্থনীতি প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা তারও কিছু বেশি ছিল। গত ৩৪ বছরে আমরা চীনের বৃদ্ধি এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি।”

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ডেইন্সও অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষের মধ্যে আরও উচ্চ-স্তরের সংলাপের আশা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন এই সিনেটর এর আগে আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহীদের সাথে বেইজিংয়ে বার্ষিক চীন উন্নয়ন ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছিলেন।

    চীনা অর্থনীতির সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ব্যবসায়ীদের দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের অনেকেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী লি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য চীনের বাজারে প্রবেশের সুযোগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া বহিরাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লি কিয়াং বলেন, “সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ধাক্কার জন্য প্রস্তুত” চীন।

  • পছন্দের মাঠ না পাওয়ায় ক্ষোভ বাফুফের

    পছন্দের মাঠ না পাওয়ায় ক্ষোভ বাফুফের

    কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও বা অঝোর ধারা। শিলংয়ের আকাশ থেকে রোববার দুপুর থেকেই অনবরত বৃষ্টি ঝরেছে। মেঘালয়ের রাজধানীতে এমনিতেই প্রচুর ঠান্ডা। বজ্রবৃষ্টিতে তাই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। মেঘালয় রাজ্যে মেঘের খেলা হবে না, তা কী করে হয়? তবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে খেলতে হচ্ছে অন্য খেলা। মাঠের বাইরে ভারতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুশীলন ভেন্যু নিয়ে গত কয়েক দিন রীতিমতো যুদ্ধ চলছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের।

    বাংলাদেশ কোচ ক্যাবরেরা চেয়েছিলেন গতকাল অন্তত মূল ভেন্যুর ঘাসের মাঠে অনুশীলন করতে। কিন্তু তাদের দেওয়া হয়েছে সেই ভেন্যুর পাশে আর্টিফিশিয়াল টার্ফের গ্রাউন্ড। বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার আমের খানের অভিযোগ, ভারতীয় দল মূল ভেন্যুতে অনুশীলন করতে পারলে অতিথি হয়ে তারা কেন পাবেন না সেই সুযোগ। কিন্তু স্বাগতিক ভারত নিয়মের কথা সামনে এনে বাংলাদেশ দলকে এই সুযোগ দেয়নি।

    এ ব্যাপারে এএফসির নিয়ম হচ্ছে, ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে নির্দিষ্ট শহরে পৌঁছাতে হবে অতিথি দলকে। ম্যাচ ভেন্যুতে সফরকারীদের আগের দিন অনুশীলন করতে দেওয়া বাধ্যতামূলক। তার এক দিন আগে অনুশীলন ভেন্যুর (ম্যাচ ভেন্যুর বাইরে) ব্যবস্থা করে দেওয়া স্বাগতিক ফেডারেশনের দায়িত্ব।

    সেই হিসেবে ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচটি যে ভেন্যুতে হবে, সেই জওহরলাল স্টেডিয়ামে আজ বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দল অনুশীলন করবে। ম্যাচের পাঁচ দিন আগে শিলং চলে আসায় নেহু গ্রাউন্ডে প্রথম দিন অনুশীলন করার পর ভেন্যু নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ক্যাবরেরা। শনিবার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের পাশের মাঠে অনুশীলন করতে গিয়ে ফ্লাডলাইট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে জাতীয় দলকে। দেশ থেকে টাকা পাঠানোর পর সেদিন অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল।

    রোববার দুপুর পর্যন্ত অনুশীলন ভেন্যু চূড়ান্ত করতে পারছিল না বাফুফে। একবার বলেছে নেহু গ্রাউন্ড আবার জওহরলাল স্টেডিয়ামের টার্ফের মাঠ। এমন দোটানায় থাকতে থাকতে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় অর্থাৎ অনুশীলন শুরুর ৩০ মিনিট আগে বাফুফে থেকে জানানো হয় টার্ফের মাঠেই হবে অনুশীলন। ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ফুটবল দলের কর্তারা। পছন্দের ভেন্যু না পাওয়ায় ভারতের বিপক্ষে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান, ‘আজ (রোববার) ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে সকালে কথা হয়েছে। আমরা বললাম, যেহেতু অফিসিয়াল ডে আর ভারত যেহেতু ম্যাচ ভেন্যুতে সকালে অনুশীলন করেছে, তাহলে আমাদেরও এই ভেন্যুতে অনুশীলন করার সুযোগ দেওয়া হোক। যখন দেখলাম সেই সুযোগ তারা দিচ্ছে না, তখন আমি বাফুফে সভাপতির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাই। তিনি এএফসির সঙ্গে কথা বলেন। তার পর আমাদের টার্ফের এই ভেন্যুতে অনুশীলন করার অনুমতি দিয়েছে।’

    গুরুত্বপূর্ণ তিন ফুটবলার ইনজুরির কারণে এমনিতেই ভারতীয় দল কিছুটা দুর্বল। আর প্রতিপক্ষ দলে যেহেতু হামজা চৌধুরীর মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার আছেন, স্বাগতিকরা চাইবে তিনি যেন দলের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে না পারেন। সে জন্য নানাভাবে প্রতিপক্ষ দলকে ভারত বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। ভেন্যু নিয়ে এত নাটকীয়কতার পেছনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও নিজেদের দায় এড়াতে পারে না। সৌদি আরবে গিয়ে যে ক্যাম্প করেছিল, তার প্রস্তুতি তো এক মাস আগে নিয়েছিল। তাহলে পাঁচ দিন আগে ভারতে আসার পরিকল্পনা নিলেও তার বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তারা। তাদের পরিকল্পনার ঘাটতি দেখছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা।

    আগে থেকেই যদি কোনো কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে অনুশীলন ভেন্যুসহ সবকিছু ঠিক করে যেত, তাহলে এই সমস্যা হতো না বলে জানান ম্যানেজার আমের খান, ‘জুনে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ঢাকায় বাংলাদেশের ম্যাচ। এখন থেকেই তাদের এক কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে এপ্রিলে বাংলাদেশে আসতে। তারা মাঠ ভেন্যু, অনুশীলন ভেন্যু দেখে যেতে চায়। আমি মনে করি, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে আমাদের এখানে কাউকে আগে পাঠানো উচিত ছিল। তাহলে অন্তত এই সমস্যায় পড়তে হতো না।’

  • শ্যামনগরে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    শ্যামনগরে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মাদার নদীর চরের গাছ থেকে ইয়াছিন আলম (৩২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কালিঞ্চী এলাকা থেকে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    ইয়াছিন আলম সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালী গ্রামের মৃত জাবেদ আলী গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইটভাটা শ্রমিক ছিলেন।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই দিন আগে ইটভাটা থেকে জয়াখালী গ্রামের বাড়িতে আসে ইয়াছিন আলম। রোববার দুপুরের দিকে তালাক দেওয়া প্রথম স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলা নিয়ে বাদানুবাদের জেরে তাকে মারপিট করে তার বর্তমান স্ত্রী ও শ্যালকরা। এ ঘটনার পর সে বাড়ি থেকে চলে যায়। এক পর্যায়ে রাতে বাড়িতে ফিরে ইয়াছিন পাল্টা তার স্ত্রীকে মারধর করে। এসময় সেখানে উপস্থিত তার শ্যালকসহ অন্যরা ধাওয়া করলে সে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাদার নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে। সোমবার ভোরে কালিঞ্চী এলাকায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    এদিকে আব্দুল হামিদসহ স্থানীয় অপর একটি সূত্রের দাবি, তালাক হওয়া স্ত্রীর সাথে কথোপকথন নিয়ে বর্তমান স্ত্রীর সাথে ইয়াছিনের ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জেরে একমাত্র পুত্রের (ইয়াসিনের ছেলে) হাতে জমির দলিল পৌঁছে দেয়ার জন্য জনৈক রাশিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

    এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের চেষ্টা চলছে। মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

  • দশম হতে নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবীতে সাতক্ষীরায় ইউএপিইও পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের সংবাদ সম্মেলন

    দশম হতে নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবীতে সাতক্ষীরায় ইউএপিইও পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পয়ায়ের উপজেলা ও থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ইউএপিইও) পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের গ্রেড(১০ম হতে ৯ম) উন্নীতকরণের দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ও আশাশুনি উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা ও থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পদটি ১৯৯৪ সলে সংশোধিত নিয়োগবিধি অনুযায়ি ১০ গ্রেডে ইন্নীত করা হয়। সে সময়ের অধস্তন প্রধান শিক্ষক পদটি ১৭তম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষক পদটি ১৮তম গ্রেডে ছিল। পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক পদটি কয়েক দফায় উন্নীত করার ফলে ২০১৪ সালে ১১তম গ্রেড এবং সম্প্রতি উচ্চতর আদালতের রায়ে ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষক পদটি চার দফায় ২০২০ সালে ১৩তম গ্রেডভুক্ত হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ইউএপিইও পদটি ১০ম গ্রেডেই অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত এমএফ (আইসি) ২/৭৩/৩ নং স্মারক অনুযায়ী নন ক্যাডার ১ম শ্রেণির (৯ম গ্রেড) কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইউএপিইওগণের নিয়োগবিধিতে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অন্যান্য শর্তাবলী একই। এছাড়া ইউএপিইওগণ তাদের চাকুরীর কর্মপরিধির বাহিরে বিভাগীয় কাজের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগের ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তাগণের ন্যায় সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বর্তমানে উপজেলা/থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমোদিত পদসংখ্যা ২৬০৭ টি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পদসংখ্যা ৫১৬ টি। নিয়োগবিধি অনুযায়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পদের ৫০ শতাংশ হিসেবে ২৫৮টি পদে প্রতি ১০ জনে ১ জন ইউএপিইও পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে। ফলে উপজেলা/থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগণ দীর্ঘ ২০/২৫ বছর যাবৎ একই পদে চাকুরী করছেন, এমনকি অধিকাংশ কর্মকর্তা একই পদে থেকে অবসরে যাচ্ছেন। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে এবং কর্মস্পৃহা হ্রাস পাচ্ছে। তাদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি করা হলে পদোন্নতির প্রত্যাশা অনেকাংশে পূরণ হবে এবং কর্ম উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাবে। মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, সহকারী উপজেলা/ থানা শিক্ষা অফিসারগণ দীর্ঘদিন যাবৎ এ পদটিকে ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবী জানিয়ে আসছে। ইউএপিইও এর পদটি ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা হলে সরকারের তেমন আর্থিক সংশ্লিষ্টতা এবং বাড়তি বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না। কারণ অধিকাংশ ইউএপিইওগণ ১০ম গ্রেড হতে উচ্চতর গ্রেড/টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ইতোমধ্যে ৭ম, ৮ম ও ৯ম গ্রেডে বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্ত হচ্ছেন। এমতাবস্থায়, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, মাঠ পর্যায়ে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের শৃংখলা/চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্মরত ‘উপজেলা/থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার’ পদে কর্মরত কর্মকর্তাগণের গ্রেড ১০ম হতে ৯ম গ্রেড-এ উন্নীতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহা: ওবায়দুল্যহিল আসলাম, মো: আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, অসীম কুমার সরকার, বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশনের সম্পাদক ও কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ,কে এম, মোস্তাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান, নয়ন কুমার সরকার, শ্যামনগর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সোহাগ হোসেন, প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল, কলারোয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস,এম মফিজুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুনীর আহমেদ, আশাশুনি উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সোহাগ আলম প্রমুখ।

  • হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে তামিম ইকবাল

    হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে তামিম ইকবাল

    মোহামেডানের হয়ে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে সাভারের বিকেএসপি মাঠে হাজির হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে সদ্যই সাবেক হয়ে যাওয়া এই তারকা ক্রিকেটার। প্রাথমিক অবস্থায় তাকে ঢাকায় আনার জন্য হেলিকপ্টার নেয়া হলেও পরিস্থিতি মোটেই অনুকূলে ছিল না।

    শেষ পর্যন্ত সাভারেই জরুরিভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকেএসপির পাশেই ফজিলাতুননেসা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাকে। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তামিম ইকবাল।

    এদিকে, তামিম ইকবালের সবশেষ অবস্থা নিয়ে যোগাযোগ করা হয় ডিপিএল সমন্বয়কারী সাব্বির আহমেদ রুবেলের সঙ্গে। জবাবে ঢাকা পোস্টকে জানালেন, বর্তমানে সাভারের ফজিলাতুননেসা হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

    ঢাকা থেকে ইতোমধ্যে তার ভাই নাফিস ইকবাল এবং স্ত্রী পৌছেছেন। মিরপুর থেকে গিয়েছেন বিসিবির পরিচালকরা। এদিকে আজ হওয়ার কথা ছিল বিসিবির বোর্ড মিটিং। তবে সেটি শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে।

  • বড়দলে স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ক কমিটির সভা

    বড়দলে স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ক কমিটির সভা

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ক কমিটিসহ সকল স্ট্যান্ডিং কমিটি সক্রিয়করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ও সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায়, রুপান্তরের গোফরইমপ্যাক্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে ও বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে এ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ক কমিটিসহ সকল স্ট্যান্ডিং কমিটি সক্রিয়করণ ও ইউনিয়ন উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় সভাপতিত্ব করেন বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক বিল্লাল, এসময়  স্ট্যান্ডিং কমিটি ও ইউডিসিসি কমিটি সদস্যবৃন্দ। রুপান্তরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জাহিদ হাসান উদয়, সৌমিক দত্ত ও ইউনুচ আলী সহ সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় সভাপতির বক্তব্যে বলেন ইউনিয়নের নিরাপদ পানির সমস্যা, জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন ব্যবস্থা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভাপতি বলেন ইউনিয়নের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ইউনিয়ন উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়ম অনুযায়ী দুই মাস পর পর এই কমিটির সভা আয়োজন করতে হবে।
  • এসএসসিতে যশোর বোর্ডে কমেছে ২১ হাজার পরীক্ষার্থী

    এসএসসিতে যশোর বোর্ডে কমেছে ২১ হাজার পরীক্ষার্থী

    মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১০ এপ্রিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর (২০২৪) সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ৭০০ জন। অর্থাৎ, এ বছর ২১ হাজার ৬৩৬ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৯ হাজার ৮৫ জন ছাত্র ও ৭১ হাজার ৯৭৯ জন ছাত্রী। বিভাগ ভিত্তিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা হলো- বিজ্ঞান বিভাগে ৪০ হাজার ১৪৪ জন, মানবিক বিভাগে ৮৫ হাজার ২৩৮ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৫ হাজার ৬৮২ জন। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

    এ বিষয়ে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, পূর্বে অনেক শিক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে বাধ্য হতে হতো, যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির চাপে করা হতো। বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এতে প্রধান শিক্ষকরা আর অনৈতিক চাপের মুখে নেই। এবার টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। তবে, আশা করা হচ্ছে, এবারের পরীক্ষার ফলাফল আগের বছরের তুলনায় ভালো হবে।

    পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন বলেছেন, সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষাবোর্ডের ২৯৯টি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের সাথে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করা হবে এবং পরীক্ষায় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে এবং লাল পতাকা চিহ্নিত করা হবে। পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যতীত অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। পরীক্ষার সময় কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কোনো শিক্ষকের কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তাকে দায়িত্ব থেকে সাথে সাথে অব্যাহতি দেয়া হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত আইন মেনে চলতে সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  • তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত

    তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
    সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায়  তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।
    শনিবার ২২শে মার্চ  বিকাল ৪ ঘটিকায় তালা উপজেলা সম্মেলন কেন্দ্রের হল রুমে তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিঠুর পরিচালনায়, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আকবর হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল। তিনি বলেন তালা উপজেলার অবহেলিত জনপদকে সৌন্দর্যমন্ডিত করার এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য ।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম সাতক্ষীরা জেলার নায়েবে আমির ডাক্তার মাহমুদুল হক। তিনি বলেন সৎ প্রশাসক, সৎ সাংবাদিক একটা জাতির জন্য বিশেষ উপাদান।যখন বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এর পরিবর্তে অন্যদিকে নিয়ে যাবে  তখন দেশের অমঙ্গল বয়ে আসবে। সকল সাংবাদিকদের নিজ নিজ জায়গায়  অবস্থান করে বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।   বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক। তিনি বলেন এই  সেই  রমজান মাস যে মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে।ভালো কাজ করতে হবে, সত্য কথা  বলা, মানুষকে ফাঁকি না দেওয়া।
    বক্তব্য রাখেন  যুব নেতা আনোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা ছাত্রদলের জন্য যুগ্মআহবায়ক ও তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ। উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাসানুর রহমান হাসান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি  আল-জামানুল বান্না।
    অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংবাদিক বৃন্দ এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সুধীজন  উপস্থিত ছিলেন।মোনাজাত পরিচালনা করেন তালা উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা তৌহিদুর রহমান।
  • আশাশুনিতে বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়েছে

    আশাশুনিতে বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়েছে

    “মাটির নিচে পানি অশেষ নয়,
    আপনার সন্তানের স্বার্থে পানি ব্যবহারে যত্নশীল হউন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে হিজলিয়া ঘোলা খেয়া-ঘাটে এ পানি দিবস পালিত হয়। শনিবার সকাল ১০টায় সুইজারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহায়তায়, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় এবং গোফরইমপ্যাক্ট প্রকল্পের আওতায় ও রূপান্তরের আয়োজনে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রূপান্তর এনজিওর সৌমিক দত্ত, ইউনুচ আলী, মিনহাজুল হক সহ রূপান্তরের প্রতিনিধিগণ, ইউপি সদস্য, খেয়া-ঘাট মহাজন, মাঝি, স্থানীয় দোকানদার, গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইমাম এবং খেয়াযাত্রী।
    কার্যক্রমের শুরুতে সকলকে লিফলেট স্টিকার বিতরণ ও পানির গুরুত্ব বোঝানো হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ইউপি সদস্য, মাঝি, স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনগণ (খেয়াযাত্রী) গনস্বাক্ষর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের অভিমত লিপিবদ্ধ করেন।
    এরপর নৌকার উপর মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় পানি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করা হয়। এরপর ঘাট মহাজন মোহাম্মদ আজিজুর পানিসম্পদকে নিরাপদ রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ, উন্মুক্ত জলাশয়ে প্লাস্টিক, ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে সচেতন করার কথা বলেন।
  • আদ্-দ্বীনের উদ্যোগে মুক্তেশ্বরী নদীতে সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতা

    যশোর শহরতলীর মন্ডলগাতী-পুলেরহাট-ভাতুড়িয়া এলাকা দিয়ে বহমান মুক্তেশ্বরী নদী সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতায় অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    প্রতিষ্ঠানটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর বছরের বেশির ভাই সময় পানি প্রবাহ থেমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নদী সংকীর্ণ এবং তলদেশে পলি জমে উঁচু হয়ে যাবার ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং আশ-পাশে বসবাসরত মানুষ নদে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় জমে থাকা আবদ্ধ পানিতে দুর্গন্ধ বের হয়। এতে সাধারণ মানুষ এবং রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। স্বাস্থ্য ঝুঁকি রোধে প্রতিষ্ঠানটি নিজ উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার রাখার ব্যবস্থা করে থাকে। নদীর পঁচা কাদা তুলে নদের দু-পাড় সংস্কার করা হয়। এতে নদের গভীরতা বৃদ্ধি পায় এবং পানি প্রবাহ ঠিক থাকে।

    বর্ষা মৌসুমে আদ্-দ্বীন কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে এই অংশে মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করে। আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অংশে এসময় নদ পরিস্কার থাকায় পানি প্রবাহ মসৃণ থাকে।

    নিয়মিত নিজস্ব লোকবল দিয়ে নদী পরিস্কার রাখায় হাসপাতাল অংশে শেওলা বা কচুড়িপনা জমতে পারে না। তাই মাছের অভয়ারণ্য থাকে এই অংশ। পাশাপাশি স্থানীয় সাধারণ মানুষ মাছ ধরে খেতে পারে।

    অপরদিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাট বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উত্তরে নদীর ভেতর সারা বছর ময়লা আবর্জনায় ভরে থাকে। এছাড়া শেওলা ও কচুরিপানায় আবদ্ধ থাকে এই নদের এই অংশ। শুকনো মৌসুমে এই অংশে পানি দেখা যায় না। কিছু জায়গায় নদের তলদেশ শুকিয়ে গেছে তা সহজে বোঝা যায়। পরিস্কার না থাকায় ঐ অংশের নদীর তীব্র দুর্গন্ধ ও ময়লা আবর্জনার স্তুপের সৃষ্টি হয়েছে।

    পথচারী এবং নদ পাড়ের মানুষ যেনো নদের যত্রতত্র ময়লা ফেলতে না পারে সেজন্য আদ্-দ্বীন কর্তৃপক্ষ স্ব-উদ্যোগে তারের বেড়া স্থাপন করেছে। এতে কিছুটা সুফল মিলছে।

    মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সন্জয় সাহা বলেন, নদের প্রবাহ ঠিক রাখতে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে মূলত এই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এটা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতা এবং ঝামেলা এড়াতে আমরা নিজ উদ্যোগে জনস্বার্থে এই কাজটি করে থাকি।

    ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো: ইমদাদুল হক বলেন, শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুমে এই নদে পানির স্রোত থাকে। স্রোতের ফলে ঐসময় নদের ময়লা আবর্জনা ও শেওলা পরিস্কার হয়ে যায়। কিন্তু শুকনো মৌসুমে স্রোত না থাকায় জমে থাকা অল্প পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আমরা নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। এতে সাধারণ মানুষও সন্তুষ্ট।

    তিনি আরও বলেন, আদ্-দ্বীন হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্কার রাখি। বাহিরের অংশও একই ভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করছি। যাতে জীবাণুমুক্ত সুন্দর পরিবেশে রোগীরা সেবা নিতে পারেন।

  • ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পেশাজীবী গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত  

    ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পেশাজীবী গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত  

    বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সাতক্ষীরা সার্কেলের উদ্যোগে পেশাজীবি গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ২০২৪- ২৫ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার (২২ মার্চ ‘২৫) সকালে সাতক্ষীরা সিটি কলেজে পেশাজীবী গাড়ি চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
    “ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রী সাধারণের নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরার লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সাতক্ষীরা সার্কেলের আয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মাহবুব কবির।
    প্রশিক্ষক হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন এর প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার ডা: জয়ন্ত কুমার, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোটরযান পরিদর্শক সজীব সরকার ও উচ্চমান সহকারী মোঃ নাসির উদ্দিন।
    প্রশিক্ষণ কর্মশালয় প্রধান প্রশিক্ষক বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মাহবুব কবির পেশাজীবী চালকের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা গাড়ি চালাতে হবে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রী সাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারে তার জন্য আপনাদের আন্তরিক থাকতে হবে, যাত্রীদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে, প্রতিটি গাড়িতে নারী ও প্রতিবন্ধী আসন নিশ্চিত করতে হবে।
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সজীব সরকার। কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবি ১৫৩ জন চালক অংশ গ্রহণ করেন।
  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শুক্রবার (২১মার্চ) ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগের বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু নাসের মো: আবু সাঈদ। ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দিনকালের স্টাফ রিপের্টাার মো: আব্দুল বারী। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, রুহুল কুদ্দুস, দিলীপ কুমার দেব, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শহিদুল হক রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়ক রফিকুল ইসলাম শাওন, নির্বাহী সদস্য গোলাম সরোয়ার, নির্বাহী সদস্য, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সিনিয়র সাংবাদিক আমিনুর রশিদ, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, ইয়ারব হোসেন, এম জিললুর রহমান, আহছানুর রহমান রাজীব, খালিদ হাসান, মো: হাফিজুর রহমান, মেহেদী আলী সুজয়, এসএম রেজাউল ইসলাম, আব্দুল আলিম, ইব্রাহিম খলিল, ফারুক রহমান, মীর আবু বকর, মীর মোস্তফা আলী, শহিদুল ইসলাম, খন্দকার আনিসুর রহমান, আয়ুব হোসেন রানা প্রমুখ।
    ইফতার মাহফিলে দেশ ও জাতীর শান্তি কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা পৌর পার্ক জামে মসজিদের ইমাম মুফতি আলহাজ¦ সাইফুল ইসলাম।

  • ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্রশিবিরে বিক্ষোভ মিছিল

    ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্রশিবিরে বিক্ষোভ মিছিল

    যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে  বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখা।
    শুক্রবার  (২০ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডস্থ মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে সংগঠনটির
    নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
    সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সেক্রেটারি মোঃ মেহেদী হাসানের  সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ইসলাম ছাত্রশিবিরের সা৪তক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন।
    প্রধান অতিথি বক্তব্যে সাতক্ষীরা শহর শাখার  সভাপতি আল মামুন  বলেন, ”যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। চার শতাধিক ঘুমন্ত ও সেহেরীরত ফিলিস্তিনি ভাই-বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। বিশ্ব মানবতার এই দুর্দিনে আমাদের সবাইকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহু সরকার ও ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, গাজায় শুধু মুসলমানরা আক্রান্ত হয়েছে মনে করবেন না। মূলত বিশ্ব মানবতাই আজ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার।এটা বিশ্বমানবতার ওপর আঘাত। বিশ্বনেতাদের অবশ্যই ন্যাক্কারজনক এই হামলা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
    ওআইসি সহ বিশ্ব মুসলিম নেতাদের , ইজরায়েলের সাথে যাবতীয় কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।
    উক্ত বিক্ষোভ মিছিল আরো উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর সেক্রেটারি খোরশেদ আলম, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু তালেব ও আনিছুর রহমান,সাতক্ষীরা শহর শাখার অফিস সম্পাদক নূরুন্নবী, অর্থ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ
  • আ’লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না : জামায়াত আমির

    আ’লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না : জামায়াত আমির

    পতিত আওয়ামী লীগকে আবারও রাজনীতিতে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট দিয়েছেন শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। যা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের হট টপিক। এবার এই ইস্যুতেই ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান।

    শুক্রবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে ড. শফিকুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে জানিয়ে এ ব্যাপারে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পোস্টটি হবুহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য-

    #আওয়ামী_লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না

    বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।

    প্রিয় সম্মানিত দেশবাসী,

    আল্লাহ তাআলার একান্ত মেহেরবানিতে আমরা পবিত্র রমাদানুল কারীম অতিক্রম করছি। বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাক অতিক্রম করছে।

    দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবানিতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এজন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া।

    এ সময় দেশেকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভিতরে এবং বাহিরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহিদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত এবং পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

    এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাহিরে অন্য কিছু ভাবার কোন সুযোগ নেই।

    আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।

    মহান আল্লাহ আমাদের ওপর রহম করুন এবং তার একান্ত সাহায্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তরণে আমাদেরকে মেহেরবানি করুন। আমীন।

    এই পোস্টটি দেওয়ার পর কমেন্ট বক্সে একটি মন্তব্যও করেছেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ৩৬ জুলাই ক্লোজড হয়ে গিয়েছে। নতুন করে ওপেন করার কোনই অবকাশ নেই।

  • আ. লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে : হাসনাত

    আ. লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে : হাসনাত

    ভারতের পরিকল্পনায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে জানিয়ে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাথে কোন ইনক্লুসিভিটি হতে পারে না। আওয়ামী লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে।

    বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিভাইড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন হাসনাত।পাঠকদের জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহর সেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ

    ‘‘১১ই মার্চ, সময় দুপুর ২:৩০।

    কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

    আমিসহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০ এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়- ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে – তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুইদিন মিডিয়াতে আওয়ামীলীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।

    আমাদেরকে আরো বলা হয়-রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।

    আমাদেরকে এই প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তৎক্ষণাৎ এর বিরোধিতা করি এবং জানাই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করুন।

    এর উত্তরে আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোন ধরণের বাধা দিলে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং ‘আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক’।

    আলোচনার এক পর্যায় বলি-যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কিভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে,’ ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া ‘ইনক্লুসিভ’ ইলেকশন হবে না।’

    উত্তরে বলি, ‘ আওয়ামী লীগের সাথে কোন ইনক্লুসিভিটি হতে পারে না।আওয়ামী লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে।আওয়ামী লীগ ফেরানোর চেষ্টা করা হলে যে সংকট তৈরি হবে, তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে’।
    পরে- মিটিং অসমাপ্ত রেখেই আমাদের চলে আসতে হয়।

    জুলাই আন্দোলনের সময়ও আমাদের দিয়ে অনেক কিছু করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কখনো এজেন্সি কখনো বা ক্যান্টনমেন্ট থেকে নানা ধরণের প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করতে চাপ দেয়া হয়েছে। আমরা ওসব চাপে নতি স্বীকার না করে আপনাদের তথা জনগণের উপরেই আস্থা রেখেছি। আপনাদের সাথে নিয়েই হাসিনার চূড়ান্ত পতন ঘটিয়েছি।

    আজকেও ক্যান্টনমেন্টের চাপকে অস্বীকার করে আমি আবারও আপনাদের উপরেই ভরসা রাখতে চাই। এ পোস্ট দেওয়ার পর আমার কী হবে আমি জানি না। নানামুখী প্রেশারে আমাকে হয়তো পড়তে হবে হয়তো বিপদেও পড়তে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোন ধরণের আপোষ করার সুযোগ নাই।

    জুলাইয়ের দিনগুলোতে জনগণের স্রোতে ক্যান্টনমেন্ট আর এজেন্সির সকল প্রেসক্রিপশন আমরা উড়িয়ে দিয়েছিলাম। আজ আবারও যদি আপনাদের সমর্থন পাই, রাজপথে আপনাদের পাশে পাই তবে আবারও এই আওয়ামীলীগ পুনর্বাসনের ভারতীয় ষড়যন্ত্রও আমরা উড়িয়ে দিতে পারবো।

    আসুন, সকল যদি কিন্তু পাশে রেখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমাদের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা হতে দিবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোন সুযোগ নাই বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে।’’

     

  • আপনারা সবাই রাস্তাঘাটে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন – আশাশুনি থানার ওসি নোমান হোসেন

     আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে জনসেবায় দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নোমান হোসেন। আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করছি আপনারা নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে রাস্তাঘাটে চলাচল করতে পারবেন গতকাল উপজেলার কুল্যার মোড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে এমনি কথা বলে জনগণের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ওসি নোমান হোসেন।তিনি গত (৬ জানুয়ারি ২০২৫) থানায় যোগদান করেন। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় থানায় যোগদানের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মানুষের কল্যাণে দিন-রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আশাশুনি থানার (ওসি) নোমান হোসেন। যোগদানের পূর্বে তিনি সিআইডি ফরেনসিক বিভাগে ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওসি হিসেবে এটাই তার প্রথম কর্মস্থল। চাকরির জগতে তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ছাত্র হিসেবে ওসি নোমান খুবই মেধাবী ছিলেন। তিনি পঞ্চম শ্রেনীতে বৃত্তি প্রাপ্ত হন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুগোল ও পরিবেশ বিদ্যায় অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে ২য় স্থান অর্জন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর মাষ্টার্স করেন। তার জন্মস্থান ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কলেজপাড়া সাত নম্বর ওয়ার্ড পৌরসভায়। চাকুরী করার পাশাপাশি তিনি একজন সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমি মানুষ। ইতোমধ্যে তার লেখা কয়েটি বই প্রকাশিত হয়েছে। ক্রীড়া প্রিয় মানুষ ওসি নোমান হোসেন আশাশুনিতে নতুন (ওসি) হিসেবে যোগদান করার পরেই ঘোষণা দিয়েছিলেন পুলিশ ও জনতার সম্পর্ক হবে বন্ধুর মত। জনসাধারণের যেকোন প্রয়োজনে পুলিশ সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর। আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করবেন, তাহলে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা আমাদের জন্য খুব সহজ হবে। তিনি আইন শৃঙ্খলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সন্ধ্যার পর একটা শিক্ষার্থীও আর বাজার-ঘাটে থাকতে পারবেনা। কোন চায়ের আড্ডায় থাকতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে পড়ার টেবিলে। আগের দিন শেষ আজ থেকে আশাশুনি থানার নতুন জীবন শুরু। কোন মাদক ও জুয়ার স্থান হবে না। হোক সেটা মোবাইল জোয়া বা অন্যকোন ধরনের জোয়া। জুয়ার সাথে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা। মাদক নির্মূলের বিষয় সব সময় সতর্ক থাকবে আশাশুনি থানা পুলিশ। মাদক সেবনকারী বা মাদক বিক্রেতা কোন দলের হতে পারেনা। এরা সমাজের শত্রু। এছাড়া তিনি আরো বলেছিলেন, থানায় জিডি করতে আসলে কোন টাকা লাগবে না। বাহির থেকে যদি কেউ জিডি করার জন্য অনলাইন করে তাহলে সেই কম্পিউটার ম্যানকে ৫০ টাকার ঊর্ধ্বে দেওয়া যাবে না। যদি কেউ ৫০ টাকার বেশি নেয় তাহলে আমাদের বলবেন আমরা তার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সততা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আশাশুনি থানার পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্বল করেছেন সর্বসাধারণের কাছে। তিনি ইতোমধ্যেই দলমত নির্বিশেষে আশাশুনিবাসীর সহযোগিতায় থানা পুলিশের টিম নিয়ে অপরাধবদ্ধ ও ডাকাতি, খুন, জখম, মাদকমুক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন আশাশুনি থানার ওসি। যানা গেছে আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থানসহ মানবসেবা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও চাকরিজীবী মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারে। সে লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট ও যানজটের মহড়া পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দোকানদারদের পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করতে নিষেধ প্রদান করেছেন। এবং এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি সৌন্দর্য রাখার স্বার্থে প্রত্যেক দোকানে এবং প্রত্যেক বাড়িতেই প্লাস্টিকের ড্রাম ব্যবহার করে ময়লা আবর্জনা ফেলানোর কথা বলেন। এছাড়া পলিথিন না ব্যবহার করে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। ওসি নোমান হোসেন নিজের চোখের ঘুমকে হারাম করে নিজেই অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পতনের পর ডেবিল হ্যান্ড এর অভিযান পরিচালনা করে আশাশুনি উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা শাকিল, ডাক্তার শিহাব উদ্দীন, আসমাউল, ইদ্রিস আলী, মুজিবর মোল‍্যা, জাকির চেয়ারম্যানের ভাই শাহিন সহ ২০থেকে ৩০জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আশাশুনি থানাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সম্ভবনাময় তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে আশাশুনি থানার প্রত্যেক এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যক্তি, তাদের আশ্রয়দাতাসহ মাদকসেবীদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যদিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান যানান তিনি। তবে তথ্য প্রদানকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করবে থানা পুলিশ। আপনাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া যে কোনো অপরাধের সংবাদ আমাকে জানান। আপরাধী যতই শাক্তিশালী হোক না কেন, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তথ্য দিন সেবা নিন। সামনে ঈদুল ফিতর। গরিব অসহায় ও দুস্ত মানুষ যাতে এই ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারে সেজন্য উপজেলার বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান তিন। উপজেলা বাসীকে আরো সুন্দরভাবে সেবা দেওয়ার জন্য উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন (ওসি) নোমান হোসেন।
  • সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট ওন ও ইফতার মাহফিল

    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট ওন ও ইফতার মাহফিল

    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউটের আয়োজনে স্কাউট ওন ও ইফতার মাহফিল
    অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজ
    ক্যাম্পাস বর্ণিল সাজে সজ্জিতকরণ করে রোভার স্কাউটরা। স্কাউট ওন ও ইফতার
    মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ
    আবুল হাশেম। ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও রোভার স্কাউট নেতা আ ন ম
    গাউছার রেজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহা. আল
    মুস্তানছির বিল্যাহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোস্তাজাবুর রহমান,
    জেলা রোভার স্কাউটস এর কমিশনার অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ কাজী
    আব্দুস সবুর, স্বপ্নসিঁড়ির সভাপতি মুহা. আলতাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক
    নাজমুল হক, সিনিয়র রোভার ইয়াকুব আলী, আলী রিয়াজ প্রমুখ।

  • সাংবাদিকদের সম্মানে সাতক্ষীরায় জামায়াতের ইফতার মাহফিল

    সাংবাদিকদের সম্মানে সাতক্ষীরায় জামায়াতের ইফতার মাহফিল

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা শাখা সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে।
    বৃহস্পতিবার  (২০ মার্চ) শহরের পিজ্জা মিলন  রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের সাতক্ষীরা জেলা  সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ  শহিদুল ইসলাম মুকুল।
     সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ এর সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুক, শহর জামায়তের আমীর মো.জাহিদুল ইসলাম বকুল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক আশিক-ই- এলাহী, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার   কল্যাণ ব্যানার্জি,বাংলাদেশ বেতার এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেমসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সিনিয়ার  সাংবাদিকবৃন্দ।